নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাঁচার পাখি

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৫



দুই পুত্রের পর যখন জয়িতাদেবী কন্যা সন্তান প্রসব করলেন,তখন ধীরাজবাবুর আনন্দ যেন আর থামতেই চায় না । নিজেকে তখন পৃথিবীর অন্যতম একজন সুখি মানুষ হিসাবে ভাবতে শুরু করেন । বিকাশ ও প্রকাশ এই দম্পতীর পুত্র সন্তান । নবজাতক পুত্র বা কন্যার নাম কি হবে তা আর পাঁচটি সাধারন মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের মত কিছুটা ঠিক করে রেখেছিলেন । সেই মত কন্যার নামকরণ করা হল সুলক্ষণা।ডাকনাম ঠিক হল মেঘা । ক্রমে মেঘা বড় হতে লাগলো বাপ সোহাগি মেয়ে ছিল যেন ধীরজবাবুর নয়নেরমণি । বড় দুই দাদাও ছোট্ট মেঘাকে খুব ভালোবাসতো । তবে বোনের প্রতি বাবার অসম্ভব স্নেহ দেখে দুইভাই প্রায়ই দুঃখ প্রকাশ করে মাকে বলতো যে বাবা বোনকে বেশি ভালবাসে । জয়িতাদেবী অবশ্য পিঠেপিঠি দুই ভায়ের মাথায় হাত রেখে বোঝাতেন, না বাবা অমন ভাবতে নেই, বাবামায়ের কাছে সন্তান কখনও আপন পর হয় না,সবাই সমান ।

তবে খাওয়ার সময়ের চিত্রটি একটু অন্যরকম ছিল । মেঘা ছোট মানুষ বেশি খেতে পারে না । তবে ভাগ নেবে দাদাদের মত ষোলোআনা ।কাজেই প্রায়ই সময় সে খাওয়া শেষ করতে পারতো না । মাছও খেত একটুখানি । তার এই অবশিষ্ট মাছটি পাওয়ার আশায় দুই দাদা বেড়ালের মত যেন বসে থাকে । ইচ্ছে করেই খাওয়া শেষ না করে,মেঘার সঙ্গে আস্তে আস্তে খেতে থাকে । তবে আগে থেকে ওকে ম্যানেজ না করলে অবশ্য ওর ভাগের মাছ পাওয়া কঠিন ছিল । যাইহোক মূলত এই কারনে দুই ভাই তার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করত না । বরং তাকে হাতে রাখার একটা প্রতিযোগিতা দুই ভায়ের মধ্যে লেগে থাকতো । জয়িতাদেবী ছেলেমেয়েদের এই খুনসুটি দেখে তৃপ্তবোধ করেন আর যে বেলায় যে দাদা মেঘার টুকরো মাছ থেকে বঞ্চিত হয়,তাকে আর একটি গাদা দিয়ে সমতা রাখার চেষ্টা করেন ।

ধীরাজবাবু পোষ্ট অফিসে চাকুরী করেন । বহুদিন পরে এবার প্রমোশন পেয়েছেন । কলকাতার GPO(জেনারেল পোষ্ট অফিস)তে পোস্টিং। তবে প্রমোশন নেবেন কিনা সে বিষয়ে তিনি দোদুল্যমান । গ্রামের পোষ্টঅফিসে সামান্য বেতেনের চাকুরী হলেও দিনের বেশিরভাগ সময় পরিবারকে দিতে পারেনন। কিন্তু GPO তে জয়েন করলে বেতন অনেকটা বেশি হলেও সেই সকালে CTC(কলকাতা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি) র বাস ধরে ধর্মতলায় যাওয়া,আর বাড়ি ফিরতে ফিরতে অন্তত রাত আটটা/নটাতো হওয়া । এহেন প্রমোশনের খবরে বাড়িতে কারো মনে শান্তি নেয় । কিন্তু একা রোজগারে পাঁচজনের ভরন পোষনের কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত ধীরাজবাবু কলকাতার GPOতে জয়েন করতে বাধ্য হলেন ।

ধীরাজবাবুর পৈতৃক ভিটে দক্ষিন ২৪পরগানার বারুইপুরে হলেও মায়ের দিক থেকে প্রাপ্য সম্পত্তি দেখাশোনার সুবাদে বর্তমানে মিনাখাঁয় বসবাস । এখানে যখন আসেন তখন অবশ্য তিনি বিয়েথা করেননি । এখন বাবামা দু জনেই গত হয়েছেন । বারুইপুরের সামান্য জমিটুকু বিক্রি করে দিয়েছেন । যেখান থেকে কলকাতা বেশ কাছেই ছিল । সেদিক থেকে এখনকার বাড়ি থেকে কলকাতা বেশ দূরে । প্রত্যেক দিন চার-পাঁচ ঘন্টা সময় যাতায়াতেই লেগে যায় । প্রায়ই দিন ধীরাজবাবু বাড়ি এসে দেখেন,ছেলেরা পড়াশোনায় ব্যস্ত তবে মেঘা ঘুমিয়ে কাদা । রাতে হাত মুখ ধুয়ে ঘুমন্ত মেয়েকে একটু আদর করে দেওয়া ছিল তার নিত্যকার ঘটনা । কোনও কোনও দিন ফেরার পথে কেনা খাবার মেয়েকে জোর করে ঘুম থেকে তুলে খাওয়ানোর চেষ্টা অবশ্য করতেন । এভাবেই ধীরাজবাবুর দিন কাটছিল ।

দেখতে দেখতে অনেকগুলি বছর ধীরাজবাবু জি পি ও তে কাটিয়ে ফেললেন । এখন তার বয়স অনেকটা বেড়ে গেছে । শরীরের সামর্থ্যও কমছে । অথচ বাসের ভীড় দিনকে দিন ক্রমাগত বাড়ছে । এই জার্নিটা যেন ধীরাজবাবু আর সইতে পারছেননা । বড় ছেলে বিকাশ ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামুলক সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করে বর্তমানে P.hd করছে । ছোটো ছেলে প্রকাশ শিবপুর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে । ফাইনাল সেমিস্টারে প্লেসমেন্ট পেয়েছে TCS(টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস)এ । বর্তমানে হায়দ্রাবাদে পোস্টিং । আর মেঘা এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে । ধীরাজবাবুর শরীরও খুব একটা ভাল নেই। বিশেষ করে সুগার ধরা পড়া ও প্রেসার বৃদ্ধির পর কলকাতায় চাকুরী করতে যাওয়া নিয়ে স্বামী- স্ত্রী খুব চিন্তায় থাকেন । কাজেই ধীরাজবাবু উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের পর মেয়েকে বিয়ে দিয়ে কন্যাদায় থেকে মুক্ত হবেন বলে মোটামুটিভাবে ঠিক করে রেখেছেন।জয়িতাদেবী অবশ্য কোন দিন স্বামীর কোন কথায় আপত্তি করেননি।তাই এক্ষেত্রে স্বামীর মতই তার মত।এমতাবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টের পরে সুলক্ষণাকে পাত্রস্থ করবেন বলে দুজনেই মোটামুটি ঠিক করে রেখেছেন।

মেঘা পড়াশোনায় ভীষণই ভাল,রুপেও যথেষ্ট । ক্লাসের ফাস্ট গার্ল । কো-এড স্কুলে পড়ে । ক্লাস নাইন/টেনে পড়ার সময় উচু ক্লাস তো বটেই নিজের ক্লাসেরও কয়েক জন তার বান্ধবীদের মাধ্যমে তাকে প্রপোজ করেছিল । সে অবশ্য এসব বিষয়কে কোন দিন পাত্তা দেয়নি ।তবে একাদশ শ্রেণিতে ওঠার পর এই বিষয়টি তার নেহাত মন্দ লাগতো না । ক্লাসের অন্য বন্ধুদের প্রপোজের খোঁজ খবর নিত । তার এই আগ্রহ দেখে ক্লাসেরই এক বান্ধবী তাকে সহপাঠী একজনের ভাল লাগার কথা বলায়,সে ছেলেটিকে সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলতে বলে ।সেইমত একদিন ছেলেটি ক্লাসরুমের মধ্যে তাকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে পাল্টা মেঘার যুক্তি ছিল,আমাকে ভালো লাগা যেমন তোমার কোন অপরাধ নয়,তেমনি আমারও কিছু ভালো লাগা থাকতে পারে । মেঘার মতে,আমি তাকেই বয়ফ্রেন্ড করবো,যে অন্তত পড়াশোনায় আমাকে হার মানাবে । বলেই সে উচ্চ মাধ্যমিকের সমাকলন বিদ্যা থেকে দুটি অঙ্ক ছেলেটিকে কষতে দেয় । উল্লেখ্য অঙ্ক ছিল মেঘার প্রিয় সাবজেক্ট । যাইহোক ছেলেটি,মেঘা আমি আসছি বলে ; দ্রুত বার হয়ে যায় । তার পর থেকে আর কেউ মেঘাকে প্রপোজ করার সাহস পেত না।স্কুলে ওর পরিচয় ছিল, প্রেমের কথা বললে অঙ্ক কষতে দেবে । মেঘা অবশ্য তার এই নুতন পরিচয় পেয়ে বেশ উপভোগ করতো । তবে স্কুলে নবাগত শিক্ষক নবীন স্যারকে মেঘা বেশ পছন্দ করে । বারাকপুরের কলাবাগানে স্যারের বাড়ি । স্কুলের হোস্টেলে থাকেন । বাংলা পড়ান । স্যারের পুরো নাম নবীন কুমার সরকার । ক্লাসে স্যারের কথা মেঘা মন দিয়ে শোনে । পড়ানোর সময় স্যারের মুখের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকে । একদিন তো স্যার ওকে একটি প্রশ্ন করতে, তখনও অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকায়,স্যার একটি ধমক দিয়ে ওঠেন,কি সুলক্ষণা ! কি ভাবছো? ক্ষনিকের লজ্জা পেয়ে,না স্যার বলে উত্তরটি দিয়ে দেয় । সাধারনত স্কুলের out going ছাত্রদের মধ্যথেকে একজন সেবছর সরস্বতীপূজার কনভেনর নিযুক্ত হয় । এবার সরস্বতীপূজার কনভেনর নির্বাচিত হয়েছে সুলক্ষণা । অন্যদিকে শিক্ষকদের মধ্যথেকে নুতন হওয়াই নবীন স্যার পূজা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন । নবীন স্যারের পরামর্শ মত অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক পূজা সম্পন্ন করায় সুলক্ষণার নাম বিদ্যালয়ে সবার মুখে মুখে । নবীনস্যারও মেধাবী সুলক্ষণাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন । সময় পেলেই বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ খবর নেন । নবীন স্যারের সঙ্গে কথা বলে মেঘা আলাদা রোমাঞ্চ অনুভব করে ।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় তিনমাস পরে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে । সুলক্ষণা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে । পরীক্ষায় সে ৮৯শতাংশ নম্বর পেয়েছে । মার্কশীট নিয়ে খুব আনন্দের সঙ্গে বাড়ি এসে মাকে প্রণাম করলো । কিন্তু মায়ের মুখে হাসি নেয় । সে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করলো আরও ভাল রেজাল্ট না হওয়ায় মা অখুশি কিনা । এবারও মায়ের মুখে কোন উত্তর নেয় । সে মায়ের ব্যাবহারে অবাক হয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলো,তার অপরাধ কি ? বা মায়ের এহেন আচরণের কারন কি?কেন মা তার প্রতি মুখ গোমড়া করে আছে?মেঘার দাদারা অবশ্য বোনের রেজাল্ট নিয়ে ভীষন খুশি । সে দাদাদের কাছ থেকে শুনেছে কলকাতায় কীভাবে মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে সমানে দাপিয়ে পড়াশোনা করে । মেঘাও বড়দার মত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখে । ওখানে যদি চান্স না পায়,তাহলে আশুতোষ কলেজ কিমবা মৌলানা আজাদ কলেজ হলেও চলবে । প্রথম পছন্দ অঙ্ক তা না হলে ফিজিক্স নিয়ে পড়তে চায় । এমতাবস্থায় ফল প্রকাশের পর প্রথম দুদিন বাড়িতে দমবন্ধ অবস্থায় থাকার পর সেদিন রাতে বাবা অফিস থেকে ফিরে মেয়েকে তাদের মনের কথা জানিয়ে দিলেন । কলকাতা নয়,বাড়ির পাশে বামুনপুকুর কলেজ থেকে ফর্ম তুলতে বললেন । তাও আবার অনার্স নয় । জেনারেল শাখাতেই ভর্তি হওয়ার কথা বললেন । বাবার মুখে একথায় মেঘার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো ।সেদিন বাবামা যে যার ঘরে যাওয়ার পর,নানারকম ভাবতে লাগলো । চোখের জলে ক্রমাগত বালিশ ভিজতে লাগলো । সারাজীবন যে বাবা কখনও মেয়ের কোন কাজে বাঁধা দেয়নি,কোনওদিন পড়ার কথা তাকে বলতে হয়নি,সেই বাবাই আজ তাকে নিরুৎসাহিত করছে । সমস্ত যোগ্যতা থাকার সত্ত্বেও তার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে?নানান প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো ।

সেদিন রাতে বাবামা মেয়েকে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাদেরও মন তোলপার হতে লাগলো ।এমন একজন কৃতি সন্তানকে মাঝপথে পড়া বন্ধ করে পাত্রস্থ করার সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা -এনিয়ে স্বামী- স্ত্রী সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি । জয়িতাদেবী তো মাঝরাতে একবার উঠে দেখেই এলেন,মেয়ে ঠিকঠাক ঘুমাচ্ছে কিনা । দরজায় কান পেতে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে কিছুটা নিশ্চিত হয়ে পা টিপে টিপে নিজের ঘরে এসে শুয়ে পড়লেন।ধীরাজবাবুর অত্যাধিক উত্তেজনায় শ্বাস কষ্ট শুরু হল । পরের দিন তিনি আর অফিসে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ।

সকালে উঠে জয়িতাদেবী প্রত্যেকদিনের মত কাজ শুরু করলেন । ধীরাজবাবু বারান্দায় ফেলা আনন্দবাজার পত্রিকায় একবার চোখ বোলালেন ঠিকই, কিন্তু মনের মধ্যে একটা আশঙ্কা ক্রমাগত খচখচ করতে লাগলো । আর না থাকতে পেরে স্ত্রীকে মেঘাকে ডাকতে বললেন । এই যাই সেই যায় করে সকালের কাজ কিছুটা সামলিয়ে জয়িতাদেবী মেয়েকে ডাকতে গেলেন । বেশ কয়েকবার ডাকার পরও মেঘার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে এবার বাবামা সজোরে দরজায় ধাক্কা দিতে লাগলেন । তাতেও কোন কাজ হল না । ইতিমধ্যে বাইরে অনেক লোক জমে গেছে । আর ধৈর্য ধরতে পারলেন না । এবার কয়েকজন মিলে দরজায় সজোরে ধাক্কা দিতেই দরজা ভেঙে গেল । সিলিংএ ঝুলন্ত মেঘাকে দেখে ধীরাজবাবু সংগা হারালেন আর জয়িতাদেবীও মুর্ছা গেলেন।

মেঘা চলে গেল । আস্তে আস্তে জয়িতাদেবী সুস্থ হলেন । কিন্তু ধীরাজবাবু আর সুস্থ হলেন না । একে তো সুগার প্রেসার ছিল । এখন আবার নুতন করে যোগ হল, উনি সারাদিন মেঘার সঙ্গে কথা বলেন । মেঘা নাকি প্রত্যেকদিন কলেজে যায় । যাওয়ার আগে বাবাকে বলে,আসছি ।মেয়ে কলেজ থেকে কখন ফিরবে কিমবা রাস্তায় কোন বিপদ হয় কিনা সেই আশঙ্কায় ধীরাজবাবু আর অফিসে যাননা । কেউ বোঝাতে এলে ধমক দেন, আমার মেঘাকে তোমরা কেউ আমার থেকে আলাদা করতে পারবে না । ও কলেজে গেছে পাশ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে ।প্রত্যেকদিন রাতে বিছানায় শুয়ে উনি মেঘার সঙ্গে এভাবে কথা বলেন আর খিল খিল করে হাসেন । জয়িতাদেবী পাশে থেকে কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আর স্বামীর মাথায় হাত বুলাতে থাকেন,যাতে একটু ঘুম আসে । বাবা মেয়ের কথোপকথোন প্রত্যক্ষ করতে করতে যখন একটু তন্দ্রা ভাব আসে ততক্ষনে পূর্বাকাশে লাল আভার উদয় হয় ।

বিঃদ্র -পোষ্টটি রিপোস্ট । তখন আমি সেফ হইনি । সেদিন যারা পোষ্টটিতে মূল্যবান মন্তব্য দিয়েছিলেন , তাঁরা হলেন প্রিয় মাইদুলভাই, আখেনাটেনভাই, ওমেরাপু, তারেক মাহমুদভাই, সৈয়দ ইসলামভাই ও শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসানস্যার।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৮

রাকু হাসান বলেছেন: রি-পোস্ট দেওয়াতে আমি সহজে পড়ার সুযোগ পেলাম ভাইয়া । তো মেঘা টা কি করলো! :|| ,একটু এত আবেগী হলে চলে ! পছন্দের জায়গাতে পড়তে পারবে না বলে ,নিজেকেই শেষ করে দিবে ! মেঘা ভাল থেকো ।

মেঘার মত মেয়ের কাছ থেকে এটা আশা করিনি , ধাক্কা খেলাম ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয়ছোটোভাই,

আসলে তখন সেফ না হওয়াই বেশিজন দেখার সুযোগ পায়নি। যেকারনে আবার দেওয়া। অপরিনত বয়সে ছেলেমেয়েরা আবেগজনিত কারনে এসব কান্ড করে ফেলে। মেঘা একটি প্রতীকী নাম। এরকম কত মেঘা আমাদের থেকে স্রেফ সাময়িক আবেগ বশত হারিয়ে যাচ্ছে। যেখানে বাড়ির বড়দের দরকার একটু সাহচর্য। তাদেরকে বোঝার মানসিকতা। গল্পে যে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনেক ভালোলাগা আমার স্নেহের ছোটোভাইকে।

লাইক দেওয়াই জানাই কৃতজ্ঞতা।


অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়রাকুভাইকে।


২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১২

রঞ্জন রয় বলেছেন:

পৃথিবী টা এমন কেন। :||
এত নিষ্ঠুর।

গল্পে ভাল লাগা জানাতে পারছিনা। কেমন জানি ডুকরে কান্না করতে ইচ্ছা করতেছে ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় রঞ্জনদা,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। গল্পে ভাল লাগা না জানাতে পারলেও যে ডুকরে ডুকরে কান্না করতে ইচ্ছা হচ্ছে এটাই আমার পুরষ্কার। স্বতঃস্ফূর্ত আবেগই একজন গল্পকারের শ্রেষ্ঠ পাওনা, যেটি আপনি দিয়েছেন।

অনেক শুভকামনা আপনাকে।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় ভাইয়ের লেখা যতই ব্যস্ততা থাক না কেন পড়তে হয়। লেখাটি সেফ হওয়ার আগের হলেও আমি এই প্রথমবার পড়লাম; করুণ একটি কাহিনী নিয়ে লেখলেও গল্পটা আমাদের অপরিপক্ক/অবিবেচক পুরুষতান্ত্রিক সমাজের একটি অন্ধকার দিক নিয়ে লেখা। মেঘার জন্য খারাপ লাগলো; মেয়েটি অভিমানে আত্মঘাতি না হয়ে প্রয়োজনে বাবা-মায়ের সাথে ফাইট করতে পারতো। হয়তো ভাইদেরকেও সাথে পাইতো :(

গল্পে ভাল লাগা B-) +++ B-); শুভ রাত্রি, গুরু পদাতিক চৌধুরী ভাই।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল গুরুদেব,

ঝড়োখাদর্শনে রাজদর্শন নিয়ে প্রজারা দিনের কাজ শুরু করতেন। কিন্তু রাজা মশায় যদি নিজেই সকালে প্রজাদের মধ্যে গিয়ে দেখা দেন তাহলে তখন সেটি অন্য মাত্রা পায়। আজ আমি নিজের জায়গায় বসে গুরুদেবের দর্শন পেলাম। পেলাম ওনার আশিস, অনুপ্রেরণার মন্ত্র। সঙ্গে লাইক, ইমো, প্লাস কী নেই। গুরুদেব আজ আমাকে প্রাণ ভরে মন্ত্রণাশক্তি দিয়ে গেলেন। আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । গল্পে আপনার তুলে ধরা বিষয়টি নিয়ে ভবিষৎ এ অন্যভাবে তুলে ধরার ইচ্ছা আছে।

অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা প্রিয়গুরুদেব কাওসারভাইকে।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি এই লেখাটি আগে পড়িনি।
রি-পোষ্ট দিয়ে ভালো করেছেন।
সুন্দর গল্প।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ছোটোভাই,

প্রথম যখন গল্পটিকে পোষ্ট করি তখন সেফ না হওয়াই আবার দেওয়া। গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

অনেক শুভকামনা প্রিয়ছোটোভাইকে।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

নীলপরি বলেছেন: রি-পোস্ট দেওয়াতে আমিও পড়তে পারলাম । ভালো লিখেছেন ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি আপু ভালো আছেন। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই ।


শুভকামনা জানবেন ।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

ভাইয়ু বলেছেন: আমাদের বাবা মায়েদের উচিত কোন সিদ্ধান্ত সন্তানের উপর চাপিয়ে না দেওয়া৷ খুব সুন্দর লিখনী হলেও মনটা বিস্বাদে ভরে গেলো৷

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটোভাই,
একেবারে ঠিক কথা বলেছেন । একটা বিশেষ বয়সের পরে বাবামায়েদের সন্তানের সঙ্গে বন্ধুরমত আচরণ করা দরকার। না হলে সম্পর্কে ভুলবোঝাবুঝি আসতে বাধ্য, যা চূড়ান্ত বিপদ ডেকে আনতে পারে ।

অনেক শুভকামনা প্রিয়ভাইয়ুকে ।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন খারাপ করা লিখা তবে ভাল লেগেছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিশ লিটনভাই,

আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপনার রম্যক পোষ্টের ভক্ত । আমরা যে ওরকম রসবোধযুক্ত লেখা লিখতে পারিনা । কিন্তু যা লিখেছি তাতে মন খারাপ হয়েছে জেনে দুঃখ পেলাম । তবে শেষে ভালো লাগায় একটু আশায় আছি, আগামীতেও আপনার সান্নিধ্য পাবো ।


অনেক শুভকামনা প্রিয়লিটনভাইকে ।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১০

বিজন রয় বলেছেন: আপনার উপর ৩০/৪০ দশকের প্রভাব আছে।

পছন্দ করি।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়দাদা,

ভীষণ মুগ্ধ হলাম আপনার এহেন মন্তব্যে। আপনি আমার শিকড় নিয়ে টান দেওয়ায় পুলকিত হলাম। আপনার যোগ্য সান্নিধ্য পাবো আশাকরি । ঐ সময়কার লেখাগুলি আরও একটু পরে পোষ্ট করবো ।

লাইক দেওয়ায় অনুপ্রেরণা পেলাম ।

অন্তরের শুভেচ্ছা দাদা আপনাকে ।

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: আমি অাজকের আগে আপনার কোন লেখা পড়িনি। বা মনে পড়ছে না।

আজকে এটি পড়ে আমার প্রথমেই আমার আগের মন্তেব্যে করা কথাটি মনে এলো।

আপনি আমার একটি লেখায় মন্তব্য করেছিলেন, সেটি পড়ে মনে হয়েছিল আপনি বুঝদার এবং ভাল কেউ হবেন।
পরে তার প্রমাণও পেয়েছি।

অবশ্যই আপনার সাথে আমার অনেক কথা হবে।

শুভকামনা রইল।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ দাদা ব্যস্ততার জন্য হয়তো মনে পড়ছে না , তবে আগেও আপনি আমার পোষ্ট পড়েছেন । আর বুঝদার বলাতে লজ্জা পেলাম । ব্লগ চাঁদের হাট । আমি মাত্র কয়েকমাস হল এসেছি । আমি বরং আপনার মন্তব্যটি মন্ত্রণাশক্তি হিসাবে নেবো আর আগামীর অপেক্ষায় থাকবো ।

নিশ্চয় দাদা, পরে সময় মত আপনার সঙ্গে অনেক কথা হবে।

অফুরান শুভেচ্ছা আপনাকে ।

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

অচেনা হৃদি বলেছেন: এমন গল্প পড়লে মন খারাপ হয়ে যায় ভাইয়া।
আপনার গল্প পড়ে খুব ভালো লাগে, কলকাতার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামগুলো জানতে পেরে ভালো লাগছে। বিশেষ করে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির নাম আজ প্রথম জানলাম। ইনশাল্লাহ কোন এক সময় এই ক্যাম্পাস দেখে আসার চেষ্টা করব।

আরেকটা জিনিস খুব অবাক লাগলো, আচ্ছা সব পরিবারেই দেখি বাবারা ছেলের তুলনায় মেয়েকে একটু অগ্রাধিকার দেন। এর কি কারণ বুঝলাম না।

এনিওয়ে, মন খারাপের বিষয় সত্ত্বেও গল্প ভালো লেগেছে। +++

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ আমার বোনের জন্য একটি গল্প বলবো।

কলকাতার স্টার থিয়েটারে মঞ্চস্থ হচ্ছে নীলদর্পণ নাটক। নীলকরের ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফি । মঞ্চের একেবারে সামনে দর্শকাশনে বসে নাটক দেখছিলেন বিদ্যাসাগর মহাশয় । হঠাৎ বিদ্যাসাগর মহাশয় পায়ের চটি খুলে সজোরে মারলেন মুস্তাফি মহাশয়কে । আর মুস্তাফিসাহেবও যেন অপেক্ষা করছিলেন এমন একটি ক্যাচের। উনি উইকেট কিপার ডুজোর মত লুফে নিলেন জুতোটি । সময়িক নাটক বন্ধ হয়ে গেল। বিদ্যাসাগর মহাশয় খুব লজ্জিত হলেন। মুস্তাফি সাহেব ছোটো একটি ভাষণ দিলেন,
জীবনে অভিনয়ের জন্য অনেক পুরষ্কার পেয়েছি। কিন্তু আজ যে পুরষ্কার পেলাম সেটি আমার জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট পুরষ্কার । আমায় নিজেকে একজন অভিনেতা হিসাবে ভাবতে ভালো লাগছে । যথারীতি বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজের জুতোটি ফিরে পেলেন। নাটক আবার শুরু হল।
সুতরাং গল্প, নাটক, সিনেমা দেখে আমরা যখন নিজেদের একাত্মবোধ করি। বার করি নিজেদের আবেগ বা হাসি কান্না। তখন সেটি আর শুধু নাটকের আকারে থাকেনা। ঢুকে পড়ে আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে । এখানেই লেখক বা পরিচালকের স্বার্থকতা ।

আমি যাদবপুরের প্রাক্তনী। আপনি মানবেন কিনা জানিনা, তবে পূর্বভারতে ফ্যাসানের প্যারিস বলে যাদবপুরিয়ানদের একটি গর্ব আছে। আমার সময়ই দেখেছি , কলকাতার ছেলেমেয়েরা প্রেসিডেন্সি ফেলে যাদবপুরে পড়তে আসতো । যে ট্রেন্ডটা আজও আছে ।

পারিবারিক কালচারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের প্রতি বহু পরিবারে বাবামায়ের একটু টান থাকে । আমার মতে মেয়েদের অসহায়তা পুরুষ নারীর বিভাজন এক্ষেত্রে দায়ী। ছোটোথেকে তাদেরকে ভালোবাসার একটি বলয়ে বড় করা হয়। যে মেয়ে চিরদীন এই বলয় মেনে নেয় ততদিন কোনও সমস্যা হয়না। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে কোনও কন্যা সন্তান এই বলয়ের বাইরে গেলেই রে রে রব ওঠে। পুত্রদের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই বাবামা ছেড়ে রাখায় এরকম অবাধ্যতার জন্য কোনও সমস্যা হয়না। গল্পে একারনেই নামকরণটি ' খাঁচার পাখি ' করেছি। খাঁচা ছেড়ে বার হওয়াটা যে আমরা মানতে পারিনা।

সবশেষে আমার বোনের এতগুলি প্লাস ও লাইক পেয়ে আমি অভিভূত ।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় বোনকে।

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২০

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: লাইক দিলাম ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পবিত্রভাই, লাইক দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে মনে প্রশ্ন থেকে গেলো পাঠ করে লাইক না কেবলই লাইক। যাইহোক পরেরবার আরও সময় নিয়ে আসবেন আশাকরি ।

শুভকামনা জানবেন ।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: চৌধুরি সাহেব?X(
আপনার খবর আছে, X(
আপনি আমার মেঘাকে মেরে ফেললেন?:(

পড়তে পড়তে ভাবলাম আপনাকে এভাবে কমেন্ট করবোঃ
১. মেঘার কি বিয়ে হয়ে গিয়েছে?
২. আমি মেঘাকে বিয়ে করবো:P
শেষে কি না????:(
যাই হোক শেষ প্যারাটা এখনো পড়ি নি। এখন পড়বো।

পুনশ্চঃ
পাঠককে ধাক্কা দেবার মত লেখা।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মন্ডলভাই,

আপনার আসা মানে আমার কাছে বাড়তি আনন্দ । দেরিতে এলেও খুশি। গল্পে অনেকগুলি বিষয় তুলে ধরেছেন।
১- মেঘাকে মেরে দিয়েছে, ওর বাবামাই। বাল্যে ও কৈশরে যে বাবামা মূলত কন্যা সন্তানকে কেন্দ্র করে যে ভালোবাসার বলয় তৈরী করে পরে সেটিই সবার পক্ষে অমঙ্গলের হয়ে দাঁড়ায়, গল্পে এই বিসয়টাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি ।

২- গল্পে মেঘা যদিও মৃত। তবে বাস্তবে মেঘা সরস্বতী ও লক্ষ্মীর মিশেল । আমার প্রিয়বন্ধু মন্ডলভাইকে এমন একটি যোগ্য পাত্রীর ব্যবস্থা করে দিতে পারলে আমিও শ্লাঘা বোধ করবো । তবে ডেটিংএ গিয়ে যদি সমাকলন বা অন্তকলন বিদ্যার মত কোনও প্রসঙ্গ ওঠে তাহলে আমি কিন্তু ভারত মহাসগরে ডুব দেবো। হা হা হা।
আপনার শেষ প্যারা পড়া অপেক্ষায় থাকলাম। পাশাপাশি পাঠককে আনন্দ না দিতে পেরে অনিচ্ছাকৃত ধাক্কা দেওয়ার কারনে ক্ষমাপ্রার্থী।

অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয় মন্ডলভাইকে ।

১৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৬

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সবাই মন খারাপের কথা বলে গেছে। একদম মন খারাপ হওয়ার মতই শেষটা। শুরু থেকেই মেঘার প্রতি আদর যত্ন ও ভালোবাসার বর্ণনায় এবং পরবর্তীকালে মেঘার রূপ ও গুণের বর্ণনায় পাঠকের আবেগসিক্ত মন ওর প্রতি উষ্ণ হয়ে উঠেছিলো। তাই শেষটায় এমন ধাক্কা লেগেছে। যখন পড়লাম, জয়িতাদেবী চুপিচুপি মেঘার দরোজায় কান পেতে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে নিশ্চিন্তমনে চলে এসেছে, তখনই আমার দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছিলো। আশঙ্কা হচ্ছিলো এমন ঘটনার কিন্তু মনে মনে চাচ্ছিলাম এমন না হোক। শেষটা তাই হল এবং মন খারাপ করেই কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। মন খারাপটা আরও বেশী হয় এতই কারণে যে, আপনার লেখায় চরিত্রগুলো এবং স্থানের বর্ণনায় এটাকে কোন গল্প মনে হয় না বরং সত্য ঘটনা মনে হয়। তবে ফিনিশিংটাতে বোঝা গেছে আপনি বাস্তবের সাথেই কিছু কল্পনা বুনে দিয়ে গল্পটি লিখেছেন। মেঘা অংক খুব ভালোবাসতো। সে অংক না হয় ফিজিক্স নিয়ে পড়তে চেয়েছিলো। তার মানে সে অত্যন্ত বুদ্ধিমতী এবং লজিক্যাল মেয়ে ছিল। বিজ্ঞান পছন্দ করা মানুষ অবশ্যই লজিক্যাল হয়। সে অতি আবেগীও নয়, কারণ ক্লাসের প্রপোজ করা ছেলেদের সে বুদ্ধিমত্তার সাথে হারিয়ে দিতো। এমন চারিত্রিক বুননের একটি মেয়েকে আসলে এত সামান্যতেই আত্মহত্যা করা মানায় না। এত সাধারণ একটি ঘটনাতেই হুট করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় আসলে খুব আবেগী মেয়েরা। অথচ মেঘার চরিত্র ফাইটিং, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার। আরেকটু কঠিন ক্রাইসিস যোগ করলে বোধহয় মেঘাকে নিয়ে এই কনফ্লিক্টটা হতো না। যাইহোক, এমন ধরণের জীবন থেকে নেয়া কাহিনী পড়তেই ভালো লাগে বেশী। পছন্দ করি বেশী মানুষের টানাপড়েনের গল্পগুলো। আর আপনি লেখেনও এমন ধরণের গল্প। সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, পদাতিক ভাই। আর সত্যি কিছু টাইপো থেকে যায় লেখায়, বোধহয় আপনি সময় পান না, বুঝতে পারি। তবে চলুক এভাবেই। শুভকামনা।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হরিণীআপু,

দেরীতে উত্তর দেওয়াই দুঃখিত । তবে এই দেরীটা অনেকটা ইচ্ছাকৃত। আসলে আপনার অসম্ভব সুন্দর কমেন্টের একটি জুতসই প্রতিমন্তব্য দিতেই সময়টা নেওয়া আরকি । একদম মন খারাপ হওয়ার মতই শেষটা, শুনে আমার কিন্তু মনটি বেশ আনন্দে ভরে উঠলো। হাতুরে গল্পকার, কিন্তু পাঠক দুঃখ পেয়েছে জেনে প্রেরণা পেলাম।অবশ্য শুরু থেকে আদরযত্নে বড় হওয়া মেয়েটার এমন করুণ পরিনতীই গল্পে একটা উষ্ঞ আবেগ তৈরী হওয়ায় এমন কষ্ট হওয়াটা বোধহয় কাম্য।

রেজাল্ট বার হওয়ার পর পছন্দমত বিষয় ও কলেজে ভর্তি হতে না পারাট, এই বয়সের ছেলেমেয়ের কাছে প্রচন্ড হতাশার বলে । যৌবনের পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে সন্তানদের ভালো লাগার প্রতি একটি অন্ধ আকর্ষণ তৈরী হয়। সেই ভালো লাগাটা সব সময় যেমন যুক্তি দিয়ে হয়না , তেমনি হয়না একমুখীও। গল্পে তুলে ধরার উদ্দেশ্য ছিল, মেঘার প্রিয় বিষয় ( অঙ্ক / ফিজিক্স) ও স্বপ্নের শহর কলকতায় পড়ার। নিজেকে সে সেই যোগ্যতায় তৈরী করেছিল । কিন্তু গ্রাম্য বাবামা যে তাদের নির্দিষ্ট গন্ডী থেকে বার হতে পারেননি । যে কারনে গ্রাম্য কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে মেয়েকে আর পাঁচটি সাধারন মেয়ের মত পাত্রস্থ করার প্লান নিলেন। স্বপ্নদ্রষ্টা মেয়ের স্বপ্ন নষ্ট হতে চলেছে দেখে আর যে তার সামনে কোনও রাস্তা ছিলনা। যে কারনে শেষে এমন করুণ পরিনতীতে শেষ করলাম।

এমন গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। আগানীতেও আপনার এমন বিশ্লেষণ ধর্মী সুন্দর কমেন্টের অপেক্ষায় থাকবো। গল্পটি রিপোষ্ট হওয়াই আমি আর পড়িনি আপু, তবে আপনি বলাতে আবার পড়ে যেগুলি চোখে পড়লো ঠিক করেছি।

অনেক অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা প্রিয় হরিণীআপুকে।



১৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ব্লগে খুব কম লেখা আছে যা মন চোঁয়ে যায়, ভালোলাগা থাকে, আবেগ থাকে - আপনার লেখা পড়ে ভালো লেগেছে পদাতিক চৌধুরী ভাই।

জীবন থেমে থাকে থাকে না - জীবন চলতে থাকবে জীবনের মতো একসময় আমরাই থাকবো না, কিন্তু আমাদের কিছু স্মৃতী থেকে যাবে - ভালোবাসাময় স্মৃতী, আবেগ-দুঃখ ও সুখের স্মৃতী ।


০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মাহমুদভাই,

আপনার কমেন্ট মানে আলাদা ভালো লাগা ও আলাদা অনুপ্রেরণা।

অত্যন্ত সুন্দর কথা, জীবন থেমে থাকেনা, জীবন চলতে থাকবে, জীবনের মত, একসময় আমরাই থাকবো না, কিন্তু আমাদের কিছু স্মৃতি থেকে যাবে - ভালোবাসাময় স্মৃতি, আবেগ - দুঃখ ও সুখের স্মৃতি । সত্যি দারুণ কথা বললেন প্রিয় মাহমুদভাই, এমন মধুর স্মৃতিই হয়ে উঠুক আমাদের জীবনবেদ, আমাদের মন্ত্রণাশক্তি।


অনেক অনেক শুভকামনা প্রিয়মাহমুদভাইকে ।

১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

বলেছেন: বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের মতামতকে মূল্য দিতে হবে
এমন কিছু চাপিয়ে না দেয় যা শিশুদের জন্য কঠিন বিপদের কারণ হয়ে উঠে,

আপনি সমাজের বৈষম্যকে চিত্রিত করেছেন---ধন্যবাদ

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় লতিফভাই,

সহমত আপনার সঙ্গে যে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবামায়েদের সন্তানদের উপর নির্দেশদাতার পরিবর্তে আলোচনা বা পরামর্শদাতার ভূমিকা নিতে হবে। যে কারনে চাপিয়ে দেওয়ার বন্ধুসুলভ আলোচনাই হবে সমস্ত সমস্যা সমাধানের উপায়।

আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম।

শুভকামনা জানবেন ।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ১২এর প্রতিউত্তর প্রসঙ্গে,

সমাকলন, ব্যাকলন সব আমি পারি। না মানে অাগে তো ভালোই পারতাম। এখন যদি ভুলে যাই তো...

গল্পগুলো সত্যিই অদ্ভুত হয়, রবীন্দ্রনাথের ছুটি গল্পে ফটিক মায়ের থাকে দুরে থাকায় মারা গেল। আর এই গল্পে দুরে যেতে না দেয়ায় মারা গেল। :(



আজ বিকেলে ব্লগে থাকবো বলে ঘুরতে গেলাম না। এদিকে প্রথম পেজে প্রতিউত্তর করার মত কেউ নেই। মুডটাই মাটি...:(

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মন্ডলভাই,

আমি সেদিন থেকে অপেক্ষায় ছিলাম, আপনি এই আসবেন এই আসবেন বলে। এলেন যদিওবা তবে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। আমি মেঘাকে বলে রেখেছিলাম, তবে ও আর থাকতে না পেরে চলে গেছে। আমি আর কী করতে পারি । ছুটি গল্পে ফটিকের কথাটি মনে করে যেদিন প্রথম পড়েছিলাম মনে পড়লো, মনটাও খারাপ হয়ে গেল। তবে গল্পে সব সময়তো আর মধুর পরিসমাপ্তি হবেনা। কাজেই আমাদের সবই মেনে নিতে হবে।

বিকালে ব্লগে আড্ডা মারতে না পারায় আমারও বেশ খারাপ লাগছে। আমাদের যদিও শুক্রুবার ছুটি থাকেনা। তার উপর বাড়িতে ব্লগিং করলে ভয়ানক বিপদের আশঙ্কা আছে। তবু একটু চুপিচুপি দু চারটে কথা সেরে নিচ্ছি।
সময় পেলে আবার আসছি।

১৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

এ.এস বাশার বলেছেন: যথার্থ হয়েছে..... এমন পোষ্ট রি- পোষ্ট হওয়ায় কাম্য.....

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় বাশারভাই,

সহমত দেওয়াই ধন্যবাদ। তবে প্রথমবার যখন পোষ্ট করি তখন আমি সেফ ছিলামনা। যে কারনে পরে রিপোষ্ট করা । তবে রিপোষ্ট করাতে আপনার মত অনেকে পড়তে পেরেছে। আপনাকেও বলবো আপনার সুন্দর কবিতাগুলি সেফ হলে কিছু বাঁছাই করে আবার দেবেন। সঙ্গে লাইকে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম।। গত কয়েকদিনে আপনাকে ব্লগে একটু কম দেখছি। আশাকরি ব্যস্ততা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক হবেন।


অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন।

১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: লেখার স্টাইল এর সাথে আবেগের সংমিশ্রণ খুব ভালো লেগেছে।
গল্পের প্লট সাধারণ। কিন্তু আপনার লেখনীর গুনে অসাধারণ মাত্রা লাভ করেছে।
অনেক ধন্যবাদ, রিপোস্ট করার জন্যে।

তবে, আমি ভিন্ন কিছু আশা করেছিলাম। যেমন ধরেনঃ
নবীন স্যারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে এবং পরে স্বামীর সহায়তায় উচ্চশিক্ষা।
অথবা, আদরের মেয়ের রেজাল্ট আর আগ্রহের কারণে তাকে পছন্দের ভার্সিটিতে পড়তে দেয়া।

কিন্তু আপনি যে সমাপ্তি টানলেন - তা মোটেও পছন্দ হয়নি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মাহেরভাই,

আগে বলুন কেমন আছেন? সেই কত্তদিন পরে আমার বাড়িতে এলেন। সুস্বাগতম আপনাকে। আপনি একটি কমন বিষয়ে যেভাবে আলোকপাত করেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে। নবীনস্যারের চরিত্রটির আগমন ঘটিয়েছিলাম মূলত এই উদ্দেশ্যে। তবে মাস্টার মশাই ও ছাত্রীর প্রেম বড্ড ম্যাড়মেড়ে লাগায় সাহস না পেয়ে পিঁছিয়ে এলাম। গ্রামের স্কুল এমন সম্পর্ককে লোকেও ভালো চোখে নিত না। ওনার বরং এখানে শিক্ষকতা করাও সমস্যা হয়ে দাঁড়াত। পাশাপাশি গল্পটা অনেকটা বড়ও হয়ে যেত । দীর্ঘ গল্পে পাঠকদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটার আশংকায় এমন ছন্দপতন আরকি। তবে আপনি যেহেতু একটা পরামর্শ দিয়েছেন, ভবিষৎএ এটাকে বড় আকারে লিখলে শেষ অংশটি রদবদল করবো ঐ রকম ডেভেলপ করবো।

অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা প্রিয় মাহেরভাইকে।


১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে আছি, ধন্যবাদ।

টিচারের সাথে গ্রামে বাল্য বিয়ে - একেবারে অপরিচিত বিষয় নয়।
লজিং মাস্টারের সাথে বিয়ের ঘটনাও আছে।

আপনাকেও অনেক অনেক ভাললাগা ও শুভ কামনা জানাচ্ছি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সত্যিকথা বলতে কি মাহেরভাই, ছোটো বেলার জালালাবাদ পাহাড়ের গল্ল পড়ে, পরে আবার চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের সেই সব ইতিহাস পড়ে মনের মধ্যে অসম্ভব একটা টান তৈরী হয়ে আছে। যেটা আজও সমানে বহমান। ব্লগে যখন প্রথম সেই চট্টগ্রামের লেখালেখি দেখি আপনার পোষ্টে মনের মধ্যে একটি দোলা দিয়ে উঠেছিল, চট্টগ্রামের দুই যুগের মধ্যে একটি মেলবন্ধন সেদিন খুঁজে পেয়েছিলাম। সেই থেকে চেনাজানা হয়তো নেই, তবুও যেন কত আত্মজ মনে হয়েছিল। আর একারণে আপনার পোষ্টগুলিতে আমি নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলি।

এবার আমার পোষ্ট প্রসঙ্গে , আপনার আবার আসায় আরও আনন্দ পেলাম। পাশাপাশি শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর প্রেম বিবাহ আজও সমাজে চলছে। তা সে স্কুল শিক্ষক হোক অথবা গৃহশিক্ষক বা লজিংশিক্ষক হোক। তবে বিষয় উপস্থাপনটা আসল। চেনা প্লটও উপস্থাপনের গুনে অসাধারণ হয়ে ওঠে।


অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা আপনাকে।


২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

নজসু বলেছেন: বেশ কয়েকজনের পুরাতন লেখাগুলো ঘুরে ফিরে পড়ছি।
আপনিও একজন।
পাঠ করে গেলাম খাঁচার পাখি।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! মুগ্ধ হলাম আপনার এমন বিলম্বিত আগমনে। ব্লগে শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্যার একমাত্র এরকম সকলের পুরানো পোস্টে পড়েন। আপনি এবিষয়ে ওনার যোগ্য উত্তরসূরী হলেন। আমরা আপনার আগমনের অপেক্ষায় থাকবো ।

শুভকামনা জানবেন।

২১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

আরোগ্য বলেছেন: ব্লগ ঘুরে স্বস্তি পাচ্ছি না। তাই প্রিয় পদাতিক ভাইয়ের ব্লগে তৃষ্ণা মেটাতে আসলাম। আসলে মেয়েটার চেয়ে বেশি বাবার জন্য খারাপ লাগছে। গল্প পড়ে ভালো লাগলো। সময় করে অন্যান্য পোস্টেও ভ্রমণ করবো, ইনশাআল্লাহ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় আরোগ্যভাই,

পুরাতন পোস্টে আপনাকে পেয়ে শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্যারের কথা মনে পড়ছে। উনিও এমন সময় নিয়ে বিভিন্ন ব্লগে গিয়ে সুন্দর সুন্দর কমেন্ট দেন। যাক আপনি কতটা আনন্দ পেয়েছেন জানিনা, তবে আমি যে ভীষণ খুশি হয়েছি। আরও খুশি হব আপনার পরের পোস্টগুলিতে এমন কমেন্ট পেয়ে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনাকে ।


২২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

ইয়াসিনুর রহমান ফাহিম বলেছেন: কঠিন কিন্তু বাস্তবধর্মী একটা লেখা। উঠতি বয়সের আবেগ, স্বপ্ন বনাম সমাজ, পরিস্থিতি।
++

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ফাহিমভাই,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার সুন্দর বাস্তব ধর্মী কমেন্টে মুগ্ধ হলাম ।অল্প কথায় খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন ।
সঙ্গে ডাবল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম, কৃতজ্ঞতা আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আবার পড়লাম, আবার ভাল লাগলো, আবার ভাল লাগা + +।
আগের পোস্টটাতে যে মন্তব্য করেছিলাম, সেটাই আবারো এখানে তুলে দিচ্ছিঃ
"স্কুলে ওর পরিচয় ছিল, প্রেমের কথা বললে অঙ্ক কষতে দেবে" - দারুণ উপভোগ করলাম ব্যাপারটা! :D
গল্পের শেষে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেল, কিন্তু আপনি অসাধারণ একটা গল্প লিখেছেন। একটানে পড়ে ফেলার মত গল্প।
ছবিটার তাৎপর্য কি একটু ব্যাখ্যা করবেন?
গল্পে তৃ্তীয় ভাল লাগা + +

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

পড়া পোস্ট আবার পড়েও যে এমন সুন্দর মন্তব্য করলেন তাতে নত মস্তকে আপনাকে জানাই অভিবাদন। বরাবরই আপনার মন্তব্য মানে প্রেরণার। কিন্তু মাঝে মাঝে কয়েকটি মন্তব্য আমাদের প্রত্যাশার গগনচুম্বী স্পর্শ করে।
পুরানো মন্তব্যের একই জায়গা কোটেড করে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করাতে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। গল্পটি উপভোগ করলেন এবং গল্পের শেষে এসে বিষণ্ণ বোধ করাতে পেরে আবারো পেলাম প্রেরণা।
একই সঙ্গে গল্পের তৃতীয় ভালোলাগা ও ডাবল প্লাসে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

এবার আসি স্যার আপনার প্রশ্ন সম্পর্কে,
উপরের ছবিটি পুরুলিয়ার একটি পাহাড়ের। নাম পাখি পাহাড়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত আর্কিটেকচারাল প্রকৌশলী ওই পাহাড়ের গায়ে স্থানীয়দের সাহায্যে বিভিন্ন পাখির নকশা অঙ্কন করেছেন। আমার ছবিটি এখানে তেমন স্পষ্ট নয়। কিন্তু বাস্তবে পাহাড়টিকে দেখলে বিভিন্ন পাখির ছবি গুলি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যে কোন পর্যটক এ দৃশ্যে মুগ্ধ হতে বাধ্য। সমস্যাটি হল এরপরে আমার ভাবনায়। পুরুলিয়ার ( অযোধ্যা) অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড়গুলো হিমালয় পর্বতের এক্সটেনশন অংশ। প্রকৃতির কোলে পাহাড়ের সৌন্দর্য এক রকম। কিন্তু মানুষ তার সুবিধার জন্য কোথাও কোথাও সেই পাহাড় কেটে কেটে আরো ছোট্ট করে পাহাড়কে সাজিয়ে তোলার নামে বিভিন্ন নকশা করে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পাহাড়টি তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পুরুলিয়ার জয়চন্ডী পাহাড়কেও দেখলাম জেলা পরিষদ পাহাড় কেটে কেটে বোল্ডার বিক্রি করছে, রাস্তা চওড়া করছে। গল্পের ঠিক মেয়েটির মতোই। বাবা-মা যদি তাকে স্বাভাবিকভাবে বাড়তে দিত তাহলে সে নিজেকে নিজের মতো করো যেমন মেলে ধরত, সমাজও পেত তার রূপ রস সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণতা। ছবিটি এই উদ্দেশ্যেই দেওয়া, কন্যা সন্তানের বৃদ্ধিতে যেমন লাগাম পড়ানো হয়েছে ছবিটিতে পরিষ্কার পাহাড়টিকেও তার স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করে মানুষের মত করে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।







২৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক সময়ের বিশ্ব নন্দিত কিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট রক্ষক জেফরি ডুজোঁঁ এর কথা মনে রেখেছেন দেখে প্রীত হ'লাম।
(১০ নং প্রতিমন্তব্যে- "উনি উইকেট কিপার ডুজোর মত লুফে নিলেন জুতোটি")

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক্সপেকটেড স্যার,

আপনার আবার মন্তব্যে আসাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। একটা সময় ক্রিকেট খেলা নিয়মিত দেখতাম।87 সালে ভারত সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্যাটারসনের বলে বেং সরকারের আহত হয়ে মাঠ ছেড়ে যাওয়া ঘটনা আজও চোখের সামনে ভেসে আছে। ভারতীয়রা সেসময় ফাস্ট বলের সামনে রীতিমতো কাঁপতো। এসময় গোগ্রাসে যেকোনো দৈনিক এর খেলাধুলার পেজ পড়তাম।কিন্তু বেটিং কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর বিশেষ করে হানসি ক্রনিয়ে , মনোজ প্রভাকর,আজহারউদ্দিনের ধরা পড়ার পরে ক্রিকেট খেলা দেখা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছি। যেহেতু আপনি একজন খেলা অনুরাগী ব্যাক্তি, কাজেই এসব ঘটনার আপনিও একজন সাক্ষী -‌ আশা করতেই পারি।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।

২৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ২৩ নং প্রতিমন্তব্যে সুন্দর ব্যাখ্যাটির জন্য ধন্যবাদ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পোস্ট, কমেন্ট এবং সৌজন্যবোধ আমাদের কাছে অনুকরণীয়। যেমন এখনই করিলেন, প্রতিমন্তব্য ভালো হওয়াতে যেভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে গেলেন তা আমার কাছে অনুকরণীয়। ধন্যবাদ গ্রহন করলাম।

আপনার জন্যও বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.