নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিগুরু ও একটি অমীমাংসিত প্রশ্ন

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭



কবিগুরু হলেন বিশ্বের সেই বিরল ব্যক্তি যার লেখা গান তিনটি দেশের জাতীয় সংগীত। ভারত, বাংলাদেশের পর তৃতীয় দেশটি হল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বিষয়টির মধ্যে একটু প্রশ্ন রয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে সর্বাগ্রে আমরা দেখবো শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতটি।


শ্রীলঙ্কা মাতা

মা লংকা আমি তোকে প্রণাম করি ,
হেমা তোর সমৃদ্ধি বিপুল,
দয়া আর মমতায় তুই অতুল,
অনাজ আর সুস্বাদু ফলেতে পূর্ণ ,
উজ্জ্বল রঙের সুগন্ধিত ফুলে ফুলেল,
জীবন আর সকল ভাল বস্তুর ধাত্রী,
আনন্দ আর বিজয়ের আমার ভূমি,
আমার আভারী প্রশংসা স্বীকার করি।
আমাকে জ্ঞান আর সত্যের দান দেয়া জননী,
তুই আমার সামর্থ্য আর আন্তরিক বিশ্বাস,
আমার দিব্য জ্যোতি আর সংবেদনশীল জীব,
জীবন আর মুক্তির শ্বাস,
আমাকে বন্ধন মুক্ত প্রেরণা প্রদান কর,
নবীন বুদ্ধি আর শক্তিতে,
রোগ, ঘৃনা কলহ, সকল শেষ হয়ে যাক,
ভালবাসয় পূর্ণ এক শক্তিশালী রাষ্ট্র,
আমরা সবাই একহয়ে আগ বাড়াই,
হেমা, আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতার দিকে নিয়ে যা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবর্ষ উদযাপনকালে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদপত্র, এই মর্মে একটি খবর পরিবেশন করে যে শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতটির রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং। নিঃসন্দেহে এখবরে আমাদের গর্ব হবার কথা । কিন্তু সন্দেহ থেকে গেল খবরটির বিশ্বস্ততা বা নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে । কারন সংবাদে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই । পাশাপাশি কবিগুরুর জীবনীকার বা গবেষকরাও এমন কোনো সূত্র দিতে পারেননি যে গানটির রচয়িতা কবি স্বয়ং ।

ওদিকে আবার দ্বীপরাষ্ট্রের নিজস্ব পোর্টালে জাতীয় সংগীতের কম্পোজার হিসাবে আনন্দ সানারাকুনের নামও আছে । তাহলে তার কৃতিত্ব
নিয়ে এই প্রশ্ন কেন? উল্লেখ্য সংগীতটির সুর অনেকটা রবীন্দ্র সংগীতের অনুরুপ । উইকিপিডিয়া মতে ১৯৩০ সালে আনন্দ সামারাকুন চারুকলা ও সঙ্গীত পাঠ নিতে বিশ্বভারতীতে আসেন । অল্পদিনের মধ্যে তিনি কবিগুরুর নৈকট্য লাভ করেন । ১৯৩৮সালে তিনি গুরুদেবের কাছে একটি গান লিখতে অনুরোধ করেন । রবীন্দ্রনাথ বাংলায়, 'নমো নমো শ্রীলঙ্কা মাতা, ' গানটি লিখে সুরদেন । ১৯৪০ সালে দেশে ফিরে ১৯৪৬ সালে আনন্দ সিংহলি ভাষায় গানটি অনুবাদ করে একটি রেকর্ড বার করেন। ইতিমধ্যে তৈরী হওয়া জাতীয় সংগীত কমিটিতে আনন্দ গানটি জমাও দেন । সেই মত ১৯৫১ সালের ২২ নভেম্বর গানটি শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতের মর্যাদা লাভ করে।

কিন্তু গানটি পরবর্তীকালে সমালোচনায় পড়লে, আনন্দ পাল্টা প্রবন্ধ লিখে মতামত ব্যক্ত করলেও সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে পারেননি । জাতীয় সঙ্গীত পরিষদ আনন্দের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই শ্রীলঙ্কা মাতার পঙতিতে কিছু পরিবর্তন আনে । সূত্রমতে এই অপমান ও দুঃখ সহ্য করতে না পেরে আনন্দ ১৯৬২ সালে ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেন ।

তবে সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশিত ভাষ্য সত্য হলে ধরে নিতে হয় আনন্দ অসততা করেছেন । রবীন্দ্র নামের গানের অনুবাদ তাঁর নিজের বলে
চালিয়ে দিয়েছেন । অন্যায়ভাবে নিজের বলে জাতীয় সংগীতের প্যানেলে জমাও দিয়েছেন । সেক্ষেত্রে বরং গ্লানি ও দহনের কারণেই আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অনুমান করা হয় ।

পাশাপাশি এটাও ভাবার বিষয় যে একজন সম্মানীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমান ছাড়াই এ ধরনের অভিযোগ আনাটা একটা
অপরাধ হল নয়কী? শুধুমাত্র অনুমানের উপর নির্ভর করে এ ধরনের অভিযোগ আনাটা ওনার প্রতি অবিচারের নামান্তর ।

পোষ্টটি শ্রদ্ধেয় ব্লগার প্রিয় নিজাম উদ্দিন মন্ডল ভাইকে উপহার দিলাম ।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

নতুন নকিব বলেছেন:



বিষয়টি প্রথম জানলাম। পোস্টে ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই নকিব ভাই পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

অনেক ভাল লাগা আপনাকে।

২| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আনন্দ নিশ্চয় মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি ছিলেন; এই ধরণের মানুষের পক্ষে ভুল ও অন্যায় করা সম্ভব

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাধারনত দেখা যায় শিল্পীদের মন খুব দুর্বল প্রকৃতির হয়। যে কারনে আমরা যেটা দেখতে পাইনা, ওরা সেটা কৃত্তিতে ফুঁটিয়ে তোলে । তাছাড়া দোষগুনে মানুষ, দুর্বলতা চরিত্রে থাকতেই পারে। তবে সামাজিক বা পারিপার্শ্বিক চাপ যারা সহ্য করতে পারে না তারাই সাধারনত আত্মহত্যা করে।

নিরন্তর শ্রদ্ধা আপনাকে। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: জানা ছিল না। আপনার কল্যাণে জানা হল। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সম্রাট ভাই আপনাকে জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।

অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

শামচুল হক বলেছেন: বিষয়টি আগে জানা ছিল না, জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শামচুল ভাই আপনি এই পোষ্টটির শুরুতেও কমেন্ট করেছিলেন। কিন্তু একটা সমস্যার কারনে আমি ওটা তুলে নিই। আপনার মন্তব্য ছিল,অমীমাংসিত বিষয়টি কী? এবার আপনি নিশ্চয় প্রশ্নটি পেয়ে গেছেন।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

মৌরি হক দোলা বলেছেন: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান তিনটি দেশের জাতীয় সংগীত :) :)

বাঙালি জাতির আনন্দ হওয়ারই কথা :)

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ দোলা, সত্যিই আমরা গর্বিত। কিন্তু শ্রীলঙ্কা মাতার ক্ষেত্রে একটু প্রশ্ন থেকে গেল। যাইহোক আমরা বাঙালী হিসাবে আনন্দিত ।

অনেক অনেক ভালো লাগা তোমাকে ।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে যতই জেনেছি ততই মুগ্ধ হয়েছি।

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ছোটভাই, কবিগুরু হলেন মহাসমুদ্র। নিজের ভান্ডার পূর্ণ হবে কিন্তু কবিকে চেনা অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। কেউ দাবি করতে পারবে না যে আমি কবিগুরুকে জানা সম্পূর্ণ করেছি।

রইল অফুরান শুভ কামনা।

৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই দোটানার কথা জানা ছিলো না তো !!
আমি রবীন্দ্রনাথ ই জানতাম।
ধন্যবাদ তথ্যের জন্য।

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পদচারণে ধন্য হই আপু। হ্যাঁ উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে ঢাকা কেন্দ্রীক মিডিয়া বিষয়টি সামনে আনে। যদিও এই অমীমাংসিত আকারে।

অনন্ত শুভেচ্ছা।ভাল থাকা নিরন্তর।

০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু পোষ্টকে লাইক করার জন্য আপনাকে আরো একবার কৃতজ্ঞতা জানাই ।

৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: যাক্ নোংরা মন্তব্যটা মুছে ফেলার জন্য ধন্যবাদ।:)

ওটার জন্যই এতক্ষন মন্তব্য করি না।:( সামনের বার থেকে ওসব মন্তব্য না পড়েই সুছে ফেলবেন এবং ওসব আইডি ব্লক মারবেন।।


প্রিয় চৌধুরি ভাইয়ের জন্য শুভকামনা।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি প্রথমে ভাবতে পারিনি যে ব্লগের মত জায়গায় এমন হতে পারে। যেকারনে একটু সময় লেগেছে। আমার একটি প্রশ্ন ব্লগ ব্লক করতে গেলে কী করতে হবে?

৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতঃ
বীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন এবং আনন্দ সামারাকুন সিংহলি ভাষায় অনুবাদ করেন।


"কথাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,
অনুবাদঃ আনন্দ সামারাকুন, ১৯৪০
সুরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯৩৮
গ্রহণের তারিখঃ ১৯৫১

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে মন্ডল ভাই। আপনি সেদিন না সন্ধান দিলে বিষয়টি জানা হত না।

অনেক শুভেচ্ছা ও ভাল লাগা আপনাকে।

১০| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: জানতাম, শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতও রবীটাকুরের লেখা। তবে এর মধ্যে এতো প্যাচ, রহস্য জানা ছিল না। আনন্দ যদি গানটি নিজের বলে চালিয়ে দেন, তাহলে তা গুরুতর অন্যায়। ক্ষমাহীণ পাপ।............. বরাবরের মতো চমৎকার পোস্ট।

বিঃদ্রঃ....... একটু ব্যস্ত থাকায় কমেন্ট করতে লেট হয়েছে। ভাল থাকবেন প্রিয় পদাতিক চৌধুরী ভাই।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি খুব খুব অভিমান করেছি আপনার উপর। আমি জানি সে রাইট আমার আছে। তবে শেষ পর্যন্ত যে এলেন এতেই বরফ গলে জল। হ্যাঁ, বিষয়টি বেশ জটিল।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় কাওসার ভাইকে।

১১| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪

খালেদা শাম্মী বলেছেন: অজানা ছিল তথ্যগুলো। তথ্যবহুল এই পোষ্টের জন্য লেখককে ধন্যবাদ।

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ আপনার স্পেশাল ডে। অনেক দিনের প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। অজানা তথ্য যে জেনেছেন, এতেই তৃপ্ত বোধ করছি।

অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: হায়, আমরা কত কিছুই জানিনা! ধন্যবাদ, বিষয়টির উপর আলোকপাত করার জন্য।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: Respected sir,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের চারপাশে এমন অনেক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ে আছে যেগুলো সম্পর্কে সত্যিই আমাদের তেমন ধারণা থাকে না। কিন্তু পরে জেনে আমরা অভিভূত হই। ঠিক যেমন আমি নিজে এই গানটি সম্পর্কে জেনে হয়েছিলাম।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।




আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.