![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর সংবাদ..
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ( BUET) এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একটি প্রোগামে সনাতন ধর্মালম্বীদেরকে খাসির মাংসের তেহারির কথা বলে গরুর মাংসের তেহারি খাওয়ানো হয়েছে। এরপরে প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করা হয়েছে..
" খাসির বদলে গরু কেনো, জবাব চাই দিতে হবে "
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ একটি বিদ্যাপীঠে এমন ব্যাপার নি:সন্দেহে দু:খজনক ঘটনা।
তবে আমি ভাবতাছি অন্য কথা.... মুসলমান ছাত্রদের কে গরুর মাংসের কথা বলে শুয়োরের মাংশ খাওয়ালে তারা কি করতো?
আজ এই অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে একদিন যে আমার ধর্মের উপর এই আঘাত আসবেনা তার গ্যারান্টি কে দেবে? আমি একজন মুসলিম হিসেবে এই সাম্প্রদায়িক আচরনের প্রতিবাদ করলাম।
মুসলিমদের শুকর খাওয়ার ব্যাপারটা জাস্ট ভাবতেই মুসলিমদের খারাপ লাগছে তাইনা? তাইলে হিন্দুদের ক্যামন লেগেছে যখন জেনেছে এটা খাশির নামে গরুর মাংশ! মুসলিমদের কাছে শুকর যেমন হারাম কিংবা অপছন্দের তেমনি অধিকাংশ হিন্দুর কাছেই গরু খাওয়াটা নিষিদ্ধ কাজ। কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু চাপিয়ে না দেই। প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ কিংবা অপছন্দকে আমাদের সম্মান করা উচিত।
আমি বিশ্বাস করি নিজ ধর্মকে যারা ভালোবাসে অন্য ধর্মকে তারাই সম্মান করে। নিজের ধর্ম আরেক ধর্মের মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া কিংবা নিজের ধর্ম দিয়ে অন্যের ধর্মকে বিচার করাটা চুড়ান্ত বোকামি। কারণ প্রতিটি ধর্মেরই রয়েছে কিছু স্বতন্ত্র নিয়ম নীতি।
অন্য ধর্মের মানুষের বিপদে আমরা যদি তাদের পাশে না দাড়াই তাহলে তারাও কিন্তু আমাদের বিপদে পাশে দাড়াবে না। আর আমরা তাদের বিপদে পাশে থাকলে তারাও আমদের বিপদে পাশে থাকবে।
আসুন আমরা হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান বিচার না করে সকল মানুষের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াই।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৩
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রাঞ্জলভাবে মনোভাব প্রকাশের জন্য এবং সামুর কাদা ছিটানো ব্লগারের মত বুয়েট ছাত্রদের ইতর না বলায়
কয়েকদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান এর আয়োজক সিভিল বিভাগের ছাত্ররা, এটা চালাতে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রদের কয়েকটি স্পন্সর সাহায্য করে, এই স্পন্সরদের সাহায্য ছাড়া ছাত্রদের চা্ঁদার মাত্র তিনশ টাকায় আলোকসজ্জা, একাধিক কন্সার্ট, টি- সার্ট ও পোলাও কোরমা খাওয়ানো সম্ভব হয় না। স্পন্সর জোগারের জন্য সিভিলের ছাত্রদের একটি কমিটি করা হয়, সেখানে হিন্দু মুসলমান দুইই আছে। এখানে বুয়েট করতৃপক্ষ দূরে থাক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পর্যন্ত কোন ভূমিকা নাই। কেবল ছাত্রদের কমিটি এবং তাদের স্পন্সর আনোয়ার গ্রুপের মধ্যে 'খাসির বিরানি' দেবার কথা হয়। আনোয়ার খাসি না দিয়ে দিল গরুর বিরানি । কেন? যে কারণে দালান নিরমানের সময় রডের বদলে বাঁশ দেয়া হয়। গরুর চাইতে খাসির দাম প্রায় দ্বিগুণ, অতএব খাসির কথা বলে গরু দিয়ে বিরানি খাইয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হলেন আনোয়ারের কিছু লোকজন, দুঃখজনক ঘটনা ঘটল বুয়েটে আর কিছু লোক সুযোগ পেল আরেকবার বুয়েটকে সাম্প্রদায়িক বলে জিগির তোলার।
আনোয়ার গ্রুপের কতিপয় লোভী, অসৎ কর্মচারী ছাড়া এই জঘন্য, লজ্জাজনক ঘটনায় আনোয়ার গ্রুপ, ছাত্রদের আয়োজক কমিটি বা বুয়েট জড়িত নয়। অতএব এই দোষীদের সনাক্ত করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হোক, সকলেই জানুক বুয়েটে অসাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেয়া হয় না।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: লাস্ট লাইন কি ভুল করে লিখছদন?
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬
এই আমি রবীন বলেছেন: স্পন্সর আনোয়ার গ্রুপের উপর দোষ চাপালে হবে না। ্ওরা দায়ী হলে আয়োজক কমিটি্ আর একটু বেশী দায়ী।
তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা।
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
সুমিত আহসান বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
গতকাল আমাকে একজন এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করাতে উক্ত কথাগুলোই বলেছিলাম, আজ এখানে লেখাটা দেখে বুঝলাম যে এখনো বুঝার মতো মানুষ আছে
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
আহা রুবন বলেছেন: মাংস দেখলেই বোঝা যায় সেটা কীসের। যারা কখনও গরু খায়নি তাদের বুঝতে কষ্ট হতে পারে। আয়োজকরা কেন শুধু আনোয়ার গ্রুপের ওপর ভরসা রাখতে গেল? তারা তো জানতো সেখানে সনাতন ছাত্র আছে, তাদের কী কোনও দায়ীত্ব ছিল না? না কি তারা দূর থেকে দাঁত কেলিয়ে মজা নিয়েছে!
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৯
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: হিন্দু ছাত্ররা মুখে দিয়ে বুঝতে পেরে আর খায়নি।
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৭
করুণাধারা বলেছেন: খুব দুঃখিত, লাস্ট লাইনে অসাম্প্রদায়িকতার জায়গায় সাম্প্রদায়িকতা হবে। ধন্যবাদ লেখক, ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪০
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: স্বাগতম
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে।
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়ার সবচাইতে করাপটেড দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক তথা হবু প্রকৌশলীরা ৭০০ টাকা কেজি খাসীর মাংশের বদলে ৩৮০ টাকা দরের গোমাংশ খাইয়েছে এ আর এমন কি? ধর্ম টর্ম ব্যাপার না টাকাটাই মেইন!
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কাজটা ঠিক হয়নি। তবে যে করেছে তার শাস্তি হওয়া উচিত। আমাদের দেশের সমস্যা হলো শাস্তি না হওয়া। শাস্তি হলেই তো পরে আরেকজন করতে ভয় পাবে...