![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দায়বদ্ধতা থেকে পোষ্ট টি দিলাম।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের নামে ছড়িয়ে পড়া অনেকগুলো ভুয়া ছবির সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করে একটি পোষ্ট দেয়ার পর অনেকেই বলেছিলো আমি যেনো প্রকৃত ছবিগুলো নিয়েও একটি পোষ্ট দেই।
তাই অনেক সময় নিয়ে লেখাটি লিখেছি। আশা করি কেউ ঠিকমতো না পড়ে কমেন্ট করবেন না। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এর থেকে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা আমার পক্ষে সম্ভব না। এই পোষ্ট ঠিকমত পড়লে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আপনাদের সব ধরনের বিভ্রান্তি দূর হবার কথা।
প্রথমেই সবার জেনে রাখা দরকার....
রোহিঙ্গাদের উপর হামলা চালাচ্ছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী আর ধর্মান্ধ উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীরা। সাধারণ বৌদ্ধরা হত্যাকাণ্ড কিংবা হামলার সাথে জড়িত না।
যুগ যুগ ধরে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর যে নির্যাতন হচ্ছে তা মোটেই ধর্মীয় কারনে নয়। মায়ানমারে যেটা ঘটছে সেটা দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমার সরকারের সাথে চলা রোহিঙ্গাদের জাতিগত সমস্যা। রোহিঙ্গাদের মায়ানমার সরকার সে দেশের নাগরিক মনে করেনা। তাই মায়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগতভাবে উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মায়ানমারে রোহিঙ্গা ছাড়া আরো অনেক মুসলিম আছে। তারা বেশ ভালোভাবেই আছে এবং তাদের উপর কোনো নির্যাতনও হয়না। সমস্যা শুধু রোহিংগা জনগোষ্ঠী কে নিয়ে।
তাই রোহিঙ্গা ইস্যুকে ধর্মের সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। তাহলে রোহিঙ্গাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হবে। এই ইস্যুতে ধর্ম টানলে রোহিঙ্গাদের মুক্তি কখনোই আসবে না। কারন রোহিঙ্গাদের এখন দরকার সারা বিশ্বের সমর্থন। তাই ধর্ম দিয়ে বিভাজন না টেনে আসুন আমরা সকল নির্যাতিত মানুষের পাশে দাড়াই।
ভালো খারাপ সব খানেই থাকে। বাংলাদেশে যেমন মুসলিম নামধারী কিছু্ কট্টরপন্থী সাম্প্রদায়িক হারামি আছে যারা হিন্দু কিংবা অন্যধর্মের মানুষ দেখতে পারে না ; তেমনি ভারতেও হিন্দু নামধারী কিছু কট্টরপন্থী সাম্প্রদায়িক হারামী আছে যারা মুসলিম তথা অন্য ধর্মের মানুষ দেখতে পারে না।
ধর্মান্ধ উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের সাথে সাধারন ধর্মাবলম্বিদের মেলানোটা মারাত্নক বোকামি। ধর্মান্ধ উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী সব ধর্মের লেবাসেই আছে। বৌদ্ধ ধর্মের লেবাসে থাকা ঊগ্রপন্থী সন্ত্রাসীদের অপরাধের দায় যদি সাধারণ বৌদ্ধদের কে দিতে চান তাহলে আই এস, বোকো হারাম, আল কায়েদা এর অপরাধের দায় সাধারণ মুসলিমদের উপর পড়ে। তারাও তো নিজেদের মুসলিম দাবী করে। এখন বলেন ঊগ্রপন্থী সন্ত্রাসী আই এস কিংবা বোকো হারামের কু কর্মের দায় কি সাধারণ মুসলিমদের উপর পড়বে? আমাদের বোঝা উচিত ধর্মের লেবাসে থাকা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী আর ধার্মিক ব্যক্তি এক নয়। উগ্রপন্থিরা কখনই ধার্মিক নয়। তাই ঊগ্রপন্থী সন্ত্রাসী আইএস এর অপরাধের দায় যেমন কোনোভাবেই সাধারণ মুসলিমদের উপর পড়ে না তেমনি মায়ানমারে বৌদ্ধ ধর্মের লেবাসে থাকা ধর্মান্ধ উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের কু কর্মের দায়ও সাধারণ বৌদ্ধদের নয়। যারা ধর্ম মানে তারা কখনোই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে পারে না।
একাত্তরে পাকিস্তানীরা যেমন কোনো ধর্ম দেখে মানুষ মারেনি বাঙ্গালী পেলেই মেরেছে। তেমনি মায়ানমার সরকারও কোনো ধর্ম দেখে নির্যাতন করছে না, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কাউকে পেলেই নির্যাতন চালাচ্ছে। কাকতালীয় ভাবে রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই মুসলমান। আর মুসলমান নাম শুনলেই মুসলমানদের মানবতা কেঁদে ওঠে এটাই স্বাভাবিক। তাই অনেকেই রোহিঙ্গা নির্যাতন এর সাথে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলেছে। মায়ানমারের বাকি মুসলিমরা যে শান্তিতে আছে এটা দেখেই বোঝা উচিত রোহিঙ্গাদের ধর্মীয় কারনে মারা হচ্ছেনা। যদি ধর্মীয় কারনে নির্যাতন করা হত তাহলে মায়ানমারের বাকি মুসলমানেরা শান্তিতে থাকতে পারতো না। এটা মায়ানমার সরকারের সাথে রোহিঙ্গাদের বহু পুরানো জাতিগত দ্বন্দ্ব।
মৌলবাদীরা অলরেডি তাদের পেজগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গণহত্যা, দূর্ঘটনা ও নির্যাতনের যতো ছবি আছে সেগুলোকে মায়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের ছবি বলে অপপ্রচার করছে এবং ভুল তথ্য দিয়ে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছে। এটা একটা ষড়যন্ত্র। এইসব মৌলবাদী হারামীদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের সরলমনা মুসলমানদের ভুল বুঝিয়ে তাদের ধর্মীয় আবেগ কে মায়ানমারের ঘটনার জন্য বৌদ্ধদের বিপক্ষে পরিচালিত করা। যাতে করে মৌলবাদীরা বাংলাদেশের বৌদ্ধদের উপর হামলা করে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে। বিভিন্ন মৌলবাদী পেজের ভুয়া ছবিগুলো আমরা অনেকেই না বুঝে শেয়ার দেই। অনেকেই ভুয়া ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয়ে মায়ানমারের সাধারণ বৌদ্ধদের উপরও দোষ চাপাচ্ছে। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে মিথ্যা ছবি আর তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালালে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। আমি চাই সবার ভুল ভাঙ্গুক। মায়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা ভুলভাবে প্রচারের কারনে বাংলাদেশের বৌদ্ধদের উপর যাতে রামুর হামলার মতো কোনো ঘটনা না ঘটে। যাতে করে বাংলাদেশের মধ্যে কোনো ঝামেলা না লাগে। তাই সবার জানা দরকার যে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি উগ্রপন্থী ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গাদের মারছে। সাধারণ বৌদ্ধরা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত না।
মিথ্যা কখনোই কোনো ধর্মালম্বীদের মানবিক আবেদনের অবলম্বন হতে পারে না। আমরা তাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ সঠিক তথ্য ও সঠিক ছবি দিয়ে করবো, মিথ্যাচার করে নয়।
প্রথম পর্বঃ - রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রকৃত ছবি।
ভুয়া ছবির সংখ্যা এত বেশী যে আসল ছবি চেনা খুবই কষ্টকর। যাই হোক এইখানে যে ছবিগুলো আপলোড করেছি সেগুলো যে প্রকৃত ছবি সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। স্বীকৃত সোর্স থেকে যে ছবি পেয়েছি সেগুলোই দিলাম। তবে এগুলো সবই এ বছরের ছবি না। এগুলোও বিভিন্ন সময়ের ছবি।
হত্যাকান্ডের বীভৎস ছবিগুলো সেভাবে মিডিয়ায় আসেনি। কারন মায়ানমারে সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার। বিদেশী সাংবাদিকের মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাজ্যে যেতে দিচ্ছেনা। সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারও খুবই সীমিত। সাংবাদিকতা, ফটো তোলা বা ফেইসবুকে এইসব শেয়ারিং খুবই কড়াকড়ি এবং নজরদারির ভিতর চলে। তাই যে হত্যাকান্ডগুলো ঘটেছে তা ফেইসবুকে কিংবা মিডিয়ায় আসা প্রায় অসম্ভব।
রোহিংগা নির্যাতন বলে ছড়ানো হত্যাকান্ডের বীভৎস যে ছবিগুলো দেখছেন তার মাক্সিমাম সোর্স সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী পেজ গুলো। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি বর্তমান ছবি না পেয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিভিন্ন গণহত্যা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের ছবিগুলোকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের ছবি বলে চাপিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের বৌদ্ধদের ঝামেলায় ফেলা। কিছু লোক না বুঝে এগুলো শেয়ার দেয়। খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের সরলমনা মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে কোন ব্যক্তি বা দল যেনো তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারে।
তাই সোসাল মিডিয়ায় লেখালেখি বা কোনকিছু দেয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই বাচাই করে নিন।
মায়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রকৃত ছবি আরো ভয়ংকর হতে পারে। তবে সেনাবাহিনী বিদেশী কোনো সাংবাদিক কে ওই এলাকায় যেতে না দেওয়ায় সেসব ছবি বাইরে আসার তেমন সুযোগ নাই। হত্যাকাণ্ডের ছবি মিডিয়ায় না আসলেও মায়ানমারে রোহিঙ্গারা যে সেদেশের সেনাবাহিনী দ্বারা নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন এটা নিয়া কোনো সন্দেহ নাই। তারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাথে যে অন্যায় ঘটছে তা খুবই গর্হিত কাজ। এ পর্যন্ত প্রায় দুইশত রোহিংগা নিহত হয়েছেন সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত অভিযানে।
অলরেডি বাংলাদেশে শরনার্থী ও অবৈধ হিসেবে অন্তত ৯ লাখ রোহিঙ্গা আছে। সামর্থ্যানুযায়ী রোহিঙ্গাদের যতটা সহযোগিতা করা সম্ভব বাংলাদেশ সরকার তা করে যাচ্ছে। এখন মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য মিডল ইস্ট এর বিরাট বিরাট ধনী মুসলিম দেশগুলা সহ সমগ্র বিশ্বের উন্নত সকল রাষ্ট্রগুলোরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত।
উপরের দেয়া ছবির বাইরে আর কোনো ছবি থাকলে স্বীকৃত পত্রিকা কিংবা উৎসের লিংক সহ কমেন্টে দিতে পারেন। আপনি ভুল ছবি দিলে আমি শুধরে দেবো।
২য় পর্বঃ রোহিঙ্গা নির্যাতনের নামে ছড়ানো ভুয়া ছবি।
রোহিঙ্গা নির্যাতন ও হত্যার কথা উল্লেখ করে ভুলবশত অনেকেই যেসব ভুয়া ছবি পোষ্ট দিচ্ছে সে রকম কিছু ছবি..
আপনারা এই পোষ্টে উল্লেখ করা লিংকগুলো দেখলে আসল নকলের পার্থক্য বহুলাংশেই বুঝতে পারবেন। নিচের লিংকে দেয়া ছবিগুলো রোহিঙ্গা নির্যাতনের নয়।
কোন ছবি কোথাকার সেটাও লিংকে উল্লেখ করা হয়েছে
প্রথম ছবি : ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে ১৭৪জন রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে পারি জমালে থাই জলসীমা থেকে তাদের বিতারিত করে থাই পুলিশ। অসহায় অবস্থায় সমুদ্রে ভাসমান থাকলে ইন্দোনেশিয়ার লোকজন এদের উদ্ধার করে। প্রমাণ- http://bit.ly/1czJ6Ch
দ্বিতীয় ছবি: ছবিটি ২০০৪ সালের। থাই আর্মিরা বেশ কিছু থাই মুসলিমকে গ্রেফতার করলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা বিক্ষোভ করলে ওদেরও গ্রেফতার করে (প্রায় ৮০ জন) ক্যাভার্ড ভ্যানে গাদাগাদি করে আটকিয়ে রাখায় দমবন্ধ হয়ে এরা মারা যান। প্রমাণ- http://bit.ly/1cbYXke
তৃতীয় ছবি: দালাইলামা ইস্যুতে চীন আর তিব্বতের দীর্ঘদিনের জটিলতার মাঝে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের ভারত সফরের আগেরদিন (২০১২ সাল) দিল্লীনিবাসী জামপেল ঝেসি নামে তিব্বতীয়ান ২৭ বছরের নাগরিক নিজের গায়ে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1FxrA9a
চতুর্থ ছবি: ২০১০ সালে তিব্বতের জুসু নামক স্থানে ৬.৯ মাত্রার ভুমিকম্পের ফলে সরকারিভাবে ২৭০০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়, নিখোজ অনেক। বেঁচে থাকা ভিক্ষুরা কোনো উদ্ধারকর্মীদের আসার আগেই নিজেরা আহত/নিহতদের উদ্ধার করে। দ্রুত নিহতদের সৎকার করার ব্যাবস্থা নেন । প্রমাণ- http://bit.ly/1AMpEht , http://bit.ly/1vgWj6u
পঞ্চম ছবি: ২০১০ সালে কঙ্গোর সাঙ্গে গ্রামে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে ২৩০ জন পুড়ে ও দমবন্ধ হয়ে মারা যায়। প্রমাণ- http://reut.rs/1Fw721z
ষষ্ঠ ছবি: বাচ্চাদের নিয়ে আরোও কিছু ছবি আছে। যেমন একটা ঘরে কিছু মৃত শিশুকে রাখা হয়েছে। একটা শিশুর বুকের কাছে জামা ধরে একহাতে নিয়ে যাচ্ছে, ইত্যাদি। প্রমাণ- http://bit.ly/1FxE7cI
সপ্তম ছবি: আলোচ্য ছবিটা হাইতির ভুমিকম্পের পর মর্গের ছবি। প্রমাণ- http://ind.pn/1czNtNR
অষ্টম ছবি: একটা শিশুর খেলনা বন্দুক নিয়ে নিছক খেলা করা। প্রমাণ- http://bit.ly/1eRlNFN
নবম ছবি: মহিলা তার স্ট্যাটাসে লিখেছে- bago ko nga plang alagang aso haha...lakas ng tama ng anak ko sunod sunuran namn..#dami kong tawa d2 grabe... এর অর্থ খুঁজতে গিয়ে পেলাম -"Meet my new pet puppy hahaha…my son is crazy obeys whatever I told him to do…just give me a big laugh…" প্রমাণ- http://bit.ly/1cAgUiC
দশম ছবি: তামিল টাইগারদের উৎখাতে শ্রীলঙ্কান সামরিক অভিযানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1cBzt6f
একাদশ ছবি: এলটিটিই এর বিরুদ্ধে শ্রীলংকান সেনাবাহিনীর অভিযানে হত্যাযজ্ঞ ঘটেছিল সেগুলির ছবি- http://bit.ly/1JqeaCZ
দ্বাদশ ছবি: ইসলামী জঙ্গী বোকো হারাম কর্তৃক খৃষ্টান নাইজেরিয়ানদের হত্যার ছবি এটা।- http://bit.ly/1FB1iTv
ত্রয়োদশ ছবি: ২০১২ সালে তিব্বতী ভিক্ষুদের চীনা পুলিশ এরেস্ট করে। প্রমাণ- http://bit.ly/1H6RqX5
চতুর্দশ ছবি: ছবিটা রোহিঙ্গাদের হত্যার নয়, আইএসআইএস (ISIS) দ্বারা খৃষ্টান নাগরিক হত্যা। প্রমাণ- http://bit.ly/1ROtKKf
পঞ্চদশ ছবি: পুলিশ জিম্বাবুয়ের এক শরনার্থীর গায়ের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। দক্ষিন আফ্রিকার স্থায়ী জনগন জিম্বাবুয়ে থেকে আগত উদ্বাস্তুদের আক্রমণ করে, মানুষের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1BNMVul এর ২য় ছবি।
ষষ্ঠদশ ছবি: স্ত্রী প্রতারণা করায় ম্যাচেটি দিয়ে স্বামী বেচারা আক্রমন করেছে স্ত্রীর উপর। প্রমাণ- http://bit.ly/1KejoRq
সপ্তদশ ছবি: তামিল টাইগারদের উৎখাতে শ্রীলঙ্কান সামরিক অভিযানে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়। প্রমাণ- http://bit.ly/1IhfKEd
অষ্টদশ ছবি: কাহিনী আসলে সেই চীন-তিব্বত ক্যাচালের। প্রমাণ- http://bit.ly/1IgWOpa, http://bit.ly/1KdXSMW
উনবিংশ ছবি: এটা কম্বোডিয়ার একটা দুর্ঘটনার ছবি। ১৮ চাকার লরীর সাথে দুর্ঘটনায় বাচ্চা মেয়েটার মাথা পৃথক হয়ে গেছে। বাবা মেয়ের মাথা ধরে আছে, আর মা মেয়ের শরীর ধরে নির্বাক হয়ে গেছে। প্রমাণ- http://bit.ly/1QbrUWf, http://cnn.it/1KIG3DC
বিংশ ছবি: ব্যাংককের পথে বে আইনি বাইক চালানোয় ৪২৫ জনকে বাইকসহ আটক করে এভাবেই শুইয়ে রাখা হয়। প্রমাণ-http://bit.ly/1IhmYbk
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো ছবি সন্দেহ হলে গুগল ইমেজ সার্চের সাহায্য নিন।
কিভাবে গুগল ইমেজ সার্চ ব্যবহার করতে হয়?
গুগল খুবই প্রয়োজনীয় সার্চ ইঞ্জিন। গুগল ইমেজে সার্চ দিয়ে সহজেই প্রয়োজনীয় ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। আবার কোনো ছবির তথ্য সূত্র খোঁজে বের করতেও এর জুড়ি নেই। কীভাবে করবেন?
যে ছবি সম্পর্কে আপনার সন্দেহ আছে বা তথ্যানুসন্ধান করতে চান সেই ছবি ওয়েবসাইট বা ফেইসবুক থেকে ডাউনলোড করে আপনার পিসিতে সেইভ করে নিন।
কম্পিউটার থেকে https://images.google.com/ এ যান। সেখানে ক্যামেরা চিহ্নিত অংশে ক্লিক করে Upload an image এ ক্লিক করুন। ছবি Browse এর অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার ছবিটি আপলোড করা মাত্রই গুগল ছবিটি সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনাকে জানিয়ে দেবে।
রোহিঙ্গা নির্যাতন ও হত্যার কথা উল্লেখ ছড়ানো কিছু ভুয়া ছবি নিচে দেয়া হলো ....
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি জন সচেতনতার জন্য ফেসবুকে এই ব্যাপারটা সবাইকে জানাবেন।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩২
প্রত্যুশ্যা বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষন....।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি জন সচেতনতার জন্য ফেসবুকে এই ব্যাপারটা সবাইকে জানাবেন।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রোহিঙ্গাদের প্রতি আমাদের সমবেদনা ষোল আনা, কিন্তু ভুয়া ছবিওয়ালাদের ধিক্কার
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি জন সচেতনতার জন্য ফেসবুকে এই ব্যাপারটা সবাইকে জানাবেন।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
আহা রুবন বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট! অনেক কিছু পরিষ্কার হল। তবে কিছু মানুষ থাকবেই এটি না পড়েই বলবে--মিথ্যা। কিছু মানুষও আছে যারা মাথা না খাটিয়ে গুজব বিশ্বাস করতে বেশি পছন্দ করে। তাদের সুমতি হোক।
মিথ্যা ছবি না দিয়ে সবার প্রতিবাদ করা উচিত। বিশ্ববাসীকে জানানো উচিত। হুজুগ দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি জন সচেতনতার জন্য ফেসবুকে এই ব্যাপারটা সবাইকে জানাবেন।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৩
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: মিথ্যা দিয়ে সত্য গুলোকে ঢেকে দিচ্ছে , কার কি ধর্ম সেই বিচারে নয় ,জীবন সব কিছুর উরধে, মানুষ মানুষ কে নির্মম ভাবে মারছে , অসহায় মানুষ জীবন বাঁচাতে আমাদের কাছে সাহায্য চাচ্ছে , আমরা লাভ ক্ষতির হিসেব দেখিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করছি । এইটাই বাস্তবতা । কোন একসময় আমাদের আশ্রয় সাহায্য প্রয়োজন ছিলো , আজ অন্য কারও আমাদের সাহয্যের প্রয়োজন । সময় নানা ভাবে আমাদের পরীক্ষা করে , করছে .। এর বেশি কিছু বলার নেই .।.।।
আপনাকে ধন্যবাদ , ছবিগুলো শেয়ারের জন্য ,অনেক কেই দেখেছি না বুঝে মিথ্যা ছবি গুলো শেয়ার দিচ্ছে ।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব নয় ,নানা ভাবেই প্রবেশ করছে , করে আসছে । এই মুহূর্তে বরং রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রবেশ অধিকার দেওয়াটাই যুক্তিক ,মানবিক ছিল বলেই আমি বলবো । সংখ্যা টা হয়ত একটু বাড়বে , তবে সে টার সমাধানের পথ খোলা থাকতো ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩০
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: অলরেডি বাংলাদেশে শরনার্থী ও অবৈধ হিসেবে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা আছে। সামর্থ্যানুযায়ী রোহিঙ্গাদের যতটা সহযোগিতা করা সম্ভব বাংলাদেশ সরকার তা করে যাচ্ছে। কোন দেশ অন্য দেশের জন্য বর্ডার এই শর্তে খুলে দেয় যে বর্ডার পেড়িয়ে যারা আসবে তারা বিপদ শেষ হলে নিজ দেশে ফিরে যাবে। যেমন ৭১ এ ভারতে অন্তত এক কোটি বাঙ্গালী গিয়েছিল যারা পরে আবার ফিরে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ইতিমধ্যে আশ্রয় দেয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গাদের কে মায়ানমার আর ফিরিয়ে নিতে রাজি না। বাংলাদেশও অর্থনৈতিক ভাবে ততোটা শক্তিশালী অবস্থানে নাই যে সীমান্ত খুলে দিয়ে আরো কয়েক লক্ষ শরনার্থীদের চিরদিনের জন্য আশ্রয় দেবে। কোন দেশই শরনার্থীদের আজীবন আশ্রয় দেয় না। তাই নিজেদের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্বাগতম জানাতে আমি রাজি না।
মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য সমগ্র বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত। বিশেষ করে মিডল ইস্ট এর বিরাট বিরাট ধনী মুসলিম দেশগুলা কই? সৌদি প্রিন্স, দুবাইর শেখ কি করেছে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য?
৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৬
Mukto Mona বলেছেন: জাতীসংঘ বহু আগেই গোষণা দিয়েছে যে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো সম্ভব নয় ,জাতীসংঘ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশর প্রতি হাত বাড়াবে, নানা ভাবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে , এমনকি করে আসছে । এই মুহূর্তে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বরং রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রবেশর অধিকার দেওয়াটাই যুক্তিক ,মানবিক ছিল বলেই আমি বলবো । সংখ্যা টা হয়ত একটু বাড়বে , তবে সে টার সমাধানের পথও খোলা থাকবে ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩১
মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিরাজ বলেছেন: অলরেডি বাংলাদেশে শরনার্থী ও অবৈধ হিসেবে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা আছে। সামর্থ্যানুযায়ী রোহিঙ্গাদের যতটা সহযোগিতা করা সম্ভব বাংলাদেশ সরকার তা করে যাচ্ছে। কোন দেশ অন্য দেশের জন্য বর্ডার এই শর্তে খুলে দেয় যে বর্ডার পেড়িয়ে যারা আসবে তারা বিপদ শেষ হলে নিজ দেশে ফিরে যাবে। যেমন ৭১ এ ভারতে অন্তত এক কোটি বাঙ্গালী গিয়েছিল যারা পরে আবার ফিরে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ইতিমধ্যে আশ্রয় দেয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গাদের কে মায়ানমার আর ফিরিয়ে নিতে রাজি না। বাংলাদেশও অর্থনৈতিক ভাবে ততোটা শক্তিশালী অবস্থানে নাই যে সীমান্ত খুলে দিয়ে আরো কয়েক লক্ষ শরনার্থীদের চিরদিনের জন্য আশ্রয় দেবে। কোন দেশই শরনার্থীদের আজীবন আশ্রয় দেয় না। তাই নিজেদের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে সীমান্ত খুলে দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে স্বাগতম জানাতে আমি রাজি না।
৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭
বাঘ মামা বলেছেন: এখানে কোন এক মন্তব্যের আলোকে আবারো কিছু কথা আমাকে বলতে হচ্ছে- আমি এখন বলবো আজকে রোহিঙ্গাদের করুন পরিনতির জন্য বাংলাদেশ দায়ী,দায়ী বাংলাদেশের অতি আবেগী এবং কিছু বকধার্মিকরা, কারণ বিগত ৫০ বছর ধরে এই রোহিঙ্গাদের এই দেশে আশ্রয় দিয়ে এই বিশাল জন সংখ্যার মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে আমার দেশ এবং আমার দেশের মানুষ গুলো, অসহায় মানুষ গুলোকে বিপদে আশ্রয় দেয়া মানবতা, কিন্তু সেই মানুষগুলো তার নিজের দেশে ফিরে যাওয়া এবং তার অধিকার আদায়ে সহযোগীতা না করে তাদের সারা জীবন অসহায় অস্থায়ী করে দেয়া কোন মানবতার মধ্যে পড়েনা, ১৯৭১ সালে আমরা যারা ভারতে সাময়িক বসবাস করেছিলাম, তারা যদি আজ অব্দি সেখানে বসবাস করতো তাহলে সেই মানুষ গুলোর কি হতো? তারা না পেতো ভারতে স্বীকৃতি না পেতো এই দেশে বহমান সাধারণ সুবিধা গুলো যারা এই দেশে আছে পাচ্ছে। ৫০ বছর ধরে এদের অস্থায়ী ভাবে লালন পালন না করে যদি সেই ১৯৬৫ সালে তাদের প্রতি একটু নির্ম হয়ে দেশে ফিরে যেতে বাধ্য করা হতো দেশ বিদেশী সহযোগীতা নিয়ে তাহলে এত দিনে এই আরকান বাসীরা সেখানে একটা শক্তিশালী জাতিতে পরিনত হতে পারতো,তারা রাষ্ট যন্ত্রের অংশীদার হয়ে তাদের অবস্থান শক্ত করতে পারতো, ২০ লক্ষ রোহিঙ্গা আজকে ৫/৬ ভাগে বিভক্ত হয়ে এই দেশে এবং নানা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, দিন দিন তারা তাদের নিজের দেশে সংখ্যা লুঘু হয়ে দুর্বল হয়ে একটা ছোট্ট জাতিতে পরিনত হচ্ছে হয়েছে যাদের কে অতি সহজে ভেঙে ফেলছে বার্মা সরকার।
এই আরকান বাসী বা রোহিঙ্গাদের চেয়ে কম সংখ্যা জাতি গোষ্ঠী আমাদের দেশে আছে এবং তারা দিব্যি সকল অধিকার প্রাপ্ত।কারণ তারা ভাগ হয়ে যায়নি নানা দেশ সীমানায় সিমান্তে, সুতরাং আপনার সাময়ীক আবেগ এবং মিথ্যা ধর্ম বিভাজন যে একটা জাতি মানুষদের দিন দিন ভুপাতিত করছে তা কি বুঝতে পারছেন? যদি তাদের জন্য লড়তে হয় তো তাদের নিজের দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করুন ,প্রয়োজনে লেখালেখি করুন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাদের ক্ষমতা আছে এই মানুষ গুলোর প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার।তবেই বুঝবো আপনার মানবতার দন্ড দন্ডায়মান।
একটা মানুষকে সারা জীবন এক বেলা খিছুড়ি খাইয়ে এক টাকা ভিক্ষা দিয়ে ফকির বানিয়ে রাখবেননা, পারলে তাকে দাড় করিয়ে দিন বড় কোন দান দিয়ে নাহয় তার সঠিক জায়গায় ফিরে যেতে সাহায্য করুন।হয়তো তাদের এদেশের নাগরিক করে এই দেশের আইনের আওয়াতায় আনুন না হয় চোখ বন্ধ করে তাদের ঠেলে দিন তাদের জায়গায়,সে দেশে তারা একসাথে থেকে লড়াই করুক নিজের অধিকার আদায় করুক সেই ১৯৭১ সালে আমাদের মত।
শুভ কামনা সবার জন্য
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:০১
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: @ লেখক -- মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য সমগ্র বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত। বিশেষ করে মিডল ইস্ট এর বিরাট বিরাট ধনী মুসলিম দেশগুলা কই? সৌদি প্রিন্স, দুবাইর শেখ কি করেছে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য? ---- এখানেইত মূল সমস্যা মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত দেশ এর সরকার যদি সত্যিকার অর্থে মুস্লিম বলে পরিচয় দিত ,ইসলামের রীতিনীতি তে চলত তাহলে ত নিরীহ মুসলিম রা পরে পরে মার খেত না । তবে কথা হচ্ছে ধর্ম নয় , চলছে দুর্বলের উপর অত্যাচার সেটা যে যেখানে যেভাবে পারছে । আর সব অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে যদি ধর্ম জাতির হিসেব নিকেশ চলে তাহলে এসব বন্ধ ত দূর নতুন নতুন ঘটনার জন্ম দেবে , দিচ্ছে .।ঘৃনা ,প্রতিহিংসা ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই দেয় না ।
সবার উপলব্ধি , মতামত একরকম হবে না ,সেটাই স্বাভাবিক ।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন
@বাঘ মামা --এখানে কোন এক মন্তব্যের আলোকে আবারো কিছু কথা আমাকে বলতে হচ্ছে-
এই লাইনের সুত্র ধরে মনে হচ্ছে " বক ধার্মিক " বিশেষণ টা আমার উদ্দশ্যেই !! আমার মন্তব্যের কোথায় আমি ধর্মের দোয়াই দিয়েছি যদি একটু দেখিয়ে দিতেন কৃতজ্ঞ থাকতাম । আমার কাছে মানুষের জীবন সব কিছুর উরধে , আমার ধর্মই আমাকে সেই শিক্ষা দিয়েছি । তারপর অন্য কিছুর বিচার বিশ্লেষণ । আপনার মন্তব্যে যথেষ্ট বাস্তবতা ভিত্তিক লজিক আসে সেটা অস্বীকার করছি না , কিন্তু এই ছবিটার দিকে ১মি তাকিয়ে থেকে দেখুন ত কোন লজিক কাজ করে কিনা ?? যদি পারেন ত কিছু বলার নেই , আপনার হিসেব মত বক ধার্মিক আমি মেনে নিলাম ।আমি পারিনি ,পারিনা । কাউকে নিজের পায়ে দাড় করিয়ে দেওয়ার আগে তার বেঁচে থাকাটা আগে বোধ করি নিশ্চিত করতে হয় !!!
ভালো থাকবেন , শুভ কামনা
ভালো থাকবেন , শুভ কামনা
ভালো থাকবেন , শুভ কামনা
৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫
বাঘ মামা বলেছেন: @সাহেদা সোহেলী - শুরুতেই সত্যটুকু বলে শুরু করি, বক ধার্মিক কথাটা কোন ভাবেই আপনার মন্তব্যের আলোকে ছিলোনা, তবে হ্যা কিছু কথা আপনার মন্তব্য থেকে বলা এটা সত্য। আমি আপনার নাম নিয়ে বলতে পারতাম বলিনি কারণ সব কথা আপনার জন্য নয় বলে আমাকে নামহীন শুরু করতে হয়েছিলো,
আমি নামে বাঘ হলেও খুব বেশি কঠিনতা কব্জা করে চলতে পারিনা,কারো সন্মানে কিংবা মনে আঘাৎ হয় এমন উক্তি এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি সব সময়। তবুও নামের আড়ালে রক্ত মাংসের মানুষ বলে কখনো কারো কারো বিবেকহীন বক্তব্যে বাক রুদ্ধ হয়ে গেলেও তার শক্ত প্রকাশ ঘটেই যায় কিছুটা তবুও নিজেকে শাষণ করে চলতে ভালোবাসি,সব কিছুর পরেও আমার কথা আমার অজান্তে কারো মনে আঘাৎ লেগে থাকলে ক্ষমা পার্থনায় কার্পন্যতা থাকেনা, আপনার বেলায়ও সেই রকমই।
মুল কথায় আসি- উপরের ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকার মত এতটা শক্ত কলিজ্বা আমার নেই, এমন অনেক নির্মম ছবি আছে রোহিঙ্গাদের যার দিকে আমি তাকাতে পারিনা,যেখানে সত্য ছবি খুঁজে দেখতে আমার ভয় হয় সেখানে মিথ্যে ছবি টেনে এনে যারা এদের বলে চালিয়ে দেয় তাদের কলিজ্বাটা কেমন সেটা নিয়েই ভাবি, এখানে লেখক সেসব নিয়ে বলেছেন, আমি ফেলানীর সেই ঝুলন্ত লাশ দেখে রেগে যাই, যারা সেই ছবি কথায় কথায় আপলোড করে নেকা কান্না করে তাদের কলিজ্বার জোর আছে বলতেই হয়,একটা বিষয় দেখেছেন কিনা জানিনা, এইযে যারা রোহিন্ঙা রোহিঙ্গা বলে বলে চিৎকার করছে তাদের একজনও কিন্তু একবারো বলেনি এদেরকে এই দেশে নাগরিকতা দেয়া হোক, ওরা মুসলিম আমাদের ভাই আমাদের সাথেই থাকুক, আমি কোথাও পড়িনি পাইনি এমন চাওয়া, সবাই শুধু এই ছবি কবির সাহিত্যের রাজনীতি করে যাচ্ছে এইসব অসহায় মানুষদের নিয়ে, রাজনীতির মানুষ গুলোর স্বভাব রাজনীতি করা সব কিছু নিয়ে কিন্তু কবি সাহিত্যিক লেখকরা যখন এসব নির্মমতাকে সাহিত্য চর্চার খোরাক হিসেবে টানে তাদের জন্য আমার করুণা হয় । তার খুব গুছিয়ে লিখতে জানে, লাশের পাশে আরাম কেদারা নিয়ে বসে তারা গল্প কবিতা লেখে লাশের দিকে চেয়ে চেয়ে, আমার কলিজ্বা এত শক্ত নয় এসব দেখার, তাই রেগে যাই, কষ্ট পাই, কেন মানুষ এমন হতে দিচ্ছে, কেন মুলে আঘাৎ করেনি যেখান থেকে আজকের সমস্যা শুরু।
মোশারফ করিমের একটা নাটক দেখেছিলাম- সু-শীল। সুন্দর নাপিত, তিনি সব বিষয় জ্ঞান রাখেন, দেশের সকল সমস্যা নিয়ে কলাম লেখেন পত্রিকায় বিক্রি করেন, এই সু-শীলদের প্রতিই আমার যত রাগ। যারা শুধু কলাম লেখে লেখে লাশে উপর নিজের বাড়ির কলাম গাথেন।আর যারা মানুষের রক্ত দিয়ে কল বানিয়ে সাহিত্য চর্চা করেন তাদের উপর।
এই ছবির শিশুটা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে লজ্জ্বায়, সে তাকাতে পারছেনা আমাদের সু-শীলদের মুখের দিকে,সে মরেনী, মেরে ফেলেছে আমাদের যারা এমন হতে দিয়েছে।
শুভ কামনা সব সময়
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬
বাঘ মামা বলেছেন: আপনার পোস্ট প্রশংসা না করলেই নয়,
পোস্ট নিয়ে মন্তব্য করার কিছুই বাকি নেই,
আমি দেখেছি উগ্রতা নিয়ে উগ্রদের মাথা ব্যথা বেশি, তারা মানবিক বিষয়ে মানবতা প্রদর্শনের চেয়ে পাগল প্রলাপটাই বেশি করছেন। গত ৫০ বছর ধরে আমরা রোহিঙ্গা সমস্যায় জর্জরিত।রোহিঙ্গাদের কারণে তাদের ক্ষতির চেয়ে আমাদের দেশের ক্ষতিটাই বেশি হয়েছে। যেখানে ইসলাম মুসলিম একটা মুখোশ মাত্র।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য
শুভ কামনা সব সময়