নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
পূর্ব সিদ্ধান্ত মতো পরের দিন সকালবেলা স্বপন কাকা রওয়ানা দেয় শহরের উদ্দেশ্যে। সেদিন সকালে কাকার চলে যাওয়ার সময়টা যতই এগিয়ে আসতে থাকে ততোই আমার মনজগৎকে অন্ধকারের করালছায়া আচ্ছন্ন করে ফেলে। অস্বীকার করবো না যে একটানা বেশ কিছু দিন থেকে স্থানটির প্রতি আমার কিছুটা বিতৃষ্ণা বা একপ্রকার একঘেয়েমি তৈরি হয়েছিল। আগের রাতে আমাকে সঙ্গে নেওয়ার সম্ভাবনা নির্মূল হলেও তবুও আশায় ছিলাম যদি শেষ মুহূর্তে কারো একজনের মত পরিবর্তন হয়; কিছুটা হলেও এই একঘেয়েমির অবসান ঘটবে এই আশায়। কিন্তু নাহা! চোখের সামনে স্বপন কাকা চলে গেল কিন্তু আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা একজনেরও একবারের জন্যও মনে পড়লো না কিংবা হয়তো ইচ্ছে করেই প্রসঙ্গ তুললো না। ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম সেদিন। নিজের কষ্টকে আপ্রাণ অন্তরে লুকানোর চেষ্টা করে গেছি। জানিনা আমাকে সকলের বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়ার কারণ আমার এই রোগা পটকা চেহারাটি কিনা। রোগা টিংটিংয়ে শরীরের কারণে হয়তোবা আমি বড় হয়েছি বলে কেউ মানতে চায় না। কিম্বা আমার ইচ্ছা অনিচ্ছার ভালো লাগাকে যে কারণে কেউ ধর্তব্যের মধ্যে আনে না।কি আর করার। অগত্যা কাকার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকা ছাড়া যে উপায় নেই।
কাকা চলে যাওয়ার খানিক বাদেই অন্যান্য দিনের মতো আমরাও ফুপুদের জমিতে চাষের কাজে চলে যাই। একপ্রকার বাধ্য হলেও বেশ ভালই লাগছিল হঠাৎ শহরের কাঠের কাজকর্ম ফেলে রেখে সকলের এভাবে গ্রামে চাষাবাদের কাজে নিয়োজিত হওয়া। বলাবাহুল্য নুতন পরিবেশে এটাই ছিল আমাদের নিত্য কার কর্মসূচি। দেখতে দেখতে ইতিমধ্যে প্রায় কুড়ি-বাইশ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। ফুপুদের বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে কাজ করতে করতে আমাদের দিনগুলি বয়ে যাচ্ছিলো। দিনের অন্য সময়গুলো না লাগলেও বেশ ভালোই লাগছিলো সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজের সময়টা।বলা ভালো এখানেও আমাদের একটা নুতন জীবন শুরু হলো।
দিনের কাজকর্ম শেষ করে দলুজ ঘরে ফিরে গোসল সেরে নিয়ে আবার রান্নাবান্না করতে হতো। অন্য দিন গুলোতে কাজটা স্বপন কাকা করায় তেমন মালুম হতো না। কিন্তু আজ দাদা হাত লাগায়।স্বপন কাকার প্রত্যাগমনের খুশিতেই বোধহয় দাদাকে বেশ চনমনে লাগছিল। তাই আগ্রহভরে বাপজান, নুরুল চাচাকে না ডেকে নিজেই সামান্য খড়কুটোর ছাউনি দেওয়া রান্নার হেঁসেলে ঢুকে পড়ে। কিন্তু বয়সের বাঁধা যে কাউকে রেয়াত করেনা। তাই মন চাইলেও দাদার শ্লথ গতি যেন অদক্ষতা বা ন্যুজ ভারের সাক্ষ্য বহন করে। চোখের সামনে দাদার এমন অবস্থা দেখে মূহুর্তে ভিতরটা বিগলিত হয়। আমি ওনাকে কিছুটা শাসন করার সুরে ধমক দিয়ে পাশে স্রেফ বসে থাকতে বলে এগিয়ে যাই।অবশ্য ইতিপূর্বে বাপজানও তেমনি চোখের ইশারা করেছিল। দায়িত্ব ছাড়তে অবশ্য দাদা সামান্য আপত্তি করেছিল। আমি সে আপত্তিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি। নিজের হাতে রান্না করতে গিয়ে বুঝতে পারি স্বপন কাকা কত সহজেই না দিনের পর দিন অত্যন্ত নিপুন ভাবে কাজটি সামলে আসছে। সেদিন দুপুরে কোনক্রমে রান্নাবান্না শেষ করলেও নিজের দায়িত্বে রাতে আবার রান্নাবান্না করতে হবে ভেবে অগ্রিম আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।অথচ বিকল্প বলতে স্বপন কাকা। কাজেই আমার দিক থেকে কাকার প্রত্যাবর্তনের জোড়া তাগিদ ছিল তা অস্বীকার করতে পারিনা।
গোটা বিকেল ধরে আমরা কাকার ফেরার অপেক্ষায় থাকি। অথচ বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো তবুও স্বপন কাকা আর ফিরলো না। ইতিমধ্যে রাতজাগা পাটি দলুজের সামনে জমায়েত করতে শুরু করে। কিন্তু ততক্ষণে স্বপন কাকার না ফেরাটা আমাদের সকলের কাছে খুবই দুশ্চিন্তার হয়ে দাঁড়ায়। শুরুতে গ্রামবাসীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কিন্তু একটু রাত বাড়তেই পরিস্থিতি ভয়ানক হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এভাবে নিজের ছেলে বা নাতিকে না পাঠিয়ে আত্মীয় স্বজনহারা ছেলেটাকে চূড়ান্ত বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দাদাকে সরাসরি দায়ী করে।তারা দাদাকে প্রশ্ন করে,নিজের ছেলে হলে এভাবে একাকি ছেড়ে দিতেন কিনা..।দাদা হাতজোড় করে তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কিন্তু তারা কোন যুক্তি শুনতে চাইছিল না। আমার একবার মনে হচ্ছিল স্বপন কাকার আসল পরিচয় তুলে ধরি। কাকার হিন্দু পরিচয় জানলে হয়তো ওদের আক্রোশ অনেক কমতে পারে। বাপজানকে নিচু স্বরে একথা বলতেই ধমকের সুরে আমাকে থামিয়ে দেয়। আমি তোতার মুখ ভোতা করে একপাশে দাঁড়িয়ে থাকি। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আমরা সবাই তখন মুষড়ে পড়ি। মনে মনে প্রমাদ গুনি অসম্মান অপমান যাই হয় হোক। কিন্তু স্বপন কাকা যেন নিরাপদে নির্বিঘ্নে ফিরে আসে- এটাই আমাদের প্রার্থনা।
পরিস্থিতি থেকে সহজেই অনুমেয় যে সেদিন আমরা এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে পড়ি।চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হতে হতে কোনক্রমে আমরা সে সময় রক্ষা পাই। আমাদের সকলকে যে বেঁধে ধরে পিটুনি দেয় নি এটাই যা ভাগ্যের ব্যাপার। জনরোষ কাকে বলে সেদিনই প্রথম টের পেয়েছিলাম। চূড়ান্ত হৈহট্টগোল করে অবশেষে রাতজাগা পাটি পাহারা দিতে নিজেদের গন্তব্যস্থলে চলে যায়। আমরাও ততক্ষনে একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। তবে ওরা চলে গেলেও আমাদের দুর্ভাবনা দূর হয়নি। যাওয়ার আগে আগামী কাল আমাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে যায়। দাদা নিরুপায় হয়ে আরও কয়েকটি দিন থাকতে প্রার্থনা করলেও ওরা কর্ণপাত করেনি। দাদা বারবার হাতজোড় করে বলতে থাকে, আমরা চলে গেলে ছেলেটা ফিরলে আমাদের সঙ্গে চিরতরের মতো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বাবারা কটা দিন আমাদেরকে আর একটু থাকতে সুযোগ দাও। কিন্তু তখন কে শোনে কার কথা। নিজের ছোট্ট বুদ্ধিতে বুঝতে পারি,কথার গুরুত্ব থাকলেও নিজেদের দোষে সবকিছু যেন পাল্টে গেছে।ঐ রাতে আমরা আর রাত পাহারায় যাইনি। চুপচাপ বসে পরেরদিন সকালে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার চিন্তা করতে থাকি।
প্রবল দুশ্চিন্তায় ও হতাশা আমাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। রাতে খাওয়ার কথা কারো মাথায় আসেনি। অভুক্তের সঙ্গে জুড়ি বাঁধে অনিদ্রা। সে রাতে আমরা কেউ চোখের পাতা এক করতে পারিনি। অন্য দিনগুলোতে আমরা কোনো না কোনো দলের সঙ্গে রাত পাহারায় যেতাম। কিন্তু আজ অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ায় ওরাও কেউ বলেনি বা আমরাও পাহারা দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি। দলুজের বারান্দায় বসে বসে কেবল একে অপরের দীর্ঘশ্বাসের শব্দ বিনিময়ের মাধ্যমে সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। শেষ রাতে দূর থেকে আবার একটা গুঞ্জন ভেসে আসে। পরিচিত শব্দ। ক্রমশ সেটা স্পষ্ট হয়। বুঝতে পারি অন্যান্য দিনের মতোই রাতজাগা একটা পার্টি বাড়ি ফিরছে। কিন্তু দলুজের সামনে এসে ওরা থেমে যায়। কয়েক মুহূর্ত চুপচাপ। দাদা মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করে,
-বাবারা তোমরা কি কিছু বলবে?
এবার বেশ শান্ত গলায় একজন এগিয়ে আসে।
-হ্যাঁ বলবো বলেই এসেছি চাচা। আপনারা আজকেই চলে যাচ্ছেন তো?
-হ্যাঁ বাবারা তোমরা তো কালকে তেমনই বললে। আমরা আজ সকালেই না হয় এখান থেকে চলে যাব।
এবার লোকটি বেশ ধমকের সুরে বলে,
-চলে যাব বললেই তো চলে যাওয়া যাবে না। নাহা আপনারা এখন এখান থেকে যেতে পারবেন না। আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনি বয়স্ক মানুষ দলুজঘরে একাকী থাকবেন। আপনার দলের বাকি সদস্যরা ওকে খুঁজতে বের হবে।না পাওয়া পর্যন্ত আপনারা গ্রাম ছাড়তে পারবেন না।
দাদা যন্ত্রের মত মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো,
- বেশ তাই হবে। তোমরা যেটা ভালো মনে করবে সেটাই করব বাবা।
নতুন ফরমান পেয়ে সেদিন ভোররাতেই আমরা যে যার মত গন্তব্যস্থল ঠিক করে নিয়েছিলাম। কিন্তু সকাল হতেই সব গেল বিগড়ে। বুঝতেই পারছি গতকাল থেকে মাথার উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। যদিও সে ঝড় এখনো শেষ হয়নি। জানিনা কাকাকে ফিরে পাওয়া না গেলে আরো কত দুর্ভোগ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় আমরা একরকম কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। বোধহয় এসব ভাবনা চিন্তা করতে গিয়েই দাদা সামলাতে পারলো না। সকাল থেকে কেমন অদ্ভুত আচরণ করতে থাকে। কারো সঙ্গে কোনো কথা বলছে না। উদাসভাবে বসে আছে।কোন দিকেই ভ্রুক্ষেপ নেই। বুঝতে পারছি না এখন আমাদের করণীয় কি? দাদাকে নিয়ে এই মূহুর্তে আমরা কি করব বলে গোল হয়ে যখন তিন জন বসে একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছি। ঠিক তখনই আবার একটি ওই হট্টগোল স্পষ্ট হয়। আমরা আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ি কিজানি আবার না নুতন করে কি ব্যবস্থাপনা আমাদের উপর প্রয়োগ হয়...
বিশেষ দ্রষ্টব্য:- বহুবিধ কারনে অনেকদিন ব্লগে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম। যদিও চলমান অতিমারির সংকটে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বর্ণনার অতীত। ব্লগিং করার পক্ষে একেবারেই অনুকূল নয়। এমতাবস্থায় একান্তই মনের বিরুদ্ধে গিয়ে পোস্ট দেওয়া। অসংখ্য টাইপো থাকতে পারে । আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। একইসঙ্গে সময়ে প্রতিমন্তব্য না দিতে পারলে অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার প্রতিমন্তব্যের কি উত্তর হবে ঠিক বুঝতে পারছিনা। তবে লেখার বিষয়বস্তু একান্তই লেখকের ব্যক্তিগত বিষয়। বরং আমার পক্ষ থেকে বলার,হাজারের কাছাকাছি শব্দ বিশিষ্ট পোস্টে পোস্ট সংক্রান্ত একটা শব্দ খুঁজে পেলেন না? খুবই দুঃখজনক ঘটনা।আর দাদা না দিদি সেটার জন্য ওয়েব পোর্টাল ফলো করলেই একটা ধারণা পাবেন।
ভালো থাকুন।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: কাঠের কাজকর্মও জানেন দেখছি!
চমৎকার লিখেছেন।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। কখনোবা লেখনীর জন্য একটুআধটু শিখতে হয় এই আরকি।লেখা চমৎকৃত মনে হওয়াতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৭
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন:
পোস্টকৃত ছবিতে এগুলো মুরগি নাকি পাখির ছবি?
সমুদ্র পাড়ে কিনা তাই জানতে ইচ্ছে হলো।
ভাল থাকবেন ভাইয়া।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে.....ডিম যখন পাড়ে তখন তো অবশ্যই পাখি বলতেই হবে।না না এটা শহর লাগোয়া অনুন্নত এলাকার একটা মাঠে।
আপনিও ভালো থাকবেন প্রিয় হোসেন ভাই।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৩
নজসু বলেছেন:
পাঠ করলাম প্রিয় ভাই।
আশা করি ভালো আছেন।
করোনায় অলসতা বেড়ে গেছে।
আপনার এই ব্লগের সঙ্গী হতে ইচ্ছে করছে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। আশাকরি ভালো আছেন প্রিয় সুজন ভাই। আমরা এই মুহূর্তে খুবই দুশ্চিন্তার আছি। চারদিকে ভয়ঙ্কর অস্থিরতা।যেমন মরছে তেমনি আক্রান্তের সংখ্যা লাগাম ছাড়া। খুবই খুবই খারাপ অবস্থায় আছি।
ব্লগে নিয়মিত হলে আনন্দ পাবো।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো জানেন টাইপো মিসটেক নিয়েমাথা বিশেষ ঘামাই না
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আপনার পরামর্শ মনে ধরেছে। চেষ্টা করবো মেনে চলতে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৭
মা.হাসান বলেছেন: রান্না করা যে খুব সহজ কাজ না এটা অনেকের জন্যেই মানা একটু কঠিনই। এজন্য মাঝে সাজে রান্না করলে বিষয়টা বুঝে আসে।
মামু কাকুর বয়সটা রান্নার জন্য খুব কম। কিন্তু লোক বল তো নেই।
বিদেশ-বিভূইয়ে অন্যের আশ্রয়ে সব সময়ে আতঙ্কের মাঝে বসবাস , তদুপরি পিতৃসম কাকার নিখোঁজ হওয়া এবং দাদার প্রায় অপ্রকৃস্থ হওয়া- বেশ সংকটময় পরিস্থিতি।
আপনি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত বুঝতে পারছি। তা আপনি কি ক্যান্ডিডেট? না কি কর্মী?
যা হোক, দুশ্চিন্তায় আছি- আপনার দল জিতলে আপনার ব্যস্ততা আরো বেড়ে যাবে, পরের পর্ব আর পাবো কি না সন্দেহ। তার পরেও কামনা করি, পদ্মের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ুক, আপনার দলের জয় হোক।
০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকবার লগইন করেছি কিন্তু আমার সেই পুরোনো স্ট্যাটাস নিজের পোস্টে কমেন্ট করতে না পারার কারণে প্রতিমন্তব্য দেওয়া হয়ে ওঠেনি। এই মুহূর্তে সেই সুযোগটি পেলাম। প্রথমেই ধন্যবাদ দেই সুন্দর একটি কমেন্ট রেখে যাওয়ার জন্য।রান্না করা যে খুব সহজ কাজ না এটা অনেকের জন্যেই মানা একটু কঠিনই। এজন্য মাঝে সাজে রান্না করলে বিষয়টা বুঝে আসে।
"মামু কাকুর বয়সটা রান্নার জন্য খুব কম। কিন্তু লোক বল তো নেই।"-হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন লোকবল কম ঠিকই। তবে বয়স তো কয়েকবছরে বেড়ে গেছে। এখন আর সে ছোট্ট বালক নয়। তবে চেহারায় সেই বালকটি রয়ে গেছে। আসলে শৈশব থেকে বয়ঃসন্ধির সময় যদি কঠোর পরিশ্রম করতে হয় উল্টে পর্যাপ্ত নিউট্রিয়েন্ট খাবার না পায় তাহলে বয়স বাড়লেও চেহারায় জৌলুস হারিয়ে যায় বলে আমার বিশ্বাস।
"বিদেশ-বিভূইয়ে অন্যের আশ্রয়ে সব সময়ে আতঙ্কের মাঝে বসবাস , তদুপরি পিতৃসম কাকার নিখোঁজ হওয়া এবং দাদার প্রায় অপ্রকৃস্থ হওয়া- বেশ সংকটময় পরিস্থিতি।"-অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। পোস্টটিতে আমার উদ্দেশ্যই ছিল বিষয়টি উল্লেখ করা। ঘটনার পরবর্তী বিষয় জানার জন্য পরের পর্বে চোখ রাখার অনুরোধ করবো।
"আপনি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত বুঝতে পারছি। তা আপনি কি ক্যান্ডিডেট? না কি কর্মী?"-বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে বাস করি। দীর্ঘ একমাস যাবত গণতন্ত্র উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্যস্ত ছিলাম। আগামীকাল রেজাল্ট বার হতে চলেছে। তারপরে নবান্নে শপথ গ্রহণ। নাওয়া খাওয়ার সময় পর্যন্ত ভুলতে বসেছি।আপনাকে অনুরোধ করছি সম্ভব হলে আগামীকাল আসুন। পদ্মের বিজয়কে স্মরণীয় করে মোদিজীর হাতকে আরও শক্ত করতে আমরা সকলে মিলে ইতিহাস সৃষ্টিকরি। ডাবল ইঞ্জিন না হাওয়ায় রাজ্যের উন্নয়ন যে থমকে গেছিল এবার আশা করে তা রকেটের গতিতে রূপান্তরিত হবে। আপনার উপস্থিতিতে তাই একান্ত জরুরী।
দুশ্চিন্তায় আছি- আপনার দল জিতলে আপনার ব্যস্ততা আরো বেড়ে যাবে, পরের পর্ব আর পাবো কি না সন্দেহ। তার পরেও কামনা করি, পদ্মের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ুক, আপনার দলের জয় হোক।"-কোন দুশ্চিন্তা নয়। গোটা উপমহাদেশসহ এশিয়াতে গৈরিক যাত্রা বা বিজয়কে অব্যাহত থাকবে। আগামিতে তা ইউরোপ সহ বহির্বিশ্বের ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। বাংলাদেশে শাখা অফিস খুলতে তাই আপনাদের সহযোগিতা আমাদের একান্ত কাম্য। ত্রিপুরা দিয়ে যোগাযোগ করতে চাইলে বিপ্লবদার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। আর এদিকে তো স্বয়ং দিলীপ দা আছেন। দিনশেষে এটাই হোক আমাদের সকলের আশার পদ্মের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়ুক.....
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৭| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৩:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেঁচে থাকাই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে । রোগ হতে বাঁচলে ভোগ হতে বাঁচা কঠিন
০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেঁচে থাকাই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে । রোগ হতে বাঁচলে ভোগ হতে বাঁচা কঠিন।"-যথার্থই বলেছেন প্রিয় নেওয়াজ ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।
৮| ০১ লা মে, ২০২১ সকাল ৭:৩১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অনেক দিন পর নতুন পর্ব এলো। মহামারিতে সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে বড় কাজ। ভাল থাকবেন। ++++
০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ মাইদুল ভাই অনেকদিন পরে এলাম। এ সময় সুস্থ থাকাটা সত্যিই এক চ্যালেঞ্জ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে like' করাতে এবং এতগুলো প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনিও ভালো থাকবেন সব সময়।
৯| ০১ লা মে, ২০২১ সকাল ৯:১৭
জুন বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি এই লেখা নিয়া একটা বই প্রকাশের চিন্তা ভাবনা করতেছেন পদাতিক নাকি আমার মত পাঠকের ধৈর্যের পরীক্ষা নিতেছেন আল্লাহ মালুম
লেখার যবনিকা কালে এসে একবারে পুরোটা পড়বো। এই বুড়ো বয়সে এই সাসপেন্স সহ্য হবে না
+
০২ রা মে, ২০২১ ভোর ৬:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আপনার প্রথম ধারণা সঠিক। তবে এখন শুধু লেখেলেখি করা।বই আকারে কবে মলাটবন্দি করতে পারবো জানি না।
কমেন্টের পরবর্তী অংশ সম্পর্কে একমত হতে পারলাম না। বরং ছোট ভাইয়ের পরামর্শ একসঙ্গে অনেক না জমিয়ে ইউনিট আকারে দেওয়া পর্বগুলো যথাসময়ে পড়লে পরে আর চাপে পড়তে হবে না।আপনারা বড়রা সেই কবে থেকেই আমাদের শিখিয়ে আসছেন। সারাবছর ধরে পড়াশোনা করতে। নতুবা পরীক্ষার সময় চোখে সর্ষে ফুল দেখতে হবে। বলুন এসব কথা ভুলি কেমনে?বয়স যাই হোক আপনি মনেপ্রাণে তরুণ। আমাদের কাছে ইবন বতুতা কখনও বয়সের ভারে নুয়ে পড়তে পারেনা। বিশ্ব পরিভ্রমণ নিয়ে আমাদের এখনো অনেক কিছুই জানার বাকি। আপনার গল্পের ডালি নিয়ে আমাদেরকে ঋদ্ধ করুন।
ভালো থাকুন আপু সবসময়।
১০| ০১ লা মে, ২০২১ সকাল ৯:২৬
জুন বলেছেন: আপনার বিশেষ দ্রষ্টব্য লাইক দিতে গিয়ে পড়লুম পদাতিক। একটা অযোগ্য লোকের হাতে এত বিশাল এক দেশের শাসনভার পরলে তার পরিনতি কি হয় তা ভারতবাসীরা মনে হয় হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। মৃতদেহ ছিড়ে খাচ্ছে কুকুর এটাও দেখলাম কোন গ্রামে গঞ্জে নয়, দেখলাম ইতিহাস বিখ্যাত নগর রাজধানী দিল্লিতে। কুম্ভমেলা নির্বাচন ইত্যাদিতে লাখ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটিয়ে পরের কাছে হাত না পাতার নীতি বর্জন করা ক্ষমতাধর দেশ আজ হাত পেতে বেড়াচ্ছে, তাতে সাহায্য দিচ্ছে চিরশত্রু চীন পাকিস্তান, গরীব দেশ বাংলাদেশ ভুটানও যথাসাধ্য দিতে চাইছে।
আগামী নির্বাচনে ভারতবাসীর গভীর ভাবে চিন্তা করা উচিত নেতা নির্বাচনে। এত অশিক্ষিত মুরুক্ষু লোক তো কোনদিন দিল্লির মসনদে বসে নাই, এমন কি কোন রাজ্যেও না এক বিহারের লালু প্রসাদ যাদব ছাড়া। তাও তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল প্রখর। এমন মুর্খ না। যাইহোক অনেক কথা লিখে ফেললাম। ভারতের জন্য দুঃখই লাগে। তাতে কোটি কোটি টাকার আইপিএল
০৩ রা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আপনার বিশেষ দ্রষ্টব্য লাইক দিতে গিয়ে পড়লুম পদাতিক। একটা অযোগ্য লোকের হাতে এত বিশাল এক দেশের শাসনভার পরলে তার পরিনতি কি হয় তা ভারতবাসীরা মনে হয় হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। মৃতদেহ ছিড়ে খাচ্ছে কুকুর এটাও দেখলাম কোন গ্রামে গঞ্জে নয়, দেখলাম ইতিহাস বিখ্যাত নগর রাজধানী দিল্লিতে। কুম্ভমেলা নির্বাচন ইত্যাদিতে লাখ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটিয়ে পরের কাছে হাত না পাতার নীতি বর্জন করা ক্ষমতাধর দেশ আজ হাত পেতে বেড়াচ্ছে, তাতে সাহায্য দিচ্ছে চিরশত্রু চীন পাকিস্তান, গরীব দেশ বাংলাদেশ ভুটানও যথাসাধ্য দিতে চাইছে।"-হ্যাঁ আপু আপনি একদিক দিয়ে ঠিকই বলেছেন। একদল ধর্মোন্মাদকে ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ম্যানডেট দিয়েছেন।ধর্মোন্মাদ জনগনকে প্রত্যাশামতোই ধর্মীয় সংস্কৃতির পথে নিয়ে যাবেন এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আমি বলি একটি অন্য কথা।এখানে যে উন্নতিটা হচ্ছে সেটা ধর্মীয় উন্নতি। আগে মানুষ ধর্মকে অত গুরুত্ব দিত না কিম্বা তেমন খোঁজখবর রাখতো না।শুধু শুধু মৃত্যুর পর অমরত্ব লাভের প্রত্যাশায় থাকতো। কিন্তু ইহজীবনকেও যে স্বর্গ বানানো যায় তা ভাজপা মানুষকে বোঝাতে পেরেছে।তাই মোদি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে জনগণ বেশি বেশি করে ধর্মীয় আচার আচরণ, মন্দির প্রতিষ্ঠা, পরধর্ম অসহিষ্ণুতার মতো বিষয়কে তুলে ধরেছেন। নিন্দুকরা ধর্মীয় মেরুকরণকে প্রোমোট করছেন বলে গলা ফাটালেও তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। এক্ষেত্রে তারা বহুলাংশে সফল বলতেই হবে।
অন্যদিকে মান্ধাতার আমলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার মতো বস্তাপঁচা বুলি না আউড়িয়ে বা তাকে অন্ধ অনুকরণ না করে মোদীজি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। একটা দলের উন্নয়নের অভিমুখ কখনো দ্বিমুখী হতে পারেনা। বিজ্ঞান ও কারিগরী শিক্ষায় উন্নয়ন নেই বলে ওনাকে দোষ দেওয়া তাই একেবারেই অনুচিত। তবুও উনি ধর্মীয় গণ্ডির মধ্যে উঠে বরং কোভিদ ভ্যাকসিনের সঙ্গে টাইয়াপ করেছিলেন। আর্থিকভাবে লাভবান ও সামাজিকভাবে সম্মান- উভয়ই মোদীজি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। নিন্দুকরা ভারতের ব্যবসা বেড়েছে বললেও মোটামুটি তা বেশ ভালই চলছিল। আর তাছাড়া উনি করোনাকে ধর্মীয় পথে প্রতিহত করতে চেষ্টার কসুর করেননি। তাই সে বাসন বা ঘন্টা বাজানো, বাতি নিভিয়ে দেওয়া অথবা পঞ্চগব্য সেবন করার নিদান ঘোষণা করে জনগণের প্রতি নিজের আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি। জনগণ বস্তাপঁচা বিজ্ঞান বা যুক্তিবাক্যে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নবীজির আহবানে যথাযথ সাড়া দিয়েছিল। দিল্লি কলকাতা শহর ভারতের বড় বড় শহরে প্রকাশ্য রাজপথে ঘটা করে পঞ্চগব্য সেবনের মধ্য দিয়ে মোদীজি এবং তার বাহিনী স্বর্গকে ভারত ভূমিতে দিবালোকে প্রতিষ্ঠি করতে পেরেছিলেন। মোদিজীর এই বৃহৎ কীর্তি কে অস্বীকার করি কেমনে? কিন্তু এই মুহূর্তে চলমান ওয়েব সবকিছু এলোমেলো করে দিল। পঞ্চগব্য ভালো কাজ করছে না, শ্রীরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার তিনিও আপাতত পালিয়ে লন্ডনে।ফলে সাময়িক মোদীজি একটু বেকায়দায় পড়েছেন। তবে দেবভূমির দেশ ভারত।মোদিজি করোনা রাক্ষসকে বধ করতে কিছু না কিছু উপায় বের করবেনই।
পশ্চিমবঙ্গবাসী গতকাল যা করলো তা মেনে নেওয়া যায় না। কোথায় মোদিজীর হাতকে মজবুত করে ভারতবর্ষ তো বটেই এশিয়াসহ বহির্বিশ্বে গৈরিকীকরণের পথ প্রশস্ত করবেন; তা না উল্টে মোদিজীর বিজয় রথকে থামিয়ে দিয়েছেন। এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত পশ্চিমবঙ্গবাসী কয়েকদিন নিতেই হবে।
সবশেষে বলতে চাই মোদি জি তথাকথিত সমাজের নিচু শ্রেণীর মানুষের প্রতিভূ যুগাবতার। আজ এক চা ওয়ালা ভারতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সঙ্গে বসে আছেন। মোদিজীর কাছে অনুপ্রাণিত হয় আগামী দিনে কোন কুলি অথবা রিকশাচালকের মতো সমাজের অন্তজ শ্রেণীর কোনো ভাইও দিল্লির মসনদে বসতেই পারেন। আর দেশ চালানো যে জলভাত সেটা মোদীজি দেখিয়ে দিয়েছেন। বিশ্ব বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং মতো যোগ্যতা না থাকলেও যে দেশ চালানো যায় তারি প্রতিক মোদিজী। সম্প্রতিককালে উনি আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরো হয়েছেন। এখনো কবিতা গান উপন্যাস লেখা শুরু করেননি।সবে দাঁড়ি রাখা দিয়ে শুরু করেছেন। খুব শীঘ্রই বাজারে ওনার রবীন্দ্র কাব্যপ্রতিভার সৃজনশীলতা সামনে আসতে চলেছে। এত গুণধর মানুষকে প্রধানমন্ত্রী পাওয়া যে কোনো দেশের স্বপ্ন। আপনারা হাজার বছরেও একজন মোদিজি পাবেন না একথা হলফ করে বলতে পারি।
ভালো থাকুন আপু সবসময়।
১১| ০১ লা মে, ২০২১ সকাল ১১:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা আপনার এই বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য
অসংখ অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর করে
এত বড় আকারের গোছানো লেখনী কি করে সম্ভ্বব !
তাই ভাবছি। কোথাও খেই হারিয়ে ফেলেন নি !
ভালাে থাকবেন দাদা।
০৩ রা মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী প্রিয় নুরু ভাই।
"দাদা আপনার এই বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য
অসংখ অসংখ্য ধন্যবাদ। এত সুন্দর করে
এত বড় আকারের গোছানো লেখনী কি করে সম্ভ্বব !
তাই ভাবছি। কোথাও খেই হারিয়ে ফেলেন নি !"-এমন করে বললে যে লজ্জায় পড়ে যাই। আপনার আসেন কমেন্ট করেন সেই লোভেই যে এমন আগডুম বাগডুম লিখছি।পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও ভালো থাকবেন সবসময়।
১২| ০১ লা মে, ২০২১ বিকাল ৪:২৩
ইসিয়াক বলেছেন: জটিল পরিস্থিতি। স্বপন কাকার অপেক্ষায়। দেখা যাক সামনে কি হয়। সংকটময় পরিস্থিতিতে সবাই সুযোগ খোঁজে। উত্তাল সেই সময়ে কথা বেশ চমৎকার ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। পোস্টে ভালো লাগা।
শুভেচ্ছা রইলো।
০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৩:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঁচ তারিখে শপথ বাক্য পাঠ করতে যেতে হবে। আমার দল ভোটে হেরে গেছে ঠিকই কিন্তু তৃণমূলের আমন্ত্রণ রক্ষার্থে রাজভবনে যেতে হবে।হেরি গেছি বলে তো আর মন খারাপ করে বসে থাকতে পারি না। আপনি কি বলেন? ওপার থেকে মা.হাসান ভাই আসছেন। আপনি যদি আসেন তাহলে ওনার সঙ্গে একটু যোগাযোগ করেন।বর্ডারের এপাশে আমি অপেক্ষায় থাকবো।
পোস্ট সম্পর্কে-হ্যাঁ অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি।স্বপন কাকার অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর উপায় কি। সামনের পর্বে এই জিজ্ঞাসার কিছুটা হলেও অবসান ঘটবে। তবে সময়টা যে উত্তাল তা আপনার সুকর্ন দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে দেখে খুশি হলাম।সে এক কঠিন সময় পার হয়েছে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
১৩| ০১ লা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
পাঁচ-মিশালি বলেছেন: প্রিয় ব্লগার ,আপনি যদিও প্রতিবেশী দেশের তবুও কেমন জানি ভীষণ আপন মনে হত ,যদিও পদাতিক নাম দেখে বিভ্রান্ত হতাম আপনি একজন বিধর্মী কাফের কিনা। কিন্তু কোন এক ব্লগারের পুরোনো এক পোস্ট থেকে যখন জানতে পারলাম আপনার আসল নাম তাইমূর চৌধুরী এবং তাইমূর লং নামক একজন বিখ্যাত এবং সাচ্চা মুসলমান শাসকের নামে আপনার নাম যিনি ১৩৯৮ সালে দিল্লী দখল করেছিলেন ,যার তরবারির নাম ছিল ইসলামের তরবারি , যা বার বার ঝলসে উঠেছিল কাফের ,বিধর্মী এবং ইসমাঈলীদের বিরুদ্ধে তখন আপনার নামের জন্য অনেক আনন্দ হয়েছিল।
আমি উক্ত পোস্ট থেকে জানতে পেরেছিলাম ,আপনি পশ্চিম বঙ্গের বারাসাতে থাকেন .উক্ত পোস্টে আপনার এবং আপনার স্ত্রীর ফটো ও দেখলাম। সাম্প্রতিক সময়ে আপনার অনেক কমেন্টে ওই বিধর্মী লোকটা যে সম্প্রতি এদেশে এসেছিল মানে মুদির কারণে ,আপনার ক্রোধ ,ঘৃণা ,আক্রোশ ইত্যাদি আপনার স্যাটায়ার পূর্ণ কমেন্ট গুলোতে ভীষণ ভাবে ফুটে ওঠে। এটা একধরণের জিহাদ। কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাটা সুন্নত। বাদশা তাইমূর ব্লগার তাইমূরএর আদর্শ হয়ে উঠুক।
বাকি রইল ভারতে করোনার বাড়াবাড়ি। ব্লগার জুন এবং আরও অনেক ব্লগার বিস্তারিত ভাবে কমেন্টে লিখছেন তাদের হাহাকারের কথা। কাফের বিধর্মীরা যেহেতু আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র দ্বীন ইসলামের ছায়াতলে না আসার জন্যে ষড়যন্ত্র এবং প্রতারণায় লিপ্ত (মূর্তি পূজা) ,তাই আল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং প্রতারণায় লিপ্ত। তাদের ভাল কিছু সম্ভব না।
এবং কাফেরেরা চক্রান্ত করেছে আর আল্লাহও চক্রান্ত করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম চক্রান্তকারী।সূরা আল ইমরান, ৩:৫৪
আরেকটা কথা কিছু মনে করবেন না ,আপনার বে -পর্দা স্ত্রী র কোন বেগানা পুরুষ দিয়ে ফটো তোলানো কি ইসলাম সম্মত ?
নারীকে হাদীস শরীফে ‘আওরত’ বলা হয়। আওরত শব্দের অর্থ – গুপ্ত বা আবৃত।রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেন – “স্ত্রীজাতির পর্দায় গুপ্ত থাকার সত্তা। কিন্তু যখনই তারা পর্দার বাহিরে আসে, তখন শয়তান তাদের দিকে ঝুঁকে।” (তিরমিযী)
হিন্দু বা খৃষ্টান মেয়েলোক বা যেকোন বেদ্বীন বা বেপর্দা মেয়ে হতেও পর্দানেশীন মুসলিম নারীর পর্দা করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন : “(হে নারীগণ!) তোমরা তোমাদের ঘরের (বাড়ীর চতুর্সীমানার) ভিতর অবস্থান কর এবং বাইরে বের হয়োনা – যেমন ইসলামপূর্ব জাহিলী যুগের মেয়েরা বের হত।” (সূরাহ আহযাব, আয়াত : ৪৩)
আপনার স্ত্রী যদি পর্দা করতে অস্বীকার করে আপনার আনুগত্য পালন না করে তবে তাকে কঠোর ভাবে শাসন করবেন।
কোন মহিলা নিজ স্বামীর অবাধ্য হওয়াও কবীরা গুনাহ্’র অন্যতম। তাই তো আল্লাহ্ তা‘আলা এ জাতীয় মহিলাদের জন্য পর্যায়ক্রমে কয়েকটি শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন।
‘‘আর যে নারীদের তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা করো তাদেরকে সদুপদেশ দাও তথা আল্লাহ্ তা‘আলার আযাবের ভয়-ভীতি দেখাও, তাদেরকে শয্যায় পরিত্যাগ করো এবং প্রয়োজনে তাদেরকে প্রহার করো। এতে করে তারা তোমাদের অনুগত হয়ে গেলে তাদের ব্যাপারে আর অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা সমুন্নত মহীয়ান’’। (নিসা’ : ৩৪)
কোন মহিলা তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দিলে তার জান্নাতী অপরূপা সুন্দরী স্ত্রী তথা ’হূররা সে মহিলাকে তিরস্কার করতে থাকে।
মু‘আয বিন্ জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
‘‘কোন মহিলা তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দিলে তার জান্নাতী অপরূপা সুন্দরী স্ত্রীরা বলে: তাকে কষ্ট দিও না। আল্লাহ্ তোমাকে ধ্বংস করুক! কারণ, সে তো তোমার কাছে কিছু দিনের জন্য। বেশি দেরি নয় যে, সে তোমাকে ছেড়ে আমাদের কাছে চলে আসবে’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২০৪৪)
আপনার বে-পর্দা স্ত্রী সম্পূর্ন ভাবে পর্দা করার এবং বেগানা পুরুষ দ্বারা ফটো না তোলানোর তাওফিক প্রাপ্ত হউন।
০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৩:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আমার দেখার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। দীর্ঘ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
১৪| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ৮:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: সেলফোন থেকে মন্তব্য করেছিলাম বলেই হয়তো মন্তব্য একটুখানি এসেছে- বাকিটকু মিস স্যরি
০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৩:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভালো আছেন প্রিয় তপন ভাই।দুর্ভাগ্য আমার যে সেলফোনে লেখা কমেন্টটি কোনো কারনেই মিস হয়ে অল্পটাই এসেছে। তবে যেটুকু এসেছে তার জন্যও ধন্যবাদ আপনাকে। আগামীতে হয়তো পুর্ণাঙ্গ কমেন্ট পাবো।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৫| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১০:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
আপনার এই দীর্ঘ সিরিজটির তল খুঁজে পেতে বড়ই কষ্ট। যখন ব্লগে আসি তখন হয়তো আপনার লেখা পোস্ট হয়না মানে দেখা যায় না। আবার যেসব দিন আসা হয়না তখন হয়তো আপনার পোস্ট ব্লগে আসে। ফলে অনেক পর্বই না দেখার দরূন পড়া হয়ে ওঠেনা। পর্বে পর্বে গ্যাপ পড়ে যায়। আর ব্লগের পাতা উল্টিয়ে যেটা দেখতে পাই সেটাতে আপনি খন্ড এবং পর্ব সংখ্যা উল্লেখ করেন যা আমার কাছে জটিল মনে হয়। দ্বিধায় পড়ে যাই , এটা কি আগে পড়েছি নাকি পড়িনি, এটা ভেবে। তাই দেখা গেছে একই পর্ব হয়তো এই দ্বিধার কারনে ২ - ৩ বারও পড়ে ফেলেছি।
আমার মনে হয় অনেকেই আমার মতোন বিভ্রান্তিতে ভোগেন। ভালো হয়, প্রতি পর্বে আগের সব পর্বের লিংক ধারাবাহিক যোগ করে দিলে।
জানি , অনেক কষ্ট করে আপনি ব্লগে আসেন। ব্লগের প্রতি আপনার গভীর টান থেকেই এমন করে আসা।
ভালো থাকবেন আর সাবধান থাকবেন।
মঙ্গল কামনায়।
০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী প্রিয় জী এস ভাই।
আপনার এই দীর্ঘ সিরিজটির তল খুঁজে পেতে বড়ই কষ্ট। যখন ব্লগে আসি তখন হয়তো আপনার লেখা পোস্ট হয়না মানে দেখা যায় না। আবার যেসব দিন আসা হয়না তখন হয়তো আপনার পোস্ট ব্লগে আসে। ফলে অনেক পর্বই না দেখার দরূন পড়া হয়ে ওঠেনা।"- ঠিক বলেছেন। টাইমিং এর অভাবে এই সমস্যাটি হচ্ছে।
খন্ড ও পর্বের বিভ্রান্তির জন্য জানাই। গোটা সিরিটটি দুটি খণ্ডে বিভক্ত। এখন প্রথম খন্ডের 13 তম পর্ব চলছে। কাহিনী সাতক্ষীরায় পৌঁছালে দ্বিতীয় খন্ড শুরু হবে।তারও প্রথম খন্ডের মতো অনেকগুলো পর্ব থাকবে। আপনার সুবিধার জন্য পরবর্তী পর্ব গুলোতে লিংক দিবো। সুন্দর পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কমেন্টের শেষ অংশে মুগ্ধতা। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৬| ০২ রা মে, ২০২১ সকাল ৯:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দাদা আছেন কেমন?
এই মহা দুর্যোগকালে
আশা করি পরিবার পরিজন নিয়ে
মঙ্গলমতেই আছেন ।
আপনার মুল্যবান এই সিরিজটি সময়ের অভাবে দেখা হয়ে উঠেনি ।
সময় নিয়ে সিরিজের সব কটি পর্ব পাঠ করার প্রবল ইচ্ছা রাখি ।
শুভ কামনা রইল
০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম।উপরওয়ালার ইচ্ছায় ভালো আছি। আশাকরি আপনিও সপরিবারে ভালো আছেন। আমাদের এখানে অতিমারি ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। যদিও ভোটের ফলাফল নিয়ে মানুষের উন্মাদনা সেসব কিছুকে তুচ্ছ করেছে। আত্মীয়-স্বজন অনেকেই করোনা আক্রান্ত।যে টুকু খোঁজখবর ফোনেই করছি। বাংলাদেশের অবস্থা আমাদের চেয়ে বহুগুণ ভালো। তবুও আপনারা সাবধানে থাকবেন।
সিরিজটি সময়ের অভাবে আপনার পক্ষে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। আপনি ব্যস্ত মানুষ; হাজার কাজ নিয়ে থাকেন।যে কারণে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। তবুও যদি কোনভাবে সময় হয় অনুরোধ করব একবার চোখ বুলিয়ে যাওয়ার।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৭| ০২ রা মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মাঝে কয়েক পর্ব বাদ গেছে, কিন্তু বিপদ টের পাওয়া যাচ্ছে , আশা করছি এই হট্টগোল কাকার ফিরে আসা উপলক্ষে।
০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন আপু সময়টা একেবারেই অনুকূলে নয়। সামনের পর্বে বিষয়টি অনেকটা দূর হবে।সাথে হট্টগোলটা জানার জন্য পরবর্তী পর্বে আপনাকে আসতেই হবে। আমন্ত্রণ রইলো আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
১৮| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১:০৬
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: কেমন আছেন প্রিয় ভাই।।।
বহুদিন হল ব্লগে আসি না। প্রচুর শূন্যতা অনুভব করেছি।।
। নতুন কোন সিরিজ লিখছেন বুঝি??? পরে পড়ে মন্তব্য জানিয়ে যাবো।।।
০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: উপরওয়ালার ইচ্ছায় ভালো আছি। আশাকরি আপনিও সপরিবারে ভালো আছেন। এতদিন কোথায় ছিলেন? পড়াশোনার খবর কি?
হ্যাঁ এটি একটা নতুন গল্প। তবে নয় নয় করে তেরোটি পর্ব হয়ে গেছে। আশাকরি এখন থেকে আপনাকে নিয়মিত পাবো।
পোস্ট পড়ে কমেন্ট করবেন অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা প্রিয় হোসাইন ভাইকে।
১৯| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৩
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, ভাই মোটামুটি ভালোই আছি পরিবার পরিজন নিয়ে।।
পড়াশোনা? আর বলিয়েন না ভাই।। প্রায় এক বছর মোবাইল ব্যবহার করিনি, পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার জন্যে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না।। মনোযোগ একটুই বাড়াতে পারিনি। হেলায় হেলায় প্রতিটা দিন পার হচ্ছে।। পরিবর্তন হতে চাচ্চি, পরিবর্তন করতে চাচ্চি।কিন্তু কোনক্রমেই আত্মনিয়ন্ত্রণ আনতে পারছি না।। কোন একজন পার্সোনাল মেন্টরের তাগিদ অনুভব করছি।।
ভীষন রকম হতাশা চেপে ধরেছে।। যাহোক, ঈদ পরবর্তী সময়টাতে আবার নূতন করে মেরামত করার চেষ্টা করব জীবনটাকে।
লেখাটা পড়লাম। ভেবেছিলাম, এটা ভ্রমণ গল্প কি না।।। লেখা পড়েছি, কেমন যেন লেগেছে।। আগের পর্বগুলো পড়লে হয়তো এমন মনে হতো না।
মনের বিরুদ্ধে গিয়ে পোস্ট দিয়েছেন জেনে অবাক হয়ে গেলাম। মনের বিরুদ্ধে লিখালিখি করা খুবই কঠিন কাজ।। এই কঠিন কাজটি সহজভাবে কিরার জন্য ধন্যবাদ
১৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হোসাইন ভাই,
ভয়ঙ্কর অবস্থায় আছি। আশপাশের প্রচুর চেনাজানা মুখগুলো ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে বা হচ্ছে।প্রতিটি মূহুর্তে নিজেকে আরও কত গৃহবন্দি করে তোলা যায় তারি এক প্রস্তুতির মধ্যে আছি। সেবার ইতালির অবস্থা শুনেছিলাম।এই মুহূর্তে দেশটি ইতালির মতো মৃত্যপুরী হয়ে গেছে। খবরের কাগজ বা টিভির কথা ছেড়ে দিলাম।যে পাড়াতে থাকি প্রতিদিনই মৃত্যুর খবর কানে আসছে। জানিনা আমাদের ভবিষ্যৎ কি?
এই অবস্থায় ব্লগিং করা বা ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করার মতো মানসিক বল নেই।আপনারা অনেকে দিন আগে কমেন্ট করেছেন। কিন্তু মনের ইচ্ছা শক্তি যেন শেষ হয়ে গেছে।
ভালো থাকুন।
২০| ২২ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আপনার লেখার অনিয়মিত পাঠক। তারপরও স্বপন কাকার ফেরার অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি অনিয়মিতভাবে পড়তে পড়তে এক সময় নিয়মিত হয় যাবো। আশা করি ভালো আছেন। করোনা নিয়ে আমাদের চেয়ে আপনারা অনেক বেশী বিপদে আছেন। আপনাদের জন্য দোয়া করি আর আমাদের দেশ যেন না আসে সেই জন্য দোয়া চাচ্ছি। ভারতের মত বাংলাদেশ হলে আমরা সবাই বিপদে পড়ে যাবো।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৯:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি আপনার লেখার অনিয়মিত পাঠক। তারপরও স্বপন কাকার ফেরার অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি অনিয়মিতভাবে পড়তে পড়তে এক সময় নিয়মিত হয় যাবো।"- ঠিক তাই প্রিয় ভাইয়ের নিয়মিত আগমনের অপেক্ষায় রইলাম। করোনা নিয়ে আপনি ঠিকই বলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অতিমারির কারণে মানসিক ভাবে খুব ভালো অবস্থানে না থাকায় আমিও ব্লগিং সহ ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করার মতো অবস্থায় ছিলাম না। এখন অনেকটাই ভালো আছি। আশাকরি আপনারাও ভালো আছেন। সঙ্গে ব্লগিং এ নিয়মিত হবার চেষ্টা করবো।
আপনার দোয়া যেন উপরওয়ালা কবুল করেন।ইন্ডিয়ার উপর যা হবার হয়ে গেছে। বাংলাদেশের উপর যেন এই বিষ বাষ্প প্রবাহিত না হয়।উপরওয়ালা বাংলাদেশকে রক্ষা করুন।
২১| ২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
কেমন আছে পদাতিক আর তার পরিবারের সবাই । আই উইশ সবাই সেইফ আছে ।
ছাদে দেখলাম চোখ জুড়ানো সবজি বাগান করা হয়েছে ।
তা এই যে এতো এতো সবজি হয়েছে সেগুলো কি একাই খাওয়া হবে, না সবাইকে নিয়ে খাবে ।
আমাদেরকে না দিয়ে খেলে পেটে যদি সামান্য ব্যথা হয়, তারজন্য কিন্তু আমরা দায়ী নই
ভেরি ওয়েল ডান ম্যান !
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে বেশকিছু দিন কেটেছে।এই পরিস্থিতিতে না পড়লে মানুষের ঠিক কল্পনা আসেনা। যাইহোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গ এখন অনেকটাই সঙ্কটমুক্ত। জনজীবন অনেকটাই সচল হয়েছে।যদিও যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো সম্পুর্ন বন্ধ। আশাকরি ধীরে ধীরে অবস্থার আরো উন্নতি হবে।
আর এই কঠিন সময়ে গৃহের পরিবেশকে একটু ঘুরিয়ে দিতে তড়িঘড়ি করে ছাদ বাগানের হাত দেই।কতটা ফসল পেলাম বড় কথা নয় কিন্তু পরিবারকে সকাল-বিকাল দুই বেলায় সবজি ক্ষেতের দৃশ্যে অনেকটাই ভুলিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।
আপনি কখনোও কলকাতায় এলে মূল আপ্যায়নের সঙ্গে সামান্য হলেও আমার হাতের কোনো একটা সবজি মেনুতে থাকবে বলে কথা দিলাম আপু।
ভালো থাকবেন সবসময়।
২২| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৫৪
জুন বলেছেন: এই পদাতিক আপনি এতদিন কই ছিলেন? আজই ভাবছিলাম আপনার নিখোঁজ বার্তা নিয়ে একটা পোস্ট দিবো। ভালো ছিলেন তো??
০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৯:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আগের দুটি কমেন্টে বলেছি ব্লগে এতদিন নিরুদ্দেশ হবার কারণ। তবে এখন অনেকটাই সঙ্কটমুক্ত। যদিও প্রশাসনিক কঠোরতা এখনো বিদ্যমান। আশপাশের মৃত্যুহার আর নেই বললেই চলে।আমার আশেপাশে বেশকয়েকটি মসজিদ আছে। মাঝখানের এই দিনগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা কানে আসতো।এলাকাটি মিক্সড কম্যুউনিটি হবার কারনে পড়শিদের মাধ্যমে আশেপাশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যু খবরো পাল্লা দিয়ে কানে আসতো।উফ! কি দিনের মধ্যে যে কাটিয়েছি তা উপরওয়ালা জানেন।
আপনি নিখোঁজ বার্তা দিলেও হয়তো আর জানা হতো না। যে অবস্থায় ছিলাম মনোবল ভেঙে গেছিল।তাতে আবার পরিবারকে বিকল্প শক্তি দিতে তড়িঘড়ি ছাদ বাগানের কাজে নেমে পড়ি।
আপনি আপনার পক্ষীকুল নিয়ে ভালো আছেন আশাকরি।
শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্ষেতে কাজ করার নতুন রুটিনটা উপভোগ করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো।
এ পর্বটির পরে তো আর কোন পর্ব লিখেন নাই। পরের পর্বটি কবে পাবো? নাকি সিরিজটি এখানেই শেষ হয়ে গেল? স্বপন কাকা ফিরে না এলে সিরিজ শেষ হয় কি করে!
এ পোস্টটি পড়ে বোঝা যাচ্ছে যে এটি আপনি মনের বিরুদ্ধে গিয়ে দিয়েছেন। আশাকরি, অনুকূল পরিবেশ এবং মনের আনুকূল্য আবার ফিরে পাবেন।
পোস্টে দ্বাদশ ভাললাগা। + +
৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্ষেতে কাজ করার নতুন রুটিনটা উপভোগ করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো।"- হ্যাঁ স্যার ঠিকই বলেছেন।ছাদ বাগানের কাজে অনেক সময় খেয়ে ফেলে।তার সঙ্গে সময় দিয়ে কখনোবা পেরে উঠছি না।যার ফলে ব্লগিং এ সময় গেছে কমে।
এই পর্বের পরেও অনেক লেখা আছে কিন্তু সময়োভাবে ইতিপূর্বে দিতে পারিনি।গল্প এখনও সাতক্ষীরায় পৌঁছাতে পারেনি। আগামীতে সাতক্ষীরায় গেলো কীভাবে কিম্বা কীভাবে কাটলো,কেন ওখান থেকে ফিরে আসতে হলো এবং অবশেষে বেলগাছিয়ায় পৌঁছালো ই বা কেমনে সেসব বিস্তারিত আলোচনা করে তবেই এই উপন্যাসের পরিসমাপ্তি ঘটবে।একটু সময় লাগছে। ধৈর্যচ্যুতি অনেক পাঠকেরই হচ্ছে। তাদের সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।তমোময়ী সিরিজটি এই সপ্তাহে শেষ করে আবার সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া পর্ব শুরু করার ইচ্ছা আছে।
পোস্ট পড়ে তৎকালীন মনের অবস্থা অনুধাবন করেছেন জেনে খুশি হয়েছি। হ্যাঁ স্যার ঠিকই বলেছেন।সময়টা অত্যন্ত কঠিন ছিল। তবে এখন অবস্থা অনেকটাই বদলে গেছে। আপনারা খুব সাবধানে থাকবেন স্যার। পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: বর্তমান অবস্থা নিয়ে ছোট ছোট পোষ্ট দিতে পারেন।দিদি না দাদা কার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা।
কাকার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকলাম।