নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ত্রিশ নাকি তিন লাখ !

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ত্রিশ লাখ নাকি তিন লাখ এই নিয়ে যে তর্কের পেছনে যে প্রথম কথাটা মানুষ বলে সেটা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তিন লাখকে ভুল করে তিন মিলিয়ন বলেছিলেন। আসলে মানুষ কি এতোই বোক হতে পারে? তাও আবার শেখ মুজিবরের মত মানুষ? তিনি আর যাই হোউন তিন লাখকে ভুল করে তিন মিলিয়ন বলার মত মানুষ নিশ্চয়ই ছিলেন না। আবার অনেকে এটাও বলেন যে শেখ মুজিব তো পুরোটা সময় জেলেই ছিলেন। তার পক্ষে তো সত্যি কথা জানার কোন উপায় নেই।
এই গল্পের ডানা পাখা মেলে যখন ২০১১ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকাতে বিবিসি বাংলার তৎকালীন ডেপুটি হেড সিরাজুল ইসলাম একটা প্রবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি লেখেন যে যখন শেখ মুজিব মুক্তি পেয়ে লন্ডনে আসেন তখন তখন তিনি ছিলেন তার সাথে দেখা করা প্রথম ব্যক্তি। আর তার সাথে ছিলেন ভারতের হাই কমিশনার আপা ভাই পান্থ। এরাই শেখ মুজিবকে বিমান বন্দর থেকে হোটেলে নিয়ে যান। তারপর সিরাজুল ইসলামই নাকি শেখ মুজিবকে দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে সব কিছু জানান। এমন কি তিনি বলেছিলেন যে যুদ্ধে মৃত্যুর সংখ্যা তিন লাখ। যদিও এই সিরাজুল ইসলাম কিভাবে জানলেন যে মৃতের সংখ্যা তিন লাখ? এই লেখা শেষ পর্যন্ত পড়লে বুঝবেন যে তার পক্ষে সংখ্যাটা যে তিন লাখ এটা সঠিক ভাবে জানা সম্ভবই না। কারণ সকল পত্রপত্রিকাতে অন্য কথা বলছে !
কিন্তু গার্ডিয়ান পত্রিকাতে আরও একটা চিঠি ছাপা হয় । সেটা লেখেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার রাশেদ চৌধুরী। তার ভাষ্যমতে সেদিন শেখ মুজিবের সাথে সিরাজুল ইসলাম বা পান্থের দেখাই হয় নি । শেখ মুজিবকে সেদিন রিসিভ করেছিলেন বাংলাদেশের কুটনৈতিক এবং ফরেন অফিশিয়ালরা। একটা কথা তো এখানে স্বাভাবিক যে বাংলাদেশের কুটনৈতিক তাকে রিসিভ করবে। সেখানে সিরাজুল ইসলামের ভাত কই ?
এই ত্রিশ লাখের কথা আসলে কোথা থেকে এল? এই ত্রিশ লাখ পরিমানটা কি শেখ মুজিবই প্রথম উচ্চারণ করেছে নাকি অন্য কেউও করেছিল? যদি কেবল শেখ মুজিবই প্রথম এই ৩০ লাখ উচ্চারণ করে তাহলে হয়তোও তিনি ভুল করে থাকবেন । কিন্তু যদি তার আগেই এই ত্রিশ লাখ উচ্চারণ করে থাকে ? তাহলে?
দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর এবং শেখ মুজিব মুক্তি পেয়েছে আট জানুয়ারি । ২৩ দিন। এই ২৩ দিনের দেশী বিদেশী পত্রিকা কী বলে?
১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত হয় ‘রক্তাক্ত বাংলা’ গ্রন্থটি । সেখানে বিশ লক্ষ নরনারীর প্রাণ হারানোর কথা উল্লেখ করা হয়। তখনও কিন্তু যুদ্ধ শেষ হয় নি । আর সাড়ে চারমাস বাকি ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এম আর আখতার মুকুলের চরমপত্র ছিল জলজ্যান্ত দলীল ! ২৫ মে ১৯৭১ থেকে সেটা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু ছিল । ১৬ই ডিসেম্বরের চরম পত্রের একটা লাইন ছিল ‘জেনারেল টিক্কা খান হেই অর্ডার পাইয়া ৩০ লাখ বাঙালির খুন দিয়া গোসল করল’। এই ৩০ লাখ শব্দটা আসল কোথা থেকে ? শেখ মুজিব তো তখন জেলে !
দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সম্পাদক ২২ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে তার পত্রিকার একটা সম্পাদকীয় লেখেন। সেখানে এই ৩০ লাখ বাঙালী নরনারী হত্যার কথা উল্লেখ আছে।
সোভিয়েত রাশিয়ার অফিশিয়াল মুখপাত্র প্রাভদা ৩ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে ৩০ লক্ষ শহীদের কথা উল্লেখ করেন। সেটার শিরনামটাকে বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘’লুকানো গেল না।’’
এই প্রাভদার কথা উল্লেখ করে ৫ জানুয়ারি মর্নিং নিউজ পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের আজাদ পত্রিকাতে প্রকাশিত হয় ৫ তারিখে। দৈনিক বাংলা পত্রিকাতে জল্লাদের বিচার করতে হবে শিরনামে প্রকাশিত প্রবন্ধেও এই ৩০ লাখ শহীদের কথা উল্লেখ আছে।
তার মানে আপনারা এই যে বলে বেড়াচ্ছেন যে শেখ মুজিব ভুল করেই তিন লাখকে ত্রিশ লাখ বলেছে এই তথ্য সঠিক না। লন্ডনে পৌছানোর পরে এবং পত্রিকাতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে শেখ মুজিব তার পরিবার এবং নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেন । সেখান থেকেই তিনি দেশের ক্ষয় ক্ষতি সম্পর্কে জানতে পারেন। প্রায় ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যাটাও সেখান থেকেই তিনি জানতে পারেন । ত্রিশ লাখ শহীদের হিসাবটা তিন লাখকে ভুল করে তিন মিলিয়ন থেকে উৎপন্ন নয় !

এছাড়া নানান আন্তর্জাতিক পত্রিকাতেও এই মৃতের সংখ্যার উল্লেখ আছে। এই সংখ্যা গুলো সব যুদ্ধের ভেতরের সংখ্যা । টাইম সাময়িকীয় ৭১এর এপ্রিলের ১২ তারিখে শহীদের সংখ্যা লিখেছে ৩ লাখ। যুদ্ধের বাকি আট মাস। এপ্রিলের মাঝামাঝিতে নিউজ উইকে শহীদের সংখ্যা লিখেছে সাত লাখ। এখানেও আট মাসের যুদ্ধ বাকি। দি বাল্টিমোর সান, ১৪ই মে ১৯৭১ সালে শহীদের সংখ্যা লিখেছে ৫ লাখ। যুদ্ধের তখনও সাত মাস বাকি। দি মোমেন্টো ক্যারাকাস জুনের ১৩ তারিখে শহীদের সংখ্যাটা লিখেছে ৫ থেকে ১০ লাখ। যুদ্ধের বাকি ছয় মাস। কাউরান ইন্টারন্যাশনাল জুলাই মাসে শহীদের সংখ্যাটা লিখেছে ৫ লাখ। যুদ্ধের বাকি ৫ মাস। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে জুলাই মাসের ২৩ তারিখে এই সংখ্যাটা ২ থেকে ১০ লাখ উল্লেখ করেছে। টাইম সাময়িকীর সেপ্টেম্বরে শহীদের সংখ্যাটা ছিল ১০ লাখ। লন্ডন থেকে প্রকাশিত দি হ্যাম্পস্টেড এন্ড হাইগেট এক্সপ্রেস, পহেলা অক্টোবর ১০৭১ এ শহীদের সংখ্যাটা লিখেছে ২০ লাখ। ন্যাশলাম জিওগ্রাফি ১৯৭২ সালে এই সংখ্যাটা উল্লেখ করেন ৩০ লাখ।

আওয়ামীলীগের আমলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু বলা, আরও ভাল করে বললে আওয়ামীলীগ যা ঠিক করে দিয়েছে তার বাইরে কিছু বলাটা একেবারে ব্লাস্ফেমি ছিল। এই ত্রিশ লক্ষ শহীদের ব্যাপারটাও সেই রকম ছিল । মানুষের প্রশ্ন করা সন্দেহ করা জানতে চাওয়ার ভেতরে আমি কখনই কোন দোষ দেখি না । কার যদি সত্যিই ত্রিশ লক্ষ শহীদ নিয়ে সন্দেহ জাগে মনে তাহলে অবশ্যই সেটা নিয়ে পড়াশোনা করা উচিৎ, জানার চেষ্টা করা উচিৎ ! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আপনার সত্যিই কি জানার আগ্রহ আছে? আপনি কি আসলেই জানতে চান নাকি আপনি ৩/৩০ লাখের ব্যাপারে আপনার আগে থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তকে বিশ্বাস করতে চান? শহীদের সংখ্যা ত্রিশ লাখ হলেও যেমন আপনার ব্যাপারটা জানা উচিৎ তেমননি ভাবে আপনার যদি তিন লাখে বিশ্বাস স্থাপন করতে ইচ্ছে হয় সেই ব্যাপারেও আপনার নিজে জানার আগ্রহ থাকা উচিৎ । এটা তো আল্লাহর বানী না যে নবী এসে বলল আর আপনার চোখ বুজে সেটা বিশ্বাস করে নিতে হল !
কিন্তু যারা এই ত্রিশ লক্ষ শহীদের সংখ্যাটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, সেটা পক্ষে হোক আর বিপক্ষে হোক, তাদের বেশির ভাগেরই জানার আগ্রহ নেই। তারা কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থ চারিতার্থ করতে ব্যস্ত ! সত্য নয় কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করার চেষ্টায় লিপ্ত !
আপনি যদি সত্যিই জানতে চান যে মুক্তিযুদ্ধে কতজন মানুষ মারা গিয়েছিল তাহলে কেবল একটা দুইটা ফেসবুক পোস্ট পড়ে বিশ্বাস করবেন না। এ নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে, বই বের হয়েছে। সেগুলো পড়ার চেষ্টা করুন। কারো মনগড়া কথা, কারো করা প্রশ্ন দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয় না। আরিফ রহমানের লেখা ‘ত্রিশ লক্ষ শহিদ’ দিয়ে শুরু করতে পারেন।


নোট: বর্তমানে শহীদ শব্দটার সঠিক বানান হচ্ছে শহিদ । তবে আমার কেন জানি শহীদ লিখতে বেশি ভাল লাগে !

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রথমেই বলবো- শহীদের মূল্যায়ণ কিম্বা অবমূল্যায়ণ সংখ্যা দিয়ে হতে পারেনা। তবুও সংখ্যা সঠিক হওয়া বাঞ্চনীয়। আর সংখ্যাতত্বে বা তথ্যে ভুল যে কেউই করতে পারে। বংগবন্ধু যখন 'ত্রিশ মিলিয়ন' বলেছিলেন- তখন তিনি বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত বেশী আবেগতাড়িত ছিলেন- তেমন অবস্থায় ভুল হতেই পারে। আর ভুল সংশোধনই হলো- সঠিক ইতিহাস।

আমার কাছে যেমন ঈদ, তেমনই শহীদ প্রতিষ্ঠিত।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২২

অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্যই সংখ্যা দিয়ে শহীদদের মূল্যায়ন/অবমূল্যায়ন হতে পারে না ।

সঠিক তথ্য জানার কারো খুব একটা আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না । সবাই আছে নিজের ধান্দায় !

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলে এই সংখ্যা কত
আল্লাহই জানেন। আমরা খালি মানুষের মুখে শুনি এসব। ইতিহাস পড়ি নাই।

হ্যাঁ কিছু মানুষ নিজের ধান্ধায় ব্যস্ত। আসল ইতিহাস জানতেও চায় না। যুক্তি দিয়ে এসব আলোচনা করুক তবে

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: কোন যুদ্ধের বেলাতেই একেবারে সঠিক সংখ্যাটা জানা সম্ভব না । কম বেশি হয় সব সময় । কিন্তু সেটা কোন ভাবেই তিন ত্রিশ না ।

আসল তথ্য কেউ জানতে আগ্রহী নয় ! সবাই ধান্দায় আছে !

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

নতুন বলেছেন: বর্তমানে শহীদ শব্দটার সঠিক বানান হচ্ছে শহিদ । তবে আমার কেন জানি শহীদ লিখতে বেশি ভাল লাগে !

হুম. শহিদ মানুষের নাম হলেই মানায়। কিন্তু martyr বোঝাতে শহীদ ই মানায়।

হলোকাস্ট যেমন ৬ মিলিওন সংখ্যারা কোন লিস্ট নাই এবং করা সম্ভবনা। তেমনি ৩০ লক্ষের কোন লিস্ট করা সম্ববনা।

যারা এটা নিয়ে বির্তক করে তারা মুক্তিযুদ্ধের উপরেই বিরক্ত বা ৭১ কেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় মাত্র।

এটা একটা প্রতিকী সংখ্যা মাত্র, এই সংখ্যার মানুষকে কোন ভাতা দেওয়া হয় না, কোন টাকা পয়শার লেনদেন নাই। তাই শুধুই বিতর্কের খাতিরেই বিষয়টা টেনে আনা হয়।

আর যদি সংখ্যাটা ৩ লক্ষের মতন হয় তবে সেটা মেনে নিলেও সমস্যা নাই। কিন্তু আয়মাীরা বঙ্গবন্ধুকে এতো উপরে তুলেফেলেছে যে তার কথার পরিবর্তন করাও তাদের পক্ষে সম্ভবনা তাই তারাও এটা নিয়ে বাড়াবাড়ী করে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪

অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাা একাডেমির নতুন নিয়ম হচ্ছে কোন বিদেশী শব্দে ঈ কার হবে না । শহীদ শব্দটা বিদেশী । সেই হিসাবে শহিদ !

এই বিতর্ক প্রথম তুলেছিল সম্ভব নিজামী কিংবা গোআজম ! সেটা দিন দিনে ফিরে এসেছে । এই ২৪এর আগে ২০১১ সালে সিরাজুল ইসলামের লেখায় এটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল । এখন আবার চলছে !
কিন্তু দেখবেন যারা এটা নিয়ে কথা বলে তারা কোন দিন নিজেরা একটা লাইণও খুজে দেখার চেষ্টা করে নাই ।

আওয়ামী শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধকে একেবারে ধর্মের পর্যায়ে নিয়ে গেছে ! অথচ কেউ প্রশ্নের বাইরে নয় ।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

নতুন বলেছেন: আরেকটা জিনিস এই সব বিতর্ক কিন্তু শুরু হয়েছে আয়ামীলীগের অতিমাত্রায় চেতনা বিক্রির কারনে।

যখন আপনি অতিমাত্রায় চেতনা বিক্রি করতে চাইবেন, তখন মানুষও বিরক্ত হয়ে আপনির দাবীর বিপক্ষে যুক্তি দাড়া করবে।

তখনই ৩০ লক্ষকে ৯ মাস, দিন দিয়ে ভাগ করলে প্রতিদিন কত হয় এমন কথা চলে আসে।

আয়ামীলীগ ভবিষ্যতের কথা বললে, মানুষ তখন ঐ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতো।

আজ সরকার বেকার ভাতা, চাকুরি বা ব্যবসার পরিধি বাড়ানো, বেকারত্ব নিরশনে লোন, ট্রেনিং দিয়ে বিদেশে পাঠানো নিয়ে কাজ শুরু করুক তখন এই সব ৩০ লক্ষের কথা হবেনা। বরং ভবিষ্যতের প্রকল্পের উপরে আলোচনা শুরু করবে মানুষ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: গত ১৫ বছরে মুক্তিযুদ্ধের বড় ক্ষতি যদি কেউ করে থাকে সেটা হচ্ছে আওয়ামীলীগ । নিজেদের দরকার এমন ভাবে চেতনা বিক্রি করেছে যে মানুষ এখন চেতনার নাম শুনলেই বিরক্ত হয় ! অথচ দেখুন এটা আমাদের সবার হওয়ার দরকার ছিল ! আওয়ামীলীগ সেটা হতে দেয় নি ।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অপু ভাই , মুক্তিযুদ্ধে আসলে কত জন শহীদ হয়েছে (৩ লাখ কিংবা ৩০ লাখ) তা নিয়ে বিতর্ক প্রথম থেকেই ।

আবার আপনি যেটা বলেছেন, আওয়ামীলীগের নেতাদের মুখের কথাই আইন। যা বলেছে তাই বাইবেলের মত মানার বাধ্যকতা সবার উপর। এর কোন অন্যথা হওয়ার সুযোগ ছিলনা এবং নেই ।

তবে আওয়ামীলীগ ছাড়াও আরও ২ টি দল (জিয়া ও এরশাদ) দেশের ক্ষমতায় ছিল । তবে আমার মনে হয় বিতর্কের ভয়ে তারাও এই ব্যাপারে চুপ থাকাকেই শ্রেয় বলে মনে করেছে।অন্যদিকে খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলে আওয়ামী কোপানলে পড়েছে অর্থ্যাৎ মামলায় জড়িয়েছে।

বর্তমানে দেশের পরিবর্তিত অবস্থা ও গণ-মানুষের সরকার চাইলে বিতর্কের চিরস্থায়ী সমাধান তথা মুক্তিযুদ্ধে আসলে কত জন শহীদ হয়েছে তাহার সঠিক সংখ্যা জানার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পারে।

তবে, তাদের সামনে এর থেকেও বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। কাজেই -----------------

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: শুরু থেকে নয়, রাজাকাররা যখন এই দেশে কথা বলতে শুরু করে তখন থেকে ।

অবশ্যই তাদের সামনে এখন অনেক দরকারি কাজ রয়েছে ।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১

নতুন বলেছেন: আওয়ামী শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধকে একেবারে ধর্মের পর্যায়ে নিয়ে গেছে ! অথচ কেউ প্রশ্নের বাইরে নয় ।


মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান করা প্রতিটা বাংলাদেশীদের জন্য ফরজ। মানে বলতে চাইছি তাদের প্রতি সন্মান না করলে সেটা বেইমানী হবে। তারা জীবনের ঝুকি নিয়েছে দেশের জন্য। কিন্তু তারা তেমন সুফল ভোগ করেনাই। করতে চায়ও নাই। করেছে রাজনিতিকরা।

যে কোন অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতেই হবে, আর বঙ্গবন্ধু তার কন্যা দেশকে তাদের সম্পত্তি মনে করেছে এবং প্রশ্ন করা অপছন্দ করেছে, জবাবদিহিতা করতে পছন্দকরতো না। সেটাই তাদের কাল হয়েছে।

এখন সামনে এগিয়ে যাবার সময়।

মানুষের কাজের ব্যবস্থা দরকার। উন্নত চিকিতসা দরকার। উন্নত শিক্ষা দরকার। সবার ভালো মতন বাচার ব্যবস্থা দরকার।

আমাদের যা আছে সেটা নিয়েই আমরা করতে পারি কন্তু তার জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।

দূনিতি বন্ধ করতে হবে, জবাবদিহিতা আনতে হবে, ভালো মানুষকে দায়িত্বে রাখতে হবে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের সোনামিয়ার কথাই ধরেন । নিজেকে সে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন । অথচ তার আচরণ নেড়ি কুকুরের মত ! এখন তাকে যদি কেউ গালী দেয় তাহলে কি মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হবে?
আওয়ামীলীগ এই কাজটাই করেছে । তাদের সব কিছু তারা ডিফেন্ড করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তাই তারা সকল প্রশ্নের উর্ধ্বে তাদের কোন প্রশ্ন করা যাবে না । মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা মানেই তো তাদের অকামের সমালোচনা করা যাবে এমন না ! আওয়ামীলীগ ঠিক এই কাজটাই করেছে । মুক্তিযুদ্ধ, ব্যাস আর কোন বলা যাবে না !

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাদের সোনামিয়ার কথাই ধরেন । নিজেকে সে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন । অথচ তার আচরণ নেড়ি কুকুরের মত ! .

ভাই সোনাগাজী ভাইয়ের বিরুদ্ধে আপনার এই কথা মানতে পারলাম না।

উনি মানুষ খারাপ না। উনি খুবই ভালো বিশ্বেষক কিন্তু বয়সের কারনে সম্ভবত একটা সর্টপেম্পাড। সুগার কটিং করে না বলে সরাসরি কথা বলেন এবং অনেক সময় ব্যক্তিআক্রমন করেন। কিন্তু তিনি গালাগালী করেন না।

যেকোন জিনিস নিয়েই বাড়াবাড়ী ঠিক না। সেটা আয়ামীলীগ করে পস্তাচ্ছে।

কিন্তু আমাদের দেশের ব্রেনলেস আমিস গোস্ঠিরা যা শুরু করেছে সেটাও ভালো হচ্ছে না। তাদের থামানো দরকার।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার মতামত নিয়ে আমার কিছু বলার নেই । তবে আমার অনলাইনে দেখা মানুষের ভেতরে উনার নিকৃষ্ট স্বভাবের মানুষ আমি আর দেখি নি ।
উনি অনেক সময় ব্যক্তি আক্রমন করে, এটা ঠিক না, যারা তার চামচামি না করে তাদের সব সময় খোঁচা দেন । ভাল কথা ওনার মুখ দিয়ে বের হয় না । এমন মানুষ আপনার কাছে ভাল হতে পারে আমার কাছে না । আমি অনালাইনে মোটামটি ১৫ বছর ধরে আছি । উনার মত আর কাউকে দেখি নি ।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা স্বাধীনতাবিরোধী আর তার দোসরদের বহু পুরনো রোগ। এই রোগের কোন চিকিৎসা নাই। যতদিন বাংলাদেশ আছে ততদিন একটা শ্রেণির এই রোগ থাকবে। ব্লগেও এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম না।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫

অপু তানভীর বলেছেন: কারো মনে সন্দেহ থাকলে প্রশ্ন থাকলে সেটা যে কেউ করতে পারে। প্রশ্ন তুললেই রাজাকার ট্যাগ দেওয়ার প্রথা থেকে বের হয়ে আসুন ।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতুন বলেছেন: সোনাগাজী ভাইয়ের বিরুদ্ধে আপনার এই কথা মানতে পারলাম না। উনি মানুষ খারাপ না। উনি খুবই ভালো বিশ্বেষক। ভালো বিশ্লেষক!!!!! কৌতুকটা পছন্দ হইছে!!!!!! =p~

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: এই রকম কৌতুক তো আমরা ব্লগের কয়েকজনের কাছ থেকেই নিয়মিত শুনি ;)

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: আপনার লেখার মধ্যে একটা লাইন আমার খুব ভালো লাগলো। BAL আমলে এইসব নিয়ে কথা বলাটাই ছিল ব্লাসফেমি।

আনুমানিক বছর দেড়েক আগে একটা কোর্সের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে সাহায্য নেওয়ার জন্য ৭৪ সালের পত্রিকা গুলো পড়ার ইচ্ছে হলো। সেন্ট্রাল লাইব্রেরীতে গেলে জানানো হলো ৭২ থেকে ৭৫ এর পত্রিকা পড়ার অনুমতি নাই।

কয়েকদিন আগে দেখলাম লাইব্রেরীর কর্তৃপক্ষ তাদের সুর পাল্টেছে। বলছে ৭২ থেকে ৭৫ এর পত্রিকাগুলোর কাগজ দুর্বল হওয়ায় কিছু বিধি নিষেধ ছিল। অর্থাৎ ৭২ এর আগের বা ৭৫ এর পরের পত্রিকাগুলো অন্য কাগজ দিয়ে ছাপাত আর আজকে হঠাৎ করে ৭২ থেকে ৭৫ এর পত্রিকা গুলোর কাগজ ভালো হয়ে গেছে।

মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা, বাংলাদেশে ভারতীয় সেনাদের ভূমিকা ওই সময়ে আসলেই পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র ট্যাংক এবং খুলনার বিভিন্ন কারখানার যন্ত্রপাতি ভারতীয়দের দ্বারা লুট হয়েছিল কিনা সব বিষয়েই সুস্থ বিতর্ক হওয়া আবশ্যক। তথ্যবহুল বিতর্ক আমাদের তথ্যের গ্যাপ পূরণে সাহায্য করে।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যাটা এগজ্যাক্টলি ২৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৯৯ + ১ না বরং ৩০ লাখের আশেপাশে।

জামাতীরা বিভিন্ন জায়গায় বলেছে বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার পর একাধিক কমিশন গঠন করেছিলেন যুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা নির্ধারণের জন্য। কোন কমিশনই এমনকি ২ লাখ নিহতর ঘটনাও প্রমাণ করতে পারেনি। বিষয়টা আমার কাছে মিথ্যা মনে হয়।

মার্চ এপ্রিলের হত্যাকাণ্ড ঢাকার আশেপাশে সীমাবদ্ধ ছিল। মের পরে হত্যাকান্ড গোটা বাংলাদেশ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে পাকিরা গোটা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়, সবাইকে খুন করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয় বা গণকবর দেয়। এইসব ঘটনার এমন কি কোন সাক্ষী ও নাই।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: কেউ এবং কোন কিছুই প্রশ্নের উর্ধ্বে নয়। সবাইকেই নিয়ে এবং সব কিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে । আওয়ামী আমলে তাদের বলে দেওয়া বাক্যের বিপরীতে যাওয়া মানেই রাজাকার ট্যাগ খাওয়া । দিনের পর দিন এই কাজ তারা করে গেছে । এই প্রথার অবসান হোক !

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৭

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: আপনার কাছে অথবা এই পোস্ট যারা পড়ছেন তাদের কাছে আর একটা অনুরোধ থাকলো- ভারতে ৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শরণার্থীর সংখ্যা কত ছিল? একটি বইয়ে পেলাম এক কোটি, কিন্তু একাধিক জায়গায় পড়েছি দেড় থেকে ২ কোটি। কেউ বলছেন এদের মধ্যে ২ লক্ষ লোক অপুষ্টি এবং ডায়েরিয়ার কারণে মারা গিয়েছিল কারো কারো মতে এই সংখ্যাটা ৩ লাখ বা আরো বেশি। এই বিষয়ে কোন তথ্য থাকলে জানতে চাই।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০০

অপু তানভীর বলেছেন: এই বিষয়েও লেখালেখি আছে অনেক ! আমি অবশ্য অনলাইন থেকে কম পড়ি। আমার কাছে কিছু বই রয়েছে । অনলাইনের লেখা থেকে বাস্তবের বইয়ের উপরে আমি বেশি ভরশা করি । সময় সুযোগ পেলে লিখব ।

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০

খাঁজা বাবা বলেছেন: বলা হয়ে থাকে কোন এক ইন্টারভিউতে শেখ মুজিব তিন লাখ কে ভুল করে তিন মিলিয়ন বলে ফেলেছিলেন।
এতদিন পর সংখ্যা নিয়ে নাড়া চারা না করে তিরিশ লাখ মেনে নেয়াই ভাল।

তবে শহীদের নাম ঠিকানা সহ ডাটাবেজ তৈরি করা উচিত।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০২

অপু তানভীর বলেছেন: শেখ মুজিব ভুল কোরে তিন লাখ কে তিন মিলিয়ন বলেছিলেন কিনা তার একটা ব্যাখ্যা উপরে দেওয়া হয়েছে । এ ব্যাপারে কেবল ''বলা হয়ে থাকে'' টাইপে শোনা কথার উপরে বিশ্বাস করার থেকে নিজে পড়াশোনা করা উচিট বলেই আমি মনে করি।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭

কিরকুট বলেছেন: ৭১ এ কি মানুষ মারা গিয়েছিলো? যারা মরছে সব কাফের বিধর্মী৷ যারা বলছে ৩০ না ০৩ এর অর্থ আপনাকে বুঝতে হবে এই পার্টির আত্মীয় স্বজন বা তাদের বাপ দাদায় এই তিন লাখের হিশাব রাখছে অর্থাৎ তারাই এই তিন লাখ জবাই করছে। মানুষ না কাফের। কাফের মারলে তা তিন লাখও যা ত্রিশ লাখও তাই।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: একটু বেশি উত্তেজিত সম্ভবত আপনি ।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এখন আর নতুন করে টানাটানি করা ঠিক হবে না, মুক্তিযুদ্ধ ভুলে গিয়ে আমাদের এখন কথা বলতে হবে ৫ আগষ্টের নতুন স্বাধীনতা নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ তো ছিলো একটা ভুঁয়া বিষয়, কিছু লোক পাকিস্তানের সাথে গন্ডগোল করে দেশ ভাগ করে দিয়েছিলো।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ যেমন জরুরী তেমনি ৫ আগস্টও ।

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৫

আমি সাজিদ বলেছেন: আমি আগেও বলেছিলাম, আযমী সাহেব/ হাসিনুর / মাইকেলরা বাংলাদেশ চান কি না, তাও তদন্তের প্রয়োজন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমার মনে হয় না এখন স্বয়ং জামাতও পাকিস্তানের সাথে মিলতে চাইবে না । পাকিস্তান এখন ফেইল রাষ্ট । এমন রাষ্ট্রের সাথে পাগলেও একত্র হতে চাইবে না ।
আর আওয়ামী সরকার এতো এতো অপকর্ম করেছে, আমাদের চোখের সামনেই এই কাজ গুলো হয়েছে তাই এগুলো এখন মানুষের কাছে বেশি অন্যায় মনে হয় !

১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

জ্যাকেল বলেছেন: আমরা যে পরিসংখ্যানগুলি সাধারণত বাংলা রাজনীতিবিদদের দ্বারা উল্লেখিত হয় তা দেখতে পাই। এগুলি সাধারণত অতিরঞ্জিত এবং ভুক্তভোগীদের মোট সংখ্যা অতিমাত্রায় মূল্যায়ন করে। বাংলাদেশের মধ্যে ৩০ লাখের সংখ্যা বেশ জনপ্রিয়। এই সংখ্যাটি প্রথম মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেছিলেন এবং এটি প্রায় বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক অনুমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, এই সংখ্যাটি শুরুর দিক থেকেই অন্যান্য বাংলা রাজনীতিবিদদের দ্বারা সন্দেহের মধ্যে ছিল। এটি কোনো স্বাধীন গবেষণার দ্বারা সমর্থিত নয়। এবং এই উচ্চ সংখ্যাগুলিকে সমর্থন করার জন্য কোনো প্রামাণ্য নথি বা তথ্য নেই। আমরা যে পরিসংখ্যানগুলি সাধারণত বাংলা রাজনীতিবিদদের দ্বারা উল্লেখিত হয় তা দেখতে পাই। এগুলি সাধারণত অতিরঞ্জিত এবং ভুক্তভোগীদের মোট সংখ্যা অতিমাত্রায় মূল্যায়ন করে। বাংলাদেশের মধ্যে ৩০ লাখের সংখ্যা বেশ জনপ্রিয়। এই সংখ্যাটি প্রথম মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেছিলেন এবং এটি প্রায় বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক অনুমান হয়ে দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, এই সংখ্যাটি শুরুর দিক থেকেই অন্যান্য বাংলা রাজনীতিবিদদের দ্বারা সন্দেহের মধ্যে ছিল। এটি কোনো স্বাধীন গবেষণার দ্বারা সমর্থিত নয়। এবং এই উচ্চ সংখ্যাগুলিকে সমর্থন করার জন্য কোনো প্রামাণ্য নথি বা তথ্য নেই।"

"এরপর আমরা নিরপেক্ষ এবং বাইরের উৎস থেকে স্বাধীন গবেষণাগুলির দিকে তাকাতে পারি। যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান ছিল যে প্রায় ২,০০,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের করা গবেষণায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১,২৫,০০০ থেকে ৫,০৫,০০০ এর মধ্যে অনুমান করা হয়েছিল। এটি ১৯৭৬ সালের ম্যাটল্যাব গবেষণার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল।"


এই হইল অবস্থা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। বাংলাদেশের যেকোন সরকার তার ইউনিয়নে, সিটি ওয়ার্ডে চিঠি পাঠিয়ে পাঠিয়ে সংগ্রহ করতে পারত নারী নির্যাতন এবং হত্যার বিশদ তথ্য। তাতে এই বিতর্কের অবসান ঘটত।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: এই সংখ্যাটি প্রথম মুজিবুর রহমান উল্লেখ করেছিলেন

সম্ভবত আমার লেখাটা আপনি মনযোগ দিয়ে পড়েন নি।

১৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬

ইউজিন বোয়েন বলেছেন: আমি সম্মত যে আমাদের এই বিষয়ে খোলা আলোচনা এবং গবেষণাকে উত্সাহিত করা উচিত। যারা ভুক্তভোগী তাদের স্মৃতিকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু পণ্ডিত কঠোরতার সাথে বিষয়টির সাথে যোগাযোগ করাও গুরুত্বপূর্ণ
https://tunnelrushgame.io

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: সেই সময়ে এমন উদ্যোগ গ্রহন করা উচিৎ ছিল কিন্তু করা হয় নি । আসলে কোন সরকারই মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ এসব মন প্রাণে ধারণ করে বলে মনে হয় না । এসব তাদের কাছে ভোটে জেতার ট্রাম্প কার্ড মাত্র !

১৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

ইউজিন বোয়েন বলেছেন: শহীদের সংখ্যা আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং এটি সতর্কতার সাথে বিবেচনার দাবি রাখে ((https://tunnelrushgame.io))

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

অপু তানভীর বলেছেন: অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ দিক !

১৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১৮

জিকোব্লগ বলেছেন:



ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতুন বলেছেন: সোনাগাজী ভাইয়ের বিরুদ্ধে আপনার এই কথা মানতে পারলাম না। উনি মানুষ খারাপ না। উনি খুবই ভালো বিশ্বেষক। ভালো বিশ্লেষক!!!!! কৌতুকটা পছন্দ হইছে!!!!!! =p~

=p~ =p~ =p~

নতুন ১৮ বছর ৬ মাস ব্লগে থেকেও সোনাগাজীকে চিনতে পারলো না। B:-)
অথবা অন্ধবিশ্বাসে নতুন ধরেই নিয়েছেন উহা খুবই ভালো বিশ্বেষক। B:-/

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১০

অপু তানভীর বলেছেন: কেবল নতুনই নন, এমন অনেক ব্লগারই আছেন যারা তাকে চিনতে পারেন নাই ।

২০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটি এবং পূর্বের "ব্লগে রাজাকার বন্দনা" বিষয়ক পোস্টটি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি।

আমারা এই সময়টায় মিথ্যা তথ্যের এক মহাপ্লাবনের মধ্যে আছি বলা যায়। তাই এই সময়টায় "clarity is power"। হারারির কথা থেকে ধার করে "In a world deluged by irrelevant information, clarity is power."

বিষয়টি নিয়ে কিছু স্বচ্ছতা তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১১

অপু তানভীর বলেছেন: আমরা সত্যিই এক অস্থির সময়ের ভেতরে রয়েছে । এই সময়ে মিথ্যার মহাপ্লাবন শুরু হয়েছে । কবে শেষ হবে কে জানে ! দেখা যাক কোথাকার জল কোন দিকে গিয়ে থামে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.