নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
রাজনীতির মধ্যে বামপন্থীরা সাধারণত একটু বেশি শিক্ষিত হয়। যদিও এটা আমার ধারনা। আমি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এদের দূরদর্শিতা দেখে অবাক হই। কারণ তাদের চিন্তা ধারা কিছুটা অন্য রকম। এছাড়া তারা গভীর ভাবে ভাবতে জানে। যেটা এক মাত্র পড়াশুনা ছাড়া সম্ভব নয়। তাই বলে যে অন্যরা পড়াশোনা করে না তা নয়। তবে সেটা তাদের চিন্তার জগত বা কর্মক্ষেত্রে কম প্রতিফলিত হয়।
.
বামপন্থীদের আদর্শ বা মুল বলা যায় মার্কসবাদ। আবার অপর ভাবে বলা যায় কমিউনিস্ট বা সমাজতন্ত্র। কিন্তু কথা হচ্ছে বর্তমান সময়ে তার কতটুকুই বা সরাসরি ব্যবহার হচ্ছে কিংবা বলা যায় আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কমিউনিস্টদের আদর্শ কিন্তু একদম ইস্পাত কঠিন।
.
এই কমিউনিস্টের অন্যতম একজন নেতা হচ্ছেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়া। সম্ভবত নামটা অপরিচিত মনে হচ্ছে। একটু পরে নাম বলছি। এই ব্যক্তিটি সারা জীবন লড়াই করে গিয়েছেন। তিনি তার মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত একটি রাষ্ট্রকে শিখিয়েছেন কি করে উন্নতি করতে হয়। কিভাবে জনগন কে সাথে নিয়েও দেশ পরিচালনা করা যায়।
.
হ্যা, বলছিলাম লেনিন এর কথা। যিনি জন্ম দিয়েছেন রাশিয়ার মত একটি দেশের। জন্ম দিয়েছেন এবং প্রমাণ করেছেন সমাজতন্ত্র দিয়েও দেশ রাষ্ট্র পরিচালনা করা সম্ভব।
.
তবে একদিনে এই সাফল্য আসেনি। তাকে লড়াই করতে হয়েছে। তার পুরোটা জীবন কেটে লড়াই করে। নির্বাসনে থেকে আর জেলে গিয়ে। পরিবার আপজন থেকে দূরে থেকে তাকে পরিচালনা করতে হয়েছে। বার বার ভেঙে গিয়ে আবার গড়েছেন নিজেকে।
.
প্রতি ধাপে ধাপে তিনি বাধা পেয়েছেন। তবু লড়াই করা ছেড়ে দেননি। ছোট বেলাতেই হারান ভাইকে। তার ভাই জারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে প্রাণ হারান। তখনই তিনি ঠিক করেন যে এর প্রতিশোধ তিনি নেবেন। শুরু করেন তার লড়াই। তিনি কিন্তু এর জন্য পড়াশোনা ছেড়ে দেননি। পড়েছেন, শিখেছেন এবং শিখিয়েছেন।
.
কিন্তু জারের গুপ্তচর সব সময় তার পিছু লেগেছিল। সব সময় লেনিনকে চোখে চোখে রাখত । তাদের বড্ড ভয় ছিল লেনিন কে নিয়ে। লেনিন মার্কস আর এঙ্গেলস এর প্রতি গভীর ভাবে টান অনুভব করতেন। এটাই হয়ত তার লড়াই করার হাতিয়ার ছিল। তিনি গরিব দুঃখী মেহনতি মানুষের কথা শুনতেন। শ্রমিকের অধিকারের কথা বলতেন। আর তাতেই তিনি চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
.
জেলে গিয়েও কমরেডদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। রুটি আর দুধ দিয়ে দোয়াত বানিয়ে লিখেছেন বিভিন্ন নির্দেশনা। গোপন কালিতে ও সংকতে যোগাযোগ করেছেন বিভিন্ন সময়ে।
.
তবে তাকে প্রায় চার বছরের জন্য নির্বাসন দেয়া হয় এক প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানেই তার স্ত্রীকেও পরবর্তিতে নির্বাসন দেয়া হয়। একে কে আসেন ট্রটস্কি সহ অনেকেই। তাদের লড়াই আবার শুরু হয়।
.
১৯০৫ সালের কথা রাশিয়াতে ঝড় উঠল। বিপ্লব হল। এবার কিছু একটা হবেই এমন মনে হচ্ছিল। কিন্তু না শেষ পর্যন্ত এটা আর সফলতার মুখ দেখেনি। তবে প্রশ্ন হচ্ছে এত বড় বিপ্লব হলো কেন লেনিন সেখানে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। আমার মনে হয়, তিনি থাকলে হয়ত সফলত। আবার এমন মনে হয় যেহেতু ব্যর্থ বিপ্লব তাহলে হয়ত লেনিন কে প্রাণ দিতে হয়।
.
এরপর লেনিন কে প্রায় দশ বছরের বেশি সময় লড়াই করতে হয়। এরই মাঝে বিশ্বযুদ্ধ চলে আসে। রাশিয়া ভেঙ্গে পরে। অপর দিকে চারদিক থেকে চাপ। সব মিলিয়ে একটা ভঙ্গুর অবস্থা। এই অবস্থা থেকে লেনিন দেশকে উদ্ধার করেন।
.
তিনি শুরু করেন দেশ পরিচালনার কাজ। যদিও তখনও অনেক বাধা এসেছে। তিনি শুধু অনুরোধ করেছেন যে সব কিছুই নতুন ভাবে হচ্ছে আপনার সহযোগিতা করুন আমরা উন্নতি করব। ইংল্যান্ড, জাপান, আমেরিকা সহ প্রায় ১৪টি দেশ আক্রমণ করেও জিত্তে পারেনি। লেনিন এর কাছে হেরেছে তারা।
.
লেনিন এর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও জ্ঞান অসামান্য ছিল। তিনি মাত্র কয়েক বছরে রাষ্ট্রের সব কিছু বদলে দিয়েছিলেন। তবে দুঃখের বিষয় মানুষটি শেষ দেখে যেতে পারেননি। যেই মাতৃভূমির জন্য এত কিছু। তার জন্য শেষটা তার দেখা হল না। মস্তিস্কের রক্তক্ষরনে মারা যান। ভ্লাদিমি ইলিচ উলিয়া ওরফে লেনিন।
.
আবুল হাসনাত এর বই লেনিন মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠার একটি বই। বইটি প্রকাশ করেছে দ্যু প্রকাশন। কিন্তু লেনিন কে মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠায় কি আনা সম্ভব। যদিও বইটি শিশু কিশোরদের জন্য। তবে আমার মনে হয় বইটি তথ্য সমৃদ্ধ করে আরও সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা যেতো। কারণ এখানে পুরো বিষয়টি দুটি লাইন বা একটি লাইনে শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে যদি আরও বিস্তারিত করা যেতো তবে ভাল হতো। বইটি সংস্করন করে বিস্তারতি ভাবে বর্ননা করলে হবে। এত তথ্য এক সাথে দেয়াটা বেশি সংগতি পূর্ন মনে হয়নি।
.
তবে লেনিনের মর্যাদা কিন্তু তাতে কোন অংশ কমে যায়নি। তিনি আছেন তার স্বমহিমায়।
.
কমরেড লাল সালাম।
০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:০০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
স্যার আমাদের জন্য কোনটা যে ভাল হতো তা আমরা নিজেরাও জানি না। কারণ আমাদের দেশের মানুষের সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। আমাদের মাথার উপর যারা আছেন তারা আমাদের ভেতরে তেমন কিছুই সৃষ্টি করতে পারেননি।
যারা করছেন তারা সুযোগ পাচ্ছেন না। গণতন্ত্র এখন শুধু নামে। এখন যে বেচে আছি এটাই তো বেশি মনে হয়। এই দেশে কোন কিছুই টিকবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ আমরা সব সময় বিভাজিত হতে ভালবাসি।
২| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সোভিয়েত ইউনিয়ন টিকলো না কেন?
এই মানুষ আসলে নিজের বলে কিছু চায়।
এটা আমার সম্পদ।
ওটা আমার সম্পদ।
এই কারণেই মনে হয় সমাজতন্ত্র আসবে না।
০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:০২
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
সোভিয়েত না টেকার অনেক কারণের মধ্যে হচ্ছে আদর্শ ও মত পার্থক্য। তারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু করেছিল সেটা ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়েছে।
সমাজতন্ত্র কিন্তু কিউবাতেও আছে। ক্যাস্ট্রো দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে দেশের ভাগ্য বদলাতে হয়।
আমাদের দেশের মানুষ সামজতন্ত্র কি সেটাই জানে না। তাহলে পরিবর্তন আসবে কিভাবে।
৩| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,
অনেকদিন পরে ব্লগে দেখে স্বস্তি পেলুম। ভালো ছিলেন নিশ্চয়ই ?
সমাজতন্ত্র বিনির্মাণ আসলেই কঠিন। সমাজতন্ত্রের কলকাঠি নাড়া মানুষগুলো শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার লোভকে সংম্বরণ করতে পারেন না বলেই সমাজতন্ত্র মুখ থুবড়ে পরে।
০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৪
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
অনেক দিন আসলেই সেটা ঠিক। আমি লেখালিখি থেকে কিছুটা দূরে ছিলাম। আবার শুরু করার ইচ্ছে আছে। আপনি ভাল আছেন?
আমি কিউবাকে নিয়ে কয়েকটি বই পড়েছি। সেখানে তারা যেভাবে সমাজতন্ত্রকে নির্মান করে দেখিয়েছেন সেটা অসাধারণ। ক্যাস্ট্রো অসাধারণ কাজ করেছেন। তবে হ্যা, তাদের ক্ষমতা বিপ্লবের মাধ্যমে গিয়েছে।
কিন্তু এখন সমাজতান্ত্রিক দল গুলো বিপ্লব ঘটাতে পারবে না। সেটা এখন সম্ভব ই না।
আর ক্ষমতার লোভ থাকবেই। যোগ্য নেতৃত্ব থাকলে তবেই সমাজতন্ত্র কায়েম করা সম্ভব।
৪| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছোটকালে স্লোগান শুনতাম মার্কবাদ লেলিনবাদ সর্বহারার মতবাদ । এখন এইসব শুনা যায় না।
০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৫
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
কারণ এখন সবাই স্বার্থবাদ নিয়ে বেশি চিন্তা করে থাকে। যার দশ আছে সে একশ চায়, আর যার একশ আছে সে এক হাজার চায়। তো এখন আর কিছু শোনা সম্ভব বলে মনে হয় না।
৫| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫০
অনল চৌধুরী বলেছেন: এই বইটা ১৯৮২ সালে ( বইয়ের ভিতরে বাংলা ১৩৮৮ সাল লেখা আছে, খৃষ্টীয় তারিখ দেয়া হয়নি) চট্রগ্রামের শিশু সাহিত্য বিতান থেকে বের হয়েছিলো। দাম ছিলো ৫ টাকা।
বাংলা একাডেমীর বইমেলায়ও সম্ভবত তাদের দোকান ছিলো, যেখানে থেকে সেইসময়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময়ে আমাকে বইটা কিনে দেয়া হয়েছিলো।
এতো আগে ঢাকার বাইরে থেকেও এতো মানসম্মত একটা বই বের হওয়া থেকে প্রমাণ হয়, আরো ৪০ বছর আগে দেশের মানুষ বই অনেক বেশী পরিমাণে বই পড়তো এবং তাদের মানসিকতার স্তরও এখনকার চেয়ে অনেক উন্নত ছিলো।
বইটা লেখা হয়েছে মূলত ৭ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের লেলিন সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা দেয়ার জন্য।
তার সম্পর্কে তো মহাকাব্যও লেখা যায়। মস্কোর প্রগতি থেকে লেনিনের উপর বিশাল বই বের হয়েছে, সেটাও আমার কাছে আছে।
এখনই তুলে বইটার ছবি দিলাম। আমার টেবিলেই বইটা সবসময় খাকে।
বাংলাদেশে লেনিনের মতো অনেক ব্যাক্তি ছিলেন, যারা তাদের কথা, কাজও চিন্তা দিয়ে শুধু পুরো দেশ না, পুরো পৃথিবীই পাল্টে দিতে পারতেন। কিন্ত দেশের জনগণ তাদের কোন মূল্যায়ন বা তাদের নেতা নির্বাচন করেনি।
তাদের প্রিয় নেতা জিয়া, মওদদুদ, কাজী জাফর,এরশাদ, খালেদা, তারেক এবং সবশেষে জঙ্গী মামুনুল।
আমিও সুযোগ পেলে সারা পৃথিবীকে পাল্টাতে পারতাম।
০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা শিক্ষা। আপনি চাইলে হুট করে কাউকে সমাজতন্ত্র বুঝিয়ে দিতে পারবেন না। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রই ঠিক মতো বোঝে না। তারা সমাজতন্ত্র কিভাবে বুঝবে।
আমাদের নেতা নির্বাচিত করার যে প্রক্রিয়া তাও ঠিক নেই। আমাদের দেশের তরুণরা একাংশ তাদের পিছনে যারা দেশকে পেছনের দিকে টেনে নিচ্ছে। অথচ উচিত ছিল ভাল মন্দ বুঝে তারা যাওয়া।
লেলিন এর আর একটা বই আমার কাছে আছে। সেটা পড়া শুরু করিনি।
৬| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: @ সাজ্জাদ,সমাজতন্ত্রে নিজের সম্পদ থাকে,কমিউনিজমে থাকে না।অনেকেই সমাজতন্ত্র আর কমিউনিজমকে গুলিয়ে ফেলে।এটা ক্যাপিটালিষ্টদের একটা ভ্রান্ত প্রচার।যেটা থাকে না সেটা হলো পুঁজির শোসন।ইউরোপের অনেক দেশে মিস্র অর্থনীতি।
০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:০৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
একদম সঠিক।
সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ বা যারা বাম আছেন তারা এই বিষয়টি মানুষের সামনে সঠিক ভাবে ব্যাখ্যা দিতে পারেন না।
৭| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেনিন তাঁর শত্রুদের উপন্যাসের চরিত্রের সঙ্গে তুলনা করতে পছন্দ করতেন।
৮| ০৮ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: অপু দ্য গ্রেট আর অপু তানভির কি একই ব্যাক্তি ?
৯| ০৮ ই মে, ২০২১ সকাল ৮:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, "যারা করছেন তারা সুযোগ পাচ্ছেন না। গণতন্ত্র এখন শুধু নামে। এখন যে বেচে আছি এটাই তো বেশি মনে হয়। এই দেশে কোন কিছুই টিকবে বলে আমার মনে হয় না। কারণ আমরা সব সময় বিভাজিত হতে ভালবাসি। "
-আমরা পুনরায় কলোনিয়েল সিষ্টেমে ফেরত গেছি; এখন দেশ হচ্ছে লর্ড বসুন্ধরা, লর্ড বেক্সিমকো, লর্ড আলম ব্রাদার্স, লর্ড সিকদফার ব্রাদার্সদের
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি আমাদের জন্য ভালো হতে পারতো?