নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুহেলিকা -১ / মরীচিকা ( পর্ব -১১ )

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮



সেদিন বাড়িতে এসে এক বিপত্তি ! এত সকালে আমাকে দেখে সকলেই খুব অবাক হলেন। সরাসরি স্কুল থেকে আসছি বা অন্য কোথাও ছিলাম কিনা - এমন হাজারো প্রশ্নের মধ্যে আমাকে পড়তে হলো। তাৎক্ষণিক ভাবে আমি বেশ সমস্যায় পরলাম বৈকি। কারণ এমন অসময়ে গৃহে আগমনে এরূপ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে ; এমন আশঙ্কা আমার মনের মধ্যে একবারও হয়নি। একজন মহিলা সহকর্মীর বাবা অসুস্থ ; তাকে সঙ্গ দিতে সুদূর স্কুল থেকে কলকাতা পর্যন্ত আসা - বলাটা নিরাপদ নয় বিবেচনা করে ওনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে নিরুত্তর থাকলাম । মা আমার এই হঠাৎ আগমনের কোন সদুত্তর না পেয়ে বেশ বিরক্ত প্রকাশ করলেন,
- তোমরা এখন অনেক বড় হয়ে গেছো। বাইরে থাকো, কাজেই ইচ্ছা মত চলাফেরা করবে - এটাই তো স্বাভাবিক। ঠিকই তো ,এখন তোমাদের কাজে বাবা -মা নাক গলাবে কেন ? আর তোমরাই বা সেটা মানবে কেন ?
আমি আপন মনে অপ্রয়োজনীয় হাবিজাবি কাজ দেখিয়ে নিজেকে মহান ব্যস্ত প্রমাণ করতে লাগলাম । কিছু পরে বাবা পুরনো চব্বিশ ইঞ্চি হাম্বার সাইকেলটা নিয়ে বাজারে গেলেন। চোখ না তুললেও বুঝলাম আমার এই নির্লিপ্ততা ওনাকেও বেশ চিন্তিত করে তুলেছে। মনে মনে এমন অসময়ে বাড়ি এসে নিজের বোকামির জন্য ধিক্কার দিতে লাগলাম। কিন্তু তখন যে সবকিছু আমার হাতের বাইরে চলে গেছে ।

সেদিন ওই সময় বোন বাড়ীতে ছিল না, টিউশনিতে গেছিল । পরে বাড়ি এসে আমাকে দেখে ভীষণ আনন্দ প্রকাশ করলো। আমিও আকার-ইঙ্গিতে শুকনো মুখে ওর অনুভূতির জবাব দিলাম। ও ব্যাগপত্র রেখে রান্নাঘরে চলে গেল। মায়ের সঙ্গে কি কথা হয়েছিল জানিনা , তবে কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে এসে সেই একই প্রশ্ন,
- তুই রাতে কোথায় ছিলি দাদা ? কি লুকাচ্ছিস আমাদেরকে? কেন লুকাচ্ছিস? জানিস মা- বাবা খুব রাগ করেছেন আজ তোর উপরে । মা তো আশঙ্কা করছেন যে তুই হয়তো কোনো বড় ধরনের বিপদে পড়েছিস বা পড়তে চলেছিস। সেরকম হলে আমাদের না জানালে তুই কি নিজেকে সেভ করতে পারবি?
আমি বোবার মত বোনের কথাগুলি শুনলাম কিন্তু মুখে কিছু বললাম না । তবে ওর মুখে মায়ের আশঙ্কার কথা শুনে মনে মনে শিউরে উঠলাম । ছোট থেকে শুনে আসছি সন্তানের সাফল্য ব্যর্থতা নাকি মায়েরা তৃতীয় নয়নে দেখতে পায় । শেফালীম্যাডামকে নিয়ে আমার মনে যে পরিবর্তন, তাকে আঁচ করেই মা এমন আশঙ্কা করছেন কিনা ; মনে মনে আমিও বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পরলাম।

শেফালীম্যাডামকে ধর্মতলায় বিদায় জানানোর সময় কথা হয়েছিল যে যত দ্রুত সম্ভব আমরা আবার হসপিটালে ওনার বাবার কাছে পৌঁছে যাব। কিন্তু আমি এক্ষুনি যে বিপদে পড়েছি তা থেকে আজ আর গোটা দিনে স্কুলে ফিরে যাওয়ার কথা মুখে আনতে সাহস পেলাম না। দুপুরে খাওয়ার প্লেটে পেল্লাই সাইজের সরিষা - ভেটকির একটি বড় মাথা, সঙ্গে একটি গাদা দেখে মনে মনে পুলকিত হলাম । মায়ের হাতের খাবার অনেকদিন পরে পেয়ে মন ভরে উঠলো । সাধারণত আমি এক পিস মাছ খাই । কিন্তু আজ দু পিস মাছ দেখেও মাকে ফিরিয়ে দিতে পারলাম না । আশঙ্কার চোরা স্রোত প্রবাহিত হওয়ায় সেদিন খাবারে কোন স্বাদ না পেলেও মুখ বুজে দু -পিস মাছ খেয়ে নিলাম। মাও খুব খুশি হলেন পাশে বসিয়ে আমাকে খাওয়াতে পেরে। যদিও বুঝতে দিলাম না যে মাছের শেষ অংশটুকু খেতে আমার যথেষ্ট সমস্যা হয়েছিল। খেতে খেতে মা জানতে চাইলেন ,
-তুমি দুদিন থাকবে তো বাড়িতে?
-না মা , আমার বাড়ি পড়ার ড্রেসপত্র একদম কমে গেছে। ভয়ানক সমস্যা হচ্ছিল হোস্টেলে। গতকাল স্কুলের একটি গাড়ি কলকাতায় কাজে এসেছিল । আমি ঐ গাড়ীতে করে এসেছিলাম। কিন্তু গাড়িটা খারাপ হয়ে যাওয়াতে ড্রাইভারকে ফেলে আর আমি আসতে পারেনি । যে কারণে গ্যারেজে রাত কাটাতে বাধ্য হই । সকালে ড্রাইভার চলে যেতেই আমিও বাড়ি চলে এলাম ।
-তাহলে তো তুমি বলতেই পারতে যে রাতে ড্রাইভারের সাথে গ্যারেজে ছিলে।
- হ্যাঁ , মা আমার একটু ভুল হয়ে গেছে । আসলে গ্যারেজে ছিলাম বলে তোমাদের জানাতে চাইছিলাম না ।
-এটা আর আমাদের না জানানোর কি আছে ।
-আসলে রাতের গ্যারেজে যে রাজ্যের যত নোংরা লোকদের আসা যাওয়া হয় এই জন্য ।

এবার অবশ্য মায়ের মুখ বেশ উজ্জ্বল হলো। বোন পাশে ছিল সেও আমার কথার প্রতিধ্বনি করে বলল,
-দাদা! তুই রাতে তাহলে গ্যারেজে ছিলি ?
-হ্যাঁ! বলতেই ,
- গ্যারেজের লোকেরা রাতে সব ড্রিংক করে । তুইও ওসব খাস নি তো?
-ধুস! পাগলী কোথাকার! যা তা বলছিস। তবে তোর অনুমান সঠিক। তোর দাদা অবশ্য ওসব কখন ছুঁয়েও দেখেনি ; আর নিশ্চিত থাকতে পারিস কোনও দিন দেখবেও না।
এবার মা বলে উঠলেন,
-কি যে বাবা সব সময় ভয় হয়! কখন যে কি বিপদ আসে মনের মধ্যে সবসময় কুডাক ডাকে। আগে তুমি বাড়িতে ছিলে, এত চিন্তা হতো না। কিন্তু এখন চোখের আড়ালে থাকো। সারাক্ষণ একটা দুশ্চিন্তা লেগেই থাকে ।

একটা সত্যকে গোপন করতে আর একটা মিথ্যাকে আশ্রয় নেওয়াতে আমার মনের মধ্যে এক চোরা স্রোত প্রবাহিত হতে লাগল । ইতিপূর্বে কখনোও বাবা-মাকে মিথ্যা কথা বলিনি। কিন্তু আজ যে কুহেলিকার কারনে মা-বাবাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত করতে মিথ্যার আশ্রয় নিলাম তা আমাকে বিদ্ধ করলো । ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সেদিন সারা দিন ও রাত এক অসহনীয় অবস্থা পার করে পরেরদিন সকালে যখন স্কুলে রওয়ানা দেব বলে তৈরি হচ্ছি অমনি মা এসে বললেন,
-তোমার বাবার বেশ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ।
-সেকি!
বলেই সঙ্গে সঙ্গে আমি বাবার ঘরে ছুটে গেলাম। দেখলাম বেশ অস্বস্তির মধ্যেও উনি প্রতিদিনকার মত যোগাসন করে চলেছেন।
-আপনি এত শ্বাস কষ্টের মধ্যেও ব্যায়াম করছেন ?
-হ্যাঁ ,একটু শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ঠিকই ; তবে তুমি ওসব ভেবো না। সব ঠিক হয়ে যাবে । তুমি এখনো রেডি হওনি ? যেতে হবে তো, দেরি করছো কেন?
-আপনার শরীর খারাপ দেখে আজ আর যেতে মন চাইছে না।
-অনেকদিন পরে এসছো, মন না চাইলে যেও না । কিন্তু আমার জন্য ভেবোনা বা খামোকা দেরি করো না । অনেক দূর যেতে হবে। এখনই তৈরী হয়ে নাও।
বাবা নিজে আমাকে তৈরি হতে বলাতে আমি আবার ড্রেস করতে লাগলাম । কিছুক্ষনের মধ্যে নিজেকে তৈরি করে বাবার ঘরে বিদায় জানাতে গিয়ে দেখলাম ,বাবা আর ব্যায়াম করছেন না। শ্বাসকষ্টটা বেশ বেড়ে গেছে। একটা অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করছেন। মাও অবস্থা দেখে শিউরে উঠছেন । ছল ছল চোখে মা মুখে কাপর চাপা দিয়ে একটা ফ্যাকাসে দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে রইলেন। বাবাকে এই অবস্থায় ফেলে রেখে যেতে মন একেবারেই সায় দিল না । এবার আমি জেদ করলাম,
-আপনাকে এবার আমি সোজা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।
-যত্তসব! ফালতু চিন্তা ভাবনা তোমাদের। আমার কিছু হয়নি।
-সে তো দেখতে পাচ্ছি ! আপনার কিছু হয়নি! আপনার শ্বাসকষ্ট , আকার-ইঙ্গিত, অঙ্গভঙ্গিই বলে দিচ্ছে - আপনি কতটা সুস্থ আছেন। আমি আজ স্কুলে যাব না । আপনাকে এখনই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।

অবশেষে বাবা আমাদের চাপের কাছে নতস্বীকার করে ডাক্তারের কাছে যেতে রাজি হলেন। বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা পায়ে হেঁটে কিছুটা অটোতে, আবার কিছুটা হেঁটে আমরা শহরের এক নামকরা হার্ট স্পেশালিস্টের চেম্বার পৌঁছেছিলাম । ডাক্তারবাবু বাবার হাত ধরে পরীক্ষা করেই আমাকে বাইরে ডাকলেন । সঙ্গে সঙ্গে ইসিজি করতে বললেন। ডাক্তারের কথায় বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে। আমি পাল্টা বললাম,
-সে কি করে সম্ভব ! একটু শ্বাস কষ্ট হচ্ছিলো ঠিকই, কিন্তু উনি তো সকালে ব্যায়াম করেছেন।
-হ্যাঁ, হার্ট অ্যাটাক অবস্থায় ব্যায়াম করাটা মারাত্মক ভুল হয়ে গেছে। আর যেন কোনদিন ব্যায়াম না করেন ।
সঙ্গে হাজারো গন্ডা বিধি-নিষেধ চাপিয়ে দিলেন । ডাক্তার অবাক হলেন এরকম রোগী এভাবে হেঁটে হেঁটে চেম্বারে এসেছেন দেখে ।
বাবাকে চেম্বারে বসিয়ে রেখে ডাক্তার বাবু আমাকে পাশে ডেকে নেওয়াতে বাবাকে আর কিছু বুঝতে বাকি থাকল না। আমি ফিরে এলেই ,
-বাবু আমার কি হয়েছে?
-না না! তেমন কিছু হয়নি আপনার।
-তাহলে ডাক্তার বাবু আমার সামনে না বলে তোমাকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন কেন?
-কিছু বিধি নিষেধ দিয়েছেন । কিন্তু সেগুলি আপনাকে সরাসরি বললে আপনি চিন্তা করবেন ভেবে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে গেছিলেন।
-ও! তুমি বলবে না বুঝতে পেরেছি । তাহলে বিধি নিষেধ গুলো কেন দিলেন?
এবার আমি জুতসই কোন উত্তর না পেয়ে, হ্যাঁ না গোছের আমতা আমতা করাতে-
-বুঝেছি,আমার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে । তবে হার্টের বর্তমান অবস্থা কেমন সেটা কি আমাকে বলা যাবে?
- হ্যাঁ! ইসিজি রিপোর্ট দেখে উনি বলবেন।


ইসিজি রিপোর্ট অনুযায়ী একটি ভাল্ব বসে যাওয়াতে আপাতত ডাক্তারবাবু এডমিশনের পরামর্শ না দিয়ে বরং ঔষধ দিয়ে বাড়িতে কড়া নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু নার্সিংহোমের লাগোয়া চেম্বারের নতুন একটি বিপত্তি দেখা দিল। বাবা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সবকিছু আমার কাছ থেকে জেনে নেওয়াই উনি আর নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না ,হাঁটতে পারছেন না, গায়ে কোন বল নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমি এক্কেবারে দিশাহারা হয়ে পড়লাম। চলবে.......

বিশেষ দ্রষ্টব্য:-পোস্টটি ব্লগে আমার ছোট ভাই সুজন ওরফে নজসুকে উৎসর্গ করলাম ।



মন্তব্য ১২৪ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (১২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

হাবিব বলেছেন: পড়তেছি...........

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে স্যার ! এতো দ্রুত পড়া শেষ করা সম্ভব নয় । আপাতত আপনার হাজিরা গ্রহণ করলাম। পরে পড়ে আসুন অপেক্ষায় থাকলাম .....
প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সঙ্গে বিরিয়ানি যোগে আপ্যায়ন । হা হা হা ।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

হাবিব বলেছেন: হাম্বার সাইকেল দেখতে কেমন?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এখন ম্যাক্সিমাম সাইকেল সব হিরো কোম্পানির। আগে কিছুটা হারকিউলিস ছিল। আরো আগে পুরনো গাড়ি ছিল হাম্বার। রংটা ছিল কাল উচ্চতা ছিল 24 ইঞ্চি।

শুভকামনা রইল।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

হাবিব বলেছেন:






দুপুরে খাওয়ার প্লেটে পেল্লাই সাইজের সরিষা ও ভেটকির একটি বড় মাথা,
সঙ্গে একটি গাদা দেখে পুলকিত হলাম........

গাদাটাও কি খাবার প্লেটে ছিল.........? :P

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খাওয়ার প্লেট মানে তো ঠিক খাওয়ার থালাতে নয়। আমার জন্য বরাদ্দ ছিল । খাবার সময়ে সেটা নিতে হয়েছিল এই আর কি আবার কমেন্টে আসাতে পুলকিত হলাম । অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় হাবিবভাইকে।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

হাবিব বলেছেন:



বাবার জন্য দোআ করছি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন............

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে বাবার জন্য দোয়া করেছেন দেখে। কিন্তু ঘটনাটা যে সময় সে সময় বাবা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন । বর্তমানে উনি না ফেরার জগতে চলে গেছেন। উল্লেখ্য মরীচিকার এই অংশটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত।

আবার আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ ।

শুভকামনা রইল আপনার গোটা পরিবারকে।


৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১১

নজসু বলেছেন:




B:-/

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা ! বুঝেছি খুশিতে বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়া আরকি।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

নজসু বলেছেন:




এবারের পর্ব আমাকে উত্সর্গ করা হয়েছে দেখে খুশিতে আটখানা হয়ে গেলাম।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একেবারে প্রথম দিকেই প্রিয় ভাইকে পেয়ে আমিও আনন্দিত। এক্কেবারে খুশিতে আটখানা আরকি। হা হা হা।

শুভকামনা ও অন্তরের ভালোবাসা রইলো।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: এই পর্বে সাসপেন্স বজায়ে রেখে আমাদের হার্টে বারোটা না বাজানোর জন্য ধন্যবাদ।
আপনার বাবা না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে জেনে ব্যথিত হলাম।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসানভাই ,

পোস্টটি পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।হা হা সাসপেন্স তো একটু থাকবেই , নইলে তো ছোট গল্প হয়ে যাবে ।আর এই সাসপেন্স ধরেই তো পরের পর্বে আমরা যেতে পারবো । বাবা 2007 আর মা 2015 তে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পরের পর্বেও সঙ্গে আছেন জেনে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটিতে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় ভাইকে।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ২৪ ইঞ্চি হাম্বার সাইকেল
আমাদের দেশে একটা সাইকেল আছে সেটার নাম ফনিক্স সাইকেল। যুগ যুগ ধরে চলে। সহজে নষ্ট হয় না। আগে গ্রামের বাড়িতে সবার এই সাইকেল থাকতো।

শেফালী চরিত্রটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।
কলকাতায় মদ কি খুব সহজলভ্য?
দুনিয়ার সমস্ত বাপ ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না।

এই ধারাভিকের সাথে আমি প্রথম থেকেই আছি। থাকব। তবে দাদা পরের পর্ব দিতে বেশি দেরী করবেন না। আমার আবার ভুলে যাওয়া রোগ আছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাম্বার কোম্পানির সাইকেল অবশ্য এখন আর পাওয়া যায় না। ষাট সত্তরের দশকে এই হাম্বারের প্রচলন ছিল।
ফনিক্স সাইকেলের খবরটি পেয়ে ভালো লাগলো । এখানে হাম্বার অবশ্য ছিল এরকম একটু শক্তপোক্ত সাইকেল।

শেফালী চরিত্রটি ভায়ের ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
কলকাতায় বাংলা মদ বা চুল্লু খেয়ে লোকজন মরছে । আর রাজ্য সরকার তাদেরকে ক্ষতিপূরণের নামে টাকা বিলি করছে। সেটাই হাইলাইট হচ্ছে ।

বাবারা বুঝি ওই রকমই হয়। শরীরের যত্ন ডাক্তার দেখানো - এসব গুলো কেয়ার করেন না।
ধারাবাহিক এর সঙ্গে প্রথম থেকে ভাইকে পেয়ে আমিও আনন্দিত আশা করি আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো।
আর পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই দেওয়া বলতে সাংসারিক কাজ বাইরের কাজ কর্ম সামলিয়ে সপ্তাহে একটার বেশী আর পোস্ট দেওয়া হয়ে ওঠে না। ব্লগে বেশি সময় দিলে অবশ্য বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ারও একটা আশঙ্কা আছে। যে কারনে একটু বিলম্ব হয় আরকি।

অনেক শুভকামনা ও ভালবাসা প্রিয় ভাইকে।


৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

নজসু বলেছেন:



প্রথমেই বলি নিজেকে অত্যন্ত সন্মানিত বোধ করছি। ব্লগে বহুল প্রিয় ধারাবাহিকটির একটি পর্বের অংশীদার হতে পেরেছি বলে।
এরচেয়ে আনন্দ আর কি হতে পারে?

আজকের পর্বটা অসাধারণ একটি পর্ব। সন্তানের জন্য মায়ের তীব্র চিন্তা। বোনের মমতামাখা শাসন। বাবার নিশ্চুপ চিন্তা।
আমার আফসোস হচ্ছে সময়ের প্রয়োজনে এই প্রিয়জনদের সাথে ছল চাতুরীর আশ্রয় নিতে হলো।

এর পিছনে আছেন একজন নারী, একজন কুহেলিকা।
কাজী নজরুল ইসলামের কুহেলিকা উপন্যাসে বলা হয়েছে- নারী কুহেলিকা।

তবে আশার কথা, একজন শিক্ষক হিসেবে এই মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার জন্য বিবেকের কাছে দংশিত হয়েছেন।
লেখকের পরিবারের উদ্বেগের কারণে লেখক তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন কিনা জানিনা।
লেখকের কাজটা ছিল মহতী। একজন মানুষ হিসেবে তিনি যথাযথ কর্তব্য পালন করেছেন।
তবে, তিনি কেন সত্যি বললেন না। সত্যি বললে শেফালী ম্যাডামকে নিয়ে অপ্রিয় প্রসঙ্গ চলে আসতে পারে ভেবে এমনটা করে থাকতে পারেন।

পর্বের নাম কুহেলিকা অত্যন্ত মানানসই লেগেছে।

একটা কথা আছে বিপদেরা সাত ভাই । তারা যখন আসে সবাই মিলেই আসে।
আপনার হয়েছে সেই দশা। একজনের বিপদে সাহায্য করে আসতে না আসতে নিজেই একটা বিপদের সম্মুক্ষীণ হলেন।

আমার মন বলছে অন্য কথা। সত্য হতেও পারে, নাও পারে।

নার্সিংহোমের লাগোয়া চেম্বারের নতুন একটি বিপত্তি দেখা দিল। বাবা খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সবকিছু আমার কাছ থেকে জেনে নেওয়াই উনি আর নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না ,হাঁটতে পারছেন না, গায়ে কোন বল নেই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমি এক্কেবারে দিশাহারা হয়ে পড়লাম

এরমানে বাবা হাসপাতালে ভর্তি হবেন। অবশ্যই শেফালী ম্যাডামের বাবা যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
তারপর একে একে ঘটবে .......... কি ঘটতে পারে? (যদি সত্যি হয়)
সত্যি হলে খুবই উত্তেজনাকর অবস্থায় পর্ব শেষ করলেন। পাঠকের আগ্রহ তুঙ্গে থাকবে।

হাম্বা সাইকেল কি?

সবশেষে শুভকামনা আপনার ও আপনার পরিবারের সবার জন্য।
মঙ্গলময় সবাইকে ভালো রাখুন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,

এই ধারাবাহিকে অংশীদার হতে পেরে আপনি খুব সম্মানিত বোধ করছেন জেনে আমি খুব আনন্দ পেলাম। আজকের পর্বটি অসাধারণ লাগাতে আবারও মুগ্ধতা পোস্টটি কে লাইক করাতে অনুপ্রাণিত হলাম, কৃতজ্ঞতা জানাই ।
সন্তানের জন্য বাবা মায়ের চিন্তা এ তো পৃথিবীর শাশ্বত একটা নিয়ম। বোনের মমতা মাখা শাসন ও বাবার নিশ্চুপ চিন্তা সঙ্গে সময়ের প্রয়োজনে প্রিয়জন দের সঙ্গে চাতুরী- আপনার বিশ্লেষণে মুগ্ধ হলাম । সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের ' কুহেলিকার' মিল খুঁজে পাওয়ায় আবারও মুগ্ধতা ; ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন একজন শিক্ষকের এই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়াটা বেশ বিবেকের দংশনের। তবে আমার কাছে শিক্ষকের চেয়ে সন্তানের বাবা মায়ের কাছে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়াটা অনেক বেশি বিবেকের দংশন এর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে লেখক এর কাজ মহতি হলেও লেখকের হৃদয়েও সুতীব্র প্রেম আছে অথচ যেটা লেখক গোপন করতে চাইছেন এই মুহূর্তে। কাজেই সে ক্ষেত্রে কিছুটা জেনে বুঝেই লেখককে এই মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়েছে । এটা তালগোল পাকানো ঠিক নয়। আমি পরবর্তী অংশের জন্য নতুন কমেন্ট বক্স ইউজ করছি।


০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বড় কমেন্ট হওয়ার জন্য প্রতিমন্তব্যে দুটি পর্বে ভাগ করলাম।
হ্যাঁ সত্যি কথা যেখানে বলা হল না শেফালী ম্যাডামকে নিয়ে একটা অপ্রিয় অবস্থা তৈরি হতো। পাশাপাশি গল্পে একটু মোচড় দেওয়াও এক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ছিল ।

পর্বের নাম কুহেলিকা মানানসই লাগাতে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিপদেরা সাত ভাই, প্রসঙ্গটা আমার কাছে সুন্দর লেগেছে । হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন তারা যখন আসে সব দলবেঁধে আসে। তাই একজনের বিপদে সাহায্য করে আসতে না আসতে নিজেই বিপদের মধ্যে পড়া।
এবার আগামী পর্ব প্রসঙ্গে: আপনার মন্তব্যে হা হা হা । বাকি অংশের জন্য একটু অপেক্ষা করতেই হবে। মিলতেও পারে আবার নাও পারে । তবে এত সুন্দর চিন্তা করার জন্য আবারও মুগ্ধতা। তবে এটুকু বলি একই নার্সিংহোমে দিলে গল্পটাকে আর বেশি টানতে পারব না; সে ক্ষেত্রে ভিন্ন নার্সিংহোমে দিলে ইল্যুশনটা তৈরি হবে যাকে কেন্দ্র করে গল্পটাকে আরো টানা যাবে ।
হাম্বার সাইকেল প্রসঙ্গে ইতিপূর্বে বলেছি । ষাট ও সত্তরের দশকে এই কোম্পানির সাইকেল পাওয়া যেত । কালো রংয়ের সাইকেলটি অত্যন্ত শক্তপোক্ত বা মজবুত । আমি নিজে এই সাইকেলে সাইকেল চালানো শিখেছি।


আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম । আপনাকে এবং আপনার পরিবারের জন্যও রইল আমার অন্তরের ভালোবাসা ও অফুরান শুভেচ্ছা।


১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথমত এ পর্বে সন্তানদের জন্য অভিভাবকের যে সার্বক্ষণিক সচেতনতা, খুব ই চমৎকার ভাবে উঠে এসছে ! সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় ও নজর এড়ায় না। সাথে সন্তানের পিতামাতার কাছে সন্তানের সব প্রকাশে অপারগ অবস্থায় ভুল তথ্যে যে মন বেদনা - তাও তুলে এনেছেন। সর্বোপরি উঠে এসছে পারিবারিক বন্ধনের এক অপূর্ব মিথস্ক্রিয়া।

সব শেষে যে ব্যপারটা উঠে এসছে , তা হচ্ছে মানসিক শক্তি !! আপনি যতক্ষণ ভাবতে পারছেন , জানতে পারছে আপনি সুস্থ্য আপনার কনফিডেন্স আপনাকে চলার শক্তি দেয়। একটা সময় পিতামাতা সন্তানের কাছে তাদের সন্তানের মত নির্ভরশীল হয়ে যায়।

লেখায় তো শুরু থেকেই ভালোলাগা দিয়ে এসছি ......

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

আপনার আগমন ও মিষ্টি কমেন্টে মুগ্ধ হলাম। শীতকালীন সকালের মিষ্টি রোদের মতোই আপনার কমেন্টেও আমার পোস্টে এক ঝলক মিষ্টি বাতাস বয়ে আনে । আর আমার অন্তরকে মুগ্ধতার আবেশে ভরিয়ে দেয় । সুন্দর কমেন্ট , সুন্দর লাইক সঙ্গে অচেনা-অজানা শব্দের ব্যবহার যা এখন আমার অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানদের সার্বক্ষণিক সচেতনতা বিষয়টি আপনার চমৎকার লাগাতে আনন্দ পেলাম। পিতা মাতার কাছে সন্তানের সব প্রকাশের অপারগতার ভুল তথ্যে যে মর্মবেদনাসেটি ও পারিবারিক মিথস্ক্রিয়ার বিষয়টি আপনার সূক্ষ্ম নজরে ধরা পড়াতে মুগ্ধ হলাম ।

মনুসংহিতার নারী সম্পর্কে বলা হয়েছে যে কৈশোরে বাবার অধীনে যৌবনের স্বামীর অধীনে বার্ধক্যে পুত্রের অধীনে বন্দিনী। বাস্তবে আমরা ও পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে কি এর বাইরে বার হতে পেরেছি? যে কারনে এই বার্ধক্যে পৌঁছে গেলেই বাবা- মা এর যাবতীয় দায়-দায়িত্ব সন্তানের ঘাড়ে বর্তায়। যেটি আপনি এখানে সুন্দরভাবে উল্লেখ করলেন।

লেখায় প্রথম দিন থেকেই আছেন । আপনার ভালোলাগা প্রথম থেকেই পেয়ে আসছি ; যেমন পেলাম আজও । লাইকে অনুপ্রাণিত হয়েছি কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় আপুনিকে ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বই আকারে বের হলে কিনে পড়বো । এখন পড়তে ভালো লাগতেছে না

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লাগছে না যখন দুঃখিত। কি আর করা যাবে। তবে বই আকারে বার হলে পড়বেন শুনেও ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্প পাঠে যদি একান্ত গল্প ভাবনাতে নিম্মজিত হয়ে গল্পের সারমর্ম উদ্ধারে ব্যাস্ত হয়ে উঠে পাঠক ভাবনার একটু অবনতিই ঘটবে বৈ কি। কিন্তু গল্পটি যখন বাস্তবতার অাদলে হয় তখন পাঠক মাত্রই আপনার বাবার সারীরিক উন্নতি কামনা করবেন। মন্তব্য প্রতি মন্তব্য যেনে গেলাম আপনার বাবা না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আপনার বাবার জন্য শরীরের উন্নতির প্রার্থনা করে কোন লাভ হবে না। সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। আপনি ভাল থাকুন।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সুন্দর উপলব্ধি সূচক কমেন্টে প্রীত হলাম । হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন আজকের পর্বের মধ্যে একটু বাস্তবতা আছে বৈকি বাবার স্বাস্থ্যকে নিয়েই। মন্তব্য প্রতিমন্তব্য থেকে আপনি জেনেছেন যে ওনারা দুজনেই গত হয়েছেন । আপনি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করাতে ধন্যবাদ জানাই।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

নজসু বলেছেন:




বুঝতে পারছিনা কেউ কেউ বলছেন- আপনার বাবা পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন।
আমারই ভুল হলো নাকি?
আমি লেখক এবং গল্পের চরিত্র শিক্ষক দুজনকে আলাদা চরিত্র ভেবেছি।
এটাকে আত্মজীবনী ভাবলে আলাদা কথা।

লেখক বলেছেন: প্রিয় মা. হাসানভাই ,

পোস্টটি পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।হা হা সাসপেন্স তো একটু থাকবেই , নইলে তো ছোট গল্প হয়ে যাবে ।আর এই সাসপেন্স ধরেই তো পরের পর্বে আমরা যেতে পারবো । বাবা 2007 আর মা 2015 তে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পরের পর্বেও সঙ্গে আছেন জেনে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

এখানে লেখক বুঝাতে চেয়েছেন তার নিজের মা বাবা কবে গত হয়েছেন। কাহিনির চরিত্রের মা তো সুস্থ আছেন।
আজকের পর্বে শিক্ষকে বাবা অসু্স্থ।

আমার নিজের মাথাই ঘুরছে। :-B

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,

আমি আপ্লুত আপনাকে আবারও পেয়ে। আপনি বুঝতে পারছেন না যে বাবা মা দুজনেই ওপারে চলে গেছেন। আসলে পোস্ট অনুযায়ী বা গল্পের ভার্সান অনুযায়ী বাবা অসুস্থ, মা সম্পূর্ণ সুস্থ । একজনের কমেন্ট এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি বর্তমানে দুজনের অবস্থান জানিয়েছি । এই দুটো ঘটনা মিশে যাওয়ায় আপনার হয়তো একটু বুঝতে অসুবিধা হতে পারে।
আর আত্মজীবনী একেবারেই নয়। শুধুমাত্র কুহেলিকা পর্বটিতে নিজের বাবা-মায়ের বিশেষ একটি অবস্থাকে গল্পকারে সিরিজে ঢুকিয়েছি। বাকি সবটাই স্রেফ গল্প তার সঙ্গে বাস্তবতার মিল একেবারে খুঁজবেন না , প্লিজ।
আপনি যেহেতু শেষে আবার বলছেন মাথায় ঢুকছে না । কাজেই আমাকে আবার বলতে হচ্ছে গল্পের আজকের পর্বটিতে আমার নিজের বাবার অসুস্থতাকে ঢুকিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কমেন্টে কোন একজনের বাবার শারীরিক কুশল কামনা করাতে প্রতিমন্তব্যে জানিয়েছি যে তিনি এখন না ফেরার দেশে চলে গেছেন। শুধু তিনি একা নন, মাও 2015 সালে চলে গেছেন । আশা করি এবার বিষয়টি আপনার কাছে পরিষ্কার হবে।
হা হা হা , প্লিজ আর মাথা ঘোরাবেন না। আপনাকে গোলক ধাঁধায় ফেলে দিয়ে আমি যারপরনাই অস্বস্তিতে আছি।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই ,

আপনার ছোট্ট কমেন্ট অথচ সেটি না পেলে নিজেকে খুব হতাশ লাগে। আজ পেয়ে খুব আশাবাদী হলাম। আপনার চমৎকার লাগাতে আমি আনন্দিত । ধন্যবাদ আপনাকে ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি কুহেলিকা পেয়ে ভালো লাগছে।
সেদিকে ম্যাডামের বাবা সুস্থ হলেন আর এদিকে মাস্টারদার বাবা অসুস্থ। যেহেতু এই ঘটনা বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাই পরিণতি বুঝা যাচ্ছে। ঘটনাটিতে আমি মর্মাহত।
আর এদিকে আমার আম্মুও চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী সিজনাল সমস্যায় আক্রান্ত। আশা করি এই বার তাড়াতাড়ি সুস্থ হবেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ভাইটি ,

ব্লগে দুজনকে আমি কেবল তুমি বলি । প্রথম জন তুমি আর দ্বিতীয়জন রাকু । এই মুহূর্তে দুজনই আমার সামনে , হা হা হা। এমন ছোট দুজন ভাইকে পেলে আনন্দিত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক । কুহেলিকা ভালো লাগছে জেনে আনন্দ পেলাম। যেদিন ম্যাডামের বাবা সুস্থ হলেন অপরদিকে মাস্টারদার বাবা অসুস্থ । আসলে সুস্থতা বা অসুস্থতা মানুষের ওপর নির্ভর করে না । কার যে কখন কি হয় তা কেবল উপরওয়ালাই জানেন।
আন্টি সিজনাল সমস্যায় আক্রান্ত - খবরে আমি খুব কষ্ট পেলাম। তবুও ভাইয়ের প্রতি আমার পরামর্শ কোনভাবেই যেন ওনাকে সঙ্গ হারা না কর; সেদিকে কড়া নজর রাখতেই হবে । যন্ত্রণা শেয়ার করা যায়না কিন্তু পাশে থেকে ম্যাক্সিমাম সাপোর্ট দিতেই হবে । দূর থেকে এটিই ভাইয়ের প্রতি আমার বার্তা।

ওনার শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
আন্তরিক ভালোবাসা স্নেহের ছোট ভাইটিকে।


১৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: পড়ে গেলাম। ভালোই লেগেছে।
পরের পর্বের আশায় থাকলাম।
ধন্যবাদ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই ,

আপনার কাছে আমার প্রত্যাশা অনেক। কমেন্টে বোঝা যাচ্ছে আপনি প্রচণ্ড ব্যস্ত আছেন। যাক এ পর্বে আর হলো না আগামী পর্বে আপনার কাছ থেকে ভরাট কমেন্টের আশায় থাকবো। এবার কিন্তু আর পড়া ধরছি না, হা হা হা।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:

পেল্লাই সাইজের সরিষা ও ভেটকি
আহ !

লেখকের বাবা'র হার্টে সমস্যা, ওদিকে শেফালী ম্যাডামেরও বাসায় রুগী আছে-- সবমিলে লেখকের অবস্থা এখন দেখা যাচ্ছে রোগী সামলাতে সামলাতে আর মিথ্যা বাহানা বানাতেই বানাতেই সময় চলে যাচ্ছে!

পরের পর্বের অপেক্ষায়, শুভ কামনা প্রিয় ব্রাদার!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবিভাই,

আপনি যে ভোজন রসিক তা আপনার কমেন্টই বলে দিচ্ছে। আপনার জন্য আমার এই ব্যবস্থা থাকবে আমি অপেক্ষায় রইলাম। লেখক কে বাবা হার্ট এর সমস্যা ওদিকে শেফালী ম্যাডামের বাবা অসুস্থ ঠিকই ধরেছেন সব মিলিয়ে গল্পের নায়কের যা তা অবস্থা আত্মা সামলাতে গিয়েই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া। হা হা হা মনে যে কুহেলিকা ঢুকে গেছে।

আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম ।পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম। পোস্টটিতে লাইক করাতে অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


১৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮

ঝিগাতলা বলেছেন: কুহেলিকা কে?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা আপনাকে পড়ে বলতে হবে, আমারই কোশ্চেন কুহেলিকা কে? এরপরেও না বুঝলে তখন আমি আপনাকে বলে দেবো।
শুভেচ্ছা নিয়েন । শুভরাত্রি।

১৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২০

রাকু হাসান বলেছেন:


কুহেলিকা নামটি পড়েই চমকে গেলাম। নজরুলের কুহেলিকা কে মনে পড়ে গেল। নজসু ভাই কে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি । একজন সম্ভবনাময় ব্লগার পেলাম । প্রতি নিয়ত মন্তব্য পড়ে মুগ্ধ হচ্ছি ।
এই পর্বে বোন কে আমার ভালো লাগলো :) । আমি মনে মনে ভাবছিলাম ,কত কিছু বলেই তো কথা কাটিয়ে দেওয়া যায় ,কিন্তু নায়ক দিচ্ছে না ,পরেই উত্তর পেলাম । দারুণ ম্যাচিং লাগছে । তো আবার একটি টেনশন ঢুকিয়ে দিলে শেষে :( ,মানেেএকটার পর একটা লেগেই থাকে । :P

ব্যস্ততার জন্যই এমন ভাইয়া । ব্যস্ততার মাঝেও আছি । জ্বর কমেছে জেনে ভালো লাগলো ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু ,

গতকাল প্রতিমন্তব্য করতে করতে অনেক রাত হয়ে গেছিল যে কারনে তোমার কমেন্টের প্রতিমন্তব্য করে উঠতে পারেনি। হ্যাঁ কুহেলিকা নামটি একটু ধার করা বৈকি। কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই নামটি ইতিপূর্বে নজসুভাই উল্লেখ করেছেন। আমি জানতাম তুমিও ঠিক ধরবে এবং যথারীতি ধরেছোও । অনেক ধন্যবাদ আমার ছোট্ট ভাইটিকে। পোষ্টের অনেকগুলো বিষয় তিনি উল্লেখ করেছ। সেই চঞ্চল হরিণী আপুর কথাই বলতে হয় , ভাইটি আমার বয়সে ছোট্ট কিন্তু বিচক্ষণতায় এক্কেবারে পরিপক্ক আরকি। হা হা হা । সব মিলিয়ে পোস্টটি ভাল লাগায় ও লাইক দেওয়ায় অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ছোট্ট ভাইটির কাছে ।

অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবে ।


২০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় দাদা আপনার ছোট্ট মন্তব্য ও পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । আগামীতেও এভাবে পাশে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করি। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৫

বলেছেন: বন্ধের দিনে মন দিয়ে পড়তেছি ---

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই ,

আমি ইতিমধ্যে আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট পেয়েছি । তবে এই কমেন্টের সময় মন দিয়ে পড়েছেন জেনে আনন্দ পেলাম।


শুভকামনা জানবেন।

২২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৭

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি ব্লগে আসার পর প্রথম থেকেই আপনার সান্নিধ্য ও দোয়া পেয়ে যাচ্ছি। আপনার প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা। এতে কোন সন্দেহ নেই আপনি একজন বড় মনের মানুষ। অনেক কিছু আপনার কাছে শিখার আছে। আমার প্রিয় ভাইটির কাছে দাবি আমার দোষ ত্রুটি যেন ক্ষমা করে দেয়।
আমার লেখায় কয়েকবার আমার প্রিয় দুই ভাইয়ের কথা উল্লেখ করেছি। রাকু ভাইও আমাকে শুরু থেকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন। সামুতে আমার দুই প্রিয় মানুষ।

আম্মুর জন্য আপনি যে দোয়া করলেন ঠিক একই দোয়া আমিও নামাজে নিয়মিত করি। আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করুক।

ব্লগে এসে একজন বড় ভাই পাবো তা কখনোই কল্পনা করিনি। আমি আল্লাহর দরবারে প্রিয় ভাইটি ও তার পরিবারের উভয় জগতের মঙ্গল কামনা করি।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ভাইটি ,

আবার কমেন্টে আসাই আনন্দ পেলাম । সংসারের বাইরে আমাদের এমন কিছু বন্ধন থাকে যেগুলোকে আমরা পথ চলার পথে পাথেয় করে আগায় । এই যেমন তোমার সঙ্গে বা রাকুর সঙ্গে ; এখনো দেখাসাক্ষাত হয় নি কিন্তু মনে হয় যেন তোমরা কতই না চেনা জানা আপন। ভার্চুয়াল লাইফে এমন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে যে তোমাদের উপস্থিতি অস্বীকার করে কি করে । ? এটাকে পাথেয় করেই আমাদের ব্লগিং জীবন।

উপরওয়ালা কাছে প্রার্থনা তোমার দোয়া যেন কবুল হয় । আন্টির জন্য আমার দোয়া থাকলো। খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন ওনার সুস্বাস্থ্য ও দ্রুত আরোগ্য লাভ কামনা করি।

আর ব্লগে যখন বড় ভাইকে পেয়ে গেছো , তাহলে আপনি কেন ! হার্দিক সম্বোধনেই কাম্য।


বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা স্নেহের ছোট্টভাইটিকে।

২৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: বাহ! আপনি ধারাবাহিক উপন্যাস লিখছেন নাকি? অনিয়মিত হওয়ায় কিছু জানিনা। সময় করে প্রথম থেকে পড়তে হবে।
শুভ কামনা।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপুকে কমেন্টে পেয়ে আনন্দ পেলাম। তবে ধারাবাহিক হলেও উপন্যাস হবে কিনা জানিনা । যদি সময় পান তাহলে আগের পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ রইল। পোস্টে লাইক দেওয়াতে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম।

আপনার জন্যও আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা রইল।


২৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই পর্ব পড়লাম

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ ।

শুভকামনা জানবেন।

২৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪১

বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই,

কুহেলিকা যেন পারিবারিক কাহিনী,

পরিবারের প্রথাগত জীবনের চালচিত্র
***********************************
বাবা, মা, বোনের আদর সোহাগ মান,অভিমান, অভিযোগ ----
মায়ের আদর স্নেহ ভালবাসা দিয়ে সন্তানকে শাসন আর খাবার দাবার--
প্রাচীনতরবাহন নিয়ে বাবার সওদা করা---
বোনের মায়াভরা কথা ভাইয়ের উদ্দেশ্য --
পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ---
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা বাবা মায়ের কাছে ---
বাবা ছেলের সুখ দুঃখের আলাপ।



ভালোলাগা +++++

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই ,

আপনি একজন স্বভাবসিদ্ধ কবি। পোস্ট থেকে ঠিক কাব্যিক ঢঙে আপনি আপনার রসদ গুলোকে বার করলেন । সুন্দর করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে না পড়লে এভাবে মন্তব্য করা যায় না । কমেন্টে মুগ্ধতা ।

পোস্টে লাইক সঙ্গে এতগুলো প্লাস ও ভালো লাগাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় কবি ভাইকে।

অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা জানাই আপনাকে।


২৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক এই পর্বে নায়কের পারিবারিক জীবনের চিত্র পাওয়া গেলো। আর সেই সাথে মানুষটাকেও আরেকটু জেনে বুঝে নেয়া হলো।

ভালো লেগেছে বাবা-মা, ভাই-বোনের কথোপকথন আর স্নেহময় দৃশ্যগুলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। শেষে যে আবারো বঁড়শীতে টোপ ফেলেছেন। বাবার জন্য উদ্বিগ্নতা নিয়েই অপেক্ষায় থাকলাম।

শুভকামনা নিরন্তর!!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ কয়েকটি পর্বের পরে আপুর কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। পোস্টটি খুঁটিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ যে কারণে নায়েকের পারিবারিক জীবন বা মানুষটিকে বুঝে নিতে পারলেন ।

বাবা মা ভাই বোন এর কথোপকথন আর স্নেহময় দৃশ্যগুলি ভালো লাগাতে আবার আনন্দ পেলাম। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম। শেষে বড়শির টোপ পেয়ে আপনি কিঞ্চিৎ কৌতুহলি বলে মনে হয়েছে । আর এই টোপটা নিয়েই পরবর্তী পর্বের .....

আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম।


আপনার জন্যও রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।


২৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পড়ে ভাললাগা টুকু জানিয়ে গেলাম প্রিয় পদাতিক দা।
সবার মত আমিও পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সোহেলভাই,

পোস্টটি ভালো লাগাতে খুশি হলাম । সবার মত আপনিও পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম। আপনার এমন আন্তরিক মন্তব্য যে বারবার পেতে ইচ্ছা করে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই।


অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


২৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

সমালোচক মন্তব্যকারী বলেছেন: রাজনীতির বাহিরে বন্ধু চাদগাজীর সাহিত্যে প্রবেশ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য। সু স্বাগতম আপনাকে। আপনি পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
আর চাঁদ গাজী সাহেব গুণী ব্লগার । শুধু রাজনীতি নয় সব পোষ্টে উনি কমেন্ট করেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।


২৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

বিজন রয় বলেছেন: গল্পটিও পড়লাম আর মন্তব্যগুলোও পড়লাম।
সবমিলিয়ে পুরো পোস্টি কথাসাহিত্য হয়ে উঠেছে।

+++++

উৎসর্গ ভাল হয়েছে।
এভাবে ব্লগাররা একে অন্যকে সন্মানিত করলে ব্লগের, ব্লগাদের লাভই হবে।
শুভকামনা রইল।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় দাদা ,
আপনার মন্তব্য মানে আমার কাছে এক আকাশ মুগ্ধতা।সঙ্গে এতগুলো প্লাসে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় দাদাকে।
উৎসর্গ ভালো হওয়াতে আবারো ধন্যবাদ জানাই। আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত দাদা এভাবে ব্লগাররা একে অপরকে সম্মান করলে ব্লগারদেরই ভালো হবে ; গড়ে উঠবে অনিন্দ্যসুন্দর মিথস্ক্রিয়া।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম।

আপনার জন্যও রইল আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও অফুরান শুভেচ্ছা।


৩০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পটি পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পরেছে।
++++++

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা প্রিয় মাইদুল ভাই,আপনার কাছে এ গল্পটি পাটাকে মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছে মনে হওয়াতে ও এতগুলো প্লাসে ব্যাপক অনুপ্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

৩১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা , আমার ভাইয়ের কাছে প্রতিমন্তব্য সুন্দর মনে আমিও মুগ্ধ হলাম । অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা রইল।


৩২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

সাদ আলী বলেছেন: খুব সময় নিয়েই পড়েছি, খুব ভাল লেগেছে, এরকম সুন্দর দিনে অন্তত একটা চাই ই চাই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আলীভাই,

আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট সু-স্বাগতম আপনাকে ঈদের সময় পান তাহলে এই সিরিজের বাকি পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ করবো। পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যের জন্য।


শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।


৩৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৯

সাদ আলী বলেছেন: খুব শান্ত স্থির হয়ে গল্প টা পড়েছি, খুব ভাল লেগেছে, এরকম সুন্দর লেখা দিনে অন্তত একটা চাই ই চাই
লেখকের জন্য শুভকামনা রইল

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দ্বিতীয় বার আবার কমেন্ট করার জন্য প্রিয় ভাইকে আবারো ধন্যবাদ জানাই।সেই সঙ্গে পুরানো পর্বগুলো পড়ার জন্য আবার অনুরোধ করবো । লেখাটা আপনার সুন্দর বলে মনে হওয়াতে আমিও ব্যাপক পুলকিত হলাম। তবে যদি কিছু মনে না করেন তাহলে বলি, আমাদের গল্পগুলো লিখতে বা পোস্ট করতে এবং সংসার ও পেশাগত কাজ সামলিয়ে সপ্তাহে একটির বেশি পোস্ট বাস্তবে সম্ভব হয়ে ওঠে । সে ক্ষেত্রে পোষ্টের কোয়ালিটি নামতে বাধ্য বলে আমি আমার ধারণা। এজন্য আপনার কাছে অনুরোধ, প্লিজ একটু অপেক্ষা করে সঙ্গে থাকবেন পরবর্তী পোস্টের জন্য । আমিও আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


৩৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

নজসু বলেছেন:



প্রিয় রাকু হাসান ভাই।
আপনার মন্তব্যটি পাঠ করে হৃদয়টা আনন্দে ভরে গেলো।
চাওয়ার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি এই ব্লগে।
সবাই এতো আন্তরিক যা লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

আপনি সবসময় ভালো থাকবেন এই কামনা রইল।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাইকে আবার কমেন্টে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি।হ্যাঁ ঠিকই কিছু কিছু আবেগ বা অনুভূতি যেগুলো সবসময় বলে প্রকাশ করা যায় না ; অন্তর থেকে ফিল করা যায় যে সম্পর্কটা কতটা মধুর কতটা আন্তরিক। আপনার কাছ থেকেও আমি ঠিক তেমনটি পেয়েছি সেটাই ব্লগে তুলে ধরার চেষ্টা করছি আকার-ইঙ্গিতে।

আপনার দোয়া যেন মহান করুণাময় কবুল করেন।

আপনার জন্যও রইল আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।

৩৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

নজসু বলেছেন:



আপনার প্রতিমন্তব্য পেয়ে আমার ধোয়াশা কেটে গেলো।
সবকিছুই ঠিক ছিলো। সব ঠিক আছে।
কমেন্টগুলো আমাকে কিছুটা ভাবাচ্ছিলো।

জীবন থেকেই তো গল্প হয়।
আর গল্পই তো জীবনের কথা বলে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক প্রতি মন্তব্য পেয়ে যে আপনার ধোঁয়াশা কেটে গেছে এটা জেনে আমি খুশি হয়েছি কারণ আপনার। কারন আমি প্রতিমন্তব্য দিয়েও একটু সন্ধিগ্ধ ছিলাম যে আপনি বিষয়টা ঠিক সেভাবে ধরতে পেরেছেন কিনা। বিষয়টা আবার কমেন্টে জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই।

এক্কেবারে ঠিক কথাই বলেছেন ,
" জীবন থেকেই তো গল্প হয় ।
আর গল্প তো জীবনের কথা বলে।"
ঘুরেফিরে সব কবি সাহিত্যিক এ কথাই বলবেন ।


অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেনা।


৩৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

করুণাধারা বলেছেন: বরাবরের মতই ভাল লাগার পোস্ট!! আপনার লেখনীর সরলতা এবং ছোটখাট বিষয়ের বর্ণনা, এই দুটোই পোস্ট সুখপাঠ্য করে তোলে। মা-বাবার উদ্বিগ্নতা, সরষে ভেটকি- এইসব জিনিসের এমন বর্ণনা দিয়েছেন, যেন সব চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম।

লিখতে থাকুন, পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিন।

(মন্তব্য করতে দেরি হওয়ায় দুঃখিত। আমি গতকাল খুবই ক্লান্ত ছিলাম। তাই এমন পোস্টটি পড়তে পর্যন্ত পারিনি!)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি ,

আপনার মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম । লেখা বিষয় বর্ণনা সহজ সরল এবং সুখ পাঠ্য মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। বাবা মায়ের উদ্বিগ্নতা ,সরষে ভেটকি - এগুলো আপনার চোখের সামনে মনে হওয়াতে অত্যন্ত পুলকিত হলাম ।

আর নানান কাজের মধ্যে পর্ব এক সপ্তাহের আগে বাস্তবে দিয়ে উঠতে পারি না। জানি আপনাদের পক্ষে নতুনের সঙ্গে পুরানো পর্বের সাযুজ্য তা রাখা সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না কিন্তু আমিও যে এর চেয়ে কম সময় বার করতে পারছি না।
পোস্টটিতে like' করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।




৩৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরুজি,
একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বাস্তব চিত্রনাট্য এ পর্বে পেলাম। প্রেমিকার বাবাও অসুস্থ!! নায়কের মন খারাপই হওয়ার কথা। একদিকে বাবা অসুস্থ, অপরদিকে হবু শ্বশুর মশাই!! সচ্ছল পরিবার হলে এত দুশ্চিন্তা হয়তো হতো না।

কিন্তু এসব পরিবারে অসুখ-বিসুখ মানে বাড়তি টেনশন। এসব পরিবার শত অভাবেও কারো কাছে হাত পাতে না; নিজের গরিবী দেখতে দেয় না, অসুখ হলে চুপিচুপি মরে যায়। সমাজ-রাষ্ট্রের টেকায় না পড়লে এসব পরিবারের অন্দর মহলের খবর নেয় না।

পরিবারের একমাত্র উপার্জন সক্ষম ছেলেটি যখন অবেলায় বাড়ি ফিরে তখন অজানা অসংখ্য বিপদের আশংকা হয়, মনে কু ডাক আসে। ঘরে বিবাহযোগ্য মেয়ে, বাপ-মা বয়স্ক। কে নেবে এই মেয়েকে পাত্রস্থ করার দায়িত্ব।

ছেলের বাড়িতে আসা আর মা-বোনের মন খারাপের সাথে এ বিষয়গুলোর যোগসূত্র আছে। আর বাবার হঠাৎ হার্টের ব্যথা বেড়ে যাওয়া, কিংবা হসপিটালে ভর্তি হতে না চাওয়ার সাথেও এ বিষয়গুলোর যোগসূত্র আছে।

মধ্যবিত্তের জীবনটা হাসি মুখে মিথ্যা অভিনয় করেই কেটে যায়। বেশিরভাগ সময়ই তাদের সংগ্রাম থাকে নিজেদের ঠিকিয়ে রাখার, ভিক্ষুক না হওয়ার, মোটা ভাত-মোটা কাপড়ের যোগান দেওয়ার প্রচেষ্টায়।

শুভ কামনা রইলো, গুরুজি। প্রিয় ভাই। প্রিয় লেখকের জন্য।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য প্রথমেই গুরুদেবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার পোস্ট যেমন কমেন্টও ঠিক ততটাই ইমক। যখন শুরুতে বললেন, একটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বাস্তব চিত্র নাট্য ; আহা এমন করেও ভাবা যায়!! প্রেমিকার বাবা অসুস্থ। নায়েকের মন খারাপই হওয়ার কথা।
সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে এসব পরিবারে অসুখ-বিসুখ হওয়া মানেই টেনশন। এসব পরিবার শত অভাবেও কারো কাছে হাত পাতে না। নিজের গরিবি দেখতে দেয় না। অসুখ হলে চুপিচুপি মরে যায়। সমাজ রাষ্ট্রের টেকাই ঠেকায় না পড়লে এসব পরিবারের অন্দর মহলের খবর নেয় না।
একেবারে ঠিক ধরেছেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী যখন অসময় বাড়িতে ঢোকে তখন অজানা অসংখ্য বিপদের আশঙ্কা হয়। মনে কু ডাক আসে।
অপরদিকে ঘরে বিবাহযোগ্য মেয়ে
বাপ - মা অসুস্থ । কে নেবে এই এই মেয়েকে পাত্রস্থ কার দায়িত্ব ? একেবারে বাস্তবমুখী প্রশ্ন তুলেছেন। এখানেই গুরুদেবের বিচক্ষনতা ,হা হা হা।

বরাবরের মতো পোস্টে লাইক দেওয়াতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় গুরুদেবকে।
আহা মধ্যবিত্ত জীবন হাসিমুখে মিথ্যা অভিনয় করেই কেটে যায়
- কি দারুণ! চিন্তা ভাবনা আপনার । এত বড় একটা কথা অথচ এ ভাবে যে প্রকাশ করা যায় তা আপনার কাছ থেকে শিখতে হবে।
ঠিকই বলেছেন বেশিরভাগ সময় তাদের সংগ্রাম থাকে ভিক্ষুক না হওয়া মোটা ভাত মোটা কাপড় যোগান দেওয়ার প্রচেষ্টায়। গুরুদেবের শুভকামনা গ্রহণ করলাম ।

পাশাপাশি গুরুদেবের জন্য রইল আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।






৩৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আগের পর্বে শেফালী ম্যাডামের বাবা অসুস্থ আর আজ নায়কের বাবা । ঘটনা তাহলে কোনদিকে যাচ্ছে দেখা যাক 8-| অপেক্ষায় রইলাম কি হয় জানার জন্য, আগ্রহ বাড়ছে ভাইয়া ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় বোনকে কমেন্টে পেয়ে খুশি হলাম। হ্যাঁ ঠিকই দেখেছেন আগের পর্বে ম্যাডামের বাবা অসুস্থ আর এ পর্বে নায়কের বাবা !!!
অপেক্ষায় থাকছেন যখন তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন ঘটনা কোন দিকে যাই, হা হা হা। বোনকে লেখাটিতে আগ্রহী করে তুলতে পেরে আমি আনন্দিত।

শুভকামনা ও ভালোবাসা ছোট্ট বোনটিকে।


৩৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: শেফালী ম্যাডামের চরিত্রটি দারুণ। গল্পের নায়কের বাবা অসুস্থ জেনে খারাপ লাগছে। তিনি শিগ্রই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে পরবেন এই আশায় আছি। গল্পে শুরু থেকে সাথে আছি ভেবে আনন্দ লাগছে....

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইতো এতক্ষণ পরে আমার ছোট্ট আপুটির দেখা পেলাম। শেফালী ম্যাডামের চরিত্রটি দারুন লাগাতে আনন্দ পেলা নায়িকার অসুস্থ জেনে খারাপ লাগছে জেনে বিষণ্ণ বোধ করছি।। কি আর করা যাবে সবকিছু যে আমাদের মানতেই হবে। শারীরিক সুস্থতা বা অসুস্থতা সব সময় তো নিজেদের উপর নির্ভর করে না। গল্পের শুরু থেকেই পাশে আছেন আগামীতেও এভাবে পাশে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখি।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন না।

৪০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯

রাজীব নুর বলেছেন:

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসলে আমাদের এদিকে এই মাছটিকে শিঙি মাছ বলা হয় । যে কারণে পোস্টে শিং মাছ দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। জাক মাসে কি সুস্বাধু আমি নাই ভাই বাড়িতে গিয়ে এই মাছের ঝোল খেয়ে আসবো, হা হা হা।
আবার এসে মাছের নেমন্তন্ন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৪১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আমার বাবাও হার্টের রুগী । এই বছরের ই রিং পরিয়েছি ।
বাবা অসুস্থ থাকলে কেমন লাগে সেটা আমি জানি ।

গল্পে এবারের পর্বে শেফালী ম্যাডাম নেই খারাপ লাগল । তবে ঘটনা এগিয়ে যাচ্ছে । তাই অপেক্ষায় থাকলাম ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অপু ভাই ,

দেরিতে হলেও অবশেষে যে আপনার দেখা পেলাম তাতেই আনন্দ পেলাম। তবে আপনার বাবা হার্টের রোগী জেনে বিষণ্ণ বোধ করলাম।বাবা কাটিং পড়ে গেছেন বা বাড়িতে বাবা বা মায়ের মত কেউ অসুস্থ হলে যে জীবনটা যে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে সে অভিজ্ঞতা আপনার আছে। কি বা আর করা যাবে!! এর মধ্য দিয়েও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


৪২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: দাদা আজকে আমি একটা দারুন গল্প দিয়েছি। সকাল থেকে সেটা নিয়ে বেশ ব্যস্ত ছিলাম। এই জন্য শুধু সকালে হাজিরা দিয়ে পালিয়েছিলাম। গল্পটা পড়ে দেখবেন, খুব মন দিয়ে লিখেছি। আপনার সমালোচনা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এবার আসি আপনার এই গল্পে। দুই বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে বসলাম আপনার গল্প নিয়ে। অনেক বেশি চরিত্র নিয়ে আসছেন নাতো? আমার তো ভয় হচ্ছে অল্প কিছু পরেই পাঠক খেই হারিয়ে ফেলবে। সবাই শেফালি ম্যাডামকে নিয়ে লেখা পড়তে চাচ্ছে। গল্পটার বাকি চরিত্রগুলি কমিয়ে মূখ্য চরিত্রগুলি নিয়ে কাজ করলে বেশি ভালো হতো মনে হয়। সাসপেন্স থাকত! আপনিও মূল ঘটনা নিয়ে বড় কাজ করার সুযোগ পেতেন। যদিও এটার আমার মতামত, আমি হলে যা করতাম সেটাই বললাম। আপনার গল্পটা একেবার প্রথম থেকে পড়ছি তো, তাই হঠাৎ করে এখন মনে হলো। দাদা, কিছু আবার মনে করেন নি তো? উপরের কেউ খুব ভালোমত পড়েনি। গল্পের থীম নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। গতবাঁধা মন্তব্য আর চরিত্র নিয়ে কথা। আমি নিজে গল্প লিখি আর আপনি আমার খুব কাছের লোক দেখে যেচে এসে বললাম। সব সময় খোলা মন নিয়ে আমি কথা বলি আর সেটা আপনি জানেন।
শুভ রাত্রি আর শুভ কামনা রইল!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সুন্দর পরামর্শ মূলক মন্তব্য প্রীত হলাম। আপনি আমার আপনজন , কাছের জন আপনার কথায় আমি কিছু মাইন্ড করব ; এটা ভাবলেন কেমন করে বরং এখন থেকে আপনার স্থান আমার হৃদয়ের গহীনে।

তবে এই গল্পটা অনেকটা প্রগ্রেস করা হয়ে গেছে । নতুন করে আর কাটাছেঁড়া করা সম্ভব নয়। । তবে আগামীতে যখন লিখব তখন আপনার পরামর্শ অবশ্যই মাথায় রাখব ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।


৪৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মরীচিকা ভেবেছিলাম দুই, তিন পর্বের হবে হয়তো.....


বই আকারে গল্পটি বের করলেই পারতেন দাদা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবীরভাই ,

অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। হা হা হা 2 /3 টি পর্বে শেষ না হয়ে পর্বগুলো ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে আরকি। । হ্যাঁ একটু লিখতে লিখতে ক্রমশ বড় হচ্ছে । পোস্টে আপনার লাইক পেয়ে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালবাসা জানবেন।



৪৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

নজসু বলেছেন:



নতুন কমেন্ট কি কি এলো পড়তে এলাম।
আমাদের গ্রাম এলাকায় শিং মাছকে শিঙি মাছই বলা হয়।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনারা বারাসাতে আনন্দ পেলাম। আমিও গিয়েছিলাম আপনি কোন নতুন পোস্ট দিয়েছেন কেন দেখতে।
তবে আমাদের এখানে শিঙি মাছকে শিং মাছ বলার চল নেই। আমি প্রথমেই শিং মাছ নামটি পাই রাজীব নুর ভাইয়ের পোস্ট থেকে ।।

অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় নজসুভাইকে ।

৪৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

ফেইরি টেলার বলেছেন: আপাদত প্রিয়তে রাখছি দাদা, সময় সুজোগ মত পড়ে কমেন্ট করবো :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার বিলম্বিত আগমনে আনন্দ পেলাম। পোস্টটিকে লাইক করাতে ও প্রিয়তে নেওয়াতে অনেক অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। পাশাপাশি পাঠ শেষে আপনার সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় থাকলাম......


অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


৪৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: বাবার অসুস্থতার কথা শুনে একটু বিচলিত হচ্ছি । আর হ্যাঁ ! গ্যারেজে রাতে থাকা ভালো নয় ? B-))

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসকাল প্রিয় পবিত্রভাই ,

গতকালের মতো আজও আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম।। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। বাবার অসুস্থতা শুনে বিচলিত হচ্ছেন জেনে খুশি হলাম। তবে বর্তমানে উনি না ফেরার দেশে চলে গেছে। গ্যারেজে রাত কাটানো ভালো নয় - সহমত আপনার সঙ্গে। অফটপিক একটা প্রশ্ন, আপনি কি এই মুহূর্তে দেশে আছেন না প্রবাসে?

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানবেন।


৪৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: পৃথিবীর সকল বাবারা তাদের সন্তানের হৃদয়ের স্বর্গে থাকুক।
দাদা এখন প্রবাসে আছি , দেশে যেতে মন চায় , কলকাতা যেতে মন চায় , ইলিশ খেতে মন চায় :( :((

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব সুন্দর কথায় ছোট্ট আকুতি হৃদয় ছুঁয়ে গেল । আপনি দেশে এলে বা কলকাতা এলে অবশ্যই আসবেন আমার বাসাতে; আমি অপেক্ষায় থাকলাম .....

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় পবিত্রভাইকে।

৪৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনুভুতির সহজ সুন্দর বহিঃপ্রকাশ

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ানভাই ,

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। ছোট্ট মন্তব্যে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই।

শুভ কামনা ভালোবাসা জানবেন ।

৪৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমিও ভীষণ মাছ পছন্দ করি।
পারিবারিক নীতি বোধ এবং আন্তরিকতা'র ব্যাপারটা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিশেষ করে মায়ের উৎকণ্ঠার বর্ণনা অসাধারণ হয়েছে।

তবে, বাবার অসুস্থতা মন খারাপ করে দিল।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহেরভাই ,

আপনার সুন্দর কমেন্টে প্রীত হলাম ।পারিবারিক নীতিবোধ ও আন্তরিকতার বিষয়টি আপনার চোখে ধরা পড়াতে আনন্দ পেলাম। মায়ের উৎকণ্ঠার বর্ণনাটা একটু অন্যরকম লাগাতে আবারও মুগ্ধতা ,ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

আর বাবার অসুস্থতা মন খারাপ করে দিলেও নিজে আমাদের যে কিছু করার নাই ।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় মাহেরভাইকে।


৫০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩২

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ।++

শুভকামনা

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি ,

আপনার পাঠ ও মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। পোষ্টটি খুব ভালো লাগাতে সঙ্গে লাইক ও প্লাসে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


৫১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

নজসু বলেছেন:




এই পর্বের নতুন কমেন্ট পড়তে এলাম।
এরপর পরের পর্ব। :)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই ,

আপনি কমেন্ট পড়তে এলেন শুনে আনন্দ পেলাম । পরের পর্বে পেলে আরও খুশি হবো। ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা জানবেন।


৫২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

শামচুল হক বলেছেন: এপর্বও খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ পদাতিক দা

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শামচুলভাই,
অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম। আমি মাঝে আপনার পোস্টে গেছিলাম খোঁজ করতে। তবে জানিনা আপনার বাস্তবে ব্যস্ততার অবসান ঘটেছে কিনা। আগের মতই আবার আপনাকে নিয়মিত দেখতে চাই ব্লগে। পোস্ট ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম ;
ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৫৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন দারুন সব পর্ব মিস করেছিলাম।ৎ

একে একে সব পুষিয়ে নিচ্ছি!
আর বাড়তি সুবিধা হল অপেক্ষা করতে হচ্ছে না পরের পর্বের জন্য ;) হা হা হা

দারুন কথ্য সাহিত্যের ডুবিয়ে রেখেছেন সব্বাইকে দারুন মুন্সিয়ানায়! অভিনন্দন ভায়া :)

+++++++++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,

আপনার আগমনে ধন্য হলাম। পর্বগুলি দারুণ মনে হওয়াতে ও একসঙ্গে পুষিয়ে নিচ্ছেন জেনে বাড়তি অক্সিজেন পেলাম। আর হ্যাঁ অনেকগুলি পর্ব মিস করলে পরপর পড়লে সেক্ষেত্রে কিউরিসিটি দূর হয় এদিক দিয়ে আপনি যথার্থই বিচক্ষনতার কাজ করেছেন বৈকি। তবে আমি যে আপনার পথপানে চেয়ে সারা হয়েছি কেবল... হা হা হা ।
তবে বিলম্বিত হলেও আপনার আগমন আমার পরম কাম্য ; যেমনটি আজ হল । আগামীতেও এভাবে আপনাকে পাশে পাবো - আশা রাখি।

আপনার অভিনন্দন গ্রহণ করলাম । পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম ; তবে কথাসাহিত্য বলে আর লজ্জা দেবেন না প্লিজ! সেই মানে পৌঁছাতে ইহজীবনে পারব কিনা সন্দেহ।

পোস্টটিকে লাইক করাতে ও এতগুলি প্লাসে ব্যাপক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবিভাইকে।



৫৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

নজসু বলেছেন:





পৃথিবীর সব মায়ের মন সন্তানের জন্য সবসময় অস্থির থাকে।
বিধাতার আজব খেল।
আমরা অধম সন্তানেরা সেটা বুঝতে চাইনা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,

আপনার আগমনে ধন্য হলাম। পুরানো পোস্টে এভাবে খোঁজ নিতে আসবেন ; একমাত্র হৃদয়ের টান না থাকলে এমনটি সম্ভব নয়। আত্মিক যোগের জন্য আপনাকে জানাই অন্তরের কুর্নিশ। সঙ্গে এমন আন্তরিক মন্তব্যে অসম্ভব ভালো লাগা রইলো। ঠিকই তো পৃথিবীর সব মায়েরাই বোধহয় এমন ভাবেই তৈরি যে সন্তানের জন্য সব সময় কেঁদে কেটে অস্থির হয়ে থাকেন । বিধাতার আজব খেলাই বৈকি । আর আমরা অধম সন্তানরা বেমালুম সেটা ভুলে গিয়ে নিজেদের চিন্তায় মগ্ন থাকি। তবে এই আমরাই যখন আবার বাবা হই, তখন কিন্তু আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য কেঁদে কেটে অস্থির হই। এই জন্যেই বোধ হয় বলে ' স্নেহ সর্বদা নিম্নগামী..... '

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় নজসুভাইকে।




৫৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩

নজসু বলেছেন:

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নজসুভাই,

আপনা নববর্ষের শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। আপনাকেও আমার তরফ থেকে রইল নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

ভালো থাকা নিরন্তর....

৫৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

জুন বলেছেন: আবার আপনার মরিচীকা পড়া শুরু করলাম পদাতিক । বিভিন্ন ঝামেলায় ব্লগে আসা হয় কম । তার জন্যই প্রিয় লেখাগুলো অপঠিত থেকে যায় । যাইহোক আপনার অসময়ে বাড়ি ফেরা নিয়ে আপনার বাবা মার চিন্তা আমাদের উমপহাদেশের সবার জন্য খুব স্বাভাবিক । রুটিনের একটু এদিক ওদিক হলেই আমরা স্বামী সন্তানের জন্য চিন্তিত হয়ে পরি শুধুমাত্র পরিস্থিতির কারনে ।
আপনাদের ডাক্তারতো দেখছি অনেক ভালো । আমাদের দেশ হলে রোগী ও তার আত্মীয় স্বজনদের ভয় ভীতি দেখিয়ে তক্ষুনি আইসিইউ সাথে এক গাদা টেষ্ট ।
ভালো লাগলো আপনার খুটিনাটি বর্ননা সহ লেখা । আর এই ভেটকি মাছটা কি তার একটা ছবি দিয়েনতো । আমাদের পিএম যখন আপনাদের দেশ ভ্রমনে গেলেন তখন আনন্দবাজার পত্রিকায় লিখেছিল ওনার পাতে আস্ত ভেটকি :|
ভালোলাগা রইলো :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,

আপনি এত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে এসে পোস্টটি পড়ে সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন এতে আপ্লুত হলাম। গল্পে বক্তার অসময়ে বাড়ি ফেরাটা সত্যিই উপমহাদেশে বাবা মায়ের একটা কমন চিন্তা । সময়ে ফেরা বা না ফেরা দুইই তাদের পক্ষে উদ্বিগ্নতার কারণ।
আর ডাক্তার মাত্রেই কসাই নয়। তারাও আমাদের সমাজের আর পাঁচজনের মতো দোষে গুণে মানুষ । গল্পে আপনি যে ডাক্তারের চিত্র দেখেছেন সেখানে মানবিক দিকটি আপনার চোখে ধরা পড়েছে। তবে এটাও কিন্তু উল্লেখিত আছে যে বাবা যেখানে হেঁটে হেঁটে নার্সিং হোমে গেলেন ; ইসিজি রিপোর্ট দেখে সেই ডাক্তারই কিন্তু বাবাকে আইসিইউতে ভর্তির পরামর্শ দিলেন। নর্মাল বেড দিলে হয়তো আমি এতটা ভাবতাম না। কাজেই এ ঘটনাকে আপনি কি চোখে দেখবেন ! !
পোস্টে খুটিনাটি বিষয়গুলি আপনার চোখে ধরা পড়াতে আনন্দ পেলাম।

ভেটকি মাছ প্রসঙ্গে,
পশ্চিমবঙ্গের দুই 24 পরগনা জেলার নোনা এলাকার জলা জমিতে প্রচুর মাছ চাষ করা হয়। যার মধ্যে ভাঙ্গন ,ছভেটকি , পারশে , টেংরা ,চিংড়ি উল্লেখযোগ্য। ভেটকি অত্যন্ত সুস্বাদু মাছ ; তবে আপনাদের পদ্মার ইলিশের মত নয়। সামুদ্রিক ভেটকিকে ভোলা ভেটকি বলা হয় যেটি আবার ফিশ ফ্রাই এর অত্যন্ত উপযোগী। সাধারণত নদী বা জলকরের ভেটকিগুলি এক দেড় কেজি হলে বেশ টেস্টি হয়। তুলনায় ছোট ভেটকিগুলি তেমন টেস্ট হয় না। একজন মানুষের পক্ষে এক দেড় কেজি ওজনের একটি বড় ভেটকি খাওয়া কার্যত অসম্ভব। তুলনায় দুইশ/ আড়াইশো ওজনের ছোট ভেটকির পাতুরি /ঝাল হামেশাই খাওয়া যেতে পারে। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত এই ছোট ভেটকি খেয়ে ছিলেন।

যাই হোক আপুনি, আপনি এবার কলকাতায় এলে বারাসাতে আমার বাসায় উঠবেন, আপনাকে বড় ভেটকি মাছ খাওয়ানোর অগ্রিম আমন্ত্রণ রইল।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।


৫৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

নজসু বলেছেন:





শুভ সকাল।
আশা করি ভালো আছেন।
বাংলাদেশে আজকে থেকে শুরু হলো এই মৌসুমের শেষ শৈত্য প্রবাহ।
এক সপ্তাহ নাকি থাকবে।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, সাথে হিমেল বাতাস।
মোটামুটি ঠান্ডা। অথচ কয়েকদিন আগে এই মাঘ মাসেও একটা গরম ভাব গেলো।
আপনাদের ওখানে কি অবস্থা?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নজসুভাই,

হ্যাঁ! এখানেও গত কয়েকদিন ধরে আকাশ মেঘলা থাকার কারণে শীতভাব কম ছিল। তবে খবরে দেখলাম পশ্চিমীঝঞ্জা কেটে গেলে কয়েকদিনের জন্য আবার শীত পড়বে। গতরাতে যে কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়েছিল। আজ সকালেও বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব আছে। প্রত্যেকবার চলে যাওয়ার সময় অবশ্য এরকম ঠান্ডা একটু পড়ে থাকে। আমার কিন্তু এরকম হাল্কা শীত বেশ ভালো লাগে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


৫৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৪

নজসু বলেছেন:




বাংলাদেশ থেকে প্রিয় ভাইকে জানাই শুভ সকাল।
আনন্দময় হোক আজকের দিনটি।
( আজকে আমাদের ছুটির দিন হলেও, আপনাদের তো কর্ম দিবস)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,

সকাল থেকে একটু ব্যস্ত ছিলাম । এক্ষুনি ব্লগ খুলে দেখলাম আপনার কমেন্ট আছে। কিন্তু এখন তো আর সকাল নাই। যাই হোক ছুটির দিনটি আনন্দময় হয়ে উঠুক। আজও বেশ ভালো ঠান্ডা আছে । কাজেই একটু উৎসব উৎসব পরিবেশে বিকেলটা কাটুক কামনা করে।
হ্যাঁ ! আমার অবশ্য একটু ব্যস্ততাময় হবে দিনটি। সন্ধ্যেবেলা ফিরেও সপরিবারে একটি বিয়ে বাড়িতে যেতে হবে।

বিমুক্ত ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় নজসুভাইকে।


৫৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ১০ নম্বর মন্তব্যের সঙ্গে সহমত।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থী মাহমুদুরভাই। হা হা হা 10 নম্বরে অর্থাৎ শ্রদ্ধেয়া মনিরা আপুর সঙ্গে সহমত পোষণ না করার কোন উপায় আছে ? এক কমেন্টই যেন পোষ্টের শেষ কথা । পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।

৬০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থী মাহমুদুরভাই। হা হা হা 10 নম্বরে অর্থাৎ শ্রদ্ধেয়া মনিরা আপুর সঙ্গে সহমত পোষণ না করার কোন উপায় আছে ? এক কমেন্টই যেন পোষ্টের শেষ কথা । পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।


আমি গতকাল রাত থেকে এই উপন্যাস টি পড়তে শুরু করেছি।
বিলম্বিত বলছেন কেন,ভুলটা তো আমারই কারন আমি সময় করে পড়তে পারি নাই ফলে মন্তব্যও করা হয় নি।

ভালোবাসা এবং শুভকামনা আপনার জন্যও প্রিয় ভাই।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুরভাই ,

ভীষণ আনন্দ পেলাম আপনার আবার কমেন্টে আসাতে । যাক শুনে স্বস্তি পেলাম যে আমার দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য আপনি কিছু মনে করেন নি । তবে আপনি যে সময় করে পর্ব গুলোকে পড়ে মন্তব্য করছেন, এতে অন্তর থেকে ভীষণ আরাম অনুভব করছি । ধন্যবাদ আপনাকে। আর ব্যস্ততার কারণে সব সময় সব পোস্ট পড়াটা সম্ভব হয়ে ওঠে না । যে কারণে আমরা অনেক সময় সুবিধা মত আপন জনের পোস্ট পাঠ করে থাকি ।।

আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম । আপনার জন্যও রইল অন্তর থেকে অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ।


৬১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রয়াত বাবা মায়ের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি (পোস্ট এবং ৭ নং প্রতিমন্তব্য পড়ে)।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত এ পোস্ট পড়ে অভিভূত হ'লাম- মধ্যবিত্তের কড়চা। উৎসর্গটাও ভাল লাগলো।
শিখা রহমান এবং করুণাধারা এর মন্তব্য দুটো ভাল লেগেছে।
আমাদের এলাকাতেও শিং মাছকে শিঙি মাছই বলা হয়।
@জুন, ভেটকি মাছটা আর কিছু নয়, আপনার অতি পরিচিত কোরাল মাছ, যা দিয়ে সুন্দর কালিয়া কোপ্তা, ফিশবল বানানো যায়।
পোস্টে প্লাস +

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেসপেক্টেড স্যার,

প্রয়াত বাবা-মায়ের জন্য মাগফিরাত কামনা করেছেন জেনে খুশি হয়েছি।উপরওয়ালা যেন আপনার দোয়া কবুল করেন। ধন্যবাদ আপনাকে। ঘটনা ও উৎসর্গ ভালো লেগেছে জেনে আবারও খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
শিখাপু ও করুনাধারাপু দু'জনেই অত্যন্ত বিচক্ষণ মানুষ। বিভিন্ন পোস্টে ওনারা সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে নিজেদের বিচক্ষণতার পরিচয় দেন।আজ এমন দুজন মানুষের কমেন্ট ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আর শিং মাছ ও শিঙি মাছ যে একই সে পরিচয ইতিমধ্যে রাজীব নুর ভাই ইতিমধ্যে করে দিয়েছেন।
পোস্টটিতে লাইক ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.