নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া (খন্ড-১/ পর্ব- নবম)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪১



মানুষের প্রত্যেকেরই জীবন এক একটা চক্রের মধ্যে বাঁধা।হালদার বাবুর গোলাতে থাকাকালীন আমাদের প্রত্যাহিক রুটিনও সেরকম একটা ধরাবাঁধা চক্রের মধ্যে আবর্তিত হত। সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যে নিয়মের অন্যথা হতো না। মনে পড়ে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে যৎসামান্য প্রাতরাশ করে আমরা কাজে লেগে যেতাম। শুরু থেকেই আমি স্বপন কাকার জোগাড়ে হিসেবে ফাইফরমাস খেটে এসেছি। যদিও মাথার উপরে দাদার নজরদারি থাকতো সারাক্ষণ। মাঝে দুপুরে খাওয়ার পরে একটু হাল্কা বিশ্রাম নেওয়ার সময়টুকু বাদ দিলে সারাদিনই এক প্রকার আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে কেটে যেত। সাধারণত দুপুরে বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজ শুরু করতে করতেই বিকেল গড়িয়ে যেত। প্রতিদিনকার মত সেদিনও বিশ্রাম নিয়ে সবে কাজ শুরু করেছি, এমন সময় হালদার বাবু খুব উদ্বিগ্ন হয়ে, রুস্তম ভাই রুস্তম ভাই, বলে ডাকতে ডাকতে সোজা গোলার মধ্যে ঢুকে পড়লেন। উল্লেখ্য তার আগে দুদিন উনি বাইরে ছিলেন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন কাজে প্রায়ই বাইরে যান। আজ কখন বাড়িতে এলেন আমরা তা টের পাইনি। যাইহোক দাদা ছিল সে সময়ে ভিতরের দিকের শেষ প্রান্তে কাঠ বাছাইয়ে ব্যস্ত।হালদার বাবুর এমন হন্তদন্ত হয়ে আগমন দেখে দাদাও কাজ ফেলে সোজাসুজি দাঁড়িয়ে গেল। মাঝে পথিমধ্যে চারিদিকে কাঠ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা ছিল। ওনার ব্যস্ততা দেখে আমরা সমান ব্যস্ততায় পড়িমড়ি করে অবিন্যস্ত কাঠ সড়াতে উদ্যত হলাম। কিন্তু উনি সেসবের কোন পাত্তাই দিলেন না। কাঠের ফাঁকফোকর দেখে পা টেনে টেনে কিছুটা হুমড়ি খেতে খেতে পৌঁছে গেলেন এক্কেবারে শেষ প্রান্তে দাদার কাছে। খুব নিচু গলায় কয়েক মুহূর্ত দুজনে কি একটা বলাবলি করলেন। আমরা উৎকণ্ঠার তাকিয়ে রইলাম ওনাদের দিকে। কিন্তু দুজনেই এত নিচু স্বরে কথা বললেন যে কিছুই আমাদের কান পর্যন্ত এসে পৌঁছালো না। কথোপকথনের শেষে হালদার বাবু একটা ইশারা করতেই দাদা ওনাকে অনুসরণ করতে লাগলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,হালদার বাবু বাড়িতে পা পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া সাদা কাটা ধুতি পরেন। এক্ষণে ধুতিটা ঈষৎ উপরে তুলে নিঃশব্দে আমাদের পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে গেলেন। ওনার এমন আগমন ও প্রত্যাগমন যে অত্যন্ত অস্বাভাবিক ছিল সে কথা বলা বাহুল্য। দেখতে দেখতে কয়েক বছর এখানে কাটিয়েছি। এই বাড়ি ও আশপাশের অলিগলি থেকে শুরু করে চেনাজানা অনেক সদস্যকেই কমবেশি চিনি। গড়পড়তা মানুষ থেকে হালদার বাবু ব্যক্তিটা সম্পূর্ণ আলাদা।অসম্ভব ঠান্ডা মাথার হৃদয়বান মানুষটিকে দেখেছি প্রবল ব্যক্তিত্বশালী পুরুষ হিসেবে।আজ পর্যন্ত কারো সঙ্গে ওনার কখনো ঝগড়া করতে বা কথা কাটাকাটি হতেও দেখিনি। এরকম একজন মানুষের আচরণ আজ সম্পূর্ণ অপরিচিত লাগলো।কিছুতেই আমার চেনাজানা মানুষটার সঙ্গে মেলাতে পারলাম না। স্বভাবতই মনের অস্থিরতা বহুগুণ বেড়ে গেল। আপন মনে এসব ভাবতে ভাবতে দাদার ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। দেখতে দেখতে বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেল, দুজনের ফেরার কোন নাম গন্ধ নেই দেখে পাশে কর্মরত বাপজানকে উঠে গিয়ে জানাই সে কথা। বাপজান প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। আমার কথা শুনেও যথারীতি অবিচল থেকে নিজেকে ব্যস্ত রাখে আপন কাজে। শুধু একবার মুখ তুলে, আমাকে নিজের কাজে মন দেওয়ার পরামর্শ দেয়। বাপজানের আচরণ পাথরের মূর্তির মত লাগলেও কোনরকম অভিব্যক্তি প্রকাশ না করে একপ্রকার বাধ্য হয়ে নিজের জায়গায় চলে আসি। বাপজানের কথা শুনে বাধ্য ছেলের মত কাজে ফিরে যাই ঠিকই কিন্তু ভিতরে ভিতরে অস্থিরতার পারদ চড়চড় করে উপরে উঠতে থাকে।

স্বপন কাকাও এতক্ষণ হাত গুটিয়ে বসে ছিল। আমি ফিরে আসাতে দুজনে মিলে আবার নতুন করে কাজ শুরু করি। আগেই উল্লেখ করেছি এক অস্থিরতার দোলাচাল মনের মধ্যে প্রবল বেগে প্রবাহিত হতে থাকে। আপ্রাণ চেষ্টা করি কোনভাবেই যেন তার বহিঃপ্রকাশ না ঘটে। এমন সময়ে বাপজানকে দেখি নিজের জায়গা ছেড়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসতে।
স্বপন কাকা কাজ থামিয়ে মুখ উঁচু করে জিজ্ঞেস করে,
- বড় ভাই কিছু বলবে?
-হ্যাঁ স্বপন তুমি একটু বাইরে গিয়ে দেখবে, ওনারা দুজন কোথায় গেছেন?
-আজ্ঞে হ্যাঁ আমি এখুনি যাচ্ছি, বলে স্বপন কাকা বাইরে বেরিয়ে গেল।
খানিকবাদে ফিরে এসে জানালো,
-বড় ভাই, ওনারা দুজন বাড়ির পেছনে বসে কথা বলছেন।
-কি কথা বলছেন?
- সে কথা বলতে পারব না। আমি যেতেই ওনারা কথা বলা বন্ধ করে দেন। আমি তাতেও ভ্রুক্ষেপ না করে ওখানে কিছুক্ষণ দাঁড়াতে বাবু আমাকে চলে যেতে বললেন।
স্বপন কাকার কাছ থেকে কোনো সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে এবার আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হল। হাত-পা নিশপিশ করতে লাগল। উল্লেখ্য ধৈর্যচ্যুতির এমন অভিব্যক্তি আজ নতুন নয়।প্রচণ্ড মানসিক চাপে এমন অবস্থা ইতিপূর্বেও আমার ঘটেছে। কাজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে একপ্রকার দাঁতে দাঁত চেপে গভীর উৎকণ্ঠায় বসে রইলাম।

আরও কিছুক্ষণ পরে দাদা ফিরে আসে। চোখেমুখে দুশ্চিন্তার করাল ছায়া স্পষ্ট।উফ! এতক্ষণে আমাদের প্রতীক্ষার যেন অবসান হলো। দাদা গোলায় প্রবেশ করতেই আমরা সবাই উৎসুক্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। গোলার মধ্যে তখন পিনপতন নীরবতা। কিন্তু কি আশ্চর্য! দাদার মুখে কোনো কথাই নেই। চুপচাপ একটা কাঠের উপরে বসে পড়লো। উদাস চাহনির সঙ্গে শূন্য দৃষ্টিতে গোলার চালের দিকে তাকিয়ে রইলো। এদিকে ভিতরে ভিতরে আমি প্রচন্ড অস্থির হয়ে উঠি।এমন সময় দুই হাত পিছনে বেঁধে গভীর দুশ্চিন্তায় কিছুটা সামনে ঝুঁকে অনেকটা লক্ষ্যহীনভাবে প্রবেশ করলেন হালদার বাবু। আমাদের সকলের লক্ষ্য স্থানান্তর ঘটলো হালদার বাবুর দিকে। শুরুতে একটা কাঠে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে উনি আমাদের সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন।
এবার সোজা ভাবে দাঁড়িয়ে বার দুয়েক গলা খাকারি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে,
-তোমরা সকলেই এখানে আছ। তোমাদের সঙ্গে আলোচনার আগে রস্তম ভাইকে আড়ালে ডেকে মূলত যে বিষয়টি আলোচনা করেছি, এখন সেটাই তোমাদেরকে বলতে চাই। আমি দুঃখিত যে বিষয়টি জানানোর জন্য আমার অন্য কোন উপায় নাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বা দুঃখজনক হলেও সত্য সত্যই; তাকে যে অস্বীকার করার উপায় নেই।আমরা গোটা দেশবাসী এই মুহূর্তে একটা ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে অতিক্রম করছি। শাসক ব্রিটিশের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গেছে।তারা ইতিমধ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তেও তারা নখদন্ত বার করে দেশমাতৃকার উপর চূড়ান্ত আক্রমণ হানতে উদ্যত। উল্লেখ্য প্রান্তিক শহর হওয়াতে আমাদের এলাকাটা বরাবরই ব্রিটিশ শাসকের শ্যেন দৃষ্টির আড়ালে থেকে গেছে। এটা এই শহরের একটা বাড়তি সুবিধা আর কি। আর এই কারণেই আমরা এখানে অনেকটা নিজেদের মত করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু ব্রিটিশের এবারের আক্রমণে গোটা দেশের সঙ্গে আমরাও সমানে আক্রান্ত।আজ আমরা কেউই তার হিংস্র নখর থেকে নিরাপদ নই। আজ তারই লোলুপ দৃষ্টিতে আমাদের যে কারো জীবনে চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে যেতে পারে।

তোমরা সব নাও জানতে পারো ব্রিটিশের এই প্রস্থান কিন্তু একে দিনে হয়নি। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা দেশকে উদ্ধারের জন্য জীবন মরণ সংগ্রাম করেছেন। বহু রক্ত ঝরেছে, এখনোও ঝরছে। তারই সুফলে আমরা পেতে চলেছি আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। দেশের এই বীর সন্তানদের লাগাতার সংগ্রাম কর্মসূচির জন্যই ব্রিটিশ সরকার আজ পর্যুদস্ত।তারা সম্পূর্ণ দিশেহারা হয়েই আমাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছে।তাই বলে এখনও আমাদের লড়াই থেমে যায় নি। আমাদের লক্ষ্য ওসব ক্ষমতা হস্তান্তর নয়, ব্রিটিশকে সম্পূর্ণ উৎখাত করা।দুশো বছরের একটা দানবীয় শক্তির প্রলয়ঙ্করের পর দেশ সম্পূর্ণ ধ্বংস স্তুপে পরিণত। তাকে নতুন করে না গড়া পর্যন্ত আমাদের শান্তি নেই।

কিন্তু ধূর্ত ব্রিটিশরা সহজে দমবার পাত্র নন।এই পরাজয় তারা সহজে হজম করতে রাজি নয়। নিত্য নতুন ফন্দি ফিকির করে বৃহত্তম দুই সম্প্রদায়কে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিয়ে নিজের কাজ হাসিল করতে চাইছে। তারা এখনও এদেশে জমি আঁকড়ে পড়ে থাকতে মরিয়া।আর একাজে তাদের সংগত দিচ্ছে দেশের দুই বৃহত্তম সম্প্রদায়ের কিছু সংকীর্ণ স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি। একশ্রেণীর মানুষ তাদের ফাঁদে পা দিয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়ে নিজেরাই রক্তক্ষয়ী দাঙ্গায় ব্যস্ত। শেষ মুহূর্তে এটাই ব্রিটিশের মস্ত বড় সাফল্য। মূলত তাদের প্রত্যক্ষ উসকানিতে গোটা ভারতবর্ষ এখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার লেলিহান শিখায় প্রজ্বলিত। যদিও আমরাও দৃঢ় সংকল্প, ব্রিটিশের এই অপচেষ্টা রুখবই ... একটানা কথাগুলো বলে বাবু হঠাৎ বসে পড়লেন।

উল্লেখ্য এতক্ষণ যেন ঘোরের মধ্যে ছিলাম। প্রবল দুশ্চিন্তায় হাত পা সব অবশ হয়ে এল। কয়েক মুহুর্ত পরে উনি আবার উঠে দাঁড়ালেন।
আবার বলতে লাগলেন,
-এই অবস্থায় ব্রিটিশের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক শক্তিকেও প্রতিহত করা আমাদের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, বড় দুচিন্তাও বৈকি। দুই সম্প্রদায়কে আবার ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। নিজেদের সমস্যার সমাধান নিজেদেরই করতে হবে। কিন্তু সময়টা এখন বড্ড প্রতিকূল। তোমরা শুনে অবাক হবে,কলকাতা শহরে হাজার হাজার মানুষ এই মুহূর্তে গৃহহারা। বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন। শুধুমাত্র প্রাণটুকু হাতে নিয়ে যে যেদিকে সম্ভব উদভ্রান্তের মতো ছুটে বেড়াচ্ছেন। মূলত রাতের দিকেই মহল্লার পর মহল্লা ভস্মীভূত হচ্ছে বেশি। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের এই প্রান্তিক শহরেও তার আঁচ এসে পৌঁছেছে। আমার গোলায় তোমরা দুই সম্প্রদায়ের লোক আছ।একটা সময় যেটা ছিল আমার গর্ব, আজ সেটাই আমার দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ। এমতাবস্থায় আর এক মূহুর্ত তোমাদের এখানে থাকাটা আমি আর নিরাপদ বোধ করছি না। আজি এবং এক্ষুনি তোমরা যে যেখানে পার নিরাপদ দূরত্বে চলে যাও। পরিস্থিতি অনুকূল হলে পরে আবার যোগাযোগ করবে। তোমরা জানো তবুও আরো একবার স্মরণ করাই যে তোমরা প্রত্যেকেই আমার হৃদয়ে স্থায়ী আসনে আসীন।
শেষ কথাগুলো বলার সময় রীতিমতো ওনার গলা ধরে এলো। কোনক্রমে কথাগুলো বলেই উনি গোলা ছেড়ে দ্রুত পা চালিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলেন।

হালদার বাবুর সংক্ষিপ্ত ভাষণে আমাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। পড়ন্ত বেলা! অথচ উনি তো এখনই গোলা ছাড়তে বলছেন। আমরা রাতটুকু থাকার কথা তুলতেই দাদা প্রতিবাদ করে উঠলো,
-তোমাদের সঙ্গে সব কথা আলোচনা করা যাবে না। উনি যেটা বলেছেন এক্কেবারেই সত্যি। আর এক মুহূর্ত এখানে থাকা নিরাপদ নয়। আজকেই রাতে আমাদের গোলা আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। এখানে থাকলে আমাদের সবাইকে হয়তো আগুনে পুড়ে মরতে হবে।
দাদার এ কথা শোনার পর আমরা সকলেই ব্যস্ত হয়ে পড়ি।যে জায়গাটা ছিল আমার একসময়ের সাধনার, আমার প্রার্থনার, আমার সর্বোত্তম আকাঙ্ক্ষার সেই স্থানটি যে আজ যে মৃত্যুফাঁদ হতে চলেছে তা ভেবে শিউরে উঠি। যাইহোক আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের জিনিসপত্র গোছাতে থাকি। আরও কিছুক্ষণ পরে আমরা গোলা ছেড়ে বেরিয়ে আসি। দেখতে দেখতে পশ্চিম আকাশে সূর্য অনেকটা ঢলে পড়েছে। সন্ধ্যার বেশি বাকি নেই। অথচ অন্ধকার হওয়ার আগেই আমাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে হবে। এই অসময়ে আরও পাঁচ ছয় ঘণ্টা পায়ে হেঁটে গ্রামে ফেরাও সম্ভব নয়। তাহলে এখন আমাদের উপায়....

কৃতজ্ঞতা স্বীকার:- পোস্টটিকে সপ্তম লাইক প্রদান করে নির্বাচিত করাতে কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। ধন্যবাদ প্রিয় কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইকে।


মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


"গোলা" কি জিনিষ?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
এখন ফার্নিচারের দোকান ও কাঠগোলার মধ্যে একটা সুন্দর বিভাজনরেখা থাকলেও ঘটনার সময় সবকিছুই কাঠগোলা নামেই পরিচিত ছিল। তারি সংক্ষিপ্তরূপ গোলা।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এই লেখার অনিয়মিত পাঠক। তারপরও গল্প ভালো লাগছে। যে পর্বগুলি পড়ি নাই সেগুলিও পড়তে হবে। গোলা মানে কি?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি অনিয়মিত হয়েও গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। সময় সংকুলান হলে অপঠিত পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ রইল। গোলা নিয়ে জিজ্ঞাসার উত্তরে এক নম্বর কমেন্টের প্রতিমন্তব্যে ইতিমধ্যেই বিষয়টি উল্লেখ করেছি। এখানে কাঠগোলাকে উল্লেখ করা হয়েছে। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আরেক "নিয়মিত পাঠক" এতদিনে "গোলা"র মানে জানতে চেয়েছেন, আপনার সোভাগ্য!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একজন অনিয়মিত পাঠকের প্রশ্ন উদ্ধৃত করে আবার আগমনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। ইতিমধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি দিয়েছি। আপনারা সবাই আমার শুভানুধ্যায়ী। আপনাদের প্রত্যেকেরই আগমনে আমি আনন্দ পাই আপনার কথায় সৌভাগ্যবান বৈকি।

ভাল থাকুন সব সময়।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


৩ নং কমেন্টে টাইপো:

আরেক " *অনিয়মিত পাঠক" এতদিনে "গোলা"র মানে জানতে চেয়েছেন, আপনার সোভাগ্য!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কমেন্টে টাইপো- নো প্রবলেম। আমারও এরকম টাইপিং মিসটেক প্রচুর হয়। কমেন্টে এডিটিং করার সুযোগ না থাকায় সময় বিশেষ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বৈকি। যাইহোক আপনার আবারো আগমনে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
গোলার উত্তরটি যেহেতু ইতিমধ্যে দিয়েছি, আশাকরি প্রতিমন্তব্যটি দেখে নিয়েছেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৪

করুণাধারা বলেছেন: ঘটনা প্রবাহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে যাচ্ছে মনে হয়। দেখা যাক কি হয়। এই পর্ব রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম।

গোলা কী? আমারও প্রশ্ন। আমরা ধান রাখার ঘরকে ধানের গোলা বলি। এখানে মনে হয় অন্য অর্থে ব্যবহার করছেন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন আপু। স্বাধীনতা প্রাক মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গাকে আজ উল্লেখ করা হয়েছে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইতিমধ্যে গোলা নিয়ে সবাই জানতে চেয়েছেন। আপনি প্রশ্ন রেখেছেন পাশাপাশি একটি আনুমানিক উত্তরও দিয়েছেন। আপনার ধারণা একেবারেই 100% সঠিক।
'গোলা' শব্দটি শস্যাগার থেকেই এসেছে। পরবর্তীকালে অর্থের সম্প্রসারণ হয়ে যেকোনও রকমের মজুতদারকে 'গোলা' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে ছিল ধানের গোলা। ক্রমশ পরের দিকে কাঠগোলা,বালির গোলা, এমনকি বাজার বা গঞ্জকেও গোলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আপনি শুনে মজা পাবেন যে গোলাহাঁড়ি শব্দটিও অর্থবহ। তখন কিন্তু নিকাবার জন্য বা গোবর ছড়ানোর জন্য গোবরগুলা হাঁড়িকেই বোঝানো হয়।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপু আপনাকে।

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ধানের গোলার ছবি ও ছবি সূত্র

চাঁদগাজী ভাই, আমার জানামতে বাংলাদেশ বাংলা ভাষায় ধান চাল রাখার বাঁশের পাটি দিয়ে তৈরি চারকোনা/গোল আকৃতির বেশ বড় ঝুড়িকে গোলা বলা হয়। আমরাও গোলা (ধানের গোলা) বলতাম, এখন আমাদের বাড়িতে ধানের গোলা নেই, ধান রাখার বাঁশের তৈরি রুম করে নিয়েছি আমরা তাকে গোলাঘর বলি।

ভারতে গোলা অর্থ কি জানিনা।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই চমৎকার একটি ছবি সহ কমেন্টটি করার জন্য আপ্লুত হলাম। আপনার ছবিসহ পোস্টটি এই পোস্টে আগত অনেকেরই জানার ইচ্ছা নিবৃত্ত করবে। পাশাপাশি গোলা শব্দের সম্প্রসারিত রূপ ইতিমধ্যে আমি করুনাধারা আপুর কমেন্টের উত্তরে উল্লেখ করেছি যে শব্দটি ধানের গোলা বা শস্যাগার থেকেই এসেছে। সম্প্রসারিত রূপে এখন মজুতদারীকে বোঝায়।কাঠগোলা,বালির গোলার সঙ্গে বাজার বা গঞ্জকেও বুঝিয়ে থাকে।আর 'গোলাহাঁড়ি' শব্দের অর্থ আপনাকে আর বলবো না। হেহেহে...
আপনার ছবি কৃত কুমিল্লার ধানের গোলা বিলুপ্তির পথে দেখে সমৃদ্ধ হলাম। তবে দুঃখের যে এত সুন্দর একটা সিস্টেম হারিয়ে যেতে বসেছে.....
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।



৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের মুক্তিযোদ্ধা চাঁদগাজী গোলা মানে মনে হয় কামানের গোলা ভেবেছেন। ওনাকে একটু বুঝিয়ে দিয়েন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবারো কমেন্টে আসাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ প্রিয় সাচু ভাই আপনাকে।
আমারও সেটাই মনে হয়েছে শ্রদ্ধেয় মুক্তিযোদ্ধা কামানের গোলাকে মিন করতে চাইছেন। তবে অর্থগত দিক দিয়ে কামানের গোলাও যুক্তিযুক্ত। পাশাপাশি একটা কথা বলার চেয়ে, উনি আপনাকে ভীষণ ভালোবাসেন। আপনার প্রশ্ন আমি ঠিকমত বুঝতে পারছি কিনা বিষয়টি উল্লেখ করে গেছেন এবং আপনার আগমন যে আমার কাছে সৌভাগ্যের সেটিও উল্লেখ করতে ভোলেননি। আমি কৃতার্থ আপনার সঙ্গে ওনাকে এভাবে পোস্টে পেয়ে। আগামীতেও এভাবে পাশে পেতে চাই।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় সাচু ভাইকে।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৭

সোহানী বলেছেন: হায় হায় আমিতো আগের পর্বগুলা পড়ি নাই!!! কেমনে কি!!

পড়া শুরু করলাম।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু আপনি খুবই ব্যস্ত ছিলেন।ঐ সময়ে অন্যদিকে সময় দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব ছিল আপনার পক্ষে।যদি এখনও সময় হয়ে না ওঠে তাহলে জোর করবো না। তবে সময় সংকুলান হলে অপঠিত পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ করবো।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখা অনেক দিন পর আবার পেলাম। আগের সব মাথা হতে আউটরে ভাই। আগের দিনে বিয়ের কথা হলে কনে পক্ষ বর পক্ষ উভয়ের মুরুবিরা ধানের গোলা খুজে দেখতো আগে । গোলা থকালে বুঝে নিত জায়গা জমি আছে মেয়ে বিয়ে দিলে ভাত খেতে পঅরবে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নেওয়াজ ভাই আশা করি ভাল আছেন। ব্যস্ততার কারণে বহু দিন ব্লগে পোস্ট দেওয়ার সময় হয়ে উঠেনি। আগের গুলো সব ভুলে গেছেন, সত্যিই দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। আপ্রাণ চেষ্টা করব যাতে পরের বার এমন দীর্ঘসময় না লাগে।প্লিজ ভাই এবারটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে মাফ করে দিন।
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত। সত্তর-আশির দশকে বিয়ের সময় পাত্রের বাড়িতে ধানের গোলা দেখা হত। গোলা থাকলে বুঝে নিতো মেয়ের ভাত কাপড়ের অভাব হবে না।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা রইল।

১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা ভীষন অন্যায়।
দুটা অন্যায়।
এক, ধারাবাহিক পোষ্ট নিয়মিত দিতে হয়। কিন্তু আপনি নিয়মিত পোষ্ট দিচ্ছেন না। এতে যারা নিয়মিত পড়ুয়া পাঠক তাদের সমস্যা হয়। আমার সমস্যা হয়। নিয়মিত ধারাবাহিক পোষ্ট না দিলে আগ্রহ ভাটা পড়ে।

দুই, গোলা। গোলা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। যাই হোক, ঠাকুর মাহমুদ এই সমস্যা দূর করেছেন। তিনি আবার ছবিও দিয়েছেন। ছবি দেওয়াতে আমার জন্য সুবিধা হয়েছে।

হালদার বাবু কি দুষ্ট লোক?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই ভাইয়ের অভিমান হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আসলে গোটা ডিসেম্বরটা খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও আমার আরো একটু নিয়মিত হওয়া দরকার ছিলো। কিন্তু আমি সেটা হতে পারিনি; দুঃখিত ক্ষমা প্রার্থী। আশাকরি ছোট ভাই এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
পরবর্তী পোস্টগুলো যাতে সময়ে দেওয়া সম্ভব হয় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবো। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
গোলা নিয়ে সমস্যায় ইতিমধ্যে মিটে গেছে। অর্থের সম্প্রসারণে একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হতেই পারে। সহমত ভাই এর সঙ্গে যে ঠাকুরমাহমুদ ভাইয়ের ছবিটি খুব কার্যকরী হয়েছে। পরবর্তীতে আগত সকলেই আশাকরি বুঝতে সুবিধা হবে।
সবশেষে হালদার বাবু সম্পর্কে ভাইয়ের কমপ্লিমেন্টটিতে খুব দুঃখ পেলাম। উনাকে বুঝতে অসুবিধা হলে আরও একবার পোস্টটি পড়ার অনুরোধ করবো।

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,





সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া যাওয়ার মতোই দীর্ঘপথ পাড়ি দিচ্ছে লেখাটি। খুব থেমে থেমে চলছে বলেই পথ আরও দীর্ঘতর মনে হচ্ছে। পথ হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থেকেই যায় তাতে !

দেশ ভাগের সময়কালীন একটি দাঙ্গার কাহিনী পেতে যাচ্ছি আমরা মনে হয় !
এরকম কতো কাহিনী যে ছড়িয়ে আছে সে সময়কার ঘটনা প্রবাহ নিয়ে। আপনার লেখাতে তেমন একটি কাহিনীর কথা হয়তো জানা যাবে।

শুভেচ্ছান্তে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই আশাকরি ভাল আছেন। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন যে সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার পথে। পরের দিকে চেষ্টা করব যেটা মিশনটা আরও একটু দ্রুত চালনা করা যায়।

মন্তবের পরবর্তী অংশ সম্পর্কে আপনার অনুমান সঠিক।চেষ্টায় আছি প্রাক স্বাধীনতা মুহূর্তের মর্মস্পর্শী রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার একটি চিত্র তুলে ধরার। আশা করি পরবর্তী পর্বগুলোতেও এভাবে আপনাকে পাশে পাব।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:১২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দাঙ্গা বৃটিশরা লাগিয়েছে এই কথার সাথে একমত হতে পারলাম না।দাঙ্গা লাগিয়েছে মুসলমানরা ভারত থেকে পৃথক হবার জন্য।কলকাতা দাঙ্গার প্রধান কারিগর ছিল সরোয়ারদী,শেরেবাংলা আর বিহারের মুসলমানরা।
গান্ধী ছবিটি দেখলেই বিষয়টি পরিস্কার বুঝাযায়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটি পড়ে আপনার বক্তব্য তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। পোস্টে একটি বিশেষ দিকে আলোকপাত করা হয়েছে। আপনিও সঙ্গত ভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। হতেই পারে দুজনের মতামতের অভিমুখ দু'রকম।তবে আপনার বক্তব্যের সমর্থনে উল্লেখিত বিষয়গুলো তুলে ধরে যদি পোস্ট আকারে দেন তাহলে আমরা নিজেদেরকে আরও বেশি করে ঋদ্ধ করতে পারি।আর গান্ধী ছবিটা আমার দেখার নেই। যদিও সিনেমা নির্মাতারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অথেন্টিকেটের দিকে লক্ষ্য রাখবেন না। যদিও গল্পের চরিত্রটি ঐ সময়ের একজন ভুক্তভোগী যিনি গান্ধীকে দেখেননি। তবে হালদার বাবু ব্যতিক্রম।
যাইহোক পাঠ শেষে সুন্দর মন্তব্যের জন্য প্রীত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৫

ইসিয়াক বলেছেন: এই পর্বটা অসাধারণ হয়েছে।
যারা দেশ ভাগ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আঁচে পুড়েছে তারাই জানে কি গেছে জীবনের উপর দিয়ে । রাতারাতি এক নিমেষে নিজের আপন ভুমি পরবাসে পরিণত হয়েছে কুচক্রী বৃট্রিশ শাসক আর ক্ষমতা লোভী এদেশীয় দোসরদের মাধ্যমে।
নিজের সহায় সম্বল হারিয়ে রাস্তার ফকিরে পরিণত হয়েছে কত সুধীজন,সম্মানীয় ব্যক্তি তার খবর কে বলবে? জানা অজানা অনেক কিছুই আজ হয়তো অনেকের মনেও নাই্ ,বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে সময়ের পরিক্রমায়। সেই রক্তাক্ত ইতিহাস, সেই বেদনার ইতিহাসকে আপনার উপন্যাসের মাধ্যমে খুঁজবার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।
ধন্যবাদ প্রিয় দাদা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
সাতসকালে আপনার মন্তব্যটি দেখে খুশি হলাম। ধন্যবাদ প্রিয় ইসিয়াক ভাই আপনাকে।
"যারা দেশ ভাগ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আঁচে পুড়েছে তারাই জানে কি গেছে জীবনের উপর দিয়ে।
রাতারাতি এক নিমেষে নিজের আপন ভূমি পরবাসে পরিণত হয়েছে কুচক্রী ব্রিটিশ শাসক আর ক্ষমতা
লোভী এদেশীয় দোসরদের মাধ্যমে।" চমৎকার কথা বলেছেন। সহমত আপনার সঙ্গে।
"নিজের সহায়-সম্বল হারিয়ে রাস্তার ফকিরে পরিণত হয়েছে কত সুধীজন, সম্মানীয় ব্যক্তি তার খবর কে বলবে?জানা
অজানা অনেক কিছুই আজ হয়তো অনেকেরই মনেও নাই, বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে সময়ের পরিক্রমায়। সেই
রক্তাক্ত ইতিহাস, সেই বেদনার ইতিহাসকে আপনার উপন্যাসের মাধ্যমে খুঁজবার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।" ধন্যবাদ আপনাকে। এমন আস্থা জ্ঞাপন করাতে সম্মান বোধ করছি। জানিনা কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব। তবে চেষ্টা করব। আগামীতেও এভাবে পাশে পেতে চাই।
অনিঃশেষ ও শুভেচ্ছা জানবেন।


১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: আমাদের এলাকায় কাঠগোলাকে কখনো কখনো গোলা বলে। তবে গোলা যেহেতু অনেক ধরনের আছে যেমন ধানের গোলা, কাঠ গোলা ইত্যাদি সেহেতু গোলাকে কাঠগোলা হিসাবে উল্লেখ করাই সমীচীন।

শুভ সকাল প্রিয় দাদা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবার মন্তব্যে আসাতে আনন্দ পেলাম; আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ আমি পোস্টে তেমনি উল্লেখ করেছি। কোন একটা বাক্যে কাঠগোলা বলার পর পরের বাক্যে গোলা বলা হয়েছে। মন্তব্যে বিষয়টি উল্লেখ করাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২২

এম ডি মুসা বলেছেন: দারুন অনুচ্ছেদ

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হয়েছি। তবে পোস্টের কোন বিশেষ দিকটি আপনার কাছে দারুণ হয়েছে যদি উল্লেখ করতেন তাহলে আরও খুশি হতাম।
শুভকামনা জানবেন।

১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪১

জুন বলেছেন: ১০ নম্বর ভালো লাগা পদাতিক :)
দেখেন এতে কিছু হইলো নাকি :``>>

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

আপনার আগমনে খুশি হয়েছি আপু।
ভালো থাকুন সবসময়।

১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম দাদা।
কে কি মন্তব্যে করেছেন সেটা জানতে আবার এলাম। আপনিই বলেন কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানা জরুরী কিনা?

আপনার অনুরোধে পোষ্ট টি আরেকবার পড়লাম। হালদার বাবু সম্পর্কে আমার দ্বিধা কেটে গেছে। আসলে প্রতিটা পোষ্ট দুবার করে পড়া উচিত।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাইয়ের আবার আগমনে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ ভাইকে। ভাইয়ের সঙ্গে এক্ষেত্রে আমার যথেষ্ট মিল আছে। আমিও বিশেষ বিশেষ পোস্টে একাধিকবার যাই মন্তব্য পড়তে।আর বিষয়টি খুবই জরুরি এবং আকর্ষণীয় বলে মনে হয়। তবে আলাদাভাবে আর মন্তব্য করি না এটাই যে পার্থক্য।
ভায়ের দ্বিতীয়বার পরে হালদার বাবু সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হওয়াতে খুশি হলাম। তবে সময়াভাবে দ্বিতীয় বার পড়ার প্রয়োজন হয় না। শুধু বড় পোস্টগুলো একটু মন দিয়ে পড়লেই ধারণা স্পষ্ট হয়।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গোলা বলতে আমাদের এলাকায় ধান বা কুড়া রাখার বড় ধরণের একটি স্থাপনার মত জিনিসকে বুঝায়। +++++++

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে মাইদুল ভাই দিনশেষে মনে হল গোলা বড় গোলমেলে। গোলা সম্পর্কে নতুন একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। মোটের উপর মজুমদারকে গোলা বলা যায়। আপনার এত্তগুলা প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: গোলা নিয়ে দেখি ধুম ধার কান্ড বেধে গেছে

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোনো পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে।
হাহাহা একপ্রকার ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রচ্ছদের ছবিটা বদলানো যায় না?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইরে! এত সুন্দর একটি পারফেক্ট গ্রামীণ ছবি আপনার ভালো লাগছে না? ছবিটা আমার গ্রামেরই। আমি সুযোগ পেলেই গ্রামে যাই, মাছ ধরি, পুকুরে সাঁতার কাটি। লকডাউনে প্রায় দশ মাস গ্রামের না যেতে পেরে খুব মিস করেছি।তারও বহু আগে কোনও একদিন বাচ্চারা মিনি ফুটবল খেলার জন্য গোলপোস্টে যে নেট লাগিয়েছিল মুরগিরা সেখানে খেলতে এসে সাময়িক বিরতি নেয়। তখনই ছবিটিকে ক্যামেরাবন্দি করা। এরপরও যদি ছবিটি আপনার ভালো না লাগে অবশ্যই জানাবেন। সে ক্ষেত্রে পরের পোস্টে বিকল্প ছবি দেব। শুভেচ্ছা নিয়েন সাচু ভাই।

২১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: ১২ নম্বর মন্তব্যকারির কুৎসিত মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাই। শেরে বাংলা এবং সোহরাওয়ার্দি সাহেবের প্রতি এহেন কুৎসিৎ মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মডারেশন টিম কে অনুরোধ করছি।

অনুমান করছি ব্রিটিশ শাসনের শেষ ভাগে চলে এসেছি। আসলে যা এক সময় গর্বের ছিলো তা পরে আশঙ্কার বিষয় হয়ে গেছে। অনুমান করছি পরের পর্ব গুলোর একাধিক পর্ব জুড়ে থাকবে এই উথাল পাতাল সময়ের কথা।

অশেষ শুভকামনা।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মা.হাসান ভাই,কমেন্টের সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখিত বিষয়টি তুলে ধরার জন্য। আমি সংশ্লিষ্ট ব্লগারকে তখনই বিষয়টি বিস্তারিত পোস্ট দিয়ে উল্লেখ করার কথা বলেছিলাম। ডিটেইলস পোস্ট দিতে বলেছিলাম মূলত এই কারণেই যেহেতু অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। এমন একটি অভিযোগ করার জন্য ওনার রেফারেন্স উল্লেখ করার দরকার ছিল। সংগত কারণে আপনার প্রতিবাদপত্রের সঙ্গে সহমত জানাই।

পোস্ট সম্পর্কে আপনার অনুমান যথাযথ। পরবর্তী পর্বগুলোতেও পাশে থাকা অনুরোধ রইল।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল নিরন্তর শুভকামনা।


২২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বড্ড অস্থির সময়ের গল্প।
একেবারে পাশের কারো মুখে মুখে শোনা মনে হচ্ছে। ভালো লেগেছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: " বড্ড অস্থির সময়ের গল্প।" হ্যাঁ আপু ঠিক তাই। স্বাধীনতা প্রাক-মুহূর্তের এক উথালপাথাল এক প্রত্যক্ষদর্শী বয়ান অনুযায়ী তুলে ধরার চেষ্টা করছি। মন্তব্যের পরবর্তী অংশে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

রামিসা রোজা বলেছেন:

অনেক একজন লেখক গল্পকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য গল্পের
মাঝেই বিভিন্ন জীবন সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরতে সক্ষম
হয়েছেন । যে দাঙ্গার হাওয়া বইছে সেখানে ভালো কিছুহবে
বলে আশা করি ।
তাই পরের পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছি।
ভালো লাগলো দাদাভাইয়ের এই পর্ব টা ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই মাত্র আপনার পোস্টে গিয়ে দেখলাম আপনার এক মামা পরপারে চলে গেছেন। ওনার মাগফিরাত কামনা করছি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আপনারা সবাই সাবধানে থাকবেন আপু।
পোস্ট নিয়ে আজ আর আপনাকে কিছু বলবো না। পরেরদিনের জন্য তোলা রইল।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

২৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বাঙালির রক্তক্ষয়ী তিক্ত অতীতের অবতাড়ণা,যার রেশ এখনো আছে বাঙালির মধ্যে। কিছু মানুষ তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ইংরেজদের স্বজ্ঞানে প্রবেশ করিয়ে দেয়া সাম্প্রদায়িকতাকে যুগের পর যুগ ধরে এমনভাবে ব্যবহার করে চলেছে যে সুদূর ভবিষ্যতেও এই ঘৃণার চাষ বন্ধ হবে কি না তাও বলা যায় না। পর্বটি ভালো লেগেছে।আগের পর্ব গুলোও পড়ে দেখব।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য সু-স্বাগতম আপনাকে।
"বাঙালির রক্তক্ষয়ী তিক্ত অতীতের অবতারণা, যার রেশ
এখনো আছে বাঙালির মধ্যে। কিছু মানুষ তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ইংরেজদের স্বজ্ঞানে প্রবেশ করিয়ে দেয়া
সাম্প্রদায়িকতাকে যুগের পর যুগ ধরে এমনভাবে ব্যবহার করে চলেছে যে সুদূর ভবিষ্যতেও এই ঘৃণার
চাষ বন্ধ হবে কি না তাও বলা যায় না।" খুব ভালো কথা বলেছেন। সহমত আপনার সঙ্গে যে সাম্প্রদায়িকতার এই ঘৃণার চাষ কখনো বন্ধ হবে কিনা বলা যায়না।
পর্বটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। সময় পেলে বাকি পর্বগুলো পড়ার অনুরোধ রইল।
শুভেচ্ছা নিয়েন।


২৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৫

আনমোনা বলেছেন: সামনে অনিশ্চিত জীবন। আর কখনো গাঁয়ে ফেরা হবে কিনা কে জানে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। জীবন বড়ই অনিশ্চিত। পরের পর্বে আরও কিছু পরিষ্কার হবে।আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
(অফটপিক:- পেশাগত বদলীর কারণে লেখালেখিতে খুব সমস্যায় আছি। জানিনা কবে মুক্তি পাবো।)
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন: পরের পর্ব কবে পাবো যদি একটু জানাতেন :(

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে... এইমাত্র দিয়েছি

২৭| ১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩১

খায়রুল আহসান বলেছেন: হালদার বাবু'র সংক্ষিপ্ত ভাষণটা চমৎকার হয়েছে। বেশ আঁটোসাটো পরিসরে গল্পটিকে শক্ত বুননে বাঁধতে পেরেছেন।

গোলা নিয়ে এসব গোলমেলে অনুমান দেখে বিস্মিত হচ্ছি। আমি ঠিকই প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছি, 'গোলা' বলতে আপনি কাঠগোলাকেই বুঝিয়েছেন।

পোস্টে অনেক গুলো ভাল মন্তব্য এসেছে। প্রতিমন্তব্যও বেশ ভাল হয়েছে। ভাল মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলোতে 'লাইক' দিয়ে গেলাম। তবে ১২ নং মন্তব্যটির সাথে মোটেই একমত নই। সেটা ইতিহাস, রাজনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে একজন প্রায়ান্ধ বা একচোখা ব্যক্তির উক্তি মাত্র।

২১ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "হালদার বাবু'র সংক্ষিপ্ত ভাষণটা চমৎকার হয়েছে। বেশ আঁটোসাটো পরিসরে গল্পটিকে শক্ত বুননে বাঁধতে পেরেছেন।"-হালদার বাবুর ছোট্ট পরিসরে ভাষণটি ভালো লাগাতে ও গল্পটির বুননকে মজবুত করেছে মনে হওয়াতে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
গোলা নিয়ে একটা গোলমেলে অনুমান তৈরি হয়েছিল। চেষ্টা করেছিলাম সেটাকে নির্মুল করতে। আপনার সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে বিষয়টি ধরা পড়েছে দেখে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের অভিনব কমেন্টের ধারা অনুযায়ী ভাল মন্তব্য বা প্রতিমন্তব্যে লাইক প্রদান করাতে খুশি হলাম তবে 12 নম্বর মন্তব্যে কোন রাখঢাক না করেই নিজের মনোভাব ব্যক্ত করাতে বেশি খুশি হয়েছি। সংশ্লিষ্ট মন্তব্যদাতা যদি কখনো এই পোস্টে আসেন আশাকরি আপনার এই কমেন্টের মাধ্যমে নিজেকে আর একবার সংশোধনের সুযোগ পাবেন। এই মন্তব্য প্রসঙ্গে আপনার মূল্যায়ন একেবারে যথার্থ। আমি শতভাগ সহমত পোষন করছি আপনার সঙ্গে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.