নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুহেলিকা - শেষ পর্ব / মরীচিকা ( পর্ব -১২ )

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭



ডাক্তারবাবু বাবার নার্ভাসনেস দেখে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডমিশনের সুপারিশ করলেন । আমি ছুটে গেলাম রিসেপশনে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফ্লোরবয় টলি নিয়ে চলে এলো । বাবাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করে যাবতীয় ফর্মালিটিজ মেনটেন করে সেদিন অনেক বেলা করে যখন বাড়ি ফিরলাম মাকে বলতেই মা শোনা মাত্রে সংজ্ঞা হারালেন ।

অনেকক্ষণ ধরে চোখেমুখে জল দিয়ে অবশেষে মা চোখের পাতা খুললেন । প্রতিবেশী কয়েকজন অবশ্য ছুটে এসেছিলেন । সবাই মিলে ধরাধরি করে মাকে বারান্দায় একটা চৌকির উপর শুইয়ে দিয়েছিলাম । মাথার কাছে বসে মায়ের ভেজা মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মা এক সময় শক্ত করে আমার হাতটি চেপে ধরলেন। আমি মায়ের কপালে আলতো করে চুমু এঁকে দিয়ে সাহস জোগাতে লাগলাম । বোঝাতে লাগলাম
- যে বাবাকে সুস্থ করতে হলে আমাদেরকে নতুন করে সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হবে । তুমি যদি এভাবে অসুস্থ হও বা ভেঙে পড়ো তাহলে আমরা কি করে লক্ষ্যে পৌঁছাব ?
বিছানা থেকে এবার মা উঠে বসলেন।
- হ্যাঁ বাবা ! ঠিকই বলেছ । আসলে সকাল থেকে তোমাদের কোন খবর পাচ্ছিলাম না। তাই হঠাৎ করে তোমার মুখে খবরটি শুনে আর নিজেকে সামাল দিতে পারিনি ।
উপস্থিত প্রতিবেশীরাও সবাই আমার সুরে মাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলেন । প্রাথমিকভাবে সেদিন প্রতিবেশীদের আচরণে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলাম ।
প্রথম তিনদিন বাবাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। আমি সামান্য বেতনে একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি করি। নার্সিংহোমের বিল হু হু করে বাড়ছিল। কাজেই একটা অজানা আশংকায় আমি ক্রমশ গুটিয়ে যেতে থাকি। প্রতিটি মুহূর্তে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে নার্সিংহোমের পাকা বিল মেটাবো কিভাবে- তা ভেবে ।

আমাদের আত্মীয় স্বজন নেহাত কম ছিল না। কিন্তু ছোট থেকেই অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকায় কারও সঙ্গে তেমন হৃদ্যতা ছিলনা। পাশের পাড়ায় ছিল আমার মামার বাড়ি অথচ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকারই মত । ছোট থেকে দেখে এসেছি মামার বাড়ি হল সকলের খুব আদরের জায়গা। আমি ছোট থেকেই বন্ধুদেরকে দেখতাম তাদের মামার বাড়ির নানা রকম খাওয়া-পরার সুন্দর সুন্দর গল্প করতে । ওদের ওইসব গল্প শুনে নিজেকে খুব বিষন্ন লাগতো। একবার তো মাকে বলেই ফেলেছিলাম,
- মা! বন্ধুদের মামার বাড়ির সুন্দর সুন্দর গল্প শুনে আমারও এরকম একটি গল্প ওদের শোনাতে ভীষণ ইচ্ছা করে।
মা আমার কথা শুনে নির্লিপ্ত থাকে । মায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমি আবার বলি,
-আচ্ছা মা ! আমাদের মামার বাড়িটার কোন পরিবর্তন করা যায় না?
এবার মা আমার কথা শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিলেন ,
-বাবা-মা সন্তানের সবচেয়ে কাছের। কেন আমি বা তোমার বাবা কি তোমাদেরকে কম ভালোবাসি ? যে কারণে মামাদের নিয়ে তোমাকে এতটা ভাবতে হচ্ছে ?
আমার সেই কৈশোরে সেদিন মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আপনজনের পরিচয়দান করাতে আনন্দের সঙ্গে বেশ লজ্জাও পেয়েছিলাম। মায়ের কথা শেষ হওয়ার আগেই তাই মায়ের আঁচলে মুখ লুকিয়েছিলাম ।

যাইহোক বাবা নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ায় প্রতিদিন ভিজিটিং আওয়ার্সে আমাদের এই সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের দেখতে আসার ঢল নেমেছিল । আমি যতটা সম্ভব শুকনো মুখেও হাসি হাসি ভাবে ওনাদের সঙ্গ দিতে লাগলাম । ওনারা আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী হওয়ায় বাবার চিকিৎসা , ঔষধ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঠিক ঠিক হচ্ছে কিনা তার খোঁজ খবর নিতেন। আরো কি কি করলে ভালো হতো বা সে সম্পর্কেও নানা রকম ফিরিস্তি দিতেও কুণ্ঠা করতেন না। আমি নিরবে ওনাদের অতি আপনজন সাজার অত্যাচার সহ্য করতে লাগলাম ।
আমার মা সারা জীবন গ্রামে কাটানোয় বা বেশি সরলতার কারনে হোক মানুষের মুখের কথাতে সব ভুলে যেতেন। নার্সিংহোমে রোগী দেখতে এসে এই সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের খোশগল্পে আমি বিব্রত বোধ করলেও মায়ের মুখের ভাষান্তরে তেমন কিছু ধরা পড়তো না । তবে বাড়ি এসে ধরিয়ে দিলে অবশ্য মা আমার কথার মান্যতা দিতেন ।

তিন দিন আইসিইউতে রাখার পরে আমি সরাসরি ডাক্তারবাবুকে আমার অসহায়ত্বের কথা জানালাম । ডাক্তারবাবু মনোযোগ দিয়ে শুনলেন।
ওনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া,
-হ্যাঁ ! তুমি না বললে আমি আজি তোমার বাবাকে জেনারেল বেডে রেফার করতাম ।
উনি অবশ্য কথা রেখেছিলেন । তবে আমার মনে একটি প্রশ্ন তখন বদ্ধমূল হয়েছিল ; যে মানুষটা হেঁটে হেঁটে ডাক্তারের চেম্বারে এসেছিলেন , সেই মানুষটির কি সত্যিই তিনদিন আইসিইউতে রাখার দরকার ছিল?

বাবার নার্সিংহোমের বিল মেটাবো কি করে - এসব ভেবে এক অসহনীয় দুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরে তৃতীয়দিন রাতে মা -ছেলের সময় আর কিছুতেই যেন কাটছিল না । ওদিকে বাবার ক্রমশ উন্নতিতে কোথায় আমাদের আনন্দিত হওয়ার কথা ; কিন্তু দুশ্চিন্তার কালো মেঘ আমাদের চারপাশে এক দমবন্ধ পরিবেশ তৈরি করল । চারিদিকে আত্মীয়-স্বজন অথচ সবাই কত অচেনা ! পেটে খিদে আছে অথচ মুখে কিছু রোচে না । রান্নাঘরে খাবার রেডি অথচ সেটা খাওয়ার ইচ্ছাটুকুও চলে গেছে । জীবনের সব চেনা ছন্দ অথচ সেগুলো এখন সব অচেনা ঠেকলো । সেদিন রাতে বোন তখন ঘুমিয়ে গেছে। মা আর আমি বসে বসে রাত পার করছি। মুখে কথা হয় একটি বা দুটি অথচ আধঘন্টা বা তারও বেশি কেবল নীরব থেকেছি । মাঝে মাঝে মা ছেলের বড় বড় দীর্ঘশ্বাস গুলি সেদিন নিস্তব্ধ গভীর রাতে যেন আমাদের অসহায়ত্বের সাক্ষ্য দিয়েছিল। এদিকে রাত ক্রমশ বাড়ছে , চোখে নেই ঘুম ; যেমন পেলাম না বাবার বিল মেটানোর সমাধানও। হঠাৎ মায়ের মুখে স্মিত হাসি ,
-বাবু! তোমার দাদি আমার দুগাছ রুপোর বাউটি ও একজোড়া পায়ের মল দিয়েছিল । আর বাড়িতে একটি পিতলের বদনা, একটি পিতলের কলসি ও দুটি কাসার থালা আছে সঙ্গে আমার নাকছাবিও - এগুলো বিক্রি করে দেখো বাবা কত হয়?
মায়ের এই সরল সমাধানে আমি একটি শুষ্ক প্রাণহীন হাসি দিয়ে বললাম,
-মা ! নার্সিংহোমের বিল বাবদ আমাদেরকে এত বেশি টাকা শোধ করতে হবে যে তোমার ঐ স্ত্রীধন দিয়ে তেমন কিছুই হবে না । আর নাকছাবি বিক্রির কথা একদম মুখে এনো না।

আমি আমার মাকে কোনদিন ওই মূল্যবান রুপার অলঙ্কার দুটি পড়তে দেখিনি। কিন্তু পুরানো ট্রাংকে রুমাল মোরা একটি পুটলির মধ্যে মাকে ওই অলংকারটিকে মাঝে মাঝে খুলে দেখতে দেখেছি। তখন বুঝতাম না মা কেন অলংকারটি খুলে মাঝে মাঝে দেখে। রুপো যে মূল্যবান একটা ধাতু তা ছোট থেকে জানতাম । কিন্তু রৌপ্যের বস্তুগত মূল্যের চেয়ে তার অন্তর্নিহিত মূল্য যে বহু গুণ বেশি সেটা বুঝেছি সেদিন, যেদিন পাড়ার ভাঙাচোরা জিনিস ক্রয় করতে আসা ফেরিওয়ালার কাছ থেকে মদন কটকটি খাওয়ার লোভে একটি বাউটি হস্তগত করে ফেরিওয়ালাকে দিতেই,
-বাবু ! এবাউটি কার?
-কেন! আমার মায়ের।
-তোমার মা কি তোমাকে এটা আমাকে বেঁচতে দিয়েছেন?
-না, আমি তোমার কাছ থেকে মদন খাব বলে ট্রাংক থেকে নিয়ে এসেছি।
-আমি তোমাকে এমনি এমনি কিছু মদন দেব ; তবে এই বাউটি আমি তোমার মায়ের অনুমতি ছাড়া নিতে পারব না।
-তোমার অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই। আমার বাউটি আমাকে ফেরত দাও। আমি মদন খাব না।
-না, এ জিনিস ফেরত দিতে হলে তোমার মায়ের হাতেই ফেরত দেবো।
বাস্তবে আমি তখন প্রচন্ড ভয় পেলাম । ফেরিওয়ালাকে আমি মুখ কাচুমাচু করলেও সে ব্যাটা আমার কথা শুনল না ; উপরন্তু আমাদের বাড়ির সামনে এসে জোরে জোরে ভাবি ভাবি বলে ডাকতেই মা বেরিয়ে এলেন,
-ভাবি এই বাউটিটা আপনার?
-হ্যাঁ ! এতো আমার বাউটি। তুমি কোথায় পেয়েছো?
-আপনার ছেলে আমাকে দিয়েছে মদন খাবে বলে।
-হাই আল্লাহ! তুই মদন খাবি বলে এটা বার করে নিয়ে এসেছিস?
-মা ! আর কখনো করবোনা । আমার ভুল হয়ে গেছে।
-জানিস ! কেন এটা আমার কাছে এত মূল্যবান ? আমার বিয়েতে তোর দাদি আমাকে এটা উপহার দিয়েছিল। আমি এটা না পড়ে পড়ে যত্ন করে গুছিয়ে রেখেছি । আর তুই কিনা এটাকেই খুঁজে পেলি মদন খাবি বলে ?
আমি একটা মারাত্মক ভুল করে ফেলেছি ; বুঝতে পেরে প্রচন্ড জোরে কাঁদতে থাকি । পাশে ফেরিওয়ালাকাকু আমাকে সান্ত্বনা দিতে থাকেন । মায়ের মনও ততক্ষনে গলে গেছে। এবার দুজনেই আমাকে শান্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন । কিছুক্ষণ পরে মা ফেরিওয়ালাকাকুকে বললেন,
- ভাই, তোমাকে যে কি বলে ধন্যবাদ দেব , তা বলে বোঝাতে পারবো না ।
-ভাবি থাক থাক; আর ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই । আমরা গরীব মানুষ সামান্য ফেরি করেই জীবিকা নির্বাহ করি। তবে ফেরিওয়ালা হওয়ায় সবাই আমাদেরকে মানুষ বলে মনে করে না। অথচ দেখুন আমরা তো কাউকে ফাঁকি দিই না তবুও সমাজের চোখে আমরা অচ্ছুৎ।

সেদিন ফেরিওয়ালাকাকু হাসতে হাসতে বিদায় নিতেই আমি মায়ের মুখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকায় মা প্রশ্ন করেছিলেন
- অমন করে কি দেখছিস?
-মা বাউটি দুটি তোমার এত প্রিয়!
মা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন,
-হ্যাঁ রে বাবা ! একদম তোদের দুই ভাই-বোনের মতোই প্রিয়।
আজ মায়ের সেই বাউটি বিক্রির কথা বলতেই আমার অন্তরে যেন চাবুকাঘাত করল। বিকল্প সংস্থান খোঁজার জন্য আমি যেন পাগল হয়ে গেলাম।

যথারীতি চতুর্থ দিনে বাবাকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেটা দেখে সেদিন বিকালে আমি স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
চলবে...

বিশেষ দ্রষ্টব্য: - আজকের পর্বটি ব্লগে আমার ছোট ভাই প্রান্তকে ( আশরাফুল আলম প্রান্তকে ) উপহার দিলাম ।




মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৯৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই ,

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

নজসু বলেছেন:


২য় ।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুৎ আচ্ছা খুশি !! হা হা হা

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

নজসু বলেছেন:



শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজীর পোষ্টে কমেন্ট করছিলাম।
না হলে আমিই ফার্স্ট হতাম। :(

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই ,
দ্বিতীয় মন্তব্য মানে সেটা কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে হয় কিন্তু সেটা প্রথম মন্তব্যেই সমতুল্য। এজন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই ; জানাই অভিনন্দনও। ব্লগে শুধু আমি বলেই কথা নয়, প্রিয় পোস্ট পেলে সেখানে তো কমেন্ট করতেই হয় । কাজেই সেটা ছেড়ে তো আর আসা যায় না। আজ যেটা আপনার ক্ষেত্রে হয়েছে। নিশ্চয়ই অন্য একদিন পুষিয়ে যাবে, হা হা হা ।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।


৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

নজসু বলেছেন:


লাইকদাতা হিসেবে ৩য় হলাম।
লাইকটা অবশ্য পাঠ করার পর দিতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু লাড্ডু গুড্ডু হবো ভেবে আগেই দিলাম। :)
এরপর গল্প পাঠের পর মন্তব্য করবো।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকে আবার কমেন্টে পেয়ে আরো আনন্দ পেলাম। অাবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। কমেন্ট এ সেকেন্ড ও লাইকে থার্ড - আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি । অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে । আপনার সঙ্গে আমি সম্পূর্ন সহমত যে পোস্ট পড়ার পরে , গুনাগুন বিচার করে - লাইক করাটা কাম্য বলে আমিও মনে করি ।
হা হা হা লাড্ডু গুড্ডুর কথা মনে করাতে আনন্দ পেলাম বৈকি।

আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্টের অপেক্ষায় থাকলাম......

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন।


৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

বলেছেন: বাউটি টা কি স্যার? রুপোর বালা বা চুড়ি!!
মদন খাবার টা কি?

অনেক কিছু জানা হলো!!
আবারো আসবো।


১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই,

আপনার কোশ্চেনের মধ্যেই আপনি উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। বালা বা চুড়িকে এদিকে বাউটি বলার চল আছে । লুডুর লুডুর গুটির মত মত এক রকমের খাবার যেটা ফেরিওয়ালারা কিছু নিয়ে বিনিময়ে দিত, তাকে মদন বলা হয় । আমাদের শৈশবে গ্রামের এই মদন ছিল আমাদের অন্যতম আকর্ষণীয় একটি খাবার ।

আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্টের অপেক্ষায় থাকলাম ....
পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরনা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন ।

৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রিয় পদাতিক দা,
মানুষ যখনই নতুন কিছু সৃষ্টি করে, তখনই তার এই সৃষ্টিকে সে উৎসর্গ করতে চায়।
আপনার এই উপহার আমার জন্য যতখানি না অর্জন, তার চেয়েও বেশি অনুপ্রেরণা।
ওপার বাংলায় আমি কাউকে চিনি, কারো সাথে পরিচয় নেই, আপনি ছাড়া। ব্লগীয় সূত্রে আপনার সাথে আমার পরিচয় নিয়ে আমি গর্ব করি....
আপনার এই সিরিজ লেখাটির শেষ পর্ব আপনি যখন আমাকে উপহার দিলেন, তারও আগে, আমিও আপনার জন্য একটা উপহার মনে মনে ঠিক করেছি,
আশা করি আপনার উপহার পেয়ে আমি যেমন আনন্দিত হয়েছি, আপনাকেও তেমন কিছু খুশির মুহূর্ত উপহার দিতে পারবো।

আপনার পরিবারের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং ভালোবাসা জানাবেন।
আপনার লেখালেখির পথ সুমসৃণ হোক
বাউটি শব্দটার সাথে পরিচিত হলাম।
সব মিলিয়ে অনেক অনেক ধন্যবাদ
আর দাদা, নামে কিন্তু একটা টাইপো হয়ে গেছে :P

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রান্ত ,
অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছ। তবে আমি কতটা সৃষ্টি করতে পারছি - শুনে বিব্রত বোধ করলাম । এগুলো কি আর যাই হোক সৃষ্টি করা যায় না। সেক্ষেত্রে সৃষ্টিকারীরা বরং হাসবেন বৈকি।
আমার এই ছোট্ট উপহার তোমাকে আনন্দ দিয়েছে ; এতে মুগ্ধ । তুমি এমনিতে খুব ভালো লেখ। তোমার চিন্তা - ভাবনার গভীরতা অত্যন্ত বেশি । আগামী দিনে ব্লগ সহ সাহিত্যজগৎকে আরো উজ্জ্বল কর - কামনা করি।

তোমার এখন বয়স খুবই কম । এখনো ছাত্র দশা ঘোচেনি। সামনে দীর্ঘ কর্মজীবন পড়ে আছে। সুতরাং বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুধু এপার ওপার নয়, দুই বাংলার একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হতেই পারে।
হ্যাঁ, একেবারে প্রথম দিকে তোমার কমেন্টটি পেয়ে সত্যি আমিও খুব আনন্দ পেয়েছি।
তোমার সালাম, ভালোবাসা গ্রহণ করলাম। বাড়ির বাকিদের কাছে ঠিক পৌঁছে দেব। বাটি শব্দটি তোমাকে জানাতে পেরে আমিও খুশি। আর নামে একটু টাইপো ছিল । তুমি বলার পরে আমি ঠিক করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা স্নেহের ছোট ভাইটিকে।



৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখায় ফিরছি সময় নিয়ে; বরাবরের মত ভালোলাগা প্রকাশ করে গেলাম।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,

বরাবরের মত ভাল লাগা জানিয়ে গেলেন। পোস্টে লাইক দেওয়াতে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। আপনি সময় নিয়ে লেখায় ফিরবেন সেই অপেক্ষায় আছি.....

৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পরে প্রিয় কবিভাইকে কমেন্টে পেয়ে আনন্দ পেলাম । পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ । পোস্টটি লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

শুভ কামনা ও ভালোবাসা জানবেন।।

৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি আজকের পর্বটি সাড়ে তিন বছর আগের ঘটনা মনে করে দিল যখন আমার আম্মু হসপিটাল ভর্তি ছিলো।
গল্পের প্রতিটি চিত্র খুব স্পষ্ট দেখাচ্ছিল। আবেগ আর বাস্তব দুটি জিনিস যখন একসাথে দাঁড়ায় তখন ভাব প্রকাশ করা মুশকিল। একদিকে বাবার সুস্থতার সাথে আবেগ জড়িত অন্যদিকে নার্সিংহোমের বিল পরিশোধের চিন্তা এক কঠিন বাস্তব।
আমার পুরনো লেখকদের গল্প পড়তে ভালো লাগে। ব্লগে একমাত্র প্রিয় ভাইটির গল্পে সেই স্বাদ পাই। যেমন সুন্দর চিত্র তেমনি ভাবনার গভীরতা।
কুহেলিকায় এক অন্য রকম ভালো লাগা রইলো।
মরীচিকার পরের পর্বের জন্য অনেক শুভ কামনা।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ভাইটি ,

আজকে পর্বটি পড়ে তোমার সাড়ে তিন বছর আগে আম্মুর হসপিটালে ভর্তি করার ঘটনাটি মনে পড়াতে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। কারন জীবনের বেদনাময় অধ্যায়কে আমরা সবাই ভোলার চেষ্টা করি সব সময় যে পারি তা এমন নয় ।। আগের দিন তো শুনলাম আন্টি এখন একটু অসুস্থ আছেন আশা করি শীঘ্রই সম্পূর্ণ সুস্থ হবেন। উনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। আমার হয়ে আন্টিকে সালাম পৌঁছে দিও।
গল্পের প্রতিটি চিত্র খুব স্পষ্ট মনে হওয়াতে তখন ভাব প্রকাশ করা মুশকিল । একটা কথা বলেছো আবেগ আর বাস্তব দুটি জিনিস যখন একসাথে দাঁড়ায় তুমি আমার গল্প পড়ে মজা পাও জেনে আনন্দ পেলাম এটা আমার এক পরম সৌভাগ্যের বিষয় যে তোমার মত একজন ভালো পাঠক পাওয়া। যে শুধু পড়ে না , দরদ দিয়ে মন্তব্যও করে ।

কুহেলিকায় তোমার অন্যরকম ভালো লাগাতে মুগ্ধ হলাম। মরিচিকার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আস জেনে আনন্দ পেলাম।। পোস্টটি কে লাইক করে করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই ছোট্ট ভাইটিকে ।

বিমুক্ত ভালোবাসা ও শুভকামনা স্নেহের ভাইটিকে।




১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৫

নজসু বলেছেন:



পর্ব পাঠ পরবর্তী মন্তব্যে এলাম।
আজকের পর্বটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রথমে পর্বের কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ে দ্বিধামুক্ত হই আগে।
প্রাথমিকভাবে সেদিন প্রতিবেশীদের আচরণে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলাম ।
বিপদের দিনে প্রতিবেশীরা পাশে দাঁড়িয়েছেন এ এক উদারতা।
গ্রাম এলকায় একটা কথা আছে- বনের চেয়ে জঙ্গল ভালো, নিজের চেয়ে পর ভালো।
কথাটা কেন বললাম সেটা পরে বলছি।

তাই হঠাৎ করে খবরটি শুনে নিজেকে আর সামাল দিতে পারেনি ।
এই সংলাপটি মায়ের। তিনি বলেছেন-হ্যাঁ বাবা ! ঠিকই বলেছ । আসলে সকাল থেকে তোমাদের কোন খবর পাচ্ছিলাম না , তাই হঠাৎ করে খবরটি শুনে নিজেকে আর সামাল দিতে পারেনি । বোল্ড অংশটি কি মা বাবার সম্পর্কে বলেছেন? যদি তা না হয়ে মা নিজের মনোভাব ব্যক্ত করে থাকেন তাহলে লাইনটি খবরটি শুনে নিজেকে আর সামাল দিতে পারিনি। হলে কেমন হয়? পারেনি থেকে পারিনি

নার্সিংহোমের বিল ক্রমশ বাড়তে থাকায়, একটা অজানা আশংকায় আমি ক্রমশ গুটিয়ে যেতে থাকি।
একই বাক্যে ক্রমশ শব্দটা দুবার এসেছে। ফলে আমার কাছে বাক্যের কিছুটা সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। বিকল্প কোন শব্দ কি ভাবা যেত?
এছাড়া আজকের পর্বে ক্রমশ শব্দটা অত্যন্ত বেশিবার ব্যবহার করা হয়েছে। যা মুদ্রাদোষের পর্যায়ে পরে।

অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকায় কারও সঙ্গে তেমন হৃদ্যতা ছিলনা।
এই কথাটা পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় সত্যি আর দামী কথা।
রবি ঠাকুরের লেখাটা মনে হলো-
কেরোসিন-শিখা বলে মাটির প্রদীপে,
ভাই ব'লে ডাক যদি দেব গলা টিপে।
হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা—
কেরোসিন বলি উঠে, এসো মোর দাদা!

অর্থ আছে তো আত্মীয়তা আছে। অর্থ নেই তো সম্পর্ক নেই।

যাইহোক বাবা নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ায় প্রতিদিন ভিজিটিং ভিজিটিং আওয়ার্সে আমাদের এই সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের দেখতে আসার ঢল নেমেছিল ।
তারা চিকিৎসা , ঔষধ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঠিক ঠিক করা হচ্ছে কিনা তার খোঁজ খবর নিতেন। আরো কি কি করলে ভালো হতো বা সে সম্পর্কেও নানা রকম ফিরিস্তি দিতেও কুণ্ঠা করতেন না। অথচ ঔষধপত্র কেনা হচ্ছে কিভাবে, হাসপাতালের বিল মিটবে কিভাবে সেসব বিষয়ে কোন কোন আলাপ নাই। পরামর্শ দিতে তো আর পয়সা লাগেনা, তাই তারা ফ্রি জিনিসটা না চাইতেই দিয়ে যায়। আমি এই কারণেই বলেছিলাম বনের চেয়ে জঙ্গল ভালো, নিজের চেয়ে পর ভালো।


আমি নিরবে ওনাদের অতি আপনজন সাজার অত্যাচার সহ্য করতে লাগলাম ।
"অতি আপনজন সাজার অত্যাচার" খুব ভালো লাগলো।

যে মানুষটা হেঁটে হেঁটে ডাক্তারের চেম্বারে এলেন, সেই মানুষটির কি সত্যিই 3 দিন আইসিইউতে রাখার দরকার ছিল?
আজকাল ডাক্তারদের সেবার চাইতে টাকার দিকে নজর থাকে বেশি। কোথায় একবার পড়েছিলাম টাকা কামাবার লোভে ডাক্তারেরা মৃত ব্যক্তিকে আইসিইউতে প্রক্রিয়াধীন করে রেখে রোগীর স্বজনদের থেকে টাকা কামাতো।
3 টা ইংরেজিতেই রয়ে গেছে। একটু খেয়াল করলে ভালো হতো।

তোমার দাদি আমার দুগাছ রুপোর বাউটি ও একজোড়া পায়ের মল দিয়েছিল ।
বাউটি সম্পর্কে দু;একটা কমেন্ট পাঠ করলাম। আমাদের এখানে কানে পরার দুলকে বাউটি বলা হয়।

আমি তোমাকে এমনি এমনি কিছু মদন দেব ; তবে এই বাউটি আমি তোমার মায়ের অনুমতি ছাড়া নিতে পারব না।
পৃথিবীতে সততা আর ভালো মানুষ এখনো আছে বলে দুনিয়া এখনো টিকে আছে।

একজন মধ্যবিত্ত পরিবারে সমান্য আয়ে চলা কোন ব্যক্তির উপর যদি এমন বিপদ এসে দাঁড়ায় তখন দিশেহারা হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।
মা ছেলের বেদনাময় সময় অতিক্রান্ত আমাকে অত্যন্ত ব্যথিত করেছে। মামাদের গল্প, মামা বাড়ির গল্প আমাকে মর্মাহত করেছে।

আপনার আজকের এই পর্বটি আমার স্মরণীয় হয়ে থাকবে কারণ এই পর্বটা আমার চোখে পানি এনেছে। গয়না বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধের চিন্তা ভাবনা। যা কিনা মায়ের সবথেকে প্রিয়। মা তো বলেই ফেললেন- হ্যাঁ রে বাবা ! একদম তোদের দুই ভাই-বোনের মতোই প্রিয়।

আমি কেন কেঁদেছি এই বিষয়ে কিছু বলবো না। কিছু লিখবো না। কিছুকিছু বিষয় নিজের কাছে রেখে দেয়া ভালো। যা শুধু একান্তই নিজের।

ভালো থাকবেন আমার প্রিয় একজন।
অনেক অনেক হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আপনার জন্য।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই ,

আবারও জানাই এত সুন্দর মন্তব্যে আমি আপ্লুত ,অভিভূত বা উচ্ছ্বসিত। ঠিক বলে বোঝাতে পারব না মনের অবস্থা ।
যে কারনেই হোক পর্বটি আপনার কাছে স্মরণীয় ; এটা আমার বিরাট প্রাপ্তি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সঙ্গে সহমত যে , বনের চেয়ে জঙ্গল ভালো , নিজের চেয়ে পর ভালো। প্রায়ই দেখা যায় যেকোনো পারিবারিক বা সামাজিক ক্রাইসিসে যখন আমারা নিকট আত্মীয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি বা প্রত্যাখ্যাত হই সে ক্ষেত্রে বরং প্রতিবেশীরাই অনেক সময় উপযাজক হয়ে এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। গল্পে যেমন এখানে দেখানো হয়েছে।

মায়ের সংজ্ঞা হারানোর বিষয়টি আপনার সূক্ষ্ম নজরে ধরা পড়াতে আনন্দ পেলাম । বিষয়টি ঠিক করে নিয়েছি।

নার্সিংহোমের বিল ক্রমশ বাড়তে থাকায় ..... এখানে একাধিকবার ' ক্রমশ' শব্দটি ব্যবহৃত হওয়ায় যে শ্রুতিকটু লেগেছে। আপনার কথামতো যতটা সম্ভব ঠিক করে নিয়েছি।

আই সি ইউ তে পেশেন্ট ভর্তি করিয়ে যেভাবে টাকা আত্মসাৎ করা হয় সে সম্পর্কে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের একটি কবিতায় ছিল ,
" গ্রাম থেকে শহরে এসেছিল এক লোক ডাক্তার দেখিয়ে সর্বস্বান্ত হবে বলে,
তার আগেই তাকে সর্বস্বান্ত করে দিল এক পকেটমার। " কাজেই চিকিৎসার নামে এমন যাঁতাকলে আমাদের জীবনটা যাওয়ারই উপক্রম । কিন্তু তা থেকে বার হওয়ার যে কোনো রাস্তা নেই।

প্রতিমন্তব্যকে আমি দুটি অংশে ভাগ করব। পরবর্তী অংশের জন্য আবার আসছি......



১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,

" আমি নিরবে ওনাদের অতি আপনজন সাজার অত্যাচার সহ্য করতে লাগলাম।" লাইনটি ভালো লাগাই, হা হা হা শুধুই ভালবাসা।

" যে মানুষটা হেঁটে হেঁটে ডাক্তারের চেম্বারে এলেন ; সেই মানুষটির কি সত্যিই 3 দিন আইসিইউতে রাখা দরকার ছিল? - আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে । আমি সেদিনই আপনি বলার পরেই ঠিক করে দিয়েছিলাম । এখানে কোন অজুহাতই আর দেব না বরং আবার আপনাকে ভালোবাসায় সিক্ত করলাম।

" তোমার দাদি আমার দুগাছ রুপোর বাউটি ও একজোড়া পায়ের মল দিয়েছিল।" আমাদের এখানে অবশ্য হাতের চুড়িকেই বাউটি বলা হয়। আপনার কাছ থেকে এটা জেনে ভালো লাগছে। এখানে কানের পাশা ,রিং ,দুল বা ঝুমকো নামের বিভিন্ন অলংকার প্রচলিত আছে।

" আমি তোমাকে এমনি এমনি কিছু মদন দেব; তবে এই বাউটি আমি তোমার মায়ের অনুমতি ছাড়া নিতে পারব না।" সহমত আপনার সঙ্গে যে এখনো পৃথিবীতে সৎ মানুষ আছে সেজন্য পৃথিবীটা এখনোও আমাদের কাছে এতো আশার ! এতো স্বপ্নের বা এত মধুময়! মায়াবীও।

মা ছেলের বেদনাময় সময় অতিক্রান্ত আপনাকে ব্যথিত করেছে, মামাদের গল্প বা মামার বাড়ি গল্পে আপনি মর্মাহত হয়েছেন -জেনে খুশি হলাম । আবারো ভালবাসা আপনাকে।

আজকে পর্বটি আপনার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকায় আমি অত্যন্ত অনুপ্রাণিত হলাম ।।হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই । এমন স্মরণীয় যে যেকোন ব্যক্তিকে তার পরবর্তী লেখায় দারুন অনুপ্রাণিত করবে তা বলা বাহুল্য।

পোস্টটি পড়তে গিয়ে আপনি কেঁদেছেন; বিষয়টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। হৃদয়ের গোপন স্থানে যে বিষন্নতা থাকে অনেক সময় সমমানের কষ্টে সেগুলো মনকে হালকা করে দেয় । আপনার এই মনোকষ্ট কারও সঙ্গে শেয়ার করার দরকার নেই, কিন্তু আপনি যে মানসিকভাবে কিছুটা হালকা হয়েছেন এটাই আমার কাছে পরম প্রাপ্তি।

আপনার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় আমি আপ্লুত মুগ্ধ। আপনার জন্যও আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে স্নিগ্ধবাতাস সম ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।



১১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: বরাবরের মতই অত্যন্ত ভালো লেগেছে।
তবে, মায়ের অনুভূতি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তাঁর তুলনা হয় না।
আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল, ভাষার সীমাবদ্ধতা আপনি জয় করে ফেলেছেন।

অনেক অনেক ভালোলাগা আর শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহের ভাই ,


আশা করি আপনার ব্যস্ত তারা অবসান ঘটেছে।। আবার আগের মতো নিয়মিত হবেন। আমিও এক্ষুণি পরপর দুটি পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়েছি। গত পোষ্টের প্রতিমন্তব্যটি অবশ্য কালকে করব; প্লিজ কিছু মনে করবেন না।

গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কাছে ভাষার সীমাবদ্ধতা কাটাতে পারার গৌরব ,আমার কাছে পরম প্রাপ্তি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। একই সঙ্গে আপনার জন্যও আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।


১২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা, আপনার প্রতিবেশীরা ভালো।
আইসিইউতে অনেক খরচ। অনেক।
হাসপাতালে রোগী দেখতে এসে অনেকেই খোশ গল্পে মেতে উঠেন।

দাদা আপনি অনেক দরদ দিয়ে লিখেন। আবেগে ভরা লেখা। কষ্ট আছে, পাওয়া না পাওয়া আছে। সবচেয়ে ভালো লাগে আপনি কিচ্চু গোপন করেন না। এবং নিজেকে হিরো প্রমান করার জন্য বাড়িয়ে লিখেন না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,

মন দিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য প্রথমেই জানাই ধন্যবাদ। হ্যাঁ, গল্পে প্রতিবেশীরা বেশ ভালই।আর আই সি ইউ তে খরচ অত্যধিক বেশি । একশ্রেণীর আত্মীয়-স্বজনের কাজই হচ্ছে হসপিটালে ভর্তি রোগীকে দেখার উদ্দেশ্যে গেট-টুগেদারে অংশ নেওয়া। তারা এসে রোগীকে কতটা মনোবল বাড়ায় জানিনা, কিন্তু নিজেদের কুৎসিত ভাবে খোশ গল্পে মশগুল রাখে, যা বাড়ির সদস্যদের বিরাগভাজন এর কারন হয়ে দাঁড়ায় ।
আর কমেন্টের শেষ অংশের জন্য বেশ লজ্জা পেলাম। কেমন কথা সরাসরি বললে আমার লজ্জা লাগে না বুঝি!! এই গল্পে আমার কৈশোরের একটি পর্ব আছে, যেখানে চেষ্টা করেছি খুল্লামখুল্ল ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে। আগাম জানিয়ে রেখেছি।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোটভাইকে।


১৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৯

হাবিব বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম........
পরে পড়বো এবং মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ..........

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই এর উপস্থিতি পেয়ে আনন্দ পেলাম। প্রিয়তে নেওয়াতে অনুপ্রেরণা পেলাম ; ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্টের অপেক্ষায় থাকলাম......



১৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লেখক মানেই দায়িত্বশীল হয়ে থাকেন। তার পরিচয় বহন করেই আপনার লিখনীটি এগিয়ে যাচ্ছে। পাঠক মাত্রই পড়ে আরাম অনুভব করবে যে নিশ্চিত। এত স্বাবলীল লিখা পড়ার সুযোগ পেয়েছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমাদের সাথে থাকবেন আশা বড় করে এই ব্লগ পাড়ায় আপন ভাবতে দ্বিধা নেই। ভাল থাকুন সবসময়।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রহমানভাই,

আপনার এমন আন্তরিক মন্তব্য হৃদয় ছুঁয়ে গেল । কতটা ভালো লিখছি জানিনা কিন্তু আপনি বা আপনারা যে পড়ে আনন্দ পাচ্ছেন এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি। আপনারা আসবেন পাঠ করে মন্তব্য করবেন, আর তার জন্যে আমরা অপেক্ষায় থাকি । আগামী তেও আপনার এমন কমেন্টের জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় থাকবো। লেখা সাবলীল মনে হওয়াতে ও তা পড়ে আপনি কেন ধন্য হবেন ? বরং আপনাকে পড়াতে পেরে আমি যে ধন্য অনুভব করছি; হা হা হা।

হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন , আপনাদের সঙ্গে থাকবো; তবে আপনাকেও কথা দিতে হবে যে পোস্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়ে মন্তব্য করতে হবে নইলে কিন্তু পালাবো , হা হা হা।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।


১৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন।
ব্যস্ততা কিছুটা কমেছে।
আর বসে বসে, বঙ্গবন্ধুর পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত লেখাটার আরেকটা নতুন টপিক নিয়ে কাগজ-পত্র ঘাটাঘাটি করতে শুরু করেছি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় মাহেরভাই,

আবার আপনাকে কমেন্টে পেয়ে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।আপনি নাতিদীর্ঘ পার্বত্য চট্টগ্রামের উপরে যে পোস্টটি সাম্প্রতিককালে শেষ করলেন , সেটি প্রথমে পড়ে আমার মনে হয়েছিল এটি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ধর্মী পোস্ট। যদিও আপনি সে সময় অস্বীকার করেছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে গবেষণা ধর্মী পোস্টগুলো এত পুঙ্খানুপুঙ্খ বা তথ্য বহুল হয়ে থাকে। জয় হোক আপনার চেয়ে ব্যস্ততা অবসান ঘটেছে অত্যন্ত আনন্দ পেলাম আবার ব্লগে নিয়মিত হন -আশা করি।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন না।


১৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০৭

ওমেরা বলেছেন: আজকের পর্বটা খুব খুব সুন্দর হয়েছে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি ,

পাঠ ও মন্তব্যে আনন্দ পেলাম আজকে পর্বটি খুব সুন্দর হওয়াতে পুলকিত হলাম।

পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২৮

বলেছেন: সুপ্রিয় সুজনের এৃন মন্তব্য দেখে আপ্লুত হলাম আর আমি আপাতত বাকরুদ্ধ এত এত সুন্দর মন্তব্য।


আমার সবটুকু ভালোবাসা ভাইটার প্রতি।


আজকের পর্ব ও পারিবারিক সামাজিক কাহিনী।

চরম সত্য আর ঘটে যাপয়া শৈশবের সমৃদ্ধ স্মৃতি।


আগামী পর্বের অপেক্ষায়


আর হা তিনবার পাঠ করেছি কিন্ত দাদা +++

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই ,

আপনার সঙ্গে আমি 100% সহমত পোষণ করছি যে প্রিয় সুজন ভাইয়ের মন্তব্যটি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। একটা পোষ্টকে কত খুঁটিয়ে না পড়লে এবং অন্তরের দরদ না থাকলে এমন মন্তব্য করা সম্ভব নয় । ওই কমেন্টের প্রতিমন্তব্য করতে যে কারনে আমাকে সময় নিতে হচ্ছে ।
আপনার সঙ্গে সুজন ভাইয়ের মিথস্ক্রিয়া ব্লগে আমার অন্যতম একটি বিমুগ্ধ তার কারন। বিভিন্ন পোষ্টে আপনাদের পারস্পরিক কথাবার্তায় আমি মুগ্ধ হয়। যে কারণে এটা খুবই স্বাভাবিক যে ভাইয়ের প্রতি আপনার অন্তরের টান তো থাকবেই।

মরীচিকাতে কুহেলিকা অংশটি একান্ত আমার নিজস্ব ; যে কারনে এই পর্বটিকে অন্য ভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছি । যথারীতি আগামী পর্ব থেকে আবার মরীচিকাতে প্রবেশ করব । আপনাদের মরীচিকার পাঠ করার অগ্রিম আমন্ত্রণ থাকলো।

অফুরান শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধ ভালবাসা প্রিয় কবিবরকে ।



১৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

হাবিব বলেছেন:




স্নিগ্ধ আলো রোজ সকালে,
আছড়ে পড়ে নদীর তীরে,
শুভ সকাল পৌঁছে দিলাম,
তোমার হৃদয়ের মন্দিরে.........

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

আমার হৃদয় আঙ্গিনা;
উষ্ণ হলো পরশে ।
মিষ্টি রোদের সকালে;
বন্ধুর দেখা মেলাতে।।
এমন করে দিও দেখা;
সকাল বিকাল দুপুরে।
অন্ধকারে রেখে ফেলে,
যেও না যেন পালিয়ে।


১৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

হাবিব বলেছেন:




সব কিছু যেন চোখের সামনেই ঘটছে.......
পড়তে পড়তে কখন যে শেষে চলে এলাম বুঝতে পারিনি.......
বাবাকে নিয়ে আপনার এই লেখাটি এতটাই ভাল লেগেছে যা প্রকাশ করার মত কোন শব্দ আসছেনা.........

আপনার মরিচিকার প্রতিটি পর্বকে আমার কাছে একেকটা স্বার্থক ছোট গল্পের মতো মনে হয়.........
মদন খাওয়ার কাহিনীটি আরো পূর্ণতা দিয়েছে লেখাটিকে.......
আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা......
আপনার মায়ের বাউটি জোড়া আজীবন
স্মৃতি হয়ে থাক।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিবভাই,

যথারীতি পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট করে আপনি আমার অন্তরকে আদ্রতায় ভরিয়ে দিলেন। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। আমি কতটা নিজেকে প্রকাশ করতে পেরেছি জানি না ; কিন্তু আপনার যে ভালো লেগেছে বা চোখের সামনে ঘটছে এমন উপলব্ধিতে আনন্দ পেলাম। আসলে বাবা- মা আমাদের জীবনের স্তম্ভ। আমরা যে স্তম্ভের তলায় অপার শান্তি লাভ করি । যে কারনেই বোধ হয় বাবা-মা সম্পর্কিত লেখাগুলো আমাদের এতটাই আবেগপ্রবণ করে দেয় বা অসহায় হয়ে পড়ি ।

মরীচিকার প্রতিটি পর্ব আপনার কাছে একটি ছোট গল্প বলে মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। পর্বগুলো দেওয়ার সময় শেষে একটা সাসপেন্স রাখলেও মোটের উপর আমার লক্ষ্য থাকে একটি পর্বকে যতটা সম্ভব কৌতুহল নিরপেক্ষ করা যায়।
মদন খাওয়ার অংশটি আপনার ভালো লাগাতে আবার আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
মায়ের বাউটি জোড়া স্মৃতি হয়ে থাকুক - এমন কামনায় রইল আবারো ধন্যবাদ ।

আমি ও আমার পরিবারের জন্য আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম ।
পাশাপাশি আপনাকেও আমার অন্তরের বিমুগ্ধ ভালবাসা ও আপনার পরিবারবর্গের প্রতি আমার অন্তরের শুভেচ্ছা রইল।




২০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: দাদা , মনটা সত্যি খারাপ হয়ে গেলো , পরিবারে অনেক বাধা আসে আর সেগুলোকে সামাল দিতে হয় পরিবারের ছেলেদের । একজন ছেলের তার জীবনের পুরোটা চলে যায় দায়িত্ব পালন করতে করতে । জীবনের নির্মম সত্যকে লিখেছেন। স্যালুট আপনকে।
মরীচিকার ১২তম পর্বের অপেক্ষায় রইলাম । এবং আমন্ত্রণ রইলো

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পবিত্রভাই ,

আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। সহমত আপনার সঙ্গে যে পরিবার সামলাতে তুলনায় মেয়েদের চেয়ে ছেলেদেরকে একটু বেশি ভূমিকা নিতে হয় । যদিও আজকের দিনে মেয়েরা কোন অংশে কম নয় । যে বাড়িতে ছেলে নেই সেখানে কিন্তু মেয়ে যাবতীয় দায়িত্ব সামলায়। আসলে ছেলে বা মেয়ে যে পরিমণ্ডলে বড় হয় ; বাবা-মা ছোট থেকে ঠিক কি ভাবে গড়ে তুলবে তার উপরে নির্ভর করে।

গল্পটাকে আপনার কাছে জীবনের নির্মম সত্য বলে মনে হওয়াতে অনেক আনন্দ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আর স্যালুট!! ওরে বাবারে!! এত চাপ যে নিতে পারব না। হা হা হা।

মরীচিকার 12 তম পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম । আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা জানবেন।


২১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

“মরীচিকার” আপনার সৃষ্টির মাধ্যমে, জীবনের নির্মম সত্যকে সাবার কাছে তুলে ধরা চেষ্টা করছেন। গল্পটি ভালো লাগছে.....


“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, মানুষের প্রাত্যেহিক জীবনের আমি’র মধ্যে মিলেমিশে আছে তার সৃজনশীলতা!” তার আত্নপ্রকাশ ঘটে শিল্পে,সঙ্গীতে, কাব্যে,সাহিত্য আর মনাুষের ভালোবাসায়। আপনিও সাহিত্যিক হিসাবে সেই যোগ্যতায় যোগ্য ।


শুভ কামনা রইলো দাদা।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবীরভাই ,

আপনার অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে পুলকিত হলাম । গল্পটি ভালো লাগছে জেনে আনন্দ পেলাম ; ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

সৃষ্টিশীলতা সম্পর্কে কবি গুরুর মন্তব্য, " মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের আমি'র মধ্যে মিলেমিশে আছে তার সৃজনশীলতা !" তার আত্মপ্রকাশ ঘটে শিল্পে, সংগীতে ,কাব্যে, সাহিত্যে আর মানুষের ভালোবাসায়।"
কবিগুরুর সুন্দর বাণীটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্য রইল আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।


১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: Sorry ! একটি বিষয় উল্লেখ না করে ভুল করেছি। পোস্টটিকে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় কবীরভাইকে।

২২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: কুহেলিকা - শেষ পর্ব / মরীচিকা ( পর্ব -১১ ), আবার এই পোস্টের শেষে বললেন চলবে.....

বুঝিনাই।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় দাদার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। মরীচিকা মূলত গল্প, কিন্তু কুহেলিকা তার মধ্যে আমার জীবনের নিজস্ব একটি ঘটনা যেটাকে দুটি পর্বে এখানে উপস্থাপন করলাম। মরীচিকা যেমন চলছে তেমনিই চলবে । কিন্তু আমার জীবনের বিশেষ পর্ব কুহেলিকা যেটা আজ এখানে শেষ হলো । উপরে সেটাই উল্লেখ করেছি । আশা করি বিষয়টি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় দাদাকে।

২৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ব্লগে যাদের সাথে ব্লগ পরিচয় মূলত লিখন শৈলীর কারণেই। যারা ভাল লিখেন তারা অল্প কিছুদিনেই পাঠক সমাদৃত হউন। একটা সময় খ্যাতিমান লেখকরা পাঠকদের ভুলে যান। সেই ভয়ে সখ্যতা থেকেতো আর দূরে থাকা যায়না। পাঠক মাত্রই প্রতিদিন শীকারে বের হওয়া ভাল কোন লিখা পেলে পড়ে তৃপ্ত হওয়া।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার কমেন্টে আসার জন্য আবার আনন্দ পেলাম। পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় শুধু ভালবাসা। প্রতিমন্তব্যে কেবল হা হা হা।
বড় বড় গুনী লেখক বা কবিরা কি করেছেন জানিনা ; তবে ব্লগে আপনাদের মতন গুণী পাঠকের মন্তব্য ও লাইক পেয়ে অনুপ্রাণিত হচ্ছি সে কথা বলাই বাহুল্য । মোটের উপর আমরা হাতুড়ে লেখক । আপনাদের মত সুধী পাঠকবৃন্দের অপেক্ষায় বসে থাকি। আপনাদের সুন্দর সুন্দর কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পাই। আগামীতেও এভাবে আপনাকে পাশে পাবো আশা করি।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় রহমানভাইকে।


২৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরের মত এবারের পর্ব অনেক ভাল লাগল পদাতিক দা।
লেখা পড়ে মন খুলে মন্তব্য করার ইচ্ছে থাকলেও সময় করে উঠতে পারি না।
তাই সংক্ষেপে নিজের ভাললাগা টুকু জানিয়ে যায়।
শুভ কামনা সব সময় আপনার জন্য।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সোহেলভাই ,

গল্পটি আপনার ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম।সময়াভাবে মনের মত মন্তব্য করতে পারেননি ; বেশতো! যদি পরে সময় পান তখন না হয় পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট করবেন । আপনার মনের মতো কমেন্টের অপেক্ষায় থাকলাম ...
আপাতত আপনার সংক্ষেপে ভালো লাগা জানানোতেই আনন্দ পেলাম।
পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানবেন।


২৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


খুব সময় নিয়ে আস্তে আস্তে পড়েছি ।

দারুন লাগল । প্রতিটি লাইনে লাইনে যেন বাস্তবতা ছড়ানো ।

তবে বলতেই হবে আপনার প্রতিবেশী আর আত্মীয় স্বজনরা ভালো । কিন্তু উপরে উপরে অনেকেই দেখায় আরকি । যদিও কতটা সত্য তা জানি না ।

এমবিএ এর কনভোকেশন এর ঝামেলায় গত কয়েক দিন ব্লগে আসতে পারিনি ।

অফিসে বসে এই কমেন্ট করছি ।

পরের পর্বের জন্য শুভ কামনা ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অপুভাই,

সময় নিয়ে আস্তে আস্তে পড়েছেন ও পোস্টটি ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ প্রতিবেশীরা এসব ব্যাপারে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখায়। তবে এই সিরিজের সম্ভবত তৃতীয় বা চতুর্থ পর্বে আছে যে গ্রামে মূর্খ এলাকার মধ্যে আমাদের মতো যা দুএকটি পরিবার লেখাপড়া শেখে তাদেরকে প্রতি পদে পদে পদে গ্রামবাসীদের হিংসার মধ্যে পড়তে হয়। তখন কিন্তু এই গ্রামবাসীরাই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে।

আপনার কনভোকেশন নির্বিঘ্নে কাটুক ও উপভোগ করুন - কামনা করি।
না না না অফিস ফাঁকি দিয়ে কমেন্ট নয় । বসের কু নজরে পড়লে সমস্যা হয়ে যাবে।হা হা হা ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।

২৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০০

করুণাধারা বলেছেন: আপনার বর্ণনাগুলো এত যথাযথ হয় যে, মনে হয় সবকিছু চোখের সামনে দেখছি। আত্মীয়-স্বজন এবং চেনা পরিচিতদের আচরণের যে বর্ণনা দিলেন, এটা খুবই পরিচিত। ছোট ছোট বাক্য দিয়ে মায়ের মন, বক্তার মনের টানাপোড়ন- সমস্ত কিছু খুবই সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।


অবাক লাগলো দেখে যে, ভারতেও চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসা হয়! আমাদের দেশ থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান, কারণ শুনেছি সেখানে আমাদের দেশের মত ডাক্তাররা চিকিৎসা নিয়ে ব্যবসা করেন না। আপনার গল্প পড়ে মনে হলো, সুযোগ পেলে সেখানকার ডাক্তাররাও কারো পকেট কাটাতে পিছিয়ে থাকেন না। সত্যি তো, যে লোক হেঁটে হাসপাতালে যান, তাকে কি করে আই সি ইউ তে ভর্তি করে নিল!!!

এই পর্বটি আগেই পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম, কিন্তু সেটা জানাতে আসতে এত দেরি করতে হলো..........

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি ,

আমি সপ্তাহে মোটামুটি একটি করে পোস্ট দিই । গত পোস্টে আপনিই বলেছিলেন দ্রুত পোস্ট দিতে। মূলতঃ আপনার কথা মেনেই পাঁচ দিনের মাথায় পোস্ট দিলাম । আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

বর্ণনাগুলো যথা হতো মনে হয় ও সবকিছু চোখের সামনে দৃশ্যমান মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। ছোট ছোট বাক্য দিয়ে মায়ের মন বক্তার টানাপোড়েন- সমস্ত কিছুই আপনার কাছে সুন্দর মনে হওয়াতে অপার ভালো লাগা। অশেষ ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ।
আর ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আপনি অবাক হয়েছেন। আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা; আমার বাল্যবন্ধু গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রুবি হসপিটাল ক্যান্সার চিকিৎসায় ভর্তি হয়েছিল সেপ্টেম্বরের 19 তারিখে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। 15 লক্ষ টাকা রুবি হসপিটাল এ বিল হয়েছিল। সুবির গাঙ্গুলি হলেন রুবির ডিপার্টমেন্টটাল হেড । পাশাপাশি উনি আবার আর জি কর হসপিটাল এর ও ট্রমা সেন্টারের বিভাগীয় প্রধান। জীবনের শেষ কুড়ি দিন যখন বুঝলেন যে বড় বেশি প্রতারণা করা হয়ে গেছে । তখন উনি রুবি থেকে ছুটি দিয়ে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করলেন। আরজি কর হসপিটালেই আমার বন্ধু কুড়ি দিনের মাথায় 2017 এর ২০ সেপ্টেম্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় ।ডঃ গৌতম মুখার্জী বোম্বে ক্যান্সার হসপিটাল থেকে বিদেশে ছিলেন যার কাছে অপারেশন হয়েছিল। সবাই সম্মিলিতভাবে কিছুই তো করতে পারেননি কোন টি 15 লক্ষ টাকা বিল করে দিলেন। রুবি হসপিটাল পাশে একটা পাড়া আছে । যাদের কাজ হচ্ছে এখানে যারা কেমো বা রেডিওথেরাপি নিতে আসে তাদের দিন প্রতি হাজার টাকা বা দেড় হাজার টাকার ভিত্তিতে ঘর ভাড়া দেওয়া। যদিও ঘরগুলো সব এসি। বন্ধুকে প্রায়ই দেখতে গিয়ে দেখেছি, এই পাড়ার ম্যাক্সিমাম যারা ভাড়া থাকেন সবাই প্রায় রুবিতে কেমো নিতে আসা বাংলাদেশী নাগরিক ও তাদের পরিজন । সামান্য কিছু অবশ্য নর্থ ইস্ট ভারতের বাসিন্দাদেরও দেখেছি। ওর দীর্ঘ চিকিৎসা কালীন সময়ে প্রচুর বাংলাদেশী নাগরিককে দেখেছি এভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে ডেড বডি নিয়ে দেশে ফিরে যেতেও । এই সমস্ত ভুক্তভোগীরাই জানবে ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল হকিকত।

তবে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইতে বা ভেলোরে চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত । আমাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকেও যাদের হাতে একটু সময় আছে তারা চিকিৎসার জন্য করমন্ডল এক্সপ্রেস বা চেন্নাই এক্সপ্রেস' ধরে সোজা ভেলোর চলে যান। ওখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে উচ্চাশা পোষণ করায় যেতেই পারে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।





২৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভাই শেষ কবে হবে????
আমি তখন পপকর্ন নিয়া পড়তে বসব B-))

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আর্কিওপ্টেরিক্স ভাই,

গল্পটা একটু বড় হচ্ছে; তবে আপনাদের ব্যস্ততা দেখে হয়তো তাড়াতাড়ি শেষ করব। কিছু পর্ব কাটছাঁট করার ইচ্ছা আছে। পপকর্ন আমি অনেকদিন খাইনি। তবে আমার গল্প যে খেতে খেতে পঠিত হবে , এটা শুনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।



২৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

নীলপরি বলেছেন: মায়াময় শব্দে কঠিন জীবনের ছবি এঁকেছেন । ভালো লাগলো।
++++++

শুভকামনা

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি ,

বরাবরের ন্যায় আপনার উৎসাহদানমূলক মন্তব্যে পুলকিত হলাম । পোস্টটি ভালো লাগাতে সঙ্গে লাইক ও এতগুলো প্লাসে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে । আপনি আবার বিব্রতবোধ করবেন না, প্লিজ!

আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল আমার অন্তরের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

২৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

নজসু বলেছেন:



মন্তব্য পড়ছি আর পরের অংশের অপেক্ষা করছি।

আপনার মতো প্রিয় লতিফ ভাইও আমার হৃদয়ে গেথে আছেন যে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই ,

আবার আপনাকে কমেন্টে পেয়ে আনন্দ পেলাম।হা হা হা যে মন্তব্য করেছেন তাকে তো যখন তখন যা তাই উত্তর দেওয়া যাবে না । ভাবতে হচ্ছে, গতকাল সময় নিয়ে অর্ধেক দিয়েছি ; আজ আবার সময় নিয়ে বাকি অর্ধেক শেষ করবো।
আর লতিফ ভাই আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন কবি। ওনার সর্বশেষ কবিতায় আমি বিমোহিত হয়েছি। বহুদিন এরকম সুন্দর কবিতা পড়িনি। এমন কবিকে হৃদয়ের অন্তস্থলে রাখতে পেরে আমিও ধন্য । পরের প্রতিমন্তব্যে আবার আবার আসছি....

৩০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

নজসু বলেছেন:
দেশের তরে যুদ্ধ করে দিল যারা প্রাণ
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে গাই তাদেরই গান।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মরণ করি;
বাংলা মায়ের বীর সেনাদের নাম ।
এসো সকলে হাত মেলাই ;
নিবেদিত হই দেশঅন্তপ্রাণ।।

৩১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা আমি সেদিন ই পড়েছিলাম, কিন্তু গুছিয়ে মন্তব্য করার সময় ছিল না। অনুভূতি প্রকাশে ভাষার সীমাবদ্ধতা কিভাবে জয় করা যায়; সে আপনার লেখা পড়লে বোঝা যায়। সুক্ষথেকে সূক্ষ্মতর সব উঠে এসছে। মায়ের সারল্য দরদ মমতা, সাধারণ দরিদ্র ফেরিওয়ালার আদর্শ। মধ্যবিত্ত পরিবারের বিপদের সময়ের মানসিকতা। অনেক সুন্দর ভাবে উঠে এসছে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি ,

আপনাকে আবার কমেন্টে পেয়ে খুশি হলাম।হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন অনেক সময় পোস্ট পড়লেও গুছিয়ে মন্তব্য করার মত সময় হয়ে ওঠে না। আর তাড়াহুড়া করলে কমেন্টে অনেক ভুল থেকে যায়।

আপনার কাছে পোস্টটি ভালো লাগাতে, অনুভূতি প্রকাশে ভাষার সীমাবদ্ধতা জয় করা, সুক্ষ থেকে সুক্ষতর বিষয়গুলি আপনার চোখে ধরা পড়াতে পুলকিত হলাম। মায়ের সারল্যতা, ফেরিওয়ালার আদর্শতা,ও মধ্যবিত্ত পরিবারের বিপদের সময়ের মানসিকতার মত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়গুলি আপনার অন্তরদৃষ্টিতে ধরা পড়ায় বিমোহিত হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।


বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।




৩২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

রাকু হাসান বলেছেন:


ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া বস্তাটা আজ গেল । এখন দেখি স্কুলে শেফালী ম্যাডামের কাহিনী কোন দিকে যায় । মরিচিকা এখনও শুরু হয় নি মনে হচ্ছে । ।মাঝে মনে হয় আছি । উপন্যাস বলতে বেশি স্বাচ্ছত্যবোধ করবো এখন । ছোট গল্প থেকে বড় গল্পের ঢাল পালা ছাড়িয়ে উপন্যাসের দিকেই মোড় নিচ্ছে । যা বুঝলাম । ব্লগার প্রান্ত ভাইয়া অভিনন্দন

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু ,

গত কয়েকদিন বোধহয় ভীষণ ব্যস্ত ছিলে ; যে কারণে ব্লগে তোমার কোন কমেন্ট আমার চোখে পড়েনি। সেদিন পোস্টটি তুলে নেওয়াতে আমি খুব হতাশ হয়েছি । আমার মাথায় আসছিল না , কোন যুক্তিতে তুমি ওই পোস্টটি তুলে নিলে। বেশ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলে । আর হ্যাঁ যদি কন্সট্রাকশনের সমস্যা বলে তোমার নিজের ধারণা হয় সেক্ষেত্রে আরো কিছু সংশোধনী এনে পোস্টটিকে রেখে দেওয়াই যেত। তার পর থেকে তোমাকে আমি আর পাইনি। কিন্তু আজ এসে দেখলাম তোমার কমেন্ট। নিজের মনোভাবটা যে কারণে ব্যক্ত করলাম এখানে।

এবার আসি পোস্ট প্রসঙ্গে, ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া বস্তাটা আজ গেল ; হা হা হা ,এ বস্তা যে কখনো যাওয়ার নয়। বস্তার ভিতরে মেটেরিয়ালস গুলোই চেঞ্জ হয় মাত্র। কিন্তু বস্তা বোঝাই হয়ে ঘাড়েই থেকে যায়। এ বোঝাই বড়ই অদ্ভুত - কখনো সে বড়ই তৃপ্তির কারণ হয় ,আবার কখনোবা সে জীবনকে দুর্বিষহ করেও তোলে।

শেফালী ম্যাডামের কথা জানতে গেলে তোমাকে আরো একটু অপেক্ষা করতে হবে।
আর উপন্যাস ! ওরে বাবারে ! ওসব বড় বড় ভারি ভারি কথা বললে ব্লগ ছেড়ে পালাতে হবে যে ; হা হা হা ।
আর প্রান্তকে অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ । আশা করি প্রান্ত সম্মানের সঙ্গে তোমার অভিনন্দন গ্রহণ করবে।

বিমুগ্ধ ভালবাসা ও শুভকামনা আমার ছোট্ট ভাইটিকে।



৩৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

রাকু হাসান বলেছেন:

কারণ শব্দটি অনেকেই কারন লিখে । আমি যতটুকু জানি কারণ হবে । তুমিও লিখলে । কোনটা সঠিক হবে ,দ্বিধা দূর করে দাও । আছ কেমন সব মিলিয়ে ?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু ,

তোমাকে আবার কমেন্টে পেয়ে পুলকিত হলাম। কারণ নিয়ে আমরা 100% ক্ষেত্রে ভুলি করি । আসলে একটা ভুল যদি দীর্ঘদিন ধরে করা হয় তখন সেটি ঠিক হয়ে দাঁড়ায় আর যে ঠিক সেটা জানাও অলীক পরিণত হয়। আমি কথা দিচ্ছি ; তুমি আজ এটি ধরিয়ে দেওয়ার পরে আমি এখন' কারণ' এর কারণই লিখব।

আর কারন মানে তো তুমি জানো , বিপিন বাবুর কারন সুধা..... হা হা হা । কাজেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আমি নয় ; তুমিই আজ দূর করলে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে ও এমন মনের দ্বিধা দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে আমার ছোট্ট ভাইটিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা ছোট্ট ভাইটিকে।


৩৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
আপনার লেখাটা আমি আগেই পড়েছি। একটা জিনিস চেক করব বলে মন্তব্য করিনি। এটার জন্য আপনার লাস্ট কয়েকটা পর্ব ভালো করে দেখে আসতেই বেশ দেরী হয়ে গেল।

দাদা, আপনি লেখার মাঝে দৃশ্য/স্থান/প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আলাদা করে এক, দুই, তিন প্যারা করে দিলে মনে হয় ভালো হতো। এই লেখাটার মাঝে বেশ কয়েক জায়গায় দৃশ্য/স্থান/প্রেক্ষাপট চেন্জ হয়েছে। বেশ কয়েক লাইন পড়ার পর মনে হচ্ছে আরেক ঘটনা। যেহেতু এটাই কুহেলিকা - শেষ পর্ব, নতুন পর্ব লেখার সময় এটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। সবাই হালকার উপরে পড়ে গেছে, অবশ্যই এটা চোখে পড়ার কথা ছিল। দৃশ্য থেকে দৃশ্য পরিবর্তন বেশ কয়েক জায়গায় সাবলীল হয় নি। কথোপকথন গুলি মনে হয় তাড়াহুড়ার জন্য ভালো করে চেক করে পোষ্ট দেন নি। একটা লাইন তো -যে দিয়ে শুরু করে দিয়েছেন। ৮ নাম্বার লাইনে। বানান আমি কেয়ার করি না। ওটা এমনিতেই আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে.........

অপরিচিত শব্দগুলির নীচে ব্যাখ্যা করে দিলে মনে হয় ভালো হতো। মদন আর বাউটি কি বুঝায় আপনাদের ওখানে, বলে দিলে ভালো হতো। মদন আমাদের এখানে একেবারেই অন্য অর্থে ব্যবহার করে..........। ;)

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভ কামনা রইল!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা প্রিয় নীল আকাশভাই,

যাদেরকে পোস্টে না পেলে আমার অন্তরটি খালি খালি লাগে , আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। যে কারণে অবশেষে আপনার দেখা পেয়ে আমার মনটা ভরে উঠলো ; পরিপূর্ণতা পেল পোস্টটিও । এমন সুন্দর একটি মায়াবী কমেন্ট যে কোনো পোষ্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে বাধ্য। সুন্দর কমেন্টের সঙ্গে পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম, কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

" দাদা আপনি লেখার মাঝে দৃশ্য/ স্থান /প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে আলাদা করে এক, দুই, তিন প্যারা করে দিলে মনে হয় ভাল হত। "
সুন্দর সাজেশনের জন্য অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। এ প্রসঙ্গে আমার মত , একেকজন লেখক নিজেদের বক্তব্যকে বা উপস্থাপনকে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ,সেভাবে তুলে ধরেন। যেমন-
১, যোগাযোগে রবীন্দ্রনাথ : 177 পাতাতে বলছেন -
" মিটিংয়ে এইবার মধুসূদনের প্রথম হার . .
মিটিং সংক্রান্ত আরও দুই-তিনটি প্যারাতে ঘটনা বর্ণনা করছেন।
মধুসূদন বাড়ি ফিরে এলো। নিজের ভাগ্যের প্রতি মধুসূদনের অন্ধ বিশ্বাস জন্মে গিয়েছিল, আজ তার ভয় লাগলো যে ,জীবন যাত্রার গাড়িটাকে অদৃষ্ট এক পর্যায়ের লাইন থেকে আর এক পর্যায়ে লাইনে চালান করে দিচ্ছে বা।।
ঠিক তার পরেই নবীন এসে খবর দিল বিপ্রদাস এর বাড়ি থেকে লোক এসেছে দেখা করতে। এখানে কিন্তু কবিগুরু কোন রকম আলাদা নোট দেন নি।
২-তিন পুরুষ : সমরেশ বসু - একদম প্রথমে,
টেলিফোন বেজে চলেছে। সেটা নিয়েই বেশ কয়েকটি প্যারাতে কথোপকথন। হঠাৎ করেই সুদীপের সাম্যবাদ শ্রেণি সংগ্রাম বিপ্লব তত্ত্ব পাঠকের একটু বুঝতে অসুবিধা হয়তো একটু হয় । যদিও লেখক জেনারেশন চেঞ্জ এর সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গির বদল - বিষয়টিকে নিয়ে " তিন পুরুষ " সম্পন্ন করেছেন।
৩- রুদালি :মহাশ্বেতা দেবী-
গোটা উপন্যাসে লেখিকা কোনরকম পর্ব বিভাজনতো করেননি। উল্টে যখন তখন স্থান কাল পট পরিবর্তন করেছেন।

এমন কি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কিংবা মেমসাহেবে নিমাই ভট্টাচার্যের মতো প্রথিতযশা লেখকদেরও এরকম যখন তখন পট পরিবর্তন করতে বিভিন্ন জায়গায় পেয়েছি। কাজেই স্থান কাল পরিবর্তনটি লেখক এর সম্পূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ এর উপর নির্ভর করে বলে আমার বিশ্বাস। আর পাঠকের বৌদ্ধিক লেভেল সম্পর্কে আমি উচ্চাশা পোষণ করি, যে কারণে এরকম চিহ্নিতকরণের আমি বিরোধী।

পোস্টের কথোপকথন গুলি কয়েকটি জায়গায় আপনার দৃষ্টিতে সাবলীল হয়নি ; ঠিকই ধরেছেন । ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য হয়তো বা হতে পারে , তবে আমার চোখে সেরকম কিছু ধরা পড়েনি, আপনি যদি বিষয়টা একটু পরিষ্কার করে দিতেন তাহলে বুঝতে সুবিধা হতো।

-যে দিয়ে শুরু করাটা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ওটা পরে ঠিক করে দিচ্ছি।

আঞ্চলিকতার কারণে এক একটি শব্দ এক একটি স্থানে অপরিচিত হতেই পারে ; সে ক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে পাঠক জিজ্ঞাসা লে প্রতিমন্তব্যে উত্তর পাবে বলে আমার ধারণা। যেমনটি ইতিপূর্বে করেছি । আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ।


বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।




৩৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: দাদা, ঐ সব ক্ষেত্রে লেখকের কিন্তু পাঠক এক বৈঠকে পুরো গল্প বা লেখাটা বা বইটা পড়ার সুযোগ পায়। আর আপনি দিচ্ছেন ধারাবাহিক ভাবে বিরতি দিয়ে। একটানা পড়লে অবশ্যই মাথায় থাকে প্লটটা, কিন্তু এইভাবে বিরতি দিলে কি থাকবে? আমি নিজেই জানতে বা শিখতে চাই!

আপনি যাদের কথা বল্লেন তারা কেউ ব্লগে এই ভাবে লেখেন নি। ব্লগে লেখা পড়ার সময় খুব কম থাকে। সবাই ব্যস্ত। অসম্ভব দুর্দান্ত কোন লেখা না হলে, কিছু মিস করলে স্কীপ করে চলে যায় বেশির ভাগ ব্লগার। আপনিই বলেন কয়জন ব্লগার ভূল নিয়ে মন্তব্য করেছে? সাধে কি আপনাকে আমি ডেকে নিয়ে যাই মাঝে মাঝে ভূল ধরার জন্য?
আমি আপনার সাথে এই টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি কারন এই সমস্যাটা নিয়ে ব্লগের খুব ভালো একজন লেখক আমাকে এই সাজেশন দিয়েছেন। এটা দেয়ার পর হাতে নাতে এর ফল আমি পেয়েছি।

এ প্রসঙ্গে আমার মত, একেকজন লেখক নিজেদের বক্তব্যকে বা উপস্থাপনকে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, সেভাবে তুলে ধরেন। - আমি কোন ভাবেই আপনার সাথে দুই মত করছি না। আমি আপনাকে এটা নিয়ে চিন্তা করতে বলছি। ভাবতে বলেছি। আমিও ব্লগের লেখায় এটার ইউজ ভাল না খারাপ জানতে চাচ্ছি!

শুভ রাত্রী এবং শুভ কামনা রইল!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই,

আপনাকে এভাবে পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি হলাম। তাৎক্ষণিক মত বিনিময়ের জন্য এইজন্য ব্লগ শ্রেষ্ঠ মঞ্চ। আপনি শুরুতে একটা দারুণ বিষয় তুলে ধরেছেন। প্রথিতযশা লেখকদের গল্প উপন্যাস পাঠক সময় মত একই স্থানে বসে পড়া শেষ করতে পারে বা ইচ্ছে খুশি করতে পারে। ব্লগের ক্ষেত্রে আমারা ছোট ছোট পর্ব আকারে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট দিই। এর ফলে পাঠকের মন থেকে প্লট চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।এ কারণে এখানে আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত এর যে ব্লগের পোস্ট এ এরকম সিরিয়াল করে দেওয়াটা বেশ সুবিধার।। সাথে সাথে একটু জানাই যে মরীচিকার পর্ব গুলোকে নিয়ে আমার একটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাসের লক্ষ আছে। যে কারণে ব্লগের পোষ্টগুলোকে উপন্যাসের আদলে রূপদানের চেষ্টা করেছি। পর্বের মধ্যে ছোট ছোট অনুচ্ছেদ আকারে দিলে আমার একটু হিজিবিজি লাগে। যদিও সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কপালকুণ্ডলাতে ঠিক এরকমটি করেছেন।

আর ব্লগের যে সম্মানীয় গুনি জনের কাছ থেকে আপনি পরামর্শ নিয়েছেন আমিও ওনার পরামর্শটি মাথায় করে নিলাম । তবে যখন কোন ছোট গল্প লিখব অবশ্যই এই নিয়মটি ফলো করবো। আর আপনার সঙ্গে আমার এমন সব আলোচনার জন্য আলাদা ভালো লাগা বা আলাদা মিথস্ক্রিয়া হতেই পারে। ব্লগে আপনার কাছেই আমি এমন খোলামেলা আলোচনার দাবি করতেই পারি ; এটি আমার আবদার। আপনার এমন বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্য আমি নিরন্তর অপেক্ষায় থাকবো ......

আপনার শুভকামনা গ্রহন করলাম। আমাদের দুই ভাইপোর জন্য আমার প্রাণভরা ভালবাসা ও আপনার গোটা পরিবারবর্গের প্রতি আমার অনিঃশেষ শুভেচ্ছা রইল।



৩৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন:




দাদা কেমন আছেন?
অনেক পর্ব মিস করে ফেলেছি,
সবগুলো পড়তে হবে কিন্তু বর্তমান সময় খুব ব্যাস্ততায় যাচ্ছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শাহিন ভাই ,

অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো । আমিও উপরওয়ালার দয়ায় ভাল আছি। আশাকরি এখন ব্যস্ত তার কিছুটা অবসান ঘটেছে ; ব্লগে আবার নিয়মিত হবেন।

অনেকগুলি না পর্ব মিস করে ফেলেছেন , যদি সময় পান তাহলে পড়ার অনুরোধ রইল। আপনার ব্যস্ততা অবসান ঘটুক সঙ্গে শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৩৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জীবনকে চালনা করতে প্রতিনিয়ত কত না সংগ্রাম করতে হয় আমাদের।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় দাদা,

সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে যে জীবনকে চালনা করতে প্রতিনিয়ত কত না সংগ্রাম করতে হয় আমাদের । পোষ্টটির পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
লাইক দেওয়াতে অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

শুভকামনা ও ভালবাসা প্রিয় দাদাকে।


৩৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক সুন্দর

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য ; সু স্বাগতম আপনাকে ।

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ। দেখলাম আপনি ব্লগে নুতন। যদি সময় পান তাহলে মরিচিকার ইতিপূর্বে প্রকাশিত অন্য পর্বগুলোও পড়ার অনুরোধ রইল।

শুভকামনা ও ভালবাসা জানবেন।




৩৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক খেয়াল করেছেন দেখছি..।এই অধমকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা ! অধম বলে নিজে কৌলিন্য একটা বলেন বৈকি। আমি অবশ্য নিজের সম্পর্কে উচ্চাশা পোষণ করি এবং অন্যকেও উচ্চ আসনে দেখতে পছন্দ করি। তবে সে যাই হোক, আপনি যখন নিজের সম্পর্কে বিশেষণটি নিয়েই ফেলেছেন; সে ক্ষেত্রে এই উত্তমের কিন্তু আপনার সঙ্গে মিশতে কোন অসুবিধা নেই । কারণ কথাই বলেনা , ' উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে......" হা হা হা


শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

৪০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

ঢাবিয়ান বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল লেখাটা পড়ে।

খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন মা ছেলের অনুভুতিগুলো।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত হলেও আপনি যে এসেছেন , এটাই আমার কাছে পরম সৌভাগ্যের বিষয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাইকে। আপনার সুন্দর আবেগ - অনুভূতির মন্তব্যটিতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


৪১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি,
মরীচিকা কবে পাবো?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট্ট ভাইটি,

মরিচিকার একটি ছোট্ট পর্ব এই মুহূর্তে প্রকাশ করেছি । সংগত কারণেই আজকের পর্বটি একটু ছোট করতে হলো।

নতুন পর্বে দেখা হবে । শুভ রাত্রি।

৪২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৬

প্রামানিক বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম। মনে হলো বাস্তবেই যেন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। ধন্যবাদ চমৎকার লেখার জন্য।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রামানিক ভাই,

আপনার সুন্দর স্বতঃস্ফূর্ত আবেগধর্মী মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।এই মুহূর্তে মরীচিকার পরবর্তী পর্ব প্রকাশ করেছি। আগামীতেও আপনার এমন মন্তব্যে অপেক্ষায় থাকবো।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

৪৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একেবারে ঝিম ধরানো বাস্তবতার কষাঘাতে জর্জরিত করলেন এ পর্বে!

সত্যিই মধ্যবিত্তের জীবনে বড় অসুখ যে কি কঠিন পর্ব বোঝানোর সাধ্যাতীত!
সে কাজটাই কি সাবলীলতায় করলেন।
হ্যাটস অফ ভায়া :)

+++++++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,

" একেবারে ঝিম ধরানো বাস্তবতার কষাঘাতে জর্জরিত করলেন এ পর্বে! " আপনি কবি মানুষ । এমন সুন্দর কাব্যের ঝলকানিতে বারে বারে আমাদের প্রলুব্ধ করেন। আর এ কারণেই আপনাদের পথ পানে চেয়ে থাকি এক টুকরো কাব্যিক ঝলকানির আশায়।

পোস্টে " মধ্যবিত্ত জীবনের বড় অসুখ যে কি কঠিন পর্ব বোঝানোর সাধ্যাতীত! " বাস্তবে সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে । এ রূপ নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে বড় অসুখ যে কতো ভয়ানক সে কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন । কিন্তু আমি নোট করব আপনার উদ্ধৃত অংশটিকে। একটা খুব সাধারণ বিষয়! অথচ আপনার বলার ভঙ্গিমায় সেটা কতই না অসাধারণ শুনতে লাগলো।

আপনার হ্যাটস অফ ! আমার পাথেয় , আমার সম্পদ, মাথায় তুলে নিলাম। সঙ্গে এমন ইমো ,এতগুলো প্লাস ও পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ; অনন্ত কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা শ্রদ্ধেয় কবিভাইকে।


৪৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

তুহিন নাজমুল বলেছেন: মন ছুয়ে যাওয়া লেখনি। একই সাথে প্রিয়জন হারানোর ভীতি এবং চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটানোর দুশ্চিন্তা সাথে প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধ।
ভাল লাগল অনেক।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তুহিনভাই,

আপনার হৃদয় স্পর্শ কমেন্টে মুগ্ধ হলাম। মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখনি প্রিয়জন হারানোর ভীতি চিকিৎসায় চিকিৎসার ব্যয়ভার ও জীবন যুদ্ধ প্রভৃতি শব্দগুলি অন্তরে ঘা দিয়ে গেল।
অন্যান্য পর্বগুলোও সময় পেলে পড়ার অনুরোধ রইল।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


৪৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০১

জুন বলেছেন: এ পর্বটি আমি আগেই পড়েছি তবুও এবার পড়তে বসে আমাদের মত সাধালন পরিবারের অসাহায়ত্বের কথা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন । মন ছুয়ে গেল লেখায় । এ পর্বে আইসিইউতে ভর্তি শুনে আমাদের হাসপাতালের কথা ভাবছি ।
+

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,

পর্বটি আগে পড়লেও দ্বিতীয়বার পড়ে যেভাবে আপনি মনের অনুভূতি প্রকাশ করলেন তাতে আমি আপ্লুত। লেখনীতে আপনার মন ছুয়ে গেছে ও আইসিইউতে ভর্তি শুনে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের আবেগ অনুভূতির কথা মনে পড়াতে খুশি হলাম। আমরা যেখানেই থাকি, স্মৃতিপটে এমন কিছু লেখা থাকে যা অক্ষয় হয়ে রয়ে যায় পরে তা আমাদেরকে স্মৃতিমেদুর করে তোলে।
পোস্টে লাইক ও প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।

৪৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মা ও ছেলের দুশ্চিন্তাময় দুঃসময়ের বর্ণনাটা খুবই হৃদয়স্পর্শী হয়েছে। বিশেষ করে মায়ের 'বাউটি' বিক্রয়ের কথা পড়ে চোখদুটো যেন ঝাপসা হয়ে এলো!
মায়ের অনুভূতি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, তাঁর তুলনা হয় না - মাহের ইসলাম এর এ মন্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত। যেমন একমত করুণাধারা এর ২৬ নং মন্তব্যের এ কথাগুলোর সাথেঃ "ছোট ছোট বাক্য দিয়ে মায়ের মন, বক্তার মনের টানাপোড়ন- সমস্ত কিছু খুবই সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন"। আমার মনের কথাগুলোই ওনারা সুন্দর করে বলে গেছেন।
নজসু এর ১০ নং মন্তব্যটি খুবই ভাল লেগেছে। ভাল লেগেছে নীলপরি এর ছোট্ট মন্তব্যটাও এবং মনিরা সুলতানা এর সুবিবেচিত কথাগুলোও।
পোস্টে ২১তম ভাল লাগার চিহ্ন রেখে গেলাম। + +

০৯ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেপপেক্টেড স্যার,

অনেক দিন পরে আপনার কমেন্ট পেলাম। আশাকরি কুশলে আছেন এবং আপনার অস্ট্রেলিয়ার দিনগুলো ভালোই কাটছে। পুরানো পোস্ট বিষয়টি ঠিক মনে নেই। তবে আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য পড়ে আপ্লুত হলাম। সঙ্গে কমেন্টগুলোও মন দিয়ে পড়েছেন দেখে পুলকিত হলাম। বরাবরই মতোই আপনি ব্যতিক্রমী ধর্মী ব্লগার। আপনার কমেন্ট, শব্দ চয়ন সবই আমাদের অনুপ্রেরণার। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
পোস্টে ২১তম লাইক প্রদানে অনুপ্রেরণা বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা নিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.