![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম শান্তি-সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কোনরূপ সহিংসতা,বিবাদের স্থান ইসলামে নেই। ন্যূনতম শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন আচরণকেও ইসলাম প্রশ্রয় দেয় না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন 'ফিৎনা-ফাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ।' (সূরা আল-বাকারা, আয়াত:১৯১)।
আল্লাহ তা‘আলা ঈমানের দাবিদার প্রতিটি মুসলিমকে নির্দেশ দিয়েছেন পরমতসহিঞ্চুতা ও পরধর্মের বা মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে। সহিংসতা তো দূরের কথা অন্য ধর্মের প্রতি সামান্য কটূক্তিও না করার জন্য কুরআনে আল্লাহপাক নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ ইরশাদ করেন, "তারা আল্লাহ তা‘আলার বদলে যাদের ডাকে, তাদের তোমরা কখনো গালি দিয়ো না [সূরা আল আন‘আম, আয়াত: ১০৮]
কোনো বিধর্মীর উপসনালয়ে সাধারণ অবস্থা তো দূরের কথা যুদ্ধাবস্থায়ও হামলা করা যাবে না। কোনো পুরোহিত বা পাদ্রীর প্রতি অস্ত্র তাক করা যাবে না। কোনো উপসনালয় জ্বালিয়ে দেয়া যাবে না। অন্য ধর্মাবলম্বী ও তাদের উপাসনালয়ের ওপর আঘাত-সহিংসতা ইসলামে সম্পূর্ন না জায়েজ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজে মুসলিমদের কাছে অমুসলিমদের কে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে আমানত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
অমুসলিমদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানকল্পে রাসূলুল্লাহর (সা.) নির্দেশ হচ্ছে,
'শোনো, সংখ্যালঘু অমুসলিমরা আমার জিম্মি (আশ্রয়ে)। কেউ যদি তাদের ওপর জুলুম করে, তাদের সাধ্যাতীত কষ্ট দেয় এবং তাদের অধিকার হরণ করে; তার বিরুদ্ধে কিয়ামতের দিন আমি নিজেই অভিযোগ উত্থাপন করব এবং সাক্ষী হবো (কিতাবুল খারাজ, আবু ইউসুফ)।'
শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলাম মানবজাতির পারস্পরিক সামাজিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর অত্যাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। অমুসলিমদের প্রতি কোন অন্যায় আচরণ ইসলাম অনুমোদন করে না।।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলাম এতই সোচ্চার যে, রাসূল (স.) নিজেদের জানমালের পাশাপাশি সংখ্যালঘু অমুসলিম সম্প্রদায়ের জানমাল রক্ষায় সচেষ্ট থাকার জন্য মুসলমানদের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। প্রয়োজনে অমুসলিমদের ইজ্জত-আব্রু ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তার জন্য প্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ অমুসলিম জনগোষ্ঠী ও আল্লাহর বান্দা। ইসলাম সম্পর্কে তারা ভুল বা বিভ্রান্তির শিকার হলে তাদের প্রতি আক্রমণ না করে তাদেরকে মূল সত্য এবং ইসলামের মহানুভবতা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ধর্মের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৫৬)
ধর্মপ্রাণ কোনো মুসলমান কখনো ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করতে পারেন না। বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত সহনশীল। তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় অমুসলিমদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলমানদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব। -আবূ দাঊদ : ৩০৫২
ইসলাম ধর্মে শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু অমুসলিম নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা লাভের অধিকার বিঘ্নিত না হয়।
আসুন আমরা মহানবী (সা.)-এর আচরণ অনুসরণ করি। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মহানবী (সা.)-এর প্রতিটি আচরণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরল ও অনুস্মরণীয় দৃষ্টান্ত। শান্তি-সৌহার্দ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় ইসলামের রয়েছে শাশ্বত আদর্শ ও সুমহান ঐতিহ্য। মানুষ যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও দলমতের অনুসারী হোক না কেন, তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, বিপদ-আপদ থেকে উদ্ধার করা শান্তিকামী মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য।
পরিশেষে ধর্মান্ধ বিপদগামীদের প্রতি আহ্বান হলো, ধর্মের প্রকৃত রূপ জানুন, ধর্মগুরুদের নির্দেশগুলো পবিত্র কোরআন ও রাসূলুল্লাহর (সা.) সুন্নাহর আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ করে পথ চলুন।
বি:দ্র: মদিনা সনদ অনুসারে কোনো লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে, তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না। অপরাধী যে ধর্মেরই হোক না কেন, অপরাধ যে করবে শাস্তি শুধু তারই প্রাপ্য। যারা ব্যক্তির অপরাধের জন্য তার পরিবার কিংবা সম্প্রদায়ের উপর প্রতিশোধ নেয় তারা জঘন্যতম পাপের পথে আছে।
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
এ আর ১৫ বলেছেন: সীরনাম ::: আপনি কি ইসলামের পথে আছেন নাকি ধর্মান্ধ বিপদগামীদের দলে?
নিঝরের_স্মপ্ন ----- আপনি কোন দলে ? ইসলামের পথে থাকলে এমন কথা কি করে বললেন !!!! এরা নিরযাতনের শিকার হলে আমার কাছে খারাপ লাগেনা।
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: নির্ঝরের_স্বপ্ন, আপনার মত মুখে মুসলমান আর হৃদয়ে ইসলাম পরিপন্থি এবং ফিৎনাকারীর প্রতি আমার মনেও কোনো সম্মান আসে না। এরকম লোক অত্যাচারিত হলে আমার খারাপ লাগবে না। ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্ট পড়ে ভালোলেগেছে।
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৪
এখওয়ানআখী বলেছেন: পোস্টতো দিলেন, কোরআনের আয়াতের কিছু অংশ লিখলেন, পুরোটা নিজে পড়েছেনতো ভাই মাঝহারুল। লেখার উদ্দেশ্যটা ভাল। তবে মানুষকে খুশি করার থেকে আল্লাহকে খুশি করা জরুরী। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
ধর্মকারী বনাম পর্ণকারী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, তবে সেই সাথে তাদের সাথে বন্ধুত্ত্বও করা যাবেনা, সেই বিষয়টিও বলা উচিৎ ছিলো. ধন্যবাদ ।