নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
পর্ব-৭
মামুচাচা আবার বলা শুরু করলো,
-সেদিন সারাদিন আর দাদির কামরা মুখো হইনি। একটা অস্বস্তি আমাকে সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেরিয়েছে।কাছের দূরের পরিচিত-অপরিচিত, কার কাছে গেলে বা কোথায় গেলে নিজেকে এই দুর্দিনে বাঁচাতে পারবো সেটাই ছিল একমাত্র কামনা। কাজেই সেই প্রশ্ন সারাক্ষণ মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। যদিও মনের সমস্ত সম্ভাবনাগুলোকে এক এক করে বানচাল করে হতোদ্যম হয়ে বারান্দার এক কোনে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখি। আর এরই মধ্যে বাইরের যে কোনো গলার স্বরে বা খুটখাট শব্দে আশঙ্কার প্রমোদ গুণী এই বুঝি কাবুল চাচা এল বলে। এরইমধ্যে সাংসারিক কাজে মায়ের ঘন ঘন বারান্দায় আসাতে বিপদের আঁচ পাই। মনে মনে প্রশ্ন জাগে,তবে কি মাও দাদির মত আমাকে জেরা করার জন্য সময় নিচ্ছে? তবে আশার যে, এখনো পর্যন্ত মায়ের আচরণে তেমন কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েনি।বেশ কয়েকবার মা ঘুরে গেলেও কিছু না বলাতে মনে মনে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করি। আচ্ছা মা যদি না জানে, সে ক্ষেত্রে দাদি ছাড়া আর কে কে ঘটনাটি জানে, তা জানার জন্য মনে মনে উদগ্রীব হয়ে উঠি। আমার উদ্দেশ্য ছিল মা সহ অন্যান্যদের কাছ থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখা। অথচ সেদিন বারান্দাতেই যেন মায়ের কাজ শেষ-ই হচ্ছিল না। একাজ সেকাজে বারবার মা বারান্দায় আসছিল।
বাধ্য হয়ে মায়ের সামনে বোকার মতো বসে না থেকে নিজেকে ব্যস্ত রাখার মরিয়া উপায় খুঁজতে থাকি। কিন্তু প্রয়োজনের সময়ে যে বুদ্ধিনাশ হয়ে যায়। সেদিন আমার ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়েছিল। কোনো হাতামাতা না পেয়ে নিজেকে খুব অসহায় মনে হতে থাকে।আমার উদ্ভ্রান্ত আচরণে মা একবার জিজ্ঞেসও করে,
-কিরে তোর কি শরীর খারাপ লাগছে?
আমি আমতা আমতা করে উত্তর দেই,
-কই নাতো! আমি তো ঠিকই আছি।
মা আবার কাজে চলে যেতেই আমি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। হঠাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি এসে যায়। চাম-বাটুল দিয়ে পাখি মারা ছিল আমার অন্যতম প্রিয় একটি নেশা। মুহূর্তেই পুরানো ভাঙাচোরা জিনিসপত্রগুলো নিয়ে বসে পড়ি। বেশ কয়েকটি চাম গুলতি ঠিক থাকলেও কয়েকটি তার মধ্যে খুলে ফেলি। নতুন করে বাঁধার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখি। চাম বাটুল দিয়ে পাখি মারার জন্য আমার বেশ সুনাম ছিল। কয়েকদিন আগের ঘটনা, বারান্দায় দুটি চড়ুই পাখি খেলা করছিল। খেলার ছলে নিজেদের মধ্যে কিচিরমিচির করছিল আপন মনে।আমি গুটি গুটি পায়ে তাদের অনেকটা কাছে চলে যাই। নিজেকে কোনক্রমে বারান্দার পাশে নারকেল গাছের আড়াল থেকে তাক করে তাদের মধ্যে একটাকে বাটুল দিয়ে ঘায়েল করেছিলাম। বাড়ির সকলে সেদিন আমার খুব তারিফ করেছিল। তবে দাদি খুব বকাবকি করেছিল। ছোট্ট পাখিগুলোকে আর কোনদিন যাতে না মারি সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চয়তা আদায় করে নিয়েছিল। যদিও সাময়িক পরিত্রান পেতে তখনকার মতো দাদির কথায় সম্মতি দিলেও পরে সুযোগ পেলে ছোট-বড় যেকোনো পাখিকে লক্ষ্য করে যে বাটুল ছুড়তাম না তা নয়। তবে সাফল্য পরে আর আসেনি। আর এই ব্যর্থতার কারণেই পরের দিকে প্রচেষ্টায় ভাঁটা পড়েগেছিল। সেদিন মায়ের সামনে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে মোক্ষম সময়ে চাম-বাটুলের নানান বাঁধনে নিজেকে নিয়োজিত রাখি। যদিও সে কাজে একেবারেই মন ছিলোনা। মায়ের পদধ্বনিতে কান খাড়া রেখে,আড় চোখে মায়ের আসা-যাওয়ার দিকেই লক্ষ্য রাখছিলাম। তবে যেভাবেই আড়াল করিনা কেন কপালে যে দুর্ভোগ আছে সে বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত ছিলাম।
গহরকে জলে ডুবিয়ে মেরেছি বলে দাদি আমার উপর প্রবল বেখাপ্পা হয়। অথচ দাদি ছিল পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে আপনজন। দাদির এই পরিবর্তনে আমি মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়ি। অথচ আমি তো ওকে মারতে চাই নি, স্রেফ জলে ফেলে দিতে চেয়েছিলাম। ও যে পড়ে মারা যাবে, তা কি আর আমি জানতাম? আমার মনের এই সত্য কথাটি আমি দাদিকে বোঝাই কেমন করে? সেদিন দিন শেষে সন্ধ্যা নামতেই বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে কে বা কারা আসছে, এই আশঙ্কায় আমার অন্তরে যেন হাতুড়ি পিটতে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও গভীর হয়। একটু রাতের দিকে মায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে যে যার মতো শুয়ে পড়লেও দুশ্চিন্তা কিছুতেই দূর হয়নি। গোটা বাড়ি একেবারে নিঃশব্দে নিশিযাপনে গেলেও তার মধ্যে একা আমিই কেবল নৈশপ্রহরী হিসেবে বালিশে এপাশ-ওপাশ করে গেছি।ঘুম যেন আমার চোখ থেকে শত সহস্র যোজন দূরে পালিয়ে গেছে। কিছুতেই আর ঘুম আসছিল না। বালিশে মাথা দিয়ে ভাবতে থাকি, কি দুর্বিষহ দিনটাই না আজকে কাটলো। আগামীকাল কপালে কি আছে কে জানে?
সাধারণত বাড়ির সকলের সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার রেওয়াজ। আমিও বরাবরই ভোরবেলায় উঠে পড়তাম। কিন্তু সেদিন রাতে ঘুম না হলেও সকালে উঠতেও ইচ্ছে হচ্ছিল না।আলসেমি করেই বিছানায় শুয়ে থাকি।রাতে ঘুম না হওয়াতে বুঝতে পারি চোখদুটিতে খচখচানি শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় আরো কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। তবে একটা সময় এভাবে পড়ে থাকাটা আর সম্ভব হলো না। সকালের মিষ্টি রোদ বারান্দায় উজ্জ্বলভাবে কিরণ দেওয়াতে আমার আরও একটা কৌশলের হলো অপমৃত্যু। বাড়ির সকলে যেখানে উঠে পড়েছে সেখানে আর শুয়ে থাকিই বা কেমন করে? খানিকবাদে ঘুঁটের ছায়ে দাঁত ঘষতে ঘষতে দাদির কামরার সামনে পায়চারি করি। ভাবনা ছিল দাদি হয়তো গতকালের ঘটনা ভুলে আবার আগের মত কাছে ডাকবে। ফজরের নামাজের পরে দাদি সাধারণত আরো কিছুক্ষণ শুয়ে থাকে। আমি এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু সেদিন বাইরে ঝলমলে রোদ উঠলেও কামরা থেকে দাদির কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে মনে মনে দাদির উপর বেশ অভিমানী হই। পাল্টা ভাবতে থাকি, ভুল তো মানুষ মাত্রই করে থাকে। একবার কাছে ডাকলে না হয় আরও একবার ক্ষমা চেয়ে নিতাম। তাই বলে একেবারে হীরের মা কিরে করে বসে থাকা! আমার সঙ্গে কথা না বলে যদি দিন যায়, তাহলে আমারও দিন আটকে থাকবে না। দাদির উপর পাল্টা অভিমান করে এবার আমিও দাঁত মাজতে মাজতে জোরে গলাখাকারি দিয়ে হাতমুখ ধুতে চলে যাই। আরো বেশ কিছুক্ষন কেটে গেল তবুও দাদির কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়াতে এবার যেন মনে কেমন একটা অনুভূতি তৈরি হয়। যেনতেন প্রকারে দাদির সামনে পড়তে প্রবল ইচ্ছে তৈরি হয়। সঙ্গে কেমন যেন মনে মনে একটা খচখচানি শুরু হতে থাকে। এমন সময় মা বেশ জোরে জোরে আমার নাম ধরে ডাকতেই জ্বি বলে সাড়া দিয়ে কাছে চলে যাই।
-দেখ তো তোর দাদি উঠেছে কিনা....
মায়ের নির্দেশে কিছুটা আহ্লাদিত হয়ে কামরার উদ্দেশ্যে পা বাড়াই।
'দাদি দাদি' বলে ডাকতে ডাকতে কামরার দরজা ঠেলতেই বুঝি ভিতরে থেকে ছিটকিনি দেওয়া। প্রাথমিক বাঁধা যে কোন মানুষের গায়ের জোর অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। আমিও শুরুতে বাঁধা পেতেই আরও জোরে জোরে ধাক্কা দিয়ে উচ্চঃস্বরে 'দাদি দাদি' বলে ডাকতে থাকি। কিন্তু ভেতর থেকে কোন উত্তর নাই। এদিকে আমার জোরে চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়িতে উপস্থিত সকলের সঙ্গে আশপাশের কিছু লোকজনও ছুটে আসে। সকলে যে যার মত জোরে জোরে ধাক্কা দিলেও ভিতর থেকে কোন সারা শব্দ নেই।প্রবল দুশ্চিন্তায় উৎসুক্য দৃষ্টিতে আমরা একে অপরের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলাম। আমাদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো বটে তবুও ভিতরের কোন সাড়াশব্দ না পাওয়াতে এক সময় আমাদের ধৈর্যের বাঁধও ভেঙে যায়। বেশ কয়েকজন মিলে এবার সজোরে দরজায় ধাক্কা দিতেই বাঁশের দরজা গেল খুলে। কিন্তু ভিতরে ঢুকেই দেখি সর্বনাশ! বাঁশের আঁড়াতে পড়েনো শাড়ি পেঁচিয়ে দাদি ঝুলে আছে। নিজের চোখকে যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না, যে আমি ঠিক দেখছি তো! ক্রমশ আমার চোখ ঝাপসা হয়ে গেল। সবকিছু অন্ধকার দেখতে লাগলাম। মাথাটাও যেন স্মৃতি শূন্য হয়ে গেল। কিন্তু পরক্ষণেই কিছু সময়ের জন্য আবার সম্বিত ফিরে পেলাম। সকলে মিলে ধরাধরি করে দাদিকে উপর থেকে নামানো হলো। পাড়ায় যারা বাকি ছিল তারাও ছুটে এলো আমাদের চিৎকারে। উপস্থিত অনেকেই দাদির গায়ে হাত দিয়ে দেখল। নাহা! একদম ঠাণ্ডা হয় গেছে। শরীর অনেকটা কাঠ হয়ে গেছে। মুহূর্তে আমার পৃথিবী ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেল। সমবেত চিৎকারে মেনে নিতে বাধ্য হলাম যে দাদি আর নেই। ঘটনার আকস্মিকতায় কান দুটোতে যেন প্রবল বিস্ফোরণ হওয়ার উপক্রম হলো। আমি হতোদ্যম হয়ে মেঝেতে বসে পড়লাম। এরপরের ঘটনা আমার আর মনে নাই।
পরে যখন চোখ মেলে দেখলাম একদল মহিলা আমাকে ঘিরে বসে আছে। কেউ বাতাস করছে, কেউ বা মাথায় জল দিচ্ছে। চারিদিকে লোকে লোকারণ্য। পাশাপাশি চাপা, মৃদু এবং উচ্চঃস্বরে কান্নার রোল বাতাসে মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ছে। যে শব্দ আমার কানকে আরও ভারাক্রান্ত করে তুললো।উচ্চঃস্বরে কান্নার শব্দটি চিনতে পারলাম, যে এটি আমারই মায়ের। আমি তেরেফুরে উঠে হাঁটু মুড়ে মাথা নিচু করে বসে রইলাম।পাশের চাচার বাড়ি থেকে কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের আওয়াজ কানে ভেসে এলো। বুঝলাম বেশ কয়েকজন মিলে কোরআন তেলাওয়াত করছে।এত বিষন্নতার মধ্যেও শব্দটি খুব আশাপ্রদ হয়ে হৃদয়ের অন্তঃস্থলে ঢুকে গেল। আমার এভাবে বসে থাকায়, উপস্থিত একজন মহিলা বলেই উঠলো,
-মাহমুদ বাবা! শেষবারের মতো দাদির মুখটা একবার দেখে এসো।
তাদের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কথা আমার কানে আসছিলো কিন্তু কোনো কিছুই যেন আমার কানের মধ্যে ঢুকছিল না। শুধুমাত্র শেষবারের মতো দাদির মুখ দেখার সুযোগটা গ্রহণীয় হলো। দুজন আমাকে দুদিকে হাত ধরে রাখলো। তাদের দেখানো পথেই টলতে টলতে আমি কোনোক্রমে এগিয়ে চললাম.....
পর্ব-৭
পর্ব-৯
২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আর আপনাকেও বহুদিন পর প্রথমে পেয়ে আমিও আনন্দিত। পূর্ণাঙ্গ মন্তব্য করবেন, অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা এ পর্ব লিখতেও অনেককককককককককক সময় নিলেন !!
তার পরেও ধন্যবাদ ভুলে না যাবার জন্য। আগের পর্বগুলোর
মতো্ই ঝরঝরে লেখা। পড়তে বেগ পেতে হয়নি। বই আকারে
কবে আসবে বাজারে !! শুভকামনা রইলো।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ সকাল থেকে কিছুতেই আমার প্রতিমন্তব্য দেওয়ার সবুজ বাটন আসছিল না। অন্তত সাত-আট বার লগইন-লগআউট করেছি। দুঃখিত নুরু ভাই যে এই পর্বটা দিতে অনেক সময় নিয়ে ফেলেছি। লেখা ঝরঝরে বা পড়তে বেগ পেতে হয়নি এমন প্রশংসায় পুলকিত হলাম। বই আকারে বের করার স্বপ্ন তো আছে জানিনা বাস্তবে কোনদিনও সম্ভব হবে কিনা...
আপনার শুভেচ্ছা অন্তর থেকে গ্রহণ করলাম।
আপনার জন্যও রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৫
মা.হাসান বলেছেন: হীরের মার কিরে কাটা বাগধারা বাংলাদেশে কখনো শুনি নি।
ছোট বেলায় চাম গুলতি দেখেছি, ব্যবহার করার মত দক্ষতা ছিলো না।
আগের মৃত্যুটা মামুকে শোধরানোর মতো ধাক্কা দিতে পারেনি বলেই হয়তো আরো বড় ধাক্কা দেয়ার প্রয়োজন অনুভব করে দাদি এই আত্মত্যাগ করে গেলেন।
আপনার সিগনেচার, সাসপেন্স রেখে যাওয়া, এই পর্বে অনুপস্থিত। সজোরে ধাক্কা দিতেই বাশের দরজা খুলে গেলো, ঢুকে দেখি---- এখানে শেষ করতে পারতেন
খুটিনাটি বিষয়গুলোও নৈপুন্যের সাথে বর্ণনা করেছেন। পাঠে মুগ্ধতা।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রত্যাশামতোই আপনার আবার মন্তব্যে ফিরে আসাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আপনাকে।বাগধারা কিংবা আঞ্চলিক প্রবাদ যাই বলুন না কেন তা এক একটা এলাকায় প্রচলিত। ঠাকুরমাহমুদ ভাইয়ের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার খুলনাঞ্চলে উনি কথাটি শুনেছেন। সুতরাং 24 পরগনা থেকে সাতক্ষীরা/খুলনা অঞ্চলে কথাটি প্রচলিত বলে আমারও মনে হয়।
আর চাম গুলতি নিয়ে পাখিমারা বা আমপারা ছোটবেলায় না করলেও এই বয়সে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আশাকরি নির্মল আনন্দ পাবেন। হেহেহে
পাশাপাশি দাদির আত্মত্যাগ সম্পর্কে আপনার অনুমানের সঙ্গে সহমত। নিজের জীবন দিয়ে উনি নাতির আসন্ন বিপদকে ঘুরিয়ে দিলেন। মন দিয়ে পড়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পরে পোস্ট দিয়েছি(পরের পোস্ট কবে দেবো সে বিষয়ে পাঠকমহলে ইতিমধ্যে সন্দেহ শুরু হয়েছে) সেখানে যদি সাসপেন্স রাখতাম তাহলে আপনারা আমাকে তুলে আছাড় মারতেন। এই তুলে আছাড় মারাদের মধ্যে সবার আগে আছেন আপনি নিজেই। মূলত এই ভয়েই সাসপেন্স রাখার সাহস পেলাম না। তবে আজ আপনার খোলামেলা আলোচনায় কিছুটা সাহস পেলাম। আগামীতে অবশ্য যথারীতি সাসপেন্স চলে আসবে.... হেহেহে
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় মা.হাসান ভাইকে।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আলালের ঘরের দুলাল বাক্যের মতো “হিরার মায়ের কিরা” বাক্যটি বাংলাদেশে খুলনা অঞ্চলে পরিচিত বাক্য। দাদীজানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরম করুণাময় আল্লাহপাক যেনো দাদীজানকে বেহেস্ত নসীব দান করেন।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই,
দারুন একটি লাইন সংযোজন করেছেন আপনি। যেহেতু আমার এই গল্পটি পটভূমি স্বাধীনতা-উত্তরকালে ভারত বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকা। কাজেই দুই বাংলার উভয়পাড়ে প্রবাদটি প্রচলন থাকাটা স্বাভাবিক। ধন্যবাদ আপনাকে। দাদীজানের জন্য নির্মল প্রার্থনার কারণে আবারো ধন্যবাদ।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক দিন পর লিখলেন । দাদীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আমার ছোট মেয়েটা দাদু ছাড়া কিছুই বুঝে না।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ নেওয়াজ ভাই ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন কমেন্টিং করলেও পোস্ট দেওয়া আর সম্ভব হয়ে ওঠে নি। দাদির মাগফেরাতের জন্য ধন্যবাদ।আপনার ছোট মেয়ের জন্য আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা রইলো। ও যেনো ওর দাদুর কাছ থেকে 16 আনা ভালবাসা আদায় করে নেয় ও একজন যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে, সেই প্রার্থনাই রইলো।
শুভকামনা জানবেন।
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫২
নীল আকাশ বলেছেন: এই লেখার অনেক পর্ব বাদ পরে গেছে পড়া থেকে। প্রথম থেকে আবার শুরু করতে হবে।
নাহলে লেখা বুঝতে পারবো না।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশা করি ভাল আছেন প্রিয় নীল আকাশ ভাই। হ্যাঁ ব্যস্ততার কারণে আমিও দীর্ঘদিন পর পোস্ট দিয়েছি, কাজেই পাঠকদেরো ভুলে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে আগের একটি বা দুটি পর্বে যদি চোখ বুলান আশাকরি কিছুটা লিংক পাবেন। কষ্ট করে আর তারও আগে ফিরে যেতে হবে না।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা রইলো।
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয় হায়!
দাদীই জীবন দিয়ে দিলেন?
ইসস... ছোট্ট প্রাণের উপর দিয়ে কি ধকলই না যাচ্ছে!
অপেক্ষায় . . .
+++
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
হ্যাঁ তাইতো! দাদি জীবন দিয়ে নাতিকে আড়াল করে গেলেন।দাদি হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন ছোট্ট প্রাণটির উপরে কি অমানুষিক ধকল যাবে কিভাবে আগামী দিনে আরো ভয়ানক কোন পরিনাম তার জন্য অপেক্ষায় আছে। বিকল্প কিছু না পেয়েই হয়তো এই সিদ্ধান্ত।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে প্রীত হলাম। আশাকরি খুব বেশিদিন অপেক্ষায় আপনাদের রাখবো না।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সত্যি জীবন কবে কার নিভে যায় বলা মুশকিল?
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে আনন্দ পেলাম প্রিয় মাইদুল ভাই। আশা করি ভাল আছেন। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
সহমত আপনার সঙ্গে, সত্যি জীবন কবে কার নিভে যায় বলা মুশকিল।
পোস্টেটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা রইল।
৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
ঘটনার মোড় দাদির উপর গিয়ে পড়বে এটা ধারনাই করতে পারিনাই লেখাটা পড়তে ভালই লাগছিল কিন্তু দাদি নিজেকে
শেষ করে দিবেন এটা মর্মান্তিক। সেই যুগের মানুষ কতোটা সরলমনা ছিল লেখার বর্ণনায় তা সুস্পষ্ট।আজো আপনার
লেখার প্রশংসা না করে পারছি না। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা একটু তাড়াতাড়ি দিয়েন।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোনের আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম ধন্যবাদ জানবেন।
কথাই বলে, man propose God dispose. জগতের সবকিছুই এক নিয়মে চলে না। কখনো কখনো তা অন্য খাতে প্রবাহিত হয়। অবাধ্য মন সায় না দিলেও তা মেনে নিতে হয়।
গল্পে মাহমুদের দাদির মৃত্যুর ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। তবে নাতিকে আড়াল করতে বোধহয় এর আর বিকল্প ছিল না। আর সরল মনের দিক দিয়ে অন্য লোকেরা একশোতে একশ। আমরা নিজেদের হৃদয় থেকে সরলমনাকে হারিয়ে ফেলেছি।
লেখার বর্ণনা ভালো লাগাতে বা এমন উচ্চ প্রশংসায় খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ প্রিয় বোনকে।
পরের পর্ব খুব শীঘ্রই দেবো আর দেরি করবো না। একপ্রকার কথা দিলাম।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা রইল।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।
১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দাদীর কথাগুলো পড়ে বেশ খারাপ লাগলো। আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে
কি আর করা যাবে। অনাকাঙ্খিত ঘটনাও অনেক সময় আমাদেরকে মেনে নিতে হয়। আমার প্রার্থনায় প্রীত হলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
করুণাধারা বলেছেন: দাদীকে বেশ বুদ্ধিমতী বলে মনে হচ্ছিল। উনি কেন আত্মহত্যা করলেন বুঝতে পারিনি। মাহমুদকে অনুশোচনায় দগ্ধ করতে কি? সেজন্য আত্মহত্যার পাপ করলেন!!
খুঁটিনাটি বর্ণনা চমৎকার! মাহমুদের মনের টানাপোড়েন খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এখন পরের পর্বের অপেক্ষা...
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু 'মুনিনাঞ্চ মতিভ্রম' বলেও একটা কথা আছে। সঠিক সময়ে সিদ্ধান্তহীনতায় বহুগুণী মানুষকেও এভাবে পস্তাতে হয়। আত্মহনন কোনো সমাধান নয়। বিকল্প নিশ্চয়ই সময়ে বের হতো। কিন্তু ওই সময় হয়তো ওনার মনে হয়েছিল নিজের মৃত্যু দিয়েই উনি নাতির কৃতকর্মকে আড়াল করবেন।
ঘটনার খুঁটিনাটি ও মামুদের টানাপোড়ন আপনার ভালো লাগাতে প্রীত হলাম। সঙ্গে পোষ্টটিতে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপু আপনাকে।
১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা পোষ্ট দিতে খুব দেরী করে ফেললেন।
ধারাবাহিক পোস্ট প্রতিদিন দিতে হয়। তা না হলে আগে কি পড়েছি সেটা ভুলে যাই।
আমি জানি আপনি ব্যস্ত। তাই পোষ্ট দিতে ইছা করে দেরী করেন নি।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আসলে বাসা বদলের কারণে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলাম যে ব্লগে সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তবে এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছি। আশা করি এখন থেকে সপ্তাহে একটা করে পোষ্ট দিতে পারব।অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বিলম্বে পোস্ট দিয়ে ভাইকে বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা প্রার্থী। সেই গতকাল থেকে ভাইকে না পেয়ে ভেবেছিলাম হয়তো রাগ করেই আসছেন না।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আসলে মা, দাদা দাদিসহ পরিবারের সমস্ত মুরুব্বীরা আমাদের মাথার উপরে বট গাছ। এদের ছাড়া বেঁচে থাকাটা অনেক কষ্টের।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ছোট ভাই। 100% সহমত আপনার সঙ্গে যে দাদা-দাদি, বাবা-মা আমাদের মাথার উপরে বটবৃক্ষ সমান। আমরা যারা এদেরকে হারিয়েছি তারা বুঝি জীবনটা কতটা অসহায়। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রচণ্ড মিস করি আমার বাবা-মাকে। কিন্তু কি আর করার...
ভাইয়ের সর্বশেষ একটি ভূতের পোস্ট দেখলাম। সময় নিয়ে অবশ্যই যাবো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: নতুন বাড়িতে উঠে পড়েছেন নাকি দাদা?
না দাদা পোষ্ট দেরী করে দেওয়ার জন্য মোটেও বিরক্ত হই নি।
দাদা সারাদিন বাইরে ছিলাম। পুরান ঢাকায় গিয়েছিলাম। আপনি জানেন কিনা জানি না- পুরান ঢাকার রাস্তাঘাট দোকানপাট সব একদম কোলকাতার মতোন। পুরান ঢাকায় গেলে আমার কাছে মনে হয় আমি কোলকাতায় চলে এসেছি। বেশ ভালো লাগে।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের দ্বিতীয়বার আবার মন্তব্যে আসাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাইকে। হ্যাঁ এই মাসের নতুন বাড়িতে উঠেছি। শরীর শারীরিক ও মানসিক আর্থিক ভাবে প্রচন্ড ধকল গেছে।এই মুহূর্তে অবশ্য মানসিক ও শারীরিক ধকল একটু কাটিয়ে উঠেছি। তবে বিগত এক মাস গৃহপ্রবেশের প্রস্তুতিতে ব্লগে তেমন সময় না দিলেও একটি ফুরসত পেলেই ঢুঁ মারতাম।
ভাইয়ের বিরক্তি না হওয়াতে খুশি হলাম।তবে জীবনে কিছু মানুষের বিরক্তি যে মধুর তা অস্বীকার করে কেমনে।উত্তর কলকাতার সঙ্গে পুরনো ঢাকার যে মিল আছে আমি ইতিপূর্বে একাধিক লেখালেখিতেও পড়েছি। আজ ভাইয়ের কাছ থেকে তা আরেকবার প্রমান পেলাম। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
আমি কলেজ স্ট্রিটে গেলে মূলত প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সামনে থেকে লেবু জল ও রাজাবাজারে গেলে বিফের আইটেম না খেলে সেদিন উত্তর কলকাতায় যাওয়া যেন সম্পূর্ণ হতো না। পুরানো ঢাকাতেও নিশ্চয়ই এখন রাস্তার ধারে হরেক খাবারের দোকান আছে।ব্লগার আরোগ্য আমাকে ঢাকাতে গেলে, পুরানো ঢাকায় ওদের বাসায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছে।
এই করোনা সবকিছুকে ভণ্ডুল করে দিয়ে গেল। জানিনা কবে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হবে।
শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
১৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: নিছক খেলার ছলে বা ছোট মনের জেদাজেদির বসে একটি ধাক্কা থেকে যে মৃত্যু, সেটা ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টায় নিজের জীবন দিয়ে দেওয়া এটা যদিও কোন যুক্তিমতে ঠিক নয় তবু বলবো ছোট মাহমুদকে অতিরিক্ত স্নেহের কারণে তাকে আড়াল করার একটা প্রচেষ্ট।সফল কিনা সেটা পরবর্তী পর্বগুলোতে বোঝা যাবে। মানুষ কখনো কখনো নিজের জীবন দিয়ে হলেও প্রিয়জনের পাপগুলো ঢাকার চেষ্টা করে আর এখানে আমার মনে হয়েছে মাহমুদ যাতে তার অপরাধের মাত্রা সঠিক উপলব্ধি করতে পারে সেজন্য নিজের জীবনের বিনিময়ে তাকে বোঝানোর জন্য সহজ সরল দাদীর এই আত্নহত্যা।এরপর থেকে যেন সে জীবনে কোন অপকর্ম করার আগে অন্তত দুবার ভাবে। সেটা সচেতনভাবে হোক বা অবচেতনভাবেই হোক না কেন।
#গভীরজীবনবোধের কাহিনী ,সাবলীর উপস্থাপন ভালো লেগেছে, পরবতী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম প্রিয় দাদা।
দেরিতে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
ভুতের কাহিনীগুলো পড়ে মন্তব্য করবো নিশ্চয়। নিরন্তর শুভকামনা।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,
আশাকরি ভাল আছেন। ভূতের গল্পের জন্য বেশি ব্যস্ত থাকায় সময়ে উত্তর দিতে না পারায় দুঃখিত। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আগেই সম্ভাবনাগুলো বলে দিলেন। আমার পরবর্তী পর্বে আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন বলে আশাবাদী।তবে বিষয়টি আপনাকে ভাবিয়েছে ও সুন্দর সম্ভাবনা উল্লেখ করেছেন দেখে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে। চলমান সিরিজের কারণে স্পষ্ট করে বলতে না পারলেও এটুকু বলতে পারি, ছোট্ট মাহমুদকে যেহেতু নিজের পাঁচ সন্তানের চেয়েও ভালো বাসতেন।তাই গহরের মৃত্যুর কারণে যে মাহমুদ তা নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি যেমন চুপসে যান। পাশাপাশি মাহমুদকে আড়াল করতে নিজেকে বলি দিয়ে পাড়ার চলমান সমস্যার মোড়কে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। এর বেশি কিছু বলতে পারছিনা।
আপনার ভূতুরে কমেন্ট আমি ইতিমধ্যে দেখেছি। উত্তরও দিয়েছি। আশাকরি আপনি দেখে নিয়েছেন।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা রইলো।
১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪০
আনমোনা বলেছেন: দাদির মৃত্যুতে ভীষন একটা ধাক্কা খেলাম। এ পরিনতি হবে ভাবিনি।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।জীবনে অনেক কিছু অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে যায়। অসহায় ভাবে মেনে নেওয়া ছাড়া আমাদের কিছু করার থাকে না।
পোস্টে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
১৭| ০২ রা মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্ট পড়ে আমি প্রথম যে কথাটা বলতে চেয়েছিলাম, মন্তব্যে এসে দেখি মা.হাসান ইতোমধ্যে তা বলে গেছেন, অর্থাৎ "সাসপেন্স রেখে যাওয়া, এই পর্বে অনুপস্থিত"। তবে মামুচাচার দাদীর গল্যায় শাড়ি পেঁচিয়ে ঝুলে পড়াটা কম সাসপেন্সের ছিল না। ওখানেই পর্বের ইতি টানলে দারুণ একটা রহস্য থেকে যেত।
ছোট বেলায় চাম গুলতি দিয়ে আমিও খেলেছি। ফলাফলও ছিল মামুর মতই ঐ একটিই সাফল্য, একটি চড়ুই নিধন। কিন্তু এর পরে মৃত পাখির আঘাতপ্রাপ্ত দেহ দেখে যারপরনাই মর্মাহত হয়েছিলাম, ফলে ঐ রোমাঞ্চকর খেলার ওখানেই চিরতরে যবনিকাপাত ঘটেছিল।
পোস্টে চতুর্দশতম ভাল লাগা + +।
০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "পোস্ট পড়ে আমি প্রথম যে কথাটা বলতে চেয়েছিলাম, মন্তব্যে এসে দেখি মা.হাসান ইতোমধ্যে তা বলে গেছেন, অর্থাৎ "সাসপেন্স রেখে যাওয়া, এই পর্বে অনুপস্থিত"। তবে মামুচাচার দাদীর গল্যায় শাড়ি পেঁচিয়ে ঝুলে পড়াটা কম সাসপেন্সের ছিল না। ওখানেই পর্বের ইতি টানলে দারুণ একটা রহস্য থেকে যেত।"- এখন বুঝতে পারছি এমনটা করলে খুব ভালো হতো। কিন্তু স্যার মা.হাসান ভাইয়ের সাসপেন্সে না ফেলতেই এই পর্বে এমন অবস্থায় কেটে ফেলা। দারুণ একটা বিষয় তুলে ধরায় অত্যন্ত খুশি হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
"ছোট বেলায় চাম গুলতি দিয়ে আমিও খেলেছি। ফলাফলও ছিল মামুর মতই ঐ একটিই সাফল্য, একটি চড়ুই নিধন। কিন্তু এর পরে মৃত পাখির আঘাতপ্রাপ্ত দেহ দেখে যারপরনাই মর্মাহত হয়েছিলাম, ফলে ঐ রোমাঞ্চকর খেলার ওখানেই চিরতরে যবনিকাপাত ঘটেছিল।"-ছোট বেলাকার বিষণ্ণমাখা স্মৃতি শেয়ার করার জন্য আবার ধন্যবাদ আপনাকে।আসলে আপনি ছোট থেকেই সংবেদনশীল প্রকৃতির ছিলেন। ছোট্ট হৃদয়ে চড়ুই নিধন যে আঘাত করেছিল তার ফলস্বরূপ চিরতরে চামগুলতি খেলাটিকেই উঠেয়ে দেন।আজ এতবছর পরেও সেই অনুভূতি এখনও সমানে বয়ে বেড়ান। আজ অবশ্য চড়ুই শালিক আপনাকে ভরসা করে।তাই তারা কখনও বা আপনার বারান্দায় বাসা বাঁধতে আসে।একটা পোস্ট দেখেছিলাম এই সম্পর্কে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১১
মা.হাসান বলেছেন: কতদিন বাদে আপনার লেখা পোস্ট করার দিনেই মন্তব্য করার সুযোগ পেলাম!
পরে আসছি।