নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
স্বপন হালদার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।ব্যবসার কারনে প্রত্যেকদিন সক্কালে বাইরে যেতে হয়,আর বাড়ি ফেরেন রাত নটা/দশটা নাগাদ।বাড়িতে থাকেন স্ত্রী মিনতি হালদার ও একমাত্র ছেলে টোটন।মাবাবা ছোট্ট টোটনকে অবশ্য পুঁচকে নামেই ডাকে।পু্ঁচকে খুব দুরন্ত। সবার সঙ্গে ঝগড়া করে,মারধোর করে,কারো সঙ্গে না পেরে উঠলে গায়ে থুতু দেয়।এজন্য পাড়ার অন্য বাচ্চারা তার সঙ্গে মেশে না।প্রতিবেশীদের সঙ্গে একারনে স্বপনবাবুর সম্পর্ক ভাল নেই। দেখতে দেখতে তার ন বছর বয়স হয়ে গেল।কিন্তু এখনও সে অক্ষর শেখেনি।আর এ নিয়েই বাবামায়ের দুশ্চিন্তা। কত মাষ্টার,কত টাকা খরচ করেছেন,কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না।এক দু মাসের বেশি মাস্টার টেকে না ।কাজেই এহেন বাচ্চার ভবিষৎ নিয়ে মাবাবার দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না।স্বপনবাবুর বাড়িতে মাস্টার টেকে না বা পুঁচকে দুরন্ত এ কথা পাাড়ার প্রায় সকলের জানা।তাই তারা নুতন মাস্টার দেখলেই নবাগত মাস্টারকে পুঁচকে সম্পর্কে খবরা খবর দিয়ে দেয়,যাতে এ বাড়িতে কোন মাস্টার না জোটে।ছেলের মাস্টারের খোঁজে সময় পেলেই স্বপনবাবু সন্ধানে বার হন।এ গ্রাম সে গ্রাম ঘুরে বেড়ান,কিন্তু কেউ পুঁচকেকে পড়াতে রাজি হয় না।বহু জায়গায় নিজেকে শুনতে হয় যে তিনি সেই পুঁচকের বাবা কিনা,যে সেবার মাস্টারকে ইট মেরেছিল।অপর একজন বলে ওঠেন;আপনার ছেলে সেবার মাস্টারকে কামড়ে দিয়েছিল না।অথবা অন্য কোথা থেকেও কেউ প্রশ্ন ছুড়ে দেন যে পুঁচকে মাস্টারের টাকা চুরি করেছিল কিনা।নিজের ছেলে সম্পর্কে এমন নেগেটিভ কথা শুনতে কার বা ভাল লাগে। ফলে প্রত্যেক বার নিরাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন।আর খালি হাতে বাড়ি ফিরে,পুচকের পিঠে কয়েকটা ঘা ফেলবেই।পুঁচকেও জানে বাবা এখন রেগে আছে।দ্রুত কোথাও লুকিয়ে পড়ে।যদিবা ধরা পড়ে,বাবা হাত উচু করতেই, তারস্বরে চিৎকার করবে বাবা আর মেরো না, আর কক্ষনো কোন মাস্টারকে তাড়াবো না। হাজার হোক নিজের সন্তান, স্বপনবাবু সে দিনের মত তাকে ক্ষমা করে দেন।
অনেক খোজাখুজির পর অবশেষে স্বপনবাবু প্রায় দু/তিনটি গ্রাম পরে গোপাল মাস্টারের খোঁজ পেলেন।কোনও এক সকালে ছুটে গেলেন গোপাল মাস্টারের বাড়িতে।ইতি পূর্বে বেশ কয়েকবার গ্রামের লোক তার বাড়ির মাস্টার ভাগিয়ে দিয়েছে।তাই এ বার স্বপনবাবু আগে ভাগে ছেলের দস্যিপনার কথা গোপাল মাস্টারকে জানালেন। সকালবেলা খালি গায়ে ভুড়িতে হাত ঘষতে ঘষতে গোপাল মাস্টার বললেন,তোমার ছেলে যখন খুব দুরন্ত, তাহলে বাপু আমার রেটটা একটু বেশি দিতে হবে।স্বপনবাবু শুনে বললেন আজ্ঞে মাস্টার মশাই আপনি বলুন আমাকে মাসে কত টাকা দিতে হবে? গোপাল মাস্টার যথারীতি ভুড়িতে হাত ঘষতে ঘষতে বললেন, বুঝলে বাপু!টাকার কথাটা আগে বলি বলে আমাকে অনেকে পছন্দ করে না।তবে আমি হলাম কিনা এক কথার মানুষ।টাকা নিয়ে ঝগড়া ঝাটি করতে আমি পছন্দ করি না।স্বপনবাবু,আজ্ঞে হ্যাঁ,আপনি বলুন। গোপালমাস্টার, বুঝলে বাপু!মাসে হাজার টাকা লাগবে।সারাদিন ধরে পড়াবো।অবশ্য তোমার মুখ থেকে শোনা কথানুযায়ী।আর তোমার বাচ্চা যদি অত দুষ্টমি না করে,তাহলে ধাপে ধাপে টাকা কমবে। খুব শান্ত হলে মাসে অন্তত পাঁচ শত টাকা দিতে হবে।স্বপনবাবু,আজ্ঞে, না মাস্টার মশায় আপনাকে টাকা কম নিতে হবে না।আপনি পুরোপুরি হাজার টাকাই নেবেন।গোপালমাস্টার একটু ধমক দিয়ে বুঝলে বাপু,পড়াবে তুমি না আমি? স্বপনবাবু আজ্ঞে! না মাস্টার মশায় আমার ভুল হয়েছে।আপনি যে মাসে যা চাইবেন তাই পাবেন।গোপাল মাস্টার এ কথায় খুশি হয়ে বললেন,তাই বল বাপু! ছেলে পড়িয়ে আমার চুলে পাক ধরেছে।বুঝলে বাপু!কোনো কোনো বাড়িতে ছেলেকে না পেয়ে মাবাবাকেও পড়িয়ে আসি।
একথা শুনে স্বপনবাবু আৎকে ওঠেন!হ্যাঁ,মানে আপনি মাবাবাকেও পড়ান? তিনি আরও বলেন, না না মাস্টার মশাই আমি মুর্খ মানুষ বেশি লেখা পড়া জানি না,আর এই বয়সে লেখা পড়া করতেও পারব না।আপনার পায়েপড়ি মাস্টার মশাই দয়া করে আমাকে চাপ দেবেন না।তবে আমার বৌ বিয়ের সময় বলেছিল,সে অনেক লেখা পড়া জানে।পুঁচকে না পড়লে না হয় ওর মাকে পড়াবেন।
স্বপনবাবুর কথা শুনে গোপাল মাস্টার বেশ রেগে গিয়ে বললেন, এই যে বাপু তুমি যদি না পড় বা পালিয়ে থাকো, তাহলে তোমার বাচ্চাও পালিয়ে থাকবে।বাচ্চার সঙ্গে বাবামায়ের অন্তত এক জনকে তো পড়তে হবে।
স্বপনবাবু বললেন,আজ্ঞে আমি আমার বৌকে রাজি করাবো, আপনি আমাকে চাপ দেবেন না।তাছাড়া আমি বাইরে না গেলে আয় উপার্জন হবে কীভাবে?আপনার টাকা দেব কীভাবে?
গোপাল মাস্টার স্বপনবাবু টাকার কথা শুনে একটু নরম হলেন এবং মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললেন,বুঝলে বাপু! আমি হলাম কিনা ফ্যামিলি মাস্টার। তাই আমাকে গোটা পরিবারের কথা ভাবতে হয়।আর ছোট ছোট বাচ্চারা তো পড়বে না,তা কি করা যাবে।বাবামা যদি লেখা পড়াটা শেখে তাহলে তারাই পরে বাচ্চাকে পড়াতে পারবে।গোপাল মাস্টারের কথা শুনে স্বপনবাবু মাথা নাড়ালেন এবং বললেন,আজ্ঞে হ্যাঁ! তাহলে আপনি কাল থেকেই আসুন মাস্টার মশাই। স্বপনবাবুর কথাশুনে গোপাল মাস্টার কিছুটা বিরক্ত হলেন এবং বললেন, আরে বাপু আসল কথাটাই তো বলা হয়নি।স্বপনবাবু আমতা আমতা করতে করতে বললেন, আপনার কথা এখনও শেষ হয়নি? বেশ বলুন কি বলবেন?
গোপাল মাস্টার আবার শুরু করলেন,বুঝলে বাপু রেট টা এখনও বলা শেষ হয় নি।বাচ্চা শান্ত থাকলে সর্ব নিম্ন পাঁচ শত টাকা প্রতি মাসে,তোমার কথা মত যদি ইট পাথর ছোড়ে বা লাথি মারে কিমবা থুতু দেয় তাহলে রেট হবে হাজার টাকা প্রতি মাসে,গায়ে পেচ্ছাপ করলে দেড় হাজার টাকা প্রতি মাসে,পায়খানা লাগালে দু হাজার টাকা প্রতি মাসে।তবে একের বেশি বার পটি লাগালে অতিরিক্ত পাঁচশ টাকা করে দিতে হবে।গাছে উঠে আমার গায়ে পেচ্ছাপ করলে তিন হাজার টাকা প্রতি মাসে আর আমাকে মেরে রক্ত বার করে দিলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে।বুঝলে বাপু! দুরন্ত বাচ্চা বলে কথা!আমাকে তো মানসিকভাবে তৈরী থাকতে হবে।পাশের দু দশটা গ্রামে আমার মত মাস্টার খুঁজে পাবে না।আর বচ্চারা হল ফুল বা ফুলের মত।একটু দষ্টুমি তো করবেই, আর সে জন্য বাপ মাকে একটু পয়সা খরচ করতে হবে।
গোপাল মাস্টারের রেট শুনে স্বপনবাবুর ভির্মি খাওয়ার অবস্থা! কোনও মতে নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন,আজ্ঞে আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সারাদিন কোনক্রমে দেড় দু হাজার টাকা আয় করি।সংসার, বাচ্চার শিক্ষা প্রভৃতিতে কোন মতে আমাদের চলে যায়।তার উপর আপনার এই বিরাট রেট! আমি বোধহয় পেরে উঠবো না মাস্টার মশাই ।আপনাকে পেয়েও আমি কাজে লাগাতে পারলাম না।স্বপনবাবুর কথা শুনে গোপাল মাস্টার একটু ভয় পেলেন।এমন ছাত্র পড়ানোর সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যাবে! এরুপ আশঙ্কায় তিনি মুহুর্তের মধ্যে বলে উঠলেন,আহা! মিছে মিছে ভয় পাচ্ছ কেন বাপু। এই রেট টা তো তোমার বাচ্চা একমাসে করবে না।আর আমরা হলাম কিনা মানুষ! মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখাই আমাদের ধর্ম।তাহলে আগামি কাল থেকেই তোমাদের বাড়িতে যাই?
স্বপনবাবু,বেশ!তাহলে কাল থেকেই আসু্ন।(স্বপনবাবুর বাড়িতে পড়ানোর চিত্র দ্বিতীয় পর্বে দেখুন)
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছবিটি অযোধ্য পাহাড়ে সূর্যদয়।
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১২
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা।
মাষ্টার তো মনে হচ্ছে খুব চালু জিনিস।
ব্লগিং এ স্বাগতম।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি তখন নুতন হওয়ায়,উত্তর দেওয়ার কৌশল জানতাম না।দেরীতে হলেও তাই আজ উত্তর দিলাম।
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।ভাল থাকুন নিরন্তর।
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শুরুটা ভালই মনে হল ।
ব্লগিং শুভ হোক ।
বসন্তের শুভেচ্ছা রইল ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ ডঃ আলী ভাই, আমরা ব্লগে পদধুলি দেওয়ার জন্য,বাসন্তিক শুভেচ্ছা নেবেন।
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
ওমেরা বলেছেন: আসলেই আজব মাষ্টার তো ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যা,ম্যাডাম ঠিকই ধরেছেন।তবে কখনো কখনো বিড়ম্বনায় পরে বৈকি।আজব মাস্টরের পরবর্তী অংশ পড়ার অনুরোধ থাকলো।ধন্যবাদ,বাসন্তিক শুভেচ্ছা নেবেন।
৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৮
অর্ক বলেছেন: বেশ লাগলো। শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার, পোস্টটি পাঠ ও মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা অনন্ত।ভাল থাকুন নিরন্তর।
৬| ১৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাস্টারের মতি গতি বেশী সুবিধের মনে হচ্ছে না!
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরি স্যার। আমার নোটিফিকেশন মাঝে মাঝে ভূতুরে আচরণ করে। এই পোষ্টে আপনি প্রায় সপ্তাহ আগে মন্তব্য করেছেন, তবে আজব মাস্টারের দ্বিতীয় পর্বে আপনার মন্তব্যসূত্রে এটার সন্ধান পেলাম। অনিচ্ছাকৃত দেরীতে উত্তর দেওয়াই দুঃখিত। আপনি সময় নিয়ে পাঠ ও মন্তব্য করেছেন, এটাই আমার কাছে অনুপ্রেরণা। তবে মাস্টারের মতিগতি দেখতে খারাপ হলেও বাস্তবে ওনার সরলতা সমাজের চোখে সন্দেহের কারন হলেও উনি প্রকৃতিগত সেরকম নয়। আসলে আমি দেখাতে চেয়েছিলাম বিপরীত জেন্ডারের প্রতি সব লক্ষ্যগুলি সরলীকরণ করে একমুখী করায় বহু নিরীহ মানুষকে চরম লাঞ্চনার স্বীকার হতে হয়। এখানে সেরকমই একটি চিত্র আঁকার চেষ্টা করেছিলাম।
পাশাপাশি একটা কথা আমি মনে করি, ব্লগে একটা ভাষার বিদগ্ধজনের সান্নিধ্য পাওয়া যায়। যারা ব্লগকে প্রতিনিয়ত লেখনি শক্তি দিয়ে ঋদ্ধ করছেন। তাই আপনাদের আগমন ও মন্তব্য আমাদর মত শিক্ষার্থীব্লগারদের দিকনির্দেশনা স্বরুপ। আপনাদের নিরন্তর পাশে পাওয়া আমাদের প্রার্থনা ।
অনেক শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
৭| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, প্রীত হ'লাম।
কানসাসে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অধ্যাপক,আশঙ্কায় পরিবার - পড়েও একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। আগেও জানিয়েছিলাম।
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আবার আগমনে আরও মুগ্ধ হলাম। আমি ঐ পোষ্টে আপনার প্রতিমন্তব্য করে এসেছি । দয়া করে একটু দেখে নিলে আনন্দ পাবো।
অনেক শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা স্যার আপনাকে।
৮| ২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: দেখেছি, ধন্যবাদ।
২৭ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ধন্যবাদ সানন্দে গ্রহণ করলাম স্যর। পাশাপাশি যদি সময় করে উঠতে পারেন তাহলে আমার ' খাঁচার পাখি, ভীতুর ভূত দর্শন , একদিন ঝড়ের রাতে' পড়ার অনুরোধ করবো। আপনার মূল্যবান পরামর্শের অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন, কামনাকরি।
৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
রাকু হাসান বলেছেন:
আজব মাস্টার শিরোনাম দেখেই কৌতূহল জন্ম নিয়েছিল । এমন আজব মাস্টারের গল্প কোনো দিনই পড়িনি। উপভোগ করলাম তোমার প্রথম দিকের লেখা , এখনই পড়তে মন চাচ্ছে দ্বিতীয় পর্ব । এসেছিলাম ডিমেস্বার মাসের পোস্ট পড়তে ,এসে দেখি তোমার আগমনই ভাষার মাসে । শুভকামনা ও দোয়া রইল ।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরে ! তুমি একেবারে প্রথম দিকেই চলে এসেছো ? এ সময়কার পোস্টগুলোতে প্রচুর ভুলভাল আছে। আমি নিজে পড়ে দেখেছি। তবে আমি ওগুলো সংশোধন করবোনা। আমার পূর্বের ও পরের লেখার বৈষম্যটা বোঝার জন্যই এই নিদর্শনটা বহন করা আরকি।
তবে একথা তোমাকে জানাই ' আজব মাস্টার ' লিখে আমি ঠিক শান্তি পাইনি। আমি ঠিক যেভাবে ভেবেছিলাম সেই ভাবে একে দাঁড় করাতে পারেনি। প্রথম পর্বে যদিও বা হয়েছিল পরের দিকে আর সেভাবে তুলে ধরতে পারেনি। যে কারণে দুটি পর্ব দিয়ে আর পোস্ট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ।
আর আমার আগমন ভাষার মাসে ; বিষয়টা এই প্রথম তুমি নোটিশ করলে । ধন্যবাদ তোমাকে।
উপরওয়ালা যেন তোমার দোয়া কবুল করেন। পাশাপাশি তোমার জন্যও রইল আমার নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।
১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
রাকু হাসান বলেছেন:
ভুল গেছি ,পাহাড়ের ছবিটি আমার খুব ভালো লেগেছে ।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,
তোমাকে আবার কমেন্টে পাওয়া মানে আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। পাহাড়ের ছবিটা তোমাকে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম তবে ছবিটি আমার হাত তোলা নয় ; তোমার ভাবিজির তোলা। গত বছর যখন পুরুলিয়াতে ঘুরতে গেছিলাম সকালবেলা বাবু তখনো ঘুমিয়ে থাকাই বাধ্য হয়ে ওকে নিয়ে আমি ঘরে ছিলাম । ফলে একাকী সে সময় তোমার ভাবিজি ক্যামেরা নিয়ে রাস্তায় বার হয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে অপূর্ব এই ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেছিল। আর আবছা দেখা পাহাড়টিই হল অযোধ্যা পাহাড়, পুরুলিয়া।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় ভাইটিকে।
১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি,
গল্পের নাম শুনে ভেবেছিলাম তোমার কাহিনী। পড়ে দেখলাম ভুড়িওয়ালা মাস্টার। টোটনের সাথে আমার এক ভাতিজার মিল পেলাম। মামাতো ভাইয়ের ছেলে। ওকে আবার আমি মাঝে মাঝে টেটন বলে ডাকি। এতটাই পাজি যে একবার ওর গৃহশিক্ষিকাকে চেয়ার দিয়ে বারি দেয় মাথায়। ফেটেছে কিনা জানিনা তবে রক্ত বেরিয়েছিল। এখনও ঐ টিচার পড়ায় কারন আমার কাজিন মাস্তান টাইপের। টিচার চাকরি ছাড়ার সাহস করে নি। আমাদের বিড়াল পিকুর মেয়ে মিকু এতো দুরন্ত যে এক ভাবি বলে ঐ ভাতিজার মতন।
আর মাস্টারটাকে একদম পছন্দ হয় নি। দেখি পরের পর্বে কী হয়।
আর ঐ আইডিয়াটা ভাল হয়েছে। আমি তো ভেবে ভেবে ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পটি আমার এই কথা। ভুঁড়িওয়ালা মাস্টার ! আদবে আমি। তুমি বুঝতে পারোনি ? হে হে হে।
যাক তাহলে তুমি ওখানে টেটনকে পেয়ে গেছো । এরকম বিচ্ছু ছেলে সব জায়গায় দুই একটি করে থাকে। আর তোমার কাজিন ত মাস্তান ! কাজেই হাদা ভোলা মাস্টার চাকরি ছাড়বে কি বলে ? পাঠ দান যে তাকে করতেই হবে।
তোমার বিড়ালের নাম পিকু ? আর তার মেয়ের নাম আমার মিকু ? দারুন সুন্দর নাম রেখেছ।
ঠিক আছে পরের পর্বে দেখো কি আছে। আমারও তো অনেকদিন আগে দেওয়া ; সবটাই যে মনে নেই।
আর আইডিয়াটি তাহলে তোমার ঠিক বলে মনে হয়েছে হা হা হা হা।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবে।
শুভ রাত্রি।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: