নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জান্নাতুল নাঈম প্রীতির ''জন্ম ও যোনির ইতিহাস'' নিয়ে অনলাইনে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে । মেলা থেকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে । তবে এখনও অনলাইন বইটা পাওয়া যাচ্ছে । পুরো বইয়ের কয়েকটি পাতা ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে । সেই পাতা গুলোতে প্রীতি খোলাখুলি সেক্সের আলাপ করেছে । ব্যাস চারিদিকে ছিছি পড়ে গেছে । আমি শতভাগ নিশ্চিত যে ১৭৩ পাতার এই বইটা আসলে কেউ পড়েই নি । যা পড়েছে ঐ তিনচার পাতা ।
এই বইটা পড়ার ইচ্ছে আমার ছিল না । কিন্তু আজকে কী মনে করে সারাদিন ধরে এই বইটা পড়ে শেষ করলাম । বইটা ঠিক আত্মজীবনী হয়েছে কিনা আমার সেটা জানা নেই । কারণ আত্মজীবনী বই আমি আগে যা পড়েছি এই বইতে সে সবের খুব একটা বালাই নেই । এখানে লেখিকা নিজের জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরেছেন । আরও ভাল করে বললে তার নামে মামলা হওয়ার পরে সে কিভাবে পালিয়ে বেড়ালো এবং প্যারিসে গিয়া হাজির হল সেটাই মূল ফোকাস এই বইয়ের । বইয়ের এই অংশটুকু পড়ার সময় আমি কিছু সময় আসলে লেখিকার তখনকার জীবনটা কল্পনা করার চেষ্টা করছিলাম । একবার কল্পনা করে দেখুন ২৫/২৬ বছরের একটা মেয়ের নামে মামলা হয়েছে । কেন মামলা হয়েছে কারণ একজন রাজনৈতিককে নিয়ে সে কিছু লাইন লিখেছেন ফেসবুকে । সেটা সত্য কি সত্য না সেটা আশা করি আপনারা নিজেরাও ভাল করেই জানেন । কিন্তু কিভাবে একটা রাষ্টযন্ত্র একজন ২৫ বছরের মানুষের পেছনে এভাবে পড়তে পারে? এর থেকে ভয়ংকর ব্যাপার কি হতে পারে কোন কিছু? আমার নামে এমন কিছু হলে আমার অবস্থা যে কী হতে সেটা আমি কল্পনাও করতে পারি না । সেই তুলনাতে এই মেয়ে যে টিকে গেছে এর থেকে বড় আর কিছু হতে পারে না ।
বইয়ের একটা চ্যাপ্টারে সে নিজের সেক্স লাইফের কথা লিখেছে । সব মিলিয়ে সম্ভবত ৩ থেকে ৫ পাতা । তার ভেতরে কয়েকটা লাইনে আপনি পাবেন এই শুয়েছিলাম টাইপের কথা । এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই লাইণ গুলো কি মিথ্যা ? মিথ্যা হলে অবশ্যই এই কাজ মোটেই উচিৎ হয় নি । কিন্তু যদি সত্যি হয় তাহলে কি এই কথা বইতে লেখা উচিৎ হয়েছে? প্রশ্ন আসতে পারে কারো প্রাইভেসী এভাবে নষ্ট করা ঠিক কিনা ! আমার কাছে আমি একজনের সাথে যখন আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার শেয়ার করবো, সে আমার কাছে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার শেয়ার করবে, তাকে চুমু খাবো কিংবা আরও অন্য কিছু করবো ব্যক্তিগত ভাবে, আমি কোন ভাবেই চাইবো না সেই জিনিস পাব্লিক্যালি আসুক । আমি নিজেও যে কাজ করবো না কখনই । এই বইতে লেখিকা ঠিক একই কাজই করেছেন । সব থেকে মজার হচ্ছে এই বইতে লেখিকা নিজেকে এমন ভাবে তুলে ধরেছেন যেখানে মনে হতে পারে আমি তো এমনিই করেছি কোন অপরাধ নেই কিন্তু ওরা খুব অপরাধ করেছে । এই ব্যাপারটা আরো ভাল করে উদাহরন যদি দেই, ধরুন আমি একটা মেয়েকে মেসেজ দিলাম । সেই মেয়েটি অন্য একটা ছেলেকে মেসেজ দিল । আমাদের দুজনের কথা একই ছিল । এই ব্যাপার লেখিকা লিখবে তানভীর বেটা এতো বদ আমাকে মেসেজ দিছে । আর নিজের বেলাতে লিখবে আমি তো এমনি সময় কাটানোর জন্য মেসেজ দিয়েছিলাম । পুরো বইতে সে এভাবেই নিজেকে তুলে ধরেছে ।
তারপরেও আত্মজীবনীতে আপনার সাথে ঘটনা সব রকম কাহিনী আপনি লিখতে পারেন । ঠিক বেঠিকের আলাপ না হয় নাই করলাম । এই বইতে আরেকটা খারাপ ব্যাপার হচ্ছে সে অন্য মানুষের ব্যাপারেও একই ভাবে যা ইচ্ছে লিখে গেছে । এখানেও উদাহরন যদি দেই তাহলে এভাবে দেওয়া যায় যে আমি ওমুকের সাথে শুয়েছিলাম । ওর আগের প্রেমিকার ওমুকের সাথে শুয়েছে তার এই ছিলো ঐ ছিল এমন ছিল সত্যমিথ্যা জানি না এটা এমন হয়েছে !
লেখিকা আরেকটা ব্যাপার খুব করে হাইলাইট করেছেন সেটা হচ্ছে তিনি একজন শিল্পী । খুব করে মানুষজনকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন দেখো আমি এই খানে আছি, এই বৃত্তি পাই এই আমি খুব প্রতিভাবান । আর দুনিয়ার সকল বিখ্যাত লেখক হচ্ছে তার অতি পছন্দের লেখক । আমি আসলে বলতেই পারি সাদাত হোসেন মন্টো আমার পছন্দের লেখক । যদিও তার লেখা আমি কোন দিন পড়ি নি । আমার কয়েকটা চেপ্টার পড়ার সময়ে কেবল এই মনে হয়েছে ।
তবে সব কিছুর পরেই এই বইয়ের শুরুর দিকটা আমার কাছে সত্য আর বস্তু নিষ্ঠই মনে হয়েছে । একজন নারী আমাদের দেশে কিভাবে জীবন পার করে এটা লেখিকা বেশ ভাল করেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন । হ্যা এটা সত্য যে পুরুষজাতির উপরে একটা তীব্র রাগ সেখানে প্রকাশ পেয়েছে তারপরেও যা সে লিখেছে আমার মনে হয় নি তা অসত্য। এই দেশ, এই সমাজ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের নীতি কিংবা দেশে যে অরাজকতা চলছে সে ব্যাপারে লেখা লেখিকার প্রতিটি লাইনে কোন মিথ্যা আপনি খুজে পাবেন না । হ্যা অনেক কিছুই আপনার পছন্দ হবে না কিন্তু আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না ।
বই নিয়ে আর কী বলবো । আপনাদের কেবল বলি যে বই পড়ুন । বই পড়ে তারপর কোন বইয়ের ব্যাপারে মন্তব্য করুন ।
পোস্টটি আগে নিজেস্ব ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: বুক রিভিউ আমি আবার বেশ ভালই পড়ি । কারণ এই রিভিউ পড়ে বই নির্বাচন করতে সুবিধা হয় ।
আমাদের ব্লগে তো এক মহা পন্ডিট আছে যে না পড়ে বই না বুক রিভিউ তার পরেও বাংলা সাহিত্যের সব বই সম্পর্কে তার বিশাল জ্ঞান ভান্ডার
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বুঝলাম বইটি পড়া খুব একটা দরকারী কাজ নয়।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৯
অপু তানভীর বলেছেন: সব বই যে দরকারী হতে হবে তার কোন মানে নেই ।
৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: বইটা পড়েছি- স্রেফ সময় নষ্ট! অযথাই আগডুম-বাগডুম প্রচারণা।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২০
অপু তানভীর বলেছেন: আমার তো মনে হয় ঐ চারটা পাতা অনলাইনে লেখিকা নিজেই ছড়িয়েছেন । এতে যে প্রচারণা হয়েছে হুহু করে বই বিক্রি বেড়েছে । নয়তো এই বই এতো বিক্রি হওয়ার কথা ছিল না ।
৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু মানুষ জন্মসূত্রেই তথাকথিত অগাধ পান্ডিত্য নিয়া জন্মায়। এদের বই পড়তে হয় না। দিব্যচউক্ষে সব এমনে এমনেই দেখতে পায়...... আউলিয়া বইলা কথা। সমস্যা হইলো, এরা এদের গেয়ান দিয়া এইটা কিন্তু বোঝে না যে, হামাস ক্যান রকেট মারে!!!
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: আমার তো মনে হয় হামাসের একখানা রকেম তার পিষ্ঠদেশ দিয়ে প্রবেশ করেছিল । সেইটা এখনও বাহির হয় নাই। এই কারণেই এখনও টের পায় নাই কেন রকেট মারে ! তবে আমরা আশা করি যে একদিন ঠিক ঠিক সেটা বের হবে । তারপর হামাসের রকেট মারার কারণ বুঝে আসবে ।
৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১৭৩ পৃষ্ঠার বইতে মাত্র ৪-৫ পৃষ্ঠায় যদি যোনির গল্প থেকে থাকে, তাহলে লেখিকা খুবই স্টান্টবাজ, বইয়ের নাম থেকে তা বোঝা যায়। খুবই প্রচারসর্বস্ব লেখক বলেই মনে হচ্ছে। আপনার পোস্ট ভালো হয়েছে।
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই কথা অবশ্য আপনি মোটেও ভুল বলেন নি । আর কেবল এই প্রথম না তার প্রতিটা বই বের হওয়ার আগেই কোন না কোন স্ক্যান্ডেল ঠিকই বের হয় । ফেসবুকে সবই সময়ই সে এমন কিছু করে যাতে মানুষের আলোচনাতে থাকতে পারে । আমাদের ব্লগেও এমন একজন আছে আপনি খুব ভাল করেই চিনেন যে কেবল মাত্র মন্তব্য পাওয়ার জন্য পোস্ট করে । মন্তব্য পাওয়ার জন্য এরওর পেছনে লেগে পোস্ট দেয় ।
তবে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি হওয়া নিয়ে যে সে পোস্ট সে দিয়েছিলো এবং যার কারণে তার নামে মামলা হয়েছিলো সেখানে তার বক্তব্য কিন্তু ভুল ছিল না । সেই সময়ে দেশে থেকে এমন কথা বলা সহজ ছিল না ।
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: তার সব কথা হয়তো মিথ্যা নয়, তবে রিভিউ পড়ে তাকে ভালোই ম্যানিপুলেটিভ আর মিথ্যুক মনে হচ্ছে।
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: লেখিকাকে ফেসবুকে অনেক দিন ধরেই চিনি । ম্যানিপুলেটিভ বলবো না তবে তার মনে একটা দৃঢ় বিশ্বাস সম্ভবত জন্মেছে যে সে সব থেকে ইনোসেন্ট আর তার পাশে সবাই অপরাধী । তার মন মত না হলেও সব কিছুইতেই দোষ খুজে পায় । সেই সাথে প্রচন্ড পুরুষতন্ত্র বিদ্বেষী ।
৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বইটা আমার কাছে আত্মকথা বলে মনে হয়েছে !
তবে পরকিয়া প্রকাশ পেয়েছে বলে এতে দোষের কিছু দেখি না । যদিও সে নিজেও পরকিয়ার দোষে দোষী । তবে সে তো ইঙ্গিত দিয়েছে নিজের সঙ্গীকে অন্যের সাথে মিলন করতে দেয়াটা বেশ উদারনৈতিক ! সেলিমের ওপর রাগ মনে হয় সে তার নিজের স্ত্রীর পরকিয়া মেনে নিতে পারবে না কষ্ট পাবে বলে !! আমার পড়ে তাই মনে হয়েছে !!
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪২
অপু তানভীর বলেছেন: নিজের দোষ গুণে মানুষের সামনে তুলে ধরা আমার কাছেও খারাপ মনে হয় নি । কিন্তু আমার কাছে যে ভাল লাগেনি সেটা হচ্ছে অন্য ব্যক্তি জীবনের কথা সে বড় নেগেটিভ ভাবে তুলে ধরেছে । নিজে বিবাহিত পুরুষের সজ্জা সঙ্গিনী হয়েছে সেটাকে সে যেমন স্বাভাবিক ভাবে তুলে ধরেছে তেমন ভাবে একই কাজ যখন অন্যের ব্যাপারে বলেছে তখন মনেছে বড় পাপ করেছে ।
আরেকটা কথা হচ্ছে একজন মানুষ যতই আধুনিক হয়ে উঠুক না কেন, যতই ওপেন মাইন্ডেড হয়ে যাক না কেন একজন বিবাহিত জেনেও যদি তার সাথে সম্পর্কে করে তাহলে সেটা অন্যায় ।
৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৮
রানার ব্লগ বলেছেন: বইটা ওনার নিজের ডায়েরি ! এটাই মনে হয়েছে আমার ।
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: অনেকটা সেই রকমই বলতে পারেন । এখানে সে বিশেষ করে তার নামে মামলা হওয়ার পর থেকে প্যারিসে গিয়ে থাকার সময় পর্যন্ত লিখেছেন । এবং লেখায় বড় তাড়াহুড়া ভাব রয়েছে ।
৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সব বদলায় যাইতো যদি খালি কেউ "যোনির ইতিহাস" না লিখে "ধো*র ইতিহাস" লিখতো!
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি যেমন শব্দে বিপ টেনে দিলেন এই শব্দ তো বইয়ের উপরেও লেখার কোন উপায় ছিল না ।
তবে যদি লেখা যাইতো আরেকটা ইতিহাস তৈরি হইতো কোন সন্দেহ নাই ।
১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫
এম ডি মুসা বলেছেন: একটা মেয়ে এ ধরণের বই প্রকাশ করার উচিত ছিলো না
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: ভুল শব্দ ব্যবহার করলেন। শব্দটা হওয়ার দরকার ছিল একজন মানুষের (শুধু মেয়ে/ছেলে নয়) এ ধরনের বই প্রকাশ করা উচিৎ ছিল না ।
১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: নারায়ান গঞ্জ এর বাতাস বইছে
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪৬
অপু তানভীর বলেছেন:
১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: শেষ পর্যন্ত এটেনশন সেকার জান্নাতুল নাঈম প্রীতি সামহোয়ারইন ব্লগেও জায়গা পেল। আসলে সত্য হলেই কি সবকিছু প্রকাশযোগ্য না প্রকাশ করা উচিত? তিনি বোধ হয় একালের তসলিমা নাসরিন হতে চেয়েছিলেন।
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: সত্য হলেও সব প্রকাশযোগ্য কিনা এই নিয়ে আসলে বিতর্ক আছে। এক দল মনে হরে যে সব কিছু প্রকাশযোগ্য নয় আবার আরেকদল মনে করে সত্য হলে প্রকাশ হতে বাধা নেই ।
এটা নিজেস্ব মনভাব ।
১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আমি তার একটা ছবি পোস্ট করতে বাধ্য হচ্ছি। বিষয়টা মোটেই ব্লগ এবং ব্লগারদের জন্য রুচিকার নয় তারপরও ছবিটা মনে হচ্ছে সামনে আনা দরকার- তাহলে আলোচনাটা যুতসই হয়;
যে সমাজে নারীদের জ্ঞানের থেকে রূপ ও শরীর দিয়ে তার যোগ্যতা বিচার বিবেচনা করা হয় বেশি- সেখানে ২৬-২৭ বছরের একটা তরুণী এই শারীরিক অবয়ব ও চেহারার সুরত লইয়া প্রায় সব পুরুষের স্বপ্নের নারী হবে বা হয় কেমনে? আলজেরিয়ান না কোন এক বৈদেশি ছেলে তার পাশের পায়ের উপরে শত কোটি টাকার বিলাস ব্যাসন বিলিয়ে দিতে চেয়েছিল সেই মেয়েকে তারপরও সে রাজি হয়নি তাকে বিয়ে করতে। ( এমন কুরুচিপূর্ণ কথা বলার জন্য আমি ব্লগারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)! তার নিজের স্বার্থে সে একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয ব্যক্তি হাসান আজিজুল হক যে তার বোনের শশুর তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ কথা বলতে দ্বিধা করেননি।
প্রথমদিকে তার লেখা পড়ে মানসম্পন্ন সাহিত্য মনে হয়েছিল যে কারণে আমি ব্লগার সোহানে আপুর সাথে ফেসবুকে একটি ঝগড়া করেছিলাম তার পক্ষ নিয়ে। কিন্তু পরে মনে হল মাত্রারী লিপ্ত স্বাধীনতা প্রত্যাশী বয়স্ক পুরুষদের পছন্দ করা এবং যার প্রয়োজন তাকে ব্যবহার করা এবং যার প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় তার বিরুদ্ধে কুৎসা রচনা করা এবং নিজের যোগ্যতাকে বহুগুনে প্রচার করা প্রকাশ করা এবং ভাইরাল হওয়ার যে চেষ্টা তার মধ্যে সেটা দেখে আমি ভীষণ বিরক্ত হয়েছি।
বাদবাকি আপনার কথা ঠিক চমৎকার রিভিউ করেছেন।
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: তপন ভাই ফেসবুকে তার নামে প্রথম যখন আলোচনা শুনি তার ছবি দেখে আপনার মত এমন মনে হয়েছে ।
তার লেখায় এই ভাবটা খুবই ভাল করে সে নিজের প্রচারের জন্য সে বিখ্যাত লোকের নাম জুড়তে পছন্দ করে যার প্রধাণ উদ্দেশ্যই নিজেকে ভাইরা করা । অন্য কোন কারণ নয় । তার এই বইতে একটা ভাব খুব ভাল করেই এটা প্রকাশ পেয়েছে যে যেই তার জীবনে এসেছে তার ব্যাপারেই সে নেগেটিভ কথা বলেছে । এমন কি যারা উপকার করেছে তাদের ব্যাপারেও । তার লেখায় আপনি যেমন বললেন স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তবে সে কেবল নিজের স্বাধীনতায় । অন্যের নয় ।
তবে একটা কথা যে নষ্ট ঘড়ি যেমন দিনে দুইবার ঠিক সময় দেয় তার লেখা বস্তুনিষ্ঠ কিছুই কিন্তু থাকে ।
১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বইয়ের কাটতির জন্য 'যোনি' শব্দটা ব্যবহার করেছে। বইয়ে আরও অনেক বিষয় আছে যেমন সরকারের সমালোচনা, নাস্তিকতা, নারীবাদ, প্রবাসের জীবন কাহিনী ইত্যাদি। কিন্তু এগুলি সংক্রান্ত শব্দ বাদ দিয়ে 'যোনি' শব্দটা ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হল বইয়ের কাটতি বাড়ানো। লেখকের রুচি সম্পর্কেও একটা ধারণা পাওয়া যায়। কে কার সাথে শুয়েছে এগুলি দেশ, জাতি, সমাজের কোন কাজে আসবে না। যাদের সাথে শুয়েছে তারা ঐ রকমই। লেখিকা নিজেও একই গোত্রের। এই লেখকের পরের বইও হয়তো নামে চলবে। এখন যেমন তসলিমা নাসরিন যাই লেখেন সেটাই বেশ চলে। বিদেশে নিরাপদে আছে তাই মাঝে মাঝে এই ধরণের লেখা সে প্রকাশ করবে নিজের নামের প্রচারের জন্য।
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: বইটাতে এই ব্যাপারে মাত্র একটা চ্যাপ্টার রয়েছে তার উপরে সেই চ্যাপ্টারে অল্প কিছু লাইন রয়েছে । অথচ এই শব্দটাই ব্যবহার করা হয়েছে বইয়ের নাম হিসাবে । কোন সন্দেহ নেই যে কেবল মাত্র প্রচার পাওয়ার জন্যই এমনটা করা হয়েছে ।
মানুষ নিজেকে প্রচারের জন্য কত কিছুই না করে আজকাল ।
১৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪১
দারাশিকো বলেছেন: গুড পোস্ট এবং রিভিউ। আমার পোস্টটা আগামীকাল বা পরশু প্রকাশ করবো ভেবে রেখেছি, দেখা যাক পারা যায় কি-না। এ কারণে এখানে তেমন কিছু বললাম না
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ার অপেক্ষাতে রইলাম ।
১৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: বই এর রিভিউ পড়ে আরেক তসলিমা নাসরিন মনে হইতেসে। ইনার বই নিশিদ্ধ করার জন্য নাকি ঢাবিতে রবী ঠাকুরের গীতাঞ্জলি পেরেক মারা ভাস্কর্য্য বানানো হইসিল!! ভাবতেই অবাক লাগতেসে এমন বইকে গীতাঞ্জলির কাতারে ফেলা হল কোন হিসেবে? অথচ আদর্শ প্রকাশনীর তিনটি বই নিশিদ্ধ করা হল কিন্ত কেউ টু শব্দও করে নাই!!
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: না না মোটেও এই লেখিকার বই নিষিদ্ধের কারণে রবী ঠাকুরকে পেরেক মারা ভাস্কর্য্য বানানো হয় নাই । এই কথা কে কইলো আপনেরে !
ভাস্কর্য্য মূলত মেলাতে ভিন্নমতের বই প্রকাশের বাধা দেওয়ার কারণেই হইছে ।
১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৫
রেজাউল৮৮ বলেছেন: তসলিমা নাসরিন একবার লিখেছিলেন সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে ওনার রাত কাটানোর গল্প। সৈয়দ শামসুল হক ক্ষুদ্ধ হয়ে বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন। পরে প্রত্যক্ষদর্শী এক স্বামী স্ত্রী জানান যে ওনারাও ওই রিসোর্টে ছিলেন এবং সৈয়দ শামসুল হক ওনাদের সাথে আলাপ কালে তসলিমা নাসরিনকে 'কন্যা সম' হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
ওই সময় বিষয়টা নিয়ে অনেক হইচই হয়েছিল শুনেছি। সভ্যলোক বেডরুমের কথা বাহিরে আনার কথা না, আবার লেখকের দায়বদ্ধতা থাকে সত্য প্রকাশের। কবি শামসুর রাহমান ও কৈশোর যৌবনের প্রেমিকার সাথে অভিসারের কথা খোলামেলা লিখেছিলেন।
এমনটা লেখা উচিত না অনুচিত অনেক বিতর্ক হয়েছে । সেই বিষয়ে যাব না। সত্যি কথা বলতে , এরকম আলোচনা করার মত জ্ঞান ও আমার নেই।
তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, একটা বই নিয়ে যত বেশি বিতর্ক হবে তত এর কাটতি বাড়বে।
আমি ভাবছি গলুকে নিয়ে সামনের বইমেলায় একটা বই লিখবো, কি বলেন?
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: এটা আসলেই একটা বিতর্কের ব্যাপার । কোনটা লেখা উচিৎ কোন টা লেখা উচিৎ না । লেখকদের সত্য প্রকাশের দায়বদ্ধতা থেকে সব কিছু লেখা উচিৎ কিনা এসব নিয়ে বিতর্কের আসলে কোন শেষ হবে না । যারা বই পড়ে তাদের প্রায় সবাই কিন্তু একটা লেখা পড়ে বুঝতে পারে যে লেখাটা কি সত্য প্রকাশের দায়বদ্ধতা থেকে লেখক লিখেছেন নাকি বিতর্ক সৃষ্টি করে কাটতি বাড়াতে লিখেছেন! এটা বুঝতে কিন্তু কষ্ট হয় না !
আপনি গলুকে নিয়ে বইয়ের নাম কী হবে বলেন তো? জানতে ইচ্ছে হইতেছে । বইয়ের প্রচ্ছদটা এখনই একে ফেলতে পারতাম ।
১৮| ০১ লা মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৯
রেজাউল৮৮ বলেছেন: আপনার পোষ্টের শেষ তিনটা বাক্য পড়ে একটা কথা মনে পড়ে গেল। বিশিষ্ট সাহিত্যানুরাগী বলদস্টাইন বাণী দিয়েছেন বৈ মেলায় প্রকাশ হওয়া বইয়ের আশি পার্সেন্ট পাঠের অযোগ্য।
মেলায় তিন হাজারের মতো বই বের হয়েছে অনুমান করি। এতগুলো বই এক মাসের মধ্যে পড়ে কোনগুলো খাদ্য কোনগুলো অখাদ্য তা নির্ণয় করার মত কঠিন পরিশ্রমসাধ্য কাজ সাফল্যের সাথে করায় বলদস্টাইন সাহেব একটি বিশেষ সম্বর্ধনা পেতেই পারেন।
উনাকে একটি বকলস দেওয়া যায় কি? সবাই চান্দা তুলে দিতে পারি। কালেকশন ভালো হলে বকলসের সাথে একটা ডায়াপার ও দেওয়া যায়।
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭
অপু তানভীর বলেছেন: এই বোক%^%$ অনেকদিন ধরেি সামুতে হয়ে আসছে । প্রতি মেলায় কম করে হলেও সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার বই বের হয় । একজন মানুষ নিয়মিত পাঠক হলেও বছরে ৫০ থেকে ৮০টা বইয়ের বেশি পড়তে পারে না । ৫ হাজার বইয়ের বিপরীতে ৮০টা বই পড়ে পুরো বইমেলার সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারে কেউ ? আর বদলের বলদ জীবনে একটা বই পড়ে নাই, আরো ভাল করে বলল বই পড়তে যে যোগ্যতা সামান্যতম সেই যোগ্যতা পর্যন্ত এই বলদের নেই । আর বই সম্পর্কে মন্তব্য করে বসে । আর কিছু চামচা আছে সেগুলো আবার মনে প্রাণে বিশ্বাসও করে নেয় !
১৯| ০১ লা মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখিকার নামটা সুন্দর কিন্তু কাজটা অসূন্দর
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: নাম সন্দর । লেখা সন্দর কারো কারো কারো কাছে কারো কারো অসন্দর !
২০| ০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০১
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনারা কেউ হারামির হাতবাক্স পড়েছেন? ওটা কিন্তু সমরশের ব্যাক্তি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। যতোদুর জানি সমরেশ কে তেমন সমালোচনায় পরতে হয় নাই।
০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:২৮
অপু তানভীর বলেছেন: পুরুষ মানুষের বেলাতে সমালোচনা কম হয় এই সাবকন্টিনেন্টে । মেয়েদের বেলাতে বেশি হয় ।
২১| ০১ লা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ৩ মন্তব্যের জবাবের সাথে একমত। বইয়ের নাম দেখেই আর কেনার রুচি হয় নাই।
০২ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: বইয়ের করণ একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার । কোন কোন লেখক এটাকে কেবল মাত্র ভাইরাল হওয়ার জন্য ব্যবহার করে থাকে । বইয়ের কাটতি বাড়ানোর জন্য /
২২| ০২ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: আমি পড়ছি। এটার রিভিউ লিখবো। কিছুটা সাহায্য নেবো এই পোস্ট থেকে।
০২ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
অপু তানভীর বলেছেন: লিখে ফেলুন জলদি । এই পোস্ট অবশ্যই রেফারেন্স হিসাবেই নিতে পারেন । কোন সমস্যা নেই।
২৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
সোহানী বলেছেন: তার বই বা কোন লিখাই পড়িনি। এ বই নিয়ে চ্যা ম্যা হবার পর একটু গবেষনায় নামলাম। এবং আমার মনে হয়েছে এ একটা স্বল্প জ্ঞান সম্পর্ন, নিজের ঢোল পেটানো, যেন তেন উপায়ে সেলিব্রেটি হবার মানসিকতা স্পষ্ট।
যাহোক, আমার সাথে নাও মিলতে পারেন সবার মানসিকতায়। সেটা যার যার যুক্তিতে বুঝবে।
০৩ রা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: সেলিব্রেটি হবার মানসিকতা স্পষ্ট - এটাই আসল কথা
২৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচনাটি সুলিখিত, পাঠকের মন্তব্যও অনেকগুলোই সুবিবেচিত। + +
Attention seekers রা আর কিছুতে সুবিধে করতে না পারলে সেক্স, ধর্ম আর রাজনীতির বিকৃত পথে হাঁটেন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: বই পড়ে আমারও কেবল এই একই কথা মনে হয়েছে ।
একজন লেখকের মাঝে যদি সত্যি সত্যি কিছু থেকে থাকে তাহলে তা সামনে আসে । কিন্তু এমন কিছু মানুষ থাকে যারা শর্ট কাটে সবার সামনে এগিয়ে আসতে চায় । এরাই এমন কাজ কর্ম গুলো করে থাকে সব সময় ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পাঠ-প্রতিক্রিয়া, বুক রিভিউ এইসব পড়ে কেন জানি জুইৎ পাই না। খালি আপনের পোষ্ট বইলা হাজিরা দিয়া গেলাম।