নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা ( পর্ব -৭ )

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১২



দ্বিতীয়বার বাড়ি থেকে ফেরার বেশ কয়েকদিন পরে রাতের খাবার খেয়ে সবে আমি ঘরে ফিরে এসেছি, এমন সময় বাইরে ঠকঠক শব্দ। দরজা খুলে দেখি রমেনদা দাঁড়িয়ে ।
-আরে! রমেনদা যে । এসো এসো, বলতেই রমেনদা ঘরে ঢুকলো ।
-মাস্টারদা ; অনেকদিন ধরে আপনার সঙ্গে একটু কথা বলব বলব ভাবছিলাম ।
- বেশতো! বলে ফেলো, বিনা সংকোচে ।
-আসলে আপনি কি মনে করেন কি না । আর সময়ও ঠিক তেমন হয়ে উঠছিল না ।
কিছুক্ষণ দুজনে চুপচাপ থাকলাম। আমার লক্ষ্য ছিল ওর মুখের দিকে। আমিই প্রথম নিরবতা ভঙ্গ করলাম ,
- কি চুপ করে আছো কেন? বল কি বলতে চাও? আমাকে এখনো চিনলে না যে তোমাকে এতটা সংকোচ করতে হচ্ছে ?
- আপনি মাঝখানে দেয়াল লিখন নিয়ে খুব খোঁজখবর নিচ্ছিলেন না?
- হ্যাঁ তা তো নিচ্ছিলাম; কিন্তু তোমরা তো কেউ কোন ক্লু দিতে পারলে না । তাই আমি শেষ পর্যন্ত ও সব প্রচেষ্টা ছেড়ে দিয়েছি। তো আজ হঠাৎ করে এ প্রসঙ্গে । কেন তুমি কি কিছু জানো ? কে লিখছে বা দেয়ালে কি লিখা আছে সে সম্পর্কে ?
- হ্যাঁ মাস্টারদা। আমি একটু জানি বৈকি। আর জানি বলেই আপনার কাছে এসেছি,
বলেই হঠাৎ রমেনদা আমার পা জড়িয়ে ধরলো ।
- আরে! আরে! হচ্ছেটা কি ? কি করছো ? কেন করছ এসব ?
-না না ! মাস্টারদা, আমি একটা মারাত্মক ভুল করে ফেলেছি । এখানে ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে আসে। তার মধ্যে ও সব লেখা উচিত হয়নি । সভাপতি মহাশয় শুনলে হয়তো আমার চাকরিটা চলে যেতে পারে। আপনি বিষয়টি আর কাউকে বলবেন না, প্লিজ ।
-ঠিক আছে । তা না হয় হবে। আমি কাউকে কিছু বলবো না । কিন্তু তুমি যদি ইতিপূর্বে কাউকে কিছু না বলে থাকো তাহলে তো আমার না বলাটা কোন ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে না ।
- হ্যাঁ দাদা, সে দিক দিয়ে এক প্রকার যেটা কেউ জানে না নিশ্চিন্ত থাকুন । বিষয়টি আপনি ছাড়া কেউ জানে না । লেখাগুলি সাদরি ভাষায়। উদ্দেশ্য ছিল একজন ছাড়া আর কেউ যাতে না পড়তে পারে । আপনি যেগুলিকে দেওয়ালে দেখেছেন ......... যেমন ,

১- ঘাড়ে হামার দুইটা ছায়া ,
রেহেলা নানীকে সঙ্গে ।
ডায়রিয়ায় মাই মরবাহই/ মহরগেহেই,
হাসে গিরগেহি অথৈ পানি কাই ।

" বাড়িতে আমার দুইটি পোলা ,
থাকে দাদীর/নানির কাছে ।
ডায়রিয়ায় মা মরেছে ,
আমি পড়েছি অথৈ জলে ।

২- দশ বিঘে ভূঁইয়া হায়ে ,
কিন্তু সব পাথর ভূঁইয়া হ্যাকাই ।
পানি নেই হয়লা ,
সবাই রাস্তায় ব্রেস গেলি হাই ।।

" দশ বিঘে জমি আছে,
কিন্তু সব পাথুরে ।
বৃষ্টি না হয়ে খরাতে ,
পড়েছি সবাই পথে ।

৩-চাষাবাদ কোন হই নেখাই ,
চাইর পাশে হাহাকার ।
না খাই কেই দিন কাটেলা,
পা- হি হামানি এই জীবনে ।

" চাষবাস কিছুই নাই,
হাহা কার চারদিকে।
অনাহার- ই জীবনসঙ্গী ,
পেয়েছি আমরা এই জীবনে ।"

৪ - ঝরনা হাই এ অনেক দূরে ,
সেহেটাই হাম নিকের সব ।
শীত বর্ষা শরতে খিলনা সেই পানি ,
গরমকালে ঝরনা দেইলা শুকায় ,
বহুদূরের কুয়ো যেইলা হাপাই।

" বহু দূরের ঝর্ণা ,
সেটিই আমাদের সম্বল।
শীত বর্ষা শরৎ এ পান করি সেই জল ।
গ্রীষ্মকালে ঝরনা যায় যখন শুকিয়ে,
বহু দূরের কুয়োতে যেতে হয় হাঁপিয়ে ।"

৫ - শরৎকাল এক বিহানে,
যেই দিন প্রথম দেখলি ,
মনের অজানা কাই কে হিলি ,
জ্যান তোকে পাই গেলি ।

"শরতের এক প্রভাতে ,
যেদিন প্রথম দেখি ,
মনের অজান্তে বলি,
যেন তোমাকে পেয়ে গেছি । "

৬- তোর ঘরে কে কে হান / হাথুন ,
জানাস লাগা যাই ।
এই কলে আওয়াটা যে কষ্টের ,
সেআইডা যদি হানকে জানা জানাটিস ।

" তোমার বাড়ি কে কে আছে ?
সেটা যদি জানতে ।
এখানে আসাটা যে বেদনার,
সেটি যদি মোকে জানাতে । "

৭ - সেইবার ঘরে যাইকে ,
গির গই বিপদ কাই ।
কাবান আই কে ভাসাই ,
গেরামকে সবাই।
পাঁচ দিন চাইর রাত ,
রাহালী গাছে ডালে।
ছয় দিনে সাহায্য আলেই,
হামনিকে র গেরামে ।
ছুয়া দুইটা না খাই কে ,
মরেক রকম হয়ে গেলাম ,
শহরকে মানকে চুরা গুরে ,
প্রাণ যেন ঘুর কে পালাই ।

" সেবার দেশে গিয়ে/ পড়লাম বিপদে,
হড়কা বানে ভেসে গেল / গ্রামবাসী সকলে,
পাঁচদিন চাররাত / থাকলাম গাছের ডালেতে।
ছয়দিনে ত্রাণ এল / আমাদের গ্রামেতে।
ছেলেদুটো অনাহারে/ মৃতপ্রায় হয়ে ,
শহরবাসীর চিড় - গুড়ে/ প্রাণটি যেন পেল ফিরে ।

৮- নেই জানিলা কালে তোই ,
জবাব নেই দেই সলা হামকে ।
তোর দিকে তাকাই রি হিলা ,
লিখা না হলেও আকার ইঙ্গিতে ।

" জনি না কেনো তুমি,
উত্তর দাও না মুখে ,
তোমার পানে চেয়ে থাকি,
লেখাতে না হলেও আকারে-ইঙ্গিতে ।"

মেদিনীপুর - ওড়িশা সীমান্তের একটি প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম নখন্ডি । চারিদিকে শাল পিয়ালের জঙ্গল; আর আছে মাইলের পর মাইল ফাঁকা জমি। কিন্তু সবই প্রায় কাঁকুরে এবং রাঙ্গামাটিতে মোড়া । বৃষ্টিপাত খুবই কম । যা সামান্য ফসলি জমি আছে তা দূর থেকে ঝর্নার জলে সামান্য ফসল হয় বৈকি। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য। সভ্যতার আলো সে অর্থে এলাকায় প্রবেশ করেনি । তার মধ্যে মহুয়া ফলের নির্যাস থেকে তৈরি দেশীয় পানিও বা মদ এলাকাবাসীর অত্যন্ত প্রিয় । দু-বেলা পেটে ভাত না জুটলেও আত্মভোলা মানুষগুলোর পেটে একটু মদ পড়লে সারাদিন যেন আর কোন চাহিদা থাকে না । সংসারের ব্যাপারে এহেন সমাজের পুরুষরা অনেকটাই উদাসীন । সেখানে মহিলারা জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করে সপ্তাহে একদিন বহুদূরে হাটে যায় বিক্রি করতে যা সংসার নির্বাহের কাজে ব্যয় হয়। পুরুষরা দলবেঁধে বছরের একটা সময় জঙ্গলে যায় পশু শিকার করতে। বর্তমান কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে অধিবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ফলে আদিবাসী সমাজের চিরাচরিত পশু শিকার চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে । সরকার যদিও বিভিন্ন পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন ব্লক কর্মসূচি নিয়ে বিকল্প রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করেছে। তবুও তার সুফল যে আদিবাসী সমাজে সেই অর্থে পৌঁছাতে পারেনি সে কথা বলা বাহুল্য।


যাইহোক রমেনদার কাছ থেকে দেওয়াল লিখন উদ্ধারের পর এবার আমি জিজ্ঞাসা করলাম,
- আচ্ছা দাদা , তোমার ওই দেওয়াল কথনে সমাজ সচেতনতা , অসহায়তার পাশাপাশি একটি গভীর প্রেমের আখ্যান ফুটে উঠেছে । আমাকে যখন এতটা বিশ্বাস করলে তাহলে তোমার এই প্রেমের দেবী কে? সেটা জানতে প্রবল ইচ্ছে হচ্ছে ।
- হ্যাঁ দাদা, এটা নিয়ে আপনার সঙ্গে আমার আলোচনা করা আমার আরেকটি উদ্দেশ্য । যেখানে আপনি আমার বেশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ।
- আমি ! আমি তোমার সমস্যার কারন? কি বলতে চাও তুমি?

কৃতজ্ঞতা স্বীকার : সাদরি ভাষায় ছড়া বা কবিতা গুলিকে অনুবাদ কাজে সহযোগিতা করেছেন আমার সহকর্মী শ্রীমতি মালা মুন্ডা ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য -১, কৌশলী ভাষার গ্রাম্য কবি হলধর নাগ এর পূর্ব জীবন অবলম্বনে আজকের পর্বটি রচিত । যিনি পরে 'কবিরত্ন' উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। অথচ প্রথম জীবনে একটি গ্রাম্য স্কুলে তিনি তার প্রেমিকাকে উদ্দেশ্য করে দেওয়ালে এমনই কিছু প্রেমের কাহিনী লিখে রাখতেন ।
২ - দু-চারটি লাইনের ছড়াকারের আজকের বিশেষ পর্বটি ব্লগে আমার আরেক ছোট ভাই আরোগ্যকে উপহার দিলাম। নভেম্বর ভাইয়ের জন্ম মাস। অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

চলবে...........

মন্তব্য ১০৪ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (১০৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



প্রচুর ঘুম পাচ্ছে তাই এখন আর পড়া হল না। কাল পড়ব তারপর মন্তব্য করব। এখন শুধু হাজিরা দিয়ে গেলাম দাদার বাড়ীতে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্য মনে আলাদা ভালো লাগা ,আলাদা অনুভূতি । প্রথমেই আপনাকে পেয়ে আনন্দিত হলাম। তবে গতকাল পোস্টটি সম্পূর্ণ করতে অনেক রাত হয়ে গেছিল । কাজেই প্রচন্ড ঘুমের মধ্যেও আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত। যদি সময় পান তাহলে আজ পোস্টটি পড়বেন এবং কমেন্ট করবেন আশা করি ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৪

ওমেরা বলেছেন: এ পর্বটা তেমন বুঝতে পারলাম না।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার বুঝতে না পারার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত । কিন্তু দেওয়াল লিখন বলে তৃতীয় পর্বে / চতুর্থ পর্বে যে বিষয়টা সামনে এসেছিল আজকে সেই রহস্য উদঘাটিত হলো । একটা পিছিয়ে পড়া সমাজের আর্থ -সামাজিক অবস্থা, নিজস্ব বেদনাবিধুর দেওয়ালে সন্নিবিষ্ট হয়েছে। যদিও একজনকে উদ্দেশ্য করে লেখক এর এমন সৃষ্টি। অবশ্য যাকে উদ্দেশ্য করে লেখেছেন সে নামটি
আজ সামনে আসেনি । আগামীতে আবার ওই বিষয়টি সামনে আসবে ।

কবিতা/ ছড়া গুলো পড়লে আপনি ঐ সমাজের দুর্দশার কথা কিছুটা অনুমান করতে পারবেন আশা করি ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১০

জাহিদ অনিক বলেছেন:

মাঝখানের দীর্ঘ আট স্তবকের কঠিন কিংবা ভিন্নভাষার কবিতা পাঠোদ্ধার করা আমার কম্ম নয়। আপনি বলে দিয়ে ভালো করেছেন। এক ভাগ্যহত মানুষের চিঠি অন্য আরেকজনের জন্য।
সেই বিশেষ একজনের কথা আগামী পর্ব, সেই আশায় রইলাম।

শুভ রাত্রি

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই ,

আপনি গুণী মানুষ , সেটা মুখে আলাদা করে বলার অবকাশ থাকে না যে আপনার কল্পনাশক্তি অত্যন্ত প্রবল । তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আদিবাসীদের মুখের ভাষা এখনো সেই অর্থে স্বরাজ্য স্বীকৃতি পায়নি । Sadri হলো এরকম একটি আদিবাসী ভাষা, মূলত দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর , বীরভুম, বাঁকুড়া, জঙ্গলমহলের এক বিস্তীর্ণ এলাকার আদিবাসী বোদায় মানুষেরা এই ভাষাতে কথা বলেন । যদিও আঞ্চলিকতা ভেদে সামান্য রকমফের আছে। সাদরি ভাষা আদিবাসী সমাজের একটি জনপ্রিয় কথ্য ভাষা।

আমার সহকর্মী শ্রীমতি মালা মুন্ডা এ ব্যাপারে আমাকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমি শ্রীমতী মুন্ডার কাছে ঋণী।

শুভকামনা ও ভালবাসা প্রিয় কবি ভাইকে।



৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২২

আরোগ্য বলেছেন: শোবার আগে অফলাইনে একটু ব্লগ দেখতে এলাম।।
কিন্তু কিছু করার নেই, মরীচিকা যেহেতু পড়েই ঘুমাতে হবে।

পড়েতো আমি রীতিমত অবাক। আমার বিশ্বাস সবাই অবাক হবে। প্রিয় পদাতিক ভাইতো কবিতা লিখে গেছেন। ভাই এভাবেই লিখতে থাকুন, কয়েকবার লিখলে বিজনদার সেরা লিস্টে, ইনশাআল্লাহ।

জন্মদিনে যত উপহার পাই,, এটাই সবচেয়ে সেরা। এতে প্রিয় ভাইটির ভালোবাসা আছে। যেখানে শুধু দুই লাইন চেয়েছিলাম সেখানে দীর্ঘ ছিয়াত্তুর লাইন পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। অন্য কেউ কি বলবে আমি জানিনা তবে এটি আমার অনেক বড় অর্জন। আসলে অনেক কিছু লিখতে চাচ্ছি কিন্তু আবেগ প্রকাশের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

খুব দোয়া রইলো প্রিয় ভাই ও তার পরিবার পরিজনের জন্য। সবসময় হাসিখুশি থাকুন, আরোগ্য থাকুন।

পোস্ট প্রিয়তে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আরোগ্য ভাই ,

অত রাতে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত । কিন্তু আমিও কালকে বেশ চাপে ছিলাম। ঠিক করেছিলাম পোস্টটি কমপ্লিট করে শুতে যাব । এ কারণে অত রাত বলে আপনাদের কোন প্রতি মন্তব্য করে যেতে পারিনি।কবিতা আমি লিখতে পারি না । সারাদিন ভেবে বসলেও একটি কবিতা আসে না। যে কারণে চেষ্টা করি না। আপনি খুব করে ধরলেন কিনা তাই একটু আর কি। জন্মদিনের এটি যে সেরা

জন্মদিনে এটা যে সেরা উপহার হতে পারল - এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আর লাইন গুলি আপনি বলেছেন ও গুনেছেন দীর্ঘ 76 লাইন হয়ে গেছে , তো আমি তো কল্পনাও করতে পারেনি। হা হা হা হা। লিখতে থাকুন আপনার লেখার অত্যন্ত ভালো এলোমেলো ভাবনা গুলোকে সাজান, দেখবেন কবিতার পাশাপাশি বেশ সুন্দর গল্প তৈরি হয়ে যাবে।

পোস্টটি প্রিয়তে নেওয়াতে ও লাইক করাতে অনেক অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় ভাই কে।

আপনার আন্তরিক দোয়াতে মুগ্ধ হলাম । আপনাকেও আমার অন্তরের ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল ।


৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

ছোট কবিতাগুলোতে মানুষ জীবনের কাহিনী আছে

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে , ছোট্ট কথায় মর্ম কথাটি তুলে ধরার জন্য ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:১৮

বাকপ্রবাস বলেছেন: কাব্যগুলো দারুণ ছিল

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় প্রবাসী ভাইকে। কাব্য গুলি ভালো লাগাতে খুশি হলাম ।

শুভকামনা ও ভালবাসা রইল।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গ্রামীন কবির কব্তিা ভালো লেগেছে, দাদা। কবিকে শুভেচ্ছ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই সকাল সকাল আপনাকে পেয়ে খুশি হলাম। আপনার শরীর এখন কেমন আছে ? আমার আগের পোস্টটিও আপনার দেখা র অনুরোধ রইল। গ্রামীন কবির বা আদিবাসী কবির কবিতা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

মীর সাজ্জাদ বলেছেন: কঠিন কবিতাগুলো পড়তেই ভালো লাগে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসলে ঠিক কঠিন নয়, আদিবাসী ভাষা সাদরি তে লেখা। যেগুলো পরপরই বাংলাতে অনুবাদ করা আছে। আর একবার যদি পড়েন আশা করি বুঝতে অসুবিধা হবে না।

শুভকামনা ও ভালোবাসা মীর সাজ্জাদ ভাই কে ।

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ছড়াগুলো অর্থবহ ছিল।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল দাদা । ছড়াগুলো অর্থবহ মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। . পোস্টটিকে লাইক করার অনুপ্রেরনা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।


কামনা ও ভালোবাসা রইলো।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভাইয়া আপনি তো শেষের কবিতার মতো উপন্যাসে কবিতাও প্রবেশ করে দিলেন। ভালো ।।।


আপনার লেখা মুগ্ধ করলো

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মামুন ভাই,

আজকের পর্বটি আপনার কাছে শেষের কবিতার মত মনে হওয়াই দারুন আনন্দিত হলাম । কিন্তু বিষয়টা একটু আসমান জমিন এর পার্থক্য হয়ে গেল । যুব আপনার আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধতা । আগামীতেও এমন মন্তব্য অপেক্ষায় থাকবো। আপনার মুগ্ধতায় আমি পুলকিত হলাম ।

অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: কাহানী জটিল হচ্ছে.......তবে অসুবিধা নেই। ভিলেন তো থাকবেই তাই বলে কি কেউ প্রেমিক হবে না - ইন্সপেক্টর শুভ!
সো নো প্রবলেম! গো অন..............
দারুন লাগছে, মাইরী বলছি, ফিনিস যা হবে না.........
শুভ কামনা রইল!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীলআকা ভাই ,

" কাহিনী জটিল হচ্ছে ......... তবে অসুবিধা নেই । ভিলেন তো থাকবেই তাই বলে কি কেউ প্রেমিক হবে না- ইনস্পেক্টর শুভ ! " হাহাহাহাহা। আপনার দারুন লাগছে,জেনে আনন্দিত হলাম । সঙ্গে মাইরি বলাতে বুঝলাম আপনি কতটা আন্তরিক। ফিনিশ একদিন হবে, একটু বড় হচ্ছে এই আর কি।

শুভকামনা গ্রহন করলাম। আপনার জন্য রইল আমার অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা নখন্ডি মানে কি? হিজড়া?
দাদা যদি বেঁচে থাকি একদিনের জন্য হলেও নিখন্ডি যাব।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসলে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্য স্থানটির সঠিক নাম-ঠিকানা আমি ব্যবহার করে নি । যে নামটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক । অর্থটি অজানা। দুই মেদিনীপুর পুরুলিয়া বাঁকুড়ার পশ্চিমাংশ ঝাড়খন্ড, দক্ষিণ বিহার এর বিস্তীর্ণ এলাকায় এবং উড়িষ্যার কালাহান্দি গেলেই এই চিত্র দেখতে পাওয়া যাবে। রাজনৈতিক নেতারা অবশ্য তাদের অবর্ণনীয় দুর্দশার কথা অস্বীকার করেন এতে তাদের আঁতে ঘা লাগে।

শুভকামনা ছোট ভাইকে।

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখা সুন্দর হয়েছে।
পড়তে ভালো লাগে।
ছড়া গুলো বেশ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইতো ! আমার ভাইয়ের দ্বিতীয় মন্তব্যে আরো খুশি হলাম ।। পড়তে ভালো লেগেছে ও ছড়াগুলি ভালো হয়েছে জেনে আনন্দিত হলাম ।

নিরন্তর শুভকামনা প্রিয় ভাইকে।

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

করুণাধারা বলেছেন: কবিতার আকর্ষণ এই পর্বে আমার কাছে গল্পের চেয়ে বেশি মনে হয়েছে! কবিতাগুলো একদম অন্যরকম! এমন ছোট ছোট কবিতা কোথায় পড়েছিলাম আমার মনে নাই; সেগূলোও অনূদিত কবিতা ছিল; একটা মনে আছে:
      
                               "আমার নিজের অবস্থা কি
                                আমি নিজেই জানিনা।
                                অন্যের কাছে শুনেছি
                                আমি বিচলিত!

এতদিন গল্প এক ভাবে আগাচ্ছিল, এখন তাতে নতুন মোড় এল। দেখি, রমেনদা আর কি বলে!

এই পর্ব মনে হল খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল, অতএব পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুকে কমেন্টে পেয়ে খুশি হলাম । ঠিকই ধরেছেন এই পর্বে গল্পের চেয়ে কবিতার আকর্ষণ একটু বেশি । আমি সেটাই চেষ্টা করেছি তুলে ধরতে । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দুটি পর্ব আগে যে দেওয়াল লিখন পড়েছিলেন সেই দেওয়াল লিখনের রহস্য উদঘাটন করাই এই পর্বের মূল উদ্দেশ্য। সাথে সাথে আপনার শেয়ার করা অনুদিত কাব্যটির অসাধারণ লাগলো। হ্যাঁ এতদিন এক ভাবে গল্প আঘাত ছিল গল্পের বুনন টি মোটামুটি পরিপূর্ণতা পেয়েছে এবার সে গুলোকে আস্তে আস্তে গুটিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে আসাই উদ্দেশ্য । এখানেই দরকার মুন্সিয়ানা সেটা কতটা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারবো সেটাই সন্দেহের । এক্ষেত্রে আপনাদের ঐকান্তিক সহযোগিতা আমার একমাত্র পাথেয়।

এই পর্ব তাতে শেষ হলো অতএব পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দরকার - হা হা হা। ঠিক আছে আপু তাই হবে খুব শিগগিরই পরবর্তী পর্ব পোস্ট করব ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে ।।


১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রাকু হাসান বলেছেন:


ছড়াগুলো সত্যিই চমৎকার লাগলো । দেয়াল লিখনের রহস্যের উত্তর পেলাম আজ । অনেক ঘুরালে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে । কবে রমেন দা লিখবে এটা একবােরে জন্যও ভাবনায় আসেনি । চলুক পর্ব....

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইতো !! এতক্ষণ পরে আমার ছোট ভাইকে পেলাম, আর মনটা খুশিতে ভরে গেল। সারাদিনে বোধ হয় প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলে ছুটির দিনে। ছড়াগুলি তোমার চমৎকার লাগায় দেওয়াল লিখনের রহস্য উদঘাটন হয় তোমার ভালো লাগাতে আমিও আনন্দ পেলাম। তাহলে রসায়ন টা ধরতে পেরেছে , দেওয়াল লিখন রহস্যের প্রশ্নের উত্তর দিতে তোমাদের অনেকটা ঘোরালাম, হা হা হা।তবে রমেন দা যে দেওয়ার লিখবে, এটা তোমার কল্পনা ছিল না। কি আর করা যাবে, সব সময় যে চিন্তা মিলে না। অন্য একদিন নিশ্চয়ই মিলবে । সে দিন না হয় আমরা দুই ভাই বেশ আনন্দ করবো।


শুভকামনা ও ভালোবাসা আমার প্রিয় ছোট্ট ভাইটিকে ।


১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

রাকু হাসান বলেছেন:


আরোগ্য ভাই কিছুটা নতুন হলেও নবীন -প্রবীনের আর্শীবাদ পেয়ে যাচ্ছেন । বিষয়টা ভালো লাগে আমার । অভিনন্দন আরোগ্য ভাই :)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ছোট রাখু,

জীবনে চলতে গেলে এমন কিছু মানুষ পাওয়া যায় , যাদের নিজস্ব একটা ক্যারিশমা থাকে। যার ফলে তারা খুব সহজেই অন্যকে আপন করে নিতে পারে। এই মহৎ গুণ সবারই থাকে না ,সামনে বললে হয়ত আমার অস্বস্তি লাগতে পারে, ব্লগে আমার ছোট্ট ভাই রাকু যেমন, আর ঠিক ততটাই প্রিয় আরেকজন ছোট ভাই আরোগ্য । তোমরা তো নিজস্ব প্রতিভা বলে ইতিমধ্যে ব্লগে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্লগারের মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছ। তোমাদের ছোট ছোট কথাগুলি এতটা শ্রুতি মধুর ,এতটা মায়াবী ,এতটা আন্তরিক যে কথাগুলো যেন বারবার অন্তর ছুঁয়ে যায়। তাই অল্প দিন হলেও তোমরা বহু জনের হৃদয়ে স্থান করতে পেরেছে।

ব্লগের এই মিথস্ক্রিয়া বয়ে চলুক। শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালবাসা জানবে।


১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
রমেনদার প্রতিদ্বন্দী!!!!!!!!!!! ;)

ভুল বোঝাবুঝি? না বিস্ময়কর কিছু? সাসপেন্সেই রইলাম :)

শুক্রবার বন্ধের দিনতো। কাজ আরো বেশি। সারাদিন শেষে এখন বসেই দেখি ভ্যাক ব্যাঞ্চার হয়ে গেছি !
দাদার বাড়ী ! আগে আর পরে- নিজের মতো করেই আসা যাওয়া :)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই ,

দিনের শেষ হলেও আপনাকে যে দেখা পেলাম এতেই মনটা শান্তিতে ভরে গেল । আর ব্যাক বেঞ্চার রাই ক্লাসে শিক্ষকের পড়ানোর মূল্যায়নের সবচেয়ে বড় বিচারক। এদিক থেকে আপনার মূল্যায়ন আমার সবচেয়ে বড় কাঙ্খিত বিষয়। শুক্রবার ছুটির দিন, প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলেন , তবুও যে সময় করে বসতে পেরেছেন এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।

পোস্ট প্রসঙ্গে , ভুল বোঝাবুঝি বা সাসপেন্স একটু রয়ে গেল। আগামী পর্বে এ বিষয়টি উন্মুক্ত হবে। আর দাদার বাড়িতে আপনার 24 ঘন্টা এন্ট্রি ফি। হা হা হা।. পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন ।


১৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

জুন বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী,
কবিতা অর্থাৎ দেয়াল লিপিতে আদিবাসীদের চিরাচরিত দুঃখের কথাই উঠে এসেছে যা মনে দাগ কাটে বরাবরের মতই । এত কৃপনতা লেখায় /:)
আর রমেনদা কেঠা !! সে কি সেই ডাইনিং রুমের রমেন নাকি :-*
ডাইনিং রুম থেকে আর বের হতে পারলেন না দেখছি #:-S
=p~

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু , আগে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে আপনার শরীর কেমন আছে?? মন থেকে বলছি যে পোস্টটি যখন লিখতে বসি তখন আপনার কথা মনে হচ্ছিল যে আপু আদৌ পোস্ট পড়তে পারবেন কিনা। অথচ আমার হিসেবে উল্টে দিয়ে আপনি টাটকা টাটকা পোস্টটি পড়ে ফেললেন । ফলো তো এত আনন্দ পেয়েছি যে বলে বোঝাতে পারবো না।

পোস্ট প্রসঙ্গে , হ্যাঁ আপু দেওয়াল লিখনে আদিবাসীদের চিরাচরিত দুঃখের কথাই উঠে এসেছে যা মনে দাগ কাটে বরাবরের মত ই। তবে লেখককে কৃপণ বলাতে মুগ্ধ হলাম। অস্বীকার করব না যে আপু বড়লেখা দিলে বহু পাঠক বিরক্ত হয় । কেন জানি আমার মাথার মধ্যে সারাক্ষণ পাঠকের বিরক্ত ভাবটা কাজ করে । হয়তো নাও হতে পারে অথচ আমি সেই দুর্বল ও তার মধ্যে পড়ে আছি


রামেনদা প্রসঙ্গে বলি , ঠিকই বলেছেন ইনি ডাইনিং রুমের রমেন দা। অস্বীকার করব না আপু ,সারাদিন যে কাজ করি না কেন খাবার জন্য অন্তত দিনে দুবার ডাইনিং রুমে যেতেই হবে নতুবা মারা পড়বো ,গল্পই হবেনা । তবে আমি যদি কখনো আমার আপু মনির বাড়িতে যাই তবে অবশ্যই ডাইনিং রুম মুখো হব না, কথা দিলাম। হা হা হা।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপু মনিকে।

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৬

আরোগ্য বলেছেন: রাকু হাসান বলেছেন:
আরোগ্য ভাই কিছুটা নতুন হলেও
নবীন -প্রবীনের আর্শীবাদ
পেয়ে যাচ্ছেন । বিষয়টা ভালো লাগে আমার
। অভিনন্দন আরোগ্য ভাই।

ধন্যবাদ প্রিয় রাকু ভাই।

পদাতিক ভাই ও রাকু ভাইয়ের অনুপ্রেরণাতেই প্রথম পাতায় আসা সহজ হয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা ও ভালেবাসাতেই এগিয়ে যাচ্ছি। পোস্ট দিয়ে শুরু দুই ভাইয়ের মন্তব্য প্রথমে পাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকি।

রাকু ভাই আমি কিন্তু নিজেকে নতুন মনে করি না। আমি আপনার প্রথম পাতার আগমনের পোস্টে মন্তব্য করেছি, হা হা হা।

পদাতিক ভাই আপনার ও সেই পোস্ট এর লিংক চাই। অভিনন্দন জানাবো।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার আর এক ছোট ভাইকে আবার কমেন্টে পেয়ে আরো আনন্দিত হলাম। এবার দুই ছোট ভাই এর কোলাকুলিতে আমি মুগ্ধ। প্রথম পাতায় মাননীয় মডুরা যে কোন ব্লগারের সদর্থক ব্লগিং বিচার করেই সেভ স্ট্যাটাসে উন্নীত করেন। আমরা নবীন প্রবীণ অনেকেই নবীনদের ব্লগারদের উৎসাহিত করেন । আমি নিজেও এমন প্রবীনদের কাছ থেকে এমন উৎসাহিত হয়েছি এবং প্রথম প্রধান সেভ হয়ে ছিলাম। কাজেই নবীন-প্রবীণের এই মিথস্ক্রিয়া ব্লগিংয়ের সম্পদ, আমরা তা মেনটেন করবো সযতনে।

দুই ছোট ভাইকে আবার আমার অন্তরের ভালোবাসা এবং শুভ কামনা জানাই।

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কিরে পদাতিক মাস্টার! কী খবর??:P



দাদা? ভাইয়া? ভালো মানুষ?
আমি একটু ব্যস্ত ছিলাম, পোস্ট পড়লেও মন্তব্য করা হচ্ছে না। আপনার আগের পোস্টগুলো পড়েছি।

পোস্ট চলবে, চলুক।
এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলতো?

(পুনশ্চ: প্রথম লাইনের জন্য অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী। তিনবার ট্রাই করে মন্তব্য করলাম। ওটা লেখার জন্য হাতটা কেমন নিশপিশ করছিল...:()

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক অনেক দিন পরে আমি আমার পুরনো বন্ধুকে আবার পেলাম। মাঝে তো ঠিক করেছিলাম হিমালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো করবো বন্ধুর খোঁজে । যাক তাহলে আপাতত সে প্রচেষ্টার দরকার নেই।

স্কুল থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত আমি আড্ডা মারতে পারতাম না । তবে কেউ আড্ডা মারলে বেশ এনজয় করতাম । পাশ থেকে উপভোগ করতাম। ব্লগেও দেখি মন্ডল ভাই আড্ডা মারলে আমি খুব এনজয় করি । বিভিন্ন পেজে গিয়ে দেখতে ভালো লাগে তো সেই মন্ডল ভাই যদি একটু কিছু বলে থাকে সেটাই তো আমি তো জানব যে আমি তার অন্তরে প্রবেশ করতে পেরেছি । এর জন্য আবার হেজিটেশন কেন? প্রথমেই আমার একটি লাইনের জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দ পেলাম। বরং এমন মিথস্ক্রিয়া আগামীতে চললে সেটা আমার পক্ষে বেশ উপভোগ্য হবে বৈকি।

আপনার ব্যস্ততার অবসান ঘটেছে আশা করি । বহুদিন ই আপনার কোন কমেন্ট দেখতে পাচ্ছি না। যেমন মিস করছি আমি নিজেও। আর আগের পোস্ট গুলো পড়েছেন শুনে খুশি হলাম। তবে যায় যাক যা গেছে গেছে আগামীতে যেন কোন পোস্ট এ কমেন্ট থেকে বঞ্চিত না হই সে আশা করি।

তবে আমরা দাদা- ভাইয়া কিন্তু নেহাত মন্দ মানুষ নই । একটু কামড়ে দেওয়া র স্বভাব অবশ্য আছে এই যা।

আপনার পরামর্শ পেয়ে আমি পর্ব গুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাব আপনার কথাতে বলি , এই পথ যদি না শেষ হয়......
পুনশ্চ :- প্রথম লাইনের জন্য আমি শ্লাঘা বোধ করছি ....


অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।


২১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আজকে কিন্তু লাইক দিতে ভুলিনি!!!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা , আজ যেহেতু লাইক পেয়েছি সেজন্যে আর মোরগ ডাকিয়ে ছাড়বো না, খাসি মোরগ অথবা মাটন বিরিয়ানি দিয়েই মন্ডল ভাইকে আপ্যায়ন করব । হি হি হি হি হি......


শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

২২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: যাক দেয়াল লিখনের রহস্য শেষে খুলল। আমারো কেন যেন মনে হচ্ছিল এগুলো সামাজিক অনাচারের বিষয়েই হবে। দেয়াল লিখনে বেশিরভাগ সময়ই মানুষের ক্ষোভ, হতাশা বা যন্ত্রনার কথাই লেখা থাকে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই ,

আপনার অনুমান অনেকটাই সঠিক, যে দেওয়াল লিখনে অনেকটা সামাজিক অনাচারের প্রতিফলন ঘটেছে । তবে সেখানে প্রকৃতি প্রগতি দেবীর রোষানলের দিকটি স্পষ্ট । পাশাপাশি লেখকের মনের রোমান্টিকতার কিছু প্রমাণ দেয়াল লিখনে প্রস্ফুটিত হয়েছে।


শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ভাইকে ।

২৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্বটিও পড়ে ফেললাম। অনেক সুন্দর সেটিং গল্পটিতে টুইষ্টি চমক রেখেছে। জানবার কৌতহল অজানাকে আরো সামনে ধরে তুলে। সাথেই আছি আগামী পর্বে হয়তো এই মোড়ের জটলাটা খুলবে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুর ভাই ,

সুন্দর মন্তব্যে পুলকিত হলাম বিষয়টি যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যাতে অনুপ্রেরণা পেলাম। সাথে আছেন আগামী তো থাকবেন জেনে আনন্দিত । ধন্যবাদ আপনাকে।।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬

নীলপরি বলেছেন: গল্পটা ক্রমেই ইন্টারেস্টিং হয়ে উঠছে । ছড়াগুলোও ভালো লাগলো । ++
শুভকামনা

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুকে কমেন্টে পেয়ে খুশি হলাম। আপনার কাছে গল্পটি ক্রমশ ইন্টারেস্টিং মনে হওয়াতে আমিও আনন্দিত । ছড়াগুলো ভালো লেগেছে ,পোস্টে লাইক ও সঙ্গে এতগুলো প্লাস পেয়ে আমি মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত । কৃতজ্ঞতা জানাই আপু আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুমনিকে ।





২৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: চলতে থাকুক!

ভাই, আপনাকে মাস্টারদা বলে সম্বোধন করা হত?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তাজুল ভাই ,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । গল্পে অবশ্য বক্তাকে মাস্টারদা বলেই সম্বোধন করছে দেখছি ,হা হা হা হা। তবে পুরীতে গিয়ে আমি কিন্তু লিঙ্ক পেনের সেলসম্যান পরিচয় দিয়ে পান্ডা এবং গাড়ির সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলাম। হা হা হা হা।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:


সেই দেবী হলো মা----তী, আর কিছু বলতে চাই না।

গল্প চলতে থাকুক।

ভাল থাকবেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইতো কতদিন পরে প্রিয় ভাইকে পেলাম । ঠিকই ধরেছেন সেই দেবী হল মা.....তী । ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালবাসা জানবেন ।

২৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: হা হা হা হা
:) :) :)
=p~ =p~ =p~ =p~

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার কমেন্টে করাতে অত্যন্ত আনন্দ পেলাম প্রিয় তাজুল ভাই । তবে আমারও উত্তর একই হা হা হা হা হা।


শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা জানবেন।

২৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে, মিলিদি'কে নিয়েই একটা কিছু পাকানো হচ্ছে।

ভালো লাগল।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

ভালো থাকবেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা একদিনে 3/4 টি পর্ব পড়ে ক্লু ধরতে পারলেন। তবে কনফার্ম কিনা জানতে পরের পর্বের জন্য ওয়েট করতে হবে। আপনি ভয় পাব অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম।

শুভকামনা ও ভালবাসা জানবেন ।

২৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকারভাবে ই না লেখার সাথে হলধর নাগ এর পূর্ব জীবন কে এই পর্বে সংমিশ্রণ করলেন !! দারুণ ! অনেক অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই তথ্য টুকু ও ভালোলাগলো-

কৌশলী ভাষার গ্রাম্য কবি হলধর নাগ এর পূর্ব জীবন অবলম্বনে আজকের পর্বটি রচিত । যিনি পরে 'কবি রত্ন' উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। অথচ প্রথম জীবনে একটি গ্রাম্য স্কুলে তিনি তার প্রেমিকাকে উদ্দেশ্য করে দেওয়ালে এমনই কিছু প্রেমের কাহিনী লিখে রাখতেন

আপনার সহকর্মী শ্রীমতী মালা মুন্ডা দিদি কে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের জন্য চমৎকার অনুবাদ সহায়তায়।


আপনার জন্য রইলো প্রাণঢালা অভিবাদন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু মনি,।

কবি হলধর নাগের জীবনকে গল্পের মধ্যে সংমিশ্রণ করাটা আপনার চমৎকার লাগাতে আমি অনুপ্রাণিত হলাম । এমন আন্তরিক মন্তব্যে আমি অভিভূত। আপনার ভালো লাগা আমার আগামীর পথ চলার দিশারী।

সহকর্মী মালা মুন্ডা কে ধন্যবাদ জানানোর জন্য আমি আনন্দিত । অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার কমেন্ট মানে আমার কাছে অক্সিজেন স্বরূপ । পোষ্টটিতে লাইক করাতে অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা নেবেন আপু।


আপনার প্রাণ ভরা ভালবাসায় আমি বিমোহিত। আপনার জন্য রইল আমার অনিঃশেষ শুভকামনা ও বিমুগ্ধতা।


৩০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৮

বলেছেন: মেধাবী সাহিত্যজন ----অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিসকে ভাষার, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানের এবং ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করিয়া তোলাই সাহিত্যের কাজ


অনেক সুন্দর

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ল ভাই ,.

আপনার সুন্দর কাব্যিক মন্তব্যে আমি পুলকিত হলাম। এমন ভাষা যে কোথায় পান, বড় সাধ জাগে মনে এমন কাব্যিক বা ছন্দ যদি একটু পারতাম লিখতে...... । আপনার এমন মন্তব্যের অপেক্ষায় নিরন্তর অপেক্ষা করব । ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে খাটো করবো না।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধ ভালবাসা আপনাকে।



৩১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬

নজসু বলেছেন: আমার মনে হয় আপনার ব্যস্ততা কমেনি।
আমাদের কথা ভেবে কিংবা লিখতে হবে এই তাগিদে মরীচিকা পর্ব -৭ রচনা করলেন।
আপনার তাড়াহুড়া ছিল সেটা আমি হলফ করে বলছিনা।
পর্ব ৭ এর রুগ্ন অবস্থা দেখে এমন কথা বলছি।
বিগত ছয়টা পর্ব পাঠ করে যে তৃপ্তি পেয়েছি এবারের পর্বটাতে ততোটা তৃপ্তি পেলাম না।
হয়তো চাহিদাটা আরও বেশি ছিল।
হতে পারে প্রিয় লেখকের লেখা পাঠ করার ক্ষুধা আমার সবথেকে বেশি।
অল্পতে মন ভরেনি আর কি!
এবারের পর্বটাকে তাই রুগ্ন বললাম।
মন খারাপ করলেন নাকি?

তবে হ্যাঁ, দেয়াল লিখন আমাকে খুব মজা দিয়েছে।
আগ্রহ ছিল।
আমি প্রথমটা কয়েকবার পাঠ করার পর এর পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে
পরে বুঝতে পারলাম এর মর্মার্থ সাথেই দেয়া আছে।

পরেরগুলো আমি ইচ্ছে করে অর্থ আগেই দেখিনি।
বোঝার চেষ্টা করেছি।
৫ নং বাদে সকল চেষ্টা অবশ্য বিফল হয়েছে।
৫ নং টা একটু একটু বোঝা যাচ্ছিলো।

পর্ব ৮ এর অপেক্ষায় রইল।



০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরি প্রিয় নজসু ভাই ,

প্রতিমন্তব্য জমা দেওয়ার পরে বুঝলাম যে এটি মন্তব্য হয়ে গেছে। 32 নম্বর মন্তব্যটি আপনার কমেন্টের উত্তর। প্লিজ এবার তো ক্ষমা করে দিন।


অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানবেন।


৩২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই ,

আপনার আবার আসাতে ভীষণ আনন্দ পেলাম। হ্যাঁ, আপনার অনুমান ঠিকই। আগামী এক বছর আমি খুব ব্যস্ত থাকব । বাড়ি বদল এর সমস্যাটি রয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় লাগবে। মাথার উপর সব সময় চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। আপনি বললেন বলেই বললাম । কিন্তু তাই বলে তো আর ব্লগিং করা বন্ধ করা যায় না । এসব কিছু মাথায় নিয়েই ব্লগিং করছি। হয়তো তারি ছাপ আপনি পোস্টে খুঁজে পেয়েছেন।

আর সবার সব দিন সব পোস্ট ভাল হয় না । লেখক বা কবিরা যে দৃষ্টিতে পোস্ট দেন, পাঠক তো সব সময় সেই দৃষ্টিতে নেবেন না । কিন্তু পোস্টটির বিচারক তো পাঠকরা । কাজেই পাঠক হিসেবে আপনার বিচার বিবেচনা আমার প্রার্থনীয়। এটাতো রাগের কোনো বিষয় নয় , উল্টে নিজেকে সংশোধন করার একটা পন্থা । এজন্য আপনাকে অশেষ অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।

সাদরি ভাষায় ছড়াগুলি পড়তে ব্যর্থ হয়েছেন । আসলে হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। একটা ভিন্ন ভাষা এত সহজে পারঙ্গম হওয়াটাই স্বাভাবিক নয়। যে জন্য সাথে সাথে আমি অনুবাদটাও দিয়ে রেখেছি । তবে অনুবাদটা দেখে পড়লে আশা করি সমস্যা হবে না। আপনার সঙ্গে সহমত 5 নম্বরটা বরং অর্থ বোঝা টা তুলনামূলকভাবে সহজ ।

পর্ব এইট এর অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম ।খুব শিগগিরই পরবর্তী পোস্ট করব বলে নিয়েত আছে ।


অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধ ভালবাসা আপনাকে।


০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: 31 নম্বর কমেন্টে প্রিয় নজসু ভাইয়ের মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য এই কমেন্টটি ।


অনেক অনেক ভালোবাসা প্রিয় নজসু ভাইকে ।


৩৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

হাবিব বলেছেন:




সবচেয়ে ভালো লাগছে কবিতাগুলো।
আর যে কতো দিন রাখিবেন ভাই মরিচিকা ঘোরে !

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই ,
আপনার আগমনে ধন্য হলাম । কবিতাগুলো ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। মরীচিকার ঘরে থেকে মরীচিকা ময় হয়েছেন দেখে ভীষণ ব্যথা পেলাম । চেষ্টায় আছি তাড়াতাড়ি আপনাদেরকে মরীচিকা থেকে মুক্ত করব। আশা করি আপনাদের সঙ্গে পাব।

শুভকামনা ভালোবাসা রইলো।

৩৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



কবিতাগুলো তো চমৎকার!! যদিও আদিবাসীদের ভাষা বুঝি না তারপরও দারুন ছন্দময়। আপনার এ প্রতিভা তো জানা ছিল না, গুরুজি। আর দেয়াল লিখনের গোমর ফাঁস হলো। আশা করি আগামী পর্বগুলো আরো আকর্ষণীয় হবে।

শুভ কামনা রইলো, প্রিয় ভাই/প্রিয় গুরুজির জন্য।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অবশেষে প্রিয় গুরুদেবের দেখা পেলাম। আর আমার অপেক্ষার অবসান ঘটলো। গুরুজীর কাছে কবিতা গুলো চমৎকার মনে হওয়ায় আপ্লুত হলাম । আদিবাসীদের সবার ভাষা একই নয়। এদের মধ্যে অলচিকি ভাষা বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে । কিন্তু এখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসীদের বিভিন্ন ভাষা প্রচলিত আছে । পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দুই মেদিনীপুর বীরভুম বাঁকুড়া তে সাদরি ভাষা আদিবাসীদের জনপ্রিয় একটি ভাষা ।এখানে রাইমস গুলো সেই ভাষায় লিখিত যদিও বাংলা হরফে লেখা। সাথে সাথে অনুবাদটা আছে। আশা করি এরপরে আপনাদের কোন অসুবিধা না হওয়ারই কথা।তবে প্রতি বানায় গুরুদেব দেওয়াল লিখনে সাদরি ভাষায় রাইমস গুলো আমার কলিগ শ্রীমতি মুন্ডার কাছ থেকে অনুবাদ করা । কাজেই বুঝতে পারলেন , আমি কতটা প্রতিভাবান । হা হা হা হা হা।

তবে গুরুদেবের ইতিপূর্বে প্রত্যেকটি কমেন্টে পরবর্তী পর্বের একটা আভাস থাকে, যেটা আজ পেলাম না।

শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা গুরুদেব কে ।

৩৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২

নজসু বলেছেন: একটা কথা বলতে ভুলে গেছি।

পর্ব-৬ শেষ হলো এভাবে-
ম্যাডাম চলে যেতেই কিছুক্ষণ পরে আমিও রুমে ফিরে আসি । মাথার মধ্যে নতুন একটা চিন্তা ঘুরপাক খেতে লাগলো । এমন সময় বাইরে ঠকঠক শব্দ । দরজা খুলতেই দেখি রমেনদা দাঁড়িয়ে ।
- আরে , তুমি এখন ! এসো এসো ভেতরে এসো ।
বলতেই রমেন দা ঘরে ঢুকলো ।

পর্ব-৭ শুরু হলো এভাবে-
দ্বিতীয়বার বাড়ি থেকে ফেরার বেশ কয়েকদিন পরে রাতের খাবার খেয়ে সবে আমার ঘরে ফিরে এসেছি , এমন সময় বাইরে ঠকঠক শব্দে দরজা খুলে দেখি রমেন দা দাঁড়িয়ে ।
-আরে ! রমেনদা যে । এস এস , বলতেই রমেন দা ঘরে ঢুকলো ।

যদিও ঘটনা একই।
Re-cape হলে হয়তো পুরো গল্পটার বা পর্বটার সারসংক্ষেপ চলে আসতো।
এখানে পাঠককে মনে করে দেবার জন্য হয়তো আপনি বিগত পর্বের কিছু অংশ টেনেছেন।

পরিস্থিতি একই হলেও কথোপকথন আলাদা হয়ে গেল।
সংলাপ একই হলে পাঠকের বিশ্বাসযোগ্যতা আরও মজবুত হবে।

আমি কি ভুল কিছু বললাম।? আমার ভয় ভয়ই লাগে কখন না জানি আপনি আমার উপর বিরক্ত হয়ে যান।
ভাবেন অযথা একটা বিষয় নিয়ে বকবক করি।


০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই ,

সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন । অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । ষষ্ঠ পর্বের সঙ্গে সপ্তম পর্বের সঙ্গে যে ধারাবাহিকতা অভাবটা আপনার চোখে পড়েছে এর জন্য ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করব না । অকুণ্ঠ প্রশংসা আপনার প্রাপ্য । বিষয়টা আমার নজর এড়িয়ে গেছিল , কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ধারাবাহিক হওয়ায় পূর্বের লিংক একটু রাখতে চেয়েছিলাম । কিন্তু সামান্য হলেও যে সেটি আলদা সেটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। আগামীতে আরো সতর্ক হব।

পরিশেষে আবারও বলি ,আপনি একেবারেই ভুল করেননি। এমন ভুল ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ করে দিয়ে আপনি আমার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। আগামীতেও এমন সহযোগিতা আপনার কাছে পাবো আশা করি।

দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত।ভয় তো আপনার নয়, আমারই পাওয়ার কথা। আমি খুব ভীতু আপনি জোরে ধমক দিলে আমি কেঁদে ফেলব।

শুভকামনা ও ভালবাসা আপনাকে।


৩৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: বাহ! ভাইয়ার লেখায় এত সুন্দর কবিতা পেয়ে আমি বরাবরের মত মুগ্ধ। অনেকদিন ব্যস্ততার কারণে ব্লগে আশা হয়নি। তবে আপনার গল্প পড়ে মন ভরে গেলো প্রিয় ভাইয়া। শুভ কামনা আপনার জন্য।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুকে অনেক দিন পর দেখে ভাল লাগল । ভাইয়ার লেখায় কবিতা পেয়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি আপ্লুত । আশা করি এখন আপনার ব্যস্ততা কমেছে ।আবারও বলছি আপনারা এমন আন্তরিক মন্তব্যের আমি মুগ্ধ । আগামীতেও এমন কমেন্টের আশায় নিরন্তর অপেক্ষা করবো ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় আপুকে।

৩৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক আজ সময় করে লেখাটা মন দিয়ে পড়লাম। বরাবরের মতোই সুন্দর লেখনী।

রহস্যভেদ করেও পাঠকের সামনে টোপ দিয়ে রাখলেন। দেয়াললিখনের রহস্য উদ্ঘাটন হলো। কিন্তু দেয়ালকাব্যের নায়িকা কে আর আপনি কেন সেই ত্রিভুজ সম্পর্কে?? জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভকামনা প্রিয় লেখক। আবারো দেখা হবে লেখায়।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,

দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যেও যে সময় করে আমার পোস্টটি আপনি পড়েছেন এটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি। পোস্ট টি আপনার ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।

দেয়াল লিখন এর রহস্য উদঘাটন হলো কিন্তু দেওয়াল কাব্যের নায়িকা কে? আর আমি কেন এই ত্রিভুজ সম্পর্কে ? জানার জন্য, হ্যাঁ সত্যিই আপু আপনাকে আরো একটু অপেক্ষা করতে হবে.....
আশা করি পরবর্তী পর্বেও আপনাকে এভাবে পাশে পাবো। আপনার সুন্দর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে।

৩৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

আখেনাটেন বলেছেন: দিল্লীর জেএনইউ ক্যাম্পাসে দেয়ালিকা দেখে অবাক হয়েছিলাম। কত শত চমৎকার স্লোগান< আর ক্রিয়েটিভিটির চিত্র!!

সাদরি ভাষা কি ওড়িয়া ভাষার কাছাকাছি নাকি। আমাদের সাঁওতালি ভাষার সাথেও মিল অাছে মনে হচ্ছে।
বরাবরের মতোই ভালো লিখেছেন। তবে লেখায় মনে হয় আর একটি স্রোত দরকার।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত হলেও প্রিয় আখেনাটেন ভাইয়ের কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। জে এন ইউ এর ক্যাম্পাস দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি , তবে কলকাতা বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের দেওয়াল লিখনের মধ্যে কোন ক্রিয়েটিভিটি আমার চোখে পড়েনি। যাদবপুরের পড়ুয়াদের মুভমেন্টের স্লোগান গুলিকে কিছুটা অনুকরণীয় বা নান্দনিক বলা যেতে পারে।

এবার সাদরি ভাষা প্রসঙ্গে বলি, এটি একটি আদিবাসী ভাষা যার সঙ্গে অলচিকির কিছুটা মিল আছে।

পোস্টটি কে লাইক দিয়ে অনুপ্রাণিত করাতে কৃতজ্ঞতা জানাই। লেখায় একটু স্রোত দরকার বলে যে পরামর্শ দিয়েছেন তা মাথায় তুলে রাখলাম । পরবর্তী পর্বে আপনাদের কথা ভেবে একটু গতি আনার চেষ্টা করব।

তবে লেখকের বয়স যে হারে বাড়ছে ,তাতে নিজেরই গতি শ্লথ হয়ে গেছে তা বলা বাহুল্য। ফলে মুখে বললেও কতটা যে লেখার গতি আনতে পারব সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। একটা অজানা আশংকায় লেখক যেখানে আতঙ্কিত । রাজ্যের পে কমিশনের দেখা নেই, অবশ্য এটা দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় সামনের জানুয়ারিতে বন্ধু আখেনাটেন ভায়ের কলকাতায় আসার খবরে লেখক যারপরনাই অস্বস্তিতে আছেন। ভেবেছিলেন মুখে মিষ্টি মধুর কথা বলে ওপারের বন্ধুকে আপ্যায়ন করবেন। কিন্তু এ যাত্রায় সেগুড়ে বালি। আখেনাটেন ভাইও ছাড়ার পাত্র নন। উনিও সবান্ধবে আসছেন ঢপের চপ খেতে । বাধ্য হয়ে লেখক এর সামনে হিমালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা ছাড়া আর কোন উপায় নেই । হা হা হা হা হা হা।


শুভকামনা ও ভালবাসা প্রিয় ভাই কে ।

৩৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: বাধ্য হয়ে লেখক এর সামনে হিমালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা ছাড়া আর কোন উপায় নেই -- পদাতিক দা আমার বাড়িও কিন্তু আপনাদের বাড়ির দেয়াল ঘেঁষা। হাড়ে হাড়ে চিনি আপনাদের। :P

অজুহাত দেখিয়ে পালাবেন সে হবে না ক্ষণ কয়ে দিলুম। ঢপের চপের লোভ ধরিয়েছেন। আর রক্ষা নেই। :D

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আখেনাটেন ভাই ,

হা হা হা হা । আপনি হাড়ে হাড়ে চিনলেও চেনা এখনো বাকি বইকি। বাকিটা না হয় সাক্ষাতেই হবে । সামনের জানুয়ারিতে তাহলে আপনার সঙ্গে মিট হচ্ছে , আমার সৌভাগ্য যে আপনাকে ধরে বেঁধে ঢপের চপ পরিবেশন করতে পারব ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৪০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


কবিতা গুলোর জীবনবোধ বড্ড মায়াময় । যা আমার জন্য ভাল না । পাথর হয়ে যাওয়ার চেষ্টায় আছি । আপনার মনে হয় হতে দিবেন না ।

পড়তে পড়তে আমিও হারিয়ে গিয়েছিলাম ।

আর

@ আরোগ্য ভাই শুভ জন্মদিন

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অপু ভাই,

ছড়া বা কবিতা গুলোর জীবন বোধ আপনার কাছে বড্ড মায়াময় মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। অনেক সময় অনেক কিছুই আমাদের নিজের জন্য ভালো হয় না ঠিক ই ,তবুও আমাদেরকে সে গুলোকে কনফেস করতে হয়। সমাজের সব কিছু তো আর আমাদের হাতে থাকে না।কাজেই আপনার জন্য ভালো নয় বা শোকে পাথর হয়ে যাবেন ' এমনটি না ভেবে বরং আমরা প্রত্যেকে যদি নিজের জায়গায় সামান্যতম এর প্রতিকার এর চেষ্টা করি তাহলে বোধহয় আমাদের চারপাশটা আরো সুন্দর হবে ।


শুভকামনা ও ভালবাসা রইল।


৪১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: ব্লগে আসার সময় করে উঠতে পারি না ভাইয়া। আপনার এই গল্পের প্রথম পার্টটি পড়েছিলাম অনলাইনে। এরপরে বাকি গুলো অফলাইনে পড়েছিলাম তাই মন্তব্য করা হয়ে উঠে নি। আজ পড়লাম ছয় আর সাত নম্বর পার্ট দুটো। ভালো লাগছে। পরের পার্টের অপেক্ষায় রইলাম। :)

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত হলেও আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। আপনি গল্পগুলো অনলাইনে না পড়ে অফলাইনে পড়ার জন্য আমাকে বঞ্চিত করলেন । কেননা অনলাইনে পড়লে আমি একটা কমেন্ট পেতাম। আপনার সুচিন্তিত মতামত পেতাম তা থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি ।যদিও আগামী দিনে আপনার এমন কমেন্টের আশায় থাকবো।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৪২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: সময় করে উঠতে পারিনা যার জন্য মোবাইলে থেকে অফলাইনে পড়েছিলাম। ব্লগে এসেছি অনেক দিন পর। চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্বগুলো অনলাইনে পড়ার। শুভকামনা রইলো।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা হা আপু, আপনি আবার কমেন্ট করাতে আনন্দ পেলাম। ঠিকই তো দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যে আমাদের সব সময় ব্লগে নিয়মিত পাঠক হওয়া সম্ভব হয় না । তারপরে যেটুকু সময় পাওয়া যায় , এই আর কি। আগামী পোস্টগুলি আপনি অনলাইনে পড়বেন, একটুকু বলাতেই খুশি ....

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় আপুকে।

৪৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটির অপেক্ষায় রাত পেরিয়ে দিন গড়িয়ে গেল। আমার পোস্টখানা অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের জন্মদিনে অনেক অনেক শুভকামনা রইল। পোস্টে গিয়ে ইতোমধ্যে জানিয়ে এসেছি।

অফুরান শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৪৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২১

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: কেমন আছেন, দাদাবাবু? অনেক দিন আমার পোস্টে আসেন না। আমি তো একা থাকি। ব্লগের বাড়িতে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ফিরোজ ভাই,

গতকাল পোস্টে কমেন্ট করে এসেছি। কবিতাটি ভীষণ সুন্দর লেগেছিল। আর নিজেকে এমন একাকীত্ব কেন ভাববেন । ব্লগ একটা বৃহৎ সংসার। আমরা প্রত্যেকে এই সংসারে সদস্য । কাজেই আর কখনো একা একা নয় ,কবিতা লিখুন প্রাণখুলে ,আমরাও কমেন্ট করব মন খুলে।

শুভকামনা রইল।

৪৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

নজসু বলেছেন: অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,

আপনি তো জানেন, বিশেষ কারণে দীর্ঘকালীন ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। যে কারণে ব্লগে সময় টা খুব বেশি দিয়ে উঠতে পাচ্ছিনা ।তবে প্রিয় জন দের পোষ্ট গুলো পড়ার চেষ্টা করি । যতটা সম্ভব কমেন্ট করছি । এমনকি আমার নিজের পোস্টে প্রতি মন্তব্য করতেও দেরি হচ্ছে। দেখি কবে এই সমস্যা কাটে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৪৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

নীলপরি বলেছেন: ব্যস্ত আছেন বোধহয়! পরের পর্বটা এখনো পাচ্ছি না , তাই ভাবলাম ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু র আবার খোঁজ নিতে আসাতে আনন্দ পেলাম । সত্যিই আপু ব্যক্তিগত কাজে এতটাই ব্যস্ত যে ব্লগে একদম সময় দিতে পারছি না । তবে একটু রিলিফ পেলেই পোস্ট দেবো আশা করি।

শুভকামনা জানবেন।

৪৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

প্রামানিক বলেছেন: সাদরি ভাষা কিছুটা বাংলার সাথে মিল আছে। ধন্যবাদ এপর্বর জন্য।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওরে বাবা!! আপনি একেবারে 4 নম্বর পর্বে চলে এলেন। অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা ও ভালবাসা জানবেন ।

৪৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: চলুক।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ । বেশতো চলছে যখন চলুক ।

সকাল বেলা আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৪৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: দেয়াল লিখন বিষয়ক একটা সর্টফিল্ম দেখেছিলাম কিছুদিন আগে... ব্যাপারটা ভালই। ইউটিউব লিংকটা পেলাম না, পেলে দিয়ে যাবো।
যাই হোক, নতুন ভাষাটা কতদূর নিয়ে যায় আমাদের দেখা যাক।
ভাল হচ্ছে। +++

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রকিভাই,

ব্যক্তিগত কাজে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকার জন্য ব্লগে শেষ কয়েক দিন একদম সময় দিতে পারেনি যে কারণে আপনার প্রতিমন্তব্য দেরিতে দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
দেওয়াল লিখন সম্পর্কে আপনি যে শর্টফিল্মটির কথা বলেছেন জানিনা সেটা কারো বাস্তব জীবনকে নিয়ে তৈরি কিনা। তবে আমি এই পর্বটি যে পটভূমিতে লিখেছি সেটি কৌশলী ভাষার কবি হলধর নাগের পূর্বজীবনকে কেন্দ্র করে। আপনার লিংকটি পেলে আমারও বিষয়টি দেখার সুযোগ হত। তবে হলধর নাগ কৌশলী ভাষায় যেটা লিখেছিলেন আমি সে কারণে একটি আদিবাসী ভাষা 'সাদরি'তে লেখার চেষ্টা করেছি।
পর্ব ভালো হয়েছে ; পোস্টে লাইক ও সঙ্গে এতগুলো প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।



৫০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এতো সুন্দর সুন্দর লেখা দেখলে আমার হিংসে হয়।
ধ্যাত! আমি যে কেন লিখতে পারি না।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুলভাই,

হিংসে যদি করতে হয় তাহলে বড় কোন মাইলফলককে হিংসা করুন । যার শাখা-প্রশাখা হয়ে উঠতে পারলেও অনেক কিছু জীবনে দেখাতে পারবেন। আর আমাদের মত নিতান্ত হাতুড়ে লেখককে হিংসা করলে নিজের যেটুকু সৃজনশীলতার ছিল সেটাও অবনমন হতে বাধ্য হা হা হা হা ....


শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৫১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৪২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হিংসে যদি করতে হয় তাহলে বড় কোন মাইলফলককে হিংসা করুন । যার শাখা-প্রশাখা হয়ে উঠতে পারলেও অনেক কিছু জীবনে দেখাতে পারবেন। আর আমাদের মত নিতান্ত হাতুড়ে লেখককে হিংসা করলে নিজের যেটুকু সৃজনশীলতার ছিল সেটাও অবনমন হতে বাধ্য হা হা হা হা ....

জ্ঞানীরা যে নিজেকে সব সময় ছোট রাখে আজ উৎকৃষ্ট একটি প্রমান পেলাম। যাক অনুসরন করার মত একজনকে পেলাম।

ভালোবাসা অফুরান সুহৃদ পদাতিক ভাই।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই রে ! এবার আপনি যে আমাকে ধরে বেঁধে অপদস্ত করলেন। হা হা হা হা হা ....


বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন ।

৫২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের জবানে মিলযুক্ত স্বরধ্বনি প্রথমে ফোটে; যেমনঃ বাবা, মামা, কাকা, তাতা, ইত্যাদি। শিশুরা কথা বুঝিয়ে বলতে পারার আগে ছড়া বলতে পারে। প্রাচীন সাহিত্য কথ্য বয়ানেই ছিল, কবিতা আকারে। কাজেই, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির বলে দেয়াল লিখনগুলো কবিতাসদৃশ ছোট ছোট লাইনে লিখিত হবে, এটাই স্বাভাবিক।
আরেকটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, সাধারণতঃ দেয়াল লিখন লেখা হয়ে থাকে, যেমনটি ঢাবিয়ান বলেছেন, "সামাজিক অনাচারের বিষয়ে, ... দেয়াল লিখনে বেশিরভাগ সময়ই মানুষের ক্ষোভ, হতাশা বা যন্ত্রনার কথাই লেখা থাকে"। দেয়াল লিখনের অপর একটি অন্যতম বিষয় হচ্ছে অব্যক্ত প্রেমানুভূতির কথা প্রকাশ করা, যা মুখে বলার কিংবা প্রেমাষ্পদের নিকটে গিয়ে বলার সুযোগ নেই। আপনার স্কুলের দেয়ালে এ দুটো বিষয়ের উপরেই কিছু বাণী উৎকীর্ণ ছিল। এটাও স্বাভাবিক। সে হিসেবে দেয়াল লিখনগুলো ছিল যথার্থ।
আপনার সহকর্মী শ্রীমতী মালা মুন্ডা'র নিকট শুধু আপনিই নন, আমরাও কৃতজ্ঞ, কেননা তার অনুবাদের বদৌলতেই আমরা সেই অমূল্য বাণীগুলোর মর্মার্থ হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছি।
পোস্টে প্লাস + +

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

প্রতিমন্তব্য করতে অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আপনি একজন বিচক্ষণ মানুষ; জীবন সম্পর্কে আপনার উপলব্ধি এমনতর হওয়াটা স্বাভাবিক। সম অক্ষরের শব্দগুলোই বাচ্চারা প্রথমে বলতে শেখে। মন্তব্যের পরবর্তী অংশগুলোও মধুর লাগলো। বিশেষ করে তারা কথা বলতে শেখার আগে ছড়া বলতে পারে প্রাচীন সাহিত্য তার ইঙ্গিত দেয়। সহমত আপনার সঙ্গে।সম্ভবত আপনি ঋকবেদের সমাজের কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে মুখ থেকে শুনে শুনে মুখস্থ রাখা হতো বলেই তো তাঁর আরেক নাম শ্রুতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দেওয়াল লিখন প্রসঙ্গে ঢাবিয়ান ভাইয়ের মন্তব্যটি ভীষণ ভালো হয়েছে। দেওয়াল লিখন সম্পর্কে আপনার প্রত্যক্ষণে অভিভুত হলাম।" সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে দেওয়াল লিখনের বেশিরভাগ সময়ই মানুষের ক্ষোভ হতাশা যন্ত্রণার কথা লেখা থাকে।" স্কুলের দেয়াল লিখন ও যেহেতু কিছু বাণী উৎকীর্ণ ছিল কাজের দেওয়াল লিখন যথার্থ মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
আপনার মন্তব্যটি অবশ্য সহকর্মী শ্রীমতি মালা মুন্ডাকে দেখিয়েছি।ও ভীষণ খুশি হয়েছে আপনার এমন সম্মান জ্ঞাপনে।
সবশেষে পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা স্যার আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.