নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
মরীচিকা (পর্ব-২৬)
সেবার বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় পার্বিক পরীক্ষার পর বিদ্যালয়ের সভাপতির নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক এক জরুরী সভা ডাকলেন। ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকে সভাপতির শরীরী ভাষাতে বোঝা যাচ্ছিল যে উনি বিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতির উপর খুব একটা খুশি নন। এমনিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উনি নিজের গাম্ভীর্য বজায় রেখে চলতেন। নিতান্ত প্রয়োজন না পড়লে স্টাফদের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে কথা বলতেন না। সকাল-সন্ধ্যাতে আমাদের প্রত্যাহিক সম্বোধনে কেবল মাথা নেড়ে সম্মতি জানাতেন। ওনাকে কাউকে কোনদিন সুপ্রভাত বা শুভ সন্ধ্যা বলতে শুনিনি। মাঝে মাঝে যখন খোশমেজাজে থাকতেন তখন অবশ্য স্টাফদের প্রতি বেশ আন্তরিক মনে হলেও মোটের উপর গাম্ভীর্যের মধ্যে যেন প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্ক প্রকাশ পেত।
স্টাফ কাউন্সিলের সভায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা-সংক্রান্ত মানোন্নয়নের গুচ্ছ প্রস্তাবের সঙ্গে অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল শিক্ষকদের পাঠদান সম্পর্কে সভাপতির অসন্তোষ প্রকাশ করা। সর্বশেষ পরীক্ষায় শ্রেণী ধরে ছাত্রদের প্রাপ্ত নম্বর ধরে ধরে উনি দেখাতে পারলেন যে শিক্ষকরা পাঠদানের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক নন। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বলে কথা! এলাকার একজন সম্মানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসাবে ওনার বেশ সুনাম আছে। কাজেই ওনার মূল্যায়নকে অযৌক্তিক বলার মত ধৃষ্টতা কারো ছিল বলে মনে হয় না। সেদিনের ওনার আচরণে অন্যান্য অনেকের মতো আমিও বেশ অপমান বোধ করেছিলাম। মিটিংয়ে উনি পরামর্শ দিলেন পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রয়োজনে নিজেরা লিখে দিয়ে সর্বাধিক নম্বর দানের ব্যবস্থা করতে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিদ্যালয়ের বাৎসরিক অভিভাবক সভা আসন্ন।ইতিমধ্যে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি মনোনীত করে আমন্ত্রণপত্র প্রেরণের কাজটি সমাধা হয়ে গেছে। অভিভাবকদের আমন্ত্রণ পর্বটিও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তারই মধ্যে সন্তোষজনক ফলাফল না হলে নির্দিষ্ট দিনে অভিভাবক মিটিং করা যে সম্ভব নয় সে কথা উনি আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়েও দিলেন। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রেসিডেন্ট সাহেবের মনোভাবটি আমাদেরকে জানিয়ে দিলেন।
সভাপতির নির্দেশ অনুসারে অভিভাবক মিটিংকে সামনে রেখে রাত জেগে ছাত্রদের লেখা উত্তরপত্র গুলো প্রয়োজনে বাম হাত দিয়ে স্থানে স্থানে লিখে যতটা সম্ভব সঠিক করার ও নম্বর দানের ব্যবস্থা করা হয়। লক্ষ্য ছিল সর্বাধিক নম্বর প্রদান করা ।কয়েকজন ছাত্র আশাতিরিক্ত নম্বর বৃদ্ধিতে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। তবে বেশিরভাগই পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরে অত্যধিক উৎফুল্ল হওয়ায় বাকিদের সন্দেহের চিন্তা ঢাকা পড়ে যায়। মাত্র কদিনেই ছাত্রদের এরূপ মানোন্নয়নে সভাপতি অত্যন্ত খুশি হলেন। সভার উদ্বোধনী ভাষণে উনি উল্লেখ করলেন সে কথা। ইচ্ছা থাকলেও অত্যন্ত পরিশীলতার মধ্যে যাওয়ার কারণে শিক্ষকদের আশানুরূপ বেতন দিতে না পারায় যারপরনাই দুঃখিত কিছুটা ব্যথিত অনুভূতির কথাও প্রকাশ করলেন । সামান্য বেতনেও শিক্ষকরা যে নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদেরকে উজাড় করে দেশ ও জাতি গঠনের কারিগর হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন এজন্য বারেবারে ধন্যবাদ দিতেও কুন্ঠিত হলেন না। উনি আরো উল্লেখ করলেন ভুখাপেটে কখনোই লেখাপড়া হয় না, তেমনি হয় না পাঠদানের মত পবিত্র কর্মও। শিক্ষকদের পেটে যথেষ্ট খিদে আছে। একটি সম্মানীয় বেতন কাঠামো দিয়ে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান না দেওয়া পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত বিচলিত। বিদ্যালয়ের ফান্ডের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধিতে উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি সহযোগিতার আহ্বান জানালেন। কয়েকজন অভিভাবক অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে ওনার আবেদনে সাড়া দিলেন। সভাস্থল থেকেই বেশ কিছু ডোনেশন আদায়ের প্রতিশ্রুতি আদায় করলেন। বেশ কিছু কমিটি গঠিত হলো। যে কমিটিগুলোর মাথায় বিভিন্ন অভিভাবকদের বসিয়ে দিলেন। গঠিত হলো ছাত্রকল্যাণ তহবিল। দুঃস্থ অথচ মেধাবী ছাত্রদের বিনামূল্যে পাঠদানের ব্যবস্থার কথা ফলাও করে ঘোষণা করলেন। সেদিনে এরকম একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপন ম্যানেজমেন্টের চিত্রটি আমার কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিল।
সভাস্থলের কয়েকজন অভিভাবককে দেখলাম বিজ্ঞান ও ইংরেজি শিক্ষকদের প্রতি বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করতে। আর হবে নাই বা কেন। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে নিজেদের সন্তানদের এমন চোখ ধাঁধানো উন্নতিতে শুধু ওনাদের বলে নয় যে কোন মানুষের চোখ যে কপালে উঠতে বাধ্য।কিন্তু আমি যে মানসিকভাবে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েগেলাম। এমন মিথ্যা বিজ্ঞাপনে শামিল হওয়াতে নিজের অপরাধবোধের মাত্রাটি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেল। প্রচন্ড অসহায় লাগছিলো সভাস্থলে মিথ্যার বেসাতির মধ্যে নিজের ঠিক করণীয় কি- সেটি ভেবে। তবে একজন অভিভাবকও আমার বিষয়ের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ না করাতে কিছুটা সান্ত্বনা পেয়েছিলাম। পরে বুঝেছিলাম যে প্রত্যেক বছর দ্বিতীয় পার্বিক পরীক্ষার পর অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশে বিদ্যালয়ের বিজ্ঞাপন তুলে ধরতে সভাপতি এমনই ব্যবস্থা করে থাকেন। পরে বার্ষিক পরীক্ষার আগে বিদ্যালয়ে পুজোর ছুটি পড়লে, ছাত্ররা যে যার বাড়িতে চলে যায়। দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকার কারণে বা পড়াশোনার ঘাটতি হওয়ার কারণে বার্ষিক পরীক্ষায় নিজেদের যথাযথভাবে তুলে ধরতে অপারগ হলে, অভিভাবকদের আর কিছু বলার থাকে না।
শেফালী ম্যাডামের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক দূর গড়িয়েছে। পূর্বেই উল্লিখিত দূরশিক্ষায় স্নাতকোত্তর করার যুক্তি দেখিয়ে প্রায়ই বেরিয়ে যেতাম। দুজনে একসঙ্গে কখনোই বার হতাম না। সাধারণত দুজনের রওনা হওয়ার মধ্যে আধঘন্টা থেকে চল্লিশ মিনিটের মত গ্যাপ অনুসরণ করতাম। বিদ্যালয় চত্বরে আগের মত আর কথা বলতাম না। অকস্মাৎ সামনে পড়লে যে যার মত পাশ কাটিয়ে চলে যেতাম। উল্লেখ্য বিদ্যালয়ে একে অপরকে এড়িয়ে চলার পরামর্শটি ম্যাডামই দিয়েছিলেন।সুতরাং সহজেই অনুমেয় যৌক্তিকতার কারণে প্রস্তাবটিতে সম্মত না হওয়ার কোন কারণ ছিল না।
বেশ কিছুদিন ডেটিংয়ের পর একটা জিনিস লক্ষ্য করেছিলাম যে ম্যাডামের পছন্দের রং ছিল ব্লু। পেন্সিল আকারের ভুরুদুটি টেনে চোখের কর্নার পর্যন্ত আঁকা থাকত। যা চোখ দুটিকে করে তুলতো অত্যন্ত মায়াবী এবং আকর্ষণীয়। মাথায় একরাশ ঘন কালো চুল ,দুপাশের লক করে কাটা। অতীব ফর্সা মুখশ্রীতে কপালের শোভা পেত ঈষৎ সরু লম্বাটে কৃষ্ণ বর্ণের একটি টিপ যা সমগ্র মুখমন্ডলের শোভা বহুগুণ বাড়িয়ে দিত। ঠোট দুটি আচ্ছাদিত থাকতো হালকা গোলাপি রঙের লিপগার্ডে। নীলের উপরে সুদৃশ্য কারুকার্য করা কুর্তি বা চুরিদার পাঞ্জাবি ছিল ম্যাডামের অন্যতম পছন্দের পোশাক। পছন্দের রংয়ের দিক দিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে সাদৃশ্য ছিল। আমার জিন্সের প্যান্টগুলির বেশিরভাগই ছিল ডিপ ব্লু রংয়ের। একদিন কথা প্রসঙ্গে সে কথা উঠতে ম্যাডাম খুব খুশি হলেন। সেদিনেই আমি ম্যাডামের কাছে পরিচিত হলাম নতুন নাম নীল নামে। ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে এরকম নামকরণে প্রত্যেকেরই বোধহয় শিহরণ জাগে। যেমন খুশির জোয়ারে আমিও তখন গিয়েছিলাম ভেসে। উল্কি দিয়ে আমি শরীরে কোথাও লিখিনি ঠিকই কিন্তু ব্লু রঙ যে হৃদয়ে চিরস্থায়ী আসন পেতে নিয়েছিল তা অস্বীকার করি কি করে। যদিও হৃদয়ের সে রং কেবল একজনকে দেখানোর মধ্যেই পরিতোষ প্রাপ্তি ছিল।
আমরা তখন রীতিমত নাম কাটাকাটি খেলাতে মেতে উঠেছি। আর এর মধ্যে কখন যে 'আপনি' থেকে 'তুমিতে' চলে এসেছি সে বিষয়ে আমাদের কোন হুশ ছিল না। যদিও নামে কি আসে যায়! তবে তার মধ্যে যে প্রেম আছে, আছে নিবেদন যা আমাদেরকে রীতিমতো রোমাঞ্চিত করে তুলেছিল । সে সময় নামই যেন হয়ে উঠেছিল আমাদের প্রেমের সাগরে বিচরণের মাধ্যম। শেফালী নামটিও যে আমার খুব ভালো লাগতো তা নয়। মুখ ফুটে বলতে পারি নি সে কথা কোন দিন। নাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে খেলতেই মনের অজান্তেই আমিও ওনাকে আমার পছন্দের একটি নাম দেই শেলী। খুব উচ্ছ্বসিত হয়েছিল সেদিন, যেদিন নিজের নামের মধ্যেই নিহিত এমন মিষ্টি নামটি প্রথম আমার মুখ থেকে শুনেছিল। এক বাঁধাহীন উচ্ছ্বাসে আমিও নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছিলাম রূপনারায়ণের চরে।
যদিও আমাদের মধ্যে বাঁধা ছিল পাহাড়প্রমাণ। একে অপরের পারিবারিক সমস্যাগুলি সম্ভাব্য মিলনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবুও এক ভালোলাগার আবেশে ডুবে থাকতাম। যেখানে সর্ব প্রকার যুক্তিতর্ক অসম্ভাব্যতা হার মানতো। নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবেও নিত্য নতুন আবিষ্কার করতাম নির্জন স্থানের। হাঁটতাম কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে।সব মানুষের গায়ে একটি নির্দিষ্ট গন্ধ থাকে। শেলীর গায়ের সুঘ্রাণ পার্শ্ববর্তী বাতাসকে সুরভিত করত। আমি প্রাণ ভরে গ্রহণ করতাম তার গায়ের সুবাস। মাদকতা মেশানো ঘ্রাণ যা আমাকে পাগল করে তুলতো। যে ঘ্রাণে ভর করে পৌঁছে যেতাম কোন এক নীল পাহাড়ের চূড়ায়। কোন বাঁধাকে তখন আর অসম্ভব বলে মনে হতো না।
আমরা সিমলা দেখিনি কিংবা দেখিনি ভূস্বর্গ কাশ্মীরও। কিন্তু পেয়েছিলাম সুনীল আকাশের নিচে রূপনারায়ণের দিগন্ত বিস্তৃত চর।যার মধ্যেই আমরা পেয়েছিলাম ভালোবাসার অপার মিলনক্ষেত্র। নদীর ধারে বসে ঢেউ গুনতাম। অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতাম দূর থেকে আগত ছোট বড় মাঝারি বিভিন্ন ঢেউ ও তাদের আস্ফালনের দিকে। কখনোবা জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ মাতিয়ে তুলত আমাদেরকে। নদীর জলের মায়াবী শব্দ হিন্দোলিত করত আমাদের হৃদয়কে। নয়ন ভরে দেখতাম শেলীর আদরমাখা চাহনিতে। মায়াজালে পাড়ি দিতাম দূরে কোন নীল সাগরের দেশে। কখনো বা উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকতাম দূরে উড়ে যাওয়া এক পাল ধবল বকের দিকে।। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেদের সীমাবদ্ধতার কারণে অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকতাম একে অপরের দিকে। কল্পনার জগত ছেড়ে তখন আমাদের যেন আগমন ঘটতো বাস্তবের জগতে। সময়গুলোকে কিছুতেই বশ মানতে পারতাম না। কারণ ততক্ষণে রক্তিমদেব একটু একটু করে পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়তে শুরু করেছে । আমরাও এক প্রকার বাধ্য হতাম অতৃপ্ত মন নিয়ে হাতে হাত ধরে ফেরার রাস্তা ধরতে। পৃথিবীর সুন্দরতম মুহূর্তটা আমাদের এভাবেই কেটে যেত। এদিকে পশ্চিম দিগন্তে রক্তিমদেব তখন ক্রমশ দিগন্ত রেখার দিকে' মিলিয়ে যেতে চলেছে। আমরাও দ্রুত পা বাড়াতাম বাসস্ট্যান্ডের দিকে। ফিরতামও আগ পিছু করে। উদ্দেশ্য ছিল কোন ভাবেই যেন বিদ্যালয়ের কারো সামনে না পড়ি।
শেলীকে আমার কখনো ভাবুক বা কল্পনাপ্রবণ বলে মনে হয় নি। স্বাভাবিক কথাবার্তার মধ্যে চূড়ান্ত ব্যক্তিত্ব শালিনী বা প্রত্যুৎপন্নমতির পরিচয় পেয়েছি বারে বারে। অস্বীকার করবো না যে একবারে প্রথমদিকে ওর হৃদয়ে ভালোবাসা নামক শব্দটির অস্তিত্ব আছে কিনা আমার বেশ সন্দেহ জেগেছিল। আরো পরে স্বাভাবিক আলাপচারিতায় ওর প্রখর ব্যক্তিত্বের পরিচয় পেয়ে ধারণা বদ্ধমূল হয়েছিল।এমন একজন মানুষের কাছাকাছি আসার সুবাদে আবিষ্কার করি মানুষের হৃদয়ের মধ্যেই আছে আরেকটি হৃদয়। আরেকটি প্রকোষ্ঠ যেখানে প্রবেশাধিকার কেবল একজনেরই থাকে।
সেদিন শেলী কথা বলতে বলতে ব্যাগ থেকে রাংতা মোড়া একটি উপহার বার করাতে উৎসুক্য মনে থাকলেও নিজেকে ধরা না দিতে দৃষ্টি আটকে রেখেছিলাম দূরে নদী বক্ষে জেলেদের মাছ ধরার দিকে।
(চলবে....
মরীচিকা (পর্ব-২৪)
১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই,
প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। হাহাহা টাইপো থাকতে পারে। এখনো চেক করার মতো অবস্থায় নেই। আপনাকে বিশেষ বিশেষণের জন্য ধন্যবাদ। তবে এমন একজন অদক্ষ লোককে এমন তকমা দেওয়াই আমি লজ্জিত। হা হা হা .. ...
সুন্দর ও প্লাসে প্রেরণা পেলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
২| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯
হাবিব বলেছেন: বাহ........ অনেকদিন পর মরিচিকা পেলাম
১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমিও আজ আপনাকে তাড়াতাড়ি পেয়ে গেলাম। আপনি বিদেশে চলে গেলে আর তেমন পাবো না বলে একটু দুশ্চিন্তায় আছি। তবুও বৃহত্তর স্বার্থে আপনার বিদেশ যাত্রায় অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা আপনার গোটা পরিবারবর্গকে।
৩| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
অবশ্যই ফিরছি লেখার সময় নিয়ে । মরীচিকা দিয়েছেন তাই খুব খুশি হয়েছি। ভালো থাকুন সবসময়।
১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,
একেবারে প্রথমদিকে উপস্থিতি পেয়ে আনন্দ পেলাম। অস্বীকার করবো না যে আপনাদের জন্যই মরীচিকাকে আবার ফিরিয়ে আনা । আপনি খুশি হয়েছেন জেনে আমিও আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই।
পূর্ণাঙ্গ কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
৪| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সবগুলো পর্ব না পড়াতে পড়তে কিছুটা ঝামেলাই হলো
অনেক স্কুলই এমন করে করে ছাত্রদের বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছে।
শেষের পর্ব প্রেমঘটিত ভালো লাগলো অনেক
১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,
বেশ কিছুদিন পর আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম।সহমত আপনার সঙ্গে যে এরকম ধারাবাহিকে কিছুটা মিস করলে নতুন করে ফিরে পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে অনুরোধ রইলো যদি সময় থাকে তাহলে পুরোনো দু একটি পোস্ট পড়ার।
বেসরকারি স্কুলগুলোর মিথ্যা বিজ্ঞাপন জেনারেশনকে যে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা অস্বীকার করার উপায় নাই।
একেবারে শেষে বিশেষ ভালো লাগাতে পুলকিত হলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
৫| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
আরোগ্য বলেছেন: মরীচিকার মাস্টারদার ক্লাসে বিলম্বে আগমনের জন্য আমি দুঃখিত।
১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহা এমন দুঃখে যে শান্তি পাওয়া যায়।
পোস্টে প্লাস দেওয়াতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই।
পূর্ণাঙ্গ কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা রইল।
৬| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ল বলেছেন: এভাবেই শিক্ষা ব্যবস্হার আধুনিক হালহকিকত।
শিক্ষককে ছাত্রের ভূমিকায় নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানোয় জাতি আজ ভূলুণ্ঠিত, কলঙ্কিত, পঙ্কিলিত।।।
ডাকযোগে স্নাতকোত্তর কি দূর শিক্ষা বা অনলাইন বলতে চেয়েছেন??
কোন টাইপো নাই শুধু উফ এততত চমৎকার,, উফ।।।
চলুক।।।।।
ধন্যবাদ প্রিয় দাদা ভাই।।।
১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,
হ্যাঁ! যথার্থই বলেছেন, এই হল শিক্ষাব্যবস্থার হাল হকিকত। সহমত আপনার সঙ্গে যে আজ শিক্ষাব্যবস্থা চূড়ান্ত নৈরাজ্যের মধ্যে অতিবাহিত। কাজেই ভূলুণ্ঠিত কলঙ্কিত বা পঙ্কিলিত যে অভিধায় অভিযুক্ত করুন না কেন তা সবৈব সত্য।
আপনি বলার পর বিষয়টি ঠিক করে দিয়েছি।আসলে ডাকযোগ বলে বলা হলেও মূল কোর্সটি ডিসটেন্স এডুকেশন বা দূর শিক্ষা বলেই পরিচিত। বিভিন্ন কলেজে কিছু স্টাডি সেন্টার থাকলেও রেগুলেট করা হয় কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিল্ডিং থেকে।
তাড়াহুড়ার কারণে কিছু টাইপো ছিল। হয়তো আপনার চোখে পড়েনি।গতকাল রাতে আমি সেগুলো ধরে ধরে ঠিক করে দিয়েছি। যে কারণে কোন কমেন্টের প্রতি মন্তব্য করার সময় করে উঠতে পারেনি। এজন্য আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
আপনার দুই অক্ষরের আন্তরিক অভিব্যক্তিতে চমৎকৃত হলাম। সঙ্গে পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৭| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিনা নোটিশে মামা বাড়ী বেড়াতে যাবার আনন্দ হলো গো দাদা
না চাইতেই জলের খুশি
ফটিক জল ফটিজ জল বলা চাতক জানে
এক বুদে জলে কত তৃপ্তি
হা হা হা
+++++++++
১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।গতকাল পোস্টটি তাড়াহুড়ো করে দেওয়ার জন্য বেশ কিছু টাইপো থাকার আশংকা ছিল। রাতের দিকে সময় পেয়ে সেগুলো ঠিক করতেই আর প্রতি ষমন্তব্য দেওয়ার সময় করে উঠতে পারিনি।
হাহাহা আপনার আন্তরিক মন্তব্যের প্রীত হলাম। মরীচিকা পেয়ে সত্যিই যদি মামার বাড়ি যাওয়ার আনন্দ পেয়ে থাকেন তার জন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি।
যথার্থই বলেছেন, 'না চাইতে জলের খুশি
ফটিক জল ফটিজ জল বলা চাতক জানে
এক বুদে জলে কত তৃপ্তি।"
হা হা হা.....
পোস্টে এত্ত গুলো প্লাসে ও লাইক দেওয়াতে অনুপ্রেরণা পেলাম । কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
৮| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: মনটা খারাপ ছিল আপনার গল্পটা পড়ে ভালো হয়ে গেল
১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পবিত্র ভাই,
বেশ কিছুদিন পর আপনাকে পেলাম। গল্পটি পড়ে যে আপনার মন ভালো হয়েছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
৯| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
আরোগ্য বলেছেন: একি ভাইটি,
একেতো এতদিন পর মরীচিকা তার উপর আবার এতটুকু লেখা। শব্দের ব্যাপারে বেশ কিপটে হয়ে গেছো দেখছি। না না মরীচিকা নিয়ে কোন কিপ্টামি চলবে না বলে দিচ্ছি।
পরীক্ষার খাতায় এরকম দূর্ণীতির কথা শুনে তেমন অবাক হইনি। শুনেছি আমাদের এখানেও এসএসসির খাতায় লিখে দেয়ার নির্দেশ আছে। তাই তো এতো এ প্লাসের ছড়াছড়ি। ভাগ্যিশ আমার সময় এমন কিছু হয় নি। এ প্লাস না পেয়ে মনটা ভীষণ খারাপ ছিল কিন্তু এখন বুঝি যা পেয়েছি নিজ যোগ্যতায় পেয়েছি। তাছাড়া রেজাল্ট সবসময় মেধার মান যাচাই করতে পারে না। আশা করি শিক্ষক ও অভিভাবকগণ রেজাল্টের চেয়ে মেধার বিকাশে অধিক যত্নবান হবে।
বহুদিন পর শেফালী ম্যাডামের দর্শন পেলাম। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শেলী নাম দিয়েছো, শেফা নাম দাওনি বলে। প্রেম কাহিনি তো ভালোই এগোচ্ছে তবে ম্যাডামের মাঝে তেমন গভীরতা উপলব্ধি করলাম না। মাস্টারদা তো পুরাই হাবুডুবু খাচ্ছে। একটু সাবধানে, সাঁতার জানা আছে তো মশাই?
দেখি উপহার কি আছে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভ কামনা।
ও হ্যাঁ, ভুলেই যাই জিজ্ঞেস করতে তোমার বাড়ির খবর কি? কাজ কতদূর?
১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,
তোমার বহুমুখী মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ তোমাকে। ইতিমধ্যে অনেক গুলিদিন হয়তো অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু মরীচিকার এই পর্বের আকারটা নেহাত খুব ছোট নয়। হাজার/১১০০ শব্দ তো হবেই। আবার তার বেশি বড় হয়ে গেলে অনেক পাঠকের ধৈর্যচ্যুতির সম্ভাবনা থাকে। কাজেই পাঠকের মনের চাহিদা বিষয়টি মাথায় রাখতেই হয়। তোমরা যারা আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসো তাদের কাছে অবশ্য এরকম পোস্ট একটু কৃপণ লাগাটা স্বাভাবিক। আমি এজন্য তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তা সত্ত্বেও সব শ্রেণীর পাঠকের কথা ভেবে পোস্টের আকার এরকম মধ্যম মানের রাখার সিদ্ধান্ত।
পরীক্ষার খাতায় এরকম মিথ্যাচারের আশ্রয় নেওয়াটা তোমার কাছে পরিচিত লাগলেও ব্লগে কারোর না কারোর কাছে সেটা অজ্ঞাত হবে এমনটাই স্বাভাবিক। তুমি ভাগ্যবান যে রকম মিথ্যাচারীতার মধ্যে কোন স্টেজে তোমাকে পড়তে হয়নি। কিন্তু অবক্ষয়তা যেভাবে আমাদের গোটা সমাজকে পাকড়াও করছে তাতে আগামী দিনে আরো ভয়াবহ দিন আসছে সে আশঙ্কা অমূলক নয় । মন্তব্যের এই অংশে সহমত তোমার সঙ্গে যে নম্বর নয়; মেধারকেই সিস্টেমকে গুরুত্ব দিতে হবে। যে সিস্টেমটা নির্ভর করে চলমান সরকারের সুনির্দিষ্ট চিন্তা ভাবনার উপর। মনে রাখবে ছাত্র -শিক্ষক -অভিভাবক হলো গিনিপিগ। ঠিক যেমন পরীক্ষার ল্যাবে ব্যাঙ বা গিনিপিগের চিন্তাভাবনা গুরুত্ব পায় না ; তাকে কেবল কাটার উদ্দেশ্যে ল্যাবরেটরীতে আনা হয়।
শেফালী ম্যাডাম ওরফে শেলীর দর্শন পেয়ে যে তুমি আনন্দ পাবে সে কথা আমি জানতাম। তোমরা অনেক দিন ধরেই চাইছিলে সিরিজের এই অংশটি যেন আমি সামনে আনি। মূলত তোমাদের মতামতকে মান্যতা দিতেই শেলীকে সামনে নিয়ে আনা। আর্ক শেফা তো কিংবদন্তি নায়ক।তার পারদর্শিতার কথা তোমরাই তো তুলে ধরবে হা হা হা।
প্রেম কাহিনী ভালোই এগোচ্ছে বা মাস্টারদা পুরো হাবুডুবু খাচ্ছে- এমনটাই তো স্বাভাবিক। যদিও উত্তম পুরুষে রচিত গল্পের এই চরিত্রের সঙ্গে লেখককে মেলাচ্ছোই বা কেন? কিছু সাদৃশ্য তো থাকবেই। কিন্তু পুরোপুরি মেলানোটা বোধহয় ঠিক নয়।
যদিও সাঁতার জানি কিনা তুমি জানতে চেয়েছ। বিগত পোস্ট পড়ে তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো যে গল্পের এই হাদা চরিত্রটি ভালো খেলোয়ার নয়। তবে সুযোগ পেলে সবাই একটু-আধটু খেলার চেষ্টা করে। আর তার পরেও যদি বড় ঘূর্ণিতে পড়ি তখন তোমরা এসে না হয় উদ্ধার করবে হা হা হা হা।
আগামী পর্বে সাথে থাকাতে আনন্দ পেলাম । আবারো ধন্যবাদ তোমাকে।
বাড়ির কাজে এখন হাত দিতে পারিনি।ভোটে নোটিফিকেশন থেকে আজ পর্যন্ত তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেল। আমার মিউটেশন জমা হয়ে আছে। বিজিপির উত্থানে তৃণমূলী পৌরসভা অত্যন্ত আতঙ্কিত। কাউন্সিলরদের এখনো বোর্ড মিটিং বসেনি। যার জন্য আমরা প্রচন্ড সাফার হচ্ছি।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা তুমি ও তোমার গোটা পরিবারবর্গকে।
১০| ১৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
ওমেরা বলেছেন: আমি তো মনে করেছিলাম মরীচিকা শেষ ! এখন থেকে নিয়মিত পড়ব ।
১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ কিছুদিন পর আপনাকে পেলাম। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপু। মরীচিকা এক হিসেবে শেষ করেছিলাম। কিছু পর্ব মলাটবদ্ধ করার আশায় পোস্ট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকজনের ভালোবাসাতে আমি সিদ্ধান্ত বদল করি। যে কারণে মাঝে একটু দীর্ঘ সময় নেওয়া। আপনি এখন থেকে মরীচিকার নিয়মিত পাঠক হবেন জেনে আমি আনন্দিত।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
১১| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এইতো আবারো মরীচিকা স্বরূপ নিয়ে ব্লগের আকাশে চাঁদের মতো জ্বলজ্বলে আলো ছড়াচ্ছে। যদিও ব্লগার মুক্তা নীলের অনুরোধ রক্ষার্থে পর্বটি নেমেছে। কিন্তু মরীচিকা প্রিয় আমরাও যে খোঁতামনা তা কিন্তু ঠিক না। প্রিয় সিরিজটি পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। আপনার লিখন রীতি পাঠক মোহিত করে তা আর নতুন করে বলবো কি। এবার এমন করেই পর্বের পর পর্ব পাঠে গল্প নৈপনতা আর মূল গল্পের রোমান্টিকতায় শানিত হবে হৃদয়।
১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,
আপনার মন্তব্য মানে মায়ামাখা আন্তরিক মন্তব্য, আজও তার ব্যতিক্রম নয়। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন আপনাদের মত অনেকেরই অনুরোধে আবার মরীচিকাকে ফিরিয়ে আনা। অস্বীকার করবো না যে এতো ভালোবাসা পাবো আপনাদের কাছে আগে কখনো ভাবি নি। কাজেই ভাবনার মাঝে মাঝে ব্যত্যয় ঘটেই থাকে। মরীচিকাকে ফিরিয়ে আনা মনের তেমনি চিন্তা বলতে পারেন।
এমন লোভনীয় কমেন্টের আশায় বারে বারে ব্লগে ফিরে আসা এবং খাতা-কলম নিয়ে লিখতে বসা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,
পরে এসে পোস্টটিতে লাইক করার জন্য প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১২| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা অনেকদিন পর পোষ্ট দিলেন।
আমি কিন্তু শেফালী ম্যাডামকে ভুলি নি।
১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পরই বটে। আমি জানি তো ভাই কখনো শেফালী ম্যাডামকে ভুলতে পারবে না।হা হা হা ....
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ছোট ভাইকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
১৩| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
বাহ !!! দাদা , শেফালী ম্যাডামকে নিয়ে জমজমাট পোস্ট "রোমান্টিক মরীচিকা " ।তাই অন্য বিষয়ে মন্তব্য করবো না । আজকের পর্বটি পড়ার সময় নীল আকাশ ভাইকে খুব মনে পড়লো ।
মরীচিকা একটি শিক্ষনীয় উপন্যাস, যেখানে শিক্ষা , সামাজিক ও পারিবারিক বিন্যাস উঠে এসেছে।
শেফালী ম্যাডামের চরিত্র আমার কাছে এক অনবদ্য সৃষ্টি । নীল রঙের প্রতি দুর্বলতা এভাবে আমার সঙ্গে মিলে যাবে ভাবতে অবাক লাগছে।
ডেটিংয়ের বর্ণনা অসাধারণ........
বাধা যতই থাক না কেন ,আশা রাখি ভালো একটা পরিসমাপ্তি ঘটবে । চাকরি জীবনের ভালোলাগা বলে কথা।
ফর্মাল কথাবার্তার মধ্যে চূড়ান্ত ব্যক্তিত্ব শালিনী বা প্রত্যুৎপন্নমতির পরিচয় পেয়েছি বারে বারে ----এই কথাগুলো আমি অনেক আগেই বলেছিলাম আর লেখক বুঝল এত দেরিতে (হা হা হা হা ) ।
খুব ভালো লাগলো মরীচিকা পেয়ে। মরীচিকার প্রতি শুধুই ভালোবাসা । শ্রদ্ধাসহ ধন্যবাদ জানবেন।
১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,
শেফালী ম্যাডামকে নিয়ে 'জমজমাট পোস্ট মরীচিকা' আপনার ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। তাই মন্তব্য না করলেও পড়ার সময় আপনি যেমন নীল আকাশ ভাইকে মিস করছেন উল্লেখ্য আমার আজকের পোস্টটিও ছিল মূলত উনার উদ্দেশ্যে রচিত। উনাকে জেনারেল করার জন্য অভিমানে আর ব্লগে ঢুকছেন না। শীঘ্রই ওনার স্ট্যাটাস বদলের আশা রাখি।
মরীচিকায় আপনি যে শিক্ষণীয় দিকগুলো উল্লেখ করলেন তাতে একজন হাতুড়ে লেখক হিসেবে আমি রীতিমত বিব্রত বোধ করছি। আমরা নিতান্তই শিক্ষানবিশ। অত মানদন্ড বজায় রেখে লেখার সামর্থ্য নেই। তবুও তার মধ্যে যে আপনি এতগুলো গুণের উল্লেখ করলেন তাতে অবশ্য নিজেকে বেশ পুলকিত লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
শেফালী ম্যাডামের চরিত্রটি অনবদ্য মনে হওয়াতে, নীল রঙের প্রতি দুর্বলতা এবং ডেটিং এর বর্ণনা ভালো লাগাতে আমিও আনন্দ পেলাম। আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
মন্তব্যের শেষে কিন্তু আর সহমত হতে পারলাম না। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত হতে পরবর্তী পর্বগুলির জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। জীবন কিন্তু সব সময় চেনা ছন্দে চলে না। সেখানেও কিন্তু কিছু অপ্রত্যাশিত বাক এসে যায়।
" ফর্মাল কথাবার্তার মধ্যে চূড়ান্ত ব্যক্তিত্ব শালিনি বা
প্রত্যুৎপন্নমতি এর পরিচয় পেয়েছি বারে বারে...।" হাহাহাহা.... এক্কেবারে ধ্রুব সত্য যে আপনি কথাগুলো অনেক আগে বলে আসছেন। এটাই তো একজন লেখকের ভালো পাঠক পাওয়ার সৌভাগ্যতা যে পাঠকের ভাবনার বিষয়টি তার লেখার মধ্যে স্বীকৃতি দেওয়া। এর জন্য যাবতীয় কৃতিত্বও আপনার। আগামীতে এমন সুন্দর মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
সবশেষে মরীচিকাকে ভালোবাসার জন্য, ভালো লাগার জন্য এবং দাদাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অপার মুগ্ধতা। বোন ও বোনের পরিবারের জন্যোও রইল অফুরান শুভেচ্ছা ও বিমুগ্ধ ভালোবাসা।
১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪২
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হা হা হা, সত্যি বলতে প্রেমের গল্পগুলো পড়ার ফাঁকে কিছু কিছু বাক্য বিনি ময় আমাকে হাসিয়ে তোলে।
যেমন একটি হলো,
কখন যে 'আপনি' থেকে 'তুমিতে' চলে এসেছি সে বিষয়ে আমাদের কোন হুশ ছিল না।
গল্পে ভালো লাগা।
শুভকামনা প্রিয় ভাইকে।
১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুর ভাই,
গভীর রাতে আপনার পদধ্বনিতে আনন্দ পেলাম। রাত 12 টা 42!! হাহাহাহাহা.... আমি তো তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। গল্প পড়ার ফাঁকে কিছু বাক্য পড়ে যে আপনি হেসেছেন তাতেই আমি আনন্দিত। হোক না এমন হাসি ঠাট্টা। জীবনের রং যে সব সময় ছন্দময় হবে এমন তো কোন কথা নয়। একটু বোকা বোকা সংলাপের যদি একটু হাসি আসে তাহলে মন্দ কি।
গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
১৫| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: মরীচিকা সিরিজ শেষ হয়ে গেছে ভেবেছিলাম। তাই এই পর্ব পেয়ে খুবই আনন্দিত হলাম!!
একটি স্কুলের বিজ্ঞাপন ম্যানেজমেন্টের যে চিত্র এঁকেছেন, আমিও এর সাথে একেবারেই অপরিচিত ছিলাম। খুবই অবাক হলাম এটা দেখে। এবার শেফালী (শেলী) ম্যাডামকে একটু অপরিচিত লাগছে! তার বাবার সমস্যা কি ঠিক হয়ে গেছে?
ভবিষ্যতে আরো পর্ব আসবে কিনা জানিনা। তবে এই পর্বে লাইক।
১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
হ্যাঁ! আনুষ্ঠানিকভাবে মরীচিকা ব্লগে শেষ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকজনের ভালোবাসাতে আমি আনন্দিত যার প্রতিদানে বাকি পর্বগুলিকেও ব্লগে নিয়ে আসার প্ল্যান। এই পোস্টটি তারই রূপায়ণ।প্রথম দিন থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত যাদের মন্তব্য পেয়ে আমি অভিভূত আনন্দিত মুগ্ধ আপনি তাদের অন্যতম।। যাদের ইনস্পিরেশন ব্যতীত মরীচিকাকে আজ এতদূর আনতে পারতাম না, আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম।এজন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন আপুনি।
শিক্ষা যেখানে ব্যবসায়ের উপাদান সেখানে বিক্রেতা ও ভোক্তার মধ্যে কিছু লোক ঠকানো তো থাকবেই। সে দিক থেকে বরং ঠিকই আছে। বহিরঙ্গে শিক্ষার সম্প্রসারণ হলেও প্রকৃতপক্ষে তারা যে ব্যবসায়ী। টাকা ইনভেস্ট করেছেন ব্যবসাতে সুতরাং ভোক্তাকে রক্তশূন্য করাটাই তো তাদের কাজ। আমরা ছাপোষা মধ্যবিত্ত মানুষ কেবল মহানুভবতা খুঁজে তাদেরকে অহেতুক খাটো করে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু তাদের দিকটা আমরা একবারও ভাবি না। এখন অবশ্য আমার ভাবনা পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিষয়টা বেশ ভালোই বুঝি টাকা যার শিক্ষা তার। তবে সব ক্ষেত্রেই যে প্রকৃত শিক্ষা মিলবে এমন নয়। মাঝে মাঝে ফুটোফাটা শিক্ষা যে মেলে সেটা আর অস্বীকার করি কি করে।
শেফালী ম্যাডামকে একটু অপরিচিত লাগছে। দেখুন না, পরের দিকে কিছুটা পরিচিত লাগে কিনা।আর বাবা-মায়েরা সবাই আছেন,অসুস্থ অবস্থায় কোনক্রমে টিংটিং করে বেঁচে থাকার মতই।
একটা বিষয় উল্লেখ করতে বেশ হেজিটেট লাগছে যে আপনি পোস্টে লাইক দেয়ার কথা বললেও কোনো কারণে মনের অসাবধানতাবশত লাইকটা হয়নি। একবার যদি বিষয়টি চেক করেন.....
হ্যাঁ! আপু,ভবিষ্যতে মরীচিকার আরো কিছু পর্ব আসবে। আপনার কমেন্ট আমার চাইই চাই।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
১৬| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: অনেক গুলো পর্ব মিস করেছি, তবে এখন থেকে আর মিস হবেনা,পূর্বের পর্বগুলো সময় নিয়ে পড়বো। প্রেসিডেন্টের এমন কার্যকলাপে আমি আহত, তবে স্যার-মেডামদের প্রেমের গল্প বেশ মানিয়েছে মরীচিকা পর্বে।
১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মেঘ প্রিয় বালক ভাই,
আপনার এমন আন্তরিক মন্তব্যের আনন্দ পেলাম। প্রত্যাহিক ব্যস্ততার মধ্যে সত্যিই যদি সময় মেলে তাহলে যতটা সম্ভব পড়ে কমেন্ট করবেন আশায় থাকবো।
প্রেসিডেন্টরাও মানুষ। তারা ব্যবসা করছেন সুতরাং বাণিজ্যিক স্বার্থটা তারা তো দেখবেন। আমি আপনি আহত হলেও বিষয়টি
যে কারণে তাদের কাছে তেমন প্রাধান্য পাবে না।
স্যার ম্যাডামদের প্রেম ভালো মানিয়েছে জানতে পেরে খুশি হলাম। পরবর্তী পর্বেও বিষয়টি আরও কিছুটা থাকবে। আপনার আগমনের অপেক্ষায় থাকবো।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এভাবে খাতায় বা হাত দিয়ে শিক্ষকদের লিখে দেওয়ার ঘটনা আমাদের দেশেও শুনেছি, এটা সত্যি অনৈতিক ব্যাপার।
শেফালী ম্যাডামের সাথে ডেটের অংশটুকু দারুণ লাগলো,এটা ধীরে ধীরে একটা উপন্যাস হয়ে যাচ্ছে।
১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেক ভাই,
শিক্ষাক্ষেত্রে এমন অনৈতিক কাজ ওখানেও হচ্ছে শুনে আশ্বস্ত হলাম যে বাঙালী জাতটি তাহলে এখনো ঠিকই আছে,যাকে বলে একসূত্রে গাঁথা। এমন শিল্প তো বাঙ্গালী বেশ ভালো ভাবেই সম্পূর্ণ করবে তাই সে বিশ্বের যেখানেই থাকুক।। হাহাহাহাহা......
ডেটিংয়ের অংশটি ভালো লাগলো ও ধীরে ধীরে একটি উপন্যাসের অবয়ব পাচ্ছে জেনে আনন্দ পেলাম ;; আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল।
১৮| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩
মা.হাসান বলেছেন: কোনান ডয়েল পাঠকদের চাপে শার্লক হোমসকে ফিরিয়ে এনেছিলেন, আপনাকেও পাঠকদের চাপে মরীচিকা ফিরিয়ে আনতে হল।
বাঁকা ভুরু আঁকা টিপ -এর মাঝে আপনার সর্বনাশ দেখতে পাচ্ছি । শেলীর মাঝে আবেগ কম দেখতে পেয়েছেন, এটা শেলীর একার বৈশিষ্ট্য না৷ সাধারণভাবে অধিকাংশ মেয়েরাই আবেগের প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক সাবধানি। রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কেউ বুঝেছিল জগত স্বপ্ন নয়, কিন্তু আপনার স্বপ্ন দেখার এখানেই শুরু। সবই বয়সের ধর্ম।
স্কুলের চেয়ারম্যানের মাথায় পচা ডিম ভাঙতে পারলে ভালো লাগতো। শিক্ষকদের বেতন কম রাখার জন্য কতই না পায়তারা। ছাত্রদের খাতায় লিখে দিয়ে নম্বর বাড়ানোর বুদ্ধির কথা লোকমুখে এর আগে শুনেছি, সন্দেহ ছিল, কিন্তু আপনি সন্দেহ দূর করে দিলেন।
বেসম্ভব জায়গায় ক্লাইমেক্স তৈরি করে পর্ব শেষ করে দেওয়া আপনার একটা স্বভাব। রাংতা মোড়ানো প্যাকেটের ভিতর কি আছে তা পরের পর্বে জেনে নেব, তবে আপনি মনে রাখবেন এর পরের পর্ব থেকে আমি কিন্তু শেষের প্যারাটা পড়বো না, শেষের আগের প্যারায় থেমে যাবো। পরের পর্ব পোস্টে আসলে তখন শেষের প্যারাটা পড়বো। কাজেই আপনি ক্লাইমেক্স দাঁড়া করাতে চাইলে শেষের আগের প্যারাতেই দাঁড়া করাতে পারেন। অনেক শুভ কামনা ।
১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,
আপনার অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। কিন্তু যার সঙ্গে তুলনা করলেন তাতে যারপরনাই লজ্জিত। মুখে আনতেও শরম লাগছে। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের অবশ্য শার্লক হোমস তুলে নেওয়ার পেছনে একটি অভিমান ছিল। উনার ধারনা ছিল পাঠকরা সৃষ্টিকে চিনলেও সৃষ্ট চেনে না। যে কারণে শার্লক হোমস তুলে নিয়েছিলেন।কিন্তু পরবর্তীকালে এত অধিক সংখ্যক পাঠক উনাকে অনুরোধ করেছিল যে উনি আবার শার্লক হোমসকে ফিরিয়ে এনেছিলেন। আমার ক্ষেত্রে অবশ্য আমি ভালোবাসার প্রতিদানে মরীচিকাকে ফিরিয়ে এনেছি।
শেলীর আবেগের প্রকাশ না হওয়াটা বেশিরভাগ নারীর একটি স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। যদিও এর ব্যতিক্রম আছে। আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
আর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্টরা এ রকমই হন। ব্যবসায়ে টাকা ঢেলেছেন। সুতরাং যতটা সম্ভব লভ্যাংশ আদায়ের চেষ্টা করবেন। এর মধ্যে আর ওনাদের খামোখা দোষের হিসেবে দেখছেন ই বা কেন। সরকারি তোদের কি ব্যবসা করার পথ সুগম করে দিয়েছে। ওয়েলফেয়ার স্টেট কিনা!!! মন্তব্যের পরবর্তী অংশ নিয়ে পৃথক প্রতিমন্তব্যে আবার আসছি।
২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা. হাসান ভাই,
আগের প্রতিমন্তব্যের শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় লাইনে একটু টাইপো হয়ে আছে। ওখানে বলতে চেয়েছিলাম,"সরকারই তো ওদের ব্যবসা করার পথ সুগম করে দিয়েছে।"
মন্তব্যের পরবর্তী অংশ,
"বেসম্ভব জায়গায় ক্লাইমেক্স তৈরি করে পর্ব শেষ করে দেওয়া আপনার একটা স্বভাব।" হা হা হা হা হা.....
আসলে সমস্যা হল রাংতা মোড়ানো প্যাকেটটি। বক্তাকেও সেদিন অতটা ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল নিজের কৌতুহলকে দমন করতে অথচ যেন অভিব্যক্তিতে সেটা ধরা না পড়ে। তাই হাত কচলিয়ে নিজের অস্থিরতার কিছুটা বহিঃপ্রকাশ করলেও দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছিল দূরে নদীর পাড়ে ঢেউ এর দিকে। আজ বক্তা সেই কৌতূহলের আস্বাদন শেয়ার করতে পাঠকমহলকেও একটু সাসপেন্স রাখতে চেয়েছেন। এবার যদি আপনি বলেন এমনতর করাটা অন্যায় তাহলে পরের দিন থেকে আর কোনো সাসপেন্স রাখবো না হাহাহাহাহা।
তবে সাসপেন্স সম্পর্কে আপনার বিচক্ষণতাকে স্যালুট জানাই। আপনার মত অনেকেই যদি আগামীতে শেষ প্যারা না পড়ে তাহলে অবশ্য আমার এভাবে সাসপেন্স রাখাটা একপ্রকার অযৌক্তিক হয়ে দাঁড়াবে। হাহাহা ....
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
১৯| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ আমিও বেশ কিছু প্রাইভেট স্কুলে বাচ্চাদের দিয়ে এর কিছুটা বুঝতে পেরেছি। অভিভাবক গণ বাচ্চাদের স্কুলে দিয়েই ভাবেন দায়িত্ব শেষ, যেহেতু উনারা পে করছেন বাচ্চারা গিলে উগরে দিয়েই এ স্টার আনবে। আসলে প্রচেষ্টা টা অবশ্যই মিলিত , দু পক্ষই আন্তরিক হলেই এক একজন আদর্শ ছাত্র ছাত্রী পাওয়া যায়।
ওয়াও ওয়াও ওয়াও !!!!
কী যে দারুণ সময় পার করছেন শেফালী ম্যাম আর ছাত্রদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষক !! ভালোবাসার এই মুহূর্ত গুলোই কিন্তু সবচাইতে আনন্দের যেখানে মিশে থাকে উৎকণ্ঠা উদ্বেগ লুকুচুরি আর ছল করে দেখা।
দারুণ এ পর্বে অনেকগুলো +++++
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপনার এমন সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।মন্তব্য থেকে পরিষ্কার যে আপনারও এমন অভিজ্ঞতার সঙ্গে পরিচয় আছে।
নিজ অভিজ্ঞতায় দেখেছি বেশিরভাগ অভিভাবকদেরই ধারণা, যে স্কুল বাচ্চাকে রামমোহন বিদ্যাসাগর বানানোর প্রতিশ্রুতি দেবে সেখানে নিজের সন্তানদের এডমিশনের বন্দোবস্ত করবেন। ফলাও করে প্রচার করবেন আমার সন্তান শহরের অমুক স্কুলে পড়ে। যাদের সন্তানরা অমুক স্কুলে পড়ার সুযোগ পায় না সেই সমস্ত অভিভাবকরা নিজেদের দুর্ভাগ্যকে বড় করে দেখেন। সাক্ষাৎ রামমোহন বিদ্যাসাগর করানোর সুযোগ হাতছাড়া করার জন্য নিজেদের কপালে কষাঘাত করতে থাকেন। অভিযোগ শহরের সরকারি স্কুলে নাকি আর আগের মত পড়াশোনা হয় না। আজকের দিনে কোন ভালো ফ্যামিলির ছেলে মেয়েরা অবশ্য এমন ছোটলোকের স্কুলে পড়ে না। কাজেই অতি চিন্তিত বাবা-মায়েদের সমাজে নিজেদের স্ট্যাটাস মেন্টেন করার মানসিকতা থেকে এমনতর একটি স্টারমার্কা স্কুলে সন্তানকে ভর্তি না করাতে পারলে যে সমাজে মুখ দেখানো যাবে না সে চিন্তাও মাথায় সারাক্ষণ ঘুরপাক খেতে থাকে। আর এরই সুফল হিসেবে বেসরকারি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানগুলি বাবা -মায়েদের দের নিয়ে চমৎকার মিথ্যার মোড়কে বন্দি করে রেখেছেন।
তবে সব সন্তানরা এমনতর নয়। এর মধ্যে প্রচুর ভালো স্টুডেন্ট আছে। যারা নিজের প্রচেষ্টা বা একাগ্র ও নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।
মন্তব্যে পরবর্তী অংশ সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই হাহাহাহাহা.....
পর্বটা দারুন মনে হওয়াতে ও এতগুলো প্লাসে এবং পোস্টে লাইক করাতে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।
২০| ২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: ভাগ্যিস বলেছেন!! এমন চমৎকার পোস্টে লাইক না দেয়া মনের ভুল ছাড়া আর কীইবা হতে পারে!! যাক, এবার ভুল শুধরে নিয়েছি।
শুভকামনায়...
২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
আবার কমেন্টে এসে নতুন করে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করার জন্য ও পোস্টটিতে like' করাতে দারুন অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২১| ২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: ভাগ্য ভালো মাঝে মাঝে আমি অনুসারিত ব্লগ পেজ খুলে দেখি!
প্রথমে তো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারিনি। মনে করেছিলাম আগের পড়া।
পোস্টিং এর ডেট দেখে শিওর হলাম। দেখে গেলাম।
সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ব। এবং তারপর মন্তব্য করব।
শেফালী ম্যাডামের প্রেম কাহিনী দিয়েছেন নাকি? ওটা পড়ার জন্য অনেকদিন
থেকে অপেক্ষা করছি
২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই,
আজ সকালে আপনাকে দেখে এত আনন্দ পেয়েছি যে ঠিক বলে বোঝাতে পারব না। আপনার স্ট্যাটাসের কারণে ব্লগে আসবেন না জেনে বেশ কিছুদিন বিষন্ন ছিলাম। আমি ধরেই নিয়েছিলাম আপনাকে এই পোস্টে পাবো না। এই পোষ্টে আপনার উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ দিক আছে। মূলত আপনার জন্য এমন করে লেখা। ফুট নোটে উল্লেখ করেনি যেহেতু ধরেই নিয়েছিলাম আপনাকে পাব না সেজন্য। আবার এই মুহূর্তে পোস্ট বুড়ো হয়ে গেছে সে দিক থেকে উল্লেখ করাটাও শোভনীয় নয়।
যাইহোক আপনার স্বতস্ফূর্ত আন্তরিক মন্তব্যে পুলকিত হলাম। আপনি ব্যস্ত মানুষ । সময় নিয়ে পোস্ট পড়বেন জেনে খুশি হলাম।
বেশতো! আপনি আপনার সময়-সুযোগ মতো কমেন্টে আসুন। আমি আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২২| ২২ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫
নীলপরি বলেছেন: বরাবরের মতোই ভালো লাগলো । আমি একটু অনিয়মিত ছিলাম বলে পড়তে দেরী হয়ে গেলো ।
++
শুভকামনা
২২ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পাঠ ও মন্তব্যের আনন্দ পেলাম। দেরি হলেও যে এসেছেন এটাই আমার কাছে পরম প্রাপ্তি। ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি এখন থেকে আবার নিয়মিত হবেন।
পোস্টটিকে লাইক করাতে ও ডাবল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইলো অফুরান শুভেচ্ছা।
২৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৪:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: চলতেই থাকুক, ভালো লাগলো, মনের ভেতর জমে রইল কৌতুহল।
শুভকামনা রইল গল্পে
২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৬:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাট ও মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রিয় নয়ন ভাই। আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম।পোষ্টটিতে লাইক করাতে ও ছোট্ট মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার জন্যও রইলো অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
২৪| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
আমার রিসেন্ট যে পোস্ট "সঞ্চিতা" এডিট একটি বাক্য
ঠিক করার পর ওয়াইফাই লাইন চলে যায় । এরপর আমি
কানেকশন আসার পর পুনরায় তা আবার ড্রাফটে নিয়ে
নেই। এখন দেখছি তা , কোন মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্য
মন্তব্যের ঘরে আসছে না । এটা কেন হয় ?
২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,
আপনার সমস্যাটি দেখলাম। এমন সমস্যা মাঝে মাঝে আমারও হয়ে থাকে। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কয়েক জনের পোস্টে মন্তব্য দেখতে পাই না এ সময়টাতে। অবশ্য দুই তিন দিন পর আবার ঠিক হয়ে যায়। আমিও এই মুহূর্তে আপনার লাস্ট পোস্টটা দেখে এলাম। প্রতিমন্তব্য মন্তব্য সব ঠিকঠাক আছে। সাধারণত নেট সমস্যার কারণে এটা হয়ে থাকে বলে আমার মনে হয়। অপেক্ষায় থাকুন দুদিন পরে আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২৫| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯
নজসু বলেছেন:
আমার আপাততঃ কাজ নাই।
মরীচিকাও আর পাঠ করা হয়ে ওঠেনি।
আমি বরং টাইপো নিয়ে ভাবি।
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা বেশতো! কাজ যদি না থাকে তাহলে আপাতত টাইপিং খুঁজুন। সঙ্গে বোরিং গল্পটি পড়াও হবে এবং এডিটিং এর সুযোগ মিলবে।
শুভকামনা জানবেন।
২৬| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮
নজসু বলেছেন:
মনভাব ---> মনোভাব।
করনীয় ---> করণীয়।
শেফালীম্যাডামের ---> স্পেস হবে।
চড়ে ---> চরে
বাধা---> বাঁধা
কল্পনাপ্রবন--->কল্পনাপ্রবণ
রেখে ছিলাম ---> রেখেছিলাম (স্পেস বাদ)
........................................................ আর তো দেখলাম না।
ছাত্ররা লিখতে না পারলেও শিক্ষক বাম হাত দিয়ে উত্তর লিখে নম্বর দিচ্ছেন এটা বাংলাদেশেরও একটা চিত্র।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রদের পাশ নম্বর দেখাতে না পারলে শিক্ষকদের জবাবদিহি করতে হয়।
চাকুরী রক্ষার তাগিদে মাস্টার মহাশয়রা এই অপকর্মটি করে থাকেন।
আর আমাদের অভিভাবকরাও হয়েছেন-তাদের শুধু নম্বর চাই। সন্তানের মাথায় গোবর না ঘিলু আছে সেটা জানতে চাননা।
শেফালী থেকে শেলী। দারুণ!!!
আপনাদের ভালোবাসা জমে ক্ষীর হয়ে গেছে দেখছি।
প্রিয় ভাই, আপনার এই পর্বটিতে ইংরেজি শব্দের আধিক্য লক্ষ্য করলাম। এটি ভালো না খারাপ জানিনা।
তবে, আপনার ব্যবহার করা ইংরেজি শব্দগুলোর চমৎকার বাংলা আছে। ইচ্ছে করলে ব্যবহার করা যেতো।
ভালো থাকবেন।
২৮ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় নজসু ভাই,
আপনার অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। কোন ধন্যবাদই যথেষ্ট নয়। টাইপোগুলোকে ঠিক করে নিচ্ছি।
কেবলমাত্র শেফালীম্যাডামের বেলায় একটু বলার আছে। নামের ক্ষেত্রে দাদা দিদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুই বাংলার মধ্যে একটু প্রভেদ আছে। ব্যাকরণ গত দিক থেকে ধরলে সমাসবদ্ধ দুটি পদ যদি একজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে তাহলে তারা পাশাপাশি বসবে। সেই যুক্তিতে প্রদীপদা ( যিনি প্রদীপ তিনি দাদা = প্রদীপদা ) হওয়াটা কাম্য । একই ভাবে রামবাবু, রানুদি, মাস্টারমশাই, শেফালীম্যাডাম এর মধ্যে স্পেস না দেওয়াটা ব্যাকরণসিদ্ধ। রবীন্দ্রনাথ সহ এপারের সমস্ত কবি সাহিত্যিকদের রচনাতে তার ছাপ স্পষ্ট। যদিও কথ্য ভাষাতে স্পেস দেওয়াটা ভুল নয়।
ওপারের সমস্ত কবি-সাহিত্যিকরা আবার নামের মধ্যে স্পেস ব্যবহার করেন। সেই যুক্তিতে নামের মধ্যে স্পেস দেওয়াতে ভুল নেই।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয়তা তাহলে উপমহাদেশের সার্বিক চিত্র। যেখানে বাবা-মায়েরা নিরবে এই সমস্ত অর্থপিশাচদের নতুন নতুন বাহানা মেলাতে বাধ্য হচ্ছেন। আর বাচ্চাদের নিরবে ঠেলে দিচ্ছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যৎএর দিকে।
শেফালী থেকে শেলী নামটি আপনার দারুণ লাগাতে চমৎকৃত হলাম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। আর মন্তব্যের পরের অংশ সম্পর্কে, অমন করে বললে লজ্জা লাগে না বুঝি!! হাহাহাহাহা.....
পর্বে ইংরেজি নামের আধিক্য আপনার সূক্ষ্ম নজরে ধরা পড়াতে ভীষণ উপকৃত হলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। সময় নিয়ে ক্ষতস্থানগুলো মেরামতের চেষ্টা করছি।
সবশেষে আপনার দোয়া যেন উপরওয়ালা কবুল করেন। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
২৭| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৩
রাকু হাসান বলেছেন:
মানুষের হৃদয়ের মাঝেই আছে আরেকটি হৃদয় --দারুণ উপলদ্ধি । একটা শব্দের বানানে দ্বিধাগ্রস্থ থাকি । আমি দুইটাই লিখি । উল্লেখিত/উল্লিখিত কোনটা সঠিক বলে ধরবো ? বা অধিক শুদ্ধ ?
শেষ পর্যন্ত শেফালী ম্যাডামের খপ্পরে । ভালো তো । শেলী নামটি দারুণ ।
২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,
তোমার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। বিশেষ কথাটা কোড করার জন্য আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ জানবে।
খুব সূক্ষ্মভাবে উপলব্ধি করে একটি বিষয় তুমি ধরাতে আনন্দ পেলাম। তুমি অধিক শুদ্ধের কথা জানতে চেয়েছ। আমি সংসদের ডিকশনারিতে দেখলাম কথাটি উল্লিখিত হবে। যদিও কথ্য ভাষাতে উল্লেখিত ভুল নয়।
খপ্পর তো জীবনে কোনো না কোনো সময়ে পড়তেই হয়। যে খপ্পরে মাদকতা মেশানো থাকে। যাতে ধরা দিতে না পারলে আমরাও যে অস্থির হয়ে উঠি। যদি আমার ভাইটি এমন কোন খপ্পরে পড়বেন না বলেই আমার স্থির বিশ্বাস। হা হা হা....
শেলী নামটি ভালোলাগাতে আনন্দ পেলাম; আবারো ধন্যবাদ তোমাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবে।
অফুরান ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো।
২৮| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
যতোদূর মনে পড়ে "মরীচিকা" পর্ব শেষের ঘোষনা দিয়েছিলেন। অবশ্য এটাও বলেছিলেন - পাঠকের মতামতের বিষয়টি বিবেচনা করে পর্বটি চলতেও পারে। দেখা যাচ্ছে পর্বটি চলছে।
ভালোবাসা এমন করেই ধীরে ধীরে কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ফোটে। নীল আর শেলীর বেলাতেও তেমন কুঁড়ির ঘ্রান পাওয়া যাচ্ছে।
২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,
হ্যাঁ! আপনি ঠিকই উল্লেখ করেছেন যে মরীচিকা 22 পর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেছিলাম। পাশাপাশি মনে হয়েছিল যদি পাঠকের ভালো লাগে সেক্ষেত্রে পরবর্তী অংশটুকু পর্বাকারে দেওয়ার চিন্তা বিবেচনা করা যেতে পারে। স্বীকার করছি যে কয়েকজন পাঠকের ভালো লাগাকে সম্মান দিতে মরীচিকাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
বরাবরই আপনার উপস্থিতি ও মন্তব্য আমার কাছে অনুপ্রেরণার। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। আগামীতেও আপনাকে এভাবে নিরন্তর পাশে পাবো আশা রাখি।
মন্তব্যের শেষ পর্বে অত্যন্ত সুন্দর একটি কথা বলেছেন,
" ভালোবাসা এমন করেই ধীরে ধীরে কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ফোটে। নীল আর শেলীর বেলাতেও যেমন করে ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে।" দারুণ উপমা যুক্ত কথাতে মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: হুম পড়লাম। মনে হচ্ছে আমার কঠোর ঠেলার চোটে শেফালীর প্রেম কাহিনী লেখা হয়েছে। হা হা হা।
শেফালি ম্যাডামের সাথে আমাদের সর্ম্পক হবে না আমার সর্ম্পক হবে?
অফ টপিকেই বলিঃ প্রেমের অংশ লেখার সময় ছোট ছোট কিছু কথপোকথন দিলে ভাল লাগে আর লিখতেও সহজ হয়। কারন প্রতি উত্তরের মাঝে বা আগে ছোট প্যারাতে মনের আবেগ গুলি দেখাতে পারবেন। যেহেতু এটা নিয়ে লং টার্ম প্লান আছে, সব জায়গায় এই শব্দ ব্যবহার করুন। ব্লু না বলে নীল বলুন। প্রতিটা মানুষের দেহে নির্দিষ্ট একটা ঘ্রাণ থাকে, গন্ধ নয়। পারলে ডেটিং এর সময় শাড়ি পড়িয়ে দেবেন। চুল খোলা থাকবে। চোখে কাজল দিবেন। আর মেয়েরা লজ্জা পেলে কথা বলার সময় বাম হাত দিয়ে কানের পাশে চুল আঙ্গুলে পেচায়, এটা ভুলবেন না। এইগুলি কমন ডেটিং এর থীম। ঘুরিয়ে পেচিয়ে একেক সময় একেক রকম করে লিখে দেবেন। আর খুব আবেগের কথা বলার সময় হাতে হাত রেখে বলার চেস্টা করবেন।
অযাচিতভাবে অযথাই অনেক জ্ঞান দিয়ে ফেললাম। আশা করি বুঝবেন কেন বলেছি।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
১২ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় নীল আকাশ ভাই,
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। হা হা হা হা হা... এক হিসেবে ঠিকই বলেছেন যে গরজে গোয়ালা ডেলা বয়। কাজেই সেখানে আপনার একটা অবদান আছে। তবে প্রেমের সাগরে আপনি মহাগুরু। আমরা আপনাকে অনুসরণ করে একটু আধটু লেখার চেষ্টা করছি। কথায় বলে পারফেকশনে কোন শেষ নেই। জীবনে চলার পথে তাই আমরা প্রতিনিয়ত শিখে চলেছি। আপনার সুন্দর সাজেশন আমার আগামীর দিশা হবে। চেষ্টা করব যতটা অনুসরণ করা যায়। দারুণ সুন্দর সাজেশন।++++
তবে মন্তব্যের শেষ অংশে বেশ ব্যথা পেলাম। আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিশ্চয়ই দাঁড়ি কমা পূর্ণচ্ছেদের উপর দাঁড়িয়ে নেই। যেখানে আপনাকে সুন্দর সাজেশন গুলো দেওয়ার জন্য এতটা ভনিতা করতেই হবে। আমি মুগ্ধ স্যার আপনার সাজেশনে। হ্যাটস ইউ।
বিমুগ্ধ ভালোবাসার ও শুভকামনা জানবেন।
৩০| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখানেও নীল? আমরা তো এখন নভোনীল কে নিয়ে একটা সিরিজ লিখে চলেছি, তারও পরনে বেশীরভাগ সময় থাকে ব্লু জীন্স।
শুধু বেসরকারী কেন, আমাদের এখানে সরকারী স্কুলগুলোরও এখন বারটা বাজিয়ে দেয়া হয়েছে ছাত্রদেরকে এভাবে অনৈতিকভাবে নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে দিয়ে। এই অসাধু ব্যবস্থাটাকে ভালভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পে।
আপনাদের এভাবে সময়ের গ্যাপ রেখে বিদ্যালয় থেকে বের হওয়া/ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার নিয়মটা হয়তো নতুন প্রেমিকদের জন্য একটা শিক্ষণীয় বিষয় হবে!
রাংতা মোড়া উপহারটার প্রতি পাঠকদের কৌতুহল দারুণভাবে আটকে রাখলেন!
গল্পের রোমান্টিক আবহ চমৎকার ছিল। গল্প ভাল লেগেছে। + +
০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বড্ড দেরি হয়ে গেছে উত্তর দিতে। আসলে আপনার এই মন্তব্যটি আমি সঠিক সময়ে না দেখায় অনেকখানি পিছনে পড়ে গেছিল। ভুল আমারই। দুঃখিত স্যার।
হ্যাঁ এখানেও নীল। তবে আপনাদের নভোনীল সিরিজের নীলের সঙ্গে এই নিলের একটু প্রভেদ আছে। কাহিনীতে বিষয়টি পরিষ্কার। অবশ্য নভোনীল সিরিজের সম্ভবত অষ্টম পর্বের পর থেকে আমি আর যোগাযোগ রাখতে পারেনি। আপনার মত কয়েকজনের মুন্সিয়ানায় নভোনীল সিরিজ গতি পেলেও মাঝে মাঝে বেশ নিস্প্রভ লেগেছিল। সেকারণে পরের দিকে পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম।
আসলে সমস্যাটা হয়ে গেছে আমাদের রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নিয়ে। তাকে খোলনলচে পাল্টানোর সাধ্য বা ক্ষমতা আমাদের নেই। যার মাশুল স্বরূপ শিক্ষা, স্বাস্থ্য এখন আর অবৈতনিক নয়। দুগ্ধ গাভীর মতোই তা হয়ে গেছে ব্যবসায়ীক সম্পত্তি। অথচ আমরা অসহায় ভাবে তা মেনে নিতে বাধ্য হই আর ভাগ্যকে দোষারোপ করি।
আপনার জহুরীর চোখে গল্পে প্রধান দুটি চরিত্রের ডেটিং উপলক্ষে আগে পরে বার হওয়াটা নয়া প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে অনুকরণীয় মনে হওয়াতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আর রাংতা মোড়া উপহারটি এইভাবে সাসপেন্স থাকলেও পরবর্তী পর্বে আশা করি বিষয়টির উদঘাটিত হবে। এ প্রসঙ্গে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম.....
সবশেষে পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেই টাইপো আছে ।
দক্ষ হাতে লেখা ।
সুন্দর।+