নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখনও বেগম রোকেয়াকে আমাদের দেশে একটা শ্রেণীর মানুষ পছন্দ করে না । তাদের ভাষ্যমতে বর্তমানে নারীরা এই অবস্থানের জন্য আসলে বেগম রোকেয়াই দায়ী । সে যদি বাইরে না বের হয়ে আসতো তাহলে আমাদের দেশের মেয়েরা ঘরের ভেতরে পর্দার ভেতরেই থাকতো ! বেগম রোকেয়া অবশ্য এটাকে বলতো অবরোধ প্রথা । কেন বলতো সেটা তার লেখা থেকেই খানিকটা ধারণা পাওয়া যায় ।
বেগম রোকোর লেখা বই অবরোধবাসিনী আপনারা কি পড়েছেন? বইটা মূলত গল্প গ্রন্থ । ছোট ছোট ৪৭টা গল্প আছে এখানে । তবে এই গল্প গুলো আসলে তৎকালীন সময়ে মেয়েদের উপরে যে অবরোধ প্রথা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো সেগুলোর জলজ্যান্ত প্রমাণ । গল্প পড়ার সময়ে বারবার মনে হচ্ছিলো সেই সময়ে মুসলমান নারীদের কী ভয়ংকর অবস্থা ছিল । কয়েকটি গল্প লিখছি এখানে । বেগম রোকেয়া অনেকটা সাধু ভাষায় লিখেছেন তবে আমি এখানে আমার মত লিখছি ।
এক
পাটনার একটি বড় বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষ্যে সেখানে অনেক নিমন্ত্রিত মহিলা অতিথি এসেছেন । অনেকে এসেছেন সন্ধ্যার সময়ও । তাদের ভেতরে হাসমত বেগম একজন । দাসীরা এসে বেগম সাহেবদের পালকির পর্দা খুলে তাদের ভেতরে নিয়ে যাচ্ছিলো পরে বেয়ারা এসে খালি পালকি এক পাশে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো । পরে আবার নতুন পালকি এসে হাজির হচ্ছিলো । হাসমত বেগমের পালকির আসার সময় ঘটলো বিপত্তি । বেয়ারা সেখানে যখন পালকি সরানোর জন্য এল তখনও হাসমত বেগম নামতে পারে নি । বেয়ারা ভাবলো যে পালকি থেকে বুঝি সবাই নেমে পড়েছে । পালকি নিয়ে তারা চলে গেল । নতুন পালকি এসে হাজির হল ।
পরে যথা ক্রমে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হল । সবাই নিজ নিজ গল্পে মশগুল হল । এমন সময়ে মহিলাদের কেউ কেউ জানতে চাইলো যে হাসমত বেগমে আসে নাই কেন । একজন বলল যে সে হয়তো এসেছে আবার চলে গেছে একজন বলল, তাকে দেখতে পেয়ে ছিল তবে পরে আর দেখে নি । এভাবেই রাত পার হয়ে গেল । সকালে যখন আবার পালকি নিয়ে যা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করতে যাবে তখন একটা পালকির ভেতরে হাসমত বেগমকে দেখতে পাওয়া গেল । তিনি রাতভর সেই পালকির ভেতরেই ছিলেন। তিনি পালকির থেকে নামার আগেই বেয়ারা পালকি নিয়ে চলে গিয়েছিলো বলে তিনি নামতে পারেন নি আর টু শব্দটিও করেন নি পাছে তার কন্ঠস্বর বেগানা পুরুষ শুনে ফেলে । অন্য দিকে ছেলেকেও কোন আওয়াজ করতে দেন নি যদি ছেলের কান্না শুনে কোন বেয়ারা চলে আসে ।
দুই
কয়েক ঘর জমিদারেরা মিলে এক সাথে হজ করতে যাচ্ছিলো । সাথে তাদের বউ খালা মামী মেয়েরাও ছিল । তারা সংখ্যায় ২০/২৫ জন হবে । কলকাতা স্টেশনে পৌছানোর পরে পুরুষেরা সকল মেয়েদের দায়িত্ব দলের একজন বয়স্ক হাজির দায়িত্ব দিয়ে নিজেদের কিছু কাজ করতে গেল । হাজি সাহেব মহিলাদের ওয়েটিং রুমে নিয়ে যাওয়ার সাহস পেলেন না । হাজির সাহেবের পরামর্শ মোতাবেগ মোটা বোরখা পোরা মহিলা প্লাটফর্মে উবু হয়ে বসে পড়লো । তারপর হাজি সাহেব তাদের সবার উপরে একটা মোটা শতরঞ্জি দিয়ে তাদের ঢেকে দিলেন । দুর থেকে তাদের দেখলে অনেকটা বস্তার মত দেখাচ্ছিলো । মহিলা ঐ অবস্থায় রেখে হাজি সাহেব তাদেরকে পাহারা দিচ্ছিলেন একপাশে দাড়িয়ে । কত সময় ধরে মহিলারা ওভাবে বসে রইলো ঢাকা অবস্থায় সেটা কেউ জানে না । এক সময় ট্রেন আসার সময় হল । একজন ইংরেজ কর্মচারি হাজি সাহেবকে বলল, মুন্সি তোমার মালের বস্তা সরিয়ে নাও ।
হাজি সাহেব বললেন, হুজুর এগুলো মালের বস্তা না আমাদের ঘরের মহিলা ।
কর্মচারি সেটা বুঝতে না পেরে পায়ের জুতা দিয়ে বস্তায় ঠেক মেরে বলল, এই মালের বস্তা সরাও ।
বিরিরা পর্দার অনুরোধে সেই ঠেক খেয়েও কোন শব্দ করলো না ।
তিন
ঢাকা জেলার কোন এক জমিদার বাড়িতে আগুন লেগেছে । আগুনের হাত থেকে জমিদার নিজের ঘরের জিনিস পত্র বের করার চেষ্টায় আছেন । বাড়ির মেয়েদেরও বের করতে হবে । কিন্তু এমন হঠাৎ করেই কয়েকটা পালকি জোগার করা বেশ ঝামেলার কাজ । তাই ঠিক হল যে একটা বড় রঙিন মশারির ভেতরে বাড়ির বিবিরা থাকবে । সেই মশারির চারদিকে চারজন ধরে থাকবে এবং পরে তাদের নিয়ে সবাই এক সাথে বের হবে । পরিকল্পনা মোতাবেক তাই করা হল । মশারির ভেতরে বিবিরা ঢুকে দৌড়াতে লাগলো । চারপাশে চারজন মশারির চারদিকটা ধরে দৌড়াতে লাগলো । কিন্তু দৌড়ে পেরে না উঠে বিবিগন হোচট খেল, দাঁত ভাঙ্গল । এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে গিয়ে অবস্থান নিল । দীর্ঘ সময় সেই ধাতক্ষেতের বসে থাকার পরে তাদের জন্য যখন পালকি এল তখন তারা একটু মুক্তি পেল ।
চার
২৫ বছর আগের ঘটনা । সেই সময়ে এক জমিদার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে । বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে রাত দুইটা বেজে গেল । এবার ঘুমানোর পালা । তবে অতিথিরা ঘুমালেও চোর তো আর ঘুমায় না । সে সুযোগ বুঝে ঘরের সিধ কেটে ঢুকলো ভেতরে । তবে একজন চৌকিদার ঠিকই খবর পেয়ে গেল । সে দ্রুত বাড়ির কর্তার কাছে খবর পাঠালো । কর্তারা ছিল ৫/৬ জন ভাই। তারা চোরকে ধরার জন্য বাড়ির চারিদিকে ঘুরতে লাগলো । চোরের এতো বড় সাহস যে জমিদার বাড়িতে ঢুকেছে ।
অবশ্য এদিকে চোর আছে মজের ভেতরে । চোর ঢুকেছে বিবিরা যে ঘুরে ঘুমিয়েছিল সেই ঘরে । চোর ঢোকার ফলে তারা সবাই একেবারে জড়সড় হয়ে শুয়ে রইলো । মুখ দিয়ে একটা টু শব্দটিও করলো না পাছে বেগানা চোর তাদের কন্ঠস্বর শুনে ফেলে । চোর নিশ্চিত মনে ঘরের সিন্দুক খুলে জিনিস পত্র নিতে লাগলো । একের পর এক মাল সামালা নিতে নিতে একজন বিবির পা থেকে গহনা খুলে নিল । এই দেখে অন্যান্য বিবিরা নিজেদের শরীর থেকে সব গহনা খুলে পাশে রেখে দিল । চোর তো দেখলো ভারি মজা । সে সব গহনা নিয়ে পুটলিতে ভরলো । এদিকে নতুন বিবিকিছুতেই তার কানের দুল খুলতে পারে না । এদিকে চোর বউয়ের কান কেটে সেই দুল পুটলিতে ভরে নিল কিন্তু নতুন বউ কোন আওয়াজ করলো না পাছে তার কন্ঠস্বর শুনে ফেলে চোর ।
চোর যখন বের হল তখন বিবিরা কান্নাকাটি শুরু করলো । তার আগে নয় । যদি বেগানা চোর তাদের কন্ঠস্বর শুনে ফেলে ।
এই তো কয়েকটা গল্প মাত্র । অনেকের কাছে মনে হতে পারে এসব তো আর বাস্তব নয়, বানানো গল্প । হ্যা সত্যি এসব বানানো গল্প । কিন্তু এই গল্প গুলোর উৎস তো বাস্তব । যারা গল্পটল্প লেখেন তাদের গল্পের উৎস তো বাস্তব ঘটনা কে কেন্দ্র করেই । এগুলো আর উড়ে আসে নি । খুব বেশি সময় আগেও নয়, আমাদের দেশে যখন মেয়েদের বাইরে যেত তখন রিক্সায় শাড়ি কিংবা অন্য কাপড় পেঁচিয়ে নিয়ে যাওয়া হত ।
আমাদের বাড়িটা একেবারে মুল সড়কের পাশে । আমাদের ওখানে তখন সইওয়ালা ভ্যান খুব প্রচলন ছিল । বিশেষ করে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য এই ভ্যান ব্যবহার করতো । যখন স্কুলে পড়ি তখন প্রায়ই দেখতাম সইওয়ালা এই ভ্যানের গুলো মাঝে কিছু ভ্যানের চারিদিকে আবার পর্দা দেওয়া থাকতো । কিছু কিছু ভ্যানের সইয়ের চারিদিকে শাড়ি পেঁচানো অবস্থায় দেখা যেত । এমন কি মাঝে মাঝে আমার মেঝ খালা যখন নানী বাড়ি আসতেন তখনও দেখা যেত এই ভাবে শাড়ি পেঁচানো এটা তো খুব বেশি আগের কথাও নয় । বেগম রোকেয়া কিংবা তার আগের সময়ের অবস্থাও যেন এমন কিছু ছিল সেটা তো অনুমান করা যায় । এমন কি এখনও অনেক মানুষ আছে যারা মনে করে যে মেয়েদের আসলে ঐ ভাবেই থাকা উচিৎ।
pic source
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: শুনুন আপনাকে বলি, শুক্রবার আর শবিবার আমি ব্লগ থেকে একটু দুরে থাকি । এই দিন আপনি নিশ্চিন্তে পোস্ট দিতে পারেন ।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: নারীর এই অবস্থার জন্য নারীর জেদ দায়ী বেগম রোকেয়া নয়।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০১
অপু তানভীর বলেছেন: বেগম রোকেয়া কেন দায়ী হবে !
নারীদের জেদও দায়ী না । দায়ী আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এবং সমাজের পুরুষ তন্ত্রের মনভাব !
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৫
করুণাধারা বলেছেন: খুবই আশ্চর্য লাগে ভাবতে যে, প্রায় দেড়শ বছর আগে পশ্চাৎপদ সমাজে জন্ম নেয়া একজন মহিলা এভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং ভাবতে পেরেছেন। সন্দেহ নেই, তার কারণে মেয়েরা শিক্ষার সুযোগ প্রথম পেয়েছে। অবরোধবাসিনী পড়ে অবাক হয়েছিলাম এ কারণেই।
গল্পগুলো ভুলে গিয়েছিলাম, আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০২
অপু তানভীর বলেছেন: এখনও কিন্তু অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয় নি । আমাদের সমাজের এখনও বিপুল সংখ্যক মানুষ মেয়েদের বাইরে কাজ করা চাকরি করা একদম পছন্দ করে না । তাদের মতে মেয়েদের ঘরের ভেতরে রান্না ঘরে থাকাই উত্তম । আর সেই সাথে তারা এটাও মনে করে যে মেয়েদের বাইরে আসার কারণেই জগতের সব ঝামেলা শুরু হয়েছে ।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী ভয়ংকর ভাবে নারীদেরকে জ্বালানো পুড়ানো হইছে সেই সময়গুলাতে। এভাবেও পর্দা করে নারীরা বাপরে
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: অবস্থার কি এখনও খুব একটা উন্নতি হয়েছে বলেন !
এটাকে ঠিক পর্দা বলে না, এটা হচ্ছে মেয়েদের উপর অবরোধপ্রথা !
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩
রানার ব্লগ বলেছেন: নারী কে নারী ছোট করে । পুরুষ কেবল সুবিধা আদায় করে নেয় । যেইদিন এক নারী অন্য নারী কে সম্মান করা শিখবে সেই দিন কোন পুরুষের পক্ষে সম্ভব হবে না কোন রকম সুবিধা আদায় করে নেবার ।
বেগম রোকেয়াকে নারীরাই অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে । বিশেষ করে তবলীগ জামাত যারা করে । মজার ব্যাপার এদের নেতৃত্ব স্থানীয়দের শিক্ষা দিক্ষার মান খুবি বাজে । এবং এরা চোর হয় ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: ঐ সমস্ত নারীকে আসলে ঐ ভাবেই বড় করা হয়েছে । তাদেরকে ঐভাবেই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে । তাদের শিক্ষায় দেখানো হয়েছে যে বেগম রোকেয়া খারাপ । এবং এই কাজে ব্যবহার করে হয়েছে ধর্মকে !
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এসময়েও সমাজের অনেকেই নারীদের এভাবেই রাখতে চায়। তারা যেন মানুষ নয়, বস্তা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশের অধিকাংশ পুরুষের মনভাব এখনও এই রকমই ।
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩২
কলাবাগান১ বলেছেন: অনেক মেয়ের হার্ট থর্ব তারকা ক্রিকেটার তানজিম সাকিব কে এই বই পড়তে দেওয়া হোক।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: জুনিয়র সাকিবের মনভাব দেখে স্টম্ভিত । অথচ যে মোল্লাদের কাছ থেকে সে এই মনভাব শিখেছে সেই মোল্লারাই কিন্তু খেলা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করাকে হারাম ঘোষণা করেছে ।
৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বেগম রোকেয়া পর্দার বিরোধীতা করেননি তবে পর্দার নামে যে জড় আচরণ সমাজ প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধচারণ তিনি করেছিলেন । বেগম রোকেয়াকে এই দেশে অনেক শিক্ষিত মেয়েরাও অপমানসূচক বিশেষণে বিশেষায়িত করে থাকে । এমন কী লেখকদের মধ্যেও কয়েকজন আছে !!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্যই আছেন যারা রোকেয়াকে পছন্দ করে না । নারী পুরুষ উভয়েই ।
আগে যা হত, এখনও যা হয় সেটা ঠিক পর্দা নয়, পর্দার নামে নারীর প্রতি অবরোধ ।
৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: বেগম রোকেয়া একজন সাহসী নারী ছিলেন! তিনি সেই সমাজের অনেক কিছু তুলে ধরেছেন!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: সেই সমাজে এমন কাজ করতে পারা, এমন ভাবে চিন্তা করতে পারা, পুরো সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া খুব কঠিন আর সাহসের কাজ ছিল বইকি !
১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১২
জুন বলেছেন: সেই সময় নারীদের জীবনের কথা ভাবলে নিজেদের অনেক সৌভাগ্যবান মনে হয়। বেগম রোকেয়ার সেই কঠিন সংগ্রাম আজ নারীদের শুধু শিক্ষাই না, সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভের দুয়ারও খুলে দিয়েছে।
মন ছুয়ে যাওয়া লেখা।
+
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৭
অপু তানভীর বলেছেন: সত্যিই তাই ।
এমন যদি হঠাৎ টাইম মেশিনে গিয়ে সেই সময়ে চলে যেতেন তাহলে কী অবস্থা হত একবার কল্পনা করে দেখেন !
১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
রানার ব্লগ বলেছেন: আমি প্রথমে ভেবেছিলাম নারীর এই সমস্যা কেবল ইসলাম ধর্মে আছে। কিন্তু না নারী কে বাক্সবন্দী করার প্রকৃয়া সনাতন, ইসলা, খৃষ্টান, ইহুদী ছাড়াও অন্যান্য ধর্মে স্পস্ট ভাবে আছে। নারী নিয়ে সমস্যা যুগ যুগ আগে থেকেই। পুরুষতান্তৃক সমাজ ব্যবস্থা নারী কে হেয় প্রতিপন্ন করেই বেড়ে উঠেছে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮
অপু তানভীর বলেছেন: প্রতিটি ধর্মেই এই ব্যাপারটা রয়েছে । তাদের ভেতরে নারীকে দাবিয়ে রাখার প্রবণতা আছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
জুন বলেছেন: অপু তানভীর আবার আপনিও আজ