নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া ( সূচনা পর্ব -২)

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৮



ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-৩)

দোয়া প্রার্থনা:- অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে জানাচ্ছি যে জনপ্রিয় ব্লগার আরোগ্য অতিসম্প্রতি মারাত্মক শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে ও রক্তাল্পতায় ভুগছিল। অতি সম্প্রতি তার সঙ্গে জ্বর, শুকনো কাশি ও সময়ে সময়ে কাশিতে রক্ত পড়া যোগ হওয়াতে শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটে।এদিকে করোনার কারণে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়াও রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সেখানে এমন শারীরিক অবস্থা নিঃসন্দেহে অকুল সাগরে পড়ার সামিল। এমতাবস্থায় কোনোরকমে একটু চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ায় ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় টিবির সম্ভাবনা আছে বলে ডাক্তারবাবুর অনুমান। উল্লেখ্য যাবতীয় চিকিৎসা আপাতত বাসা থেকেই হচ্ছে।
তার সঙ্গে আমার মেইল যোগাযোগ থাকলেও এর বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি। গতকাল দুবার মেল করলেও আজ এখনো পর্যন্ত কোন উত্তর পাইনি।
ব্লগার আরোগ্যের দ্রুত আরোগ্যলাভ কামনা করতে সকলের কাছে প্রার্থনা করার অনুরোধ রইলো।

পর্ব-২

রুনার ছুটে যাওয়া দেখে মেজো ও সেজো বোন দৌড়ে ছুটে যায় পাঁচিলের সদর দরজার কাছে। দুজন প্রায় একইসঙ্গে জিজ্ঞাসা করে,
-আব্বু কি হয়েছে তোমার? রুনা কি করেছে?
রাকিব মিয়া মেয়েদের কথার উত্তর তো দিলেন না উল্টে আরও রেগে গিয়ে গজরাতে গজরাতে চোখ মুখ বিকৃতি করে পাল্টা জিজ্ঞেস করেন,
-কী হ-য়ে-ছে আ-মা-র? এক প্রকার দাঁত মুখ চেপে বার কয়েক রিপিট করেন কথাটা। দুই বোন হঠাৎ থতমত খেয়ে ভয় পেয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। উল্লেখ্য উনি যখন স্বাভাবিকভাবে কথা বলেন তখন ওনার কথার মধ্যে কোন জড়তা থাকে না। কিন্তু রেগে গেলে মুখ দিয়ে সহজে কথা বার হয় না। আর তখনই কথা না বলতে পারার হতাশায় শরীর ভাষাতে ভয়ঙ্কর ক্ষোভ উগড়ে দেন। সেই মুহূর্তে যারা সামনে পড়ে তাদের উপর বিষোদগার করতে থাকেন। যেন পারলে এক্ষুনি ছিঁড়েই খাবেন। ইতিমধ্যে ভারী শরীরটাকে টানতে টানতে অনেকটা দূর্মুস করতে করতে সাহিদা বিবি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। খুব শান্ত ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন,
- হ্যাগো! কি হয়েছে তোমার? বাড়ির মধ্যে না ঢুকে বাইরে দাঁড়িয়ে এভাবে কথা বলছো কেন?
এবার যেন আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ল। এতক্ষন দরজা থেকে বেশ খানিকটা দূরেই ছিলেন রাকিব মিয়া। এক-পা দু-পা কিছুটা এগিয়ে যাচ্ছিলেন
মোড়ল সাহেব কিছু একটা বলতে। কিন্তু ঝপাং করে পাশে থাকা সাইকেলটি সশব্দে মাটিতে পড়ে যাওয়াতেই বিপত্তি আরও বেড়ে গেল। বোধহয় সাইকেলের স্ট্যান্ডটি ভালো করে দেওয়া ছিল না অথবা জায়গাটি নরম মাটির কারণে স্ট্যান্ডটি বসে গিয়ে সাইকেলটি পড়ে থাকতে পারে। যাইহোক প্রিয় সাইকেলটি পড়ে যাওয়াতে এবার রাগের মাত্রা যেন সপ্তমে চড়ে গেল। ছুটে গিয়ে সাইকেলটি তুলে কোনোক্রমে দাঁড় করিয়ে চলে এলেন সাহিদা বিবির এক্কেবারে সামনে। উচ্চতায় রাকিব মিয়া সাহিদা বিবির তুলনায় বেশ কিছুটা খাটো। কিন্তু এক্ষুণে স্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে খাটো মানুষটি লাফিয়ে লাফিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে লাগলেন।কিন্তু কি বলতে চাইছেন সেটা পরিপূর্ণ না হওয়াতে কারো কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হলো না।রেখা ও রুবি একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলো।ইশারাতে একে অপরকে জিজ্ঞাসা করল আব্বুর কথাটা বুঝতে পেরেছে কিনা।কিন্তু দুজনেই মাথা নাড়িয়ে তাদের দুর্বোধ্যতার জানান দিল। সাহিদা বিবির যেন এবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেল। তিনিও পাল্টা গলা খাকিয়ে চড়া সুরে বলতে লাগলেন,
-অসভ্য লোক কোথাকার। যত লম্ফঝম্প সব বাড়িতে, বউয়ের কাছে। এমন মরদ যে বাইরে কারো কাছে লাফালাফি করতে পারেনা।এই লোককে পাড়ার লোক মোড়ল মানে কেমন করে, আমার মাথায় ঢোকে না। সারাজীবন আমার হাড়মাশ জ্বালিয়ে খাচ্ছে।অথচ বাইরে এক্কেবারে যেনো অবতার।
স্ত্রীর পাল্টা আক্রমণে রাকিব মিয়া একটু থতমত খেয়ে গেলেন। উনি মুখ খুললেও পাঁচিলের বাইরে বাড়ির বউ যে এভাবে মুখ খুলতে পারে তা ভাবতে পারেননি। তাই কিছুটা দেখে অবাক হলেন। প্রাথমিক জড়তা কাটিয়ে উনিও এবার পাল্টা আক্রমণ শুরু করলেন,
-অসভ্য আমি না তুমি? মেয়ে-জামাই থাকবে কোথায় সে কথা ভেবে ভেবে আমি দিশেহারা। কোথায় তাড়াতাড়ি বাড়ি এলুম একটা সমাধান সূত্র বার করব বলে। আর উনি রাজরানী হয়ে ভিতরে বসে আছে। বারে বারে একটার পর আরেকটা মেয়ে পাঠাচ্ছে। আবার বাইরে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করা। মোড়ল বাড়ির মানসম্মান সব ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে যেন মহোৎসব করছে।
মেয়েদের দিকে মুখ করে সাহিদা বিবি তৎক্ষণাৎ বিচারপ্রার্থীর ন্যায় অভিযোগ করেন,
-দেখলি দেখলি লোকটার মুখের ভাষা দেখলি? আমাকে কিনা বলে রাজরানী? কি রাজরানীর শ্রী গো! আর আমি যদি রাজরানী হই তাহলে তুমি তো রাজামশাই।
আক্রমণের ঝাঁজ বজায় রেখে মুহূর্তে স্বামীর দিকে মুখ ফিরে আবার বলতে লাগলেন,
- আর মহোৎসব করছি আমি না তুমি?বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যা করছ তাতে পাড়ার লোক ঠিকই বুঝতে পারছে কে প্রকৃতই মহোৎসব করছে।
সাহিদা বিবি যেন কিছুতেই থামতে চাননা। নাক মুখ বেঁকিয়ে তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে বলতে লাগলেন,
--কিছু লোককে মাঝে মাঝে চাল ডাল দিয়ে তাদের মাথায় খবরদারি ফলানো।‌ তোমার মোল্লাকির আমি কিচ্ছু বুঝিনা? এবার মোল্লাকি সব বন্ধ করে দেব।

সাহিদা বিবি রাগের মাথায় ঠিকই বলেছেন। রাকিব মিয়া বাইরের লোকের প্রতি সাধারণত রাগ দেখান না। তবে সব সময় যে এ নীতি মেনে চলতে পারেন তেমনটি নয়। মাঝে মাঝে একে অপরের উপরে একটু ধমকাধমকি দেন ঠিকই। তবে ওনার এই ধমকাধমকিকে কেউ বিশেষ পাত্তা দেন না।পাড়া-পড়শীরা প্রত্যেকেই জানেন মোড়ল সাহেবের কাছ থেকে ধমক খেলে পরে প্রাপ্তিযোগ ঘটবে।মনের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল স্বভাবের মানুষটি কাউকে ধমক দিয়ে বেশিক্ষণ নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না। নিজের কোমল চরিত্রের জন্যই হোক বা উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে হাতে রাখার জন্যই হোক কিছুটা তোষামোদ করতে পরে তাকে কাছে ডেকে নেন।এমনিতে সারাবছর হিন্দু- মুসলিম নির্বিশেষে বহুলোককে নিজের জমিতে কাজ দেন, তারপরও অনেক ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে চাল ডাল নিয়ে কিম্বা জমিতে কাজ পাইয়ে দিয়ে যতটা সম্ভব তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেন।আর এক্ষেত্রে তাদেরকে হাতে রাখার জন্য ঘরে স্ত্রীকে খুশি রাখাটা যে জরুরি-মোড়ল সাহেব এটা ভালোই বোঝেন। সাহিদা বিবির প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া ঘর থেকে এক কনা চাল ডাল বের করা যে সম্ভব নয়।তাই যখনই স্ত্রীর উপরে বিশেষ গুণ প্রদর্শন করেন, ওনার পাল্টা আক্রমণে এক প্রকার ঢোক গিলতে বাধ্য হন।

অন্যদিকে,কথাতেও সাহিদা বিবি দমে যাবার পাত্রী নন। স্বামীকে প্রতিআক্রমণে বলেন, শিয়াল রাজা বলে কটাক্ষ করেন এবং রাজত্ব ফলাবেন বাইরে গিয়ে বলে আঙ্গুল উঁচিয়ে সাবধান করেন। ঘরের মধ্যে ওসব উনি বরদাস্ত করবেন না।
চোখের সামনে আব্বু-আম্মুর এমন ঝগড়া দেখে রেখা ও রুবি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে যায়। তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাদের ঠিক করণীয় কি? এদিকে জোরে জোরে চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের বেশ কয়েকজন ছুটে আসেন। যতই আপদ-বিপদে পাশে দাঁড়াক,মোড়ল বাড়ির এমন দুর্লভ ঝগড়া দেখার সুযোগ তারা হাতছাড়া করবেনই বা কেন। দরজার বাইরে তখন দু-চার জন মুখ চাওয়াচাওয়ি করে দাঁড়িয়ে গেছেন। দুই বোন বুঝতে পারলো ক্রমশ বাইরের লোক জমতে শুরু করেছে। এবার তারা একসঙ্গে দুদিক থেকে মায়ের দুইহাত ধরে টানতে লাগলো।সাহিদা বিবি হাত ঝাঁকিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন। মেয়েরা আরো জোরে টানতে থাকায় রণেভঙ্গ দিয়ে অনিচ্ছা সহকারে ভিতরে ঢুকে গেলেন। বাড়ির উঠোনে ঢুকতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন। বিলাপ করে বলতে লাগলেন,এমন বনেদি পরিবারের বউ হয়েও প্রকাশ্যে রাস্তায় লোকের সামনে যেভাবে অপমান সহ্য করতে হলো তাতে তিনি মর্মাহত।এ মুখ তিনি কি করে দেখাবেন তা ভেবে তিনি এক প্রকার দিশেহারা।
রেখা বোঝাতে থাকে,
-আব্বু রেগে গেলেই তো এভাবে কথা বলেন। এ আর নতুন কি? তুমি এতটা দুশ্চিন্তা কেন করছো?
সাহিদা বিবিও পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন,
-আচ্ছা তোরা তো বড় হয়েছিস, আমার অপরাধটা কোথায় বল দেখি? যে মানুষটা একদিন বাড়িতে নেই, নতুন কুটুম্বের বাড়িতে গেছে মেয়ে- জামাই ফিরুনি আনার নেমন্তন্ন দিতে। আমরা বাড়িসুদ্ধু সবাই অপেক্ষায় আছি,কোথায় এসে নানা রকম গল্পগুজব করবে, তা না করে ঘরের বউকে বাইরে ডেকে বেইজ্জত করা।


চোখের সামনে মেজো ও সেজো মেয়ে তাদের মাকে টানতে টানতে ঘরের ভিতরে নিয়ে যাওয়ায় সাময়িকভাবে রাকিব মিয়া বিহ্বল হয়ে পড়েন। মেয়েরা তাহলে মাকেই বেশি ভালোবাসে? দুই মেয়ের একজনও তো কই আমাকে ঘরে ঢোকার কথা বললো না। অথচ রত্না থাকলে ঠিক এমনটি হতে দিত না। রত্না যে ঠিক এক্কেবারে মায়ের মতই বোঝে তাকে। এসব ভাবতে ভাবতে রাকিব মিয়া ভুলে গেলেন আসলে তিনি ঠিক কি বলতে চেয়েছিলেন। কিছুক্ষণ মাথা চুলকিয়ে অবশেষে স্মরণ করতে পারলেন। হ্যাঁ তাকে তো চৌকি খুঁজতে যেতে হবে। বিফল মনোরথে সাইকেলটা কোনোক্রমে চালু করে প্যাডেল পা রেখে তড়াৎ করে লাফিয়ে সিটে বসে পড়লেন।

মাকে ধরে নিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেলেও তাদের আব্বু আসছে না দেখে দুই বোন বেশ অবাক হল। আব্বু কি তাহলে রাগ করে অন্য কোথাও চলে গেছে? আব্বু-আম্মু তো আগেও ঝগড়া করেছে, তখন তো আব্বু এমন রাগ করেননি।এদিকে রাকিব মিয়ার ঘরে না ফেরার সময়টি ক্রমশ দীর্ঘ হতেই মেয়েদের সঙ্গে সাহিদা বিবিও চিন্তিত হয়ে পড়লেন। মনের মধ্যে কুডাক ডাকতে লাগলো। তাহলে রত্নার বাড়িতে কি তেমন কিছু খারাপ ঘটনা ঘটেছে?রেগে না গেলে কখনো তো অমন হাম্মা বলে ডাকে না। নিশ্চয়ই তেমন কোনো সমস্যা হয়েছে।আর সে জন্যই হয়তো লোকটার মাথাটা বিগড়েছে।এসব ভাবতে ভাবতে সাহিদা বিবি এক ধরনের আত্মগ্লানি অনুভব করতে লাগলেন। ওই ভাবে কথা বলা যে উচিত হয়নি তা ভেবে মনে মনে দংশিত হতে লাগলেন। এদিকে সময় ক্রমেই অতিক্রান্ত হয়ে দুপুর গড়িয়ে গেল তবুও রাকিব মিয়ার দেখা নেই। এবার মা-মেয়েরা সকলেই খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন। রেখার চোখে ধরা পড়লো যে আম্মু বারেবারে সদর দরজার দিকে তাকাচ্ছে। সে বলেই ফেললো,
-আম্মু আব্বুর সঙ্গে তোমার ওভারে কথা বলা ঠিক হয়নি।
মেজোবুর কথার রেশ ধরে রুবিও একই কথা বলল,
-হ্যাঁ আম্মু মেজবু ঠিকই বলেছে।
সাহিদা বিবির রাগ ততক্ষনে এক্কেবারে গলে জল। অনেকটা মেয়েদের সুরে সুর মিলিয়ে স্বীকার করলেন,
-হ্যাঁ তোরা ঠিকই বলেছিস। আমার ওভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি। আসলে সামনে যেতেই মানুষটা এমন রুদ্রমূর্তি ধারণ করলো যে আমি মাথাটা আর ঠিক রাখতে পারিনি।

ওদের কথা তখনো শেষ হয়নি এমন সময় বাইরে একটু দূর থেকে পরিচিত সাইকেল বেলের ঝনঝনানি শব্দ শুনতেই ওদের মুখে হাসি ফুটলো। বুঝল আব্বু তাহলে চলে এসেছেন। মেয়েদের সঙ্গে মায়ের মুখেও চওড়া হাসি খেলে গেল। রেখা সবার আগে ছুটে গেল সদর দরজা খুলে দিতে। হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করে,
-আব্বু তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে?
-একটু দরকারে গিয়েছিলাম রে মা। মাথায় সারাক্ষণই তোদের চিন্তা থাকে, কিভাবে তোদের একটু ভালো খাওয়াতে-পড়াতে, একটু সুখী করতে পারবো সে কথা ভেবেই তো সারাদিন ছুটে বেড়াই।
এমন সময় সাহিদা বিবিও সামনে চলে আসেন। খুব শান্তভাবে জিজ্ঞেস করেন,
-হ্যাঁগো হারুনের বাপ সেই যে চলে গেলে তারপর থেকে এতক্ষণ কোথায় ছিলে?
-খুব সমস্যায় পড়েছি হারুনের মা।

কে বলবে স্বামী-স্ত্রী একটু আগে কি ঝগড়াই না করেছেন। দুজন দুজনকে কথায় আহত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। অথচ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের মধ্যে এত মধুর সম্পর্ক, এত বোঝাবুঝি; কথাতে মনে হল একে অপরের পরিপূরক যেন হৃদয়ের অভিন্ন আত্মা। মানুষের জীবনের সঙ্গে মনেরও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। চিন্তাশক্তির প্রবাহ সব সময় এক খাতে প্রবাহিত হয় না। অচেনা অজানা সে পথে চড়াই-উৎরাই থাকবেই। দুর্বিনীত মনও কখনও ভয়াল ভয়ংকর কালবৈশাখীর মতই আকার ধারণ করে। যখন প্রবাহিত হয় তখন তার সংহার মূর্তির কাছে প্রতিপক্ষ নিতান্তই তুচ্ছতাচ্ছিল্যে পরিণত হয়। যারা তার সংহার রূপে উতলা হয়ে পড়ে তাদেরকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় কোনো এক ধ্বংসস্তূপে, দাঁড় করায় জীবন যুদ্ধের এক ভয়ঙ্কর জলবিভাজিকার মধ্যে। কিন্তু শত বাধাতেও যারা অবিচল থাকে, উত্তীর্ণ হয় এক কঠিন ধৈর্যশীলতার পরীক্ষায় দুর্যোগ শেষে তাদের জন্য আসে সুন্দর মেঘমুক্ত আকাশ। তার বর্ণিল আলোকচ্ছটায় নিজেদের জীবনকে করে তোলে উজ্জীবিত।

হারুনের বাপের মুখ থেকে খুব সমস্যার কথা শুনে স্বভাবতই সাহিদা বিবি উতলা হয়ে পড়েন। তিনি উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে ঘরের দিকে পা বাড়ান। কিন্তু ভিতরে ভিতরে অজানা আশঙ্কায় তোলপাড় হতে থাকে কথাটি শোনার জন্য। রাকিব মিয়া সাইকেলটি রেখে চোখে মুখে জল দিয়ে বারান্দায় আসতেই ততক্ষণে মেয়েরা মাদুর পেতে অপেক্ষা করতে থাকে তাদের আব্বুর বসার জন্য। সাহিদা বিবি গামছাটা এগিয়ে দিলে হাত মুখ মুছতে মুছতে রাকিব মিয়া বলতে লাগলেন,
-বুঝলে হারুনের মা, গতরাতেই আমি প্রথম কাঠের চৌকিতে ঘুমিয়েছি।
-কাঠের চৌকি? সে আবার কেমন?
-ভীষণ সুন্দর গো দেখতে। আমাদের বাড়িতে যেগুলো আছে এগুলো যেমন বাঁশের তৈরি সেখানে রত্নার বাড়িতে যেগুলো দেখলাম সেগুলো সব কাঠের তৈরি এবং খুব সুদৃশ্য। রাতে খাওয়ার পরে বেয়াইন সাহেবা আমাকে শোয়ার ব্যবস্থা করতে বললে রত্না আমাকে ওই চৌকিতে নিয়ে যায়। কি সুন্দর আরাম গো তোমাকে ঠিক বলে বোঝাতে পারবো না। কত এপাশ-ওপাশ করলাম কিন্তু কোন ক্যাচ ক্যাচ শব্দ নেই। কিন্তু সমস্যায় পড়লাম অন্য জায়গায়।
-এটা তো খুব আনন্দের;এর মধ্যে আবার সমস্যা কেন?
-সমস্যা হল তোমার মেয়েকে নিয়ে।
-রত্নাকে নিয়ে? কেন রত্না আবার কি করলো?
-ও আমায় বললে কি না আব্বু তোমার জামাই কিন্তু সারাজীবন কাঠের চৌকিতে ঘুমিয়ে মানুষ। ওরা আসার আগেই যেন আমি এমন একটা চৌকির ব্যবস্থা করি। মেয়ের হুকুম বুঝলে?
-তা তুমি কি বললে?
-আমি আর কি বলব?মেয়ে বাবার কাছে আবদার করেছে। এখন বাবাকে তা রক্ষা করতে হবে।
-জানে আব্বুর কানে যখন পৌঁছে গেছে আব্বু নিশ্চয়ই একটা ব্যবস্থা করবে, বলে সাহিদা বিবি খুশী খুশী ভাবে আবারো বলতে থাকেন, তা তুমি কি ব্যবস্থার কথা ভেবেছ?
-দেখো দুদিন বাদেই ওরা আসছে। এত কম সময়ে কি করেই বা নতুন চৌকি বানাবো।আর কোথায় পাবো কাঠ, মিস্ত্রি এবং আরও কত কি। তাছাড়া এ সম্পর্কে তো আমার কোন ধারনা নেই। তাই গিয়েছিলাম গোয়ালবাড়ির ভূদেবর কাছে।
-কে ভূদেব?ও কি করবে?
-আরে ঐ তো রত্নার বিয়ের ত্রিপোল-সামিয়ানা ভাড়া দিয়েছিল।
-ট্রিপল-সামিয়ানা এখানে আসছে কেন?
-আসলে গিয়েছিলাম ও তো বিভিন্ন জিনিস ভাড়া দেয়। তাই ভাবলাম ওর কাছে গেলে এরকম জিনিস কয়েকদিনে ভাড়া পাওয়া যাবে কিনা সেই আশাতে। কিন্তু গিয়ে লাভ হল না।
-ও নেই বলল?
-না একেবারে নেই তা নয়।বিয়েতে যে জলচৌকিটা নিয়ে দিয়েছিল, সেটা দেখিয়েই বললো যদি লাগে ওটা যেন নিয়ে আসি। কোন ভাড়া লাগবেনা।
-জলচৌকি সে আবার কি?
-ওগুলো চৌকির মতই তবে আকারে অনেকটাই ছোট। একজন লোক কোনোক্রমে গুটিসুটি মেরে শুতে পারে। কোন অবস্থায় পা লম্বা করতে পারবে না। তুমি বোধহয় দেখনি বিয়ের দিন বর সাজানোর জায়গাটি। ওটা ছিল জলচৌকি উপর করা।
-না আমার ঠিক মনে পড়ছে না।
-ওই জন্য ঠিক বুঝতে পারছ না।
-তাহলে এখন উপায়, বলে সাহিদা বিবি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে স্বামীর দিকে কৌতুহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন।
বেশ কিছুক্ষণ সকলে নিশ্চুপ থাকার পর রাকিব মিয়া নীরবতা ভঙ্গ করেন। সামান্য ঘাড় দুলিয়ে অত্যন্ত শান্তভাবে বলেন,
-একটা পথ আছে। তবে কাজ হবে কিনা ঠিক বলতে পারছিনা।


বিশেষ দ্রষ্টব্য:- পোস্টটি আরোগ্যকে উৎসর্গ করা হলো।


ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-১)

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৩

জুন বলেছেন: ব্লগার আরোগ্যের কথা শুনে অত্যন্ত ব্যাথিত হোলাম। তার আশু আরোগ্য কামনা করছি পদাতিক।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আপনাকে। শুভেচ্ছা নিয়েন।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা পোষ্ট টি দিতে বড্ড দেরী করে ফেললেন। এখন আপনার হাতে অনেক সময়। ইস্কুল বন্ধ।
আগের পর্ব টি আমার আরেকবার পরে আসতে হবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাধারণত আমি সপ্তাহে একটি করে পোস্ট দেওয়ার প্রস্তুতি রাখি। এই পোস্টটি যথাসময়ে দিতাম। কিন্তু আরোগ্যের খবরটি পাওয়ার পর থেকে মানসিক ভাবে ব্লগে পোস্ট দেওয়ার মত অবস্থায় ছিলাম না। শেষ মেইলটি পাওয়ার পরে পোস্টটি দিতে মনস্থির করি। আর এই মুহূর্তে পেশাগত কাজের চাপ না থাকলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চাপে এক প্রকার ক্লিষ্ট হয়ে আছি। বাসায় কোনো কাজের লোক নাই। সঙ্গে বাচ্চাকে সময় দেওয়া। তার ফাঁকে ফাঁকে ব্লগিং করা। সুতরাং কাগজে কলমে হয়তো যথেষ্ট সময় আছে কিন্তু বাস্তবে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা।
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ছোট ভাইকে।

শুভেচ্ছা অফুরান।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১০

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা , আরোগ্যের খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে , দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন ।

কিভাবে তোদের একটু ভালো খাওয়াতে পড়াতে একটু সুখী করতে পারবো সে কথা ভেবেই তো সারাদিন ছুটে বেড়ায় -- এই কথাগুলো শুধু হারুন মিয়ার কথা নয় পৃথিবীর সমস্ত বাবাদের কথাই যেন আপনি লিখে দিলেন । এই রত্না কে বিয়ে দিয়ে কোন
রত্ন পেয়েছেন তা আগামী পর্বে বুঝা যাবে আশা করছি । ভালো লেগেছে দাদা এ পর্বটিও পড়তে।
আরেকটি কথা , আরোগ্যে র কোন খবর পেলে সাথে সাথে একটু জানিয়ে দিয়েন ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আমিও ঠিক ততটাই বিষন্ন ছিলাম খবরটি শোনার পর থেকে। আশা করি যেন ও শীঘ্রই সুস্থ হয়ে ওঠে। ধন্যবাদ বোনকে।
পোস্টের বিশেষ অংশটি উদ্ধৃতি করে তুলে ধরার জন্য খুশি হলাম আমরা ধন্যবাদ বোনকে। গল্প পাঠের সঙ্গে সঙ্গে মনের জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে পরবর্তী পর্বগুলোতে চোখ রাখার জন্য অনুরোধ রইল। তবে গতানুগতিক কেটে গেলে পরবর্তী পর্বগুলি যে অন্যরকম লাগতে পারে সেটা আগাম জানিয়ে রাখলাম। দাদার পোস্ট বোনের ভালো লেগেছে-এটা দাদার এক বড় পুরস্কার। ধন্যবাদ বোনকে।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভেচ্ছা অফুরান।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৬

মা.হাসান বলেছেন: পোস্টে যথা রীতি আপনার সিগনেচার- বেমক্কা যায়গায় শেষ করা- আছে।
স্বামী-স্ত্রীর মিঠে কড়া ভালো লেগেছে।
এসংসারে এসে আমার এমন দুর্গতি- এ অনুযোগ সম্ভবত ইউনিভার্সাল। মোড়োল যত বড় বাপের ব্যাটা হোক না কেন রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য।
সামাজিক দৈনন্দিন খুটিনাটি খুব ভালো ফুটিয়েছেন।

২) আরোগ্যর বিষয়টা মন খারাপ করার মতো। এ মুহূর্তে বেশির ভাগ ডাক্তার সর্দি-কাশি আছে এমন পেশেন্টকে দেখছেন না। ডাক্তারদেরকে দোষ দেয়া যায় না, শতাধিক ডাক্তার-নার্স কোভিড-১৯এ আক্রান্ত হয়েছেন।
আশার কথা হলো টিবির খুব ভালো চিকিৎসা আছে। নিয়ম মেনে চললে আরোগ্য সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। তবে পরিবারে প্রতি আরোগ্যের দায়িত্ব অনেক বেশি, এ সময়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে গেল খুব সমস্যা। ওর জন্য বিশেষ প্রার্থনা থাকবে। বিষয়টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,

পোস্টটিতে যে আমার সিগনেচার পেয়েছেন তা থেকে নিশ্চিত এটা কপি পেস্ট নয় আমার এই লেখা।
দ্বিতীয়ত:- স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া ইউনিভার্সেল ব্যাপার হলেও পাশের বাড়ির দাদা-বৌদির ঝাঁঝালো গলা শুনলে আমরা অনেকেই পুলকিত হয়। কান খাড়া করে থাকি এবং মনে মনে আমোদিত হই। ফলে পড়শীর ক্যাচালের প্রতি আমাদের আকর্ষণ ইউনিভার্সাল।
তৃতীয়তঃ গল্পে সামাজিক খুঁটিনাটি বিষয় আপনার ভালো লাগাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ জানবেন।

গতকাল রাতে ওর আরেকটি মেইল পাই। কিছুটা ভালো আছে বলল। তবে ডাক্তার বদল করেছে। নতুন ডাক্তার আবার ওকে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করবো শীঘ্রই ও সুস্থ হয়ে উঠবে।

শুভেচ্ছা নিয়েন।


৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ব্যথিত হলাম আরোগ্যর অসুখ শুনে। সত্যিই এখন চিকিৎসা পাওয়া খুবই কঠিন। মনোবল শক্ত রাখতে বলুন । আমাদের দোয়া উনার সাথে আছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নেওয়াজ ভাই,

খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি। সেখানে ওর এত অসুস্থতা বিরাট দুশ্চিন্তার। আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। এই কঠিন সময়ে আপনাদের এমন আন্তরিকতা নিঃসন্দেহে ওর মনোবল বাড়াতে বাধ্য।

বাসায় থাকবেন; সুস্থ থাকবেন।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল আরোগ্যর খবরটা পড়ে। ইনশাল্লাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে আশা করি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আশাকরি ও খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।
শুভকামনা জানবেন।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৭

দজিয়েব বলেছেন: আরোগ্য ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করছি। আর আশা করি, পরের পর্বটা দ্রুত পাবো। ধন্যবাদ ভাই।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার আপনার সকলের কামনা আরোগ্য দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক।
পরবর্তী পোস্ট তাড়াতাড়ি বলতে সপ্তাহের মধ্যেই দেওয়ার ইচ্ছা আছে।‌

শুভেচ্ছা প্রিয় দজিয়েব ভাইকে।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪২

শের শায়রী বলেছেন: আরোগ্যর জন্য দোয়া রইল। আর স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া ভালোই টানছেন, আর চৌকি সমস্যার সমাধানের জন্য পরের পোষ্টের অপেক্ষায় রইলুম।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপনাদের দোয়ায় যেন আরোগ্য দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া ও চৌকির সমস্যার সমাধান অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার এগুচ্ছে;
অপেক্ষায় রইলাম ......
আরোগ্যর জন্য দোয়া রইলো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
কোন এক অদৃশ্য কারণে আজ দীর্ঘ সময় প্রতিমন্তব্য করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে ছিলাম। যদিও তার মধ্যে চার থেকে পাঁচবার লগইন-লগআউট করেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি।

পরবর্তী পর্ব সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার ইচ্ছে আছে।
পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দোয়া রইলো
সাহিত্যে গ্রামীণ মানুষ কিভাবে কথা বলছে সেটা আরেকটু মাথায় রাখা দরকার।
শব্দ চয়ন কিছু স্থানে গ্রামীণ ঠেকেনি। তবে দুই বাংলার গ্রামে ফারাক আছে।
গভীর রাত্রে শুভকামনা

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ছোট ভাই প্রান্ত,

সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তুমি বলার পর আমি আরো একবার চেক করেছি দু-একটি বাক্য ছাড়া তেমন কিছু আমার চোখে পড়েনি। গতকাল মারাত্মক মন্তব্য বিভ্রাটে ছিলাম। বেশ কয়েকবার লগইন-লগআউট করেও প্রতিমন্তব্য করার সুযোগ পারছিলাম না।
পোস্টটিতে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য আবারো ধন্যবাদ।
অফুরান শুভেচ্ছা রইলো।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৪৬

সোহানী বলেছেন: ব্লগার আরোগ্যের অসুস্থতার কথা শুনে মনটা খারাপ হলো। আশা করি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।

প্রথম পর্ব পড়া হয়নি। পড়তে গেলাম.. (লিংকটা দিলে ভালো হতো আমার জন্য B:-) )

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকাল আরোগ্যের সর্বশেষ রিপোর্ট পেলাম। ডাক্তার বদল করেছে। বর্তমান আইসোলেশনে আছে। তবে নতুন ডাক্তার নিউমোনিয়ার উপর জোর দিচ্ছেন। প্রতিদিন দুটো করে ইঞ্জেকশন চলছে। গতকাল একটু বেটার ফিল করেছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।

পোস্ট সম্পর্কে আপনি ইতিমধ্যে প্রথম পর্বের মন্তব্য করেছেন। আমি প্রতিমন্তব্য দিয়ে এসেছি।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করায় প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:০০

ইসিয়াক বলেছেন: ব্লগার আরোগ্যের অসুস্থতার কথা শুনে মনটা বিষন্নতায় ভরে গেলো। তার আশু রোগ মুক্তি কামনা করি। মনটা ভালো নেই, সময় নিয়ে পড়ে ,পরে মন্তব্যে আসছি। শুভকামনা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরোগ্য গতকাল একটু বেটার ফিল করেছেন। আশা করি খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।
পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য ইতিমধ্যে পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।‌
ঘরে থাকুন; সুস্থ থাকুন সবসময়।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আরোগ্য ভাই এর সুস্থতা কামনা করছি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল ভাই আপনাকে। গতকালই একটু বেটার ফিল করেছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: দেখা যাক কিভাবে কাঠের চৌকি সমস্যা সমাধান হয়। আচ্ছা কাঠের চৌকি বলতে কি পালঙ্ক খাট না চৌকি খাট বোঝানো হয়েছে?
#আমার মনে হয় কথোপকথনে আরো সাবলীলতা প্রয়োজন প্রিয় দাদা। ধারাবাহিক গল্পে ভালো লাগা।
শুভকামনা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা.... ভালই বলেছেন। দেখা যাক কিভাবে চৌকি সমস্যার সমাধান হয়। কাঠের চৌকি বলতে পালঙ্ক নয়। রাজ-রাজাদের যে খাট পালঙ্কের অনুকরনে খাট তৈরি ধারণাটি গ্রামে অনেক পরে প্রসারিত হয়।
কথোপকথন অস্বাভাবিক মনে হওয়াতে খুশি হলাম। কয়েকটি জায়গা ধরে ধরে ঠিক করেছি। একবার দেখার অনুরোধ রইলো।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।


১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে পড়তে এলাম। জানতে এলাম।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মন্তব্য দেখতে আসার জন্য আবারো ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে। গতকাল কোন এক অনির্দিষ্ট কারণে প্রতিমন্তব্য দেওয়ার সুযোগ থেকে বারেবারে বঞ্চিত হয়েছি।‌ অনেকবার লগইন-লগআউট করেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আজ সকাল থেকে দেখছি আর কোন সমস্যা নাই।

শুভকামনা রইলো।



১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪

করুণাধারা বলেছেন: কাল রাতেই পড়েছি, আরোগ্যের কথা জেনে খুব উদ্বিগ্ন বোধ করছি। এমনিতে আজকাল টিভি সাধারণ রোগ, খুব কার্যকরী ওষুধ আছে। তবে এখন সময়টা ভালো না, শ্বাসকষ্টের রোগী দেখলে ডাক্তাররা করোনা ভেবে নেন। আরো খারাপ লাগছে ভেবে, নিজের চিকিৎসা ওর নিজের উদ্যোগেই করতে হয় মনে হয়। ওর সুস্থ্যতার জন্য দোয়া করছি, আপনি খবর পাওয়া মাত্র জানাবেন অবশ্যই।

আপনার কাহিনী বরাবরের মতো ভালো হচ্ছে। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সময়ে প্রতিমন্তব্য দিতে না পেরে আপনাকে ইতিপূর্বে আরোগ্যের কথা জানিয়েছি আপু।ও বললো সম্ভব হলে ব্লগে এসে ওর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে যাবে। বর্তমান ডাক্তার আবার নিউমোনিয়ার সাসপেক্ট করছেন। ওষুধ চলছে। একটু বেটার ফিল করেছে। এখন অপেক্ষায় আছি কত দ্রুত সুস্থ হয়।

পোস্ট ভালো লাগাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ আপু খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব দিয়ে দেবো।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্লগার আরোগ্যর অসুস্থতার কথায় বিষন্ন বোধ করছি।
আল্লাহ উনাকে দ্রুত সুস্থতা দান করুন।
প্রিয় পদাতিক দা' - আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ খবরটি সবাইকে জানানোয়
করোনার কারণে এখন সাধারন অসুস্থতােতোও চিকিৎসা বিড়ম্বনা খুবই কষ্টদায়ক।
উনার আপেডট জানার অপেক্ষায় রইলাম।

মোড়লের কাঠের খাটের সমস্যা দেখা যাক কিভাবে সমাধান করেন :)
অপেক্ষায়
+++

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

হ্যাঁ আপনাদের সকলের দোয়ায় আশাকরি আরোগ্য খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে। আসলে বর্তমান ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপের দৌলতে ব্লগে অনেকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকলেও ও এসবের মধ্যে না থাকায় সরাসরি যোগাযোগ নেই। মাঝে মধ্যে মেইলের মাধ্যমে টুকটাক খোঁজখবর নেওয়া হয়। আর তা থেকেঊ জানতে পারি ওর বর্তমান শারীরিক অবস্থা। তবে গতকাল একটু বেটার ফিল করেছে। আপনাদের সকলের দোয়ায় আশা করব খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।

পোস্ট সম্পর্কে, আপনার মনের কথা জানতে পেরে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে। আশা করি পরবর্তী পর্বে এরকম কিছু জিজ্ঞাসার নিরসন হবে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।


১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩২

ইসিয়াক বলেছেন: এখন পড়তে সাবলীল লাগছে। শুভকামনা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
আপনার জন্যও অফুরান শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




এখানে এসে শুরুতেই সহ ব্লগার "আরোগ্য"র অসুস্থ্যতার কথা জেনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আরোগ্য'র যে লক্ষনগুলোর কথা বললেন তাতে বোঝা যাচ্ছে তার "পালমোনারী টিউবারকুলোসিস" হয়েছে। অনেকে যা বলেছেন আমিও তাইই বলি- এখন যক্ষা তেমন কোনও মারাত্মক রোগ নয়। চিকিৎসা সরকারী ভাবেই হয়ে থাকে। একটি লম্বা সময় লাগে এই যা। কিন্তু নিয়মিত ঔষধ খেলে ভালো হয়ে যায়। শুধু রোগীকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং পরিষ্কার আলো বাতাসপূর্ণ ঘরে থাকতে হবে। অনেকটা আইসোলেশানে।
সঠিক চিকিৎসা আর পথ্য তাকে সুস্থ্য করে তুলুক এই প্রার্থনা রইলো।

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
চমৎকার পরামর্শ দিয়েছেন শ্রদ্ধেয় ভাই। ও এখন একটু সুস্থর দিকে। সম্পূর্ণ আইসোলেশন আছে। তবে নতুন ডাক্তার ওকে নিউমনিয়ার ট্রিটমেন্ট করছেন ও সেই মতো ওষুধ দিচ্ছেন। যে ওষুধ সেবন করে ও এখন অনেকটাই সুস্থ। বলছিল নাকি ফুসফুস সাদা হয়ে গেছে। কিন্তু কোন কিছুতে বেশিক্ষণ মনোসংযোগ দিতে পারছে না। আশা করা যায় আরো কিছুদিন পরে তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হবে।
সুস্থ হয়ে এসে ও আপনাদের সবারই উত্তর দেবে বলে আমাকে জানিয়েছে।
সুন্দর আন্তরিক পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।



২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের গ্রামের লোকজনও এতো সুন্দর করে বিশুদ্ধ বাংলায় কথা বলে! ওয়াও!! আই এ্যাম হাইলি ইমপ্রেসড!!! :)
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ব্যবচ্ছেদ ভালো লেগেছে। চৌকি কাহিনী তো দেখছি বেশ জটিল আকার ধারন করেছে। রাজরাণী কয়েক জায়গায় রাজধানী হয়ে গিয়েছে। তবে, স্বামীর চেয়ে স্ত্রী লম্বা দেখে আনন্দ পেলুম! ;)

আরোগ্যের খবরটা শুনে খুবই কষ্ট পেয়েছি। এতোদুর থেকে দোয়া করা ছাড়া তো আর কিছুই করার নাই। সর্বশক্তিমান আল্লাহ যেন ওকে যতো শীঘ্র সম্ভব আরোগ্য দান করেন, এই দোয়াই করছি। আপনি সম্ভব হলে নিয়মিত আপডেট জানাবেন প্লিজ; আর কোন অসুবিধা না থাকলে ওর ই-মেইল এ্যড্রেসটা আমাকে দিবেন।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গ্রাম সম্পর্কে লিখতে গেলে গ্রাম-শহরের কথ্য ভাষার ব্যবধানের প্রসঙ্গ আসাটা খুবই স্বাভাবিক। কাজেই আপনি ঠিকই প্রশ্ন করেছেন।
সামান্য ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মালদার ইংলিশ বাজার বীরভূমের শান্তিনিকেতন, মুরারয় উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুরে ঘুরতে গিয়ে আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে লিখিত ভাষার বিস্তর ব্যবধান প্রত্যক্ষ করলেও নিজ জেলা নর্থ 24 পরগনায় এই ব্যবধানটা একেবারে সামান্য। যেটুকু আছে সেটা সাহিত্যে উল্লেখ করার মত তেমন কিছুই নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিন কলকাতার দুই সহপাঠী আমাদেরকে প্রশ্ন করেছিল, আমার বাড়ি উত্তর 24 পরগনা কিনা। হ্যাঁ বলে পাল্টা প্রশ্ন করতেই। ওরা জানিয়েছিল আন্ডারগ্রাজুয়েট পড়াকালীন ওদের পুরনো বন্ধুরা যারা প্রথম থেকেই পিওর বইয়ের ভাষায় কথা বলে তারা নর্থ 24 পরগনার। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমাকে ও রকম প্রশ্ন করেছিল। কয়েকদিন পরে ডিপার্টমেন্টে একজন স্যারও একই প্রশ্ন করেছিলেন। তখন অবশ্য আমি এই বিষয়টিকে আলাদা গুরুত্ব না দিলেও এখন টুকটাক লিখতে গিয়ে বুঝি জেলার একটি প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গেও বইয়ের ভাষার তেমন পার্থক্য নেই বললেই চলে। যদিও জেলার আদিবাসী ও পৌন্ড্র সম্প্রদায়ের ভাষায় নিজস্বতা আছে।

চৌকির ব্যাপারটা পরের পর্বে আশা করি কিছুটা পাবেন।
রাজরানী টাইপোটা ঠিক করে দিচ্ছি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রী লম্বা হেহেহে...

আরোগ্য অনেকটা সুস্থ হয়েছে। তবে প্রথম যেটা অনুমান করা হয়েছিল টিবি, তা নয় ও নিউমনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিল। এখন অনেকটাই সুস্থের দিকে। যদিও আইসোলেশনে আছে। পাশাপাশি আরেকটু বলার, আপনার মেসেঞ্জারটা একটু চেক করুন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা রইলো।


২১| ১৮ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বের ট্রেনে চড়তে অনেক দেরি করে ফেললাম। এমনকি গল্পের শুরুটাও ভুলেই গিয়েছিলাম। কিছুটা পড়ার পরই আগের পর্বটা মনে পড়লো। যাচ্ছি পরের পর্বে।

ব্লগার আরোগ্যের বর্তমান অবস্থা কি?

১৮ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না না মানবো না। লেট ফাইন দিতেই হবে আপনাকে। তবে আশার যে দেরীতে হলেও যাত্রী হিসেবে আপনাকে পেয়ে খুশি হলাম। আগামী পর্বগুলোতে পাশে পাবো আশাকরি।
গত নয় তারিখে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরোগ্য অনেকটা সুস্থ হয়েছিল। তারপরে আমি ওর সবশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে চেয়ে মেইল করেছিলাম। কিন্তু ও এখনো কোনো উত্তর দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমি খুব চিন্তায় আছি। দেখি আজ আবার মেইলটি করবো।

রমজানের শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

২২| ২৫ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি,
আসসালামু আলাইকুম, ঈদ মোবারক। আমার সালামিটা B-)

সবাইকে ধন্যবাদ। প্রত্যেকের নাম ধরে লিখলে বেশ সময় লাগবে, আমার টাইপ এমনিতেই স্লো। তোমার এই সিরিজটা সময় করে পড়তে হবে। আজকে প্রিয় ব্লগারদের সাথে কুশল বিনিময় করি।
আর তোমাদের অবস্থাটা জানিও। আশা আগের চেয়ে ভালো।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকাল থেকে প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম ব্লগে তেমন সময় দিতে পারিনি। তোমার আগমনে প্রচন্ড খুশি হয়েছি।জানি এখনো তুমি যথেষ্ট দুর্বল তবুও কিছুটা সময় ব্লগিং করলে আশা করি যথেষ্ট মানসিক শান্তি পাবে। তোমার আগমনে অনেকেই তোমার আরোগ্য লাভের বিষয়টি জানতে পেরেছেন। বাকি কাজটি ধীর-স্থিরভাবে সমাধা কর। তড়িঘড়ি করার কোন প্রয়োজন নেই।
আমরা মহাপ্রলয়ের তান্ডব ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠতে চলেছি। তবে মাথার উপর ঝুলে আছে সারাক্ষণ করোনা ভীতি।
শরীর স্বাস্থ্যের যত্ন নিও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো।
শুভেচ্ছা নিও।

২৩| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫০

রাকু হাসান বলেছেন:

ভেবেছিলাম রাকিব মিয়া আবার যে সাইকেল নিয়ে রওনা হলো সেখানেই শেষ করে দিবে । পরের পোস্টে জানাবে । হলো না ,ধোকা খেলাম =p~ । প্রত্যেক পর্বই পড়বো। কি খবর তোমার ,পরিস্থিতি কি স্বাভাবিক হয়েছে ? নাকি সময় লাগবে । শুনছিলাম মমতা সাহেবান ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক করতে বলেছিল। তারপর খবর জানি না ।

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,

যতটা খারাপ থাকবো বলে আশঙ্কা করছিলাম তার তুলনায় অনেক বেশি ভালো আছি। আমার চাওয়া দুটা। নির্মিয়মান বাড়ির কাজ চালু দেখা ও ব্লগিং করতে পারা। ব্যাস একটু ঢিমেটালে হলেও দুটাই হচ্ছে।বাকি অপ্রাপ্তি গুলোকে প্রায়োরিটি দিয়ে মনের যাতনা বৃদ্ধি করতে আমি রাজি নই। তোমাদের খবর কি? মাঝে দীর্ঘদিন কোন খোঁজ দিচ্ছনা দেখে মনে মনে উৎকণ্ঠায় ছিলাম। আশাকরি তুমি পূর্বের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছ।
পোস্ট সম্পর্কে- এটা একটা বড় গল্প। মরীচিকার চেয়েও বড়। আপাতত চারটি পর্ব দিলেও মূল গল্পে এখনও প্রবেশ করি না। তবে খুব শীঘ্রই ধারাবাহিক ভাবে মূল গল্পের বা প্রথম খন্ডের পর্বগুলো সামনে আসবে। আশাকরি খুব খারাপ লাগবে না। পাশাপাশি তোমাকে নিয়মিত পাবো আশাকরি।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা রইলো।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট ভাইকে।



২৪| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা, ব্লগার আরোগ্য কি কলকাতার ব্লগার?

২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না আরোগ্য পুরানো ঢাকার ব্লগার।

২৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: অনেকদিন পরে আবার পড়তে শুরু করলাম।
চৌকি দেখি কেমন বানাতে পারে?
পরের পর্বে গেলাম।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।দেরিতে হলেও মনে করে এসে পড়ে মন্তব্য করেছেন দেখে আনন্দ পেলাম।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

২৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:০১

রামিসা রোজা বলেছেন:
বাবার স্নেহময় কন্যাদের প্রতি ভালোবাসা সেকাল আর
একাল এবং আগামীতে মনে হয় একইভাবে বিদ্যমান
থাকবে । আসলে সন্তানের সাথে পিতা মাতার যে নিঃস্বার্থ
থাকবের্ক সেটা আর কোন সম্পর্কেনেই ।
কাঠের চৌকি? সে আবার কেমন? --কি
সরলময় ভাষা । অনেক আগের পটভূমি বোঝাই যাচ্ছে ।
পড়তে খুব ভালো লাগছে ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: " বাবার স্নেহময় কন্যাদের প্রতি ভালোবাসা সেকাল আর
একাল এবং আগামীতে মনে হয় একইভাবে বিদ্যমান
থাকবে। আপনার চমৎকার মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
সহমত আপনার সঙ্গে সান্তনা সিংহ পিতা-মাতা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা তার উপরে কোন সম্পর্ক নেই।
যেহেতু গল্পের পটভূমি অনেকটা আগের, যে সময়ে গ্রামে সাধারণ পরিবারগুলির কাছে কাঠের আসবাব কল্পনারও বাইরে। সেই সময়ে কাঠের চৌকি কতটা কাঙ্খিত গল্পে সেটাই তুলে ধরা ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
ভাষার সরল ও পড়তে ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা জানবেন।


।‌

২৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'হাম্মা' সম্বোধনটা ভাল লাগলো, খুবই আবেদনময়, হৃদয়ছোঁয়া!
জলচৌকি দিয়ে কি আর চৌকির কাজ চলে! দেখা যাক, রাকিব মিয়া কী করে মেয়ের আব্দারটি রক্ষা করেন!
মুক্তা নীল বলেছেন: "এই রত্না কে বিয়ে দিয়ে কোন রত্ন পেয়েছেন তা আগামী পর্বে বুঝা যাবে আশা করছি"। আমারও কথা সেটা। আশঙ্কা হচ্ছে, চৌকি নিয়ে না জানি কোন ক্যাচাল লাগে!
আরোগ্যের সাম্প্রতিক কুশলাদি বিষয়ে কিছু জানেন, বা জানাতে পারবেন? আশাকরি, এই এক বছরে আরোগ্য সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

পোস্টে ষোড়শ প্লাস + +।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "হাম্মা' সম্বোধনটা ভাল লাগলো, খুবই আবেদনময়, হৃদয়ছোঁয়া!"-সংলাপের এই বিশেষ অংশটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
"জলচৌকি দিয়ে কি আর চৌকির কাজ চলে! দেখা যাক, রাকিব মিয়া কী করে মেয়ের আব্দারটি রক্ষা করেন!"-পরবর্তী পর্বগুলোতে আশাকরি আপনার কৌতুহল নিবৃত হবে। আবার ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।

"মুক্তা নীল বলেছেন: "এই রত্না কে বিয়ে দিয়ে কোন রত্ন পেয়েছেন তা আগামী পর্বে বুঝা যাবে আশা করছি"। আমারও কথা সেটা। আশঙ্কা হচ্ছে, চৌকি নিয়ে না জানি কোন ক্যাচাল লাগে!"-হেহেহে.... আপনার আশঙ্কা একেবারে অমুলক নয় স্যার। তবে বিষয়টির একটা মীমাংসা হয়েছে। আশা করি পরবর্তী পর্বে তার পরিচয় পাবেন।

"আরোগ্যের সাম্প্রতিক কুশলাদি বিষয়ে কিছু জানেন, বা জানাতে পারবেন? আশাকরি, এই এক বছরে আরোগ্য সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।"- না স্যার। আরোগ্যের সঙ্গে একটা সময় মেইল যোগাযোগ ছিল। অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকবার নিজের শরীরের অবস্থা জানিয়েছিল। কিন্তু কোনো এক সময় থেকে আর কোনো রেসপন্স দিচ্ছে না। আমারি অনেকগুলো মেইল হয়ে গেছে। কিন্তু ওর কোন উত্তর নেই।ব্লগেও আর কখনও ওর লগ ইন চোখে পড়ে নি। অপেক্ষায় আছি কবে ও নিজে থেকেই যোগাযোগ করে....

পোস্টে ষোড়শ লাইক ও ডাবল প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

২৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এর আগের পর্বটাতেও একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। হয়তো বা পরে মন্তব্য করবেন বলে সেটা অতিক্রম করে গেছেন, নয়তো বা সেটা আপনার নজর এড়িয়ে গেছে। যেটাই হোক, স্মরণ করিয়ে দিলাম।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ স্যার আপনি ঠিকই ধরেছেন।যেহেতু আপনার সর্বশেষ কমেন্ট পেয়েছি তাই লেটেস্ট প্রতিমন্তব্য করতে এটাতে আগে আপনার উত্তর দিয়েছি। তবে যেহেতু আপনি একিই ব্যক্তি কাজেই কমেন্টের আগেপড়ে আপনার উজ্জ্বল উপস্থিতির কারণে এমনটি করা। আশাকরি খারাপ ভাবে নেবেন না প্লিজ।আর এখনিই ঐ কমেন্টের প্রতিমন্তব্য করছি।

নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.