নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রমন ব্লগঃ সুন্দরবন ও ইরাবতী ইকো রিসোর্ট ট্যুর

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

সুন্দরবনে সাধারনত তিন ধরনের ট্যুর দেওয়া যায় । প্রথম ধরণটা সর্ট ট্যুর । মোংলা বন্দরে যাবেন । সেখান থেকে ট্রলার ভাড়া করে করমজল গিয়ে হাজির হবে । কিছু সময় বনের ভেতরে ঘুরেটুরে ফেরৎ চলে আসবেন আবার মোংলাতে । সেখান থেকে বাড়ি । দ্বিতীয় ধরনটা হচ্ছে বড় শীপে করে সুন্দরবনের ভেতরে ঘোরাফেরা করা । এটা তিনদিনের একটা ট্যুর । সাধারণত শুরু হয় খুলনা থেকে । মোংলাতেও সম্ভবত রয়েছে । আর তৃতীয় ধরণের ট্যুরটা হচ্ছে সুন্দরবনের কোল ঘেসে বেশ কিছু রিসোর্ট তৈরি হয়েছে এখন । সেই রিসোর্টে গিয়ে হাজির হওয়ার । উপরের দুই ধরণের ট্যুর আমি গিয়েছি আগেই । এইবার ঠিক হল রিসোর্ট ট্যুর হবে ।

আমার যদিও এই আরামের ট্যুর ঠিক পছন্দ না । আমার ঘোরাঘুরির জন্য প্রথম পছন্দ হচ্ছে যেখানে থাকার জন্য আরামের কোন ঘর থাকবে না, যাওয়ার জন্য কোন আরামের বাহন থাকবে না । যেতে হবে পায়ে হেটে পরিশ্রম করে । এমন ট্যুর গুলোই আমার পছন্দ । আরাম করার জন্য আমার নিজের ঘরই তো রয়েছে । টাকা খরচ করে বাইরে যাওয়ার কোন দরকার আছে কি ! আমাদের ঘোরাঘুরির জন্য একটা গ্রুপ রয়েছে। তাদের সাথেই সাধারণ সব স্থানে যাওয়া হয় । তারা ঠিক করলো যে এবার একটা আরামের ট্যুর হোক । সুন্দরবনের ভেতরে বৃষ্টি বিলাশ হোক । একবার মনে হল যে না যাই । কিন্তু পরে রাজি হয়ে গেলাম ।

আমাদের প্রথম গন্তব্য হল মোংলা বন্দর । কয়েক ভাবে ঢাকা থেকে মংলাতে যাওয়া যায় । বেশির ভাগ মানুষই আগে খুলনা কিংবা বাগেরহাট গিয়ে হাজির হয় । তারপর সেখান থেকে মংলা বন্দরে । কারণ ঢাকা থেকে মংলা বন্দর সরাসরি ভাল বাস নেই । তবে আমরা সরাসরি মংলাতেই যাবো এই সিদ্ধান্ত নিলাম । শুক্রবার সকালে সায়দাবাদ জনপদের মোড় থেকে বাসে উঠলাম । বাস ছিল সাড়ে সাতটার । আমাদের গ্রুপের দুইজন আসতে লেট করলো । বাস ছাড়লো আটটার সময়ে । পদ্মাসেতুর উপরে আমি এই প্রথমবার উঠলাম । পদ্মাসেতুর কল্যানে সাড়ে চার ঘন্টায় আমরা গিয়ে হাজির হলাম মংলা বন্দরে । সেখান থেকে আমাদের জন্য রিসোর্টের বোট ঠিক করা ছিল। তবে আমাদের সাথে আরো একটা গ্রুপ যাওয়ার কথা ছিল । তাদের বাস এল আরো আধা ঘন্টা পরে । দুই গ্রুপ নিয়ে বোট ছেড়ে দিল । পশুর নদীর কোল ঘেষে আমরা যাত্রা শুরু করলাম । ঘন্টা দেড়ে লাগলো আমাদের রিসোর্টে পৌছাতে । মোটামুটি উপর থেকে রিসোর্টটা দেখতে এমন লাগে ।


ছবিটা রিসোর্টের ফেসবুক পেইজ থেকে নেওয়া । আমাদের কাছে কোন ড্রোন ছিল না তাই এমন ছবি তোলার উপায় ছিল না ।রিসোর্টের আরো ছবি দেখতে ওদের ফেসবুক পেইজে ঢু মারতে পারেন ।

আমরা এসে হাজির হলাম ইরাবতী ইকো রিসোর্টে । এটা এই বছরের শুরুতেই চালু হয়েছে । গেস্ট বুকে নাম সই করতে গিয়ে দেখি মোটামুটি আমাদের নিয়ে সাড়ে ৬শর বেশি গেস্ট এসেছে এই পর্যন্ত । আমাদের স্বাগত জানালো হল ওয়েলকাম ড্রিংক দিয়ে । তারপর আমাদের ঘর দেখিয়ে দেওয়া হল । রিসোর্টে দুই ধরনের ঘর বিদ্যমান । একটা হচ্ছে চারজনের বড় ঘর । অন্যটা দুইজন থাকার মত কাপল কটেজ । আমরা যেখানে ছিলাম সেটার নাম সুন্দরী । কটেজের নাম আরকি । এটা রিসোর্টের একেবারে সামনের দুইটা ঘরের একটা । মুলত এই ট্যুর আর কিছুই করার নেই । ফ্রেশ হয়ে আমরা খেতে খেলাম রিসোর্টের ক্যান্টিনে । এটা পেছনের দিকে অবস্থিত । খাওয়াটা হল বেশ । প্রথমদিন ছিল হাসের মাংস দিয়ে সাদা ভাত । সাথে নানান পদের তরকারি আর ভর্তা ।

কোন বেলায় কি খাবো ওদেরকে আগে থেকে বলে দিলে সেটা ওরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করে । যদিও ওদের রান্নায় লবন হয় কম । খাওয়ার সময় আলাদা ভাবে লবন নিয়ে নিতে হবে
এই ট্যুর পুরো সময়টাতেই আমরা কেবল রিসোর্টের ভেতরেই কাটিয়েছি । আমি সাথে করে বই নিয়ে গিয়েছিলাম । সেই বই পড়ে সময় কেটেছে । বিশেষ করে বৃষ্টি ছিল প্রায় পুরোটা সময় । রিসোর্টের বারান্দায় বালিশ নিয়ে শুয়ে শুয়ে বই পড়ছি আর বাইরে বৃষ্টি পড়ছে । এমন সময় আর কখনও আসবে বলে মনে হয় না । সময়টা এতো চমৎকার কেটেছে । আমার সাথে লোকজন অবশ্য মোনোপলি খেলে সময় কাটিয়েছি । সাথে তিনটা বই নিয়ে গিয়েছিলাম আমি তার ভেতরে দুইটা পড়ে শেষ করে ফেলেছি ।

পরের দিন অর্থ্যাৎ শনিবার সকালে নাস্তার পরে আমরা গিয়েছিলাম ক্যানাল ক্রুজে । নৌকা নিয়ে আমরা সুন্দরবনের খালের ভেতরে ঢুকে পড়লাম । একেবারে নির্জন সব কিছু । কেবল মাঝে মাঝে বানর দেখা যাচ্ছে । আপনারা রাতারগুল গেলে এমন একটা ফিল পাবেন । তবে এটা বেশি ভাল মনে হবে আপনাদের কাছে । ঐদিন বৃষ্টি হয়েছিলো প্রচুর । রিসোর্টের সামনে বসে সামনের দিকে তাকিয়ে থাকার ভেতরে আলাদা একটা মজা ছিল । একই দৃশ্য অথচ বারবার মনে হচ্ছিলো সব কিছু ভাবে আসছে ।

পরের দিন রবিবার আমাদের ফিরে আসার পালা । ফিরে আসার সময় আমরা করমজল হয়ে এলাম । যদিও এখানে আমার নামার ইচ্ছে ছিল । আগে বেশ কয়েকবারই করমজলে আমি এসেছি। কিছু ছবি দেখা যাক ট্যুরের।


যাওয়ার পথে বোট থেকে তোলা । আমাদের সাথে অন্য যে গ্রুপটা ছিল তাদের ভেতরে একজন শিল্পি ছিল। ছবিতে তাকেই দেখা যাচ্ছে । পুরো যাত্রা সে বেশ ভাল বিনোদন দিয়েছে ।


নৌকা থেকে ইরাবতী ইকো রিসোর্টের ছবি ।


এই ঘরের একটা আমরা নিয়েছিলাম । মোট দুটা রুমের এক হচ্ছে কোনার দিককার একটা ঘর। অন্য রুমটা সামনের দিকে ।


রিসোর্টের সামনে বসে তোলাম । সামনের সুন্দরবন দেখা যাচ্ছে খালের ওপারে । আমরা খালের এই পাড়ে ।

একই স্থান থেকে সন্ধ্যার ছবি


রিসোর্টের ভেতরে বাঁশের রাস্তা । এক কটেজ থেকে অন্য কটেজে যাওয়ার জন্য এই বাঁশের রাস্তা রয়েছে ।


রিসোর্টের পেছনে আছে গ্রাম ।

গ্রামের ছাগল

গ্রামের হাস


ক্রজ ডিনার চালু ছিল এই নৌকাতে । তবে সেটা এখন সংস্কারের কাজ চলছে । আমরা এটা মিস করেছি । নয়তো এখানে রাতে ডিনার করা যেত ।


ক্যানাল ক্রুজের সময় সুন্দরবনের ভেতরে । জায়গা নির্জন আর সুন্দর ।


ফিরে আসার সময় করমজল গিয়ে হাজির হয়েছিলাম ।


এই যে হরিণ


দুইটা কুমির


ফিরে আসার পথে ।



মোট দুইদিন আমরা ছিলাম রিসোর্টে । বেশির ভাগ মানুষ অবশ্য একদিন থাকে ।

এটা পরিপূর্ণ ভাবে একটা রিল্যাক্স ট্যুর । এখানে প্রায় পুরোটা সময়ই আপনাকে থাকতে হবে রিসোর্টের ভেতরে । পেছনে অবশ্য গ্রাম আছে একটু দুরে । সেখানে বাজার আছে । চাইলে সেখানে ঘুরে আসতে পারেন । বৃষ্টির কারণ পথ ঘাত কাঁদা ময় আর পিচ্ছিল ছিল । তাই আমরা বাইরে বের হয় নি । তবে বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম একটা লম্বা সময় । তখন অবশ্য গ্রামের রাস্তায় হেটে বেড়িয়েছি । পাশেই একটা দোকান আছে । সেখান থেকে চা কফি কোক বিস্কিট খাওয়ার ব্যবস্থা আছে । এছাড়া প্রতি সন্ধ্যা বেলা রিসোর্ট থেকেই ঝাল মুড়ি দেওয়া হয় । রাতে চাইলে বার্বিকিউ করা যায় ।

কাপলটা একান্তই নিজেদের ভেতরে সময় কাটাতে চাইলে যেতে পারেন এই ট্যুর । এছাড়া বন্ধুবান্ধবরা আড্ডা দেওয়ার জন্য এই ট্যুর যেতে পারেন । ফ্যামিলি নিয়ে গেলে বাচ্চারা বোর হয়ে যাবে খুব জলদিই কারণ যাওয়ার যায়গা নেই । তবে একদিনের ট্যুরে অবশ্য যাওয়াই যায় পরিবারের সকলের সাথে এক সাথে সময় কাটানোর জন্য ।

যাওয়ার সিস্টেমও বেশ ভাল । এখন পদ্মাসেতু হওয়ার কারণে খুব জলদিই ঢাকা থেকে যাওয়া যায় । সরাসরি মংলা । তারপর সেখান থেকে বোট ভাড়া করে রিসোর্টে ।


খরচও খুব বেশি না । আমরা একটা প্যাকেজে গিয়েছিলাম । এখানে মংলা থেকে বোটে করে যাওয়া, ক্যানাল ক্রুজ ফিরে আসার সময় করমজল হয়ে আবার মংলা, সেই সাথে তিন বেলা খাওয়া, থাকা এই সব ছিল জন প্রতি সাতাশ'স টাকার মত । এটা এক রুমে চারজনের জন্য । আর কাপল যে রুম সেটার জন্য জন প্রতি চার হাজার টাকার কাছাকাছি । তবে প্যাকেজের বাইরে খরচ আরো একটু বেশি । আগস্ট মাস পুরোটা এই প্যাকেজ চলছে ।


মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

মোগল সম্রাট বলেছেন:


মোংলা থেকে হিরন পয়েন্ট বহু স্মৃতি আছে। অসংখ্যবার এই রুটে যাতায়াত করেছি একসময়। ঢাংমারী, করমজল, ঘাঘরামারি, হারবারিয়া ফরেষ্ট ষ্টেশন গুলোতে অনেকবার গিয়েছি ।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: আমারও এই এলাকার সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে । আমার বাবা একটা সময়ে এই এলাকাতে লম্বা সময় ছিলেন কাজের জন্য । আমরা থাকতাম একেবারে সুন্দরবনের ভেতরে ।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

মেহরাব রনি বলেছেন: পড়ে যেতে ইচ্ছে করছে। তবে আপনার মতন আমার ও পরিশ্রমের ট্যুর পছন্দ। কিন্তু অধিকাংশ বাঙালীদের মতন চারপাশের লোক জন এবং আমার পরিবার এই ধরনের আয়েশী ট্যুর পছন্দ করে।
ভবিষ্যতে কোন পরিশ্রম জনিত ঘোরফেরা থাকলে আওয়াজ দিয়েন।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: পরিশ্রমের ট্যুর আসলে যাওয়ার উপায় নেই এখন পুরো পাহাড়ি এলাকা বন্ধ । যাওয়াটাও এখন রিস্কের ব্যাপার । তাই এই বছর ঠিক যাওয়া হচ্ছে না । কবে সে সব স্বাভাবিক হবে সেটা কে জানে । স্বাভাবিক হলেই দৌড় দিব । আপনাকেও নক দিবো মনে করে !

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: গরম জল আমার কাছে বকওয়াস মনে হয়েছে ফালতু একটা টেনশন ক্রিয়েট করে রাখে সবসময়। এটা পর্যটকদের ফাঁকি দেয়ার জন্য একটা জায়গা।
সুন্দরবনে বৃষ্টিতে এক অন্যরকম মজা চমৎকার ভ্রমন হয়েছে

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: এটা সত্য বলেছেন । করমজল আসলেই পর্যটকদের জন্য একটা ফাঁকি ছাড়া আর কিছুই নয় । এটাকে সুন্দরবন বলা মানে হচ্ছে সুন্দরবনকে অপমান করা । সুন্দরবনের আসল ভ্রমনটা ঐ তিন দিনের লঞ্চ করে যাওয়াটাই ।

বৃষ্টিতে এই রিসোর্ট ট্যুরটা সব থেকে চমৎকার একটা ব্যাপার । যদি বৃষ্টির ভেতরে যান তবেই কেবল বুঝতে পারবেন ।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!

রিসোর্ট উপর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ঘন বন!

কখন যে বাঘ হালুম করে পড়ে!!!!!!!!!


আমি সুন্দরবান ২ বার গেছি। অনেক অনেক ভালো লাগে শুধু বাঘ ভালুক না এলেই হয় আর কি! :)

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: সুন্দরবনের শুরুটা হয়েছে রিসোর্টের সামনের যে খালটা দেখতে পাচ্ছো সেটার পার হয়ে । রিসোর্টটা পড়েছে গ্রামের দিকে । এখানে বাঘের ভয় নেই । অনেক আগে এই পর্যন্তও নাকি বাঘ চলে আসতো তবে এখন বন পাতলা হয়ে যাওয়ায় এখানে আর বাঘটাঘ আসে না । এটা নিরাপদ । তবে পানিতে কুমির আছে ।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: আপনার তোলা ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। কিন্তু উপর থেকে তোলা রিসোর্ট এর ছবি দেখে মনে হচ্ছে ঘর তিনটে বেশ ছোট। বোট ভরে কতজন মানুষ গিয়েছিলেন?

ছবি দেখে মনে হচ্ছে রিসোর্টটা ঘন জঙ্গলের মধ্যে। কয়দিন আগে খবরে দেখলাম, সুন্দরবনে বন বিভাগের অফিসের সামনে বাঘ হাটাহাটি করছে। এই রিসোর্ট নিরাপদ?

জনপ্রতি খরচ সাতাশ টাকা !!

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৭

অপু তানভীর বলেছেন: ছোট ছোট ঘর গুলো হচ্ছে কাপল রুম । এখানে দুজন থাকার ব্যবস্থা । তবে যত খানি ছোট মনে হচ্ছে ততখানি নয় । দুজন চমৎকার ভাবেই থাকতে পারবে ।

আমাদের বোটে করে মোটা এগারজন টুরিস্ট ছিলাম । ঐ বোটে করে কম করে হলেও ৩০ জন যাওয়া যায় !

না এটা অতোটা ভেতরে নয় । বলা যায় যে সামনে যে খালটা দেখতে পাচ্ছেন সেটার পর থেকে সুন্দরবন শুরু হয়েছে । এটা নিরাপদ বলা যায় । নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল । তবে পানিতে কুমির দেখা যায় মাঝে মাঝে ।

একটা শ কম পরেছিল । ২৭শত টাকা হবে আর কি !

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২০

শেরজা তপন বলেছেন: করমজল* টাইপো

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৮

অপু তানভীর বলেছেন: বুঝতে পেরেছি ।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আমারও যেতে ইচ্ছা হচ্ছে।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: দেশে আসলে ঘুরে যাবেন । একদিনেই এই ট্যুর দেওয়া সম্ভব । কেবল ইরাবতিই নয় এখন আরো কয়েকটা রিসোর্ট চালু হয়েছে । সামনে আরো কয়েকটা হবে ।

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:৩৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার সুন্দরবনে কখনো যাওয়া হয়নি! তবে ইচ্ছে আছে যাব এক সময়।

রিসোর্টটির নিরাপত্তা কেমন? খাবারের ব্যবস্থাও ওরাই করে নাকি বাইরে ব্যবস্থা আছে?

সদরঘাট থেকে দেখতাম লঞ্চছাড়ে সুন্দর বনে, আমার ইচ্ছে ছিল লঞ্চে যাবার। তবে বাসে অবশ্যই তাড়াতাড়ি গিয়েছেন।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: আরামদায়ক আর রিল্যাক্স ট্যুরের জন্য সুন্দরবন ট্যুরের তুলনা হয় না । বিশেষ করে লঞ্চে করে আর এই রিসোর্ট ট্যুর গুলো খুবই আরামদায়ক এবং নিরাপদ ।

রিসোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল । সামনে থেকে দেখে যত জঙ্গল মনে হোউক না কেন পেছনে গ্রামে আছে । মানুষের বসবাস আছে ।

খাবারের ব্যবস্থা রিসোর্টের ভেতরেই এবং এটা রুম ভাড়ার সাথে ইনক্লুডেড । ভাড়াটা থাকা খাওয়া যাতায়াত সব মিলিয়েই । ওদের রান্না ভাল তবে লবনের পরিমান ওরা ঠিক দিতে পারে না । সম্ভবত সুন্দরবনের লোনাপানি খেয়ে খেয়ে ওদের লবন দেওয়াটা আমাদের সাথে মিলে না ।

আগে লঞ্চ করে যাওয়ার সিস্টেম ছিল। এখন সেটা যাওয়া যায় কিনা আমার জানা নেই । তবে লঞ্চ করে খুলনা থেকে যাওয়া যায় । এমন ট্যুর প্যাকেজ আছে । বিশেষ করে শীতকালে এগুলো বেশি দেখা যায়।

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গ্রামের ছাগলটার সামনে বেড়া দেখে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই যেখানে সেখানে মুখ দেয়ার অভ্যাস আছে এইটার!!! =p~

এই ধরনের পোষ্টে দেখলে নিজের অজান্তেই বুক চিরে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস বের হয়ে আসে। দেশের বর্ষাকালকে সাংঘাতিক মিস করি। সুন্দরবনে যাওয়ার শখ অনেকদিনের। কখনও যাওয়া হয়ে ওঠে নাই বিভিন্ন কারনে। যতোবার দেশে গিয়েছি, যাওয়ার আগে প্ল্যান করি, কিন্তু কেন জানি হয়ে ওঠে না। :(

ব্লগে বন্দী মুক্তি আন্দোলন হচ্ছে দেখছি। এটা নিয়ে কিছু বলবেন নাকি? ভাবছি...............এই বিষয়ে একটা পোষ্ট দিবো কিনা!! কি বলেন, দিবো নাকি!!! :P

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: মানুষজন বুঝে না যে ছাগলের সামনে বেড়া দেওয়া আবশ্যক নয়তো যেখানে সেখানে মুখ দিয়ে সব কিছু নষ্ট করে দেয় !

এবার দেশে আসলে প্লান করে ফেলুন । যাত্রা এখন একদমই সহজ আর ঝামেলাহীন । ঢাকা থেকে সকালে রওয়ানা দিবেন । যদি নিজেদের গাড়িতে করে যান তাহলে মংলাতেই গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা আছে । কয়েকটা রিসোর্ট আছে যেখানে আপনি সরাসরি গাড়ি নিয়েই চলে যেতে পারবেন ।
বর্ষাকালে এই রিসোর্টে একটা দিন পার করে আসতে পারেন । গ্যারান্টি দিতে পারে যে সময়টা উপভোগ করবেন । বিশেষ করে যদি বৃষ্টি থাকে তাহলে তো কথাই নেই ।


নিজে কান্নাকাটি করে লাভ হয় নি এখন মানুষজনকে হাতে পায়ে ধরে আন্দোলনের ডাক দিতেছে । ব্যাপারটা ভাল । ওদের হাতে বেহুদা সময় আছে।

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর ছবি, সুন্দর বর্ণনা - ভালো লেগেছে। + +
সুন্দরবনে কয়েকবার গিয়েছি। এক রাত হিরণ পয়েন্টেও ছিলাম। যতবার গিয়েছি, ততবারই ভালো লেগেছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট।
আপনার সাথে নিয়ে যাওয়া তিনটে বই এর নাম কী?

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২২

অপু তানভীর বলেছেন: হিরন পয়েন্ট কিংবা দুবলার চরে যাওয়ার জন্য লঞ্চ ট্যুর করতে হয় । এটা একটু ব্যয়বহুল আর এই এতোটাই আরামদায়ক সারা দিন শুয়ে বসে থাকা আর খাওয়া ছাড়া আর কোন কাজ নেই । সারা দিন লঞ্চে করে ঘোরো আর তাকিয়ে থাকো চারিদিকে । অবশ্য এটা অনেকের কাছে পছন্দ আমার আবার এতো আরামের ট্যুর সহ্য হয় না । তবে সুন্দরবনের আলাদা একটা মাদকতা আছে এটা মানতেই হবে ।

সাথে করে বই তিনটার হচ্ছে
আরণ্যক, বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন (এই দুইটা পড়ে শেষ করেছি)
সায়ক আমানের ''জোনাকির রং''

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৬

ফাহমিদা বারী বলেছেন: বাপরে এখানে থাকতে ভয় লাগবে না? দেখেই তো ভয় লাগছে কেমন জানি! আমি দুই নাম্বার ট্যুরটা করেছিলাম গতবছর।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: বাইরে থেকে যদিও মনে হচ্ছে ভয়ংকর তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল । এছাড়া পেছনেই মানুষের বসতি রয়েছে । ছাগল আর হাস গুলো দেখে বুঝতে পারছেন যে ওখানে মানুষজন থাকে । রিসোর্ট ট্যুর একবার দিয়ে দেখতে পারেন । ভাল লাগবে আশা করি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.