নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-৬/প্রথম খন্ড দ্বিতীয় পর্ব)
(নামে পর্ব-৫ হলেও আজ থেকে শুরু হলো দুটো খন্ডে বিভক্ত 'ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া' উপন্যাসের প্রথম খণ্ডের প্রথম পর্ব। সেক্ষেত্রে বিগত চারটি পর্ব উপন্যাসের ভূমিকা পর্ব বা প্রাককথন হিসেবে বিবেচিত। সুধী পাঠক বৃন্দকে সঙ্গে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।)
দাদা যে আমাকে কাজে নিয়ে যেতে রাজি হবে প্রথমটা যেন ভাবতেই পারিনি। মনে হয়েছিল যে আমার সঙ্গে বুঝি রসিকতা করছে। কথাটা সত্য কিনা তা দাদিকে জিজ্ঞেস করতেই মুখ বেজার করে,
-হ্যাঁ কি করবো তোকে পাঠাবো না তো। সারাদিন বাড়ি থেকে যা দুষ্টুমি করছিস তাতে পাড়ায় কান পাতা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তোর অতিষ্ঠে আমি যেন আর পেরে উঠছি না।
আমি খারাপ বা আমার আচার-আচরণ খারাপের কথা সেই কবে থেকে সবার মুখ থেকে শুনে শুনে আমার কান একেবারে পোঁচে গেছিল। কাজেই দাদির এসব কথা তখন আমার মাথায় ঢুকছিলো না।তার মধ্যে শহরে কাজে যাওয়ার কথাটা শুনে তা যেন আনন্দে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল।সাময়িকভাবে আমি দিশেহারা হয়ে যাই। আনন্দকে বহিঃপ্রকাশ করব কিভাবে তা ভেবে রীতিমত অস্থির হয়ে উঠি। শুরুতেই যে চিন্তা মাথায় ঢুকে ছিল তাহল জামাকাপড়ের চিন্তা। বাংলা প্যান্ট পড়লেও সবগুলোতেই ছিল কমবেশি ফুটোফাটা। দাদি ও মা অবসর সময়ে আমাদের ভাই বোনদের জামাপ্যান্টের ফুটোফাটা বন্ধ করতো। বলা চলে গ্রাম্য মহিলাদের বৈকালিক অবসর বিনোদনের মাধ্যমই ছিল পুরানো জামা কাপড়ে হাত সেলাইয়ের কাজ করা। সেদিন প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ করে এভাবে সুযোগ মেলাতে তাকে সদ্ব্যাবহার করতে আমি মরিয়া হয়ে ওঠি। প্যান্ট গুলো একত্রে করে খুঁজতে থাকি কোনগুলোতে একটু কম ফুটোফাটা আছে তা বার করার। উল্লেখ্য জামাকাপড়ে বেশি ছেঁড়াফাটার কথা বললে হয়তো দাদা রাজি হবে না অথবা যাওয়া পিছিয়ে যেতে পারে, এটাও মাথায় ছিল। কাজেই জুতসই দুজোড়া জামাকাপড় পছন্দ করে দাদির কাছে তুলে ধরি ছাড়পত্র পাওয়ার আশায়।
সেদিন শহরের পথে পা দিতেই মনে মনে নানান ভাবনা কল্পনালোকে তোলপাড় হতে থাকে।বলা ভালো শহর সম্পর্কে নানান জিজ্ঞাসা, নানান অনুভূতি যেন দলা পাকিয়ে আমার অন্তরে ঘুরপাক খেতে থাকে। হাঁটতে হাঁটতে দাদার অলক্ষ্যে আপন মনে মাঝে মাঝে হেসে উঠি। যদিও দাদার চোখকে ধুলো দিতে পারেনি। আড়চোখে আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে যায়। চোখাচোখি হতেই আমি লজ্জা পেলেও দাদাও খুশি হয়। এবার সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকে আঙ্গুলের ইশারায় দূরে বা আরও দূরের বিভিন্ন জিনিসগুলো বোঝানোর। আমি সবকিছুতে মাথা নেড়ে মুগ্ধ চিত্তে তার কথায় সন্তোষ প্রকাশ করতে থাকি।কত ফাঁকা জমি মাঠ-ঘাট পেরিয়ে আমরা অতিক্রান্ত হতে থাকি। রাস্তার ধুলোয় আমার পা থেকে হাটু পর্যন্ত একেবারে সাদা হয়ে যায়। মাঝে মাঝে সামান্য হাওয়াতেও ধুলো উড়তে থাকে। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থানের ধুলোর স্তুপে লাথি মেরে বেশ মজা পেয়েছিলাম। প্রথমে দু একবার দাদা সায় দিলেও পরে আমার পায়ের দশা দেখে বারণ করে।পরবর্তী কিছুটা রাস্তা ভালোভাবে গেলেও ধুলোর স্তুপ দেখে ভিতরে ভিতরে লাথি মারার বাসনা উঁকি মারতে থাকে। সুযোগ বুঝে দু-একটিতে লাথি মারতেই দাদা এবার মৃদু ধমক দেয়। ধমক খেয়ে বুঝি ততক্ষনে যা হওয়ার হয়ে গেছে আমার কোমর পর্যন্ত ধুলোয় ধূসরিত। ভদ্রলোকের বাড়িতে ঢুকতে গেলে একটু সভ্য ভদ্র হয়ে ঢোকা দরকার। কাজেই দাদার কথাকে মান্যতা দিতেই বাকি রাস্তায় ধুলোখেলা থেকে বিরত থাকি। ধুলোখেলা বন্ধ করা মাত্রই বুঝি অন্য একটি যন্ত্রনা পেটের মধ্যে চিঁচিঁ করতে থাকে। বুঝতে পারি পায়ের গতি হঠাৎ বেশ কমে গেছে। সকালে বাড়ি থেকে পেট ভরে পান্তা খেয়ে বের হলেও পথিমধ্যে বেশ খিদে অনুভূত হয়। ইতিমধ্যে আমরা বহু রাস্তা অতিক্রম করেছি। যাইহোক খিদে পেয়েছে কিনা দাদা সে কথা জিজ্ঞেস করলেও হ্যাঁ বলাটা নিরাপদ হবে না ভেবে,
- না আমার তেমন খিদে পায়নি।
খিদের কথা মুখে স্বীকার না করলেও দাদা বোধহয় বুঝতে পেরেছিল আমার মনের কথা। খানিকবাদে পথিমধ্যে একটা ঘুমটি মতো দোকান থেকে দাদা কিছু মুড়ি ও বাদাম নিয়ে এলো। বাকি রাস্তা আমরা ওগুলো খেতে খেতেই এগোতে থাকি। কি অপূর্ব লেগেছিল সেদিন খিদে পেটে মুড়ি-বাদাম খেতে, তা বলে বোঝানো যাবে না। এভাবে হাঁটতে হাঁটতে একটা সময় আমরা ধুলোবালির রাস্তা ফেলে মূল শহরে প্রবেশ করি। কালো কালো রাস্তার সঙ্গে বড় বড় দালান দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। রাস্তা বলতে আমরা গ্রামে সারাবছর ধুলোবালি ও বর্ষার সময় কাদা রাস্তা দেখে অভ্যস্ত। এক্ষণে শহরের কালো দেখে দাদাকে জিজ্ঞাসা করলে জানিয়েছিল,
-শহরের রাস্তা নাকি এমনই হয় যা পিচ দিয়ে তৈরি। আমার চোখে-মুখে বিস্ময় দেখে দাদা আরও বলেছিল,
-শহরে আরো কত কি দেখার আছে। এখানে পিচ রাস্তা, বিভিন্ন মোটরগাড়ির সঙ্গে মার্টিন বান লাইনে ট্রেনও অন্যতম দর্শনীয় বিষয়।
মোটরগাড়ির কথা আমি আগেই শুনেছিলাম। সেদিন দাদার কাছে প্রথম ট্রেন গাড়ির কথাও শুনি। ট্রেন-মোটরগাড়ি এসবের কথা শুনে আমার কল্পনায় বিস্ময়ের ঘোর লেগে যায়। কারা চড়ে, কিভাবে চড়ে, কোথায় যায়, এভাবে নানান প্রশ্ন করতে থাকি। ট্রেন খুব বড় বলাতে আমি দুই হাত উঁচু করে ইশারা করে জিজ্ঞেস করি ট্রেন আকাশের সমান উঁচু কিনা। প্রথমে দাদা হাসলেও অবশেষে বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে বলে ফেলে, একদিন সুযোগ মতো আমাকে মার্টিন বান লাইনে ট্রেন দেখাতে নিয়ে যাবে। সেই পরীক্ষিত দিন কবে হবে সেই মুহূর্তে জানতে চাওয়াতে দাদার ধৈর্যের বাঁধ যেন ভেঙে যায়। এবার মাঁড়ি চেপে চেপে বেশ ধমকের স্বরে জবাব দেয় এত বকবক না করার জন্য। আমি সাময়িকভাবে গুটিয়ে গেলেও একটা প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। একটা বড় বাড়ির দিকে আঙ্গুল তুলে ভয়ে ভয়ে ফের জিজ্ঞাসা করি,
-এগুলো কি রাজবাড়ি? দাদীর কাছে রাজবাড়ির অনেক গল্প শুনেছি কিনা।
দাদা অবশ্য এক্ষেত্রে আমাকে ধমক না দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দেয়,
-শহরের পয়সাওয়ালা লোকেরা এই সব বাড়িতে থাকে।
-তুমি আর বাপ মিলে তো অনেক পয়সা রোজগার করো, তাহলে এমন একটি বাড়ি তৈরি করতে পারো না কেন?
এবার দাদা হো হো করে হেসে উঠলো। চোখে গোল্লা পাকিয়ে দুহাত প্রসারিত করে,
-এরকম একটা বাড়ি করতে অনেক অনেক অনেক টাকার দরকার।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা এক সময় একটি বড় বাড়ির সামনে চলে আসি। দাদা হাসি হাসি মুখে জানায়,
-এটাই আমাদের মনিব সুব্রত হালদারের বাড়ি।
দাদির কাছে রাজপ্রাসাদের গল্প শুনেছি।বাড়িটিকে দেখে মনে হলো এমন-ই একটি রাজপ্রাসাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। রাজাদেরও তো অনেক পয়সা থাকে। অথচ দাদা কেন এমন বাড়িওয়ালাকে রাজা বলতে চাইছে না, মনে মনে নিরন্তর উত্তর খুঁজতে থাকি। দাদা বাবু বাবু বলে বারকয়েক ডাকতেই লম্বা ফর্সা ছিপছিপে চেহারার এক ভদ্রলোক বাইরে বেরিয়ে এলেন।
-আরে রুস্তম যে! কখন ফিরলে?
-এইতো বাবু এইমাত্র। এখনো দোকানে ঢুকিনি। আপনার সঙ্গে দেখা করতেই দাঁড়ালুম।
- বেশ ভালো। বেশ! তা সঙ্গের বাচ্চাটা কে?
- আজ্ঞে আমার নাতি,ফজরের মেজো ছেলে।
ভদ্রলোক এগিয়ে এসে আমার হাত ধরে নাম কি ও কোন ক্লাসে পড়ি জানতে চাইলেন। আমি নাম বলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলুম। কথা বলতে বলতে ভেতর থেকে একজন ভদ্রমহিলাও বের হলেন। কোনো মানুষের এত সুন্দর রূপ হতে পারে আমি আগে কখনো দেখিনি। দাদা পরিচয় করিয়ে দিল,
-ইনি তোমার নতুন দাদি।
নতুন দাদি মিষ্টি করে হেসে কাছে টেনে আমাকে আদর করতে লাগলেন।
এবার ভদ্রলোক আমাকে শহরের স্কুলে ভর্তি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিতেই আমি ভো করে কেঁদে ফেলি। এক সময় আমিও স্কুলে যেতাম। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো ওই হারান মাস্টারকে নিয়ে।পরপর দুদিন শাস্তি পেয়ে রাগ গিয়ে পড়ে মাস্টারের উপরে। ব্যাটাকে কামড়ে দিয়ে মাংস ছিঁড়ে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে এসেছিলাম। তারপরে আর কখনো ওমুখো হইনি।এক্ষুনি আবার সেই স্কুলের প্রসঙ্গ উঠতেই আমার মনের মধ্যে প্রচণ্ড ভয় চলে আসে। দাদা আমাকে সান্ত্বনা দিতে থাকে,
-কাঁদিস না বোকা কোথাকার। তোকে আর স্কুলে যেতে হবে না।
আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ওনার দিকে তাকিয়ে দাদা আরও বলল,
-আমি বাবুকে পরে বুঝিয়ে বলব খন তোর স্কুল ভীতির কথাটি।
ভদ্রলোক কি যেন ভাবলেন। মুখের চেহারাটা সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেল। এবার দাদাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করলেন,
-রুস্তম তুমি তাহলে নাতিকে কাজ শেখাবে বলে নিয়ে এলে?
দাদা মুখে কিছু না বললেও হাসিমুখে কেবলই নিরব থেকে যেন ওনার প্রশ্নের সম্মতি জানালো। উনি আর কিছু না বলে ভিতরে ঢুকে গেলেন। নতুন দাদি আমার দিকে মিষ্টি করে হেসে,
-মাহমুদ দীর্ঘ রাস্তায় অনেক পরিশ্রম হয়েছে। এখন স্নান করে বিশ্রাম নাও। পরে কথা হবে, বলে স্বামীর পিছু পিছু ভিতরে ঢুকে গেলেন।আমরাও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাশের দোকান ঘরের দিকে পা বাড়ালাম।
ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-৪)
০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১২:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে। সাতক্ষীরার বাসিন্দা হওয়ার জন্য আপনার কাছে আমার বাড়তি চাওয়া, আগামী পর্বগুলোতে যেন আপনাকে পাশে পাই।
পোষ্টের প্রথম মন্তব্যের জন্য বাড়তি ভালোলাগা, ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
২| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভূমিকা পর্বের বেড়াজাল পেড়িয়ে আজ উপনিত হলাম
মূল পর্বে। মূল পর্বের প্রথমৃৃ খন্ডতেই বাজীমাত করে
দিলেন দাদা। চমৎকার লেখার গাথুনি আর সুন্দর বর্ণনায়
অসাধারণ উপ্যাস ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া সুখঠ্য হবে
যবনিকা পর্যন্ত সে সনদ আগে ভাগেই দেওয়া যায়। আগামী
পর্বের অপেক্ষাতে রইলাম। শুভরাত্রি!
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নূরু ভাই,
আপনার চমৎকার কাব্যিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।প্রথম খন্ডের প্রথম পর্ব যেহেতু আপনার কাছে বাজিমাত বলে মনে হয়েছে তাহলে আশঙ্কায় আছি যে পরের পর্বগুলো আপনার কাছে বোরিং মনে হতে পারে আর সেক্ষেত্রে আপনাদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে হয়তো জলাঞ্জলি দিয়েই ফেলবো। তখন হয়তো মনে মনে গালি দিয়ে উঠতে পারবেন না হেহেহে...
আগামী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১:১০
মানতাশা বলেছেন: আমি আগের ভূমিকা পড়িনি
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মানতাশা ভাই,
অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হয়েছি। সকাল থেকে একটু ব্যক্তিগত কাজে খুবই ব্যস্ত ছিলাম। তারই মধ্যে খুব কম সময়ের জন্য একটুখানি সময়ের জন্য ঢুঁ মারলেও মূলত আপনার জন্যেই লিংক দিতেই প্রতিমন্তব্য করতে দেরি করে ফেললাম। যদি সম্ভব হয় তাহলে ভূমিকা পর্বে(চারটি মিলিয়ে একত্র) একবার চোখ বোলাতে অনুরোধ করবো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৪| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: বুঝতে পারছি আম্পান এর কারনে পোষ্ট দিতে দেরী করেছেন।
লেখা সহজ সরল সুন্দর। কোনো ভান নেই। ভনিতা নেই।
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ একদম ঠিক তাই। রমজান মাসের জন্য একদিকে যেমন দুপুর বেলার পর থেকে আর ব্লগে ঢোকার মতো ইচ্ছে ছিল না। কেবল ঘুমাতাম। কিন্তু তার মধ্যে আম্ফান এসে সবকিছু এলোমেলো করে দিয়ে গেল। এই মুহূর্তে অবশ্য সমস্ত বাঁধা বিঘ্ন অতিক্রম করে ফেলেছি।
ভাইয়ের সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যে ভালোলাগা। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
শুভকামনা রইল।
৫| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ২:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক আগে চার পর্ব পড়েছি। এটা পড়তে গিয়ে বার বার হোচট খেলাম। আবার পেছন থেকে পড়তে হবে। এই জন্যই ধারাবাহিক কোন লেখা পড়তে গেলে আমি অপেক্ষা করি......বেশ কয়েকটা পর্ব এক সাথে পাওয়ার। তাহলে পড়েও মজা পাওয়া যায়।
যাই হোক, আবার শুরু করলেন......ভালো লাগলো। অল দ্য বেস্ট!!
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ সহমত মফিজ ভাই আপনার সঙ্গে যে ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে যদি কনসিসটেন্সি না থাকে তাহলে মেমোরিজ করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনাকে এমন যাতনাময় পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ধারাবাহিককে নিয়ে আপনার আইডিয়াটা না মেনেও আমার উপায় নাই। এখন থেকে আমিও চেষ্টা করবো তিন/চারদিনের খাবার একসঙ্গে খেয়ে নিতে।হেহেহে...
যাইহোক মোটের উপর ভালো লাগাতে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৬| ০৩ রা জুন, ২০২০ ভোর ৫:৩৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লেখা
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নেওয়াজ ভাই,
আপনার উপস্থিতিতে আনন্দ পেলাম। মন্তব্যে ভালোলাগা। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
৭| ০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অ দাদা কি কলেন
এদ্দিন ভুমিকায় পইড়েছিনু
হা হা হা
যাক সিরিজের সিড়ি পেলুম তবে এতদিনে।
বেশ ভাল লাগলো নাতির চোখে শহর দর্শনের পথ বর্ণনা আর আবেগ...
চলুক সিরিজ
+++
০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই টাইপো উল্লেখ করে পোস্টটিকে শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে সহযোগিতা করার জন্য। আগামী দিনেও এমন সহযোগিতার আশা রাখি।
হেহেহেহে এতদিন আপনাদের উপর অত্যাচার করেছি ভূমিকা পড়াতে বাধ্য করানোর জন্য। করজোড়ে ক্ষমা চাইছি এবারের মত মাফ করে দিন।
পোস্টটি ভাল লাগাতে ও লাইক করাতে এবং ট্রিপল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
৮| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
ইসিয়াক বলেছেন: কাহিনীর সময়কাল উল্লেখ করলে ভালো হতো। অনেক ভালো লাগছে। চলুক......।
শুভকামনা প্রিয় দাদা।
০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মন্তব্যে ভাল লাগা প্রিয় ইসিয়াক ভাই। সমসাময়িক ঘটনা থেকেই আপনাকে সময় কালটা বুঝে নিতে হবে। আগামীতে আরো কয়েকটি পর্ব পাঠ করলে আশাকরি বিষয়টা পরিষ্কার হবে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
শুভকামনা রইল।
৯| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ২:০০
মুক্তা নীল বলেছেন: দাদা ,
অনেকদিন পর দিলেন এবারের পর্বটা ।
বর্ণনাময়ময় পথচলা যাত্রার কাহিনী পড়ে একটা ছোট্ট
মানুষের ভেতরকার অনুভূতির উপস্থাপনা ভালো লাগলো
পরের পর্ব টা একটু তাড়াতাড়ি দিয়েন দাদা।
আশা করি সকলে ভালোই আছেন। কি যে একটা
পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আর ভালো লাগছে না।
ভালো ও নিরাপদে থাকুন সবাইকে নিয়ে ।
০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোনের দেখা পেয়ে আনন্দ পেলাম। হ্যাঁ মাঝখানে মহাপ্রলয়, করোনা এবং রমজান মাসের জন্য সেই হারে ব্লগে ঢোকা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পরবর্তী পর্বটি পরের সপ্তাহে দেওয়ার প্ল্যান আছে। পোষ্টটিতে লাইক করায় প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা রইল।।
এবার বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে, নানান বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে এখন অবশ্য আমরা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছি। এখানে অতি সম্প্রতি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে গেছে।বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফেরায় কি অবস্থা তৈরি হয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে যানবাহনের স্বাভাবিকতা। ট্রেন বাদে প্রায় সমস্ত যানবাহন চালু হওয়াতে রাস্তাঘাটে প্রচুর জনসমাগম। এযাবৎকাল মেনটেন করা সোশ্যাল ডিসটেন্স আর মেন্টেন করা কোন অবস্থাতেই যেন সম্ভব হচ্ছে না। আর এটা নিয়েই আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। কখন যে করোনায় আক্রান্ত হই এই ভয় আমাদের এখন পেয়ে বসেছে।
আপনিও সাবধানে থাকুন এবং পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো থাকুন।
১০| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১:০৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরুজি, শুভেচ্ছা রইলো।
মনে হচ্ছিল আমি দাদার সাথে শহর দেখবো বলে লম্বা ধূলোময়লা পথে রওয়ানা হয়েছি। চমৎকার বর্ণনা। এ যুগের দুর্গেশ-ননদিনী যেন। আমাদের শিশু-কিশোরদের কৌতুল মেটানোর জন্য আমরা খুব একটা সহযোগিতা করতে পারি না। সীমাহীন দারিদ্র্য আর অর্থনৈতিক বৈষম্য শিশুদের বেড়ে উঠার বড় অন্তরায়। সুবিধা বঞ্চিত এসব কিশোর খুব অনুভূতি প্রবণ হয়। নতুন যা সুন্দর তাই মনে ধরে। জানতে আগ্রহী হয়।
চমৎকার পর্বগুলো চলুক। সাথে আছি।
০৪ ঠা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,
আপনার দর্শনে শান্তি পেলাম।
"মনে হচ্ছিল আমি দাদার সাথে শহর দেখবো বলে লম্বা ধুলোময়লা পথে রওয়ানা হয়েছি। চমৎকার বর্ণনা। এযুগের
দুর্গেশ-ননদিনী যেন।" -আহা কি যে বলেন! এমন একজন ছোটখাটো লেখক কেমন করে বললে যে লজ্জায় মরে যায়।
" আমাদের শিশু-কিশোরদের কৌতুক মেটানোর জন্য আমরা খুব একটা সহযোগিতা করতে পারি না। সীমাহীন দারিদ্র্য আর অর্থনৈতিক বৈষম্য শিশুদের বেড়ে ওঠার বড় অন্তরায়। সুবিধাবঞ্চিত এইসব কিশোরপুর অনুভূতি প্রবণ হয়। নতুন যা সুন্দর তাই মনে ধরে। জানতে আগ্রহী হয়।" চমৎকার অনুভূতি ব্যক্ত করলেন নিপীড়িত বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া মানুষদের সন্তানদের সম্পর্কে। চমৎকার মন্তব্যে মুগ্ধতা। ধন্যবাদ প্রিয় গুরুদেবকে।
পোস্টে লাইক করে প্রেরণা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১১| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:৪২
মা.হাসান বলেছেন: ভূমিকার ঘটনায় যে মাহমুদ মুন্সির কথা লিখেছেন তার তিন ছেলে, মেজো ছেলে কাজ করার উপযুক্ত বয়সের। অর্থাৎ পঞ্চম পর্বের ঘটনা কম করে হলেও প্রথম পর্বের ত্রিশ বছরে আগের কথা। দাদা-নাতি পায়ে হেঁটে গ্রাম থেকে শহরে চলে এলো। খাওয়ার বর্ণনা শুনে অনুমান করি প্রায় চার থেকে ছ ঘন্টার হাঁটা পথ। অর্থাৎ কুড়ি কিলোমিটারের মতো পথ। ত্রিশ বছরে শহর অনেক দূর প্রসারিত হবার কথা। রাকিব মিয়ার গ্রাম সে হিসেবে মনে হয় শহরের খুব কাছেই হবে।
বসিরহাঁট এলাকায় মার্টিন কোম্পানির ন্যারো গেজ লাইন ছিলো এক সময়, কিন্তু তা ভারত স্বাধীনতার পর পরই বন্ধ হয়ে গেছে, কাজেই সে হিসেবে রুস্তম মুন্সির ঘটনা ১৯৫০ সাল বা তারো আগের হবার কথা। সেই সময়ে ভারতে নীচু জাতের মুসলমানের স্কুলে যাবার ঘটনা কতটা বাস্তব সম্মত বলা কঠিন। (কার্পেন্টার রা উঁচু জাতের বলে মনে হয় না) পরের কোনো পর্বে আশা করি বিষয়টা খোলাসা হবে।
সুব্রত হালদার এবং ওনার স্ত্রী দুজনেই মুসলমানের বাচ্চাকে ছুয়ে দিলেন। আমি সত্তরের দশকেও বাংলাদেশে দেখেছি সনাতন ধর্মাবলম্বিরা মুসলমানদের ছোয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতেন। এই বিষয়টাতেও খটকা রয়ে গেলো।
মাহমুদ মুন্সি দেখা যাচ্ছে স্কুলের শিক্ষককেও কামড় দিয়েছে। এখন আর বাচ্চাদের স্বভাব সুলভ ঘটনা বলে মানতে মন চাইছে না।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,
অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম। প্রথম কথা,একটা মূল গল্পের শুরুতেই যদি এতগুলো বিষয় তুলে ধরেন আর আমিও যদি সেই অনুযায়ী একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকি তাহলে আগামীতে গল্পটা কিছুটা হলেও আকর্ষণ হারিয়ে ফেলবে বলে আমার ধারণা। তবুও কিছুটা গা বাঁচিয়ে আপনার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
আপনি আমার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবেন না যে ভারত-বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই ছেলে মেয়ে উভয়েই বাবা-মা ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাদেরকে বিয়ে দেওয়ার জন্য। ছেলেরা অবশ্য আরও দু-একবছর বাড়তি সময় পেয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ছেলেদের ১৬/১৭ বছর বয়সে বাবা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
আমার মায়ের যেমন চতুর্থ শ্রেণীর গন্ডি টপকালে সম্বন্ধ দেখা শুরু হয়। এখন আমার ছেলে টেন+এ ফাইভ পড়ে। কাজেই আপনার হিসেবে গল্পের দুটি প্লটের গ্যাপ ত্রিশ বছর না হলেও ২০/২১ বছরের ব্যবধান হতেই পারে।
হাঁটতে সময় লাগছে। উল্লেখ না করলেও অনুমেয় মামু চাচার তখন বয়স বড়জোর এগারো/বারো বছর। ঐ বয়সের একটি বাচ্চা কখনও বড়দের মত দ্রুত হাঁটতে পারে না। সেক্ষেত্রে সময় বেশি লাগলেও দূরত্ব 12 থেকে 15 কিমি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
ঘটনা সময়ে নিরক্ষতার হার অত্যধিক বেশি হলেও তার মধ্যেও একটা পার্সেন্টেজ তারা কিন্তু ওয়ান/টু পর্যন্ত হলেও স্কুলে যেত।
আমার জানা একটা বড় গ্রাম ভেঙে আজ চারটি গ্রাম হয়েছে ঠিকই। তবে এমনই বড় তিনটি গ্রামের পরে ছিল শতবর্ষের পুরাতন প্রাথমিক বিদ্যালয়।দরমার বেড়া দেওয়া স্কুল ঘরে আমারই পূর্ব-পুরুষরা পড়াশোনা করেছে। (অথচ আমরাই প্রাথমিকে গ্রামের বিদ্যালয়ে পড়েছি)।ড্রপ আউট হতো ক্লাস টু/থ্রি থেকে। হাইস্কুল ছিল দশকিমি দূরে। সেই সংখ্যাটা ছিল আণুবিক্ষনিক।
গল্পের বাকি অংশ সম্পর্কে পরবর্তী পর্বগুলোতে চোখ রাখতে অনুরোধ করবো। এই খন্ডের শেষে আপনার উত্তর না মিললে আমি প্রশ্নগুলোকে ধরে ধরে সেদিন না হয় উত্তর দেব।
পোস্টে লাইক দেওয়াতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১২| ১০ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, প্রকৃতগত ভাবে আমি কিছুটা অতীতপন্থী মানে আধুনিকতা আমার ভালো লাগে না, আজ থেকে ৪০/৪২ বছর আগের শৈশব ধুলিমাখা গ্রাম, প্রথম এয়ারপোর্ট দেখা, প্রথম চিড়িয়াখানা দেখা ঢাকায় এসে, প্রথম চাইনিজ নামক এক অদ্ভুত খাবারের স্বাধ এখনো জিবে লেগে আছে। আপনার বর্ননায় দাদার হাত ধরে মনে হচ্ছিল আমিই সেই বিস্ময় বালক, যে কিনা পৃথিবী আবিস্কার করছে।
বাই দ্য ওয়ে কিছু টাইপো আছে। মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম প্রিয় ভাই।
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শায়রী ভাই,
আপনার কমেন্ট মানে আলাদা ভালো লাগা। মন্তব্যে চমৎকার ভাবে পুরানো স্মৃতিকে অঙ্কন করলেন। সত্যিই তো শৈশবের সেই ধুলো মাখা অতিতকে ভোলা সহজ নয়।বড্ড অসহায় লাগে সেসব কথা মনে পড়াতে।
গল্পে দাদার হাত ধরে ছোট্ট কিশোরের স্থানে নিজেকে তুলনা করায় খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ কিছু টাইপো আপনার চোখে পড়ায় খুশি হলাম। আগামীতেও এমন সহযোগিতা পেতে চাই। আমি একটু সময় নিয়ে ঠিক করে দেবো। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
১৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: চার পর্ব একসাথে পড়ায় ভূমিকাটা জানা আছে।আপনি লিখতে থাকুন আর আমিও পড়তে থাকি....
গল্প পাঠ করতে করতে নিজের জীবনেরও কত ছবি মানসপটে ভেসে উঠছে!
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মবীন ভাই,
আশাকরি ভালো আছেন। ব্যস্ততার মধ্যেও মনে করে আমার ব্লগ বাড়িতে আসায় ও এমন আন্তরিক মন্তব্য করায় আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্প পাঠের সাথে নিজের জীবনের কিছু ছবি মানসপটে ভেসে ওঠাতে পুলকিত হলাম। ঠিকই তো গ্রাম্য কাদামাটি মাখা শৈশব কখনও ভোলার নয়। আমাদের অন্তরে প্রোথিত হয়ে আছে। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল নিরন্তর শুভকামনা।
১৪| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২১
রাকু হাসান বলেছেন:
পড়লাম । মূল গল্পে প্রবেশ করার আগে সূচনা পর্ব ছিল । তুমি বলেই দিয়েছ। তাই হয়তো রয়াসন তেমন লক্ষ্য করেনি । তবে উপন্যাস বোধহয় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে অনেকটা । আগামী পর্বের অপেক্ষায় আছি। আর গল্পের আগের পর্বের লিংক উপরে শুরুতে দিলে আমার মনে ভালো হতে পারে । এতে পাঠকরা যদি আগের পর্ব না পড়ে থাকে ,তাহলে পড়ে এখানে আসতে পারবে । দেখ ভেবে । শুভকামনা করছি। শুভরাত্রি । ব্যস্ততা যাচ্ছে নাকি !
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
তোমার মন্তব্য মানে বরাবরই একটু আবেগধর্মী এবং আলাদা ভালোলাগা; ধন্যবাদ তোমাকে।
এইখানের সবে সূচনা বলতে পারো। সে ক্ষেত্রে উপন্যাসের অবয়ব পেতে আরো কিছুটা পথ অতিক্রম করতে হবে। আশা করি তোমাকে বরাবরই পাশে পাব। গতকাল ছিল আমার বাড়ির ফাইনাল ছাদ ঢালাই। যে কারণে প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিলাম। আজ থেকে অনেকটাই ফ্রি হয়ে গেছি। এবার একে একে পর্বগুলো নিয়ে আসবো।
গল্পের উপরের অংশটি পরবর্তী পর্বের লিংক দেওয়ার জন্য সংরক্ষিত রেখেছি। এর আগের পর্বগুলোতে আমি সেই ধারা অব্যাহত রেখেছি।
সুন্দর সাজেশন ও পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট্ট ভাইটিকে।
১৫| ১৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৫
করুণাধারা বলেছেন: করোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা আমাকে অলস করে তুলেছে, পোস্ট পড়ার এতদিন পর মন্তব্য করতে এলাম...
আসল কাঠের পালংক তৈরি হয় কিনা, কিভাবে হয় সেটা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি, তবে মাহমুদকে নিয়ে যেভাবে কাহিনী আগাচ্ছে সেটাও ভালো লাগছে। তবে একটা খটকা আমারও আছে, মুসলমানের সাথে এমন ছোঁয়া ছুঁয়ির সম্পর্ক আমি দেখিনি। দেখা যাক, কাহিনী আগালেই বোঝা যাবে। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের। শুভকামনা রইল।
১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপু,
করোনাকে আমরা ইগনর করতে পারবোনা। তবে সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। নিজেকে এবং পরিবারের সকলকে অবশ্যই সতর্কতা মেনে চলতে পরামর্শ দিন। শুধু শুধু চিন্তা করবেন না।এটা আরও ক্ষতিকর। করোনা ডিপ্রেশন বহু মানুষের মধ্যে দেখা দিচ্ছে ।একিরণে আপনাকে আরও বেশি করে ব্লগে বা অন্য যেকোন কাজে ব্যস্ত থাকতে অনুরোধ করবো।
পোস্ট সম্পর্কে-
হ্যাঁ আপু কাঠের পালঙ্কের বিষয়টা একেবারে দ্বিতীয় খন্ডে নিয়ে গেছি। মূলত এই বিষয়কে ভিত্তি করে উপন্যাসের অবতারণা। আপনাদেরকে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে অনুরোধ করবো। মামু চাচা সম্পর্কে আপনার খটকাটা একেবারে অমূলক নয়। বহুদিন ধরে চলে আসা সম্প্রীতি মাঝেমাঝে কলুষিত হয়েছে। হিংসার আগুনে রক্তাক্ত করেছে একে অপরকে। স্বাধীনতার প্রাক্কালে যা ছিল।পরবর্তীকালে সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ আরো প্রসারিত হয়ে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভারতে বিজেপির উত্থানসেই সম্প্রদায়ের বিষবৃক্ষ কে পরিপূর্ণতা দিয়েছে হিংসাকে ষোল কলা পূর্ণ করেছে। সংখ্যায় নগন্য হলেও তবুও তার মধ্যে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল আছে থাকবে। সমগ্র উপন্যাসের সেই বিষয়গুলো পরবর্তীতে আসবে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
১৬| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: চোখ বুলাচ্ছি। একটু একটু করে কাহিনি মনে পড়ছে।
২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইতো! ভাই ঠিকই ছন্দে ফিরেছে। আমিও নিশ্চিন্ত হলাম। আশাকরি এবার বাকি অংশগুলোও মনে পড়বে।
শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
১৭| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার সাবলীল লেখা ;
খুব ভালো লাগছে এই সিরিজ।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
সিরিজ ভালো লাগছে জেনে খুশি হলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
১৮| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৯
আরোগ্য বলেছেন: ইচ্ছে ছিল নতুন পর্ব আসার আগেই পুরনোগুলো শেষ করবো কিন্তু মনোযোগ ঠিকমত দিতে পারিনা বিধায় ব্লগে আসা হচ্ছে না। আজকে এই পর্বটি শেষ করলাম। এই শহুরে জরাজীর্ণ জীবন ছেড়ে কিছুদিনের জন্য গ্রামের হাওয়া পেতে মন চায়।
আশা করি বাসায় ঝামেলা কিছুটা কমেছে তোমার। সব দিক থেকে সতর্ক থাকো।
০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তোমার শারীরিক অবস্থার কথা আগে থেকেই যেহেতু কিছুটা জানতাম তবুও তেমন উন্নতি না হওয়াতে শুনে খুবই বিষণ্ন হলাম।দেখো শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়ে কিছুদিন থেকে, মানসিক ও শারীরিক অবস্থার যদি উন্নতি হয় তাহলে সেটা হবে আমাদের কাছে খুবই কাঙ্খিত সুখকর ঘটনা।
আমার বাসা বদলের ঝামেলা কমেনি।এই মাসের লাস্টের দিকে বাসা বদলের প্লান রেখেছিলাম।কিন্তু আজ বিকেল পাঁচটা থেকে নতুন করে আবার 14 দিনের জন্য লকডাউন ঘোষিত সব পরিকল্পনা যেন ভেস্তে যেতে চলেছে। জানিনা না এবার প্রশাসন কতটা সদর্থক ভাবে লকডাউনকে বাস্তবায়িত করেন আর তার উপর ডিপেন্ড করছে আমার পরবর্তী কর্মসূচি।
শুভেচ্ছা জানবে।
১৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩০
ওমেরা বলেছেন: ভূমিকা তো পড়াই ছিল এখন গল্প শুরু করলাম । আপনার গল্প গুলোতে ছোটখাটো বিষয়গুলোকেও এমন ভাবে তুলে ধরেন একেবারে বাস্তবতার ছোঁয়া পাওয়া যায়। ভালো লাগা গল্প প্রতিদিন একটা করে পর্ব পড়ে ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ জানবেন। গল্পে ছোটখাটো বিষয়গুলি আপনার যে ভালোলাগে তা জেনে আপ্লুত হলাম। বুঝতেই পারছি ব্যস্ত আছেন। এতটা ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে গল্প পড়বেন ও মন্তব্য করবেন শুনে আশায় রইলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২০| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৯
আনমোনা বলেছেন: বাব্বা, মারাত্বক ছেলে। বড় হয়ে কি শুধরাবে?
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। গল্পটা যখন বলছে তখন কিন্তু সে রীতিমত একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ।আমরা প্রায়ই দেখি অনেকেরই শৈশব ও যৌবনের অপূর্ণতা পূর্ণাঙ্গ বয়সে পরিপূর্ণতা লাভ করে। পরবর্তী পর্বগুলোতে আশাকরি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
২১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৩
সোহানী বলেছেন: আগের পর্বগুলো দেখি পড়া আছে। তারপরও আবারো পড়লাম।
আপনি অনেক ডিটেইলস লিখেন যা ভালো লাগে। বা বলা যায় সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়।
ভালো লাগলো।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। প্রতিমন্তব্যটা যখন করছি তখন ভারতীয় টাইমে 11: 51। বাংলাদেশ টাইম আধ ঘন্টা বেশি। আর আপনার স্থানীয় সময় আমার জানা নেই। বুঝতেই পারছে মাঝে আপনার উপর দিয়ে প্রবল ঝড় বয়ে গেছে।জীবন জীবিকার সন্ধানে বেস্ট সেলার হতে চলেছে জেনে আপ্লুত হয়েছিলাম। সে কথা ইতিপূর্বে জানিয়েছি। জীবনের প্রথম বই এ এক অন্য অনুভূতি।
পোস্ট প্রসঙ্গে- ডিটেইলস ও ইতিপূর্বে পড়া লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অজানা পথ চলতে চলতে লাথি মেরে ধুলোর ঢিবি ভেঙে দেয়ার এ বালকসুলভ চপলতা খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এ বর্ণনাটির মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি।
মা.হাসান এর তীক্ষ্ণ অনুসন্ধানী প্রশ্নের ধারা এবং আপনার জবাব দেয়ার স্টাইল, দুটোই ভাল লেগেছে।
এর আগের পোস্টে একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম। দেরিতে পড়ছি বলে হয়তো আপনি জবাব দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
পোস্টে অষ্টাদশতম ভাল লাগা + +।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "অজানা পথ চলতে চলতে লাথি মেরে ধুলোর ঢিবি ভেঙে দেয়ার এ বালকসুলভ চপলতা খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এ বর্ণনাটির মাঝে আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি।"-গল্পের বিশেষ অংশ তুলে ধরে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন জেনে চমৎকৃত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
"মা.হাসান এর তীক্ষ্ণ অনুসন্ধানী প্রশ্নের ধারা এবং আপনার জবাব দেয়ার স্টাইল, দুটোই ভাল লেগেছে।"-মা.হাসান ভাইয়ের তীক্ষ্ণ অনুসন্ধানী ও আমার উত্তর ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আগের পোস্টে আপনার কমেন্টের উত্তর দিয়েছি। আশাকরি উত্তরটি ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছেন।
"দেরিতে পড়ছি বলে হয়তো আপনি জবাব দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।"-না স্যার বিষয়টি একেবারেই তা নয়। বরং আপনার আগমন আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় অনুপ্রেরণার বটে।যে কোনো পোস্টে আপনার আগমন হলে তবেই সেটা সার্থক বলে মনে করি। উত্তর দিতে দেরী হবার কারণ একান্তই ব্যক্তিগত।যা ইতিপূর্বে আপনাকে জানিয়েছি। কাজেই প্লিজ এমন করে ভাববেন না। আগামীতেও এভাবে আপনার আগমনের অপেক্ষায় থাকবো।
পোস্টটি অষ্টাদশ লাইক ও ডাবল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১২:২৫
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: মুই কিন্তু সাতক্ষীরার বাসিন্দা!!