নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাঁচার পাখি

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪



দুই পুত্রের পর যখন জয়িতাদেবী কন্যা সন্তান প্রসব করলেন,তখন ধীরাজবাবুর আনন্দ যেন আর থামতেই চায় না।নিজেকে তখন পৃথিবীর অন্যতম একজন সুখি মানুষ হিসাবে ভাবতে শুরু করেন।বিকাশ ও প্রকাশ এই দম্পতীর পুত্র সন্তান। নবজাতক পুত্র বা কন্যার নাম কি হবে তা আর পাঁচটি সাধারন মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের মত কিছুটা ঠিক করে রেখেছিলেন।সেই মত কন্যার নামকরণ করা হল সুলক্ষণা।ডাকনাম ঠিক হল মেঘা।ক্রমে মেঘা বড় হতে লাগলো বাপ সোহাগি মেয়ে ছিল যেন ধীরজবাবুর নয়নের মনি।বড় দুই দাদাও ছোট্ট মেঘাকে খুব ভালবাসতো।তবে বোনের প্রতি বাবার অসম্ভব স্নেহ দেখে দুইভাই প্রায়ই দুঃখ প্রকাশ করে মাকে বলতো যে বাবা বোনকে বেশি ভালবাসে।জয়িতাদেবী অবশ্য পিঠেপিঠি দুই ভায়ের মাথায় হাত রেখে বোঝাতেন, না বাবা অমন ভাবতে নেই, বাবামায়ের কাছে সন্তান কখনও আপন পর হয় না,সবাই সমান।

তবে খাওয়ার সময়ের চিত্রটি একটু অন্যরকম ছিল।মেঘা ছোট মানুষ বেশি খেতে পারে না।তবে ভাগ নেবে দাদাদের মত সমান।কাজেই প্রায়ই সময় সে খাওয়া শেষ করতে পারতো না।মাছও খেত একটুখানি।তার এই অবশিষ্ট মাছটি পাওয়ার আশায় দুই দাদা বেড়ালের মত যেন বসে থাকে।ইচ্ছে করেই খাওয়া শেষ না করে,মেঘার সঙ্গে আস্তে আস্তে খায়। তবে আগে থেকে ওকে ম্যানেজ না করলে অবশ্য মাছ পাওয়া কঠিন ছিল।যাইহোক মূলত এই কারনে দুই ভাই তার সঙ্গে ঝগড়া করত না।বরং তাকে হাতে রাখার একটা প্রতিযোগিতা দুই ভায়ের মধ্যে লেগে থাকতো।জয়িতাদেবী ছেলেমেয়েদের এই খুনসুটি দেখে তৃপ্তবোধ করেন আর যে বেলায় যে দাদা মেঘার টুকরো মাছ থেকে বঞ্চিত হয়,তাকে আর একটি গাদা দিয়ে সমতা রাখার চেষ্টা করেন।

ধীরাজবাবু পোষ্ট অফিসে চাকুরী করেন।বহুদিন পরে এবার প্রমোশন পেয়েছেন।কলকাতার GPO(জেনারেল পোষ্ট অফিস)তে পোস্টিং। তবে প্রমোশন নেবেন কিনা সে বিষয়ে তিনি দোদুল্যমান। গ্রামের পোষ্টঅফিসে সামান্য বেতেনের চাকুরী হলেও দিনের বেশিরভাগ সময় পরিবারকে দিতে পারেন। কিন্তু GPO তে জয়েন করলে বেতন অনেকটা বেশি হলেও সেই সকালে CTC(কলকাতা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি) র বাস ধরে ধর্মতলায় যাওয়া,আর বাড়ি ফিরতে ফিরতে অন্তত রাত আটটা/নটাতো হওয়া।এহেন প্রমোশনের খবরে বাড়িতে কারো মনে শান্তি নেয়।কিন্তু একা রোজগারে পাঁচজনের ভরন পোষনের কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত ধীরাজবাবু কলকাতার GPOতে জয়েন করতে বাধ্য হলেন।

ধীরাজবাবুর পৈতৃক ভিটে দক্ষিন ২৪পরগানার বারুইপুরে হলেও মায়ের দিক থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি দেখাশোনার সুবাদে বর্তমানে মিনাখাঁয় বসবাস।এখানে যখন আসেন তখন অবশ্য তিনি বিয়েথা করেননি।এখন বাবামা দু জনেই গত হয়েছেন।বারুইপুরের সামান্য জমিটুকু বিক্রি করে দিয়েছেন।যেখান থেকে কলকাতা বেশ কাছেই ছিল।সেদিক থেকে এখনকার বাড়ি থেকে কলকাতা বেশ দূর।প্রত্যেক দিন চার-পাঁচ ঘন্টা সময় যাতায়াতেই লেগে যায়। প্রায়ই দিন ধীরাজবাবু বাড়ি এসে দেখেন,ছেলেরা পড়াশোনায় ব্যস্ত তবে মেঘা ঘুমিয়ে কাদা। রাতে হাত মুখ ধুয়ে ঘুমন্ত মেয়েকে একটু আদর করে দেওয়া ছিল তার নিত্যকার ঘটনা।কোন কোন দিন ফেরার পথে কেনা খাবার মেয়েকে জোর করে ঘুম থেকে তুলে খাওয়ানোর চেষ্টা অবশ্য করতেন।এভাবেই ধীরাজবাবুর দিন কাটছিল।

দেখতে দেখতে অনেকগুলি বছর ধীরাজবাবু জি পি ও তে কাটিয়ে ফেললেন।এখন তার বয়স অনেকটা বেড়ে গেছে।শরীরের সামর্থ্যও কমছে।অথচ বাসের ভীড় দিনকে দিন ক্রমাগত বাড়ছে।এই জার্নিটা যেন ধীরাজবাবু আর সইতে পারছেননা।বড় ছেলে বিকাশ ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামুলক সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করে বর্তমানে P.hd করছে।ছোট ছেলে প্রকাশ শিবপুর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইজ্ঞিনিয়ারিং পাশ করেছে।ফাইনাল সেমিস্টারে প্লেসমেন্ট পেয়েছে TCS(টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস)এ।বর্তমানে হায়দ্রাবাদে পোস্টিং। আর মেঘা এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।ধীরাজবাবুর শরীরও খুব একটা ভাল নেই।বিশেষ করে সুগার ধরা পড়া ও প্রেসার বৃদ্ধির পর কলকাতায় চাকুরী করতে যাওয়া নিয়ে স্বামীর স্ত্রী খুব চিন্তায় থাকেন।কাজেই ধীরাজবাবু উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের পর মেয়েকে বিয়ে দিয়ে কন্যাদায় থেকে মুক্ত হবেন বলে মোটামুটিভাবে ঠিক করে রেখেছেন।জয়িতাদেবী অবশ্য কোন দিন স্বামীর কোন কথায় আপত্তি করেননি।তাই এক্ষেত্রে স্বামীর মতই তার মত।এমতাবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের পরে সুলক্ষণাকে পাত্রস্থ করবেন বলে দুজনেই মোটামুটি ঠিক করে রেখেছেন।

মেঘা পড়াশোনায় ভীষণই ভাল,রুপেও যথেষ্ট।ক্লাসের ফাস্ট গার্ল।কো-এড স্কুলে পড়ে।ক্লাস নাইন/টেনে পড়ার সময় উচু ক্লাস তো বটেই নিজের ক্লাসেরও কয়েক জন তার বান্ধবীদের মাধ্যমে তাকে প্রপোজ করেছিল।সে অবশ্য এসব বিষয়কে কোন দিন পাত্তা দেয়নি।তবে একাদশ শ্রেণিতে ওঠার পর এই বিষয়টি তার নেহাত মন্দ লাগতো না।ক্লাসের অন্য বন্ধুদের প্রপোজের খোঁজ খবর নিত।তার এই আগ্রহ দেখে ক্লাসেরই এক বান্ধবী তাকে সহপাঠী একজনের ভাল লাগার কথা বলায়,সে ছেলেটিকে সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলতে বলে।সেইমত একদিন ছেলেটি ক্লাসরুমের মধ্যে তাকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে পাল্টা মেঘার যুক্তি ছিল,আমাকে ভালো লাগা যেমন তোমার কোন অপরাধ নয়,তেমনি আমারও কিছু ভালো লাগা থাকতে পারে।মেঘার মতে,আমি তাকেই বয়ফ্রেন্ড করবো,যে অন্তত পড়াশোনায় আমাকে হার মানাবে।বলেই সে উচ্চ মাধ্যমিকের সমাকলন বিদ্যা থেকে দুটি অঙ্ক ছেলেটিকে কষতে দেয়।উল্লেখ্য অঙ্ক ছিল মেঘার প্রিয় সাবজেক্ট। যাইহোক ছেলেটি,মেঘা আমি আসছি বলে ; দ্রুত বার হয়ে যায়।তার পর থেকে আর কেউ মেঘাকে প্রপোজ করার সাহস পেত না।স্কুলে ওর পরিচয় ছিল, প্রেমের কথা বললে অঙ্ক কষতে দেবে।মেঘা অবশ্য তার এই নুতন পরিচয় পেয়ে বেশ উপভোগ করতো।তবে স্কুলে নবাগত শি ক্ষক নবীন স্যারকে মেঘা বেশ পছন্দ করে।বারাকপুরের কলাবাগানে স্যারের বাড়ি।স্কুলের হোস্টেলে থাকেন।বাংলা পড়ান।স্যারের পুরো নাম নবীন কুমার সরকার।ক্লাসে স্যারের কথা মেঘা মন দিয়ে শোনে।পড়ানোর সময় স্যারের মুখের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকে।একদিন তো স্যার ওকে একটি প্রশ্ন করতে, তখনও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকায়,স্যার একটি ধমক দিয়ে ওঠেন,কি সুলক্ষণা! কি ভাবছো? ক্ষনিকের লজ্জা পেয়ে,না স্যার বলে উত্তরটি দিয়ে দেয়।সাধারনত স্কুলের out going ছাত্রদের মধ্যথেকে একজন সেবছর সরস্বতীপূজার কনভেনর নিযুক্ত হয়।এবার সরস্বতীপূজার কনভেনর নির্বাচিত হয়েছে সুলক্ষণা। অন্যদিকে শিক্ষকদের মধ্যথেকে নুতন হওয়াই নবীন স্যার পূজা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন।নবীন স্যারের পরামর্শ মত অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক পূজা সম্পন্ন করায় সুলক্ষণার নাম বিদ্যালয়ে সবার মুখে মুখে।নবীনস্যারও মেধাবী সুলক্ষণাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন।সময় পেলেই বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ খবর নেন। নবীন স্যারের সঙ্গে কথা বলে মেঘা আলাদা রোমাঞ্চ অনুভব করে।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় তিনমাস পরে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে।সুলক্ষণা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে।পরীক্ষায় সে ৮৯শতাংশ নম্বর পেয়েছে। মার্কশিট নিয়ে খুব আনন্দের সঙ্গে বাড়ি এসে মাকে প্রনাম করলো।কিন্তু মায়ের মুখে হাসি নেয়।সে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করলো আরও ভাল রেজাল্ট না হওয়ায় মা অখুশি কিনা।এবারও মায়ের মুখে কোন উত্তর নেয়।সে মায়ের ব্যাবহারে অবাক হয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলো,তার অপরাধ কি? বা মায়ের এহেন আচরণের কারন কি?কেন মা তার প্রতি মুখ গোমরা করে আছে?মেঘার দাদারা অবশ্য বোনের রেজাল্ট নিয়ে ভীষন খুশি।সে দাদাদের কাছ থেকে শুনেছে কলকাতায় কীভাবে মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে সমানে দাপিয়ে পড়াশোনা করে।মেঘাও বড়দার মত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখে। ওখানে যদি চান্স না পায়,তাহলে আশুতোষ কলেজ কিমবা মৌলানা আজাদ কলেজ হলেও চলবে।প্রথম পছন্দ অংক না হলে ফিজিক্স নিয়ে পড়তে চায়।এমতাবস্থায় ফল প্রকাশের পর প্রথম দুদিন বাড়িতে দমবন্ধ অবস্থায় থাকার পর সেদিন রাতে বাবা অফিস থেকে ফিরে মেয়েকে তাদের মনের কথা জানিয়ে দিলেন।কলকাতা নয়,বাড়ির পাশে বামুনপুকুর কলেজ থেকে ফর্ম তুলতে বললেন।বাবার মুখে একথায় মেঘার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো।বাবামা যে যার ঘরে যাওয়ার পর,নানারকম ভাবতে লাগলো।চোখের জলে ক্রমাগত বালিশ ভিজতে লাগলো।সারাজীবন যে বাবা কখনও মেয়ের কোন কাজে বাধা দেয়নি,কোনদিন পড়ার কথা তাকে বলতে হয়নি,সেই বাবাই আজ তাকে নিরুৎসাহিত করছে।সমস্ত যোগ্যতা থাকার সত্ত্বেও তার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে?নানান প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো।

সেদিন রাতে বাবামা মেয়েকে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাদেরও মন তোলপার হতে লাগলো।এমন একজন কৃতি সন্তানকে মাজপথে পড়া বন্ধ করে পাত্রস্থ করার সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা -এনিয়ে স্বামী স্ত্রী সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি।জয়িতাদেবী তো মাঝরাতে একবার উঠে দেখেই এলেন,মেয়ে ঠিকঠাক ঘুমাচ্ছে কিনা।দরজায় কান পেতে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে কিছুটা নিশ্চিত হয়ে পা টিপে টিপে নিজের ঘরে এসে শুয়ে পড়লেন।ধীরাজবাবুর অত্যাধিক উত্তেজনায় শ্বাস কষ্ট শুরু হল।পরের দিন তিনি আর অফিসে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

সকালে জয়িতাদেবী প্রত্যেকদিনের মত কাজ শুরু করলেন।ধীরাজবাবু বারান্দায় ফেলা আনন্দবাজার পত্রিকায় একবার চোখ বোলালেন ঠিকই, কিন্তু মনের মধ্যে একটা আশংকা ক্রমাগত খচখচ করতে লাগলো।আর না পেরে স্ত্রীকে মেঘাকে ডাকতে বললেন।এই যাই সেই যায় বলে সকালের কাজ কিছুটা সামলিয়ে জয়িতাদেবী মেয়েকে ডাকতে গেলেন।বেশ কয়েকবার ডাকার পরও মেঘার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে এবার বাবামা সজোরে দরজায় ধাক্কা দিতে লাগলেন।তাতেও কোন কাজ হল না।ইতিমধ্যে বাইরে অনেক লোক জমে গেছে।আর ধৈর্য ধরতে পারলেন না।এবার কয়েকজন মিলে দরজায় সজোরে ধাক্কা দিতেই দরজা ভেঙে গেল।সিলিংএ ঝুলন্ত মেঘাকে দেখে ধীরাজবাবু সংগা হারলেন আর জয়িতাদেবীও মুর্ছা গেলেন।

মেঘা চলে গেল। আস্তে আস্তে জয়িতাদেবী সুস্থ হলেন।কিন্তু ধীরাজবাবু আর সুস্থ হলেন না।একে তো সুগার প্রেসার ছিল।এখন আবার নুতন করে যোগ হল, উনি সারাদিন মেঘার সঙ্গে কথা বলেন।মেঘা নাকি প্রত্যেকদিন কলেজে যায়।যাওয়ার আগে বাবাকে বলে,আসছি।মেয়ে কলেজ থেকে কখন ফিরবে কিমবা রাস্তায় কোন বিপদ হয় কিনা সেই আশঙ্কায় ধীরাজবাবু আর অফিসে যাননা।কেউ বোঝাতে এলে ধমক দেন, আমার মেঘাকে তোমরা কেউ আমার থেকে আলাদা করতে পারবে না।ও কলেজে গেছে পাশ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে।প্রত্যেকদিন রাতে বিছানায় শুয়ে উনি মেঘার সঙ্গে এভাবে কথা বলেন আর খিল খিল করে হাসেন।জয়িতাদেবী পাশে থেকে কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর স্বামীর মাথায় হাত বুলাতে থাকেন,যাতে একটু ঘুম আসে।বাবা মেয়ের কথোপকথোন প্রত্যক্ষ করতে করতে যখন একটু তন্দ্রা ভাব আসে ততক্ষনে পূব আকাশে লাল আভার উদয় হয়।

বিঃদ্র - পোষ্টটি রিপোস্ট । তখন আমি সেফ হইনি । সেদিন যারা পোষ্টটিতে মূল্যবান মন্তব্য দিয়েছিলেন , তাঁরা হলেন প্রিয় মাইদুলভাই, আখেনাটেনভাই, ওমেরাপু, তারেক মাহমুদভাই, সৈয়দ ইসলামভাই ও শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসানস্যার।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: শুভ ব্লগিং।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ,মইদুল ভাইয়া।ভাল থাকুন নিরন্তর।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভাল লাগলো।

লেখা চালিয়ে যান।

ধন্যবাদ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ,ভাইজান।ফাগুনের শুভেচ্ছা নেবেন।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

বড় প্যারাগুলোকে আর একটু ছোট করতে পারেন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ,আখেনাটেন ভাই।বাসন্তিক শুভেচ্ছা নেবেন।আপনাদের ভাল লাগা আমার প্রেরণা। আর পরামর্শ আমর পাথেয়।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

ওমেরা বলেছেন: গল্প বেশ ভাল হয়েছে ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ,দিদিভাই।আমি মাত্র কয়েক দিন হল ব্লগে এসেছি। অথচ যে কজনের লেখা পড়ে আমার একটা আত্মিক টান চলে এসেছে, আপনি তাদের অন্যতম।আপনাদের ভাললাগা আমার প্রেরণা আর সমালোচনা আমার দিশারী।ভাল থাকুন নিরন্তর।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুব ভাল লাগলো, মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ,ভাইজান।বাসন্তিক শুভেচ্ছা নেবেন।ভাল থাকুন নিরন্তর।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:


লেখাটা কি আপনার?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কেন স্যার? ব্লগে কি কেউ অন্যের লেখা দেয়? ধন্যবাদ,ভাল থাকুন নিরন্তর।

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:



দেয় না এমন না। অনেকেই দেয়, তবে রেফারেন্স সহ।

এটা যদি আপনার লেখা হয়ে থাকে, তবে বেশি বেশি করে লিখুন আর ব্লগবাসীকে ধন্য করুন এটাই কামনা। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যা,স্যার ঠিকই বলেছেন।তবে এটা আমার সম্প্রতি লেখা ছোট গল্প।আপনার ভালো লাগলো জেনে আমি আপ্লুত। দোয়া করবেন,যাতে আগামী দিনে এমন আরও অনেক গল্প লিখতে পারি।শুভেচ্ছা নেবেন।ভাল থাকুন নিরন্তর।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "স্কুলে ওর পরিচয় ছিল, প্রেমের কথা বললে অঙ্ক কষতে দেবে" - দারুণ উপভোগ করলাম ব্যাপারটা! :D
গল্পের শেষে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেল, কিন্তু আপনি অসাধারণ একটা গল্প লিখেছেন। একটানে পড়ে ফেলার মত গল্প।
ছবিটার তাৎপর্য কি একটু ব্যাখ্যা করবেন?
গল্পে তৃ্তীয় ভাল লাগা + +

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যর,
৩ জুলাইতে করা মন্তব্যে অনিচ্ছাকৃত দেরীতে উত্তর দেওয়াই দুঃখিত। আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। গল্প উপভোগ্য হয়েছে জেনে পুলকিত হলাম। গল্পের শেষে বিষন্নতা না আনলে বোধহয় খুব একটা ভালো লাগতো না। গল্পে আপনার নিকট থেকে ++ চিহ্ন পাওয়া মানে ব্লগে আমার অন্যতম সেরা পুরষ্কার। দোয়া প্রার্থনা করবো যাতে আগামীতে আরও ভালো পোষ্ট দিতে পারি।

আর উপরের ছবি প্রসঙ্গে আমার চিন্তা ছিল ,
পাহাড়টি পুরুলিয়াতে অবস্থিত। কলকাতার যাদবপুরের এক ভদ্রলোক গোটা পাহাড়ে স্থানীয়দের নিয়ে বিভিন্ন রকমের পাখির ছবি একেছেন। যে কারনে পাহাড়টির নামকরণ হয়েছে পাখি পাহাড় । সুন্দর পাহাড়কে কৃতিমতায় সাজানো দেখে মনে হল, গল্পে মেয়েটিকে যদি বাবামা স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে দিতো, তাহলে গোটা সংসারটি আরও সুন্দর হত। গল্পে মেয়েটির পায়ে বেড়ি দিয়ে যেমন তাঁর স্বাভাবিকত্ব নষ্ট করা হয়েছে, তেমনি প্রকৃতির মাঝে সুন্দর পাহাড়ে নক্সা করে পাহাড়টির আসল সৌন্দর্য থেকে পর্যটকদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

পাশাপাশি স্যর আপনাকে আমার লেখা সর্বাধিক লাইক প্রাপ্য ছোটোগল্প ' শিরোনামহীন 'ও 'অপরাহ্নের আলো ' পড়ার অনুরোধ করবো।

নিরন্তর শুভেচ্চা আপনাকে।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনাকে পড়া শুরু করছি !
পোস্টে ভালো লাগা নিন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ খুশি হয়েছি আপনি এতটা পিছন থেকে পড়া শুরু করেছেন দেখে। আপনার ভালোবাসায় সিক্ত হলাম। আমিও পরবর্তীতে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর গল্প ।
ভালো লাগা ছুঁয়ে গেল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: এত কষ্ট করে পড়লাম আর এইটুকু প্রতি মন্তব্য। মন ভরলো না্ প্রিয় দাদা।
আমার মতো ব্যস্ত নাকি? হা হা হা.. =p~

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা...
এই মুহূর্তে রাজদেওড়ার জঙ্গলের ষষ্ঠ পর্ব লেখা শেষ করলাম। আর সারাদিন সময় পেলেই টাইপ করে গেছি। তারই নমুনা আপনি প্রতিমন্তব্যে পেলেন। এবারে যাব খেতে।

শুভকামনা প্রিয় ইসিয়াকভাইকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.