নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (খন্ড-১/ পর্ব-পঞ্চম)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪



দুজনের শরীরের উপর ভর দিয়ে টলতে টলতে কোনোক্রমে দাদির খাটিয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়ালাম। উঠোনের এক প্রান্তে দাদিকে শায়িত করা আছে।বুঝতে পারলাম দাদির কাফনের কাজটি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। চারিদিকে উৎসুক্য জনতার ভিড়। তারমধ্যে পথ করে এগোতে রীতিমতো অসুবিধা হচ্ছিল। অবশেষে পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই, কে একজন সাদা কাপড়ে আপাদমস্তক ঢাকা দাদির মুখের কাপড়টা ঈষৎ সরিয়ে দিতেই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। মনের মধ্যে জমে থাকা কান্নাগুলো যেন এতক্ষণে হুরমুড়িয়ে বেরিয়ে এলো। প্রবল কান্নার রোল তুলে খাটিয়া ধরে বসে পড়লাম। খানিক বাদেই ভারী গলায় একজনের ধমকানি কানে এলো। মায়াতের পাশে নাকি এমন উচ্চস্বরে মায়া কান্না কাঁদতে নেই। স্বভাবতই এমন অপ্রত্যাশিত ধমকানিতে কিছুটা হতচকিত হয়ে যাই। মুখ তুলে দেখি, শ্বেত শুভ্র দাড়িওয়ালা একজন দীর্ঘাঙ্গী লোক আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছেন। পরে জেনেছি উনি নাকি দাদির এক চাচাতো ভাই হন। যাইহোক উনার ধমকানিতে কান্না বন্ধ হলেও মনের মধ্যে ডুকরে বয়ে চলা কান্না গুলো যেন গলার কাছে এসে দলা পাকিয়ে যাচ্ছিল। মাঝে মাঝে দুই-একটা প্রবল জলোচ্ছাসের ন্যায় দুই ঠোঁটের বাঁধ ভেঙে বাইরে বেরিয়েও আসছিল। অথচ যার উপরে আমার তখন কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এমন সময় উনি আরেকবার চমকাতেই মনের কান্নার ঢেউগুলো অবলীলাক্রমে মিলিয়েও গেল। সাথে সাথে বুঝতে পারি স্থানটি আমার কাছে বেশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। চারপাশটা একবার তাকিয়ে দেখি লোকে লোকারণ্য। কেমন যেন সকলে ফ্যাল ফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সবাইকে আমি চিনিও না জানিও না তারা দাদির কে কি হন বা কোথায় থাকেন। তবে এটুকু বুঝেছি তারা সবাই আমাদের আত্মীয় কুটুম্ব। দাদির খবর শুনে তারা যে যার মত চলে এসেছেন একবার চোখের দেখা দেখবেন বলে। পরপর চমকানিতে হৃদয়ের কান্না গুলোকে অবদমিত করে বরং উপস্থিত আত্মীয় কুটুম্বদের কিছুটা সুবিধা করে দিতেই ভিড় ঠেলে এসময় বাইরে বেরিয়ে আসি।

বলতে দ্বিধা নেই যে এত মানুষের সমাগম দেখে সেদিন বিষন্নতার মাঝেও কিছুটা হলেও খুশি হয়েছিলাম, এটা ভেবে যে আমাদের আত্মীয় কুটুম্বের সংখ্যা নেহাত কম নয়। উল্লেখ্য পরবর্তী বহুদিন পর্যন্ত লোক কুটুম্বের এমন লম্বা বহর নিয়ে আমার শিশু মনে বেশ পুলকিত বোধ করতাম। কিন্তু পরে যখন দেখেছি আশেপাশের অন্যান্য মৃত বাড়িতেও এমনই লোকসমাগম হয়, তখন অবশ্য ধারণাটি ধীরে ধীরে অস্তমিত হয়ে যায়। আত্মীয়তার সম্পর্ক না থাকলেও বিপদের দিনে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোটাই গ্রামাঞ্চলের একটা অলিখিত রীতি ধারণাটি এ সময় থেকেই মনের মধ্যে প্রোথিত হতে থাকে।

সেদিন উপস্থিত বহু লোকের মুখে ঘুরে ফিরে আসছিল দাদার প্রসঙ্গ। কয়েকজন বারেবারে জানতে চাইছিল বাপ-দাদা সম্পর্কে। আমি কারো কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি কারণ বাপ দাদা এসে পৌঁছেছে কিনা কিংবা কখন আসবে বিষয়টি ছিল আমার কাছে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত। অস্বীকার করব না যে তাদের মত আমিও মনে মনে উত্তর খুঁজতে থাকি, বাপ দাদাকে দাদির মৃত্যুর খবর জানাতে গেলোই বা কে? বরং এমন অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার মধ্যে কেউ সেখানে পৌঁছে গেছে কিনা সে প্রশ্ন আমাকে রীতিমতো ভাবিয়ে তোলে। এমনই ভাবনা নিয়ে ভিড় ঠেলে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখি একদল মহিলার ভীড়। সকলের পাশ কাটিয়ে উঁকি মারতে দেখি, মা নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছেন। পরে বুঝেছি ঘটনাটাকে মূর্ছা যাওয়া বলে। কয়েকজন মায়ের মাথায় ক্রমাগত পানি দিচ্ছেন এবং বাতাস করছেন। চোখের সামনে ঘটনাটি দেখে আমি বিষন্নতায় কাট হয়ে যাই। বড় দুই বুবুকেও দেখলাম মলিন মুখে মায়ের পাশে বসে আছে। হঠাৎ আমাকে দেখে এমনই একজন, বাপ দাদা ফিরেছেন কিনা জানতে চাইলো। আমি মাথা নেড়ে না সূচক উত্তর দিয়ে পাল্টা জিজ্ঞেস করি, কে গেছে তাদের খবর দিতে। তখনই জানতে পারি আমার বাপের মেজ ভাই মানে ইসমাইল চাচা সেই সকালেই বেরিয়ে গেছেন শহরে বাপ-দাদাকে খবর দিতে। উত্তরটা পেয়ে মনে-মনে কিছুটা আশ্বস্ত হলাম যাক একটা বিরাট দুশ্চিন্তার তাহলে অবসান হলো।

আসরের নামাজের পর দাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। বাড়ি থেকে একটু দূরে পারিবারিক কবরস্থানে দাদিকে সমাধিস্থ করা হয়। কবরস্থ করার পর হঠাৎ কোনো এক সময় আমি সামনে পড়ে যেতেই হঠাৎ দাদা হাউমাউ করে কেঁদে উঠে আমাকে জড়িয়ে ধরে।দাদার এমন অপ্রত্যাশিত আচরনে আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। নিজের বুক চাপাতে চাপাতে বিলাপ করতে থাকে,
-কেন আমাকে একবার খুলে বললে না আনোয়ারা যে মাহমুদকে বাঁচাও! মাহমুদকে বাঁচাও।
এত লোকের মধ্যে দাদার এমন আকস্মিক বিলাপে আমার অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। পাশাপাশি নতুন করে আশঙ্কার কালোমেঘ আমার হৃদয়কে ঘনীভূত করে তোলে। আমি বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকলেও দাদা আমাকে জড়িয়ে নিজে নিজেকে সমানে প্রশ্ন করতে থাকে,
-কি এমন বিপদ দাদুভাই তোর মধ্যে দেখেছিল যা আমাকে খুলে বলতে পারেনি।
বিলাপের ছলে হলেও দাদার এমন বুকফাটা আর্তনাদে আমি অশনিসংকেত টের পাই। উপস্থিত কয়েকজন দাদাকে শান্ত হতে পরামর্শ দিয়ে ধরাধরি করে কামরায় নিয়ে যায়। আমিও এত লোকজনের ভিড়ে ঘটনা কি ঘটে না ঘটে আশঙ্কা করে সেদিনকার মত দাদার সামনেও না যেতে মনস্থির করি।

এদিকে পরপর দুদিন দুটো মৃত্যুর ঘটনা গ্রামবাসীদের মুখে মুখে ঘুরে ফিরে আসতে থাকে। গহরের মৃত্যু দু'দিনের বাসি হলেও দাদির সদ্য মৃতুর ঘটনা সবাইকে একপ্রকার শঙ্কিত করে তোলে। সিরিয়াল মৃত্যু শুরু হল কিনা ঘুরেফিরে সে প্রশ্নও উঠতে থাকে। এমন আশঙ্কার থমথমে পরিবেশে গোটা গ্রামবাসী প্রহর গুনতে থাকে। এমতাবস্থায় ভালো গুনিন দিয়ে গ্রাম ঘেড়া যায় কিনা কিম্বা সকলে মিলে দোয়াখানি দেয়া যায় কিনা এসব কথা লোকমুখে প্রচার হতে থাকে। সকলে প্রায়ই বলাবলি করে গ্রামে নাকি জীন-ভূতের ভর করেছে। যখন তখন যে কারো ঘাড়ে আসতে পারে জ্বীনের আছর। এমতাবস্থায় সমগ্র গ্রামবাসীরা ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। তবে এরই মধ্যে একদল আবার আকার ইঙ্গিতে দাদির মৃত্যুর জন্য দাদাকেই দায়ী করে। দিনের-পর-দিন দাদার শহরে পড়ে থাকাটাই দাদির মৃত্যুর প্রধান কারণ বলে কানাঘুষো কথা প্রচার হতে থাকে। দাদাও যেন কয়েক জনের চোখ-মুখের ভাষা বুঝে যায়। তাই তাদের অনুচ্চারিত অব্যক্ত হত্যার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে বিলাপ করতে করতে হঠাৎ হঠাৎ বলতে থাকে,
-হ্যাঁ আমিই মেরেছি আনোয়ারাকে। আমিই মেরেছি। আমিই আনোয়ারার মৃত্যুর জন্য দায়ী। ঘটনার কয়েকদিন পর সকাল বেলার দাদার কামরায় যেতেই আমাকে দেখে আবার শিশুর মতো আচরণ করতে থাকে। আর্দ্র গলায় নিজের বুক চাপড়াতে চাপড়াতে বলতে থাকে,
-হ্যাঁ দাদুভাই আমিই মেরেছি তোর দাদিকে। আমিই মেরেছি। আমিই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। কতবার বলেছিল শহরের কাজ ছেড়ে দাও ছেড়ে দাও। বয়স হয়েছে। এবার পাকাপাকিভাবে বাড়ি চলে এসো। কিন্তু আমি তার কোন কথাই শুনিনি কখনও। আমি পাল্টা ওকে বোঝাতাম, সুরত চলে খেটে খাই, দুটো পয়সা পাই। এখনো ছেলেদের কাছে হাত পাততে হয় না। কিন্তু তাতে ও কোনদিন খুশি হয়েছিল বলে মনে হয়নি।
কিছুক্ষণ থেমে থেকে দাদা আবার বলতে লাগলো,
-শেষবার এসে ধরলো আবার নুতন বায়না। তোকে শহরে বাপের কাছে রেখে এসে আমাকে গ্রামে ফেরার জন্য পীড়াপীড়ি করেছিল। সেটাও আমি রাখতে পারিনি। বলেছিল তুই নাকি খুব বিপদের মধ্যে আছিস। ছোট্ট বাচ্চা ছেলের আবার বিপদ কিসের শুনে আমি খুব করে হেসেছিলাম। উড়িয়ে দিয়েছিলাম অদ্ভুতুড়ে যুক্তি বলে। সেদিন রাতে এই নিয়ে কতই না মান অভিমান করেছিল। তবে বুঝেছিলাম ও খুব রেগেছিল। শেষমেষ আমাকে রাজি করাতে না পেরে, বলেছিলে তোকে কাজে না নিয়ে গেলে নাকি আমার মরা মুখ দেখবে। আচ্ছা এমন টুকটাক ঝগড়া-ঝাটি কোন সংসারেই না হয়না। তাই বলে মুখে যা বলল সেটাই করতে হবে? বলেই দাদা আবার শিশুর মত বিলাপ করতে থাকে,
-আনোয়ারা আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে যাবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি দাদুভাই...

আমি শুকনো মুখে ঘনঘন দীর্ঘশ্বাস ফেলি আর আমার ছোট হাত গুলো দিয়ে দাদার মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে শান্ত হতে অনুরোধ করি। এমন সময় নিজেকে কিছুটা সংযত করে দাদা এবার আমার কাছে জানতে চাইলো,
-আচ্ছা দাদুভাই তোর দাদি তোর কি বিপদ অনুমান করেছিল, তুই কি কিছু বলতে পারবি?
দাদার এমন প্রশ্ন আমার ব্রহ্মাস্ত্রে যেন বজ্রাঘাত করে।মুহূর্ত যেন আমার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। কোনোক্রমে ঢোক গিলে শ্বাসযন্ত্রকে সচল রাখি। তবে এটুকু বুঝতে পারি আসন্ন বিপদ সম্পর্কে দাদি দাদাকে নিশ্চয়ই কিছু জানায়নি। নইলে দাদা এভাবে আমাকে প্রশ্ন করত না। এমতাবস্থায় নিজেকে শান্ত রেখে কিছুই জানিনা বলে দাদাকে প্রতি উত্তর দিই বটে, তবে মনে মনে ভাবতে থাকি জানিনা এভাবে আর কতদিন নিজেকে নিজের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে আড়াল রাখতে পারব।

ঘটনার পরে আরো বেশ কিছুদিন কেটে গেছে গোটা গ্রাম মোটামুটি শান্ত। নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর গ্রামের কোথাও নেই। এ সময় অনেকেই বলতে লাগলো দাদার নাকি মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বলার যদিও কারণও ছিল। দাদা প্রায়ই বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে গিয়ে কখনো হাসতো, কখনো আনমনে পাশে খেজুর গাছের তলায় বসে উদাস মনে দূর আকাশের দিকে চেয়ে থাকত। মাঝে মাঝে ছুটে যেত দাদির কবরের পাশে। আমরা ভাই-বোন সারাক্ষণ দাদাকে চোখে চোখে রাখতাম। বেশকিছুদিন এভাবে চলার পর দাদা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে থাকে।
এমন সময় রাকিব মিয়া বলে ওঠেন,
-হ্যাঁ আমরাও তো এ সময় তোমার দাদাকে পাগলা দাদু বলেই জানতাম।
কথার মান্যতা দিয়ে মামু চাচা আবারো বলতে লাগলো,
-আরো কিছুদিন পরে দাদা গ্রামেই টুকটাক বাঁশের কাজ শুরু করে। পাগলা লোকটা কত সুন্দর না বাঁশের চৌকি তৈরি করত ,না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। তবে দাদির প্রসঙ্গ উঠলে দাদার মুখায়ব মুহূর্তে বদলে যেত। প্রচন্ড ভয়ে ছিলাম দাদাও না শেষ পর্যন্ত দাদির পথ ধরে।
এমন সময় রাকিব মিয়া উঠতে যাচ্ছিলেন,
সঙ্গে সঙ্গে মামুচাচা বলে উঠলো,
-মিয়াসাহেব গল্প যে এখনও শেষ হয়নি....

পর্ব-৮


পর্ব-১০



মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৬

আনমোনা বলেছেন: একটা মৃত্যু থেকে কতকিছু বদলে গেল। মামুচাচা এতবড় একটা গোপন কথা এখন, একজন অনাত্মীয়কে বলছে কেন?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্য মানে আলাদা ভালোলাগা।‌পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপু আপনাকে। শুরুতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।আজ মামু চাচা পরিণত বয়সে পৌঁছে গেছেন। গ্রামের মোড়ল রাকিব মিয়া মেয়ের জন্য কাঠের চৌকি করতে কথা বলতে গিয়েছিলেন বাঁশমিস্ত্রী মামু চাচার কাছে।মোড়লকে পেয়ে এতদিন মনে বয়ে বেড়ানো ভয়ঙ্কর স্মৃতি উনি শেয়ার করছেন। উল্লেখ্য এই স্মৃতি কাহিনী নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রথম খন্ড।আর রাকিব মিয়ার বাড়িতে চৌকি করার পরবর্তী ঘটনা নিয়েই তৈরি হবে দ্বিতীয় খন্ড। দ্বিতীয় খন্ডেই সাতক্ষীরার সঙ্গে বেলগাছিয়ার যোগ সম্পন্ন হবে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১২

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
বয়স্ক মানুষ সরলমনে হয়তো ভেবেছে তিনি মামুচাচাকে
অতি চিন্তিত থাকায় আত্মহত্যা করেছেন। গ্রামের মানুষদের কানাঘুষা ও তিল'কে দিকে তালে পরিণত করার জন্য
দাদার পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই ভাবছি । আর
মামুচাচু সেই দুঃসহ ক্রান্তিকাল পেরিয়ে কিভাবে আজ এই
পর্যায়ে আসলো সেটাও ভাবছি আমাদের গ্রামীণ সমাজের মানুষদের সরলতা ও বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানো অলিখিত রীতিনীতি আজকের এ পর্বে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ঝরঝরে বর্ণনায় একটি মৃত বাড়ির পরিবেশ মনে হলো যেন দেখছি । কষ্টের মাঝেও ভালো লাগলো বিষাদের বর্ণনা ।
অনেক শুভকামনা ও ধন্যবাদ জানবেন ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক দিন পর একেবারে শুরুতে প্রিয় ছোট বোনের কমেন্ট পেয়ে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ বোনকে।
কমেন্টে চমৎকারভাবে অনেকগুলো দিক উঠে এসেছে। তবে দাদির আত্মহত্যার পিছনে গত পর্বে পরোক্ষভাবে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। দাদি মামু চাচাকে নিজের সন্তানের চেয়েও স্নেহ করতেন। তাকে নিজের হাতের তালুর মতো চিন্তেন। বাচ্চাদের মধ্যে টুকটাক ঝগড়াঝাটি সবক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। মামু চাচাও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। তবে তিনি শক্তিতে কারো সঙ্গে পেরে উঠতে পারতেন না। ওনার অস্ত্র ছিল কামড়ে দেওয়া নতুবা জোরে ধাক্কা দিয়ে ছুটে পালানোর। নিজের নাতির এই চরিত্র সম্পর্কে দাদি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল ছিলেন।তাই প্রতিবেশী গহরের পুকুরে ডুবে মৃত্যুতে তার মনে খটকা লাগে। তিনি অনুমানের উপর ভিত্তি করে জেরা করলে মামু চাচা আসল ঘটনা খুলে বলে।আর নাতিকে এমন অপ্রত্যাশিত অপরাধী হিসেবে দেখে উনি ভেঙে পড়েন। কি করে নাতিকে উদ্ধার করবেন সে চিন্তায় উনি ডুবে থাকেন। একের পর এক সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে নাতিকে বাঁচিয়ে রাখার আর কোন আশা না পেয়ে উনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
পর্বটি বিষাদ হলেও বোনের কাছে মোটের উপর ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা প্রিয় বোনকে।

অফুরান শুভেচ্ছা রইলো।


৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৮

করুণাধারা বলেছেন: মাহমুদ আর তার দাদার মনের কষ্টের ছবি খুবই সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। ঘটনা প্রবাহ পরবর্তীতে কোন দিকে যায় দেখার জন্য গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম।

শুধু বুঝতে পারছি না, দাদি কীভাবে গহরের ঘটনা জেনেছিলেন। পরবর্তী পর্বে আপনি নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে আলোকপাত করবেন। আমার মনে হয় দাদি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।

শুভকামনা রইল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম দু'লাইনে ব্যাপক অনুপ্রেরনা পেলাম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
দাদি কিভাবে দাদি কিভাবে ঘরের ঘটনাটি জানতে পারে এ সম্পর্কে আপনার মনে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। দেখার দেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। অনেকদিন পর পোষ্ট দিলে মেইনস্ট্রিম থেকে পাঠকের ধারনার বিচ্যুতি ঘটে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় কমেন্ট কারী ছোট বোন মুক্তা নীলের কমেন্টের প্রতিমন্তব্যে আমি অনেকটা সে বিষয়টি উল্লেখ করেছি। প্লিজ একবার দেখে নিন আপু। আশাকরি আপনার কৌতুহল কিছুটা হলেও নিবৃত্ত হবে।
পরবর্তী পর্বের জন্য অগ্রিম আমন্ত্রন জানিয়ে রাখলাম।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: চলতে থাকুক দাদা।
অনুরোধ খুব বেশি দেরী করবেন না।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ ছোট ভাইকে আন্তরিক মন্তব্য রেখে দেওয়ার জন্য। এখন থেকে চেষ্টা করব যাতে আরো দ্রুত পোস্ট দিতে পারি।
শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এবার অন্য রোমাঞ্চকর লেখার অপেক্ষায় আছি

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় নেওয়াজ ভাই আপনাকে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন রোমাঞ্চো তো থাকবেই। কিন্তু গল্পের উত্তরণে আরও একটু অপেক্ষা করতেই হবে।
আশা করি পরবর্তী পর্বগুলোতেও এভাবে আপনাকে পাশে পাব।

শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটিতে প্রথম লাইক প্রদান করে নির্বাচিত হিসেবে সিলেক্ট করার জন্য অনুপ্রেরণা বোধ করছি। উল্লেখ্য নির্বাচিত পোস্ট হিসেবে সিলেক্ট আমার ব্লগিং জীবনে ইতিপূর্বে অনেক বার হলেও প্রথমেই কাভা ভাইয়ের লাইক জীবনে প্রথম। এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা; অনন্য ভালোলাগা। ধন্যবাদ সামহোয়্যার ব্লগকে। ধন্যবাদ কাভা ভাইকে।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আগের পর্বগুলোর মতোই দারুন সুখপাঠ্য ও উপভোগ্য্ !!
তবে এক পর্ব থেকে আর এক পর্ব যোজন যোজন দূরে
থাকার কারনে খেই হারিয়ে ফেলি। আগের পর্ব RECAP
করতে হয়। যা হোক গন্থ আকারে পেলে সব সমস্যার সমাধান
হবে। আসছেতো আগামী বই মেলায় ? শুভ কামনা রইলো দাদা।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নুরু ভাই,

আশা করি ভাল আছেন। পোস্টটি আপনার কাছে সুপাঠ্য ও উপভোগ্য মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে।আর দুটি পর্বের মাঝে সময়ের ব্যবধান বেশ বড় হওয়াতে খেই হারিয়ে ফেলা খুবই স্বাভাবিক। ক্ষমাপ্রার্থী আপনাদের কাছে। তবে এখন থেকে চেষ্টা করব যাতে এই গ্রাফ কমানো যায়। কষ্টকরে রিক্যাপ করে পড়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আর মলাট বদ্ধ করাটা যে কারোর কাছে স্বপ্ন। জানিনা সে স্বপ্ন আমার ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হবে। আপাতত লেখালিখি করে যাই।যদি কখনো সুযোগ আসে তখন না হয় স্বপ্ন সার্থক হবে।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইলো আমার অন্তরের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা।

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেকদিন পর ফিরলাম এই লেখায় ;
প্রশ্ন ছিল তা মুক্তানীল এর মন্তব্য উত্তরে, উত্তর পেয়ে গেছি।

ভালোলাগা ++

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু আপনাকে বহুদিন পর পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেয়েছি। আমি তো ভেবেছিলাম আপনি বুঝি ব্লগের কথা একেবারে ভুলেই গেছেন। আশা করবো এখন থেকে আপনাকে আবার নিয়মিত পাবো। অবশ্য যদি সময় কুলায়।
প্রিয় ছোট বোন মুক্তা নীলের প্রতিমন্তব্যে আপনিও উত্তর পেয়েছেন জেনে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে ভাললাগা ও লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক ভাই আমি আগের কোন পর্ব না পড়লেও এই পর্বটা পড়ার পর আপনার এই সিরিজের প্রতি আগ্রহ অনুভব করছি। এটা কি সত্যি ঘটনা না কি আংশিক সত্যি ঘটনা? বিস্তারিত জানি না তাই জিজ্ঞাস করলাম।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাড়ে চুয়াত্তর ভাই,

আপনি সেই অর্থে এই সিরিজের কোনো পর্ব আগে পাড়েননি ঠিকই তবে যদি সম্ভব হয় তাহলে পূর্ববর্তী পোস্ট গুলো পড়ার অনুরোধ করবো। আপনার আগ্রহ দেখে আমি প্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
সবশেষে কমেন্টের শেষ পর্বে আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলি, কিছুটা সত্য তো বটেই। আর তাকে নিয়েই তো সাতক্ষীরা থেকে বেলগাছিয়ায় উত্তরণ।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।


১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৩

মা.হাসান বলেছেন: পরের পর্বের জন্য দাওয়াত তো দিয়ে গেলেন, পরের পর্ব আসবে কবে? :|

যা ঘটার তা ঘটবে। এর পরেও খারাপ কিছু ঘটলে সরল মানুষ নিজের দায় খোঁজে, খারাপ লোক অপকর্ম করলেও দায় এড়িয়ে যায়। মামু চাচার দাদা সরল লোক ছিলেন। দাদার কাঠ মিস্ত্রি থেকে বাঁশ মিস্ত্রীতে রূপান্তরের ঘটনা জানা গেলো। মামু চাচা স্বাভাবিক ভাবে বাঁশের কাজ জানবেন। ওনার কাঠের কাজ শেখার ঘটনা পরের পর্ব গুলোতে আসবে অনুমান করি।

গ্রামে এক বাড়িতে কোন উপলক্ষ্য পেলে সবার আগমন এমনকি কুড়ি বছর আগেও স্বাভাবিক ঘটনা ছিলো। মৃত্যু বা বিয়ের মতো বড় ঘটনা না, এমনকি খুব সামান্য উপলক্ষ্যেও একজনের পাশে অনেকে চলে আসতেন। আমার নানী বাড়িতে দেখেছি, নারকেল তেল যে দিন বানানো হতো, মহল্লার মহিলাদের অনেকেই সকাল থেকে এসে নারকেল কুরে দিয়ে সাহায্য করতেন। এসব খুব স্বাভাবিক ছিলো। এখন সবাই নিজ চিন্তায় ব্যস্ত।

মামু চাচার দাদিকে কে ছেলের উপস্থিতিতে দাফন করা হলো নাকি অনুপস্থিতিতে দাফন করা হলো পরিস্কার হলো না। ইসমাইল চাচা সাইকেল নিয়ে গেলেন, দাফনের পর মামুচাচার সাথে দাদার দেখা হলো, বাবা অনুপস্থিত। ওনারা কি দাফনের আগেই এসেছিলেন?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথা বহির্ভূতভাবে মাঝের তিনজনের কমেন্টের উত্তর না দিয়ে মা.হাসান ভাইয়ের কমেন্টের একটি বিশেষ উত্তর দিতে উপরোক্ত তিনজনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

প্রিয় মা.হাসান ভাই,

আমি আপনার মূল কমেন্টের প্রতিমন্তব্য সিরিয়াল মন্তব্য অনুসারেই দেবো। তবে আপনার নাতিদীর্ঘ মন্তব্যের একটি বিষয়ে তাৎক্ষণিক উত্তর দিতেই প্রথা বহির্ভূত ভাবে এগিয়ে এলাম। ‌ স্বামী পুত্রের অনুপস্থিতি দাফন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রশ্ন তোলায় আপনাকে রইল আমার অন্তর স্যালুট। আসলে কথাটা দাফন-কাফন হলেও। মায়াতের গোসলের পরে সাদা পাঁচ খন্ড কাপড় পরানোকেই কাফন বলে। আর দাফন হল কবরে শায়িত করে মাটি দেওয়া।কথাটি এক্ষেত্রে দাফন-কাফন না হয় কাফন-দাফন হলেই সুবিধার হতো। যাইহোক শব্দটি দাফন না হয়ে ওখানে কাফন হবে। আমি এখনই ঠিক করে দিচ্ছি।
বাকি প্রতিমন্তব্যের জন্য পরে আসছি।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাই বলুন না কেন, পরের পর্বেরও দাওয়াত দিয়ে রাখলাম। যদি কোনো কারণে দেরি হয় তবে রাগ করে যায়েন না। বেচারি আমি, হাপুস নয়নে কেঁদে হাট পাকাবো কইয়ে দিলুম। হেহেহে
দাদার কাঠমিস্ত্রি থেকে বাঁশ মিস্ত্রি হওয়ার ঘটনা আপনি জানতে পেরেছেন। একইসঙ্গে ঠিকই অনুমান করেছেন মামু চাচার কাজ শেখার ঘটনাটি পরবর্তী অধ্যায়ে আলোচিত হবে।

আজ থেকে কুড়ি বছর আগেও গ্রামের যে সংহতি বোধের চিত্র তুলে ধরেছেন তা বর্তমানে অস্তমিত প্রায়। সংকীর্ণ ব্যক্তিগত স্বার্থ রাজনৈতিক হানাহানি বহুমাত্রিক প্রতিযোগিতায় গ্রামের সংহতি বোধের আজ বড়ই অভাব। আপনার নানা বাড়ির ঘটনাটি এ প্রসঙ্গে খুবই আকর্ষণীয় লাগলো। শবেবরাতের কিছুদিন আগে থেকে ঢেঁকিছাঁটা চালের জন্য গ্রামের বিভিন্ন মহল্লার মহিলাদের একত্রিত হয়ে চাল থেকে আটা তৈরির ঘটনা এ যেন এক ইতিহাসে পরিণত হয়েছে।

দাফনের ব্যাপারটা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি।‌ আর ইসমাইল চাচা বড় ভাই ও বাপকে খবর দিতে যাওয়ার কথা উল্লেখ করলেও সাইকেল নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। আবারো বলি, গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটিটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। এ আর নতুন করে বলার নয় যে আপনি একজন বিদগ্ধ পাঠক।

পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।



১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আপনার বেশির ভাগ লেখাই সত্য। আমার ধারনা আপনি বানিয়ে বানিয়ে কম লিখেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে.... ভাইয়ের ভাবনায় মুগ্ধতা। আবার কমেন্ট করাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
ভালোবাসা সতত।

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

আমেনা বেগম চৌধুরী বলেছেন: ভাইয়া ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া সিরিয়াল লেখা, তাই আমি প্রথম থেকে পড়ছি। ধন্যবাদ জানবেন।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,

গতকাল কিছুতেই প্রতিমন্তব্য দেওয়ার সবুজ বাটন আসছিল না। যে কথা আমি আপনার পোস্টে গিয়ে উল্লেখ করেছি। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট; সু স্বাগতম আপনাকে।
আপনি প্রথম থেকে পড়বেন শুনে আমি আনন্দ পেয়েছি। আশাকরি সময় নিয়ে পোষ্টগুলো একবার দেখবেন নিজের মূল্যবান মতামত।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা রইলো।

১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪১

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: আপনার লেখা গ্রুপে খুব কমই পড়েছি। আজকে এটা পড়লাম। সিরিয়াল লেখা, বাকি পর্ব না পড়লে বুঝা যাবে না।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে। যদি সম্ভব হয় তাহলে আমার এই সিরিজের পুরানো পোস্ট গুলো পড়তে পারেন। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

ইসিয়াক বলেছেন: ও মোর খোদা গো এইডা আবার কবে পোস্টইলেন......।আপাতত লাইক দিয়ে গেলাম। পোস্ট পড়ে মন্তব্য করবো।
শুভকামনা।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অবশেষে কবি ইস্তিয়াক ভাইয়ের দেখা পেয়ে শান্তি পেলাম। আমি তো ভেবেছিলাম, কি জানি এবছর আর দেখা পাব কিনা সন্দেহ। আপাতত আপনার লাইক নিয়েই সন্তুষ্ট হল আছি। পোস্ট পড়ে মূল্যবান মন্তব্য করবেন সেই অপেক্ষায় রইলাম।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

ইসিয়াক বলেছেন: আজকের পর্বটা পড়তে পড়তে আমার কেমন যেন গায়ে কাটা দিয়ে উঠছিলো । এইবার না মাহমুদ ধরা পড়ে যায়।
আজকের পর্বে উপস্থাপন খুবই ভালো হয়েছে।
# কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো।নতুন কম্পিউটার কিনে লগ ইন করলাম। মোবাইলে সামুতে ঢোকা যায় না।
শুভকামনা রইলো প্রিয় দাদা।
এবারের পর্ব দেরি করে দিলে খবর আছে কিন্তু :-B

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক অবশেষে মহাশয়ের আবির্ভাব ঘটল। কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে শুনে যারপরনাই ব্যথিত। তবে নতুন যেহেতু নিয়েছেন আশা করি এখন থেকে ফুলস্পিডে ব্লগিং করবেন।
যাক অবশেষে এই পর্বটা যে সাবলীল লেগেছে এটাই আমার কাছে আনন্দের। চাপে থাকলাম যে আগামীতে এরকম সাবলীল উপস্থাপনা আপনাকে আর উপহার দিতে পারব কিনা।
মাহমুদ মুন্সি ধরা পড়ে কিনা সে বিষয়টি জানার জন্য আপনাকে আপাতত পরবর্তী পর্বগুলোতে চোখ রাখতে অনুরোধ করবো।
আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম।

পরবর্তী পোস্ট হয়তো আরেকটু দেরি করেই দিতাম কিন্তু আপনি ধমকাচ্ছেন দেখে ভয় পেয়ে আগামী দু-একদিনের মধ্যে দেওয়ার অঙ্গীকার করছি। প্লিজ আর চমকাবেন না আমি ভয় পেয়ে গেছি। হেহেহে. ।

শুভকামনা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২১

ইসিয়াক বলেছেন: আগের মতো নিয়মিত ব্লগে সময় দিতে হয়তো পারবো না। কারণ কাজের প্রচুর চাপ। তার পরেও আন্তরিক চেষ্টা থাকবে। এই উপন্যাসটা কি বই হিসাবে আসবে? মরীচিকাও কিন্তু খুব ভালো উপন্যাস। একটু পরিমার্জন করলে অনবদ্য উপন্যাস হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার মন্তব্যে আসাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় ইসিয়াক ভাই আপনাকে।
আপাতত লিখে খাতা ভর্তি করি। মলাট বদ্ধ করতে পারবো কিনা সেসব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করতে চাই না।
আপনার পরামর্শ ভালো লেগেছে। আপনি নিজেও জানেন নিজের লেখাতেও কখনো পরিতোষ প্রাপ্তি হওয়া যায়না।এডিশন/অলটারেশন চলতেই থাকে।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

১৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সিরিজটা পড়া হয়ে ওঠেনি। দেখি, সময় পেলে পড়ার ইচ্ছে থাকলো। আপনার অনবদ্য লেখা মূল্যায়ন করার সক্ষমতা এ অধমের নেই। দুআ সবসময়, আরও আরও ভালো লিখে সাহিত্যরসে সিক্ত করতে সক্ষম হোন পাঠককূলকে। বাংলাভাষাভাষী প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের মাঝে বেঁচে থাকুন চির দিন।

ব্লগার আরোগ্যর স্বাস্থ্যগত অবস্থার সর্বশেষ কোনো সংবাদ জানা থাকলে দয়া করে যদি জানান, বিশেষ কৃতজ্ঞতা থাকবে।

অনেক অনেক শুভকামনা। +

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নকিব ভাই,

কতদিন পর আপনার দেখা পেলাম। ভীষণ আনন্দ হচ্ছে আপনার কমেন্ট পেয়ে। আপনি ব্যস্ত মানুষ; দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততার মাঝেও টুকটাক ব্লগে আসেন, লেখালেখি করেন। তবে এসব করেও যদি সময় পান তাহলে এই সিরিজের পুরানো পোস্টগুলি দেখার অনুরোধ রইলো। পাশাপাশি নিজের সম্পর্কে যেটা বললেন সেটা শুনে যে শরম লাগে নকিব ভাই। আপনাকে সম্মান জানিয়েই বলছি নিজেকে অধম ভাবাটা বোধহয় ইসলামে কোন অবস্থাতেই সিদ্ধ নয়। অবশ্য আমি ভুল হতেই পারি। সেক্ষেত্রে আগাম ক্ষমাপ্রার্থী।

আর ব্লগের সঙ্গে প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের তুলনা? ওরে বাবা! কার সঙ্গে কার তুলনা? ওসব প্রথিতযশা সাহিত্যিক হওয়ার স্বপ্ন দেখিনা, তবে আপনারা যদি এভাবে পাশে থাকেন তাহলে ব্লগে লিখেই যে আনন্দ পাই সেটাই বা কম কিসের। অস্বীকার করব না এই আনন্দ পেতেই ব্লগে লেখা।
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

ব্লগার আরোগ্যকে আমি অনেক গুলো মেইল করেছিলাম। তিন/চারদিন আগে একটা মেইলে ও জানিয়েছিল একটু ভালো আছে। আর কিছু লেখেনি। আবার জানলে আপনাকে আপডেট জানাবো।
সবশেষে আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইলো নিরন্তর শুভকামনা।

১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোন ফাঁকে যে মিস হয়ে গেছে দেখাই হয়নি!

আজ ১০ পড়তে গিয়ে মনে হলৌ সামথিং মিসিং
আবার ভ্যাক টু প‌্যাভিলিয়নে এসে ৭, ৮ চেক করে দেখি ৯ নম্বরটাই মিসিং :P

তাই হাজিরা দিয়ে গেলাম দাদা:)

বেশ পরিপক্ক রুপায়নে চরিত্র গুলো ফুটছে একে একে :)

+++

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটু দেরিতে প্রতিমন্তব্য দেওয়াতে ক্ষমা প্রার্থী। শুভ সন্ধ্যা শ্রদ্ধেয় কবি ভাইকে। প্রত্যাহিক কর্মব্যস্ততায় কোন একসময় হয়তো আপনার চোখের আড়ালে চলে গেছে। কিন্তু দেরিতে হলেও আপনি যে এসেছেন এটাই আমার কাছে পরম প্রাপ্তি। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরের পর্বে আপনার প্রতি মন্তব্য ইতিমধ্যে দিয়ে এসেছি। পরবর্তীতে চোখ বুলিয়ে নেওয়াতে আশা করি মিসিংটা দূর হয়েছে অথবা দুটি পর্বের মধ্যে সাযুজ্যতা খুঁজে পেয়েছেন।
চরিত্রগুলোকে বেশ পরিপক্ক মনে হওয়াতে ও পোস্টে লাইক করাতে এবং সঙ্গে এত্তগুলো প্লাসে দারুণ অনুপ্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় কবি ভাইকে।


১৯| ১৪ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের সাসপেন্স বেশ আঁটসাঁটভাবে ধরে রেখেছেন এ পর্বেও। একজন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর দাফন কাফনের অব্যবহিত আগে বাড়ীর পরিবেশটা বেশ নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন।

মুক্তা নীল এবং মা.হাসান এর মন্তব্য ভাল লেগেছে। +

পোস্টে সপ্তদশতম ভাল লাগা + +।

০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ব্লগে অনিয়মিত হওয়াতে সময়ে উত্তর দিতে পারছিনা। যদিও এই কমেন্টটা চোখে পড়েনি।
" গল্পের সাসপেন্স বেশ আঁটসাঁটভাবে ধরে রেখেছেন এ পর্বেও। একজন মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর দাফন কাফনের অব্যবহিত আগে বাড়ীর পরিবেশটা বেশ নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন।" আপনার এমন আন্তরিক মন্তব্য আমার কাছে বড় অনুপ্রেরণা স্যার। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজস্ব ব্লগিং পরম্পরায় মুক্তা নীল ও মা.হাসান ভাইয়ের কমেন্ট ভালো লেগেছে জানানোয় ওনাদের পক্ষ থেকে আবারো ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
পোস্টে সপ্তদশ লাইক প্রদান করাতে প্রেরণা পেলাম ; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.