নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
সভাস্থলে বয়স্ক মানুষটি বলতে লাগলেন,
-আমাদের সমাজের একটি নিয়ম আছে। আমরা যার তার সঙ্গে আমাদের ছেলে মেয়েদের বিবাহ দিতে পারি না বা বিবাহ মেনে নিতেও পারি না। তুই খুকি অত্যন্ত বেয়াদবি কাজ করেছিস । এখন শাস্তি তোকে পেতেই হবে। তবে শাস্তিটা এমন হবে যাতে আর কেউ যেন তোর মত ওই পথে হাঁটতে না পারে।
প্রবীণ মানুষটি এবার তরুণকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
- তুমি আমাদের সমাজের একটি মেয়ের জীবনকে নষ্ট করেছ। আমরা তোমাদের সমাজে নাক গলাই না । কিন্তু তুমি যা করেছ ক্ষমার অযোগ্য। তবে পাশাপাশি থাকতে হয় বলে তুমি বা তোমাদের ব্যাপারে আজ আমরা নাক গলাবো না। কিন্তু মনে রাখবে, এখন থেকে আর আমাদের মেয়ের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখবে না । এরপরেও যদি রাখো তাহলে তোমার জন্যও আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে । যাও তুমি এক্ষুনি এখান থেকে চলে যাও ।
তরুণের সঙ্গে আমরা যারা আদিবাসী নই তাদেরকে চিহ্নিত করে উনি ওখান থেকে চলে আসতে নির্দেশ দিলেন। ফলে তরুণের পিছন পিছনে আমরা সকলেই ওই স্থান থেকে চলে আসি। সাথে সাথে মনে প্রবল খচখচানি শুরু হল; কি এমন বিচারের রায় হবে যেটা আমাদের সামনে প্রবীণ মানুষটি ঘোষণা করতে পারলেন না ।
সেদিন রাতে বাধ্য হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করলেও মনের মধ্যে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল সে কথা অস্বীকার করি কি করে। পরদিন সকালে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে ব্রাশ করতে করতে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম ; কেউ বিষয়টি নিয়ে কোনো খোঁজ খবর রাখে কিনা । কিন্তু কেউ এ সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারল না। সকাল তখন আটটার সামান্য একটু বেশি হবে , এমন সময় পরপর দুটি পুলিশের জিপ যেতে দেখে মনের মধ্যে ধুকপুকানি শুরু হতে লাগল । কাউকে কিছু না বলে হাঁটতে শুরু করলাম ; এক্কেবারে সোজা গত রাতের সভাস্থলে। ওখানে গিয়ে আদিবাসী পাড়ার একজন মানুষকেও সামনে দেখতে পেলাম না। আশপাশের বাড়িগুলোও জনশূন্য । একজন পুলিশ কাকুকে এগিয়ে গিয়ে কি হয়েছে, জিজ্ঞাসা করতেই উল্টো উনি আমার নাম ঠিকানা জানতে চাইলেন। তখন অবশ্য বুঝতে বাকি রইল না যে গতরাতে সভাস্থলে ভয়ংকর একটা অঘটন ঘটে গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা বলতে আদিবাসী পাড়ার কিছু অর্ধ বা সম্পূর্ণ নগ্ন বাচ্চা ; যাদেরকে পুলিশের দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকতে দেখলাম। পুলিশ কাকুরা ওদের কয়েকজনের নাম ,বাবার নাম, বাবা কোথায়? প্রভৃতি প্রশ্নের উত্তরে দেখলাম নিজের নাম বাবার নাম যথাযথ বললেও বাকি প্রশ্নের উত্তরে সকলের এক কথা জানিনা। পুলিশ কাকুরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে লাগলো। খানিক বাদে ওরা দুটো দলে ভাগ হয়ে পড়ার দুটি রাস্তা দিয়ে সামনের দিকে হাটতে লাগল। আমি আরো কিছুক্ষণ ওদের জিপের কাছে অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলাম। অবশেষে মিতালীদির বিচার সংক্রান্ত কিছু উদ্ধার করতে না পেরে বাড়ির পথে পা বাড়ালাম।
আদিবাসী পাড়ার ঠাকুরতলা থেকে হেঁটে মাঝপথে পৌন্ড্র পাড়ায় ঢুকেছি ; এমন সময় চার পাঁচ জন পুরুষ-মহিলা আমাকে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে ডাকলেন এবং ঘিরে ধরলেন। আমি থমকে দাঁড়ালাম। ওনারা আমাকে রাস্তার ধারে একটি বাড়ির মধ্যে নিয়ে গেলেন। পুলিশ কত জনকে গ্রেপ্তার করেছে বা ওখানে আর কি কি হচ্ছে সে সম্পর্কে নানান প্রশ্ন করতে লাগলেন। আমি তেমন কোন উত্তর দিতে না পারায় ওনারা হতাশ হলেন । এখানেই বরং আমি পাল্টা প্রশ্ন করাতে ওনারা যেটা বললেন ,
- গতকাল রাতে সালিশি সভাতে ওদের সমাজের নিদান অনুযায়ী মিতালীকে শাস্তি দিতে ওদের সমাজের ছেলেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সভাস্থলে উপস্থিত মিতালীর বাবা-মা ও দাদা প্রবল আপত্তি করলে জেঠার নির্দেশে বাকিরা ওদেরকে বেদম প্রহার করে। মারের চোটে তিনজনেই সংজ্ঞা হারালে একসময় ওরাই উদ্যোগী হয়ে ওদেরকে হসপিটালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এইভাবে সালিশি সভার নামে একটি পরিবারের উপর অকথ্য অত্যাচার চলতে থাকে। আর মিতালীকে দশ- বারো জন আদিবাসী যুবক টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেলেও অত রাতে কোথায় নিয়ে গিছিল সেটি অবশ্য কেউ বলতে পারলো না। ভোরবেলায় পাড়ার লোকেরা একটু দূরে বাগানে প্রাতঃ কাজ করতে গিয়ে মিতালীর অচেতন নগ্ন দেহ দেখতে পেয়ে পাড়ার খবর দেয় । সেই মত কেউ পুলিশকে জানালে সকালে পুলিশ এসে মিতালীকে উদ্ধার করে। তবে দেহে প্রাণ আছে কিনা মনে হয় না ।
সালিশি সভার নামে আদিবাসী সমাজের হাড় হিম করা সন্ত্রাসের ঘটনা শুনে বাস্তবে শিউরে উঠলাম। কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেললাম ।এক- পা দু- পা করে বডিটাকে টানতে টানতে কোনক্রমে যখন বাড়িতে এলাম ; ততক্ষনে স্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। সকালবেলা পড়াশোনা বন্ধ রেখে কোথায় গিয়েছিলাম ? মায়ের এমন বাঘা বাঘা প্রশ্নের উত্তরে ; সত্যি কথাটি বলতেই মা অবাক হয়ে গেছিলেন। মায়ের ছোট্ট মন্তব্যটি,
- কি আশ্চর্য! আমাদের এত পাশে থাকে অথচ ওরা এতটা হিংস্র!
এই ঘটনার পর আমার শরীর ও মনের স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়েছিল। যেটা ফিরে পেতে আমাকে পরে আরো বেশ কিছুদিন সময় লেগে গেছিল । । ওদিকে লোকমুখে মিতালীদির খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে ও মরেনি; তবে অবস্থা অত্যন্ত খারাপ । যদিও বাস্তবে কতটা খারাপ ছিল সেটি চোখে দেখার সুযোগ আমার পক্ষে হয়ে ওঠেনি । পরে বিভিন্নভাবে ওদেরকে এই গ্রামে খুঁজে গেছি । তবে একদিনের জন্যও ওদের বাড়ির কারো সঙ্গে কোনদিন সাক্ষাৎ হয়নি । তারপরে এতগুলি বছর পরে আজ চোখের সামনে দাঁড়িয়ে মিতালীদি।
মিতালীদি বলতে লাগলো,
- সেদিন রাতে ওরা আমাকে টেনে হিঁচড়ে জঙ্গলে নিয়ে গেছিল। জানোয়ার গুলো আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। আমি আমার সাধ্যমত ওদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ওরা আমাকে প্রচন্ড মারধর করে। সঙ্গে চলতে থাকে জানোয়ার গুলোর ভোগের পর্বও। ফলে ওদের লাম্পট্যের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে এক সময় আমি নিস্তেজ হয়ে পড়ি এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলি । কয়েকদিন পরে হসপিটালের বেডে শুয়ে যখন জ্ঞান আসে তখন শুনি বাড়ির সকলকে ওরা প্রচন্ড মারধোর করেছিল। মারের চোটে বাবার অবস্থা হয়েছিল সবচেয়ে গুরুতর । মেরুদন্ডের সঙ্গে শরীরের একাধিক জায়গার হাড় ভেঙে গেছিলো সঙ্গে ছিল ইন্টারনাল হেমারেজও। শুনেছিলাম অস্ত্রোপচার করেও বাবার শেষ রক্ষা হয়নি। সংক্রমিত হয়ে হসপিটালেই বাবা মৃত্যুমুখে পতিত হয়। বাবার মৃত মুখ দেখার সৌভাগ্য আমার হয়ে ওঠেনি। দাদা আমাকে বাবার মৃত্যুর খবর দেয় নি। কিন্তু কদিন পরেই দাদার গুরুদশা দেখে প্রশ্ন করতেই আর সত্য লুকাতে পারেনি। খবরটি আমাকে এতটাই আঘাত করেছিল যে কান্নার শক্তিও তখন হারিয়ে ফেলেছিলাম। শুধু ভাবতাম, আমার জন্যই সবার জীবনে এত বড় সর্বনাশ হয়েছে। এই ভাবনা আমার হৃদয়কে বারে বারে কুঠারাঘাত করেছিল।
হসপিটালে মা কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হতেই দাদা মাকে মামার বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। এদিকে আমিও ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকি । যদিও সম্পূর্ণ সুস্থ হতে দুই মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল। এই মধ্যবর্তী সময়ে দাদা রাতের বেলা গাছতলায় থেকে দিনের বেলায় ভিজিটিং সময়ে এসে আমাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাতো । বয়সে দাদা আমার থেকে চার বছরের বড় ছিল। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর এই দাদাই যেন আমাকে বাবার অনুপস্থিতিকে ঢেকে দিয়ে বটগাছের মতো মাথার উপর ছাতা মেলে ধরলো । আমি সুস্থ হতেই দাদা যখন গ্রামে ফিরে যেতে অস্বীকার করল , আমি তখন নিরবে ওর সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়েছিলাম । আমাদের মামারবাড়ি সুন্দরবনের বিধবা পল্লীতে। কাজেই হসপিটাল থেকে ছাড়া পেয়ে দাদার সঙ্গে আমরা সোজা মামার বাড়িতে চলে যাই ।
গ্রামে তবুও আমাদের দুই বিঘা পাঁচ কাঠা জমি ছিল। সারাবছর অন্যের জমিতে কাজ করার পাশাপাশি নিজের জমিতেও চাষাবাদ করে আমাদের দিব্যি চলে যেত। কিন্তু নতুন জায়গায় আমরা পড়লাম নতুন একটি সংকটে। এখানে চাষাবাদ ভীষণ কম বা একেবারে হয়না বললেই চলে। এক ফসলি জমিতে যা বর্ষাকালে একটু-আধটু চাষাবাদ হতো কিন্তু আইলার পর সেটুকুও বন্ধ হয়ে গেছে। মাইলের পর মাইল জমি সম্পূর্ণ পতিত হয়ে আছে। কাজেই নতুন জায়গায় পেশা হারিয়ে দাদা অন্যান্যদের সঙ্গে জঙ্গলে কাঠ কাটতে, মধু সংগ্রহ করতে বা মাছ ধরতে যেত । ইতিমধ্যে পাশের গ্রামে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্বন্ধ করে দাদার বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়। নতুন বৌদিকে পেয়ে যখন আমরা একটু একটু করে আবার সুস্থ জীবনে ফিরতে চলেছি ঠিক তখনই এলো আবার একটি দুঃসংবাদ ।
চলবে....
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইকে
প্রথম মন্তব্য মানে আলাদা ভালো লাগা ; সঙ্গে গরম গরম চা । কিন্তু এত রাতে ওসব কিছুই দেব না কারণ বাকি রাতে ঘুমটুকুও চলে যাবে । কেবল ঘুমাতে বলব । শুভরাত্রি টা টা...
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৩
হাবিব বলেছেন: Present sir
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইয়েস স্যার ! আপনি থাকছেন স্যার মম হৃদয়ে....
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৩
হাবিব বলেছেন: এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে কল্পনাও করিনি...
কষ্ট পেলাম গল্প পাঠ করে. .
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জীবনের সর্বদাই যে সুর-তাল-লয় ক্লিক করে না। তবুও যে তার মধ্যে দিয়ে আমাদের এগোতে হয়। ঝটিকা পর্বে ঝটিকা কমেন্ট এর জন্য প্রিয় হাবিবভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারবর্গকে।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৮
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কি সাংঘাতিক বিচার ব্যবস্থা!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুকে একেবারে প্রথম দিকেই পেয়ে আনন্দ পেলাম। আপনি কল্পনাও করতে পারেননি এমন ও বিচার ব্যবস্থা হতে পারে। মরিচিকার 13 নম্বর পর্বে আপনার কমেন্ট আর 14 নম্বর পর্বে আপনার কমেন্টের হলো একে অপরের পরিপূরক। পাঠ ও মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ আপু।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৭
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি,
ভেবেছিলাম মন্তব্যের শুরুতে প্রথম হওয়ার আনন্দ ব্যক্ত করবো। কিন্তু এই পর্ব পড়ে আমি পুরোই শিহরিত। একজন মানুষ যখন মানবিক গুণাবলি বলী দেয় তখন সে হিংস্র পশুর চেয়েও পাশবিক আচরণ করে। একজন মানুষ হিসেবে আমার ভীষণ খারাপ লাগে। যদি প্রতিটি মানুষের মাঝে নূন্যতম মানবতা থাকতো তাহলে আমাদের পৃথিবীটা নিঃসন্দেহে অনেক সুন্দর হতো।
মিতালীদি অবশেষে জীবিত আছে এটা আমাকে স্বস্তি দিলো।
পরের পর্বের জন্য শুভ কামনা করছি।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট্ট ভাইটি,
শুভ সকাল ।
তবে যেটা ভেবেছিলে আজ সেটা হয়নি। কি আর করা যাবে; অনেক কিছুই যে মেনে নিতে হয়। তবে ইচ্ছাকৃত মনোকষ্ট দেওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। জীবনের চলার পথ যে সর্বদাই মসৃণ নয়। অনেক কিছুই আমাদের মর্জিমাফিক হয় না । তবুও তার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হয়। পীড়াদায়ক হলেও সমাজের যে ব্যাধিগুলি আছে আমরা তো সেগুলোকে অস্বীকার করতে পারি না। যে কারণে এই পর্বে এসে তোমার সমাজের একটি শ্রেণীর পাশবিক বা আচরণে আতঙ্কিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আমরা মানুষ ; আমাদের মধ্যে মানবিক সত্তা আছে। যখন সেই অনুভূতিতে আঘাত পাই, আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।
হ্যাঁ মিতালীদি যে অবশেষে বিপদমুক্ত হয়েছে; এটাই আমাদের বিরাট প্রাপ্তি।
তোমার অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম । পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ছোট ভাইটিকে ।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালবাসা জানবে।
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আবারো মোড় তবে এতো বয়াবহ ঘটনার উত্তরন হবে ভাবিনি। ভেবেছিলাম এক ঘটনা আরেক এইতো লেখকের সার্থকথা। অজানাকে জানিয়ে দিতে যে সক্ষম তার কদর পাঠকদের অন্তরে সবসময় অবিচল।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় রহমানভাই,
হ্যাঁ একদম ঠিক ধরেছেন। আবার মোড় ! তবে এতটা ভয়াবহ হবেন ভাবেননি। ঠিকই তো, জীবনের সব ভাবনাগুলো যে আমাদের চিন্তার সঙ্গে মেলে না। কল্পনার অতীত বলেও যে কিছুটা থেকে যায়। মন্তব্যের বাকি অংশে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম । তবে লজ্জাও পেলাম বৈকি ।
আগামীতেও আপনার এমন সুমধুর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।
ভালোবাসা ও শুভকামনা সতত।
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভয়ংকর কাহিনী
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল মান্যবরেষু,
পাঠ ও মন্তব্যের ধন্যবাদ। হ্যা ! ভয়ংকরই বটে !
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা সতত।
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:২৬
ল বলেছেন: হাড় হিম করা -
মেরুদণ্ডের সাথে হাড় ভেঙে যাওয়া।
রক্ত হিম করা কাহিনী --
অপেক্ষায় ছিলাম কাহিনীর কি সালিশ বিচার হয় --- মনে হলো বাস্তব জীবনের কোন বিচার কার্য।
মুগ্ধতা।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় লতিফভাই,
বাস্তবেই সালিশি সভার নামে হাড় হিম করা সন্ত্রাস ! রক্ত হিম করা ঘটনা। আমাদের আশপাশের কিছু মানুষের মধ্যে যে এমন হিংস্রতা, ভয়ংকরতা লুকিয়ে থাকে ; বিশেষ মুহূর্ত না এলে যে আমরা টেরই পাই না। এই অসুস্থতা দানবতার হাত থেকে বোধহয় আমরা কোনদিনই নিষ্কৃতি পাবনা।
অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু একটু দেরিতে পোস্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত। পাশাপাশি আজকের পোস্ট পড়ে মনজগতে কিছুটা আঘাত করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
পোস্টটিকে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় কবিভাইকে।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: এতদিন কোথায় ছিলেন দাদা?
বহুদিন পর পোস্ট পেলাম আপনার।
প্রবীন লোকটি দারুন বলেছেন।
আমাদের ঢাকাতেও একটা আডিবাশি পাড়া ও স্কুল আছে।
দাদা পোষ্ট দিতে এত দেরী করবেন না।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ছোট ভাই,
ডিসেম্বরে লাস্ট উইক থেকে জানুয়ারি ফাস্ট উইক পর্যন্ত বাসা পরিবর্তনের জন্য প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম। যে কারণে ব্লগে অনিয়মিত হয়ে যাওয়া বা পোস্ট দিতে এত দেরি হওয়া।
আদিবাসীরা উপমহাদেশের সব জায়গাতে কম বেশি আছে। তবে ওরা ওদের মত করে ওদের সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। এটা যেমন ভালো দিক । মন্দ দিক হলো ওরা বাইরের কোন কিছুকেই নিজেদের বলে ভাবতে পারে না । আর আর এখানেই যদি কেউ সমাজের গণ্ডি টপকাই তবে তার জীবনে নেমে আসে হিংস্রতার ভয়াবহ রূপ। নিজেদের সরলতাকে বিসর্জন দিয়ে ভিতরের হিংস্রতায় বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
তবে এখন আদিবাসীরা চাকরি বাকরি বা লেখাপড়া শিখে ওদের সমাজ সোসাইটি থেকে অনেক দূরে বসবাস করার ফলে সমাজের বেড়া অনেকটা শিথিল হতে চলেছে। যে কারণে দরকার ওদের মধ্যে সঠিক এডুকেশন ও সরকারের জনসচেতনতা কর্মসূচিও।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোটভাইকে।
১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫১
হাবিব বলেছেন:
এতো কেন নির্মম বিচারের কাহিনী?
কেন এতাে অবিচার মেয়েটার উপরে,
সমাজে নারীদের হেয় কেন করা হয়
মুক্তি পাই যেন তার থেকে দূরে!
মিতালীরা আর যেন না পায় অবিচার
মাথা তুলে যেন তারা প্রতিবাদী হয়,
বিচারের বাণী যেন না কেঁদে মরে
জাগো সব মিতালি পেয়ো নাকো' ভয়!!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,
কাব্যের ভাষায় সুন্দর কমেন্টের মুগ্ধ হলাম। সত্যিই তো ! এত নির্মম বিচারকাহিনী যে মুক্তি পাওয়ার উপায় নেই ।
এরকম হাজারো মিতালী কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়ত দমন পীড়নের শিকার হয়। আর আমাদের অসহায় দর্শক হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকেনা। একটাই সান্ত্বনা আমাদের, বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।
কাব্য কথাই মুগ্ধতা ।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালবাসা সতত।
১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী ভয়ংকর !! রোহমর্ষক ঘটনা ;
মধ্য যুগীয় প্রায়।
আপনার এ সিরিজে জীবনের কত রুপ তা শব্দে উঠে এসছে। চমৎকার গুছিয়ে পরিবেশন।
মন খারাপ করা এ পর্ব ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে যে ভয়ংকর লোমহর্ষক ঘটনা যা একেবারে মধ্যযুগীয় বললেও আত্যুক্তি হবে না। সিরিজে অনেকগুলি শব্দের রূপ আপনার চোখে ধরা পড়াতে মুগ্ধ হলাম। এমন প্রাজ্ঞ পাঠকরাই যে আমাদের মত আনাড়ি লেখকদের সঠিক পথের দিশা দেখাবে।
পোস্টটিতে like' করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় আপুনিকে ।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।
১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
কত্ত ভয়ংকর মানুষের রূপ!
আশপাশের সমাজ কী এদের এই অমানুষিকতার বিরুদ্ধে কিছুই বলে না?
অসহ্য যন্ত্রনাক্লিষ্ট সময় পার করছে এমন অনেক মিতালীদি। ধিক্ ঐ সমাজের প্রতি।
ভাই, অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরলেন, শ্বাসরুদ্ধ কাহিনীর মতই পড়ে ফেললাম। অসাধারণ প্রকাশ বলতে হবে।
ভালো লাগলো অনেক।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তাজুলভাই,
অনেকদিন পরে আপনাকে পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেলাম।
হ্যাঁ ! মানুষের ভয়ঙ্কর রূপই বটে! তবে গ্রাম এলাকায় একে অপরের সমাজ সভ্যতা নিয়ে সাধারণতঃ মাথা দেয় না। যেমন মাথা দেয়না রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও।ভোটব্যাঙ্ক খসে যাওয়ার আশঙ্কায় রাজনৈতিক নেতারা এসব ক্ষেত্রে ওদের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীল লিপ্ত থাকে। মুখে অবশ্য একটাই কথা, আইন আইনের পথে চলবে। পর্ব ভালো লেগেছে বা অসাধারণ লাগাতে অনুপ্রেরনা পেলাম। আমরা আপনার সুন্দর কমেন্টের অপেক্ষায় থাকবো।
পুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সতত।
১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: সারাদিন শুকনো মুখে দাঁড়িয়ে থেকে , পেলাম শুধু একটা বাতাসা ?
আরেকটু লিখতেন দাদা !!! এতটুকু পরে মন ভরে ?
পরবর্তীর অপেক্ষায় !!!
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পবিত্রভাই ,
এই পর্বটিকে ছোট করার জন্য ফুটনোটে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু পরক্ষনেই মনে হলো পাঠকদের মধ্য থেকে কমেন্ট এলেই তবেই কারণটির প্রকাশ ঘটাবো। যে কারণে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এই বিশেষ কমেন্টের জন্য অপেক্ষায় থাকা।
লক্ষ্য করে দেখবেন , এই পর্বটি সালিশি সভার বিচার-প্রক্রিয়ার উপরেই নির্মিত। যে কারণেই পোস্টটিকে ছোট করতে বাধ্য হলাম।
এরকম একটা অমানবিক অধ্যায়ের সঙ্গে অন্য কিছু জুড়ে দিলে পর্বটি কলেবর বৃদ্ধি পেলেও পরবর্তী অংশগুলি জৌলুস হীন হয়ে পড়তো ; যে আশঙ্কায় আমার এমন ভাবনা। আজ আপনাকে একটু কম খেতে দিলাম আশা করি পরের দিন পুষিয়ে দেব হা হা হা।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় পবিত্রভাইকে।
১৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
মুক্তা নীল বলেছেন: মিতালির জীবন কাহিনী ও বিচার অতন্ত্য দঃখজনক। আমাদের দেশেও পাবত্য অঞ্চলের উপজাতিরা অনেক দুঃখ/কস্টের মধ্যে জীবন যাপন করছে।
মিতালির দাদার ছায়া বটগাছের মতই। তারপরও চাইবো মিতালী উঠে দাড়িয়ে যাক।
শরীরের রক্ত কাপিয়ে গেলো মিতালির বিচারে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অপু /ভাই
আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য ; সু স্বাগতম আপনাকে। কমেন্টের সম্মোধন হিসেবে আমি ভাই বা আপু বলাতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। আপনি যদি বিষয়টি পরিষ্কার করে দেন তাহলে বাধিত হব।
সহমত আপনার সঙ্গে যে মিতালীর জীবন কাহিনী অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু এরকম হাজারো মিতালী আমাদের সমাজে আছে যারা কোনো না কোনো ভাবে নিগ্রহের শিকার। আমাদের শুভবুদ্ধির জাগ্রত হোক। আত্ম পিরিত মানুষের প্রতি আমাদের সহমর্মিতার স্পর্শ বর্ধিত হোক।
পোস্টে উল্লেখযোগ্য দিক হলো মিতালি দাদার ছায়া দান। সামাজিক সংকীর্ণতায় আমরা যখন একে অপরের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিই তখন এই সমস্ত আত্ম মানুষগুলি একে অপরের প্রতি সহমর্মিতার হাত নিঃসন্দেহে আমাদের মনবলকে অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
বিচারের নামে প্রহসন আজও সমাজের কোথাও না কোথাও এভাবেই চালু আছে।
আগামীতেও আপনার সু মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।
* অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সতত।
১৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: পৈশাচিক ঘটনা।
তবে এগুলো এখনো পাকিস্তান ও ভারতের কোনো কোনো এলাকায় পারিবারিক সন্মান রক্ষার নামে করা হয়। বিভৎস। নিউজে তাই দেখি। পাকিস্তানের মুখতারান মাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল আপনার লেখায়।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আখেনাটেনভাই,
দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য প্রথমেই ক্ষমা প্রার্থী। হ্যাঁ ! পৈশাচিক ঘটনাই বটে।
আপনি ঠিকই ধরেছেন পাকিস্তান ও ভারতে মূলত হিন্দিভাষী এলাকায় অনাল কিলিংস নামে পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে এরকম হত্যা নিধনযজ্ঞ চলে। কয়েকদিন আগেও দেখলাম বর্ধমানের কাছে একটি মেয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে। যদিও মেয়েটির উরুতে লেখা একটি নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ শেষ পর্যন্ত দাদা ও বাবাকে গ্রেপ্তার করে। ভিন জাতে প্রেম করার অপরাধে দাদা বাবা থেকে মেয়েটিকে নৃশংসভাবে হত্যা বর্ধমানের রাস্তার ধারে একটি ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। আপনি ঠিকই ধরেছেন পাকিস্তানের মুখতারন মাইয়ের কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য।
আপনাকে ঢপের চপ খাওয়ানোর জন্য আমিও তৈরি। 2002 সালের পর দীর্ঘদিন আমারও অবশ্য ঢপের চপ খাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আপনি এলে নিশ্চয়ই সে সুযোগ হয়ে উঠবে।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালবাসা প্রিয় ভাইকে।
১৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯
রাকু হাসান বলেছেন:
আদিবাসীদের বিচার কাজ পড়তে গিয়ে আমার সমরেশ মজুমদারের গর্ভধারণী উপন্যাসের কথা পড়ে গেল । অদ্ভুদ কি রেওয়াজ । এভাবে বিচার কাজ হবে তা ভাবিনি । গল্পের বাস্তবতার গভীরতা অনেক। এখনও এমন রেওয়াজ প্রচলিত আছে বিশ্বে । দুঃখজনক হলো এসব উপজাতি অসভ্য স্বকীয়তা বর্জন করে সভ্য হতেও চায় না ,করতে গেলেও ঘোর আপত্তি । মিতালী দি জন্য ভালোবাসা । এটা খুব খারাপ লাগা দিয়েছে । শেষে ,শেষ রক্ষা হয়েছে উনার সেটাই সান্ত্বনা । জমে উঠছে উপন্যাস । শুভকামনা তো থাকবেই আমার
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। আদিবাসীদের নিয়ে যুগে যুগে বহু কবি সাহিত্যিকদের লেখাতে মোটামুটি বিভিন্ন ঘটনা উঠে এসেছে । ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিকগুলিও এই সমস্ত লেখাতে স্থান পেয়েছে । ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার মত অদ্ভুত সব প্রথা ওরা হাজার বছর ধরে ওদের সমাজে চালু রেখেছে।
গল্পে এভাবে বিচার হবে ভাবোনি বা গল্পের বাস্তবতা গভীরতা অনেক আমার অনুভূতিতে আনন্দ পেলাম।।তোমার সঙ্গে সহমত যেকোনো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উপজাতিদের মধ্যে এমনও হাজার প্রথা চালু আছে। আধুনিক সভ্যতা বলতে আমরা যেটা বুঝি ওরা যে তেমনটি মানে না। ওদের মতো করে নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ রাখার মধ্য দিয়েই ওদের সভ্যতাকে ওরা রক্ষা করে চলছে । যে কারণে বাইরের কোনো কিছু ওরা নিজেদের সভ্যতায় প্রবেশ করতে দেয় না। মিতালীদির জন্য ভালবাসা; ভালবাসা তোমার জন্যও। হ্যাঁ ঠিকই শেষ রক্ষা যে হয়েছে মিতালীদির জীবন রক্ষা হয়ে - এটাই বড় সান্তনার। উপন্যাস জমে উঠেছে ও পোস্টে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আমার ছোট ভাইটির কাছে।
বিমুগ্ধ ভালোবাসা ও শুভকামনা আমার ছোট্টভাইটিকে।
১৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দাদা,
মরিচীকার সব পর্বই আমি পড়েছি। মিতালীদির ঘটনা পড়ে খুব খারাপ লাগল। একটা অনিচ্ছাকৃত/ভুলবশত ছোট অপকর্মের শাস্তি হিসেবে আরো বড় অন্যায় কাজ মেনে নেয়া যায় না। তার বিরোধিতা করায় বাবাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা! এতো পুরোই ক্রাইম।।
ইতিমধ্যে পাশের গ্রামে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্বন্ধ করে দাদার বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়।
কথাটায় হাসি পেল। মিতালীদি এখন কোথায়?
এমন মর্মান্তিক লেখায় লাইক দিতে পারলাম না। আমি একটু অসুস্থ, ডাক্তার নেটে আসতে নিষেধ করেছে। একেবারে বাদ দিচ্ছি না, তবে পড়া আর মন্তব্য করা কমিয়ে দিতে চাচ্ছি। আপনার প্রতিউত্তরটা পড়বো। এই পোস্টে আর মন্তব্য করছি না।
অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী। দোয়া চাই।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মন্ডলভাই,
আপনি যে মরিচীকা সব পর্ব পড়েছেন এটি জেনে ভীষণ আনন্দ পেলাম। আসলে কমেন্ট না করলে তো ঠিক বুঝতে পারি না যে কে
বা কারা পড়ছে যে কারণে আমার এই সিরিজে আপনার কমেন্ট অপেক্ষাকৃত কম হওয়ার জন্য আমার ধারণা অন্যরকম ছিল। আজ ধারণাটি পরিষ্কার করার জন্য জানাই ধন্যবাদ।
আদিবাসী সমাজে অন্যের ছোঁয়াছুঁয়িকে ওরা ভীষণ অপরাধ হিসেবে দেখে। সাধারণ ছোটখাটো বিষয়কে কেন্দ্র করেও কাউকে একঘরে করে রাখার মতো ঘটনা আকছার করে থাকে। ওদের সমাজে মোড়লদের ব্যাপক দাপট। জান গুরু নামক একটি শব্দ ওদের সমাজে প্রচলিত আছে।মাঝে মাঝে কোন কারণে যদি বাচ্চাকাচ্চা বা কেউ অসুস্থ হয় তাহলে জানগুরু নিদান দেয় যে কোন ডাইনি ভর করায় পাড়ায় বিপদ যাচ্ছে না । তখন তার একমাত্র বিচারকার্য হবে ডাইনি সন্দেহে সংশ্লিষ্ট মহিলাকে পিটিয়ে হত্যা করা অথবা বহু টাকা জরিমানা করা।ডাইনি সন্দেহে হত্যা আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত আছে। এমনিতে সরল আদিবাসীদের মধ্যে ক্রাইম এই সেন্স টাই তেমনভাবে চালু নেই। ওরা সব কিছুকে নিজেদের সমাজ পরিবেশ দিকেই বিচার করে। অসম্ভব ইউনিটি বোধ ওদের এই অনুভূতির আরেকটি কারণ বলে আমার ধারণা।
ঠিকই তো যে লেখা পড়ে সত্যি কারের কষ্ট হয় তেমন লেখায় লাইক দিতে আমার আঙুল কাপে। লাইক অন্য দিনের জন্য তোলা রইলো।আপনার অসুস্থতার খবর শুনে কষ্ট পেলাম তাড়াতাড়ি সুস্থ হন কামনা করি ডাক্তার যদি নেট ইউজ করতে নিষেধ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটি মেনে চলা দরকার। নতুবা বাড়াবাড়ি হলে আবার যে অনেকদিন ভুগতে হবে। তবে শীতকালে শরীর খারাপ ঠান্ডা থেকে হয়েছে কিনা জানি না আর নেট সমস্যা মানে তো চোখের যত সমস্যা মনে হচ্ছে। দ্রুত সুস্থ হন আবার আগের মতো ব্লক কে মাতিয়ে রাখুন। আপনার সেই আগের ব্লগের জমজমাট ক্যাচাল আমি প্রচন্ড মিস করি।
দাদার বিয়ে প্রসঙ্গে লাইনটিকে উদ্ধৃতি করে দেওয়ার জন্য আনন্দ পেলাম । আপনার হাসির সঙ্গে আমিও সুর মেলালাম শত কষ্টের মধ্যেও পাওয়া এক টুকরো আনন্দ। মিতালীদি এখন স্কুলের কিচেন স্টাফ। তবে উত্তরটি আমার না দেওয়ার কথা ছিল, হা হা হা।
আর ক্ষমাপ্রার্থী এমন কেন ভাবছেন!! শরীর সমস্ত কিছুর উর্ধে। আপনাকে যে দীর্ঘদিন প্রচন্ড মিস করেছি তার মধ্যে আজ যে পেলাম এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আপনি আগের মতো সপ্রতিভ হয়ে ফিরে আসুন - কামনা করি।
অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় মন্ডলভাইকে।
১৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১১
ঢাবিয়ান বলেছেন: গ্রামে গঞ্জে আমাদের দেশে মেয়েরা এখনো প্রায়ই এমন পৈশাচিকতার শিকার হয়, কিন্ত কখনো বিচার হয় না। ধর্ষকদের না ধরে ধর্শিতাকে উলটো আইনী মারপ্যচের মাঝে ফেলা হয়। কিছুই যে বলার নাই কারন ক্ষমতা যে এখন ধর্ষকের হাতে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ানভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। হ্যাঁ গ্রামে গঞ্জে এখনো হাজারো মেয়ে এমন পৈশাচিক ঘটনার শিকার হয়। আর সব ক্ষেত্রেই দর্শকদের বাড়াবাড়ি। সঙ্গে মাথার উপর রাজনীতিবিদদের হাত থাকলে তো পোয়াবারো। কাজেই ধর্ষক বা ধর্ষিতাকে উল্টে আইনের প্যাচে ফেলা হয়। বিভিন্ন হবে তার পরিবারকে হুমকি বা অবরোধের সম্মুখীন হতে হয়। ফলে এমন নির্যাতিতারা একসময় নিজেদেরকেই নিঃশেষ করে ফেলে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ঢাবিয়ানভাইকে।
১৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন,
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে কল্পনাও করিনি...খুব কষ্ট পেলাম গল্প পাঠ করে। যদিও আপনি আমাকে লাস্ট পোস্টের মন্তব্যে কিছুটা আন্দাজ দিয়েছিলেন। তবে এটা এতই ভয়াবহ হবে বুঝিনি। আমি খুবই সংবেদনশীল পাঠক। এই লেখা নিয়ে আর কিছু বলার ইচ্ছে করছে না। মন খুব খারাপ হয়ে গেছে। এরা জানোয়ারের চেয়েও অধম।
শুভ কামনা রইল।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীল আকাশভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত । হ্যাঁ ঠিকই তো ! এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে এতো যে কেউ কল্পনাও করতে পারে না। শেষ পোস্টে আপনার কমেন্টের প্রতিমন্তব্যটি এখনো মনে আছে জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। যেখানে সামান্য হলেও একটি আভাস দেওয়া হয়েছিল। আর আপনি খুবই সংবেদনশীল পাঠক , লেখকও বটে ; কারণ আপনার লেখাতে তো তেমনই নিদর্শন পাই । অনাকাঙ্ক্ষিত মন খারাপ করানোর জন্য আমিও খুব দুঃখিত । মানবতার জয় হোক ; হিংসা-বিদ্বেষ আমাদের মন থেকে দূর হোক ।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল আমার অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
২০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
প্রিয় প্রিয়
প্রতি বারই পেছনে পরি । এবার ও পরলাম ।
যাইহোক কেমন আছেন? আশা করি ভাল । অনেক দিন এসে ঘুরে ফিয়েছি ।
এবারের পর তেমন জমজমাট না হলেও খারাপ হয়নি । তবে এখানে শুধু বর্ননা এসেছে । আদিবাসীরা এত নিষ্ঠুর মনে হয় না । তবে যদি গল্পের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে সেটা আলাদা । আমার কাছে আদিবাসিরা অনেক সরল জীবনের অধিকারী বলে মনে হয় ।
ভাল থাকবেন ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় অপুভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত।আপনি এবার ওর পিছনে পড়েছেন বলে দাবি করছেন এটা কোন ব্যাপারই নয় সময় কমেন্ট করার মত সময় আমার হাতে থাকে না। এই যেমন আপনার শেষ পোস্টে আমি এখনো কমেন্ট করতে পারেনি । কিন্তু পোস্টটি আমার পড়াও হয়ে গেছে। আজ কোন এক সময় ওই পোস্টে কমেন্ট করে আসবো।
গত 10-12 দিন প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম । তবে এই মুহুর্তে একটু ব্যস্ততার অবসান ঘটেছে যে কারণে আবার ব্লগে একটু সময় দিতে পারছি। আশা করি আপনিও খুব ভালো আছেন।
এবারের পর্ব অতটা ভালো না হলেও বর্ণনা ভালো হয়েছে । যদিও উপজাতিরা সব সময় যে খুব নিষ্ঠুর তা কিন্তু নয়। মোটের উপর ওরা ভীষণ সরলই বৈকি। তবে কখনো কখনো ওদের হিংস্রতা সভ্যতার ভয়াবহকেও হার মানায়।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সতত ।
২১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৪
নীলপরি বলেছেন: এবারেও আগে পড়ে গেছি ।
আর এই পর্বটাও ভালো লেগেছে । বাস্তবের রঙে ভিজিয়ে প্রতিটা পর্বকে এতো সুন্দর করে আঁকছেন যে পাঠক বিমুগ্ধ হয়ে যাচ্ছে ।
++++++
আর একটা কথা বলতে চাই । অনেকে ব্লগে ঠিকঠাক গল্প নাকি খুঁজে পান না । তাঁদের বলতে চাই যে এতো গুলো পর্ব লেখা এবং পাঠকদের ( অবশ্যই বড় সংখ্যক ) কৌতুহল ধরে রাখা এক অসামান্য কৃতিত্ব ।
আপনার মতো গুণী লেখকের সাথে একই প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করছি , এটা ভেবে আমার খুবই ভালো লাগছে ।
শুভকামনা
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,
হ্যাঁ গতকাল আপনি একবার এসেছিলেন দেখেছিলাম। পোস্টে লাইক করে চলে যাওয়াতে আপনার উপস্থিতি টের পেয়েছিলাম। পর্বটি আপনার ভালো লাগাতে ও পোস্টে লাইক করাতে ও এতো গুলি প্লাসে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
এমন করে প্রশংসা করলে আমার লজ্জা লাগে না বুঝি। হা হা হা ....
কমেন্ট এর পরের অংশ প্রসঙ্গে আপনার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ সহমত । দুদিন আগে একটি পোস্টে দেখছিলাম ব্লগে কবি সহ অনেকের পোষ্টের মান নিয়ে একজন ব্লগার যাতা ভাবে পোস্ট দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি এগুলোর বিরোধী। নীতিমালা অনুযায়ী যে কেউ নিজেদের অভিব্যক্তি ঘটাতেই পারেন। পাঠককে বেছে নিতে হবে তার মধ্যে কোনটা গ্রহণীয় ও বর্জনীয়। খামোকা কবিদের টেনে এভাবে পথে নামানোটা যথেষ্ট বিড়ম্বনার বটে। তবে এরকম দু এক জন থাকে যারা সর্বদা অন্যের ছিদ্রান্বেষনে ব্যস্ত। প্রতিভা এসবে বাঁধা পায়না। সে ঠিক তার চলার পথ করে নেবে।
আর প্লাটফর্ম শেয়ার প্রসঙ্গে আপনাদের মত গুণী পাঠক/ কবিদের সান্নিধ্য পাওয়াটা আমার বিরাট প্রাপ্তি। আগামীতেও আপনাকে এভাবে পাশে পাব কামনা করি।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় আপুকে।
২২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
নজসু বলেছেন:
অনেকদিন হলো আপনার সাথে আমার যোগাযোগ নেই।
বছরের শুরুতে কি সবাই ব্যস্ত হয়ে যায়?
আমি নিজেই সময়ের সাথে সমন্বয় করতে পারছিনা।
লতিফ ভাইয়ের নিন্দার নরকে শেষ পর্বটা এখনও পাঠ করা হয়ে উঠলো না।
মরীচিকাও এসে গেলো।
সময় করে আসবো। আসতে যে হবেই।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,
হ্যাঁ ! অনেকদিন হল আপনার সঙ্গে আমার তেমন যোগাযোগ নেই। আমি বাড়ি বদল এর কারণে নতুন জায়গায় শেভ করার জন্য ব্লগে মাঝে ভীষণ অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম। তবে নতুন বছরে অবশ্য আপনাকেও দেখেছি বেশ অনুপস্থিত থাকতে। ব্যস্ততা নিশ্চয়ই কোন এক সময় কাটবে। সময়ের সঙ্গে সমন্বয় নিশ্চয়ই আপনার একসময় গড়ে উঠবে।
লতিফ ভাইয়ের নিন্দার নরককেও নিশ্চয়ই সময় করে ঢুকবেন এবং মন্তব্য করবেন। আমিও গিয়ে আপনার মন্তব্য দেখে আসব।
ঠিক যে কারণে মরীচিকাও আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলো।
আপনার সময়ের অপেক্ষায় রইলাম ....
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৪
মাহের ইসলাম বলেছেন: দাদা,
কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পরেছি, আবার।
যাকগে, লগ ইন করেই আপনার ব্লগে এসে পেয়ে গেলাম, যা খুঁজতে এখানে আসা।
সত্যি বলতে কি, আপনার বিচারের ব্যাপারটা আমাকে একটুও শিহরিত করেনি। এমন হওয়ার কারণ, আপনি নন; বরং আমি নিজেই। আমার কাছে ব্যাপারটা তেমন অস্বাভাবিক মনে হয়নি।
যদি বলি, এই ধরনের বিচার ব্যবস্থা এখনো চলমান আছে !! তাহলে কি অবাক হবেন? হয়ত হবেন, আবার নাও হতে পারেন।
আপনার এবারের পর্বটি ছোট হয়ে গেল, অন্তত আমাদের অপেক্ষার প্রহরের বিবেচনায়।
তবে, বলাই বাহুল্য, লেখার ধাঁর এবং সৌন্দর্য একটুও কম হয়নি।
শুভ কামনা রইল।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহেরভাই,
বরাবরের মতোই আপনার আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম । ব্যস্ততার জন্য হয়তো কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন। তবে তার মধ্যেও আমার পোষ্টের জন্য আপনি লগইন করেছেন ; এটা আমার পরম প্রাপ্তি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আর সালিশে বিচার ব্যবস্থায় আপনি শিওর হতে হননি না হওয়ারই কথা। কারণ বিষয়টি সঙ্গে যারা পরিচিত তাদের কাছে এ ধরনের বিচার ব্যবস্থার নতুন কিছু নয়। সমাজে এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনও হাজারো ঘটনা ঘটে চলেছে; যেখানে আমাদের অসহায় দর্শক হওয়া ছাড়া আর তেমন কিছু করার থাকে না । কাজেই এমন ঘটনা তবে কাছে অপ্রত্যাশিত নয়।।
আপনি দ্বিতীয় মন্তব্যদাতা যিনি পর্বের সাইজ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ইতিপূর্বে আমি পবিত্রভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে বলেছি যে সালিশে বিচার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করেই পর্বটিকে তৈরি করেছি। একটি নরকীয় ঘটনাকে বর্ণনা করতে গিয়ে আকারের সঙ্গে আপোস করা আরকি।
আর লেখার ধার ও সৌন্দর্য নিয়ে আপনার মতামত অন্তরের অন্তঃস্থলে তোলা রইলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৭
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: কেমন আছেন ভাই?
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি । আর এখন অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। কোথায় যে হারিয়ে গেলেন মাঝখানে কোন খোঁজ খবর নাই । আশা করি এখন থেকে আবার নিয়মিত হবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় মেহেদীভাইকে।
২৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
আরোগ্য বলেছেন: ব্লগে সবচেয়ে প্রিয় ভাইটিকে জানাতে এলাম, আলহামদুলিল্লাহ আম্মু এখন অনেকটা স্বাভাবিক।
একমাত্র আপনার সাথেই পারিবারিক ব্যাপারে কথা বলি। সময় সুযোগ করে আমার প্রিয় ভাইটির সাথে আরও কথা বলবো। এভাবে ব্লগে এসে একজন ভাই পাবো জানলে আগেই আসতাম।
আচ্ছা বাবা মেঘ এবার কোন ক্লাসে উঠলো? আশাকরি সবাই ভালো আছেন।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় ছোট্টভাইটি,
আন্টির সুস্থতার খবরে আলহামদুলিল্লাহ ভীষণ খুশি হলাম । ওনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। আন্টিকে আমার সালাম পৌঁছে দেবে । সেইসঙ্গে বাড়ির বড়দের প্রতিও রইলো আমার বিনম্র শ্রদ্ধা আর ছোটদের প্রতি রইল অন্তরের ভালোবাসা। পাশাপাশি এখন থেকে আর আপনি নয়; অ্যাড্রেসিং এ ' তুমি' বললে বেশি খুশি হব যেমন আর এক ছোটভাই রাকু বলে থাকে ।
হা হা হা ব্লগে বড় ভাইকে পেয়ে খুশি হয়েছ । আমিও যে ছোট ভাইকে পেয়ে আত্মহারা হলাম। তবে কোন পরিস্থিতিতে কি হয় সেটা যে সব সময় বলে হয় না। আমাদের এই সম্পর্কের জন্য ব্লগকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। বেঁচে থাকুক সামু ; তৈরি হোক আমাদের মতো আরও অনেক আত্মার সম্পর্ক।
মেঘ বাবা দিল্লি বোর্ডের স্কুলে পড়ে। ওদের এপ্রিলে সেশন শুরু হয়। সামনের এপ্রিলে ও ক্লাস ফোরে উঠবে। 2019 সাল মানে আমাকে আবার নতুন উদ্যমে বাড়ি করতে হবে । কাজেই আমাকে এই বছরে বাড়ি করার জন্য প্রচন্ড ব্যস্ত থাকবো । সদ্য কেনা জমির বি এল আর ও অফিস ও পৌরসভাতে নামপত্তনের জন্য অ্যাপ্লিকেশন করেছি। এগুলি মিটলে পৌরসভায় প্লান পাশের অ্যাপ্লিকেশন করতে হবে। তারপরেই বাড়িতে হাত দিতে পারব। আজ অনেক গল্প হল তোমার সঙ্গে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা আমার প্রিয় ছোট্টভাইটিকে।
২৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরুজি,
জাত-পাত, কালো-ধলো, ছোটলোক-বড়লোক, ধনী-গরীব; এই বৈষম্যগুলো আমাদের সমাজকে কলঙ্কিত করছে এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও। মোঘলদের আগমনেরও আগে থেকে এই জাত-পাতের উৎপাত থাকলেও মূলত, মুঘল আর ইংরেজ আমলে তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এটি শুধু যে আমাদের উপমহাদেশীয় সমস্যা তা কিন্তু না; এটি বৈষয়িক সমস্যা। পৃথিবীর শিক্ষিত আর সিভিলাইজ দেশগুলো নিজেদের বোধ আর কঠোর আইনের বিধান করে সমাজ থেকে এগুলে বিদায় করছে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের উপমহাদেশে তা এখনো রীতিমত বিভীষিকার মত তাবু গেড়ে এখনো তা ঠিকে আছে। মানুষের মৌলিক অধিকার, সুশাসন, সুশিক্ষা, পারষ্পরিক সম্মান, ধর্মীয় ও সামাজিক শৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় কঠোর আইন আর মানুষকে মানুষ হিসেবে মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি না থাকলে সমাজ থেকে এগুলো ঝেটিয়ে বিদায় করা সম্ভব নয়।
মিতালীদি আর উনার পরিবারের সাথে যা ঘটেছে তা বর্বরতা ছাড়া কিছুই না। এটা ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস। সমাজে মানুষে মানুষে পারষ্পরিক সম্মানবোেধ থাকলে এমনটি হওয়ার কথা নয়। এছাড়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা চরম। রাষ্ট্র যদি এসব অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তির দিত তাহলে এরা বারবার এগুলো রিপিট করতে হিসেব করতো।
গুরুজি, দেরীতে কমেন্টে আসায় ক্ষমাপ্রার্থী। ভাল থাকুন, প্রিয় ভাই/ প্রিয় লেখক/ প্রিয় গুরু।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,
কত্তদিন পরে আপনাকে পেলাম। আশা করি আপনার ব্যস্ততার একটু অবসান ঘটেছে। আপনার সুন্দর কমেন্টেটির ফলে পোস্টটির জৌলুস বহুগুণ বৃদ্ধি পেল।
হ্যাঁ ঠিকই তো ! জাত -পাত ,কালো -, ছোটলোক- বড়লোক ,ধনী-গরীব; এই বৈষম্য গুলি আমাদের সমাজকে কলঙ্কিত করছে এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও। মুঘলদের আগমনেরও আগে থেকে এই জাতপাতের উৎপাত থাকলেও মূলত, মুঘল আর ইংরেজ আমলে তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এটি শুধু যে আমাদের উপমহাদেশীয় সমস্যা তা কিন্তু না ; এটি বৈষয়িক সমস্যা। পৃথিবীর শিক্ষিত আর সিভিলাইজ দেশগুলো নিজেদের বোধ আর কঠোর আইনের বিধান করে সমাজ থেকে এগুলো বিদায় করছে। " সম্পূর্ণ সহমত আপনার সঙ্গে।।
" কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের উপমহাদেশে তা এখনো রীতিমতো বিভীষিকার মতো তাঁবু গেড়ে এখনো তার টিকে আছে। মানুষের মৌলিক অধিকার সুশাসন সুশিক্ষা পারস্পরিক সম্মান ধর্মীয় ও সামাজিক শৃঙ্খলা রাষ্ট্রীয় কঠোর আইন আর মানুষকে মানুষ হিসাবে মেনে নেওয়া সংস্কৃতি না থাকলেসমাজ থেকে এগুলি ঝেটিয়ে বিদায় করা সম্ভব নয়। " সুন্দর অবজারভেশন ! এই না হলে গুরুদেবে!
ডলি দি আর ওনার পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে তা সভ্যসমাজের কলঙ্ক ; মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও যা হার মানায়। এমন সন্ত্রাস সমাজে এখনো আকছার ঘটছে অথচ রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বিকার। ফলে অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরছে । আর নিগৃহীতা বহু ক্ষেত্রে নিজের জীবনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কাজেই আজও সমান প্রাসঙ্গিক কবির সেই কথা, " বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। "
ও ! আপনি দেরিতে আসার জন্য ক্ষমা চাইছেন। তা বটে ! তবে আমি যে আপনাকে পেয়ে আত্মহারা হয়ে গেছিলাম । কাজেই মনে ছিল না যে আপনাকে কত্তদিন পরে পেলাম । হা হা হা ....
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় গুরুদেবকে।
২৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
হাবিব বলেছেন: কেমন আছেন প্রিয় ভাই??
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিবভাই ,
খোঁজ নিতে আসাতে আনন্দ পেলাম। হ্যাঁ উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছি। আশাকরি আপনিও খুব ভালো আছেন।
আপনি ও আপনার পরিবারের উপর শুভকামনা সতত।
২৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫
হাবিব বলেছেন: মহান সৃষ্টি কর্তা ভালো রেখেছেন..
আপনার সাথে কথা বলতে মন চাইলো, তাই একটু খোঁজ নিলাম
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ ভীষণ খুশি হলাম হাবিব ভাইয়ের এভাবে খোঁজ নিতে আসাতে।
আপনি আর গল্প লিখছেন না ? আপনার মেইলে তো আর আর পাচ্ছি না।
আপনি ও আপনার পরিবারের উপর মহান সৃষ্টিকর্তার করুণা বর্ষিত হোক কামনা করি।
২৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০০
নজসু বলেছেন:
আমার হৃদয়াত্মা।
আশা করি ভালো আছেন।
আপনার অবশ্যই মনে আছে মরীচিকা ১৩ তম পর্ব পাঠে আমার কোন মতামত ছিলোনা।
কেন ছিলো না তা আপনি অনুমান করেছেন। পর্বের নিচে আপনার বিশেষ দ্রষ্টব্যটি না থাকলেও আমি ঐ পর্বটির বিষয়ে কোন কথা বলতাম না। কিন্তু
আজকে ১৪ তম পর্বে এসে পূর্বের পর্বের কিছু অংশ টানতে হচ্ছে।
বিগত পর্বে মিতালীদির শরীরের যে বিবরণ পাঠ করেছি তাতে যে কোন পুরুষের মাথা খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। সুন্দর, সৌন্দর্য মহান সৃষ্টিকর্তার এক অপূর্ব উপহার। কিন্তু সেটাকে যথাযথভাবে প্রদর্শণ করতে হবে। মিতালীদি যেভাবে হেলেদুলে অঙ্গ দুলে চলাফেরা করতেন তাতে তিনি কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষের ক্ষতিই করেননি। নিজেরও সর্বনাশ ডেকে এনেছেন।
আপনার ঐ পর্বটা থেকে মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। মিতালীদি যদি সবার সাথে রং ঢং না করে না চলতেন তাহলে হয়তো এই নিষ্ঠুর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না।
আপনি বা বকুল যদি তার থেকে বয়সে বড় হতেন তাহলে তিনি আপনাদেরকেও নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাতেন মনে হয়।
যে মেয়েরা অশ্লীল পোশাক পরে তারাই পুরুষদের অশ্লীল আচরণের শিকার হয়। হতে পারে যে নারী তার শরীরের বিভিন্ন অংশ অশ্লীলভাবে প্রদর্শন করছে সে তা পুরুষদের উত্তেজিত করে তার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই করছে।
পরবর্তী জীবনে চার আনা বাদাম তার জীবনে চার মাসের বোঝা এনে দেয়। দুঃখজনক।
যাইহোক দিদিকে আর বাজে কথা শোনাতে চাইনা। এতো কিছুর পরেও তার জন্য বুকের কোণায় একটা চিনচিনে ব্যথা অনুভব করছি।
যতো কিছুই হোক। তাই বলে এতোটা অন্যায় তার সাথে করা ঠিক হয়নি। যে তরুণের কারণে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হলো সেই তরুণই বিচার ছাড়া মুক্তি পেয়ে গেলো। অমানবিক বিচার ব্যবস্থা।
বড় নিষ্ঠুরতা ঘটলো তো আরও পরে। পরিবারের সবাই হেনস্থা, নির্যাতিত হলো।
পশুর মতো আচরণ চললো মিতালীদির উপর। এটা কি ধরণের বিচার?
১৩ পর্বে মিতালীদিকে আমার খুব খারাপ মনে হয়েছিলো। ১৪ পর্বে এসে তার জন্য একটা মায়া তৈরি হলো।
নতুন করে না জানি কি বিপদ অপেক্ষা করছে তার জন্য।
১৫ তম পর্বে খোলাশা হবে আশা করি।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,
হা হা হা আপনার কমেন্ট তো শুধু কমেন্ট নয় ; মনে হচ্ছে যেন প্যাট্রিক মিসাইল ! এমন কমেন্টে যেকোনো লেখক উড়েও যেতে পারে আবার ভালোবাসার সাগরে আপ্লুতও হতে পারে। একটা পোস্টকে কত সুন্দর করে পড়লে কেবল এমন মন্তব্য করা সম্ভব !!! এবার আসি পোস্ট প্রসঙ্গে,
হ্যাঁ ! আমার বিলক্ষণ মনে আছে যে মরীচিকা 13 পর্বে আপনার কমেন্ট ছিল অথচ সেই অর্থে ছিল না। অনুমান একটা করেছিলাম। সব পোস্ট সব সময় পাঠকের মনের মত হয় না ; তা সে ভাষার কারণে হোক বা পোস্টের গুণগতমান সে দিক দিয়ে হোক বা চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে অপারগতা প্রভৃতি কারণে হতে পারে। আজ আপনি বলাতে অবশ্য বিষয়টি পরিষ্কার হলো।
মিতালীদি , বর্তমান সমাজ পরিবেশ ও লেখক সম্পর্কে আপনার সুমধুর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। গল্প বা কবিতা পাঠের সঙ্গে সঙ্গে পাঠক মাত্রই তার নিজস্ব চিন্তা চেতনার জগতের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করবে । আর তখনই গল্প পরিশীলিত হবে ; পাবে ভাবনার ব্যাপকতা । হাজার কষ্টের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত যে মিতালীদির জন্য আপনার বুকের মধ্যে চিন চিন করছে; এতেই আমি খুশি হলাম । আর যাই হোক সর্বোপরি আমরা তো মানুষ। কাজেই যেখানে মানবিকতার বিপন্ন হয় সেটাই বা মানি কেমন করে। সমাজের রক্ত চক্ষুর কাছে এমন মিতালীরা বিচার নাই বা পেতে পারে। কিন্তু দেশের আইন আদালতের কাছেও যদি তারা আশ্রয় না পায় তাহলে সময়টা একাবিংশ শতক না হয়ে ত্রয়োদশ বা চতুর্দশ শতক ভাবনাটাই কাম্য।
আর তরুণ তো পৌন্ড্র সম্প্রদায়ের। কম্মুনিটি ফিলিংসটা আদিবাসীদের অত্যন্ত বেশি। পাশাপাশি বসবাসরত অন্যান্য হিন্দু বা মুসলিমরা ওদের মতো এতো সংহতিপূর্ণ নয়। এই সংহতি বোধই ওদের বিচার ব্যবস্থার প্রধান অস্ত্র। ওরা যে কারণে অন্য সমাজের প্রতি একেবারেই মাথা ঘামায় না; আর অন্য সাম্প্রদায়িক নেতারা বা রাজনীতির কারবারিরাও ওদের ব্যাপারে মাথা ঘামায় না। আদিবাসীদের সম্পত্তি আদিবাসী ভিন্ন অপর কেও কিনতেও পারে না। সরকার আদিবাসীদের জন্য এতটা সেন্সেটিভ ।
পর্ব 13 তে মিতালীদিকে খুব খারাপ লেগেছিল। পর্ব 14 তে মিতালীদির জন্য মায়া হলো। আর পর্ব 15 তে নিশ্চয়ই কিছু একটা হবে খোলাশা জাতীয়। হা হা হা ....
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় নজসুভাইকে।
৩০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩১
রাকু হাসান বলেছেন:
নজসু ছেলেটা দারুণ মন্তব্য করে ,সরি নজসু ভাই এভাবে বলার জন্য ।
ভাইয়া কিছু একটা লেখার জন্য মন আঁকুপাকু করছে কিন্তু হয়ে উঠছে না । । কথা নেই তেমন তোমাদের সাথে । আছ কেমন ? শুভরাত্রি ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,
উপরওয়ালার কৃপায় আমরা ভালো আছি । আশাকরি তোমরাও ভালো আছো। ভাইয়ার কথা মনে করে এভাবে খোঁজ নেওয়াতে ভীষণ আনন্দ পেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
নজসু ভাই সম্পর্কে তোমার ধারণা একেবারে 100% সঠিক। বিভিন্ন পোস্টে ওনার মন্তব্য দেখে আমিও ভীষণ আপ্লুত হই। এক্কেবারে কমেন্ট মাস্টার যাকে বলে। সেই সঙ্গে ওনার বানান সেন্সটি অসাধারণ ।
কিছু একটা লেখার জন্য মন যখন আঁকুপাঁকু করছে, বেশ তো ! একটা কিছু লিখে ফেলো । তবে যাই দাও পোস্ট কখনো ডিলিট করবেনা । আর পোস্ট কটা লাইক পেল, কমেন্ট পেল বা হিট হবেই - এটাও মনে করে লিখবে না। এগুলি মাথায় থাকলে পোস্ট কখনোই স্বাভাবিক ছন্দ পাবে না।
অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা আমার ছোট্ট ভাইটিকে।
৩১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আমার মন্তব্যের খুব সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা প্রিয় দাদার প্রতিমন্তব্যটা ভালো লেগেছে জেনে মুগ্ধ হলাম ; সঙ্গে রইল ধন্যবাদও। খুব শীঘ্রই মরীচিকার 15 পর্ব দেব বলে আশা রাখি। প্রিয় ছোট ভাইকে আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোটভাইকে।
৩২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৬
নজসু বলেছেন:
প্রিয় রাকু হাসান ভাই আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন।
তাইতো তিনি আমাকে সবসময় উৎসাহ প্রদান করেন।
আমিও উনাকে খুবই ভালোবাসি।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসুভাই,
আমার অত্যন্ত প্রিয় ছোট ভাই রাকুর বন্ধু প্রীতির তুলোনা হয় না। তাই কমেন্ট এর মাধ্যমে বারে বারে তেমনি প্রমাণ পাই। যেমন সম্পর্ক আপনার সঙ্গে। এই মিথস্ক্রিয়া আমাদের সম্পদ। আমরা একে বহন করবো সযতনে। রাকু বা অন্যান্যদের প্রতি আপনার রস বোধে আমি আপ্লুত হই। এমন রসবোধ যুক্ত মন নিয়েই আগামী দিনে এক সম্প্রীতির বাঁধনে সকলকে বেঁধে ফেলুন এই কামনাই করি।
অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা আমার অত্যন্ত প্রিয় নজসুভাইকে।
৩৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি পিলে চমকানো শাস্তিই বটে।
মানুষ নামের মানুষেরা সমাজের নামে, সম্মানের নামে, ধর্মের নামে, বিচারের নামে
এমন অবিচার কি ভাবে করে???
অথচ কোন সত্য ধর্মই মানুষ্যত্বকে মেরে ধর্মের কথা বলেনি।
মানুষের জন্যই সব। অথচ মানুষ নামের মূখোশধারীরা মানুষকেই সবচে বেশী অত্যচারা করে।
দারুন গতিশীলতায়, কাহিনীর ঠাস বুননে, জীবন দর্শনের গভীর প্রজ্ঞায় এগিয়ে চলছে মরীচিকা
+++++++++
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবিভাই,
আপনার মন্তব্যটির না পেলে যেন ঠিক তৃপ্তি মেলে না। যে কারণে মন্তব্যটি পেয়ে অত্যন্ত আনন্দ পেলাম।
হ্যাঁ ! আপনার কথাতেই বলি , পিলে চমকানোর মতো শাস্তিই বটে !!
" মানুষ নামের মানুষেরা সমাজের নামে , সম্মানের নামে, ধর্মের নামে, বিচারের নামে এমন অবিচার " আকছারই করে থাকে। চলতে থাকে বিচারের নামে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, জুলুমের মতন নরকীয় ঘটনা গুলি।
অথচ কোনো সত্য ধর্মই মানুষ মেরে ধর্ম প্রতিষ্ঠার কথা বলেনি। কিন্তু মানুষরূপী ধর্ম কারবারিরা ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করে উৎপীড়ণকে জাস্টিফায়েড করে । আর আমরা অসহায় ভাবে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করি।
পোস্টটি আপনার কাছে গতিশীল মনে হওয়াতে বা ঠাস বুনোট কিংবা জীবন দর্শনের প্রজ্ঞাসম্পন্ন মনে হওয়াতে এবং সঙ্গে এতগুলো প্লাস ও লাইক প্রদানে দারুন অনুপ্রাণিত হলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবিভাইকে।
৩৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: মিতালীর শাস্তিটা অমানুষিক বলা চলে। পরের পর্ব পড়তে গেলাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় প্রামানিকভাই,
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আর শাস্তিটা অমানুষিক শুধু নয় বরং পাশবিক বলা যেতে পারে। পরের পর্বে আমিও আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করতে যাই।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২১
করুণাধারা বলেছেন: বহুদিন পর প্রিয় পোষ্টে এসে ভালো লাগছে!
শুরু করেছিলেন যে গল্প দিয়ে, তার পারিপার্শ্বিক- চরিত্র সবই খুব পরিচিত ছিল; এখন যে চরিত্র আর সমাজের গল্প বলছেন তা আমার একেবারে অপরিচিত। অথচ আপনার উপস্থাপনা এমন যে, অবাস্তব মনে হচ্ছে না একটুকুও। বরং অবাক হয়ে ভাবতে হল, "এমনও হয়!"
কেবলই ++++++++.......
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
যাদেরকে না পেলে পোস্ট অসম্পূর্ণ রয়ে যায় আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। যে কারণে অবশেষে আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম । আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যে আপ্লুত হলাম । পোস্টটিতে like' করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৩৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
সোহানী বলেছেন: নাহ্ এটা পড়িনি.....। বরাবরের মতই ভালোলাগলো। আর এমন সাসপেন্স রাখেন যে পরেরটা পড়ার জন্য মনটা আকুল হয়ে উঠে।
১৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
ব্যক্তিগত অসুবিধা ও ব্লগিং সমস্যার জন্য সময়ে উত্তর দিতে না পারার জন্য দুঃখিত । যদিও আমি অফলাইনে আপনার কমেন্টটি দেখেছিলাম । আপনার ছোট্ট মন্তব্যগুলি বরাবরই প্রেরণাদায়ক। আজও সুন্দর মন্তব্য ও পোস্টটিকে লাইক করাতে অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে ।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
৩৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত লোমহর্ষক (অ)বিচার ব্যবস্থা! ভাগ্যিস, শিক্ষালাভের সাথে সাথে এগুলো এখন অনেকটাই উঠে গেছে!
"মিতালীরা আর যেন না পায় অবিচার
মাথা তুলে যেন তারা প্রতিবাদী হয়,
বিচারের বাণী যেন না কেঁদে মরে
জাগো সব মিতালি পেয়ো নাকো' ভয়!" - হাবিব স্যার এর চমৎকার মন্তব্যের এ অংশটুকু আমারও মনের কথা।
মুক্তা নীল, নীলপরি এবং করুণাধারা এর মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। +
পোস্টে ১৭তম প্লাস + +।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
হ্যাঁ আদিবাসীদের মধ্যে এই বর্বরতা এখনো স্থান বিশেষ আছে। এখনো স্থানে স্থানে ডাইনি সন্দেহে হত্যা সমাজের মধ্যে আকসার ঘটে থাকে। একটি জায়গায় ওদের সমাজের শিক্ষিত ব্যক্তিরাও একেবারেই অসহায়।
পাশাপাশি জানাই আপনার চমৎকার মন্তব্যে আনন্দ পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সঙ্গে সহমত রেখেই বলে হ্যাঁ ঠিকই তো, বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে। মানুষের মধ্যে সুকুমার প্রবৃত্তি জাগ্রত হোক। বর্বরতা আমাদের মন থেকে দূরে সরে যাক। মিতালী না যেন সব সমাজে যোগ্য সম্মান পেয়ে থাকে।
মন্তব্য প্রসঙ্গে যাদের নাম উল্লেখ করলেন, সহমত আপনার সঙ্গে যে ওনারা অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্য করেছেন। তবে একটা বিষয় দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে@নীলপরি দীর্ঘদিন ব্লগে অনুপস্থিত। জানিনা উনি আবার কবে ব্লগে আসবেন।
আপনার সপ্তদশ লাইক প্রদানে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৩
আরোগ্য বলেছেন: ইয়েস! ইয়েস!