নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-৪)
মাখালগাছা গ্রামের একজন মজার মানুষ হলেন মাহমুদ মুন্সি। এক বাক্যে সবাই তাকে মামু বলেই চেনেন। সাম্প্রতিককালে মানুষটা প্রমোশন পেয়ে মামু থেকে মামুচাচা'তে পরিণত হয়েছেন। যদিও এর পিছনে একটা মজার কাহিনী আছে। আসছি সে প্রসঙ্গে পরে। এহেন মামু কখনোই কারো কাজে না করেননা। জায়গা জমি সামান্য থাকলেও মামুর চাষবাসের প্রতি তেমন মন নেই। সারাবছরই কারো না কারোর বাড়িতে কোন না কোনো কাজ করে বেড়ান। মূলত বাঁশের দর্মা, বাঁশের চৌকির পাশাপাশি দু'চালা, চারচালা বা আটচালা জাতীয় বাঁশের চাল তৈরিতে তার জুড়ি মেলা ভার। মামুর চরিত্রের একটা বৈশিষ্ট্য হলো কখনোই মুখবুজে কাজ করতে পারেন না। গল্পবাগিশ হওয়াতে তার আশপাশে গল্প করার মতো লোকজনের অভাব হয়না। তাছাড়াও পরিচিত বা অপরিচিত যেই হোন মামুর সামনে দিয়ে যাবেন অথচ কথা বলবেন না, হতেই পারেনা। অপরিচিত মানুষের সঙ্গে মামুর কথা বলার ধরনটা বেশ মধুর। দূর থেকে এরকম কোন ব্যক্তিকে দেখলে সাধারণত গলা খাঁকারি দিয়ে জিজ্ঞেস করেন,
-মৌল্লার পো কৈ যাও?
অপরিচিত ব্যক্তি এদিকে ওদিকে তাকাতে থাকলে, মামু হাসিমুখে আবার বলেন,
-আরে ফালুকফুলুক কেন করো খুঁড়ো , তোমাকেই জিজ্ঞেস করেছি।
সে বেচারা তখন বাধ্য হয় মামুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে দু-একটি কথা বলতে।পরে চলে গেলে মামু আমোদিত হন এবং উপস্থিত সকলেই বেশ মজা পান মামুর এমন রসালাপে। উল্লেখ্য এভাবে কত ব্যস্ত মানুষের গতি যে মামু কমিয়ে দিয়েছেন তার হিসেব নেই। যদিও মামু শুধু শুকনো মুখে কথা বলেন না। কখনো কখনোবা বিড়ি দিয়ে পথচলতি লোকের প্রতি সৌজন্য বিনিময় করেন। কেউ নেন কেউবা নেন না। মামুর এই আগবাড়িয়ে কথা বলার ধরনে হোক অথবা তার মধুর ব্যবহারের কারণেই হোক মিস্ত্রী হিসেবে আশপাশের গ্রামগুলোতে মামুর সুনাম সর্বজনবিদিত। এহেন মামু যে বাড়িতে কাজে যান সাময়িকভাবে সেখানে একটা জমজমাট আড্ডাখানা বানিয়ে ছাড়েন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে রসালাপের মাধ্যমে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কোথাও কোথাও আবার গ্রামবাসীরাও কম যান না।অনেকে মামুকে মজা করে বলেন,
-মামুর মতো বাঁশ দেওয়া লোক গ্রামে আর দ্বিতীয় নেই।
মামু খুশি হন। অনেকে এ কারণে তাকে 'বাঁশমামু' বলেও ডাকেন। প্রতিউত্তরে কিছুটা গর্বের সাথে মামু বলেন,
-উত্তরাধিকারসূত্রে তেমন কিছু না পেলেও লোককে বাঁশ দেওয়ার মহৎ গুণটি পেয়েছি। সুযোগ পেলে তার সদ্ব্যবহার করি আরকি।
মামুর এমন সরল স্বীকারোক্তিতে সকলে খুশি হন।
আসরে নতুন কেউ থাকলে আত্মপক্ষ সমর্থনে মামু একটা গল্প প্রায়ই বলেন,
-একবার এক গ্রামে এরকম কাজ করতে করতে এক বয়স্ক খুড়োর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।একেতো গরম কাল তার উপরে সেদিন প্রচন্ড গা ঝলসানো রৌদ্রে কিছুতেই কাজ করতে পারছিলাম না। ঘাম একেবারেই ছিল না ঠিকই কিন্তু মাঝে মাঝে এমন লু বয়ছিল যে কিছুতেই কাজে মন আসছিল না। বেশ কয়েকবার গামছা ভিজিয়ে গা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তা আবার যা তাই, গামছা যাচ্ছিল শুকিয়ে। কোনো কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। এই অবস্থায় আমার গল্প করার খিদে যায় প্রচন্ড বেড়ে।এদিকে ওদিকে তাকিয়ে খুঁজতে থাকি গল্প করার মতো কেউ আশপাশে আছে কিনা। নাহা সেদিন এমন কাউকে পেলাম না।আর পাবোই বা কেমনে, এমন গরমে সাধারণত সবাই গাছ তলায় পুকুর পাড়ে বা অন্য কোথাও আশ্রয় নেয়। নিরাশ হয়ে ভাবতে ভাবতে একটা বিড়ি শেষ করে আবার একটা সবে ধরিয়েছি, এমন সময় দেখি এক খুঁড়ো কাঁধে মস্তবড় এক কোদাল নিয়ে দুর্বল শরীরটাকে কোনোক্রমে টানতে টানতে মুখ নিচু করে আপন মনে হেঁটে যাচ্ছে। কাছাকাছি আসতেই একটা গলা খাঁকারি দিয়ে জিজ্ঞেস করি,
-খুড়ো কই যাও?
কিছুটা থমকে,
- আমারে জিজ্ঞেস করলে?
-হ্যাঁ! তুমি ছাড়া এখানে আর কেই বা আছে?
- হু বাড়ি ফিরছি কাজ শেষে।
- এই বয়সেও কাজ! তা কি কাজ করো তুমি?
এবার মাজাটা(ঘাড়) সোজা করে গলাটা কিছুটা চড়িয়ে,
-খানা(গ্রামের জল সরবরাহের জন্য অপেক্ষাকৃত সরু নালা) কাটার কাজ করি গো খানা কাটা।
কথাটা শুনে কিঞ্চিত সন্দেহ হওয়াতে,
-সে তুমি যাই বলো খুঁড়ো, তোমাকে দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে না যে তুমি ভালো খানা কাটতে পারো।
এবারে ভয়ঙ্কর রেগে গিয়ে লোকটা কাঁধ থেকে কোদালটা মাটিতে নামিয়ে ডান হাত দিয়ে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে বলতে থাকে,
- অ্যা... তুমি কি-না আ-মা-র কাজ নিয়ে সন্দেহ করো? আমার চৌদ্দ পুরুষ খানা কেটেছে। আমি নিজে খানাতেই এই বয়স পার করেছি। একপ্রকার আমার খানায় জন্ম? সেখানে তুমি কিনা আমার কাজ নিয়ে সন্দেহ করো?
-আসলে খুঁড়ো তোমার নামটা না জানার জন্য ঠিক চিনতে পারছিনা।
-আমার নাম দেনা সর্দার।
- ও আচ্ছা। এবার বুঝতে পেরেছি তুমিই সেই দেনা সর্দার,এলাকায় সবাই এক বাক্যে 'খানায় জন্ম' বলেই যাকে চেনে?
আমার শেষ কথাতে দেনা খুঁড়ো খুব খুশি হলো। কয়েকবার মাথা দুলিয়ে সম্মতি জানিয়ে কোদাল তুলে হাসতে হাসতে সামনে পা বাড়ালো।
উপস্থিত সকলেই হোহো করে হাসতে থাকে দেনা খুঁড়ো সম্পর্কে মামুর গল্প শুনে। কয়েকজন তো আবার মামুর কাছে বায়না ধরে দেনা খুঁড়োকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্যও।
এহেন হাসিখুশী মানুষটার মনেও সাম্প্রতিককালে একেবারেই শান্তি নেই। পরিচিত কয়েকজনকে আকার-ইঙ্গিতে বলেছেন সে কথা। আগেই বলেছি মামুর প্রকৃত নাম মাহমুদ মুন্সি। মামু ঠিক মনে করতে পারেন না সর্বপ্রথমে কে নামটিকে সংক্ষেপে মামু বলা চালু করেছিল। সেই কবে থেকে নিজ গ্রাম তো বটেই আশেপাশের গ্রামের লোকদের কাছেও মামু নাম শুনতে শুনতে যেন নিজের আসল নামটি ভুলতে বসেছেন। এতদিন বয়স কম থাকাই বিষয়টা খারাপ তো লাগতোই না বরং মজাই পেতেন।কিন্তু সাম্প্রতিক কালে তা একপ্রকার দুর্ভাবনার পরিণত হয়েছে। বয়জ্যেষ্ঠরা যদিওবা তাকে মাহমুদ মুন্সী না বলে মামু বলে ডাকেন তাই বলে ছোটখাটো ছেলেছোকরাদের মুখে এমন ডাক কিছুতেই যেন মানতে পারছেন না। মামুর এই গুমড়ে যাওয়াতে ছোকরার দল আরো বেশি উৎসাহিত হয়ে তাদের বাপ-দাদাদের মতো মামুকে মামু বলেই ডাকতে থাকে। আর এটা নিয়েই মামুর যত মাথাব্যথা। মামু আর আগের মত হাসি ঠাট্টা করেন না। জোর করেই যেন নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করছেন।
তার এই হঠাৎ বদলে যাওয়াতে বয়স্করা খুব চিন্তিত। আগ্রহ নিয়ে খোঁজখবর করতেই জানতে পারেন মামুর দুঃখের কথা। ক্ষোভের গুরুত্ব উপলব্ধি করে তারাও মামুর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েন। সমস্যার সমাধানে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে পরিচিত যুব গোষ্ঠীকে বয়স্ক মানুষটাকে এখন থেকে আর নাম না ধরে ডাকার পরামর্শ দেন। প্রথমে তা মানতে না চাইলেও অবশেষে বয়স্কদের ধমকাধমকিতে গ্রামের তরুণ প্রজন্ম বাধ্য হয় মামুর নুতন নামকরণ মেনে নিতে। এখন আর কম বয়সীরা কেউ তাকে শুধু মামু বলে ডাকে না, সকলে মামুচাচা বলেই ডাকে। যুবকরা অবশ্য নতুন নামকরণে খুশি। খুশি মামুচাচাও তাদের কাছ থেকে সম্মান আদায় করতে পেরে।
ডাকাবুকো মানুষটি সারা জীবন একা একা কাজ করে এসেছেন। কিন্তু এখন বয়সের ভারে কিছুটা নতজানু। কাজে সহযোগিতা করার জন্য মধ্যম পুত্র শাকিলকে সঙ্গে নেন। তবে শুধু সহযোগিতা তা নয়, উদ্দেশ্য শাকিলকে ঘষে মেজে নিজের পূর্বপুরুষের পেশাতেও রপ্ত করাবেন। তিন ছেলের মধ্যে বাউন্ডুলে প্রকৃতির বড় ও ছোট জনকে দিয়ে যে কিছু হবে না তা তিনি পরিচিত মহলে ব্যক্ত করেন। আপাত সুখী মানুষটিকে এই একটা জায়গাতে কেমন যেন চিন্তিত এবং হতাশাগ্রস্থ বলে মনে হয়। শাকিল অত্যন্ত ধৈর্যশীল এবং শৃঙ্খলা পরায়ন বাবার কথায় কখনো আমান্য করে না। সে গ্রামে বা পাশের গ্রামে যেখানেই কাজ আসুক জিনিসপত্র নিয়ে আব্বার আগে পৌঁছে যায়।আগে গিয়ে স্থানটিকে ঝাড়ু দিয়ে কাজের উপযোগী করে। কিছুক্ষণের মধ্যে মামুচাচাও পৌঁছে যান। পিতা-পুত্র মন দিয়ে কাজে লেগে যায়। সাধারণত সকালের নাস্তা পান্তা খাওয়ার আগে একপ্রস্থ কাজ হয়ে যায়। সাময়িক বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজ শুরু হয়, চলে দুপুর পর্যন্ত। দুপুরে স্নান খাওয়ার পর আবার সাময়িক বিশ্রাম নিয়ে আর এক প্রস্থ কাজ হয়ে থাকে যা চলে বিকাল পর্যন্ত। আর তার পরেই ছুটি। তবে বিকেলে কাজ শেষে বাবা-ছেলে একসঙ্গে বাড়ি ফেরেন। পাড়ারই কোন এক বাড়িতে এক সকালে সবে মামুচাচা ছেলেকে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এমন সময় মোড়ল সাহেবকে দেখে চওড়া হাসি দিয়ে উঠে দাঁড়ান। আদাব বিনিময়ের সঙ্গে সঙ্গে, সক্কালবেলা এমন মানুষের দর্শন পাওয়া যে বিরাট সৌভাগ্যের তা উচ্চারণ করে মহান উপরওয়ালাকে বারে বারে ধন্যবাদ দিতে থাকেন মামুচাচা।
ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-২)
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য;সু-স্বাগতম আপনাকে। সময়ের অভাবে সর্বদা মন্তব্য করা সম্ভব হয় না, যে কারণে ইতিপূর্বে আপনার কোনো মন্তব্য পায়নি।আগামীতে যদি সময় পান তাহলে মন্তব্য করারও অনুরোধ রইল। আর পর্বগুলি সাধারণত সপ্তাহে একটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। তার বেশি আর সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এটুকু অপেক্ষা করানোর জন্য আগাম ক্ষমাপ্রার্থী।
হ্যাঁ বর্তমানের ক্রান্তিকালে আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনিও সকলকে নিয়ে সুস্থ থাকবেন; ভালো থাকবেন।
সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বাহ, খুব মজার ছিলো এই পর্বটি। গ্রামের মানুষেরা নিজেদের সময় এবং সমাজের সাথে দারুণ ভাবে মিশে যায়। আত্নপরিচয়ের দোলাচলে বিষন্নতায় ভোগে ২০০০ এর পরে জন্মানো শহরের মধ্যবিত্তরা।
মামুচাচা নামটা বেশ অদ্ভুত , তার চেয়েও অদ্ভুত প্রান্তা টাইপোটি! হহাহাহ
শুভকামনা
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক্ তুমি যে মজা পেয়েছো এটা শুনে খুশি হলাম। হ্যাঁ ঠিকই বলেছো গ্রামের মানুষেরা অনেক আন্তরিক; খুব সহজেই একে অপরের সঙ্গে মিশতে পারে বা আপদ বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারে। আবার সমস্যাও একটা আছে, খুব তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ব্যাপারেও সহজে একে অপরের দিকে লাঠি তুলতেও পারে।
আর মধ্যবিত্তরা চিরকালই বেচারা। সাধে কি আর বহুদিন আগে এক কবি বলে গেছিলেন,
উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে/
যিনি মধ্যম তিনি চলেন তফাতে।
মামুচাচা নাম ভালো লাগাতে খুশি হলাম। আসলে গ্রামের আরেকটি কালচার হলো একে অপরকে বিকৃত নামে ডাকা। এ জিনিস তুমি শহরে একেবারেই পাবেনা। গল্পে মাহমুদুর মুন্সির সংক্ষেপে মামু ও পরে তার সঙ্গে চাচা যোগ এবং তার রসবোধ গ্রাম্য সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অবশ্য মূল্যায়নের দায়িত্ব তোমাদের হাতে।
প্রান্তা টাইপো ঠিক করে দিয়েছি। নিজের নামের জেন্ডার পরিবর্তন দেখে খুশি হলে হাহাহাহাহা..
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা রইলো।
তোমাকেও শুভেচ্ছা অফুরান।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চমৎকার লিখনি, গুরুজি।
আগের পর্বগুলো মিস করেছি। এগুলো পড়ে মন্তব্য করো।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন পরে প্রিয় গুরুদেবকে দেখে আনন্দ পেলাম।
আগের পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপনার আগমনের ....
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চমৎকার লিখনি, গুরুজি।
আগের পর্বগুলো মিস করেছি। এগুলো পড়ে মন্তব্য করবো। ভালো থাকুন, প্রিয় ভাই। (আগের মন্তব্যে টাইপো আছে, প্লীজ কেটে দিন)
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না গুরুদেব ডিলিট করব কেন? তেমন কোনো টাইপো তো খুঁজে পেলাম না।
আগের পর্বগুলো মিস করেছেন নো প্রবলেম। তবে যদি সম্ভব হয় তাহলে পর্বগুলো পড়ে মন্তব্য করবেন। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনিও ভালো থাকবেন আনন্দ থাকবেন, সকলকে নিয়ে সকলের মাঝে।
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: মাহমুদ মুন্সি মানে মামু চরিত্রটা বাস্তব??
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমাদের সমাজটাকে কি আমরা অস্বীকার করতে পারি? প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে কত না কি ঘটছে। আর সেগুলোই তো আমাদের চিন্তাশক্তিকে ভাবিয়ে তোলে।
৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৮
সোহানী বলেছেন: সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটা চরিত্র এনেছেন এবার। আর নাম সংক্ষিপ্ত করা বা ভিন্ন বা বিকৃত নামে ডাকা আমাদের এশিয় কালচার। কানাডায় আসার পর বুঝলাম এ ধরনের কাজ গর্হিত অপরাধ। যত কঠিন নামই হোক সবাই স্পষ্ট করে ডাকার চেস্টা করে। আমার মেয়ের নাম খুব কঠিন, বাংলা নাম। কিন্তু ওর টিচাররা নিজেরা শিখে পুরো ক্লাসকে উৎসাহ দেয় স্পস্টভাবে ডাকতে। এবং ওরা সবাই সুন্দর করে ওর নাম বলে।
গল্পে ভালোলাগা। চলুক সাথে আছি।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু একেএকে চরিত্রগুলোকে তো এবার সামনে আনতেই হবে।
তার নাম বিকৃত করা শহর এলাকায় না হলেও গ্রামীণ এলাকার এক ভয়ঙ্কর সমস্যা।ব্যক্তি যে নামেই পরিচিত হোক হয়তো সেটা তার তেমন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় না। কিন্তু পরবর্তীকালে তার স্ত্রী ও সন্তানদের ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। স্বামী বা বাবার বিকৃতি নাম কেউ চায় না। কিন্তু একশ্রেণীর কু মস্তিষ্কপ্রসূত লোকের বদ মতলবে হাজার বছর ধরে এই কালচার গ্রামীণ সমাজে চলে আসছে।
আপনার মেয়ের সুন্দর নামের যথাযথ উচ্চারণ কানাডা বা বিদেশ বলেই সম্ভব। বিদেশিদের কৃষ্টি কালচার সত্যিই ভাবা যায় না। এ প্রসঙ্গে আমাদের বিদ্যালয়ের ছবি তুলে ধরি। আমার ছেলের নাম একটা সুন্দর বাংলা শব্দে। যার অর্থ রচনা করা। স্কুলের সহপাঠীদের সঙ্গে আন্টিরাও ওর ডাক নাম শুনে নিয়ে সেই নামেই ডাকাডাকি করে। এবছর স্কুল বদলিয়েছি। জানিনা নুতন স্কুলে আবার কি হয়।
পোস্টে লাইক করাতে ও পাশে থাকায় অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
রমজানের শুভেচ্ছা নিয়েন।
৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শ্রুতিমধুর লেখা
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা চোখে পরে নাই। আগেরগুলো পড়ে আসি, তারপরে জমিয়ে মন্তব্য করা যাবেক্ষণ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম পর্বে ইতিপূর্বে আপনার মন্তব্য পেয়েছি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বেও আপনার জমজমাট মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম...হেহেহে
৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০৩
ওমেরা বলেছেন: মাহমুদ মুন্সি হয়ে গেল মামু !! শেষ মেষ মামুচাচা যাক তবু বাঁশমামুর চেয়ে ভালো।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু আজকে মাহমুদ মুন্সিকে তুমি এই পর্বটি রচিত।
"শেষমেষ মামুচাচা যাক তবু বাঁশমামুর চেয়ে ভালো।" আপনার সুন্দর মতামতে খুশি হয়েছি; ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
রমজানের শুভেচ্ছা নিয়েন।
১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই অসাধারণ লাগলো।
পড়ে খুবই আনন্দ পেলাম।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন পরে আপনাকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছি সাজ্জাদ ভাই। আশাকরি আপনারা বিদেশে ভালো আছেন। ওখানে করোনা সচেতনতা ও লকডাউনের কারণে আমজনতার মনোভাব কেমন,সে সম্পর্কে কোনো পোস্ট কি দিয়েছেন ইতিমধ্যে? যদিও আমি আপনার ব্লগ বাড়ি গিয়ে দেখে আসছি।
পোস্ট ভাল লেগেছে ও লাইক করেছেন জেনে অনুপ্রাণিত হলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০০
ইসিয়াক বলেছেন: চৌকি খাট মনে হচ্ছে মামু চাচা ও তারে ছেলে মিলে বানাবেন।
গল্পে ভালো লাগা।
শুভকামনা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
পোস্ট পড়েও তাহলে চৌকির কথা বলতে পারেননি? ঠিক আছে, অনুমান যখন করেছেন তাহলে দেখাই যাক পরের দিন কি হয়।
গল্প ভালো লাগাতে ও পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা রইলো।
রমজানের শুভেচ্ছা জানবেন।
১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমমম
চরিত্র দাড়করাতেই এই পর্ব শেষ। তবে দাড়িয়েছে বেশ
হায়রে খাট দেখি কই থেকৈ কই লইয়া যায় ...
দাদা, প্রতি পর্বে আগের পর্বের লিংক টা শুরুতে দিয়ে দিলে, যারা মিস করেন, তাদের সুবিধা হয়।
ভেবে দেখবেন আশা করি।
চলুক সিরিজ
++++++
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে একেবারে ঠিকই ধরেছেন। মাঠে খেলোয়াড়দের নামাতে গেলে একটু ওয়ার্ময়াপ দরকার। তবে আগামী পর্বে আপনার আকাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর পাবেন বলে আশা করছি।
আর লিংক প্রসঙ্গে আপনার সাজেশনটা হৃদয়ঙ্গম করলাম। পরবর্তী পর্ব থেকে চেষ্টা করব।
পোস্টে লাইক ও এত্তগুলো প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার এগুচ্ছে !
ভালোলাগা গ্রামীণ সহজ জীবনের গল্পে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
ছোট্ট মন্তব্যে ভালোলাগা আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো আশাকরি।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
রমজানের শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: সাতক্ষী্রা থেকে বেলগাছিয়া।
বেলগাছিয়া কি বর্ধমানের কাছে? না ২৪ পরগনায়?
০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না বেলগাছিয়া বর্ধমানে নয়। কলকাতা আরজিকল হসপিটালের কাছে। সামান্য এগিয়ে গেলেই শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়।
ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
শুভেচ্ছা অফুরান।
১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: হাসিখুশি, সরলমনা মামুকে বেশ ভালো লাগলো। কাঠের অভাবে সে কি বাঁশের পালঙক বানাবে নাকি? দেখা যাক কী হয়। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাসিখুশি মামুকে ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। হেহেহে পালঙ্কের ব্যাপারে আপনাকে পরের পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। পরবর্তী পর্বের আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
রমজানের শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৫
শের শায়রী বলেছেন: মামু চরিত্রটা দেখি সবার ভালো লাগা কেড়ে নিয়েছে, আমারো পরের পর্বের প্রতীক্ষায় প্রিয় ভাই।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মামু তো মামু মামুই। তাদের কাছে ভাগ্নেরা তো একটু আদর পাওয়ার প্রত্যাশা রাখে। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাক।
পরের পর্বে সাথে থাকার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।
রমজানের শুভেচ্ছা জানবেন।
১৭| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দাদা পর্বটি পাঠ দিয়েই এই সিরিজে ঢুকলাম। বেশ কয়েকদিন আপনার লিখা পড়া হচ্ছেনা। আমি সবসময় আপনার নিয়মিত পাঠক ছিলাম। মাঝে কেনো যানি হেয় হারিয়ে ফেলেছি। যাই আগের পর্বগুলোও একে একে পড়ে নেই। তবে এই পর্বটি বেশ হয়েছে। মামু কিন্তু আমার মিতা। সামনের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক দিন পর প্রিয় সুজন ভাই আপনাকে দেখে খুব খুশি হয়েছি। আশা করি এখন থেকে আপনাকে আবার নিয়মিত পাবো। তবে ব্যস্ততার জন্য আপনার মত আমিও মাঝে মাঝে ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়ি। সময় নিয়ে বাকি পর্বগুলো পড়ে মন্তব্য করবেন আশা রাখি। হেহেহে মামু আপনার মিতে হওয়াতে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে। সামনে পর্বে সাথে থাকার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ আপনাকে।
রমজানের শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৮| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:১০
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
অনেক দেরী করে ফেললাম এত সুন্দর একটি পর্ব পড়ার পর মনে হচ্ছে । মামু আগামী পর্বে মনে হচ্ছে কাউকে একটা বাঁশ
দিবে যেটা দেখার অধীর অপেক্ষায় রইলাম । মামুর যে চরিত্রটা দাঁড় করিয়েছেন আমার ভালো লেগেছে।
রমজানের রহমত আমাদের সকলের উপর বর্ষিত হোক ,দোয়া করবেন দাদা ।
০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১১:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
ব্যাস্ততার কারনে বোনের দেরি হতেই পারে। নো প্রব্লেম। হেহেহে দেখা যাক মামু আগামী পর্বে কি করে। সামনের সপ্তাহে যথারীতি পরবর্তী পর্ব দেওয়ার ইচ্ছা আছে।দেখি মামু আপনাদেরকে কতটা আকৃষ্ট করতে পারে। পাঠে ও সুন্দর মন্তব্যে এবং লাইক প্রদানে প্রীত হলাম ধন্যবাদ বোনকে। রমজানের শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। বোনের জন্যও দাদার পক্ষ থেকে রমজানের শুভেচ্ছা রইল।
১৯| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৪
মা.হাসান বলেছেন: বেশ দেরি করে ফেললাম।
বাঁশ বেরেলিতে ভালো হলেও দেয়ার কাজে বাংলার চেয়ে এগিয়ে নেই কেউ এ কথা মনে হয় সবাই ই স্বীকার করবেন। অবশেষে বাঁশ মামুর হাতে পালঙ্ক তৈরীর কাজ পড়তে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।
এক চালা, দোচালা অহরহ চোখে পড়ে। অবস্থা সম্পন্ন গৃহস্থের ঘরে চৌচালাও দেখেছি। আট চালা বিষয়টা শে শুনেছি বলে মনে পড়ে না।
লেখা বরাবরের মতোই উপভোগ্য।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে আমিও উত্তর দিতে বেশ দেরি করে ফেললাম। আর বাঁশ দেওয়া বা ফলানোর ব্যাপারে আপনার সঙ্গে সর্বতোভাবে একমত। বাঙালির সর্বশেষ্ঠত্ব অন্য কেউ কখনোই খাটো করতে পারবেনা। বাঁশ মামুর হাতে সত্যিই পালঙ্ক হবে কিনা তা জানার জন্য একটু অপেক্ষা করতেই হবে।
এট চালা ,দু চালা বা চার চালা শুনলেও আটচালার ব্যাপারে আপনি যথেষ্ট সন্ধিগ্ধ। একটি মাটির বাড়ির চারদিকে চারটি চালা থাকলে তা থেকে আবার নিচের দিকে সব সাইডে চারটি আরও বড় চালা জুড়ে দেওয়া থাকে। পশ্চিমবঙ্গের দুই চব্বিশ পরগনা জেলায় ব্যাপক হারে আটচালা বাড়ির চল আছে। আপনি দু তলা মাটির বাড়ি দেখেছেন কিনা জানিনা। তবে দুই মেদিনীপুর জেলায় যারা আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধ তাদের দুতলা মাটির বাড়ি আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব অবশ্য পরিবর্তিত হতে চলেছে।
বরাবরের মতো চমৎকার মন্তব্যে মুগ্ধতা।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২০| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩০
রাকু হাসান বলেছেন:
মামুচাচা কে তো আমি সমুচা পড়ছিলাম । বেশ এই পর্বে
নতুন একজনের সাথে পরিচয় হলাম । এটার চিত্রায়ন ও আকর্ষণ সৃষ্টি করলো । মনে হচ্ছে খুব জমে উঠবে। এই উপন্যাসে দারুণ কিছু পাওয়ার আঁচ করতে পারছি। আমার পছন্দের একটা প্লট । আজ চতুর্থ পর্ব টাও পড়ে রাখবো। এতই লেইটু পড়তে পড়তে আরেকটা হাজির হয়ে যায় । । আরোগ্য কে দেখছি না । তাহলে ১০০% স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছো । নাকি আরেকটু সময় লাগবে। প্রচন্ড<প্রচণ্ড
শুভরাত্রি তোমাকে । শ্রদ্ধা নিবে।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য। হাহাহাহা তুমি সমুচা পড়ছিলে। নতুন আকর্ষণীয় চরিত্রের সন্ধান পাওয়া ও উপন্যাসটি উপভোগ্য বলে মনে হওয়াতে চমৎকৃত হলাম ধন্যবাদ তোমাকে। তবে এ প্রসঙ্গে তোমাকে কতটা যে আশা যোগাতে পারব সে বিষয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিগ্ধ। চতুর্থ পর্বে তোমার মন্তব্যের ইতিমধ্যে উত্তর দিয়েছি। গত সপ্তাহে পঞ্চম পর্ব দিয়েছিলাম। আশাকরি সময়ে নিয়ে ঠিক তোমায় দেখা পাবো।
আরোগ্যের সঙ্গে অনেকদিন আমার আর যোগাযোগ নাই। ব্লগে ওর আগমন ও কমেন্ট দেখে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ওর আবার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে চিন্তিত হয়ে পড়েছি। জানিনা এখন ও কেমন আছে।
প্রচণ্ড টাইপোটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে। ঠিক করে নেব।
তোমার শ্রদ্ধা ভরা ভালোবাসা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। তোমার জন্যেও ভাইয়ার পক্ষ থেকে রইলো অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।
২১| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৮
রাকু হাসান বলেছেন:
এগুলো একটু দেখার অনুরোধ করছি। আসলে এই বানানগুলোতে সবার সমস্যা হয়। আমি এখন বলছি দেখবে আমিও ঠিক আমার পোস্টে ভুল করে বসবো। মন্তব্য ডিলিট করে দিও ।
পাকিয়ে<পাঁকিয়ে ,ধুলা<ধূলো ,হটাৎ<হঠাৎ পর্ব ৫ এ ।
১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
তোমার আন্তরিকতায় বরাবরের মতো আজও আমি মুগ্ধ। ভাইয়ার পোস্টে টাইপো দেখে পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটু পিছিয়ে আসা। চমৎকার উদ্যোগ। তবে তার জন্য পিছিয়ে আসার এবং ডিলিট করার কোনো কারণ দেখি না। ব্লগের এই মিথোস্ক্রিয়া আমাদের গর্ব।
তোমার ধরিয়ে দেওয়া বানানের মধ্যে,
পাকা থেকে পাকিয়ে কথাটা এসেছে।যেটা ঠিক আছে।
ধুলা বানানো ঠিক আছে।
তবে হঠাৎ বানানটা ঠিক করে নিচ্ছি। ধন্যবাদ তোমাকে।
অনেক ভালবাসা ও শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।
২২| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আপনার ভ্রমন কাহিনি আবার কবে পাবো?
২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এখন তো লকডাউনে ঘরে বসে আছি। ঘোরাঘুরি সম্পূর্ণ বন্ধ।
তবে ব্লগে যেটা এই মূহুর্তে চলছে সেটা অনেক পুরানো আমলের। এটাও একপ্রকার ঘোরাঘুরি বৈকি। পুরানো বসিরহাট, পুরানো সাতক্ষীরার সাথে পুরানো বেলগাছিয়ার দেখা মিলবে বলে আশাবাদী। দেখি কতটা সেটা নামাতে পারি।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।
২৩| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
আরোগ্য বলেছেন: অবশেষে এলাম মন্তব্য করতে। দেখা যাক মামুচাচা মোড়ল সাহেবের সমস্যা সমাধান করতে পারে কি না। ইনশাআল্লাহ নতুন পর্ব আসার আগে বাকিগুলো শেষ করবো।
গ্রাম্য পরিবেশ সম্পর্কে আমি অনবগত। তোমার গল্পের মাধ্যমে পরিচিত হতে পারছি।
আশা করি মেইলের উত্তর পেয়েছো।
২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,
সত্যকথা বলতে কি তোমাকে লগইন দেখার পর মধ্যে দিয়েই আমার শান্তি। আমার ধারণা তুমি সুস্থ বোধ করলেই ব্লগে আসবে। যাইহোক মেইল থেকে বুঝলাম তোমার সুস্থ হতে এখনও সময় লাগবে।
একটু সময় লাগলেও আশাকরি শীঘ্রই স্বাভাবিক হতে পারবে।
গ্রাম তোমার কাছে অপরিচিত। বেশতো সিরিজের দিকে লক্ষ্য রাখো তুমি এক গ্রামীণ বাংলাদেশের সাথে পরিচিত হতে পারবে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় আরোগ্যকে।
২৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২২
নীল আকাশ বলেছেন: মাহমুদ মুন্সির কাহিনী পড়ে গেলাম।
মোবাইল থেকে লিখছি তাই ছোট করে দিচ্ছে। আজকে আপনার সব না পড়া পর্ব একটানে পড়ে ফেলবো।
০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,
আপনি মোবাইল থেকে লিখছেন, আর আমি ব্লগিংটাই করি মোবাইল থেকে।এটাই যেন আমার কাছে রণতূর্য। আপনার পরবর্তী আরো একটি মন্তব্য পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটি কাজের প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অপরান শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
বাহ দারুন তো মামুর চরিত্রটা । উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি
বাঁশমামু উপাধি পেয়েছেন ।দেখাযাক মামু কাঠের চৌকির
কি ব্যবস্থা করেন ।
ভালোলাগলো আপনার সাবলীল লেখা ।
শুভেচ্ছা নিবেন ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপুর সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। বাঁশমামু যে আপনাকে আলাদাভাবে ভাবিয়ে তুলেছে এটা আমাকে খুব খুশি করেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। মাঝের আরো কিছু পর্ব আপনার কাছে অজানা আছে বলে মনে হয়। সম্ভব হলে সময় করে পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত জানাবেন আশা করি।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: মাহমুদ মুন্সি ওরফে মামু ওরফে মামুচাচার ব্যক্তিত্বে এবং কর্মনৈপুণ্যে শৈশবে দেখা আমার গ্রামের অনুরূপ এক সহজ সরল মানুষ মরহুম খৈমুদ্দি চাচার কথা মনে পড়ে গেল। একটু ভিন্নতর চরিত্রের হলেও, সেই খৈমুদ্দিকে নিয়ে এই ব্লগেই আমার একটা পুরনো 'গল্প-কবিতা আছে, সময় সুযোগ করে সেটা পড়ে আসতে পারেন এখানেঃ
খইমুদ্দির খাট
"আসলে গ্রামের আরেকটি কালচার হলো একে অপরকে বিকৃত নামে ডাকা" (১ নং প্রতিমন্তব্য) - আবারও এ প্রসঙ্গে শৈশবে দেখা আমার গ্রামের কিছু লোকের বিদঘুটে নামের কথা মনে পড়ে গেল; যেমনঃ ট্যাপা, চ্যামটা, বাউড়া (পাগল), শিয়াল খাওয়া, মাল্লা খাওয়া (গরুর হাঁটুর মধ্যভাগের হাড্ডিকে মাল্লা বলে), প্যাঁচা, বাদুর ইত্যাদি। যাদের ঘরে সন্তান জন্ম নেয়ার পর শৈশবেই মারা যেত, বিশেষ করে তারা কুসংস্কার বলে তাদের সন্তানকে যেন মৃত্যু দেবতা (মুসলমানদের জন্য ফেরেস্তা) টেনে নিয়ে না যায়, সেজন্য সন্তানদের এমন বিদঘুটে নামকরণ করতো বলে শুনেছি।
সুন্দর গল্পে কুড়িতম ভাল লাগা + +।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "মাহমুদ মুন্সি ওরফে মামু ওরফে মামুচাচার ব্যক্তিত্বে এবং কর্মনৈপুণ্যে শৈশবে দেখা আমার গ্রামের অনুরূপ এক সহজ সরল মানুষ মরহুম খৈমুদ্দি চাচার কথা মনে পড়ে গেল। একটু ভিন্নতর চরিত্রের হলেও, সেই খৈমুদ্দিকে নিয়ে এই ব্লগেই আমার একটা পুরনো 'গল্প-কবিতা আছে, সময় সুযোগ করে সেটা পড়ে আসতে পারেন এখানেঃ
খইমুদ্দির খাট"-মামুচাচার ব্যক্তিত্ব ও কর্মনৈপুণ্যে শৈশবে আপনার দেখা গ্রামের অনুরূপ একটি চরিত্র মরহুম খৈমুদ্দি চাচার অম্লান স্মৃতিটি শেয়ার করাতে পুলকিত হলাম অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। অত্যন্ত যাতনাময় জীবন কাটিয়েছেন। জীবনে একবারই খাটে শুয়ে পরপারে পাড়ি দিয়েছেন।হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া লেখা।
"আসলে গ্রামের আরেকটি কালচার হলো একে অপরকে বিকৃত নামে ডাকা" (১ নং প্রতিমন্তব্য) - আবারও এ প্রসঙ্গে শৈশবে দেখা আমার গ্রামের কিছু লোকের বিদঘুটে নামের কথা মনে পড়ে গেল; যেমনঃ ট্যাপা, চ্যামটা, বাউড়া (পাগল), শিয়াল খাওয়া, মাল্লা খাওয়া (গরুর হাঁটুর মধ্যভাগের হাড্ডিকে মাল্লা বলে), প্যাঁচা, বাদুর ইত্যাদি। যাদের ঘরে সন্তান জন্ম নেয়ার পর শৈশবেই মারা যেত, বিশেষ করে তারা কুসংস্কার বলে তাদের সন্তানকে যেন মৃত্যু দেবতা (মুসলমানদের জন্য ফেরেস্তা) টেনে নিয়ে না যায়, সেজন্য সন্তানদের এমন বিদঘুটে নামকরণ করতো বলে শুনেছি।"-পোস্টের সঙ্গে সম্পর্কিত চমৎকার একটি বিষয় শেয়ার করেছেন। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। আমার ছোটবেলাতেও দেখেছি গ্রামে কোন দম্পতির সন্তানাদি না হলে বা জন্মের পরপরই মারা গেলে পরে যারা জন্মাতো তাকে কান ছিদ্র করা রাখা হতো। অনেকটা ঈশ্বর প্রদত্ত নিখুঁত বাচ্চাকে ক্ষুত করে কোন এক অদৃশ্য শক্তির কুনজর থেকে বাচ্চাকে রক্ষা করার একটা সংস্কার আজন্মকাল ধরে চলে আসছে....
এরকম কত সংস্কার যে আছে তার হিসেব নেই। তবে প্রত্যেকটা সংস্কার পিছনে একটাই কারন নিশ্চয় আছে।
আপনার উল্লেখিত বিদঘুটে নামগুলি তারই যেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পটি সুন্দর মনে হওয়াতে ও পোষ্টটিতে লাইক করাতে এবং ডাবল প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম ;কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনরায় য়াপনার পোস্টে আরোগ্যকে দেখে এবং তার মন্তব্য পড়ে ভাল লাগলো। ওনার বর্তমান অবস্থা কেমন, তা জানেন কি? আশাকরি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা গ্রহণে কোন গাফিলতি না করে উনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন/উঠেছেন।
১১ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরোগ্যের ব্যাপারটা নিয়ে আমিও সমান উদ্বিগ্ন। উল্লেখ্য আমি অনেকবার ওকে মেইল দিয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক যে ও আর কোনো উত্তর দেয়নি। আপনার কমেন্ট পড়ে আজ আবার মেইল করবো।দেখি কোন যোগাযোগ করতে পারি কিনা। আরোগ্যের খবরে আপনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শুনে সহব্লগার হিসেবে আপনি কেন যে আপনি বহুমুখী গুণে আমার অন্তরে শ্রদ্ধার আসনে আসীন তা সামনে এসে পড়লো। কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
ভালো থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪১
ঊণকৌটী বলেছেন: আপনার ধারাবাহিক গল্প এবং ভ্রমণের কাহানীর একনিস্ট্য পাঠক আমি। পর্ব 3 পড়ে নিয়েছি, দারুন কিন্তু তর সইছেনা আগামী পর্ব গুলি আরো তাড়াতাড়ি চাই দাদা। সবাই কে নিয়ে সুস্ত এবং ভালো থাকবেন।