নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুরি ধরা পরলে ক্ষমা চেয়ে নেবো :D

২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭



আমাদের দাদা বাড়ির এলাকার মানুষ সবই প্রবাসী । সেখানে ছেলেরা খুব একটা পড়াশোনা করে না । স্কুল পাশ করে তো করে না । তারপর সোজা বিদেশ । কয়েক দশক ধরে সেখানে এই নিয়ম চলে আসছে । এই গল্পটা আমাদের বাড়ির পাশের একজন । প্রায় আমারই বয়সী সে । যতবার গিয়েছি তার সাথে খোশ গল্প হয়েছে । তারপর এক সময়েও দেশের বাইরে চলে গেল । ওখানকার বেশির ভাগেরই প্রথম গন্তব্য হয় মিডিলইস্ট । তবে সে গেল জাপানে । কয়েক বছর সেখানেই রয়ে গেল বছর খানেক আগে দেশে ফিরে এসেছে । আরো ভাল করে বললে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে ।

কাহিনীটা এমন যে এই ঘটনা যদি আমাদের দেশে ঘটতো তাহলে তাকে ফিরে আসতে হত না । ধরুন আপনি পথ দিয়ে যাচ্ছেন । হঠাৎ দেখতে পেলেন যে পথের একপাশে একটা মানিব্যাগ পড়ে আছে । আপনি যদি সেই মানিব্যাগটা তুলে নিয়ে ভেতরের টাকা পয়সা নিয়ে আবারও মানিব্যাগটা ফেলে দেন আপনার কোন শাস্তি হবে না । আপনার নিজের ভেতরেও কোন অনুশোচণা হবে বলে হয় না । আপনার মনে হবে আমি তো কারোটা চুরি করি নি । পড়ে পেয়েছি তাই নিয়েছি । খুব মানুষই আছে যারা সেই মানিব্যাগটা ফেরৎ দেওয়ার চেষ্টা করবে ।

এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই আসলে আমরা বড় হয়েছি । কিন্তু সব দেশ তো আমাদের মত নয় । তো সে গিয়েছিলো জাপানের কোন মার্কেটে । এবং সেখানে একটা মানিব্যাগ কুড়িয়ে পেয়েছে । তার উচিৎ ছিল ভেতরে কোন পরিচয় আছে কিনা সেটা খুজে পের করা না থাকলে সিম্পল ভাবে সেটা কাছের পুলিশ স্টেশন দিয়ে দেওয়া । কিন্তু সে টুপ করে সেটা নিজের পকেটে পুরে ফেলল । সে ভেবেছিল এই আর কী হবে এমন ! কিন্তু ঘটনা ঘটলো কয়েক দিন পরেই । মার্কেটের সিসিটিভি ফুটেজে কোন ভাবে তার এই পরে পাওয়া মানিব্যাগটা ধরা পরলো । এবং সেখান থেকেই তার পেছনে পুলিশ পড়ে । সে কেন মানিব্যাগটা জমা না দিয়ে পকেটে পুরলো এটা ছিল তার অপরাধ ! তাকে সোজা দেশে ডিপোর্ট করে দেওয়া হল ! মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই মানিব্যাগে কিন্তু খুব বেশি টাকা ছিল সেটাও না । বাংলাদেশী টাকায় দুই আড়াই হাজার টাকার মত হবে ।

আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশী মনভাব থেকে এই ব্যাপারটা দেখেন তাহলে মনে হবে আরে কত সামান্য একটা ব্যাপার । মানিব্যাগটা তো সে চুরি করে নি । পরে পেয়েছে । এটা যে একটা অন্যায় কাজ সেটা আমাদের মাথায় আসবেই না । এই কারণেই যখন কেউ টাকার ব্যাগ পেয়ে ফেরৎ দিয়ে দেয় তখন সেটা পত্রিকাতে নিউজ হয়ে যায় । অথচ আপনি টাকার ব্যাগ পেয়েছে সেটা ফেরৎ দেওয়াই তো স্বাভাবিক কাজ । সেটা নিয়ে তো নিউজ হওয়ার কথা না । আমাদের সমাজ এমন ভাবে তৈরি হয়েছে যে টাকার ব্যাগটা মেরে দেওয়াই আমাদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে ।


আমার নিজের মানিব্যাগ কয়েকবার হারিয়েছে । আমার আগে স্বভাব ছিল মানিব্যাগে সব টাকা পয়সা রেখে দেওয়া । মাসের সব খরচের টাকা আমার কাছে তখন মানিব্যাগেই থাকতো । আমার আসলে মানিব্যাগ ভরা আর ফোলা থাকলে ভাল লাগে । নিজেকে বড়লোক বড়লোক মনে হয় ! প্রথমবার যখন সেই টাকা সমেত মানিব্যাগ টা হারিয়ে গেল আমার নটক নড়লো । অবশ্য বাসায় বলার পরে আমারও টাকা পাঠিয়েছিল তবে একটা শিক্ষা হল বেশ ভাল করেই । তারপর থেকে মানিব্যাগ ৫০০ টাকা করে রাখা শুরু করলাম । স্বাভাবিক দিয়ে ৫০০ টাকার বেশি না । তবে কোন প্রোগ্রাম থাকলে একটু টাকা বেশি নিয়ে নিতাম । এছাড়া বিকাশ একাউন্ট খোলার পরে টাকা নিয়ে আর চিন্তা হত না । দরকার হলেই তুলে নেওয়া যেত । যাই মানিব্যাগ হারারনোর গল্পটা বলি । প্রতিবার মানিব্যাগ হারানোর অনেক সময় পড়ে টের পেয়েছি যে মানিব্যাগ হারিয়েছে । যখন টের পেয়েছি তখন আর খুজে পাওয়ার কোন সম্ভবনাই ছিল না । তবে সেবার সাথে সাথেই টের পেয়েছিলাম । মগবাজার দিয়ে যাচ্ছি বাংলামোটরের দিকে সাইকেলে । এমন সময় প্যান্টের পকেট থেকে মানিব্যাগটা পড়ে গেল । একটু দুরে গিয়েছি । মিনিট দুয়েক হবে । সর্বোচ্চ । পেছন থেকে রিক্সার এক যাত্রী বলল ভাই আপনার মানিব্যাগ পরে গেছে । আমি জলদি হাত দিলাম পকেটে । নাই । সাইকেল ঘুরিয়ে আবার ফিরলাম । মিনিট তিন কেটেছে সর্বোচ্চ । মানিব্যাগ আর খুজে পেলাম না । টাকা খুব বেশি ছিল না । এন আইডি কার্ড ছিল, এটিএম কার্ড ছিল ভার্সিটির আইডি কার্ড ছিল ! যে হয়তো নিয়েছিলো তারও মনে হয়েছিলো যে চুরি তো করি নি পড়েই তো পেয়েছি !


picture source

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার মানিব্যাগ কখনো হারায়নি, তবে একবার একটি মানিব্যাগ আমি পেয়ে ছিলাম। পেয়েছিলাম বলাটাও পুরপুরি সঠিক হলে না।

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: মানুষের জিনিস পত্র হারাবে এটা স্বাভাবিক । এবং আমাদের চোখে সেই হারানো জিনিস আসবে । হারানো জিনিস পেলে সেটা যথাযত ভাবে ফেরৎ দেওয়ার চেষ্টা করাটা কোন মহৎ গুণ না বরং এটা স্বাভাবিক একটা দায়িত্ব । কিন্তু আমরা পড়ে পাইছি খুটে খাইছি টাইপ মনভাব নিয়ে সেটা নিজের কাছে রেখে দিই ।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যবে থেকে মানিব্যাগ সামনের পকেটে রাখা শুরু করলাম তবে থেকে হারানো বন্ধ হল। জিন্সের প্যান্ট হলেতো কথাই নেই।
আমাদের ভব্যতা সভ্যতা শিষ্ঠাচার সহ আমাদের সবখানেই বড় ধরনের গলদ আছে।

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার কয়েকবারের ভেতরে দুইবার মানিব্যাগ হারিয়েছে একই জিন্সের পকেট থেকে । ঐ জিন্সটা আসলে একটু ঢিল । পকেটটাও ঢিল । সাইকেল চালানোর সময় প্রায়ই পেছনের পকেট থেকে মানিব্যাগটা পড়ে যায় । এখন অবশ্য ওটা পরা বাদ দিয়েছি ।

আমাদের শিষ্ঠাচার আসলে আমাদের পরিবার এবং চারিপাশ থেকে গড়ে ওঠে । আমি একটা লম্বা সময়ে স্থানীয় একটা কোচিংয়ের সাথে যুক্ত ছিলাম । সেই সুবাধে অনেক ছেলে মেয়েদের আচরণ দেখার আমার সুযোগ হয়েছে । বাবা মায়ের আচরণ মনভাবের সাথে ছেলে মেয়েদের আচরণ খুব প্রবল ভাবে যুক্ত ।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯

ফেনা বলেছেন: একবার মানি ব্যাগ হারিয়ে তা ব্যবহার করাই ছেড়ে দিয়েছি। সেই ব্যাগে প্রায় ১২ হাজার টাকা ছিল। সেই কষ্ট এখনো ভুলি না........ =p~

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১১

অপু তানভীর বলেছেন: আমার বাবাও মানিব্যাগ ব্যবহার করেন না । কারণ টা একেবারে আপনার মতই । মায়ের মুখে শুনেছিলাম বিয়ের পরে একবার নাকি তার পকেট মার গিয়েছিলো । তারপর থেকে সে আর কখনই মানিব্যাগ ব্যবহার করেন না ।

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাদের ভব্যতা সভ্যতা শিষ্ঠাচার সহ আমাদের সবখানেই বড় ধরনের গলদ আছে।

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১২

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের সভ্যতা আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত । তারা যেমন ছিলেন আমরা তেমন হয়েছি, হচ্ছি ।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: অন্যের জিনিস পড়ে থাকলেও যে আত্মসাৎ করা উচিত না, এই বোধটাই আমাদের নেই, থাকলে কেউ তিন মিনিটের মধ্যে আপনার মানিব্যাগ গায়েব করে দিতে পারত না। অথচ বিদেশে এই পড়ে থাকা জিনিসের আত্মসাৎ করার কথা কেউ ভাবতে পারে না। সুতরাং এমন আত্মসাৎকারীকে বড় ধরনের অপরাধী সাব্যস্ত করে দেশে পাঠিয়ে দেয়াটা ঠিকই আছে।

আমি একটা ঘটনা শুনেছিলাম, নিউজিল্যান্ডে একজন বাঙালি ডাক্তারের বন্ধু আরেক ডাক্তারের পোস্টিং হয়েছে নিউজিল্যান্ডের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। দ্বিতীয় ডাক্তারের ঠিকানা না জানার থাকায় দেশ থেকে তার বাবা প্রথম ডাক্তারের ঠিকানায় একটি চিঠি লিখে তাকে অনুরোধ করছেন, দ্বিতীয় ডাক্তারের ঠিকানা লিখে চিঠিটা পোস্ট করতে। তিনি ঠিকানা লিখে খাম নিয়ে পোস্ট অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন কিন্তু তার ব্যাগ থেকে চিঠিটি পথে কোথাও পড়ে যায়। দুদিন পর দেখা গেল চিঠিটা প্রাপকের কাছে পৌঁছেছে। কিভাবে!! কেউ পথে পড়ে যাওয়া চিঠিটা তুলে নিয়ে ঠিকানা অনুযায়ী পোস্ট অফিসে গিয়ে স্টাম্প লাগিয়ে চিঠিটা পোস্ট করে দিয়েছে। পড়ে থাকা জিনিসকে প্রাপকের কাছে পৌঁছানো তারা কর্তব্য জ্ঞান করে।

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই এই বোধটাই আমাদের ভেতরে নেই যে পড়ে পাওয়া জিনিস নিজের না অন্যের । এটা যদি নিজের কাছে রেখে দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই সেটা অন্যায় । এবং আমি নিশ্চিত যে সেটা করেছে তার ভেতরে বিন্দু মাত্র অনুশোচনা নেই । সে আসলে এমন পরিবেশেই বড় হয়েছে । তার পারিবারিক শিক্ষাটাও এমন ।

একবার ভাবু এই ঘটনা যদি আমাদের দেশে ঘটতো তাহলে সেটা যথাযত ঠিকানাতে পৌছানোর সম্ভবনা কত খানি থাকতো ?
সবার আগে ভেতরে চিঠি খুলে তারা দেখার চেষ্টা করতো যে ভেতরে মূল্যবান কিছু আছে কিনা । তারপর ব্যক্তিগত চিঠি পড়তো !


৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এজন্যই তারা সভ্য।

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: তাদের ভেতরে এই সভ্যতা এসেছে । আমাদের ভেতরে কবে আসবে কে জানে !

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:১৮

নিওন  বলেছেন: মানাব্যাগ হারানো নিয়ে আমার অভিজ্ঞতাও খুব সুখকর না। তবে খারাপ অভিজ্ঞতার পাশাপাশি একটা ভালো অভিজ্ঞতাও আছে। রিক্সা করে কোন এক অনুষ্ঠানস্থলে যাবার পর রিক্সওলায়াকে শার্টের বুক পকেটে থাকা ভাঙ্গতি টাকা হতে ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌছে যাই। গন্তব্যে পৌছে বুঝতে পারি মানিব্যাগ খোয়া গেছে। তো একটু কিউরিসিটি নিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পর যেখানে রিক্সা থেকে নেমেছিলাম সেখানে গিয়ে দেখি রিক্সা চালক ভদ্রলোক নিজ রিক্সায় বসে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছেন। কাছে যেতেই বললেন- 'আমি দেখতেছিলাম আপনে কতক্ষন পর আসেন মানিব্যাগ নিতে!'। যাইহোক খুব জোড় করেও তার হাতে কিছু টাকা দিতে পারলাম না; উনি খুব ভালোভাবেই বললেন যে এটা ফিরিয়ে দেয়া ওনার দায়িত্ব ছিল, তাই ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমার আসতে আর কিছুক্ষন দেরি হলে তিনি নিজেই সেটি আমার গন্তব্যে গিয়ে দিয়ে আসতেন।

এই বোধটা যতদিন আমাদের সবার মাঝে না আসবে, ততদিন তিক্ত অভিজ্ঞতা জমা পড়তেই থাকবে। আর সমাজিক ভাবনার অবক্ষয় অনেক আগেই ঘটে গেছে, তাকে নিয়ে খুব একটা আশা দেখি না।

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: আমরা সব সময় বলি যে শিক্ষাটা বড় দরকার সভ্য হওয়ার জন্য । কিন্তু আমার কাছে কেন জানি শিক্ষিত হওয়াটা প্রধান উপাদান মনে হয় না । আপনি খেয়াল করে দেখবেন অনেক শিক্ষিত লোকের আচরণ সভ্য নয় আবার অনেক স্বল্প শিক্ষিত অশিক্ষিত মানুষও সভ্য ।

এখানে শিক্ষা বলতে আমি আসলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বুঝিয়েছি । সভ্য হওয়ার শিক্ষা আসলে শুরু হয় পরিবার থেকে চারপাশের পরিবেশ থেকে ।

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:২৬

শায়মা বলেছেন: জাপানে গিয়ে সেই চোরের নিশ্চয় টনক নড়েছে।

যাইহোক ছোট থেকেই তো শিখানো হয় বাংলাদেশেও পড়ে পাওয়া টাকা নিতে হয় না তবুও টনক নড়ে না।

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: না সে কিন্তু চোর না । তার আসলে এইবোধটাই তৈরি হয় নি যে পড়ে পাওয়া জিনিস মেরে দেওয়া যায় না । সেটা ফেরৎ দিতে হয় । হয়তো এই দেশে সে কিছু পড়ে পেয়েছিলো নিজের কাছে রেখে দিয়েছে কিছু হয় নি ভেবেছিলো সেখানেও কিছু হবে না ।

আমাদের ভেতরে আগে সভ্য হওয়ার বোধটা তৈরি করতে হবে । কবে হবে কে জানে !

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমি একটি সুপার মার্কেটের পার্কিং লটে গাড়ির চাবি হারিয়ে উদভ্রান্তের মত হাটাহাটি করছিলাম, তখন কিছু জানতাম না। একজন বলল মার্কেটের লাস্ট এন্ড ফাউন্ডে খোঁজ কর। পেয়ে যাবে। সেদিন গাড়ির চাবি হাতে পেয়ে খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম।
আমাদের দেশে সিস্টেম করে দিলে তবেই জনগণ শিখবে।
যেমন ৯৯৯ ফোন প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেভাবেই লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সিস্টেম করতে হবে। তবেই তো আস্তে আস্তে শিখবে।

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৮

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের আগে বড়দের শিখতে হবে । পারিবারি ভাবে শুরু করে এবং পরে সামাজিক ভাবে এই শিক্ষা না দেওয়া গেলে সভ্য আমরা কোন কালেই হয়ে উঠবো না । অথচ আমাদের বড়দের মাঝে একটা ভাব খুব ভাল করে আছে যে তারা কখনই নিজের আচরণে কোন দোষ দেখতে পায় না । সব সময় ভাবে তারা যা করে যেভাবে করে সেটাই সব থেকে সঠিক উপায় ।

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমি এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার মানিব্যাগ হারিয়েছি। তাই মানিব্যাগে আমি খুব বেশি টাকা পয়সা ও জরুরী জিনিসপত্র রাখিনা।

২৮ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

অপু তানভীর বলেছেন: মানি ব্যাগ অনেক দিন আমার হারায় নি । এখন আমিও মানিব্যাগে খুব বেশি টাকা রাখি না । এমন নি এনআইডি কার্ডের ডুপলিকেট কপি রাখি । আসলটা বাসায় থাকে । তবে এটিএম কার্ড তো ডুপলিকেটটা রাখা যায় না । সেটা রাখতে হয় আসলটাই ।

১১| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

জুন বলেছেন: থাইল্যান্ডে এবার নির্বাচনে বড়ই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিনাবাত্রার দল যা এখন তার মেয়ে দ্বারা পরিচালিত আর ছায়্র আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে ঊঠা মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি একই সংখ্যক আসন পেয়েছে। কে হবে প্রধানমন্ত্রী তাই নিয়ে সংসদে মহা ক্যাচাল চলছে তবে অত্যন্ত ভদ্রভাবে। এদিকে ইয়াং জেনারেশন মুভ ফরোয়ার্ডকে চাইছে কারন তারা তাদের দেশের ভয়ংকর একটি আইন লেসে ম্যাজেস্টি সংশোধন কপ্র‍্যে চাইছে। কিন্ত অন্যান্য দল ধরি মাছ না ছুই পানি অবস্থা। এখন মুভ ফরোয়ার্ডকে কি ভাবে কাবু করবে তার জন্য চলছে নানান ষড়যন্ত্র। সেই সুত্রে তাদের এক এমপি নাকি অনেক বচ্ছর আগে কোন শপিং মলে এক বিদেশির পরে পাওয়া ব্যাগ ধরেছিল দুই বন্ধু।তারপর জায়গামত রেখে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ আসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বন্ধু বলে আমি ধরি নাই আর বর্তমান এমপি বলে আমি ধরেছি ব্যাগটা তার প্রাপককে ফিরিয়ে দিতে। ব্যাস এই কারনে তার জেল জরিমানা হলো। পুরনো সেই কিচ্ছা যাতে তার কোন দোষই ছিল না সেটা উল্লেখ করে তার বিরোধীরা আর এতে উনি এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করে। ম্যুভ ফরোয়ার্ড পার্টির সদস্য সংখ্যা কমে গেল। আসছে থাকসিন সেই ক্ষমতায় বসবে যার দুর্নীতিতে মিলিটারি ক্যু করে তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেচজিল। এভাবেই দুস্কৃতিকারীরা যুগ যুগ ক্ষমতায় থাকে দেশে দেশে অপু।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০২

অপু তানভীর বলেছেন: তবুও একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখেন কবেকার কোন ঘটনা নিয়েও এই ঐ দেশে একজন পদত্যাগ করে ফেলল । আমাদের দেশে হলে এই ব্যাপারটা কি কল্পনা করা যেত ! ভাবতে পারেন ব্যাপারটা ! আমাদের থেকে তো ঐ দেশের অবস্থা অনেক ভাল ।
আমরা তো ভোটই দিতে পারি না । ভোট কেন্দ্রে গেলেই শুনি আমাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে অথবা ভেতরে একজন বসে থাকে আমাদের হয়ে টিক দিয়ে দেয় । একটা পুরো জেনারেশন তৈরি হয়েছে এমন যাদের কে ভোট কেন্দ্র রাজনীতি থেকে বিমুখ করে রাখা হয়েছে ।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২৪

জাবাইরেজা বলেছেন: 100% True story from Mr. Mark A Mara
যেহেতু আপনি মানিব্যাগ তুললেন, আমি কি আমার দুই সেন্ট শেয়ার করতে পারি...আমি নোটড্রাম কলেজের ছাত্র ছিলাম বহুযুগ আগে। একদিন কলেজে যাইতাছি বাসে উঠার সাথে সাথে আমার পিঠে প্রচন্ড ধাক্কা চাপ অনুভব করলাম মনে হয় অনেকে ধাক্কা দিচ্ছে। আসলে এটা ছিল কৃত্রিম। আমার মানিব্যাগ পকেটে তোলার জন্য। যাইহোক মানিব্যাগ ওয়ায গন। কয়েকদিন পর আমাকে কমলাপুর রেলওয়ে পোস্ট অফিস থেকে যোগাযোগ করল, পিকপকেট আমার মানিব্যাগটি একটি ডাকবাক্সে ফেলে দিয়েছে, যাই হোক অন্তত আমি আমার নটড্রাম আইডি কার্ড ফিরিয়ে পেলাম মহাসমারোহে । নাই মামার চে কানা মামা ভাল. হার্ড টু বিলিভ কিন্তু ওয়ান হান্ড্রেড পার্সেন্ট সত্যি কথা মানিবাগের ভিতর একটি নোট পাইলাম আমি অশ্বরিয়া রায়ের কাছ থেকে একটি সুগন্ধি নোট - শি রোট টু মি আপনি সত্যিই সুদর্শন, আপনি যদি বলিউডে আসেন তবে আমি আপনাকে একটি চলচ্চিত্রে রাখব। যাইহোক আমি নোটটি ছুড়ে ফালাই দেই এবং নিউয়ার্ক শহরে ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবে যোগ দিলাম। কিযে ভুল করলাম। পঁয়ত্রিশ বছর আগের ঘটনা
100% True story from Mr. Mark A Mara
যেহেতু আপনি মানিব্যাগ তুললেন, আমি কি আমার দুই সেন্ট শেয়ার করতে পারি...আমি নোটড্রাম কলেজের ছাত্র ছিলাম বহুযুগ আগে। একদিন কলেজে যাইতাছি বাসে উঠার সাথে সাথে আমার পিঠে প্রচন্ড ধাক্কা চাপ অনুভব করলাম মনে হয় অনেকে ধাক্কা দিচ্ছে। আসলে এটা ছিল কৃত্রিম। আমার মানিব্যাগ পকেটে তোলার জন্য। যাইহোক মানিব্যাগ ওয়ায গন। কয়েকদিন পর আমাকে কমলাপুর রেলওয়ে পোস্ট অফিস থেকে যোগাযোগ করল, পিকপকেট আমার মানিব্যাগটি একটি ডাকবাক্সে ফেলে দিয়েছে, যাই হোক অন্তত আমি আমার নটড্রাম আইডি কার্ড ফিরিয়ে পেলাম মহাসমারোহে । নাই মামার চে কানা মামা ভাল. হার্ড টু বিলিভ কিন্তু ওয়ান হান্ড্রেড পার্সেন্ট সত্যি কথা মানিবাগের ভিতর একটি নোট পাইলাম আমি অশ্বরিয়া রায়ের কাছ থেকে একটি সুগন্ধি নোট - শি রোট টু মি আপনি সত্যিই সুদর্শন, আপনি যদি বলিউডে আসেন তবে আমি আপনাকে একটি চলচ্চিত্রে রাখব। যাইহোক আমি নোটটি ছুড়ে ফালাই দেই এবং নিউয়ার্ক শহরে ট্যাক্সি ড্রাইভার হিসেবে যোগ দিলাম। কিযে ভুল করলাম। পঁয়ত্রিশ বছর আগের ঘটনা

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:০২

অপু তানভীর বলেছেন: ইন্টারনেটে এমন অনেক গল্পই প্রচলিত আছে ।

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমি তখন স্কুলে পড়ি । মানে এস এস সি পরীক্ষা দেব । তো সেই সময় সকালে হোটেল থেকে নাস্তা আনতে বের হলাম । নাস্তা নিয়ে ফিরছিলাম দেখি রাস্তার ওপর এক গাদা একশো টাকার নোট পড়ে আছে । আমি আশে পাশে কাউকে দেখতে পেলাম না । কয়েকজনকে আমার থেকে খানিকটা তফাতে হেঁটে যেতে দেখলাম । ভাবলাম হয়তো এদের পকেট থেকেই পড়েছে । তো আমি ভাবছি উচ্চস্বরে হাঁক দেব কিনা । কিন্তু ততক্ষণে কোত্থেকে এক লোক এসে আমার সামনেই ঝুঁকে পড়ে টাকাগুলো নিয়ে নিল !!

আমি এই ঘটনা আমার এক বন্ধুকে বললাম। সে জিজ্ঞেস করল আমি কেন নিলাম না ! বললাম যে ধর্মীয়ভাবে এটা তো পাপ তাই । সে বলল, " আমি হলে আমিই নিয়ে নিতাম । এত ভালো হয়ে কী লাভ !" বলা বাহুল্য তাকে দেখেছি আমার শিক্ষককে ঘৃণা করতে কারণ তিনি আলেমদের বিরুদ্ধচারণ করেন বলে । আসলে কী জানেন নৈতিকতা যে কী তাই এদেশে সংজ্ঞায়িত না । সবকিছু মশকারি !!!

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: এই ঘটনা সব খানেই ঘটতো । যেই টাকা গুলো পেত সেই নিয়ে নিত এবং এই ব্যাপারে তাদের ভেতরে কোন প্রকার অপরাধবোধ কাজ করতো না । তাদের কাছে এটা মোটেও অন্যায় মনে হত না । তারা আসলে এই ভাবেই শিখে এসেছে, দেখে এসেছে ।
আমাদের সভ্য হতে আরো অনেক অনেক দেরি !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.