নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইনে মানুকে বিশ্বাস করে ঠকে যাওয়ার আরেকটি গল্প

১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩০

আমি সব সময় সবার প্রথমে মানুষকে অবিশ্বাসই করি। যাকে চিনি না তাকে বিশ্বাস করার কোন কারণ আমার কাছে নেই । তারপরেও ঠকে যাই । বিশ্বাস করবো না করবো না করে শেষে যাকে একটু বিশ্বাস করে দেখা যায় সেই ঠকিয়ে দিয়েছে । এর আগেই বিশ্বাস করে ঠকে যাওয়ার গল্প বলেছি আজকে আবারও ঠকে যাওয়ার গল্প । তবে এবার একটু কম ধরা খেয়েছি ।

কয়েক দিন ধরে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেল কেনার চেষ্টায় আছি । এখন প্রায় প্রতিদিন শান্তিনগরে যেতে হচ্ছে । সেখানে দীর্ঘ সময়ে থাকতে হচ্ছে । কয়েকদিন গিয়েছিলাম বাসে তবে বাসে করে গেলে ফেরার সময়ে খুব ঝামেলা হয় । সাইকেল ছাড়া উপায় নেই আর সাইকেল বিল্ডিংয়ের গ্যারাজে রাখলে মনের ভেতরে একটা ভয় কাজ করে । ঢাকা শহরে সাইকেল চুরি ঠেকিয়ে রাখা বেশ মুস্কিল একটা কাজ । আর বর্তমান সাইকেলের সাথে একটা আলাদা আবেগ জড়িয়ে রয়েছে । এই সাইকেলটা কোন ভাবেই হারাতে চাই না । তাই ঠিক করলাম যে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড কমদামী সাইকেল কিনবো । যদি হারায় তাহলে কম দামীটাই হারাক ।

ফেসবুকেও বিভিন্ন সাইকেল কেনা বেচার গ্রুপ আছে, এছাড়া মার্কেট প্লেসও আছে । সেখান থেকেই সাইকেল খোজ করতে লাগলাম । একটা পেয়ে গেলাম । একটু দামাদামী করতেই সেলার খুব সহজেই রাজি হয়ে গেল ৫ হাজারে দিয়ে দিতে । তবে শর্ত হচ্ছে সে ঢাকার বাইরে থাকে । বাড়ি নওগা । সাইকেল আসবে কুরিয়ারে । আমি কুরিয়ার চার্জ বহন করতেও রাজি । সাইকেল পাঠানো হবে কন্ডিশনে । সাইকেল হাতে পাবো তারপর টাকা দিয়ে নিবো । এই হিসাবে দুইজনই সেফ । টাকা না পেলে সাইকেল নেই ।

এই রকম লেনদেনে কখনই অগ্রিম টাকা দিতে হয় না । তাহলে বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় টাকা নিয়ে জিনিস পত্র দেয় না । সেলার আমাকে জানালো যে আমি যেন কেবল কুরিয়ার চার্জটা আগে পাঠাই । তার কাছে নাকি কোন টাকা নেই । কুরিয়ার চার্জ পাঠাতে আমার কোন সমস্যা ছিল না । সে খোজ খবর নিয়ে জানালো যে পাঠাও কুরিয়ার সব থেকে ভাল হবে । একেবারে আমার বাসায় চলে আসবে ।

আমি কেবল কুরিয়ার চার্জ পাঠালাম । ঘন্টা দুয়েক পরে সে আমাকে একটা মেসেজের স্ক্রিনশট দেখালো । উপরে পাঠাও এর নাম দেখা যাচ্ছে । আমার আসলে তখনও পর্যন্ত কোন কিছুই সন্দেহ হয় নি । সব ঠিকই চলছিলো । রাতের বেলা প্রথম মনে একটা খটকা লাগলো । আমি সাইকেলটার মডেল গুগলে সার্চ দিলাম । বেশ লিংক চলে এল । এবং তখনই আমার মনে প্রথম সন্দেহ জাগলো । সাইকেলটা একটা কাস্টম বিল্ড সাইকেল । যদি সেকেন্ড হ্যান্ডও কেউ বিক্রি হয় তাহলেও কম করে বিশ হাজারের নিচে কোন ভাবেই বিক্রি হবে না । আর এই সাইকেল কিনা আমাকে মাত্র ৫ হাজারে দিচ্ছে ।

আচ্ছা দেখা যাক কী হয় । পরদিন শুক্রবার ছিল । আমি সকালে গিয়েছিলাম শান্তিনগরে । ফেরার পথে আমার নম্বরে একটা অচেনা নম্বর থেকে কল এল । পরিচয় দিল যে সে পাঠাও কুরিয়ারের লোক । আমার নামে একটা সাইকেল এসেছে । আমার ঠিকানা কনফার্ম করলো । কত টাকা সেও কনফর্ম করলো ।
এরপর বলল যে আমাকে সাইকেল নিতে হলে নাকি আগে ওদের কাছে পেমেন্ট করতে হবে । এটাই নাকি তাদের কোম্পানির নিয়ম । তবেই আমার বাসায় পৌছে দিবে । কন্ডিশনে আমি আগেও জিনিস পত্র নিয়েছি । আগে পেমেন্ট দিতে হবে এমন আগে শুনি নি । বিশেষ করে হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে । আমি তখন রাস্তায় ছিলাম । পরিস্কার ভাবে বলে দিলাম যে শুনেন ভাই আমি কোন ভাবেই আগে পেমেন্ট করবো না । ঐ লোক বেশ দম্ভের সাথেই ফোন রেখে দিল ।

আমি সেলারকে ফোন দিলাম । এবং তাকেও পরিস্কার ভাবেই জানালাম যে কোন ভাবেই সাইকেল আমার বাসার সামনে না আসলে আমি নিজ চোখে সাইকেল না দেখলে টাকা দিবো না । নামাজের পরে আরো কয়েকবার সেলার আমাকে ফোন দিল । খুব নরম ভাষার বলল যে আসলে এটাই নিয়ম কী করবেন বলেন । এমন হয় আমিও বুঝি নি । এখন আমি না নিলে তার জরিমানা হবে । ইত্যাদি ইত্যাদি ।

আমি তখন বললাম যে আমি তাহলে ওদের অফিসে যাই । সেখানে গিয়ে সাইকেল নিয়ে আসি ।
কিছু সময় সেই কুরিয়ারওয়ালা আবার ফোন দিল । আমি তাকে অফিসে আসার কথা বললাম, তখন সে চট করে কথা ঘুরিয়ে ফেলল । বলল যে আজকে শুক্রবার । অফিস খোলা তবে কেউ এখানে এসে কোন পন্য নিতে পারবে না । এখানে কেবল মাল খালাস হচ্ছে আর হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে ।

যখনই সে অফিসে আসতে মানা করলো তখন আসলে আমি পুরোপুরি কনফার্ম হয়ে গেছি যে এরা আসলে ফেইক । আমি এবার বললাম যে আচ্ছা আজকে না ছুটির দিন পরের দিন আমি এসে নিয়ে যাবো । তখন আবার বলল যে না এটাও হবে না । আজই নিতে হবে নয়তো সাইকেল আজই ফেরৎ চলে যাবে ।
এটা আবার কেমন নিয়ম ভাই !
এটাই নাকি তাদের পলিসি ।

তারপর একটু পরে সেলার ফোন দিল । সে জানালো যে পুরো টাকা না দিতে চাইলে হাফ পেমেন্ট করেও নাকি হোম ডেলিভারি নেওয়া যাবে । এই সিস্টেমও তাদের আছে । সেলার ফোন রাখার কিছু সময় পরে সেই কুরিয়ারওয়ালা আবার ফোন দিল । সেই আমাকে জানালো যে আমি হাফ পেমেন্ট করে চাইলে নিতে পারি । আমার তখন আর কিছুই করার ইচ্ছে নেই । ব্যাপারটা ওরাও বুঝতে পেরেছে । তাই প্রাইস কমিয়ে দিয়েছে হাফে নিয়ে এসেছে যদি রাজি হই । তাকে বললাম যে আমি কোন ভাবেই আগে টাকা দিবো না ।

এবার শেষবারের মত সেলার আমাকে ফোন দিল । ফোন দিয়ে বলল যে তার আসলে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল । আমি সাইকেল টা নিলাম না তাকে এখন জরিমানা দিতে হবে । আমি বললাম চিন্তা করবেন যে যে জরিমানা দিতে হবে সেটা একটা রসিদ তো আপনাকে দিবে । সেটা আমার কাছে ছবি তুলে পাঠাবেন । আমি টাকা পাঠিয়ে দিব । পরে অবশ্য আর যোগাযোগ করে নি ।

মার্কেট প্লেসে আমি সেদিন সন্ধ্যার দিকে আবার সাইকেল খোজ করতে করতে দেখলাম একই সাইকেল কয়েকটা রয়েছে । এর ভেতরে একটার দাম লেখা ১৯ হাজার অন্যটার ২৪ হাজার আর একটার ছয় হাজার । এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৯ হাজারের পোস্টে ঠিক যে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে ছয় হাজারের পোস্টেও একই ছবি ব্যবহার করা হয়েছে । দুটো ছবি মিলিয়ে দেখলাম । একদম এক । ১৯ হাজারের টা হয়তো আসল সেলার । তার কাছ থেকে ছবি নিয়ে আবারও ফাঁদ পাতা হয়েছে ।

সত্যি বলতে কি প্রথমজনের সাথে যখন কথা বললাম, এতো ভদ্র মোলায়েম ব্যবহার যে আমার সত্যি বিশ্বাস হয়ে গিয়েছিলো যে এই লোকটা আসল মানুস । ঠকাবে না । এমন কি আমি যখন কুরিয়ার চার্য পাঠানোর জন্য বললাম ৬৫০ টাকা দিই তখন সে আমাকে বলল না না ভাই ৬১০ টাকা লাগবে আপনি চার্য সহ ৬২০ টাকা পাঠান । আহা কতই ভাল মনে হয়েছিলো ।


আবার শিক্ষা হল ।

অনলাইনে সরাসরি কোন মানুষের কাছ থেকে কিছু কিনতে গেলে, বিশেষ করে যখন কুরিয়ারের মাধ্যমে জিনিস পত্র নিতে হবে এমন পরিস্থিতি হলে কোন ভাবেই আগে টাকা দেওয়া চলবে না । যতই মিষ্টি কথা যতই নিয়ম নীতির দেখাক না কেন, কোন ভাবেই অগ্রিম পেমেন্ট নয় । যদি মিষ্টি কথায় ভুলে গিয়ে পেমেন্ট করে দেন শতকরা ৯৫ ভাগ সম্ভবনা থাকবে যে আপনার টাকা সে মেরে দিবে ।

হ্যা আগে কেবল কুরিয়ার চার্য করা যেতে পারে । তবুও মনে এই ধারণা রাখতে হবে যে এই কুরিয়ার চার্জ মাইর হয়ে যেতে পারে । অনলাইনে কাউকে বিশ্বাস করবেন না কখনই । যে বলবে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা সরাসরি বা কনডিশনে দেওয়া যাবে না তার কাছ থেকে জিনিস কিনবেন না ।

আরেকটা ব্যাপার সব সময় খেয়াল রাখবেন যে জিনিস সেকেন্ড হ্যান্ড হলেও ভাল জিনিসের দাম বেশি হবেই । আমার এই ঘটনার উদাহরনই যদি দিই । যে সাইকেলটা ছিল তার দাম কখনই ১৫ হাজারের নিচে নামবেই না । ৫ বছর পরে বিক্রি করলেও ১৫ হাজারের নিচে সেলার দাম ঠিক করবে না । আসল সেলার হলে । অন্য দিকে যারা বাটপার তারা অস্বাভাবিক কম দাম রাখবে অথবা একটু দামাদামী করতেই আপনার পছন্দমত দামে রাজি হয়ে যাবে ।


আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা খেয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলো ওরা । শেষ পর্যন্ত পারে নি । তবে কুরিয়ার চার্য বাবদ যে টাকা আগে দিয়েছিলাম সেটা গেল । অল্পের উপর দিয়ে গেল ।

আবারও একবার শিক্ষা হল যে মানুষকে বিশ্বাস করা যাবে না । কোন ভাবেই অনলাইনের মানুষকে বিশ্বাস করা যাবে না ।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

নাহল তরকারি বলেছেন: আমিও অনলাইনে কিছু কিনবো না। আর ইসলামে আছে “কোন খবর শুনা মাত্রই বিশ্বাস করে শেয়ার করবে না। সেটাকে যাচাই করো।”

১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: ঠিক কাজ করেন । অনলাইণ থেকে কিছু না কেনাই ভাল যাচাই বাছাই ছাড়া !

২| ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ১০% হইত ভালো আছে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠকতে হয় অনলাইন কেনাকাটায়।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: আমি দারাজ থেকে প্রচুর কেনাকাটা করি । বইয়ের পেজ গুলো থেকেও বই কিনি নিয়মিত । সেগুলোতে ঠকতে হয় না বললেই চলে । তবে অন্য সব ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়া জরূরী !

৩| ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ একটা অসৎ দেশ।
এইদেশে অনলাইনে কেনাকাটা মানেই প্রতারনার স্বীকার হওয়া।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: সৎ অসৎ সব ধরনের মানুষই আছে এখানে ।

৪| ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অনলাইনের কেনা-বাচায় নানান ধরনের বাটপার ঘুরে বেরায়। আমি কখনো টাকা আগে দেই না।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও আসলে দেই না আগে টাকা । এইবার দিয়ে একটু ধরা খেলাম । তবে একটু কম খেয়েছি ।

৫| ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই যে আপনের কুরিয়ার চার্জ গেল, ওইটাই ওদের আসল টার্গেট। ওরা জানে যে, এর চেয়ে বেশী আজকাল খুব কম মানুষই দিবে। আপনের মতোন এরকম আরো কতোজনের কাছ থেকে নিলো সেই হিসাব করলে দেখবেন, দিন শেষে ওদের অনেক লাভ। কথায় আছে, ''বিশ্বাসের মায় মইরা গ্যাছে''; কথাটা মনে রাইখেন।

এখন হিসাব করেন, কুরিয়ার চার্জ দিয়া কয়দিন ঠ্যাং এর উপ্রে ঠ্যাং তুইলা সকালে নাস্তা করতে পারতেন!!! :P

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: পরে আমারও তাই মনে হল । যা পায় হাতে তাই যাবে সাথে । আমার আসলে জাজমেন্টে একটু ভুল ছিল । আমি কুরিয়ারে খোজ নিলাম । সাইকেল পাঠালে লাগে আটশ টাকার মত । ঐ ছেলে যখন ছয়শ দশ টাকা বলল তখনই আমার মনে আরে কম বলেছে বাহ ! এখানেই ভুল হয়েছে । যাক মানুষ ভুল থেকে শেখে আমিও শিখলাম । ৬২০ টাকার শিক্ষায় আশা করি সামনে অনেক টাকা বাঁচবে ।

হ্যা সেটাও ঠিক বলেছেন । সকালের নিহারি খাওয়া যেত অনেক কয়দিন ।

৬| ১৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আপনি সাইকেল চালান শুনে খুব ভাল লাগলো।
সাইকেল এজাবৎ আবিষ্কৃত সবচেয়ে এফিশিয়েন্ট যানবাহন। আমার ও পরিবারের ৩ টি গাড়ী থাকার পরও আমার একটি সাইকেল আছে।

আমি পরিবারে ও পরিচিত সবাইকে বলি - আগে টাকা চাইলে সেটা ১০০% সন্দেহ জনক।
কোনকিছুতে তারাহুরা করলে, আজই দেয়া লাগবে, এখনি দেয়া লাগবে বলা হয়ে সেটা ৩০০% সন্দেহজনক।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: ঢাকাতে আমি সাইকেল চালানো শুরু করেছি সেই ২০১৭ সাল থেকে । একেবারে রেগুলার বেসিসে । হিসাব করে দেখলাম যে গড়ে প্রতিদিন আমার যাতায়াতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সেভ হয় । আর টাকার কথা তো বাদই দিলাম ।

অনলাইনে সব পন্যই আমি ক্যাশ অন ডেলিভারি নিই । এই কারণে ইভ্যালি থেকে কোন দিন কিছু অর্ডারকরি নি আগে অগ্রিম পেমেন্টের পলিসির কারণে ।

৭| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: আগে পেমেন্টও দেয়া যায় যদি সেলারের এ্যাকটিভ ই-কমার্স সাইট এবং ফেসবুক পেইজ থাকে। সেই ক্ষেত্রে এইসব পেমেন্টের প্রতিটা স্টেপ ফেসবুকে ঐ প্রোডাক্ট প্রমোশনের কমেন্ট সেকশনে আপডেট করে রাখতে হবে এবং প্রতিটি কমেন্টের স্ক্রীনশট রাখতে হবে। টাকা মার গেলে থানায় অভিযোগ দিতে হবে।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা তখন এই ব্যাপার টা মনে আসে নি । আর টাকার পরিমানটা যদি বেশি হত তাহলে পুলিশের কাছে যেতাম । আামর এক ক্লাসমেট পুলিশে ঢুকেছে । কম টাকা বলে আর কিছু করিনি ।

৮| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আগের সাইকেলখানা কি হল-চুরি হয়ে গেছে?
অনলাইন মার্কেটপ্লেসের প্রতি দিন দিন ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি।
উত্তরবঙ্গের রাজকাহন নামে এক চালের ব্যাবসায়ীত কাছ থেকে দেশী বাসমতি( বাংলামতি) কিনলাম দুই বস্তা। বেশ পুরনো ব্যাবসায়ী প্রচুর পজিটিভ রিভিউ।
চাল আসার পরে দেখি ২৮ চাউল মেশিনে কেটে মিনিকেট পাঠিয়েছে।
আমি এই নিয়ে যখন প্রতিবাদ করলাম- তখন তারা উল্টো আমাকে বলল আমি নাকি চাউল চিনিনা, ওটাই আসল বাংলামতি। সেইরকম দম্ভোক্তি! তারা এত দিনের ব্যাবসায়ী- এমন সুনাম এইসব।
তখন আমি চ্যালেঞ্জ করলাম আপনি লোক পাঠান আমি লাইভে থাকব। আমি যদি নিশ্চিত না করতে পারি এটা বাংলামতি নয় তাহলে আপনাকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দিব আর প্রমান করতে পারলে তারা আমাকে সমপরিমান টাকা দিবে।
এর পরে আর কোন আলোচনা নাই- কয়েকবার ম্যাসেজ পাঠানোর পরেও চুপ!!
আরো কত যে ঘটনা আছে- নামী দামী প্লার্টফর্মেও চলছে এসব হরদম। যে যেরকম পারছে কাস্টমারকে গছিয়ে দিচ্ছে।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: না আগের সাইকেলটা আমি সাত তলায় তুলে রেখেছি । ওটা কোন ভাবেই হারাতে চাই না । আবার সাইকেল ছাড়া চলেও না তাই আরেকটা সাইকেল কিনেছি সম্প্রতি । যে সব স্থানে সাইকেল রাখাটা একটু অনিরাপদ সেখানে কম দামী সাইকেলটা নিয়ে যাই । বাকি জায়গাতে আঘের সাইকেল নিয়ে যাই ।

অনলাইন থেকে আমি যা কিনি তার সবই কম দামী । বেশি দামি না। এমন কোন জিনিস এড়িয়ে চলি যা দামে বেসি । জামা কাপড় কিনা বললেই চলে ।

এই দেশে আসলে মানুষজনকে বিশ্বাস করা মুসলিক !

৯| ১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:২০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: অফলাইনে ব্যবসায়তেই কত্ত কেরামতি আর তো অনলাইন .......................

অনলাইনে আমার বিশ্বাস অনেক আগে থেকেই নাই , আপনি তো প্রতারণার শিকার হলেন অনেকে তো এরচেয়েও বেশি বিপদে পড়ে ।

এখন থেকে আর এসবে আস্থা রাখিয়েন না !!

১৭ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: এখন থেকে আরো সাবধান হতে হবে । আমি একটা ব্যাপার ঠিক করেছি যে অনলাইন থেকে ৫০০ টাকা দামের জিনিসের বেশি কেনাই যাবে না । যা কিনতে হবে এর থেকে কমে । জিনিসের দাম এর থেকে বেশি হলে সেটা মার্কেট থেকে সরাসরি কিনতে হবে ।

১০| ১৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি একবার একটা পাঞ্জাবী ওররদার করেছিলাম । ক্যাশ অন ডেলিভারিতে । হাতে পন্য পেয়ে ক্যাশ দিয়ে দিলাম ভুল করেছি তখনি খুলে দেখি নাই । বাসায় এসে দেখি । ছেড়া একটা কাপড়ের ন্যাকরা । ভাবুন একবার ।

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:০২

অপু তানভীর বলেছেন: কী ভয়ংকর একটা অবস্থা ! না আমি এমন খারাপ অবস্থায় এখনও পড়ি নি । সামনে দেখা যাচ্ছে ক্যাশ অন ডেলিভারি নিলেও আরও সাবধান হতে হবে ।

১১| ১৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:১০

শায়মা বলেছেন: অনলাইনের জিনিস কেনার কখনও কোনো ইচ্ছাই আমার হয়নি একমাত্র করোনার সময় কিছু কিছু ছাড়া।

তবে চুন্দ্রী সিল্ক শাড়ি কিনেছিলাম একটা সাত হাজার টাকা দিয়ে। সেই শাড়ি প্যাকেট খোলার সাথে সাথে আমি কোথায় যে লুকাবো ভেবে না পেয়ে একদম আলমারীর সবচেয়ে নীচের ড্রয়ারের নীচের তলায় লুকায় ফেলছি। সেই শাড়ি কেউ দেখলে আমাকে বিশ্ব গাধা খেতাব দেবেই। সাত হাজার কেনো বিনা পয়সায় দিলেও মনে হয় না কেউ নেবে। তাই আমি রুপা বা আসমাকেও ভয়ে দেখাইনি। :( তারা তো দেখলে হাসতে হাসতে মারাই যাবে। :(

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: অনলাইন থেকে আমি আগে কেবল বই কিনতাম । বই ছাড়া আর কিছুই তেমন কিনি নি কখনই । তারপর করোনার সময়ে আমি দারাজে কেনাকাটা শুরু করি । দারাজ থেকে আমি অভিজ্ঞতা বেশ ভাল । তবে সব সময়ই আমি কমদামি জিনিসই কিনতাম । দামি জিনিস কখনই কিনতাম না ।

ফেসবুক মার্কেট প্লেস থেকে জিনিস পত্র কিনি নাই বললেই চলে । প্রথম কিনতে গেলাম আর প্রথমেই এই অবস্থা ।

শাড়ি পোশাক এই রকম দামী জিনিস অনলাইন থেকে না কেনাই ভাল । কিনলে ধরা খাওয়ার সম্ভবনা বেশি ।

১২| ১৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

নতুন বলেছেন: দেশের মানুষ কেন এতো ধান্দাবাজি করে বুঝি না। :|

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমরা হচ্ছি সংকর জাতি । মানে হচ্ছে ভেজার জাতি । এটা আমাদের ভেতরেই আছে ।

নয়তো ভাবুন কারো মানিব্যাগ হারিয়ে গেলে সেটা যদি কেউ ফেরৎ দেয় তাহলে সেটা নিউজে চলে আসে অথচ এটাই তো স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । কিন্তু আমাদের কাছে এটা বড় অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার । তার মানে টাকা মেরে দিবে এটা আমরা বাই ডিফাল্ট ভেবেই নিয়েছি ।

১৩| ১৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

এইযেদুনিয়া বলেছেন: আমি অবশ্য এখনো অনলাইন কেনাকাটায় কিছু কিনে ঠকিনি। শুধু ওয়াল হুক কিনেছিলাম, সেগুলোতে কোন উপকার পাই নি।

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমি ঠকেছি । তবে সেটা কম ।

১৪| ১৭ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

জিকোব্লগ বলেছেন:



সারা বিশ্বেই বাটপার আছে। উন্নত বিশ্বেও বাটপারের সংখ্যা কম না।
পেপ্যাল দিয়ে কেনাকাটা করে অনেক অনলাইন বাটপারি ঠেকানো
যায়। তাই, বাংলাদেশে পেপ্যাল দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা শুরু
হলে ঠকার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: বাটপার সব স্থানেই আছে । কিন্তু আমাদের দেশে এই সংখ্যাটা বেশি । আমরা আমাদের দেশের মানুষের কাছ থেকে কিন্তু আগেই ধোকাটা বেশি আশা করি । মানে আমরা ধরেই নি এটা সে মেরে দিবে । উন্নত বিশ্বে কিন্তু এই ব্যাপারটা কম ।

পেপ্যাল কবে আসবে কে জানে । কবে থেকে শুনে আসছি ।

১৫| ১৭ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: প্রথমতঃ অফলাইনে যা পাওয়া যায় তা আমি কখনো অনলাইনে কিনিনা।

দ্বিতীয়তঃ অনলাইন এ কিনলেও অবশ্যই ক্যাশ ও ডেলিভারিতে। সেলারের অবশ্যই ভাল ফিডব্যাক থাকতে হবে।

তৃতীয়তঃ যেখানে বেশি প্রলোভন সেখানে ঠকার সম্ভাবনা বেশি এটা সর্বদাই মাথায় রাখতে হবে।

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও এমনটা করেই কেনা কাটা করি । তবে ঐ যে হঠাৎ করেই মানুষটার এতো মোলায়েল আচরনে থেকে স্বাভাবিক প্রিকোসন গুলো নিই নি । যদি না ভুলতাম তাহলে এমনটা হত না । যাক গেছে কমের উপরেই গেছে ।

১৬| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনলাইন এখন চিটিং এর অন্যতম মাধ্যম সর্বত্র। কিছুকাল আগে আমার ব্যংক কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকেটা করে , এক স্ক্যমার। আমিতো পুরাই অজ্ঞাত এ বিষয়ে। পরে ব্য্যাংকই ধরতে সমর্থ হয় যে এটা আমি না। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আমাকে নতুন কার্ড ইস্যূ করে। হ্য্যকাররা কার্ড নাম্বার, পিন নাম্বার সবই আজকাল বের করে ফেলতে পারে। মাঝে মাঝে মনে হয় আবারো টাকা ঘরে রাখার চল চালু হতে পারে।

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার কার্ড নম্বর না হয় বের করলো কিন্তু আপনার পিন নম্বর কিভাবে জানলো সেটা একটা বড় রহস্য ।
তার মানে দেখুন যে অনলাইনের কোন কিছুই নিরাপদ নয় ।

আমি সব সময়ই আমার টাকা পয়সা নিজের কাছেই রেখে এসেছি কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে একাউন্ট খুলতে হয়েছে । তবে সেখানেও টাকা রাখি না । পেমেন্ট পাওয়ার সাথে সাথেই টাকা তুলে নিজের কাছে রেখে দিই । আমার টাকা পয়সা বস আমার ঘরেই থাকে ।

১৭| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতবছর আমার ২১বছরের পিতৃদত্ত সাইকেলটা নিজস্ব গ্যারাজ থেকে চুরি হলে OLX থেকে একটা ডিক্স ব্রেক ও গিয়ারের পুরানো সাইকেল কিনি। নুতনের বাজারে দাম বারো হাজারের উপরে। কিন্তু পুরানোগুলোও দেখলাম দশ হাজারের আশেপাশে বলছে। অবশেষে একটা বেশ পুরানো সাইকেল পেলাম সাড়ে তিন হাজারে। নির্দিষ্ট দিনে একে অপরকে চিনে লিখিত পেপার্স নিয়ে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করি। গিয়ার ডিক্স ব্রেক আগে কখনো চালানো হয় নি।একটু পুরনো হলেও তাই আনন্দে সাইকেল চালিয়ে হাওয়া দিতে একটা দোকানে গেলাম। কিন্তু সেকেন্ডের মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামের রিং গেল কেটে।ঐ অবস্থায় কাটা রিং নিয়ে বড় দোকানে গেলাম।সাড়ে আটশো টাকা আবার লাগলো নুতন রিং ও টায়ার কিনতে। কিন্তু মিস্ত্রি সেসব খাটিয়ে বললো,
- দাদা সাইকেলটা কার?
আমি উত্তর দিতেই আবার বললো,
- এর সব পার্টশ তো নষ্ট হয়ে গেছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, মেরামত করতে কত নেবে?
বললে, দুহাজারের মতো হবে।অথবা আপনি পার্টশগুলো এনে দিন। মজুরি হিসেবে যা মন চায় দেবেন।
সেদিন আর টাকা ছিল না। কোনক্রমে চালিয়ে বাড়িতে এলাম। কিন্তু মাথার মধ্যে ভো ভো করছে এক পুরানো সাইকেল কিনে মুরগি হয়েছি ভেবে। যাইহোক তখন বাড়িতে মার্বেল মিস্ত্রি কাজ করছিল। ওদের কাজ আর কয়েকদিন পর শেষ হবার কথা।কাজ শেষ হলে ওদেরকে একটু ভালোকরে মাংস ভাত খাইয়ে কিছু না কিছু দিতে হয়। আমি সাধারণত জিনিস না দিয়ে সকলকে একহাজার করে টাকা দেই। এমতাবস্থায় আমাকে নুতন গিয়ার সাইকেল দেখে দলের জুনিয়র ছেলেটা দাবি করে ওটা ওকে দিতে হবে। বিয়েশাদী করেনি।আর আমার যে বয়স সেই বয়সে ঔ সাইকেল বেমানান। আমার মাথায় তখন দুই হাজার টাকা চেপে বসে আছে।আর দেরি করিনি। তৎক্ষণাৎ ছেলেটিকে সাইকেলটি দিয়ে আমি পুরানো সাইকেলের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাই। তবে চেষ্টায় আছি নুতন একটা সাইকেল কিনবো।তবে গিয়ার নয়,প্লেন বাংলা সাইকেল।

১৯ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: ওএলএক্সটা এখনও আপনাদের ওখানে চালু আছে দেখছি ! আমাদের এখানে চালু নেই আর !

মানুষ কিভাবে নিদেজের নষ্ট জিনিস ভাল বলে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে না জানিয়ে সেটা আমার মাথায় আজও আসে না । মানে হচ্ছে কোন মতে পার করতে পারলেই বাঁচে ! আমি যদিও নিজের পুরানো জিনিস পত্র একবারই বিক্রি করি না । তবে দুয়েকটা বিক্রি করতে হয়েছে । তখন সেই জিনিসের কী কী ফল্ট আছে সে সব কিছু বায়ারকে বলে দিয়েছি ভাল ভাবে যাতে পরে সে ফোন করে না বলতে পারে ।

আরেকটা সাইকেল কিনেছি গতমাসের শেষে । এই সাইকেলটা যে বিক্রি করেছেন সে ঘটনা ক্রমে আমারই ক্যাম্পাসের ব্যাচমেট । তার সাথে গিয়ে দেখা করলাম তার বাসার সামনে । সাইকেল নিয়ে চলে এলাম । এখন সেটা চলছে ।

১৮| ১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৫৬

জটিল ভাই বলেছেন:
এমন একটা নিয়ে নিন :P

১৯ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: আরে আগে বলবেন না ! সাইকেল তো কিনে ফেলেছি !

১৯| ১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:০৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: অনলাইনে বাটপারের অভাব নেই। আপনার কাছ থেকে যে ৬২০ নিছে সেটাই ওর লাভ! একবার দেশে থাকতে গভীর রাতে জ্বীনের বাদশা ফোন দিয়েছিল আমাকে, বাদশা ফোন দিয়ে আমার কাছে টাকা পয়সা চাইছিল! ব্লগের এটা নিয়ে লেখছিলাম!

১৯ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা এটাই ওদের লাভ হয়েছে । আরো কারো কাছ থেকে বেশি বেশি নিতে পারে । কেউ যদি ৫ হাজারই দিয়ে দেয় তাহলে আরো ভাল ওদের !

২০| ২০ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তারপরেও আমরা সর্তক হইনা । জেনে শুনে ঠকি । এই ঠকার মাঝে কষ্ট থাকলেও লাভটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে ঠকে তার ।

২২ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: এটাই । আসলে মানুষের মনই এইভাবে তৈরি । আমরা মানুষকে বিশ্বাস করতে পছন্দ করি । এটাই আমাদের সহজাত প্রবনতা ।

২১| ২৩ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:৩২

শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনার গচ্ছা যাওয়া টাকা গুলোর জন্য খারাপ লাগা থাকলো, অনলাইন কেনাকাটা ঠকে যাওয়া অভিজ্ঞতা আমার নাই তবে বিশ্বাস নিয়ে একটু বলতে ইচ্ছে করলো। লেনদেন এবং লাভলোকসান সংক্রান্ত বিষয় গুলোকে আমরা ঠিক বিশ্বাস বলতে পারিনা, এটা শুধু লাভ আর লোকসান এর খাতায় যাবে।

বিশ্বাস তিন প্রকার। লোভে পড়ে বিশ্বাস, বিপদে পড়ে বিশ্বাস আর সাধারণ এবং স্বার্থহীন বিশ্বাস। শেষটা ভাংলে কষ্ট বেশি লাগে।

লোভে পড়ে বিশ্বাস হলো - ধরুন কেউ আপনাকে বললো আমাকে ৫ লক্ষ টাকা দাও আমি তোমাকে মাসে মাসে ৫০ হাজার করে দেবো,এখানে আপনার অতিরক্ত লোভ টাই ভুল ।

বিপদে পড়ে বিশ্বাস - এটা হলো ধরুন আপনার পকেট থেকে দামি কিছু পড়ে গেলো হারায় গেলো, কেউ পেয়েছে সে বললো বিশ্বাস করেন আমি সময় মত এসে আপনাকে ফেরৎ দেবো। এখানে তাকে বিশ্বাস করা ছাড়া আপনার আর কোন উপায় নেই।

স্বার্থহীন বিশ্বাস হলো- কেউ আপনাকে একটা বিপদের কথা বলে অফেরৎ টাকা বা সম্পদ নিলো পরে জানলেন তেমন কিছুনা, সে মিথ্যা বলে নিয়েছে, এটা অনেক কষ্টের। বিশ্বাস ভাঙগা এটাকে বলে। এটা ছাড়া বাকি গুলো ব্যবসার লাভ লসের মত করে ফেলে দিবেন।

দাম বেশি হতে পারে জেনেও কম টাকায় ভালো জিনিশ পেতে চাওয়ার শাস্তি - সুতরাং বিশ্বাসের দোষ নাই। হাহাহাহাহা

আপনার কষ্ট কমালাম নাকি বাড়ালাম জানিনা

শুভ কামনা

২৩ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমার লক্ষ্য ছিল কমদামের একটা সাইকেল কেনা । তবে এটা সত্য যে সাইকেলটা দেখে এবং এতো কমে দেখে একটু যে লোভ হয় নি সেটা বলবো না । তবে সেই সময়েও মানে যখন সাইকেলটা দেখে নক দিই তখনও আমি সেইটার দাম সম্পর্কে খুব একটা জানতাম না । ভেবেছি সেকেন্ড হ্যান্ড যেহেতু, দাম কম হতেই পারে । পরে যখন জানতে পারি, তখনই মনে প্রথম সন্দেহটা জাগে !

যাই হোক ঠেকে শেখলাম । টাকা গেলে একটু খারাপ যে লাগে সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না । তবে আরো বেশি যায় নি এটা একটা আনন্দের কথা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.