নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা ( পর্ব - ৩১ )

০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০২


মরীচিকা (পর্ব-৩২)
এদিকে রক্তিমদেব ক্রমশ পশ্চিম দিকে ঢলে পড়েছে। আশপাশে কোথাও সোনালী রোদের ঝিলিক দৃষ্টিগোচর হলো না। বরং চারিদিকে বৃক্ষরাজির সুশীতল ছায়া আবছা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশটিকে আরো অন্ধকারময় করে তুললো। নির্জন প্রকৃতির আবছা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এক অজানা আশঙ্কার কালোমেঘ আমার মনোজগতকে আরও ঘনীভূত করে তুললো। অত্যন্ত সন্তর্পণে বৃক্ষটির বেশ কিছুটা উপরে উঠে একটি মোটা শক্তপোক্ত ডালে বসে যতদূর দৃষ্টি যায় রমেনদাকে নিরীক্ষণ করতে লাগলাম। কিন্তু হায়! ত্রিসীমানায় তার কোন চিহ্ন পেলাম না। এদিকে এতক্ষণ গাছে বসে থেকে ভিতরে ভিতরে আমিও বেশ অস্থির হয়ে উঠলাম। আর ধৈর্য ধরে বসে থাকাটা কোনভাবেই যেন সম্ভব হচ্ছিল না। ভাবলাম রমেনদার জন্য আর অপেক্ষা না করে বরং নিজেই নেমে পড়ি গাছ থেকে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই অজানা আশঙ্কা আমার সাহসিকতার সামগ্রিক যোগফলকে শূন্যে নামিয়ে এনে বরং গাছে বসে থাকাটাই নিরাপদ বলে যেন সান্ত্বনা দিতে লাগলো। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে গোমরামুখো হয়ে গাছে বসে যখন প্রমাদ গুনছি ঠিক তখনই নিচ থেকে ডাক এলো,
-দাদা এবার নিচে নামুন।
আমি তড়াৎ করে তেড়ে-ফুঁড়ে উঠলাম।উল্লেখ্য এরকম একটি ডাকের অধীর অপেক্ষায় ছিলাম। সেই কখন থেকে রমেনদার কথামতো গাছের ডালে কোনরকম ঝাঁকানি না দিয়ে এতক্ষণ কাটানোর ফলে একপ্রকার ধৈর্যের শেষ সীমান্তে পৌঁছে গেলাম। প্রবল অস্বস্তির মধ্যেও যতটা সম্ভব একভাবে বসে থেকেছি।এহেন রমেনদা আমার দ্রুত নামা দেখে,
-দাদা সাবধানে নামুন। তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই, পড়ে যেতে পারেন।
কিন্তু তখন কে শোনে কার কথা। চোখের পলকে আমি নিচে নেমে এলাম এবং সরাসরি জানতে চাইলাম,
-আচ্ছা আমাকে এভাবে গাছে তুলে দিলে কেন? আর তুমিই বা কোথায় গিয়েছিলে?
- দাদা এখন আর কোন ভয় নেই। আসলে ঐ সময় দূরে একটি বড় ভাল্লুকের সঙ্গে দুটি বাচ্চা ভাল্লুককে দেখে আপনাকে নিরাপদে উপরে তুলে দিয়ে আমি দূর থেকে ওদের গতিবিধি লক্ষ্য করছিলাম।
- অ্যা! ভাল্লুক! তাহলে কোনো ভাবে যদি ওরা দেখতে পেত তাহলে তো নির্ঘাত আজ জীবনের শেষ দিন ছিল।
- না দাদা। আপনি ভাল্লুকের নাম শুনে যতটা আঁতকে উঠেছেন, বাস্তবে ভাল্লুক কিন্তু এতটা হিংস্র নয়। বরং বেশ শান্ত, ধীর স্বভাবের এবং নিঃসঙ্গ প্রাণী। আমরা আমাদের বাপ ঠাকুদ্দার মুখে কখনো ওদের দলবেঁধে ঘোরাঘুরির কথা শুনিনি। একইসঙ্গে মা ভাল্লুক বাচ্চাদের শত্রু ভেবে মাঝে মাঝে পথচারী অন্যান্য জীবজন্তুদের আক্রমণ করলেও মানুষকে মারার মতো ঘটনার কথা কখনো শুনিনি।
রমেনদার মুখে এসব কথা শুনে আমার হার্টবিট এক লাফে অনেকটা বেড়ে গেল। আমি আরষ্ট কণ্ঠে বললাম,
-ভাল্লুককে তুমি যতটা শান্ত ও নিরাপদ বলোনা কেন আমার মন বলছে এই অবসন্ন বেলায় না গিয়ে আগামীকাল সকালে রাগমাঝির বাড়িতে যাওয়াটা বোধহয় বেশি নিরাপদ ছিল।
-আর ভয়ের কারণ নেই দাদা। একেবারে সামনে না পড়লে সাধারণত ওরা কাউকে আক্রমণ করে না। আর ফেলে যাওয়া রাস্তায় ওরা সচরাচর ফিরে আসে না।

রমেনদা সাধ্যমত আমাকে বিভিন্নভাবে বোঝাতে লাগলো ;চেষ্টা করল মানসিক শক্তি যোগানেরও। কিন্তু আমার মনের অস্থিরতা কিছুতেই যেন কাটছিলো না। এমনিতেই সারাদিনের প্রবল ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ হয়ে ও পা জড়িয়ে আসছিল; তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হলো অবিমিশ্রিত ভয়। না জানি এরপরে আরও অজানা কোন আশঙ্কা অপেক্ষা করছে কিনা কে জানে। উল্লেখ্য কল্পনার রাজ্যের বিক্ষিপ্ততা আমাকে রীতিমত আরষ্ট করে তুললো। আমি অকপটে বলেই ফেললাম,
-রমেনদা স্যরি। আমি আর পারছিনা, আমার প্রচন্ড ভয় করছে।
-দাদা আর কোন ভয় নেই। আর তাছাড়া আমরা মাঝির বাড়ির একেবারে কাছেই চলে এসেছি।
-ধুর! তুমি সেই কখন থেকে কেবল চলে এসেছি চলে এসেছি বলছো, অথচ বাস্তবে আমরা হেঁটেই চলেছি।
যাইহোক মাঝির বাড়ির কাছে চলে এসেছি শুনলেও এবারও আমি আশান্বিত হলাম না।ইতিপূর্বে রমেনদা বেশ কয়েকবার এই আপ্তবাক্য শুনিয়ে এসেছে। পাশাপাশি এটা নিশ্চিত হলাম যে রমেনদাকে এখন আর বাড়ি ফেরার কথা বলে লাভ হবেনা। ফলে একপ্রকার নিরুপায় হয়ে পা দুটিকে কোনক্রমে টানতে টানতে এগিয়ে চললাম। নাহ! এবার আর রমেনদার আশ্বাসবাণী অসার হলো না। সামান্য এগোতেই আবার একটা পাড়া চোখে পড়লো। বিক্ষিপ্তভাবে বাড়িগুলি দাঁড়িয়ে আছে। অস্বীকার করবো না যে বাড়িগুলো দেখতে পেয়ে আমিও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। মনের অজান্তে রমেনদার উদ্দেশ্যে একটি বোকা হাসি দিতেই,
-দাদা বলছিলাম না যে আমরা একদম শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এটাই রাগমাঝির পাড়া।
-হ্যাঁ সেটা বলেছ ঠিকই।কিন্তু প্রথম থেকে তোমার মুখে বেশ কয়েকবার আর একটু এগুতেই বা চলে এসেছি, এমন কথা শুনতে শুনতে তোমার আশ্বাসবাণীতে যে আমি রীতিমতো বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম।
কথা বলতে বলতে আমরা একটি আটচালা ঘরের সামনে চলে এলাম। এলাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বাড়ি বলে মনে হলো। বাড়িটির সামনে এসে ওদের আঞ্চলিক ভাষায় রমেনদা একটি শব্দ করতেই ভেতর থেকে এক ভদ্রলোক উত্তর দিলেন। কিছুক্ষণ পর উনি বাইরে বেরিয়ে এলেন। রমেনদা পরিচয় করিয়ে দিল।আমি নমস্কার করাতে উনিও প্রতিনমস্কার করে আমাদের আগমনের কারণ জানতে চাইলেন। রমেনদা নিজের মুখে বলতে অস্বস্তিবোধ করাতে আমি ঘটনাটি সংক্ষেপে বর্ণনা করি। মুহূর্তে ওনার মুখে চওড়া হাসির ঝিলিক খেলে গেল। আঞ্চলিক ভাষায় কি একটা বলে উনি বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেলেন। রমেনদাকে জিজ্ঞাসা করতেই,
-উনি আমাদেরকে অপেক্ষা করতে বলে ভিতরে গেলেন।
কিছুক্ষণ পরে বিভিন্ন বয়সের সাত আট জন ব্যক্তিকে নিয়ে মাঝি হাজির হলেন। উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি ছোট্ট একটা বক্তৃতাও দিলেন। আমি বোকা বোকা চাহনিতে সকলের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলাম। ওদের মুখের কথ্য ভাষা নিজে বুঝতে না পারলেও সকলের শরীরী ভাষাতে পরিষ্কার যে তারা মাঝির কথা রীতিমতো উপভোগ করছে। কথার মধ্যে কোন এক সময়ে সকলে জোরে জোরে হাসতে লাগলো। রমেনদাও যোগ দিল ওদের সঙ্গে হাসিতে। কিচ্ছু না বুঝলেও আমিও এক প্রকার নিরুপায় হয়ে ওদের সঙ্গে সংগত দিলাম। আমাদের সঙ্গে ওরাও সেদিন রমেনদার বাড়ির অভিমুখে পা বাড়ালো।
উল্লেখ্য প্রত্যাবর্তনের রাস্তায় সকলের হাসিখুশি রূপ, ওদের মুখের ভাষা না বুঝলেও অন্তরের ভাষা বুঝতে বাকি থাকলো না।রমেনদা ভাল্লুকের প্রসঙ্গ তুলতেই সকলে কৌতুহলী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। দলের মধ্যে একজন আকারে-ইঙ্গিতে আমার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়াতে ভাল্লুকের প্রসঙ্গটি আমাকে আবার বর্ণনা করতে হলো। এক্ষেত্রে রমেনদা দোভাষীর ভূমিকা পালন করল। স্বল্পসময়ে মধ্যেও সদাহাস্যময় লোকগুলো তখন আমার কতই না আপনজন, কতই না বন্ধু বলে মনে হলো।ওদের সঙ্গে হৈ হট্টগোল করে ফেরার ফলে কখন যে রমেনদার বাড়িতে এসে পৌঁছালাম তা টেরই পায়নি।

রাগমাঝির সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম আদিবাসী সমাজে অনেক রকম বিবাহ রীতি প্রচলিত আছে। মিলিদির বর্তমান ও তার পূর্ববর্তী জীবনের নিঃসঙ্গতা বা দুর্ভাগ্যের কথা রাগমাঝির সঙ্গে পরিচয় করলাম। টুস্কি বাপলা নামক বিবাহ রীতিতে ওদের বিবাহ বন্ধন সম্পন্ন হবে বলে মাঝি ঘোষণা করলেন। এই বিশেষ বিবাহ রীতি সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় উনি বললেন,
-যেহেতু কনের কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই বা কনে বিবাহের খরচ বহন করতে অপারগ, তাই বরের বাড়িতেই বিবাহ সম্পন্ন হবে।তবে কনেকে একটা বেতের ধামায় সামান্য কিছু উপাদেয় বা ফলমূল নিয়ে উপস্থিত হতে হবে।

খানিকবাদেই পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলোর সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় উপাদেয় সম্বলিত বেতের ধামা তৈরি হলো। ধামাটি প্রায় অর্ধেক পরিপূর্ণ হল। আর হবে নাই বা কেন, আশপাশের বাড়ির সকলেই যে সেদিন রমেনদার বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিল। দরিদ্র মানুষগুলো প্রত্যেকেই যে যেভাবে পারে মিলিদির পাশে দাঁড়িয়েছিল।প্রতিবেশীদেরই কোন একজনের একটি লাল শাড়িতে মিলিদিকে বিয়ের কনে তৈরি করা হলো। এত কম সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব সুন্দর করে প্রতিবেশীরা মিলিদিকে সাজিয়ে তুলেছিল। বিয়ের সাজ যেকোনো কনেকে বড় আকর্ষণীয় করে তোলে। সেদিন নতুন সাজে মিলিদিকে দেখে আমি সত্যিই চমৎকৃত হলাম। অন্যদিকে রমেনদাও সুন্দর ধুতি পাঞ্জাবি পরে বিয়ের পোশাকে প্রস্তুত হলো। কন্যা পক্ষের ভূমিকাটি আমাকেই পালন করতে হয়েছিল। একই বাড়িতে বিয়ের আয়োজন হওয়াতে দুদিকেই আমাকে সমান তদারকি করতে হয়েছিল। সমস্ত প্রস্তুতি পর্ব সম্পন্ন হলে একসময় উপস্থিত সকলের সামনে মিলিদি রমেনদার উদ্দেশ্যে উপাদেয় নিবেদন করলে তুমুল হর্ষধ্বনি যোগে জনতা ফেটে পড়ে। হিন্দু বিবাহ রীতির অনুকরণে রমেনদা এক টাকার একটি কয়েনে সিঁদুর লাগিয়ে মিলিদির সিঁথিতে পরিয়ে দিল।

পরেরদিন গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে রমেনদা একটি প্রীতিভোজের আয়োজন করে। আদিবাসী সমাজের শুকর খুব জনপ্রিয় মাংস। গ্রামবাসীরা সেদিন রমেনদার কাছে শুকর খাওয়ার দাবি করেছিল। কিন্তু রমেনদা আমাকে অস্বস্তির মধ্যে না ফেলতে খাসির মাংসের প্রস্তাব দেয়। গ্রামবাসীরাও সে প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করে। সে মত পরেরদিন জোড়া খাসি যোগে সমগ্র আদিবাসী পাড়া রমেনদা-মিলিদির নতুন জীবনের গীতি আলেখ্যা রচনায় সাক্ষী হয়ে মহানন্দে মেতে ওঠে। বিগত দুদিনের ধুমধাম মহাহুল্লোড়ের মধ্যে সময়টি যে কিভাবে কেটে গেছে টেরই পেলাম না। ব্যস্ততা কমতেই আবার প্রত্যাবর্তনের কথা মনে এলো। কাজেই সে রাতটুকু কোনোক্রমে কাটিয়ে পরেরদিন খুব ভোরে হোস্টেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।

ফেরার পথটি ছিল আমার কাছে অত্যন্ত বিষাদে পরিপূর্ণ। সমগ্র রাস্তায় প্রচন্ড নিঃসঙ্গ বোধ করি। রমেনদার গ্রামের বিচিত্র অনুভূতির কথা বারে বারে চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো। সম্পূর্ণ অনাত্মীয় মানুষগুলোর এমন প্রেমানুভূতির কথা, বিভিন্ন রকম অভিব্যক্তি, বন্ধুবৎসল আচরণ এই নিঃশব্দে প্রত্যাবর্তন কালে আবারো একবার জীবন্ত বলে মনে হলো। সদাহাস্যময় মানুষগুলোকে ইহজীবনে আর কখনো এভাবে কাছে পাবো বলে মনে হয় না। জানিনা এখানে আর কখনো আসা হবে কিনাও। তবে যে আন্তরিকতা আপ্যায়নে গত দুদিনে বন্দিত হয়েছি বা ওরা যেভাবে আমাকে উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছিল সে ভালোবাসার মায়াজাল একদিকে আমার অন্তরকে আর্দ্রতায় সিক্ত করে তুললো। অপরদিকে আবদ্ধ করে ফেললো এক আদি ও অকৃত্রিম মায়াবী বন্ধনে যা থেকে মুক্তি কার্যত বাকি জীবনে সম্ভব বলে মনে হলোনা। অথচ যে ভালোবাসার কথা এখানে আসার পূর্বে আমার কল্পনার জগতেও ছিল অকল্পনীয়।

সেদিন বিকালে হোস্টেলে ফিরে জানতে পারলাম সভাপতি মহাশয় আমাকে তলব করেছেন। জরুরি তলব শুনে বেশ ঘাবড়ে গেলাম।এখন আর রমেনদা বা মিলিদি নেই যে কারণটি সহজেই জানতে পারবো। উপস্থিত কয়েকজনকে কানাঘুষো জিজ্ঞাসাবাদ করে কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলাম। বিষন্ন মনে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ভেবেই চলেছি, তবে কি মিলিদি-রমেনদার বিবাহকে উনি ভালোভাবে নিতে পারেননি?অথবা আমার প্রত্যক্ষ মদতে এই বিয়েতে ওনার আপত্তি জানিয়ে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আমাকে হোস্টেল ছাড়তে বাধ্য করবেন? যাইহোক সভাপতি মহাশয়ের তলব জরুরি বলে কথা! কাজেই ভাবনায় লাগাম পরিয়ে পোশাক বদল করে তৈরি হলাম তলবের সম্মুখিন হতে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:-সর্বশেষ অনুচ্ছেদটি শ্রদ্ধেয় ব্লগার মা. হাসান ভাইয়ের না পড়তে অনুরোধ রইলো।


আমার একমাত্র পুত্র শ্রন্থন চৌধুরী( মেঘ )দ্বিতীয় কবিতা:

মানুষ

মানুষ হতে গেলে কত কিছু করতে হয়,
মানুষ হতে গেলে কত কিছু শিখতে হয়।
মানুষ হওয়া সহজ কাজ নয়,
আবার মানুষ হওয়া কঠিন কাজও নয়।
কেউ কেউ বলে আমি এই হব ওই হব,
বিজ্ঞানী হব ইঞ্জিনিয়ার হব।
কিন্তু এটা বলে না কেউ
আমি এক সত্য মানুষ হবো।


সত্য মানুষ হওয়া জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য
তারপর বিজ্ঞানী ইঞ্জিনিয়ার যা খুশি হতে পারো।
সত্য মানুষ হতে গেলে সত্য রাস্তায় চলতে হয়।
আর সত্য রাস্তায় যারা চলে
তাদের সঙ্গ কখনো খারাপ হয় না।
এইজন্য সত্য রাস্তায় চললে সত্য মানুষ হওয়া যায়।

মূল কবিতাটি স্ক্রিনশট দেয়া হল।


.

মরীচিকা (পর্ব-৩০)

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: লাইক দিয়ে প্রথম হলাম।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় মামুদভাই আপনাকে।
যদি সময় পান তাহলে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১১

মাহের ইসলাম বলেছেন: একটু আগেই মন্তব্য করেছিলাম যে, বিষাদ বেড়ে যাচ্ছে।
এখন দেখি পুরোটাই আনন্দের।

যথারীতি চমৎকার লেগেছে। ভালুক ব্যাটার কথা মাথায় আসলো না কেন, ভাবছি!!

অনেক অনেক শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহের ভাই,

হ্যাঁ গতকাল আপনি মন্তব্য করেছিলেন যে বিষণ্নতা বেড়ে যাচ্ছে আজ আবার উল্টো ঘটনা লক্ষ্য করাতে ও পোস্টটি চমৎকৃত মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আর হাহাহাহা ভাল্লুক ব্যাটার কথা তাহলে মাথায় আসেনি। আসলে আপনি হয়তো আরো বেশি সিরিয়াস কিছু ভাবছিলেন...
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভাশিস গ্রহন করলাম। তার জন্যও রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৯

আনমোনা বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদভাই প্রথম হওয়ার দৌড়ে নামলেন!!! নাহ্, আমার কপালে আর প্রথম হওয়া নাই।

রমেনদা মিলিদির মিলনে খুব খুশী হলাম। তারপরেই উৎকন্ঠা। ম. হাসান ভাই না পড়লেও আমি ঠিকই পড়ে ফেলেছি।

পোস্টে একটিই লাইক দেওয়া যায়, তাই ওটি খুদে কবির জন্য। আপনাকে লিখেই লাইক জানালাম।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঠাকুরমামুদ ভাই প্রথম হয়েছেন বলে দুঃখ করেন না আপু। পরবর্তী যেকোনো দিন আপনিও প্রথম হতে পারবেন। আমিও তার অপেক্ষায় রইলাম। তবে কমেন্টের সিরিয়াল যাই হোক না কেন আপনারা কেউ অনাদরে ফিরে যাবেন না হাহাহাহা।
মিলিদি ও রমেনদার মিলনে খুশি হয়েছেন জেনে আনন্দ পেলাম। তবে শেষ অনুচ্ছেদটি পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। আমি শুধু মা.হাসান ভাইকে না পড়তে অনুরোধ করেছি মাত্র।
পোস্টের লাইকটি আজ ক্ষুদে কবিকে দেওয়াতে বাবা বেশি আনন্দিত।পাশাপাশি আপনি আমাকেও নিরাশ করেননি জেনে আহ্লাদিত হলাম। তবে আমার পক্ষ থেকে তো বটেই, ক্ষুদে কবির হয়ে বাবার পক্ষ থেকেও আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও অফুরান শুভেচ্ছা জানাই।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: সকালে পড়ে কমেন্ট করব।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আপনি গত রাতেই সকালে আসবেন বলে মন্তব্যে উল্লেখ করে গেছিলেন। ইতিমধ্যে আমি আপনার সেই কমেন্টও পেয়েছে। প্রতিশ্রুতি মত কথা রাখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। তবে পরবর্তী মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য দিতে আর দেরি করছি না।
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা নিয়েন।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

বলেছেন: মানুষ হওয়া সহজ কাজ নয়..... এটা কতজন অনুধাবন করতে পারে --- কবিকে ধন্যবাদ।।।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,
আপনি পোস্টের শেষ অংশ থেকে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু কবি মশাই এখন অন্য কাজে ব্যস্ত। কবি মশাইয়ের হয়ে আপনার ধন্যবাদ সানন্দে গ্রহণ করলাম। বাবার পক্ষ থেকে আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৩

রাকু হাসান বলেছেন:


কন্ঠে<কণ্ঠে ? সংগত দিলাম নাকি সঙ্গ দিলাম ? সংগত শব্দটির অর্থের সাথে বাক্যে সংগত শব্দটি কেমন জানি লাগছে । কোন অর্থে ব্যবহার করেছ জানি না । প্রচন্ড<প্রচণ্ড । মিলিদি’র এভাবে লিখলে কেমন হয় ? নিয়মমাফিক হবে তো ? দুটি বানানে আরেকটি স্পেস দিলে ভালো হবে । একটা একটাকার< এক টাকার
কৃতজ্ঞতা তোমার প্রতি । তোমার পোস্টে আলেখ্য বানানটি আমি ’অলেখ্য’ বানানটি সঠিক বলে জানতাম । আজ তোমার পোস্টে পড়তে গিয়ে জানলাম যে ,এত দিন ভুল জেনে এসেছি । আসলে আলেখ্য বানানটিই সঠিক ।
মেঘ ভালো লিখে । দারুণ থিমের কবিতা । লিখুক । রাতে ঢুঁ মারতে এসে দেখি তোমার পোস্ট । না পড়ে যাই কিভাবে । পড়লাম ,মন্তব্যও করে গেলাম । ভালো থেকো

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,

আশাকরি উপরওয়ালার কৃপায় কুশলে আছো। আমরাও ভালো আছি। তোমার ভীষণ সুন্দর মন্তব্যে পুলকিত হলাম।
কণ্ঠে ও প্রচণ্ড বানান দুটি ঠিক করে দিয়েছি।
সংগত শব্দটি ইচ্ছে করেই ব্যবহার করেছি। তুমি জানো যে সংগত মানে যুক্তিযুক্ত বা আইনসংগত হলেও এখানে আমি উল্লেখ করতে চেয়েছি গানের বাদ্যযন্ত্রে সংগত দেওয়া। উদ্দিষ্ট লাইনে ছিল,
"কিচ্ছু না বুঝলেও আমিও একপ্রকার নিরুপায় হয়ে ওদের সঙ্গে সংগত দিলাম।" গানের ক্ষেত্রে ভাষা না বুঝলেও যেমন ছন্দ ধরে রাখা যায়, গল্পে বক্তাও তেমনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভাষা না বুঝলেও তাদের হর্ষ চিত্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রক্ষা করল। এই সামঞ্জস্যতাকে সংগত বলা হয়েছে।
আলেখ্যা বানানটি ও ঠিক আছে। ধন্যবাদ তোমাকে।
আর আমার পোস্ট রাত গভীর হলেও, লগইন থাকলে তুমি অন্তত উপস্থিতির জানান দেবে- এটাই আমার প্রাপ্য বলে আমার বিশ্বাস। কি ভুল বললাম নাকি?? হাহাহা...

সবশেষে কবিতার জন্য তোমার সুন্দর মন্তব্যে মেঘ দারুণ আনন্দ পেয়েছে। বাবার পক্ষ থেকে তোমাকে আবারও ধন্যবাদ জানাই।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবে।

৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: যেমন দাদার গল্প তেমনি ছেলের কাব্য ।
একেই বলে বাপকা বেটা .......
যাহোক দাদা আজকের পর্বটা অসাধারণ লেগেছে ।বিশেষ করে ভাল্লূকের বিষয়টি। ভাল্লুকের চারিত্রিক কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানলাম।
আর বাবাজীর কবিতা তো অসাধারণ লেগেছে।
কিন্তু এটা বলেনা কেউ
আমি একজন সত্য মানুষ হবো ।

কবি শ্রন্থন চৌধুরী
অসাধারণ
দোয়া রইলো ।
দাদা এবং কবি শ্রন্থন চৌধুরী কে শারদীয় শুভেচ্ছা ।
বাবা শ্রন্থন কবিতা লেখার সাথে সাথে পড়াশোনাতে আরো বেশি মনোযোগ দিবে ।
সুপ্রভাত

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইশিয়াক ভাই,

নাহ, এবার আর প্রতিমন্তব্য করতে দেরি করছি না।হা হা হা...
এবারের পর্বটি বিশেষ করে ভাল্লুকের পর্বটি অসাধারণ মনে হওয়াতে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ ভাল্লুকের চরিত্র খুবই আকর্ষণীয়। তবে গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আনতে পারেনি। গল্পে সামান্য কয়েকটি আচরণের উল্লেখ করা মানে গোটা ভাল্লুকের আচরণ নয়।
পোষ্টের পরবর্তী অংশ বা কবিতা প্রসঙ্গে আপনার মন্তব্যে ক্ষুদে কপি উচ্ছ্বসিত এবং অনুপ্রাণিত। আপনার দোয়া যেন বাস্তবায়িত হয়। কবির হয়ে আপনাকেও আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

পিতা-পুত্র উভয়ের পক্ষ থেকে আপনার জন্য রইল অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।


৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

বলেছেন: ভল্লুকের ভয় শেষ হলো আর চাকরি হারানোর ভয় জিইয়ে রাখলেন।।।।


দারুণ মুন্সীয়ানার ছাপ প্রতিটি পর্বে।।।


ভালো থাকুন।।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,

দ্বিতীয়বার পূর্ণাঙ্গ কমেন্টে আসাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। চাকরি হারানোর আশঙ্কা অমূলক নয় তবে ভাল্লুকের ভয় আপাতত মিটে গেছে। কারণ বক্তা ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের হোস্টেলে পৌঁছে গেছেন।
সঙ্গে সুন্দর বিশেষণ পুলকিত হলাম। একরাশ ভালোবাসা আপনাকেও।

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

হাবিব বলেছেন: প্রিয় ব্লগার পদাতিক দাদা, মেঘের কবিতা পড়ার জন্যই আসছিলাম। পড়ে ভালো লাগলো তাই মন্তব্য করলাম। আপনার পর্বটি পড়িনি, বই আকারে বের হলে পড়বো ইনশাআল্লাহ..........

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

অনেকদিন পর আপনাকে দেখে আনন্দ পেলাম। আশাকরি উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছেন। জানিনা আপনার বিদেশযাত্রা কতদূর এগুলো। মেঘের কবিতা পাঠে আনন্দ পেয়েছেন ও সুন্দর মন্তব্য করেছেন দেখে মেঘ উৎফুল্ল। মেঘের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আর মরীচিকা একেবারে শেষ পর্বে চলে এসেছে। মলাট বন্ধ হবে কিনা ভবিষ্যতই বলবে। কাজেই সমস্যা নাই তখন না হয় পড়বেন।

সবশেষে পিতা-পুত্রের পক্ষ থেকে আবারো শুভেচ্ছা জানাই আপনি ও আপনার গোটা পরিবারবর্গকে।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: এত দিন কোথায় ছিলেন??

রমেনদা ভালো মানুষ। আসলেই ভালো মানুষ।
শুকুরের মাংস শুনেছি খেতে খুব স্বাদ।

দাদা একটা অনুরোধ, মেঘের কবিতা এই ধারাবাহিকের সাথে দিবেন না। আলাদা দিন।
কবিতাটা চমৎকার হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে তাকে কিটকেট কিনে দিবেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। এই তো এতদিন ভাইয়ের সঙ্গেই ছিলাম এবং এখনো আছি। হাহা হা...

রমেনদা মানুষ হিসেবে সৎ গুনের অধিকারী, ভাইয়ের সূক্ষ্ম বিবেচনায় ধরা পড়াতে খুশি হলাম। তবে শূকরের মাংসের টেস্ট প্রসঙ্গে ভাইকে কোন আশানুরূপ উত্তর দিতে পারছিনা।
মেঘের কবিতা প্রসঙ্গে এখন থেকে ভাইয়ের অনুরোধ রক্ষা করব। আসলে ও এতটাই ছোট যে পৃথক পোস্ট আকারে দিলে অন্যদের পক্ষে দৃষ্টিকটু হওয়ার আশঙ্কা আছে। কারণ ব্লগ তো আর বাচ্চাদের জন্য নয়। আর গিফট দেওয়া প্রসঙ্গে গতকালই ওকে একটা খেলনা পিয়ানো কিনে দিয়েছি। ও ওটা নিয়ে এখন প্রচন্ড ব্যস্ত। 7 তারিখে তিন দিনের জন্য রাঁচি,হাজারীবাগ যাচ্ছি। তার আগে অবশ্য ওর জন্য ড্রাই ফুড, চকলেট, কেক নিতে হবে। আগামীকালই এগুলো সমাধান করব। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইকে।

অফুরান শুভেচ্ছা রইল।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ভাল্লুক সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। এরা কি হিংস্র???পান্ডা আর ভাল্লুক কি এক জাত না??

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইয়ের জিজ্ঞাসা বোধক কমেন্টে আনন্দ পেলাম। ভাল্লুকদের মধ্যে অনেক রকমের প্রকারভেদ আছে। সব ভাল্লুক সব স্থানে পাওয়া যায় না। সাধারণত মধ্য ভারতের শুষ্ক জঙ্গলে যে ভাল্লুক গুলো পাওয়া যায় তাদের সামনের পায়ের নিচে ভি আকৃতির চিহ্ন থাকে। এরা খুব ভালো গাছে উঠতে পারে। তবে খুব বেশি হিংস্র নয়।ঘন ঘন জ্বর আসা এদের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আর সে সময় এরা ঘাপটি মেরে চুপ করে বসে। সাধারণত এরা একাকি ঘুরতে পছন্দ করে। তবে শত্রুকে প্রতিহত করার জন্য এরা জায়গা বিশেষ হিংস্র হয়ে ওঠে।
মধ্য চিনে ভাল্লুকের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ প্রজাতির দৈত্যাকার সাদা পান্ডা দেখা যায়। চোখ দুটো কালো রিং করা। এরা দিনে 35 থেকে 40 কেজি গাছের পাতা খায়। এত বেশি পরিমাণে সবুজ পাতা খাওয়ার জন্য সারাদিন এদের গাছেই কেটে যায়। তবে এদের সংখ্যা ক্রমশ কমতির দিকে। বাসস্থান ও খাদ্যাভাস এদের সংখ্যা কমানোর অন্যতম কারণ।

মধ্য চিনে লাল রংয়ের যথেষ্ট বড় পান্ডা দেখা যায়। হিমালয়ান রেঞ্জে এই পান্ডার দেখা মেলে। এরা বেশ হিংস্র প্রকৃতির হয়ে থাকে।

শ্বেত ভালুক সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই।
এ প্রসঙ্গে একটা দুঃখের খবর যে বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে কিন্তু পান্ডা বা ভাল্লুকের অস্তিত্বের কোন খবর নেই।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে এ পর্ব এবং আপনার ছেলের কবিতা মাশাআল্লাহ

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপুর ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। মেঘের কবিতা ভালো হয়েছে জেনে আনন্দ পেলাম। বাবা -ছেলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা প্রিয় আপুকে।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: ফেবুতে ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছি।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি উত্তর পেয়ে গেছেন। সম্পর্কের এক নয়া ইতিহাস সৃষ্টি হল।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এটাকে উপন্যাস হিসেবে ছাপতে পারেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহাহা....
স্বপ্ন আছে; ইচ্ছে থাকলেও এই মুহূর্তে উপায়ন্তর নেই। ভবিষ্যতের কথা পরে দেখা যাবে।
শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় মাইদুল ভাই।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাক বাবা! ভাল্লাুকেই সারলেন!

আমিতো ভেবেছিলাম ছোটখাট মেছোবাঘ হলেও বুঝি আসছিল ;) হা হাহা

দারুন আনন্দময় একটি পর্ব। দুটি আত্মার মিলনে এক হয়ে যাবার রঙে রঙিন!
আসলেই গ্রামের মানুষের মাঝে এখনো যে আন্তরিকতা আছে, যে সরলতা সহজতা আছে তা অতুলনীয়!
কত সহজেই আপন করে নিতে পারে।

শেষে আবার চমৎকার ভাবেই আমাদের টেনশনে রাখতে ঢুকিয়ে দিলেন ক্লাইমেক্স ;)
কি আর করা টেনশনেই রইলাম!

মেঘ বাবাই’র দার্শনিক কবিতায় মুগ্ধ!
বলি এতো দেখি গুরুমারা শিষ্য হবে গো!
এখনই যে জেল্লা :) মাশাল্লাহ!
চলুক লেখনি অবিরাম- শুভকামনা রইল

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

হ্যাঁ ভাল্লুককে দিয়েই এ যাত্রায় গাছ থেকে নামলাম। তবে এ এলাকায় বাঘ আসা অমূলক নয়। কাজেই আপনার ধারণা যুক্তিযুক্ত। লালগড়ের জঙ্গলে মাসাধিক কালের অধিক সময় একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার আত্মগোপন করেছিল ।যদিও শেষ পর্যন্ত এলাকাবাসী তাকে পিটিয়েই মারে।
পর্বটি দারুণ আনন্দঘন মনে হওয়াতে ও ও দুটি মনের মিলনে সাক্ষী হওয়াতে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। শেষের ক্লাইমেক্সটি গোপন রাখায় আপনাদের কৌতুহল দেখে আনন্দ করলাম। খুব শীঘ্রই পরবর্তী অংশটি পোস্ট করার ইচ্ছা আছে করব।
সবশেষে মেঘের কবিতা ভালো লাগাতে পুলকিত হলাম। আপনি আশীর্বাদ যেন বাস্তবায়িত হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
পিতা-পুত্রের পক্ষ থেকে আপনার উদ্দেশ্যে রইল অফুরান শুভেচ্ছা।

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১২

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা কোথায় আপনি?? খুব ব্যস্ত নাকি?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের এমন আন্তরিক খোঁজখবর নেওয়ায় মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। হ্যাঁ এই মুহুর্তে দিনের বেলায় ব্যস্ততা অনেকটা বেড়ে গেছে। সন্ধ্যা থেকে মেঘের পড়াশোনা থাকে। রাত দশটা থেকে অবশ্য ফ্রি হই।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৩

আরোগ্য বলেছেন: মন্তব্য প্রায় টাইপ করা শেষ, একটা কল আসতেই লগআউট, যত্তসব। এখন আর এতো বড় মন্তব্য করতে পারবো না, চার্জ নাই। পরে আসছি।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

দুঃখিত তোমার এমন অভিজ্ঞতার পরিচয় পেয়ে। আমারও মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। আর সেক্ষেত্রে পরে কমেন্ট করার মত মুড থাকে না। তোমার ফোনের চার্জ নাই ;আপাতত চার্জে বসাও। পরে সময় নিয়ে আসবে, তোমার অপেক্ষায় রইলাম।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ++++++ ভাল লেগেছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই,

আপনার ছোট্ট অনুপ্রেরণা সূচক মন্তব্যে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। ‌

অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: ভালোই তো ভাল্লুকের ভয় দেখালেন সবাই কে। প্রকৃতির বর্ণনা সুন্দর লেগেছে। তবে আদিবাসীদের নিয়ে লেখা পড়ে মনে হলো আপনি এদের সাথে ভালোই সময় কাটিয়েছেন না হলে এত কিছু জানা সম্ভব হতো না

মাইন্ড না করলে একটা কথা বলব, আমি রাজীব ভাইয়ের সাথে একমত। ছেলের লেখা এখানে না দিলেই মনে হয় ভালো হতো। এর জন্য আলাদা পোস্ট দিন।

পুরো লেখা মনে হচ্ছে গুছিয়ে আনছেন!!!
শুভ রাত্রী।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

ভাল্লুক কিন্তু অতটা ভীতিকর প্রাণী নয়, যতটা গল্প শুনে আমরা আশঙ্কিত হই। হ্যাঁ এক হিসেবে ঠিকই বলেছেন শহরে লোকদের জীবনে ঢুকতে পারা যতটা কঠিন, হৃদয় যতটা প্যাঁচালো, রাস্তা যতটা বন্ধুর তুলনায় অনেক সহজেই গরিব ঘুরবো আদিবাসী হৃদয়ে প্রবেশ করা যায়। হয়তো মনে পড়বে আপনার বিদ্যাসাগর মহাশয়কেও শেষ জীবনে সাঁওতালডিহিতে আদিবাসী সমাজের কাছে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। ওরা কাউকে ফেরায় না। ওরা কাউকে বিমূখও করেনা।
মেঘের ব্যাপারে বলছেন এতে মাইন্ড করবো কেন? আপনি তো ভালো কথাই বলেছেন। দেখি পরবর্তীকালে আপনাদের পরামর্শে ওর জন্য সেপারেট পোস্ট দেবো। সুন্দর সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

পোস্ট সংক্রান্ত ব্যাপারে ঠিকই পর্যবেক্ষণ করেছেন। হ্যাঁ মরীচিকা একেবারে শেষের দিকে চলে এসেছে। আর মাত্র কয়েকটি পর্বের মধ্যেই মরীচিকা শেষ হতে চলেছে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় নীল আকাশ ভাইকে।

২০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

আরোগ্য বলেছেন: যাক অবশেষে রাগমাঝির বাড়ি পাওয়া গেল। রমেনদা ও মিলিদিকে অভিনন্দন। সভাপতির আবার আতে ঘা লাগলো কেন? দেখি কি হয় ।

মেঘবাবার কাচা হাতে ভালোই পাকা কবিতা লিখে। এই সুযোগে ওর প্রাপ্ত লাইকগুলো নিজের পোস্টে হাতিয়ে নিচ্ছো। না না না এই পোস্টে প্রাপ্ত লাইকগুলো সব ওর খাতায় জমা হবে।

ছুটি উপভোগ কর। পরে আবার কথা হবে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আরোগ্য,

হ্যাঁ অবশেষে রাগ মাঝির দর্শন পাওয়া গেল। রমেনদা মিলিদির উদ্দেশ্যে তোমার অভিবাদন যথাস্থানে পৌছে দেব। সভাপতি মহোদয়ের বিষয়টা জন্য পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
মেঘের কাঁচা হাতের লেখা তোমার ভালো লেগেছে জেনে পুলকিত হলাম। হাহাহা ঠিকই বলেছ যে ওর প্রাপ্ত লাইক গুলি আমি পকেটস্থ করছি। ঠিক আছে আমার কৌশল যখন তোমার জানতে পারলে তাহলে পরবর্তীকালে ওর পোস্ট পৃথকাকারে দেব। তখন নিশ্চয়ই তোমরা ওর প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করবে না। হাহাহা..
আর দুদিন পরে রওনা দিচ্ছি। তিন দিনের জন্য বাইরে থাকবো। উল্লেখ্য এই তিনদিন থেকে ব্লগে ঢোকার সুযোগ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
শুভকামনা জানবে।

২১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: লেটে আসলাম, ধরাও খেয়ে গেলাম। শেষে আরো কিছু আছে ভেবে এক প্যারা বাকি রেখে পড়তে যেয়ে দেখি আপনার পাতা ফাঁদে ধরা। এবার হার স্বীকার করতে হলো।
মিলিদির জীবন আগাগোড়া বড় কষ্টের ছিল। আশা করি কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও উনি সুখ খুঁজে পাবেন।
সভাপতির তলবের বিষয়টা পড়ে ভয় লাগছে না। ভালো কিছুর আশা করছি। আর যেহেতু আভাস দিয়েছেন 'মরীচিকা' শেষের দিকে, কাজেই এখান থেকে বিদায়ের সময়ে ঘনিয়ে আসলেও আশ্চর্য হবো না।
আপনার ছুটি আনন্দে কাটুক।
মেঘ বাবার জন্য প্রার্থনা- ও যেন একজন সত্য মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,

ব্লগে যাদের কমেন্ট না পেলে মনে অসম্পূর্ণ থেকে যায় আপনি তাদের মধ্যে একজন। আপনার কমেন্ট পেয়ে যে কারনে পোস্টটি যেন পরিপূর্ণতা পেল। আর লেটে আসা কোন ব্যাপারই নয় যেহেতু আপনাকে প্রয়োজনে কখনো কখনো দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে হয় যেখানে সব সময় ব্লগিং করার মত সময় সুযোগ থাকেনা। আমি অপেক্ষায় ছিলাম হয়তো আবার আপনি বিদেশে কোথাও-না-কোথাও ছুটি কাটাচ্ছেন।
পোস্ট সম্পর্কে, শেষ প্যারাটা সত্যিই আপনার না পারার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তবে এটাও জানতাম অনুরোধ রক্ষিত না হলে বেশি খুশি হব। বাস্তবে হলেও তাই। কাজেই আপনার মনোজগতে অত্যাচার করে আমি রীতিমত আনন্দ পেলাম।হাহা হা...
মিলিদির জীবনটি আগাগোড়াই কষ্টের। হতেও পারে এবার তার জীবনের ভাগ্যচক্র পরিবর্তিত হতে চলেছে। জীবনে না পাওয়ার যন্ত্রণা থেকে হয়তো এবার নিষ্কৃতি মিলবে।
সভাপতির তলবের বিষয়টি পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। এই সম্পর্কের একটা কথা বলবো না। নৈব নৈব চ।

ওপারে যেমন পাবনা সার্ভিস সেন্টার আছে, এখানে তেমনি রাঁচি সার্ভিস সেন্টার আছে। দেখতে দেখতে বয়স চল্লিশ পার করে ফেলেছি। মাথার স্ক্রুগুলো ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। যে কারণে একটু সার্ভিস করাতেই রাঁচিতে যাচ্ছি।সঙ্গে একটু হাজারীবাগ দর্শনেরও ইচ্ছা আছে। রাঁচি থেকে ফিরে আশা করি চুটিয়ে ব্লগিং করতে পারব।
মেঘের জন্য আপনার প্রার্থনা উপরওয়ালা যেন কবুল করেন। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
সবশেষে পোষ্টটিতে লাইক করার জন্য প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পরপর দুটো পর্ব পড়লাম। এককথায় মনোমুগ্ধকর!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
আপনার প্রশংসায় আনন্দ পেলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
মরীচিকা পেয়ে বরাবরের মতই আনন্দিত হয়েও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বাংলাদেশে আবরার হত্যাকাণ্ডে মর্মাহত ।
মিলিদি ও রমেন দার বিবাহ সুসম্পন্ন তায় ভালো লেগেছে। অজানা অচেনা মানুষদের ভালোবাসা ও যে আন্তরিকতা পেয়েছেন তার বর্ণনা টুকু অসাধারণ। ঠিক যেন অনেকটা বাস্তবিক। তবে হয় এরকম মাঝেমধ্যে আপনের চেয়ে কিছু পর মানুষই অতি আপন হয় । চিন্তিত হলাম মাস্টারমশাইয়ের হোস্টেল ছাড়ার জন্য। মরীচিকার প্রতিটি ছোট ছোট ঘটনা গুলো মনকে ভীষণভাবে নাড়া দেয় ।
মেঘ বাবার কবিতার জন্য অনেক ভাললাগা ও দোয়া রইল। উনাকে সেটা পৌঁছে দিবেন।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত।পুজোর ছুটিতে পরিবার নিয়ে বেশ কিছুদিন বাইরে থাকায় ব্লগিং করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। এরমধ্যে একদিন ছিলাম সভ্য সমাজ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্যুত। গভীর অরণ্যের মধ্যে নিশিযাপন করেছিলাম। ফেরার দিন ট্রেনে বোনের কমেন্ট দেখেছিলাম। কিন্তু লগইন করার মত সুযোগ ও ছিল না। মা.হাসান ভাইয়ের পোস্টে একটি কমেন্ট করেই লগ আউট করতে বাধ্য হই।
পোস্ট সংক্রান্ত:-
মিলিদি ও রমেনদার বিবাহ পর্ব ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম।বোনের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি যে কখনো কখনো অজানা অচেনা মানুষদের আন্তরিকতা আমাদেরকে আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়ে দেয়। গল্পকাররা সমাজের সেই দিকটি মাঝে মাঝে তুলে ধরেন তাদের লেখনীর মাধ্যমে। মাস্টারমশায়ের হোস্টেল ছাড়ার ঘটনাটি জানার জন্য বোনকে পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। বোনকে এজন্য আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পরবর্তী পর্ব প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।
মেঘ বাবার কবিতার জন্য এত দেরিতে শুভকামনা দেওয়ার জন্য মেঘবাবা রাগান্বিত।হাহাহা...

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট বোনকে।


২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
;)
শুকরের মাংস নাকি বড্ড স্বাদ ;)। যাকগে আফসোস করি না, তবে আফসোস করি আপনার মত এতো সুন্দর করে সাজিয়ে লেখতে না পারার। অনেক অনেক ধন্যবাদ ধারাবাহিক পর্বটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কবিতাটি ভাল লেগেছে খুব।
প্লাস+++ কবিতায় আর পর্বে ভালবাসা...

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তাজুল ভাই,

দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। শুকরের মাংস সম্পর্কে নিজ অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারলাম না; দুঃখিত। আর আমার লেখা সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণে লজ্জা পেলাম।
-অমন করে কথা বলতে নেই। লজ্জা লাগে না বুঝি! হাহাহা....
কবিতা ভালোলাগায় আপনার অনুভূতি যথাস্থানে পৌঁছে দিয়েছি। বাবার পক্ষ থেকে আপনার উদ্দেশ্যে রইলো ধন্যবাদ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


২৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

নজসু বলেছেন:





আমার সবচেয়ে প্রিয় উপন্যাসটি পড়া থেকে বঞ্চিত আছি আমি। :(

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমিও বঞ্চিত হচ্ছি আমার অন্যতম একজন মেধাসম্পন্ন পাঠকের মন্তব্য থেকেও। হা হা হা.
আপনার ব্যস্ততার অবসান হোক । পাশাপাশি এমন একজন গুনমুগ্ধ পাঠকের মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...
শুভকামনা প্রিয় নজসু ভাইকে।

২৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "ফেরার পথটি ছিল আমার জন্য অত্যন্ত বিষাদে পরিপূর্ণ" - এ কথাটি আপনি না বললেও আমি ঠিকই বুঝতে পারতাম। আমার তো মনে হচ্ছিল আমি নিজেই ভাল্লুকের ভয় উৎরে হৈ-হুল্লোর করে রমেনদা-মিলিদি'র বিয়ের অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন করে ক্লান্ত দেহমনে একাকী কর্মস্থলে ফিরছিলাম।
গল্পের শেষে এসে সভাপতি মহাশয়ের 'জরুরি তলব' একটি উৎকন্ঠা রেখে গেল।
"মিলিদির জীবন আগাগোড়া বড় কষ্টের ছিল। আশা করি কিছুটা সময়ের জন্যে হলেও উনি সুখ খুঁজে পাবেন" - মা.হাসান এর এ আশা ও শুভকামনার সাথে আমিও কণ্ঠ মেলাচ্ছি।
মেঘ এর কবিতাটা দারুণ হয়েছে। বয়স কম, কিন্তু চিন্তাচেতনা পরিপক্ক।
পোস্টে (এবারেও) সতেরতম ভাল লাগা + +।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেসপেক্টটেড স্যার,

বরাবরের মতো আপনার মন্তব্য মানে ইউনিক। কমেন্ট করার ক্ষেত্রে আমার মতো জুনিয়রদের কাছে শিক্ষনীয়। প্রীত হলাম সুন্দর মন্তব্যে। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
"আমার তো মনে হচ্ছিল আমি নিজেই ভাল্লুকের ভয় উৎরে হৈ-হুল্লোড় করে রমেনদা-মিলিদির বিয়ের অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন করে ক্লান্ত দেহ মনে একাকী কর্মস্থলে ফিরছিলাম।"পাঠক হিসেবে আপনার এমন একাত্মতা হওয়ার অভিব্যক্তিতে প্রীত হলাম; অনুপ্রাণিত বোধ করছি। আবারো ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
যেহেতু পুরানো পোস্ট; কাজেই সভাপতি মহাশয়ের জরুরী তলব আপনি পরবর্তী পর্বে গিয়ে এখনই জানতে পারবেন। অবশ্য যদি সময় সম্ভব হয়।

আপনার মতোই ব্লগে যে কয়েকজন ঋদ্ধ পাঠক আছেন মা.হাসান ভাই তাদের মধ্যে অন্যতম। বিভিন্ন পোস্টে সুন্দর সুন্দর কমেন্টের মাধ্যমে উনি ওনার বিচক্ষনতা তুলে ধরেন। আলোচ্য পোস্টেও চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে এমনই একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন।ওনার মন্তব্যে সহমত পোষণ করায় মা.হাসান ভাইয়ের পক্ষ থেকে আপনাকে আবারো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
সবশেষে মেঘের পোস্ট ও তার চিন্তাচেতনার মূল্যায়নের জন্য আনন্দ পেলাম।
পোস্টে 17 তম লাইক প্রদান করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.