![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম হল নিয়ন্ত্রণ। যার বিবেক আছে, সে নিজেকে এমনিতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যার বিবেক নাই, তাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
স্থিতিশীল সমাজের জন্য দরকার নিয়ন্ত্রিত মানুষ। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যে কোন দুর্বল মুহূর্তে অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তাই তার ধর্মের দরকার হয়। ধর্ম মানুষকে পরকালের লোভ দেখিয়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
যেমন বিবেকবান মানুষ ঘুষ খেতে পারে না, কিন্তু একজন খারাপ ব্যক্তিকে ঘুষ খাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য ধর্মের দরকার। বলা দরকার যে ঘুষ খেলে পরকালে জাহান্নামী হবে।
একইভাবে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য নর নারীর সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কিছু বিধি নিষেধ থাকা জরুরী। বিবেকবান মানুষ নিজ উদ্যোগেই নিজেকে অবৈধ নারী সংসর্গ বা পরকীয়া বা ব্যভিচার থেকে দূরে রাখে। কিন্তু কিছু মানুষকে ভয় না দেখালে সমাজে অন্যায়গুলো হতে থাকে। তাই ধর্মের দরকার আছে।
এত কিছুর পরেও ধর্মের মূলবস্তুর দিকে কি আমরা খেয়াল করেছি? করি নাই। ইসলাম ধর্ম হোক আর বৌদ্ধ ধর্মই হোক, সব ধর্মের মূল সুর এক- মানুষে মানুষে ভালবাসা, মায়া মমতার বোধ সৃষ্টি করা।
কিন্তু আমরা কি সেটা সৃষ্টি করতে পেরেছি? পারি নি তো। আমরা সবাই ধর্মটাকে আক্ষরিক অর্থে মেনে চলি। নামাজ পড়া, রোজা রাখা সব ফরজ ঠিক আছে। কিন্তু মানুষে মানুষে ভালবাসা সৃষ্টি করা গেছে কি?
আমার বাসার পাশেই মসজিদ, তার পাশেই একটা বস্তি। গতবছর রোজার সময় মসজিদে ১৬ লাখ টাকা খরচ করে এসি বসানো হয়েছে। এই এসি খুব কম সময়ই প্রয়োজন হয়। এই টাকাটা অনর্থক খরচ গেল। মসজিদে মানুষ বড়জোর সারাদিনে ৪ ঘণ্টা সময় কাটায়। এই সময়টুকু একটু গরমে থাকলে কি খুব কষ্ট হত? ১৬ লাখ টাকা বস্তির মানুষগুলোর মাঝে বিতরণ করা যেত না?
এই জিনিসটা কারো মাথায় আসে নাই কেন? কারণ আমরা ধর্মের ভিতরে প্রবেশ করি না।
আমরা সারাদিন চিন্তা করি মেয়েরা হিজাব পরা শুরু করলে কী না ভালো হত, খুচরা নেকি কামানোর জন্য “আল্লাহ আল্লাহ” তসবি জপি, কিন্তু মানুষ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালনের প্রশ্নটা এড়িয়ে যাই সযত্নে।
আমাদের ধর্ম পালনের মূল উদ্দেশ্য পরকালে জান্নাতে একটা জায়গা করে নেয়া, এই ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য নেই আমাদের। ধর্মকে আমরা জীবনপ্রেরনা রূপে পাই নি, পেয়েছি শুধু মুখের বুলি রূপে।
আশে পাশের মানুষের জন্য কোন ভালবাসা নেই, বরং কেউ ভিন্ন মত প্রকাশ করা মাত্রই তার উপর চওড়া হওয়া, এটা তো ধর্ম আমাদের শিখায় না
২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩০
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
অনেক যৌতিক বিষয় যুক্তি দিয়া আলোচনা করেছেন - শেষে ঝেরে কাশলেন না
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৮
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
এর কারণ ধর্ম আংশিক পালন করা।
আপনি তিন বেলা খেতে পারলে প্রতিবেশী ৪০ বাড়ির খবর নেয়ার নিয়ম ইসলামে। তারা তিন বেলা খেতে পেরেছে কিনা। আপনি ধর্ম পালন কারি কে
বলতে পারেন ধর্মকে নয়।
আমি ধর্ম পালন কারি যে কারও উপর কিছুটা হলেও আস্থা রাখতে পারি কারণ সে বেহেস্ত পাওয়ার আশায় হলেও হয়তো ততটা খারাপ হবেনা।কিন্তু ধর্মহীন কাও কে কিসের ভরসায় বিশ্বাস করব?
আপনি কি মনে করেন ধর্ম না থাকলে কোনো সমাজ ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকবে?
ধর্মকে নয় ধর্মের অপব্যহার কারি কে ঘৃণা করুণ।
০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
ইকথিয়ান্ডর বলেছেন: আমি ধর্ম পালন কারি যে কারও উপর কিছুটা হলেও আস্থা রাখতে পারি কারণ সে বেহেস্ত পাওয়ার আশায় হলেও হয়তো ততটা খারাপ হবেনা।কিন্তু ধর্মহীন কাও কে কিসের ভরসায় বিশ্বাস করব?
আসলেই কি তাই? একই ধর্মের লোকেরা কি নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হয় না?
শুধু ইসলাম ধর্মেই দেখেন কত বিভাগ। সুন্নী, শিয়া, কাদিয়ানী- আরও কত কী। কেউই কাউকে মানতে রাজি নয়। অথচ তাদের মধ্যে পার্থক্য কিন্তু খুব বেশীও না। সবাই এক আল্লাহকেই মানে, এক রাসুলেরই উম্মত তারা।
তারপরও একে অন্যের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে।
আপনি কি মনে করেন ধর্ম না থাকলে কোনো সমাজ ব্যবস্থা স্থিতিশীল থাকবে?
অবশ্যই না। আমি লেখাতেই বলেছি,
স্থিতিশীল সমাজের জন্য দরকার নিয়ন্ত্রিত মানুষ। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যে কোন দুর্বল মুহূর্তে অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তাই তার ধর্মের দরকার হয়। ধর্ম মানুষকে পরকালের লোভ দেখিয়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।
যেমন বিবেকবান মানুষ ঘুষ খেতে পারে না, কিন্তু একজন খারাপ ব্যক্তিকে ঘুষ খাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য ধর্মের দরকার। বলা দরকার যে ঘুষ খেলে পরকালে জাহান্নামী হবে।
৪| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৭
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
ওকে কিছু মানুষ মানবতা বাদি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেনা। তারা কি করে ভাবে সবাই তার মতো ভালো মানুষ?
যেখানে ধর্মের কঠিন বিধি নিষেধ থাকা সত্যেও পার্থিব সুখের আশায় মানুষ খুন ধর্শন চুরি করে থাকে।সেখানে ধর্মই যদি না থাকে কি করে ভালো মানুষ বানাবেন মানব সমাজ কে।
ধরুন কেও প্রচারনায় কোরে একজন কে নাস্তিক বানাতে পারলো। সে কি তাকে ভালো মানুষ বানাতে পেরেছে? নব নাস্তিকের কু কর্মের দায় কে নিবে?
তাই কেও যদি নাস্তিক হয়ে থাকে কেনো তা অন্যকে জানাতে হবে।
কেন প্রচারনায় নামতে হবে। কিসের আশায়। কোন পূণ্যের আশায়।
অপার্থিব পূন্যতো তারা বিশ্বাসই করেনা, তার মানে কোন পার্থিব লাভের আশায়। গালিটা ঠিক সেই সময় মূখ দিয়ে বের হয়ে যায়।
৫| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৭
না পারভীন বলেছেন: লাস্টে এসে কি বললেন মাথার উপর দিয়ে গেল ।
০৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
ইকথিয়ান্ডর বলেছেন: দুঃখিত।
লেখাটা আসলে এই লেখারই দ্বিতীয় পর্বের অংশবিশেষ। একটি লেখার অংশবিশেষ। ভুলে এই লেখায় চলে এসেছে। মুদ্রণ প্রমাদ। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২৬
দুরন্ত সাহসী বলেছেন:
ইসলাম ধর্ম হোক আর বৌদ্ধ ধর্মই হোক, সব ধর্মের মূল সুর এক- মানুষে মানুষে ভালবাসা, মায়া মমতার বোধ সৃষ্টি করা।
কিন্তু আমরা কি সেটা সৃষ্টি করতে পেরেছি? পারি নি তো। আমরা সবাই ধর্মটাকে আক্ষরিক অর্থে মেনে চলি। নামাজ পড়া, রোজা রাখা সব ফরজ ঠিক আছে। কিন্তু মানুষে মানুষে ভালবাসা সৃষ্টি করা গেছে কি?
চমৎকার বলেছেন
আল্লাহ মানুষকে ধর্ম দিয়েছেন মানুষের মত মানুষ হতে,আল্লাহর সৃষ্টি সব কিছুকে ভালোবাসতে।পৃথিবীকে মুল্যায়ন করতে,তাকে বাস যোগ্য করে তুলতে।একজন মানুষের যদি পৃথিবীটার মুল্য না বুঝে জান্নাতের মত এত বিশাল বিষয়ের মুল্য সে কিভাবে বুঝবে।
যেমন করে একজন সৈনিক কে সেনানীবাসে উঠানোর আগে তাবুতে রাখা হয় নিয়ম কানুন জানতে বুঝতে যেন সে সেনানীতে সঠিক ভাবে চলতে পারে ঠিক তেমন করেই পৃথিবীটাই আমাদের জন্য তাবু।এখান থেকেই আমাদের সব কিছু শিখে যেতে হবে,নিজের বিবেক জাগ্রত করতে হবে,ভালোবাসতে হবে এই পৃথিবীর প্রতিটা জীবকে,জীবনকে।তবেইনা আল্লাহ মনে করবেন জান্নাতের মত সুন্দর দামি বিষয়টার মর্যাদা আপনি রাখতে পারবেন।
আপনাকে ধন্যবাদ