নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাল্লুকের ভয়ে বন্ধুকে ছেড়ে গাছে ওঠা সেই বন্ধুটির আসলে কী করা উচিৎ ছিল ?

০২ রা আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

ছবি উৎস

দুই বন্ধু আর ভাল্লুকে নিয়ে ঈশপের গল্পটা আমরা সবাই জানি । ঐ যে গল্পটা যেখানে দুই বন্ধু বনের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পথের উপরে একটা ভাল্লুককে দেখতে পায় । তারপর ভাল্লুকটা ওদের দিকে তেড়ে এলে একজন গাছে উঠে পড়ে অন্যজনকে ছেড়ে । অন্যজন তখন মাটিতে পড়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করে ফেলে । ভাল্লুক ভাবে মরা মানুষ। তাই সে তাকে না মেরে চলে যায় । এই হচ্ছে গল্প । এখানে নিজের জান বাঁচাতে গাছে উঠে পড়া বন্ধুটিকে সবাই গাল মন্দ করে । বিপদে বন্ধুকে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে সে । এমন ভাবেই চলে আসছিলো । কিন্তু কয়েকদিন আগে একজনের একটা ফেসবুক স্টাটাস চোখে পড়লো । সেখানে সে লিখেছে, ভাল্লুকের ভয়ে বন্ধুকে ছেড়ে গাড়ে ওঠা সেই বন্ধুটির আসলে কী করা উচিৎ ছিল ?

তখনই আমার মনে হল, আসলেই তো !
ঐ বন্ধুটির আসলে কী করা উচিৎ ছিল ? আপনি যদি ঐ গাছে উঠতে জানা বন্ধু হতেন তাহলে তাহলে আপনি কী করতেন?


এই গল্পের কয়েকটি সম্ভাব্য ফল আমরা দেখার চেষ্টা করি । ধরুন গাছে উঠতে জানা বন্ধুটি গাছে না উঠতে পারা বন্ধুকে ছেড়ে গাছে উঠলো না । যেমনটা আপনারা চাচ্ছিলেন আর কি ! এখন কী হতে পারতো ?

যদি বন্ধুটি গাছে না উঠতো নিজের জীবন বাঁচাতে, তাহলে -
১. ভাল্লুকটির সামনে ওরা দুইজন পড়তো । ভাল্লুক দুইজনকেই মেরে ফেলতো । আগে মরছিলো একজন । এখন মরছিলো দুই জন ।
২. দুইজন একদিকে দৌড় দিতে পারতো । তাহলে ভাল্লুক সেদিকে দৌড় দিয়ে দুজনকেই ধরে ফেলে, মেরে ফেলতে পারতো । মরতো দুজনই ।
৩. দুইজন দুই দিকে দৌড় দিতো । তাহলে ভাল্লুক যে কোন একজনের পেছনে যেত এবং একজনকে মেরে ফেলতো । ফল আগের মতই হত ।
৪. গাছে উঠতে পারা বন্ধুটি অন্যজনকে গাঠে ঠেলে তোলার চেষ্টা করতে পারতো । কিন্তু যেহেতু ভাল্লুক ছিল সামনে এই সময়ে একজনকে গাছে ঠেলে তোলা চাট্টিখানি কথা ছিল না । ফলে ভাল্লুকের হাতে ঠিকই একজন মারা পরতে পারতো । ফল সে একই ।

আমার কাছে তো মনে হচ্ছে ঐ বন্ধুটি সব থেকে যৌক্তিক আচরণ টিই করেছে । দুইজনের মরার চেয়ে একজন মরাই তো । অথচ আমরা সবাই ঐ বন্ধুটিকে দোষারোপ করছি । কিন্তু আসল দোষ দেওয়া উচিৎ তো ছিল অন্য বন্ধুটির । সে কিন্তু ঠিক ঠিক জানতো যে ভাল্লুক মরা জীবের মাংস খায় না । সে কিন্তু অন্য বন্ধুটিকে বলতে পারতো কথাটা । তাহলে দুইজন মাটিতে মরার মত পরে থাকতে পারতো । অথচ সে বলে নি । সে জেনেও চুপ থেকেছে । এখানে আসল দোষটা কার তাহলে ?
আপনাদের কাছেই আমি আবার প্রশ্নটি করি । গাছে ওঠা ঐ বন্ধুটির আসলে কী করা দরকার ছিল?
মৃত্যু যখন সামনে চাচা আপন প্রাণ বাঁচা, এর থেকে বড় কিছু আর হতে পারে না ।





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ্ঠিকই করছে। নিজের জান বাচানো ফরয

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: বাস্তবিক এবং যৌক্তিকতা বিচার করলে কিন্তি নিজের জান বাঁচানোই সব থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত । এবং যেখানে আর সম্ভাব্য উপায় নেই বন্ধুকে বাঁচানো সেখানে এর থেকে যৌক্তিক আচরণ আর কী বা হতে পারে ।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

পাজী-পোলা বলেছেন: না। পোষ্টটা আমার ও চোখে পড়েছে। কিন্তু সেটা তো ফান করে দেওয়া হয়েছিলো। বন্ধুটির করা উচিৎ দুই জনে দুই দিকে দৌড় দিবে। যদি ভাল্লুকটি সেই গাছে ওঠা বন্ধুর পিছনে যেত তাহলে তো হলোই। কিন্তু ভাল্লুকটি যদি গাছে উঠতে না পারা বন্ধুর পিছনে যেত তাহলে সে পিছন থেকে ভাল্লুকটি কে উত্যক্ত করতো যেন ভাল্লুকটি তার পিছনে যায়। একটু দূরে গিয়ে সে গাছেই উঠতো। এতে যে বন্ধু গাছে উঠতে পারে না, সেও পালিয়ে বাঁচত। আর গাছে উঠতে পারা বন্ধুটি তো বেঁচে গেল। যেহেতু সে গাছে উঠার সময় পেয়েছে সেহেতু ভাল্লুকটি নিশ্চয় কিছুটা দূরত্বে ছিলো।

শুনতে ফানি হলেও বিষয়টা ঐ বাংলা সিনেমার ডায়লগের মত, মরলে একসাথে, বাঁচলে একসাথে। কিন্তু মরার আগে অন্তত লড়াইটা একসাথে করতে পারতো।

সমস্যা এখানেই আগে কবি বলেছেন- "আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া ফিরি যে মোরে করেছে পর।"

আর এখনকার মোটিভেশন স্পিকাররা বলে- পই পই করে হিসাব রাখতে হবে।

আপনার চোখে সম্ভবত ঐ পোষ্টটা পড়েনি, কিছু দিন আগে দেখলাম। বন্ধু কে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে ডুবে মরেছে একটা ছেলে। আপনি হলে নিশ্চয় বলতেন। বন্ধু পানিতে পড়েছে মরুক গে, আমি কেন মরতে যাব।

গল্পের লেখক এই স্বার্থপরতাকেই দেখাতে চেয়েছেন। গল্প বা কবিতাই অথাবা অন্য কোন শিল্প মাধ্যমে আক্ষরিক অর্থ খুঁজা বোকামি। এর থাকে ভাবার্থ।

আমাদের স্বার্থপরতা, মানসিকতা, নিজের বুদ্ধিটাকে না খাটানোর মূর্খতা কতটা নিচে নেমেছে এই রকম পোষ্ট দেখলেই বোঝা যায়। যেখানে বলা হয় নিজেকে ভালোবাসো, নিজে বাঁচলে বাপের নাম। কিন্তু আগে এটাকেই বলা হত মানুষের জন্য যে নিজের জীবন বিলীন করে সেই ধন্য।

একটা বিষয় চিন্তা করেন তো, পৃথিবীতে যত বিপ্লব যারা ঘটিয়েছে তাঁরা যদি কেবল নিজেদের বাঁচার কথা ভাবতো তাহলে আপনাকে আর এই রকম পোষ্ট লিখতে হত না। আমাদের ও এমন নির্লজ্জতা দেখতে হত না।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:১৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও জানি ব্যাপারটা ফান করে দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু আপনি আসলেই একবার চিন্তা করে দেখুন দেখি আপনি কিংবা অন্য আর দশটা এমন কোন পর্যায়ে যদি পড়েন যেখানে দুইজন মানুষ রয়েছে, সামনে মৃত্যু নিশ্চিত দুইজনেরই । কিন্তু একজনের বাঁচার আশা রয়েছে তবে সে যদি অন্যজনকে বাঁচাতে যায় তাহলে দুইজনই মরবে ! এই রকম পরিস্থিতিতে কী করা উচিৎ ?

আপনার উপায়টা একটা পথ । কিন্তু একট বড় যদি রয়েছে সেখানে । যদি যায় তবেই । কিন্তু বাস্তবে মানুষজন কি এটা করে?
আসলেই করে ?
আপনি যে পানিতে ডুবে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করলেন সেটা আমার চোখে পড়েছিলো সম্ভবত তবে ভেতরের বিস্তারিত বর্ণনা মনে নেই । তবে এটা রেয়ার একটা কেইস । এক্সেপশন ।
যদি ব্যাপারটা এমন হয় যে একজন সাতার পারে অন্য জন পারে না সেই ক্ষেত্রে বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে মারা যাওয়াটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে । কারণ এখানে একটা সম্ভবনা ঠিকই রয়েছে যে বন্ধুকে সে রক্ষা করতে পারবে । অন্য দিকে ঘটনা যদি এমন হয়ে থাকে যে দুইজনের কেউ সাতার কাটতে পারে না তারপরেও অন্যজনকে বাঁচাতে গিয়ে ঝাপ দিয়েছে সেই ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আমার কাছে অযৌক্তিকই মনে হয়েছে । শুনতে যতই মহান মনে হোক না কেন বাস্তবে এমন কিছু আমি কখনই চাইবো না যে আমার সাথে কিংবা আমার পরিচিত মানুষের সাথে হোক ।

আমি সব সময় মানুষকে সাহায্য করার পক্ষপাতি । কিন্তু সেই সাহায্যের মানে এই না যে নিজের ক্ষতি করে । মানুষকে সাহায্য করার নামে যদি কেউ নিজের জায়গা জমি বিক্রি করে পথে বসে যায় তাহলে সেই সাহায্যের বিপক্ষে আমি । যেখানে অন্যকে বিপদ থেকে উদ্ধারের সম্ভবনা রয়েছে সেখানে অবশ্যই সাহায্যের পক্ষে আমি । কিন্তু যেখানে বিপদ থেকে উদ্ধারের কোন উপায় নেই কোন চেষ্টাই সফল হবে না বরং উদ্ধারকারি নিজেই মারা পড়বে সেই ক্ষেত্রে তার ভেতরে যাওয়ার বিপক্ষে আমি । দুই মৃত্যুর থেকে এক মৃত্যু শ্রেয় ।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রসংগক্রমে আরেকটা গল্প মনে পড়ল।
শিক্ষক- মিথ্যাবাদী রাখালের গল্প থেকে আমরা কি শিখলাম?
ছাত্র- যতদিন আমরা মিথ্যা বলব ততদিন মানুষ আমার সাথে থাকবে,যেদিন সত্য বলব সেদিন কাউকে পাওয়া যাবেনা।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: লিটন ভাই এই ব্যাপারটাও আমার সেদিনই হিট করলো । সত্যিই এই ভাবে ভেবে দেখি নি ।
যতদিন রাখাল মিথ্যা বলেছে ততদিন সবাই তাকে বিশ্বাস করেছে অথচ সেদিন যে সত্য বলল সেদিন কেউ তাকে বিশ্বাস করলো না । এটাই আসলে বাস্তব শিক্ষনীয় ব্যাপার ঐ গল্প থেকে । অন্তত আমাদের বর্তমান সমাজের সাথে এটা মিলে যায় পুরোপুরি ।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: গাছে ওঠা বন্ধু বেঁচে গেল কি করে? ভালুক তো খুব সুন্দরভাবে গাছে উঠতে পারে। নিচে থাকা বন্ধুটিকে মরা ভেবে চলে যাওয়ার আগে তো ভালুকটির দরকার ছিল গাছে ওঠা বন্ধুটিকে একবার ট্রাই করা।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: এটাও একটা প্রশ্ন । তবে ঈশপের সময়ে সম্ভবত ভাল্লুক গাছে উঠতে পারতো না । এখনকার ভাল্লুক পারে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.