নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-৫)
মামু চাচা হাসি হাসি মুখে জিজ্ঞাসা করেন,
- কি মিয়া সাহেব, কোন দরকার টরকার পড়লো নাকি?
রাকিব মিয়া নিজের গাম্ভীর্য্য বজায় রেখে উত্তর দেন,
-হ্যাঁ মিস্ত্রী ভাই, একটু দরকার পড়েছে বলেই তো তোমার কাছে এলুম।
-তা এমন দোনামোনা কেন করছ? কি দরকার বলেই ফেলো না..
-আসলে আমি এসেছিলুম কাঠের চৌকির ব্যাপারে তোমার সঙ্গে একটু কথা বলতে। কিন্তু তুমি তো সব বাঁশের কাজ করো। তাই একটু চিন্তায় আছি, তুমি কাজটা পারবে কিনা। আর না পারলেও কোথায় গেলে মিস্ত্রি পাব তার যদি একটু সন্ধান দিতে পারো..
মোড়ল সাহেবের কথা শেষ হতে না হতেই মামু চাচা জোরে জোরে হেসে উঠলেন।
কিছুক্ষণ নীরব দর্শক থেকে কিছুটা বিরক্তি সহকারে মোড়ল সাহেব পাল্টা প্রশ্ন করেন,
- আরে! আমি কি তোমার সাথে মজা করছি যে এতো হাসাহাসি করতে হচ্ছে?
মামু চাচা বুঝলেন তার এভাবে হেসে ওঠাটা ঠিক হয়নি। মোড়ল সাহেব বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। যে কারণে ওনার প্রশ্ন শুনে তৎক্ষণাৎ হাসি বন্ধ করলেও নিজেকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে পারেননি। আরো কিছুক্ষণ মুখ নিচু করে দম ধরে রইলেন।হাসি যেন মনের মধ্যে গুমরে গুমরে উঠতে লাগলো।
রাকিব মিয়া বিষয়টি লক্ষ্য করে আবার প্রশ্ন করেন,
-আচ্ছা মিস্ত্রী ভাই, তুমি সেই কখন থেকে এমন করে হেসে যাচ্ছ। কিন্তু কেন?
এবার নিজেকে সামলে নিয়ে,
- মিয়া সাহেব আমার হাসাটা হয়তো তোমার খারাপ লাগতে পারে। তবে যে জন্য হাসা সেটাই তোমার অজানাকে কিনা। আমার বাপ দাদার আসল কাজ-ই ছিল কাঠের কাজ। দীর্ঘদিন ধরে দাদা শহরে কাষ্ঠ শিল্পী হিসেবে কাজ করে গেছে। দাদির চলে যাওয়ার পরে দাদার মানসিকতা বদলে যায়। যে কারণে পাকাপাকিভাবে গ্রামে চলে আসে।পরে বাকি জীবন এখানে বাঁশের কাজ করেই অতিবাহিত করে। আমি আর আমার বাপ শহরে কাঠের দোকানে থেকে যায়।পরে কোন একটি কারণে আমাদের কাজটিও চলে যায়।বাধ্য হয়ে আমরা সকলে গ্রামে ফিরে আসি এবং বাঁশের কাজে কাজে লেগে যাই। ছিলাম কাষ্ঠ শিল্পী হয়ে গেলাম বাঁশ মিস্ত্রি।
-শহরের কাজ ছেড়ে দিলে কেন তোমরা?
-সে অনেক কথা। আজ বরং থাক। সময় হলে অন্য একদিন বলবো।
এবার হাসতে হাসতে রাকিব মিয়াই বলে উঠলেন,
-ভাগ্যিস তোমাদের সে সময় কাজটি চলে গিয়েছিল, নইলে আজ যে আমি বড় বিপদে পড়তাম মিস্ত্রী ভাই।
কথাটা শুনেই মামু চাচার মুখের অভিব্যক্তি সম্পূর্ণ বদলে গেল।ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট চেপে করুণভাবে মিয়া সাহেবের দিকে একবার তাকিয়ে মাথা নিচু করে রইলেন। রাকিব মিয়া বুঝতে পারলেন যে একটু বেসুরে কথা বলে ফেলেছেন।হয়তো কাজ ছাড়ার পিছনে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা থাকতে পারে যে কারণে মানুষটার মুখের অবয়ব মুহূর্তে বদলে গেছে। পরিস্থিতিকে দ্রুত স্বাভাবিক করতে তিনি আবার বলে উঠলেন,
-সে তুমি যাই বলো মিস্ত্রি ভাই আমি কিন্তু ঠিক জায়গাতে এসে পড়েছি।
এবার মুখে স্বভাবসুলভ হাসি নিয়ে মামু চাচা পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন,
- তা তোমার কি কাজ করতে হবে মিয়া সাহেব?
রাকিব মিয়া মেয়ের বাড়ির ঘটনাটা খুলে বললেন। এবং পরামর্শ চাইলেন এমতাবস্থায় ঠিক কীভাবে তিনি আশু সমস্যা থেকে উদ্ধার হবেন। বিজ্ঞের মতো মাথা চুলকাতে চুলকাতে মামু চাচা বলে উঠলেন,
-তাইতো সময় তো বড্ড কম। তবে তুমি যদি আমার পরামর্শ শোনো তাহলে একটা কথা বলি।
রাকিব মিয়া আগ্রহ ভরা দৃষ্টিতে জিজ্ঞাসা করেন,
-কি কথা?
-দেখো মিয়া সাহেব, কাল বা পরশু তোমার মেয়ে জামাই আসবে। এত কম সময়ে চৌকি করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ আগামীকাল যদি আমরা শহরে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাঠ কিনে আনি এবং পরের দিন থেকে কাজ শুরু করে দেই, সেক্ষেত্রে দু-একদিন বাঁশের চৌকিতে থাকলেও মেয়ে জামাই খুব একটা অখুশি হবে না। উল্টে জামাইয়ের কাছে বরং ভিন্ন প্রকৃতির বাঁশের চৌকিতে থাকাটা নতুন হাওয়ায় বেশ আকর্ষণীয় হতে পারে। এভাবে কটা দিন যেতে না যেতেই ততদিনে আমাদের কাঠের চৌকিও তৈরি হয়ে যাবে।
-অ্যা অ্যা.অ্যা. তোমার পরামর্শটা মন্দ নয়। আর এছাড়া তো অন্য কোন উপায় নেই।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে রাকিব মিয়া আবার বলতে লাগলেন,
-বেশ তাহলে এটাই থাক। আগামীকাল আমরা কাঠ কিনতে যাব। রত্নাকে একটু আগেভাগে বুঝিয়ে বলতে হবে এই যা..
-তবে এখানে আর একটা সমস্যা আছে মিয়া সাহেব, মামু চাচা বললেন।
-আবার কি সমস্যা?
-সমস্যা হলো আমরা যখন শহরে কাঠের দোকানে কাজ করতাম, তখন যন্ত্রপাতি সব দোকান মালিকের ছিল। পাশেই ছিল আমাদের থাকার জায়গা। আমরা খালি হাতে যেতাম। কাজ সেরে আবার ঘরে আসতাম খালি হাতে। আর এখনতো বাঁশের কাজ, সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি দিয়েই কাজ মিটে যায়।
-তাহলে উপায়! বলে রাকিব মিয়া মামু চাচার দিকে চেয়ে রইলেন।
-উপায় বলতে কাঠের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি গুলোও কিনতে হবে।
-ওসব কিনতে কেমন খরচ পড়বে?
-তাহলে তো তুমি আমার সেই পুরোনো কথাটা মনে করিয়ে দিলে মিয়া সাহেব। বাপের সঙ্গে দোকানে কাজ করতে করতে একদিন ঠিক এই প্রশ্নটাই বাপকে করেছিলাম যে এগুলো কিনলে আর আমাদের অন্যের দোকানে কাজ করতে হবে না। শুনে বাপ বলেছিল, ওসবের অনেক দাম রে বাবা। ও সব স্বপ্ন আমাদের মত ছোটখাটো লোকের নাকি শোভা পায় না। আবার যন্ত্রপাতি কিনলেই শুধু নয়, রাতদিন এটা ওটা খারাপ লেগেই থাকবে যেটা আরো সমস্যার হবে।
-ঠিক আছে যা লাগার লাগবে। কাল কাঠের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও কেনা হবে,বলে চলি বলেও রাকিব মিয়া আবার ঘুরে দাঁড়ালেন। -একটা কথা না জেনে যেতে মন চাইছে না মিস্ত্রী ভাই।
-কি কথা?
-আরে শহরে তোমাদের কাজটা বন্ধ হলো কীভাবে,সেটা না শুনে যাই কি করে বল দেখি। অবশ্য তোমার যদি বলতে আপত্তি না থাকে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মামু চাচা বলতে লাগলেন,
-আপত্তি থাকবে কেন? যা সত্য তাকে অস্বীকার করি কেমনে? আমি তখন খুব ছোট। প্রায়ই দেখতাম কখনো বাপ বাড়ি থাকে তো দাদা থাকে না। আবার দাদা থাকে তো বাপ থাকে না। কখনো কখনো আবার দুজনের কেউই বাড়ি থাকতো না। ছয় ভাই বোনকে নিয়ে মা সারাদিন হিমশিম খেয়ে যেত। মায়ের সারাদিন রান্নাঘরেই কেটে যেত। আমরা ভাই বোন সারাদিন পাড়ার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে খেলাধুলা হৈ হট্টগোল করেই দিন কাটাতাম। এরই মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়াঝাঁটি হত লাগামছাড়া। একটু বড় হয়ে বুঝেছি তার জন্য দায়ী ছিলাম মূলতঃ আমি। ছোট থেকেই আমি ছিলাম খুব দুর্বল প্রকৃতির।পাড়ায় খেলতে গেলে আমাকে সকলে মশা বা ফড়িং বলে ক্ষ্যাপাত। মাঝে মাঝে রেগে গিয়ে ঝগড়া করলে শক্তিতে ওদের সঙ্গে পেরে উঠলাম না। বিকল্প হিসেবে, কামড়ে দেওয়ার ফন্দি খুঁজতাম। সুযোগ বুঝে তাকে কামড়ে দিয়ে সোজা ছুটে যেতাম দাদির কাছে। দাদি ছিল আমার খুব ভরসার স্থল। একবার দাদির কাছে যেতে পারলে জানতাম আর কেউ আমাকে কিচ্ছু করতে পারবে না।তবে কখনো কখনো দাদিকে প্রতিশ্রুতি দিতে হতো আর কখনোই যেন কাউকে কামড়ে না দেই। আমি প্রতিবারই মাথা নেড়ে সম্মতি দিতাম।দাদি খুব খুশি হত। আমার মাথায় হাত দিয়ে আদর করে কত কি না বোঝাত।এদিকে খানিক বাদে যথারীতি বাড়িতে নালিশের বহর চলে আসতো। এসব ক্ষেত্রে আমি সাধারণত মায়ের সামনে যেতাম না। কিন্তু দূর থেকে মায়ের গর্জন মুহুর্মুহু কানে আসতো। দাদির একটুকরো কামরাই হয়ে উঠতো আমার অস্থায়ী ঠিকানা। পরবর্তী দিন কয়েক আর খেলতেও বার হতাম না। এই সময় দাদির কাছে বিভিন্ন রকম গল্প শুনতাম।।বাপ-দাদা কোথায় থাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, দাদি মজার মজার গল্প বলতো। আর সেসব শুনে তখনই আমার ছোট্ট কৈশোরে শহরের জীবন সম্পর্কে রংবেরঙের ফানুস উড়াতে থাকতাম। এদিকে কয়েক দিন পর আবার রাস্তায় নামলে পরের দিকে আমাকে আর কেউ খেলতে নিত না।আমি শহরে যেতে চলেছি তারা আমার সঙ্গে খেলার যোগ্য নয় বলে তাদেরকে ছোট করলেও খেলতে না নেওয়ার জন্য আমার মধ্যে একটা প্রতিহিংসা তৈরি হতো এবং আমি আবার সুযোগের অপেক্ষায় থাকতাম। কদিনের মধ্যে খুব সহজেই আবার সুযোগ মিলেও যেত। ওদের দলে লোক কম পড়লে আমাকে আবার খেলতে ডাকতো। আর আমি সুযোগ বুঝে কামড়ে দিয়ে দিতাম ছুট।পরের দিকে এর ফলে আমাকে নিয়ে বাড়িতে একটা ভয়ঙ্কর সমস্যা তৈরি হয়। প্রতিবেশী সব ছেলেমেয়েরা আমার কামড়ের শিকার হয়ে দলে দলে আমার নামে অভিযোগ করতে থাকে। মায়ের কাছ থেকে বেশ কয়েকবার বেদম শাস্তি পাই সে কারণে। যদিও শাস্তি ভয় আমাকে পিছু হটাতে পারেনি। উল্টে আমার রাগ আরো বাড়িয়ে দেয়। আমার সবচেয়ে পছন্দের দাদিও একসময় আমার উপর নিরাশ হয়ে পড়ে। মায়ের অভিযোগ দাদির আশকারাতেই নাকি আমি এরকম জানোয়ার তৈরি হয়েছি। প্রথম প্রথম হেসে উড়িয়ে দিলেও পরের দিকে দাদি যেন মায়ের অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছিল। প্রায়ই বিরক্ত হয়ে বলতে থাকে, তোকে তোর দাদার কাছে পাঠিয়ে দেব। আমার ধারনা ছিল দাদি কখনো আমাকে বকাবকি করবে না। কিন্তু শেষ সম্বলটুকু চলে যেতেই বাড়ির কাউকে আমি আর সহ্য করতে পারতাম না। তবে সকলের সঙ্গে দাদির উপর রাগ কললেও মনে মনে একটা স্বস্তি যেন আমাকে আশা যোগায়।আমার এই ছোট্ট হৃদয়ে এতদিনে ধীরে ধীরে শহর সম্পর্কে নানান জিজ্ঞাসার যে বিশাল অট্টালিকা নির্মিত হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করার সুযোগ চলে আসাতে মনে মনে উৎফুল্ল হতে থাকি। দাদির ঘোষণাতে আমি রাগের মধ্যেও বরং খুশি হই। আমার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকি। পরবর্তী দিনগুলোতে ভিতরে ভিতরে এক রকম শিহরণ আমাকে দোলায়িত করতে থাকে। কিন্তু বাইরে আমার মেজাজটাকে বরাবরই ষোল আনাই বজায় রাখি।
কিন্তু ওদিকে শত্রুকে সুযোগ বুঝে ঘায়েল করার স্বপ্নেও আমি বিভোর থাকি। শেষবারের মতো আর একবার যদি কোনভাবে সুযোগটা পাওয়া যায়... মনে মনে ঠিক করি বাপের সঙ্গে নয়, দাদা বাড়িতে এলে বরং দাদার সঙ্গেই চলে যাব। যাওয়ার আগে যে করেই হোক অন্তত একজনকে কামড়ে দিয়ে তবেই যেতে হবে। সহজে হারমানা আমার স্বভাব নয়।একদমে কথাগুলো বলে মামু চাচা হঠাৎ থেমে গেল।
- আরে! থামলে কেন? তারপর..
-হ্যাঁ বলছি। আমি তখন খুব ছোট। আমাদের ঠিক দুটো বাড়ির পরে গহর বলে একটা ছোট ছেলে ছিল, তোমার মনে পড়ে?
- আমি তো তোমাদের পাড়ায় আসতাম না। তবে ওই ঘটনাটি মনে আছে। যে বাচ্চাটি পুকুরে ডুবে মারা গিয়েছিল, তার কথা বলছো?
-এই তো মিয়া সাহেব। একদম ঠিক ধরেছেন। তোমার তো দেখছি পরিষ্কার মনে আছে কতদিন আগেকার ঘটনাটা।
- হ্যাঁ তা একপ্রকার মনে আছে বৈকি।তুমি তো আবার ওর বোনকেই বিয়ে করেছ।
-হ্যাঁ করেছি। সম্পর্কে সে আমার শালা। তবে সেটা অনেক পরের ঘটনা।
-কিন্তু গহরের প্রসঙ্গ কেন আসছে মাথায় ঢুকছে না তো।
-ঢুকবে! ঢুকবে! আমি বললে বিষয়টি ঠিক মাথায় ঢুকবে।
রাকিব মিয়া বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে থাকেন মামু চাচার দিকে। কিছুটা গোঙানির স্বরে জিজ্ঞাসা করেন,
-এত বছর পরে গহরের প্রসঙ্গটা আমাকে যে তোলপাড় করে দিচ্ছে।
মামু চাচা আবার বলা শুরু করল,
-জহর ছিল আমার সমবয়সী। গাট্টা গোট্টা চেহারার। মূলত ওর জন্যই আমি শৈশবে এতটা বিগরে গিয়েছিলাম। খেলতে খেলতে প্রায়ই ঝগড়া করবে আবার উল্টে আমার গায়ে হাত চালাতো।আমি কাউকে কিছু করলে সবার আগে বাড়িতে গিয়ে নালিশও করবে।শুধু তাই নয়, মাঝে মাঝে আবার মাকেও সঙ্গে নেবে। প্রতি পদে পদে ওর কাছে আমি হেরে যেতাম। আর এ থেকেই আমি ওর বিরুদ্ধে ফুঁসতে থাকি। কিন্তু কিছুতেই ওকে আমি এঁটে উঠতে পারছিলাম না। সেবার দাদা বাড়িতে আসার দুদিন পরে যখন চলে যাবার কথা পারলো, সেদিন সকাল থেকে ফন্দি আঁটতে থাকি, শেষ মুহূর্তে যদি কিছু একটা উপায় বের করতে পারি। কিন্তু জহরকে কোনভাবে নাগালে না পেয়ে পুকুরের পাশে পাশে তার ছোট ভাইকে দেখে হঠাৎ মনের মধ্যে প্রতিশোধের আগুনটা চিকচিক করে ওঠে। আমার চিন্তাধারাটা মুহূর্তে বদলে যায়।গহর ছিল বয়সে আমাদের থেকে অনেকটাই ছোট। পুকুর পাড়ে একা একা দেখে, সজোরে একটা ধাক্কা দিতেই ও হুমড়ি খেয়ে পড়ে পুকুরে। উল্লেখ্য পুকুরের এই দিকটাতে ছিলো কচুরিপানায় ঠাসা। আমি আর পিছনে না তাকিয়ে, এক দৌড়ে চলে আসি সোজা বাড়িতে। এসেই দাদাকে জড়িয়ে ধরি। ওনার সঙ্গে চলে যাওয়ার বায়না করি। সামান্য নিমরাজী হলেও দাদি বলাতে দাদা রাজি হয়ে যায়। মাও অনেকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে আমার মতো জন্তুর উৎপাত থেকে রেহাই পাবে বলে।বারবার বলতে থাকে ওখানে গিয়েও যদি আমার দুষ্টুমি বন্ধ না হয় তাহলে যেন আমি ওনার মরা মুখ দেখি।দাদি মুখ বেজায় করে বলেছিল, বৌমা ছেলেটার যাওয়ার সময় অমন কথা কি না বললেই নয়? দাদা একবার জিজ্ঞেস করেছিল এত রাস্তা হেঁটে আমি যেতে পারবো কিনা।আমি খুব জোরের সঙ্গে হ্যাঁ বলে মাথা নাড়াতে দাদা খুব খুশি হয়েছিল। অস্বীকার করবোনা সেদিন দাদার সঙ্গে দীর্ঘ রাস্তা হেঁটে হেঁটে শহরে এলেও আমার এতোটুকু ক্লান্তি লাগেনি।মনে মনে খুব খুশি হলাম একটা যোগ্য প্রতিশোধ নিতে পেরেছি বলে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-টাইপো থাকলে পরে সময় নিয়ে ঠিক করা হবে।
ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-৩)
০৯ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোনকে বহুদিন পর প্রথমেই পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। ইতিমধ্যে মূল কমেন্টটিও পেয়ে গেছি। সুন্দর কমেন্টে ভালোলাগা রইলো। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট বোনকে। যাই এখন পরবর্তী কমেন্টে....
২| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বই পড়বো কবে
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম।পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের লক্ষ এটাকে শেষ করা। বই আকারে কবে করতে পারব আমি নিজেই জানিনা।
বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এখন কি করছেন জানার অপেক্ষায় রইলাম।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সহজ সরল ও নন্দিত ভাবে উপস্থাপন ।
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে খুশি হলাম। ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই আপনাকে।
ভালো থাকুন সবসময়।
৪| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
শহরে থাকতে কাঠমিস্ত্রী ছিলেন গ্রামে ফিরে বাঁশমিস্ত্রী। আবার যিনি বাঁশমিস্ত্রীর কাছ গেলেন মেয়ের জামাইয়ের জন্য খাট বানাতে তিনি চাচ্ছিলেন বাঁশমিস্ত্রী যেন কাঠের খাট বানাতে পারেন। আমি আগের সবগুলো পর্ব পড়িনি। তবুও বলবো চমৎকার রিউমার আর গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে এসব চরিত্রে।
খুব ভালো লাগলো, গুরুজি। মাটি ও মানুষের সন্ধান পেলাম।
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পরে শুরুতে গুরুদেবের আগমনে শান্তি পেলাম। সঙ্গে সুন্দর মন্তব্যে ভালো লাগা।
" শহরে থাকতে কাঠমিস্ত্রি ছিলেন গ্রামে ফিরে বাঁশমিস্ত্রী। আবার যিনি বাঁশমিস্ত্রির কাছ গেলেন মেয়ের জামাইয়ের জন্য খাট বানাতে তিনি চাচ্ছিলেন বাঁশমিস্ত্রী যেন কাঠের খাট বানাতে পারেন।" একেবারে যথার্থই বলেছেন গুরুদেব। আপনি ব্যস্ত মানুষ। ব্লগে আসা যে কারণে সম্ভব হচ্ছে না। তবুও বলবো যদি সময় পান, একবার দর্শন দিয়েন। মোটের উপর পোস্টটি ভালোলাগায় খুশি হয়েছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
রমজানের শুভেচ্ছা নিয়েন।
৫| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২২
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
অনেকদিন পর আপনার পোস্টে প্রথম হতে পেরে ভীষণ আনন্দ লাগছে । রকিব মিয়ার কিছুটা হলেও আপাতত সমাধান
হয়েছে এই বাঁশ মামার জন্য । বাঁশ মামু'র শৈশবের দুরন্তপনা এবং জহরের এক ভয়াবহ কাহিনী গল্পের নতুন মোড়
খুঁজে পেলাম । খুব ভালো লাগছে দাদা ।
আপনারা সবাই কেমন আছেন ?
অনেক ধন্যবাদ ও ভালো থাকুন।
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। প্রিয় বোনের পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ রাকিব মিয়ার মুশকিল আসান হলো মামু চাচার জন্য। বাঁশ মামুর শৈশবটা সত্যিই ব্যতিক্রমী। আগামী পর্বে কাহিনীটা পরিপূর্ণতা পাবে বলে আশা করছি।
পোস্ট খুব ভালো লাগছে বলে এমন আন্তরিক মন্তব্যে খুশি হয়েছি। আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো দাদার পক্ষ থেকে।
করোনা কালীন পরিস্থিতিতে প্রথমে একটা ডিপ্রেশন তৈরি হয়েছিল এখন সেগুলো কাটিয়ে উঠেছি। এই মুহূর্তে সকলেই ভালো আছি। আশা করি আপনারাও কুশলে আছেন।
নিরন্তর শুভকামনা বোনকে।
৬| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: চৌকি বানানোর দরকার কি? রেডিমেট পাওয়া যায় না?
দাদা কেমন আছেন? করোনায় সময় কেমন কাটছে? আপনার সন্তান কেমন আছে? বারাসাতের করোনা পরিস্থিতি কি?
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য। আসলে এই মুহূর্তে আবার বাড়ির কাজ শুরু হওয়াতে সকাল বেলা সাইটে গিয়ে তিন রকমের মিস্ত্রিদের দেখভাল করতে হয়। এ সময়টা বাইরে প্রচন্ড রৌদ্র। ওখান থেকে ভাড়া বাড়িতে ফিরে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম থেকে উঠে আবার ব্লগে ঢোকা। একটু পরে আবার ইফতারের কাজ কারবার শুরু হবে। যে কারণে ব্লগিং এর সময়টি অনেকটাই কমে গেছে।
পোস্ট সংক্রান্ত-
না সে সময় দোকান গুলোতে রেডিমেডেচল চালু হয়নি। তখন মানুষের কঞ্জুম পাওয়ার খুবই কম ছিল। মাল তৈরি করে ফেলে রাখতে ব্যবসায়ীরা রাজি ছিল না। পাশাপাশি রেডিমেড জিনিসের গুণগত যথেষ্ট নিম্নমানের। যেটা আবার অনেকেরই না পছন্দ।
আর তাছাড়া মেয়ে জামাইয়ের জন্যই তো সবাই একটু ভালো জিনিসের আশা করে।
করোনা পরবর্তীকালে আবার বাড়ির কাজ আবার শুরু হয়েছে। মাঝে বেশ ডিপ্রেশনে ভুগছি। এই মুহূর্তে আমরা সকলেই ঠিক আছি। আশা করি ভাই ও ভাইয়ের ফ্যামিলির সকলেই কুশলে আছেন।
বারাসাতে এখনো পর্যন্ত একজন পেশেন্ট ও কলকাতার এসএসকেএম হসপিটালের একজন ডাক্তারের আক্রান্ত হওয়ার খবর আছে। কাজে শহরে মাত্র দুটি কন্টটেন্টমেন্ট জোন। যেখানে রেড অ্যালার্ট জারি আছে। বাকি শহরে শর্তসাপেক্ষে ছেড়ে দেওয়া। তবে কোনো স্থায়ী বাজার নেই। সবজি মাছ সবই ভ্যানে ট্রাভেলিং বাজার।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।
৭| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৩:২৯
ওমেরা বলেছেন: মামুচাচ্ তো ভয়ংকর মানুষ ! গ্রামীন জীবনের গল্প ভাল লাগছে।
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু, খুব সংক্ষেপে সরলীকরণ করলে হয়তো এটাই হবে। তবে মানুষের জীবনের প্রতিটি ভাঁজে এক একটি কাহিনী বিদ্যমান। অনেক সময় পারিপার্শ্বিক উদ্দীপক আমাদেরকে অনিচ্ছাসত্ত্বেও রূঢ় করে তোলে। গায়ে লাগিয়ে দেয় অসামাজিকতার একটা তকমা। আর সেই অসামাজিকতা পরবর্তীতে তার পিছু তাড়া করে। সে ঘটিয়ে ফেলে একের পর এক সামাজিক অঘটন। গল্পের তার-ই কিছু দিকে ইঙ্গিত করা আছে। গল্প এখনো শেষ হয়নি', আগামীতে শেষ করার ইচ্ছা আছে।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা রইল।
৮| ০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:২৬
শের শায়রী বলেছেন: দারুন প্রতিটা পর্ব উপভোগ করছি প্রিয় ভাই, কাষ্ঠ মিস্ত্রির বাশ মিস্ত্রি হওয়া থেকে গ্রাম্য জীবনের প্রতিটা ধাপ উপভোগ করছি, কারন আমার রক্তে কেন যেন গ্রাম মিশে আছে, নিজেকে কোন দিন শহুরে ভাবতে পারলাম না। হিপোক্রেসী। পরের পর্বের প্রতীক্ষায়।
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপাতত কাঠমিস্ত্রি থেকে বাঁশ মিস্ত্রি আবার কখনো বাঁশ মিস্ত্রি থেকে কাঠমিস্ত্রির উত্তরণের মধ্যেই ঘটনা আবর্তিত। গ্রাম্য জীবনের অতি সাদাসিধা ঘটনাগুলি আপনার ভালো লাগছে জেনে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে। পাশাপাশি আপনার রক্তে গ্রাম্য টান মিশে থাকায় চমৎকৃত হলাম। এ ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আমি সহৃদয় পোষন করছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
৯| ০৯ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
ঊণকৌটী বলেছেন: বরাবরের মতোই সুপাঠ্য। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঊনকোটি ভাই আপনার ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে খুশি হয়েছি ধন্যবাদ আপনাকে।
আগামীতেও এভাবে পাশে পাওয়ার আশা রাখি।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
১০| ০৯ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস! অইটুকুন বয়সে এত্তবড় প্রতিশোধ!!!
কাঠমিস্ত্রি থুরি বাশ মিস্ত্রিও তো জব্বার বুদ্ধি দিল! নিজের আখের গোছানো বুদ্ধি
বলি মিনসে একটা রেডিমেইড খাট কিনে আনলেইতো ল্যাঠা চুকে যায়
অবশ্য লেখক ভাল জানেন ঐ সময়ে তৈরী খাট পাওয়া যেত কিনা? তবে উল্লেখ থাকলে
আমার মতো বোকা পাঠকের চিন্তা আসতো না।
কালকে যেমন কমান্ডোর প্রথম ভার্সন দেখে নিজেই অবাক ! হায় একটা ফোনের জন্য ফোনবুথ ছাড়া উপায় নাই।
কত ফাইট, কত ক্লাইমেক্স একটা ফৌন করায় আর ঠেকানোতে ....
সেলফোনে এত অভ্যস্থ যে মাথায়ই আসে না - তখন সেলফোন বেরই হয়নি হা হা হা
চলুক সিরিজ
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এইটুকু বয়সে অত্তবড় প্রতিশোধ। তবে সে হয়তো ভাবতে পারেনি তার এই ধাক্কা দেওয়া টা কত বড় সর্বনাশের কারণ হবে।
পাশাপাশি পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। কাঠমিস্ত্রি বলেন বা বাস মিস্ত্রি বলেন, আমাদের সকলের মতো এই সার্বজনীন সত্যটা আস্বীকার করি কেমনে? মানুষের জীবনের যাবতীয় ঘটনা প্রবাহ যেখানে এর সঙ্গে আবর্তিত।
যেটুকু খোঁজ পেয়েছি রেডিমেডের ঝুঁকি কোন ব্যবসায়ী নিতে চাইত না। তখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অত্যন্ত কম থাকায় বিক্রি বাটা খুবই কম ছিল।
মন্তব্যে উপুরি পাওনা, গতকাল আপনার দেখা কমান্ডোর প্রথম ভার্সন। বুঝতেই পারছি দারুণ উপভোগ করেছেন। চমৎকার অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে মন্তব্যের শেষাংশে। হেহেহে...
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১১| ০৯ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা কোথায় আপনি?
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: .
এইতো হাজিরা দিয়ে গেলাম।
তবে আমি কিন্তু ভায়ের 'সুভাষ চন্দ্র বসু' পোস্টে মন্তব্যের উত্তর এখনো পাইনি। হেহেহে
১২| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০২
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন.....।তারপর.........।
০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ফাঁকি দেওয়া মন্তব্য।হেহেহে
১৩| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: মোটেও ফাঁকি দেই নি । খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। হা হা হা.......
০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে স্যার।
খুশি হলাম।
শুভেচ্ছা অফুরান....
১৪| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৫
ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় দাদা, আমি জিজ্ঞেস করবো কিন্তু ভুলেই গেছিলাম। ব্লগার আরোগ্য এখন কেমন আছে একটু জানাবেন দয়া করে। খুব জানতে ইচ্ছা করছে।
০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শেষ চার পাঁচ দিন ওর সঙ্গে আমার আর যোগাযোগ নেই মানে ও আর কোন মেইল করেনি। তবে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী অনেকটাই রিকোভার করেছে।ওর কথানুযায়ী খেতে অরুচি ও শরীরের সামর্থ্য কম। গতকাল রাতে আমি আবার মেইল করি। যদিও ও এখনো পর্যন্ত কোন উত্তর দেয়নি।
১৫| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩৩
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এখনো কিছু শুরু করতে পারি নি । আগের ফেসবুক আইডি ডিজএবল হয়ে যাওয়ায় আপনার সাথে আর যোগাযোগ নাই । আপনার দিনকাল কেমন চলে। বাড়ীর কাজ কি শেষ ???
০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব খারাপ লাগছে শুনে। দোয়া করি যেন তাড়াতাড়ি অবস্থার উন্নতি করতে পারেন।আর ফেসবুক প্রসঙ্গে আমারো ভুলের জন্য উল্টোপাল্টা আইডি তৈরি হয়ে গেছে। কিছুতেই সেগুলোকে ডিলিট করতে পারিনা। তবে ফেবু আমার একেবারেই না পছন্দ।যে টুকু সময় থাকে ম্যাক্সিমামটা ব্লগে দেওয়ার চেষ্টা করি।যে কারণে ব্লগের যোগাযোগটা আমার কাছে ভীষণ আনন্দের।
দিনকাল করোনা কালীন সময়ে মনের মতো হচ্ছে না। তবে প্রথমে তৈরি হওয়া আতঙ্কটা কাটাতে পেরেছি।
বাড়ির কাজ আবার শুরু হয়েছে এখনও অনেক কিছুই বাকি আছে। তবে সিমেন্টের চেন নষ্ট হয়ে গেছে। ভালো সিমেন্ট পেতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে। যে কারণে কাজ খুব ঢিমেতালে চলছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা এত সুন্দর করে মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ শ্রদ্ধা।
দাদা কোলকাতার লোকজন চুড়ুই পাখিকে চড়াই বলে কেন?
আর পেল্লায় শব্দটার মানে কি?
০৯ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইয়ের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের প্রীত হলাম। ভাইয়ের জন্যও রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
এখানে কিছুটা আঞ্চলিক প্রকারভেদ আছে। চড়াইকে চড়ুই পাখি বলার পার্থক্য যেমন আছে তেমনি উপরের পেঁয়াজুকে এখানে পেঁয়াজি বলা হয়।
কোন কিছু বৃহৎ বা আকারে বড় বোঝাতে পেল্লাই সাইজের কথাটি ব্যবহার করা হয়।
ধন্যবাদ ভাইকে।
অফুরান শুভেচ্ছা রইল।
১৭| ১০ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
সোহানী বলেছেন: শেষের দিকের ঘটনার কথা শুনে মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
চলুক সাথে আছি।
১৪ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
পোস্টটিতে like' করাতে পেলাম, কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৮| ১৮ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:২১
জাফরুল মবীন বলেছেন: হাজিরা দিয়ে গেলাম।লেখার প্রকৃত স্বাদ নিতে প্রথম থেকে পড়া লাগবে। এক বাংলা নাটকে 'ভাই-চাচা' শব্দটা কয়েন করে।আজকে আরেকটা শব্দ পেলাম 'মামু চাচা'।আমি বাংলা সাহিত্যের দূর্বলতম ছাত্র।তারপরও গল্প উপন্যাস কবিতা পড়ি যেগুলো সহজ সরল ভাষায় লেখা।আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারছি;তাই আবারও ফিরে আসব ইং শায়া আল্লাহ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
১৮ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় জাফরুল ভাই,
আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য। সুস্বাগতম আপনাকে। দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততার মধ্যেও যদি সময় থাকে তাহলে পুরানো পোস্টগুলোতে একবার চোখ বুলাতে অনুরোধ করবো।
ভাই চাচার সঙ্গে আপনি পরিচিত। এবার পরিচয় পেলেন মামু চাচার সঙ্গে। আশাকরি মামু চাচা আগামীতেও আপনাকে আটকে রাখতে পারবে।
এবার আসি, আপনার আত্ম মুল্যায়ন প্রসঙ্গে, আপনি নিজেকে বাংলা সাহিত্যের দুর্বল ছাত্র হিসেবে দাবি করছেন। খুব ভালো।সরল স্বীকারোক্তি। তবে আমার মতো যাদের চাহিদা সীমিত তাদের সিলিং আর আপনার মতো যারা জ্ঞান তাপস তাদের সিলিং কখনো এক হবেনা। তাই আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানকে নিয়ে বড়াই করলেও আপনি বিনয়ের সাথে নিজেকে তুলে ধরেছেন নিতান্ত সাধারণ একজন তাপস হিসেবে। আপনার ভাবাবেগকে সম্মান জানাই।
সবশেষে আপনার আগমনের অপেক্ষায় রইলাম।
রমজানের শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
১৯| ২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
করুণাধারা বলেছেন: অফলাইনে আগেই পড়ে মুগ্ধ হয়েছি, রমজান মাসে এত কম আসা হয়েছে যে মন্তব্য করতে দেরি হয়ে গেল।
বর্ণনা বরাবরের মতই উপভোগ্য, যেভাবে মনে প্রশ্ন জাগিয়ে শেষ করেছেন তাতে পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকলাম।
আরোগ্যের জন্য চিন্তিত আছি। আশাকরি ও ভালো আছে। ওর খবর জানা থাকলে জানাবেন। ঈদের আগাম শুভেচ্ছা।
২০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু রমজান মাসে কিছুতেই যেন পেরে উঠছি না।সেই কবে পর্বটি দিয়েছি কিন্তু পরের পর্বের আর সময় হয়ে উঠছে না। দেখি আগামীকাল বা পরের দিন দিতে পারি কিনা।
গত নয় তারিখে আরোগ্যের শেষ খবর পেয়েছিলাম। তখন জানিয়েছিল অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তার পরে এতদিন হয়ে গেল ও আর কোন উত্তর দেয়নি। তবে সেসময় নিউমোনিয়ার চিকিৎসা হলেও ডাক্তার ওকে হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও এরমধ্যে আমি সর্বশেষ খবর জানতে মেইল করেছি কিন্তু ও কোনো উত্তর পেলাম না। আপনাদের মতো খুব চিন্তায় আছি আপু ওর সর্বশেষ খবর জানতে।
আপনার অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। আপনার জন্যও রইল ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছাবার্তা।
২০| ২০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: আমার চিন্তা বেড়ে গেল আরোগ্যর জন্য। সামুতে রেজিস্ট্রেশনের সময় একটা কনটাক্ট নাম্বার দেয়া আবশ্যক করা গেলে ওকে খোঁজা যেত।
খবরটা জানানোয় ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী।
২০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আবার আগমনে খুশি হলাম আপু। আপনার আইডিয়াটা বেশ ভালো। মূলত এমন ক্রাইসিস সময়ে নম্বরের প্রয়োজন অত্যন্ত জরুরি। আমি ওকে বেশ কয়েকবার ফেবুতে আইডি খুলতে বলেছিলাম ম্যাসেজ্ঞারে যোগাযোগের জন্য। কিন্তু ওর ফেসবুকে আপত্তি থাকায় সেটাও সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় ওর পরবর্তী মেইলের দিকে তাকিয়ে আছি।
ভালো থাকুন সবসময় আপু।
২১| ২১ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩৬
শায়মা বলেছেন: ভেরীগুড!
তুমি দেখছি প্রতিশোধ পরায়ন!
২৪ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কিসের জন্য ভেরী গুড বুঝলাম না আপু।
একইভাবে প্রতিশোধ পরায়ন কেন কইলেন বোধগম্য হইতাছে না। বরং আমি নিরিহ গোবেচারা! ধমক দিলে কেঁদে ফেলবো। হেহেহে..
২২| ২২ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
৩ আর এই ৪ পর্ব পড়া শেষ হোল কিন্তু কাঠের চৌকির দেখা মিললোনা এখনও। কেবল জানলুম, আগামীকাল কাঠ কিনতে যাওয়া হবে। কাঠের সাথে নাকি আবার কাঠমিস্ত্রির যন্ত্রপাতিও কিনতে হবে। এতো দেখি মিউজিয়মে রাখার মতো একটা কাঠের চৌকি হবে। তা দেখি, মোড়ল সাহেবকে চৌকির জন্যে কোন গাছের কাঠ কেনার বুদ্ধি দেয়ে মামুচাচা.............
২৪ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আম্ফানের কারণে বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। সুন্দর মানে রীতিমতো মজাদার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় জী এস ভাইকে। আগামী দিনে আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পাবেন আশাকরি। দীর্ঘ সময় ধরে আমার একঘেয়েমি লেখাটা পড়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। আগামী দিনেও এভাবে পাশে পাবো আশাকরি।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা নিয়েন।
২৩| ২৩ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
রাকু হাসান বলেছেন:
আরোগ্য ভাইয়ের খবর জানতে আসলাম । মন্তব্য পেলাম এ ব্যাপারে । শুনলাম ঝড়ে ক্ষতির সম্মুখিন হলে ...
শুভকামনা করছি। নতুন আপডেট থাকলে জানানোর প্রত্যাশা করছি । লেখার ব্যাপারে বলবো ,আমি প্রথম পর্বটা পড়ে মন্তব্য রাখছি বাকিগুলো সিরিয়ালি পড়বো ..এবং মন্তব্য রাখতে পারবো ইনশাআল্লাহ্। ভাল থাক ।
২৪ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই রাকু,
মহা প্রলয়ের জন্য দেরীতে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। আরোগ্য এখন অনেকটা সুস্থ হয়েছে। তবে প্রচন্ড দুর্বল। ভয়ঙ্কর অসুস্থতা কাটিয়ে উঠেছে।
ঝড়ের ব্যপারে তুমি ঠিকই শেনেছো। আমরা ভয়ঙ্কর সুপার সাইক্লোনের কবলে পড়েছিলাম। এখনো নাগরিক জীবন স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুৎ আজ পাঁচ দিন হলো নেই। আমরা রাজদেওড়ার জঙ্গলে যেভাবে কাটিয়েছিলাম গত ক'দিন সেভাবেই চলছে। আজ কোনক্রমে স্কুটির ডিকিতে চার্জিং এর ব্যবস্থা করে ফোন চার্জ দিয়ে ব্লগিং করছি। কিন্তু মোমবাতি জ্বালিয়ে।
বিদ্যুৎ এলে পরবর্তী পর্ব দেব।
পোস্ট পড়ে তোমার সম্পূর্ণ মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা নিও।
২৪| ২৪ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৫৯
জাফরুল মবীন বলেছেন: হ্যাঁ অবশেষে চার পর্ব একসাথে পড়া শেষ হলো।পড়ার সময় ঘটনাগুলো মনে হয় দেখতে পাচ্ছিলাম।আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এটাকে লেখকের চরিত্র ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা বলেই মনে করি।মাহমুদ মুন্সীর মামু হওয়ার কৌতুহলও মিটলো একজন সাধারণ পাঠক হিসাবে বেশ ভালো লেগেছে।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
*ব্লগার আরোগ্য এর জন্য অনেক অনেক দুয়া রইলো।সহসাই তিনি ফিরে আসবেন সামুতে দৃঢ়ভাবে এ আশা করি।
২৪ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি সময় নিয়ে এরকম একটি বিরক্তিকর ধারাবাহিকের পর্বগুলো পড়া শেষ করাতে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই প্রিয় মবীন ভাই। সাথে সাথে যে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করলেন, তাতে অত্যন্ত লজ্জিত বোধ করছি। এখনো আমি ওই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। কিন্তু মোটের উপর আপনার ভালো লেগেছে এতেই আনন্দ পেলাম। হেহেহে.
আপনার শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ।
বর্তমান বিশ্বের চলমান সংকটের মধ্যেও সপরিবারে সেফ ডিসটেন্স মেনে চলুন ও সকলের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করুন।
ব্লগার আরোগ্য অনেকটাই সুস্থ হয়েছে। তবে বেশিক্ষণ কোন কিছু দেখার মত স্নায়বিক শক্তি এখনো অর্জন করে উঠতে পারেনি। আশাকরি ধীরে ধীরে সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আবার আগের মত ব্লগিংএ ফিরে আসবে এবং আপনার শুভেচ্ছা বার্তার প্রতুত্তর দেবে।
২৫| ২৫ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:২৩
ইসিয়াক বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় দাদা।
নিরন্তর শুভকামনা।
২৫ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ইসিয়াকভাই। আপনার শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম।
আপনার জন্যও রইল পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও বিশেষ ঈদ সংখ্যায় 10 জন কবির মধ্যে আপনার কবিতা স্থান পাওয়ার জন্য অভিনন্দন।
ভালো থাকা নিরন্তর।
২৬| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ভাবছিলুম আপনাকে দেখতে পাবো, ব্লগের গ্রুপ আড্ডায়। এখন আপনাদের ওখানকার অবস্থা কেমন?
যুৎসই লেখার জন্য ভালোবাসা থাকলো।
৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমিও সেদিন খুব হতাশ হয়েছি আপনাদের সঙ্গে আড্ডা দিতে না পারায়। আসলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর এপারের দক্ষিণ বঙ্গের তিনটি জেলায় নেট পরিষেবাও ভেঙে পড়ে। মাঝে মাঝে টুজিবি নেট এলেও প্রায়ই চলে যাচ্ছিল।এই সমস্যাটি আমার মাথায় ছিল না। থাকলে রাজি হতাম ন। তবে এখনও নেট পরিসেবা স্বাভাবিক হয়নি। শুনছি সমানে কাজ হচ্ছে। বহু স্থানে টাওয়ার ভেঙে গেছে। আমাকে ব্লগিংয়ে বা ফেবুতেও চাকা ঘুরছে ই তো ঘুরছে।পরে দেখলাম অফলাইন হয়ে গেছে। জানিনা আবার কবে সব স্বাভাবিক হবে।
শুভকামনা জানবেন।
২৭| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১১:০৩
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার শরীর গতর ভালো আছে তো দাদা?
৩১ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ফাইন। আপনার শরীর গতর ঠিক আছে তো?
২৮| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১০:০৮
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাই চমৎকার আছি।
শুভকামনা থাকলো ।
০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ৮:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ খুশি হয়েছি, আপনার আবার ফিরে আসায়। আপনিও ভালো থাকুন। সকলকে নিয়ে সুখী থাকুন সবসময়।
২৯| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ৮:২৭
আনমোনা বলেছেন: চারটা পর্বই টানা পড়লাম। চৌকির খোঁজে বেড়িয়ে, মামু মিস্ত্রীর ঘটনাতে মন খারাপ হয়ে গেলো।
যাক, দেখি মেয়ে-জামাই আসলে কি হয়।
০২ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে খুশি হলাম আপু। দীর্ঘ লকডাউনে কমবেশি বাঁধা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক হয়েছেন আশাকরি। পরপর চারটি পোস্ট পড়ে কমেন্ট করাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরবর্তী পোস্টগুলোতে অনুগ্রহ করে চোখ রাখুন। আশাকরি আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩০| ০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কেমন আছেন, দাদা ঠাকুর?
দিনকাল কেমন যাচ্ছে?
ভালো থাকুন সব সময়।
০২ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইরে! প্রিয় সাজ্জাদভাই আপনি আমাকে পুরা দাদা ঠাকুর বানিয়ে দিলেন?হেহেহে.
হ্যাঁ আছি।উপরওয়ালার ইচ্ছায় ভালো আছি। আশাকরি আপনিও প্রবাসে ভালো আছেন। তবে বিশ্বব্যাপী চলমান সংকট যে আমাদের জীবনকে উতাল পাতাল করেছে সে কথা বলা বাহুল্য। তার সঙ্গে যোগ হলো মহাপ্রলয় আম্ফান। তবে সব সংকট কাটিয়ে এই মুহূর্তে আবার স্বাভাবিক হয়েছি।আশাকরি আপনারাও সকলেই সমস্ত বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে ভালো আছেন।
পোষ্টটিতে লাইক করায় প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার জন্যও রইল নিরন্তর শুভেচ্ছা। গ
৩১| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০০
মা.হাসান বলেছেন: মাহমুদ মুন্সির শৈশবের কথা শুনে বড় কষ্ট পেলাম। শিশুরা সাধারণতঃ হিংসা পুশে রাখে না, এক্ষেত্রে কোন কারনে ব্যতিক্রম হবার কারনে বড় দূর্ঘটনা ঘটে গেলো।
মিস্ত্রিদের এই কষ্ট এখনো রয়ে গেছে। নিজেদের যন্ত্র বা যন্ত্র কেনার পুজি না থাকায় এরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দিন হাজিরায় কাজ করে যাচ্ছে। দোকানের মালিক হওয়া খুব একটা এদের ভাগ্যে হয়ে ওঠে না।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ব্লগের টানে এলেও ব্যক্তিগত কারণে গতকয়েকদিন ব্লগে প্রতিমন্তব্য করার মতো সময় বার করতে না পারায় দুঃখিত।
পোস্ট প্রসঙ্গে, কথা ঠিকই বলেছেন যে শিশুরা হিংসা পোষণ করে রাখে না। তবে লাগাতার ঘা খেয়ে কখনো বা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে থাকে।
মিস্ত্রি সহ যে কোন ক্ষেত্রেরই এক্কেবারে তৃণমূল স্তরের কর্মচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বহুদিন ধরে চলে আসা যে প্রবণতা আজও সমানে বয়ে চলেছে। নিজেদের যন্ত্র না থাকাতে তারা একপ্রকার বন্ডিং লেবারই বৈকি। দোকানের মালিক হওয়া এদের কাছে দুঃস্বপ্নের নামান্তর। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করায় প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৩২| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০২
রাকু হাসান বলেছেন:
আমি গতপর্বে রাকিব মণ্ডল কে মিস করেছি । প্রশ্ন খোঁজছিলাম । একদম সে আসলো । এই পর্বে এসে মনে হচ্ছে পর্ব ৩ ছিল মামু চাচার গঠন । দুইজনকেই ভাল লাগছে ইতিমধ্যে।এই পর্বে আমি নিজের শৈশবের কিছু ছোঁয়া পেলাম । ফিরে গেলাম সেখানে। শৈশবে আমি প্রথমে দুর্বলদের মধ্যে একজন ছিলাম,তার মানে এই নয় গায়ের জোরে কম ছিলাম ,ভয় পেতাম আমি ঝগড়া । কামড় আমিও দিতাম । তবে আস্তে আস্তে ডানপিটে ঊঠি। বন্ধুদের অত্যাচারে আমি বদলে যায়। এক সময় যাদের আমি ভয় পেতাম ,তারাই আমাকে ভয় পাওয়া শুরু করে । শৈশবে কামড় দেওয়া দুর্বলদের বড় অস্ত্র । এই পর্বটা আমার কাছে গত পর্বগুলোর আলোকে বেস্ট মনে হয়েছে। আমার এখনই মন চাচ্ছে ,পরের পর্বটা পড়তে ।
মামু চাচার করুণ কাহিনী । আসলে বেশি হাসেন এমন মানুষের পেছনের গল্প খুব দুঃখের হয় । হয়তো হাসিটা তাদের কাছে ভালো থাকার ,ঢেকে রাখার উপায় । ভালো থাক। ভালোবাসা জানিয়ে গেলাম।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
বিলম্বিত প্রতিমন্তব্য দেওয়াতে দুঃখিত। যদিও আমি তোমার আগের পর্বের মন্তব্যটি দেখেছি। রাকিব মন্ডলকে মিস করেছিলে, এখানে সে আশায় আশা করে তোমার জিজ্ঞাসার অবসান ঘটলো। মামু চাচার সঙ্গে রাকিব মণ্ডলকেও ভালো লাগাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ জানবে। পোস্টের সঙ্গে তোমার শৈশবের চমৎকার মিল পাওয়াতে আনন্দ পেলাম।শৈশবের দুর্বল প্রকৃতির থাকায় একেতাকে কামড়ে দিলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডানপিটে হয়ে ওঠার যে গল্পটি বলছ সে বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কাউকে আঘাত করতে পারো বলে আমার মনে হয় না।হেহেহে...
এই পর্বটি তোমার বেশি ভালো লাগাতে আবারও খুশি হলাম আবারো ধন্যবাদ তোমাকে।
আর বেশি হাসা মানুষের অন্তরালে কখনো বা যে করুণ চিত্র থাকে অল্পকথায় চমৎকারভাবে তুলে ধরেছে।
সর্বোপরি পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট্ট ভাইটিকে।
৩৩| ২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানরা মামা কে আদর করে মামু বলে ডাকে।
২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এটা পার্টিকুলার মুসলমান বলে কথা নয়, আমার জানা যে কেউ মামাকে আদর করে মামু বলে। কলকাতার যাদবপুরে আমার এক দিদি ছিল। এখন আর আগের মতো যাওয়া-আসা নেই ঠিকই। কিন্তু দিদির মেয়ের তার দুই মামার সঙ্গে আমাকেও মামু বলে ডাকতো। সেদিনের সেই ছোট্ট মেয়েটি এখন নার্সিং থার্ড ইয়ারে পড়ে।
৩৪| ২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ পর্ব তো পড়া ছিল, কিন্তু মন্তব্য নেই দেখছি !
এ সিরিজের সবচাইতে দারুণ ব্যাপার হচ্ছে, দেখা হয়নি এমন কিছু সময়ের, পরিবেশের গল্প জানতে পারছি।
ভালোলাগা সিরিজে
২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অবশেষে আপুর দেখা পেয়ে খুশি হলাম। মন্তব্যে ভালো লাগা। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী আপু ব্যস্ততার কারণে হয়তো কমেন্ট করা সম্ভব হয়নি।আর সময়টা সত্যিই আমার বা আপনার অনেক আগের। আপনাকে বলেই ফেলি আসল রহস্যটা। আমার সৌভাগ্য হয়েছে এমন একজন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যিনি বয়সে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী। অনেক ঘটনার স্বাক্ষী। ওনার স্মৃতিকে ভরকরেই এই সিরিজের অবতরণা।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।
৩৫| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪২
আরোগ্য বলেছেন: .গতপর্বের হাসমুখ মামু চাচাকে দেখি বুঝাই যায়নি যে শৈশবে এতো দুষ্ট ছিলো। গহরের ঘটনাটা শীঘ্রই উদঘাটন করতে হবে। আসলেই গ্রামের ছেলেমেয়ে অধিক পাজি হয় মনে হয়। দেখা যাক পরের পর্বে কি হয়।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তোমার আগমন ও সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম ধন্যবাদ তোমাকে। হ্যাঁ গহরের ঘটনাটা বেশ দীর্ঘ। সঙ্গে থাকো শেষ পরিণতিটা জানতে পারবে।আর বাল্য ও কৈশোরে হিংসা সেটা ছোটখাটো একটা ঘটনা থেকেই হয়ে থাকে।কোন কোনো ক্ষেত্রে তার রেশ দীর্ঘতর হয়ে থাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা তোমাকে।
৩৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: আজকে এতদূর পর্যন্ত পড়তে পারলাম।
মশা মারতে কামান দাগানোর অবস্থা!
দোকান থেকে কাঠের খাট কিনে নিলেই তো হয়?
ভালো থাকুন।
০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।মশা মারতে কামান দাগার কথা বলেছেন ঠিকই কিন্তু প্রকৃত যারা সৌখিন লোক তারা কিন্তু কোন রেডিমেড জিনিস পছন্দ করেন না।
আসিফের পরবর্তী পর্বগুলোতেও এভাবে পাশে পাব।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
৩৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রামিসা রোজা বলেছেন:
রাকিব মিয়ার মনে হচ্ছে আপাতত খাটের ব্যবস্থা সুরাহা
হলো । কিন্তু মামুর জীবনে এখন নতুন কালো অধ্যায়
দেখছি । অবুঝ বাচ্চা নিজেকে কোন বিপদের মুখে ঠেলে
দিলো ?
ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ঠিকই ধরেছেন মামুচাচার জীবনের মোড় কিছুটা হলেও বাঁক নিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো পর্ব দিয়েছি। আশাকরি সময় নিয়ে দেখলে বিষয়টি জানতে পারবেন।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিবেন।
৩৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: গহর এর মর্মান্তিক পরিণতির কথা ভেবে শিউরে উঠলাম।
তবে গল্প এগিয় চলেছে স্বাভাবিকভাবে, চলুক।
মা.হাসান বলেছেন: "মাহমুদ মুন্সির শৈশবের কথা শুনে বড় কষ্ট পেলাম। শিশুরা সাধারণতঃ হিংসা পুশে (পুষে) রাখে না, এক্ষেত্রে কোন কারনে ব্যতিক্রম হবার কারনে বড় দূর্ঘটনা ঘটে গেলো" - আমি তার সাথে একমত।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চাইছি বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য। যদিও স্যার মাঝে ভোট ও ভোট পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে ছিলাম।ব্লগে ঢোকার মতো মানসিকতা ছিল না। এখন অবশ্য অনেকটা কাটিয়ে উঠেছি। আপনি শ্রদ্ধেয় ব্লগার; আশাকরি প্রতিমন্তব্যের বিলম্বের অসৌজন্যমূলক আচরণ হিসেবে না দেখে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।
"গহর এর মর্মান্তিক পরিণতির কথা ভেবে শিউরে উঠলাম।
তবে গল্প এগিয় চলেছে স্বাভাবিকভাবে, চলুক।" গল্পে আপনার যাতনাময় অনুভূতি ও কাহিনী কিছুটা ভালো লাগলো বলে এগিয়ে যাওয়ার সম্মতি জ্ঞাপন করাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
"মা.হাসান বলেছেন: "মাহমুদ মুন্সির শৈশবের কথা শুনে বড় কষ্ট পেলাম। শিশুরা সাধারণতঃ হিংসা পুশে (পুষে) রাখে না, এক্ষেত্রে কোন কারনে ব্যতিক্রম হবার কারনে বড় দূর্ঘটনা ঘটে গেলো" - আমি তার সাথে একমত।" আগেও বলেছি মা.হাসান ভাই অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্লগার।গল্প পাঠের সঙ্গে সঙ্গে বিষয় অনুযায়ী নিজ অনুভূতি জানিয়ে একজন বোদ্ধা পাঠক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে ব্লগের ঋদ্ধ পাঠক হিসেবে তুলে ধরেছেন বারেবারে। স্বভাবতই বিভিন্ন পোস্টে ওনার এমন আন্তরিক মন্তব্য আপনার মতো অনুভূতিশীল মানুষের কাছে খুবই সমাদৃত। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
এক ঝলক পড়ে নিয়ে প্রথম বুকিং দিয়ে গেলাম ।