নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্গম সান্দাকফুর পথে

০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩১





৩১ মে সকাল নটায় আমরা রওনা দিলাম ভূ - পৃষ্ঠ থেকে ২২০০ মিটারের বেশি উচ্চতার দুর্গম পাহাড়ি নদী শ্রীখোলার উদ্দেশ্যে । যে নদীটা আবার সান্দাকফুর বরফ গলা জলে পুষ্ট । নেপালি ভাষায় খোলা কথার অর্থ নদী । কাজেই হিমালয়ের এদিকটাতে সব নদীকে স্থানীয়রা খোলা বলে । যাইহোক গতকাল যে সুখিয়া বাজারে এসেছিলাম, তার উপর দিয়ে ডানদিকে মানেভজ্ঞং এর রাস্তা ধরে আমাদের দুটি গাড়ি চলতে লাগলো । পথে যেতে যেতে SSB বর্ডার অতিক্রম করে আরও কিছুটা এগিয়ে মানেভজ্ঞংএ চলে এলাম । অদ্ভূত সুন্দর একটি জায়গা । দুদিকে রাস্তা আর মাঝখানে একটি সিঁড়ি , যে সিঁড়িটির মুখে লেখা আছে ' ওয়েলকাম টু নেপাল '। কাজেই মনে অজান্তেই শিহরন জেগে উঠলো । আমি ছোট থেকে ভারত - বাংলাদেশের বর্ডার দেখে বড় হয়েছি । দেখেছি সীমান্ত রক্ষী হিসাবে বি এস এফের চোখরাঙানি । কিন্তু কি আশ্চর্য ! এখানে নেই কোনও বি এস এফ বা নেপাল সীমান্ত রক্ষী । হাতের কাছে এমন বিদেশ পেয়ে একটু ফালুক ফুলুক করে কয়েকটা সেল্ফি তুলে নিলাম । উল্লেখ্য এই নেপালিরা নাকি পশ্চিমবঙ্গের এই অংশ বা মানেভজ্ঞং থেকে বাজারও করে ।



বাকিদের একটু দূরে গাড়িতে দাঁড় করিয়ে রাখায় ও বৃষ্টি নামতেই ছুটে আবার গাড়িতে চলে এলাম । পথে যেতে য়েতে স্থানীয় একটি অনুষ্ঠান দেখে আবার গাড়ি থামলো । মায়ের মৃত্যুর এক বছর পূর্ণের কাজ । যেটা নাকি স্থানীয় সমাজ থেকে করা হয় । গোটা পাড়ার লোকজনকে এহেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখে ওদের অসম্ভব সংহতি বোধের পরিচয় পেলাম ।





গাড়ি আবার চলতে শুরু করলো । অসম্ভব খারাপ রাস্তা । স্কর্পিওর পিছনে বসে আমার তখন নাগোরদোলার ন্যায় অবস্থা । পেটে ও কোমরে রীতিমতো ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে । এবার এজটি স্থানের মনোরম দৃশ্যে ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বললাম । বাতাসিয়া ফরেস্ট , টুংলু । এখানে এক মহিলাকে দেখলাম জংলি মার্শরুম পরিষ্কার করতে । স্থানীয় ভাষায় নাম জিজ্ঞাসা করতেই, চিয়াও বলে উত্তর দিল । হিমালয়ের এদিকটাতে প্রচন্ড জোকের উপদ্রব থাকায় সকলে গামবুট পড়ে । আমাদেরও বিভিন্ন জায়গায় নিমক নিয়ে ঘুরতে বলা হয়েছিল ।





বাতাসিয়া ফরেস্টের কয়েকটি মেঘের ছবি ।





উল্লেখ্য বাতাসিয়ার একটি জায়গা টুংলু থেকে পর্বতারোহীরা সান্দাকুফে রওনা দেয় । আর ওরা নামে অন্য রাস্তা শ্রীখোলা দিয়ে । এই প্রসঙ্গটি পরের পর্বে আলোচনা করবো । যাইহোক মানেভজ্ঞং থেকে বাতাসিয়া, মোটের উপর উচ্চতা ২২০০ মিটারের মত । বাতাসিয়া ফরেস্টের পরে আমরা প্রবেশ করলাম সিঙ্গলীলা পর্বতে । রাস্তার শুরুতে বড় বড় হোর্ডিং । লেপার্ড , রেডপান্ডা, হিমালয়ান বিয়ার , অজস্র পাখি, চলন্ত গাড়ি থেকে আর বিশেষ পড়তে পারলাম না । ড্রাইভার আমাদের সকলকে জাতীয় অভয়ারণ্য হওয়ায় একটি গাছের পাতাতেও হাত না দেওয়ার পরামর্শ দিল । গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো । বাইরে তাপমাত্রা তখন নয় ডিগ্রি হবে । কিন্তু কথা শুনে মনে হল সেটা আরও নীচে নেমে গেছে । হাতপা সব শুকিয়ে গেল । এমন সময় পাহাড়ের দুদিকে রঙ বেরঙের ফুল দেখে আবার যেন একটু স্বস্তি পেলাম ।





























এদিকে বার বার নেমে ছবি তোলাতে আমাদের দলের বাচ্চারা খুব বিরক্ত হচ্ছিল । আমরা তখন প্রায় পাঁচ ঘন্টার উপর জার্নি করছি। কাছের শুকনো খাবার আর কেউ খেতে চাইছে না । কাজেই আর দেরিনা করে চলা শুরু করলাম । পথে আরও একটি খরস্রোতা নদী পড়লো । ড্রাইভার নাম বললো, মোমোখোলা । বাচ্চাদের স্থানীয় দোকান থেকে চকোলেট কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আবার নেমে কয়েকটি ছবি নিলাম ।





মোমোখোলা পার হতেই রাস্তার পাশে স্কোয়াশ চাষ।



এদিকে মধ্যপ্রদেশে তখন প্রচন্ড টান দিয়েছে , বাচ্চাদের অবস্থা আরও খারাপ । মোমোখোলার পরে বেশ কিছুটা আবার পিচের রাস্তা পেলাম। ড্রাইভার বললো, এখনোও একঘন্টার রাস্তা বাকি । আমরা অনেকে তখন ঝিমোতে লাগলাম । অবশেষে ঠিক আড়াইটাতে আমরা শ্রীখোলাতে আমাদের নির্দিষ্ট হোটেলে পৌছালাম । আগামী দুিন হোটেল শোভরাজ হল আমাদের ঠিকানা ।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল দাদা।
আপনার পোষ্ট পড়েই আজ দিন শুরু করলাম।
মনে হলো অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।
সমরেশ মজুমদারের 'গর্ভধারিনি' পড়ে এসব জায়গার নাম পেয়েছিলাম।
ছবি গুলো ভালো। তবে ফুলের ছবি বেশি হয়ে গেছে।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রত্যেকের কাছে ক্ষমা চাইছি যে আজ সারাদিন একদম নেট পরিসেবা পাইনি। যেকারনে ব্লগে ঢুকতে পারিনি বা কারোও উত্তর দিতে পারিনি । মুড এখনও ঠিক নেই। একদম ঠিক বলেছ ছোট ভাই। আসলে সাহিত্যিকের জন্ম ও বেড়ে ওঠা জলপাইগুড়িতে। ওনার প্রায় সব গ্রন্থেই ডুয়ার্সের চা বাগান, ভূটান, তিস্তানদী প্রভৃতি প্রসঙ্গগুলি বারে বারে এসেছে। যেমন এসেছে ষাট, সত্তরের দশকের অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ডুয়ার্স সহ পশ্চিমবঙ্গ বা গোটা দেশের।

আর ফুলের ছবি বেশি দেওয়া প্রসঙ্গে বলি আমার শুধু সিঙ্গলীলা পর্বতের প্রচন্ড ঠান্ডায় ফুল নিয়েই একটি পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আজকের পোষ্টটি একটি বর্ননা প্রসঙ্গে ফুল দিতেই হত। আর সেক্ষেত্রে না দেওয়া ফুলগুলি পরে প্রাসঙ্গিকতা হারাতো ।


অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় ছোট ভাইকে। পাশাপাশি প্রারম্ভিক কমেন্ট দাতা হিসাবে আরও ভালো লাগা।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৮

সনেট কবি বলেছেন: সাকুল্যে পোষ্ট খুব ভাল লেগেছে।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় কবি ভাইকে। সারাদিন নেট না পাওয়াই সময়ে উত্তর দিতে না পারাই দুঃখিত। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় কবি ভাইকে।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৯

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: ভাল হয়েছে :)

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুস্বাগতম ফখরুল ভাই। আমার কোনও পোষ্টে আপনার প্রথম কমেন্ট । ভাল লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। আর আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিয়েন ভাই।

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভ্রমণ, ফুল, প্রকৃতি সব কিছু এক কথায় অসাধারণ।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভালো আছেন শাহাদাৎ ভাই। আপনার সুন্দর প্রত্যক্ষণ অন্তর ছুঁয়ে গেল।


অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় শাহাদাৎ ভাইকে।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

বিজন রয় বলেছেন: প্রথম প্লাস!

এত ভ্রমন করলে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়বো।
আপনাদের এনার্জি দেখে আমি অবাক হই।

মুগ্ধকর পোস্ট।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা। বিজনদা তা যা বলেছেন। তবে একটু সময় নিয়ে বার হয়ে দেখবেন প্রকৃতির টানে কীভাবে মাঝের দিনগুলি পার হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল থাকবেনা। আসুননা একবার এপারে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় দাদাকে।

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: আজ হেবি লাগলো্ আপনার পোস্ট। গত পোস্টগুলো একটু এলোমেলো লাগত যাক এবার ঠিক হয়ে গেল। ধন্যবাদ

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম। আসলে আমার সিঙ্গলীলার ভ্রমন পর্বটি কার্শিয়ং থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পথে গাড়িতে বসে শুরু করেছিলাম। অবস্থা অনুযায়ী এলোমেলো ছিল। তবে আজ একটু সময় নিয়ে পোষ্ট দেওয়াই বোধহয় আপনার কাছে একটু হেবি লেগেছে ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও ভাইকে।

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: দারুণ

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভালো আছেন মনিরুল ভাই। আপনার ছোট্ট মন্তব্যে দারুণ অনুপ্রেরণা পেলাম।

আপনার জন্য রইল শুভ কামনাও।

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

প্রথমকথা বলেছেন: ভাল লাগল। শুভেচ্ছাসহ শুভকামনা।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুস্বাগতম আপনাকে আমার ব্লগে। আপনার পোষ্টটি ভালো লাগল জেনে খুশি হলাম। আপনার শুভেচ্ছা সানন্দে গ্রহণ করলাম।

অনেক অনেক ভালো লাগা আপনাকে।

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: চৌধুরি ভাই!
ওদিকের টেম্পারেচার কম নাকি??


দারুন এক পোস্ট!
ফুলগুলো তো একেবারে ঝাক্কাস;)
শুধু ফুলের ছবি দিয়েই আরেকটা পোস্ট দিতে পারতেন:)

হ্যাপি ঘোরাঘুরি...

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কেমন আছেন প্রিয় মন্ডল ভাই? আপনার গান বা বিনোদনমূলক পোষ্ট না পেয়ে অনেকটা দম লাগা হয়ে যাচ্ছে। আর এদিকের তাপমাত্রা বলতে কোলকাতাতে তো চল্লিশের আশেপাশে থাকছে। তবে আমরা যেখানে গেছিলাম, সেই লেপচাজগতে তাপমাত্রা ছিল ১৬/ ১৮ ডিগ্রীর মত। তবে সান্দাকফুতে প্রায়ই সময় নয়ের কমবেশি ছিল।

পাশাপাশি প্রচন্ড ঠান্ডায় ফুলের চেহারা অন্যরকম হয়। যার কিছুটা এখানে ছবিতে পাওয়া যাচ্ছে। আর শুধু ফুল দিলে হয়তো হতো, তবে প্রাসঙ্গিক বর্ননায় কিছু ফুলের ছবি দিতেই হতো। পরে বাকি ফুল গুলি অপ্রাসঙ্গিক হবে ভেবেই একসঙ্গে পোষ্ট দিলাম।

আমার আগের পোষ্টে আপনার আমার সঙ্গে ঘোরার কথা ছিল। কাজেই আপনাকে না পেয়ে আমাকে বাড়টি চাপ নিতে হচ্ছে। যেকারনে পুরোপুরি হ্যাপি হতে পারলামনা। সম্পূর্ণটা হবে আপনাকে নিয়েই।

অনেক অনেক ভালো লাগা প্রিয় মন্ডল ভাইকে।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামও সুন্দর। ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ভালো লাগল...

১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন তালগাছ ভাই। মোটের উপর আমরা যারা সমতলে থাকি আমাদের বায়ুসেবনের জন্য একটু স্থান পরিবর্তনের দরকার হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম হিমালয় পর্বতের একটি বর্ধিত শাখা হওয়াই একদিকে ঠান্ডা ও অপর দিকে গভীর, অগভীর খাঁদ প্রচুর আছে। যার প্রাকৃতিক বৈচিত্র আমাদের মনকে দোলায়িত করে। পাশাপাশি ভ্রমন ভালো লাগলো জেনে পুলকিত হলাম।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় তালগাছ ভাইকে।

১১| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সান্দাকফু ট্রাকিং করার ইচ্ছে আছে আমার, আমাদের ভ্রমণ বাংলাদেশ টিমের অনেকেই ওখানে ট্রাক করে এসেছে। ট্রাকিং করতে না পারলেও মিনিমাম ওখানে তো যাবোই...........পোষ্টে ভালোলাগা

১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল সাদা মনের ভাই। আশাকরি কুশলে আছেন। সান্দাকফুতে ট্রেকিং করার ইচ্ছা আছে জেনে আনন্দ পেলাম। ট্রংলি বলে যে স্থান থেকে সান্দাকফুর ট্রেকিং শুরু হয় সেখানে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের সঙ্গে বহু বিদেশিকে দেখলাম। ওরা ওঠে ট্রংলি দিয়ে আর নামে আপার শ্রীখোলা দিয়ে। আমরা সান্দাকপুর দুদিকেই ঘুরে দেখেছি। তবে উভয় দিকে আমাদের সঙ্গে দূরত্ব ছিল ৩৯ কিমি / ৪২ কিমি।

পাশাপাশি আপনার পোষ্ট ভালো লাগাতে কৃতজ্ঞতা জানাই।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় সাদা মনের ভাইকে।

১২| ১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

ম্যাড মাক্স বলেছেন: অন্য ছবি গুলো ও সুন্দর তবে ফুলের ছবি গুলো অপূর্ব! সাথে সাবলীল বর্ণনা। সব মিলিয়ে অসাধারণ!

১০ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম প্রিয় ম্যাড ম্যাক্স ভাই। আমি খালি চোখে ঐ ফুলগুলি পাহাড়ের গায়ে ফুঁটে থাকতে দেখে বিস্ময়াভিভূত হয়েছিলাম। কী অপূর্ব সেই দৃশ্য শুধু ক্যামেরায় ছোট ছোট ছবি আকারে তুলে ধরে বোঝানো যাবেনা।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ!
সুন্দর ছবির সাথে
যথার্থ বর্ণণা লেখাটিকে
অসাধারণ করে তুলেছে।
অনেক কিছু জানা গেল
অনেক রয়ে গেলে অজানা।
ভালো থাকবেন চৌধুরী ভাই

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় নূর ভাই। আপনার মধুর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম । কীসুন্দর ছড়ার আদলে মন্তব্যটি বাড়টি পাওনা।


অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় নূর ভাইকো।

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

শামচুল হক বলেছেন: আপনার ছবি এবং বর্ননা খুবই ভালো লাগল। একটানে পড়ে ফেললাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ

১১ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শামচুল ভাই। পোষ্টটি আপনার ভালো লাগাতে খুশি হলাম। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে, পাঠ ও মন্তব্যের কারনে।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় শামচুল ভাইকে।

১৫| ১২ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ভূপৃষ্ট থেকে ২২০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় নদী আছে!! :( এই প্রথম জানলাম। মনে হচ্ছে এক্কুনি নদীটা দেখে আসি। আর ভারত-নেপাল সীমান্তে কোন সিকিউটিটি নেই!! তাহলে বিএসএফের সারা লম্ফঝম্ফ বাংলাদেশ সীমান্তে!!! এরা চীন আর পাক সীমান্তে কিছুই করতে পারে না বলে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পাখির মতো মানুষ শিকার করে!!!!

ভাঙাচোরা রাস্তায় ভ্রমণ আর হিমালয় অঞ্চলে জোকের উপদ্রপের বিষয়টি জানলাম। গামবুটওয়ালা স্থানীয়দের ছবি দেখে ভাল লাগলো। আর জোকের হাত থেকে বাঁচতে নিমক নিয়ে ঘোরাঘুরি!!!

'মধ্যপ্রদেশে টান' কথাটি বেশ ভাল লেগেছে। আরেকটি কথা, গত দুয়ইদিন ব্যস্ত থাকায় লেখাটি চোখে পড়েনি। আজ টাইমলাইনে গিয়ে লেখাটি পেলাম, এজন্য স্যরি। আর ছবিগিলো দুর্দান্ত হয়েছে। লেখায় লাইক দিলাম ++++।

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা প্রিয় কাওসার ভাই। কাজতো সবার আগে। ব্লগ আমাদের বিনোদনের জায়গা। কাজেই সবার আগে নিজেদের কাজকর্ম সাড়াটা জরুরী । হ্যাঁ শ্রীখোলার যে স্থানে আমরা ছিলাম তার উচ্চতা ২২০০ মিটারের বেশি। শুধু শ্রীখোলা নয় বিভিন্ন হিমবাহ থেকে উৎপন্ন নদীগুলির উচ্চতা কোথাও আরো বেশি। আমরা যখন হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে গেছিলাম, রোটাং পাসে আমাদের প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। মানালির ওখানে বিয়াস বা বিপাসার উচ্চতা ৩৩০০ মিটারেরও বেশি। সেদিকদিয়ে শ্রীখোলার উচ্চতা মাঝারি বলা যেতে পারে।
আর ভারত - নেপাল সীমান্তে আমি নিজে দাঁড়িয়ে সেল্ফি তুলেছি । দেখে মনে হবেনা যে এটা আলাদা একটি দেশ। ভাবুন, কেমন অনুভূতি হবে?

হিমালয়ের এদিকটাতে রাস্তা অত্যন্ত দূর্গম। স্থানে স্থানে শুধু বোল্ডার দেওয়া। তার উপর দিয়ে রোভার গাড়িগুলি পথ করে নেয়। আমাদের যাওয়ার সময় অত উচুদিয়ে যেতে একটু ভয় করছিল। বহু রাস্তা ছেলেকে জড়িয়ে রেখেছিলাম। তবে ওখানে পৌছে আলাদা ভালো লাগা অনুভব করেছি। আর মধ্যপ্রদেশে টান, আসলে আমরা ছোট থোকেই বলে আসছি। যেকারনে কথার মাঝে চলে আসে।

অনেক অনেক ভালো লাগা প্রিয় কাওসার ভাইকে।

১৬| ১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

কাইকর বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে

১৩ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ভালো লাগলো জেনে মুগ্ধ হলাম। পাঠ ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানাই ।

শুভ কামনা রইল।

১৭| ১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

পার্থ তালুকদার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট !! ছবিগুলোও চমৎকার ।

১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা পার্থদা আপনাকে। পোষ্টটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম।

অনেক শুভ কামনা দাদা আপনাকে।

১৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। ফুলের ছবিগুলো, শিরোনামের পাখির (ঘুঘু?) ছবিটা, বাতাসিয়া ফরেস্টের মেঘের ছবি এবং মোমোখোলা নদীর ছবি দেখে খুব ভাল লাগলো।
পোস্টে প্লাস +।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

আপনার পদচারণায় ধন্য হলাম। ফুলের ছবি গুলি অশ্রু নামের ছবিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ করলাম ধন্যবাদ আপনাকে। বাস্তবে খালি চোখে দেখার মজাই আলাদা। সমতলে যখন তাপমাত্রা 40 ডিগ্রির কাছাকাছি তখন হিমালয়ের এই রেঞ্জে তাপমাত্রা মাত্র 9 ডিগ্রি। অসম্ভব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ শ্রীখোলর এই অংশে সুযোগ পেলে আবারও যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
পোস্টে লাইক ও প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.