নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
আমার কথা বলা তখনও শেষ হয়নি অমনি শেফালীম্যাডাম বেশ ধমকের সুরে মাকে বলে উঠলেন ,
-আহ! মা,তোমার কি এখনই এসব আলোচনা করার সময়?
-না না ম্যাডাম! আপনি মিছে রাগ করছেন। উনি সাধারণ কৌতূহল থেকেই প্রশ্নটা করেছেন।
হঠাৎ থমথমে পরিবেশকে স্বাভাবিক করতে আমি আবার প্রশ্ন করলাম ,
- মাসীমা ,মেশোমশাই এখন কেমন আছেন?
-কিছু জানি না বাবা । ইনটেনসিভ কেয়ারে আছেন । আগামী 48 ঘন্টার না গেলে কিছু বলা যাবে না।
এবার পাশ থেকে কাকু বলে উঠলেন,
-বৌদি মাম ও ওর বন্ধু যখন চলে এসেছে তাহলে বরং আমি এখন আসি?
-হ্যা,ঠাকুরপো! তোমাকে আর আটকাবো না । তুমি না থাকলে আজ ওর বাবাকে এখানে জীবিত অবস্থায় নিয়ে আসতে পারতাম কিনা সন্দেহ। মাম চলে এসেছে যখন তখন আর চিন্তা নেই । তোমাকে আর আটকাবো না।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম,
-কাকু এখন কোথায় যাবেন?
মাসিমা উত্তর দিলেন ,
-কাকুর বোনের বাড়ি বাঘাযতীনের পাটুলিতে । তোমরা না এলে অবশ্য কাকু এখানে থাকতেন। তোমরা আসাতে কাকুকে আর কষ্ট দেব না এত রাতে ।
আমিও মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়ে বললাম,
-হ্যাঁ, কাকু! আপনি তাহলে আর দেরি করবেন না । এমনিতেই এখন অনেক রাত হয়ে গেছে।
পাশ থেকে শেফালীম্যাডাম বললেন,
- হ্যাঁ কাকু ! তুমি আর দেরি করো না । যদি পারো কাল সকালে একবার এসো ,প্লীজ।
- আচ্ছা! ঠিক আছে মা। সময় পেলে কাল অবশ্যই আসবো । তবে আমার বোনটার শরীরও ভালো নেই । আজি খবর পেলাম আমি । কিন্তু তোমার বাবাকে নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে খোঁজ নিতে পারিনি । এখন গিয়ে দেখি কি অবস্থায় আছে।
রাত ক্রমশ বাড়ছে। মেল ওয়াডের সামনে ফাঁকা গ্রাউন্ডে রোগীর পরিজনদের অনেকে যে যার মত শুয়ে পড়ল। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রায় সকলেই শোয়ার তোড়জোড় শুরু করলো । মাসিমা ব্যাগ থেকে একটি বেড- কভার বার করলেন। আমি ওটাকে বড় করে জায়গা করে দিতেই উনি সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লেন। মাথায় দিলেন ওনার সঙ্গের ব্যাগটি । শেফালী ম্যাডাম পরম যত্নে মায়ের শাড়ি গুঁজে দিতে লাগলেন। আমরা দুজনে নীরবে বসে থাকলাম। খিদে নামক শব্দটা যে করে হোক আজ আর কোন অবস্থায় মনে উঁকি মারলো না। এক সময় ম্যাডাম বললেন,
-আপনি শুয়ে পড়ুন । আমাদের জন্য আপনাকে এমন অবস্থায় টেনে আনার জন্য আমি সত্যিই খুব দুঃখিত, লজ্জিতও।
-না না ! এসব কি কথা বলছেন আপনি । আপনি বরং শুয়ে পড়ুন। কাল সকালে অনেক কাজ আছে।
কিছুটা শ্লেষের সুরে,
-আমার আবার ঘুম, ঘুম আমার আর আসবে না।
-তাহলে বরং চোখে মুখে একটু জল দিয়ে আসুন না, ঠিক চলে আসবে দেখবেন।
-হ্যাঁ, সেটাই তাহলে করি।
সঙ্গে সঙ্গে উনি ওয়াশ রুমের দিকে চলে গেলেন । খানিক বাদে ফিরে এসে,
-আপনিও একটু ফ্রেশ হয়ে আসুন।
-ঠিক বলেছেন। তাহলে যাই বরং চোখেমুখে একটু জল দিয়ে আসি।
আমি বাধ্য ছেলের মত উঠে গেলাম ওয়াশরুমে দিকে। সত্যিই দীর্ঘ জার্নির পরে চোখেমুখে জল দিয়ে আলাদা একটা স্বস্তি অনুভব করলাম। ফিরে এসে দেখলাম মায়ের পাশে ব্যাগ মাথায় দিয়ে ম্যাডামও শুয়ে পড়েছেন। আমিও যথারীতি ওনাদের উল্টোদিকে খবরের কাগজ বিছিয়ে আমার ব্যাগটি মাথায় দিয়ে শুয়ে পড়লাম এবং খানিক বাদে ঘুমিয়েও গেলাম।
রাত তখন দুটো-আড়াইটা হবে, বেশ ঠান্ডায় ঘুম ভেঙে গেল। দেখলাম মা -মেয়ে গভীর নিদ্রায় মগ্ন । ম্যাডামের চুড়িদারটি অনেকটা উপরে উঠে গেছে। ঠান্ডায় গুটিসুটি মেরে আছেন ঠিকই তবুও ওনার শরীরের অনাবৃত অংশ বড্ড দুশ্চিন্তায় ফেলে দিল আমাকে। আশপাশে কেউ জেগে আছে কিনা একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম। মনে মনে ভাবলাম এই অবস্থায় আমার করণীয় কি, মাথা নিচু করে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকলাম।
মনে মনে শক্তি সঞ্চয় করে নিলাম । যদি খুব সাবধানে চুড়িদারটি নিচে নামিয়ে দেই... যেমন ভাবনা তেমনি কাজ । হাত প্রসারিত করলামও, কিন্তু বিবেক যেন সায় দিল না। পরক্ষণেই মনে হল মুখে ডাকি। কিন্তু কেন যেন মনে হল , কি জন্যই বা ডাকবো ওনাকে। তেমন সন্তোষজনক প্রশ্ন অবশ্য নেই আমার কাছে । হঠাৎ মাথায় একটা আইডিয়া চলে এলো, হিন্দি ফিল্মের নায়কদের মত নিজের শার্টটি খুলে ওনার অনাবৃত অংশে ঢেকে দেওয়ার কথা ভেবেও পরক্ষণেই এটাকে ঠিক শালীন বলে মনে না হওয়াতে আবার পিছিয়ে এলাম । হঠাৎ ব্যাগ থেকে একটি পুরানো খবরের কাগজ বার করে ওনার গায়ের উপর চাপিয়ে দিতেই, তড়াক করে উনি উঠে বসলেন । সঙ্গে সঙ্গে জামাটা টেনে নিলেন।
-আপনি ঘুমাননি?
-হ্যাঁ ঘুমিয়ে ছিলাম, তবে একটু আগে ঘুম ভেঙে গেছে । দুঃখিত ম্যডাম আপনাকে এভাবে ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য।
-আপনি দুঃখিত হবেন কেন বরং আমি দুঃখিত ! নিন আবার শুয়ে পড়ুন।
আমি আবার শুয়ে পড়তেই, ম্যাডামও শুয়ে পড়লেন । মাসীমা অবশ্য একভাবে ঘুমিয়ে আছেন । কিছুক্ষনের মধ্যে দেখি চোখ বুজে আসছে কিন্তু ম্যাডাম জেগে থাকায় আপ্রাণ চেষ্টা করলাম না ঘুমোতে। কিন্তু তবুও পারলাম না , নিজেকে বশ করতে। কখন যে ঘুমিয়ে গেছিলাম তার কোন খেয়াল ছিল না। সকালে লোকজনের কোলাহলে যখন ঘুম ভেঙে গেল তখন দেখলাম বেশ বেলা উঠে গেছে । আমার ওঠার আগে অবশ্য ওনারা দুজন জেগে গেছিলেন । মাসিমা আমাকে বললেন,
-যাও বাবা ; তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুয়ে এসো। রাতের বেলা কিছুই খাওয়া হয় নি, বেশ খিদে পেয়ে গেছে।
-হ্যাঁ, মাসীমা আমি এক্ষুনি আসছি । আপনারা তৈরি হন । কিছু একটা খাওয়া দরকার।
আমি হাত মুখ ধুয়ে ফিরে গিয়ে দেখলাম মা -মেয়ে বেড কভার গুছিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। এবার আমরা তিনজন ক্যান্টিনের দিকে এগোলাম। তবে এত সকালে ক্যান্টিনে খাবার এখনো তৈরি হয়নি। আপাতত একটু চা- যোগ করে আমরা মেইন গেটের বাইরে খাবারের সন্ধানে বার হলাম। এখানে অবশ্য বেশ কয়েকটি দোকান পাশাপাশি দেখলাম। স্বাস্থ্যকর কতটা হবে সেটা না ভেবেই সকালবেলা গরম গরম কচুরি ও আলুর কারি যোগে টিফিন করে মনে শান্তি পেলাম। মধ্যপ্রদেশও যেন এক নিদারুণ কষ্ট থেকে বাঁচল ।
সেদিন সকাল এগারোটার ভিজিটিং আওয়ার্সে ডক্টর জানালেন,
-পেশেন্ট আপাতত বিপদমুক্ত । তবে আজ গোটাদিনটা আমরা পর্যবেক্ষণে রাখব। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল ওনাকে জেনারেল বেডে টান্সফার করার পরিকল্পনা আছে।
মেসোমশাই-এর স্বাস্থ্যের উন্নতির খবরে আমরা খুবই খুশি হলাম । আইসিইউতে একজনের বেশি প্রেসেন্ট পার্টির প্রবেশাধিকার নেই। নিরবতা বজায় রাখাই এই কক্ষে কাম্য।কাজেই মা -মেয়ে বাবার সঙ্গে সাক্ষাতের পরে ম্যাডাম শেষে আমাকে নিয়ে চললেন বাবাকে দেখানোর জন্য। দরজার মুখে দাঁড়িয়ে উনি দেখিয়ে দেওয়াই আমি কার্ড নিয়ে প্রবেশ করলাম। একেবারে মেসোমশাই-এর বেডের পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। শরীরে চার- পাঁচটি নল ফিট করা। সারাক্ষণই চোখ বন্ধ করেছিলেন। আমি স্ট্যাচু হয়ে বেশ কিছুক্ষণ ওনার দিকে দৃষ্টি রাখলাম। আইসিইউ থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখি কাকু ততক্ষণে চলে এসেছেন। কাকুকে উদ্দেশ্য করে ,
-পিসিমণি কেমন আছেন?
-আছে! তবে শরীর প্রচণ্ড দুর্বল। ওতো অনেক দিন থেকে ভুগছে।
আমি আবারো বলি,
-ম্যাডাম! কাকু যখন চলে এসেছেন তাহলে বরং আমি এখন আসি?
-বাবা! তুমি আমাদের ফেলে চলে যাবে? মাসিমা বললেন।
-না মাসিমা, আপনি এভাবে বললে আমি যেতে পারব না । আসলে দেখলাম মেসোমশায়ের অবস্থার উন্নতি হয়েছে আর কাকুও চলে এসেছেন, তাই আমি বলছিলাম।
-হ্যাঁ মা, ওনাকে স্কুলে যেতে হবে। আর বাবা তো প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়েছেন। বাকিটা আমরা সামলে নেব।
বাস্তবে দুজনের দু রকম কথা বলার প্রকৃতি দেখে আমি সাময়িক বেকায়দায় পড়লাম। হঠাৎ কাকু বলে উঠলেন,
-বাবু! তোমার যদি কোন সমস্যা না হয় তাহলে আজ রাতটা একটু থেকে যাও না । আমার আজ একটু সমস্যা আছে । আজ রাতে তুমি একটু সময় দিতে পারলে কাল থেকে আমি আবার এদেরকে সময় দিতে পারবো।
-ঠিক আছে, কাকু। আমি থেকে যাচ্ছি । তবে প্রথমে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না যে আমার এখানে কি করণীয় । এখন যদিও বিষয়টি পরিষ্কার । আপনি আর ভাববেন না। আপনি পিসীমার ওখানে সময় দিন । আমি এদিকটা সামলে নেব।
আমার কথা তখনও শেষ হয়নি শেফালীম্যাডামের মুখের ছবির কোন পরিবর্তন আমার চোখে ধরা না পড়লেও মাসিমার মুখের চওড়া হাসিটা আমাকে প্রচন্ড আরাম দিল । জীবনে কাউকে কোন বড় উপকার করেছি বলে মনে করতে পারছিনা ,তবে এক্ষণে অসহায় মা -মেয়েকে একটু সময় দেওয়ার প্রতিদানে মানুষের শারীরের ভাষা যে কতটা আমোদিত হতে পারে সেটা নিজের চোখে না দেখলে শুধু মুখের কথাতে বিশ্বাস করতে পারতাম না।
দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে সবাই নিরামিষ খাবার খেলাম। রাতে এই হোটেলেই তরকা-রুটি অর্ডার করলাম । সে রাতে কাকু চলে যেতে আমরা গত রাতের মত বিছানা করে শুয়ে পড়ি। তবে গতরাতের সঙ্গে পার্থক্য হলো প্রায় 15 /16 ঘন্টা এক বস্ত্র গায়ে রেখে নিজের প্রচণ্ড অস্বস্তি হতে লাগল। মনে মনে ঠিক করলাম পরের দিন সকালে বাড়ি গিয়ে ড্রেস বদল করে আসবো। সকালে উঠে এসে কথা বলতে মা মেয়ে দুজনেই সম্মতি দিলেন। মাসীমা আরো বললেন,
-আমি বরং এখানে থেকে যাই। তোমরা দুজনেই বাড়িতে গিয়ে পোশাক-পরিচ্ছদ বদল করে এসো। মাম, আমার জন্য কয়েকটা শাড়ি নিয়ে আনিস তো মা।
সেদিন সকালে হসপিটালের মুখ থেকে ম্যাডামকে হাওড়া গামি বাসে তুলে দিয়ে দেখলাম, চলন্ত বাস থেকে উনি ক্রমাগত পিছনের দিকে হাত নাড়ছেন । প্রথমটা আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। কাজেই আমিও প্রতিউত্তরে বিদায় জানাতে, হাত -নাড়তে থাকলাম । কিছুটা দূরে গিয়ে দেখলাম বাসটা থেমে গেছে। বাস থেকে নেমে উনি আবার আমার দিকে এগিয়ে আসছেন। ভাবলাম কিছু ভুলে গেছেন বা ফেলে গেছেন কিনা । একেবারে সামনাসামনি আসতেই,
-কি ব্যাপার, আপনি কি কিছু ফেলে গেছেন?
-হ্যাঁ ফেলে গেছি; সেটাকে নিয়ে যেতে এসেছি।
-কি ভুলে গেছেন ম্যাডাম?
-আপনাকে।
বাস্তবে আমি যেন আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না । হঠাৎ করে সারা গায়ে অদ্ভুত শিহরণ তৈরি হলো । প্রতুত্তরে কি বলবো , ঠিক মুখে আসছে না । গলা শুকিয়ে আসছে । অন্তরের এতগুলো পরিবর্তনকে সামলিয়ে আবেগের কোন বহিঃপ্রকাশ না দেখিয়ে খুব শান্তভাবে বললাম,
-ও আমার জন্য! আপনি খামোকা কেন বাসটা ছাড়তে গেলেন? এখন দুজনেই দ্রুত বাড়িতে যাওয়ার দরকার । প্রয়োজনীয় কাজ সামলে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এখানে আসাই কাম্য।
এমন সময় ধর্মতলা গামী একটি মিনি সামনে এসে দাঁড়াতেই, আমরা তার সওয়ারী হলাম । বাসে আসতে আসতে ভাবলাম দুদিন হসপিটালে এক সঙ্গে কাটালাম। কি অসম্ভব দৃঢ়তা; ব্যক্তিত্বে ও আচার-আচরণে। কথাবার্তায় যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দিয়েছেন যে মানুষটি কিন্তু চলে আসার সময় সেই মানুষটি যেন আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। হয়তো ওনার অন্তরাত্মা ইতিমধ্যে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে যার সামান্য বহিঃপ্রকাশ একটু আগে ঘটেছে মাত্র। বাসে পাশাপাশি বসার সৌভাগ্য আমাদের হয়নি । কাজেই তেমন কথা বলার সুযোগ আর আমাদের হলো না । ধর্মতলাতে নেমে স্ট্যান্ড রোডের দিকে কিছুটা হাঁটা লাগালাম । এবার উনি মুখ খুললেন,
-আসলে আপনি গত পরশুদিন থেকে আমাদের সঙ্গে রয়ে গেছেন । অথচ আপনাকে এভাবে ছেড়ে আগেভাগে বাসে উঠে যাওয়াতে প্রচন্ড খারাপ লাগছিল, যে কারণে নেমে গেছিলাম। এই দুই দিন আপনি ও কাকু পাশে থাকাতে যে কি অসম্ভব বল পেয়েছি সে কথা মুখে বলে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু এবার আমাদের যে যার পথে ফিরে যেতে হবে ভেবে খুব বিষন্ন লাগছে ।একদিকে বাড়িতে অসুস্থ দিদি অপরদিকে হসপিটালে বাবা মা , আমার কোথাও যে একটু সময় কাটানোর সুযোগ নেই।
-হ্যাঁ ,একদম ঠিক বলেছেন ম্যাডাম। সামনে অনেকগুলো কাজ আমাদের হাতে আর একদম সময় নেই বলে হাত বাড়াতেই ম্যাডামও যেন তৈরি ছিলেন। হ্যান্ডশেক করে দাড়াতেই ,
-একটা কথা বলার ছিল।
-বেশতো! নিঃসংকোচে বলে ফেলুন।
-প্রথম দিন এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
-কোন পরিস্থিতি? আমার তো কিছু মনে নেই।
-আসলে অনির্বাণ মুখার্জির নামে আমার এক সময় এক ঘনিষ্ঠ সহপাঠী ছিল । মা তার কথাই ওখানে মিন করতে চেয়েছেন। পরে সময়মত আপনাকে বলব সে কথা ।
-ওটা আপনার পার্সোনাল ব্যাপার, ম্যাডাম।
এমন সময় আবার একটি হাওড়া গামী বাস এসে দাঁড়াতেই উনি উঠে পড়লেন। বাসের পিছন পিছনে আমিও দু -এক পা করে এগিয়ে হাত নেড়ে বিদায় জানাতে লাগলাম। এরপর আমিও সোজা মেট্রো ধরে দমদমে চলে এলাম। পরে দমদম থেকে লোকাল ট্রেনে এক্কেবারে বাড়ি। কিন্তু বাড়িতে এসে আর এক বিপত্তি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:- ১,আজকের এই পর্বটি শ্রদ্ধেয় ব্লগার করুণাধারা আপুকে উৎসর্গ করলাম।
২, শেফালী ম্যাডামের সঙ্গে এই বিশেষ পর্বটি আজ এখানে শেষ হল। মরীচিকার পরবর্তী পর্ব ' কুহেলিকা' শীঘ্রই পোস্ট হবে । পাঠক বন্ধুদেরকে সঙ্গে থাকার জন্য একান্ত অনুরোধ রইলো।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোষ্টের প্রথম কমেন্টে আমার স্নেহের ভাইকে পেয়ে আনন্দ পেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ছোট্ট ভাইটিকে।
ঠিক আছে পরে আবার আসবে অপেক্ষা রইলাম....
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৩
আরোগ্য বলেছেন: একি পদাতিক ভাই মরীচিকার লোগো কোথায়,?
শেফালি ম্যাডামের বাবার অবস্থার উন্নতি হয়েছে শুনে স্বস্তি পেলাম।
ভাগ্যিস চুড়িদারে হাত দেয়নি নইলে কপালে শনি ছিল।
মুখার্জির কথা গত পোস্টের মন্তব্যে লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। আমারতো মনে হয় এই মুখার্জি একটা ঝামেলা পাকাবে।
আমার কাছে পর্বটা বেশ লাগলো।
কুহেলিকার জন্য অনেক শুভ কামনা।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আরোগ্য ,
রাত একটা তিন ,মানে কি সারা রাত ঘুমাও না? রাত জেগে তাহলে পড়াশোনা, হা হা হা হা।
অনেকদিন পর আজ ইচ্ছে হলো যে ছবিটি ব্যবহার করব না। শুধু লেখাতেই ক'জন পাঠক হয় বা কমেন্ট করে সেটা দেখতে ছবিটি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত। ভালো মন্দ যাই হোক মাঝে মাঝে একটু স্রোতের বিপরীতে চলা বা পরীক্ষা করা আমার একটা স্বভাব । দেখি আজকের এই পোষ্টটির ভবিষ্যৎ কোন দিকে দাঁড়ায়।
শেফালী ম্যাডামের বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে জেনে তুমি স্বস্তি পেয়েছে শুনে আমিও খুশি হলাম। তবে কমেন্টের ওই অংশটি কোটেড বা আনকোটেড অংশটি যে সে রকম কিছু করলে বিপদ ছিল সে আশঙ্কা আমারও ছিল । আর সে জন্যই ওই পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি । হা হা হা।
মুখার্জী' ব্যাপারটা ভবিষ্যতে ওপেন হবে বলে আশা করি ।কারন ম্যাডামের কথা অনুযায়ী সেরকম একটা আভাস পেলাম। তোমার কাছে পরবর্তী ভালো লাগাতে অনেক আনন্দ পেলাম সাথে পোস্টটিতে লাইক করাতে অনেক অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ।অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার ছোট্ট ভাইটিকে।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা স্নেহের ছোট ভাইটিকে।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২১
আরোহী আশা বলেছেন: এ পর্ব তো বেশ মজার ছিলো..। হাওরা যাবার ইচ্ছা আছে..। তা হাওরা ট্রেনে যাওয়া যাবে না?
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোহী আশা ভাই,
সাম্প্রতিককালে আমার পোস্টে আপনাকে নিয়মিত পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। পোস্ট মজার ছিল জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। হাওড়া যাওয়ার ইচ্ছা আছে যখন বেশতো আসুন না হাওড়াতে। আপনি কোথা থেকে হাওড়া যাবেন , কাইন্ডলি আমাকে একটু জানাবেন। সেক্ষেত্রে বরং রোড ডিরেকশনটা জানিয়ে দেব ।
অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৮
হাবিব বলেছেন: নয় তাহলে পুরো হলো..। তা আপনি ঘুমাননি?? এতো রাত অবধি জেগে থাকলে শরির করবে...।আসর তো বেশ জমালেন.। ছবি মিস করছি.. শেফালি ম্যাডাম কে ধন্যবাদ.. গায়ের ঊপর জামাটা ছুরে ফেলে দিলে কি হতো??
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় হাবিবভাই,
হ্যাঁ বলতে পারেন নয় তাহলে পুরো হলো।আর ঘুমাবো কি করে? আমরা 15 দিন অন্তর একটি পোস্ট দেই, যে প্রস্তুতিতে আমাদের অনেক টাইম লেগে যায়। আমরা তো আর আপনাদের মত কবিতা লিখতে পারিনা যে প্রতিদিন একটি করে কবিতা দেবে। হা হা হা ।অনেক ধন্যবাদ, এত রাত জেগে পোস্ট দেওয়ার জন্য আমার শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে আপনি চিন্তা করেছেন জেনে।
পোস্ট প্রসঙ্গে তাহলে বলছেন যে আসর জমে গেছে । ছবি মিস করছেন জেনে ভালো লাগলো। আজ ইচ্ছে করে ছবিটা দেইনি। আর গায়ের উপর জামাটা ছুড়ে ফেলে দেওয়া- ওরে বাবারে ! এসব আমার দিয়ে হবে না।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১১
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালো, অভিভূত।।।। মুগ্ধ।।।।
প্রতিটা পর্বই সুন্দর ছিল
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মামুনভাই ,
ছোট্ট মন্তব্য অথচ অনেক অক্সিজেন দিয়ে গেল। অন্যান্য পর্বের মতো এটাও ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালবাসা জানবেন।
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার লেখা। আসলে বাস্তব চরিত্র গুলো, এজন্য লেখা বেশি ভালো লাগছে।
তারা লেখা খুব সুন্দর এগোচ্ছে। একদম আমাদের বিক্রমপুরের ভাষায় বলা যায়- তরতর করে আগাইতাছে।
লেখার ভাষা সুন্দর।
সাথে আছি।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
লেখাটি চমৎকার লাগাতে ও বাস্তব চিত্র বলে মনে হওয়াতে অনেক আনন্দ পেলাম। এমন আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ না হয়ে পারি না। সঙ্গে বিক্রমপুরে ভাষায়, " তরতর করে আর আগাইতাছে । " শুনে মুগ্ধ হলাম। পেলাম অনুপ্রেরণাও ।অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো।
অফটপিক, আন্টি ও ছোট ভাইকে বাড়ি যেতে কোন অসুবিধা হয়নি তো?
শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা রইলো।
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০৯
ঝিগাতলা বলেছেন: আগে থেকে না পড়লে কিছুই বুঝতেছি না
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ঝিগাতলা ভাই,
আপনার জন্য আমি সত্যিই খুব দুঃখিত । আসলে আপনি আগের পোস্টগুলো না পড়ার জন্য খুব বেশি ধরতে পারছেন না। যদি সময় পান please, একটু পুরনো পোস্ট পড়ে নিননা। আশা করি অসুবিধা হবে না। গত পোষ্টেও আপনি ঠিক একই কমেন্ট করেছেন । এত অসুবিধার সত্ত্বেও আপনি যে ধৈর্য ধরে সঙ্গে আসেন এতেই আমি ভীষণ খুশি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালবাসা রইল।
৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪
নীল আকাশ বলেছেন: দাদা, আপনি যখন আমাকে রাতে পড়তে বললেন তখন আমি প্রায় শুয়ে পড়েছিলাম, দু:খিত সেই সময় পড়তে পারিনি..।
সকালে অফিসে এসেই প্রথম আপনার লেখাটা পড়লাম। কিন্তু-
কোন ট্যুইস্ট নেই, হায় হায়? অন্তত: চুড়িদারটা কাহানী একটু রসিয়ে লিখতে পারতেন? এই সব কাহানী এত ছোট করে লিখলে হবে?
ভালো থাকুন আর শুভ কামনা রইল!
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই ,
সরি আপনাকে অত রাতে গল্পটা পড়তে বলে বিব্রত করার জন্য দুঃখিত ।আসলে ওই সময় আপনার একটা কমেন্ট দেখে ভাবলাম আপনি হয়তো জেগে আছেন সে জন্যই বলা। ওকে, দ্যাটস ফাইন। তবে অফিসে গিয়ে পোস্টটি দেখেছেন এবং সুন্দর মন্তব্য করেছেন- এ জন্য প্রীত হলাম । সঙ্গে পোস্টে লাইক করাতে অনেক অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
হায়! হায়! আপনি টুইস্ট পেলেন না ? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন ,আজ আসলে এই পর্বে জাদু করে সব twist উড়িয়ে দিয়েছি। গত পর্বে আপনি টুইস্ট এ একটু বিরক্ত ছিলেন কিনা, সে জন্যেই এই কৌশল নেওয়া আর কি। হা হা হা।
চুড়িদার কাহিনী রসিয়া লিখতে গেলে অনেকটা বড় হয়ে যেত। এরফলে এমন অনেকে আছেন যারা মেদবহুল বলে অভিযোগ করতেন। সে কথা ভেবেই ওটা আর দীর্ঘায়িত করতে সাহস পেলাম না। তবে বিষয়টি যেহেতু সেনসিটিভ কিনা, যে কারনে আমার মনে হয়েছে বেশিটা না বলা শ্রেয়। হা হা হা
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় নীল আকাশভাইকে ।
৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: ব্যাস্ততার কারনে এখনও পড়তে পারিনি........
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাঝি ভাই,
ব্যস্ত আছেন ; ওকে ফাইন । আপনি সময় করে পড়বেন । আপনার কমেন্ট অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভকামনা রইল।
১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: সক্কাল সক্কাল ব্লগে এসে জগড়া করলাম তাই আর কি..... মাথা ঠান্ডা হলে পড়বো
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না তো সরাসরি কেন করবেন। ব্লকটা বিনোদনের ক্ষেত্রে মাথা ঠান্ডা রেখে কমিটি উত্তর দিন। হা হা হা। তবে আমি আপনার ব্লগ বাড়িতে ঘুরে গেলাম কই কোথায় তো তেমন ছড়াছড়ি কিছু দেখলাম না। আপনি পারলে আমার সঙ্গে ঝগড়া করতে পারেন।
পরে আবার পোষ্ট পড়ে কমেন্ট আশা চাই আমি অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মাঝে বেশ কিছুদিন অনুপস্থিত থাকায় আপনার এই উপন্যাসটা পড়ার সুযোগ হয়নি। সময় করে শুরু থেকে পড়ার ইচ্ছে রাখি। শুভকামনা রইল।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সম্রাট ভাই,
ব্যস্ততার জন্য আপনিও বেশ কয়েকদিন অনিয়মিত হয়ে গেছিলেন । কিন্তু ব্যস্ততার অবসান হতেই আবার যে মনে করে চলে এসেছেন এটাই আমার কাছে বড় আনন্দের।যদি সময় পান তাহলে পুরানো পোস্টগুলিতে একটু চোখ বুলাতে অনুরোধ করবো।
আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার জন্যও রইলো অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।
১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২১
নজসু বলেছেন:
মাম
-কি ব্যাপার, আপনি কি কিছু ফেলে গেছেন?
-হ্যাঁ ফেলে গেছি; সেটা কে নিয়ে যেতে এসেছি।
-কি ভুলে গেছেন ম্যাডাম?
-আপনাকে।
অনির্বাণ মুখার্জি নতুন আগ্রহ তৈরি হলো।
পরোপকারী শিক্ষকটির ভবিষ্যত জীবনের মঙ্গল কামনা করছি।
আরো অনেক অনেক বছর মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকুন।
পেপারে ঠান্ডা নিবারণ না লজ্জা ঢাকানোর প্রচেষ্টা বেশি নাটকীয় লেগেছে।
আচ্ছা ম্যাডামের কাকু কি নিজের কাকু নন।
মনে পড়ছে না। কোথাও উল্লেখ আছে নাকি প্রতিবেশী কাকু।
মাসীমা তো ওনাকে নিজের ঠাকুরপোর মতো করেই ডেকেছেন।
(১)
-কাকু এখন কোথায় যাবেন?
মাসিমা উত্তর দিলেন ,
-কাকুর বোনের বাড়ি বাঘাযতীনের পাটুলিতে । তোমরা না এলে অবশ্য কাকু এখানে থাকতেন। তোমরা আসাতে কাকুকে আর কষ্ট দেব না এত রাতে ।
(২)
পাশ থেকে শেফালী ম্যাডাম বললেন,
- হ্যাঁ কাকু ! তুমি আর দেরি করো না । যদি পারো কাল সকালে একবার এসো ,প্লীজ।
- আচ্ছা! ঠিক আছে মা ; সময় পেলে কাল অবশ্যই আসবো । তবে আমার বোনটার শরীরও ভালো নেই । আজি খবর পেলাম আমি । কিন্তু তোমার বাবাকে নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে খোঁজ নিতে পারিনি । এখন গিয়ে দেখি কি অবস্থায় আছে।
সংলাপগুলো ভাবছি।
কাকু নিজ না প্রতিবেশী সেটা আগে জানতে হবে আমাকে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইউ আর জিনিয়াস! টোটাল পোষ্টের এক্কেবারে ক্রিমগুলোকে আপনি এক জায়গায় করেছেন । আপনার মন্তব্যটা আমি বেশ অনেক বার পড়েছি। তবে আমি আর কী উত্তর দেবো, মন্তব্যের সঙ্গে আপনি নিজেইতো যেন উত্তরটা দিয়ে দিয়েছেন।
১, কাকু সম্পর্কে আপনার লেটেস্ট তথ্য পাওয়ার জন্য আমিও অপেক্ষায় থাকলাম ,হে হে হে।
২ ,এই সংলাপগুলির সামগ্রিক ভাবনার ফলাফল আমাকে জানাতেই হবে । আপনার মত এমন একজন বিদগ্ধ পাঠকের কাছ থেকে এখনো অভিজ্ঞতা জানতে আমি অধীর অপেক্ষায় রইলাম....
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় নজসুভাইকে ।
১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩০
করুণাধারা বলেছেন: এই পর্ব আমার নামে উৎসর্গ করা দেখে যুগপৎ আনন্দিত ও বিব্রত হলাম; অবশ্য বিব্রত একটু বেশি, কারণ মন্তব্য করতে আসতে দেরি হয়ে গেল...........
ঘটনা, চরিত্র, পরিবেশ সবকিছুই বাস্তব সম্মত হয়েছে। যেমন আই সি ইউ তে একজন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে রোগী দেখিয়ে দেন, ভেতর পর্যন্ত দুজন যাওয়া যায় না। আর আই সি ইউ তে গিয়ে সত্যি সত্যি অনেক নল লাগানো রোগী দেখে কাঠের মত দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করা যায় না। একটা জিনিস আমার একটু খটকা আছে, চুড়িদার বলে এক ধরনের পায়জামাকে, যা পায়ের সাথে আটো হয়ে লেগে থাকে ভাঁজ ভাঁজ হয়ে, সেটা উঠে যাওয়া অসম্ভব। এটা কি করে এত খানি উঠে গেল! নাকি চুড়িদার বলতে আপনি অন্য কোন পোশাক বুঝিয়েছেন?
শেফালী ম্যাডামের কথা প্রসঙ্গে বলেছেন,"প্রতিমন্তব্যে কি বলবো...." এটা মনে হয় "প্রত্যুত্তরে" হলে ভালো হতো, আমার মতে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম, বরাবরের মতই!
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,
সেই দুপুরেই দেখেছিলাম আপুনি আপনার কমেন্ট । কিন্তু ব্যস্ততার জন্য উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।আপনি আনন্দ পেয়েছেন জেনে আমি পুলকিত হলাম তবে কমেন্ট করতে দেরি হয়েছে বা হতেই পারে ব্যস্ততার জন্য আপনি যে এসেছেন এটাই বড় প্রাপ্তি কাজেই বিব্রত বোধ করলে আমিও বিব্রত বোধ করব আপু। আর যাই হোক আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলাটা কোন অবস্থায় আমার পক্ষে সুখকর নয়।
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলি,আপুনি বাংলাদেশে যাকে থ্রিপিস বলে তাকে ভারতে চুড়িদার বলে। পাঞ্জাবে আবার কুচি দেওয়া পাজামাকে পাতিয়ালা বলে। তবে থ্রিপিস বা চুড়িদার যাই বলুন ঘুমের মধ্যে উপরের পিস বা কুর্তিকে উপরে ওঠার কথা বলা হয়েছে।
একেবারে শেষে আপনার পরামর্শ মত 'প্রত্যুত্তরে ' এডিট করে দিয়েছি।
পোস্টটিতে like' করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মেয়েরা নাকি তাদের অভিব্যক্তি লুকিয়ে রাখতে খুবই পটু।
তাই হয়তো শোফালী ম্যাডাম তিনার অভিব্যক্তি সে ভাবে প্রকাশ করেননি।
শেফালীর সাথে এত লং টাইম থেকেও কথোপকথন কম মনে হল।
যাই হোক এবারের পর্বও ভাল লেগেছে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সোহেল ভাই,
সহমত আপনার সঙ্গে বেশির ভাগ মেয়েরাই তাদের অভিব্যক্তি লুকিয়ে রাখে । শেফালী ম্যাডাম এরকম একজন মহিলা। গল্পে তো ওনাকে তেমন ভাবেই স্কেস করা হয়েছে। সেজন্যেই আপনার কথায় ,এত লং টাইম কাটালেও বাস্তবে কথোপকথনটি কিন্তু খুবই কমই হয়েছে।
যাই হোক এবারের পর্বটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও আনন্দ পেলাম। পাশাপাশি পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানবেন ।
১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর।
আজকে আপনি আছেন এমন ১টি পোস্ট দিয়েছি।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাইদুল ভাই,
আমি ইতিমধ্যে আপনার দেওয়া বিনোদনমূলক সুন্দর পোস্টটিতে কমেন্ট করে এসেছি। প্রথম দিন থেকে আপনি পাশে ছিলেন আজও আছেন , আগামীতেও এভাবে আপনাকে পাশে পাবো,- সেই দাবি রাখি।
অফুরান শুভকামনা ও ভালবাসা প্রিয় মাইদুলভাইকে।
১৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পড়েছি। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। [নোটিফিকেশন পাচ্ছি না। শীতের দিনে প্রতিউত্তর পড়তে আর আসতে পারবো না]
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মন্ডল ভাই,
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন বললেই তো আমি ছাড়বো না। আপনাকে পেয়েছি যখন ধরে বেঁধে আপ্যায়ন করব। নোটিফিকেশন পাচ্ছেন না তার জন্য আমি কি দোষ করলাম। আমরা তো আবার ভাবছিলাম সামনের শীতেই আপনার বড় অনুষ্ঠানের ব্যাবস্থা করবো । শীতকালই তো আনন্দের সময়। আর আপনি কিনা শীতকালকেই ভয় পাচ্ছেন? দাঁড়ান আপনার জন্য তাহলে শীতে কোল্ড কফির ব্যবস্থা করি। হা হা হা ।
Cold coffee খেয়ে একটা প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে আপনাকে , কাকুর বোনের বাড়ি কোথায় ছিল?
পোস্টে লাইক দেওয়াতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম , কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৫
ফেইরি টেলার বলেছেন: সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন । অভিজ্ঞতাগুলো রেসপনসিবিলিটি ফার্নিশ করে
btw আপনি কি ইনডিয়ান ?
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য, সু -স্বাগতম আপনাকে। লেখাটা আপনার কাছে সুন্দর , গোছানো মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন যে অভিজ্ঞতাগুলো রেস্পন্সিবিলিটি ফার্নিশ করে।
আপনার সর্বশেষ প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বলতে হবে।। তবে আমার মনে হয় ব্লগে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা ব্লগার।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪২
ল বলেছেন: চুড়িদারটার কাহানী আরো রসালো হবে ভাবছিলাম----সংবিধান অনুযায়ী চৌধুরীসাব তো বেজায় ভদ্রলোক চোখে মুখে পরম তৃপ্তি এরকম একটা দৃশ্য দেখার জন্যেই তো যুগ যুগ বাঁচতে পারে ---------সাত পুরুষের অভ্যেস স্যার ---------------------
ওঠার আগে ---জেগে ওঠার আগে ?
লেখক হিসেবে আপনি উদীয়মান নয়, উদিত-------------------------
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা, প্রিয় লতিফ ভাই আপনিও সেই চুড়িদার নিয়েই পড়ে গেলেন ! সংবিধানের সঙ্গে চৌধুরী শব্দের সম্পর্কটা ঠিক বোধগম্য হলো না। যেমন হলো না সাত পুরুষের অভ্যাস স্যার - কথাটিও । প্লিজ,আর একটু পরিষ্কার করে যদি বলতেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই ,
যে কথা বলতে ভুলে গেছিলাম। পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরনা পেলাম , কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আবার অপেক্ষায় থাকতে হবে ....
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অপুভাই ,
আপনি তো হাজিরা দিলেন । পোস্ট সংক্রান্ত কমেন্ট নেই। ফলে আজ আমি আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য থেকে বঞ্চিত হলাম । হা হা হা।
আর পরবর্তী পোস্ট আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
২০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪
ল বলেছেন: ভাবছিলাম চুড়িদার সিকোয়েন্সে একটু রসালো হবে -- যেমন, আলতো পরশ, নয়ন ভরে চেয়ে থাকা -- এগুলো টাইপের কিনতু
পরেই মনে হলো ৯/১ এর সাথে ৯/২ এর মিলটা যেখানে রুপ দংশন করা চৌধুরী সাহেবের সহজাত চরিত্রের বাইরে সেখানে দুরত্ব বজায় রেখে তৃপ্তি নেয়া বংশগত সূত্রে পাওয়া,
চরিত্রের সাথে মিলটা বুঝে পেলাম।
তিনবার পাঠ করলাম।
অমিল দুটি পেলাম --- আমি ওঠার আগে --- না হয়ে আমি ঘুম থেকে ওঠার আগে দিলে কেমন হয়? মুখের ছবির পরিবর্তন না হয়ে - চেহার দিলে কেমন হয়।
পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানালাম!!!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা , আজকে আপনার সুরেই বলবো ওয়েলডান! ভেরি গুড!
আপনার কমেন্টের প্রথম অংশ সম্পর্কে বলি। বয়সে দুজনের ম্যাচিওর। পেশাগত দিক দিয়ে দুজনেই স্কুল শিক্ষক। সুতরাং পোস্টে দুজনের চলন-বলন সবকিছুর মধ্যে শিক্ষকসুলভ আচরণটি ধরে রাখাটা আমার প্রধান লক্ষ্য ছিল। অস্বীকার করব না যে এখনো পর্যন্ত সযতনে সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। জানি না মাঝে মধ্যে তার অন্যথা হয়েছে কিনা । তবে আমি নিজে পাঠক হলে অবশ্য প্রধান দুটি চরিত্রের এই অংশটি উল্লেখ করতাম। সাধারণ প্রেম যত দ্রুত গতিতে হয়,পরিণত বয়সের প্রেম তত দ্রুত গতিতে উন্নতি লাভ করে না বরং সেখানে একে অপরকে মেপে মেপে পা ফেলে অগ্রসর হয়। গল্পে সেটাকে দেখানোর জন্য এই এত ধীর -স্থির ভাবে দুটি চরিত্রের আগমন বা কথোপকথন।
আপনার কমেন্টের সেকেন্ড অংশ সম্পর্কে বলি,
" আমি ঘুম থেকে উঠার আগে " দিলে বেশি ভালো হত। ওটা আমি এডিট করে ঠিক করে দেব। আর মুখের এক্সপ্রেশন ও চেহারার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। সাধারনত কেউ রেগে গেলে তার সার্বিক চেহারার যে পরিবর্তন হয় বা খুশি হলে ঠিক তেমনি তার চোখে-মুখে সঙ্গে হাতে-পায়ের চলন বলনেও একটা পরিবর্তন আসে - যেটাকে চেহারার পরিবর্তন বলা যায়। কিন্তু মুখের এক্সপ্রেশনটা সব সময় শরীরের বাকি অংশের সঙ্গে ম্যাচ করে না। এখানে একারণেই শুধু মুখের ছবির পরিবর্তনের কথা বলেছি ।
দ্বিতীয় বার আবার কমেন্টে এসে বিষয়টা সুন্দরভাবে আলোকপাত করার জন্য আপনাকে হার্দিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই ।
শুভ রাত্রি।
২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭
ল বলেছেন: আপনাকেও হার্দিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ভালবাসা ও শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম।
অনেক অনেক শুভকামনা অন্তরের ভালোবাসা আপনাকেও।
২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
অনেক দেরিতে কমেন্টে আসার জন্য ক্ষমা প্রার্থী ''গুরুজি''। আজকের পর্বে আমি নিজে কোন মন্তব্য করবো না। আমার পছন্দের কয়েকটি কমেন্ট হাইলাইট করবো গুরুজি।
@ আরোগ্য বলেছেন: একি পদাতিক ভাই মরীচিকার লোগো কোথায়? শেফালি ম্যাডামের বাবার অবস্থার উন্নতি হয়েছে শুনে স্বস্তি পেলাম। ভাগ্যিস চুড়িদারে হাত দেয়নি নইলে কপালে শনি ছিল। মুখার্জির কথা গত পোস্টের মন্তব্যে লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। আমারতো মনে হয় এই মুখার্জি একটা ঝামেলা পাকাবে। আমার কাছে পর্বটা বেশ লাগলো। কুহেলিকার জন্য অনেক শুভ কামনা।
@ নজসু বলেছেন: মাম
-কি ব্যাপার, আপনি কি কিছু ফেলে গেছেন?
-হ্যাঁ ফেলে গেছি; সেটা কে নিয়ে যেতে এসেছি।
-কি ভুলে গেছেন ম্যাডাম?
-আপনাকে। :`< :`<
অনির্বাণ মুখার্জি নতুন আগ্রহ তৈরি হলো।
পরোপকারী শিক্ষকটির ভবিষ্যত জীবনের মঙ্গল কামনা করছি।
আরো অনেক অনেক বছর মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকুন।
পেপারে ঠান্ডা নিবারণ না লজ্জা ঢাকানোর প্রচেষ্টা বেশি নাটকীয় লেগেছে।
আচ্ছা ম্যাডামের কাকু কি নিজের কাকু নন।
মনে পড়ছে না। কোথাও উল্লেখ আছে নাকি প্রতিবেশী কাকু।
মাসীমা তো ওনাকে নিজের ঠাকুরপোর মতো করেই ডেকেছেন।
@ করুণাধারা বলেছেন: ঘটনা, চরিত্র, পরিবেশ সবকিছুই বাস্তব সম্মত হয়েছে। যেমন আই সি ইউ তে একজন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে রোগী দেখিয়ে দেন, ভেতর পর্যন্ত দুজন যাওয়া যায় না। আর আই সি ইউ তে গিয়ে সত্যি সত্যি অনেক নল লাগানো রোগী দেখে কাঠের মত দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কিছু করা যায় না।
@ ল বলেছেন, লেখক হিসেবে আপনি উদীয়মান নয়, উদিত। (আমার মনের কথা বলেছেন প্রিয় ভাই, প্রিয় গুরুজির জন্য।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি গুরুদেব,
প্রতিমন্তব্যটি পৃথক ভাবে মন্তব্য হয়ে গেছে। ২৩ নং কমেন্টটি আপনার কমেন্টটের প্রতিমন্তব্য। প্লীজ ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেবেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,
আপনার ব্যস্ততার মধ্যেও যে সময় করে এসে পোস্টটি পড়েছেন ও মন্তব্য করেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে এবারে আপনার
সুচিন্তিত কমেন্ট থেকে আমি বঞ্চিত হলাম। ধন্যবাদ @আরোগ্য @ নজসু @করুনাধারা আপু @ল ভাইকে । উনাদের সুন্দর কমেন্ট গুলিকে কোটেড করে আপনারও একটি সুন্দর কমেন্ট তৈরি হলো।
ল ভাই যাই বলুক, @চাঁদগাজী গতকাল একটি পোস্টে দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা আসলে কি। কাজেই উদিত নয় , উদীয়মান বৈকি। হা হা হা।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় গুরুদেবকে ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই কমেন্টটি 22 নম্বর কমেন্টে প্রিয় কাউসার ভাইয়ের কমেন্টের প্রতি মন্তব্য।
২৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চঞ্চল ঝর্ণা যেন এখন সমতলে গভির অথচ ধ্যানির গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে পরিণতির দিকে!
কাহিনী তালে তালে চরিত্রগুলো পরিপক্ক হয়ে উঠছে! সামনে কি নায়াগ্রা না মোহনা লেখকের হাতেই
আমরা চলছি আপাতত ভাটিয়ালি গাইতে গাইতে
নদীর কুল নাই কিনার নাইরে - - - -
জম্পেশ সিরিজে +++++
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবিভাই,
গতকাল যখন পোষ্টে আপনার লাইক ' দেখলাম, তার পর থেকে যতবার এসেছি খুঁজেছি আপনাকে। কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হয়ে লগআউট করেছি। মনকে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম ব্যস্ততার মধ্য হয়তো কমেন্ট করার সময় আর হয়ে ওঠেনি, কিন্তু পোস্টে লাইক করে আপাতত আপনার উপস্থিতি জানিয়ে গেছেন - এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। কাজেই আজ হঠাৎ আপনার দেখা পেয়ে ভীষণ উৎফুল্ল হলাম। আসলে আপনার এমন কাব্যরস সমৃদ্ধ কমেন্টগুলি আমাকে অসম্ভব মুগ্ধ করে। খোলামনে আজ সে কথা আপনাকে জানালাম। হা হা হা ।
" কাহিনী তালে তালে চরিত্রগুলো পরিপক্ক হয়ে উঠেছে! সামনে কি নায়েগ্রা না মোহনা লেখকের হাতেই। " হা হা হা ।
" নদীর কূল নাই কিনারা নাইরে.......
কাহিনী জম্পেশ মনে হওয়াতে সঙ্গে এতগুলি প্লাস ও পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই শ্রদ্ধেয় কবিভাইকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: বাহ! কি ভুলে গিয়েছেন ম্যাডাম? আপনাকে.....
কথাটি কিন্তু আমাকেও শিহরিত করে দিলো।
প্রথম থেকে ছিলাম, আছি, থাকবো। এগিয়ে যান ভাইয়া। সাথে পাবেন সবাইকে।
দোয়া ও ভালবাসা রইলো আপনার জন্য।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা প্রিয় প্রভাআপু,
আপনার সুন্দর আন্তরিক কমেন্টে আনন্দ পেলাম। বিশেষ সংলাপটি যে আপনাকে শিহরিত করেছে জেনে আপ্লুত হলাম। তবে কৃপণ আপুনির লাইক বাটনটি না পাওয়াই কিঞ্চিৎ অভিমান থেকে গেল বৈকি। জাস্ট ফান। হা হা হা।
প্রথম থেকেই সঙ্গে ছিলেন, আজও আছেন বা আগামীতে থাকবেন জেনে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে খাটো করবোনা।
অনেকদিন হল আপুনিরও কোন পোস্ট নেই। ইতিমধ্যে আমি পুরানো একটি পোস্টে কমেন্ট করে এসেছি। নোটিফিকেশনে এখনও প্রতিমন্তব্য দেখালো না। জানি না আপুনির চোখে পড়েছে কিনা।
শুভকামনা ও ভালোবাসা ছোট্ট আপুনিকে।
২৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি ভাইয়া, আমি দেখার সাথে সাথেই প্রতিউত্তর দিয়ে দিয়েছি। আসলে ব্লগে খুব বেশী সময় দিতে পারছি না। চেষ্টা করি যতটুকু সম্ভব যথাযথভাবে দেওয়ার।
আপনার লেখা সর্বদাই আমার কাছে প্রিয়। গল্পের এক লাইন পড়লে ইচ্ছে করে পরের লাইনটিও পড়ি। আলাদা ভাললাগা কাজ করে আপনার গল্পে। আমি বই পড়তে খুব ভালবাসি, কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে তেমন একটা পড়তে পারি না। ব্লগে আমার দারুণ সময় কাটে, কারণ পছন্দের সকল লেখকদের কবিদের কবিতা ও গল্প পড়ে নিজের একাকীত্ব সময়টুকও খুব আনন্দেই কাটাতে পারি।
আপনার জন্য শুভ কামনা নিরন্তর।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনির আবার আগমনে আনন্দ পেলাম। তাহলে আমি যাচ্ছি, গিয়ে প্রতি মন্তব্যটা দেখে নিচ্ছি,। হ্যাঁ প্রত্যাহিক ব্যস্ততার মধ্যে তো সবসময় ব্লগে আসা সম্ভব হয় না। আর একবার এলে সহজে ব্লক ছেড়ে যাওয়াও যায় না। আমার লেখা আপনার ভালো লাগে জেনে আবার আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বই পড়তে ভালবাসেন । বর্তমানে সময়ের স্বল্পতার কারণে আর তেমন পড়াশোনা করতে পারছেন না । কিন্তু তবুও তার মধ্য থেকেও দেখবেন সময় বার করলে আলাদা আনন্দ পাবেন। পড়াশোনাটা শ্রেষ্ঠ বিনোদন বলে আমি মনে করি। যাই হোক আপনার সময় বার হোক, আপনি আপনার সেই মনের ক্ষুধা নিভৃত করুন, কামনা করি।
হা হা হ , আমার উস্কানিতে শেষ পর্যন্ত আপনি পোস্টে লাইক করেই দিলেন। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: মাঝখানে অনেকগুলো পর্ব বাদ পরেছিল। আজ সবগুলো পড়লাম।
এবার তাহলে শেফালী ম্যাডামের সাথে নায়কের কিছু একটা আশা করা যায়
অপেক্ষায় রইলাম।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
স্নেহের ছোটবোন,
অনেকদিন পরে ভাইয়া বোনকে পেয়ে আনন্দ পেল। আশাকরি বোনের ব্যস্ততা কিছুটা হলেও কমেছে। তবে কলকাতাতে গতকাল থেকে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। জানিনা ওখানে কেমন ঠান্ডা পড়েছে, তবে শীতকাতুরে বোনটার সকাল সকাল উঠে অফিস যেতে হবে বলে আমি বেশ দুশ্চিন্তিত। যাই হোক সবই সয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় বোনকে।
২৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: দাদা কেমন আছেন ? অনেকদিন পরে ব্লগে আসলাম । ব্যস্ততার কারনে অাসা হয়নি । তবে এসেই আপনার প্রোফাইলে আসলাম । অনেক ভাল লাগছে এটা দেখে যে, আপনি সিরিজ লিখছেন ।সময়ে অভাবে পড়তে পারলাম না । একসাথে সব গুলো পড়ার আশা রাখছি ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সেই কত্তদিন পরে আবার দেখা প্রিয় হোসাইনভায়ের সঙ্গে। উপরওয়ালার কৃপায় খুব ভালো আছি। ব্যস্ততার কারনে অনেক সময় ব্লগে সময় দেওয়া আমাদের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠেনা। কাজেই আপনারও দীর্ঘ ব্যস্ততার অবসান হয়েছে জেনে অত্যন্ত আনন্দ পেলাম। আশাকরি পরবর্তী ব্যস্ততা না আসা পর্যন্ত আবার শান্তিতে ব্লগিং করতে পারবেন। আমরাও আপনার সান্নিধ্য পেয়ে আনন্দিত হব।
পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। আজ সময়ের অভাবে পড়তে পারেননি, ঠিক আছে। একদিন নিশ্চয় সময় হবে। সেদিনের জন্য আমি অপক্ষায় থাকবো।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ভাইকে।
২৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: যাক কিছুটা স্বস্তি এলো, ম্যাডামের বাবা ভালো আছেন সংবাদে। তবে বেশ কয়েকবার ই বাসায় অসুস্থ্য দিদি কথা টা এসছে বিভিন্ন পর্বে ; এখন ও খোলসা হয় নি। আশা করছি পরের পর্বে জানতে পারব। সাথে মুখার্জি নতুন নাম !!!
ফ্লোলেস লেখা, চমৎকার এগুচ্ছে। সবসময়ের মত ভালোলাগা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক অবশেষে প্রিয় আপুর দেখা পেলাম। মনে যে কতটা শান্তি পেলাম তা বলে বোঝাতে পারবোনা। ম্যাডামের বাবার শারীরিক অবস্থাব উন্নতির কথা শুনে খুশি হলেন। আর দিদির অসুস্থতার খবরটি পর্ব - ৬ এর পাঁচ নম্বর লাইনে উল্লেখ করেছি। দয়া করে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিন, আপুনি।
মুখার্জীর নাম এই পর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
পোস্টটি আপনার ভাল লাগাতে ও লাইক দেওয়াতে অনেক অনুপ্রেরণস পোলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় আপুকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৭
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
পদাতিক দা। কেমন আছে????
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপর ওয়ালার কৃপায় খুব ভালো আছি। অনেকদিন পরে প্রিয় ভাইকে পেয়ে খুব খুশি হলাম। আশাকরি ব্যস্ততার অবসান ঘটেছে । আবার নিয়মিত ব্লগে পাবো।
শুভকামনা ও ভালবাসা রইল।
৩১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
ব্যস্ততা ছিল বলতে পরীক্ষা ছিল। আরো চারটি আছে।
তারপরও নিয়মিত হবো পদাতিক'দা। আচ্ছা বলেন তো আর কত পর্বে গিয়ে থামবে মরীচিকার স্রোত।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যদি আপনাদের বিরক্ত লাগে তাহলে অবশ্য খুব শীঘ্রই শেষ করে দেব । তবে গল্পটি যে রিদিমে এগোচ্ছে তাতে শেষ করতে এখনো বেশ দেরী আছে ।
আপনার পরীক্ষা চলছে । এখনো আর চারটি পরীক্ষা বাকি । আশা করি পরীক্ষা ভালো হচ্ছে । বাকি গুলোও ভালো হবে- কামনা করি।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
৩২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পুরা গল্পটিই জমানো। তবে এই দুইটি পর্ব অনেক ভাল লেগেছে। ৯/১ শেষ করে এই পর্বটি খোঁজে পড়েছি।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।গল্পটি ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। আপনি মন দিয়ে পরপর দুটি পর্ব পড়েছেন জেনে অত্যন্ত খুশি হলাম। তবে ইতিমধ্যে এই সিরিজে আরও অনেকগুলো পর্ব প্রকাশ করেছি, সময় পেলে যদি পড়েন তাহলে ধন্য হব।
শুভকামনা ভালবাসা রইল।
৩৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
নতুন-আলো বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওয়ালাইকুম আসসালামু। উপরওয়ালা আপনার মঙ্গল করুন।
৩৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭
নজসু বলেছেন:
আপাততঃ এখন আর কিছু বলতে চাচ্ছিনা।
পরের পর্ব আসুক।
আমি একটা সুযোগের অপেক্ষায় আছি প্রিয় গল্পাকার।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে বস! আমি খুব আশঙ্কায় আছি , আমার প্রিয় ছোট ভাইটি কি যে কমেন্ট করে বেশ ডর লাগছে।
৩৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১
নীলপরি বলেছেন: খুবই সাবলীল লেখা ।টান টান ভাবটা খুবই ভালো লাগছে ।
+++++++
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
শুভকামনা
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পরিআপু ,
আপনার ছোট্ট অথচ আন্তরিক মন্তব্যের প্রীত হলাম। দেরিতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত। পোস্টে লাইক ও এতগুলো প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫০
পবন সরকার বলেছেন: দাদা, আপনার লেখনি বেশ ভালো লাগল, মনোযোগ দিয়েই পড়লাম।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। পরপর দুটি পোস্টে আপনাকে পেয়ে অত্যন্ত খুশি হলাম । লেখনি ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম । আবারো ধন্যবাদ জানাই। তবে আপনিও অনেকদিন ব্লগে পোস্ট দিচ্ছেন না। আপনার রম্য ছড়াগুলি অত্যন্ত মজাদার।
শুভকামনা ও ভালবাসা জানবেন।
৩৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
মাহের ইসলাম বলেছেন: যথারীতি, অসাধারন হয়েছে।
তবে, শেফালী ম্যাডামের কথায় আরেকটু বেশি ভেঙ্গে পড়া এবং অসহায় দেখালে কেমন হত , ভাবছি।
নাকি, বাস্তবতাই ম্যাডামকে এমন আচরনে বাধ্য করছে ?
শুভ কামনা রইল।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা , অবশেষে প্রিয় মাহেরভাইকে কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। আপনার সুন্দর প্রস্তাবে প্রীত হলাম । তবে গল্পে শেফালী চরিত্রটি অনেকটা ইন্ট্রোভার্ট । যারা সহজে ভেঙে পড়ে তারা সব কিছুতেই আলটপকা মন্তব্য করে। কাজেই প্রকৃতিগতভাবে শেফালী চরিত্রটিকে যেহেতু একটা বিশেষ লক্ষ্য রেখে গড়ে তুলছি তাই তাকে বেশি এক্সপোজড না করায় সিদ্ধান্ত।
আগামীতেও এইভাবে আপনাকে পাশে পাবো এই আশা রাখি।
শুভকামনা ও অন্তরের ভালোবাসা প্রিয় মাহেরভাইকে।
৩৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
রাকু হাসান বলেছেন:
কি ভাইয়া মনে করছো ছোট ভাই ,এই পর্বের কথা ভুলে গেছে ! ভুলি নাই ,সময় খোঁজ ছিলাম পড়ার জন্য । বেশ ভালো লাগলো এই পর্ব । করুণাধারা আপুকে অভিনন্দন এবং তোমাকেও ।
ভালোই তো মনে হয় কিছুই বুঝে না নায়ক । ভিতরে ভিতরে নায়ক কে চালাক লাগছে । শেফালী ম্যাডাম যদি বলতো থাক ,আজকের দিনটা থেকেই যান ,দেরিতে হয়েই গেল । স্কুল যেন ভেসে যাচ্ছে । শেষ অংশটুকু খুব ভালো লাগছে । পুরো গল্পের সাথে লেপ্টে আছি । ভাইপোর জ্বর কমছে কি ঃ? এখন কি অবস্থা ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,
আমি এই মুহূর্তে নতুন পোস্ট দিয়েছি । আমি তোমার আগমনের অপেক্ষায় ছিলাম । তবে জানি তুমি এখন খুব ব্যস্ত আছো। আর তুমি পর্বের কথা ভুলবে সেটা আমি কখনো ভাবতে পারিনা ।আমি শুধু জানি আমার ভাইটি এখন প্রচন্ড ব্যস্ত ব্যস্ততার মধ্যে আছে সময় পেলে ঠিক আসবে। তবে পোস্টে তোমার কমেন্ট না পেলে পোস্ট অসম্পূর্ণ লাগে এটাই যা সমস্যাটা। কাজেই সমস্যাটা আমার নয় ,পোস্টের হা হা হা। করুনাধারাআপুকে অভিনন্দন সঙ্গে আমাকেও ,হা হা হা ঠিক জায়গায় পৌছে দেব।
নায়ক সম্পর্কে আমি আর কি বলবো । তুমিই তো সব বলে দিলে । তবে দেখো এই নায়ক চলবে কিনা। যে ঝাড়ি করতে পারে না বা ফ্লাট করতেও পারে না : সে আবার নায়ক নাকি!!
পুরো গল্পের সঙ্গে আছো এটা আমার বিরাট সৌভাগ্য। আর ভাইকে কি কেউ ধন্যবাদ দেয় ,? কাজেই ওসব কিছুই চলবে না, এখানে শুধুই অন্তরের ভালোবাসা।
ভাইপোর জ্বর এখন ঠিক হয়ে গেছে। আগামীকাল অ্যান্টিবায়োটিক কমপ্লিট হচ্ছে । স্কুলও চালু হয়ে গেছে, তবে বেশ দুর্বল।
অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা স্নেহের ছোটভাইটিকে।
৩৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬
শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক একটু অনিয়মিত ছিলাম। পরের পর্ব দিয়ে দিয়েছেন দেখলাম। এটা পড়া শেষ করে ওখানে যাচ্ছি।
মুগ্ধতা ও ভালোলাগা বরাবরের মতোই। শুভকামনা প্রিয় লেখক ও ব্লগার।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি ,
অনিয়মিত থাকলেও আপনি যে সময় করে এসে পড়ে কমেন্ট করেছেন এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। যদিও আমি ইতিপূর্বে শেষ পর্বে আপনার প্রতিমন্তব্যটি আগে দিয়েছি। পোস্টটি ভাল লাগাতে বা মুগ্ধ হওয়ায় অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম ।
আপনার জন্যও রইল আমার অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
৪০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: রোমান্টিক পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা ! রোমান্টিকতার গন্ধ পাচ্ছেন এতেই আমি খুশি। পেলে যে বিমোহিত হতাম ....
অনিঃশেষ শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
৪১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার.. চালিয়ে যাব পড়া। তবে আজ আর নয়, হয়তো কাল।
ভালো কথা, মাম নামটা কি আগে কোথায় লিখেছিলেন? মনে করতে পারলাম না.....
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রকিভাই,
প্রথমে ক্ষমা চাইছি সময়ে না দেখতে পেয়ে প্রতিমন্তব্য না দেওয়ার জন্য। বরাবরের মত আপনার চমৎকার' ধর্মী মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রেরনা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলি, না মাম নাম প্রাসঙ্গিক কারণে এখানে প্রথম এসেছে। ওনার মা মেয়েকে আদর করে মাম বলে ডাকেন।
আপনার বই এর খবর জানতে ইচ্ছা করছে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৪২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: -হ্যাঁ ফেলে গেছি; সেটা কে নিয়ে যেতে এসেছি।
-কি ভুলে গেছেন ম্যাডাম?
-আপনাকে।
বাস্তবে আমি যেন আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ।
কুছতো হুয়া হে,কুছ হোগ্যায়া হ্যেয় গানটার কথা মনে পড়ে গেল।
১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা , ঠিক ক্রিম জায়গাটা খুঁজে বের করেছেন । মুগ্ধতা! আর মুগ্ধতা !
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।
৪৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কি ভুলে গেছেন ম্যাডাম? - আপনাকে" -
বাসে পাশাপাশি বসার সৌভাগ্য আমাদের হয় নি --
শেফালী ম্যাডামের সাথে এসব মিষ্টি মিষ্টি হাল্কা রোমান্সেের কথোপকথন- ভালই লাগলো।
লেখাটি করুণাধারা কে উৎসর্গ করা ভাল লেগেছে, প্রীত হয়েছি।
মাম নাম (ডাক) টা খুব ভাল লেগেছে।
পোস্টে প্লাস + +
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
বিশেষ অংশগুলি উল্লেখ করায় প্রীত হলাম ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। পোস্টটির উৎসর্গে আপনার ভালো লাগাতে মুগ্ধ হলাম। এন আর সিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গভমেন্ট থেকে যাবতীয় নেট পরিষেবা বন্ধ করার জন্য কোনো রকম ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ সম্ভব হচ্ছে না। যথারীতি প্রতিটা পোস্টে আপনার কমেন্ট আপনার স্বকীয়তার পরিচয় বহন করে, যেটা আমাদের কাছে অনুকরণীয়।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯
আরোগ্য বলেছেন: আজকে আগে কমেন্ট করতে চাই। আবার পড়ে আসছি।