নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহারাজের দরবার শরীফ

অতঃপর তন্ময়

ভয়ংকর অবিশ্বাসী, কাউকেই বিশ্বাস করতে পারিনা।

অতঃপর তন্ময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

দহন

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮


তুলসী রঙের শাড়ি পড়া রূপসা, খোলা বারান্দাতে ওড়ছে চুল। কিসের মাঝে যেন ডুবে থাকে আজকাল রূপসা! জীবনের বহু ঘাত-প্রতিঘাত টপকে আজকের সংসারী রূপসা। তিন বছর হলো রূপসার মেয়ের। রূপসার ইচ্ছে ছিলো মেয়ের নাম রাখা হবে টুনিয়েল, কিন্তু কি একটা ভেবে নাম রাখা হলো মৃত্তিকা। মায়ের মতো হয়েছে- একদম মায়ের মতন।

স্বামী সরকারী চাকুরে। সাত বছরের সংসারে স্ত্রীর পাশে শুয়ে রাত্রি কাটিয়েছে শুধু-মনের পাশে মন মেলানোর সূত্র রপ্ত করতে পারেননি দীপনবাবু। সত্যি কথা বলতে হারানো মন রপ্ত করার মন্ত্র যে কোন মহাতান্ত্রিকেরও জানা থাকে না।

পরদিন গ্রীস্মের প্রথম দিন, রূপসা গত সাত বছরে, যখনই এই দিনের আশেপাশে আসে সে আনমনা হয়ে যাই, ছেলেবেলা তাকে কেমিন জানি করে তুলে, এই যে জীবন যাচ্ছে কেমন বিবর্ণ, এর মাঝেও মনে হয় যদি স্বপ্নের হাত ধরে থাকতে পারতো। বিয়ে হওয়ার সময় রূপসা উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি টপকেছিলো, তারপর মাথায় সিঁধুর আর পড়ালেখা নরকে। পড়ালেখা করার অনেক শখ ছিলো রুপসার। সাদামাটা স্বপ্ন দেখতো, পড়ালেখা শেষ করে ছোট্ট একটা চাকুরী, নিজের পরিচয়ে বেড়ে ওঠা। তেমনি হতো যদি না তার জীবনে আবার সেই ধ্রুব ফিরে না আসতো।

একই পাড়ার ছেলে ছিলো ধ্রুব, কিছু না ভেবেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলো হিন্দুপাড়ার রূপসার। মন দেওয়া নেওয়া হয়েছে আরো ছয় বছর পর। সামাজিক এতোসব হিসেব না জেনেই হয়তো তারা একটা স্বপ্নকে দুজন গড়ে তুলেছিলো নিজেদের খেয়ালে,নিজেদের ভেতরে.... (বাকিটুক আরেকদিন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.