নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের এক পরিক্রমণ - ইন্দ্রজাল (বুক রিভিউ)

০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৫








কাল ভ্রমণ/টাইম ট্রাভেল । কতটা সত্যি বা কতটা এর পরিধি বলা মুশকিল। টাইম ট্রাভেল ধরেই বলছি। যেহেতু এটাই বুঝতে বেশি সুবিধা হবে। তবে কথা হচ্ছে আসলেই কি এটা করা সম্ভব। কেউ কি আধৌ করতে পেরেছে। নাকি এটা এখনও সেই মিথ আকারে আমাদের সামনে কল্পিত কাহিনী আকারেই ধরা দিচ্ছে। যদিও বলা যায়, আলোর চেয়ে যদি দ্রুত গতিতে যাওয়া সম্ভব হলে নাকি টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব। এটা হতেও পারে। আবার নাও হতে পারে। বিজ্ঞানীরা তো গবেষণা চালাচ্ছেন। দেখা যাক কি হয়।
.
আচ্ছা ধরা যাক, কেউ করতে পারল। তখন সে কোন সময়টা বেছে নিতে পারে। আবার সে নিজের অজান্তেই তো অন্য কোন সময় চলে যেতে পারে। কারণ সময় তো তার হাতে নেই। সে আপন গতিতেই চলবে। এখন কেউ যদি তার সময় থেকে পিছিয়ে অনেক দূর অতীতে চলে আসে কেমন হবে। মনে করুন লোকটি খ্রিষ্টান আর সে চলে এসেছে যীশুর আগমনেরও অনেক আগে অতীতে, তখন তার কাছে বিষয়টি কেমন হবে?
.
সায়মন, একন প্রত্নতত্ত্ববিদ। তার কাজটি সে পারিবারিক ভাবেই বা বলা যায় বংশগত ভাবেই পেয়েছে। পুরনো সভ্যতার প্রতি তার রয়েছে প্রবল একটা আকর্ষণ। সে খুজে বেড়ায় সেই সব জিনিশ যা আজও মানুষের কাছে অজানা। তবে তার কাছে দলগত ভাবে কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত ভাবে কাজ করাটা বেশি আনন্দদায়ক বলে হয়। এতে নিজের অর্জন কে বড় করে দেখার সুযোগ সবচেয়ে বেশি।
.
ঘটনা চক্রে সে জানতে পারে গ্রীসের এক মন্দিরে তলদেশে কিছু লুকানো আছে। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে সে যাত্রা করে। তার ইচ্ছে এবার যেভাবেই হোক তার গুপ্তধন হোক বা হাজার বছরের সভ্যতা খুজে বের করতেই হবে।
.
এই দিকে সায়মন আবার প্রায় প্রায় মাঝে মধ্যে এক দুঃস্বপ্ন দেখে সায়মনের ঘুম ভাঙ্গে, এক নারীর আর্তনাদে অশান্ত হয়ে যায় তার ভেতর টা। কে এই নারী? কেন সে তাকে বাঁচাতে চায়, খুব আপন লাগে এই নারী কে সায়মনের। অন্যদিকে প্যাগান মন্দিরের তলদেশ থেকে কে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে সায়মন কে।
.
সায়মন তবুও পিছ পা হয় না। তাকে বের করতেই হবে এই ঘটনার শেশ। অনেক কষ্ট করে সেই মন্দিরের তলদেশ থেকে উদ্ধার করে এক বক্স। সেটা খুজে শেষ পর্যন্ত সে খুজে পায় এক দরজা। কিন্তু সে দরজা আসলে কিসের তা ঠিক করে বুঝতে উঠতে পারে না। অপর দিকে সে তিন তীর বিদ্ধ একটা কঙ্কাল খুজে পায়। কারন সে জানে না। কিন্তু এ রহস্যের শেষ কোথায়?
.
সময় – জুলিয়াস সিজারের
.
ইসাবেলা আর তার বাবা বনে কিছুটা পাহাড়ের উপর একটা কুটিরে থাকে। ফল বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে। এর মধ্যে বাবা অসুস্থ হয়ে পরে তাই ফল বিক্রি করতে না পারায় টোবাইয়াস নামক একজনের কাছ থেকে চার দিনারি ধার নেয় চড়া সুদে। সেটি দিতে না পারায় ইসাবেলাকে ধরে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু তখন সেখানে হাজির হয় সায়মন। অনেকটা দেবদূতের মতই সে তাদের সায়মন এসে হাজির হয়। যদিও সে পুরোটা শোধ করতে পারে না। কিন্তু ইসাবেলার সম্মান বাচায়। কারণ সে রাজ চিত্রকর। কিন্তু ইসাবেলার পিতাকে সে বাচাতে ব্যর্থ হয়।

অন্য দিকে রোম তখন উত্তাল হয়ে পরেছে। জুলিয়াস সিজারের কে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্বাঘাতকতায় জ্বলছে পুরো নগরী। তবুও থেমে নেই জীবন। কিন্তু কে করল এই হত্যা কান্ড। কে শুরু করেছে এই কঠিনতম অধ্যায়। আর কোথায় যেয়ে শেষ হবে?
.
অপর দিকে সায়মান ফিরতে চাইছে নিজ ঠিকানায়? গ্রীসে তার ফিরতেই হবে। পিছুটান তাকে ছাড়ছেই না। আবার সাথের মানুষটিকে ছেড়েও যেতে পারছে না। কোন এক জালে আটকে পরেছে সায়মান। তাহলে এটাই কি ইন্দ্রজাল?
.
পাঠ প্রতিক্রিয়া/পর্যালোচনাঃ

আমি সাধারণত রোমান্টিক লেখা পড়ি না। আসলে প্রেম রোমান্স বিষয়টি আমাকে টানে না। কেন জানি মনে হয় আমি পড়লে আর ভাল লাগবে না। তবে ইন্দ্রজাল আমাকে কিছুটা হলেও সেই জায়গা থেকে সরিয়ে এনেছে। যদিও আমি বইটির নাম দেখে কিনেছিলাম। সেখানে কিছুটা আশাহত বলা যেতে পারে। কারণ ইন্দ্রজাল নামের ক্ষেত্রে আমি কিছুটা থ্রিলার রহস্য বা এডভেঞ্চার ভেবে ছিলাম। যদিও আমার মনে রাখে উচিত ছিল “Don’t judge a book by its cover”। তারপরও বই আমার কাছে বেশ ভাল ই লেগেছে।
.
তবে এখানে কিছুটা না বললেই নয় যে সায়মন একাই গল্প টেনে নিয়েছে। যে আমার কাছে মনে হয়েছে একটু বেশি কি বলা যায় সুপার হিউম্যান বলি। তার সাপোর্টিং এ যারা ছিল তাদের চরিত্র গুলো অনেক বেশি দুর্বল। বিশেষ ভাবে ইসাবেলার চরিত্র। আরও একটু শক্ত হওয়া উচিত বলে দরকার ছিল। তাছাড়া সায়মন যে ইতিহাস জানে সেখানে তার স্থান নেই বলেই ধরে নিয়েছি। তবে সেও ইতিহাসের একটা অংশ হয়ে যেতে পারত বলে আমার মনে হয়েছে। আর ইসাবেলার কি হয়েছে বা কি হবে সেটাও একটা রহস্য হয়েই থাকল।
.
যেহেতু ঘটনা ইতিহাস আশ্রিত তাই বর্ননা একটু বিস্তার হলে ভাল হতো তবে সেক্ষেত্রে লেখার ধারা কিছুটা হলেও ব্যহত হতে পারত। সংক্ষেপে একদম ঠিক জায়গাতেই গল্প শেষ হয়েছে। এটা অবশ্যই একটা দারুণ ব্যাপার।
.
লেখিকার নাম আমি প্রথম শুনেছি কোন একটা বইয়ের গ্রুপে এবং তার প্রথম বই “এ মিস্ট্রি অব ফোর্থ সেঞ্চুরি” নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল সেটা জানতে পারি। এর অনেক পরে গিয়ে আমি এই সিরিজের দুটি বই কিনি। তবে ইন্দ্রজাল সবার আগে পড়া হয়েছে। লেখার ধরণ এবং সেই সাথে গল্পের কাহিনী বিন্যাস ভাল লেগেছে।
.
তবে প্লট অনুযায়ী সম্ভবত গল্পটি আরও সুন্দর হতে পারত। তবে লুপের মধ্যে কি আছে সেটা রহস্য থাকুক। সিরিজের দ্বিতীয় বইটি থেকে জেনে নেয়া যাবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটা বই পড়েছেন।
এই লেখিকার আরেকটা বই আছে ''রক্ততৃষ্ণা'' নামে। সেটা পড়েছেন। দারুন রহস্য পুরো পাতা জুড়ে।

২| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: বইটা পড়া হয়েছে । আপনার রিভিউয়ের সাথে একমত । আরও ভাল হতে পারতো !

সিরিজের দ্বিতীয় বইটা এইবার কিনেছি মেলা থেকে । পড়া শুরু করবো কররো করা হচ্ছে না ।

৩| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ২:১৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সাইন্স ফিকশন আমার পছন্দের বিষয়।

৪| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩৬

মামুন৬৬৬ বলেছেন: লেখিকার লেখাগুলো ভালো লাগে।সুন্দর রিভিউ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.