নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখনো ঠিক করিনি

পরে লিখবো ।

অতৃপ্ত অনুভূতি !

পরে বলবো.....

অতৃপ্ত অনুভূতি ! › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট ছোট কিছু বাস্তব ভূতের কাহিনি

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬



২য় পর্ব

১ম পর্বঃ



আপনাদের কে কিছু সত্যিকারের ভূতের কাহিনি শুনাবো আজ।যদিও আমি কখনো ভূতের মুখোমুখি হইনি। কাহিনিগুলো আমার আপনজনেরা প্রত্যক্ষ করেছেন কোন না কোন সময়ে।

১) আমার মা জন্মের কয়েক দিন পরের ঘটনা এটা। আমার মা এর নানি, মানে আমার বড়আম্মা একদিন দুপুরবেলা আম্মাকে গোছল করিয়ে ঘুম পারিয়ে রেখে পাশের রুমে শুয়ে আছে, আর আম্মার মা কোন কাজে ঘরের বাহিরে ছিল ঐ সময়। হঠাৎ আম্মার নানির ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং সে আম্মো কে পাশের ঘরে দেখতে যায়, বিছানায় আম্মা ছিল না। সে ভেবেছে হয়তো কেউ কোলে নিয়েছে। তখন সে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে আম্মা কে, এক মহিলা কোলে করে নিয়ে মাঠ এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ! মাঠের ঐ পাশে আবার জঙ্গল। তো আম্মার নানি ঐ মহিলা কে ডাক দিয়ে বলেছিলেন ঐ এই ভরদুপুরে আমার নাতনিকে নিয়ে কই যাস? ওনার ডাক শুনে ঐ মহিলা আম্মাকে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে দ্রুত কোথায় যেনো মিলিয়ে গিয়েছিল। পরে আম্মার নানি আম্মাকে বাসায় এনে পানি পড়া এবং তাবিজ দিয়েছিল।





২) আমার এক নানি আছে যাকে মাঝেমাঝে গভীর রাতে জ্বীন বাসা থেকে বের করে নিয়ে যেতো। তাকে খুজে পাওয়া যেতো পাশের একটা জঙ্গলে।প্রায়ই এমন হতো। সে নিজে পরে বলতে পারতো না কিভাবে সে রাতে ঐখানে গিয়েছিল। এটাকে নিশির ডাক বলে লোকে। এখন তাকে নিশি ডাকে কিনা জানিনা।



৩) নানার বাড়িতে আলান নামের একজন লোক কাজ করতো, তার কাজ ছিল গরু দেখাশোনা করা। তার বাড়ি ছিল নানার বাড়ি থেকে এক মাইলের মতো দূরে। সেেএবং তার বৌ পশের জঙ্গল থেকে মাঝেসাঝে গাছ বা ডালপালা সংগ্রহ করতো। জঙ্গলে একদিন একটা খুব পুরোনো এক গাছ কারা যেনো কেটে নিয়ে যায়। গাছের গুড়ি টা রেখে গিয়েছিল। পরের দিন ঐ আলান মামার বৌ কাঠ কুড়াতে গিয়ে দেখে গাছের গুড়িটা পরে আছে সে কিছু কাঠ সংগ্রহ করে নিয়ে যায় এবং তার স্বামী কে বলে যে কাল পুরো গুড়িটা কেটে আনবে। ঐ রাতে আলান মামার বৌ স্বপ্নে দেখে তাকে ঐ গাছের গুড়ি কাটতে মানা করতেছে কেউ। সে সকাল বেলা ওঠে স্বপ্ন কে পাত্তা না দিয়ে গাছের গুড়িটা কেটে আনে। ঐ দিনই সে অসুস্থ হয়ে পরে। তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে মারা যায়।

৪) নানার বাড়ির পেছনের দিকে অনেক আবাদি জমি তার পর একটা জঙ্গল তারপর আবার বাড়িঘর। প্রত্যেক বছর আর্মি রা আসতো এখানে ক্যাম্প করতে। (আমাকে অনেক আদর করতো আঙ্কেলরা ছোটবেলায় :P )

যাইহোক, অনেক রাতে এক আর্মি ব্যক্তি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে তাবুর বাহিরে আসে। প্রাকৃতিক কর্ম শেষে সে যখন তাবুতে ফিরছিল সে এমন এক চিৎকার দেয় যে, বাকি সবাই ধরমরিয়ে ওঠে বাহিরে এসে দেখে ঐ ব্যক্তিটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে মাটিতে।তোকে তাবুতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার জ্ঞান ফিরার পর তাকে জিজ্ঞেস করে যে কি হয়েছিল? সে বলে যখন সে তাবুতে ফিরছিল তখন সে দেখে ইয়া লম্ব্ লম্বা দুটি বড় বড় লোম ওয়ালা পা তা সামনে, এবং ওপরের দিকে তাকায় দেখে কোন শরীর বা মাথা দেখা যাচ্ছে না তাই ভয়ে সে চিৎকার করে এবং অজ্ঞন হয়ে যায়।

তার কথা শুনে তাদের মেজর বলেছিল সে হ্যালুসিনেশনের স্বীকার হয়েছিল। দুই দিন পর রাতে এক চিৎকার শুনে সবাই বাহিরে এসে দেখে মেজর অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। তাকে ধরাধরি করে তাবুতে আনা হয় এবং কারন জিজ্ঞেস করলে সে শুনায় যে, তিনিও দুটি লম্বা লম্বা পা দেখেছেন এবং কোন শরীর ছিলনা ঐটার। পরের দিন আর্মিরা চলে যায় ঐ জায়গা ছেড়ে। এখন পর্যন্ত আর কোন আর্মির দল ক্যাম্প করেনি ঐ যায়গায়। (এটা ঐ জঙ্গল যেখানে আলান মামার বৌ গাছের গুড়ি কাটতে গিয়েছিলেন।)



আরও কাহিনি আছে .......পরে বলবো.........



১ম পর্বঃ



আপনাদের কে কিছু সত্যিকারের ভূতের কাহিনি শুনাবো আজ।যদিও আমি কখনো ভূতের মুখোমুখি হইনি। কাহিনিগুলো আমার আপনজনেরা প্রত্যক্ষ করেছেন কোন না কোন সময়ে।

১) আমার মা জন্মের কয়েক দিন পরের ঘটনা এটা। আমার মা এর নানি, মানে আমার বড়আম্মা একদিন দুপুরবেলা আম্মাকে গোছল করিয়ে ঘুম পারিয়ে রেখে পাশের রুমে শুয়ে আছে, আর আম্মার মা কোন কাজে ঘরের বাহিরে ছিল ঐ সময়। হঠাৎ আম্মার নানির ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং সে আম্মো কে পাশের ঘরে দেখতে যায়, বিছানায় আম্মা ছিল না। সে ভেবেছে হয়তো কেউ কোলে নিয়েছে। তখন সে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে আম্মা কে, এক মহিলা কোলে করে নিয়ে মাঠ এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ! মাঠের ঐ পাশে আবার জঙ্গল। তো আম্মার নানি ঐ মহিলা কে ডাক দিয়ে বলেছিলেন ঐ এই ভরদুপুরে আমার নাতনিকে নিয়ে কই যাস? ওনার ডাক শুনে ঐ মহিলা আম্মাকে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে দ্রুত কোথায় যেনো মিলিয়ে গিয়েছিল। পরে আম্মার নানি আম্মাকে বাসায় এনে পানি পড়া এবং তাবিজ দিয়েছিল।





২) আমার এক নানি আছে যাকে মাঝেমাঝে গভীর রাতে জ্বীন বাসা থেকে বের করে নিয়ে যেতো। তাকে খুজে পাওয়া যেতো পাশের একটা জঙ্গলে।প্রায়ই এমন হতো। সে নিজে পরে বলতে পারতো না কিভাবে সে রাতে ঐখানে গিয়েছিল। এটাকে নিশির ডাক বলে লোকে। এখন তাকে নিশি ডাকে কিনা জানিনা।



৩) নানার বাড়িতে আলান নামের একজন লোক কাজ করতো, তার কাজ ছিল গরু দেখাশোনা করা। তার বাড়ি ছিল নানার বাড়ি থেকে এক মাইলের মতো দূরে। সেেএবং তার বৌ পশের জঙ্গল থেকে মাঝেসাঝে গাছ বা ডালপালা সংগ্রহ করতো। জঙ্গলে একদিন একটা খুব পুরোনো এক গাছ কারা যেনো কেটে নিয়ে যায়। গাছের গুড়ি টা রেখে গিয়েছিল। পরের দিন ঐ আলান মামার বৌ কাঠ কুড়াতে গিয়ে দেখে গাছের গুড়িটা পরে আছে সে কিছু কাঠ সংগ্রহ করে নিয়ে যায় এবং তার স্বামী কে বলে যে কাল পুরো গুড়িটা কেটে আনবে। ঐ রাতে আলান মামার বৌ স্বপ্নে দেখে তাকে ঐ গাছের গুড়ি কাটতে মানা করতেছে কেউ। সে সকাল বেলা ওঠে স্বপ্ন কে পাত্তা না দিয়ে গাছের গুড়িটা কেটে আনে। ঐ দিনই সে অসুস্থ হয়ে পরে। তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে মারা যায়।

৪) নানার বাড়ির পেছনের দিকে অনেক আবাদি জমি তার পর একটা জঙ্গল তারপর আবার বাড়িঘর। প্রত্যেক বছর আর্মি রা আসতো এখানে ক্যাম্প করতে। (আমাকে অনেক আদর করতো আঙ্কেলরা ছোটবেলায় :P )

যাইহোক, অনেক রাতে এক আর্মি ব্যক্তি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে তাবুর বাহিরে আসে। প্রাকৃতিক কর্ম শেষে সে যখন তাবুতে ফিরছিল সে এমন এক চিৎকার দেয় যে, বাকি সবাই ধরমরিয়ে ওঠে বাহিরে এসে দেখে ঐ ব্যক্তিটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে মাটিতে।তোকে তাবুতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার জ্ঞান ফিরার পর তাকে জিজ্ঞেস করে যে কি হয়েছিল? সে বলে যখন সে তাবুতে ফিরছিল তখন সে দেখে ইয়া লম্ব্ লম্বা দুটি বড় বড় লোম ওয়ালা পা তা সামনে, এবং ওপরের দিকে তাকায় দেখে কোন শরীর বা মাথা দেখা যাচ্ছে না তাই ভয়ে সে চিৎকার করে এবং অজ্ঞন হয়ে যায়।

তার কথা শুনে তাদের মেজর বলেছিল সে হ্যালুসিনেশনের স্বীকার হয়েছিল। দুই দিন পর রাতে এক চিৎকার শুনে সবাই বাহিরে এসে দেখে মেজর অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। তাকে ধরাধরি করে তাবুতে আনা হয় এবং কারন জিজ্ঞেস করলে সে শুনায় যে, তিনিও দুটি লম্বা লম্বা পা দেখেছেন এবং কোন শরীর ছিলনা ঐটার। পরের দিন আর্মিরা চলে যায় ঐ জায়গা ছেড়ে। এখন পর্যন্ত আর কোন আর্মির দল ক্যাম্প করেনি ঐ যায়গায়। (এটা ঐ জঙ্গল যেখানে আলান মামার বৌ গাছের গুড়ি কাটতে গিয়েছিলেন।)



আরও কাহিনি আছে .......পরে বলবো.........



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

নতুন বলেছেন: ১) হয়তো কোন মহিলা বাচ্চা চুরি করতে চেস্টা করছিলো... ভুত/পেন্তী হলে বাচ্চা নিয়েই উঠাও হতে পারতো.... রেখে গেলো কেন??

কারন বাচ্চা নিয়ে দৌড় দিয়ে পালাতে পারবে না তাই রেখে পালিয়েছিলো...

২) স্লিপ ওয়াকিং বইলা জিনিস আছে ... এইটা সত্য হইতে পারে.. সিউর না..

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

অতৃপ্ত অনুভূতি ! বলেছেন: ওনি তো বড়আম্মার সামনে থেকেই হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছিল.......।
বড়আম্মা ই বলেছিল কাহিনিটা ।...............

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

অতৃপ্ত অনুভূতি ! বলেছেন: হুম......হতে পারে স্লিপ ওয়াকিং.............আবার নাও হতে পারে।..............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.