নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
মামু চাচা আবার বলতে লাগলো,
-দাদির মৃত্যুর খবর পেয়ে দাদা সেই যে চলে এসেছিল তারপর আর শহরমুখো হয়নি। পূর্বেই উল্লেখিত যে দাদির মৃত্যু দাদাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছিল। মানুষটার হাঁটা-চলা ভাবভঙ্গি সবকিছুই যেন স্থবির হয়ে গিয়েছিল।সারাক্ষণ কামরার মধ্যে কেবল শুয়ে বসে কাটাতো। তিনবেলা খাবার দিলে খেতো।না দিলেও মুখে একবারও খাবারের কথা আনতো না। মা কয়েকবার দাদাকে এভাবে সময় না কাটিয়ে বরং শহরে কাজে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। যদিও দাদা মুখে কিছু না বলে বা না শোনার ভান করে মুখ নিচু করে থাকতো। মা পুনরাই বললে, কখনো বা মুখ তুলে মায়ের দিকে করুণভাবে তাকিয়ে থাকতো। সেই তাকানোর মধ্যে আমি দেখতে পেতাম এক অসহায়ত্বের ছবি যা চোখেমুখের অভিব্যক্তিতে যেন পরিস্ফূট ছিল। আমার মন চাইতো মা যেন দাদাকে এরকমভাবে আর কিছু না বলে। দাদার নির্লিপ্ততার কারণেই হোক অথবা আমার অন্তরের কথা জানতে পেরেই হোক পরের দিকে মা আর দাদাকে কাজে যাওয়া নিয়ে কিছুই বলতো না।ফলে কিছুটা নিশ্চিন্তে বসে শুয়েই দাদার এসময় দিন কাটছিল। এমনই একদিন সকালে খুব ব্যস্ততার সঙ্গে ওনাকে বেরিয়ে যেতে দেখে খুব অবাক হই। যদিও যাবেই বা কোথায় ভেবে প্রথমে বিষয়টিকে পাত্তা দেইনি। ভেবেছিলাম আশেপাশে কোথাও গেলেও অল্প সময় পরে ঠিক চলে আসবে। কিন্তু সেদিনের আমার সেই প্রতীক্ষার কিছুতেই যেনো আর শেষ হতে চাইছিল না। একেতো একটা অপরাধ প্রবণতা সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়াতো। তার পরে সেদিনের বেপাত্তায় ভিতরে ভিতরে যে কতটা দুশ্চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম তা কেবল অন্তর্যামীই জানেন।
সেদিন দাদার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে প্রচন্ড অস্থির হয়ে পড়েছিলাম। আমার মত মাও খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। একটা সময় আর চুপ করে বসে থাকতে না পেরে মা দুপুরের পরে বড় ভাই বোনদের এখানে-ওখানে খোঁজ করতে পাঠিয়ে দেয়।কিন্তু এক এক করে সবাই ফিরে এলেও কোনো সন্ধান না পাওয়াতে দুশ্চিন্তার করাল ভাঁজ আমাদের গোটা পরিবারকে গ্রাস করে। অগত্যা বাড়ির বড়দের খবর দেওয়ার জন্য সবে কথাবার্তা চলছিল এমন সময় সন্ধ্যার একটু আগে দাদা বাড়ি ফিরলে আমাদের যাবতীয় সংশয়, দুশ্চিন্তার নিরসন হয়। আমরা উৎকন্ঠিত হয়ে নানান প্রশ্নে দাদাকে জর্জরিত করলেও প্রতিউত্তরে দাদা নিরুত্তর থাকে। পরেরদিন একইভাবে সকালবেলা আবার বের হলে আমি মায়ের নির্দেশমতো দাদাকে অনুসরণ করতে থাকি। অনেকটা পথ হেঁটে গিয়ে দেখি দাদা একটা বাড়িতে সবে বাঁশের কাজে হাত দিয়েছে। সামনে পড়ে যেতেই ধরা খেয়ে গেলাম। অকপটে স্বীকার করি,
-তোমাকে খুঁজতেই আমি বার হয়েছি।
স্বভাবতই দাদা খুব খুশি হয়েছিল সেদিন আমার এমন পিছু নেওয়াতে বা এমন অকপটে স্বীকারোক্তিতে। শিশুর মতো এক গাল হেসে,
-এসেছিস যখন আমাকে সাহায্য করনা দাদুভাই?
আমি এক কথায় রাজি হয়ে যাই। সেদিন থেকেই নেমে পড়ি দাদার সঙ্গে বাঁশের কাজ করতে। একটু বেলা বাড়লে বাড়িওয়ালা দাদি পরম যত্নে দাদার জন্য কাঁচা লঙ্কা ও পেঁয়াজ দিয়ে পান্তাভাত সাজিয়ে আনে। আরেকটি থালা চেয়ে নিয়ে কিছুটা ভাত দাদা আমাকে খেতে দেয়।কি অসাধারণ লেগেছিলো কাজের বাড়িতে সেদিন দাদার সঙ্গে বসে পান্তাভাত খেতে। কাজ করলে যে অন্যের বাড়িতেও খাবার পাওয়া যায় এটা আমার কাছে ছিল সম্পূর্ণ অজ্ঞাত।মনে মনে সংকল্প নেই, এমন সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করা যাবে না। উল্লেখ্য সেদিন দুপুরবেলাতেও দাদার খাবারে আমি ভাগ বসায়। সেদিন বেলাকরে বাড়ি ফিরলে মা অবাক হয়। মাকে খুলে বলি সব কথা। মায়ের পরামর্শ মতো পরেরদিন থেকে পুরো মাত্রায় দাদার সঙ্গে কাজে নেমে পড়ি।বলে রাখা ভালো যে দাদার কাছে কাজ শেখার চেয়ে কাজের বাড়িতে সকালের পান্তাভাত ও দুপুরের গরমভাত যে আমাকে কাজের প্রতি অধিক আকৃষ্ট করে তুলেছিল তা অস্বীকার করি কেমনে।
এদিকে দাদা গ্রামে কাজ করছে- এ খবর খুব দ্রুতই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অল্পদিনের মধ্যেই আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে টুকটাক বাঁশের কাজ আসতে থাকে। অবশ্য বেশি দূর হলে দাদা সঙ্গে সঙ্গে না করে দিত। দাদার সঙ্গে থাকতে পেরে এতদিন পরে আমারও যেনো একটা হিল্লে হল। নতুন কাজের সূত্রে দাদার সঙ্গে আমার সখ্যতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। দাদার পিছনে আঠার মত লেগে থাকতাম এক কাজের বাড়ি থেকে আরেক কাজের বাড়ি পর্যন্ত। দাদার পিছনে এভাবে ঘুরে বেড়ানোয় মায়ের দিক থেকেও কোনো সমস্যা ছিল না। মায়ের কাছে কাজের চেয়ে দাদাকে চোখে চোখে রাখাটাই অধিক গুরুত্বের ছিল। যাইহোক দাদার পিছনে লেগে থাকায় কিছুদিন যেতেই কাজটির প্রতি আমার বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়। দাদাকে বলিও সে কথা।খুব খুশি হয়েছিল সেদিন দাদা আমার সরল মনের এমন ভালোলাগা প্রতিক্রিয়া পেয়ে। পরের দিকে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি দাদাকে সবাই খুব খাতির করতো। আমিও যেন দাদার সেই সম্মানের কিছুটা ভাগীদার হয়ে উঠলাম। দাদার সুবাদে আমাকেও লোকে বেশ খাতির করতে থাকে। আমি বিষয়টি বেশ উপভোগ করতাম। প্রায়ই কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে দাদার সঙ্গে আমার আলোচনা হতো। প্রচন্ড স্মৃতিকাতর হয়ে যেতো দাদা শহরের প্রসঙ্গ উঠলে। কত বড় বড় মানুষের সঙ্গে শহরে দাদার পরিচয় ছিল।উঠে আসতো হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির কথা।হালদার বাবুর বাড়িতে দুর্গাপূজার সময় কতই না তারা মজা করত। উৎসব অনুষ্ঠান উপলক্ষে হৈ-হুল্লোড় আমোদ-প্রমোদের কথা শুনে আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। কতরকমের মজাদার খাবার দাবারের কথাও দাদা উল্লেখ করতো।শহরে না গেলে নাকি মানবজীবন অসম্পূর্ণ থাকতো।
তবে এত আনন্দ,এত উপভোগের মধ্যেও একটা বিষন্নতার করুন সুর দাদার কথায় ও চোখে মুখে ধরা পড়তো। মুহুর্তের মধ্যেই কেমন যেন গুটিয়ে যেত। ঘনঘন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতো,
-স্বাধীনতা বুঝি আমরা আর এজীবনে দেখে যেতে পারব না দাদুভাই।
দাদার এই হঠাৎ গম্ভীর হয়ে যাওয়া বা এসব স্বাধীনতার মানে আমি ঠিক বুঝতে পারতাম না। তবে ওনার হঠাৎ চুপসে যাওয়া দেখে আমিও মুখ কাচুমাচু করে বসে থাকতাম। আশঙ্কা করতাম এই বুঝিনা আবার দাদির প্রসঙ্গ তোলে। কিছুটা স্বগতোক্তি করে বলতে থাকে,
কত লোক দেশের জন্য লড়াই করছে। কত রক্ত ঝরছে দেশের জন্য। আমি অবুঝের মতো প্রশ্ন করতাম, দেশ থাকতে আবার দেশের জন্য কারা লড়াই করছে দাদা? কেন দেশটা আমাদের নয় দাদা? দাদা বিজ্ঞের মতো মাথা নাড়িয়ে বলতো,
-দেশটা আমাদের হলেও আমাদের নেই। আমাদের মাথার উপরে ইংরেজরা বসে আছে।
দাদার উত্তর আমার ভালো লাগতো না। আমি ছোট ঠিকই তাই বলে অন্ধ নই। পরিষ্কার মাথার উপরে ফাঁকা আকাশ দেখতে পাচ্ছি। অথচ দাদা বলে দিলে মাথার উপর ইংরেজরা আছে। দাদাকে বললে সেকথা, কেমন উদাসিন হয়ে,
-সে তুই বুঝবিনা দাদুভাই। আরেকটু বড় হলে বুঝবি মাথার উপরে আকাশ না কারা আছে। তবে মাথার উপরে যেই থাকুন দাদার সঙ্গে আমার এই সখ্যতার মধ্যে কবে যে দাদা দাদির শোক কাটিয়ে উঠেছে তা আমরা কেউই খেয়ালই করতে পারেনি।
একদিন কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখি মায়ের মুখটা বেশ ভার। বুঝছে পারি নিশ্চয়ই কোনো অঘটন ঘটেছে।মাকে জিজ্ঞেস করতেই,
-আসমার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আমি অবুঝের মতো আবারো জিজ্ঞেস করি,
-কেন মা চাচিমা কোথায় গেছেন?
কিছুটা ধমকের সুরে,
-কোথায় গেছে জানলে কি আর পাড়া শুদ্ধু সবাই এত চিন্তা করে?
তিন ভাইবোনের মধ্যে বয়সে মেজ আসমার নামেই কাবুল চাচা স্ত্রীকে ডাকতেন। স্বভাবতই পাড়ার সকলেই চাচিমাকে আসমার মা বলেই জানে। গহরের মৃত্যু পর পুত্রশোকে শোকাতুর চাচিমা দিনরাত ছেলের কথা ভেবে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে ছিলেন। কারো কোনো কথাতেই উনি স্বাভাবিক হচ্ছিলেন না।কেবল পাগলের মত আচরণ করতেন। কাবুল চাচাও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন স্ত্রীকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে স্বাভাবিক করতে কিন্তু পারেননি। দিনের বেলা তো বটেই রাতের বেলাতেও কুপির আগুন নিয়ে চাচি দর্মার বেড়া বা খড়ের চালের মধ্যে ছেলেকে খুঁজে বেড়াতেন। একবার খড়ের চালের বেশ কিছুটা পুড়েও গেছিল। চাচা সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পেয়ে চিৎকার করাতে সবাই মিলে পানি দিয়ে আগুনটি নিভিয়ে দেয়। তারপর থেকে চাচিকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখতো। দুপুর বেলা গোসল করার সময় একটু ছাড় পেত। ছোট দুই ভাই বোন জহর ও আসমা মাকে দেখভাল করতো। চাচা সামনে না থাকলে দুই ভাই বোন মায়ের বাঁধন খুলে দিতো। কাবুল চাচা ফেরার আগেই আবার বাঁধন পড়িয়ে দিতো। সম্ভবত ছেলেমেয়েদের এই খোলা বাঁধনের মধ্যেই অসাবধানতাবশত চাচি কোথাও চলে গিয়ে থাকবে। যাইহোক তাৎক্ষণিকভাবে খবরটি শুনে প্রচন্ড ভেঙে পড়ি।মনে মনে আশঙ্কা করি, পরিবারটার কপালে আরও কি দুর্ভোগ আছে কে জানে....
পর্ব-৯
পর্ব-১১
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ নুরু ভাই, শুরুতে আপনাকে পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি হয়তো জানেন না যে আমি সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সাত তারিখ থেকে হোম আইসোলেশনে আছি। যেকারণে সাময়িক লেখাতে একটু বড় গ্যাপ তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য গতকাল থেকে আবার ব্লগে ফিরেছি। আজকে প্রথম খাবারে স্বাদ পেলাম।আর দিনের বেশিরভাগ সময় ব্লগেই কাটালাম এবং নুতন পোস্ট দেওয়া। আশাকরি পরের পর্বগুলোতে আর তেমন সময় নেবো না।
পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৩
ইসিয়াক বলেছেন: মোবাইলে আমি লাইক দিতে পারছি না। শিখিয়ে দিন প্লিজ
গল্প দারুণ এগুচ্ছে। তবে শেয়ার,নস্টালজিক এই ইংরেজি শব্দগুলো গল্পের মানহানি করেছে বলে মনে করছি।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই আপনাকে। আপনি উল্লেখ করতেই আমি শব্দদুটি ঠিক করে দিয়েছি। পারলে আরেকবার দেখে নিতে পারেন।আর মোবাইল থেকেই তো আমি সেই প্রথম থেকেই ব্লগিং করি। মোবাইলই আমার গিটার বা তানপুরা বলতে পারেন। কাজেই তাকে নিয়ে সুবিধামত ব্যবহার করুন। ব্লগিংকে আরও হাতের মুঠোয় নিয়ে আসুন।মোবাইলং জয়তু... হেহেহে..
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৬
ইসিয়াক বলেছেন: গতকাল আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে গিয়ে বড় মন্তব্য নিলো না।যা হোক মোবাইলে নতুন ব্লগিং করছি।আশা করি বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। মোবাইলে ব্লগিং এ খুব মজা শুয়ে শুয়ে ব্লগিং করছি হা হা হা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হয়তো আপনার নেটওয়ার্কের সমস্যা ছিল। অনেক সময় ভালো নেট না থাকলে কমেন্টের চাকা ঘুরে আবার অফলাইন হয়ে যায়।আগে ট্রেনে ব্লগিং করার সময় এমন সমস্যায় আমি বহুবার পড়েছি। কিন্তু একজায়গায় থাকলে সাধারণত নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকলেও অফলাইন হয়না। তবে শুরুতে একটু সমস্যা হলেও কিছুদিন পরে দেখবেন সবকিছু ঠিকঠাক চলছে।
আমি নিজেও কখনো শুয়ে বসে ব্লগিং করি।
একটা কমেন্ট চলে গেছে বলে দুঃখ না করে আরেকটি কমেন্ট লিখুন আশাকরি নিশ্চয়ই চলে আসবে।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি অবগত ছিলাম আপনার পরিবরসহ শারীরিক
অসুস্থ্যতা্র ব্যাপারে যদিও কোন কিছুই করার ছিলোনা
দোয়া প্রার্থনা করা ছাড়াভ। আপনি সুস্থ্য হয়ে পুনরায়
আমাদের মাঝে ফিরে আশায় আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
পরিবারের সবার প্রতি শুভেচ্ছা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনি আবার এসে নিজের আন্তরিক শুভাশিস জানানোর জন্য। আশা করি এবার থেকে নিয়মিতভাবেই বাকি পর্বগুলো আপনার সামনে তুলে ধরব। আপনাকেও বরাবরই পাশে পাবো আশা করি।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৩
ইসিয়াক বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক। এবার দাপিয়ে ব্লগিং করুন। আর পোস্ট কিন্তু দ্রুত চাই।নো ফাঁকিবাজি। শুভকামনা রইলো প্রিয় দাদা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে ব্লগিং করতে বলুন ঠিক আছে। দাপিয়ে বেড়ানোর কথা বললে যে মনে শরম লাগে। বয়স হয়েছে। লাঠি নিয়ে চলতে হয়। আমার লাঠিটার কথা মনে রেখে একটু ছাড় দিয়েন প্লিজ। হেহেহে
৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক দিন পর আসলেন চৌধুরী সাহেব। যাক ফিরে আসায় শুভেচ্ছা। ভালো লাগলো লেখা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ নেওয়াজ ভাই অনেকদিন পরেই এসেছি। কেমন আছেন আপনারা?
পোস্ট ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৪
রামিসা রোজা বলেছেন:
আপনাকে ব্লগে দেখে খুবই ভালো লাগছে । দোয়া করি, সপরিবারে সুস্থ থাকুন ।
দাদির মৃত্যুতে দাদা ভেঙে পড়বেন এই বয়সে অত্যন্ত
বেদনাদায়ক কারণ বৃদ্ধকালে সঙ্গীহারা ।পান্তাভাত কাঁচা
মরিচ ও পেঁয়াজ দিয়ে আমারও খুব প্রিয় । কত সনের
সংগ্রামের কথা বলছেন ? পুত্রশোকে পাগল হয়ে মা'য়ের পাগলপ্রায় অবস্থা যা একেবারেই বাস্তব জীবনের চিএ ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আপনাকে। হ্যাঁ গতকয়েকদিনের তুলনায় আজ অনেকটাই সুস্থ হয়েছি। তবে গৃহবন্দীত্ব অবশ্য এখনও যাবেনা। আগামী ২২ তারিখ পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হবে। আমি আপনার আন্তরিক দোয়া প্রার্থনায় প্রীত হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা খুবই স্বাভাবিক যে পরিণত বয়সে একজনের ছেড়ে যাওয়া আরেক জনের পক্ষে অত্যন্ত বেদনার হয়ে থাকে। দাদির চলে যাওয়া দাদার কাছে একারণে এতটাই দুঃখজনক এতটাই বিষণ্ণের। কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ যোগে প্রান্তভাগ আপনারও প্রিয় জেনে খুশি হলাম। গরমকালে আমিও ছুটির দিনে প্রায়ই পান্তা ভাত খেয়ে থাকি। তবে সঙ্গে যদি একপিস মাছ ভাজা থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই।ব্লগে অনেকেই আবার ইলিশ খুঁজে বেড়াবে। যেটা আমার কাছে নেহাত ও বিলাসিতা। হেহেহে.....
এই গল্পের পরেই সাতচল্লিশের দেশভাগ চলে আসবে। মাঝে অবশ্য অনেক ঘটনা ঘটে যাবে। আশাকরি বরাবরের মত আপনাকে সঙ্গে পাব।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার পরিবারের সবাই ভাইরাস মুক্ত?
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমাদের দেশের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গে আপনাকে কিছুটা ধারণা দেই। আমার মিসেসের জ্বর আসে পাঁচ তারিখে বিকালে। এখনকার জ্বর নিয়ে আমি সতর্ক থাকায় ছয় তারিখে ওকে পূর্ব পরিচিত ডাক্তার বাবু কাছে নিয়ে যায়।সাত তারিখে ডাক্তার বাবুর পরামর্শ মতো ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া টেস্ট করি।ঐদিনেই বাচ্চাকে বড় বোনের বাসায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি। 8 তারিখে বারাসাত হসপিটালে মিসেসের করোনা টেস্টের জন্য নিয়ে যায়।হাসপাতালে অপরিসর জায়গায় যেকোন সুস্থ মানুষ গেলেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনার কথা অস্বীকার করা যায় না। উল্লেখ্য এ দিনেই আমার প্রথম জ্বর আসে। বারো তারিখে বিকাল চারটে দুই মিনিটে মোবাইল ফোনে মিসেসের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। লিংক ক্লিক করতেই রিপোর্টটি দেখতে পাই। উল্লেখ্য আট তারিখে ওর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আমি জ্বর গায়ে মার্কেট থেকে অক্সিমিটার ও একটি ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসি। যা নিয়ে প্রতিদিন রাত্রে অক্সিজেন মেপে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিই। এদিকে আমার জ্বরো ইতিমধ্যে মারাক্তক আকার ধারণ করে।একটা রিপোর্ট পেতে যদি পাঁচদিন সময় লাগে তাহলে করোনার আইসোলেশনের মানে ঠিক লোক দেখানো বলেই মনে হয়। রিপোর্ট পেতে চার দিন সময় লাগাতে ততদিনে তো আমাদের ঘেটে ঘ হয়ে গেছে।
পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর এবার রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক, নর্থ চব্বিশ পরগনা জেলা কোভিদ সেল, ডিএম অফিস থেকে বিভিন্ন সময়ে ফোন আসতে থাকে। যন্ত্রের মত ফোনগুলি রেকর্ডিংএর কথা শুনিয়ে আমাকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে চায়। আমি সর্বাধিক সহযোগিতা করি। লোকাল পৌরসভা আমার বাড়ির চারদিকে স্যানিটাইজ করে আগামী ছয়দিনের জন্য ময়লা একজায়গায় করার কথা বলে একটা বড় পলিথিন দিয়ে দেয়। আমি সেইমতো দিনের যাবতীয় উচ্ছিষ্ট পলিথিনের মধ্যে সংরক্ষণ করছি। এমতাবস্থায় সামনের বাইশ তারিখে আবার যদি টেস্ট করি সেক্ষেত্রে নেগেটিভ রিপোর্ট পেতে আরো চার/পাঁচ দিন টাইম লাগলে( অন্তত পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তো সেটাই বলে।) আগামী26/ 27 তারিখ নাগাদ আমরা করোনার ভাইরাস মুক্ত বলে অনুমান করা যেতে পারে।
৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫২
জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনি যে ফিরে এসেছেন এবং আপনার পরিবারের সবাই ভালো আছেন জেনে খুব খুশি হলাম।
মাঝে বেশকিছুদিন ব্লগে না আসায় পাঠ ধারাবাহিকতায় ছন্দপতন হয়েছে।আমাকে আবার কিছুটা পিছনে গিয়ে পড়া শুরু করতে হবে।
পূর্ণ সুস্থ হয়ে আপনারা সবাই এ শুভকামনা রইলো।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাদের সকলের দোয়ায় মোটামুটি দ্রুত সুস্থ হয়েছি বৈকি। পরিবারও এখন অনেকটাই ভালো আছে। প্রত্যাহিক ব্যস্ততার কারণেই সম্ভবত আপনি অনেকদিন ব্লগে অনিয়মিত হয়ে গেছিলেন। যদি আবার সময় করে উঠতে পারেন বা সম্ভব হয় তাহলে আমার পূর্ববর্তী পোস্টগুলো দেখার অনুরোধ রইলো।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় ভাই।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৪
আনমোনা বলেছেন: আপনারা ভালো আছেন জেনে সস্তি বোধ করছি।
সময়টা কি চল্লিশের দশকের? না আরো আগের?
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু। আমাদের সুস্থতা আপনার স্বস্তিবোধের কারণ জেনে আনন্দিত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন।সময়টা চল্লিশের দশকে। আগামীতেও এভাবে সঙ্গে থাকবেন আশাকরি।
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আপনার পরিস্থিতি নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। আমার আর সুরভির ভীষন মন খারাপ হয়েছে। শুভ্র মনে আপনাদের জন্য প্রার্থনা করি।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের এমন আন্তরিক মন্তব্যে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তবে এখন আমরা বিপদমুক্ত। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গৃহবন্দি থাকা আরকি। তিনবেলা হোমডেলিভারির খাওয়া খেয়ে বেঁচে আছি। ভাইয়ের এমন শুভ্রমনের প্রার্থনায় কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।
ভাই ও ভাইয়ের পরিবারের জন্য রইলো অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা।
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: বাইরের খাবার খেয়ে কি আরাম পাচ্ছেন?
প্রচুর পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যত খাবেন তত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাসায় রান্নার লোকের ছুটি দিয়েছি। এমতাবস্থায় বাইরের খাবার না খেলে তো উপায় নাই। তবে আমি যাদের কাছ থেকে নিয়েছি একেবারে হোমলি রান্না কোন সমস্যা হচ্ছে না খেতে। ভাইয়ের আবার এসে কমেন্ট করার জন্য খুশি হলাম। পুষ্টিকর খাবার চেষ্টা করছে যতটা ইনটেক্ট করা যায়। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
শুভকামনা রইলো।
১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: যেহেতু ধারাবাহিক লেখা। আগের পর্বগুলোর লিঙ্কগুলো দিয়ে দিলে ভালো হয়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো একটি বিষয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। হেহেহে....
দিচ্ছি এখনই লিংক দেয়ার চেষ্টা করছি।
শুভেচ্ছা নিয়েন স্যার।
১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি আবার লেখা দিচ্ছেন দেখেই তো অবাক হলাম। ৮ নাম্বার প্রতি মন্তব্য ভাল করে পড়লাম।
সাবধানে থাকুন। বৌদিকেও সাবধানে থাকতে বলবেন।
পোস্ট নিয়ে মন্তব্য পরে দেবো।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বি চেষ্টা করছি যতটা সাবধানে থাকা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরে পূর্ণাঙ্গ পোস্ট করে মন্তব্য করবেন সে অপেক্ষায় রইলাম.....
শুভেচ্ছা প্রিয় নীল আকাশ ভাইকে।
১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
করুণাধারা বলেছেন: আপনি ফিরেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। দোয়া করি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
এই পর্ব নিয়ে কোনো মন্তব্য করলাম না। অনুরোধ থাকলো, এই মন্তব্যের উত্তর এক শব্দে করবেন। শুভকামনা।
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে আপু। শুভেচ্ছান্তে .....
১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি ধকলটাই না গেল! আপনার, বৌদির, বাবুর উপর দিয়ে!
শুকরিয়া, আল্লাহর রহমতে সুস্থ হবার পথে আছেন।
দোয়া করি রিপোর্ট নেগেটিভই আসুক। এবং আপনার আফটার শক কাটিয়ে পূর্ন সুস্থ হয়ে উঠুন।
এর মাঝে সিরিজ নিয়ে হাজির হয়ে সত্যিই চমকে দিলেন।
গহরের পরিণতিতে আসমার মায়ের নিরুদ্ধেশ হওয়া বেশ বড় ধাক্কা হয়েই লাগার কথা !
দাদার সুস্থতার সাথে সাথে নাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন ছোঁয়া বীজ বোনাতে ভাললাগলো।
++++
১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আইসোলেশনের পিরিয়ড শেষ হলেও আর রিপোর্ট করবো না বলে ঠিক করেছি। জেলা হাসপাতালের যেখানে আমরা রিপোর্ট করেছিলাম স্থানটি করানোর আঁতুড়ঘর বলে মনে হয়েছিল। পোশাকি নাম ফিভার ক্লিনিক হলেও আদপে সাড়ে তিন ফুট গেটের সামনে 50 60 জন আক্রান্ত রোগী ও তাদের পরিবারের ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে থাকা, সেই দৃশ্যটিকে আর প্রত্যক্ষ করতে চাইনা।
পোষ্ট সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামতে আপ্লুত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে ও ট্রিপল প্লাসে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় কবি ভাইকে।
১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন মানুষের পৃথিবী থেকে বিদায়ে অনেক সময় আপন জনেরা এমনই ভেঙে পরে যে গল্পের দাদা বা চাচির মতো হয়। বেচে থাকলে আমরা অনেক সময় মানুষটার মূল্য বুঝি না। আমি আশা করি আগের পর্বগুলি ধীরে ধীরে পড়ে ফেলবো। আপনার বর্ণনা ভঙ্গি ভালো লেগেছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসন্ধ্যা প্রিয় সাচু ভাই।
"একজন মানুষের পৃথিবী থেকে বিদায়ে অনেক সময় আপন জনেরা এমনই
ভেঙে পরে যে গল্পের দাদা বা চাচির মত হয়। বেচে থাকলে আমরা অনেক সময় মানুষ তার মূল্য বুঝিনা।" -চমৎকার অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। যদি সম্ভব হয় তাহলে ইতিপূর্বে প্রকাশিত পর্বগুলিতেও একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়ার অনুরোধ রইল।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় সাচু ভাইকে।
১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রিয়জনের মৃত্যুশোক ব্যাপারটা কতখানি মর্মান্তিক রুপ নিতে পারে আসমার মা ! দাদা অবশ্য নিজের কাজের মাঝে শোক কিছুটা কাটিয়ে উঠেছেন।
ভালোলাগা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভসন্ধ্যা আপু।
" প্রিয়জনের মৃত্যুশোক ব্যাপারটা কতখানি মর্মান্তিক রুপ নিতে পারে আসমার
মা ! দাদা অবশ্য নিজের কাজের মাঝে সবকিছু কাটিয়ে উঠেছেন।" -একেবারে যথার্থই বলেছেন আপু। আপনজনের মৃত্যু মাঝে মাঝে মানুষকে শোকে পাথর করে তোলে। পুত্র শোকে শোকাতুর আসমার মা তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।আর দাদা পুরুষ মানুষ তিনি পারিপার্শ্বিক কর্মব্যস্ততায় নিজেকে অনেকটা খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। পাঠ শেষে চমৎকার একটি মন্তব্য রেখে যাওয়াতে খুশি হলাম; ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় আপুকে।
১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লাইক দিয়া আপনাকে চিন্তামুক্ত করিলাম।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার এই ইটটা না পাইলে যে মনে বড় চিন্তা হয়। বিদেশ বিভূঁইয়ে থাকেন বড় দুশ্চিন্তায় ভুগি যে...
২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে.......নো টেনশান। আমাগো উপরে আল্লাহ আর নীচে বরিস জনসন আছে।
রুটি-রুজির ধান্ধায় প্রচন্ড ব্যস্ত থাকতে হয় আজকাল। ব্লগানোর টাইম বের করাই মুশকিল। আপনের এনার্জি লেভেল এখন কেমন? করোনা ঝেটিয়ে বিদায় করছেন? বেশী দুর্বল লাগলে প্রোটিন শেক খান।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে... আর চিন্তা করছিনা। আপনারা ভালো আছেন শুনেই আমরা খুশি। ঠিকই তো মাথার উপর আল্লাহ আছেন। তবে জনসন গ্রুপের প্রোডাক্ট বাচ্চাদের জন্য কিনতাম।সেই জনসন সাহেবকে আপনার নীচে কাজে লাগছে জেনে খুশি হলাম। জনসন আছেন যখন ত্বকের যত্ন নিন। হেহেহে.....
রুটি রোজগারের চিন্তায় ব্যস্ত থাকতে হয় যখন তখন আর ব্লগে আসার জন্য খুব বেশি বেয়াদবি করবোনা। আপনি শুধু দিনে অন্তত একবার ঢুঁ মারলেই তাতেই আমরা খুশি। আশাকরি প্রতিমন্তব্য থেকে আমার এনার্জি লেভেলের সঠিক জরিপ করতে পারবেন।
গতকালকে কাভা ভাই আমর জিভের স্বাদ ফিরে পেতে নাগা লঙ্কা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।আমি অবশ্য ট্রেন না চলাচল করার জন্য নাগাল্যান্ডে গিয়ে লঙ্কা আনতে পারিনি। এক্ষুনি আপনার প্রোটিন শেকে খাওয়াটাও ঠিক বুঝতে পারছিনা। পারলে একটু রেসিপি টা দিয়ে দিয়েন হেহেহে
২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পারলে একটু রেসিপি টা দিয়ে দিয়েন আমার ''একজন নির্লজ্জ মানুষের কাহিনী!!!'' পোষ্টের ৩২ নং মন্তব্যের উত্তর দেখেন। বানায়া খান, প্রচুর এনার্জি পাইবেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কৃপণ মানুষ! রেসিপিটা চাইলাম। ধরিয়ে দিলেন লন্ডনের টিকিট। অগত্যা ওখানে গিয়েই পড়ালেখা করে আসবো। একবার গিয়ে দেখেছি। আবার দরকার হলেই মেতে হবে। তবে রেসিপি জানার সঙ্গে আপনার জিরো ফিগারের রহস্য জেনে চম্যকৃত হলাম। আমিও সকালে একটা ফাঁকা মাঠে গিয়ে একঘন্টা ব্যায়াম করি। তবে শোয়া আসনটা একটু বেশি হয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর রেসিপির জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৯
মা.হাসান বলেছেন: ব্যস্ততার কারনে পোস্টে আগে আসতে পারিনি, সে জন্য দুঃখিত।
মামু চাচা কি ভাবে দাদার কাছ থেকে বাঁশ দেয়ার কাজ শিখলেন জানা গেলো। কিন্ত যা বুঝলাম না তা হলো পান্তা ভাত আর গরম ভাতের উপর এই আকর্ষনের কারন। ওনার নিজের বাড়িতেও তো এসবের অভাব থাকার কথা না।
'আসমার মা' এই নামটাতেও একটু খটকা লাগলো। আমাদের দেশে সাধারণত প্রথম সন্তানের নামের এরকম নাম করন করা হয়। ব্যতিক্রম হয় যদি শিশুকালেই প্রথম সন্তান মারা যায়। কাবুল কাকা তার স্ত্রীকে জহরের মা বলাটাই বেশি মানানসই হতো। অনুমান করছি কাবুল কাকার বিশেষ দুর্বলতা ছিলো তার এক মাত্র মেয়ে আসমার উপর , না হলে স্ত্রীকে আসমার মা বলার কথা না।
সন্তানের মৃত্যুর পর আসমার মায়ের বিকার গ্রস্থ হওয়াটা খুব কষ্টের এবং এর পিছনে মামু চাচাও দায়ী, এটার বোঝা মামু চাচা দীর্ঘ কাল বয়ে বেড়িয়েছেন। এটাও অনেক কষ্টের।
বরাবরের মতো অনবদ্য।
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অবশেষে আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম। ভাবছিলাম কিজানি করোনায় আক্রান্ত হয়েছি বলেই কি প্রিয় মা.হাসান ভাই পোস্টে আপতে ভয় পাচ্ছেন? অবশ্য আমার চৌদ্দ দিন পার হয়ে গেছে।ব্লগও স্যানিটাইজার বা সাফসুতরো করা হয়ে গেছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছ থেকে পাওয়া ফিটনেস কার্ডও কদিন পর আপনাদের দেখিয়ে দেবো হেহেহে.....
বরাবরের মতো সুন্দর একটা কমেন্ট রেখে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের বাড়িতে যতই পান্তা ভাত বা গরম ভাত হোক বাচ্চাদের অন্যের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি একটা দুর্নিবার আকর্ষণ থাকে।বহু বাচ্চা নিজের মায়ের হাতের খাবারের চেয়ে অন্যের হাতের খাবার বেশি পছন্দ করে। আমার ছেলেটা এই সেদিন পর্যন্ত স্কুলের টিফিন অন্যদের খাইয়ে নিজে ওদের টিফিন বা কেক খেয়ে বাড়ি আসতো।এসেই বলতো, কোনো দিন সপ্তক বা ঋষি বা সৌম্যদীপ্ত ওর টিফিন খেয়েনিয়েছে।ও তেমনি ওদের মায়েদের দেওয়া টিফিন খেয়ে বাড়ি ফিরতো। আর তাছাড়া আমি নিজেও বাচ্চাদের এমন শেয়ারিং প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছি। আপনার জন্য দুঃখিত যে এমন শেয়ারিং দেখার সুযোগ আপনার হয়নি। আপনি থাকেন ভরা যৌবন উত্তীর্ণ নরনারীদের নিয়ে। কোকোর চুমুক কিম্বা ক্যান্টিনে আড্ডারত যুগলের আকছার দৃশ্য আপনার কাছে জলভাত হলেও বাচ্চাদের এই শেয়ারিং দৃশ্য দেখার সুযোগ আপনার এই মুহূর্তে নেই। আগামীতেও হবে বলে মনে হয়না। হায় আফসোস!!! হেহেহেহে।
আসমারা তিন ভাইবোন। প্রথম সন্তান ছেলে হলেও আসমা হওয়ার পর বাবা তার মাকে মেয়ের নামে ডাকতে শুরু করে। আমার একজন প্রতিবেশী ছিল যার প্রথমেই জন্ম নেওয়া পুত্র সন্তানের নাম মুকুল। একদম শুরুতে স্ত্রীকে মুকুলের মা বলে ডাকলেও দ্বিতীয় সন্তান কন্যা হওয়ার পর বাচ্চাটির নামে স্ত্রীকে মাসুমার মা বলে ডাকত। যদিও এক্ষেত্রে আপনার নিজের মন্তব্যের মধ্যে উত্তর স্পষ্ট। কাজেই জহরের মা না হয়ে আসমান মা হওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। উল্লেখ্য এসমস্ত বাবাদের কাছে মেয়ে সন্তান অনেক বেশি আদরনীয়।
মন্তব্যের সবশেষে পুত্র শোকে মূহ্যমান বা শোকাতুর মায়ের বিকারগ্রস্ত হওয়াটা আস্বাভাবিক নয় যেটা আপনার মন্তব্যেও স্পষ্ট।আর সে দায় যে মামু চাচা অস্বীকার করতে পারে না তা তার কথাতেই ধরা পড়েছে। মামু চাচার এই এই বয়ে বেড়ানো ক্ষত ভবিষ্যতে গল্পটাকে অন্যমাত্রা দেবে। আশাকরি পরে সেটা মিলিয়ে নেবেন।
সবশেষে এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপ্লুত হলাম। পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় মা.হাসান ভাইকে।
২৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৭
মা.হাসান বলেছেন: আপনার লেখা এবং কমেন্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে আপনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। আপনার দ্রুত সম্পূর্ণ রিকভারি কামনা করছি।
আপনি রোমান্টিক মানুষ। সব ক্লিয়ার না হওয়া পর্যন্ত আইসোলেশন পিরিয়ডটাকে সেকেন্ড হানিমুন হিসেবে দেখতে পারেন । এজন্য পরের পর্বের আগে বড় বিরতি নিলেও আমরা তা মেনে নেবো।
৮ নম্বর কমেন্টের জবাবে যে ঢপের কথা বলেছেন, বাংলাদেশের লোকের কাছে এসব না বলাই ভালো--
বেশি হিংসা করবেন না কিন্তু
২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ এই মুহূর্তে অনেকটা সুস্থ হয়েছি। আগামীকাল বাবুকে আনতে যাব। তবে নতুন একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ওখানে ঘুরতে আসা আমার আরেক বুবুর ছেলের জ্বর এসেছে। নুতন করে ওর কাছ থেকে আবার জ্বর আসে কিনা চিন্তায় আছি।
আমাদের গৃহে হানিমুন দেখে আপনার হিংসে হলেও আপাতত উপভোগ করছি। আপনার জন্য হায় আফসোস!! রোবট মানুষের মতো কর্তব্য পালন করতে গিয়ে জীবনের রূপ রস গন্ধ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।যা একটু বাইরে যেতেন সে সুযোগও এই মুহূর্তে সুদূর পরাহত। কাজেই বাসায় থেকে না খেয়ে টাকা জমিয়ে দুঃখ প্রকাশ করুন। আমরা চললাম হানিমুনে। হেহেহে.
8 নম্বর কমেন্টের প্রতিমন্তব্যে একজন আমেরিকা প্রবাসীর জন্য। তবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল না। মন্ত্রীমশায় কথাতেই স্পষ্ট করোণা আক্রান্তদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তাহলে অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। মালেক সাহেবকে ধন্যবাদ সাধারণ মানুষের জন্য এত উচ্চ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করার। হিংসা না করলেও আমরা এদেশে এতটা উন্নত পরিষেবা কল্পনাও করতে পারি না।
সৃজন সেনের কথাতেই বলি,
অনেকদিন বাঙালি, বাংলাদেশ, বাংলা ভাষার এসব পরিচয় না দিয়ে দিয়ে কবে যে মন থেকে বিদেশি হয়ে উঠেছি। এমতাবস্থায় মালেক সাহেবের আশ্বাসবাণীতে মনে গাইতে ইচ্ছে হচ্ছে....
"... ...বাংলাদেশের জন্য,
বাংলা ভাষার জন্য
বুকের মধ্যে ভয়ঙ্কর একটা ব্যথা টনটন করে ওঠে।"
যাগ্গে আপনি আবার ভাববেন না, আমি আপনাকে হিংসে করছি। ভালোকে ভালো বলতে আমি বিন্দুমাত্র দ্বিধা করি না।
জয় মালেক সাহেব
জয় বাংলা।
ভাল থাকুন সব সময়।
২৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪২
অধীতি বলেছেন: প্রথমে পড়ে কিছুই বুঝতে পারিনি,শুধু লেখনীতে মুগ্ধ ছিলাম। কমেন্ট সেকশনে এসে দেখি শেষের শুরুতে আটকে আছি।
০১ লা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য। যদি ইতিপূর্বে এসেছেন কিন্তু পোস্টটি আমার ছিল না মিসেসের। পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন। ধারাবাহিকে হঠাৎ করে এলে কিছুই বোঝা যায় না। যদি সম্ভব হয় তাহলে পূর্বের দু-একটি পর্ব দেখার অনুরোধ করবো। আশা করি কিছুটা হলেও গল্পটি ধরতে পারবেন।
কমেন্ট সেকশন সম্পর্কে আপনার অনুভূতিতে ভালোলাগা। আটকে যখন পড়েছেন। একটু নড়েচড়ে বসুন আশাকরি ছাড়িয়ে যাবেন হেহেহে....
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভকামনা জানবেন।
২৫| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ধীরে ধীরে দাদা-নাতির মধ্যে এমন অকৃত্রিম সখ্য গড়ে উঠছে দেখে ভাল লাগলো। তবে আসমার মায়ের এমন সকরুণ দুঃখের মাঝেও তার প্রতি এতটা নির্দয় আচরণ মনটাকে বিষণ্ণ করে তুললো।
আপনাকে আবার কিছুদিন ধরে ব্লগে অনুপস্থিত/অনিয়মিত দেখতে পাচ্ছি। ভাল আছেন তো?
পোস্টে পঞ্চদশতম ভাল লাগা + +।
১৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যার আপনার অনেকগুলো কমেন্ট জমে গেছে। খারাপ লাগছে সময়ে উত্তর না দেওয়ায়। তবে দেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। মিডিয়ার কথা না বললেও শুধুমাত্র নিজের পাড়ার কথা বললে প্রতিদিনই কারোর না কারোর মৃত্যু খবর পেয়ে আমরা আতঙ্কিত। গতবছর এতটা লোকাল মৃত্যু হয়নি। কিন্তু লোকালের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।আর কতদিন এভাবে নিজেদেরকে গৃহবন্দী করে রাখা সম্ভব বা কপালে কি আছে জানিনা।
নুতন করে লেখালেখির মতো মানসিক অবস্থা নেই। খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি স্যার।
দোয়া করবেন। শুভেচ্ছা নিয়েন।
২৬| ১৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া এবং শুভকামনা রইলো।
১৫ ই মে, ২০২১ রাত ৯:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। আপনার দোয়া যেন উপরওয়ালা কবুল করেন। আমীন। আপনিও সপরিবারে ভালো থাকবেন ..
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অনেক কষ্ট করতে হয় একটা লেখা তৈরীতে!
তাই একটু বিলম্বতো হতেই পারে। দেরী হলেও
পুষিয়ে দিয়েছেন দাদা। চমৎকার কথার গাথুনিতে
দূর্বার গতিতে চলছে মেইল ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া
আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!!