নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বল বীর... চির উন্নত মম শির...

অর্থীঅর্ণব২৮২২

শিখরে উঠিয়াও পতনের হুঙ্কার

অর্থীঅর্ণব২৮২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দশ বছরের টুকরো মুহুর্তগুলো.... (অখন্ড)

১২ ই মে, ২০১২ সকাল ১১:১৬

এর আগে পাঁচ পর্বে দিয়েছিলাম আমার এই লেখাটি.... এবার একসাথে দিলাম... অখন্ড রিপোস্টও বলা যেতে পারে... যারা আগেই পড়েছেন তাদের বিরক্তির জন্য দুঃখিত.....







ঠিক দশ বছর আগে পা রেখেছিলাম রাজধানী শহর ঢাকায়। পড়াশুনা-চাকরী আর ঢাকা-রাজশাহী মিলিয়ে দেখতে দেখতেই কেটে দশ বছর। তার থেকেই কিছু স্মৃতিচারণ....



কলেজ গেইট। একটা দুরপাল্লার বাসের কাউন্টার। তখন বাজে ভোর সাড়ে চারটা কি পাঁচটা। কাউন্টারের বাইরে দাঁড়িয়ে দেখছি সোডিয়াম লাইটের আলোয় সাঁ সাঁ করে ছুটে চলেছে বাস-ট্রাক। অপেক্ষা করছি আলো ফোটার। বাবা বলছে আলো না ফুটলে বের হওয়া যাবে না, ছিনতাই হতে পারে। আরো বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে, সোডিয়াম লাইটগুলো যখন নিভে গেলো বাবার সাথে রিক্সায় উঠলাম ফুপুর বাসার উদ্দেশ্যে।



যেদিনের কথা বলছি, সেদিন ছিলো পহেলা মে’ ২০০২। ঠিক তার আগের দিন শেষ হয়েছে আমার এসএসসি পরীক্ষার শেষ প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা। সেই রাতেই বাসে উঠি ঢাকার উদ্দেশ্যে। তখনও চালু ছিল কলেজে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষা আর তার জন্য কোচিং। আমারও উদ্দেশ্য ছিল ঢাকার ভালো কোন কলেজের ছাত্রত্ব পাওয়া।



জীবনে প্রথমবারের মতো মেসে থাকা। বাড়ির বাইরেও এই প্রথম, তাও আবার ঢাকা শহরে। প্রথম কয়েকদিন কিছুটা আতঙ্কে কাটলেও ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যেতে লাগলো সব। লাল নীল বাতি দেখে পরান জুড়াতে লাগলো। সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে কোচিংয়ে একঘন্টা কাটানোর পর আর কোন কাজ নেই।







চিঠি লেখার প্রচলন ছিলো তখনও। বাবা-মাকে চিঠি লেখা ছিলো একটা রুটিন। শুধু বাবা-মা নয়, চিঠি লিখতে হতো বন্ধু-বান্ধবদেরও। আসতোও অবশ্য প্রচুর....



লাফ দিয়ে চলে যাই, যেদিন নটরডেম কলেজের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট বেরুলো। পরীক্ষা কেমন হয়েছিল জানিনা, চান্স পেলাম না। দারুণভাবে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। একটু বেরিয়েছিলাম বাইরে। ফেরার পথে দূর্ঘটনার শিকার হলাম, একটুর জন্য একটা কারের তলায় যায় নি মাথাটা। সেই দূর্ঘটনা আর মনে করতে চাই না।...



শেষমেষ ভর্তি হলাম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। শুরু হলো আরেকটা অধ্যায়। প্রতিদিন জিগাতলা থেকে কলেজ করা... ওফফফফফ.... ফার্স্ট ইয়ারের শেষের দিকে চলে এলাম কচুক্ষেতে... তিন বন্ধু মিলে....



কলেজের দিনগুলো কীভাবে কাটলো বুঝে ওঠার আগেই দেখি এইচএসসি পরীক্ষা ঘরের ভেন্টিলেটার দিয়ে উঁকি মারছে। ধাক্কা টাক্কা খেয়ে আরম্ভ করলাম পড়াশুনা। দেখতে দেখতেই চলে এলো পরীক্ষা। বিএন কলেজের দুঃসহনীয় পরিবেশে পরীক্ষা দেয়ার যে কী পেইন, তা কেবল যে দিয়েছে সেই জানে... নকলের খোঁজে শুধু আমাদের ভেতরের কাপড়-চোপড় খুলতে বাকী রাখতেন সম্মানিত(!) শিক্ষকবৃন্দX((X((X((X((X((X((



যাই হোক, পরীক্ষাও শেষ হলো। এরপরের আবারো কোচিং যুদ্ধ। ততদিনে শিফট করেছি মালিবাগে। সেখান থেকে দোতালা বাসে (যেগুলো এখন আর নেই) ঝুলে ঝুলে ফার্মগেটে কোচিং....



আবারো যে কী সেই। কোচিং ছাড়া বই খুলে দেখার কথা মাথায় আসতো না। আড্ডা আর আড্ডা। আনলিমিটেড আড্ডা.... এইচএসসি পরীক্ষার সময়ই কী জানি মনে হওয়াতে পরীক্ষা দিয়েছিলাম মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে... মালিবাগের বাসাতেই একদিন এলো ভাইবার কার্ড....







ভাইবার তারিখ দেরীতে ছিলো। সেই সুযোগে বাংলাদেশ আর্মির কমিশন্ড অফিসারের জন্য অ্যাপ্লাই করলাম। কযেকদিনের মধ্যেই ডাক পড়লো প্রিলিমিনারি’র জন্য। ছুটলাম সৈয়দপুর। প্রিলি দিতে গিয়ে দেখি সব বন্ধুরাই (ফাজিল গ্রুপ) আছে। আর্মির এতো বাধা নিষেধ কী আর আটকাতে পারে আমাদের ফাজলামো? যাই হোক, ভালোভাবেই শেষ হলো প্রিলি... ঐ দিনই জানিয়ে দেয়া হলো রেজাল্ট। মোটমাট ৩০জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিলো... বলাই বাহুল্য বন্ধুরাই বেশি ছিলাম সংখ্যায়... আমার নামটাও ছিলো...



কয়েকদিন পরেই বসলাম লিখিত পরীক্ষা দিতে। তারপর আবার ঢাকা ছুট.... অনেক কাজ। ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি কোচিং, মেরিনে ভাইভার প্রস্তুতি আরো ম্যালা কিছু.....



এইচএসসি’র রেজাল্ট বেরুলো। আজীবনের ভয় কেমিস্ট্রিতেই খেলাম ধরা। আবারো একবার আশাভঙ্গ। কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি আমাকে তাদের করে নিতে রাজী হলো না। অবশেষে দারস্থ হলাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের। রক্ষা করো হে ক্যাম্পাস.... একে একে চললো ভার্সিটিগুলোতে পরীক্ষার পালা। খুলনা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর তারপর ঢাকা।



খুলনাতে হলো আরবান ডেভলপমেন্টে আর রাজশাহীতে পেলাম গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায়। বাসার চাপে যাওয়া হলো না খুলনায়। শেষমেষ ভর্তি হলাম রাজশাহীতে। ভর্তির পরপরই তারিখ পড়লো আইএসএসবি’র। (এর কিছুদিন আগে রেজাল্ট হয়েছিলো, বাংলাদেশ আর্মির লিখিত পরীক্ষার। সৈয়দপুর থেকে সুযোগ পেয়েছিলাম দু’জন। আমি আর আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু সোহেল।)



আবার ছুট ঢাকায়। রেজাল্টের পর ভর্তি হয়েছিলাম আইএসএসবি কোচিংয়ে। এবার সেই কোচিং এর শিক্ষা কাজে লাগানোর পালা। সক্কাল সক্কাল পরিপাটি হয়ে পৌঁছুলাম আইএসএসবি গ্রাউন্ডে। অনেক ঘটনা এবং উত্তেজনার পর ঐদিনই লাঞ্চের পর আউট। কী কারণে, কে জানে। একজন অফিসার বললেন, স্যরি জেন্টলম্যান, নেক্সট টাইমX((X((X((X((





বুঝলাম, কপালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। তখনো বুঝিনি কতো সুন্দর এই ক্যাম্পাস। ফিরলাম সবুজ মতিহারে। ফিরলাম প্যারিস রোডে। ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছিলো কয়েকদিন আগেই। আমিও পরিচিত হতে শুরু করলাম ধীরে ধীরে। আবার নতুন মানুষ, নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ।



তৃতীয় দিন আড্ডা দিচ্ছিলাম টুকিটাকি চত্বরে, নতুন বন্ধুদের সাথে। ফটোকপির দোকানে দেখা হলো স্কুলের এক বড় ভাই, শাওন ভাইয়ের সাথে। জিজ্ঞেস করলাম কোথায় পাওয়া তাকে? “মমতাজউদ্দিন কলাভবন, প্রতিদিন ৫টা থেকে ৯টা।’’ ঐ দিন যাওয়া হলো না। গেলাম পরদিন।



জানতাম থিয়েটার বলে একটা শব্দ আছে, কিন্তু এর ব্যাপকতা নিয়ে কোন ধারণাই ছিলো না। শুরু করলাম শাওন ভাইয়ের হাত ধরে। আর শুরুটা হলো মঞ্চনাটক দিয়ে, সামনে না, থাকলাম পেছনে। ২০০৫ এর এপ্রিল, পা রাখলাম আরেক জগতে।:):):):):):)



মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইভাটা আর দেয়া হলো না। পরিবারের কোন সদস্যই রাজী ছিলো না সাগরে পাঠাতে। আমিও বোঝাতে পারিনি আমার যাওয়ার পক্ষে যুক্তিগুলো। /:) /:) /:) /:)



ফিরে তাকানোর অবসর ছিলো না। থিয়েটারের সাথে জড়িয়ে পড়ায় সুযোগ পেলাম না রাজনীতি করার, সুযোগ হলো না বান্ধবীদের হলের সামনে বিকেলটা কাটানোর। প্রথম অভিনয় করলাম কালের পাথর নামের একটা ইম্প্রুভাইজেশন নাটকে। সময় বয়ে যেতে লাগলো হু হু করে। শেষ হয়ে গেল ফার্স্ট ইয়ার। পড়ালেখাটায় ছিলো ড্যাম কেয়ার....



তারপরও কোনরকমে কিছু নোট সংগ্রহ করে বসলাম পরীক্ষা দিতে। জীবনে প্রথম চারঘন্টার পরীক্ষা। প্রথমে তো মাথায়ই ঢুকছিলো না ক্যামনে কী হবে। পরে দেখলাম, নাহ, ততটা কঠিন না বিষয়টা।....





লেখাপড়ায় যতখানি মনোযোগ দিয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি মনোযোগী ছিলাম থিয়েটারে। সেকেন্ড ইয়ারে জায়গা পেলাম কমিটিতে। “এসোসিয়েশন ফর কালচার এন্ড এডুকেশন”- এস্ এর সাংগঠনিক ও প্রচার সম্পাদক। একই সাথে অভিনয় আর সাংগঠনিক কাজ। বড় ভাইদের সহযোগিতায় শিখছিলাম দুটো কাজই একসাথে।... ধীরে ধীরে পরিসর বাড়তে লাগলো। “অথ স্বর্গ বিচিত্রা” নাটক করে পরিচিত হলাম খ্যাদা কোদালী নামে... :P :P :P :P



সেকেন্ড ইয়ার ফাইনালে দুম করে রেজাল্ট ভাল হয়ে গেল। ফার্স্ট ক্লাস পাইনি নি কিন্তু সবার মধ্যে তৃতীয় হলাম। নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না। কারণ পড়াশুনাতো ঐ পরীক্ষার আগের রাতে। কিছু বন্ধু-বান্ধব যেমন খুশি হলো, নাখোশও হলো তেমনি।...



থার্ড ইয়ারে এসে শুরু হলো সেশন জট। আমার সুবিধাই হলো তাতে। আরো বেশি মনোযোগ দিতে পারলাম থিয়েটারের দিকে। ধীরে ধীরে থিয়েটারই হয়ে উঠলো আমার সবকিছু।... পুরস্কার হিসেবে পেলাম আরো বড় দায়িত্ব- সাধারণ সম্পাদকের।



আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলার প্রতিবাদে যে আগুন জ্বলেছিলো তার সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। ২২শে আগস্ট উত্তপ্ত হয়ে উঠলো পরিস্থিতি। ধর্মঘট ডাকলাম সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শুধু যে প্রতিবাদ ছিলো তা নয়, আমাদের প্রক্টর এনামুল হকের (এনিমেল হকে) বিরুদ্ধেও আন্দোলনের শুরু ছিল সেটা। সকাল থেকেই ক্যাম্পাস দখল নিয়ে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন আমি এর আগে দেখিনি। সারা দিন ধরেই চললো আন্দোলন। পুলিশের গুলিতে একজন রিক্সাওয়ালা মারা গেল। বিকেলে মেসে ফিরে দেখি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ করে দিয়েছে সরকারX ... X( X( X( X( সেই সাথে হল-মেসগুলোও খালি করার নির্দেশ। সেই সাথে কারফিউ X( X( X( X( সংগঠনের সবাইকে রাজশাহী থেকে বের করে দেয়া ব্যবস্থা করে আমি আর আমার রুমমেট মিথুন রয়ে গেলাম। মিথুনকে ওর বন্ধুর বাসায় পাঠিয়ে আমি আশ্রয় নিলাম আমার বন্ধুর বাসায়।.... দু’দিন আটকে থাকার পর যেদিন কারফিউ তুলে নেয়া হলো, রাজশাহী ছাড়ার সুযোগ ছাড়লাম না।



এরপরের ঘটনাগুলো হয়তো অনেকেই পত্রিকা বা টিভি মারফত জানেন। ঢাকা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হলো। তারপর শুরু হল তাদের মুক্তির দাবীতে আন্দোলন। শিক্ষকদের পাশাপাশি ১০ জন শিক্ষার্থীকেও পড়তে হয়েছিলো এই রোষানলে।



সেশন জট হয়ে গেল অনেকদিনের। একসময় থার্ড ইয়ার শেষে হল। ফাইনাল ইয়ারে আরো ফাঁকিবাজ হয়ে উঠলাম পড়াশুনায়। মনের ভেতর একটা বিতৃষ্ণা তৈরী হয়েছিল। তাই ডিপার্টমেন্টের বাইরেই সময় বেশি কাটাতে ভালো লাগতো। এ সময় দায়িত্ব পেলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সাধারণ সম্পাদকের। মোদ্দাকথা পড়াশুনা বাদ দিয়ে পুরুদমেই মেতে উঠেছিলাম সাংস্কৃতিক কাজ কারবারে। উপভোগও করছিলাম বিষয়টা। :) :) :) :)



মোটামুটি একটা নিয়মিত রুটিনে চলছিলো দিন। ফাইনাল পরীক্ষার আগ দিয়ে সংগঠন থেকে দ্বিতীয়বারের মত দেয়া হল সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। :) :) :) :)



যাই হোক, দেখতে দেখতে চলে এলো ফাইনাল পরীক্ষা। ঘনিষ্ট দু’একজনের সহযোগিতায় বসলাম পরীক্ষার হলে। পারি- পারি না করতে করতে শেষও হয়ে গেল। তবে প্রথমবারের মতো টের পেলাম ফাঁকিবাজির ফল কী রকম হয়। জানা বিষয়ও ভুলছিলাম নিমিষেই।



আমাদের ডিপার্টমেন্টে একটা সুবিধা ছিলো। মাস্টার্সে ক্লাস করার বিষয়ে ছাড় দিয়ে রেখেছিলেন স্যারেরা। সেই সুযোগটা নিলাম আমি। একমাস পরেই রাজশাহী ছাড়লাম।



ঢাকার বাসে চড়েছিলাম বিকেলে। একঘন্টার মাথায় ফোন পেলাম বন্ধু আসাদের। মাথাটা পই করে ঘুরে গেল। আমাদের প্রাণপ্রিয় বন্ধু “আশিক” নাকি ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে গেছে। খোঁজ নিতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আসাদ নিশ্চিত করলো বিষয়টা। আমাদের ব্যাচের সবচেয়ে ভাল সাঁতারু আশিক সাঁতার কাটতে গিয়ে চিরতরে চলে গেছে আমাদের ছেড়ে। চলে গেছে ১৪ বছরের বন্ধুত্বের অবসান ঘটিয়ে। :( :( :( :( ঢাকায় নেমে রাতটা কাটলো নির্ঘুম। অপেক্ষা একটু আলো ফোটার। আকাশ একটু ফর্সা হয়ে আসলে আর দেরী করলাম না। বাসা থেকে বের হয়ে সোজা গাবতলী। ফরিদপুরের প্রথম বাসটা ধরে পৌঁছুলাম দুপুরে। জোহরের পরে চির বিদায় দিলাম “বন্ধুকে”। এখনও মাঝে মাঝে ডুকরে কেঁদে ওঠে ভেতরটা। :( :( :( :(



ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যেতে লাগলো শোক। শুরু হল চাকরির সন্ধান। অনেক আশ্বাস বাণী পেতে শুরু করলাম বিভিন্নজনের কাছ থেকে। কিন্তু কোথাও কোন কাজ হচ্ছিলো না। প্রতিদিনই আড্ডা হতো কারওয়ান বাজারে। কিন্তু কেউ সুযোগ দিতে পারলো না। হতাশ হয়ে পড়লাম। বাবা-মা’র স্বান্ত্বনায় হতাশা কাটিয়ে আবার নতুন উদ্যমে চেষ্টা।...................... ১৩ মাস বসে থাকার পর অবশেষে এলো সেই সুযোগ। ঢুকে পড়লাম মিডিয়া বিশাল জগতে।....... তারপর থেকে এখন পর্যন্ত পেছনে তাকানোর দরকার পড়েনি।..........



ইউনিভার্সিটিতে থাকা অবস্থায় শখের বশে বানিয়েছিলাম একটা মিউজিক ভিডিও। আশিকুজ্জামান টুলু’র “এই দূর পরবাসে” গানটার সাথে রুমমেট মিথুন আর আমার সংগঠন “এস্”কে নিয়ে বানালাম এটা। সবার জন্য ইউটিউব লিংকটাও দিয়ে দিলাম।........ :P :P :P :P



http://www.youtube.com/watch?v=eUhXuyX_2D0

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.