নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে জানতে চাই,ছুটে চলেছি অজানার পথে,এ চলার শেষ নেই ।এক দিন ইকারাসের মত সূর্যের দিকে এগিয়ে যাব,ঝরা পাতার দিন শেষ হবে ,আর আমি নিঃশেষ হয়ে যাব ।

অপু দ্যা গ্রেট

গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

অপু দ্যা গ্রেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন কমিউনিস্টরা শোষিত ও নিপীড়িতদের বন্ধু বা নেতা হতে পারে না?

৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৩৩



কমিউনিষ্ট পার্টি গঠনের পর থেকে আজ পর্যন্ত যত বিপ্লবী, যত নিষ্ঠার সাথে যত ত্যাগ করেছে, মানুষের ওপর মানুষের লুন্ঠন নিপীড়নের বিরুদ্ধে যত লড়াই করেছে করেছে, যত জেল-জুলুম-গুম-খুন-নির্যাতন হজম করেছে, যত সুযোগ-সুবিধা ও আপোস-প্রলোভন ঘৃণা ভরে উপেক্ষা করেছে, তার দ্বিতীয় কোন নজির আমাদের ইতিহাসে নেই বললেই চলে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাদের এইসব ত্যাগ-তিতিক্ষা যাদের মুক্তির জন্য, সেই নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত মানুষদের কাছে কমিউনিস্টরা, তাদের রাজনৈতিক বন্ধু ও নেতা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি।

বইঃ রাষ্ট্র সংস্কারের রাজনীতিঃ তাত্ত্বতিক ও ব্যবহারিক দিক
লেখকঃ হাসনাত কাইয়ূম

উপরে লেখাটি পড়ার সময় আমার নিজের ভেতর একটি প্রশ্ন জেগেছে। সত্যিকার অর্থেই কেন কমিউনিস্টরা যাদের জন্য লড়াই করেছে তাদের নেতা বা রাজনৈতিক বন্ধু হতে পারেনি। এই প্রশ্নটি যদি এখন কমিউনিস্ট কাউকে করা হয় তখন তিনি কি জবাব দেবেন সেটা দেখার একটি বিষয়। কারণ যুক্তি খন্ড অবশ্যই রয়েছে।

যদিও বামপন্থী বা কমিউনিস্টদের কথা যদি বলি তাদের আন্দোলনের যেই ধরন সেটা এখনও সেকেল বা পুরাতন রয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়। এখন আসলে আন্দোলন বা লড়াই বেশ আধুনিকায়ন হয়েছে। সেই হিসেবে দেখা যায় যে তারা এই দিকটাকে একটু এড়িয়ে যাচ্ছেন। এখন শুধু তাত্ত্বিক আলোচনা দিয়ে যুদ্ধ জয় করা সম্ভব নয়।

গণতন্ত্র ও কমিউনিস্ট দুটো পুরো আলাদা বিষয়। কিন্তু ভেবে দেখুন দুজনের মুল জায়গা এক সেটা হচ্ছে জনগণ বা প্রজা। দুই ধারার মুলনীতিতে জনগণ রয়েছে। শুধু মাত্র প্রয়োগের দিক থেকে দু ধারা আলাদা। এখন সমস্যা হচ্ছে কমিউনিস্টরা তাত্ত্বিক দিক থেকে যতটা নিজেদের শক্ত বা স্ট্রং মনে করে। বাহ্যিক দিক থেকে আসলে সেটা কিন্তু স্ট্রং না।

আমার নিজের কোন মতামত যদি বলা হয়, তবে কমিউনিস্টরা সবার কথাই ভাবে আবার সবাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে। সেটা অন্য আলোচনা। আমাদের কথা হচ্ছে কমিউনিস্টরা কেন তাদের বন্ধু বা নেতা হতে পারে না এই বিষয়টি নিয়ে কি তারা কখনও ভেবে দেখেছে। তারা কি আদৌ তাদের ভেতর সেই আদর্শ মতবাদ তৈরি করতে পেরেছে যারা তাদের অনুসরন করছে। নাকি তারা শুধু বইপত্র ও তাত্ত্বিক জ্ঞানের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে।

এখানে উল্লেখ করা মত বিষয় হচ্ছে হালের কমিউনিস্টরা আসলে কমিউনিস্ট সম্পর্কে কতটুকু জ্ঞান রাখেন। অথবা তারা তাদের আদর্শ মতবাদ কে কতটা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তারা কি নেতা হতে পেরেছেন? তারা কি সেইসব নিপীড়িত মানুষকে এক জায়গাতে একই ছায়াতে আনতে সক্ষম হয়েছেন? তাদের ভেতর কি শোষিত মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবার মত শক্তি সঞ্চার করেছেন?

আসলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যদি দেখা যায় কমিউনিস্ট আসলে হাতে কলমে ও খবরের কাগজের পাতাতেই সীমাবদ্ধ। এর কারণ অবশ্য অনেক সেগুলোর দিকে আমরা না থাকলেও চলবে। কিন্তু আদৌ কি তাদের ভেতর শোষিত নিপীড়িত মানুষের জন্য পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবার যে সাহস ও উদ্যম কাজ করার কথা সেটি কাজ করছে?

আমি আমার কোন আদর্শ বা মতবাদ প্রচার করছি না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে সেই শুরু কথা শোষিত মানুষ কেন কমিউনিস্টদের সাথে যুক্ত থাকতে পারছে না বা তারা কেন তাদের আদর্শকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ব্যর্থ।

এখানে প্রশ্ন আসতে পারে তার এত সব ভেবে কাজ করেন না। কেন করেন না? এসব তো ভাবতে হবে। কারণ মানুষ তো আর শুধু মুখের কথায় তো আর বিশ্বাস করবে না। তাদের জন্য কাজ করতে হবে, তাদের সংঘবদ্ধ করতে হবে। লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। তাদের কে বুঝাতে হবে মুক্তির পথ কোনটি। কিভাবে মুক্তি আসবে। কেন মুক্তি দরকার।

এখানেই সম্ভবত তারা মার খেয়ে গিয়েছেন। কারণ তারা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন আমরা তোমাদের ভালর জন্য করছি। সমাজের জন্য করছি। সমাজের শৃংখলার জন্য করছি। এসব কারণ গুলো আসলে কর্মের মাধ্যমে বোঝানোর বিষয়। তবে আমরা উপনিবেশ থেকে বের হবার পরও নিজেদের ভেতর কোন পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারিনি।

আমাদের ভেতর শোষিত হবার একটা প্রবঞ্চনা রয়ে গিয়েছে। আমরা অভ্যস্ত হয়ে পরেছি শোষিত ও নিপীরিত হবার জন্য। এখন এটা আমাদের রক্তের সাথেই মিশে গিয়েছে। তাই আমরা চাই আমাদের কেউ আধিপত্য বিস্তার করে চলুক। আমরা তাদের বা তার নিচে পরে থাকব। এই ব্যাপারটি আমাদের আদি যুগ থেকেই চলে আসছে। হয়ত এজন্য আমাদের ভেতর শোষিত হবার যে ব্যাপারটি সেটি অনুধাবন হয় না।

এখন দেখার বিষয় হচ্ছে কমিউনিস্টরা কি আদৌ তাদের এই জায়গাকে পরিবর্তন করতে পারবে?

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: দিন শেষে সবাই চিন্তা করে নিজের পকেট ভরলো কি না। যে যে পন্থায় নিজের পকেট ভরতে পারে, তার কাছে সেই পন্থাই শ্রেষ্ঠ!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এখন সবাই পেটনীতিতে বিশ্বাসি। নিজের পকেট ভারী হলেই হল। কে কি করল সেটা কেউ দেখে না।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ এবং ভারতে এখন আপনি কোনো কমিউনিস্ট খুঁজে পাবেন না। কমিউনিস্টরা কখনও কিছু করতে পারেনি। অথচ তাদের আন্দোলন মহৎ বিষয় নিয়ে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আসলে তারা কেমন কমিউনিস্ট বা তারা কি আন্দোলন করছে হয়ত তারা নিজেরাও জানে না।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: মার্ক্স বাদের মৌলিক নিয়ম হলো বাস্তব অরস্থার বাস্তব বিশ্লেষণ।যেটা বামপন্থি দলগুলো করতে পারে নাই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আসলে বামপন্থি বলি আর কমিউনিস্ট তারা তাত্ত্বিক জ্ঞানকে ব্যবহারিক ভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ অথবা তারা জনগণ কে বুঝাতে ব্যর্থ যে তারা আসলে কি চাচ্ছে।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগার কামাল১৮ একজন পুরানো কমিউনিস্ট। উনি এক লাইনে না বলে আরেকটু ব্যাখ্যা করে বললে আপনার পোস্টের অনেক প্রশ্নের জবাব হয়তো পাওয়া যাবে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমি আশা করব উনি এটা নিয়ে অনেক বড় একটি বিশ্লেষণ ধর্মী ব্লগ লিখবেন।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দ্বন্দ্ব মূলক বস্তবাদ অথচ সেই দ্বন্দ্বটা বড় ঘোলাটে। তবে গনতন্ত্রের মানসকন্যা যদি পশ্চিমবঙ্গের হাওয়াই চটি রানী হন,যিনি ভাইপোকে মাত্র চৌদ্দ হাজার কোটি টাকার গরু, কয়লা,বালি,নিয়োগ দূর্নীতির সু্যোগ করে ধোঁয়া তুলসী পাতা হয়ে গেছেন কিম্বা মোদিজী নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের সপরিবারে নির্মুল করার মহান ব্রত নিয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে মুসলিম নিধন যজ্ঞ কর্মসূচি যথাযথ পালনের জন্য ভারতের আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রজেক্ট করছেন, সেরকম গনতন্ত্রের নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের চেয়ে কম্যুনিস্ট অনেক কাম্যের অনেক মানবিক।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এটা অবশ্য আপনি ঠিক বলেছেন। কমিউনিস্টরা সাম্যবাদী হবে বলেই আমি ধারণা করছি। তারা এসব পক্ষপাতী না করে জনগণ ও দেশ নিয়ে বেশি ভাববেন বলেই আমার ধারণা। সমস্যা হচ্ছে জনগণকে এই দিকে নিয়ে আসা যাচ্ছে না। কারণ তারা আসলে বিষয়টি অনুধাবণ করতে পারছে না। আবার কমিউনিস্টরাও এক জোট হতে পারে না। তারা নিজেদের মত করে সব কিছু ব্যাখ্যা করে আলাদা আলাদা দল তৈরি করেছে।

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: @সাচু,আবার এক লাইনেই বলি।মার্ক্স বাদের আরেকটা শিক্ষা হলো,ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করা।এরা সেটা করেনাই।এরা ভুলকে আকড়ে ধরে আছে।
যখন দেশের স্বাধীনতা দরকার তখন তারা শুরু করেছে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন।সেখান থেকেই ভুলের শুরু।
বিস্তারিত বলতে গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে।আমি ৬৮ থেকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত।ভুল বুঝতে পেরে আন্দোলন থেকে সরে আসছি,আদর্শ থেকে সরিনাই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এই যে ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া এটাই সবচেয়ে বড় দরকার ছিল। কেউ আজকাল ভুল থেকে শিক্ষা নেয় না। অথবা সেটা শোধরানোর চেষ্টা করে না।

সব কিছুই তারা নিজেদের মত করে ব্যাখ্যা করতে চায়।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,





আমার মনে হয় , কমিউনিস্টরা শোষিত ও নিপীড়িতদের বন্ধু বা নেতা হতে পারে নি এই কারনে যে; তারা জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেনি বা তেমন চেষ্টাও করেনি। তারা শুধু তত্ত্ব আউড়ে গেছে প্রয়োগিক দিকটিতে সম্পূর্ণ উদাস থেকেছে। পাজামা-খদ্দরের পাঞ্জাবী পরে বই-পুস্তকেই মজে থেকেছে, লুঙ্গি-গামছা কাছা দিয়ে প্রলেতারিয়েৎদের জন্যে মাঠে-ঘাটে-বাটে হাতে কলমে কাজে নামেনি। :| :P

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এই যে মাঠে ঘাটে বাটে নামার ব্যাপারটা এটা তারা আজও করেনি এমন নয়। একটা সময় কিন্তু কমিউনিস্টদের দাপট ছিল। তারা তাত্ত্বিক থেকে প্রয়োগিক ছিল। সেটা আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বেশ ভাল ভাবে দেখেছি। এছাড়া দেশ ভাগ ও অন্যান্য বিষয়ে তাদের অংশ গ্রহণ ছিল দেখার মত। এই যে অংশ গ্রহণে ব্যাপার, আজকাল এটাই দেখা যায় না।

তারা নিজেদের মতবাদকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ব্যর্থ। তাদের কথা তারা মিডিয়া পাড়াতেই সীমাবদ্ধ রেখেছে। তারা মানুষের কাছাকাছি যেতে পারেনি।

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫১

সোহানী বলেছেন: আমি কমিউনিস্টদের বিচ্ছিন্ন হবার পিছনে তাদেরকে এককভাবে দায়ী করবো না। এটা সম্মীলিত যড়যন্ত্র।

পূজিঁবাদ আমাদের মগজে, মননে, রন্দ্রে রন্দ্রে ঢুঁকে গেছে। এর থেকে পরিত্রান অসম্ভব। কিসের দেশ, কিসের দশ,........ খাও দাও ফূর্তি করো। দরকার হলে অন্যের সম্পদ লুট করে আনন্দ করো। আনন্দই জীবন............

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩০

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



এই যে পুজিবাদ। কমিউনিস্টদের এদের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হবে। ক্যাস্ট্রো দেখিয়ে গিয়েছেন কিভাবে কি করতে হবে। চাইলে সম্ভব কিন্তু সেটা ঘরে বসে নয়। আমাদের কমিউনিস্টরা স্যোশাল মিডিয়া ও ক্যামেরার সামনে ছাড়া আর কোন কাজ করতে পারে না। যদি পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও রাজনৈতিক কিছু ব্যাপার থাকে। কিন্তু তাদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে তারা একাত্ব করতে পারেনি। এটাই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশের কমিউনিস্টদের ত্যাগ তিতিক্ষা আদর্শ ঐ বই পুস্তক পর্যন্তই । এখন সেটা ফেসবুক কিংবা ব্লগ পর্যন্ত !

আমাদের দেশের কমিউনিস্টদের কী যে অবস্থা এবং তাদের মানুষ কেন পছন্দ করে না, তা আমাদের ব্লগের কামাল১৮ সাহেবকে দেখলেই বোঝা যায় !

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আসলে আমাদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে আমরা জনগণ কে একাত্ত করতে পারিনি। কমিউনিস্টরা তাত্ত্বিক দিকে বেশি লক্ষ্য রাখতে গিয়ে মুল জায়গা থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পেরছে। তারা জনগণে ভেতর সেই স্বত্তা জাগিয়ে তুলতে ব্যর্থ।

১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,




আমি কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকে বর্তমান কালের প্রেক্ষাপটে বামপন্থীদের কথাই বলেছি। বৃটিশ আমলের বামপন্থীদের কথা বলিনি।

বাম নেতারা যখন জনগণের কাতার ছেড়ে পুঁজিবাদী সরকারে ঢুকে পড়ে তখন তাদের অন্তরের ক্ষমতার মোহই প্রকাশ হয়ে পড়ে। এদের কারনেই বাম আদর্শে (কম্যুউনিজম) আপনি আর ইহজন্মে কাউকেই টানতে পারবেন না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এটা একদম সঠিক। আসলেই বর্তমান পরিস্থিতি সেটাই বর্ণনা করছে। মুখে কমিউনিজম বললেও বাস্তবে সেটার প্রয়োগ নেই।

১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সব রাজনৈতিক দলের একটাই উদ্দেশ্য আর তা হচ্ছে, জনগণকে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছানো। নীতি নৈতিকতা এসব মুখের বুলি মাত্র।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এটা অবশ্যই সত্য। তবে কমিউনিস্টরা কিছুটা হলেও হয় জনগণে কথা ভাববে এটা আমার ধারণা। কারণ তারা বেশির ভাগ সময় অনেক কষ্ট করে উপরে উঠে আসে। আমি কিউবার দিকে যখন তাকাই শুধু চিন্তা করি কিভাবে আমেরিকার চোখ রাঙিয়ে তারা কমিউনিজম প্রতিষ্টা করেছে।

১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


ধন্যবাদ ভাই। আপনার সাথে একদিন চা খাবো।

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কমিউনিস্টরা থাকে আকাশে জনগণ মাটিতে; এই হলো সমস্যা। এছাড়াও ধর্মীয় ব্যাপার আছে। পুঁজিবাদের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার ব্যাপারটা না হয় নাই বা বললাম।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আসলে ধর্মীয় ব্যাপারটা আলাদা। যদিও অনেকেই এটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তবে হ্যা আমাদের কমিউনিস্টরা যে উপরে উঠে থাকে সেটা সত্য। তারা রাস্তায় কখনই জনগণ কে এক করতে পারেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.