নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (সূচনা পর্ব -১)

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৩



ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-২)


গ্রামের অবস্থাপন্ন মোড়ল রাকিব মন্ডল সবার কাছে রাকিব মিয়া নামেরই সমধিক পরিচিত। মোড়ল সাহেবের বিষয় আশায় যথেষ্ট। উত্তরাধিকার সূত্রে একশো বিঘার উপর সম্পত্তির মালিক হলেও বহু জমির আল চেনেন না বলে ওনার বেশ গর্ব আছে। পাশাপাশি আছে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের বেশ কয়েকটি পুকুর এবং নানা রকমের ফলের গাছ।জমি-জায়গা বাগান পুকুর সবই লোক দিয়ে দেখাশোনা করেন।কিন্তু কাকে দিচ্ছেন কিভাবে দিচ্ছেন কত পেলেন এই নিয়ে কাউকে কখনো কৈফিয়ৎ তলব করেননি। অলস প্রকৃতির মানুষটি সম্পত্তি নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন।কথায় কথায় বলেন বিষয় আশায় বা সম্পত্তি সবই উপরওয়ালার দান। উনি যখন বুঝবেন তা আবার নিয়েও নেবেন।আমরা হাজার বাঁধা দিলেও তাকে রক্ষা করতে পারবোনা।খামোকা দুশ্চিন্তা করে নিজের সুখ-সমৃদ্ধিকে নষ্ট করা ছাড়া আর আমাদের কিছু করার নেই। তার এই উদার দার্শনিক সুলভ কথাবার্তায় গ্রামবাসীরা অত্যন্ত খুশি হন।গ্রামবাসীদের খুশি খুশি দেখে তিনিও মনে মনে বেশ পুলকিত বোধ করেন।

পরোপকার মোড়ল বাড়ির অন্যতম একটি মস্ত বড় গুণ। পাড়াপড়শি থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন যেকোনো মানুষের আপদ-বিপদে মোড়লরা যথেষ্ট সহানুভূতিশীল এবং আন্তরিক। যতটা সম্ভব তারা মানুষের পাশে দাঁড়ান। গ্রামবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো-না-কোনো উপায়ে মোড়লবাড়ি দ্বারা উপকৃত। উল্লেখ্য গ্রামবাসীদের প্রতি মোড়ল বাড়ির এই সহানুভূতি বা ভালোবাসা অবশ্য একদিনের নয়। পরোপকার বিষয়টা এ বাড়ির একটা পারিবারিক ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে,যেটা বাপ-দাদার আমল থেকেই চলে আসছে।পারিবারিক মূল্যবোধে রাকিব মিয়াও তার ব্যতিক্রম নন; অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষটি বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পূর্বপুরুষের থেকেও ঊর্ধ্বে।গ্রামবাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষটি প্রয়োজন পড়লেই তিনি তার সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেন। স্বাভাবিকভাবে গ্রামবাসীরাও মোড়ল সাহেবের প্রতি অত্যধিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাবোধ জ্ঞাপন করেন।যে কারণে এবাড়ির কোনরকম ক্ষয়-ক্ষতি তারা যেন কল্পনাও করতে পারেন না।মোড়লবাড়ির আপদে-বিপদে তারাও নিজের মতো করে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাশাপাশি আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, আর পাঁচটা গ্রামের মত এগ্রামেও মাঝে মাঝে একে অপরের মধ্যে টুকটাক ঝগড়াঝাঁটি ঠোকাঠুকি লেগেই থাকে। তবে এসব ক্ষেত্রে সাহায্যের দরকার হলে উভয়পক্ষ মোড়ল সাহেবের শরণাপন্ন হন। রাকিব মিয়া অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে নিরপেক্ষতা ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন।যদিও সব যে সময় উভয় পক্ষকে খুশি করতে পারেন তা নয়, তবুও মোড়ল সাহেবের কথার অমান্য করার নজির একেবারেই নেই। যেকারণে কোন অভাব অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ গ্রামে কেউ কখনো পুলিশে অভিযোগ করেনি বা অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে পুলিশ ঢুকেছে- এমন দৃশ্যও গ্রামবাসীরা কেউ কখনো প্রত্যক্ষ করেছেন বলে মনে করতে পারেন না।

স্ত্রী সাহিদা বিবি, একমাত্র পুত্র হারুন এবং চার কন্যা রত্না রেখা রুবি ও রানুকে নিয়ে রাকিব মিয়ার সুখের সংসার। অত্যন্ত পর্দানশীন পরিবার। গ্রামেরই বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পর বড় তিন কন্যাকে আর স্কুল মুখো হতে দেননি। তবে ইসলামী শিক্ষা দিতে মেয়েদেরকে তিনি কসুর করেননি। সম্প্রতি জ্যেষ্ঠা কন্যা রত্নাকে সম্বন্ধ করে বিয়ে দিয়েছেন মহকুমা শহরের লাগোয়া সমুদ্রগড় গ্রামের সম্পন্ন ব্যবসায়ী পাত্রের সঙ্গে। এলাকার নামি পরিবার বলেই পাত্রের পরিবারেরও সুখ্যাতি আছে। সাধারণত পাত্রীকে সম্মান করতে পাত্রপক্ষ থেকে তাদেরকে আলোচনা সাপেক্ষ যৌতুক দেওয়ার চল থাকলেও মোড়লরা এসব রীতিনীতিকে সামাজিক ব্যাধি বলেই মনে করেন। তাদের ধারণা এটা পাত্রীর সম্মান বা অসম্মানের বিষয় নয়, এটা আসলেই পাত্রীর বাবার অর্থ আদায় করার একটা কৌশল মাত্র।যেটা সমাজে দিনের পর দিন চলে আসছে। যদিও এহেন সামাজিক ব্যাধি থেকে মোড়ল পরিবার সম্পূর্ণ মুক্ত। তবে তারা এরকম যৌতুকে বিশ্বাস না করলেও গ্রামের অন্যান্যদের বিষয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে বিশেষ রাজি নন। পাত্রী সম্পাদনকালে গ্রামের গরিব বাবার হাতে যদি দুটো পয়সা আসে তাহলে তারা বিষয়টিকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। তাই আশেপাশের পরিবারগুলি যখন মেয়ে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার বিয়েতে যৌতুক পাওয়ার প্রত্যাশা করেন তখন রাকিব মিয়া পরিবারের ধারা অক্ষুণ্ন রেখে মেয়েকে বিনা যৌতুকে পাত্রস্থ করেছেন। শুধু পাত্রস্থ করা নয়, উল্টে কন্যা সম্প্রদানেও যথাসাধ্য গয়নাগাটি দিতে কার্পণ্য করেননি। এহেন রাকিব মিয়া বিয়ের পরপরই নতুন জামাই-মেয়েকে ফিরিয়ে আনার আমন্ত্রণ দিতে গিয়ে পড়লেন বেশ সংকটে।

গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতে ঘরের ভিতরে বা বারান্দায় নিদেনপক্ষে একটি, কারো কারো আবার একাধিক বাঁশের চৌকি আছে। চৌকিগুলি যেখানে তৈরি করা হয় পরে আর স্থানান্তরিত করা যায় না। চারটি বা ছয়টি বাঁশের পায়া মাটি খুঁড়ে বসিয়ে তার উপরে আবার চারদিকে চারটি ভাড়া' খাঁটিয়ে বাঁশগুলোকে আধাআধি করে কেটে পেরেক দিয়া আটকিয়ে চৌকি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পরের দিকে গ্রামের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।নগরজীবনের বিলাসিতা গ্রামকে ক্রমশ গ্রাস করে।গ্রামের জীবনযাত্রা হয়ে ওঠে শহরের মতো আয়েসি ও ব্যয়বহুল।বাড়িগুলো থেকে ক্রমশ বিলুপ্ত হতে থাকে বাঁশের মাচাগুলো। আর তার স্থান দখল করে কোথাও কাঠের নির্মিত চৌকি বা কাঠের নির্মিত সুসজ্জিত খাট। আর এই বাঁশের চৌকিগুলো পরিত্যক্ত হয়ে পরিণত হয় উইপোকার খাবারে। কখনো বা পাড়ার মোড়ে মোড়ে নতুন নাম মাচা নামে পরিচিত হয়ে পরিণত হয় যুব সমাজের আড্ডার ক্ষেত্রে।

রাকিব মিয়া মেয়ে জামাই ফিরিয়ে আনতে নেমন্তন্ন করতে গেছিলেন সমুদ্রগড় গ্রামে। ছেলের বাড়ির পক্ষ থেকে ওনার প্রতি আদর যত্নের কোনো খামতি ছিল না। নতুন হলেও মাত্র কদিনেই রত্নাকে এই বাড়িতে হাসিমুখে ঘুরতে ফিরতে দেখে উনি খুব আনন্দিত হলেন। প্রাথমিক আলাপচারিতায় ছেলের বাবা-মাকে ইতিপূর্বে বলে রেখেছেন দুদিন পরেই মেয়ে জমাকে নিতে লোক পাঠাবেন। ওনারা অবশ্য তখনই মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়েছিলেন। নতুন বেয়াই-বেয়াইনকে ওনার খুব সরল সাদাসিদে বলে মনে হয়েছে। ওনাদের আন্তরিকতায় উনিও খুব খুশি হলেন। সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত গল্প গুজব হলো। তবে একটা বিষয় লক্ষণীয় এবাড়ির সদস্য সংখ্যা তুলনায় বেশি। বাড়িতে সারাক্ষণই লোকজনের আসা যাওয়া লেগেই আছে।আর তাদের কথাবার্তায় গোটা বাড়িটা যেন সারাদিনই গমগম করছে। রাতে খাওয়ার পরে শাশুড়িমা বৌমাকে বাবাকে শোয়ার ব্যবস্থা করতে বলে গেলেন। রত্না বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে গেল নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানে বাবা -মেয়ের আরও একপ্রস্থ গল্পগুজব হলো। এতক্ষণ বিষয়টি খেয়াল না করলেও এবার রাকিব মিয়ার চোখে পড়লো। একটু উঁচু করে শয্যাটি তৈরি করা হলেও ওনার বাড়ির চৌকির মত কোন শব্দ নেই। বাঁশেরচৌকিতে বসলে যে শব্দের সঙ্গে উনি পরিচিত এখানে তা অনুপস্থিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাঁশের চৌকিগুলি থেকে সব সময় একটা ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ হয়। উনি হঠাৎ চৌকি থেকে নেমে ভালো করে প্রত্যক্ষ করলেন, এই চৌকিটি ওনার বাড়ির মত বাঁশের নয়, কাঠের তৈরি এবং অত্যন্ত সুদৃশ্য। রত্নাও বুঝতে পারলো এ বাড়ির বৈসাদৃশ্য চৌকির প্রতি তার বাবার কৌতুহল হওয়াটা স্বাভাবিক। সেও হাসি হাসি মুখে ফ্যালফ্যাল করে বাবার দিকে চেয়ে থাকল। আর এমন একটা অভিনব জিনিস মেয়ের বাড়িতে দেখতে পেয়ে খুশি বাবাও। সন্তানের সুখ যেকোনো বাবা-মায়ের লক্ষ্য। আর সেই সুখ-সমৃদ্ধি যদি কোন ভাবেই নিজেদের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে তাহলে বাবা-মায়ের কাছে তা পরম সৌভাগ্যের বৈকি। এক্ষণে রত্নার বাড়িতে মোটা কাঠের চৌকি দেখে তার আগামীর সুখ-সমৃদ্ধি উপলব্ধি করে রাকিব মিয়ার চোখের আনন্দাশ্রু বাঁধ মানলো না।কিন্তু তিনি তা লুকানোর প্রয়োজন বোধ করলেন না। মনে মনে উপরওয়ালাকে ধন্যবাদ দিলেন কপাল গুনে মেয়েকে এমন জায়গায় পাত্রস্থ করতে পেরেছেন বলে।

রাকিব মিয়া আবেগকে চেপে রাখতে পারলেন না। চৌকির উপর বসে গদগদ কন্ঠে রত্নাকে জানালেন,
-মারে, আমি যে খুব লজ্জায় পড়ে গেছি।
-কেন আব্বু কি হয়েছে তোমার?
-কি আর হবে? তোদের বাড়ির এই এত সুন্দর চৌকি আমি আমার জন্মেও কোনদিন দেখিনি। আজ তার উপরে ঘুমাতে চলেছি। সাত জন্মে কপাল না করলে মেয়ের বাড়ির এ সুখ কি কেউ দেখে যেতে পারে? কিন্তু সমস্যা যে অন্য জায়গায় মা...
-কি সমস্যা আব্বু?
- বড় মুখ করে নিতে এলাম কিন্তু এখন জামাইকে বাঁশের চৌকিতে কি করে শুতে দেই বল দেখি?
-হ্যাঁ আব্বু আমারও এটা নিয়ে খুব চিন্তা হয়।
-কি চিন্তা রে মা?
-আব্বু জামাই সারাদিন কাজ করলেও ঘুমের সময় খুব খুঁতখুঁতে। ও বলে শোয়ার জায়গাটা খুব পরিচ্ছন্ন নিরিবিলি এবং আরামের না হলে নাকি ঘুম আসেনা।
-বলিস কি মা? আমি যে খুব সমস্যায় পড়ে গেলাম তাহলে।অমন বনেদি পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তা রক্ষা করা যে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
-আব্বু আমি একটা কথা বলবো?
-একটা কথা কেন মা, যতটা পারিস বল। এখন আমার একটা পরামর্শ দে, কি করে আমি জামাইয়ের সম্মান রক্ষা করতে পারবো?
-তুমি বাড়িতে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা চৌকির ব্যবস্থা করো।
- কিন্তু হাতে তো সময় নেই, মাত্র দু'দিন। এই সময়ে কি করে সম্ভব?

সে রাতে রাকিব মিয়ার আর ভালো ঘুম হয়নি। আর ঘুম হবেই বা কেমন করে, মেয়ে যদি বাবাকে জানায় জামাই জন্ম থেকে কাঠের চৌকির নরম বিছানায় শুয়ে বড় হয়ে এসেছে ;কাজেই অনতিবিলম্বে এমন বিছানার ব্যবস্থা করতে। তাহলে যেকোনো বাবারই তা মাথাব্যথার কারণ হতে বাধ্য। বিষয়টি যতই ভাবছেন ততই রাকিব মিয়ার দুর্ভাবনায় পরিণত হচ্ছে। ক্রমশ মাথার মধ্যে যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন সমস্যা থেকে সমাধান কিভাবে সম্ভব এ কথা ভেবে ভেবে রত্নার বাড়িতে সৌজন্যে সূচক বাকি সময়টুকু থাকতে বাধ্য হওয়াতে ভিতরে ভিতরে তিনি যেন অস্থির হয়ে উঠেছেন।


অবশেষে মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। রত্নার বিয়েতে যারা ত্রিপল বা সামিয়ানা ভাড়া দিয়েছিল তাদের কাছে গিয়ে খোঁজ করলে নিশ্চয়ই একটা সুরাহা হবে। হঠাৎ এক টুকরো আশার ঝলক দেখতে পেয়ে রাকিব মিয়ার মনের মধ্যে এক ঝলক ফাগুন হাওয়া বয়ে গেল। প্রফুল্ল চিত্তে কিছুটা দুলে উঠলেন। সকালে বিদায় নেওয়ার সময় যতই এগিয়ে আসতে লাগল ততই তিনি অস্থির হয়ে উঠেছেন। অবশেষে অন্তিম মুহূর্তে সকলে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকল মূল ফটকের বাইরে। রত্না দু-এক পা এগিয়ে এসে বাবার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে আর নিজেকে সামলাতে পারলো না। কান্নায় ভেঙে পড়ল।বাবাও মেয়েকে বুকে আগলে নিলেন পরম আদরে।
-চলে যাওয়ার সময় এমন করে কাঁদতে নেইরে মা, বোকা মেয়ে কোথাকার, বলে সস্নেহে কপালে আরেকবার চুমু দিলেন।
রত্না অত লোকের সামনে এভাবে তার কান্না করা যে ঠিক হয়নি তা বুঝতে পেরে লজ্জিত হলো।
শাশুড়ি মা-ই পরিস্থিতি সামলে নিলেন,
-বাপ সোহাগী মেয়ে। গতকাল থেকে বাপকে পেয়ে খুব আনন্দে ছিল। এখন বাপকে মন থেকে ছাড়তে চাইছে না তাই কেঁদে অস্থির হয়ে পড়েছে।
রাকিব মিয়া অত্যন্ত খুশি হলেন,
- বেয়াইন সাহেবা একদম মনের কথা বলেছেন। এই হলো সত্যিকারের মায়ের মন। আপনি ঠিকই বুঝতে পেরেছেন। রত্না এখন থেকে এক মা-বাবাকে মিস করলেও আরেক মা-বাবাকে ঠিক পেয়ে গেছে। এ আমাদের পরম সৌভাগ্যের।যাক আপনার মেয়ে আপনি সামলান,বলেই হাসতে হাসতে রাকিব মিয়া সাইকেলে চেপে বসলেন।

রত্নার বাড়ি থেকে বার হয়ে রাকিব মিয়ার শরীরের উত্তেজনা অনেক বেড়ে গেল। বয়সের কথা ভুলে গিয়ে জোরে আরো জোরে প্যাডেলে চাপ দিতে লাগলেন। সাইকেল ছুটতে লাগলো দ্রুত গতিতে। প্যাটেলের সঙ্গে তাল রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লো শরীরের হার্টবিট। কিছুটা পথ গিয়ে অসুস্থ অনুভব করলেন। রীতিমতো শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেল। সাইকেল থেকে নেমে একটা গাছ তলায় বসে পড়লেন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার চড়লেন সাইকেলে। নিজেই উপলব্ধি করলেন, নাহ এভাবে দ্রুত সাইকেল চালানো একেবারেই ঠিক হয়নি। বাকি রাস্তাটুকু স্বাভাবিক গতিতে সাইকেল চালিয়ে অবশেষে একসময় বড় রাস্তা ফেলে নিজের গ্রাম মাখালগাছার পথ ধরলেন। মোড়লরা গ্রামের বনেদি পরিবার। বাড়ির চারিদিকে উঁচু করে মাটির পাঁচিল দেওয়া। পাঁচিলের উপরে দুচাল বিশিষ্ট আড়াই আড়াই পাঁচ ফুটের খড়ের ছাউনি। মূল ফটকে একটি বাঁশের দরজা। কারণ ছাড়া দরজাটি সারা দিন বন্ধই থাকে। দরজার কাছে গিয়ে রাকিব মিয়া বার কয়েক ধাক্কা দিয়ে,
-হাম্মা হাম্মা, বলে ডাকতে লাগলেন।
রাকিব মিয়ার একমাত্র পুত্র হারুন। স্ত্রীকে তিনি নাম না ধরে হারুনের মা বলেই ডাকেন।খুব টেনশনে পড়লে রাকিব মিয়া স্ত্রীকে আর হারুনের মা বলতে না পেরে হাম্মা হাম্মা বলেই ডাকেন। সাহিদা বিবি স্বামীর এহেনো ডাকের সঙ্গে পরিচিত। তিনি বুঝতে পারলেন হারুনের বাপ মেয়ের বাড়িতে বা পথে কোথাও একটা সমস্যায় পড়েছেন। তিনি ছোট মেয়ে রুনাকে পাঠালেন ফটকটি খুলে দিতে। রুনা দরজা খুলতেই দেখে তাদের আব্বু রেগে অস্থির। ভয় পেয়ে রুনা এক ছুটে চলে আসে ঘরের ভিতরে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কিছু টাইপো থাকতে পারে পরে সময় নিয়ে ঠিক করা হবে।


মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?

সামাজিক ব্যাধি সময় বুঝে রূপ বদলায়।
যৌতুকও তেমনি।

শুভকামনা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দাদা ভালো আছি। বহুদিন পর আপনাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। তবে মাথার উপরে যে করোনাসুরের ভ্রুকুটি তাকে উপেক্ষা করি কি করে।
পোস্ট সম্পর্কে সহমত আপনার সঙ্গে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম।
আপনার জন্যও অফুরান শুভেচ্ছা রইলো।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২২

ইসিয়াক বলেছেন: বাহ! তারপর কি হলো জানতে কিন্তু এখনি মন চাইছে। রাকির মিয়ার হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণই বা কি?
তাড়াতাড়ি চাই কিন্তু পরের পর্ব........খুব ভালো। খুব ভালো ।খুব ভালো।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সুন্দর জিজ্ঞাসু সুলভ মন্তব্যে লেখার অনুপ্রেরণা পেলাম। বাকি অংশে জানতে পরবর্তী পর্বগুলোতে চোখ রাখার অনুরোধ করবো। পোষ্ট দেওয়া সম্পর্কে সপ্তাহে একটার বেশি দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা। মোটামুটি সাত/আট দিনের ব্যবধানে পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করব।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: কামান দাগাইয়া পেলাস। পরে আসি।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে স্যার। সময় নিয়ে আসুন। অপেক্ষায় রইলাম...

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার লেখায় যে গ্রামীণ সংস্কৃতির বর্ণনা পাচ্ছি তার সাথে আমার পরিচয় নেই। তাই একটু আগ্রহ বেশি ছিলো পড়ায়।

গ্রামের মোড়লরা কদাচিৎ সুসভ্য হয়। তার উপর রাকিব নামে আমার এক শিষ্য আছে। দেখা যাক কি হয়।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই প্রান্ত। গ্রাম সম্পর্কে তোমার নির্মল অনুভূতির পরিচয় পেয়ে খুশি হলাম। চেষ্টা করব যতটা সম্ভব গ্রামীণ সংস্কৃতি তুলে ধরার। আশা করি বাকি পর্বগুলোতে তুমি এভাবে সঙ্গে থাকবে।
তোমার শিষ্যের সঙ্গে গল্পে রাকিব মিয়ার সাদৃশ্য পেতে তোমাকে তো আরো বেশি করে পরবর্তী পর্বগুলোতে নজর রাখতে হবে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানবে।

শুভকামনা রইলো।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: হাম্মা ডাকটি ভীষন ভালো লাগল, রাকিব মিয়ার এই রাগ কি নিজের অক্ষমতা জন্য? কিভাবে সমস্যার সমাধান করলেন জানার আগ্রহে আছি প্রিয় ভাই।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শায়রী ভাই,

গল্পের বিশেষ অংশটি নির্বাচন করে অনুভূতি ব্যক্ত করায় খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। যেহেতু রাকিব মিয়ার রাগের কারণটা গল্পে উল্লেখিত হবে সেজন্য পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে অনুরোধ রাখব। সমাধান গল্পেই উল্লেখিত হবে।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম ;কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বৈশাখী শুভেচ্ছা আপনাকে।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বিঘার পরিমাণে ভিন্নতা আছে। কোথাও ৩৩ শতকে বিঘা, কোথাও ৪৯ শতকে। আপনার বর্ণিত এলাকায় বিঘা কত শতকে জানলে ভাল লাগত।

বাংলাদেশের গ্রাম দেশে এখনো মানুষ নিজের নামে কম পরিচিত। বয়স কম থাকার সময় বলা হয় অমুকের বেটা, আর বাচ্চা-কাচ্চা হওয়ার পরে বলা হয় তমুকের বাপ। মহিলাদের ক্ষেত্রে বেটার জায়গায় বেটি এবং বাপের জায়গায় মা এটুকুই পার্থক্য। হারুনের মা সেই হিসেবে খুব স্বাভাবিক ডাক।

বাড়ির বাহিরের উঠোনে , যেটাকে আমাদের গ্রাম দেশের ভাষায় বলা হয় খলা, বসার জন্য বাঁশের চৌকি অনেক দেখেছি।কিন্তু ঘুমানোর জন্য বাঁশের চৌকি কখনো দেখা হয়নি। কাঠের গাছের অভাব ছিল না ,কাঠমিস্ত্রি ও পাওয়া যেত। তবে এসবই সত্তরের দশকের শেষের দিকে। ষাটের দশকের কথা বলতে পারবোনা। অনুমান করছি আপনার গল্প সেই সময়ের। যদি তাই হয়, তবে অনুরোধ করবো শুরুর ছবিটা বদলে দিয়ে পুরাতন দিনের কোন একটা ছবি দিন, বা হাতে আঁকা কোন একটা ছবি দিন। আর যদি এটা ২০১৭র কোন ঘটনা হয় তবে ছবিটা পারফেক্ট।

গ্রাম দেশের যে ছবি এঁকেছেন তার অনেক কিছু ছোটবেলায় নিজেই দেখেছি। পোস্টে অনেক ভালোলাগা।

অনেক শুভকামনা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,

আপনার জিজ্ঞাসা সূচক পূর্ণাঙ্গ মন্তব্যে শান্তি পেলাম। আমার নিজের গ্রাম বা শহরের 1 বিঘা সমান 16 কাটা হলেও সর্বত্র এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। উত্তরপ্রদেশে আবার এক বিঘা সমান কুড়ি কাঠা। বরং এদিক দিয়ে আপনাদের 33 শতকের হিসাবের সঙ্গে আমাদের রাজ্যের গ্রাম শহরের শতকের হিসাবের সাদৃশ্য আছে। 1 কাঠা সমান 1.65 শতক।

মন্তব্যের দ্বিতীয়াংশে আপনার বক্তব্য থেকে পরিষ্কার বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম-শহরের পার্থক্য নেই বললেই চলে। ভাষা-সংস্কৃতি একই হওয়ায় সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। যে কারণে এখানেও অমুখের মা, অমুকের ব্যাটা বা অমুকের বাপ এই চল প্রচলিত আছে।

আপনার কাছ থেকে আরেকটি নতুন শব্দের পরিচয় পেলাম। বাড়ির বাহিরে বা উঠোন বা পাড়ার মোড়ে বাঁশের চৌকিকে যে করা বলা হয় তা জেনে আনন্দিত হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটি যেহেতু চলমান কাজেই আপনার অনুমান সম্পর্কে এখনই কোন সন্তোষজনক উত্তর দিতে চাইছি না। ধারণাটা থাক আগামী পর্বগুলোতে নিশ্চয়ই আপনি এর উত্তর পেয়ে যাবেন।

এবার আসি পোস্টের শুরুতে ছবি সম্পর্কে-আপনার মতামতটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে ছবি নির্বাচনে অবশ্য আমার অন্য উদ্দেশ্য কাজ করেছিল। ছবিতে স্টেশনের একটি ট্রেন আছে ও একটি নারীও আছে। দূরে সূর্যালোক দেখা যাচ্ছে। আর অদৃশ্যে আছে গল্পের প্রধান চরিত্রটি যে এখনো সামনে আসেনি। নারী থাকা মানে প্রেম থাকবে। তাকে নিয়ে ওই ট্রেনের সওয়ারী হিসেবে পারবে কি সূর্যের আলোয় নিজেদেরকে তেজোদীপ্ত করতে? না জীবন নদ থেকে হারিয়ে যাবে কোন সে গহ্বরে। এই উদ্দেশ্যেই ছবিটির নির্বাচন।আর ঘটনা পরম্পরা কোন দিকে যায় তা জানতেই আগামী পর্বগুলোতে চোখ রাখতেই হবে ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া সিরিজে।


সবশেষে গ্রামের ছবি সম্পর্কে আপনার সঙ্গে আমার মিল পাওয়াতে খুশি হলাম। বহুদিনকার ঘটনা; সব ঠিকঠাক স্কেচ করতে পাচ্ছি কিনা সন্দেহে আছি। এমতাবস্থায় আপনার সাপোর্ট পেয়ে মনে বল পেলাম। দেখি পরের পর্বগুলো সময়মতো যথাযথ নামাতে পারি কিনা।
সবশেষে আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার জন্যেও অফুরান শুভেচ্ছা রইলো।


৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! চমৎকার গ্রামীণ জীবনের ছবি উঠে এসছে ।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর পোষ্টের এক্কেবারে শুরুতে আপনার চমৎকার আন্তরিক মন্তব্য পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পরবর্তী পর্ব পরের সপ্তায় দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা প্রিয় আপুকে।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ছোট ভাইয়ের নাম রাকীব।

যার আছে তার সবই আছে। পুকুর জমি ফলের বাগান। যার নাই তার কিচ্ছু নাই।

সমুদ্রগর গ্রাম। নামটা খুব সুন্দর।

অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট পেলাম।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ চমৎকার নাম ছোট ভাইয়ের। হ্যাঁ এটা কিন্তু একদিক দিয়ে ঠিক। যার আছে তার অনেক কিছুই আছে,আর যার নেই তার কিছুই নেই আমার মত আর কি। হেহেহে..
সমুদ্রগড় নামটি ভালো লাগাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে। হ্যাঁ এখন থেকে সপ্তাহে একটি করে পোস্ট দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইকে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আশাকরি, এখন থেকে নিয়মিত আপনার পোষ্ট পাবো।

দাদা, আরেকটা কথা, আপনার বাড়ির কাজ কত টুকু হলো?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ এখন থেকে এই পর্বটি ধারাবাহিকভাবে দেওয়ার প্ল্যান আছে। আর বাড়ির কাজ আপাতত বন্ধ। লকডাউনের জন্য সমস্ত নির্মাণকাজ সম্পন্ন বন্ধ। তবে যেটুকু হয়েছে কোনোক্রমে নিচের তলায় উঠে যেতে পারতাম। আমার আবার বৈশাখ মাসে ঘর ছাড়ার প্ল্যান ছিল। আপাতত সেসব কবে হবে জানিনা।
বৈশাখী শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




গ্রামীন সমাজের ছবি।
এরকম রাকিব মন্ডল আজকাল দুষ্প্রাপ্য ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,

গল্পটা যেহেতু অনেক বড় কাজেই একদম শুরুতে যেটুকু বলা হয়েছে আগামীতে হয়তো তার চরিত্রের অন্য কিছু দিক সামনে আসতে পারে সেদিকে আধুনিক সমাজের সঙ্গে রাকিব মিয়ার চরিত্রের তেমন কিছু পার্থক্য নাও পেতে পারেন। তখন হয়তো আপনি আপনার মন্তব্যের দুষ্প্রাপ্য শব্দটি ফিরিয়ে নিতে পারেন। দেখা যাক আগামী পর্ব কোনদিকে যায়।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি,
অবশেষে একটা নতুন ধারাবাহিক গল্প পড়ার সৌভাগ্য হল। করোনা করোনা পড়তে পড়তে হাঁপিয়ে উঠোছিলাম।
আচ্ছা যৌতুক বলতে কি তুমি এখানে মোহরানা বুঝিয়েছ? দেখা যাক রাকিব মিয়া হাম্মার কাছে কি বলে।
আমার ব্লগে একটু উঁকি দিও নয়তো আমি রাগ করবো বলে দিলাম। :(

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

সৌভাগ্য আমারই হল অবশেষে তোমার মন্তব্যটি পেয়ে।হেহেহে...আর করোনা নিয়ে আর যেন পারছি না। বলতে পারো নিজেকে ঠেলে তুলতেই পোস্ট দিয়ে বসলাম। মাথা থেকে ঐ চিন্তা নামানোর জন্য।
আর যৌতুক বলতে দেনমোহর নয়। এখন সমাজে চিত্র পাল্টে গেছে।ছেলেরা যৌতুক পায়; প্রার্থীর পক্ষ দেয়। যৌতুক পছন্দ না হলে পাত্রপক্ষ কনের বাবার উপর ক্রমাগত চাপ দেয়। গল্পটা যে সময় তখন চিত্রটা বিপরীত ছিল। ছেলেরা মেয়েদেরকে পন দিত। এখানে সেই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন পারিবারিক ও লেখালেখিতে ব্যস্ত থাকায় ব্লগে ঢুঁ মারার সময় পাইনি। যেকোনো তোমার পোস্টটি কখন যে চোখের আড়ালে গেছিল টেরই পাইনি। মন্তব্য করে এসেছি। আশা করি তুমি আমার মত উত্তর দেবে।

পরিবার পরিজন নিয়ে সর্বদা ভালো থেকো সুখে থাকো।

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১২

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: তাইলে এহন কয়দিন লাইনে থাকমু স্যার?? /:)

দিলেন তো টাইমমতো প্যাঁচটা লাগাইয়া :-B

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার,

আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য,সু-স্বাগতম আপনাকে। আপনার ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম ধন্যবাদ জানবেন। হ্যাঁ সামনের সপ্তাহ পর্যন্ত আপনাদের একটু কষ্ট করে অপেক্ষা করাবো। আশা করি এখন থেকে আমার ব্লগে আপনাকে নিয়মিত পাবো।
সুখে থাকুন ভালো থাকুন সবসময়।

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!

দারুন ওপেনিং........

হাত খুলে চলুক রানের (পর্বের) বন্যা :)
দারুন আরকেটি সিরিজের জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ:)

+++++

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

ওপেনিং সম্পর্কে এতটা শাহ আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আমি যে পড়লাম বেশ ভাবনায়। জানিনা পরের দিকে আর তেমন রান জুটবে কিনা। তখন কিন্তু পাশ থেকে চলে গেলে শুনবো না হাহাহাহা...
নতুন সিরিজের জন্য ধন্যবাদ সানন্দে গৃহীত হলো। প্রতি ধন্যবাদ আপনাকেও।
পোস্টে লাইক ও এতগুলো প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার একটি লেখা উপহার দিলেন

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নেওয়াজ ভাই,

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে। এমন আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হওয়া স্বাভাবিক।
বৈশাখী শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৫

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি,
ইসলামের নিয়ম তো বিয়ের সময় পাত্র পাত্রীকে মোহরানা দিবে এটা ফরয কিন্তু পাত্র কোন যৌতুক নিতে পারবে না। এই মোহরানা একজন বিবাহিত স্ত্রী ও ক্রীতদাসীর মধ্যে পার্থক্য নিশ্চিত করে। এটা স্ত্রীর সম্মাননা।

তুমিও পরিবার সমতে আরোগ্য থাকো ও দোয়ায় আরোগ্যর কথা মনে রেখো।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

তোমার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কি উত্তর হবে আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা। তবে সহমত তোমার সঙ্গে দেনমোহর স্ত্রীর সম্মামনা। তবে আমার গল্পে উপস্থাপনের বিষয়টি ছিল যৌতুক। এখন যেমন হরহামেশাই গোটা দেশের সর্বত্রই কমবেশি পাত্রপক্ষ মেয়ে বাবার কাছ থেকে যৌতুক আদায় করেন।

তোমার দোয়া যেন উপরওয়ালা কবুল করেন। তুমিও তোমার পরিবারের জন্যও রইল অফুরন্ত শুভেচ্ছা।

১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা দু'টা মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

চৈত্রের খরতাপে ম্লান হোক সকল জরাজীর্ণতা।শুভেচ্ছা, বছরের শেষ দিন আজ ছিল শুভ বারতা বয়ে আনুক পৃথিবীর জন্য।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইয়ের আবার আগমনে বৈশাখী শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপ্লুত হলাম। চমৎকার লাগলো কথাটি," চৈত্রের খরতাপে ম্নান হোক সকল জরাজীর্ণতা।" সুন্দর শুভাশিসের জন্য আরেকবার ধন্যবাদ ভাইকে।
বৈশাখী শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

করুণাধারা বলেছেন: গ্রামীণ সহজ সরল এক মানুষের কথা চমৎকার ভাবে বলে যাচ্ছিলেন, যেভাবে বিরতি আনলেন ভয় লাগছে মোড়লের অসুস্থতার কথা ভেবে। মনে হচ্ছে খারাপ কিছু ঘটবে।

সাথেই আছি। প্যাটেল <প্যাডেল

++++

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক ঝড় ঝাপটা সামলিয়ে অবশেষে আপনার দেখা পাওয়াতে ভীষণ খুশি হয়েছি। আশাকরি সমস্ত রকমের চাপ সামলে আপাতত মুক্ত হতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গ সম্পর্কে আপনার সহজ অভিব্যক্তি পেয়ে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। মোড়ল সাহেবের সাময়িক শরীর খারাপ; দেখে আপনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।পাঠকের এমন জিজ্ঞাস্য যেকোনো লেখকের কাছে অনুপ্রেরণার। ঘটনা কোন দিকে যায় তা জানতে পরবর্তী পর্বগুলোর দিকে চোখ রাখতে অনুরোধ করবো।
পোস্টে লাইক ও এতগুলো প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বৈশাখী শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি আপু আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে ভূলে গেছি।
প্যাডেল টাইপোটা ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সবসময়।

১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: উঠে পড়লাম বেলগাছিয়ার ট্রেনে। দেখা যাক মোড়ল সাহেব কাঠের চৌকি কিভাবে যোগার করে। চালিয়ে যান ভাই, আছি সাথেই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে... এমন ভ্রমণপিপাসু যাত্রীকে পেয়ে আমি খুব উৎফুল্ল হলাম। বাকি স্টেশনগুলোতেও এভাবে সাথে থাকবেন আশা করি।
বৈশাখী শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাইজান।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার শুভেচ্ছা সানন্দে গ্রহণ করলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সবসময়।

২০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৩

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি মেইল কি পেয়েছিলে?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ পেয়েছি। আশাকরি তুমিও আমার জবাবী মেইলটি পেয়েছ।

শুভকামনা জানবে।

২১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৪

দজিয়েব বলেছেন: এ পর্বটা ভালোই লাগলো। আপনার আগের গল্পগুলো সময়ের অভাবে এখনো পড়ে উঠতে পারিনি। এটা যেহেতু প্রথম পর্বটাই এসেছে মাত্র, বাকি পর্বগুলো ফলো করার চেষ্টা করব। শুভ কামনা জানাই।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য। সু-স্বাগতম আপনাকে। এই পর্বটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ জানবেন।
বাকি পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ রইল।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা জানবেন।

২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া এটা কত আগের গল্প ? খাটের আগে শুনেছি কাঠের চৌকি ছিল নিশ্চয় তার আগে বাঁশের মাচা ছিল । আমি কখনো দেখিনি । কিন্ত আপনার বর্ণনা এত নিখুঁত হয়েছে মনের চোখে সত্যি দেখতে পেলাম ।

গল্পে ভালো লাগা ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত আমি আপু। যদিও প্রশ্নটা ইতিপূর্বে আরো একজন করেছেন। ওনার ক্ষেত্রে অবশ্য আমি সরাসরি উত্তর দেইনি। হ্যাঁ ঘটনাটাও যথেষ্ট পুরানো,ষাটের দশকের হবে। চলবে পরবর্তী আরো বেশ কিছু বছর ধরে।
মাচা দেখা প্রসঙ্গে বলি, গ্রামের পরিবেশে অভ্যস্ত না হলে এটা আপনার না দেখারই কথা। বর্ণনা ভাল লেগেছে শুনে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ জানবেন।
আশাকরি পরবর্তী পর্বগুলোতেও এভাবে পাশে পাব।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, লেখা ভালো লেগেছে। যা বলতে এসেছিলাম সেটা দেখি অনেকেই বলে গেছেন আগে।
আমার কাছে এই সিরিজ ইতিহাস ভিত্তিক লেখা মনে হয়েছে।
তবে কাঠের খাঁট আর বাশের মাঁচা নিয়ে অংশটা বেশ ভালো লাগলো।
লেখা চলুক, সাথেই আছি।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

সাম্প্রতিককালে নানান ব্যস্ততায় ব্যস্ততাটা অত্যন্ত বেড়ে গেছে। বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। যাক ইতিপূর্বে যেহেতু অনেকেই আপনার মনের কথাটি বলেছেন কাজেই আশা করব উত্তরটাও পেয়ে গেছেন। আর ইতিহাস ভিত্তিক লেখার জন্য যে পুঙ্খানুপুঙ্খ ক্রোনোলজি মেনটেন করা হয় তা আপনি এখানে পাবেন না। এরপরও যদি আপনার আলোচ্য সিরিজটিকে ইতিহাস উপাখ্যান আখ্যা দিতে ইচ্ছা হয় আমার আপত্তি নেই। গল্পের অংশ বিশেষ উল্লেখ করে ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ জানবেন।
পোস্টে লাইক করতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৭

বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: সময় নিয়ে পড়লাম, ভালো লাগল অনেক।।

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য সু-স্বাগতম আপনাকে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।


অফুরান শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভ্রমণকাহিনী মনে করেছিলাম; এখন কাহিনী দেখি অন্য। মনে দাগ কেটেছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল,

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ দাদা। আশাকরি পরের পর্ব থেকে নিয়মিত আপনাকে পাশে পাবো।‌

পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রাণিত বোধ করছি; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১২

মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা ,
সুন্দর একটি সিরিজ পেতে যাচ্ছি আপনাকে সেজন্য জানাই প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ । গ্রামীণ পটভূমি আবহে রত্নার চাওয়ার চাইতেও বেশি এবং রাকিব মিয়ার কিছু আর্থিক অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলো। গল্পটিতে সমাজের পজিটিভ টার্ন আছে ।
একটা মজার ব্যাপার কি জানেন দাদা, কিছু কিছু চলন রীতিনীতি আছে যা কখনো বদলানোর নয়।
দেখা যাক কি হয় পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ।
বাবাই এর খবর কি , ওকে দোয়া দিবেন ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ ছোট বোনকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হ্যাঁ পটভূমিটা আপাতত গ্রাম্য এবং ছোট্ট একটা অঞ্চল দিয়ে শুরু হলেও ক্রমশ তা অনেকটা বড়ো হয়ে এক বৃহৎ এলাকাব্যাপী বিস্তৃত হবে। তার জন্য আগামী পর্বগুলোতে চোখ রাখার জন্য বোনের কাছে অনুরোধ রইলো।
উল্লেখ্য পরবর্তী পর্বটি দিতে মনের দিক দিয়ে প্রচন্ড বাধা বাধা আসছে। বিগত চারদিন আগে শুনেছিলাম ব্লগার আরোগ্য মারাত্মকভাবে অসুস্থ। মাঝে দুদিন ওর শারীরিক অসুস্থতা এতই বেশি ছিল যে কোন যোগাযোগ সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু খবরটি শোনার পর থেকেই ব্লগিং করা ইচ্ছাটি হারিয়ে ফেলেছিলাম। পোস্ট দেওয়ার মতো মানসিকতাই ছিল না। আজ মনের দিক থেকে একটু ব্লগিং করার ইচ্ছা হলেও জানিনা পোস্ট দিতে পারব কিনা।

আরোগ্যের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

এই সঙ্গে শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।

২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৫১

সোহানী বলেছেন: গ্রামীন পরিবেশের গল্প অনেক ভালোলাগে। নিজে কখনো সেরকম পরিবেশ পাইনি তাই জানার আগ্রহ অনেক।

চলুক রত্না ও রাকিব মিয়ার সাথে আছি............

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। গ্রামের পরিবেশ আপনার ভালো লাগে শুনে খুশি হলাম। নিজের ক্ষুদ্র সামর্থ্যে চেষ্টা করব আপু যতটা সম্ভব তুলে ধরার। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
দ্বিতীয় পর্বে আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য ইতিমধ্যে পেয়েছি। আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো আশা।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বাসায় থাকুন; সুস্থ থাকুন।

২৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পে দেখি কাকতালিয় ব্যাপার ঘটেছে! আমার লেটেস্ট গল্পেও দেখি মন্ডল আর চার মেয়ে, এক ছেলে আছে!!! :||

ছবির ব্যাপারে মা.হাসানের মতো আমারও মনে হয়েছে গল্পের সময়ের সাথে ২০১৭এর ছবি একেবারেই যায় না, সে আপনি যে ব্যাখ্যাই দেন না কেন। আপনার ব্যাখ্যা পড়েছি, কিন্তু মানতে পারলাম না। :P

গ্রাম্য বর্ণনার সাথে কিছু ব্যাপার মিলাতে পারি নাই। সেটা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের প্রামীণ অবস্থার সাথে আমি একদমই পরিচিত না, সেই কারনে। তাই সেদিকে আর গেলাম না। তবে, সেও হাসি হাসি মুখে ফ্যালফ্যাল করে বাবার দিকে চেয়ে থাকল। হাসি হাসি মুখের সাথে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকা কিন্তু একেবারেই মানানসই না।:)

গল্পটা পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য আপনার লেখা সব সময়েই মুখরোচক!!! ;)

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল মফিজ ভাই,

হেহেহে কাকতালীয় একটু ঘটেছে বৈকি। তবে আপনার গল্পে ভাইয়ের স্থান চার বোনের পরে। আর আমার গল্পে ভাইয়ের স্থান সর্বপ্রথমে। দ্বিতীয়তঃ আপনি পুত্র সন্তানকে নিয়ে গল্পের বিন্যাস ঘটিয়েছেন।আর আমার গল্পে আপাতত পুত্রসন্তানের ভূমিকা নেই। নেপথ্য আছে। তবে ভবিষ্যতে কতটা সামনে আসে দেখা যাবে।

মা.হাসান ভাইয়ের সঙ্গে ছবির ব্যাপারে সুন্দর মতের জন্য ধন্যবাদ। তবে অনেকটা দূর চলে এসেছি, এখন আর বদলানো সম্ভব নয়।
হাসিমুখ হাসিমুখে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে প্রসঙ্গে,
ফ্যালফ্যাল অর্থে কিছুটা উদাসীনতাকে বোঝানো হয়েছে। আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে বহু ক্ষেত্রে আগত কোন সমস্যার আশু সমাধান করতে না পারলে অথবা পরেও সেরকম কোন দিশা দেখতে না পেলে আমরা নিজেরাই অনেক সময় শূন্যে চেয়ে থাকি। গল্পে রত্নার তেমনই একটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বাবা সামনে থাকায় মুখে একটু হাসি হাসি ভাব আছে ঠিকই কিন্তু যে দৃষ্টিতে কিছুটা উদাসীনতা মেশানো। যাই হোক গল্পে দুটি মিশেলে একটি বিশেষ মুহূর্তকে উল্লেখ করতে চেয়েছি।

গল্প পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়াতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল।


২৯| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ১:২৯

রাকু হাসান বলেছেন:




এই অংশের রাকিব মিয়ার চিত্রায়ন আমার ভালো লাগছে। ধন্যবাদ এমন সাদা মনের মানুষকে তুলে ধরার জন্য। প্রকৃতপক্ষে এমন মিয়া বাংলায় ছিল ,এখন থাকলেও জানি না ,দেখি না। গল্পে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী সরলতা লক্ষ্য করছি।আগেকার মানুষগুলো এমনই ছিল। এখন বড় দুষ্কর। মেয়ের পেছনে সাইকেেলে চড়ে যাওয়ার সময় শ্বাস-কষ্টের অংশ ভয় পেয়েছি। বাবার প্রতি মেয়ের টান -এটা সত্য। দেহের টানের কাছে মনের টান হেরে যায় বাবাদের। যা হোক গ্রামের এমন সরল মানুষদের মিস করি। তোমার লেখার সুবাধে উপভোগ করলাম। হাম্মা ডাকটি অদ্ভুদ মনে হচ্ছিলো। কারণ খোঁজছিলাম ,তারপর তো পরের লাইনে পেয়েই খেলাম। ;) । গ্রামের বাড়ির বাঁশের চকির অংশটা আমার পড়তে সমস্যা হয়নি। গ্রামীন চিত্রায়ন নিশ্চয় কঠিন। আমি সহজে দেখতে পাচ্ছিলাম এটা। তোমার পটভূমির আলোকে আমি গল্পের প্লটের টাইম সেটিং ধরেছি ৮০-৯০ দশক । লেখকের সাথে নাও মিলতে পারে। পাঠক তো কল্পনা করবেই :P ।যৌতুকের জন্য রাকিব মন্ডেলের সামাজিক সহাবস্থান ইতিবাচকভাবে দেখছি। রাকিব মন্ডলের মানসিকতার আলোকে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন নেই।

এই হিসাবে গল্পের মূল চরিত্র (রাকিব মন্ডল) বেশি আধুনিক লাগছে। রাকিব নামটিকে আমার একটু আধুনিক নাম মনে হয় । আমি বলতে চাচ্ছিলাম তখনকার সময়ের নামগুলো একটু কেমন জানি অন্য রকম ছিল। যেমন বশির ,এখন এমন রাখতে দেখি না। কত ধরনের নাম পাপ্পা,বাপ্পা,টাকু্কু ,চুক্কু ,চান্নু =p~ । নাম নিয়ে আমার কিন্তু বিন্দুমাত্র আপত্তি নেয় । একজন লেখক যদি পাঠকের প্রকৃত প্রক্রিয়া পায় ,তাহলে অবশ্যই সেটা ইতিবাচক। :) আমি সেভাবেই মতামত দিয়েছি। আর পাঠকেরও প্রশান্তি লাগে । ওকে এগুলো তোমাকে না বললেও হবে। শুরু করলাম ....আম্ফানের কি খবর ? নিরাপদ আছ তো ?

২৪ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই রাকু,

কতদিন পরে তোমাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। তুমি কমেন্ট করেছ ইতিমধ্যে বেশ কিছু দিন হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা মহাপ্রলয়ে মারাক্তক ভাবে আক্রান্ত হয়েছি।যে কারণে মাঝে কয়েকদিন ব্লগে ঢুকতে পারিনি।আজ স্কুটির ডিকিতে চার্জের ব্যবস্থা করে ফোন চার্জ দিয়ে ব্লগে লগ ইন করলাম। বিভীষিকাময় সেই পরিস্থিতি সারাজীবন ভুলতে পারবো না।সেই কুড়ি তারিখ থেকে আমরা নেই রাজ্যে আছি‌ এবং এখনও।‌

তুমি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছ। নির্বাচিত কিছু অংশ তুলে যেভাবে মন্তব্য করেছ তাতে পোষ্টটি যে অত্যন্ত খুঁটিয়ে পড়েছ বিষয়টি পরিষ্কার।পাঠক হিসেবে তোমাকে পাওয়া রীতিমতো আনন্দের, উপভোগ্যও বটে। তবে যে সময় কালটি উল্লেখ করলে সময়টি আরো একটু পিছিয়ে। আলাদা করে বিষয়টি উল্লেখ করব না। তবে আগামী পর্বগুলোতে আশাকরি তুমি নিজেই তোমার মনের উত্তরটা পেয়ে যাবে।

নামখান সম্পর্কেও তোমার ধারণাটি বেশ ভালো লাগলো। একটা উপন্যাসের তো কেন্দ্রীয় ও পার্শ্ব অনেকগুলি চরিত্র থাকবে। দেখা যাক পরবর্তী নামগুলো কেমন প্রকৃতির হয়।
আম্ফান সম্পর্কে শুরুতেই তোমার উত্তর দিয়েছি। হৃদয়টাকে একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ না থাকলে যে কত অসহায় হয়ে হয় এবার তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা রইল।

৩০| ২৪ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:০৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমি পুরোটা পড়ে ৪র্থ পর্বে কমেন্ট করেছি।এখানে একটা বিষয়ে একটু দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য লেখা।৫ম প্যারার ১ম লাইনের শেষাংশে "মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে উনার প্রতি......" এ লাইনটায় চোখ আটকে গেল। "ছেলের বাড়ির পক্ষ থেকে..." কথাটি এভাবে মনে হলো।ধারনাটা ভুল হলে ক্ষমা করবেন প্লিজ।

২৪ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গুড জব। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি, প্রিয় জাফরুল ভাইকে। আপনার প্রতিমন্তব্য দেওয়ার আগেই আমি এডিট করে বিষয়টি ঠিক করে দিয়েছি। আগামীতেও এমন সহযোগিতা আপনার কাছ থেকে পাব আশাকরি।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা নিয়েন।

৩১| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি দেরী করে পোষ্ট দেওয়ার জন্য এবং আমার ভুলোমনের জন্য আ্রেকবার চোখ বুলাতে হচ্ছে পোষ্টে।

২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি স্যরি স্যরি। অন্তত ছোট ভাইয়ের জন্য চেষ্টা করবো সপ্তাহে একটি পোস্ট দেওয়ার।
ভাইকে কষ্ট দেওয়াতে ব্যথিত।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
গ্রামীণ সমাজ , শেকড়, মাটি গাছপালা এবং মাটির মতো
সহজ সরল মানুষদের জীবন যাপনের অনুভব পেলাম ।
সেদিন আপনার এই গল্পের একটি পর্ব পড়তে যেয়ে মনে
হল প্রথম থেকে পড়া দরকার । এই শুরু করলাম ।
শুভেচ্ছা নিবেন ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনি গ্রামীণ সমাজ, শেকর, মাটি গাছপালা এবং মাটির মতো সহজ সরল মানুষদের জীবন যাপনের অনুভব পেয়েছেন জেনে পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। ইতিমধ্যে পরবর্তী পর্বে আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তর দিয়ে এসেছি। আশা করি সময় পেলে বাকি পর্বগুলোও শেষ করবেন। আপনার অবগতির জন্য জানাই, মরীচিকা নামে 32 পর্বের আমার একটি উপন্যাস আছে। যদি সম্ভব হয় তাহলে আমার প্রোফাইলের একটু পিছনের দিকে গিয়ে একবার চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন। আশা করি খুব খারাপ লাগবে না।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪

অধীতি বলেছেন: গ্রামীন জীবনের ঝামেলাগুলো শুরু হয় মূলত টুকটাক বিষয় নিয়ে। গল্পকারের হাত পাকা।কোন তাড়াহুড়ো নেই। নির্দিষ্ট একটা গতিতে টেনে নিয়ে গেছে প্রথম পর্বটি।অনেক সময় দেখা যায় ছন্দ হারিয়ে ফেলে, যেমন কোথাও ঘটনা দ্রুত হয়ে আবার ব্যাপকতা এই ত্রুটি থেকে লেখিকা মুক্ত। লাইক দিলাম। সামনেরগুলোও পড়বো।এমন মিসেস পাওয়া কপালের ব্যাপার।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুঁজে খুঁজে মন করে একেবারে প্রথম পর্বে এসে পাঠ ও মন্তব্য করেছেন দেখে পুলকিত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
সহমত আপনার সঙ্গে যে গ্রামীণ জীবনে খুব ছোটখাটো বিষয় নিয়েই ঝামেলা শুরু হয়। পরবর্তীকালে তা বৃহত্তর রূপ পরিগ্রহ করে। হিংস্রতা দানা বাঁধে। উভয় গোষ্ঠীর কাছে তখন প্রাণান্তকর অবস্থায় পৌঁছায়।
একজন শিক্ষানবিস বা হাতুড়ে লেখককে পাকা গল্পকার বলে অভিহিত করে সত্যিকারের গল্পকারদের অবমূল্যায়ন করবেন না। গল্পের শ্লথগতির আপনার সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে ধরা পড়াতে খুশি হলাম। সুন্দর যুক্তিতে বিষয়টি গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবোধ করছি নিজেকে।
সময় পেলে পরবর্তী পর্বগুলো পড়বেন এই আশা রাখি। মিসেসের প্রসঙ্গ তুললেন, সেটা যদি গল্পে হয় তাহলে আলাদা কথা। কিন্তু গল্পকারের যদি হয় তাহলে বলি,লেখাটা মিসেসের নয়।

পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া - সিরিজটা পড়া শুরু করলাম।
শের শায়রী বলেছেন: হাম্মা ডাকটি ভীষন ভালো লাগল - আমারও। :)
আহমেদ জী এস বলেছেন: .... "এরকম রাকিব মন্ডল আজকাল দুষ্প্রাপ্য" - এ কথাটার সাথেও আমি একমত।

আজ আপাততঃ এটুকু বলেই বিদায় নিচ্ছি। তবে আপনার এ পোস্টে পুনরায় আসার আশাবাদ ব্যক্ত করে গেলাম।
পোস্টে প্লাস + +।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সিরিজটি শুরু করাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে ।‌
হাম্মা ডাক আপনার খুব ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

ইতিমধ্যে আপনার পরবর্তী পর্বে এই নিয়ে একটা প্রতিমন্তব্য দিয়েছি। আশাকরি আপনি দেখে নেবেন।


আহমেদ জী এস বলেছেন: .... "এরকম রাকিব মন্ডল আজকাল দুষ্প্রাপ্য" - এ কথাটার সাথেও আমি একমত।"-ঠিকি বলেছেন স্যার। আহমেদ জী এসে একজন বিচক্ষণ ব্লগার। ওজন বিভিন্ন কমেন্টে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।

নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.