নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
।
প্রেসিডেন্ট সাহেব অত্যন্ত ভদ্রলোক। তিনি আমাকে নিরাশ করেনি। বাবার খবরে উনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে যথাসম্ভব সাহায্যও করলেন। উনি আমার নিকট শেফালী ম্যাডামের বাবার খবরও জানতে চাইলেন। আমি যেটুকু জানি বলাতে নিজে থেকেই বললেন,
-দেখি ,আজ একবার ফোন করে ম্যাডামের বাবার খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করব ।
- হ্যাঁ স্যার, যদি সময় পান তাহলে একবার খোঁজ নেওয়াটা দরকার। আমি অবশ্য আমার বাবাকে নিয়ে এতই ব্যস্ত ছিলাম যে ওদিকে আর খোঁজ নেওয়ার সুযোগ পায় নি।
- হ্যাঁ ঠিকই ! আপনার নিজের বাবা যেখানে অসুস্থ আপনি আর খবর নেবেনই বা কি করে !
চলে আসার সময় উনি আবার বললেন,
- চৌধুরী বাবু ! আপনার বাবার চিকিৎসার জন্য যে টাকা দিয়েছি, এটা কাউকে বলবেন না। প্রত্যেক মাসে আপনি যেমন বেতন পান নেবেন ; আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যতটা বেশি সম্ভব পরিশোধ করার চেষ্টা করবেন। বিদ্যালয় চালাতে গেলে আমাদেরকে মানবিক হতে হয় ঠিকই, তবে জানাজানি হয়ে গেলে প্রতিষ্ঠান চালানো সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে।
প্রতিউত্তরে মুখে কিছু না বলে আমি মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম এবং শরীরী ভাষাতে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রুমে ফিরে এলাম।
আমার হঠাৎ আগমন , মনমরা ভাব আবার পরের দিন বাড়ি ফিরব শুনে হোস্টেলের সবাই কৌতুহলি হলেও আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে নির্লীপ্ত থেকে পরদিন সকালে সরাসরি নার্সিংহোমে চলে আসি।
বাবা মোট সাত দিন নার্সিংহোমে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট সাহেব অভিজ্ঞ মানুষ ; টাকার অঙ্কটি আমাকে মুখে বলতে হয়নি। আনুমানিক খরচ হিসাব করে একটি বড় এমাউন্টের টাকা সেদিন উনি আমাকে দিয়েছিলেন। যে টাকাটা দিয়ে নার্সিংহোমের বিল মিটিয়ে,ঔষধ কিনেও আরো কিছু রয়ে গেছিল। বাবাকে ছুটি করিয়ে বাড়িতে নিয়ে পরের দিন বাড়িতে থেকে মা- বোনকে ঔষধ পত্র খাওয়ানোর যাবতীয় নিয়ম কানুন বুঝিয়ে আরো একদিন পরে আমি আবার স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই। সেদিন ট্রেনে যেতে যেতে ভাবছিলাম আরও দুটো দিন যদি বাবার পাশে থাকতাম , তাহলে খুব ভালো হতো । কিন্তু ইতিমধ্যে প্রায় এগারো দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে আমি স্কুল থেকে চলে এসেছি । এমতাবস্তায় আর অনুপস্থিত থাকাটা বিবেকে বাঁধলো । পাশাপাশি মুখের কথাতে যে মানুষটি এতগুলি টাকা দিয়ে দিলেন ; তার প্রতিষ্ঠানের সামান্যতম ক্ষতি না করার চিন্তা ও এক আনুগত্যবোধের অভিব্যক্তিতে সাড়া দিয়ে নিজেকে স্কুল মুখী করলাম।
স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম শেফালী মাডাম এখনো ফেরেননি । ওনার বাবার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য মনের মধ্যে একটি প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল । দু একজনকে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করেও তেমন কোন সদুত্তর পায়নি । এদিকে আমার বাড়িতেও যেহেতু বাবার শারীরিক অবস্থা খুব সুবিধার ছিল না । কাজেই সব মিলিয়ে প্রথম কয়েক দিন স্কুলের কোন কাজেই একেবারে মন বসাতে পারিনি । বারবার বাবার কথা মনে পড়তো ; আর নিজেকে খুব বিষন্ন লাগতো। সময় যেন কিছুতেই কাটতে চাইছিল না । চল্লিশ মিনিটের ক্লাস গুলিকে খুব দীর্ঘ মনে হতো । একেকটি দিনকেও কতই না বড় মনে হতো ।
উল্লেখ্য সাথে সাথে স্কুলের পুরানো কথা মনে করে মিলিদি বা রমেনদাকে একটু এড়িয়ে চলতাম। অন্য সময় সাধারণত দেখা হতো না বা সুযোগও তেমন ছিল না । খাওয়ার সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটাও কথা না বলার চেষ্টা করতাম। একদিন রমেনদা জিজ্ঞাসা করল,
- মাস্টারদা একটা কথা জিজ্ঞাসা করব?
-হ্যাঁ! নিশ্চয়ই। বলো কি জানতে চাও?
-সেদিন হঠাৎ করে চলে এলেন, কিছু বললেন না। আবার পরদিন সকালে চলে গেলেন। তার পরে ফিরে এসে তো আমাদের সঙ্গেও কথা বলছেন না । কি যে ব্যাপার আপনার আমারা তো কিছু বুঝতে পারছি না....
- তুমি ঠিকই ধরেছ। আসলে বাবার শরীর খারাপ দেখে চলে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে এসে নিজেকে এতটা হতাশ বা বিষন্ন লাগছিল যে কিছুতেই মন বসাতে পারছিলাম না । সারাক্ষণ বাবার কথা মনে পড়ছিল। রাতে স্থির করেছিলাম যে পরদিন সকালে বাড়ি ফিরে যাব। প্রেসিডেন্টসাহেবকে জানিয়ে তাই সেদিন চলে গেছিলাম।
-কি বলছেন ! আপনার বাবাও অসুস্থ ! কি হয়েছে উনার ?
-হ্যাঁ , ওনারও হার্ট অ্যাটাক হয়েছে ।
-এখন কেমন আছেন ?
-অবস্থার কিছুটা উন্নতি' হয়েছে । ওষুধ পত্র চলছে। খুব রেস্ট্রিকশনে থাকতে হবে। বাকিটা কপাল !
- ও ! এইজন্য আপনাকে গত কয়েকদিন ধরে খুব মনমরা মনমরা দেখছি !
আমি প্রতিউত্তরে মুখে কিছু না বলে আবার একটু শুকনো হাসি দিতেই ; রমেনদা বলে উঠলো,
- ঠিকই তো বাড়িতে কেউ অসুস্থ থাকলে বাইরের কাজে একদম মন বসেনা। আপনার মনের অবস্থা আমি ঠিক বুঝতে পারছি, মাস্টারদা!
রমেনদার সঙ্গে কথা বলতে বলতে মিলিদি টেবিলে ভাত রেখে জিজ্ঞাসা করল,
-আপনি সেই যে শেফালী ম্যাডামের সঙ্গে চলে গেলেন ; সেখান থেকেই কি ওনার সঙ্গে ছিলেন ?
-এ কেমন কথা হলো মিলিদি ?
-না না মাস্টারদা, খারাপ ভাবে নেবেন না প্লিজ ! আসলে আমি বলতে চেয়েছি সেই দিন থেকে হসপিটালে ছিলেন কিনা ।
- না আমি এতদিন ওখানে ছিলাম না । প্রথম দুদিন ছিলাম ঠিকই, কিন্তু একটি অসুবিধার জন্য সেই যে বাড়িতে চলে গেলাম , সেখান থেকেই পড়লাম আরেকটি বিপদে। এবার আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এরমধ্যে বাবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে হোস্টেলে এলেও মন বসেনি । যে কারণে পরেরদিন সকালে বাড়ি চলে যায়। এবার বাবা একটু সুস্থ হতেই কয়েকদিন আগে আবার চলে আসি ।
-আপনার বাবাও তাহলে অসুস্থ হলেন ? কি হয়েছিল ওনার?
- হ্যাঁ ! রমেনদার সঙ্গে সেটাই আলোচনা হচ্ছিল। আমার বাবারও হার্ট অ্যাটাক হয়েছে । তবে শেফালী ম্যাডামের বাবার মত অতটা সিরিয়াস নয়, এই যা ।
-এখন কেমন আছেন ?
-অনেকটা সুস্থ হয়েছেন । তবে ভীষণ রেস্ট্রিকশনে থাকতে হবে। আচ্ছা! মিলিদি তোমার সঙ্গে আমার কিছু কথা ছিল।
-আমার সঙ্গে ! কি কথা আছে বলতে পারেন ।
- প্রথম থেকেই দেখছি ,তুমি সবার সামনে ঘোমটা দাও না। কেবল আমাকে দেখলেই বড় করে ঘোমটা টানো । কিন্তু কেন ? কেন এমন করো ? অথবা সত্যি করে বলোতো তুমি কে ?
-আপনি আমাকে দেখতে চান ? তাহলে দেখুন আমাকে চিনতে পারেন কিনা ।
বলেই সামনের ঘোমটা সরাতেই আমি চমকে উঠলাম !!
-অ্যা অ্যা অ্যা... ! মিতালী দি ! তুমি তো সেই মিতালী দি না..
-এইতো ! তাহলে চিনতে পেরেছেন দেখছি।
- হ্যাঁ ! চিনতে তো ঠিক পেরেছি ; কিন্তু মিতালী থেকে মিলি নাম নেওয়ার কারন কি ?
- সে অনেক কথা ...
চলবে...
বিশেষ দ্রষ্টব্য : ১- আজকের পর্বটি বিশিষ্ট কবি ও লেখক আমার প্রিয় বন্ধু লতিফভাইকে উৎসর্গ করলাম।
২-দশম ব্লগ দিবসে সকলকে অগ্রিম শুভেচ্ছা ভালোবাসা ও অভিনন্দন রইল।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা এতো রাতে আপনাকে পেয়ে আমি যে শুধু চা খাওয়াতে পারব না । সঙ্গে একটু খানাপিনাও করে যেতে হবে যে। দাঁড়ান আগে একটু ঘুমানোর ব্যবস্থা করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট সঙ্গে লাঞ্চ করিয়ে তারপর আপনাকে ছাড়বো । হা হা হা।
ব্লগডের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন ।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম, পরের পর্বের আশায় রইলাম।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় প্রামানিকভাই ,
অতো রাতেও পোস্টটি যে মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন , এজন্য আপ্লুত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৮
ল বলেছেন: প্রথম লাইক টা আমার ---------------------পর্ব এত ছোট কেন?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফভাই,
পর্বটি ছোট কারণ মিতালী যেভাবে মিলিদি হল, সেই বৃত্তান্তটি শুরু করলে আর থামা যেত না । এজন্য একটুখানি সাসপেন্স রেখে পর্বটি শেষ করতে বাধ্য হলাম।
আসছি আপনার পরের কমেন্টে.....
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০০
ল বলেছেন: লাইন বাই লাইন পড়তে পড়তে একবার শেষ করার পর আবারো বাক্যের প্রয়োগ, ভাষার সংমিশ্রণ এগুলো দেখতে দেখতে
যখনি চোখ পড়লো বিশেষ ---- আহ
চোখে নোনা জল টলমল হয়ে এলো -
এমনিতেই আবেগী মানুষ আমি -
তারপর;এমন আবেদন মাতোয়ারা মনকে দাঁড় করিয়ে দিলো!!!
কোন রহস্য মানবীর মিতালী থেকে মিলিতে রুপান্তরের মতো -
অবাক হলাম এত কঠিন ভালোবাসার শব্দে,
প্রিয় বন্ধু --
আপনি আমার কাছে প্রিয় গল্পেরপ্রসিডেন্ট সাহেবের মতো উদার,সদায়
যে নীরবে ভালোবাসার ঝুলি দেয় সবাইকে অকাতরে বিলিয়ে সহসাই ।
এমন মানুষ পৃথিবীতে আছে বলেই এখনো চন্দ্র আলো দেয় হামেশাই ।
এখনো তুমি আমি ভালোবাসি অনিঃশেষ-----
ভালোবাসা অহর্নিশ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফভাই ,
আপনাকে আবার কমেন্টে পেয়ে আপ্লুত হলাম। সাথে সাথে আজকের পোস্টটি যেহেতু আপনাকে উৎসর্গ করা , কাজেই প্রথম দিকে পাওয়ার মজাই আলাদা। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
লাইন বাই লাইন পড়তে পড়তে এক্কেবারে শেষে আপনার নামটি পেয়ে আপনি যেভাবে অনুভূতি ব্যক্ত করলেন জেনে মুগ্ধ হলাম।
" চোখে নোনা জল টলমল হয়ে এলো-
এমনিতেই আবেগী মানুষ আমি-
তারপর ; এমন আবেদন মাতোয়ারা মন কে দাঁড় করিয়ে দিল!!!
কোন রহস্য মানবীর মিতালী থেকে মিলিতে রুপান্তরের মত- "
আহা! কাব্য কথায় এমন অনুভূতি! আমাকে যে মাতোয়ারা করে তুলল।
মন্তব্যের পরের অংশের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই সামুকে আমাদেরকে এমন মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। পোস্টটি লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য প্রিয় কবিভাইকে আবারো কৃতজ্ঞতা জানাই।
আপনার অহর্নিশ ভালবাসার পরশে আমি উদ্বেলিত ; শুভকামনা নিরন্তর ।
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০০
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি,,
মন্তব্য করার পরও যখন কোন অনেক সময় কোন উত্তর পাইনি আবার দীর্ঘ সময় অনলাইনে দেখছি কিন্তু কোন সাম্প্রতিক মন্তব্য নেই তখনই আমার সন্দেহ হয়েছে।
একটি দীর্ঘ পোস্ট পড়ছিলাম, পড়তে পড়তে আবার চার্জ শেষ। তাই মরীচিকা দেখতে পাইনি। বিছানায় শুয়ে ব্লগে এসে দেখি মরীচিকা আর লোভ শামলাতে পারলাম। দিন পর্যন্ত অপেক্ষা সম্ভব না।
এবারের লেখাটা কেমন যেন বিষন্ন মনে হল। শেষের চমকটায় সব অমানিশা কেটে গেল। মিতালির রহস্যের উদঘাটন একটু শীঘ্রই চাই।
পরের পর্বেের জন্য অনেক শুভ কামনা।
(ল) বড় ভাইকে অভিনন্দন।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের ছোট ভাইটি,
হ্যাঁ গতকাল পোস্ট করার পর তোমার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছি। আসলে কালকে ঠিক করে রেখেছিলাম যে যে করে হোক পোস্টটি কমপ্লিট করব। আর সেটা করতে গিয়ে অনেক রাত হয়ে গেছিল । যে কারণে নোটিফিকেশনের দিকে আর সময় দিতে পারিনি। হা হা হা , তোমার সন্দেহ হয়েছিল যে ভাইয়া কিছু একটা করছে । অবশেষে পোস্ট পেয়ে তুমি নিশ্চিত হলে।
আহা দীর্ঘ পোস্ট পড়ে, ব্যাটারির চার্জ শেষ হওয়ার পরও রাত তিনটে পর্যন্ত ভাইটি আমার জেগে জেগে ভাইয়ার পোস্ট পড়ে কমেন্ট করে তবেই শান্তি পেল এবং অবশেষে ঘুমও এল । আহা ! এমন কথা শোনার পরে আমি আর গভীর রাতে কোন পোস্ট দেব না। পরবর্তী পোস্টগুলো দিনের বেলায় দেব যাতে ভাইটির আমার ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে।
হ্যাঁ ! এবারের পর্বটি একটু বিষণ্ণ লাগার কারণ পোস্টে মিতালী থেকে মিলি হওয়ার পিছনে একটা ঘটনা আছে, যেটা যথেষ্ট বড় । ওই সাসপেন্সটা রাখার জন্য পর্বটি ছোট করে জাস্ট উল্লেখ করেই শেষ করতে বাধ্য হলাম।
পরের পর্বেও সঙ্গে থাকার জন্য এবং পোস্টটিকে লাইক করার জন্য আমার ছোট্ট ভাইটিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালবাসা ও অনিঃশেষ শুভকামনা প্রিয় ছোট্ট ভাইটিকে ।
৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৮
নজসু বলেছেন:
শুভ বাংলাদেশি সকাল।
এখানকার সময়ে রাত ১২.৩৭ মিনিটে পোষ্ট।
আপনার ওখানে তখন রাত ১২.০৭ মিনিট।
আপনি কি নিয়মিত রাত জাগেন?
তাহলে তো ভালো কথা নয়।
সময় সুযোগ মতো দেখা হবে, কথা হবে।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,
হা হা হা বাংলাদেশ টাইম 12 টা 37 মিনিট, ভারতীয় টাইম 12:07 মিনিট। জীবনটা এরকম হয়ে গেছে আরকি। শিক্ষা জীবনে পড়াশোনার জন্য কখনো রাত জাগতে পারে নি। কর্মজীবনেও যে পারি তা নয় । তবে এখন বাচ্চাকে পড়াশোনা করিয়ে, ঘুম পাড়িয়ে লগ ইন করতে গেলে রাত না জেগে উপায় থাকে না। এখানে আরও একটা সমস্যা আছে হোম মিনিস্ট্রির প্রবল আপত্তি থাকে। তবে সপ্তাহে একদিন রাত জাগি বলে ফোঁস ফোঁস করলেও তেমন কিছু আর বলে না। আর নিয়মিত রাত জাগলে , পরের দিন বাসে বা অটোতে আমাকে ঘুমিয়েই কাটাতে হবে। সেটা আর এক বিরম্বনা। আশা করি আমার রাত জাগার বিষয়টি প্রিয় ভাইকে পরিষ্কার করতে পেরেছি ।
পোস্টটিকে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনিঃশেষ শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালবাসা প্রিয় নজসুভাইকে।
৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৯
নজসু বলেছেন:
প্রিয় লতিফ ভাইকে অভিনন্দন।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুগ্ধ হলাম প্রিয় নজসুভাইকে আবার কমেন্টে এসে আজকের উৎসর্গ প্রিয় লতিফভাইকে অভিনন্দন জানানোর জন্য। আশা করব অভিনন্দন যথাস্থানে পৌঁছে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে ।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা।
ভাষা সহজ সরল।
প্রতিটা চরিত্র কে পরিচিত মনে হয়।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটভাই,
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। লেখা সুন্দর ও সহজ এবং প্রতিটি চরিত্র পরিচিত মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই ।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ভালোবাসা রইলো।
৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১০
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: মিতালী দি !!!!!
সাসপেন্স ???আরেকটু বেশি লিখতেন ...
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পবিত্রভাই,
আশা করি ভালো আছেন। হ্যাঁ মিতালীদি সাসপেন্স বৈকি!!! তবে মূল ঘটনায় ঢুকলে পর্ব বিভাজনে একটু সমস্যা হতো। যে কারণে আজকের পর্বটি ছোট করতে বাধ্য হলাম। আপনিও বহুদিন পোস্ট দিচ্ছেন না। আপনার প্রবাস জীবন সম্পর্কেও আমাদেরকে দু চার কথা জানান।
ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় পবিত্রভাইকে।
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরুজি,
আপনার প্রতিটি পর্ব এক-একটি চমৎকার গল্পের দাবী রাখে। প্রতিটি পর্বে একটি পরিপূর্ণ ম্যাসেজ থাকে। থাকে বাঙালির চিরায়ত জীবন আর টুইস্ট। অনেকদিন পর মিলিদির ঘোমটা রহস্য উম্মুচিত হয়েও হয়নি! নেক্সট পর্বে হবে নিশ্চয়ই। এ পর্বে সবচেয়ে ভাল লেগেছে স্কুলের প্রেসিডেন্ট সাহেবের মানবিক দিকটি। তিনি সাহায্য নাও করতে পারতেন। কিন্তু নিজের দায়িত্ব থেকে পিছপা হন নাই। এটা খুব ইতিবাচক একটা দিক।
বাবার হার্ট এ্যাটাক, প্রেমিকার বাবাও অসুস্থ। এ অবস্থায় চৌধুরী সাহেবের স্কুলে পাঠে মনযোগী হওয়া সত্যি অনেক কঠিন কাজ। এমন পরিস্থিতিতে ছুটি নেওয়াটাই সবচেয়ে উপযুক্ত হতো। তবে প্রাইভেট স্কুল বলে কথা!! এতো ছুটি মঞ্জুর হবে না।
আমাদের উপমহাদেশে ডাক্তার-হসপিটাল-ল্যাব টেস্ট-ঔষধ ইত্যাদির পেছনে ছুটতে ছুটতে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। কেউ ভুল চিকিৎসার শিকার, আবার কেউ কেউ ডাক্তার নামক ডাকাতদের ডাকাতির শিকার। এ পর্বটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ হলো এই দিকটি। যতদিন পর্যন্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ খাত শতভাগ সরকারি হবে না ততদিন পর্যন্ত এভাবে প্রিয়জনদের বাঁচাতে নিরীহ ও অসহাস মানুষ নিঃস্ব হবে।
গুরুজি, আগের পর্বটি পড়া হলেও সময় নিয়ে ভাল একটি মন্তব্য করবো করবো বলে হচ্ছে না। এজন্য ক্ষমা করবেন। আপনি আমার আত্মার আত্মীয়; প্রিয় ভাই; প্রিয় লেখক। ভাল থাকুন সব সময়। ++++
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব ,
মাঝের একটি পোস্টে গুরুদেবকে না পেয়ে মনের মধ্যে এমন একটা হাহাকার তৈরি হয়েছিল যে মনে হচ্ছিল কত বছর গুরুদেবের সঙ্গে কথা হয় না। আজ এ কারণেই মন্তব্যের আগে লাইক বক্সের গুরুদেবের নামটি দেখে মনের মধ্যে অদ্ভুত শিহরণ খেলে গেল। এমন সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই কৃতজ্ঞতা। অসম্ভব সুন্দর কমেন্টটি পোস্টটির সৌন্দর্য বহুগুন বৃদ্ধি করেছে বৈকি। আর এমন কমেন্ট যদি না পাই তাহলে মনের মধ্যে হাহাকার হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
একটা সাধারণ গল্পকে আপনি যেভাবে রাঙায়িত করলেন বা অলংকরণ করলেন তা শুনে অন্তরে মুগ্ধতায় ভরে গেল। মেসেজ কতটা দিতে পারছি জানিনা তবে টুইস্টটা রাখার চেষ্টা করি; যেটা আবার ব্লগে আপনার কাছ থেকে শেখা আরকি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন মিলিদির ঘোমটা রহস্য আগামী দিনে পরিষ্কার হবে। আশা করি তখন আপনার ব্যস্ততার অনেকটা অবসান ঘটবে। আপনার সূক্ষ্ম নজরে প্রেসিডেন্ট সাহেবের মনোভাবের ইতিবাচক দিকটি যে যথেষ্ট আকর্ষণীয় মনে হয়েছে শুনে মুগ্ধ হলাম। হ্যাঁ ! মানবিকতা বোধ হয় এখনো কোথাও না কোথাও ঠিকই আছে...
মন্তব্যের দ্বিতীয় প্যারাতে সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে যে উপমহাদেশের ডাক্তার হসপিটাল ল্যাব টেস্ট ইত্যাদির ছুটতে ছুটতে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায় ।কেউ ভুল চিকিৎসার শিকার হয় কেউবা ডাক্তার নামক ডাকাতের হাতে সর্বস্বান্ত হয়। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় একটা কবিতায় আছে,
" গ্রাম থেকে শহরে এসেছিল এক লোক ডাক্তার দেখিয়ে সর্বশান্ত হবে বলে,
তার আগেই তাকে সর্বস্বান্ত করে দিল এক পকেটমার। "
হয়ত একজন-দুজন ব্যতিক্রম থাকতেই পারেন। কিন্তু সার্বিক চিত্রটি জনোমানসে আশাব্যঞ্জন নয়।
একটা ওয়েলফেয়ার স্টেটের জনগণের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র গুলিকে রাষ্ট্রীয়করণ করাটা কাম্য। সেখানে যদি সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকে বা নমো নমো করে নিজ দায়িত্ব বজায় রেখে সিংহভাগটাই বেসরকারি সংস্থার হাতে দিয়ে উন্নয়নের দিবা স্বপ্নে বিভোর থাকে সে ক্ষেত্রে জনগণের আর কিছুই করার থাকেনা।
আপনার পোষ্টের মতোই কমেন্টের লাস্টে আপনার টুইস্ট এ আমি আপ্লুত । কর্মজীবনের ব্যস্ততার জন্য সব পোস্ট পড়া বা কমেন্ট করা সব সময় সম্ভব হয় না ঠিকই কিন্তু ক্ষমা দৃষ্টিতে বললে অত্যন্ত বিব্রত বোধ করব আপনার কাছে এবং ক্ষমা চাইব এমন আন্তরিক চাপের দৃষ্টিতে দেখার জন্য। প্লিজ ! খোলা মনে নেবেন আপনি একা মানুষ। সময় সুযোগ মত কমেন্ট করলেই হল । অনেকদিন হলো মন্ডল ভাইকেও দেখছি না। জানিনা উনি এখন শীতঘুমে আছেন কিনা।
আপনার শুভাশিস গ্রহণ করলাম । এতগুলো প্লাস পেয়ে আমি অভিভূত ।আবারো কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা প্রিয় গুরুদেবকে।
১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আগেই বলে নেই এই পর্বটি দুই বারে পড়েছি। ছোট্ট পর্বটি দুই বারে পড়ার পরও পাঠে ঠিকি ছন্দপতন হয়নি । লিখার কারুকার্য এমন ভাবে খচিত যেনো পাহাড়ের গিরীপথে বুনু ফুলে স্বজ্জিত। কথন রিতি সত্যি মুহিত করে।
একজন গল্পকারের গল্পকে গভীরভাবে বুঝতে হলে তাঁর লেখার কৌশলকে আবিষ্কার করা প্রয়োজন। সেটা আবিষ্কারের সঙ্গে যদি পাওয়া যায় গল্পকারের নিজের বক্তব্য তাহলে পাঠকের কাজটি ত্বরাণ্বিত হয়ে ওঠে অনেক বেশি। সেই তুলনায় কতটুকু পাঠক সমাদ্রিত পাঠকরাই ভাল জানে।
আপনার লিখন শৈলী পাঠকদের মন কেড়েছে যে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মন্তব্য ঘরে যে সকল পাঠকদের প্রতিক্রিয়ালব্ধ জ্ঞানে আমি বিমোহিত। প্রতিটি পর্বের শেষে আরেকটি পর্বের প্রতিক্ষা থাকি। এযেনো অজানাকে জানার এক প্রয়াস মাত্র।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় রহমানভাই,
আপনার সুন্দর অনুভূতি ও কেমন কমেন্টের মুগ্ধ হলাম।গতকাল রাতে অন্তর্জাল পরিষেবা বিঘ্ন ঘটার কারণে বরং বার চেষ্টা করেও প্রতিমন্তব্য করতে পারেনি।
" কারুকার্যখচিত পাহাড়ের গিরিপথে । " আহা ! আপনাদের এমন বিশেষণ বা ভালোবাসা কোথায় যে রাখি !! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
" একজন গল্পকারের গল্প কে গভীর ভাবে বুঝতে হলে তাঁর লেখার কৌশল কে আবিষ্কার করা প্রয়োজন।সেটা আবিষ্কারের সঙ্গে যদি পাওয়া যায় গল্পকারের নিজের বক্তব্য তাহলে পাঠকের কাজটি ত্বরান্বিত হয়ে ওঠে অনেক বেশি। " আপনার এই অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যটি একেবারে হৃদয়ের গহীনে ঢুকে গেল।সত্যিই এমন অনুভূতির জন্যই আমাদের গল্প লেখা সার্থক। আগামীতেও আপনার এমন সুন্দর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালবাসা প্রিয় রহমানভাইকে।
১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
করুণাধারা বলেছেন: গভীর আগ্রহ নিয়ে এই পর্বটি পড়ে শেষ করলাম (যদিও একটু দেরী হয়ে গেল)। অল্প কথায় ঘটনা বর্ণনা, এবং তার ফলে চরিত্রের প্রতিক্রিয়া- আপনি অতি মুন্সিয়ানার সাথে করতে পারেন! এই পর্বেও তার ব্যাতিক্রম হলো না! এই পর্বে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে; আগের পর্বে নার্সিংহোমের টাকা শোধ দেয়া নিয়ে যে উৎকণ্ঠা ছিল এই পর্বে তার অবসান হলো; সত্যি মানুষের মধ্যে থেকে মানবিকতা একেবারে লোপ পায় নি আজও। প্রেসিডেন্ট সাহেবের মত মানুষ আজও আছেন যিনি সহজেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন, চৌধুরী সাহেবের সমস্যার সমাধান হলো, মায়ের প্রিয় গহনা বিক্রি করতে হলো না.........মধ্যবিত্ত জীবনের টানাপোড়েন, তার মাঝে চৌধুরী সাহেবের অসহায়ত্ব, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আবারো পরের পর্বের জন্য অপেক্ষার শুরু। মিতালীদি কে সেটা জানতে হবে...... কিন্তু একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, মিতালীদি যখন অন্যের সামনে ঘোমটা দিতেন না, তখন কি কখনো চৌধুরী সাহেব তার মুখ দেখতে পাননি?
চমৎকার এই পর্বের জন্য ধন্যবাদ।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,
পর্বটি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন ও অল্প কথায় ঘটনার বর্ণনা এবং চরিত্রগুলির প্রতিক্রিয়া আপনার কাছে অত্যন্ত সাবলীল লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম। সাথে সাথে এই পর্বে নার্সিংহোমের টাকা পরিশোধের সমস্যাটির অবসান হওয়াতে গত পর্ব থেকে বয়ে চলা আপনাদের উৎকণ্ঠার অবসান হয়েছে জেনে খুশি হলাম। গল্পে প্রেসিডেন্ট সাহেব হলেন মানবিকতার প্রতিভূ ; চারিদিকে মানবেতরের মাঝে যে মানবতা বিপন্ন হয়ে যায়নি , প্রেসিডেন্ট সাহেব তার জ্বলন্ত প্রমাণ । আর যে কারণেই চৌধুরি সাহেবের সমস্যার সমাধান হলো বা ওনার মায়েরও গহনা বিক্রি করতে হলো না।
মধ্যবিত্তের টানাপোড়নের মধ্যে চৌধুরী সাহেবের অসহায়ত্ব দুশ্চিন্তা অর্পিত বিষয়গুলি যে আপনাকে চমৎকার মনে হয়েছে জেনে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপু।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম । হ্যাঁ ! মিতালিদি কে ? সেটা আপনাদের না জানাতে পারলে আমিও যে চিন্তা মুক্ত হতে পারছি না।
আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন, মিতালী দিয়ে যখন অন্যের সামনে ঘোমটা দিতেন না, তখন চৌধুরী সাহেবে ওনার মুখ দেখতে পান নি কিনা ? উত্তরে বলি - গল্পে মিতালীদিকে কোনোদিন চৌধুরি সাহেবের সামনে অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়নি ঘোমটা দেওয়া নিয়ে। দূর থেকে চৌধুরী সাহেব লক্ষ্য করেছেন যে উনি অন্যদের সামনে ঘোমটা দেন না । আর মেয়েরা ঘোমটা দিলে পুরুষদেরও যে বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর। যে কারণে গল্পের বক্তা দীর্ঘদিন বিষয়টি লক্ষ্য করার পর অবশেষে নিজের মনের জিজ্ঞাসার অবসান ঘটালেন।।
পাশাপাশি আরেকটি বিষয় উল্লেখ করি । কুড়ি বাইশ বছরের ব্যবধানে যদি দুজনের দেখা হয় সে ক্ষেত্রে উভয়ের শারীরিক পরিবর্তন হঠাৎ করে দেখে চেনার উপায় থাকে না ; যদি একেবারে সামনাসামনি দেখা সাক্ষাৎ না হয়।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।
১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: লাস্ট পর্বটি পড়া হয়নি। আজ দুটি পর্ব একসাথে পড়লাম । বাবাদের অসুস্থতা শেষে তাহলে গল্প সামনে এগোচ্ছে ।
শেফালী ম্যাডাম এর ফেরার অপেক্ষায় রইলাম ও মিতালী দির পরিচয় ।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটবোন ,
গতকাল রাতে অন্তর্জাল পরিষেবার ভয়ানক বিঘ্ন ঘটার কারণে প্রতিমন্তব্য না দিতে পারার জন্য দুঃখিত। পর্ব পড়া হয়নি আজ দুটি পর্ব একসঙ্গে পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। হ্যাঁ গল্প তাহলে সামনে এগোচ্ছে আরকি। সঙ্গে থাকুন। শেফালী ম্যাডাম বা মিতালীদি সবাইকে আস্তে আস্তে পাবেন। আগামী পর্বে আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় ছোট বোনকে।
১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
হাবিব বলেছেন: এতটাই ব্যস্ত যে ব্লগে আসারই সুযোগ পাচ্ছি না.
অনেক আশার গেট টুগেদারেও অংশ নিতে পারবোনা ভাবতেই কষ্ট লাগছে
কবে নতুন পোস্ট দিতে পারবো তাও অনিশ্চিত. ।আমার জন্য দোয়া করবেন
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,
গত কয়েক দিন আপনার নিয়মিত প্রশ্ন দেখেই বুঝতে পেরেছি যে আপনি প্রচণ্ড ব্যস্ত। আমিও গত রাত থেকে আন্তর্জাল পরিষেবা ইগ্নও ঘটার কারণে আপনাদের কমেন্টের কোন প্রতি উত্তর দিতে পারেনি। গেট-টুগেদার অংশগ্রহণ করতে পারবেন না জেনে দুঃখ পেলাম। আপনার ব্যস্ততা অবসান হোক । আবার ব্লগে নিয়মিত হন কামনা করি। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
শুভকামনা ভালোবাসা জানবেন ।
১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। আবার নতুন গল্পের মোড়ে এস চমকে দিলেন সবাইকে।
দারুন টুইষ্টে শেষ করলেন!
জীবনের সাতকাহনে সবাই মোটামুটি কমবেমী এমন করেই মূখোমুখি হই বাস্তবতার!
হয়তো এরচে কঠিন বা কম। কষ্ট ব্যাথা, হতাশঅ, শুন্যতা সবই যেন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ!
একেবারে সোনার চামচ মূখের মানুষ বাদ দিলে - আটপৌড়ে জীবনে এগুরো এতই কমন যে খুবই চেনা আর আপন মনে হয়।
কখনো কখনো গল্পে যেন নিজের কাহিনী মনেই মিশে যাচ্ছি!
হাসছি, কাঁদছি, শংকিত হচ্ছি! রোমাঞ্চিততো বটেই
দারুন সিরিজের জন্য অনেক অনেক ধণ্যবাদ প্রিয় সু লেখক প্রিয় ভায়া
+++++
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় কবিভাই,
হ্যাঁ ! আবার নতুন গল্পের মোড়ে একটু টুইস্ট দিতে হলো , যে কারনে এই পর্বটি একটু ছোট হয়ে গেছে।
" জীবনের সাতকাহন এ সবাই মোটামুটি কম বেশি এমন করে মুখোমুখি হয় বাস্তবতার ! হয়তো এরচে বেশি বা কম। কষ্ট ,ব্যথা ,হতাশা, শূন্যতা সবই যেন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ!
একেবারে সোনার চামচ মুখের মানুষ বাদ দিলে - আটপৌড়ে জীবনে এগুলো এতই কমন যে খুবই চেনা এবং আর আপন বলে মনে হয়।" একেবারে কঠিন বাস্তব সম্মত কথা বললেন । সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে। এমন বৌদ্ধিক অনুভূতির জন্যই পোস্টগুলো দেওয়ার সার্থকতা। আপনি কবি মানুষ। পেটের মধ্যে থেকে কথা বার করে আনতে পারেন। যে গুলোই আমাদের সম্পদ এবং আগামীর পথ চলার দিশারী।
গল্পে কখনো কখনো আপনার নিজের কথা মিশে যাচ্ছে বা বা হাসি কান্নার দোলাচলে আবেগ -বিহ্বল হচ্ছেন জেনে আপ্লুত হলাম । আগামী তো আপনার এমন সুন্দর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো....
পোস্টটিকে লাইক করাতে ও সঙ্গে এতগুলো প্লাসে আমি অভিভূত অনুপ্রাণিত ! কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবিভাইকে ।
১৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: যাক মিলিদির ঘোমটা রহস্য উন্মোচিত হল
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই,
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । হ্যাঁ মিলিদির ঘোমটা রহস্য কিছুটা উন্মোচন হলো বৈকি । তবে এখনো অনেকটাই রহস্য রয়ে গেছে । আগামী পর্বে আরো বেশি উন্মোচন হবে আশা রাখি।
পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন ।
১৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪০
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
প্রিয় প্রিয়,
কেমন আছেন? আশা রাখি ভাল । ব্যস্ততার জন্য ব্লগে আসতে হয় রাতে তাই রাতেই আপনার গল্প পড়ছি । মন্ত্র মুগ্ধের তঁ পড়েছি । বাবার অসুস্থতা যেকোন পরিবারের জন্য একটা বিশাল বড় বিপর্যয় নিয়ে আসে । আসলে তিনি হচ্ছেন ছায়ার মত । তার কোন কাজ করার দরকার নেই শুধু সুস্থ থাকলেই চলবে । হাসবে কথা বলবে ।
আমার বাবাও যখন অসুস্থ ছিল কোন কাজে মন দিতে পারিনি । সব সময় কেমন জানি লাগত । কোথায় জানি কি নেই মনে হত ।
আর গল্পের শেষ টুইষ্ট টা আমাকে অবাক করেছে । এমন হবে ধারনা করিনি ।
দেখা যাক পরের পর্বে?
এটা কি বই আকারে আসবে ?
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অপুভাই,
উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি । আশা করি আপনিও কুশলে আছেন। কনভোকেশনও দারুন উপভোগ্য হয়েছে । আমি মাস্টার ডিগ্রীতে আশানুরূপ নম্বর না পাওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির হয়নি। তবে পরে বন্ধুদের বিভিন্ন ছবিগুলো দেখে প্রচন্ড হতাশ হয়েছিলাম আজও যে কারণে অনুশোচনায় দগ্ধ হয় । বোলপুরে বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রাচীন ভারতের মেখলী ঘাসের কোমর বন্ধনীর অনুকরণে ছাতিম পাতা উপহার দেওয়া হয় । সুতরাং বিষয়টা এতটা অর্থবহ অথচ নিজের জীবনে আমি ইচ্ছা করেই সে সুযোগ হারিয়েছি।
পোস্ট প্রসঙ্গে , হ্যাঁ বাবা মানে তো বটগাছ । যতদিন বাবা-মা থাকবে সন্তান সেই বটগাছের সুশীতল ছায়া পাবে। একদম ঠিক কথাই বলেছেন যে বাবাকে কোন কাজ করার দরকার নেই , শুধু সামনে থাকবে হাসবে - এটাই দারুন অনুপ্রেরণার ; অসম্ভব একটা শক্তি যোগায়। আশা করি এখন আঙ্কেল সুস্থ আছেন। কোন সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। আর ওনাকে 100 পার্সেন্ট সেবা করার উপর ওয়ালা আপনাকে জেনো তৌফিক দান করেন।
গল্পের টুইস্টটা আপনাকে অবাক করেছে জেনে খুশি হলাম। আপনি এতটা মোচড় ভাবতে পারেনি জেনে আরো খুশি হয়েছে। হা হা হা ।
পরের পর্বে সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ! বই আকারে বার করার স্বপ্ন তো আছে ; জানিনা কোনদিন সেটা পূরণ হবে কিনা।
সবশেষে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভকামনা জানাই প্রিয় অপু ভাইকে।
১৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
নজসু বলেছেন:
সময়ই পাচ্ছিনা।
pc তে নতুন করে windows দিয়েছি।
অনেক সফটওয়্যার শুরু থেকে শুরু করতে হচ্ছে।
২৪ ঘন্টা পরে ব্লগে এলাম মনে হয়।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই ,
আপনার সমস্যাটা দেখলাম । আশা করি শীঘ্রই সমস্যার অবসান ঘটবে। আর অনেক সফটওয়্যার ; শুরু থেকে শুরু করা মানে সত্যিই খুব বিড়ম্বনার বিষয়। সুতরাং 24 ঘন্টা পর ব্লগে আসা মানে আমরা আপনাকে মিস করেছি । তবুও কর্মব্যস্ততার মধ্যে আমাদের মাঝে মাঝে এমন হয়ে থাকে। সব কিছুকে স্বাভাবিক ধরেই এগোতে হবে।
সমস্যার কথা পরে এসে জানিয়ে ভাইয়াকে খোঁজ নেওয়ায় অত্যন্ত আনন্দ পেলাম। এমন ক্ষেত্রে ধন্যবাদ দিয়ে বরং খাটো করব না আপনাকে।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় ভাইকে।
১৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
নীলপরি বলেছেন: কাল এসেছিলাম । তবে খুব ঘুম এসেছিল বলে মন্তব্য করা হয়নি ।
যাহোক , দারুণ কৌতুহল জাগিয়ে ইতি টেনেছেন । ঠিক আছে । অপেক্ষায় থাকলাম , পরের পর্বের ।
++++++
শুভেচ্ছা রইলো
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আমিও কাল দেখেছিলাম পোস্টটির লাইক দাতাদের মধ্যে আপনার নাম। তবে কমেন্ট বক্স আর খুলছিলোনা ; যে কারণে আপনার মন্তব্য ছিল কিনা সেটা আর বুঝতে পারেনি । তবে টায়ার্ড বা ঘুম এলে নিশ্চয়ই সেগুলোই আগে । কমেন্ট যেমন আপনি আজকেই করলেন বা পরে সময় মতো করলেই পারতেন ।
পোস্ট প্রসঙ্গে যাই হোক, পোস্টটির ইতি টানা প্রসঙ্গে আপনার কৌতূহলী জিজ্ঞাসায় আনন্দ পেলাম। আগামী পর্বের সঙ্গে আছেন জেনে পুলকিত হলাম ।
পোস্টটিকে লাইক করাতে এবং সঙ্গে এতগুলো প্লাসে দারুন অনুপ্রাণিত হলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
সবশেষে অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালবাসা প্রিয় আপুনিকে।
২০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১০
শহীদুল সোহাগ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় সোহাগভাই,
আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য। সু স্বাগতম আপনাকে। যদি সময় পান তাহলে ইতিপূর্বে প্রকাশিত এই সিরিজের অন্য পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ রইল। সাথে সাথে আগামীতেও পাশে পাবো আশা করি ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
২১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৩
জুন বলেছেন: পড়ছি অর্থাৎ পড়ে চলেছি মরীচিকা । মিলিদির রহস্য উন্মোচন হলো
পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
ফোন দিয়ে মন্তব্য করতে কষ্ট হচ্ছে । পড়ছি অনেকের লেখাই পদাতিক চৌধুরী ।
+
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি ,
কত্তদিন পরে আপনাকে পেয়ে যে কি আনন্দ লাগছে ; সে কথা বলে বোঝাতে পারবো না। তবে আজ জানলাম যে আপনি পড়ছেন বা পড়ে চলেছেন । মোবাইল ফোনের সৌজন্যে কমেন্ট করতে পারছেন না , যে কারণে আমরাও জানতে পারছি না। মিলিদি রহস্য উন্মোচন হলো কিন্তু পুরোটাই এখনও আবৃত থেকে গেল। আশা করি আগামী পর্বে অনেকটাই উন্মোচিত হবে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম । আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো.....
আপনার মোবাইল ফোনের প্রসঙ্গে বলি আপু , আমিও কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড সেট দিয়েই কাজটা করি। আমার কাছে বাইরে ল্যাপটপ ক্যারি করার চেয়ে মোবাইল ফোনে রাস্তাঘাটে আসা যাওয়ার পথে অটোতে বসে বা কাজের জায়গায় সময় সুযোগ পেলে যখন ইচ্ছে ব্লগে ঢোকাটা অনেক বেশি নিরাপদ এবং ব্যবহার উপযোগী বলে মনে হয়। আমার দিনে প্রায় আড়াই ঘন্টা সময় যাতায়াতের রাস্তায় কাটে । এই সময়কালের করা কমেন্টগুলোতে প্রচুর টাইপো থাকে। যেহেতু কমেন্টের কোন মডারেশনের সুযোগ নেই ফলে এমন ভুলে ভরা কমেন্ট পড়ে পরে আমি নিজের সত্যিই হাসি পায়। তবুও আমার মনে হয় সময়টা তো বাঁচে.....
পোস্টটিকে লাইক করাতে ও সঙ্গে প্লাসে ব্যাপক অনুপ্রাণিত হলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপুনিকে।
২২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩১
নীলপরি বলেছেন: পোস্ট প্রসঙ্গে যাই হোক বলতে চাইনি । পোস্ট তো ভালো লেগেইছে । ঘুম পাওয়া প্রসঙ্গে 'যাই হোক ' বলেছি । বোধহয় বোঝাতে পারিনি ঠিক । আশাকরি এবারে বোঝাতে পারলাম ।
শুভকামনা
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দ্বিতীয় কমেন্ট মানে আরো আনন্দের । আপনার আগমনে খুশি হলাম। আর যাই হোক প্রসঙ্গে আমি এতোটুকু ভুল বুঝিনি। আমি নিজেও এটা কথার মাত্রা হিসেবে ব্যবহার করি। কাজেই আমার মধ্যে সে রকম ভাবনা ওয়ান পার্সেন্টও ছিল না। আর পাশাপাশি এরকম ছোটখাট বিষয় গুলোকে আমি কোনমতে ধরতে মধ্যে আনি না। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন। আগামীতে এরকম ওয়ার্ড আপনি নির্দ্বিধায় আমার পোষ্টে ব্যবহার করবেন ।
আমি এখন ব্লগারদের পুনর্মিলন অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছবিগুলো দেখছিলাম। কোথাও অবশ্য আপনার নাম দেখছি না। বোধহয় আপনি উপস্থিত হতে পারেননি।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালবাসা প্রিয় আপুকে ।
২৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
নজসু বলেছেন:
আগে (এখন হয় কিনা জানিনা) বিটিভিতে কিছু ধারাবাহিক নাটক হতো। প্রত্যেকটা পর্ব এমন একটা জায়গায় শেষ হতো এরপর কি হবে কি হবে দর্শকের এমন একটা আগ্রহ কাজ করতো।
আপনার আজকের পর্বটা পাঠকদের সেই সূ্ত্রে গেঁথে রাখলো মনে হয়।
মিলিদিকে এভাবে উপস্থাপন করায় পাঠকের মনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে।
সামনের পর্বে আশা করি জট খুলবে।
শেফালি ম্যাডামের ঘনিষ্ট সহপাঠী অনিবার্ণ মুখার্জী নামের ঐ ভদ্রলোকের রহস্য এখনও খোলাসা হয়নি।
এরপরেই কুহেলিকার পর্ব দুটি চলে আসলো।
বিলম্বের কারণে পাঠক যদি ঐ বিষয়টা ভুলে যায় তাহলে তখনকার সেই কৌতূহল কতখানি থাকবে জানিনা।
মিলিদিকে নিয়ে নিশ্চয়ই মরিচীকার পাঠকদের এটা কৌতূহল তৈরি হলো।
এই কৌতূহল নিবারণ যেন অনিবার্ণ মুখার্জীর মতো পিছিয়ে না যায়।
মূখার্জী বাবুর প্রসঙ্গ যখন আসবে তখন পাঠককে ভাবতে যেন না হয় যে, এই নামটা কোন পর্বে কোন প্রসঙ্গে পড়েছিলাম।
পরিচিত মুখ ঘোমটা দিয়ে আড়াল করে রাখা রহস্যজনক বটে। প্রেসিডেন্ট সাহবেকে ধন্যবাদ।
☺আমি অবশ্য আমার বাবাকে নিয়ে এতই ব্যস্ত ছিলাম যে ওদিকে আর খোঁজ নেওয়ার সুযোগ পায় নি।
☺আমি অবশ্য আমার বাবাকে নিয়ে এতই ব্যস্ত ছিলাম যে ওদিকে আর খোঁজ নেওয়ার সুযোগ পাইনি।
ভালো থাকবেন।
আমার বোনকে অর্থ্যাৎ আপনার হোম মিনিস্টারকে সালাম জানাবেন।
মেঘের জন্য ভালোবাসা ও স্নেহাশীষ রইল।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,
আপনি হলেন স্কিপ রাইটার । যে কারণে মুগ্ধ হলাম এমন সংশোধনী কমেন্ট পেয়ে । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আপনার কাছ থেকে গতানুগতিক কমেন্ট পেয়ে ঠিক যেন খুশি হতে পারি না । যে কারণে এই মন্তব্যটিতে মুগ্ধতায় ভরে গেল। মন্তব্য যদি প্রিয়তে রাখা যেত তাহলে আপনার এমন মন্তব্যগুলিকে সেটাই করতাম।
বিটিভির ধারাবাহিকের যে প্রসঙ্গটি নিয়ে এসেছেন সেটি আমার মত একজন হাতুড়ে লেখকের কাছে বিরাট প্রাপ্তি । পাশাপাশি যথেষ্ট বিব্রতবোধ করছি একারণে যে ওখানে যারা স্কিপ রাইটার ওনারা প্রাজ্ঞ ব্যাক্তি। ওনাদের সঙ্গে আমাকে এভাবে তুলনা টানাটা আমার কাছে বেশ অস্বস্তির বৈকি।
মিলিদি রহস্যটি সামনের পর্বে অনেকটা উন্মোচন ঘটবে -আশা করি ।
প্রিয় নজসুভাই, সুন্দর কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তবে এ প্রসঙ্গে বলি, আজ যেমন মিলিদির প্রসঙ্গটিকে আপনাদের ভাবতে হয়নি, আগামীতেও ঠিক তেমনি মিস্টার মুখার্জির প্রসঙ্গটিও খুব একটা ভাবতে হবে না বলে মনে করি । যেহেতু বিষয়টি শেফালী ম্যাডামের সঙ্গে জড়িত সে জন্য আরও বেশ পরে এটিকে আনার ইচ্ছা আছে।
আপনার জহুরীর চোখ।' পায়নি ও পাইনি' বিষয়টি পরে ঠিক করে দিচ্ছি এই মুহূর্তে আমি on the way. অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সূক্ষ্মভাবে পাঠ করে ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
আপনার বোনকে সালাম যথারীতি পৌছে দেবো। আর মেঘের অন্য ভালবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে পরিবাগে আপনাকে না দেখতে পেয়ে হতাশ হয়েছি । বিভিন্ন ছবিটা আপনাকে খুঁজেছি।
বাড়িতে আমরা পরিকল্পনা করছি আগামী ডিসেম্বরে ঢাকায় আপনার সঙ্গে ব্লগডেতে মিট করব । আশা করি আগামীবার আপনাদের সঙ্গ পাবো ।
অবশেষে বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা প্রিয় নজসুভাইকে।
২৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
নীলপরি বলেছেন: নাহ।
উত্তর শুনে শুনে নিশ্চন্ত ও খুশি হলাম ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আবার এভাবে এসে অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য। আমিও নিশ্চিন্ত হলাম বিষয়টি আপনাকে ঠিক ঠিক বোঝাতে পেরেছি জেনে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
২৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
হাবিব বলেছেন:
মরিচিকার মন্তব্য করবো নাকি আপনার টুইস্টের রহস্য খুঁজবো বলুন?
আমরা আমাদের প্রিয় গল্পকারকে চর্ম চোখে দেখতে চাই।
আমাদের দাবী আমাদের দাবী ...
মানতে হবে মানতে হবে.....
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,
প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূর থেকে আমি কিন্তু সব লক্ষ্য করেছি। একটা ফটোতেও আপনাকে খুঁজে পেলাম না। আপনাকে না পেয়ে শেষপর্যন্ত সবুজ টি-শার্ট বা ডেনিম জিন্সও খুঁজে গেলাম । কিছুই মিলল না । তাহলে আপনি কি করে চর্মচোখে আমাকে খুঁজবেন ? নিজেকেই যে আমাদের কাছে মহৎ ফাঁকি দিয়েছেন। আমি গেলে অবশ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে গিয়ে আপনার নামে মিসিং ডায়েরি করতাম। সেটা কি বেশি ভালো হতো ?????
তবে আগামী বার যদি আপনারা থাকেন তাহলে পরিবার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব । আর হ্যাঁ ! ভালো কথা। আমার সিস্টেম আপডেট করতে গিয়ে অনেক কিছুই ডিলিট হয়ে গেছে। যদি পারেন তো আপনার মেইল আইডিটা আমাকে আরেকবার দিয়ে দিবেন, প্লিজ।
পাশাপাশি আমরা আপনার কবিতা/সনেটের খুব মিস করছি । অনতিবিলম্বে পোস্ট দিন ; অপেক্ষায় থাকলাম...
শুভকামনা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা আপনাকে ও গোটা পরিবারবর্গকে।
২৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
মাহের ইসলাম বলেছেন: মিলিদি'র ব্যাপারে শুরু থেকেই মনে মনে একটা কেমন যেন অনুভূতি বেড়ে উঠছিল। আজ তাঁর সমাপ্তি ঘটল।
তবে, আজকের পর্বটা কেমন যেন অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে। কেন যেন মনে হচ্ছে, আরেকটু বেশি কিছু আনা যেত।
অনেক অনেক ভালোলাগা আর শুভ কামনা রইল।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহেরভাই ,
আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম । মিলিদির ব্যাপারে শুরু থেকে কেমন একটা অনুভুতি বেড়ে গেছিলো, কিন্তু আজ তার পরিসমাপ্তি ঘটল বলে যেটা মনে করছেন তা কিন্তু নয়। মিতালীদি থেকে মিলিদি হয়ে ওঠার বৃত্তান্তটি কিন্তু ঘোমটা রহস্যের নেপথ্যে আছে। যেটা আগামী পর্ব থেকেই শুরু হবে বলে মনে করছি ... । বৃত্তান্তটি শুরু করলে মাঝপথে শেষ করা যেত না। আর এ কারণেই পর্বটি একটু ছোট বলে মনে হয়েছে।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। একইভাবে আপনার জন্যও রইল আমার হৃদয়ভরা ভালোবাসা ও অফুরান শুভেচ্ছা।
২৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,
বহুদিন পর আপনাকে পেয়ে আপ্লুত হলাম। আপনার ছোট্ট অথচ পাওয়ারফুল মন্তব্যটির না পাওয়ার যাতনায় বহুদিন ভুগেছি। আজ খুশি হলাম এ কারণে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কি যে বলেন আমি একজন নবীশ কবি।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা আমি আপনার কবিতা বরাবরই ফ্যান। ভেবে মুগ্ধ হই এত ভালোবাসা আপনার হৃদয় আসে কোথা থেকে ? কামানের গোলার মতো মুহুর্মুহু প্রেমের কবিতা উপহার দেন ব্লক বাসীকে।
আর নবীশ !!! স্যার আইজাক নিউটনও একদিন বলেছিলেন ,উনি জ্ঞানের সমুদ্রে নুড়ি কুড়িয়ে বেড়াচ্ছেন । কাজেই বিনয় তো প্রকৃত গুণীজনের সম্পদ ! তাদের অভিব্যক্তি! যে কারণেই তারা অনুকরণীয়.......
২৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
নীলপরি বলেছেন: আমি 'আলেয়া' শব্দটাকে দিয়ে ছলনাকারী বোঝাতে চেয়েছি । এই মুহূর্তে কোনো পরিপূরক শব্দ মাথায় আসছে না । তাই ওটাই রেখে দিলাম । সময় পেলে আর একবার পড়ে জানাবেন কী মনে হচ্ছে ।
শুভকামনা
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আলেয়া শব্দটা নিয়ে আপনি আবার আসাতে আনন্দ পেলাম । তবে আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম, পোস্টে আপনি ' আলেয়ে ' লিখেছিলেন। যেটা দেখেই আমি আলেয়া লিখতে বলেছিলাম। স্রেফ টাইপোর কথা উল্লেখ করেছিলাম মাত্র।
শুভকামনা ও ভালোবাসার প্রিয় আপুনিকে।
৩০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৫
রাকু হাসান বলেছেন:
একজন শ্রদ্ধাভাজন মানুষকে উৎসর্গ করায় ভালো লাগছে । অভিনন্দন শ্রদ্ধাভাজন লতিফ ভাইয়া
শেষে চমক পেলাম । সে অনেক কথা শুনার আগ্রহ জন্মালো প্রচুর । অপেক্ষা করতে হবে । গল্পে শুধু গল্পকার অপেক্ষা করিয়েই যাচ্ছে ,এ কেমন কথা ।
দেরিতে পড়তে পারলাম । সরি ভাইয়া । আশা করি ভালো আছ । আমিও ভালো আছি তোমাদের শুভকামনাতে ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,
জানি তুমি ব্যস্ত আছো ; সময় পেলে ঠিক আসবে । অবশেষে আমার সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। উৎসর্গে ভালো লাগাই আনন্দ পেলাম । ধন্যবাদ তোমাকে।
হা হা হা অনেক কথা শোনার আগ্রহ যখন জন্মেছে তাহলে তো নিশ্চয়ই পোস্ট আকারে সব লিখতে হবে.... গল্পে শুধু গল্পকার অপেক্ষা করিয়েই যাচ্ছে । তবে এটুকু আগ্রহ না রাখলে যে পাঠকরা আর আসবেও না। তাহলে বরং পরের দিক থেকে চেষ্টা করব যাতে তোমাদের কোন আগ্রহ না থাকে সেইমতো লিখতে, হা হা হা।
আর ভাইয়ার পোস্টে দেরিতে আসার জন্য কোন রকম এক্সকিউজ নয় । ব্যস্ত আছো, থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। যখন সময় পাবে তখনই আসবে। এক্সট্রা কোনো চাপ কখনোই নেবে না। আমরা সবাই ভালো আছি। তোমার খবর জেনে আনন্দ পেলাম।
তোমার শুভকামনা গ্রহণ করলাম । পাশাপাশি তোমাকেও আমার অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা রইল।
৩১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
মিতালী দি'র ঘোমটা পুরোটা খোলার অপেক্ষায় .....................
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই ,
আপনার পাঠ ও মন্তব্যে আনন্দ পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।
মিতালী থেকে মিলি হয়ে ওঠার রহস্যের কিছুটা উন্মোচন হয়েছে সর্বশেষ পর্বে। আশাকরি এখানে আপনার জিজ্ঞাসার অনেকটাই উন্মোচিত হবে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
৩২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরের মতই সুন্দর ঝরঝরে লেখাটিতে প্লাস দিয়ে গেলাম।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় সোহেলভাই,
আপনাকে দেখে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রাণিত হলাম কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। ইতিমধ্যে শেষ পোস্টও আপনার কমেন্ট দেখলাম। আগামী পোষ্টেও আপনার আগাম দাওয়াত দিয়ে রাখলাম।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ পর্বে মিতালী দি !!বেশ চমক অপেক্ষা করছে তাহলে পরের পর্বে ।
ভালোলাগা ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপুনি,
আপনার পাঠ ও মন্তব্যে খুশি হলাম ; ধন্যবাদ আপনাকে। অনেকদিন না পেয়ে খুব মুষড়ে ছিলাম ; যে কারণে অবশেষে আপনাকে পেয়ে আপ্লুত হলাম। যদিও আপনার পরের পর্বে চমক কতটা পেয়েছেন জানিনা তবে প্রতিমন্তব্য দিয়ে দিয়েছে। পোস্টটিকে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।
৩৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৯
সোহানী বলেছেন: অনেকগুলো পর্ব একসাথে পড়ে ভালোলাগছে। চলুক পদাতিক ভাই, সাথে আছি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,
অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম। বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য প্রথমে ক্ষমা প্রার্থী। বাসা বদলের রন্য প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম। যে কারণে ব্লগে সময় দেওয়ার সুযোগই পাইনি। এখনো ঘরের জিনিসপত্র সব ডাই করে রাখা । কিছুই সেট করা হয়নি অথচ দিনের বেলায় কাজের ফাঁকে সময় নিয়ে একটু ব্লগে ঢোকা। আপনি পরপর কয়েকটি গল্প পড়লেন এবং পর্বগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম । পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭
শিখা রহমান বলেছেন: পদাতিক আপনার ব্লগে অনেকদিন পরে এলাম। পর্ব ১২ আর ১৩ একসাথে পড়বো বলে। আবারো সাসপেন্স দিয়ে শেষ করলেন। পরের পর্বে যাচ্ছি। দেখি এই মিলি রহস্যের সুরাহা পাই কিনা!!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,
অনেকদিন পরে আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেলাম। হ্যাঁ দেখলাম আপনি দুটো পর্বই একসঙ্গে পড়েছেন। এই পর্বে সাসপেন্স নিয়ে আপনি পরের পর্বে গিয়ে আশা করি আপনার মনের জিজ্ঞাসার নিরসন করতে পেরেছেন।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা ভালোবাসা ও অভিনন্দন প্রিয় আপুনিকে।
৩৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা,
মরীচিকা পড়ছিলাম। আমার প্রবলেম হলো আমি শেষ দিক থেকে আপনার এটা ধরেছি মানে সেই মিতালীদি। তারপর আবার প্রথম থেকে পড়লাম।
অসাধারণ ভালো লেগেছে দাদা। প্রতিটি গল্পের মাঝেই বাস্তবতার ছায়া। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে কি মানসিকতা দাড়ায়।
লেখকের /প্রেমিকার বাবার একিই সাথে অসুস্থতার কারনে মানবিক বিবেচনা তুলে এনেছেন অন্তর থেকে।
দাদা, শেফালী ম্যাডাম থাকতে আবার মিতালীদির আগমন, রহস্য
ভালোই জমিয়েছেন। আপনার লেখাগুলো জীবনভিওিক।
আর হ্যাঁ, যাকে উৎসগ করেছেন লতিফ ভাই আর আপনাকেও মন থেকে ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মুক্তাআপু,
হ্যাঁ ! আপনার সমস্যাটি বুঝতে পেরেছি। সাধারণত একটি বড় গল্পের পিছন থেকে শুরু করলে একটু সমস্যা হয় বৈকি। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি সময় পান তাহলে কয়েকটি পর্ব আগে থেকে পড়ে এলে মনে হয় সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে পারবেন ।
আপনি শেষ থেকে শুরু করেও গল্পটি অসাধারণ লাগাতে আনন্দ পেলাম ; ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পের বাস্তবতা আর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সেই প্রতিক্রিয়ার মতো সূক্ষ্ম অনুভূতির বিষয়টি আপনার চোখে ধরা পড়াতে আবারও মুগ্ধতা।
গল্পে একদিকে অসুস্থতার কারণে মানবিক বিবেচনা অপরদিকে শেফালী দি ও মিলির মত চরিত্র আগমন ও তাদের নিয়ে যে গাঁথুনি আপনার দৃষ্টিতে জমাট মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম।কিঞ্চিৎ প্রশ্ন আপনার মন্তব্যে পেলাম যে শেফালীদি থাকতেও কেন আবার মিতালীদি বা মিলিদির আগমন - এই উত্তরটি পেতে আপনাকে পরবর্তী আরও কয়েকটি পর্বে চোখ রাখতে হবে । আশা করি তখন বিষয়টি আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
লেখকের সঙ্গে উৎসর্গ লতিফভাইকে মন থেকে ভালো লাগা জানানোতে আপ্লুত হলাম। পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় আপুকে।
৩৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: মিলি দি থেকে মিতালী দি'র রূপান্তরে একটি চমক দিয়ে শেষ করলেন আজকের গল্পটি। চমকটি ভাল লেগেছে।
প্রেসিডেন্ট সাহেবের বদান্যতাও পাঠকের মনে শান্তির প্রলেপ বুলিয়ে যায়। নিজের বাবা এবং শেফালী ম্যাডামের বাবার অসুস্থতা লেখকের স্নায়ুতে যে চাপ সৃষ্টি করেছিল, প্রেসিডেন্ট সাহেবের এ উদারতা সে চাপকে বিলুপ্ত করে লেখককে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে এনেছে, এটা পাঠকের জন্য এক বিরাট স্বস্তির বিষয়।
গল্পে ২৩তম প্লাস + +।
১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেসপেক্টেড স্যার,
মিলিদি থেকে মিতালী দি-তে রূপান্তর, আপনার ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। প্রেসিডেন্ট সাহেব এই সিরিজের অন্যতম একটি চরিত্র। যদিও পরের দিকে ওনার চরিত্রের ভাবমূর্তি কিঞ্চিৎ পরিবর্তন হবে বৈকি। আশাকরি গোটা সিরিজটি পড়লে বিষয়টি আপনার কাছে পরিষ্কার হবে।
সর্বোপরি আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
23 তম লাইক প্রদানে অনুপ্রাণিত বোধ করছি কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪২
প্রামানিক বলেছেন: দাদা প্রথম হলাম চা দেন মন্তব্য পরে করবো।