নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
নাহা! আসমার মাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাত্র একটা দিনের মধ্যে চাচিমা যে কোথায় চলে গেছিলেন তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজও বিষয়টা ভেবে আমি অবাক হই। কাবুল চাচা অবশ্য স্ত্রীকে খোঁজার ব্যাপারে চেষ্টার কসুর করেননি। প্রায়ই সকালবেলা চাচা বের হতেন। নতুন নতুন জায়গায় খুঁজতে যেতেন।পাড়াপড়শি, আত্মীয়-স্বজন অনেকেই এ কাজে ওনাকে সহযোগিতা করতেন। প্রথমদিকে আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম যে এভাবে খোঁজাখুঁজির মধ্য দিয়ে একদিন ঠিকই চাচিমাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। উল্লেখ্য পাড়াগাঁয়ে এসময়ে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মধুর। অন্যের দুঃখ কষ্টকে সবাই নিজের মত করে ভাবতো। যে কারণে চাচিমার নিরুদ্দেশ হওয়াটা কাবুল চাচার একার সমস্যা হয়ে থাকেনি। গোটাপাড়া শুদ্ধু সবাই যেন নিজেদের মধ্যে সে সমস্যা ভাগাভাগি করে নিয়েছিল। পড়ন্ত বিকালে কাবুল চাচার ফেরার জন্য আমরা সকলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। এ সময় প্রত্যেকটা দিন কতইনা যাতনাময় হয়ে কেটেছিল। কোন কোনদিন মাগরিবের নামাযের আগে ফিরলেও বেশিরভাগ দিনই চাচা সন্ধ্যের অনেক পরে বাড়ি ফিরতেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি অবশ্য কাজের মধ্যে থাকায় দিনের বেলায় সময়টা কিভাবে অতিক্রান্ত হয়ে যেতো তা টের পেতাম না।তবুও তার মধ্য দিয়ে ভাবতাম আজই বাড়ি ফিরে যেন চাচিমার ফিরে আসার খবর শুনতে পাই। কিন্তু বাড়ি ফিরলে সময়টা যেন কিছুতেই কাটতে চাইতো না। প্রায়ই সন্ধ্যায় চাচার বাড়ির সামনে আমরা ঘুরঘুর করতাম। উল্লেখ্য এভাবে অপেক্ষা করাটা পাড়া শুদ্ধু আমাদের সকলেরই একপ্রকার রোজনামচা হয়ে গেছিল। চাচাকে দেখে প্রথমদিকে কেউ না কেউ চাচিমার কথা জিজ্ঞেস করলেও পরের দিকে উনার শূন্য হাতে ফিরে আসা দেখে আমরা সেদিনকার মত ফলাফল বুঝে যেতাম এবং যে যার মত নীরবে বাড়ি চলে যেতাম। কিন্তু হায়! সপ্তাহ পেরিয়ে মাসে গড়ালো, তবুও চাচিমাকে আর ফিরে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে যে কথা না বললেই নয়।নারীহৃদয় হলো ভালোবাসার মহাসমুদ্র।হাজার দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে মায়েরা সংসারকে একসূত্রে বেঁধে রাখেন। যে সংসারে মায়েরা অনুপস্থিত সে সংসার ভালোবাসার মহাসমুদ্র থেকে চিরদিনের জন্য বঞ্চিত। কাজেই চাচিমাকে ফিরে না পাওয়ায় ওদের সংসারটাকে মনে হয়েছিল অতল গহবরে নিমজ্জিত হয়েছে। আর ওদের দুর্দশা অন্তর থেকে উপলব্ধি করায় ওনাকে না পাওয়ার বেদনায় আমি যে কতটা অস্থির হয়ে উঠেছিলাম তা কেবল অন্তর্যামীই জানেন।
ওদিকে আরেকটি বিষয় আমার ছোট্ট হৃদয়কে ক্রমাগত কুঠারাঘাত করছিল। চোখের সামনে প্রত্যক্ষ করেছিলাম ওবাড়ির গতিশীলতা একপ্রকার থমকে গিয়েছিল। রান্নাবান্নার পাঠ বহুদিন আগেই উঠে গিয়েছিল। যদিও এখানে কাবুল চাচার ভাইদের অবদান প্রশংসনীয়। ভাই বোনের সংখ্যাও নেহাত কম ছিলনা। দুই বোনের বিয়ে হয়েছিল পার্শ্ববর্তী গ্রামেই। প্রতিদিনই এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে ওদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে যেত। পাড়ার সকলেই ছোট ছোট দুই ভাই-বোনকে খুব স্নেহের চোখে দেখতেন। প্রায়ই কেউ-না-কেউ তাদেরকে পাশে বসিয়ে সান্ত্বনা দিতেন। যার যেভাবে সম্ভব তাদেরকে সঙ্গ দিয়ে দুঃখ ভোলানোর চেষ্টা করতেন।
উস্কোখুস্কো চুলের আসমাকে মাঝে মাঝে সকালে আমাদের বাড়ির মাটির দাওয়াইতে বসে কাঁদতে দেখেছি। উপর্যুপরি কান্নাকাটি করায় চোখদুটি সারাক্ষণ যেন ফুলে থাকত। এমনই একদিন সকালে একটু বেলা করে দাদার কামরা থেকে নামতেই দেখি তাকে ঘিরে সকলে বিষণ্ণ মুখে বসে আছে। প্রত্যেকেরই ভারাক্রান্ত মুখে উদাস সে চাহনি।মাকে তার মধ্যেও পরম যত্নে আসমার মাথায় তেল দিয়ে চুল আঁচড়ে দিতে ও চোখের জল মুছিয়ে দিতে দেখেছিলাম।তার ফোলাফোলা ঠোট দুটোতে সারাক্ষণই যেন কান্না জড়িয়ে ছিল। এ প্রসঙ্গে যে কথা না বললেই নয়, মাকে আমার বোনদেরকে এমন করে কোনদিন চুল বেঁধে দিতে বা এমন করে স্নেহ করতে দেখিনি। আর একপাশে উসকো খুসকো চুলের জহরকে দেখে মনে হত মাথার উপর দিয়ে যেন তার সদ্য মহাপ্রলয় বয়ে গেছে। ঈষৎ লালচে লালচে ধুলোয় পাকানো চুল গুলো দেখে মনে হয়েছিল কতদিন বুঝি ওর মাথায় কোন তেল পড়েনি। চুলের সঙ্গে চেহারার অদ্ভুত সামঞ্জস্যতা তৈরি হয়েছিল তার। রুগ্নতাতেও সে পৌঁছে গিয়েছিল একরকম চূড়ান্ত সীমায়। হাঁটা-চলাতেও কেমন যেন স্থবির হয়ে গিয়েছিল।জহরের এমন চেহারা দেখে কিছুটা শিউরে উঠে মুহূর্তে পৌঁছে যেতাম অতীতে। তুলনাটা বড্ড একপেশে লাগতো। আগের শক্তপোক্ত, নালিশ সর্বস্ব জহরের সঙ্গে সেদিনকার জহরের মধ্যে কোন মিলই খুঁজে পেতাম না।রুগ্ন শরীরের পাংশু মুখের জহরকে দেখে ভীষণ মায়ায় হৃদয়টা ভরে যেত।
এমন একটি বিষন্নতার পরিবেশ যে কোন কঠিন হৃদয়ের ব্যক্তিকেও ব্যথিত করে তুলতে বাধ্য। সেখানে তো আমি বরাবরই একটু বেশিমাত্রায় আবেগপ্রবণ। স্বভাবতই এমন দৃশ্য আমাকে বিহ্বল করে তুলেছিল। কিন্তু তারই মধ্যে ছোটবেলার সেই দিনগুলিতে নিজের আবেগকে সংযত রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করতাম। যদিও লড়াইটা ছিল আমার নিজের সঙ্গে নিজেরই। গহরের খুনিকে আমি মনের অন্তরে যে কোন প্রকারে লুকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। কাজেই বাড়ির সকলের মতো গোল হয়ে বসে দুঃখে ভাগীদার হওয়ার মত সাহস আমার ছিল না।আমার অপরাধপ্রবণ মনকে সবকিছুর মূলে দায়ী করে দূর থেকে উঁকি মেরে যত দ্রুত সম্ভব এস্থান থেকে চম্পট দেওয়ার রাস্তা খুঁজতাম। যদিও তার মধ্যে মুহূর্তে জহরকে এক দৃষ্টিতে দেখে মনে মনে কিছুটা স্বস্তি পেতাম। ছেলেটার আচরণ ছিল উল্লেখ করার মতো। দুঃখ মানুষকে পূর্ণতা দান করে; আচরণকে করে করে সংযত।জহরের মধ্যে যেন আমি তারই প্রতিফলন পেয়েছিলাম। রাতারাতি সে যেন অভিজ্ঞতায় পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠেছিল। বয়সে আসমার চেয়ে সামান্য বড় হলেও ওর আচরণ বড় মানুষকেও হার মানাতো।কি অসম্ভব স্নেহের সঙ্গে ছোট বোনকে আগলে রাখত সারাক্ষণ। কিছুতেই কাছ ছাড়া করত না। বাড়ির সকলেই জহরের বোন প্রীতির ভীষণ প্রসংশা করত। একদিকে জহর অন্যদিকে আসমাকে নিয়েই আমার বিষণ্ণতার জগৎ তৈরি হয়েছিল। দাদার সঙ্গে সারাদিন কাজে থাকলেও ছোট্ট আসমার কষ্টে আমার অন্তরটা যেন ফেটে যেত। অথচ কাউকে সেকথা বোঝাতে পারিনি কখনও। এভাবেই এর তাঁর সান্নিধ্যে কেঁদে-কেটেই দুই ভাই বোনের সমস্যাসঙ্কুল দিনগুলি পার হচ্ছিল।
এরই মধ্যে ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত এবং আকর্ষণীয় একটি ঘটনা। সেদিন দুপুরে কাজের বাড়িতে খেয়েদেয়ে সবে একটু শুয়েছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের বিশ্রামের জন্য বরাদ্দ থাকতো খেজুর পাতায় নির্মিত চাটাই। খেজুর পাতার নির্মিত চাটাই তৈরি ছিল এ সময় গ্রামগঞ্জের মায়েদের অবসর বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। দ্বিপ্রাহরিক আহারের পর কোথাও বা দলগত কেউবা একাএকা চাটাই করে সময় কাটাত। খেজুর গাছও খুব সহজলভ্য ছিল। ফলে বেশীরভাগ বাড়িতে চাটাই ছিল বসা শোবার একমাত্র মাধ্যম।আর এই খেজুর পাতার চাটাই ছিল আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর একটি উপাদান। চাটাইয়ের উঁচু উঁচু দাড়গুলো শরীরে ফুটে যাওয়ায় শুতে আমার খুব অস্বস্তি লাগত। যে কারণে ঘুম এলেও তা যেন চোখে ধরা দিতে চাইতো না। কিন্তু কোন উপায়ও ছিল না। বাধ্য ছিলাম বিভিন্ন কাজের বাড়িতে চাটাইতে শুতে। যাইহোক অন্যান্য বাড়িগুলোর মতোই সেদিনও আমি ছিলাম পোটের পাশে,আর দাদা ছিল দেওয়ালের দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাদার হাল্কা নাক ডাকার শব্দ কানে আসে। বুঝতে পারি দাদা বাস্তবে স্বপ্নের জগতে প্রবেশ করেছে।পরিশ্রান্ত শরীরের কারণেই হোক অথবা বয়সের ভারেই হোক একটু শুলেই দাদা ঘুমিয়ে যেত। যদিও সে ঘুমের গভীরতা ছিল বরাবরই কম। দাদার নাক ডাকার শব্দ কানে এলে ততক্ষণে আমারও কিছুটা অবসন্নতা গ্রাস করতো। সেদিনও সামান্য একটু ঢুলু ঢুলু ভাব চোখে অবশ্য এসেছিল।এমন সময় সামনে পা ঘষার শব্দে তন্দ্রালু ভাব যায় কেটে। পোটের উপর বাপজানকে দেখে রীতিমতো চমকে উঠি। ধড়ফড় করে উঠে বসি।প্রথমে যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতেই পারছিলাম না, যে ঠিক দেখছিতো;স্বপ্ন নয়তো? কিন্তু মুহূর্তে আমার ভুল ভেঙে যায়। আমার ধড়ফড় করে উঠার শব্দে বা যে কোন কারনেই হোক, তন্দ্রালু চোখে, কি হয়েছে? কি হয়েছে? বলতে বলতে কিছুটা অবাক হয়ে লুঙ্গি ঠিক করতে করতে দাদাও উঠে বসে।সামান্য চোখ ঘষে নিয়ে দাদা তাকিয়ে থাকে বাপের দিকে। বাপজানও হাসি হাসি মুখে দাদার দিকে তাকিয়ে থাকে। অনেকদিন পর বাবা ছেলে একে অপরকে কাছে পেয়ে মুহূর্তেই আবেগপ্রবণ হয়ে উঠে। বাপজানকে দেখে দাদা বলে উঠলো,
-হেগা বড়খোকা কিছু হয়েছে? এসময় তুমি!
-না না বাপজান তোমার চিন্তা করার মতো কিছু হয়নি। আসলে তুমি কাজ ছেড়ে দেওয়াতে দোকানে খুব অসুবিধা হচ্ছিল। অনেকদিন ধরে বাবুর সঙ্গে এটা নিয়ে কথা হতো।আজ সকালে হঠাৎ বাবু মশাই বললেন, তোমার বাপের কাছে নিয়ে চলো ওনার সঙ্গে একটু দেখা করে আসি। তাই ওনাকে সঙ্গে নিয়ে আসা।
বাবু মশাইয়ের কথা বলতেই দাদা খুব ব্যস্ত হয়ে উঠল। আনন্দের আতিশয্যে কিছুটা গোঙাতে গোঙাতে,
-অ্যা.অ্যা.. বাবু মশাই এসেছেন? তা বসতে দিয়েছিস কোথায় বড় খোকা?
-উনি একবার গাড়ি থেকে নিচে নেমেছিলেন। সকলের সঙ্গে কথা বলে আবার গাড়িতে গিয়ে বসেছেন।
দাদা চোখ দুটো বড় বড় করে কিছুটা আপন মনে বলে উঠলো,
-কত বড় মানুষ উনি! অথচ একটুও গরিমা নেই। আমাদের মত তুচ্ছ মানুষদের বাড়িতে এলেন।
দাদা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আবারো জানতে চাইলো,
-হ্যাঁ খোকা,তা তুই একবার ওনাকে বাড়িতে উঠে বসতে বলিস নি?
-বলেছিলাম। উনি আমাকে ব্যস্ত না হয় বরং তোমাকে খোঁজার পরামর্শ দিতেই আমি আর জোর করতে পারিনি।
-তাহলে তুই বাবুকে এখানে আনলি না কেন?
-আমি জানতাম তুমি বাড়িতে আছো। আজ বাড়ি এসে জানলাম তুমি টুকটাক কাজ করছ। কোথায় কাজ করছ, কখন তোমাকে পাবো? এসব বিষয়ে কিছুটা সন্দেহ থাকায় বাবুকে আর সঙ্গে নিয়ে খোঁজাখুঁজি করতে রাজি হইনি। যদিও আমার বেরিয়ে আসার সময় বাবু মশাই বলেছিলেন যে উনি আসবেন কিনা। আমি অবশ্য ওনাকে অসুবিধা আছে জানিয়ে ওখানেই অপেক্ষা করতে বলে এসেছি।
দাদা কিছুটা চিন্তিত ভাবে মুখে হাত ঘষতে ঘষতে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকলো।
দাদাকে কিছুটা খুশি করার জন্য কিনা জানিনা বাপজান দাদার উদ্দেশ্যে আবার বলে উঠলো,
-তবে বাবু মশাইয়ের আসার মুহূর্তের মধ্যে বাড়ির সামনে একটা মেলা শুরু হয়ে গেছে। এমন ধুলো উড়িয়ে মোটরগাড়ি তো গ্রামের মানুষ ইতিপূর্বে কখনোই দেখেনি। সবাই যে যেভাবে পারছে গাড়ি দেখতে আসছে। বাবুমশাই তাদের সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলছেন।ওনারও নাকি খুব ভালো লাগছে মানুষজনকে এভাবে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে।
-বলিস কি খোকা? গাড়ি দেখতে লোক ভিড় করেছে ভালো কথা। কিন্তু কেউ গাড়ির ওপর চড়ে বসে নি তো?
-একদম যে বসেনি তা নয়।আমি কয়েকজনকে বলেছিলাম, অমন করে গাড়ির উপরে উঠে নেই। কিন্তু বাবুমশাই উল্টে তাদেরই দুই একজনকে ডেকে ডেকে গাড়িতে তুলে নিয়েছেন, দেখে আমি নিজেই বেকুব হয়ে গেলাম।
বাবা-ছেলের মধ্যে অদ্ভুত উত্তেজনায় কথোপকথনটি চলতে লাগলো। আমি পাশে থেকে যথাসম্ভব নীরবে তার উপলব্ধি করতে থাকি। কথা থেকে বুঝতে পারি দাদার সঙ্গে দেখা করবেন বলে স্বয়ং হালদার বাবু বাপজানকে সঙ্গে এসেছেন।ইতিপূর্বে দাদার নিজ মুখে বলা গল্পগুলো যে নিছক গল্প নয় বাস্তব তা মুহূর্তে চোখের সামনে প্রতিভাত হয়। হালদার বাবুর মহত্ব, উদারতা নিয়ে আমার মনে আর কোনো সংশয় থাকে না। শহরের বিলাসী জীবন ছেড়ে ধুলোবালি রাস্তা ধরে গ্রামে এসে এক নগণ্য কাঠমিস্ত্রির খোঁজ করছেন বলে দাদার জন্য রীতিমতো গর্বে বুক ভরে গেল। যাই হোক আর বিলম্ব না করে সেদিনের মত কাজ বিরত রেখে তিনজনেই দ্রুত বাড়ির উদ্দেশ্যে পা চালালাম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: ১ -ছোটবেলায় অসুস্থ অবস্থায় খেলাধুলা করলে বড়রা বকা দিতেন।বকা খেয়ে আবার সুড়সুড় করে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়তাম। কিন্তু মন চলে যেত খেলার মাঠের দিকে। আপনারা অনেকেই জানেন অতিসম্প্রতি আমি সপরিবারে একটা রোগ মুক্ত হয়েছি। এই মুহূর্তে দুজনেই সুস্থ। কিন্তু আমার গত পোস্টটি ছোটবেলার সেসময়কার মত একটু অনিয়মের মধ্যে করাতে শ্রদ্ধেয়া আপুনি করুনাধারা আমাকে অন্তত ওনার কমেন্টে একটি বাক্যে লিখে পোস্ট শেষ করতে বলেছিলেন। আমি ওনার কথা অনুযায়ী ওনার কমেন্টের উত্তর একটি বাক্যে দেই। বাকি কমেন্টগুলোর উত্তরও ভয়ে ভয়ে দিয়ে কোনোক্রমে শেষ করি।
অপর একজন জনপ্রিয় ক্রিটিক ব্লগার মা.হাসান ভাই অবশ্য আমাদেরকে অসুস্থতার সময়টাকে কিরপিনের হানিমুন কাটানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।আমার তেরো বছরের বৈবাহিক জীবনে এমন পরামর্শ নিঃসন্দেহ অভিনব এবং গ্রহণীয় বটে। তবে উড়ো খৈ গোবিন্দোয় নমো: মত এত ভালো পরামর্শ সেদিন ফেলতে পারিনি।স্বভাবতই আপুনি ও মাহা ভাইকে সম্মান দিতেই কয়েকদিন ব্লগে কমেন্টিং ও পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকি। প্রতিদান দিয়ে উপকার কোনদিন শোধ করা যায়না। আবার উপমহাদেশের সংস্কৃতিতে কিছু একটা না করলেও নয়। এমতাবস্থায় এই ক্ষুদ্র নৈবেদ্যটি ওনাদের দুজনকে উৎসর্গ করলাম।
২-সপ্তম লাইক প্রদান করে পোস্টটিকে নির্বাচিত করায় অনুপ্রাণিত বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইকে।
পর্ব-১০
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জ্বি আপু আপনি ঠিকই ধরেছেন। গতরাতে পোস্টটি দিয়েছিলাম। কিন্তু পাদটীকার ভাষাটা ঠিক করতে পারছিলাম না।যেকারণে সাময়িক ভাবে পোস্টটি তুলে নিই। এখন বিষয়টি কিছুটা দাঁড় করিয়ে উপরে উল্লেখ করেছি। শুরুতেই আপনাকে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি।পাঠ ও মন্তব্যে এবং নৈবেদ্যটি গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটির দুটি দিক চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন।
সহমত আপু আপনার সঙ্গে যে মা হচ্ছেন একটি পরিবারের সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখা চাবিকাঠি। মা বর্জিত সংসারের অবস্থা অতীব করুন অতীব বেদনার। গল্পে সেই বিষয়টিকে কিছুটা উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। পাশাপাশি মামু চাচার অপরাধপ্রবণতা তাকে খুব সহজে মুক্তি দেবে বলে মনে হয় না। আগামী পর্বগুলোতে তার যথার্থ পরিচয় পাবেন।
গল্পের অন্য একটি দিক হালদার বাবুর আগমন। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন হালদার বাবু এই গল্পের একটি অন্যতম ফ্যাক্টর। ওনার আগমন নিঃসন্দে জিজ্ঞাসার..... আগামী পর্বগুলোতেও তার উল্লেখ করবেন। আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম আপু আপনাকে।
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৬
ইসিয়াক বলেছেন: খেজুরের চাটাইয়ে আপনি শুয়েছেন? আমি শুয়েছি। খুব একটা আরামপ্রদ না হলেও গরমের দিনের জন্য বেশ ভালো গা ঠান্ডা থাকে। আর হ্যাঁ আমি খেজুর পাতার পাটি[খেজুরের চাটাই] বুনতে পারি। হা হা হা
পোস্টে ভালো লাগা। লিখতে থাকুন। এখন ভালো আছেন সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো প্রিয় দাদা।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আমার অভিজ্ঞতা আছে। তবে সেটা চাটাই নয়। আমার প্রাথমিক স্কুলে বেঞ্চ ছিল না। খেজুরের পাতা দিয়ে তৈরি ছোট ছোট আসন নিয়ে স্কুলে যেতাম।অনেকে অবশ্য চটের বস্তা কেটে ছোট করে নিয়ে যেত।আর শোয়ার জন্য আমাদের শৈশবে ব্যাপকভাবে মাদুর ব্যবহৃত হতো। এ প্রসঙ্গে একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়।আমি অনিচ্ছাসত্ত্বেও মূলত পারিবারিক চাপে বিএড করতে বাধ্য হয়েছিলাম। একটা মেথড সাবজেক্ট ছিল কর্মশিক্ষা। এক্সটার্নাল পরীক্ষার আগে ঘটনাটা আপনাকে বলি।
সরকারি বিএড কলেজ হওয়াতে ক্লাসরুম গুলো ছিল খুবই বড় বড় মাঝখানে 8 ফুটের দুটি প্যাসেজ ছিল।সামনে স্টেজ ও গোটা চারেক মাইক্রোফোন ক্লাসের মধ্যে থাকতো। 100 জন পড়ুয়ার বসার একোমোডেশন ছিল শ্রেণিকক্ষে। প্রত্যেককে দুটো করে আইটেম হাতে করে দেখানো বাধ্যতামূলক ছিল। পরীক্ষার উদ্দেশ্যে (পড়ুয়ারা সম্মিলিত ভাবে) বাজার থেকে কেনা হয়েছিল গোটা দশেক ঝাঁটা ও গোটা পাঁচেক ঝুড়ি। ঝাটাগুলোকে অক্ষত রাখলেও ঝুড়ি গুলির উপর থেকে তিন-চারটি বেত খুলে ফেলা হয়। সেদিন এক্সটার্নাল স্যার যখন যার কাছে আসছেন তখন ওই তিনটি বেত জোড়া লাগিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ ঝুড়ি তৈরি করা হয়েছিল। স্যার খুশি হয়ে পাশের রোতে অন্য পড়ুয়ার কাছে গেলে ওমনি ঝুড়ি ও ঝাঁটাটি হাতবদল হয়ে ক্রমশ পিছনে চলে যেত। কাজেই এমন ঝুড়ি ও ঝাঁটা তৈরি করা শিখে আমরা কিন্তু কাগজে-কলমে অমন পেশাটি রপ্ত করেছিলাম। কাজেই আমিও কিন্তু আপনার সঙ্গে গর্ব করে বলতে পারি আমিও ঝাটা এবং ঝুড়ি করতে পারি। হেহেহেহে....
তবে তালপাতার বল তৈরি করতে পারতাম যার মধ্যে এতটুকু গুল নেই।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: চাটাই মানে কি শীতল পাতি? সরাসরি চাটাইলে না শুয়ে, চাটাইয়ের উপর একটা চাঁদর বিছিয়ে নিলে আর সমস্যা হতো না।
আসমার মা'র কি আর খোঁজ পাওয়া যায় নি?
ম হাসান এর কথা অনুযায়ী গরীবের হানিমুব করেই সময় কাটালেন?
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না চাটাই মানে শীতলপাটি নয়। শীতল পাটি তৈরি হয় বাঁশ গাছের মত আকারে ছোট ছোট করে কাটা সম্ভবত নাম মুক্তাগাছ। এটা অনেক ফেন্সি। শহরে বিলাসী লোকদের কাছে শীতলপাটি অনেক বেশি সমাদৃত। তবে আমি যে সময়ের কথা বলছি তখন শীতলপাটি ছিল কিনা আমার জানা নেই। পাশাপাশি গ্রামের গরিব গরিব মানুষদের পক্ষে হাতে বোনা খেজুর পাতার চাটাই ছিল একমাত্র বসা বা শোয়ার মাধ্যম। গ্রামের মানুষের আয় ছিল অত্যন্ত সীমিত। তাদের পক্ষে চাদর ছিল বিলাসীতা। কাজেই ওরকম কিছু ভাবাও ছিল প্রায় অকল্পনীয়।
ভাইয়ের পরের প্রশ্নের উত্তরে বলি, না। একেবারে শুরুতেই সে কথা উল্লেখ করা আছে। আসমার মায়ের আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আর সবশেষে মা.হাসান ভাইয়ের কথা রাখতেই উড়ো খৈ গোবিন্দোয় নমো: করলাম। হেহেহে...
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
ওমেরা বলেছেন: সুইডেনে এরকম হয় , হঠাৎ একটা জলজ্যান্ত মানুষ উধাও হয়ে যায় কোন খোঁজ পাওয়া যায় । আপনার গল্পে আশা করি সেরকম হবে না ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক দিন পর প্রিয় আপুকে কমেন্টে পেয়ে খুশি হয়েছি। ভেবেছিলাম আপু বুঝি আমার ব্লগকে ভুলেই গেছেন। আপুর আগমনে প্রমানিত যে আমার ধারণা ঠিক ছিল না। হেহেহে..
পোস্ট প্রসঙ্গে:-গল্পে আসমার মায়ের মত যদি সুইডেনে মাঝে মাঝে যে কোনো লোক হারিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টা খুব সেনসিটিভ। আপনাকে অনুরোধ করবো সাবধানে থাকবেন। পারলে একাএকা বেরোবেন না।গল্পে যেটা উল্লেখ করতে পারিনি।যারা আস্তিক তারা জিন পরী মানেন। অনুমান করা হয় আসমার মাকে জিনে নিয়ে গেছিল। বিজ্ঞানে বিষয়টি নিসন্দেহে হাস্যকর। সেকথা মাথায় রেখেও জিন তত্ত্বকে অস্বীকার করতে পারিনা। আপনি আর আসমার মায়ের ফেরার আশা করবেন না। পোস্টেই উল্লেখ করেছি, উনাকে আর পাওয়া যায়নি।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
ইসিয়াক বলেছেন: আমি মোটেও গুল মারিনি সত্যি সত্যি কয়েকটা আসন বুনেছিলাম। কারণটা বলি আপনি কিন্তু আবার আমাকে এ নিয়ে ক্ষ্যাপাবেন না বলে দিচ্ছি । ছোট বেলাতে আমি মেয়েদের সাথেই বেশি খেলাধুলা করতাম। আর মেয়েরা কিন্তু শুধু খেলাধুলা করে না প্রয়োজনীয় অনেক কিছু তৈরিও করে। তো সেই সব বান্ধবীদের কাছ থেকে আমি খেজুর পাতার পাটি/আসন বোনা শিখেছিলাম।
আপনারা বুঝি ছোটবেলাতে মিথ্যা বলাকে গুল মারা বলতেন? আমরাও বলতাম।
সে জন্য একটা চিমটি পাওনা আছে কিন্তু । কোনদিন দেখা হলেই আগে আপনাকে একটা চিমটি কেটে দেবো। তখন মনে থাকলে হয় ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার মুহূর্তে কমেন্টে ফিরে আসাতে আনন্দ পেলাম। এমন প্রতিবাদ একজন সাচ্চা মানুষের পক্ষে অবশ্যই কাম্য। আপনি যথার্থই প্রতিবাদ করেছেন। কথায় বলে নির্দোষ পুরুষ সিংহের সমান। কাজেই এক অর্থে আপনি সিংহ পুরুষ। তবে শৈশবে গুলমারা বিদ্যের অভিজ্ঞতা যার নেই,তার মানব জীবন পানশে বা অসম্পূর্ণ বলে আমার মনে হয়। গুলমারা একটা আর্টিস্টিক কাজ। আপনি সেই আর্ট থেকে বঞ্চিত।দুঃখিত আপনার জন্য। কাউকে গুল মারার পর যে অনুভূতি হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে আপনি এই বয়সে নতুন করে এমন বিদ্যা অর্জন করতে চেষ্টা করবেন না। অবশ্য কথা রাখবেন কিনা সেটা আপনার বিবেচনাধীন।
দ্বিতীয়তঃ আপনাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। ক্ষ্যাপানোর কথা যদি বলেন তাহলে বুঝবো আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন। এমন বন্ধুত্বকে নিয়ে আপনি ছিনিমিনি খেলতে পারেন না। হ্যাঁ যে কথা বলছিলাম, শৈশবে আপনি যে কেবলমাত্র বান্ধবীদের সাথে খেলতেন, একথা ব্লগে কাউকে বলবেন না। বুঝতেই পারছেন আমি না ক্ষ্যাপালেও ব্লগে অনেকেই কিন্তু আপনার পিছনে লাগবে। ওনারা জানতে চাইবেন, আপনার কতজন বান্ধবী ছিল কিম্বা কতজনের সঙ্গে টিফিন শেয়ার করে খেয়েছেন বা কতজনের সঙ্গে পুতুল খেলেছেন। আপনাকে ভালোবাসি বলে সতর্ক করে দিলাম। কাউকে এবিষয়ে কোনো উত্তর দিবেন না। শুধু আমাকে জানালে একথা আর পাঁচকান হবে না। প্রমিস। হেহেহে....
ভাগ্যিস আমি চিমটি কাটার কথাটি জানিয়ে দিলেন। সরষের তেল নিয়ে ঘুরে বেড়াবো। আপনাকে দেখা মাত্র আগে থেকে সারা গায়ে তেল মেখে রাখবো। কান্না পাচ্ছে এখন আমার,আপনাকে ভালোবেসে পরামর্শ দিলাম আর আপনি আমার চিমটি কাটবেন???? যাই হোক তার অপেক্ষায় রইলাম......
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
ইসিয়াক বলেছেন: বুড়ো বয়সে হানিমুনে কি কি করলেন একটু জানায়েন তো বুড়াবুড়ি হানিমুনে কি কি করে জানার খুব শখ ভুইলেন না কিন্তু।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সিক্রেট সিক্রেট! তবে আপনি বলেই গোপনে একটা কথা বলছি। বড়দের কথা মেনে চলুন।গৃহকেই একটা রিসর্ট বানিয়ে নিন।হোমডেলিভারী থেকে খাবার নিন। এবার হাতের কাছে হুমায়ুন আহমেদকে রাখবেন। সুচিত্রা ভট্টাচার্য ও সমরেশ মজুমদারকেও সঙ্গে নিবেন।মন উড়তে চাইলে সৈয়দ মুজতবা আলীর সঙ্গে একটু দেখা করতে পারেন। আমি অবশ্য হাসান আজিজুল হক মহাশয়ের সাথে একটু দেখা করেছিলাম। ভদ্রলোক ভীষণই ব্যস্ত।ফরফরকরে কথা গুলো বলে গেলেন। তবে ওনার শৈশবের শকুন থেরাপিটা খারাপ লাগেনি। ব্লগে থেকে ব্লগারদের সঙ্গে নিতেও ভুলবেন না। আমি অবশ্য বেশি জনকে সঙ্গে নিতে পারিনি। কাওসার ভায়ের সঙ্গে আবার পুতুলনাচ দেখতে গেলাম। নীল আকাশ ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ওনার গার্লফ্রেন্ড শবনমকে দেখে এলাম। পুরানো পাড়ার বন্ধু হাসান মাহবুব ভায়ের সঙ্গে ঋদ্ধ তিনেও গেলাম। আসাদ রহমান ভাই একটা গোটাদিন প্রায় আমাকে নজরবন্দি করে রাখলেন।পরে কিছু লোক সংস্কৃতি দেখতে কখনো খুলনা কখনো পটুয়াখালী নওগাঁ ও যশোরে গেছি। যদিও যশোরে আপনাকে দেখা না পেয়ে কিছুটা হতাশ হয়েছি।ও মারাত্মক কথা বলতে ভুলে গেছি। শায়মা আপুর কঙ্কাবতীর সঙ্গেও ইতিমধ্যে দেখা হয়েছিল।আপনি আবার ভুল করে কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী বলেন না যেনো উনি কিন্তু রেগে যাবেন।এই হলো কিরপিনের হানিমুন থেরাপি। রেসিপি পছন্দ না হলে পাঠক দায়ী। হেহেহে....
৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আসমা মা এভাবে্ হারিযে যা্বে্
ভা্বতেই কষ্ট হয় !
আসমার মাযের ফিরে আসামার
মায়ের ফিরে আসার প্রত্যাশায় রইলাম।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আপনাকে।
জীবনের কিছু চরম মুহুর্তে কষ্ট হলেও যে মেনে না নেয়ার উপায় থাকে না। জলজ্যান্ত একজন মানুষকে এভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া মেনে নেওয়া সত্যিই বেদনার। কিন্তু কিছুই তো আর করার নেই.....
এমন একটা আবেগি মন্তব্য রেখে যাওয়াতে আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় ভাই।
৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪
রামিসা রোজা বলেছেন:
আহঃ বিষণ্ণতার লেখাটাতে মনটা হু হু করে কেঁপে উঠলো।
একজন মায়ের অনুপস্থিতে পুরো সংসারটাই অচল হয়ে ,
আসমার কষ্টটা চোখে পড়ার মতো ।
মামু কেমন কাজটা কেন করলো,এখন নিজেও কষ্ট পাচ্ছে
এবং আরেকটা পরিবারের চরম সর্বনাশ ।
পোষ্টের শেষে এসে মা হাসান ভাই ও করুনাধারা আপার
নাম দেখে অত্যন্ত ভালো লাগছে এবং আপনাকে শুভেচ্ছা।
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এমন একটা আবেগি মন্তব্যের জন্য সর্বপ্রথম আমারপ্রীত নিন। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নারীহৃদয়ে পূর্ণ থাকে এক সমুদ্র ভালোবাসা। হাজার দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়েও মায়েরা হৃদয় থেকে ভালোবাসা উজাড় করে সংসারকে এক সূত্রে বেঁধে রাখেন। যে সংসারে মায়েরা অনুপস্থিত সেই সংসার ভালোবাসার সমুদ্র থেকে বঞ্চিত।
সাময়িক উত্তেজনাবশত কৃতকর্মের জন্য বাবু চাচা অন্তর থেকে দংশিত। এমনই দংশন আগামীতে তাকে কোথায় নিয়ে যায় সেটিও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পোস্টে উৎসর্গে ভালো লাগাতে আনন্দিত বোধ করছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৯
ইসিয়াক বলেছেন:
০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে......
১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের সুন্দর দেওয়ায়র জন্য। ভালো থাকুন।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের কমেন্টের প্রতিমন্তব্য ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। আলাদা কমেন্টে সেটা জানিয়ে দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
ভালোবাসা সতত।
১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চাটাই আমাদের আঞ্চলিক ভাষা। শীতলপাটি ও চাটাই একই জিনিস হতে বানায়। গাছটির নাম আঞ্চলিক ভাষায় পাটিপাতা। ফেনীর লেমুয়া বাজার খুব বিখ্যাত চাটাই বেচাকিনার জন্য এবং এখান হতে দিনাজপুরে বেশী চালান হয়।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমি খেজুর পাতার চাটাইয়ের কথা গল্প উল্লেখ করেছি। তালপাতা বা নারকেল পাতা দিয়েও চাটাই তৈরি করা যায় তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কাঠির মাদুর তৈরি করা হয় বিশেষ একরকমের ঘাস থেকে।আর শীতল পাটি তৈরি করা হয় মুক্তাগাছ থেকে যাকে আপনি পাতিগাছ বলছেন। আঞ্চলিক ভাষায় এরকম নামকরণ অসম্ভব কিছু নয়। উল্লেখ্য শীতলপাটি করার জন্য মুক্তাগাছার সবুজ ছাদ ধারালো বটি দিয়ে বুকগুলোকে বাদ দিয়ে বার করা হয়। খুবই পরিশ্রমী এবং ধৈর্যশীল একটি ব্যাপার। সেখানে পাতির মাদুর খুবই সহজ এবং কম সময়ে তৈরি হয়। তবুও আপনি যেরকম শীতলপাটি ও চাটাইয়ের কথা বললেন শুনে ভালো লাগছে। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে আবার এলাম। সবার মন্তব্য গুলো পড়তে। কে কি মন্তব্য করছে সেটা জানার দরকার আছে। বলেন ঠিক কিনা?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার মন্তব্যে আসাতে ভীষণ খুশি হয়েছে। আবারো ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে। আশাকরি মন্তব্যগুলো ভাইয়ের ভালো লেগেছে।এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দিনে শীতল পাটির মাদুর তৈরি সম্পর্কে ভাইয়ের কোন পোস্ট পাওয়ার দাবি আমরা করতেই পারি।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: খেজুরের চাটাইয়ের কোন অভিজ্ঞতা আমার নেই। তাই এটা নিয়ে কিছু বলতে পারলাম না।
একটা সংসারে মহিলা চলে গেলে আসলে সেই সংসারের সুখ বলে কিছু থাকে না।
গ্রামে হুট করে গাড়ি আসলে বাচ্চাকাচ্চার এভাবেই হইচই করে। এটা কমন দৃশ্য।
এই সিরিজ পড়তে বসলে আমার খুব সমস্যা হয়। আমাকে যেয়ে আগের পর্বগুলি কিছুটা দেখে আসতে হয়।
এখন আপনারা দুইজনই সুস্থ শুনে ভালো লাগলো। সাবধানে থাকবেন এখন থেকে।
সবার জন্য শুভ কামনা রেখে গেলাম।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসলে খেজুর পাতার চাটাই বা তালপাতার চাটাই বিষয়টি এক্কেবারেই গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। শহরের মানুষদের কাছে বিষয়টা অজানাটা অস্বাভাবিক নয়।
দ্বিতীয় বিষয়ে সহমত আপনার সঙ্গে যে একটা সংসারে মায়েদের অবদান প্রশ্নাতীত। মায়ের অনুপস্থিতিতে সেই সংসারে সুখ অস্তমিত হয়।
তৃতীয়ত-একটা সময় পর্যন্ত গ্রামের মানুষের কাছে মোটরগাড়ি ছিল অজ্ঞাত। সুতরাং তাকে দেখতে পাওয়ার সুযোগ মানে নিঃসন্দেহে পরম কাম্য।যা দেখার জন্য ছুটে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। পরে মোটর গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও এবং ঘন ঘন গ্রামে প্রবেশ করলেও মানুষের আকর্ষণের ছেদ পড়েনি। যে কারণে বিষয়টি আপাতদৃষ্টিতে আপনার কাছে কমন লেগেছে।
চতুর্থ বিষয়টা আমার কাছে খুবই লজ্জার। ক্ষমাপ্রার্থী।সিরিজ পড়তে বসে লিংক পেতে আবার পুরানো পর্বে ফিরে যেতে হচ্ছে শুনে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আসলে কিছু-না-কিছু অসুবিধার কারণে আমি সপ্তাহের মধ্যে পোস্ট দিতে পারছিনা। তবুও চেষ্টা করব আরেকটু নিয়মিত পোস্ট দিতে পারি কিনা। অসুবিধা সত্ত্বেও পাশে থাকার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শারীরিক সুস্থতা প্রসঙ্গে বলি-এই মুহূর্তে দুজনাই সুস্থ হয়েছি। এমন আন্তরিক পরামর্শ ও খোঁজখবরের জন্য আবারো ধন্যবাদ
আপনাকে।
সবশেষে পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় নীল আকাশ ভাইকে।
১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কয়েকদিন আগে ব্যস্ততার মধ্যে অর্ধেক পড়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল এই লেখাটা ঠাণ্ডা মাথায় পড়তে হবে। আজকে প্রথম থেকে পুরোটা আবার পড়লাম। আপনার এই লেখার প্রতি মনে হচ্ছে একটা আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে। আপনার লেখা অনেক সাবলীল। হালদার বাবু অনেক উদার মনের মানুষ মনে হচ্ছে। আসমার মায়ের জন্য গ্রামবাসী যেভাবে ভালবাসা দেখিয়েছে তা ভালো লেগেছে। আগে হয়তো এরকমই ছিল। এখন মানুষ অনেক বেশী আত্মকেন্দ্রিক।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
ব্যস্ততার কারণে প্রথমে না পড়লেও পরে সময় করে আবার এসেছেন এবং পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে মন্তব্য করেছেন দেখে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটার প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে,এটা আমার কাছে বড় পুরস্কার।হালদার বাবু সম্পর্কে আপনার অবজারভেশন সঠিক। কিন্তু সময়ের প্রেক্ষিতে সেই উদারতা ম্লান হয়ে যায়। পাশাপাশি দুই সম্প্রদায় জড়িয়ে পড়ে হিংসার উন্মত্ততায়।
প্রাচীন বাংলার একেঅপরকে সম্পর্ক ছিল্য মধুর। কিন্তু কালের নিয়মে স্বার্থকেন্দ্রীকতা মানুষকে একেঅপরকে বিষিয়ে তুলেছে। মানুষ হয়েগেছে আত্মকেন্দ্রিক। কমেন্টের শেষাংশে সহমত আপনার সঙ্গে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটা জীবনকে কলমে সেলুলয়েডের মতো ফুটিয়ে তোলা চাট্টিখানি কথা নয়।
সেই অসাধ্য কম্মটা কি অবলিলায় করে যাচ্ছেন প্রতি পব্বে! বলিহারি দাদা, পেন্নাম শত হস্তে!
+++
০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
আপনার এমন আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। আপনার আজকের কমেন্টটি ব্লগে আমার পাওয়া অন্যতম সেরা কমেন্ট। প্রথাগত উৎসাহের বাইরে এমন কমেন্ট আমার কাছে পুরষ্কার বৈকি। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করবো না। কিন্তু তবুও অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাই কৃতজ্ঞতা।
পোস্টে নবম লাইক ও ট্রিপল প্লাসে প্রেরণা পেলাম আবারও কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
৯০ এর দশকে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন পত্রিকাতে আমাকে সাত সিরিজের একটি ধারাবাহিক কলাম লিখতে দেয়া হয়েছিলো, আমি একসাথে লিখে সাত ভাগ করে জমা দিয়ে ছুটি নিয়ে পালিয়েছি। আপনার ১১ পর্ব ধারাবহিক চলছে - আপনার জন্য রইলো গনগনে আগুন গরম খাঁটি ঘি এ ভাজা জিলেপি শুভেচ্ছা।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই,
https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2020/11/13/975264
খুব ভালো লেগেছে ভিডিওটি দেখে। যে কারণে আপনাকে শেয়ার করলাম।
ব্লগিং করাটা খুব সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এত দেরি হচ্ছে লগ ইন করতে যে আর ব্লগে টাকা হচ্ছে না। গতকাল আপনার কমেন্ট দেখে যা একটু ঢুকলাম তারপর থেকে কিছুতেই আর সবুজ বাটন আসছে না। সবুজ বাটন সমস্যা অবশ্য আমার এর আগে বহুবার ঘটেছে। তবে তখন নেট স্পিড থাকায় মালুম হত না।
কমেন্ট বক্সে এমন গরম গরম জিলাপি দেখে রীতিমতো লোভ হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন গরম গরম জিলাপি খাওয়ানোর জন্য। উল্লেখ্য জিলাপি আমার ফেভারিট একটা মিষ্টি। কিন্তু গিন্নির সুগারের কারণে বাসায় আর আনি না।
আপনার যায়যায়দিন পত্রিকার কথা শুনে আনন্দ পেলাম। আপনি গুণী ব্যক্তি বহু আগে থেকেই তার স্বাক্ষর রেখেছেন। এমন স্মৃতিময় অতীতকে শেয়ার করার জন্য অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।
পোষ্টটিতে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাইকে।
১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
মা.হাসান বলেছেন: আগে ঢোকা হয়নি বলে দুঃখিত।
আপনার হানিমুন ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
মা ছাড়া সংসারের করুণ বিবরন হৃদয়গ্রাহী হয়েছে। এই সব ক্ষেত্রে ২য় বিবাহ অতি স্বাভাবিক। এটা পরের কোনো পর্বে চলে আসলে অবাক হবো না।
খেজুর পাতার চাটাইয়ে বসা বা শোয়ার অভিজ্ঞতা আছে তবে নিতান্তই স্বল্প সময়ের জন্য। বসার জন্য ভালো, গরম কালে হয়তো শোয়া যায়, তবে যেমন বলেছেন, অসমান হবার কারণে আরামদায়ক না। শীতলপাটি অনেক দামি জিনিস। গ্রামে থাকার কথা না।
গ্রামে মটর সাইকেল ঢোকাটাই এক সময়ে বড় ব্যাপার ছিলো। আর গ্রাম কি বলবো, আশির দশকের শুরুতেও , শহরে পাড়ায় মটর সাইকেল দেখলে তার চার পাশে বাচ্চা ছেলেদের ভিড় জমে যেতো।
হালের অনেক বড়লোকই গাড়িতে ছোড়ারা হাত দিলে খেকিয়ে ওঠে- দিলে তো নোংরা করে। হালদার বাবুকে অনেক উদার ও মানবিক মনে হলো। ওনার প্রতি ভক্তি আরেকটু বেড়ে গেলো।
অনেক শুভ কামনা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দীর্ঘ বিরতির পর আপনার প্রত্যাগমন শান্তি পেলাম। অনেকদিন ধরেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম। আশা করি এই মুহুর্তের শারীরিক ও পেশাগত ব্যস্ততা কাটিয়ে অনেকটাই ফ্রী আছেন।
তবে এসেই হানিমুনের দিকে কু নজর দেবেন না। ভাল হবে না বলে দিলুম হেহেহেহে....
মায়ের অনুপুস্থিতিতে করুণ পরিণতি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ঠিকই তো হ্যাঁ স্ত্রী মারা গেলে বা নিরুদ্দেশ হয়ে গেলে সে সমস্ত পুরুষদের আর বেশিদিন অপেক্ষা করা সাজে না।সেক্ষেত্রে অন্তত বাহ্যিকভাবে লোকচক্ষুর সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুবর্ণ সুযোগ থাকে। তবে গল্পের পরবর্তীতে কি হবে, সে বিষয়টি দেখার জন্য আপনাকে একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতেই হবে।
খেজুর পাতার চাচাই সম্পর্কে আপনারও অভিজ্ঞতা আছে জেনে ভালো লাগলো। গ্রামবাংলার মানুষের সেই আদিকাল থেকেই চলে আসা বসা, খাওয়া, শোয়ার একমাত্র মাধ্যম সহজলভ্য এবং সহজপ্রাপ্য খেজুর পাতার চাটাই।
এখনো গ্রামীণ জীবনে দারিদ্রতা যেখানে নিত্য সঙ্গী সেখানে শীতলপাটির কল্পনা অনেকটাই বিলাসিতা।আমার জানামতে নব্বইয়ের দশকে গ্রামীণ অর্থনীতি অনেকটা বদলে যায়। তখন অবশ্য শীতলপাটি গ্রামীণ সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়ে।
আমি আমার ছোটবেলায় দেখেছি, গ্রামে কোনো অপরিচিত মানুষ এলে গ্রামের পুরুষ-মহিলারা হা হয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকতো। কার বাড়িতে যায় তা জানার জন্য মানুষের প্রবল কৌতূহল ছিল। আর মোটরসাইকেলের শব্দ শুনলেই তো সকলেই কাজকম্মো ফেলে রাস্তার দিকে ছুটত। মাথার ওপর উড়োজাহাজ দেখাটাও এ সময় খুব লোভনীয় ছিল। আমার শৈশবে অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে হা হয়ে আকাশে তাকিয়ে থাকতাম উড়োজাহাজ দেখার জন্য।
এসব দিক দিয়ে হালদার বাবু ছিলেন সম্প্রীতির আবহে উদার মনের, আধুনিক এবং হৃদয়বান ব্যাক্তি। গল্পের প্রাসঙ্গিকতা অনুযায়ী যে বিষয়টিকে কিছুটা আগে বা পরে তুলে ধরা হয়েছে। ওনার গাড়ীতে হাত না দেওয়া বা এই প্রসঙ্গে আপনার অভিমথটি যুক্তিযুক্ত।
লম্বা বিরতির পর সুন্দর কমেন্টে প্রীত হলাম। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৮| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "নারীহৃদয় হলো ভালবাসার মহাসমুদ্র" - এ কথাটা যেমন ঠিক, মাঝে মাঝে এর উল্টো চিত্রটাও ঠিক হতে দেখা যায়- নারীহৃদয় হলো হিংস্রতা এবং বিদ্বেষের মহাসমুদ্র। শুধু মানব প্রজাতির মাঝে নয়, সৃষ্টির সকল স্ত্রী প্রজাতির ব্যাপারে এ কথাটা সত্য। কথাটা এ গল্পের ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক হলেও, বলে গেলাম সত্য বলে।
আসমা-জহর ভাইবোনের হৃদ্যতা মন ছুঁয়ে গেল। সেই সাথে হালদার মশাই এর উদারতাও।
গল্পে দ্বাদশ ভাল লাগা + +।
২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "নারীহৃদয় হলো ভালবাসার মহাসমুদ্র" - এ কথাটা যেমন ঠিক, মাঝে মাঝে এর উল্টো চিত্রটাও ঠিক হতে দেখা যায়- নারীহৃদয় হলো হিংস্রতা এবং বিদ্বেষের মহাসমুদ্র। শুধু মানব প্রজাতির মাঝে নয়, সৃষ্টির সকল স্ত্রী প্রজাতির ব্যাপারে এ কথাটা সত্য। কথাটা এ গল্পের ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক হলেও, বলে গেলাম সত্য বলে।"-এক্কেবারে যথার্থই বলেছেন। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই দোষ গুনে পরিপূর্ণ। এই আমরাই কোথাও সুনাম অর্জন করলেও আবার কোথাও বা দুর্নামের চূড়ান্ত ভাগিদার হই। আপনি বিচক্ষণ মানুষ যে কারণে গল্পের বিষয়ের সঙ্গে সহমত দিয়েছেন। যদিও বাস্তবতা অন্য কথা বলে। যাইহোক গল্পের বুননকে দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করাতেই এমন অবতারণা।
ছোট ছোট দুই ভাই বোনের অসহায়ত্ব ও হালদার বাবুর উদারয়তায় খুশি হয়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন স্যার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: আসমাদের পরিবারের এই দুরাবস্থার জন্য মাহমুদ যেভাবে অপরাধ বোধে ভুগছে, তাতে আগামীতে ও কী করে বসে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় পড়লাম। একটি পরিবারে পরিজনদের সকলকে একসাথে ধরে রাখেন মা। মায়ের অনুপস্থিতিতে পরিবারের বাচ্চাদের কতটা কষ্ট হয় এটা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
হালদার বাবুর আগমন গল্পকে কোনদিকে নিয়ে যায় কে জানে!
আমি এই পর্ব এখন দেখে চিন্তায় পড়লাম, মনে হচ্ছে গত রাতে পড়েছিলাম কিন্তু আগের পর্বের মত ছোট মন্তব্য করব না বলে তখন মন্তব্য করি নাই। এখন আবার পড়লাম, আর বুঝলাম আমার ভুল হয়নি, আপনি শেষে কিছু যোগ করে নতুন করে পোস্ট করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আমাকে এভাবে স্মরণ করায়। আশাকরি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছেন...