নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার - নিজেকে সেরা মনে করার মানসিক রোগ

০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:২২



আমাদের সবারই এমন পরিচিত কোন খালু মামু কিংবা ফুফা থাকে যে সব সময় এমন একটা ভাব ধরে থাকে যে তার সব কিছুর উপর খুব বেশি জ্ঞান আছে । কিংবা নিদেনপক্ষে পাড়ার কোন বয়স্ক চাচার সাথে তো পরিচয় আছেই যে কিনা নিজেকে সব থেকে জ্ঞানী ভাবে । তার কথা বার্তা শুনলে মনে হয় সেই হচ্ছে দেশ তথা এই পৃথিবীর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও যোগ্য ব্যক্তি । পাড়াতেও যদি এমন না থাকে ফেসবুক কিংবা ব্লগে তো পাবেনই এমন কাউকে না কাউকে যে সব সময়ই নিজেকে সেরা মনে করে এসেছে । কথায় আছে, আপনাকে যে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয় । কিন্তু এই খালু মামু চাচাদের কাছে এই প্রবাদ বাক্যটা ঠিক উল্টো । তাদের বেলা খাটে, আপনাকে যে বড় বলে বড় সেই হয়, লোকে যাকে বড় বলে বড় সে নয় । এই যে নিজেকে সব থেকে বড় মনে করা, নিজেকে অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান নিজেকের যোগ্যতাকে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করার ব্যাপার একটি জটিল মানসিক রোগকে নির্দেশ করে । এই রোগের নাম হচ্ছে নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার । সংক্ষেপে এনপিডি । ইউকিপিডিয়া এই রোগের বাংলা করেছে আত্মরতিমূলক ব্যক্তিত্ব ব্যাধি । তবে আমার কাছে ইংরেজি নামটাই যুতসই মনে হচ্ছে ।

নার্সিসিস্টিক শব্দটি এসেছে গ্রিক উপকথার একটি চরিত্র নার্সিসাস থেকে। নার্সিসাস নিজের শারীরিক রূপ ও সৌন্দর্যের প্রেমে এতোই মুগ্ধ ছিল যা তাকে অহংকারি করে তুলে । এবং এক সময় এই আত্মমুগ্ধতা কারণেই তার মৃত্যু হয় । আমাদের চারিদিকেও নার্সিসাসের মত আত্মমুগ্ধ মানুষের দেখা মেলে । ঐ যে উপরে বললাম এমন অনেকেই দেখতে পাবেন যারা সবার থেকে নিজেকে সেরা মনে করে ।

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সব সময় নিজেকে সবার থেকে সেরা মনে করে । নিজের সম্পর্কে একটা কাল্পনিক উচ্চ ধারণা তার মনে পাকাপোক্ত ভাবে বসে যায় । সে সব সময় ভাবে, সে-ই এই জগতের সব থেকে যোগ্য এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ন । এই কারণে তার অন্য সবার থেকে আলাদা সম্মান প্রাপ্য । এই কারণে তারা সব সময় চায় আশে পাসেই সবাই তাদের প্রশংসা করুক, তোষামদী করুক আরো ভাল বাংলায় বললে তারা চায় সবাই যেন তাদের চামচামি করুক ।

উৎস

নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার রোগের লক্ষণঃ
১. এনপিডি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক ভাবে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে । এমন কি কার্যত কোন কাজ না করে থাকলেও সে সব সময় এটা মনে করে যে, সে না থাকলে সমাজ তথা দেশের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে । তার মত গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি আর দ্বিতীয়টি নেই।

২. এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে । এছাড়া তারা অধিক মাত্রায় অনুগত্য পছন্দ করে । তাদের সব সময় মনে হয় যেহেতু সে সবার থেকে সেরা তাই সবাই তার অনুগত হয়েই থাকবে - এটাই স্বাভাবিক । এছাড়া সে প্রশংসা পেতে খুব পছন্দ করে । যদি কেউ তাদের প্রসংশা না করে তাহলে তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করে থাকে ।

৩. এরা সব ব্যাপারেই বিশেষজ্ঞ ভাব ধরে থাকে । সব সময় এমন ভাবে আচরণ করা যাতে সে সব কিছুই জানে এবং সবার থেকে বেশি জানে । যে বিষয়ে অজ্ঞ সেই বিষয়েও আন্ডাজে কথা বলা । বাস্তবিক হচ্ছে হল এই ধরণের মানুষেরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোন বিষয়েই জ্ঞান রাখে না । তারপরেও তারা এমন একটা ভাব ধরে থাকে যেন সেই বিষয়ে তাদের জ্ঞান রয়েছে প্রচুর ।

৪. এরা অন্যের মতভাব, মতামতের ব্যাপার সহানুভূতিশীল নয় । অন্যের মতামতকে তারা গুরুত্ব দিতে চায় না । আরো ভাল করে বললে অন্য অনুভূতি মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য যে মানসিক অবস্থার দকার সেটা এদের ভেতরে থাকে না । অন্যের মনভাব বুঝতে এরা অক্ষম । এছাড়া, যারা তাদের তোষামোদী না করে, সমাচোলনা করে তাদের প্রতি সব সময় প্রতিহিংসামূলক আচরণ প্রদর্শন করে থাকে । এছাড়া প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে এরা চিন্তা করতে পারে না । নিজেদের চিন্তার বাইরে গিয়ে চিন্তা করার মানসিক সক্ষমতা এদের থাকে না ।

৫. নিজের সাফল্যকে সব সময় বাড়িয়ে বলে থাকে । আবার মিথ্যা ভাবে সেটা অন্যের সামনে তুলে ধরে নিজের মূল্য বাড়াতে সচেষ্ঠ থাকে সব সময় ।

৬. নিজের সুবিধা লাভের জন্য সব সময় অন্যকে ব্যবহার করে থাকে । সেই যদি কোন কাজে ব্যর্থ হয় তাহলে সেই ব্যর্থতার দায়ভার অন্যের উপরে দিয়ে দিয়ে থাকে ।

৭. সবাই তাকে ঈর্ষা করে এমন মনভাব পেষণ করা । তার কাছে মনে কেউ তাকে তার প্রাপ্ত অধিক সম্মান না দেওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে তারা তাকে ঈর্ষা করছে ।

৮. কাউকে সফল হতে দেখলে তার সেই সাফল্যকে ছোট করার একটা প্রবণতা দেখা যায় ।

৯.সব সময় কুটিল, অহংকারী, তাচ্ছল্যপূর্ণ এবং উদ্ধত আচরণ বা মনোভাব দেখানো । এছাড়া এরা সব নিয়মনীতি মানতে পারে না ।

১০. অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানো এদের পছন্দের কাজ এবং সব অন্যের নামে বদনাম করা এদের স্বাভাবিক একটি স্বভাব ।

উৎস


এনপিডির কারণঃ

বিশেষজ্ঞরা এখনও এই রোগের সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারে নি তবে বেশ কিছু এনপিডিতে আক্রান্ত রোগীদের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তারা কিছু সম্ভাব্য কারণ তারা নির্ণয় করেছেন ।

জেনেটিক কারণঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক কিংবা শারীরিক কোন পরিবর্তনের ফলে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন । আবার পারিবারের কারো এই রোগ থাকলে সেই ক্ষেত্রেই এই রোগটি দেখা দিতে পারে ।

পারিবারিক ও সামাজিক কারণঃ বিশেষজ্ঞরা জেনেটিক কারণ থেকেও পারিবারিক ও সামাজিক কারণকে বড় করে দেখছেন এই রোগটির পেছনে । পরিবারের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্তি আদর পাওয়া ছেলে মেয়েদের ছোট বেলা থেকে এমন মনভাব গড়ে উঠতে পারে । এছাড়া আমাদের ভেতরে এমন অনেক বাবা মাই আছেন যারা নিজেদের সন্তানদের ব্যাপারে অন্ধ থাকেন, তাদের কোন দোষ দেখেও দেখেন না । এমন ভাবে বড় হওয়ার ছেলে মেয়েদের মাঝে এই রোগটি দেখা দিতে পারে ।

ব্যক্তির জীবনে এনপিডির প্রভাব

যে রোগের ফলেই ব্যক্তি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে । এনপিডির বেলাতেও আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার আশে পাশের মানুষের জীবনের উপরে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে । যেমন

১. সমাজিক ও পারিবারিক জীবনের সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে । এনপিডিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তারপর আশে পাশের মানুষে সম্পর্কের অবনতি ঘটে থাকে ।
২. একই ভাবে কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যার সৃষ্টির হয় । সহকর্মীদের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে ।
৩. মানসিক ভাবে বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে । কারো কারো মাঝে আত্মহত্যার চিন্তাও আসতে পারে ।
৪. উচ্চরক্তচাপ ও স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে।
৫. আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাদকদ্রব্যে আসক্ত হয়ে যেতে পারে ।


কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ ?
এনপিডিতে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তি কখনই নিজের এই রোগটিকে রোগ হিসাবে দেখেন না । তাই তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়াটা একটা কষ্টকর ব্যাপার । ক্ষেত্র বিশেষে এটা অসম্ভবও বটে । এই ক্ষেত্রে গু্রুপ থেরাপি অনেক কার্যকর হতে পারে । এছাড়া এই রোগটি সাধারণ কিশোর বয়স থেকেই দেখা দেয় । পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যদি শুরু থেকেই সচেতন হয়ে থাকে তাহলে শুরু থেকেই এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব ।

এনপিডি রোগে আক্রান্ত রোগীরা সামাজিক ও পারিবারিক ভাবে অন্যান্য সদদ্যদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতে সক্ষম নয় । তাদের আচরণের কারণে প্রায়ই তাদের সাথে অন্যান্য মানুষের স্বাভাবিক সম্পর্ক বিনষ্ট হয় । ফলে দেখা যায় যে একটা সময়ের পরে তারা ব্যক্তি জীবনে একা হয়ে পড়ে । একাকীত্ব তাদের এই রোগটাকে আরো বাড়ি দেয় বহুগুণে । তাই পারিবার বন্ধুবান্ধবদের এই ব্যাপারে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ ।


পোস্ট লেখার রেফারেন্স লিংকস
১.Narcissistic personality disorder
২. Narcissistic personality disorder
৩. নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার
৪. অতিমাত্রায় আত্মপ্রেম, যা একটি প্রকট মানসিক রোগ
৫. নার্সিসাস : গ্রীক পুরাণের আত্মপ্রেমি এক যুবকের উপাখ্যান

ছবি উৎস

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমার একটা লেখা আসবে যেখানে বেশিরভাগ ব্লগাররাই সম্ভবত কমবেশি এ রোগে আক্রান্ত! পোস্টটা দিয়ে ভালো করেছেন ওর রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে :)

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: এনপিডি সবার মাঝে অল্পবিস্তার রয়েছে । এটা স্বাভাবিক ব্যাপার । কিন্তু কিছু মানুষের ভেতরে এটা আছে প্রবল ভাবেই । একটু খেয়াল করে দেখলে আমাদের ব্লগের ভেতরেই দেখতে পাবেন ।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


নার্সিসিজম সবার ভেতরেই কমবেশি থাকে,ট্রিটমেন্টের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: কম হলে সমস্যা নেই তবে বেশি হলে এই রোগের চিকিৎসা দরকার নয়তো আশে পাশের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে এরা ।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নিজের অজান্তে আমরা অনেকেই এ রোগের রুগী।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা নিজেদের রোগী বলে বিশ্বাসই করেন না ।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২১

শায়মা বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: আমার একটা লেখা আসবে যেখানে বেশিরভাগ ব্লগাররাই সম্ভবত কমবেশি এ রোগে আক্রান্ত! পোস্টটা দিয়ে ভালো করেছেন ওর রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে



হা হা হা হা হাসতে হাসতে মরে গেলাম এই মন্তব্য পড়ে।


আমাকে তো এই জীবনে এই কথা অনেকবার শুনতে হয়েছে। যাইহোক নার্সিজম খারাপ নহে খারাপ হইলোক হামবড়া ভাব আর এই রোগের জন্য কোনো ডক্টর অষুধ লাগে না আশেপাশের মানুষজনই তাদেরকে প্রায়ই ট্রিটমেন্ট ও ওষুধ দেয়।

সেই ট্রিটমেন্টে কেউ কেউ ভালা হই যায়। :)

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্যই মাইল্ড রোগীদের জন্য এটা খুব বড় কোন ব্যাপার না । আর আমাদের সবার মাঝেই এটা কম বেশি থাকে । তাই এটা নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণ নেই । তবে মাঝে মাঝে আমাদের মাঝে এমন কিছু মানুষ চলে আসে যারা এই রোগে তীব্র ভাবে আক্রান্ত । এদের জোর করে হলেও চিকিৎসা করানো দরকার ।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার এক ফ্রেন্ড আছে, ও সবকিছু বুঝে ওর কাছে আমরা হলাম নাদান, এই দুনিয়া সম্পর্কে আমাদের কোন ধারণাই নাই। =p~
উক্রেন, রাশিয়া যুদ্ধ সে ঘরে বসেই থামিয়ে দেয়, সকল সমস্যার গভীরের বিষয়বস্তু সে সব জানে, সমস্ত রাজনৈতিক গোপন খবর তার কাছে আছে। যাকে সামনে পাবে তার উপ্রেই জ্ঞান ঢালবে।

আসলে ও হচ্ছে বদ-মেজাজী এক নাদান, ভিন্নমত একদমই সহ্য করতে পারে না। ওর সাথে আমার কথা হলেই তা ঝগড়াতে রুপান্তর হয় আর তাই এক সময় খুব ক্লোজড থাকলেও ইদানিং আমি ওকে এড়িয়ে চলি।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: কাছের মানুষের ভেতরে এই রোগী দেখা দিলে সেটা আসলেই একটা প্যারার ব্যাপার । আমি অবশ্য এসব থেকে সব সময় দুরে রাখি নিজেকে । আমি যদি বুঝতে পারি এর ভেতরে এই রোগ আছে তাহলে তার সাথে তর্ক করে আর নিজের এনার্জি নষ্ট করি না । যাকে বোঝানো যাবে না তার পেছনে সময় নষ্ট করে লাভ কি ! কী দরকার বাবা !

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: প্রতিটা ধার্মীক কম বেশি এই রোগে আক্রান্ত।এই বিষয়ে অভিজিৎ রায়ের একটা লেখা আছে। “বিশ্বাসের ভাইরাস”।বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লষণ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার কেবল ধার্মিকই চোখে পড়লো ! অবশ্য আপনার যা স্বভাব আপনার কাছ থেকে অন্য কিছু আশা করা বোকামী !

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে এ জটিল রোগ থেকে শেফা দান করুন।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমিন

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

করুণাধারা বলেছেন: এনপিডির যে সমস্ত লক্ষণ উল্লেখ করেছেন, সেই সব লক্ষণ যুক্ত অনেক মানুষ দেখেছি! তাদের আচরণে কষ্ট পেয়েছি, এবং অবাক হয়েছি ভেবে, তারা এমন কেন!! এখন দেখছি এটা আত্ম প্রেমের রোগ, যা অন্যের কষ্টের কারণ হয়।

কিছুক্ষণ আগে একজনের পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হল, দীর্ঘদিন আমি তার পোস্টে মন্তব্য করিনি। কারণ একদা তিনি আমার পোস্টে যে মন্তব্য করেছিলেন তা আমার পছন্দ হয়নি!! আমার এই আচরণটাও নার্সিসিস্টিক, এই পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। :(

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের সবার মাঝেই এনপিডি আছে । এটা থাকাটা স্বাভাবিক কিছুটা মাত্রায় । তবে কারো কারো ভেতরে এই ব্যাপারটা প্রবল মাত্রায় রয়েছে। একটু খেয়াল করেই দেখবেন আমাদের আশে পাশে অনেকেই এমন আছে যাদের ভেতরে এই লক্ষণ গুলো বেশ ভাল মাত্রায় রয়েছে । এদের চিকিৎসার দরকার ।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ব্লগে আছে নাকি ভাই এমন কেউ, যার সাথে হুবুহু সবগুলো সিম্পটম মিলে যায় ?

০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:২০

অপু তানভীর বলেছেন: চোখ কান খুলে দেখুন । কাউকে না কাউকে পেয়ে যাবেনই এমন ! :D

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান, সবাই ভাল কিছু চায় এবং নিজেকে উচচাশা দোষেরও কিছু নয় তবে তা হওয়া উচিত বাস্তবতার (নিজের দক্ষতা-যোগ্যতা ও সামর্থ্যের) ভিত্তিতে ।

তবে ভাই রোগ রোগই, আর তাই "রোগকে না বলুন রোগীকে নয় " ।

আসুন আমরা সবাই এ রোগ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করি এবং যারা অলরেডি এ রোগে আক্রান্ত তাদের রোগ মুক্তির কামনা করি।

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:২১

অপু তানভীর বলেছেন: সবাই ভাল কিছু চাওয়া এক জিনিস আর নিজের নিজেকে সব সময় সবার থেকে বেশি যোগ্য সেরা মনে করা আরেক জিনিস । নিজের প্রতি উচ্চ ধারণা থাকা খারাপ কিছু নয় কিন্তু আমিই সেরা বাকি সব বেকুব কিংবা আমিই সব সময় নির্ভুল আমার সাথে যারা সহমত হবে না তারা ভুল এমন মনভাব হচ্ছে মানসিক রোগের লক্ষণ । এই রোগে আক্রান্ত দেশ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর ।

১১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার নিয়ে গ্রিক উপকথা ও এর প্রভাব নিয়ে আমার মধ্য বৃত্ত উপন্যাসে লিখেছিলাম। খুবই মারাত্মক একটা অসুখ, অথচ এই অসুখে ভোগা মানুষ তা সহজে ধরতে পারে না, তার প্রভাবও খুব মারাত্মক পর্যায়ে পৌছাতে পারে৷

১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের সবার মাঝেই বোধকরি এই রোগটা কম বেশি রয়েছে । তবে কিছু কিছু মানুষের ভেতরে রয়েছে তীব্র ভাবেই । আর সব থেকে ভয়ংকর ব্যাপারটাই হচ্ছে তারা সেটা ধরতেও পারে না ।
আমাদের ব্লগেই পাবেন এমন একজন !

আপনার বইটা পড়ার আগ্রহ রয়েই গেল । ব্লগে সম্পূর্ণটা প্রকাশ করুন তারপর একবারে পড়া শুরু করব।

১২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮

মিথমেকার বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে চারজন নার্সিসিস্ট ব্যক্তিকে আমি চিনি; এই ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এক্সপ্লোর করা খুবই ইন্টারস্টিং। এদের প্রতিটা কাজ দারুণ ভাবে প্রেডিক্টটেবল। এই ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত করো করো অন্য ব্যক্তি কে ইনফ্লুয়েনসিং পাওয়ার টা থাকে। যেটার ভিক্টিম হয় লোসেলফস্টিম এ ভোগা লোকজন গুলো।
তখন সবার অজান্তেই এই নার্সিসিস্ট ব্যক্তি এবং কিছু লোসেলফস্টিম এ ভোগ লোক নিয়ে তৈরি হয় আলাদা একটা সিন্ডিকেট। ধীরে ধীরে ওই লোক গুলোও এই ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত হয় এবং অসুস্ত আচরণ শুরু করে।

লেখা সুন্দর হয়েছে, বেশ গুছিয়ে লিখেছেন।

১০ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

অপু তানভীর বলেছেন: এদের কাজ আসলেই প্রেডিক্ট করা যায় খুব ভাল করেই । কোন কাজের পর এটা কোন কাজ করবে সেটা একটু খেয়াল করলেই বোঝা যায় খুব ভাল ভাবেই । কিন্তু এরা নিজেদের এই ব্যাপারটা ধরতে পারে না কখনই !

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.