নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপারেশন বিগবার্ড - ২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতারের ঘটনা

২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

২৫শে মার্চ রাত তারিখটা সামনে এলেই আমাদের সবার মনে অপারেশন সার্চলাইটের কথা মনে আসে, মনে আসে ২৫ মার্চ কাল রাতের কথা যেখানে মনে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী বর্বরচিত হামলার কথা । নিরস্ত্র বাঙালীদের উপরে সেই রাতে নারকীয় হামলা পাকিস্তানি আর্মি করেছিলো সে কথা আমাদের কারোই অজানা নয় । তবে এই একই রাতে অপারেশ সার্চলাইটের সাথে আরও একটা অপারেশন পাকিস্তানি আর্মি করেছিলো । অপারেশন বিগবার্ড । এই অপারেশনটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করার অপারেশন । এই নামটার সাথে হয়তো অনেকেই পরিচিত আবার আবার অনেকের কাছেই পরিচিত নয় । আমি এই অপারেশন বিগবার্ড সম্পর্কে প্রথমে জানতে পারি এই ব্লগে এসেই । আজকে মনে হল এটা নিয়ে একটু লেখা যাক । একটা সময়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের ব্লগে প্রচুর লেখা আসতো । এখন এসব আসে না ।

কিভাবে শুরু হয়েছিলো অপারেশ বিগবার্ড?

অপারেশ বিগবার্ড সম্পন্ন করার জন্য যে মানুষটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো তার নাম মেজর জহির আলম খান । তিনি সেই সময়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের থার্ড কমান্ড ব্যাটালিয়ানের দায়িত্বে ছিলেন । ২৩শে মার্চ তিনি ঢাকা আসেন অন্য একটি ব্যাপার । ঢাকায় আসার পূর্বে সে যখন কুমিল্লায় তার বাসা থেকে বের হচ্ছিলো তখন তার স্ত্রী তাকে বলে যে অফিসে রাখা সোনার গহনা গুলো যাতে সে এনে দেয় । কারণ কুমিল্লায় তাদের বাসায় কোন সেফ লকার ছিল না । সকল দামী গহনা সে রাখতো অফিসের লকারে । বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে একটা ছোট নগ্ন ছেলেকে রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে । ছেলেটি তার গাড়ি দেখেই চিৎকার করে ''জয় বাংলা'' বলে ওঠে । জহির আলমের এই সময়ে রেগে যাওয়া উচিৎ ছিল কিন্তু সে আপন মনেই হেসে উঠে । তার আড়াই বছরের মেয়েও প্রায়ই ''জয় বাংলা'' বলে চিৎকারে ওঠে যখন তার বড় বোন তার পিছু নেয় । এটা তাদের খেলার একটা অংশ ।

২৩শে মার্চ যখন ঢাকাতে আসে জহির তখন তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করতে আসে মেজর বিল্লাল । সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কর্নেল এসডি আহমেদের বাসায় । বিকেলে দিকে তাকে জানানো হয় যে ২৪/২৫মার্চ পাকিস্তানি আর্মি শেখ মুবিবর রহমানকে গ্রেফতার করবে । এবং এই পুরো গ্রেফতার অপারেশনের দায়িত্ব তাকে নিতে হবে । পরের দিন চীফ অব জেনালরেল স্টাফ রাও ফরমানের সাথে দেখা করে জহির আলম । তাকে চীফ নিশ্চিত করে যে ২৫ মার্চ রাতেই শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করতে হবে । এবং তাকে জানানো হয় যে শেখ মুজিবকে অবশ্যই জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করতে হবে । যদি এমনটি না হয়, শেখ মুজিব যদি অপারেশনের সময় মারা যায় তাহলে এর পুরো দায়ভার তকে নিতে হবে ।

এই কাজ করতে হবে বেসামরিক গাড়িতে করে এবং মাত্র একজন অফিসার নিয়ে । এই কথা শুনে মেজর আলম এই কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায় । সে চীফকে বলে তাকে অন্তত এক প্লাটুন সৈন্য দিতেই হবে নয়তো সে এই কাজ করবে না । এবং সেখান থেকে চলে আসে । আর্মি জেনারেল চীফ অফ স্টাফের সাথে এমন কথা বলার পরে জহির আলম একটু ভয়েই ছিলেন । তবে পরে অন্যান্য অফিসারদের মধ্যস্ততায় মেজর জহির আলম আবার রাও ফরমানের সাথে দেখা করেন । তখন রাও তাকে জানায় যে তাকে সব কিছুই দেওয়া যায় যা যা দরকার । সে কেবল সঠিক ভাবে যেন অপারেশন সম্পন্ন করে ।


অপারেশন শুরুর আগে পুরো প্লাটুনকে মোট তিন ভাগে ভাগ করা হয় । তিন গ্রুপের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজার বিল্লাল, ক্যাপ্টেন হুমায়ুন এবং ক্যাপ্টেন সাইদের উপরে । অপারেশন শুরুর আগে ক্যাপ্টেন হুমায়ুনকে পাঠানো হয় শেখ মুজিবের ৩২ নম্বর বাড়ির রেকি করার জন্য । সে দুজনকে সাথে নিয়ে বের হয়ে যায় রেকি ও বাড়ির আশে পাশে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ।

রাত নয়টার দিকে মেজর জহির আলম এয়ারফিল্ডে এসে হাজির হয় । রাত দশটার দিকে সেখানে হাজির হয় ক্যাপ্টেন হুমায়ুন । সে শেখ মুজিবের বাড়ি রেকি করে এসেছে । সে জানায় যে যাওয়ার পথে বেশ কিছু রোডব্লক বসানো হয়েছে । তাই সেগুলো সরাতে সময় নষ্ট হবে । তাদের সময়ের একটু আগেই বের হওয়া উচিৎ । ঠিক হয় নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা আগেই তারা রওয়ানা দিবে । ঠিক হয় তারা বিমানবন্দর হয়ে সংসদভবন মোঃপুর হয়ে ধানমণ্ডিতে গিয়ে হাজির হবে।

মেজর জহির আলম রাত এগারোটা সময় তার সেনা প্লাটুন নিয়ে রওয়ানা দেয় শেখ মুজিবের বাড়ির উদ্দেশ্যে । পূর্বের পরিকল্পনা মোতাবেগ তার সংসদ ভবনের রাস্তা পার হয়ে মোহাম্মাদপুরে ঢোকেন । মোহাম্মাদপুর রাস্তায় কোন বাতি ছিল না । মেজর জহির আলম জীপ নিয়ে এগোতে থাকে । তার জীপের পেছনে রয়েছে তিনটি ট্রাক । তিনটি ট্রাকের আলো নেভানো । তবে তার জীপের সামনে হেড লাইট জ্বলছে। ধানমণ্ডতে প্রবেশের কিছু দুর থেকে রাস্তার উপরে প্রতিবন্ধক আসতে থাকে । রোড ব্লক তৈরি করতে ট্রাক সহ নানান ধরণের যান বহন উল্টে রাখা হয়েছে, মোটা পাইপ ফেলে রাখা হয়েছে । দুশ গজ পরপর তিনফুন/চার ফুট পুরু করে ইট দিয়ে দেয়াল বানানো হয়েছে । মেজর জহির ট্রাক দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ব্লক হাটিয়ে রাস্তা তৈরি করতে চাইলো কিন্তু পারল না । শেষে জহির আলম সাইদকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার মত রাস্তা তৈরি করতে বলল । তারপর বাকিদের নিয়ে পায়ে হেটে এগিয়ে চলল শেখ মুজিবরের বাড়ির দিকে । তারা পায়ে হেটেই পৌছালো বাড়ির সামনে ।

একটি দল বঙ্গবন্ধুর বাড়ির বাইরের ডান দিকে অবস্থান নিল । ক্যাপ্টেন হুমায়ুনের দল দেয়াল টপকে ঢুকে পড়ে বাড়ির আঙ্গিনায় । সেখানে মুহুর্তের ভেতরে গোলাগুলি শুরু হয় । মেজর জহির বাইরে থেকে সেই গুলাগুলি শুনতে পাচ্ছিলো । সেখানে একজন নিহত হয় । বাড়ির বাইরের পুলিশ সদস্যরা গোগাগুলির এক পর্যায়ে পাশের লেকে ঝাপ দেয় । বাড়ির প্রবেশ মুখ সংলগ্ন এলাকা সেনাদের দখলে চলে আসে । পুরো বাড়ি এবং আশে পাশের সব বাড়িই এখন অন্ধকারে ঢেকে আছে । কোন আলো নেই কোথাও ।

সৈন্যরা বাড়ির ভেতরে ঢোকার সময় ছোট খাটো বাঁধার সম্মুখীন হল বটে তবে সেগুলো সহজেই সরিয়ে দেওয়া গেল । তারা বাড়ির আঙ্গিনা থেকে মুল বাড়িটে প্রবেশ করলো । পুরো বাড়ি কেমন যেন নিস্তব্ধ হয়ে আছে । কোথাও কেউ নেই এমন একটা ভাব । সৈন্যরা বাড়ির প্রতিটা ঘরে তল্লাসী করতে শুরু করলো । প্রতিটি দরজা খুলে সেখানে শেখ মুজিবের খোজ করতে শুরু করল কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না । কেবল মাত্র একটা ঘরের দরজা বন্ধ ছিল ভেতর থেকে । একজন সৈন্য মেজর জহির আলমকে এসে জানালো যে একটা ঘর ভেতর থেকে বন্ধ এবং ভেতর থেকে অদ্ভুত আওয়াজ আসছে । মেজর জহির তখন মেজর বিল্লালকে দরজা ভেঙ্গে ফেলতে বলল । সেই সাথে ক্যাপ্টেন সাইদকে বাড়ির সামনে কোন জনতার ভীড় এসেছে কিনা সেটা দেখার জন্য । মেজরের লক্ষ্য ছিল যে লোকজন জড় হওয়ার আগে, কেউ জানার আগেই শেখ মুজিবকে নিয়ে কেটে পড়বে । কারণ জনতা যদি টের পেয়ে যায় তাহলে এখানে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে ।

ঠিক এই সময়ে ভেতর থেকে গুলির আওয়াজ ভেসে আসে । সাথে সাথে গ্রেনেড ফাটার আওয়াজও হয় । সাথে সাথে মেশিনগানের গুলির আওয়াজও শোনা যায় । মেজরের মনে তখন কেবল একটা ধারণায় জন্মে যে শেখ মুজিব হয়তো মারা পড়েছেন । মেজর দৌড়ে গিয়ে হাজির হন দরজার সামনে । তবে সেখানে গিয়ে দেখা যায় এমন কিছুই হয় নি । দরজা তখনই ভেতর থেকে বন্ধ । তবে এবার ঘরের ভেতর থেকে শেখ মুজিব সাড়া দেন । গুলি না করার শর্তে সে বাইরে বের হয়ে আসতে রাজি হয় ।

শেখ মুজিব বের হয়ে আসার পরে মেজর জহির তাকে তার সাথে আসতে বলে । তখন শেখ মুজিব মেজরের কাছে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসার কথা বলেন । শেখ মুজিব বিদায় নিয়ে এলেন । তাকে সহ পুরো দল গাড়িতে উঠে বসলেন । তখনও বাড়ির সামনে কোন মানুষের ভীড় জমে নি । মেজর জহির আলম গাড়িতে ফিরে এসে ওয়ারলেস মেসেজ পাঠিয়ে জানালো যে সে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করেছে । বিগ বার্ড ইন কেইজ ।

গাড়ি যখন চলতে শুরু করবে তখন শেখ মুজিব জানালেন যে তিনি ভুল করে তার পাইপ ফেলে এসেছেন । তার পাইপ লাগবেই । মেজর আবারও তাকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলল । এরপর মধ্যে শেখ মুজিব নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন । তিনি বুঝে গেছেন যে আর্মি তার কোন ক্ষতি করবে না । কেবল গ্রেফতার করতে এসেছে । তিনি পাইপ হাতে নিয়ে মেজরকে জানালেন যে ফোন করলেই সে নিজে হাজির হয়ে যেত । তখন মেজর তাকে বলল, আমরা আপনাকে দেখতে চেয়েছিলাম যে চাইলে আপনাকেও গ্রেফতার করতে পারি ।

শেখ মুজিবকে মাঝের ট্রাকে বসিয়ে পুরো আর্মি দল রওয়ানা দিল সদরের দিকে । তখনই মেজর জহির আলমের মনে পড়লো যে পুরো পরিকল্পনা টা ছিল কিভাবে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হবে সেটা নিয়ে । কিন্তু গ্রেফতারের পরে তাকে কোথায় রাখা হবে কিংবা কার কাছে হস্তান্তর করা হবে সেটা নিয়ে কোন আলোচনা হয় নি ।

তৎকালীন সংসদ ভবনে সিড়িতে শেখ মুজিবকে বসিয়ে রেখে মেজর জহির আলম সেনা সদর দপ্তরে গিয়ে হাজির হল । টিক্কাখানের সাথে দেখা করে সিদ্ধান্ত হল যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাতে শেখ মুজিবকে যেখানে রাখা হয়েছিল সেই ঘরেরই রাখা হবে তাকে। এরপর শেখ মুজিবকে রাখা হয় ১৪ ডিভিশন অফিসার্স মেসের একটি কক্ষে । সেখানে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ভবনের চারতলার একটা কক্ষে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয় । তার তিন দিন পরে তাকে পাকিস্তানেই নিয়ে যাওয়া হয় ।

এভাবেই শেখ মুজিবর রহমানকে প্রায় বিনা বাধায় সেদিন গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় ।





তথ্যসুত্রঃ যে যে পোস্ট পড়েছি
The way it was - Z A Khan এই বইয়ের অধ্যায় এগারোতে শেখ মুজিবের গ্রেফতারের বর্ণনা দেওয়া আছে ।
‘অপারেশন বিগ বার্ড'
শেখ মুজিব যেদিন পাকিস্তানের কারাগারে হত্যার ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন
২৫শে মার্চ রাতে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিলো শেখ মুজিবকে

আরও একটা পোস্ট পড়তে পারেন স্বাধীনতা দিবসঃ “মুক্তির মন্দির সোপান তলে, কত প্রাণ হল বলিদান- লেখা আছে অশ্রুজলে...”

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় তখন ২৫ তারিখ শেষ হয়ে ২৬ মার্চ শুরু হয়ে গেছে। তাই ঘটনাটা ঘটেছে বলা যেতে পারে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে। তার কিছুক্ষণ আগে একজন ফোনে জানায় যে স্বাধীনতা ঘোষণার মেসেজ ট্রান্সমিটারের সাহায্যে প্রচার করা হয়েছে। এখন কি করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে একজন সেই অচেনা ব্যক্তিকে জানায় যে ট্রান্সমিটার ভেঙ্গে গুরিয়ে দিয়ে সে যেন পালিয়ে যায়। এই অচেনা ব্যক্তি একজন (টি এন্ড টির সম্ভবত) ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন যাকে কয়েকদিন আগে থেকেই বঙ্গবন্ধু একটা ট্রান্সমিটার তৈরি রাখতে বলেছিলেন। ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এবং ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর একজন সঙ্গী এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১১

অপু তানভীর বলেছেন: ''বঙ্গবন্ধুর পক্ষে একজন সেই অচেনা ব্যক্তিকে জানায় যে ট্রান্সমিটার ভেঙ্গে গুরিয়ে দিয়ে সে যেন পালিয়ে যায়''

এমনটা বলার কারণ কী ছিল ?

২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: একই লেখকের লেখা ইতিহাস সময়ের সাথে সাথে ইতিহাস সময়োপযোগী করা হয়......

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১২

অপু তানভীর বলেছেন: নাহ ! এটা তো আসলে একই থাকে যে কিভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো । হ্যা তবে যখন ভিন্ন ভিন্ন দলের লোক এটা লেখে তখন তাদের প্রকাশ ভঙ্গি হয় আলাদা !

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪১

শায়মা বলেছেন: এত কিছু সেই ২৫শে মার্চ রাতে। :(

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১২

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা এটাও ছিল এই কাল রাতে ।

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে আমি আমার স্মরণ শক্তি ( বইয়ে পড়েছি এবং টিভিতে সাক্ষাৎকার দেখেছি) থেকে বলছি ঘটনাটা। পুরোপুরি ভালো করে মনে নাই। তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের লেখা বইয়ের শেষের দিকেও সম্ভবত এই ঘটনার উল্লেখে আছে, যত দূর মনে পড়ছে। এছাড়া আমি টিভিতে ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামের সাক্ষাতকারে এই ঘটনার কথা শুনেছি। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধুর বাসার ফোনে একজন ফোন করে এই তথ্য দেয়। ফোনটা ধরেছিলেন বঙ্গবন্ধুর একজন সহকারী। ওনার নামটা ভুলে গেছি। আগে থেকেই বঙ্গবন্ধু একজন ইঞ্জিনিয়ারকে একটা ওয়াইরলেস ট্রান্সমিটার তৈরি রাখতে বলেছিলেন। কি বার্তা প্রচার করতে হবে সেটা হয়তো পরে বলেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর সহকারী ঐ ফোনটা আসলে বঙ্গবধুকে জিজ্ঞেস করেন যে ঐ পাশের লোককে কি বলবো। বঙ্গবন্ধু বলেন যে ওকে বল যে ট্রান্সমিটারটা ভেঙ্গে দিয়ে সে যেন পালিয়ে যায়। এই কথা বলার উদ্দেশ্য হোল সে যেন তার জীবন বাচায়। কারণ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়াটা তখন পরিষ্কার একটা রাষ্ট্রদোহীতা পাকিস্তানীদের চোখে। যে ব্যক্তি এই ঘোষণা সম্প্রচারে সহায়তা করেছে তাকেও পাকিরা ছাড়বে না এটাই স্বাভাবিক।

এই ব্যাপারে নীচের এই লেখাটা পড়তে পারেন;
একাত্তরের মার্চ থেকে প্রবাসী সরকার – ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম

https://bangladeshgurukul.com/প্রবাসী-সরকার/

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: নেতা ও পিতা বইটা আমার কাছে সম্ভবত আছে । খুজবে পাওয়া যাবে । দেখি আমি পড়ে দেখি কিছু পাই কিনা !
হ্যা আপনার ধারণা সঠিকই মনে হচ্ছে । এই কারণে ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলে থাকতে পারে । আমার মনে প্রশ্ন জাগছে যে কেবল পালিয়ে যাওয়ার কথা বললেই তো চলতো । ট্রান্সমিটার ভেঙ্গে কেন যেতে বলতে হবে !

লিংকটা ঠিক কাজ করছে না ।

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একাধিক ট্রান্সমিটার থেকে একাধিক সময়ে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। উপরে দেয়া লিঙ্ক কাজ করছে না। তাই স্বাধীনতার ঘোষণা সংক্রান্ত ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামের সাক্ষাৎকারের অংশ বিশেষ নীচে দিলাম;

বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ মার্চের বক্তৃতায় স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক গ্রামে প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এর মাধ্যমে যা কিছু বলার সবই বলা হয়েছিল। বাংলাদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা জানত, বাঙালির ওপর আক্রমণ করলে কী করতে হবে।

অসহযোগ আন্দোলনের সময় দেশের সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ বঙ্গবন্ধু ও হাই কমাণ্ডের নির্দেশে পরিচালিত হতো। তখন আমরা বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতাম। পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যাংক লেনদেন থেকে শুরু করে সব যোগাযোগ ও আদান-প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু নির্দিষ্ট সময়ে সাংবাদিকদের খবর পাঠানোর জন্য টেলিযোগাযোগ চালু করা হতো।

গণপ্রজাতন্ত্রী-বাংলাদেশের-অস্থায়ী-রাষ্ট্রপতি-এবং-মন্ত্রিবর্গ - একাত্তরের মার্চ থেকে প্রবাসী সরকার ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং মন্ত্রিবর্গ

ব্যাংক, বিমা, চেম্বার, রেল, ব্যবসায়ী নেতারা, শ্রমিক সংগঠন থেকে সব স্তরের সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। তাদের সঙ্গে কিছু বৈঠক হতো মতিঝিলে, কিছু ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আর কোনো কোনো বিশেষ বৈঠক বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের পাশে বেগম বদরুন্নেসা আহমেদের বাসায়। বেতার ও টেলিযোগাযোগের বিষয়গুলো নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হকের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হতো বেগম বদরুন্নেসার বাসায়।

সম্ভবত ১৮ বা ১৯ মার্চ, ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হক (খোকা ভাই) আমাকে বললেন, বঙ্গবন্ধু তাঁকে একটা ট্রান্সমিটার জোগাড় করতে বলেছিলেন। সেটা তিনি নিয়ে এনেছেন। এখন এটা কোথায় পৌঁছে দিতে হবে? তিনি আরও বললেন, ‘এ ট্রান্সমিটারটি পুরোনো। অনেক দিন থেকে খুলনাতে পড়ে ছিল। সবাই এটার কথা ভুলেই গেছে।’ অফিস রেজিস্ট্রিতেও এর হদিস ছিল না। তবে সেটি তিনি সারিয়ে সচল করে তুলেছেন।

নূরুল হক সে সময় ইস্টার্ন ওয়ারলেস ডিভিশন অ্যান্ড ট্রান্সমিটিং স্টেশনের প্রধান। ২৫ মার্চ বেলা দুইটার দিকে আমি দুপুরের খাবার খেতে বাসায় গিয়েছি। গিয়ে দেখি, নূরুল হক সাহেব বাসায় ঢুকছেন। তিনি বললেন, আজকেই একটা কিছু ঘটতে যাচ্ছে। আমাকে তিনি খুব সাবধানে থাকতে বললেন। আরও বললেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না, আমার এখন করণীয় কী। এটা নিয়ে আমি এখন কী করব।’ তিনি আরও বললেন, ‘আজকের দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনে হচ্ছে, একটা কিছু ঘটতে যাচ্ছে।’

আমি খোকা ভাইকে বললাম, ‘বঙ্গবন্ধু বলে দিয়েছেন তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করবে। আমার কাছে কলম আছে, সংগঠন আছে। আমি এগুলো দিয়ে মোকাবিলা করব। আপনার কাছে ট্রান্সমিটার আছে, ইঞ্জিনিয়ারিং বুদ্ধি আছে, আপনি ওটা দিয়েই মোকাবিলা করবেন। আমি কি আপনাকে লিখে দেব ট্রান্সমিটারে কী বলতে হবে? উনি বললেন, তার প্রয়োজন হবে না। আমি জানি, কী বলতে হবে। এক ধরনের আত্মবিশ্বাসের ভঙ্গিতে অথচ নির্লিপ্তভাবে তিনি যেন নিজেকে নিজে শুনিয়ে বললেন, ‘আই নো হোয়াট ইজ টু বি ডান। ইট মে কস্ট মাই লাইফ, বাট ইট মে বি ওয়ার্থ ডুইং অ্যাণ্ড আই উইল ডু ইট।’

২৫ মার্চ মধ্যরাতে এক ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর বাসায় ফোন করেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ওই ব্যক্তি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হক। হাজি গোলাম মোরশেদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। হাজি গোলাম মোরশেদ বললেন, আপনি কে? উনি পরিচয় না দিয়ে বলেন,

‘বঙ্গবন্ধুকে জানান যে আমি বলধা গার্ডেন থেকে বলছি। আমি মেসেজ পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন মেশিন কী করব??

বঙ্গবন্ধু তখন পাশেই ছিলেন। তিনি হাজি গোলাম মোরশেদকে বললেন, তাঁকে বলো, কাজ শেষ করে মেশিন ভেঙে পালিয়ে যেতে।’ আমার বিশ্বাস, নূরুল হক খুলনা থেকে আনা ট্রান্সমিটারে এই রাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হক ব্রিটিশ আমলের ওয়ারলেস ইঞ্জিনিয়ার। তিনি শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।


পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর যত ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক সবই তাঁর নিজের তৈরি। রানি এলিজাবেথ ১৯৬০-এর দশকে যখন ঢাকা আসেন, তাঁর জন্য তৈরি করা রমনা পার্কের সামনের বাড়িটি ছিল ১৯৭২ সালের প্রথম গণভবন। ওই ভবনে তিনি রানি এলিজাবেথের জন্য স্থাপন করে দেন একটি ওয়ারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থা। তার মাধ্যমে তিনি বাকিংহাম প্যালেসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন।

পাকিস্তান সরকার নেপালকে ওয়ারলেস সিস্টেম স্থাপনে সহায়তা করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হককে সেখানে পাঠিয়েছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে নেপালের আধুনিক ওয়ারলেস ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিভা, দক্ষতা ও যোগ্যতার জন্য সে সময়ে সরকার তাঁকে ‘তমঘা-ই-পাকিস্তান’ উপাধিতে ভূষিত করে। মার্চের অসহযোগ আন্দোলনের সময় তিনি সে খেতাব প্রত্যাখ্যান করেন। খবরের কাগজে এ খবর তখন ছাপা হয়েছিল। ২৫ মার্চের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ট্রান্সমিটার খুঁজতে নূরুল হকের ওয়ারলেস কলোনির বাসা ঘেরাও করে। ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত পাকসেনারা তাঁকে নানা জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং নজরদারিতে রাখে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ২৯ মার্চ সকালে নূরুল হককে পাকসেনারা তাঁর বাসা থেকে নিয়ে যায়। তিনি আর ফিরে আসেননি।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ওয়ারলেসে ইংরেজিতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে লন্ডনের দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক ও দক্ষিণ এশিয়া করেসপন্ডেন্ট ডেভিড লোশাক লিখেছেন, ঘোষণাকারীর গলার আওয়াজ খুব ক্ষীণ ছিল। খুব সম্ভবত ঘোষণাটি আগেই রেকর্ড করা ছিল। উল্লেখ্য ডেভিড লোশাক প্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। উইটনেস টু সারেন্ডার বইয়ে কর্নেল সিদ্দিক সালিক লিখেছেন, এই ঘোষণাটি তাঁর ট্রান্সমিটারে ধরা পড়েছিল।

২৫ মার্চ রাতে জীবনের সব ঝুঁকি অবজ্ঞা করে হাজি গোলাম মোরশেদ ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে থেকে যান। বঙ্গবন্ধু আমাকে ও কামাল হোসেনকে যখন বিদায় দেন, হাজি গোলাম মোরশেদ তখনো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে আছেন। সেই রাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনিও গ্রেফতার হন। সেখানে তাঁর ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনের সময় তাঁকে ‘মুজিব কা সেক্রেটারি, মুজিব কা ড্রাইভার’ বলে। পেটানো হতো। দীর্ঘদিনের অমানবিক নির্যাতনের পর মুমূর্ষু অবস্থায় তিনি ২৫ নভেম্বর মুক্তিলাভ করেন।

২৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার খবর সব জেলা ও মহকুমা প্রশাসকদের কাছে পৌঁছে যায়। লিফলেট আকারে সেসব প্রচার করা হয়। আমি যখন তাজউদ্দীন ভাইকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌঁছেছি, দেখি, সেখানে হাজার হাজার মানুষ যোদ্ধায় পরিণত হয়েছে। বুঝতে পারলাম, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এখানেও পৌঁছে গেছে। তাজউদ্দীন আহমদসহ আমি যখন ভারতে প্রবেশ করি, তখন বিএসএফের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা তাদের ওয়ারলেসেও ধরা পড়েছে। তার একটা কপি আমাকেও দেওয়া হলো। দিল্লিতে যখন চট্টগ্রামের এম আর সিদ্দিকের সঙ্গে দেখা হয়, তাঁকে ওই কপিটা দেখাই। তিনি বললেন, চট্টগ্রামে তাঁরা এ ঘোষণাটাই পেয়েছেন। প্রত্যেক সীমান্তে এই বার্তাটি পাঠানো হয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হক সাহেব এ কাজটি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা ওয়ারলেস ট্রান্সমিটারসহ নানাভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ভিত্তিতেই পরে আমরা প্রস্তুত করেছিলাম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। তাতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন…।’ বাঙালি জাতির পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করার একমাত্র অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনিই ছিলেন বাঙালি জাতির বৈধ প্রতিনিধিদের দেওয়া অর্পিত ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর পক্ষে জনগণের নিরঙ্কুশ ম্যান্ডেট ছিল। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ওই ঘোষণাটিই প্রথম পাঠ করেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হান্নান এবং পরবর্তীকালে মেজর জিয়াউর রহমান।

২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় এ সরকার শপথ নেয়। অথচ কেউ কেউ বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো যুদ্ধপ্রস্তুতি ছিল না।

৪ এপ্রিল সিলেটের তেলিয়াপাড়ায় কর্নেল (অব.) এম এ জি ওসমানীর নেতৃত্বে বাঙালি সেনা কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ ও মেজর জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিকামী বহু সেনা কর্মকর্তা। সে সভা থেকে একটি সরকার গঠনের জন্য আমাদের কাছে খবর পাঠানো হয়। ১০ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমদ তাঁর প্রথম বেতার ভাষণে বলেন, ‘পাহাড়প্রমাণ লাশের নিচে পাকিস্তানের কবর রচিত হয়েছে। জেগে উঠেছে একটি নতুন জাতি।

২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ পুরোটুকু এখানে দেওয়ার জন্য ।

জহির আলমের নিজেস্ব বইতেও কিন্তু এই ঘোষণার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায় । যখন বন্ধ দরজার সামনে সেনারা দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করছিল তখন ভেতরে কিছু কিছু অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলো তারাও । সম্ভবত রেকর্ডেড বার্তাটা তখন প্রচার করা হচ্ছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.