নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তটিনী

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫১



সেদিন ধর্মতলায় একটি কাজ ছিল । ফেরার পথে এসপ্ল্যানেড থেকে মেট্রো ধরে দমদমে নেমে সিঁড়িবেয়ে উপরে উঠছিলাম, ডানদিকে টার্ন নিতেই একজনের সঙ্গে চোখাচোখি হয়ে গেল । মনে হল কোথায় যেন দেখেছি ওনাকে । এমন সময় হঠাৎ ফোনটি বেঁজে ওঠায় চোখ নামিয়ে ফোনটি ঘাটতে ঘাটতে এগিয়ে চললাম । পিছন থেকে নারী কন্ঠে ,
- Excuse me.! আপনি কী পিটার চৌধুরী?
- মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়ে, পাল্টা জিজ্ঞাসা করলাম ,
- আপনি তটিনী মুখার্জি?
সঙ্গে সঙ্গে একঝলক হাসি । চিরাচরিত শিশুসুলভ বিহ্বলতা ।
-কত্তদিন পরে দেখা ।
- হ্যাঁ , তা প্রায় পঁচিশ বছরেরও বেশি হবে ।
সঙ্গে সঙ্গে আপনি থেকে তুমিতে চলে এসে,
- তুমি এখন কী কর?
- বলার মত তেমন কিছু করিনা । তবে একেবারে বসে না থেকে একটি সফ্ট ড্রিঙ্ক কোম্পানীর আঞ্চলিক ম্যানেজার । তুমি কী কর ?
-আমি ঐ সাইকোলজিস্ট । নিজস্ব চেম্বার আছে গল্ফগ্রীনে । তুমি এখন কোথায় থাকো ?
-সল্টলেক , ১৪ নম্বর ট্যাঙ্ক ।
- সল্টলেক!
- হ্যাৃ, সল্টলেক ঠিকই, তবে সেটা ধ্যারধেরে গোবিন্দপুর । তা তটিনী তুমি কোথায় থাকো ? আমার নিউটাউনে ফ্লাট আছে ।
আমাদের কথা শেষ হবার আগেই তটিনী ব্যাগ থেকে একটি কার্ড বার করে এগিয়ে দিয়ে বললো ,
- ফোন করবে । বড্ড তাড়া আছে । আবার দেখা হবে ।
আমিও হাত দেখিয়ে বিদায় জানিয়ে এগোতে লাগলাম ।

আমরা তখন কলেজে পড়ি , তটিনী কলেজে বেশ জনপ্রিয় ছিলো । একেতো রূপ ছিল দেখার মত । চোখদুটি ছিল অত্যন্ত মায়াবী । সেই সঙ্গে ছিল সকলকে অসম্ভব আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা । হাসতো একেবারে প্রাণ খুলে । আমরা ওর হাসি প্রসঙ্গে বলতাম , হাসিতে ও একশোতে একশো পাবে । একবিকালে ক্লাস শেষে আমরা বেশ কয়েকজন একবার ওর এই ভুবনমোহিনী হাসি ও সবাইকে আপন করার রহস্য জানতে চেয়েছিলাম । উত্তরে তটিনী জানিয়েছিল ,

- আমি তখন ক্লাস নাইনে উঠেছি, গার্লস স্কুলে পড়ি । বাবা প্রত্যেকদিন সকালে অফিসে বেড়িয়ে যায়, ফেরে অনেক রাতে । মা সারাদিন বাড়ির কাজ সামলিয়ে আর আমাকে সময় দিতে পারছিল না। তাছাড়া মা আর্টস গ্রাজুয়েট হওয়ায় ক্লাস নাইন থেকে ইংরেজি ও বিজ্ঞানের জন্য আলাদা মাস্টার রাখার প্লান বাড়িতে আগে থেকেই ঠিক ছিল । যে কারনে নুতন ক্লাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আমার জন্য দুজন গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হল । অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সমর সরকার আমাকে ইংরেজি পড়াতেন । আর দুই বিজ্ঞান ও অঙ্ক করাতেন বিজন সাঁতরা । বিজনদা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্সে M.Sc পড়ে । বিজনদার পড়ানো আমার যতটা ভালো লাগতো ঠিক ততটাই বোরিং ছিল সমরবাবুস্যরের পড়ানো ।

সমরবাবুস্যর প্রচন্ড গল্প করতেন । প্রত্যেকদিন পড়ানো শুরু করবেন Tense দিয়ে। কথায় কথায় বলতেন, Now we discuss. আবার পানও খেতেন পড়াতে পড়াতে । বেশ কয়েকবার পানের পিক মুখের এক পাশ থেকে ফিনকি দিয়ে ওনার পাঞ্জাবীতে পড়েছে। একবারতো আমার ইংরেজি বইতেও পড়েছিল । বাবাকে সে কথা বলতে ,
-ওনার বয়স হয়েছে । এই বয়সে একটুআধটু এরকম হয় । তবে উনি খুব ভালো ইংরেজি পড়ান ।
বাবা যাই বলুক সমরবাবুর এই বোরিং ইংরেজি পড়ানোর ফলে বিষয়ের প্রতি আমার একটি বিতৃষ্ণা চলে আসে । মাধ্যমিকের রেজাল্টেও তার প্রভাব পড়েছিল । ইংরেজিতে আমি সর্বনিম্ন নাম্বার পেয়েছিলাম ।

এদিকে বিজনদার কাছে বিজ্ঞান পড়ে আমি সেবার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় স্কুলে তিনটি বিষয়েই প্রথম হয়েছিলাম । খাতাবার হবার কয়েকদিন পরে আচমকা বিজনদা আমাদের বাড়িতে পড়াতে আসা বন্ধ করে । প্রথমে মনে হয়েছিল হয়তো দাদার ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য আসছে না । আরও কয়েকদিন যেতেই মাকে জিজ্ঞাসা করতেই শুনি বিজনদাকে পড়াতে আসতে বারন করে দিয়েছে। কারন জানতে চাইলে মা অবশ্য সব বিষয়ে মাথা ঘামাতে নেই বলাতে আমি নিশ্চুপ হয়ে যাই । এই ঘটনাতে মনে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছিলাম । কয়েকদিন রাগ করে স্কুলেও যাইনি । মায়ের সঙ্গে কথাও তেমন বলতাম না ।

দিনপনেরো পরে একদিন সন্ধ্যে বেলা আবার একজন গৃহশিক্ষক এলেন, অশোক সেনাপতি । মাঝবয়সি এবং বিবাহিত মাস্টারমশাইকে আমি অশোকদা বলতাম । আশ্চর্য! আমার মাও ওনাকে অশোকদা বলে ডাকা শুরু করলো । অশোকদা কোনও চাকরি পায়নি । প্লেন সাইন্স গ্রাজুয়েট । টিউশনিই পেশা, পড়াতেনও খুব খারাপ নয় । তবে অস্বীকার করবোনা যে বিজ্ঞান বা অঙ্ক কষে যে মজা বা আনন্দ পাওয়া যায় তা শিখেছি বিজনদার কাছ থেকে । অশোকদার আবার extra জ্যামিতিতে বেশ সমস্যা ছিল । আমি হঠাৎ কিছু সল্ভ করতে দিলে উনি রেগে যেতেন । তবে উঁকি মেরে দেখে নিতেন । দুদিন পরে অন্য একটি সমস্যা সমাধানে হঠাৎ করে আগের অঙ্কটা করে দিতেন । অশোকদার অঙ্কের সমস্যাটা বুঝতে পারলেও আমি ধরা দিতাম না । ক্লাস নাইনে বার্ষিক পরীক্ষায় আশানুরূপ নম্বর আমি পাইনি । অথচ আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম অশোকদা আমাকে আমার প্রয়োজন মত পড়াতে পারছে না । বাবামাকে বললেও কোন কাজ হবেনা ভেবে কিছু বলতাম না ।

যথারীতি অশোকদা ক্লাস টেনেও পড়াতে আসতেন । সবে দুমাসও তখন স্কুল হয়নি , হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বাবা অফিসে যায়নি । মায়ের মুখ থমথমে । দুজনের কারো মুখে কোনও কথা নেই। আমি বাবাকে অফিস না যাওয়ার কারন জিজ্ঞেস করলাম । বাবা কোন উত্তর দিল না । মাও যন্ত্রের মত কাজ করে যাচ্ছে । এক অসহ্য গুমোট অবস্থায় আমার মাথা গরম হয়ে গেল । চিৎকার করে উঠলাম ,
- তোমরা আমার সঙ্গে কেন এমন আচরণ করছো ? তবুও দুজন নির্বিকার । আমি রাগে ছুটে খাটে গিয়ে শুয়েশুয়ে কাঁদতে লাগলাম । সারাদিন প্রায় নিজের ঘরে স্নান খাওয়া দাওয়া না করে কাটিয়ে দিলাম । সন্ধ্যের দিকে প্রচন্ড ক্ষিদে পেল । সামান্য দুমুঠো ভাত খেয়ে নিলাম । ছোটো থেকেই বাবামা ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু । আমি কোনোদিন আমার বাবামাকে ঝগড়া করতে দেখিনি । কোনদিন কোনও কথাও লুকাই নি । অথচ কেন যে আমাদের সংসারে এমন প্রলয় ঘটে গেল আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না ।

এদিকে সেদিনের এই রহস্যের বেশ কিছুদিন পরে আবার আমি স্কুলে যাওয়া শুরু করলাম । বাবা যদিও পরেরদিন থেকে অফিসে যাওয়া শুরু করেছিল । পরিবর্তন যেটা হল অশোকদার আমাদের বাড়িতে পড়াতে আসা বন্ধ হয়ে গেল । ক্লাস টেন, একেতো পড়ার চাপ তার উপর সামনে টেস্ট পরীক্ষা । মনে মনে প্রচন্ড টেনশনে পড়লাম । একদিনতো বাড়িতে ভীষণ কান্নাকাটি শুরু করলাম । মা আমার পাশে এসে দাঁড়ালো । শাড়ির আঁচল তুলে আমার চোখের জল মুছতে মুছতে প্রশ্ন করলো ,
- আচ্ছা তনি ( আমাকে বাবামা আদর করে সংক্ষেপে এই নামে ডাকতো ) একটা কথা জিজ্ঞেস করবো , সত্যি কথা বলবি ?
- তুমি এভাবে কেন জিজ্ঞাসা করছো ? আচ্ছা মা আমি তোমাদের কী লুকাচ্ছি বলে তোমাদের মনে হয় ? ছোটো থেকে আজ পর্যন্ত এমন কোনও কথা আমার নেই যা তোমাদেরকে বলিনি ।
- না মানে, প্রথমেতো তোর সঙ্গে বিজনের সম্পর্ক ছিল ।
- আমার সঙ্গে? বিজনের সম্পর্ক ! তোমরা কীভাবে বুঝলে ? কে তোমাদের বলেছে যে তোমাদের মেয়ের এরকম সম্পর্ক তৈরী হয়েছে ?
- না, কাউকে বলতে হয়নি । আমরা তোর ঘুমের মধ্যে শুনেছি সে কথা ।
- ঘুমের মধ্যে! বিজনের সঙ্গে আমি কথা বলছিলাম । মা আমি হাসবো না কাঁদবো ভাবতে পারছি না । তা কী কথা বলেছিলাম আমি ?
- না, তেমন কোনও কথা নয় । সব পড়াশোনার কথা বলছিলি ।
- আর তাতেই তোমরা তোমাদের মত বুঝে নিয়ে তাকে পড়াতে আসা বন্ধ করে দিলে ?
- আসলে তোর বাবা বললে , হাজার হোক আমরা ব্রাহ্মণ ।
- মা , তোমরা তোমাদের মেয়েকে এখনও চিনলে না । আচ্ছা বিজনদা যাক । অশোকদা তো বিবাহিত । বাবার চেয়ে হয়তো সামান্য বয়সে ছোটো । তা ওনাকে কেন বারন করলে ?
- ঐযে! সেদিন রাতে ঘুমের মধ্যে আবার অশোকদার সঙ্গে কথা বললি । বিশ্বাস কর মা , আমি তোর বাবা প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছি । তুই আমাদের একমাত্র মেয়ে । এভাবে তোর কিছু হয়ে গেলে আমরা পাগোল হয়ে যাবো, তনি ।
- মা, একসময় তোমাদের জন্য আমার গর্ব হত । কিন্তু আজ আমি বুঝতে পারছি আমি এ কোথায় এসে পড়েছি । আমার আর বেঁচে থাকার কোনও ইচ্ছে নেই ।
- না না! তনি , আমার মা। এমন অলক্ষুনে কথা বলিস না ।

পৃথিবীতে সবচেয়ে আপনজন যে বাবামা তাদের বিশ্বাস হারিয়ে আমি তখন রীতিমতো মানসিক রুগী । স্কুলে যেতাম খেয়ালখুশি মতন । বাড়িতে আর কোনও মাস্টারের কাছে পড়বোনা জানিয়েছিলাম । নিজে যেটুকু পেরেছি পড়াশোনা করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিই । তার মধ্যে ইংরেজিতে পেয়েছিলাম সর্বনিম্ন নাম্বার । এদিকে বাবামায়ের সঙ্গে আমার কথাবার্তা একেবারে কমে গেল । কোনও কোনও সপ্তাহে একবারও ওদের সঙ্গে কথা হতনা । মাও পারতপক্ষে আমার ঘরের দিকে আসতো না । ইতিমধ্যে এগারোক্লাসে পড়াকালীন মাসতুতো দাদার বিয়ের নেমন্তন্ন পড়লো । আমি তখন এমনিতেই সারাদিন প্রায় ঘরে কাটাতাম । সুতরাং বিয়ে বাড়ি যাওয়ার কোনও ইচ্ছা ছিল না । অথচ বাবামা আমাকে ছেড়ে যেতে অস্বীকার করলো । মাসিকে মা জানিয়েও দিল যে আমাদের যাওয়া হচ্ছেনা । মায়ের এই অসহায় মুখটি আমাকে ভীষন ব্যাথিত করে । আমার জন্য বাবামায়ের যাওয়া আটকে যাচ্ছে দেখে, অবশেষে মত দিই । মা খুব খুশি হয়েছিল।

আমার মাসতুতো বোন শিবানী আমার চেয়ে দুবছরের ছোটো । তবে ছোটো থেকেই ও ছিল আমার ভীষণ নেওটা । সেদিন রাতে শিবানীর সঙ্গে প্রচুর কথা হয়েছিল । শিবানীকে বলতে পেরে নিজেকে অনেকটা চাপমুক্ত মনে হয়েছিল । রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলাম । পরেরদিন সকালে বাবামা যেন সম্পূর্ণ বদলে গেল। আমিও অবাক হয়ে গেলাম । ওদের এই হঠাৎ পরিবর্তনের কারন খুঁজে পেলামনা । একেবারে সবকিছু আগের মত লাগছিল ।

বিয়েবাড়িতে এমনি ব্যস্ততা তার উপরে আমার সঙ্গে বাকিদের আচরণের সদ্য পরিবর্তনে মনের মধ্যে একটা কিউরেসিটি তৈরী হল । শিবানী কে কথা আছে বলে একটা ফাঁকা স্থানে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই ও হেসে একেবারে মাটিতে পড়ার উপক্রম করলো। আমিই ওকে ধরে শান্ত হতে চাপ দিলাম । শিবানীর কথায়,
- বাড়িশুদ্ধ লোকজন তোমাকে খুব খারাপ ভাবছিল। সবার ধারনা, বাড়িতে যে কোনও টিউটর পেলেই তুমি নাকি তার সঙ্গে প্রেমে জড়াতে । যেটা রাতে ঘুমের মধ্যে সব বলে ফেলতে । কিন্তু গতরাতে নাকি তুমি আমার সঙ্গে প্রচুর কথা বলেছো । বাড়িশুদ্ধু সবাই সেকথা শুনেছে । আর এর ফলেই সবারই ধারনা হয়েছে যে তোমার এরকম কিছু আগে ছিল না । ঘুমের মধ্যে কথাবলার পরিনাম যে কী মারাত্মক হতে পারে তা আমার চেয়ে আর কে ভালো জানে ।

দাদার বিয়ের পর বাবামা আমাকে নিয়ে এক সাইকোলজিস্টটের কাছে নিয়ে যায় । টানা তিনমাস আমাদের ওনার কাছে যেতে হয়েছিল । আমার সঙ্গে ঐদিদির খুব বন্ধুত্ব হয়েগেছিল । উনি বাবামাকে আমাকে ফ্রিভাবে সবার সঙ্গে মিশতে দিতে বলেছিলেন । ঘুমের মধ্যে কারও সঙ্গে কথা বলা মানে কোনও প্রেমঘটিত ব্যাপার নয় । আমরা সারাদিন যাদের সঙ্গে আপনমনে কথা বলি বা ভাবি সেগুলি মাঝে মাঝে ঘুমের মধ্যে আমাদের মুখে চলে আসে । যে কারনে এটা কখনই ভয়ের কারন নয় । উল্লেখ্য তার পর থেকে বাবামা আমার কোনও বিষয়ে কখনও সন্দেহের চোখে দেখতো না । আমি সারাদিন যেটাই করি সন্ধ্যেতে মায়ের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিতাম । আমারা আবার আগেরমত একে অপরকে ফিরে পেলাম ।

তটিনীর কথা ভাবতে ভাবতে ওর দেওয়া কার্ড থেকে নম্বরটা নিয়ে কল দিতেই রিং হতে লাগলো । হ্যালো বলে পরিচয় দিয়ে আমার প্রশ্ন ছিল ,
- তটিনী তুমি বিয়ে করেছো কাকে ?
ওপ্রান্ত থেকে হাসতে হাসতে উত্তর এল ,
- প্রথমে যার কাছে বিজ্ঞানকে ভালোবেসে ছিলাম, সবার কাছে ধাক্কা খেতে খেতে কখন যে মানুষটার প্রতি টান চলে এসেছিল তা আমি নিজেই বুঝতে পারিনি । সে অনেক কথা । বিয়ে করেছি বিজনদাকেই । আর সাইকোলজি নিয়ে পড়ার কারন যে অভিজ্ঞতা আমার জীবনে হয়েছিল, সেখান থেকে বার হতে গেলে এটাই ছিল আমার কাছে সর্বোৎকৃষ্ট পথ। আমার দ্বিতীয় প্রেম সাইকোলজি । বলে আবার হাসির লহরী তুললো ...

বিঃদ্র- পোষ্টটি উৎসর্গ করা হয়েছে অন্যতম জনপ্রিয় কবি শ্রদ্ধেয় বিদ্রোহী ভৃগুভাইকে।

( ছবিটি আমার প্রিয় ছাত্র শ্রীমান সুজিত কুমার দাসের আঁকা )

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোটামুটি চলে!
মা মেয়েকে বুঝতে পারেননি, সেটা প্লটটাকে একটু বিতর্কিত করতে পারে!

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল মান্যবরেষু ,

প্রথম কমেন্ট মানে আলাদা ভালো লাগা। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। হ্যাঁ আসলে বয়ঃসন্ধিকালে একটা কমন সমস্যা চলে আসে। হয় সন্তানরা বাবামাকে লুকাতে চায়। আবার অন্যদিকে বাবামা সন্তনকে বেশি কেয়ারী দেখাতে গিয়ে সবারই বিপদ ডেকে আনে। প্রথম কমেন্ট হওয়াই একটু বেশি বলবো , বেশিরভাগ বাবামায়ের সন্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা থাকে। যদি সন্তান বিনা বাক্যে সেগুলি হজম করে তাহলে কোনও সমস্যা হয়না। কিন্তু উল্টোটা হলে সমস্যা তখনই প্রবল হয়। এখানেই দরকার প্রতিটি মুহূর্তে একে অপরের খোলামেলা আলোচনা। য়ে সংসারে বাবামায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব থাকবে সেখানে থাকবে পরস্পরের অবিশ্বাস বা সন্দেহ ।

গল্পে মা অত্যন্ত অন্তর্মুখি স্বভাবের মানুষ । বাড়িতে শিক্ষক মানে বাইরের জগতে মেয়ের মেলামেশা একেবারে নেই। সারাক্ষণ বইনিয়ে কালচার। তার মধ্যে ঘুমে মেয়ের এহেন আচরণে তাদের দৃষ্টিতে প্রনয় ঘটনা আসাটা স্বাভাবিক। তবে প্রথমেই যদি বন্দুর মত হয়ে মা জিজ্ঞাসা করতো তাহলে হয়তো এতদূর ভূল বোঝাবোঝি হতনা।

অনেক ভালোলাগা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমার একটা কাজিন ঘুমের মধ্যে প্রচণ্ড গল্প করতো। আবার সকালে জিজ্ঞেস করলে বিশ্বাস করতে চাইতো না।
গল্পে মেয়েটির সবচেয়ে ভালো বন্ধু 'বাবা-মা'। তবুও সমস্যা ধরতে তাদের অনেক দেরী হয়ে গেলো। যাহোক, উপস্থাপন বেশ ভালো লেগেছে।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় জুনায়েদভাই,

আপনার কাজিনের মত গল্পে তটিনীও একজন। এরা সাধারনত ঘুমের মধ্যে কথাবলাটা মানতে চায়না। তবে তাতে তেমন সমস্যা হয়না, হয় যখন বিষয়টা অন্যদিকে ঘুরে যায়। আজ আপনি প্রথম এলেন আমার ব্লগে, স্বাগতম আপনাকে।

শুভকামনা নিরন্তর ।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০৮

ওমেরা বলেছেন: ঘুমের মধ্যে কথা বলি না তবে কথা বলার মাঝখেনে ঘুমিয়ে যাই ।

মেয়ের এ অভ্যাস থাকলে তো বাবা মায়ের আগেই জানা উচিত ছিল ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা, আপু যা বলেছেন যে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যান। আমি আবার কথা বললে ও লাইট থাকলে ঘুমাতে পারিনা ।

পোষ্টে তটিনী ছোটো থেকেই ঘুমের মধ্যে কথা বলতো। তখন বলতো বাবামায়ের সঙ্গে। যেকারনে পরে বাবামায়ের স্থলে অন্য একজনকে বসালে বাবামায়ের চিন্তা বাড়তে থাকে । আর এখান থেকেই গল্পের সূত্রপাত ।

অনেক অনেক শুভকামনা আপু আপনাকে।

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


প্রিয় ভাইয়ের আরেকটি চমৎকার গল্প পড়লাম; বেশ ভাল লাগলো। গল্পের কাহিনী সাবলীল ছিল। তবে গল্পের মাঝের অংশ আর শেষ অংশটি আরেকটু গুছিয়ে লেখলে আরো প্রাণবন্ত হবে। শেষের অংশটি খুব নাটকীয় হলো; ভাল লাগলো, দারুন টুইস্ট। তবে, শিক্ষিত বাবা-মা এগুলো বিশ্বাস করলেন? বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকাটি একটু দূর্বল মনে হলো; হাজার হোক মায়েরা একটু বেশি মেয়েদের বুঝেন; মেয়ে পর পর দু'জন টিচারের প্রেমে পড়লো বলে সন্দেহ করলেন, কিন্তু মেয়ের কৈশর বয়সের প্রেমের কোন লক্ষণ চোখে পড়েনি? এ বয়সে কোন মেয়ে প্রেমে পড়লে মায়েরা আঁচ করতে পারেন।

আর বাবা-মায়ের গুমোট ভাব দেখলে কোন কারণ না জেনেই মেয়েটি মন খারাপ করে কাঁদবে কেন?

আসলে, একজন ভাই হিসাবে এ কথাগুলো বলেছি; যাতে আবার গল্পের প্লট নিয়ে আপনি ভাবেন এবং সম্ভাব্য সেরা প্লট খুঁজে পান; যাতে প্রিয় ভাইয়ের গল্পটি কালজয়ী হয়; হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকে।

দাঁড়ি, কমায় গ্যাপ হয়ে গেছে মাঝে মাঝে।

শুভ রাত্রি, প্রিয় ভাই।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় গুরুদেব,

পোষ্ট দেওয়ার আগে মনের মধ্যে একট ধরফড়ানি শুরু হয় যে গুরুদেব আজ কী ভাবে দেখেন। অবশেষে কমেন্ট পেয়ে কিছুটা স্বস্তি। যে বিষয়গুলি সুন্দর ভাবে আপনি তুলে ধরেছেন।

সন্তানকে বাইরের জগতে মিশতে না দেওয়ার মধ্যে এক ধরনের অন্তর্মুখিতা কাজ করে। থাকে একটি নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কাও। তটিনীর মা কম কথা বলেন। মেয়ের পড়ার জগতের বাইরে আর কিছু উনি ভাবতে পারেন না। এই ভাবনা থেকেই মায়ের চরিত্রটি চিত্রায়নের চেষ্টা করেছি। যেখানে চরিত্রটি আপনার দুর্বল লাগায় আমি পরে আরও বেটার করার কথা ভাববো।

ঘুমের মধ্যে কথা বলাটা তটিনীর নুতন নয়। আগেও সে এরকম করলেও তখন কথা বলতো বাবামায়ের সঙ্গে। কিন্তু টিউটর রাখায় বিপত্তি শুরু হল। বয়ঃসন্ধির সন্তানের মধ্যে এমন কথা বলাকে বাবামায়ের সংবেদনশীল মনে অন্য আশঙ্কা দেখা দিল। যেখান থেকে প্লটটি নিয়েছি। তবে আপনার এখানে কিছু গ্যাপ আছে বলে মনে হওয়ায় ত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করবো ।
সবশেষে গুরুদেবকে কৃতজ্ঞতা জানাই এমন সুন্দর ফাঁকফোকর গুলি মেরামত করার সুযোগ করে দেওয়াই । আগামীতেও এমন সুক্ষ বিচার বিশ্লেষণ মূলক মন্তব্য পেতে নিরন্তর অপেক্ষা করবো।

অনেক অনেক অপ্রীশু ( অন্তরের প্রীতি শুভেচ্ছা) আপনাকে।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

সিগন্যাস বলেছেন: আহ পদাতিক ভাই,
গল্প পড়ে মনে হলো তটিনীর সঙ্গে বিজন বাবুর বয়সের পার্থক্য কমপক্ষে দশ বছর হবে । এতো বয়সের পার্থক্য থাকলে কি আর সেটা বিয়ে হয় ? বিয়ে হওয়া উচিত সমবয়সীদের যাতে তারা পরষ্পরকে বুঝতে পারে । সবাই তো আর তটিনীর মতো সাইকোলজিষ্ট না

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সিগন্যাসভাই,

বহুক্ষেত্রে প্রথমে হয়তো এমন সম্পর্ক গড়ে ওঠেনা। কিন্তু পারিপার্শ্বিক ফিসফিসানিতেও অনেক সময় এরকম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর বয়সের পার্থক্যটা এমন বেশি নয়, সাতবছর । এরকম গ্যাপ মন্দ নয়। যাইহোক প্রিয় ভাইকে একটু পরামর্ষ দেবো সমবয়সী ধারনা থেকে বার হন, বিপদ আছে। হা হা হা।

অনেক শুভকামনা আপনাকে।

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাজ্জাদভাই,

পাঠ ও মন্তব্যে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা রইল।।

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার লেখায় এই জীবনবোধটুকু ভালো লাগে। সাধারণ একটি ঘটনাকে বেশ চমৎকার করে রূপায়ণ করতে পারেন। কিছু মেদ থাকলেও পড়তে ভালোই লাগে।

লিখতে থাকুন চৌধুরী সাব আমরা আছি আপনার পাশে। :D

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ফ্যারাওভাই,

বরাবরের মত আপনার মধুর কমেন্টে মুগ্ধ হলাম। পেলাম অনেক অনুপ্রেরণা। আপনি পাশে আছেন জেনে আনন্দ পেলাম, জানাই কৃতজ্ঞতা । পোষ্টটিকে লাইক করার জন্য আবারও ধন্যবাদ।

শুভকামনা আপনাকে ।

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জীবনের অনেক কিছূ আছে আমরা যা পরিবর্তন করতে পারি না, পরিবর্তন করা সম্ভব হলে আবার বয়ষ ২৮ থেকে শুরু করতাম । আপনার গল্প ভালো লেগেছে পদাতিক চৌধুরী ভাই, চলার পথে আমাদের দেখা হয়ে যায় পুরোনো স্মৃতীর সাথে - তাও আমাদের জীবনের একটা গল্প ।।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মাহমুদভাই,

দিলেনতো পুরানো দিনের কথা মনে করে। কী দারুণ ভাবে আবার আপনি পিছনের দিকে তাকালেন। ভাবতে কষ্ট হয় বয়সটা যে বেশ বেড়ে গেছে, সাথে সমাজটাও একেবারে বদলে গেছে। ন্যায় নৈতিকতা দেখানো যেখানে ব্যাকডেটেড। প্রতিমুহূর্তে একটা অসুস্ত প্রতিযোগিতা কে কাকে কতটা অনৈতিক ভাবে এগিয়ে গিয়ে আখের গোছাতে পারে। গল্প ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম।

অনেক শুভকামনা প্রিয় মাহমুদভাইকে।

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,



ঘুমের ঘোরে কথা বলা অনেকের বেলাতেই হয় । গল্পটিও তেমন ঘুমের ভেতরে কথা বলা নিয়ে উদ্ভুত একটা পরিস্থিতির আলেখ্য । লেখা ঝরঝরে ।
ভালো লাগলো, যাকে নিয়ে ঘুমের ঘোরে কথা বলার শুরু তার সাথেই একত্রে ঘুমের গাঁটছড়া বাঁধতে দেখে ।

ওমেরাই ভালো বলেছেন - " ঘুমের মধ্যে কথা বলি না তবে কথা বলার মাঝখেনে ঘুমিয়ে যাই ।"

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মান্যবরেষু জী এসভাই,

প্লটটা খুবই সাধারন। তবে কখনও সেই সাধারন ঘটনাও কারোও জীবনে চূড়ান্ত হানিকর হয়ে থাকে। গল্পে ছবিটি দেখলে একটা ধারনা পাবেন। ছবিতে মেয়েটি খুব সুন্দর। কিন্তু পরিস্থিতি যদি অনুকুলে না থাকে তাহলে নীচের দিকে একটি হায়েনা বা ক্ষতির কারন হয়। বহুক্ষেত্রে এমন সাধারন ঘটনাই আমাদের চারপাশটা একেবারে বদলে দেয়।

আজও আপনার সুন্দর বিশ্লেষণ ধর্মী কমেন্টে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা আপনাকে। আর ওমেরা আপুর সঙ্গে আমিও একমত , কথা বলতে বলতে রাতে ঘুমিয়ে যাই ।

নিরন্তর শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।

১০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: হৃপ্রীশু নিয়েন।

মানুষের মধ্যে এই একটি রোগ মারাত্মক, স্লিপিং টকিং । আপনি খুব সুন্দর ভাবে গল্পের মাধ্যমে তা তুলে ধরেছেন।

আরেকটি কথা এই প্রথম আপনার গল্প পড়া।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দেরিতে উত্তর দেওয়াই দুঃখি প্রিয় স্রাঞ্জি সে আপু,

আমার লেখা গল্প আপনি আজ প্রথম পড়লেন। আপনাকে সুস্বাগতম আমার গল্প পোষ্টে। আজ আমার বড় আনন্দের দিন আপনাকে পেয়ে। একটু পুরানো পোষ্ট শীরোনাম হীন, অপরাহ্নের আলো, প্রভৃতি পড়ারও অনুরোধ করবো ।

স্লিপিং টকিং খুব খারাপ নয়, কিন্তু স্লিপিং ওয়াকিং ভীষণ খারাপ। আমার জানা এক স্কুল শিক্ষক এই রোগে ছাদ থেকে হাটতে গিয়ে নীচে পড়ে মারা গেছে।

অনেক শুভকামনা আপনাকে।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: তটিনীর একটা ছবি কি আমরা দেখতে পারি না? একটা ছবি দেন না দেখি।
আচ্ছা, তটিনী মানে তো নদী? তাই না?
খুব সুন্দর লেখা।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা, আমার ভায়ের তটিনীর ছবি দরকার। ঠিক আছে দিতে পারি তবে একটা শর্তে, মনে কু থাকলে তটিনীকে দেখা যাবেনা। সাদা মন হলে ওকে দেখা যাবে। এবার আমি উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম। তটিনীকে দেখা যাচ্ছে??? হা হা হা।

হ্যাঁ, ঠিকই বলেছো। তটিনী শব্দের অর্থ নদী। তট থেকে তটিনী কথাটি এসেছে।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় ছোটোভাইকে।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পদাতিক দাদা করেছৈন কি?

গল্পের খুনসুটি ভাবতে ভাতে শেষ এসেই তো রীতিমতো চমকে দিলেন!
তটিনির বিজনদাকে বিয়ের খবরে যতটানা চমকেছি তারচে শতগুনে বেশী চমকে গেলাম
এই অধমের নামের উৎসর্গ দেখে !!!

আপনার হৃদয়ের গহনে এ অধমের জন্য এতটা গভীর ভালবাসা জেনে আপ্লুত হলাম্
কৃতজ্ঞতা অন্তহীন।
টুপি খোলা অভিবাদন গ্রহণ করুন।
:)

+++

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা!! কী দারুণ অভিব্যক্তি। মন ছুঁয়ে গেল। সত্যি আপনারা সাধারন কথা এমন ভাবে বলেন যে মনে হয় অন্তরের অন্তর থেকে বলেছেন। আপনার পদার্পণে আমি ধন্য। আর আপনার অভিবাদন সাদরে গ্রহণ করলাম। আপনাকেও আমার অন্তরের প্রীতি শুভেচ্চা। এতগুলি প্লাস ও ইমো পেয়ে ভীষণ অনুপ্রেরণা পেলাম।

অনেক অনেক ভালোলাগা আপনাকে।

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মতলা, এসপ্লানেড এ জায়গা গুলোর নাম বইতে এত পড়েছি তাই খুব ইচ্ছা এ জায়গা গুলোতে বেড়াতে যাই।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না না, আর বইতে নয়। এবার আমার ভাইকে বাস্তবে আসা চাই চাই। আমি এখন থেকে দিন গুনছি। সঙ্গে কফি হাউসেও নিয়ে যাবো। মাননীয়া শেখ হাসিনার একটি কথা ছিল ঢাবি ক্যাম্পাসে উনি একটি কফি হাউস বানাবেন। জানিনা ওখানে উনি এমন কফি হাউস করেছেন কিনা।

অনেক অনেক শুভকামনা আমার ছোটোভাইকে।

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা চমৎকার এবং গল্পও ভালো লাগল। আসলে কিছু কিছু মানুষ গভীর ঘুমে সারাদিন যা ঘটে, তার সাথে একাকী কথা বলে যায়। আবার কেউ কেউ, হঠাৎ চিৎকার করে উঠে.....

তবে, শেষটা ভালো লাগল না। বিজনদা'কে বিয়েটা !!

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পরে দাদা আপনাকে পেলাম। কেমন আছেন দাদা? আপনার সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম, পেলাম অনুপ্রেরণাও। দাদা আপনাকে একটি গল্প বলি, একবার ভোট করতে গিয়ে ভোটের আগের দিন কাজকর্ম সারতে প্রায় একটা বেজে গেছিল। এমন সময় আমার টিমের এক ভোটকর্মী আমাকে খুব আদর করে স্কুল বাড়ির দোতলা ঘরে শোয়ার কথা বললে আমি খুব খুশি মনে ঐস্থানে শুয়ে পড়ি। সবে ঘুম এসেছে হঠাৎ ' ধর ধর ' বলে ঘুমিয়ে থাকা পুলিশ কর্মী চিৎকার করে উঠলো। ও বেটা কিন্তু ঘুমাচ্ছে। আমি আবার নীচের ভোটকক্ষে চলে এসে বাকি রাত পার করি। এমন অভিজ্ঞতা অবশ্য আমার পরে আর হয়নি।

তটিনীর সঙ্গে বিজনদার বিয়েটা আপনার মত আমরও মেনে নিতে কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু কী আর করবো! আমি যে ওর একজন বন্ধু ছিলাম। না মেনে যে উপায় নেই।

অফুরান শুভেচ্চা দাদা আপনাকে।

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৬

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুমনি,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই । লাইক দেওয়াই অনুপ্রেরণা পেলাম।

অনেক ভালো লাগা ও শুভকামনা আপু আপনাকে।

১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: যেকোন অসুখই তো কোন একটা বয়স থেকে শুরু হয়। আর বয়ঃসন্ধিতে শরীরে মনে নানারকম পরিবর্তন ঘটে সবার। তটিনীর এই অসুখটা আগে ছিল সেটা না ধরে; বয়ঃসন্ধিতে শুরু হয়েছে এমনটা ধরলেই মায়ের উদ্বিগ্ন হওয়াটা সবচেয়ে যৌক্তিক হয়। নবম শ্রেণীতে ওঠা মেয়ে যেই বয়সে কিনা বিপরীত আকর্ষণ তীব্র হয় সেই বয়সে মেয়ের মুখে ঘুমের মধ্যে পুরুষ শিক্ষকের সাথে কথা শুনলে বাবা-মা তো উদ্বিগ্ন হবেই। কিন্তু আগে থেকেই অভ্যাস জানা থাকলে এতটা খারাপ ভাবা আবার মানায় না। অবশ্য একমাত্র সন্তান হলে অনেক বাবা-মাই খামাখা যুক্তিহীন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেন। যাইহোক, গল্পের বিষয়টি খুব ভালো। সাইকোলজিক্যাল এসব বিষয় নিয়ে খুব কম গল্প লেখা হয়। আবার লেখা হলেও ছেলেমেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালে বাবা-মায়ের ভুল বোঝাটা যে সন্তানের ওপর কেমন গুরুতর প্রভাব ফেলে সেটা নিয়ে এভাবে গল্পাকারেও তেমন একটা লেখা হয় না। দুটি বিষয় এই গল্পে উঠে এসেছে, এক- সাইকোলজিক্যাল একটি অসুখ যেটা নিয়ে সমাজে অসচেতনতা আছে, দুই- বয়ঃসন্ধিকালে সন্তানের উপর বাবা-মায়ের ভুল বোঝার প্রভাব। আর ভিন্নরকম এমন সাবজেক্টিভ কারণেই গল্পটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। সাবলীল বর্ণনা। তবে আরেকটু গোছানো এবং বানানে সতর্কতা দরকার, পদাতিক ভাই :)। শুভকামনা রইলো।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরি আপু,

দেরীতে উত্তর দেওয়াই দুঃখিত । আপনার সুন্দর বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম । পেলাম অনেক অনুপ্রেরণা । একেবারে যুক্তি সঙ্গত কথা বলেছেন য়ে রোগব্যাধি কখনোও বলে আসেনা। আমাদের চলমান জীবনের কোনও একটি পর্ব থেকে এর শুরু হয়। আর তখনই চারপাশের চেনা মানুষগুলি আপনও হতে পারে আবার তাদের সঙ্গে পরিস্থিতির কারনে দূরত্ব বাড়তেও পারে। গল্পে তটিনী যদিও ইতিপূর্বে ঘুমের মধ্যে বাবামায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। তখন অপত্যস্নেহের কারনে সন্তানের এহেন আচরণে বাবামা বরং পুলকিত হয়েছে।

বয়ঃসন্ধিতে তটিনীকে নিজেদের পরিবর্তে টিউটরের সঙ্গে এমন কথোপকতনে বাবামায়ের মনে দুশ্চিন্তা হওয়াটা তাই অস্বাভিক নয়। আসলে এখানে সাইকোলজিক্যালি বাবামায়ের মূল্যায়নটি সঠিক হয়নি। বাবামা তটিনীর ভালোলাগার বিষয় বা পরাশোনাটা না ধরে মাস্টারকে ধরে সন্তানের অবমূল্যায়ন করে ফেলে। যার পরিনতীতে একটার পর আরেকটি ভুলের বোঝা চাপতে থাকে।

গল্পে আর একটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা ছিল শহরের শিক্ষিত অভিভাবকরা সন্তানের যৌবনে পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে একটা অদ্ভূট শংকটে ভোগে। একদিকে তাঁর দেহ ও মনের পরিবর্তন অপরদিকে বাবামা সঠিক ভাবে তাকে স্টাডি করতে না পারার ব্যর্থতা। যার সার্বিক ফল এসে পড়ে একেঅপরের জীবনে। গ্রামীণ জীবনে এরকম বিষয়কে বাবামায়েরা তেমন পাত্তা দেয়না। সেখানে মানুষের চাহিদা সীমিত । অল্পতেই গ্রাম্য মানুষের চলে যায়। যেকারনে সাইকোলজির এসব চিন্তা তাদের কাছে অবান্তর।

পরিশেষে আপু আপনাকে হাজারো কৃতজ্ঞতা যে আপনি আমার এমন একটি পোষ্টের দুটি উল্লেখযোগ্য বিসয়কে চিহ্নিত করে আলোচনাকে আরও মধুর করে তুলেছেন। আগামীতেও এভাবে আপনার সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় থাকবো।
কিছু টাইপো আছে, অনেক রাতে পোষ্ট দিতে গিয়ে সামান্য ঘুম চলে এসেছিল। পরেরদিন সারাদিন ব্লগে সময় দেওয়ার সুযোগ ছিলনা। প্রতিমন্তব্য দিতে দেরী হওয়ার কারন ছিল ব্যক্তিগত ব্যস্ততা । আপনার নজরে এটা পড়াতে আবার ধন্যবাদ জানাই । পরের বার আরও সজাগ থাকবো। দোয়া করবেন।

অনেক অনেক শুভেচ্চা আপু আপনাকে।

১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: গল্পটা পড়ে অনেক মজা পেয়েছি, আজ লগইন করার ইচ্ছে ছিল না, কেবল এই গল্পটাকে একটু তুলোধুনো করার জন্যই লগইন করতে হল। মন্তব্যটা দিয়ে আবার সামু থেকে বের হয়ে যাবো। :)

যে মেয়ের ঘুমের মাঝে কথা বলার রোগ আছে সে তো সবার সাথেই বলবে, দারোয়ানের সাথে, দোকানদারের সাথে, এমনকি ভিক্ষুকের সাথেও ঘুমে তার কথা হওয়া উচিৎ। তটিনী খালি তার মাস্টারের সাথেই বলে কেন ভাইয়া? =p~

একমাত্র মেয়ে যেই মা বাবার ঘরে থাকে, সেই মা বাবা কিন্তু মেয়ের চোখের দিকে তাকিয়েই তার মনের ভাষা বুঝে নিতে পারে। ঘুমের কথা শুনে উনারা অত রাগ দেখানো মানায় না। ;)

সে যাক, গল্প আসলেই আমার ভালো লেগেছে। তবে গল্পে নাটকীয়তার মাত্রাটা বেশি হয়ে গেছে এই যা। কোন পুরুষ মানুষ মেয়েদের সাইকোলজি নিয়ে গল্প লিখতে গেলে অনেক সতর্ক থাকা উচিৎ। প্রায়ই পুরুষগণ তাঁদের গল্পে বেচারি মেয়েকে চিত্রিত করতে একটুখানি ভুল করে থাকেন, এটা দুঃখজনক। :)

ঐ মেয়ে বিজনদাকেই কোপ দিল, আহা বিজনদা, তোমার জন্য একরাশ সমবেদনা! হিহিহি...

ভাইয়ার কাছে একটা প্রশ্ন ছিল, আচ্ছা ভাইয়া আপনি কি ভারতীয় বাঙালি? লেখা পড়ে কিছুটা কেমন মনে হয়, এর আগের গল্পেও ওপার বাংলার প্রৌঢ় দম্পতির কথা পেয়েছি। আমি ব্লগে নতুন তো তাই জানি না।

অফটপিকঃ ইস, তটিনীর মত যদি আমিও ঘুমের মাঝে কথা বলতে পারতাম! তাহলে ঘুমের ঘোরে থাকার ভান করে আমার মা বাবাকে একহাত দেখে নিতাম। জেগে থেকে তো উনাদের কড়া কথা বলতে পারি না, পাছে বেচারারা কষ্ট পেয়ে বসবে। ঘুমে কথা বলার রোগ থাকলে অন্তত ঐ অসুখের ছুতায় মনের ঝাল মিটিয়ে দিতাম। =p~

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার ছোটোবোনের কাছে, দেরীতে উত্তর দেওয়াই । সঙ্গে ধন্যবাদ জানাবো এমন একটি বহুমুখী কমেন্ট উপহার দেওয়ার জন্য। তবে এমন কমেন্টকে অন্তত দুটি পর্বে ভাগ করলে প্রতিমন্তব্য দিতে একটু সুবিধা হত। যাক এবার আলোচনায় যাই। 'গল্পটা পড়ে অনেক মজা পেয়েছি, আজ লগইন করার ইচ্ছা ছিল না, কেবল এই গল্পটাকে একটু তুলোধুনো করার জন্য লগইন করতে হল। মন্তব্যটা দিয়ে আবার সামু থেকে বের হয়ে যাবো। ' ওরে বাবারে!! তুলোধোনা আমাকে!!! ছোটোবেলায় মায়ের মিলিটারি শাসনে বড় হয়েছি। এখনও একটি শাসনের মধ্যে আছি। তবে সেটা আপনার ভাইপোর মায়ের তুলোধোনা শাসন।ব্লগেও দেখছি আমার বোনের কড়া অনুশাসন। আমার তাহলে ভারত মহাসাগর ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই দেখছি । হা হা হা।

আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যাপক মানব দেববর্মার ( ত্রিপুরার বাসিন্দা) কাছে সাইকোলজি ক্লাসে একদিন প্রশ্ন ছিল , স্বপ্ন আমাদের বাস্তব জীবনে কতটা সম্পর্কিত? আসলে আমাদের লক্ষ্য ছিল সামনে বসে থাকা সুপ্রভাত ও ডালি নামের দুই সহপাঠী। ওদের মধ্যে তখন একটি সম্পর্ক গড়তে চলেছিল। যাইহোক স্যারের উত্তর ছিল, আমরা সারাদিনে যে সব কাজ ভেবে করি তা নয়, তবে যে কাজ বা লোকের প্রতি আমাদের মনের একটা ভালোলাগা এবং ভয় থাকে সেগুলি অবচেতন মনে ঘুমের মধ্যে চলে আসে। ভালোলাগাটা আমরা হয়তো বুঝতে পারিনা তবে ভয় পেলে জানতে হবে আমাদের নিরাপত্তা হীনতা এর সঙ্গে জড়িত। শিশুকে যেমন কখনও ভয় দেখাতে নেই , যেটা তার ঘুমের মধ্যে চলে আসে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ভালোলাগা ও ঘৃণার কাঠিন্যও পরিবর্তীত হয়। সেদিক থেকে দেখলে তটিনীর ঘুমের মধ্য বিজ্ঞানের মত বিষয় নিয়ে সংলাপ আসাটা স্বাভাবিক। তবে বাবামা বিজনদার মত চারপাশের লোকজনের স্বপ্নে আসাটা অন্যায় নয়। অনেককে শুনবেন স্বপ্নে আবৃতি করেন। একজন গায়ক স্বপ্নে হয়তো রিদম না মেনেও দুলাইন গান গেয়ে উঠলেন - এসব সমস্যা হয় না। সমস্যা হয় তখন যখন বয়ঃসন্ধির একটি মেয়ের এহেন সংলাপ স্টাডি করতে না পারাটা।

বয়ঃসন্ধিতে একটি ছেলেমেয়ের দেহ ও মনে পরিবর্তন হয়। ছেলেদের গলার স্বর পাল্টে যায়। সমস্যা এই সময় দ্বিমুখী। সন্তানদের চিন্তাচেতনা ও বাবামায়ের চিন্তাভাবনা। দুটি ম্যাচ করলে সেই পরিবারের সমস্যা হয়না। কিন্তু এর উল্টোটাও বহু ক্ষেত্রে হয়। সমস্যা হয় এই সমস্ত পরিবারগুলির ক্ষেত্রে। আর এখানে বাবামা সন্তানের উপর চাপিয়ে দেয় তাদের সিদ্ধান্ত। সন্তান মেনে নিলে ভালো , না মানলে আবারও অশান্তি।

গল্পে নাটকীয়তার মাত্রা,এটা আমার চরিত্রের ত্রুটি। আমি সঠিক ভাবে নারী চরিত্র চিত্রায়ন করতে পারিনি । এখানে আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলবো। পূর্বেই বলেছি, ছোটোথেকে মায়ের মিলিটারি শাসন ও এখন আরেকজনের কড়া অনুশাসনে আমি মেয়েদের সঙ্গে স্বভাবিক ভাবে মিশতে পারিনি। বারোক্লাস পর্যন্ত বয়েজ স্কুলে পড়েছি , কলেজে মেয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে আমি আগে থেকে কখনও কথা বলতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয় এর সঙ্গে ছিল আর্থিক সমস্যা। কাজেই আমার সমস্যা মাথা পেতে নিলাম।

বিজনদার জন্য হি হি হি। আর আমাদের জন্য বরং সমবেদনা। কান্নাকাটি করি কি কি কি।

হ্যাঁ, আপনার ভাইয়ার বাড়ি কলকাতায় ( বারাসাত) । আসলে গল্প লেখার সময় সব চরিত্র কাল্পনিক করলেও বাস্তবে কিছু স্থানকে তুলে দিই , পোষ্টটিকে আরও জীবন্ত করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত ধারনা স্থান কাল্পনিক করলে পোষ্টটি যেন অনেকটা বেশি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এইতো ধরুন আপনার শেষ পোষ্টে, হেমিংওয়ে কিন্তু কিউবার সমুদ্র উপকুলকে স্পট হিসাবে বেঁছে নিয়েছেন। কাজেই আমার যুক্তিতে এমন স্থান নির্বাচন ।

সবশেষে বলবো, আপনি তটিনীর মত স্বপ্নে অপ্রিয় কথা বাবামাকে বলতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন। হাহাহা, এটা কোনও সমস্যা নয়, আজি আপনি ঘুমের মধ্যে এঅভ্যাস শুরু করুন। রেজাল্ট পাবেন। যেহেতু আপনি জেগে ঘুমাচ্ছেন, কাজেই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবেনা আশাকরি । এমন মধুর ঝাল মেটানোর সুযোগ হাত ছাড়া করবেননা। তবে যেদিন করবেন বাবামাকে আগে থেকে একটু ছোটোখাটো গিফ্ট্ দিয়ে পরিবেশটা তৈরী করুন। পরের দিকে আর এমন পরিবেশ না করলেও চলবে। এমন মধুর কমেন্ট পেয়ে আপাতত ভারত মহাসাগরে যাচ্চিনা, বরং আগামীতেও অপেক্ষায় থাকবো। হা হা হা।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়বোনকে।



১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

বলেছেন:
দারুণ গল্প পড়লাম; বেশ ভাল লাগলো

অপূর্ব ছবি ও ম্যাসেজ!

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় লতিফভাই,

গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। ছবিটির কথাটি তুলে ধরায় আরও আনন্দ পেলাম। পেলাম অনুপ্রেরণাও।

অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা আপনাকে।

১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাহ ভাইয়া! গল্পটি ভালো লাগলো।

কলকাতার পটভূমির উপর লেখাগুলো আমার কাছে কেন জানি অন্যরকম ভালো লাগে। সুচিত্রা ভট্টাচার্য এর অনেক বই আমি পড়েছি। আমার কাছে খুব ভালো লাগে তার লেখা।
এখানে আমার একটি খুব প্রিয় বই এর কথা বলতে ইচ্ছে করছে, বিমল কর এর দেয়াল বইটি। আমি অনেকবার পড়েছি কিন্তু কোথায় যেন হারিয়ে ফেলেছি বইটি। তা নিয়ে মনে খুব দুঃখ। খুজতে হবে দোকানে গিয়ে ।

ছেলে মেয়েদের ঐ বয়স টা তে বাবা মা এর চিন্তা হওয়া টা স্বাভাবিক । কিন্তু বিষয়টা কে আমরা সন্তানরা অন্যভাবে নেই ফলে মনের ঐ অবস্থা হয় কিন্ত বাবা মা এর জায়গায় বাবা মা ঠিক।

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসন্ধ্যা স্নেহের বোনকে,

গল্পটা ভালো লাগলো জেনে আনন্দ পেলাম। আপনি সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা বই পড়ায় ইতিপূর্বে কলকাতার সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছেন। তবে ওনার কিশোর গল্প, ভূত, উপন্যাস প্রায় সবই আছে। লেখিকার উপন্যাস দহনকে নিয়ে সম্ভবত ঋতুপর্ন ঘোষ সিনেমা করেছিলেন। অসাধারন লেগেছিল। আবার উনিও পরিচালকের মৃত্যুর পর' ৪৯ বছর ' নামে বোধহয় অপর একটি বই লিখেছিলেন। তবে ভূতের উপরই যেন ওনার কাজকারবার বেশি।

আর বিমলকরের সম্ভবত কড়ি দিয়ে কিনলাম, বহুদিন আগে মুভিটা দেখেছিলাম। তেমন কিছু আজ মনে নেই।ওনার লেখা বই পড়িনি ।

পোষ্ট প্রসঙ্গে, বয়ঃসন্ধিকালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্তানের উপর বাবামা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়। অথচ এই সময়টাই দরকার তাদের সঠিক কাউন্সিলিং বা খোলা আলোচনা। আবার বিষয়ে চলে যাবো, এক্ষেত্রে বাবামায়ের পুরানো ধারনা থেকে বার হয়ে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মত ব্যবহার করতে হবে। অন্যকোন রাস্তা নেই। তাদেরকে প্রয়োজনে মা মেয়েকে বা বাবা ছেলেকে মনের চাহিদা অনুযায়ী জীবনশৈলী পাঠও দিতে হবে। কোনও কিছু লুকালে আঁখেরে পরিনাম ভালো হবেনা।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়বোনকে।

২০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: এসপ্ল‍্য‌ানেড এর সাথে প্রথম পরিচয় হয় শংকর এর মাধ্যমে। কলেজ জীবনে উনার লিখার প্রচন্ড ভক্ত ছিলাম। বিশেষ করে চৌরঙ্গী অনেক দিন প্রিয় হয়ে ছিল।

গল্প ভালো লেগেছে। আপনার লিখায় গল্প বলার ভঙ্গি টা সহজ ও সুন্দর। +++

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ঋতোভাই,

আপনি সুন্দর কবিতা লেখেন। প্রোফাইলে দেখলাম প্রকৌশলী। বালি সিমেন্ট নিয়ে কাজ করেও মনটা কীকরে এত সংবেদনশীল রেখেছেন ভেবে অবাক হয়ে যায়। ব্যক্তিগত ভাবে আমি আপনার কবিতার একজন ফ্যান।

সাহিত্যিক শংকরে মাধ্যমে আপনি এসপ্ল্যানেডের সঙ্গে পরিচিত, জেনে মুগ্ধ হলাম। আপনার সাহিত্য প্রেমী মনের পরিচয় পেলাম। সাহিত্যের মধ্যেই প্রকৃত প্রেমী খুঁজে পায় নিজের পরিচয়। লেখকের ভক্ত ও চৌরঙ্গীর সঙ্গে পরিচয়, আহা । হৃদয় ভরে গেলো এমন অভিজ্ঞতাতে। তবে কে সি দাসের মিষ্টি বোধহয় খাওয়া হয়নি। এবার বাস্তবে এলে আমি শতাব্দী প্রাচীন দোকানের মিষ্ট খাওয়াবো।

গল্প ভালো লেগেছে বা লেখার স্টাইল ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। পেলাম অনুপ্রেরণাও। সঙ্গে অত্তগুলি + চিহ্নে জানাই কৃতজ্ঞতা। মুগ্ধ হলামও বড়।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় ঋতোভাইকে।

২১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


খুবই প্রাণবন্ত হয়েছে! শুরু থেকে শেষ একটানেই পড়া গেল! গল্পের শেষে টুইস্ট অনেক ভাল লেগেছে পদাতিক ভাই! আসলে গল্প তেমন বুঝিনা। কবিতার মানুষ, কবিতা নিয়েই থাকা..

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়কবিভাই,

ব্লগে যাদের দেখার জন্য মনে অপূর্ণতা রয়ে যায় আপনি তাদের অন্যতম। আপনার তিন বছর পূর্তির পরে অনেকদিন না পেয়ে প্রচন্ড মিস করেছিলাম আপনাকে। মিস করেছিলাম আমাদের জলকাব্যকে। তাই আপনার কামব্যাকে ভীষণ খুশি হয়েছি। সেবার দেখছিলাম কোনও একটি পোষ্টে ভালো কমেন্ট করতে না পারার যন্ত্রনা আপনি উল্লেখ করেছেন। সত্যি কথা বলছি, এবার দেখছি আপনি শুধু কবি নন, একজন বলিষ্ঠ কমেন্ট মাস্টারও হয়ে গেছেন। বিভিন্ন পোষ্টে আপনার মধুর কমেন্টগুলি আমি পড়ি, শিখি ও উপভোগ করি।
আপনি আজ বললেন গল্প তেমন বোঝেন না। আমি আশাবাদী খুব শীঘ্রই আমাদের সবার প্রিয় কবিভাইকে আমরা নুতন রূপে চিনবো , দেখবো ও শিখবো। হা হা হা

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়গুরুজীকে।

২২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আপনার ভালবাসায় মুগ্ধ হই! আসলে গল্প কয়েকটি লিখেছি! অনেক আগে। আজকাল আর টানে না! আসলকথা হল ব্যস্ততা! এই জন্যেই লেখা হয় কম! তবে গল্পেই জীবনের প্রকাশ আর কবিতায় আত্মার মুক্তি! চেষ্টা করব লেখতে পারি আর না পারি অন্তত পড়ব!

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পে জীবনের প্রকাশ আর কবিতায় আত্মার মুক্তি। আমরা এমন মুক্তির স্বাদুতা নিতে বারেবারে ডুব দেবো কবিতাসাগরে।

২৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ওরে বাবা! স্বপ্ন নিয়ে এত কিছু??
তটিনীর মা একটু বেশীই সিরিয়াস ছিল। একমাত্র মেয়ে সেই জন্য বোধহয়। আর তটিনী কি বিজনদা ছাড়া কোন ছেলেই খুঁজে পেল না? ছাত্রী শিক্ষক বিয়ে আমার একদম পছন্দ নয়..X(

যদিও এমন ঘরে আমি বিয়েই করবো না। শ্যালক শ্যালিকা ছাড়া বিয়ে করে মজা আছে নাকি??:P

ইয়ে মানে, পিটার চৌধুরিটা কে?

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরে মন্ডলভাই,

আগে বলুন কেমন আছেন। আপনার উপর আমার অভিমান আছে। যেকারনে সরাসরি পোষ্ট নিয়ে আলোচনা করবোনা। আপনি শালা,শালি শালাবৌ, শালবন, শাসানি, শাশুড়ি, শাশ্বতী সব পাবেন আশাকরি । আমরা স্রেফ একদিন গিয়ে আশীর্বচন করে আসবো। তবে আমাদের ঘরেও একটি সুযোগ্য কন্যা আছে। সে কিন্তু ফেললা নয়। বেশি ইয়েগিরি করলে আমরা কিন্তু কিছু করতে পারবোনা ।

আর ইয়ে মানে পিটার চৌধুরী মানে আমাগো কাওসার চৌধুরী ভাই। হা হা হা। তবে পিটার মন্ডল হলে অবশ্য মন্ডল বাড়ির ছোটোপোলাটা বোঝাতো।

২৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: চৌধুরি ভাই, ইচ্ছে করেই পরে মন্তব্য করলুম। গল্প নিয়ে একটা গোপন কথা বলার জন্য...:P

আমার এক কাজিন ঘুমের মধ্যে কথা বলে। ভাগ্যিস তটিনীর মত ঘুমের মধ্যে কথা বলার অভ্যেসটা আমার নেই, না হলে আমার মান সন্মান সব শেষ হয়ে যেত। জানেনই তো সবার সাথেই আমার ভাব। ঘুমের মধ্যে আপুদের রোল কল করা শুরু করলে রাতই শেষ হয়ে যাবে।:P তটিনীর মায়ের মত কেউ শুনলে তো লাইফটাই বরবাদ। :(


প্রশ্নঃ
হিন্দুদের বড় দেবতার নাম কী?
বিষ্ণু, শিব, রাম, কৃষ্ণ... এরা কে?

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অ্যাঁ অ্যাঁ, মন্ডল ভাই বলেন কী??? কাজিন ঘুমের মধ্যে ক... থা....বলে? আপনাতো তাহলে কেস খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাক এবার আসল কথা বলি । আমরা কেউ সমাজের বাইরে নই। লোকলজ্জা, সামাজিকতা আমাদের মেনে চলতে হয়। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনার মিশুকে স্বভাবের মধ্যে হিউমারটাকে কাজিন সিরিয়াস ধরে বসে আছে। ওর বয়সটাও এক্ষেত্রে কম হওয়াই নিজের সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা তৈরী হয়নি। যে কারনে ওর চিন্তাপ্রবণ মনের বহিপ্রকাশ ঘুমের মধ্যে হলে আপনার পক্ষে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। আপনাকে এক্ষেত্রে ঐ বাড়ি বা অন্যান্য কাজিনদের সঙ্গে আরও বেশি করে আড্ডাবাজ চালিয়ে যেতে হবে।

সংসার সম্পর্কে চাণক্যের একটি শ্লোকে,

তে পুত্রা যে পিতুর্ভক্তাঃ স পিতা যস্তু পোষকঃ ।
তন্নিত্রং যত্র বিশ্বাসঃ সা ভার্যা যত্র নিবৃর্তিঃ। ।

যারা পিতৃভক্ত তারাই হল পুত্র। যিনি পালন করে থাকেন তিনিই পিতা। যাকে বিশ্বাস করেন তিনি হলেন বন্ধু। আর যে শান্তি দিতে পারে সেই হল পত্নী ।

আপনার প্রশ্ন সম্পর্কে যেটুকু জানি,

ব্রহ্মা বিষ্ঞু মহেশ্বর।

ব্রহ্মা সৃষ্টি কর্তা, বিষ্ঞু পালন কর্তা আর শিব সংহার কর্তা ( দেবাদিদেব যিনি স্বয়ম্ভূ )
রাম- ত্রেতাযুগে বিষ্ঞুর অবতার ।
কৃষৃঞ - দ্বাপরযুগে স্বয়ং ঈশ্বর , যিনি দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় মন্ডলভাইকে।

২৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

এখওয়ানআখী বলেছেন: অসাধারণ। সুন্দর ঝরঝরে লেখা। ভাল লাগল।

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়কবিভাই,

আপনার সুন্দর কমেন্ট অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। পেলাম অনেক আনন্দও। আপনাকে জানাই কৃতজ্ঞতা । আগামীতেও আপনার এমন লোভনীয় কমেন্টের প্রতীক্ষায় থাকবো।

নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

২৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কেন? কেন? কেন?
অভিমান কেন?


আচ্ছা একটা কাজ করেন, মটু-পাতলু কার্টুনের ডায়লগ গুলো হিন্দিতে লিখে দিন: (*.মোটু*.পাতলু*.ডক্টর ঝাটকা*.ঘাসিতা রাম*.ইন্সপেক্টর চিঙ্গাম*.জন)

চিনগম স্যারঃ চিনগামের হাত থেকে বাঁচা অসম্ভব। এক্কেবারে ইয়াম পসিবল...:P


...

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকে আজ তিনদিন না পেয়ে আমি যে দিশাহারা ।

' পার জন দ ডন চিনগম স্যারকে হাত সে নিকাল যাতা হে,
পর মতু পাতলু জন দ্য ডনকো উসকো পাকড় লেতা হে, অর উসকো পিটটা হে।

২৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ওরে ভাই, আমার কাজিনটা ছেলে!!!:D
আমার নানাও ঘুমের ভেতর গরু তা্ড়ায়।


কয়দিন ব্যস্ত ছিলাম। আরো দুই দিন ঘুরে বেড়াবো। এখন যেই রুমে শুয়ে আছি তার নেটওয়ার্কঃ( EDGE, -103dBm 5 asu)। খুবই খারাপ অবস্থা।
বুঝুন, কী প্যাড়ার মধ্যে ব্লগিং করছি।


পুনশ্চঃ
আমি ব্যস্ত থাকলে বা ব্লগে আসতে না পারলে আমার পেজে/লাস্ট মন্তব্যে বলে যাব। ব্লগে পরিচিত কাউকে না পেলে কেমন লাগে, সেটা আমি ভালোমতই জানি....
ভালো থাকবেন।
লগআউট...

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল মন্ডলভাই,

আপনি মনদিয়ে ঘুরে বেড়ান। আমরা যেহেতু জেনে গেছি আপনি প্রায় নেটহীন দুনিয়ায় আছেন, আর দুশ্চিন্তা করবোনা। আনন্দে থাকুন, রাখুনও আনন্দে।
দুদিন পরে আবার দেখা হবে। কাজিনকে আমার ভালোবাসা ও নানাজীকে আমার সালাম পৌঁছে দেবেন।

সকলের প্রতি রইল অপ্রীশু ।

২৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জীবনের অনেক কিছূ আছে আমরা যা পরিবর্তন করতে পারি না, পরিবর্তন করা সম্ভব হলে আবার বয়ষ ২৮ থেকে শুরু করতাম । আপনার গল্প ভালো লেগেছে পদাতিক চৌধুরী ভাই, চলার পথে আমাদের দেখা হয়ে যায় পুরোনো স্মৃতীর সাথে - তাও আমাদের জীবনের একটা গল্প ।।


আমার খুব মন চায় আবার টিন থেকে ( মানে ১৩ বছর বয়স) থেকে শুরু করি। জীবনের সব ভুল সংশোধন করে নিই। বিধাতা তো আমাকে সেই সুযোগ দেবেন না।

জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিতে হয় খুব সাবধানে। কোন রকম ভুল করার অপশন নেই।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয় সাজ্জাদভাই,

মাহমুদভায়ের কমেন্ট পড়ে আমিও খুব নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম। পুরানো স্মৃতি মনে পড়লে বড্ড অসহায় হয়ে পড়ি। কিন্তু কী আর করা যাবে , আমাদের হাতে যে কোনও বিকল্প নেই। আপনি আবার বলেছেন তেরো বছর থেকে শুরু করতে। আহা!! পুকুরে নেমে নোলখেলা / জলকেলি সে কী ভোলা যায় কখনও। চোখ লালা হয়ে বাড়ি এলে আবার মায়ের হাতে বকুনি বা দুচারটে চড় খাওয়া সে কী আর ফিরে পাওয়া যায়। আজ আমার মা যে ওপারে। না আর পিছনে তাকাবোনা। ভীষণ বিমর্ষ লাগছে।

" জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিতে হয় খুব সাবধানে। কোন রকম ভুল করার অপশন নেই । " একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। এখন হিসাব করে এগোতে হবে। ভুল সিদ্ধান্ত নিলে উপযুক্ত মূল্য চোকাতে হবে।

অনেক অনেক শুভজামনা প্রিয় সাজ্জাদ ভাইকে।

২৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। +

শিক্ষকদের একট প্রভাব থাকে ছাত্র/ছাত্রীদের উপর ।বিশেষ করে স্কুল /কলেজ পর্যায়ে। আর ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে অহরহ ঘটনা। আমার এক কাজিন নাম বিউটি। তার হাউজটিউটর এখন আমাদের দুলা ভাই। আপা আমাদের বংশের সবচেয়ে বড় মেয়ে।
আনপ্যারালাল বিউটি। আমি আবার ছোট থেকেই কিউটি মাানে কিউট। আপা আমাকে অনেক আদর করতে। আমাদের মেগা প্যামিলি ছবি তুললে আমার ছবিটা সবচেয়ে সুন্দর হতো। আর আপুনির(বিউটি)আপারর ছবি আমার তুলনা পানসে। আপা তার অংশের টুকু ছিড়ে ফেলতেন। পুরোটা ফেলে দিতেন না। আর বলতেন আমার ছবিটা অনেক সুন্দর হয়েছে।তাই রেখে দিতেন। :)

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কবিভাই,

একমত আপনার সঙ্গে যে স্কুল / কলেজ জীবনে শিক্ষকদের একটা মারাত্মক প্রভাব শিক্ষার্থীদের উপরে পড়ে। সেখানে সাধারনত কম বয়সী শিক্ষকের ছাত্রীদের একটা আকর্ষণ তৈরী হয়। শিক্ষক মহাশয় সাড়া দিলে কেস রসালো হয়ে ওঠে।

আপনার বিউটি আপার সঙ্গে আপনার খুনশুটি বেশ ভালো লাগলো। এমন মধুরধারা চলতে থাকুক আজন্মকাল। আপনার মত আমারও আপু আছে। তবে বিয়ের পর হিসাব করে কথা বলি যদি রাগ করে বসে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা কবিভাই আপনাকে।

৩০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

সারমিন আক্তার শেহা বলেছেন: ছবিটা খুব সুন্দর

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছবিটাকে সুন্দর বলার জন্য ধন্যবাদ। তবে পোষ্টটি পড়লে আরও খুশি হতাম।

শুভকামনা জানবেন।

৩১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

মোঃ রুবেল তালুকদার তারু বলেছেন: আপনার ছাত্র বেশ সুন্দর ছবি এঁকেছে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি আপনার পোষ্টে একটি কমেন্ট রেখে এসেছি । আমার ছাত্রের প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ জানাই ।
পাশাপাশি পোষ্টটি পড়লে খুশি হতাম।

শুভকামনা জানবেন ।

৩২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০০

সাদাফ কামরুল হাসান বলেছেন: ভাল পোষ্ট

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাদাফভাই,

আপনার পোষ্টে একটি কমেন্ট রেখে এসেছি । আমার পোষ্ট ভালো লাগায় খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

মোঃ নাজমুল হাসান ছকা বলেছেন: চমৎকার গল্প।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ছোটোভাই,

চমৎকার মন্তব্যে চমৎকৃত হলাম।

শুভকামনা রইল।

৩৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

বিথী আক্তার বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটোবোন,


পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইল।

৩৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

রঞ্জন রয় বলেছেন: গল্প টা প্রথমে কোন প্রেমের বিরহ নিয়ে হবে ভাবছিলাম।


কিন্তু দেখি তা ধীরে ধীরে রোগে পরিণত হচ্ছে।

পড়তে পড়তে ভাল লাগছিল।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রঞ্জনদা,

আমার কোনও পোষ্টে আপনার প্রথম মন্তব্য। সুস্বাগতম আপনাকে। পাশাপাশি গতদুদিন ধরে আমি মারাত্মকভাবে ব্লগিং সমস্যায় ভুগেছি। জানিনা এই প্রতিমন্তব্যটিও জমা হবে কিনা। আমি সব সময় চেষ্টা করি যতটা দ্রুত প্রতিমন্তব্য দিতে। আপনাদের তিনজনকে গতকাল থেকে উত্তর দিতে না পেরে আমি ভীষণ ব্যাথিত। আশাকরি আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিষয়টি নেবেন। পোষ্টটির পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।

শুভকামনা জানবেন ।

৩৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সংসার সম্পর্কে চাণক্যের একটি শ্লোকে,

তে পুত্রা যে পিতুর্ভক্তাঃ স পিতা যস্তু পোষকঃ ।
তন্নিত্রং যত্র বিশ্বাসঃ সা ভার্যা যত্র নিবৃর্তিঃ। ।

যারা পিতৃভক্ত তারাই হল পুত্র। যিনি পালন করে থাকেন তিনিই পিতা। যাকে বিশ্বাস করেন তিনি হলেন বন্ধু। আর যে শান্তি দিতে পারে সেই হল পত্নী ।

আপনার প্রশ্ন সম্পর্কে যেটুকু জানি,

ব্রহ্মা বিষ্ঞু মহেশ্বর।

ব্রহ্মা সৃষ্টি কর্তা, বিষ্ঞু পালন কর্তা আর শিব সংহার কর্তা ( দেবাদিদেব যিনি স্বয়ম্ভূ )
রাম- ত্রেতাযুগে বিষ্ঞুর অবতার ।
কৃষৃঞ - দ্বাপরযুগে স্বয়ং ঈশ্বর , যিনি দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে আবির্ভূত হয়েছিলেন

এই মুহুর্তে সয়ং শিব সংহার কর্তা তাঁকে প্রয়োজন - আর আর আরেকটি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ প্রয়োজন - অবস্যই ভয়ংকরভাবে প্রয়োজন !!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদ ভাই,

এটা নিয়ে আপনাকে চারবার প্রতিমন্তব্য দিয়েছি। আগের তিনবার ব্যর্থ হয়েছি। যেকারনে উত্তর দিতে দেরী হয়েছে। আশাকরি আপনি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিটে দেখবেন। আর যে কারনে আপনার সংহার কর্তার দরকার, আপাতত সমস্যা মিটে গেছে। দ্রুত আবার সবকিছু স্বাভাবিক হবে।

নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।


৩৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঘুমের মাঝে অনেকেই কথা বলে এবং অবশ্যই যার কথা বা যে কথা তার মনে খুব বেশি প্রভাব ফেলে তাকে নিয়েই।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু গততিনদিন ব্লগিং সমস্যার কারনে উত্তর দিতে পারিনি। দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। আজ একটু আগে দেখলাম আবার সব ঠিক হয়েছে। জানি সময়ে উত্তর না দিলে বা না পেলে ভালো লাগেনা। যে কারনে আপনার সুচিন্তিত কমেন্টের আশায় থাকবো। আশাকরি পরেরবার সময়ে উত্তর দিতে পারবো।

পোষ্ট প্রসংগে আপনি যেটা বলেছেন, অনেকাংশে সত্যি। পোষ্টটির লাইক করার জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা।

অনেক অনেক শুভকামনা আপু আপনাকে।



৩৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা হা, আমার ভায়ের তটিনীর ছবি দরকার। ঠিক আছে দিতে পারি তবে একটা শর্তে, মনে কু থাকলে তটিনীকে দেখা যাবেনা। সাদা মন হলে ওকে দেখা যাবে। এবার আমি উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম। তটিনীকে দেখা যাচ্ছে??? হা হা হা।

হ্যাঁ, ঠিকই বলেছো। তটিনী শব্দের অর্থ নদী। তট থেকে তটিনী কথাটি এসেছে।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় ছোটোভাইকে।

তটিনী মানে নদী সেটা আমি জানি। ছটবেলা থেকেই জানি দাদা।
আমার মন সাদা রাখতে চেষ্টা করি।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়ছোটোভাই,

আমাদের মন একটি দর্পণ। যার মধ্যে দিয়ে আমরা বিশ্বকে দেখি। আর এই দেখাটাই ফুঁটে ওঠে আমাদের লেখার মধ্যে। আমি আমাদ ভায়ের লেখাগুলির মধ্যে খুঁজে পাই একটি স্বচ্ছ মন। এটা আবার পারিবারিক ঐতিহ্য বলেই আমার বিশ্বাস। আমরা শত বাঁধা বিপত্তির সত্ত্বেও এমন কোমল হদয়কে বারে বারে পাওয়ার আশায় থাকবো।

নিরন্তর শুভকামনা আমার ভাইকে।

৩৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: না না না, আর বইতে নয়। এবার আমার ভাইকে বাস্তবে আসা চাই চাই। আমি এখন থেকে দিন গুনছি। সঙ্গে কফি হাউসেও নিয়ে যাবো। মাননীয়া শেখ হাসিনার একটি কথা ছিল ঢাবি ক্যাম্পাসে উনি একটি কফি হাউস বানাবেন। জানিনা ওখানে উনি এমন কফি হাউস করেছেন কিনা।

অনেক অনেক শুভকামনা আমার ছোটোভাইকে।

আমি অবশ্যই আসবো দাদা।

কফি হাউজ তো ঢাকায় অনেক গুলো আছে।
শিল্পকলাতে সুন্দর একটা কফি হাউজ আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাফেটেরিয়া আছে, মধুর ক্যান্টিন আছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়ছোটোভাই,

অনেক বছর আগে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী কলকাতার কফি হাউসে এসে ঢাকায় কফি হাউস তৈরীর কথা বলেছিলেন। মান্না দের গানটির সঙ্গে উনি সেই কবে থেকে পরিচিত ছিলেন। বাস্তবের কফি হাউস দেখে ওনার সরল মনের অভিব্যক্তি ছিল। তবে ঢাবির ক্যাফেটেরিয়া, মধুর ক্যান্টিনের সঙ্গে শিল্প কলার কফি হাউসের পরিচয় পেয়ে পুলকিত হলাম। সেন্ট মেরিনায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। তবে ঢাকা শহর ও নওগাঁ জেলা শহরে যাওয়ার স্বপ্ন আছে। বাকিটা উপরওয়ালার উপর নির্ভরশীল।

অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা প্রিয়ছোটোভাইকে।


৪০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি ঠিক আপনার উল্টা পথে হেটেছি, তাই ওনার সাথে দেখা হয়নি। আমি বনগাঁ থেকে দমদম নেমে মেট্রোতে করে এক্সপ্লানেড নেমেছিলাম গত সপ্তাহে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইস!! ভাইজান আপনি এখানে এলেন অথচ আমি আপনাকে একটু দেখা পেলামনা। হাইরে!!

তবে পরেরবার এলে আমাদের বারাসাতে একটু নামতে বলবো। এমন একজন সাদামনের মানুষের দর্শন পেলে যে মনের কালিমাও যে নির্মুক্ত হত।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় সাদামনেরভাইককে।

৪১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার কথা খুব মনে পড়ছিল, তবে আপনি যে বারাসাতের বাসিন্দা সেটা আমার জানা ছিল না। পরের বার হয়তো দেখা হবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ, সাদা মনেরভাই ,

পরের বার অবশ্যই নামবেন, বারাসাতে। আপনার অপেক্ষায় থাকবো ।

শুভকামনা রইল।

৪২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

করুণাধারা বলেছেন: তটিনী চরিত্রটা খুবই বাস্তব। ঘুমের মধ্যে কথা বলা, এই সাধারন ঘটনার impact কি হতে পারে তা এই গল্পে খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো গল্প।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল আপু,

সুস্বাগতম আপনাকে । আমার কোনও পোষ্টে আপনার প্রথম কমেন্ট । অল্প কথাতে সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন । ধন্যবাদ আপু আপনাকে । গল্প ভালো লাগায় ও লাইক দেওয়ায় আবারও কৃতজ্ঞতা জানাই ।

অফুরান শুভেচ্ছা আপনাকে ।



৪৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

ভাইয়ু বলেছেন: শেষে এসে বিজনদার ঘাড়েই পড়লো ! তাইতো মানুষ বলে "যাহা রটে, তাহার কিছুটা হলেও ঘটে ৷" :P

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ভাইয়ু,

পাঠ ও কমেন্টের জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা । রটনা আর বাস্তবের মধে একটা বড় ব্যবধান আছে । আমাদের সমাজের বৃহৎ সংখ্যক মানুষ রটনাকেই বাস্তব বলে ধরে বিচার করে। এতে হয়তো সমাজপতিরা আনন্দের ডেকুর তোলে, কিন্তু ভূক্তভোগীর জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ । গল্পে বাবামা ঘুমের মধ্যে মেয়ের কথা বলাকে খুব সরল ভাবে বিচার করেছেন। আর বিপত্তির শুরু এখান থেকে ।

তবে রটনাও মাঝে মাঝে একটা বিন্দুতে মিলিত হয়। যেমনটি এখানে দেখানো হয়েছে। এখানে না হয় একটি মধুর পরিসমাপ্তির সুযোগ আছে বা হয়েছে, কিন্তু স্রেফ রটনার জন্য ডাইনি অপবাদে বা ছেলে ধরা সন্দেহে গনপিটুনি দিয়ে হত্যা আমাদের সুস্থ বিবেক বুদ্ধির পরিপন্থী । এনিওয়ে,


অনেক অনেক শুভকামনা আমার ছোট্টভাইটিকে।

৪৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

ভাইয়ু বলেছেন: স্রদ্ধেয় পদাতিক ভাইজান,
আপনি ঠিকই বলেছেন ৷
বহু আগে ভাবতাম আমাদের বাবা-মায়েদের জেনারেশনটাই শেষ জেনারেশন যারা কাল্পনাকে কেন্দ্র করে বহু কিছু ঘটিয়ে ফেলে ৷
আমাদের জেনারেশন থেকে মনে হয় এসব আর থাকবেনা ৷
তবে, এখন আমাকে বলতেই হচ্ছে আসলে ব়্াপারটা পুরোপুরি বিবেক কেন্দ্রিক ৷
এখানে একাডেমিক শিক্ষাটা তেমন কার্যকর না...

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ভাইয়ু,

স্নেহ / ভালোবাসা কখনও শেষ হওয়ার নয়, যেমন ভাবনাটাও ঠিক নয় যে আমি বা আমার মত সহৃদয়তা আর কেউ হবেনা বা পরে শব্দটা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। জেনারেশন এগিয়ে চলেছে, চলছে এগিয়ে তার সৌজন্যতাও। আমরা আমাদের ক্ষমতা মত যতটা পুঁথিগত শিক্ষা লাভ করিনা কেন, আমাদের সমাজ দাঁড়িয়ে আছে নৈতিক শিক্ষাকে ভর করে। সেটা আবার অনেকটা পারিবারিক কালচারের উপর নির্ভরশীল। ব্যতিক্রম যে নেই তা নয় , তবে ন্যায় - নৈতিকতাই আমাদের সমাজ শিক্ষার স্তম্ভ। আমরা আমাদের বিবেককে এখানে চেতনার জাল বুনি ।

শুভকামনা প্রিয় ভাইয়ুকে।

৪৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: গল্পটা সেদিন পড়েছিলাম যখন অপিষে ছিলাম, আজকে চোখ বুলিয়ে নিলাম কমেন্ট করা হয়নি তায় জানান দিয়ে গেলাম, মন্তব্য করলামনা, কারন গুণিজনদের মন্তব্যে সব উঠে এসেছে

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় বাকপ্রবাসভাই,

আপনি যে এলেন আমার ব্লগে, এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি । হ্যাঁ মতের মিল বা সমজাতীয় কমেন্ট হলেও সেটা বলাটাও দরকার। যেটা আপনার নিজস্বতার পরিচয় দেয়। ব্লগে আমাদের একে অপরের চেনাজানা নেই ঠিকই কিন্তু এই স্বকীয়তা আমাদের একে অপরকে বড় আপনজন করে তুলেছে। কাজেই আমরা আমাদের অন্তরের টানে একে অপরের ব্লগে গিয়ে কমেন্ট দেবো। সবসময় সুয়োগ হয়ে ওঠেনা ঠিকই। তবে অবসর পেলে আমরা ঢুকবো সামুর মুক্ত মঞ্চে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে ।

৪৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বিজনদার প্রতি কী অবিচারটাই না করা হয়েছিলো! পরিসমাপ্তিটা ভালো লাগলো।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পুরানো পোস্টে আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে, বিজনদার প্রতি অবিচার ধরতে পেরেছেন জেনে। পরিসমাপ্তি মধুর লাগায় খুশি হলাম।

বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা আপনাকে।


৪৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

আরোগ্য বলেছেন: মন্তব্য পোস্ট করতে করতে লগ আউট, উফ বিরক্তিকর!

পদাতিক ভাই শুনেছি যারা ঘুমের মাঝে কথা বলে তাদের প্রশ্ন করলে নাকি গোপন কথাও বলে দেয়। ভাগ্যিস আমার এরকম স্বভাব নেই। বিজনদার সাথে তটিনী মুখার্জির জুটি ভালো লাগলো।

প্রিয় ভাইটি লক্ষ্য করেছেন কিনা জানি না কিছু দিন ধরে রাকু ভাইকে ব্লগে দেখা যাচ্ছে না। আশা করি সব ঠিক আছে।

আবার দেখা হবে, আসি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার স্নেহের ছোটভাইকে পেয়ে আনন্দ পেলাম । হ্যাঁ ঘুমের মধ্যে যারা কথা বলে তাদেরকে ঘুমের মধ্যে প্রশ্ন করলে সত্য কথা বলে দেয়। তবে ঘুমের মধ্যে যিনি কথাগুলো বলছেন, প্রশ্ন গুলিও সেই সংক্রান্ত হতে হবে। তবেই কিন্তু উত্তর মিলবে, অন্যথায় হা হা হা হা হা। বিজনদার সাথে তটিনী মুখার্জির সম্পর্ক তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমি খুশি হলাম । যাক তাহলে আমার সঙ্গে তোমার মতের এক্ষেত্রে একটা মিল আছে। হে হে হে।

আর রাকুকে অনেকদিন দেখছি না। আমি ওর লাষ্ট পোষ্টে গিয়ে খোঁজ নিয়ে এসেছি। কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন রেসপন্স পাইনি। জানি না ও কিসে এমন ব্যস্ত বা কেমন আছে প্রভৃতি।

অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা আমার দুই ছোট ভাইয়ের জন্য ।

৪৮| ০৯ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার গল্প লিখেছেন! + +
একটি মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাকে ঠিকমত উপলব্ধি করতে না পারলে বাস্তব জীবনে কি ধরণের সমস্যা হতে পারে, তা গল্পে সুন্দরভাবে বোঝানো হয়েছে।
চঞ্চল হরিণী, অচেনা হৃদি, কথার ফুলঝুরি প্রমুখের মন্তব্যগুলো বেশ ভাল লাগলো। তবে সবার উপরে বুঝি ওমেরা এর টাকেই রাখতে হয়! :)

০৯ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

বরাবরের মতো আপনার সুন্দর গোছানো কমেন্ট আমার কাছে অত্যন্ত কমনীয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টিকে আমরা ঠিক সমস্যা হিসাবে পাত্তা দিই না। আর এটি যখন পরে যখন বৃহৎ আকার ধারণ করে তখন টলিয়ে দেয় একটা গোটা সংসারের শক্ত বুনিয়াদকে। গল্পে তারই একটি চিত্র অংকনের চেষ্টা করেছি। আপনি যদি ছবিটি দিকে একটু লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতে পারবেন একটি সুন্দরী নারীর ঠিক নিচে আছে একটি ভয়ানক নেকড়ের প্রতিচ্ছবি। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই এই হিংস্রতা আছে। আবার আছে তার সুন্দর কমনীয় রুপও। তাকে বুঝিয়ে চললে যেমন তার সৌন্দর্য থেকে আমরা সমৃদ্ধ হব। আবার উল্টো ক্ষেত্রে পরিনাম হবে ভয়ানক। সাধারণত আপনি ছবি নিয়েও মন্তব্য করেন।কিন্তু আজ ব্যতিক্রমী হিসাবে ছবিটি আপনার দৃষ্টির বাইরে থেকে গেছে। পাশাপাশি আপনি যাদের নামোল্লেখ করলেন সহমত আপনার সঙ্গে যে ওনাদের মন্তব্যও অত্যন্ত সুন্দর হয়েছে। আর ওমেরাপুর জন্য স্পেশাল ধন্যবাদ আপনাকে।

পোস্টটি চমৎকার লাগাতে, ডাবল প্লাসে ও লাইক করাতে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।


বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.