নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের ইন্টারেস্টিং কিছু তথ্য

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮



আমাদের সকলের জীবনেই নানান রকম ঘটনা ঘটে । তবে সাধারণ মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে অন্য সাধারণ মানুষেরা খুব বেশি কৌতুহলি নয় । তবে বিখ্যাত মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে সবারই কম বেশি আগ্রহ থাকে । আর সেই বিখ্যাত মানুষ গুলো যদি হয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তাহলে তো কথাই নেই ।

১. আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ছিলেন কন্টিনেন্টাল আর্মির জেনারেল । এই তথ্য সবাই জানে তবে অনেকেই জানেন না যে তার ছিল কয়েক জোড়া নকল দাঁত । তার ভেতরে যেমন কাঠের বানানো দাঁত ছিল তেমনি ছিল সীসা আইভরির তৈরি দাঁত । এছাড়া মানুষ, ভেড়া ও গরুর দাঁত দিয়ে তৈরি নকল দাঁতও তার ছিল । তবে সব থেকে মজার তথ্য হচ্ছে তার অন্যতম প্রিয় শখ ছিল ''কোথাও আগুন লাগলে তা নেভাতে যাওয়া''। এমন অদ্ভুত শখ মানুষের থাকতে পারে আমি এই প্রথম জানলাম ।

২. ত্রিশতম মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেলভিন কুলিজেরও একটা অদ্ভুত শখ ছিল । সে হোয়াইট হাউজে একটি ইলেকট্রিক ঘোড়া বসিয়েছিল । তার পছন্দের একটা কাজ ছিল প্রতিদিন সেই ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছবি তোলা ।

৩. আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফুল প্যান্ট পরেছিলেন নবম প্রেসিডেন্ট জেমস ম্যাডিসন । তার আগের প্রেসিডেন্টরা হাঁটু পর্যন্ত লম্বা নিকার পরতেন ।

৪. আমরা সবাই টেডিবিয়ার চিনি । এই টেডিবিয়ারের নাম রকম করা হয় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টের নাম অনুসারে । তার ডাক নাম ছিল টেডি ।

৫.আমেরিকার ৬ষ্ঠ প্রেসিডেন্ট কুইন্সি এ্যাডাম নদীর তীরে হাটতে যেতেন প্রায়ই । এটা তার পছন্দের একটা কাজ ছিল । এছাড়া তার আরও একটা পছন্দের ছিল সেই নদীতে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে গোসলে নেমে পড়া ।

৬. জেরাল্ড রুডলফ হচ্ছেন একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি সাধারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহন ছাড়া প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন । মূলত তিনি ছিলেন রিচার্ড নিক্সনের আমলের ভাইস প্রেসিডেন্ট । যখন রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করেন তখন সে প্রেসিডেন্ট হয়ে যায় ।

৭. আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন হলেও তিনি কখনো হোয়াইট হাউজে বসবাস করেন নি । প্রথম হোয়াইট হাউজে বসবাস কারি প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এ্যাডামস ।

৮. আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় আব্রাহাম লিংকের কাছে অসংখ্য হুমকির চিঠি আসে । এখনকার মত সেই সময়ে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য এতো ব্যবস্থা ছিল না । তাকে পাহাড়া দেওয়ার কথা বললেও লিংকন এই ব্যাপারে ছিল উদাসীন । যুদ্ধ শেষে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে তিনি রাজি হন । ১৮৬৫ সালের ১৪ই এপ্রিলে লিংকন নাটক দেখতে যান সেদিন তার পাহারার দায়িত্বে ছিল ওয়াশিংটন পুলিশের পেট্রলমউান জন এফ পার্কার । তবে পাহারা না দিয়ে নাটক দেখতে শুরু করে এবং এক সময়ে সেলুনে গিয়ে মদ খেতে শুরু করে । ফলে লিংকন হয়ে পড়েন একেবারে পাহারাহীন । এই সময়ে তার বুথে ঢুকে খুনী তার মাথায় গুলি করেন।

৯. ১৮৮১ সালের ২ জুলাই প্রেসিডেন্ট জেমস এ গারফিল্ড পটোম্যাক রেলওয়ে স্টেশনের ওয়েটিং রুম থেকে হেটে ট্রেনে ওঠেন । একদম সাধারণ নাগরিকের মত নিরাপত্তাহীন ভাবেই । সেই সময়ে চালর্স জে গুইটো নামের এক ব্যক্তি ভীড় ঠেলে সামনে এসে গারফিল্টের হাতে এবং পিঠে গুলি করেন।

১০. ১৯৫০ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রম্যানকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিলো । হত্যা চেষ্টায় অংশ নেন অস্কার কোলাযো এবং গ্রিসেলিও টোরসোলা নামের দুই পুয়ের্তোরিকান । তাদের লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুয়ের্তোরিকাকে আলাদা করা । লোকদুটো দুটো পিস্তল নিয়ে হোয়াইট হাউজে গিয়ে হাজির হয় । তবে সেখানে গিয়ে জানতে পারে সংস্কার কাজের জন্য প্রেসিডেন্ট সেখানে নেই । প্রেসিডেন্ট বর্তমানে ব্লেয়ার হাউজে অবস্থান করছে । তারা সেখানেই গিয়েই হাজির হয় । সেই সময়ে সেখানে থাকা পুলিশ এবং সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টদের সাথে কোলাযো আর টোরসোলার বন্ধু যুদ্ধ হয় । ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী এই বন্ধুযু্দ্ধে গুলি চলে মোট ২৭টি । একজন দুজন পুলিশ আহত হয় মারা পড়ে একজন সিক্রেস সার্ভিস এজেন্ট । সাথে খুনীদেরও হত্যা করা হয় ।

১১.১৯৫১ সালের কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার বিধানে সিক্রেট সার্ভিসকে স্থায়ী ভাবে অনুমূতি দেয় এবং আইনটি পাশ হয় । ঐ বছর ১৬ই জুলাই যখন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান বিলটিতে সই করেন তখন তিনি ঠাট্টা করে বলেন, জেনে বেশ ভাল লাগছে যে আমাকে রক্ষার কাজটি অবেশে বৈধতা পেল/

১২. ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বরে ডালাসে যাওয়ার আগে জন এফ কেনেডিকে সতর্ক করা হয় যে ওখানে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে । তারপরেও প্রেসিডেন্ট সেখানে গেলেন । সেই সময়ে মাত্র দুইজন সিক্রেস সার্ভিসের এজেন্ট ছিল তার সাথে । ঐ সময়ে এখানকার মত মোটর শোভা যাত্রার রুটের আশে পাশের বিল্ডিংয়ের উপরে নজর রাখা হত না । বারোটার দিকে লিমুনজিন টেক্সাস স্কুল বুক ডিপোজিটরিতে ঢুকলেই গুলির আওয়াজ শোনা গেল । প্রেসিডেন্টের ঘাড়ে গুলো লেগেছে । পরের গুলিটি লাগে তার মাথার পেছনে । পাশে বসা স্ত্রীর কোলে ঢোলে পড়েন জনএফ কেনেডি

গতকাল রাতে একটা বই পড়ছিলাম । বইয়ের নাম ইন দ্য প্রেসিডেন্ট'স সিক্রেট সার্ভিস । লেখকের নাম রোলান্ড কেসলার । বইতে প্রেসিডেন্টদের নিয়ে নানান রকম তথ্য দেওয়া রয়েছে । আমার আবার অভ্যাস হচ্ছে বইতে কিছু লাইন ভাল লাগলে সেগুলো আমি মার্ক করে রাখি । গতকাল এমন কিছু মার্ক করে রেখেছিলাম পড়ার সময় । আজকে মনে হল কয়েকটি পয়েন্ট লিখে পোস্ট দেওয়া যাক । এখনও বইটা পড়ে শেষ হয় নি । সামনে আরো কয়েকটা পোস্ট দিবো যদি আরো ইন্টারেস্টিং কিছু পাই ।

Photo-illustration by Alex Cochran. Source: Getty.

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনেক অজানা কথা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: আমি পড়লাম ভাবলাম আপনারাও পড়ুন ।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকা বড় অদ্ভুত এক দেশ!

৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: পৃথিবীর সব দেশেই অদ্ভুত । সব দেশেই আছে অদ্ভুত সব মানুষ ।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারিলাম।
( টেবিবিয়ারের মত কিছু চোখে পড়ার মত টাইপো আছে)

৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: আরে আমার পোস্টে তো বানান ভুল থাকবেই । দাড়ান আরেকবার দেখি সব ঠিক হয়েছে কিনা !

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বইটার কী কোন অনুবাদ পাওয়া যাবে অপু ভাই !!

৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: হ্যা বইটার অনুবাদ আছে ।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:০৮

নাহল তরকারি বলেছেন: সুন্দর।

৩০ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: জ্বী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.