নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (পর্ব-৭/প্রথম খন্ডের তৃতীয় পর্ব)
ছোট থেকেই দাদির কাছ থেকে শুনে আসছি দাদা একজন প্রকৃত শিল্পী।কাঠ দিয়ে সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করাই দাদার প্রধান কাজ। হালদার বাবুদের অন্যান্য ব্যবসা থাকলেও প্রতিপত্তির মূলেই নাকি কাঠের ব্যবসা আর যার প্রধান কান্ডারী হলো আমার দাদা। দাদার হাতের বাহারি জিনিসের গুণেই শহরের এই দোকানের এত সুনাম। যদিও এসব কথার সত্যতা যাচাই করার বা দাদার হাতের জিনিসকে চাক্ষুষ করার সুযোগ ইতিপূর্বে আমার ঘটেনি।ধরেই নিতাম দাদার প্রসঙ্গ উঠলে দাদি গদগদ ভাবে স্বামীকে নিয়ে একটু বেশি বেশি করেই গল্প করতো। তখন না বুঝলেও পরে বুঝেছি ওটাই ছিল যেন দাদার প্রতি দাদির ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।তার মননে সারাক্ষণ যে দাদাকে বয়ে বেড়ায় তা বোঝার মতো বয়স বা উপলব্ধি তখন কি আর আমার ছিল? কিন্তু কথা বলতে বলতে দাদির চোখ-মুখের চেহারাটা যে বদলে যেত সেটা পরিষ্কার বুঝতাম। যার সবটা আমার কানের মধ্যে না ঢুকলেও শ্রোতা হিসেবে আমিই ছিলাম সেসময় দাদির সবচেয়ে কাছের মানুষ। দাদি যেমন আমার সঙ্গে গল্প করে শান্তি পেত আমিও তেমনি কিছুটা পরিতোষ প্রাপ্তির আশায় মনে মনে দাদিকে ঘুষ দিতাম। মন দিয়ে সবটা না শুনলেও বাধ্য শ্রোতার মতো মাথা নেড়ে সম্মতি জানাতাম। লক্ষ্য ছিল যেন তেন প্রকারে শহরে কাজে পাঠাতে দাদি যেন কোন বাঁধা হয়ে না দাঁড়ায় বা পারলে আমার হয়ে কিছুটা যেন ওকালতিও করে।
হালদার বাবুদের দালানকোঠা থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটালম্বা টিনের চালের কাঠের বাড়িতে দাদা আমাকে নিয়ে এলো। ভিতরে ঢুকতে বুঝলাম জায়গায় জায়গায় একটু অন্ধকার হলেও বড় বড় জানালা গুলোর আশেপাশে পর্যাপ্ত আলো ঘরের অন্ধকারকে অনেকটা আলোকিত করে তুলেছে। সঙ্গে একটা আঁশটে গন্ধের সঙ্গে পরিচিত হলাম। প্রথমে ঝটকা খেলেও বুঝলাম বিভিন্ন রকমের কাঠের গন্ধ মিলিতভাবে ঘরটাকেই আশপাশ থেকে কিছুটা স্বতন্ত্রতা দান করেছে। কিছুটা দম বন্ধ হওয়া গন্ধ বৈকি। ঘরের গন্ধমাদনকে সামলে নিয়ে দু'পা সামনে এগিয়ে যেতেই চোখ পড়লো বাহারি সব জিনিসের উপর। আমি বিস্ময়াভিভূত হলাম এত সুন্দর সুন্দর জিনিস মানুষ করে কি করে ভেবে। আজ সবার আগে দাদির কথাগুলো যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো।কাঠের তৈরি বিভিন্ন রকম জিনিস চারিদিকে ডায় করে সাজানো। এতদিনে শুনে আসা নানান কথা, কল্পনা আজ আমার চোখকে জুড়িয়ে দিল। আমি অবাক হয়ে সেগুলোকে প্রত্যক্ষ করতে লাগলাম।
পাশাপাশি আরও একটি বিষয় মনের মধ্যে উঁকি দিল। এতদিন গ্রামে মাটির বাড়িতে থেকে এসেছি।আজ প্রথম কাঠের বাড়িতে থাকবার সুযোগ সামনে আসায় বেশ শিহরিত হতে লাগলাম। এমন সময় দাদার ডাকে আমার ভাবনায় ছেদ পড়লো।
-কিরে দাদা শুধু হাঁ করে তাকিয়ে থাকবি? খাবি দাবি না? ওসব দেখার অফুরন্ত সময় পাবি। চল এখন হাত-মুখ ধুয়ে আসি।
উল্লেখ্য দাদির ন্যাওটা ছিলাম বলে আর ভাই বোনদের নাম ধরে ডাকলেও দাদা আমাকে দাদা বলেই ডাকত।
দাদার ডাকে আমি সম্বিত ফিরে পেলাম।সত্যিই তখন বেশ খিদে পেয়েছিল। কিন্তু চোখের সামনে এত এত নতুন জিনিস দেখার আনন্দ সাময়িক সে সব কিছুকে ভুলিয়ে দিল।
- হ্যাঁ যাই বলে, চোখ তুলে তাকাতেই দেখি দূরে বাপজান দাঁড়িয়ে আছে। হাসিহাসিমুখে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। চোখাচোখি হতেই আমি সলজ্জে চোখ নামিয়ে অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়াই। প্রায় দু সপ্তাহ পরে বাপের সঙ্গে দেখা হলো।বাপজান এমনিতে কম কথা বলে। আর তাছাড়া আমি বাড়িতে দুষ্টুমি করায় বাপ বাড়িতে এলে সচরাচর সামনে না এসে একটু পালিয়ে পালিয়েই থাকতাম। আজ সামনাসামনি দেখা হওয়াতে আমিও ঠিক কি বলবো ভেবে উঠতে পারিনি।আড়চোখে দেখলাম বাপের পাশে আর একজন কালো মতো লোক দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দাদা পরিচয় করিয়ে দিলো ও হল নজরুল চাচা। আর কাছে দাঁড়ানো ফর্সা লোকটির দিকে ইশারা করে দেখালো,
- ও তোমার স্বপন কাকা।
বাপের সামনে এভাবে আরেকজনকে চাচা বা কাকা বলে পরিচয় করানোয় কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছিল। অস্বস্তির অবশ্য কারণও ছিল। ছোট থেকেই বাপকে সামনাসামনি বাপ বলে ডাকি নি। এখন ডাকতে কেমন যেন সংকোচ বোধ করি। সেখানে অপর কাউকে এমন নামে ডাকতে হবে ভেবেই এমন লজ্জার অনুভূতি তৈরি হয়েছিল।
কিছুটা অপ্রাসঙ্গিকভাবে দাদাকে জিজ্ঞেস করি,
- আচ্ছা দাদা,এটাই কি আমাদের থাকার ঘর?
দাদা উত্তর না দিয়ে পাল্টা আমাকেই জিজ্ঞাসা করে,
-কেন দাদা ঘরটা কি তোমার পছন্দ হচ্ছে না?
- না দাদা। অপছন্দের নয় বরং ঘরটা আমার খুব ভালো লেগেছে কিনা তাই জিজ্ঞেস করলাম।
আমার কথা শুনে সকলেই হো হো করে হেসে উঠলো।
স্বপন কাকা বলে উঠলো,
-দোকান ঘরে থাকতে আবার কারো ভালো লাগে নাকি?
আমি বুঝলাম না কেন স্বপন কাকা এ কথা বলছে।
এমনসময় দাদা ডাকতেই পিছুপিছু চললাম হাতমুখ ধুতে। ভেবেছিলাম আশপাশে কোন পুকুর টুকুরে বোধহয় যেতে হবে।বড় উঠোনের এক্কেবারে শেষে গিয়ে আমরা থমকে দাঁড়ালাম। সামনে বেশ কিছুটা উঁচু গোল করে বাঁধানো কি একটা যেন আছে। উঁকি দিয়ে দেখলাম নীচে কালো জল। দাদা বেশি ঝুঁকতে বারণ করলো। জানালো এর নাম কুয়া। নিচে পড়ে গেলে উঠে আসাটা খুব সহজ নয়। সেদিন প্রথম কুয়োর সঙ্গে পরিচিত হলাম।দাদা দড়ি দিয়ে বাঁধা একটা বালতি করে জল তুলে দিল। দুজনে একসঙ্গে হাতমুখ ধুয়ে ঘরে ফিরতেই দেখি স্বপন কাকা আমাদের জন্য ভাত বেড়ে বসে আছে।
সেদিন দাদা ফিরবে বলে স্বপন কাকা আগে থেকেই ডিমের ঝোল রান্না করে রেখেছিল।তখন আজকের মত এতো ব্যাপকহারে পোল্ট্রি মাংসের বা ডিমের প্রচলন হয়নি। মাঝে মাঝে যে ডিম রান্না হতো তা একান্তই দেশি হাঁস-মুরগির। কাজেই খাওয়া হতো ডেড়-দুমাস বাদে বাদে। তবে হাঁসের ডিম খেতে বেশি পছন্দ করতাম। কারণ তা আকারে অনেকটা বড় হয়। ভিতরে লাল রঙের কুসুমটি ছিল আমার খুবই পছন্দের। যদিও আজ খেতে বসে ডিমের আকার দেখে বুঝলাম যে এটি মুরগির ডিম, হাঁসের নয়। আমার মা বরাবরই খুব ভালো রান্না করে। বাড়ির সকলেই মায়ের রান্নার খুব প্রশংসা করে। কিন্তু সেদিন খেতে বসে বুঝলাম ভারী চমৎকার রান্না হয়েছে। মুখ ফসকে বলেও ফেলি মায়ের চেয়েও ভালো হয়েছে। আমার কথা শুনে দাদা খুব জোরে হেসে ওঠে। বাড়ি গিয়ে মাকে সব বলে দেবে বলাতে, আমি বেশ অস্বস্তিতে পড়ি। বাপের দিকে তাকিয়ে দেখি একটু দূরে দাঁড়িয়ে আমার দিকে মিটমিট করে চেয়ে হাসছে। বুঝতে পারি যে এখানে এসে মায়ের নামে বেফাঁস কথা বলাটা ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যে নানান গল্পগুজবে অনেকটা ভাত খেয়ে ফেলায় আমার অসহায় অবস্থা আরও বেড়ে যায়। খাওয়া শেষে আর কিছুতেই যেন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। মনে হলো কে যেন কোমরটাকে শক্ত করে বেঁধে রেখেছে। চোখ যেতেই বুঝতে পারি, প্যান্টের দড়ি কোমরে পুঁতে বসেছে। সকলেই প্যান্টের দড়িটি খুলে ফেলার পরামর্শ দিল। বেশ কিছু সময় আঙ্গুল গুজিয়ে চেষ্টা করে অবশেষে দড়িটা খুলতে সমর্থ হই। তারপরও অনেকক্ষণ বসে থাকি মেঝেতে। আরো অনেকক্ষণ পরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হই। এই অল্প সময়ের মধ্যে একটা বিষয় চোখে পড়েছে। স্বপন কাকা দাদার ন্যাওটা হলেও নজরুল চাচার সঙ্গে বাপের সম্পর্কটা খুবই ভালো। বাপ আর চাচা আমাদের আসার আগেই খাওয়া-দাওয়া সেরে নিয়েছিল। স্বপন কাকাই শুধু দাদার সঙ্গে খাবে বলে অপেক্ষা করছিল।
সেদিন আমার মুখে প্রশস্তি শুনে স্বপন কাকা খুব উৎফুল্ল হয়েছিল। কারণ রান্নাটা স্বপন কাকাই করেছিল। পরে একদিন বাড়ি থেকে মুরগি এনে খাওয়াবে বলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করেছিল। পরে হবে বা দেরিতে হবে-এমন কোনো কিছুকেই আমি সহ্য করতে পারিনা। স্বভাবতই এমন আশ্বাসবাণীতে আমার স্বপ্নের পারদ চড়চড় করে উপরে উঠে যায়। সরল মনে বলেও ফেলি,
-স্বপন কাকা পারলে তুমি আগামিকালই ব্যবস্থা করো না।
কাকা উত্তরে জানিয়েছিল,
-কিন্তু আমি বাড়িতে না গিয়ে আনবো কেমন করে মাহমুদ?
স্বপন কাকার বাড়িও আমাদের মত শহর থেকে অনেকটাই দূরে। ওর সমস্যাটা বোঝার মত সক্ষমতা তখন আমার তৈরি হয়নি। কিন্তু না পাওয়ার যাতনা যে আমাকে বিদ্ধ করে, তাকে অস্বীকার করি কেমন করে। এক্ষুনি তা না পারার অক্ষমতায় মুহূর্তে আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। আমি হতোদ্যম হয়ে পড়ি।
খাওয়া দাওয়ার পরে দোকানের মাঝ বরাবর বেশ কিছুটা জায়গা ফাঁকা করে বিছানা পেতে আমরা যে যার মতো একটু বিশ্রামে যাই। একটু পরেই আবার বিকেলের কাজ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। স্বপন কাকার কাছ থেকে জানতে পারি, আজ একটু দেরি হলেও অন্য দিনগুলোতে সকলে নাকি আরো আগে বিশ্রামে যায়। যাই হোক দোকানের শেষ প্রান্তে একটি বিছানা ফেলে বাপ ও নজরুল চাচা একসঙ্গে শুয়ে পড়ে। আর আমরা ঠিক আরেক প্রান্তে শুয়ে পড়ি। শোয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাদার নাক ডাকা শুরু হয়। বুঝতে পারি দাদা ঘুমের দেশের গহীনে ঢুকে গেছে। শুয়ে শুয়ে স্বপন কাকার সঙ্গে গল্প করতে আমার খুব ভাল লাগছিল। সেদিন থেকেই স্বপন কাকা আমার খুব বন্ধু হয়ে গেল। কাজের ফাঁকে আমরা দুজনে প্রায়ই নানা রকম খেলাও খেলতাম। স্বপন কাকা জানিয়েছিল গোটা শহরে এই দোকানের খুব সুনাম।প্রচুর পয়সাওয়ালা লোকজন আসেন এই দোকানে কাঠের নানারকম জিনিসপত্র ক্রয় করতে। বিয়ের সময় নাকি এখানে বেশ চাপ থাকে। নাওয়া-খাওয়ার সময় পর্যন্ত পাওয়া যায় না।। আর যার হাতের গুণে এই দোকানের এত সুনাম তিনি হচ্ছেন আমার দাদা। কথাটা শুনে আমার সত্যিই গর্বে বুক ভরে গেল। আনন্দে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। মনে হল যেন স্বপন কাকার মুখে দাদির কথারই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। দাদার প্রতি শ্রদ্ধা অত্যধিক বেড়ে গেল। মনে মনে সংকল্প করলাম জীবনে যেন দাদার মতো বড় শিল্পী হতে পারি।
সারাদিন দোকানঘর আর সন্ধ্যার পর মাঝখানের ফাঁকা জায়গা পরিস্কার করে সেটা হয়ে ওঠে চারজন মানুষের বসবাসের স্থান। তিনটি ভিন্ন পরিবারের মানুষ একই স্থানে দিনের পর দিন একে অপরের সাথী। ভাগ করে নিচ্ছে অন্যের খাবার দাবারের সঙ্গে সুখ-দুঃখও। এখন এই চার জনের সঙ্গে নতুন করে যোগ হলাম আমি। শুরুতেই পাঁচমিশালী কাঠের যে দুর্গন্ধ নাকের পর্দাকে কম্পিত করে গুরু মস্তিষ্কের অন্তঃস্থলে প্রবেশ করে অন্তরকে কুঠারাঘাত করেছিল। কিন্তু কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পরিবেশেটা যেন আমূল বদলে গেল।নিজেকে তৈরি করে ফেললাম স্থানটিতে থাকবার উপযোগী হিসেবে। বুঝতে পারলাম জায়গাটি সত্যিই যেন কতদিনের চেনা। মাথার উপর নির্মল বাতাস আর একে অপরের সঙ্গে খুনসুটি- এটাই যেন এইবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে আমারও রোজনামচা হতে চলেছে। আগেই বলেছি, জানলাগুলো বেশ বড় প্রশস্ত; পর্যাপ্ত আলো-বাতাস সারাক্ষণ ঘরে আসা-যাওয়া করে। দিনের আলো নিভতেই নতুন একরকম আলো ঘরকে আলোকিত করে তুললো। এমন উজ্জ্বল আলো আমি আগে কখনো দেখিনি। তার তীব্র আলো যেন ঠিকরে ঠিকরে বেরোচ্ছিল। দাদা জানালো, একে বিজলিবাতি বলে। গ্রামের বাড়িতে কেরোসিনের কুপি দেখে অভ্যস্ত। তার স্থানে আজ এই বিজলিবাতি হঠাৎ আমার ভালোলাগার অনুভূতিকে আবেশে ভরিয়ে তুললো। আমি মুগ্ধ হয়ে পরিবেশটিকে উপভোগ করতে লাগলাম। আরও একটু রাত হলে স্বপন কাকা রাতের খাবার ব্যবস্থা করে ফেললো। স্বপন কাকা জানালো,খুব গরম পড়লে নাকি রাতেও পৃথকভাবে রান্না করতে হয়, অন্যথায় দুপুরের খাবার গরম করে দুবেলা খাওয়ার চল।
রাতে খাওয়ার পর আমরা যে যার জায়গায় শুয়ে পড়ি। দুপুরে ঘুমাইনি শুনে দাদা আমাকে পাশে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। আমার অন্য পাশে ছিল স্বপন কাকা। তবে এবার আর দুপুরে মত অতটা দূরে না শুয়ে একটু দূরেই বিছানা পেতে শুয়ে পড়ে বাপ ও নজরুল চাচা। আমরা যখন শুয়ে পড়ি তখনও বাইরে পথচলতি মানুষের কথাবার্তার শব্দ শুনতে পাই। পরে কখন ঘুমিয়ে যাই তা আমার খেয়াল ছিলনা। হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। চোখ মেলে দেখি শিওরে ও পায়ের দিকে সকলে গোল হয়ে উৎসুক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।আমি নাকি ঘুমের মধ্যে জোরে চিৎকার করে উঠেছি। প্রবল এক অস্বস্তি সেসময় আমাকে আরষ্ঠ করে ফেলে। সকলের কথা স্পষ্ট বুঝলেও আমি কথা বলার মত শক্তি হারিয়ে ফেলি। এই অসহায়ত্ব আমার অস্বস্তিকে আরো বাড়িয়ে তোলে। সারা গায়ে কেমন যেন ব্যথা ব্যথা অনুভব করি।তারমধ্যে ডানদিকের পাঁজরের নিচের ব্যথাটা মারাত্মক আকার ধারণ করে। সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন কি হয়েছে? অথচ শত চেষ্টাতেও মুখ দিয়ে একটা শব্দ বের করতে পারছিলাম না। অগত্যা ডান হাত দিয়ে কোনোক্রমে ইশারা করে বুকের যন্ত্রণাকে নির্দেশ করি। তবে মুখ দিয়ে শব্দ বার হবেই বা কেমন করে? ঘুমের মধ্যে গহর এসে দাঁত মুখ চেপে যেভাবে আমাকে সজোরে মাথা দিয়ে ঢুঁসো মারলো সেকথা অন্যকে শেয়ার করি কেমনে। যদিও আমার মুখ দিয়ে কথা বার করার জন্য সকলে তখন মরিয়া হয়ে উঠেছে।এক অজানা আতঙ্ক আমাকে তখন রীতিমত গ্রাস করে ফেলেছে। শব্দ বলতে কেবল অনুচ্চারিত ফুঁপিয়ে কান্না ছাড়া আর কিছুই মুখ দিয়ে বের হচ্ছিল না।
মাঝরাতে এমন চিৎকার-চেঁচামেচিতে বাবুদেরও ঘুম ভেঙে গেল। হালদার বাবুর সঙ্গে অচেনা আরও কয়েকটি মুখ সামনে এসে দাঁড়ালো। সকলের কথা কানে আসছিল, ঘুমের মধ্যে ভয়ঙ্কর কোনো স্বপ্ন দেখেছি বলেই নাকি এমন চিৎকার করে উঠেছি,আর সেই আতঙ্কেই নাকি মুখ দিয়ে শব্দ বার করতে পাচ্ছিনা। আমি দুপাশে চোখ ঘুরিয়ে লোকগুলোকে একবার দেখে নিলাম। না যাকে খুঁজছি সে মুখটা এখানে নেই। মনে মনে নতুন দাদিকে খুঁজতে থাকি। বলতে বলতে দূরে দাদির গলার স্বর শুনতে পাই। ক্রমশ সে স্বর কাছেই চলে আসে। নতুন দাদির উপস্থিতিতে মনের মধ্যে আশার আলো চিকচিক করে ওঠে। ভিতর ভিতর একটা বাড়তি শক্তিও অর্জন করি। দাদি শান্তভাবে আদর করে কি হয়েছে জানতে চাইলেও মুখ দিয়ে কিছু বলতে পারিনি। তবে কথা বলতে না পারলেও আমার ফোঁপানো বন্ধ হয়।দাদি পাশে দাঁড়ানো স্বামীর উদ্দেশ্যে ডাক্তার দেখানোর কথা বললে হালদার বাবু মুখে কিছু না বললেও মাথা নেড়ে সম্মতি জানান। খানিক বাদে পরিচিত ডাক্তারবাবুকে দেখানোর জন্য উনি বাপকে নির্দেশও দেন। সেইমত পরদিন সকালে বাপজানের সঙ্গে পরিচিত ডাক্তারের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া পর্ব-৫
২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রথম মন্তব্যে আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম প্রিয় সাজ্জাদ ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্যে ও লাইকে অনুপ্রাণিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০২
ইসিয়াক বলেছেন:
চমৎকার জমে উঠেছে গল্প।
#গল্পের মধ্যে পোলট্রি মুরগীর প্রসঙ্গ উল্লেখ না করাই ভালো।
নিরন্তর শুভকামনা।
২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! এমন করে বললে যে ফুটবল ম্যাচের কথা মনে পড়ে।
আপনার স্পেশাল নোটটি মাথায় রাখবো। আগামীতে অবশ্যই মনে রাখবো।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৩| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১১
মা.হাসান বলেছেন: ডিমের কুসুম এখনকার দিনে লাল হওয়া বিরল, ফ্যাকাশে রঙের দেখলে খাবার আগ্রহ অনেক খানি চলে যায়।
আমার একাধিক আত্মীয়ের কাঠের ফার্নিচারের দোকান ছিলো। শ্রমিক শ্রেনীর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা এই রকমই দেখেছি। দু বাংলায় সময়ের সাথে খুব বদলায় নি। তবে এখন যন্ত্রের ব্যবহার অনেক বেড়েছে।
গ্রাম ত্যাগের আগে যে অপকর্ম করে এসেছে মাহমুদ মুন্সি তার জেরেই এই দুঃস্বপ্ন? কৌতুহল রয়ে গেলো। প্রথম খন্ডের তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
(বর্ননা অত্যন্ত সাবলীল। আপনি মনিরা আপাকে কিছু সাবলীলতা ধার দিতে পারেন)
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার কথার মান্যতা ধরে বলি, দু'রকম ডিমের কুসুমই আমি গ্রামে থাকাকালীন দেখেছি। একদিকে লাল যেমন আছে অপরদিকে একটু গাঢ় হলুদেও পেয়েছি। কেন এমন রং হয় বলতে পারবোনা।
দ্বিতীয়তঃ অতীত জীবন সম্পর্কে দুই বাংলার কাঠমিস্ত্রিদের কোন পার্থক্য নেই। অপর্যাপ্ত বা অপরিসর স্থানে থাকা খাওয়া করে জীবন কাটানো গরীব মানুষগুলোর যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ব্যবহার অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ম্যাক্সিমাম কাজই যন্ত্র দিয়ে সম্পন্ন হয়।
আর দুঃস্বপ্ন সম্পর্কে আপনার অনুমান যথার্থই। পোস্টেই সে কথা উল্লেখ করা আছে।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
মনিরা আপু সম্পর্কে আপনার পরামর্শটি মানতে পারলাম না।আপু খুব সুন্দর সুন্দর কথামালা তৈরি করেন। যদিও কবিতায় সর্বত্র সাবলীলতার প্রয়োজন হয় না।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৪| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে অনুরোধ করেছিলাম ধারাবাহিক পোষ্ট দেরীতে দিলে আমার সমস্যা হয়। আগে কি পড়েছি ভুলে যাই। তাই এখন থেকে দ্রুত দিবেন। এখানে মন্তব্য করার আগে আগের পোষ্ট গুলোতে একটু চোখ বুলিয়ে আসি।
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি ভাই, দেরিতে পোস্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত। ভাইকে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে কষ্ট দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। চেষ্টা করব আগামীতে সপ্তাহে অন্তত একটি করে পোস্ট দেওয়ার।আজ প্রায় প্রতিটি পোস্টে ভাইয়ের আগমনের পদচারণায় আমি আনন্দিত এবং লজ্জিতও। আশাকরি আগামীতে এমন সমস্যা ব্লগ কাটিয়ে উঠতে পারবে।
শুভেচ্ছা অফুরান....
৫| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দেরীতে হলেও সুদে আসলে কড়ায় গন্ডায়
পুষিয়ে দিলেন দাদা। বাক্যরহিত!! অসাধারণ
এক গল্প ফেঁদেছেন দাদা। চলতে থাকুক ফল্গু
ধারার মতো সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়ার গাড়ি!!
২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ভাই বড্ড দেরী হয়ে গেছে। আপনার ভাতিজাকে কথা দিয়েছি পরবর্তী পোস্টগুলো সপ্তাহে দেওয়ার চেষ্টা করব।
এবারের পোস্ট ভাল লেগেছে বা কড়ায় গণ্ডায় পুষিয়ে দিয়েছি- এমন বিশেষণে আপ্লুত হলাম
ধন্যবাদ আপনাকে।
আগামীতেও আপনার এমন আন্তরিক সহচার্য আমার একমাত্র কাম্য।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় নুরু ভাইকে
৬| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাক, অবশেষে থিতু হতে চলেছে ছোট্ট হিরো।
মুগ্ধ চোখের বর্ণনা আর অনুভব গুলো বেশ...খেয়ে পেট ফুটে রশি চেপে বসা পড়ে তো হাসতে হাসতে শেষ!
আহা! কত সরল ছিল যাপিত জীবন।
আবার মিস করেছেন প্রিয় দাদা’
আগের পর্বের লিংক দেন নি!
চলুক সিরিজ
+++
২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রভাত শ্রদ্ধা কবি ভাই,
বোধহয় এত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে আসা যাবেনা যে ছোট্ট হিরো এত সহজেই থিতু হতে পেরেছে। আরও একটু অপেক্ষা করতেই হবে এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে। খেয়ে পেট ফুটে রশি চেপে পড়ার ঘটনায় আপনি হাসতে পেরেছেন জেনে আনন্দ পেলাম। আমার কাছে হাসানোর বিষয়টা অত্যন্ত কঠিন। সাথে সাথে যাপিত জীবনের বর্ণনা ভালো লেগেছে জেনে আবারও খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিটি পোস্টে আপনার জন্য আমার কিছু করণীয় থাকে। আগামীতেও এরকম আরও কিছু থাকবে। হেহেহে...
আপনি ধরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত যে সেটা আমি ঠিক করতে পারিনা। আপনি বলার পরেই লিঙ্কটি দিয়েছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
৭| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: গল্পের নায়কের হাসে ডিম পছন্দ। আমার ঠিক উলটা। হাসের ডিমের গন্ধই সহ্য করতে পারি না।
২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। গল্পের ছোট্ট হিরোর সঙ্গে আপনার পছন্দের বৈষম্য দেখে আনন্দ পেলাম। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ প্রত্যেকেরই থাকাটা স্বাভাবিক। আমার অবশ্য ডিমের চেয়ে মাছ অনেক বেশি প্রিয়।
তবে সহমত আপনার সঙ্গে যে হাঁসের ডিমের একটা আলাদা গন্ধ আছে সেটা অবশ্য সবাই সহ্য করতে পারেনা।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
৮| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।+
২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৯| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ । ভালো লাগলো।
২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
১০| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: দাদীর কথা বিশ্বাস করতে হয়। তারা যা বলেন সঠিক কথাই বলেন। তারা ফাউ কথা বলেন না। তারা আগের যুগের মানুষ। আগের যুগের মানুষ হলো খাটি মানুষ। (এখানে একটা কথা বলতে চাই- আমার নানা নানী ভারতের আসামে ব্যবসা করতেন। পিতল এর নানান রকম থালা বাসন, মূর্তি ইত্যাদি।)
নজরুল আর স্বপন কাকার সাথে আপনার আগে কখনও দেখা হয় নি?
ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের এলাকার প্রতিটা বাড়িতেই কুয়া ছিলো। ছোট বেলা থেকে আজও কুয়া আমার কাছে দারুন রহস্যময় ব্যাপার।
এখন মনে হয় ঢাকা শহরে কোনো কুয়া নেই। আচ্ছা, দাদা কলকাতায় কি কোনো কুয়া আছে?
গ্রামের কু্পির বদলে বিজলি বাতি। দারুন ।
ঘুমের মধ্যে শিশুরা অনেক সময় ভয় পায়।
লেখা জমতে শুরু করেছে।
২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাম্প্রতিককালে ভাইয়ের এত বড় মন্তব্য অন্য কোথাও দেখিনি। সে দিক দিয়ে নিজেকে অত্যন্ত কৃতার্থ বোধ করছি। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বাংলায় জাতিই হলো একমাত্র জাতি যাদেরকে মাঝখান দিয়ে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। যে দেশ ভাগ লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহতে পরিণত করেছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কটু বুদ্ধিতে সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ যদি মাথাচাড়া না দিত তাহলে এত হিংসা মারামারি হানাহানি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতো না বা গোটা ভারতবর্ষের মানচিত্রটি হয়তো অন্যরকম হয়ে যেত। আজও ভারতের রাজনীতিতে সেই সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ মহীরুহ পরিণত হয়েছে। যার কুফল লাখো লাখো মানুষ ভোগ করছে।
ভাইয়ের নানা নানীর ব্যবসা আসামে ছিল জেনে খুশি হয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক যে এগুলো এখন কেবল ইতিহাসে পরিণত হয়েছে।
না না বক্তার সঙ্গে উল্লেখিত দুজন ব্যক্তির ইতিপূর্বে কখনো সাক্ষাৎ হয়নি।আর কুয়োটা সম্পন্ন মানুষের বাড়িতে থাকতো। একটা সময় যেন আভিজাত্যের প্রতীক ছিল নিজস্ব কুয়া থাকাটা।
কলকাতাতে এই মুহূর্তে কুয়া থাকা প্রসঙ্গে আমার কোন ধারণা নেই। তবে মনে হয় না যে এখনো কোনো কুয়া অবশিষ্ট আছে। কিছুদিন আগে শোভাবাজার রাজবাড়ি পরিদর্শনে গেছিলাম। প্রতাপশালী রাধাকান্ত দেবের বীরবিক্রমের কথা কে না জানে। কিন্তু গিয়ে হতাশ হলাম গোটা বাড়িটা শুন্য ছাদের উপর দাঁড়িয়ে আছে। সাদা চুনকাম করা ঠিকই কিন্তু কোন ছাদ নেই। কেবলমাত্র মঞ্চটুকুই অবশিষ্ট আছে যেখানে শিকাগো ভাষণের পর দেশে ফিরলে বিবেকানন্দকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। আর কুয়ো উত্তর কলকাতায় যতটা ঘুরেছি চোখে পড়েনি। আর দক্ষিণ কলকাতা যেহেতু নতুন কুয়া থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
তবে মফস্বলে এখনো কুয়া আছে। যদিও ব্যবহার আর আগের মতো হয়না বা প্রয়োজন নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকার পৌরসভাই জলসর্বরাহের ব্যবস্থা করে।
আবারও ধন্যবাদ ভাইকে।
শুভকামনা রইলো।
১১| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৫
শের শায়রী বলেছেন: কিছু ছোট ছোট ডিটেইলস "প্যান্টের রশি খুলে আলগা করা" "দড়ি বাধা বালতিতে করে জল তোলা" ডিটেইলস গুলো ভালো লাগছে প্রিয় ভাই, আবার নীচের দিক থেকে তিন নাম্বার লাইন এসে ধাক্কা খেয়েছি " একটা বাড়তি বলও ভিতর ভিতর অর্জন করি" এখানে যদি আপনি লাইনটা একটু ভিন্ন ভাবে দিতেন তবে আমার কাছে মনে হয় গল্পের সাথে আরো সামঞ্জস্য আসত যেমন "বলও" শব্দটা একটু বেখাপ্পা ঠেকছে, হতে পারে সেটা আমার বুঝার অক্ষমতা। তবে প্রিয় ভাইর লেখায় অবশ্যই সমালোচনা করারও অধিকার আমি রাখি, আর যদি ভুল বলি মার্জনা করবেন।
পরের পর্বের প্রতীক্ষায় থাকলাম।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাইয়ের এমন আন্তরিক সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ জানবেন।
গল্পের বিশেষ অংশগুলি কোটেশন করে উল্লেখ করায় আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার উল্লেখিত 'বল' সম্পর্কে বিশেষ বাক্যটা একটু সংশোধন করেছি। কাইন্ডলি একবার চোখ বুলিয়ে দেখে যাবেন। আগামীতেও এমন পরামর্শের অপেক্ষায় থাকবো। আর সমালোচনার অধিকার!!! এমন করে বলে লজ্জা দিবেন না। লেখা লিখছি মানে, আমরা বিচারপ্রার্থী। একজন পাঠক হল লেখার সত্যিকারের বিচারক। পাঠকের দৃষ্টিতে ভুলত্রুটি সংশোধন করে এগিয়ে চলাই একজন লেখকের সর্বোত্তম চাওয়া-পাওয়া।
পরের সপ্তাহে পরবর্তী পর্বের পোস্ট দেওয়ার প্ল্যান আছে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১২| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:১৭
জাফরুল মবীন বলেছেন: নাইটমেয়ার শুরু হয়েছে।আশা করি গহর ইফেক্ট আরও বিস্তৃত হবে কাহিনীতে।
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম ভাই ।
সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন আর লেখা চলুক সাবলীলতায়।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
আপনার সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম মবীন ভাই। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন নাইটমেয়ার শুরু হয়েছে বৈকি। পরবর্তী পর্বগুলোতে আশাকরি তার ছাপ পাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভাল লাগাতে আনন্দ পেলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপনিও সাবধানে থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
১৩| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পদাতিক চৌধুরি ভাই, আপনার পোস্টে দশম লাইক আপনার পোস্টের যোগ্যতায়। মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাইয়ের পোস্টে একটি মন্তব্য করেছেন - এই মন্তব্যটি আপনার ব্লগিং লাইফের বেস্ট মন্তব্য। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে। সাজ্জাদ ভাইয়ের পোস্টে আমার কমেন্ট ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে দশম লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৪| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই মসজিদ টি দেখেছেন ?
২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গোফরান ভাই,
আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য সুস্বাগতম আপনাকে। বারো ভূঁইয়াদের দমন করতে মুঘল সেনাপতি মানসিংহ বাহিনী নিয়ে বাংলাদেশ আক্রমণ কালে পথিমধ্যে বিভিন্নস্থানে সেনাদের ধর্ম পালন করতে একাধিক পুষ্করিণী ও মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদ গুলো দেখতে অনেকটা একইরকম। কোনোটা আকারে একটু ছোট বা অপেক্ষাকৃত বড় কিন্তু মসজিদ গুলো দেখতে মূলত একইরকম। এমনই মসজিদের একটি নমুনা হলো বসিরহাটের শাহী মসজিদ।
এবার আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, ছবিতে উল্লেখিত মসজিদটি কোথায়?
শুভকামনা জানবেন।
১৫| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৯
রাকু হাসান বলেছেন:
পড়লাম।জমে উঠেছে।সাথেই আছি। কেমন আছ?
২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
না। এত তাড়াতাড়ি জমে ওঠার মত পূর্বাভাস দিতে পারছিনা। আরো একটু অপেক্ষা করতেই হবে...
উপরওয়ালার ইচ্ছায় ভালো আছি। আশাকরি তোমরা সকলেই ভালো আছো।
পোস্টে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
১৬| ২৫ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
পারভীন শীলা বলেছেন: অসাধারন । ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম ।
২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য সুস্বাগতম আপু আপনাকে।
পোস্টটি অসাধারন মনে হবার জন্য আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৭| ২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
কাঠের কারুকাজ সজ্জিত আসবাবপত্রের কদর
বহুকাল আগের দিনগুলো যেমন ছিল ঠিক
তেমনই পেছনে নিয়ে গেলেন আপনি আমাকে।
দাদার প্রতি দাদির ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ চমৎকার
লেগেছে । এত আয়েশী করে পেট পুজো ডিম
দিয়ে দারুন এবং বেশ লোভনীয় খাবার বটে ।
মামুকে সেই ছোটবেলা থেকেই পাপবোধ বয়েবেড়াতে
হচ্ছে দেখি বিষয়টি সামনে কোন দিকে এগোয়।
দাদা, অনেক ভালো থাকুন পরিবারের সকলকে
নিয়ে এই দোয়া করি । আরেকটি কথা আশাকরি
রাখছি মরীচিকার মত এই সিরিজ টা জনপ্রিয়তা
পাবে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
অবশেষে প্রিয় ছোট বোনের সুন্দর কমেন্টটা পেয়ে আনন্দ পেলাম।
ধন্যবাদ বোনকে।
"কাঠের কারুকাজ সজ্জিত আসবাবপত্রের কদর
বহুকাল আগের দিনগুলো যেমন ছিল ঠিক
তেমনি পেছনে নিয়ে গেলেন আপনি আমাকে।"
বাস্তবেই পুরানো আমলের কোন কিছু আমার খুবই প্রিয়।
একটা অদ্ভুত আকর্ষণ আমি অনুভব করি।
আবারও ধন্যবাদ বোনের এমন সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কমেন্টে মন্তব্যের বিশেষ অংশদুটি উদ্ধৃত করায় আনন্দ পেলাম।
আবারও ধন্যবাদ বোনকে।
সবশেষে বোনের এমন আন্তরিক শুভাশীষে প্রীত হলাম।
বোন ও বোনের পরিবারকেও দাদার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
১৮| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ক্ষণিকের আনন্দের অপরাধ বোধ দেখি ভালোই কাবু করে ফেলেছে ।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
হ্যাঁ আপু ঠিকই ধরেছেন।
তবে রেশটি দীর্ঘতর। আগামীতে তার পরিচয় পাবেন।
দুএকদিনের মধ্যেই পরবর্তী পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো আপু।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৯| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৭
জেন রসি বলেছেন: পর্ব ৬ ই আমার প্রথম পড়া পর্ব। পড়ে মনে হচ্ছে অতীত ভ্রমন করে আসাটা বেশ উপভোগ্যই হবে।
২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য সু-স্বাগতম আপনাকে। যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনাকে একটু অতীত ভ্রমণ করার অনুরোধ করবো স্যার।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২০| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: কি করে আপনি এত ডিটেইল বর্ণনা দেন এটা আমার কাছে এক রহস্য!! মনে হয় আপনি যেন কাহিনীর কোন এক চরিত্র, দুচোখে তা দেখছেন হুবহু তার বর্ণনা দিচ্ছেন!!
রহস্যের জাল আপনি আরো বিস্তার করছেন। গহর কিভাবে ফিরে আসবে জানিনা, কিন্তু মাহমুদের জীবনে বড় একটা পরিবর্তন এনে দেবে মনে হয়। অপেক্ষায় থাকলাম দেখার জন্য।
সুস্থ থাকুন, শুভকামনা রইল।
২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশা করি ভাল আছেন আপু। গতকাল সন্ধ্যা থেকে ব্লগের ভার্চুয়াল আড্ডার কারণে ব্লগে লগইন করার সময় হয়ে ওঠেনি।
জ্বি আপু লেখাটা হয়তো আপনার ভালো লেগেছে। তবে এমন করে বললে যে লজ্জায় পড়ে যাই। আপনার লেখা বা অনুবাদ খুব ভালো লাগে। কাজেই আপনার এই সারল্যে আমি আনন্দিত, অভিভূত কিছুটা লজ্জিতও। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
"রহস্যের জাল আপনি আরো বিস্তার করেছেন। গহর কিভাবে ফিরে আসবে জানিনা, কিন্তু মাহমুদের জীবনে বড় একটা পরিবর্তন এনে দেবে মনে হয়।"
হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন। মাহমুদের জীবনে একটা পরিবর্তন আসতে চলেছে। পরবর্তী পর্বগুলোতে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
সাথে সাথে আপনার শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা।
২১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
পর্ব ৫ আর এই পর্ব পড়ে বুঝলুম এক অবুঝ গ্রাম্য বালকের জানার চোখ, মুগ্ধ হবার চোখ খুলতে শুরু করেছে।
দেখি, সে চোখ আর কি দেখে ....................
১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই। হ্যাঁ একদিন ঠিকই বলেছেন এখন বুঝলাম মোবারকের শহরের আগমনের ঘটনা পর্ব। কিন্তু তার মধ্যেই নিহিত আছে জানা অজানা অনেক বিষয়ের সঙ্গে তার জীবনের এক করুণ পরিণতি।অনিচ্ছাকৃত যে ঘটনা পরবর্তীকালে কতটা মর্মস্পর্শী হয়েছিল বা তার জীবনকে কতটা খাদের প্রান্ত পৌঁছে দিয়েছিল, তা জানতে আগামী পর্বগুলোতেও চোখ রাখার অনুরোধ করবো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫২
আরোগ্য বলেছেন: আজকের পোস্টটি আমার বেশ নস্টালজিক লেগেছে। প্রথমত আজ আমিও বেশি ভাত খেয়ে ফেলেছি। দ্বিতীয়ত, ছোট বেলায় ঘুমের মধ্যে বোবা ধরার ঘটনা মনে পড়ে গেল। তৃতীয়ত, ছোটবেলায় যখন বাসায় আসবাবপত্র বানান হতো তখন ছাদে বসে বসে মিস্ত্রিদের কাজ মনোযোগ দিয়ে দেখতাম।
অনেক রাত হয়েছে ভাইটি। এবার ঘুমাতে যাই। ভালো থাকো সবাই। আমার হাই আসছে।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,
বাড়ির কাজে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকার জন্য ব্লগেঢোকার সময় করতে পারছিনা। মাফ চাইছি দেরীতে উত্তর দেওয়ার জন্য।তোমার কমেন্ট পড়ে হেসেছি। বেশি বেশি খাওয়া দাওয়া কর আর সময়মতো ঘুমাও।
তোমার শৈশবের কথা জেনে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ তোমাকে।
আমাদের এখানে করোনা মারাক্তক আকার ধারণ করেছে। আগামীকাল থেকে আবার একসপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। চারদিকে করোনার পেশেন্ট। খুব আতঙ্কে আছি।
ভালো থেকো। ভাইয়ার শুভেচ্ছা জানবে।
২৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:০৮
আনমোনা বলেছেন: গহর আর পিছু ছাড়েনা। কাহিনীতে নিশ্চয়ই এই ভয়ংকর এই ট্রমার প্রভাব আছে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রত্যাশামতোই কথা রেখেছেন এবং কমেন্ট করে বলে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
মনদিয়ে পড়েছেন এবং চমৎকার অবজারভেশন করে গেছেন দেখে প্রীত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে। তবে ঘটনাটা তাকে কতটা পরিবর্তন ঘটিয়েছিল তার জানতে পরবর্তী পর্বগুলোতে চোখ রাখতে অনুরোধ করবো।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৭
সোহানী বলেছেন: বেশী খেলে কেউ নড়তে পারে না কিন্তু আপনার গল্প পড়ে সে দৃশ্য সামনা সামনি দেখলাম যেন।
যতই লিখা পড়ছি ততই মনে হচ্ছে এটি যেন লেখকের নিজের জীবনই পড়ছি।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"বেশী খেলে কেউ নড়তে পারে না কিন্তু আপনার গল্প পড়ে সে দৃশ্য সামনা সামনি দেখলাম যেন।" গল্প পড়ে আপনার এমন অনুভূতির পরিচয় পেয়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আর মন্তব্যের শেষাংশে সম্পর্কে আপনার ধারণা স্পষ্ট করি- স্বাধীনতার প্রাক্কালের ঘটনা তখন আমি জন্মগ্রহণ করি নি। কাজেই চোখ বুজিয়ে লেখক মহাশয়ের নিজের জীবনের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলবেন না।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হচ্ছে, গহর এর কল্পিত ছায়ামূর্তি মামুকে আরো অনেকদিন তাড়া করে নিয়ে বেড়াবে। গহর প্রসঙ্গে আমার যে কৌতুহল, সেটাই মা.হাসান বলেছেন এভাবেঃ
"গ্রাম ত্যাগের আগে যে অপকর্ম করে এসেছে মাহমুদ মুন্সি তার জেরেই এই দুঃস্বপ্ন? কৌতুহল রয়ে গেলো"।
গল্পে নিখুঁতভাবে কিছু ডিটেইলস তুলে ধরেছেন, যা ভাল লেগেছে। ৩৪৫তম পাঠক হিসেবে গল্পে ১৯তম ভাল লাগা + রেখে গেলাম।
আপনি ভাল আছেন তো?
২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "মনে হচ্ছে, গহর এর কল্পিত ছায়ামূর্তি মামুকে আরো অনেকদিন তাড়া করে নিয়ে বেড়াবে। গহর প্রসঙ্গে আমার যে কৌতুহল, সেটাই মা.হাসান বলেছেন এভাবেঃ
"গ্রাম ত্যাগের আগে যে অপকর্ম করে এসেছে মাহমুদ মুন্সি তার জেরেই এই দুঃস্বপ্ন? কৌতুহল রয়ে গেলো"।- এই পর্বের মূখ্য বিষয় ছিল মামু চাচাকে গহরের কল্পিত ছায়ামূর্তির তাড়া করা।সঙ্গত কারণেই অনুমেয় বিষয়টি মামুকে বহুদূর পর্যন্ত তাড়া করে বেড়াবে। আশাকরি আগামীতে তার পরিচয় পাবেন। আর বিষয়টি নিখুঁত হয়েছে বলে উল্লেখ করায় পুলকিত হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
পোস্টে উনিশতম লাইক ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম কৃতজ্ঞতা স্যার আপনাকে।
"আপনি ভাল আছেন তো?"-এমন আন্তরিক ভাবে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেওয়াতে প্রীত হলাম। তবে সমস্যা আমাকে নিয়ে নয়, বাচ্চাকে নিয়ে ছিল। বরং নিজের চেয়ে বহুগুণ বেশি দুশ্চিন্তায় ছিলাম। গত দুদিন বেশ ভালো আছে।আজ আবার স্কুল শুরু হয়েছে। সাথে আমার ব্লগিংও শুরু হলো। আশাকরি আপনি ও বাসার সকলেই কুশলে আছেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ একটি পোস্ট।
খুবই ভালো লাগলো।