নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

উজান হাওয়া

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১১


রহিমাচাচিমাকে মুকুল ঝর্নাকে ভালো লাগে জানাতে , পরেরদিন সকালে প্রথমে মুকুলের আব্বার সঙ্গে কথা বললো । তৌফিকসাহেবের এই সম্বন্ধে কোনও আপত্তি ছিলনা । আর থাকবেই বা কেন , ঝর্না অত্যন্ত ভদ্রমেয়ে। পরহেজগার, সুর করে কোরান পড়তে পারে । তৌফিকসাহেবের সম্মতি পেয়ে রহিমাচাচিমা যখন ঝর্নাদের বাড়িতে গেল , তখন হাবিবুরচাচা বাড়িতে ছিলেননা। ঝর্নার মা সবশুনে বললেন ,
- মুকুল ভালো ছেলে । তবে একটা জায়গায় কথা দেওয়া হয়েছে । আর তাছাড়া মুকুলের আব্বামাও ভালোবেসে বিয়ে করেছিল । সেজন্য ওর মা সারাজীবন বাপেরবাড়ি যেতে পারেনি । তবুও তুমি বলছো যখন আমাদের লোক বাড়ি আসুক , বলে দেখি ।

এসব সময় এরকম মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত বাঙালী মুসলিমদের মধ্যে পাত্রীর মতামত নেওয়াটা অভিভাবকরা ধর্তব্যের মধ্যে আনতেন না । তাছারা তের চৌদ্দ বছরের কোনও মেয়ের বিয়েতে নাকগলানো পুরুষ শাসিত সমাজের চোখে অত্যন্ত বেয়াদবি বা বেয়ারা বলে মনে করা হত । স্বভাবতই ঝর্নার মতামতের কারো প্রয়োজন পড়লো না ।

সেদিন বিকালে হাবিবুরচাচা ঝর্নার মেজোবোন অর্নাকে দিয়ে রহিমাচাচিমাকে ডাকালেন । চাচিমা সম্পর্কে হাবিবুরচাচার ভ্রাতৃবধু হওয়ায়, বৌমা বলে ডাকতেন । চাচিমা হাবিবুরচাচাকে আবার ঘটনাটা বললো । দরজার আড়ালে চাচিমার সঙ্গে ঝর্নার একবার চোখাচুখি হওয়ায় লজ্জা পেয়ে ভিতরে ঢুকে গেল । সবশোনার পর চাচা একবার চারপাশটা দেখে নিয়ে বললেন ,
- দেখো বৌমা, কথাটা যেন পাঁচকান না হয় । এমনিতে আমাদের সঙ্গে তৌফিকভায়ের কোনও শত্রুতা নেই । তারপরে মুকুল আমার ভালো ছেলে । ওদের জমিজায়গাও যথেষ্ট । বাড়ির পাশে মেয়ে দিলে রাতদিন দেখতেও পেতাম । তবে তৌফিকভাই ভাবিকে যেভাবে বিয়ে করেছিল , তাতে ঐ বংশে মেয়ে দিতে আমার আপত্তি আছে । আর আমার ঝর্নামায়ের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে । ছেলে শিক্ষিত , মাওলানা পাশ । পাশের গ্রাম ঘোষালাটি মসজিদে ইমামতি করে । দেবহাটে ওদের বাড়ি । ওখানে ওদের অনেক জমি বাড়ি ও পুকুর আছে । বনেদী পরিবার । ওরা এসেছিল , আমরাও গিয়েছিলাম । পাকাদেখা হয়ে গেছে । তুমি তৌফিকভাইকে বরং বোঝাবে পারলে আমাকে যেন ক্ষমা করে দেন ।

সেদিন সন্ধ্যাবেলায় মুকুল রহিমাচাচিমার বাড়িতে গিয়ে সব জানতে পারলো । তার হাতপা যেন অবশ হয়ে গেল । গলা শুকিয়ে এল । এক অসহ্য যন্ত্রনায় সে মুখে বিকট শব্দ করে উঠলো । চাচিমা তার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে কত কথা বোঝাতে লাগলো । সে বেশ কয়েকবার বাড়ি আসার কথা বললেও চাচিমা তাকে আটকে রেখে সান্ত্বনা দিতে লাগলো । এটা ওটা খাওয়ার কথা বললে, কোনও কিছু খেতে মুকুল অস্বীকার করলো ।

এদিকে ঝর্নার বিয়ের দিন ক্রমশ এগিয়ে আসতে লাগলো । আশেপাশে অন্যান্য বাড়িগুলির মত মুকুলেরাও এই বিয়েতে আমন্ত্রিত । তবে ওরা যাবে কিনা ঠিক নেই । গোয়ালহাটিতে তার মামার বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক না থাকার কারনটি সেদিন রহিমাচাচির মুখে প্রথম শুনেছে । বারে বারে তার মনে প্রশ্ন জাগছে, আব্বা যদি মাকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে তাহলে সে দায় তাকে কেন নিতে হবে? তাহলে আগামীতেও এরকম খবরে সব সম্বন্ধ ভেঙে যাবে ? নানান প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো । সে মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েছে । নাওয়া খাওয়া বাড়ির কাজ সব একপ্রকার বন্ধ করে দিয়েছে ।

ওদিকে তৌফিকসাহেব ছেলের মনের অবস্থা বুঝে তাকে বেশি করে সময় দিচ্ছেন । মাঠের কাজকর্ম আপাতত বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন । সারাক্ষণ বাড়ি রান্নাবাড়া গোয়ালঘর নিয়ে ব্যস্ত থাকেন । মুকুলও সারাক্ষণ বাড়িতে বসে- শুয়ে থাকে । রহিমাচাচিমার সঙ্গে তাদের সখ্যতা এসময়টা অত্যন্ত বেড়ে গেছে । প্রত্যেকদিন দুপুরে এসে রান্নাকরে দেওয়া, সময় পেলে যখন তখন এসে খোঁজখবর নেবার ফলে রহিমাচাচিমা এলে তৌফিকসাহেব অনেকটা নিরাপত্তাবোধ করেন । মনেমনে ঠিক করেও নিয়েছেন, ঝর্নার বিয়েটা হয়ে গেলে মুকুলের জন্য পাত্রী খোঁজ করবেন ।

এদিকে একটি মারাত্মক ঘটনা ঘটে গেল । বিয়ের দিন পাঁচেক আগের বিকালে ঝর্নার বিয়ের দরকারে ওর আব্বামা বাইরে ছিলেন । দাদীমা বৃদ্ধ মানুষ ,এক হিসাবে শয্যাশায়ী । দুইবোন অর্না ও ময়না মুকুলদের বাড়ির পাশে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে ব্যস্ত । এরকম একটি সময়ে ঝর্না সরাসরি মুকুলদের বাড়িতে হাজির । ঝর্নাকে দেখে মুকুল যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না । এমন সময় ঝর্না,
- মুকুলভাই কথা আছে ।
ঝর্নার কথা শুনে মুকুল যেন সম্বিত ফিরে পেল । ঝর্নাকে মুকুল দাওয়াই বসতে বললো । ঝর্না মাথা নেড়ে আপত্তি জানিয়ে বললো,
- ভিতরে বসবো, কেউ না কেউ হয়তো দেখে ফেলবে।
বাধ্যছেলের মত মুকুল ঝর্নাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে গেল । অত্যন্ত ভয়ে শঙ্কিত হয়ে কাঁপা গলায় ঝর্না বললো,
- মুকুলভাই আমাকে বাঁচাও ! রহিমাচাচিমা যখন আব্বার সঙ্গে কথা বলছিল তখন আমি দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে সব শুনেছি । আমিও তোমাকে খুব - ই ভালোবাসি । কোই তুমিতো কোনও দিন আমাকে কিছু বলোনি । তুমি সারাদিন কী পরিশ্রমই করতে । আমি আমাদের বাড়ির গাছের ফাঁক দিয়ে সারাক্ষণ তোমাকে লক্ষ্য করতাম । সব সময় যে দেখতে পেতামনা ঠিকই, তবে আমি এদিকেই চেয়ে থাকতাম । তোমার এত কষ্ট দেখে আমার ভিতরটা যেন ফেঁটে যেত । বাড়িতে কিছু ভালো রান্না হলে আমার মুখে উঠতোনা । মাকে দেখিয়ে একটু খেয়ে মাছ মাংস পছন্দ করিনা বলে উঠে যেতাম । চাচিমার কাছ থেকে শুনেছি , তৌফিকচাচা একদিন ভাত পুঁড়িয়ে ফেললে তোমরা বাবাছেলে সে রাতে কীভাবে সেই ভাত খেতে বাধ্য হয়েছিলে । একদিন রাতে কুকুর ঢুকে তোমাদের খাবার নষ্ট করায় সারারাত পানি খেয়ে কাটিয়েছিলে । চাচা রান্না না জানায় কীভাবে দিনের পর দিন তোমরা ডাল আলু সিদ্ধ খেয়ে কাটিয়েছ । তাও আবার এক খাবার খেতে তিনবেলা । এসব দেখেশুনেই রহিমাচাচিমা তোমাদের বাড়িতে একবেলা রান্না করে দেয় । চাচিমার রান্না করার খবরে আমার আনন্দে চোখে পানি এসেছিল।

কথা বলতে বলতে ঝর্না একটু থেমে গেল। দুজনেই কিছুক্ষণ নিরব থাকলো । ঝর্না আবার বলতে লাগলো ,
- আমি প্রায়ই চাচিমার কাছে খবর নিতাম তোমাদের কি কি রান্না হয়েছে বা কত বেগুন এবং অন্যান্য সব্জি উঠেছে ইত্যাদি। চাচিমা একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে আমি তোমাকে ভালবাসি কিনা । আমি না বলতেই, ও বুঝেছি বলে মুচকি হেসে চলে গিয়েছিল । বাড়িতে মাকেও টুকটাক তোমাদের কথা জিজ্ঞাসা করতাম । একদিন কী একটা প্রসঙ্গে তোমাদের কথা বলতেই, মা আমাকে পাল্টা জিজ্ঞেস করেছিল যে তোমার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক আছে কিনা । লআমার মনে হয়েছিল, মা ভালোমুখে জিজ্ঞেস করায় তোমাকে ভালো লাগে - একথা আর এমন দোষের কী । তবুও আমি প্রথমে অস্বীকার করি । মা খুশি হয়নি । মায়ের কথায়,
- মা ঝর্না, তোমাকে যদি মুকুল ভালোবাসে তাহলে নির্ভয়ে আমাদের বলতে পারো । তোমার ভালো মন্দ আমরা ছাড়া কে বুঝবে মা ।
- মায়ের এই মধুর বাক্যে আমি গলে যাই । তোমাকে ভালো লাগে একথা বলতে ; মুহূর্তের মধ্যে মা সে এক ভয়ানক অগ্নিমূর্তি ধারন করে । রাগে ফোস ফোস করে বলতে থাকে ,
- তোর আব্বাকে বলে তোকে আজ কেটে ফেলবো । মনে মনে তুই এই তৈরী হয়েছিস ?
- আমি প্রচন্ড ভয়ে কাঁদতে থাকি । এরপর থেকে আমাকে মক্তবে পাঠানো বন্ধ হল । আব্বা আমাদের বাড়ির চারপাশে উঁচু করে পাঁচিল তুলে দিল, যাতে আর তোমাদের বাড়ির দিকে কিছু দেখা না যায় । এখন মুকুলভাই তুমি আমার বাঁচাও । দেবহাটির ছেলের মুখভর্ত্তি দাড়ি, মাথায় সারাক্ষণ টুপি পরে থাকে এবং বেশ নাটা ।

ঝর্নার মুখ থেকে একনাগাড়ে কথাগুলি শুনে মুকুল এবার একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঝর্নার থুতনিতে হাত দিতেই, এক হাত পিঁছিয়ে গিয়ে,
- ছি! ছি! মুকুলভাই, বিয়ের আগে গায়ে হাত দেওয়া পাপ ।
এবার মুকুল কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে ঝর্নাকে বোঝায় ,
- দেখ ঝর্না, তুই আমি পরস্পরকে ভালো বাসি ঠিকই । কিন্তু তোর বাড়ির লোক যখন আমাদের সম্পর্ক মানতে চাইছে না , তাহলে আমরা আর কী করে আগাই বল । আব্বা সুদূর গোয়ালহাটির মেয়ে বিয়ে করে দূরে থাকায় তবুও বাঁচতে পেরেছে । আর আমি তোকে বিয়ে করলে এত কাছাকাছি যে তোর আব্বার মত রাগি লোক আমাদের মেরেই ফেলবে । কী আর করবো বল। আজ তোকে পেয়েও আমি নিতে পারলাম না । তবে তোর আব্বা তোর ভালোর জন্যই এ সম্বন্ধ করেছেন । তুই মেনে নে । ওনারা খুশি হবেন ।
মুকুলের কথা তখনও শেষ হয়নি ,ঝর্না দৌড়ে একছুটে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল ।

( উজান হাওয়ার পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে । পাঠকবন্ধুদেরকে একটু সময় দিতে অনুরোধ করছি ।)

বিঃদ্র - পোস্টটি আমার অত্যন্ত কাছের বন্ধু, ব্লগের অলিখিত হিরো মো নিজামউদ্দিন মন্ডলভাইকে উৎসর্গ করলাম । ব্লগের এমন হিরোকে কিছু দিতে পেরে আমি আনন্দিত ।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৮

বলেছেন: প্রথম লাইনে চারটি নাম রহিমা চাচিমা মুকুল ঝর্ণা নামগুলো একসাথে হওয়াতে এই খুদে পাঠকের পড়তে একটু অসুবিধা হলো, একটু দেখবেন
আপনি খুব ভাল লিখেন নিঃসন্দেহে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই,

গল্পটা অনেকগুলি পর্বে হওয়াই, দুটি পর্বের যোগসূত্র হিসাবে রহিমাচাচিমাকে মুকুল ঝর্নাকে ভালোলাগা জানাতে কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যথায় আগের পোস্টের বেশকিছু আগে থেকে শুরু করতে হত। প্রথম কমেন্ট মানে আলাদা ভালো লাগা। ধন্যবাদ কবিভাই।

অফুরান শুভকামনা জানবেন।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ভাল লাগল পদাতিক ভাই

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় শাহারিয়ারভাই।


শুভকামনা রইল।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: যাক বাবা! আজকেও মুলা ঝুলিয়ে রাখলেন!!!:P


আগের পোস্ট দেখলাম ভোরের আলো! সকাল, দুপুর বাদ দিয়ে আজ উজান হাওয়া?
একেক পোস্টে একেক নাম কেন??


আমার তো ইচ্ছে হচ্ছে ঝর্ণার রাগী ড্যাডকে একহাত দেখে নেই।X(
মুকুল কই মুকুল?
আয় ব্যাটা, তোরে আজ ঝর্ণার জলেই গোসল করাবো, দেখি কে আটকায়...:P

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হে হে হে মন্ডলবাড়ির ছোটোপোলাকে পেয়ে আমার আনন্দ আর ধরেনা। তবে মুলা ঝুলিয়ে একটু রেখেছি, কারন এটা বেশ বড় গল্প। বিভিন্ন পর্বে হলেও চেষ্টা করেছি যতটা পৃথক রাখা যায়। আর একটু যোগ না রাখলে যে শিকড়ের সন্ধানে যাওয়ার উদ্দেশ্যই থাকবেনা।
এই পর্বে একটা বিপরীত মুখি স্রোত প্রবাহিত হওয়াই এরকম নামকরণ। আগের অংশে সদ্য স্ত্রী বা মা হারা হওয়ার পর ঐ পরিবার যে করে একটু একটু সোজা হওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাতে মনে হয়েছিল মৃত্যু বা তমশা শেষে একটু ভোরের আলো পেয়ে স্বাভাবিক হচ্চে।
আগামীতেও বিষয়ের সঙ্গে একটি স্থানীয় নাম দেওয়ার ইচ্ছা আছে।

আর ঝর্নার ড্যাডরা সবকালেই সব সমাজে প্রচন্ড পাওয়ারফুল। এদের কাছে তাই আমাদের অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া উপায় থাকেনা।
শুভকামনা আমাদের হিরোকে।


৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: গল্প ভালোই হবে বলে মনে হচ্ছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সম্রাটভাই,

পাঠ ও কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য জানাই কৃতজ্ঞতা ।

অনেক অনেক শুভকামনা আপনাকে ।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দেখি পরের পর্বে কি হয়।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মোস্তফাভাই,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আগামীর অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম।

শুভকামনা জানবেন।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৮

রাকু হাসান বলেছেন:


সব সময় যে দেখতে পেতাম না ঠিকই ,তবে আমি এক দিকেই চেয়ে থাকতাম । বাহ কি দারুণ 8-| সে পর্বে মুকুল মুগ্ধতা নিয়েছিল আমার ,আজ ঝর্ণা নিল । এ পর্বে দুর্বল মুকুলকে দেখে খারাপ লাগছে । :-< । ঝর্ণার অনুভূতিগুলো খুব ভাল লাগছে । ঝর্ণার মা কে সিনেমার চৌধুরি সাহেব দের সহধর্মীনীর মত লাগছে B-) ,কত চালাক :||

অপেক্ষায় আছি ভাইয়া ,তবে তা দীর্ঘ না হলে পাঠক হিসাবে ভাল লাগবে । :-B
শুভরাত্রি শ্রদ্ধেয় ভাই!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,

সকালবেলা তোমার সুন্দর মন্তব্যটা পেয়ে মন ভরে গেল। পাঠকরা যদি এরকম পড়ে কমেন্ট করে তাহলে যে কী দারুণ অনুভূতি হয় তা বলে বোঝাতে পারবোনা।

প্রথম পর্বে মুকুল যেটা দেখিয়েছে তার উপর গল্প ক্রমশ উন্নতি লাভ করেছে । আর এই কারনেই এই পর্বে ঝর্নার খোলোস ছেড়ে বেড়িয়ে আসা । ঝর্নার মাকে বেশ দজ্জাল লেগেছে, ঠিকই ধরেছ। আসলে বাবসমায়েরা চাই সন্তান যেন, সব সময় তাদের দেখানো ভালো মন্দ পথ মেনে চলে। যখন সন্তানের নিজস্বতা তৈরী হয়, তখনই হয় সমস্যা ।

পোস্ট দিতে একটু সময় নিই, কারন - আমি যে বড্ড পরাধীন । বেশি ব্লগে সময় দিলে তোমার ভাইকে যে গৃহহীন হতে হবে। হা হা হা। তবুও আমার ছোটো ভায়ের কথা রাখতে পরের পর্ব শীঘ্রই পোস্ট করবো।

হরিনী আপুর একটি কথা কপি করবো, আমার ভাইটি বয়সে পুচকে হলে কী হয়, বুদ্ধিতে একেবারে বিজ্ঞ ।

অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ছোট্টভাইটিকে।


৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: যাক, ভাইয়ার আজকের লেখাটা সাথে সাথেই পেয়ে গেলাম :D

গল্পটি পড়তে ভালো লাগছে ভাইয়া । কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনি মিলন দিয়ে শেষ করবেন নাকি বিচ্ছেদ দিয়ে তা বুঝতে পারছিনা ।

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা এমন গল্পের মত হলে খুব ভালো হতো । নিজের ইচ্ছেমত সবকিছু পরিবর্তন করা যেত :(

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। যদি মিস হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই দাওয়াত দিয়েন কিন্তু । আর একেক পর্বে একেক নাম কেন ভাইয়া ? একটি নাম হলেকি বুঝতে সুবিধা হতোনা ?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ছোটোবোন ,

গল্পটি পড়ে ভালো লাগায় আনন্দ পেলাম । পাঠকের এমন অভিব্যক্তিতে বাড়তি অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। রক্ষণশীল সমাজে প্রেম- ভালোবাসা যেখানে নিষদ্ধ সেখানে এরকম মিলন বহুক্ষেত্রে মৃত্যুর সামিল । যদিও সত্যিকার ভালোবাসার কাছে এসব চিন্তা অনেকটা অমূলক । তবুও ঘটনার পরম্পরায় এসব চিন্তাভাবনাকে পাশ কাটিয়ে আমরা পৌঁছে যাবো এক অচেনা জগতে। আগামী পর্বে তারই এক ঈঙ্গিত পাওয়া যাবে ।

গল্পকাররা গল্প লেখেন জীবন থেকে উপাদান নিয়ে। যে কারনে গল্পের মধ্যে আমাদের কারোও না কারোও জীবনের বাস্তব ঘটনা থাকে। আমরা বিনোদন হিসাবে পড়ে আনন্দ পাই । কিন্তু জীবন যাদের বিষয় হয় তাঁদের জীবন যে হয় দুর্বিষহ ।

পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম। অবশ্যই বোনকে দাওয়াত দিয়ে আসবো । আর একেক পর্বের একেক নামের কারনটি হল, ছোটো গল্প যতটা গতিশীল বড় গল্প সে তুলনায় বেশ স্লো । উপন্যাসের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও মন্থর হয়ে দাঁড়ায়। ব্লগে বড় গল্প পর্বাকারে দিলে একদিকে নুতন পাঠকের যেমন আগ্রহ থাকেনা, পাশাপাশি পুরানো পাঠকও সবসময় সময়াভাবে পড়তে পারেননা । আমার গল্পটা বড় হলেও প্রত্যেকটা পর্বকে সচল রাখতে বিষয়টি সেই পর্বে মুক্ত করার চেষ্টা করেছি। মিনিমাম পার্সেন্টেজ লিংক রেখেছি। এটা না রাখলে একেবারে পৃথক গল্প হয়ে যাবে। আর নামকরণটিও একারনে পর্বের দিকে লক্ষ্য রেখে পৃথক করেছি।

পরিশেষে অনেক অনেক শুভকামনা আমার ছোট্টবোনকে।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই পর্ব পড়ে মনে হচ্ছিল আপনি আমার কাহিনি জানলেন কীভাবে

গল্প জমে উঠেছে
প্রথম পর্বে ঝর্নাদের বাড়িতে পাচিল উঠানোর কথা বলা হয়েছিল
এই পর্বে খুব মুন্সিয়ানার সাথে সেটা ক্লিয়ার করেছেন
দুজন দুজনকে ভালোবাসে, ঝর্নার মুখ থেকে এটাও পরিষ্কার হলো
তবে, ঝর্নার মায়ের কাঠিন্যই মনে হচ্ছে ঝর্নার জীবনে অকালে এই দুর্গতি টেনে আনলো
কিছু সমাজ বাস্তবতা উঠে আসছে, যেমন, প্রেমিকাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করা দম্পতিরা সে যুগে কলঙ্কিত জীবন যাপন করতো, যা আজো খুব কমেছে বলে মনে হয় না
মেয়েদের পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারটাও খুব বাস্তব ভাবেই উঠে এসেছে- ঝর্নার হবু স্বামীর মুখ ভর্তি দাড়ি, সব সময় মাথায় টুপি থাকে, ইত্যাদি, যা তার ঘোর অপছন্দের
দুটি মুসলিম পরিবারের মধ্যে দ্বন্দের আভাস পাচ্ছি, নায়ক নায়িকারা কোন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তা দেখার অপেক্ষায়

শুভেচ্ছা চৌধুরি ভাই

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার ,

আপনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে গল্পটার সারাংশ তুলে ধরলেন। তবে আপনার শৈশবের সময়ের সঙ্গে গল্পের মিল হওয়াই আমার মনে হয় এটা গোটা বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের একটি চিত্র । যেকারনে আমি খুব লোকালাইজড করে বসিরহাট - টাকির কথা বললেও এখানে আপনার শৈশবের সঙ্গে মিল হওয়াটা স্বাভাবিক। পাশাপাশি আমি গল্পের উপদান সংগ্রহ করেছিলাম যাদের কাছে থেকে তাঁরা আজ আর কেউ এ পৃথিবীতে নেই । কিন্তু স্যার আপনার সঙ্গে এমন মিলনে আমার মনোজগৎ যে ঠিক দিকে এগোচ্ছে, সে বিষয়ে দিশা পেলাম।

বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করার অপরাধে পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে পিটিয়ে মারার নিদান সে সময় গ্রাম্য সালিশি সভাতে হত। প্রবনতা এখন কমলেও অবলুপ্ত হয়নি । দেওয়া হত বাঁশকলের মত অমানবিক শাস্তি । অবশ্য সমাজপতিরা যে শাস্তির বিধান রেখেছিলেন তার ফলে তরুণ তরুণীরা ভয়ে ও পথে হাটতোনা। গল্পে তৌফিকসাহেবের সঙ্গে যে কারনে শ্বশুর বাড়ির সম্পর্ক ছিলনা। এক্ষেত্রে দূরে শ্বশুর বাড়ি হওয়ায় তৌফিকসাহেব যেটা করতে পেরেছিলেন মুকুল কী সে পথে হাটার সাহস পাবে? আজকে অনেকটা পরিষ্কার । বাকিটা আগামী পর্বের জন্য রইল।

আমার নিজের দাদি শুধু কোরান পড়তে পাড়লেও জানতোনা অ আ ক খ। প্রচন্ড দজ্জাল মহিলা দাদার সঙ্গে বিয়ে করলেও মনের ক্ষোভ ছিল, মুখ ভর্তি দাড়ির জন্য।
আগামী পর্বে পাশে থাকবেন জেনে আনন্দ পেলাম।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।


৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

সুপ্রিয় চৌধুরী ভাইয়ের গল্প মানে সামাজিক কোনো গল্প।খুব সুন্দর সাজিয়ে-গুছিয়ে একদম জীবনের কথাগুলো তুলে ধরতে পারেন আপনি, আপনার গল্পের মাধ্যমে।
এ গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো, এখন পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়কবীর ভাই,

আপনাকে আবার নিয়মিত পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে । আপনার সুন্দর উপলব্ধি মূলক মন্তব্যে প্রীত হলাম। পেলাম অনুপ্রেরণাও। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার শুভকামনার জন্য রইল কৃতজ্ঞতা । আর আপনাকেও আমার অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মুকুলের কথা তখনও শেষ হয়নি ,ঝর্না দৌড়ে একছুটে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল

গল্প ভালোই সাসপেন্স আছে মনে হচ্ছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় শঙ্খচিলভাই,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ায় জানাই কৃতজ্ঞতা । বড় গল্প, অনেকগুলি পর্বে দিতে হচ্ছে। ফলে একটু সাসপেন্স থাকবে। আগামী পর্বে পাশে পাবো জেনে আনন্দিত ।


অনেক অনেক ভালোলাগা ও শুভেচছা আপনাকে।

১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৫

অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম, পরের পর্বের অপেক্ষা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কাব্যভাই,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালোলাগা জানাতে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

আগামী পর্বে পাশে থাকবেন জেনে আনন্দ পেলাম।

শুভেচ্চা আপনাকে।

১২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয় ভাই/গুরু,
তাহলে তলে তলে জল তো অনেক দূর গড়িয়ে গেছে B-)৷ঝর্ণা মুকুলকে ভালবাসতে পারে, তা আগের পর্বে একটুও ধারণা করা যায়নি!! আমার তো মনে হয়, মুকুলের চেয়ে ঝর্ণা তাকে বেশি ভালবাসে৷জানি না শেষ পরিণতি কি হয়? তবে আমার মনে হচ্ছে মুকুল আর ঝর্ণার মহা মিলন কেউ আটকে রাখতে পারবে না৷এটা সত্যিকারের ভালবাসা৷দেখা যাক গুরুর আগামী পর্ব কেমন হয়? অপেক্ষায় রইলাম৷

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়গুরুদেব,
রবিবার সকাল থেকে একটু ব্যস্ত ছিলাম। যে কারনে প্রতিমন্তব্য দেরি করার জন্য দুঃখিত । হা হা হা, তাহলে তলেতলে জল অনেকদূর গড়িয়ে গেছে। ঝর্না মুকুলকে ভালোবাসতে পারে , তা আগের পর্বে একটুও ধারনা করা যায়নি। হা হা হা, তাহলে যে প্রশ্ন আউট হয়ে যেত।। আমার মনে হয় মুকুলের চেয়ে ঝর্না তাকে বেশি ভালোবাসে । জানি না শেষ পরিণতি কি হয়? হা হা হা, আরও একটু সময় প্রার্থনা করবো। আগামী পর্বে আশাকরি মনের দোলাচলের অবসান হবে। তবে আমার মনে হচ্ছে মুকুল আর ঝর্নার মহামিলনেে কেউ আটকে রাখতে পারবেনা । দেখা যাক সমাজের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ওরা কতটা চ্যালেঞ্জ নিতে পারে।

গুরুদেব আমার আগামী পর্বের অপেক্ষায় আছে জেনে পুলকিত হলাম। অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা প্রিয় গুরুদেবকে।


১৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালোই লাগলো গল্প, যদিও বিরহের গল্প তবুও মনে হলো মুকুল ভালো কাজটিই করেছে। ঝর্ণা মন থেকে ভালোবাসে কিনা আমার সন্দেহ রয়ে গেল।

ভালো লিখেছেন ভাই,

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় নয়নভাই,

একেবারে যথার্থই বলেছেন, বিরহের গল্প হলেও মুকুল ভালো কাজটিই করেছে। আর ঝর্নার ভালোবাসা নিয়ে আপনি সন্দিগ্ধ। তবে ঐ রকম কম বয়সে প্রেমের গভীরতা সত্যই কম থাকে। পাশাপাশি থাকে সামাজিক চাপ। এসব সামলে তাদের ভাগ্যে কী লেখা আছে জানতে অনুরোধ করবো পরবর্তী পর্বের দিকে লক্ষ্য রাখতে।

আমার লেখা ভালো লাগায়, অনুপ্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ।


শুভকামনা প্রিয় গায়ক ও কবিভাইকে।


১৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
বিদেশে বসে দেশের লেখা পড়তে পেরে ভালো লাগছে।
আপনার আরো লেখা পড়তে চাই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ফিরোজভাই,

আমার কোনও পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট । সুস্বাগতম আপনাকে । বিদেশে বসে পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে জেনে পুলকিত হলাম। আপনি যদি সময় পান তাহলে আমার অন্যন্য পোস্টগুলিও পড়তে অনুরোধ করবো। আগামীতে আপনার নিরন্তর পাশে পাওয়ার প্রার্থনা করি।


শুভেচ্ছা আপনাকে ।


১৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: গল্প ভাল হয়েছে।
আল-বাসীর

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা শুভ সকাল।
কেমন আছেন?
অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।
পরের পর্ব দিতে বেশি দেরী করবেন না। তাহলে কিন্তু ভুলে যাব এই পর্ব।
আচ্ছা, পরের পর্বের সাথে এই পর্বের লিংক দিয়ে দিয়েন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটোভাই,

উপরওয়ালার কৃপায় খুব ভালো আছি। হ্যাঁ পোস্ট দিতে একটু সময় লাগলো ঠিকই , তবে বড্ড ব্যস্ত ছিলাম আরকি। পরের পর্ব আর দেরি করবোনা । চেষ্টা করবো পোস্টটা শীঘ্রই দিতে।

অন্তরের বিমুগ্ধ ভালোবাসা আমার ছোটোভাই ও পরিবারকে।

১৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

চাঙ্কু বলেছেন: উজান হাওয়া তাইলে পোষ্টাইছেন।
পাত্র-পাত্রীর মতামতকে এখনও অনেকেইই তোয়াক্কা করে না।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় চাঙ্কুভাই,

আপনার আগমন মানে আমার কাছে বাড়তি পাওয়া। হ্যাঁ ভাই অবশেষে উজান হাওয়া পোস্টাইছি। আর পাত্র পাত্রীর মতামতকে এখন আর আগের মত তুচ্ছজ্ঞান করা হয়না। তবে একেবারে অক্ষর জ্ঞানহীন পরিবারগুলি সেই তিমিরেই আছে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে ।


১৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: দুই পর্ব একত্রে পড়ব--- আপনার লেখা পড়ার আগ্রহ আছে

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় কবিভাই,

ঈদের পর থেকে আপনার ব্লগে বিচরণ একেবারে কমে গেছে। না পাচ্ছি পোস্ট, তেমনি দেখছিনা কমেন্টও। আপনার আগ্রহ আছে জেনে আনন্দ পেলাম। পরে সময় নিয়ে পড়ে সুচিন্তিত কমেন্ট করবেন আশাকরি ।


অন্তরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা আপনাকে ।


১৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

অপ্‌সরা বলেছেন: উজান হাওয়ায় উড়ে যাক ঝর্ণা আর মুকুল ..... :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনাকে পোয়ে আনন্দ পেলাম। ছোট্ট কমেন্টে যেন অনেক কথা বলা হল। তবে আপু ওরা কতটা উজান হাপয়াই উড়বে সন্দেেহ আছে। কারন সমাজের উজান স্রোতে ওদের জীবন যেখানে দিশাহারা । বাকিটার জন্য একটু সময় নেব, পরবর্তী পর্বে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা আপু আপনাকে ।


নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল।

২০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গ্রামবাংলার প্রেমপিরিতির অবস্থা একযোগ আগেও প্রায় এমনই ছিলো। দূর থেকে চোখাচোখি। মেয়ের মা টের পেলে মেয়েকে ঘরে বন্ধি করে রাখা। অত:পর, মেয়ের মতামতের বাইরে গিয়ে বিয়ে।

সাহসী, মারাত্মক প্রেমিকদের পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কিচ্ছু করার নেই।

গল্প ভালো লেগেছে। একই গল্পের পৃথক পৃথক নামকরণ নিয়ে জিজ্ঞাসা ছিলো। জবাব পেয়ে গেছি।

ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল প্রিয় পদাতিক ভাই।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় জুনায়েদভাই,

আপনার সুন্দর কমেন্টে প্রীত হলাম। গল্পের মুল বিষয়টি আপনি অত্যন্ত নিপুন ভাবে উল্লেখ করেছেন।

সাহসী, মারাত্মক প্রেমিকদের পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কিচ্ছু করার নেই। তবে সেখানেও বিপত্তি ছিল। কলঙ্কিনীর একটা তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া হত। তাদের সন্তানদেরও এ বোঝা বইতে হত।

গল্পের পৃথক নামকরণের কারন জানতে পেরেছেন। ইতিপূর্বে বিষয়টি উল্লেখ করেছি।
সবশেষে গল্পটি ভালো লাগায় আনন্দ পেলাম। আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। একইভাবে আপনার উদ্দেশ্যেও রইল আমার অন্তরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা।


২১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

অচেনা হৃদি বলেছেন: গল্পের শেষ লাইন যেদিন পড়ব সেদিন গল্প নিয়ে মন্তব্য করবো। তার আগে নয়! :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইতো! আমার বোনটাকে অবশেষে পেলাম। কিন্তু কী এমন হয়েছে যে শেষ লাইন না পড়লে কমেন্ট করা যাবেনা । আমার বড্ড দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বোনের শান দেওয়া কমেন্টই আমার কাছে বেশি আকাঙ্খিত। মনের তমশাচ্ছন্নতা অবসান হোক। নুতন সূর্য মনকে রাঙিয়ে দিক, কামনা করিব।পোস্টটিকে লাইক করায় অনুপ্রেরণা পেলাম।


শুভকামনা বোনকে।

২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখা কেমন যেন শক্ত নয়, প্লট টলটলে, গাঁথুনি ঢলঢলে, কোভাবে চলে, কি না চলে!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়,

গ্রাম গঞ্জের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ভালো করে ফোঁটাতে পারিনি বলে আপনার কাছে প্লট টলটলে বা গাঁথুনি ঢলঢলে লেগেছে। আবার চেষ্টায় থাকবো, হয়তো আর একদিন আপনার ঠিকঠাক মনে হবে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি বলতে কি ডিজিটাল এই সময়ে এসিতে বসে পিসিতে বা ট্যাবে চোখ রেখে সে সময়কে অনুভব কষ্টদায়কই শুধু নয়, অসম্ভবই মনে হবে। নূন্যতম যারা পাড়া গায়ে কিছু বছর থাকার অভিজ্ঞতা রাখেন তারা হয়তো অনুভবের কাছাকাছি থাকতে পারবেন কিছুটা। দারুন মুন্সিয়ানায় ফুটিয়ে তুলছেন পুরনো সে সময়কে গল্পের পাতায় পাতায়।

শহর থেকে বেড়াতে গিয়ে কিছুদিন থেকে এক বালিকার জল ভরভর চোখে ছুটে যাওয়ার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
সে আবেগ অনন্য। অমূল্য।
কাঁচা বয়সে সেই দুরন্ত আবেগ গুলো অসাধারন হয়। দারুন শক্তিশালীও বটে। কিন্তু তাদের উপর নিয়ন্ত্রন দিতে গিয়ে
পরিবার সমাজ ধীরেধীরে মেরে ফেলে শুধু অনুভবকেই নয়-সেই স্বত্তাটাকেও।

দারু এগিয়ে যাচ্ছে ঝর্ণা মুকুল কাহিনী। সাসপেন্সে অপেক্ষায় রেখে দিলেন! কি আর করা!
রইলাম দুরু দুরু বুকে
ছোট ছোট আশায়
তরুন মনের ভালবাসার পূর্নতার কামনা!
যদিও জীবন ততটা দয়ালু নয়
তবু আশাই শক্তি জীবন চলার :)

++++

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,

আপনার কবিতা আর কমেন্ট দুটিই আমার কাছে একরাশ মুগ্ধতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । কী সুন্দর ভাবে আপনি বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। আপনার কথাতে, " সত্যি বলতে কি ডিজিটাল এই সময়ে এসিতে বসে পিসিতে বা ট্যাবে চোখ রেখে সে সময়কে অনুভব কষ্টদায়ক শুধু নয়, অসম্ভব মনে হবে। ন্যূনতম যারা পাড়াগায়ে কিছু বছর থাকার অভিজ্ঞতা রাখেন তারা হয়তো অনুভবের কাছাকাছি থাকতে পারেন কিছুটা । " আহা! কী সুন্দর উপলব্ধি আপনার। কমেন্ট পড়ে মন ভরে গেল।

শহর থেকে বেড়াতে গিয়ে কিছুদিন থেকে এক বালিকার জল ভরভর চোখে ছুটে যাওয়ার স্মৃতি মনে পড়ে গেল ।
সে আবেগ অনন্য । অমূল্য। ♥ ♥ অসাধারন অনুভূতি।
একেবারে সঠিক বিষয়টি তুলে ধরলেন, কাঁচা বয়সে সেই দুরন্ত আবেগ অসাধারন হয়। দারুণ শক্তিশালী বটে । কিন্তু তাদের উপর নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে পরিবার ও সমাজ ধীরে ধীরে মেরে ফেলে শুধু অনুভবকে নয় -সেই স্বত্বাটাকেও। ♥♥ একশো শতাংশ সহমত আপনার সঙ্গে।

হ্যাঁ একটু সাসপেন্স রয়েছে ঠিকই, তবে পরের পর্বে আশাকরি বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

" যদিও জীবন ততটা দয়ালু নয়
তবু আশাই শক্তি জীবন চলার। " একেবারে মন্ত্রশক্তির মত লাগলো । ♥ ♥

পোস্টে লাইক কমেন্টে এত্তগুলি প্লাস পেয়ে আমি অভিভূত, অনুপ্রাণীত। আপনাকে জানাই কৃতজ্ঞতা ।


পরিশেষে অন্তরের বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।


২৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নীলপরি বলেছেন: সবজায়গায় পারুরাই বিপ্লবী! :)

গল্প ভালো লাগলো । পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভকামনা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা আপু,

পাঠ ও কমেন্টে ধন্যাবাদ জানাই । হ্যাঁ, আমাদের সনাজে এই জায়গাটাতে পারুরা অনেকটা সাহসী । ♥♥
গল্প ভালো লাগল জেনে আনন্দ পেলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে পুলকিত হলাম। পোস্টটিতে লাইক দিয়ে অনুপ্রাণীত করায় কৃতজ্ঞতা জানাই ।

আপনাকেও জানাই অন্তরের প্রীতি ও শুভেচ্ছা ।

২৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। প্রথম পর্বটা পড়িনি যদিও, কিন্তু এই পর্বটা পড়ে ভালো লাগলো। প্যারাগ্রাফগুলো কয়েকটা জায়গায় মনে হলো এলোমেলো হয়ে গেছে। প্যারাগ্রাফগুলো আর সংলাপগুলো একটু সাজিয়ে দিয়ে মনে হয় পাঠকদের পড়তে সুবিধা হতো।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভালো আছেন, আপু। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে । এটা আপাতত তৃতীয় পর্ব। আপনি যদি সময় পান তাহলে আগের দুটি পর্ব, বিংশ শতকের ত্রিশ চল্লিশের দশকে টাকি বসিরহাটের মধ্যবর্তী গ্রামগুলির সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের একটি চিত্র ও ভোরের আলো পড়ার অনুরোধ রইল ।

প্যারাগ্রাফ ও সংলাপ বুঝতে অসুবিধার জন্য দুঃখিত। পাশাপাশি আপনার সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ । তবে এখন একটু ব্যস্ত আছি আপু। কাজেই এটি সময়াভাবে না পারলেও ভবিষৎ এ আপনার পরামর্শ মাথায় রাখবো।

আপনার শুভবাসনায় খুশি হলাম। পাশাপাশি আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা আপু।


২৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অলিখিত হিরো!! মুকুল ভাইকে থুক্কু মন্ডল ভাই কে শুভেচ্ছা ! চমৎকার উৎসর্গ !!!
আপনার লেখার শিরোনাম আমাকে টেনে এনেছে লেখায় !!! দারুন !!!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপুর আগমনে আনন্দ পেলাম।, " অলিখিত হিরো!!!! মুকুল ভাইকে থুক্কু মন্ডল ভাই কে শুভেচ্ছা। চমৎকার উৎসর্গ !!! " হা হা হা। দারুণ আনন্দ পেলাম আপু ।
" আপনার লেখার শিরোনাম আমাকে টেনে এনেছে লেখায় !!! দারুন !!! " আপু আপনার আন্তরিক কমেন্টে মুগ্ধ হলাম। লাইক ও এহেন কমেন্টে পেলাম অনুপ্রেরণা। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।


বিমুগ্ধ শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা রইল।

২৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ল - এর প্রথম কমেন্টে সহমত।

বানান বিষয়ক সমস্যা অনেক। " য়" আর " ই" এর ব্যবহারেও সমস্যা মনে হলো। " মায়ের এই মধুর বাক্যে গলে যায়। এটা " যাই" হবে।

তৌফিকভাই, তৌফিকভায়ের, তৌফিকসাহেব, রহীমাচাচি, হাবুরচাচা --- ভাই, চাচি, সাহেব, চাচা এই শব্দ গুলো আলাদা বসার কথা।

লেখার প্র্যাকটিস জারি রাখেন। তাহলে আরও উন্নতি হবে।

পোস্টের সবগুলো কমেন্টই পড়লাম।
ভালো থাকেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়াআপু,

আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। অত্যন্ত খুঁটিয়ে মন দিয়ে পড়েছেন বলে মুগ্ধ হলাম । আপনি আমার বানানে বেশ কিছু সমস্যা পেয়েছেন। মূলত " য় " আর " ই " ব্যবহারে সমস্যা মনে হল। " মায়ের এই মধুর বাক্যে গলে যায় । " এটা ঠিক করে দিয়েছি।

পরে তৌফিকভাই, তৌফিকভায়ের, তৌফিকসাহেব, রহিমাচাচি - এগুলি ব্যাকরণগত দিক থেকে দুটি সমাসবদ্ধ পদ পাশাপাশি বসাটা কাম্য। ধরুন ডাক্তারবাবু, হেডপন্ডিত, মাস্টারমশাই প্রভৃতি যিনি ডাক্তার তিনি বাবু, যিনি মাস্টার তিনি মশান কিমবা যিনি হেড তিনি পন্ডিত, এই যুক্তিতে পাশাপাশি বসবে।

আপনার কথার মান্যতা ধরে আমি এখন বুদ্ধদেব গুহর উপন্যাস দু - নম্বর, কিমবা সমরেশ মজুমদারের সাতকাহনে একটু চোখ বুলিয়ে নিলাম। সরি , কোথাও ওনারা এরকম সম্পর্ক আলাদাভাবে বসান নি। ধরুন ' দু - নম্বরের ১৫ পাতায় শিবেনবাবু অথবা সাতকাহনের ৪৬ পাতায় লক্ষ্মীবউদি। কোথাও কিন্তু আলাদা বসেনি।

তবে আপু কথ্যভাষাতে আলাদা লেখা যেতে পারে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।




২৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,




একটা সময়ের সমাজচিত্র ।

তবে এটা যে আগের কোনও পর্বের উত্তরসুরী তা বোঝা যায়নি কারন, পর্বের কথা উল্লেখ নেই কোথাও ।
উজানের হাওয়া কোন ঝড়ো হাওয়ার রূপ নেয় তারই অপেক্ষায় ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মান্যবরেষু ,

আমার নিজের ধারনায় মনে হয় উপন্যাসের পর্বগুলির পড়ুয়া ব্লগে বেশ কম। উপন্যাসের মন্থর গতি বোধহয় এর প্রধান কারন। বিষয়টি খেলার মাঠে টেস্টের মত মনে হয়। যে কারনে ছোট গল্প অত্যন্ত গতিশীল হওয়াতে পাঠক অনেক বেশি। আমার এই গল্পটি অনেকটা বড়। যে কারনে গতিশীল করতে পৃথক নামকরণ করে পোস্ট দেওয়ার চেস্টা করেছি। সেখানে মিনিমাম সাসপেন্স রেখে পরের পর্বের সঙ্গে লিংক রেখেছি। একারনে কেউ একটি পর্ব না পড়লেও গল্পটা ধরতে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে আমার ধারনা। বাকিটা আপনারা বলবেন। লেখক প পাঠকের মধ্যে চিন্তার স্বাধীনতা অবশ্যই কাম্য।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।

২৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প, খুব ভালো লাগল।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভাল আছেন প্রিয় প্রামানিকভাই।

আপনার গল্পটা চমৎকার লাগাতে আমি আনন্দ পেলাম। পেলাম অনুপ্রেরণাও।

আপনাকে বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল। ♥♥

৩০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৩

আরোগ্য বলেছেন: ভাল লাগল। আগামী পর্ব আগামী দিন শেষ করব।ইনশাআল্লাহ

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল সুপ্রিয় আরোগ্যভাই,

আপনার আগমন, পাঠ ও মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। সময় নিয়ে পরের অংশ পড়বেন জেনে খুশি হলাম। আমি আপনার অপেক্ষায় থাকবো।


বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন ।


৩১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

নজসু বলেছেন: উজান হাওয়ার পরের অংশে গমন করছি প্রিয়।
আপনার লেখায় চুম্বক আছে নাকি?
এতো টানছে কেন আমাকে?
মুকুল ঝর্ণা আমার কে?
ওদের জন্য বুকটা ব্যথা করছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয়,
আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে অনেক আনন্দ ও অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। গল্পের প্রধান চরিত্র আপনার কেউ নয় ঠিকই, তবে আপনার মধ্যে যে মনটি আছে সেখানে অনেক চাওয়া পাওয়ার চাহিদা থাকলে পাঠককে যে টানবে প্রিয়। পাঠক যদি নিজের সঙ্গে কেনও চরিত্রের একাত্ম ভাবতে পারে সেটা হবে গল্পকারের প্রধান পুরষ্কার। এমন পাঠকের সুন্দর কমেন্টের অপেক্ষায় বারে বারে অপেক্ষা করবো।


শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা আপনাকে ।


৩২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর গল্প। + +
উৎসর্গটাও ভাল লেগেছে।
রহিমাচাচিমাকে রহিমা চাচিমা কে করে দিলে মনে হয় ভাল হতো। তেমনি, তৌফিকসাহেবের, তৌফিকচাচা, হাবিবুরচাচা ইত্যাদি শব্দগুলোকে ভেঙে আলাদা করে লিখা যায়। প্রথম মন্তব্যে বোধ হয় এটাই বলতে চেয়েছিলেন। অবশ্য ২৭ নং প্রতিমন্তব্যে এসে দেখলাম, আপনি এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেটাও হয়তো সঠিক, কিন্তু আমরা এপার বাংলায় শব্দগুলোকে ভেঙে বসানো দেখতেই অভ্যস্ত।

০২ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

বরাবরের মতই আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ প্রায় দেড় বছর ধরে ব্লগে লেখালেখি করে এখন যেটা বুঝতে পেরেছি রহিমা চাচিকে পৃথক লেখাটাই শ্রেয়। এপারে লেখার ধরন ও ব্যাকরণ গত দিক মাথায় রেখে এতদিন আমি একসঙ্গে লিখে আসছিলাম। কিন্তু বিশেষ এলাকার কথ্য ভাষাকে গুরুত্ব দিতে নতুন লেখাতে সবকিছু পৃথকাকারে লিখবো বলেই স্থির করেছি।
কাজেই স্যার আপনার সাজেশন আমি মাথায় তুলে নিলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.