নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তমোময়ী(পর্ব-৪)

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:০১




মুজাহিদ প্রথম দুদিন আমার সঙ্গে ছিলো। বেশ ভালো কেটেছিল ওর সঙ্গে ওই দুদিন। শুধুমাত্র ও সঙ্গে থাকায় অচেনা অজানা শুষ্ক রুক্ষ জায়গাটাও খারাপ লাগেনি। শুরুতে ঘরটা সম্পর্কে দু-চার কথা না বললেই নয়। যে ঘরে আমরা ছিলাম সেটা ছিল বসবাসের জন্য একেবারেই অযোগ্য।ঘরটির দরজা-জানালা না থাকারই মতো। একটা দরজা ও ছোট্ট একটা জানালা থাকলেও আর যাই হোক সেটাকে কোনভাবেই বাসগৃহ বলা যায় না। আমরা গ্রামের মানুষ, মাটির বাড়িতে জন্মেছি বড় হয়েছি। কত আলো-বাতাস ছিল ওখানকার ঘরগুলোতে। পাকা বাড়িতে থাকার সুযোগ কখনো হয়নি তাই এই বাড়িটির দরজা জানালাটা কম বলে মনে হলেও উচ্চবাচ্য করার সাহস পাইনি। যাইহোক শুরুতেই যে কারণে মনের মধ্যে একটা দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ছোট্ট বদ্ধ জানলাটিকে প্রথম দিন একবার খোলার কথা ভেবেছিলাম। পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে সবে জানালায় হাত দিতেই মুজাহিদ মুখ থেকে অস্ফুটে এমন একটা শব্দ করে রেরে করে আমার দিকে ছুটে আসে, যেন আমি কোনো মহাপরাধ করে ফেলেছি। আঙ্গুল উঁচিয়ে সাবধান করে, ভবিষ্যতে যেন কখনোই জানালা না খুলি। ওর অমন ছুটে আসার ভয়ানক দৃশ্যটি আমার কাছে নতুন ঠেকে।পরে আর কখনও যে কারণে জানালা খোলার কথা মাথায় আনিনি।

ওখানে পৌঁছে প্রথম থেকে রান্নাঘর খুঁজছিলাম। ওকে সেকথা বলাতে জানিয়েছিল,
- ও সবের প্রয়োজন হবে না। যখন যা দরকার হবে বাইরে থেকে আনিয়ে নেব।
মনে মনে খুশি হই এই ভেবে যে আমাকে তাহলে রানী করেই রাখবে।
শুধু মুখের কথা নয় কাজেও মিল পাই। প্রথমদিন থেকেই খাবার-দাবার আসতো সব বাইরে থেকে। জীবনে কখনোও বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। ফলে বাইরের খাবারের সম্বন্ধে কোনো ধারণা ছিল না। মুজাহিদের কল্যাণে জীবনে প্রথম এমন সুযোগ পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। বাইরের খাবার খেতে খারাপ লাগতো না। তবে অসুবিধা ছিল তিনবেলা অমন মোটা মোটা রুটি কিছুতেই যেন গলার ওপাশে যেতে চাইতো না। এমন রুটি বাপের জীবনেও দেখিনি। ওকে জিজ্ঞেস করতেই জানিয়েছিল, মোটামোটা রুটিগুলোকে নান রুটি বলা হয়। দ্বিতীয় দিন অবশ্য মুজাহিদ ওদেশের একটা বিশেষ ভাতের ব্যবস্থা করেছিল।নাম বলেছিল আফগান পোলাও।বেশ ভালো লেগেছিল পোলাও খেতে। তবে পরিমাণটা ছিল বেশ কম। পেট ভরাতে চাইলে মূলত মোটা মোটা রুটিই খেতে হবে। আমার তো আবার এমন মোটা রুটি পরের দিকে দুচোখের শত্রু হয়ে ওঠে।

তৃতীয় দিন সকাল থেকেই মুজাহিদকে খুব অস্থির লাগছিল। দুপুরে কোন এক সময় জানালো,
- আমাকে আজ সন্ধ্যায় বের হতে হবে। ও চলে যাবে জানতাম তাই বলে আজি সন্ধ্যায় বের হবে শুনে আঁতকে উঠি। এমন অপরিচিত জায়গায় ওকে ছেড়ে একাকী থাকতে হবে ভেবে ভিতরে ভিতরে শিউরে উঠি। বাইরে যেখানে প্রায়ই গোলাগুলির শব্দ কানে আসে। গত তিনদিনে যা অনেকটাই গা সওয়া হয়ে গেছে। এক্ষণে নিজের দুর্ভাবনাকে প্রকাশ না করে অন্যভাবে বায়না ধরি,
- আমি একাকী থাকতে পারবো না। তারচেয়ে বরং তুমি যেখানেই যাও আমাকে সঙ্গে নিয়ে চলো।
আমার কথা শুনে মুজাহিদ হঠাৎ গম্ভীর হয়ে যায়। কয়েক মূহুর্ত নীরব থেকে বলে,
- আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে এখানে আসিনি। এসেছি একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। আমার কাজে বাঁধা দিও না।আর তোমার কাজও ঠিক করা আছে।

গত কয়েক দিনে যে লোকটারে আদর স্নেহ ভালোবাসায় হৃদয়ের গভীরে স্থান দিয়েছি আজ এক্ষণে তার মুখের কথা শুনে সেই আমিই যেন আকাশ থেকে পড়ি। কানের মধ্যে সমানে বাজতে থাকে ' আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এখানে বসবাস করতে আসিনি'...আর তা যদি নাই বা হবে তাহলে আমার কাজটিই বা কি? তা নিয়ে মনের মধ্যে ঝড় বইতে থাকে। যার হাত ধরে বাবা-মা-ভাই-বোন ছেড়েছি; কয়েকশো মাইল দূরে পাড়ি জমিয়েছি; সেই লোকটি বলে কিনা আমাদের এখানে আসার উদ্দেশ্য আলাদা। যাইহোক ঘটনার পর থেকে খুবই দুশ্চিন্তার পড়ি। হে আল্লাহ! এখান থেকে বের হবো কেমন করে- মনের মধ্যে এই প্রশ্ন সারাক্ষণ ঘুরপাক খেতে থাকে।

পূর্বঘোষণা মতোই সেদিন রাতের বেলা মুজাহিদ চলে যায়। যাওয়ার আগে একটা কথা বলে,
- যদি বেঁচে থাকি তাহলে আবার দেখা হবে....
মনে হলো একবার ওর পায়ের উপর আছড়ে গিয়ে পড়ি। শেষবারের মতো আটকে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সংযত রেখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি। দুপুর থেকে মনে মনে নিজেকে তৈরী করছিলাম। কিন্তু বাস্তবে ও যখন চোখের সামনে চলে গেল তখন আমার পৃথিবীটা একেবারে শূন্য হয়ে পড়ে। আমি নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। একবারও আমার চোখের দিকে বা মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করে নি। নিজের সেই অসহনীয় ব্যথা কেমন করে যে বর্ণনা করি। কি ভয়ানক নিষ্ঠুর লাগছিল ওকে। অবশেষে সন্ধ্যা নামতেই লোকটা অন্ধকারে মিলিয়ে হয়ে গেলো।

ও চলে যাওয়ার পর শূন্য হৃদয়ে গভীর বেদনায় ঘরের ভিতরে চুপচাপ বসে থাকি। এমন সময় হুরমুড়িয়ে এক লোক ঘরে ঢোকে। শুরুতে আমি হতচকিত হয়ে যাই। একজন পরপুরুষ অন্যের ঘরে ঢোকেই বা কোন আক্কেলে? মুজাহিদের মতোই আলখাল্লা পরা লোকটা ঘরে ঢুকেই আমার কপালে বন্ধুক ঠেকিয়ে ওদের ভাষায় কি সব বলতে থাকে।
বুবুকে সাময়িক থামিয়ে দিয়ে বললাম,
- বুবু ওদের ভাষাটার নাম পুশতুন।
- ওদের কথা আর বলিস না মনা। ওদের কোনো কিছুই আমার শুনতে ইচ্ছা হয়না,বলে বুবু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেয়।একটু দম নিয়ে আবার বলতে লাগলো,
- যে কথা বলছিলাম মনা।পশুটা কপালে বন্ধুক ঠেকিয়ে রাখায় বুঝতে পারি আজ আমার শেষ দিন। আমি জোরে কেঁদে ওঠায় সপাটে মারে এক চড় আমার মুখ লক্ষ্য করে।চড় গিয়ে লাগে আমার বাম কানের গোড়াতে। মূহুর্তে চোখে সব অন্ধকার দেখি।এর পরের ঘটনা আমার আর মনে নেই। যখন জ্ঞান‌ ফেরে তখন টের পাই আমার জামাকাপড় কোনোক্রমে আমার শরীরের উপর ছড়ানো।আর লোকটা একটু দূরে কি কাজে ব্যস্ত ছিল। চোখাচোখি হতেই দেখি ভয়ানক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মূহুর্তে মুজাহিদের শেষ কথাটি মনে আসে,
"আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে এখানে আসিনি। এসেছি একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। আমার কাজে বাঁধা দিও না।আর তোমার কাজও ঠিক করা আছে।" এতক্ষণে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় এখানে আমার জন্য কি কাজ ঠিক করা আছে।যে কাজে ইতিমধ্যে আমাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মনে মনে ভাবতে থাকি যদি কোনো দিন মুজাহিদকে সামনে পাই তাহলে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো,
-আমার মতো গরিব ঘরের মেয়েদেরকে ভোগের বস্তু করতেই কি বিয়ে নামক নাটক করে এবং গরিব বাবার হাতে কিছু পয়সা গুঁজে একপ্রকার কিনে এখানে নিয়ে এসে ধর্মযোদ্ধার নামে ফুর্তি করা? উল্লেখ্য সেদিন সারারাত ঐ পশুটাকে পাশে নিয়ে নীরবে বসে কাটিয়েছি। যতবেশি রাগ পশুটার উপর হয় তার চেয়ে শতগুণ রাগ ক্ষোভ দুঃখ মুজাহিদের উপর গিয়ে পড়ে। শুধুমাত্র ওর জন্যেই আমার এতবড় সর্বনাশ ঘটেছে।এসব ভাবতে ভাবতেই ভোরের সময় একটু ঝিমুনি আসে। হঠাৎ দুই হাতে আবার চাপ অনুভব করি। এবার আর কোনো প্রতিবাদ করিনি। একটি মেয়ের সর্বস্ব লুট হওয়ার পর আর বাধা দেওয়ার কিছুই থাকেনা। সর্বস্ব খুইয়ে নিজেকে তখন দুনিয়ার সবচেয়ে সহায় সম্বলহীন অভাগী বলেই মনে হয়। আড়চোখে তাকিয়ে দেখি পশুটা আমার দুই হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দিচ্ছে। শরীর আমার; হাত পা আমার অথচ তাকে ইচ্ছামত ব্যবহার করার অধিকার আমার নাই। আমি এখন মুজাহিদদের কেনা পুতুল আর কি। মনে মনকে শান্ত করি, আমি তো ইতিমধ্যে নিজেই মরার উপায় খুঁজছিলাম। এবার যদি ওরা আরেকটু দয়া করে আমাকে শেষ করে দেয় তাহলে এই অভিশপ্ত জীবন আর বয়ে বেড়াতে হবে না। কিন্তু আমি ভাবলেই তো আর হবে না।তারা তো আমাকে নিয়ে আগে থেকেই ভেবে রেখেছে। হ্যাঁ ভোরবেলা পিছমোড়া করে বেঁধে ও ঠোঁটে আঠালো কাগজ চেপে বেরিয়ে যায় লোকটা। কষ্ট হলেও তার কোনো কাজে বাঁধা দেয় নি। আমার মনে তখন একটাই চাওয়া, এসবের ফলে যদি আমি মরে যাই তাহলে তার জন্য তো একটু কষ্ট সহ্য করতেই হবে।

নাহা! এভাবে হাত-পা-মুখ বেঁধে রাখায় কষ্ট সহ্য করে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। কিছুক্ষণ যেতেই বেশ হাঁপিয়ে উঠি। আমার গোঙ্গানিতে বা অন্য যে কোনো কারনেই হোক অনেকক্ষণ পরে আরেকটি লোক ঘরে ঢোকে। লোকটি আমার চেনা। তিনবেলা খাবার দিতে আসায় দরজার ফাঁক দিয়ে আমি তাকে দেখেছি। লোকটি একে একে আমার সব বাঁধন খুলে দেয়। ভেবেছিলাম ও আমার সঙ্গে একই আচরণ করবে। কিন্তু নাহা! বাঁধন খুলে লোকটা আমার দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে অবশেষে মাথা নাড়তে নাড়তে বাইরে চলে যায়।ঘন্টা খানেক যেতেই পশুটা আবার ফিরে আসে।মনে হয় এতক্ষণ বাইরে কোথাও ছিল। সেদিন সারাদিন পশুটা আমার ঘরেই কাটিয়ে দেয়। সন্ধ্যার অনেক পর পোঁটলা পুঁটলি নিয়ে অন্ধকারে অদৃশ্য হয়ে যায়।

সেরাতে আমি একাই কাটিয়ে দেই। পরেরদিন সন্ধ্যায় আবার একজন আলখাল্লা পরা লোক ঘরে ঢোকে। লোকটি ঘরে ঢুকতেই আমি বুঝে যাই আমার করণীয় কি। ট্রেনে আসার সময় মুজাহিদ বলেছিল চাইলে আমরা প্রত্যকেই নিজেদেরকে এই যুদ্ধে শামিল করতে পারি। তবে যুদ্ধে অংশগ্রহণের পদ্ধতি নাকি সবার এক নয়। বাস্তবে মাত্র কদিনেই বুঝে যাই আমিও একজন মুজাহিদ। তবে আমাকে ওদের মতো বন্দুক কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়না এই যা। এইভাবে একদিন বা কখনও দু'দিন বাদে বাদে এক একজন মুজাহিদের শারীরিক চাহিদা পূরণের সঙ্গে ঠিকানা পরিবর্তন করতে সংযোগকারী হিসেবে ব্যবহার করা হতো আমার ঘরটিকে।

বেশ কয়েকদিন যেতেই অসহ্য গরমে ও দিনের পর দিন না ইচ্ছা করে না খেয়ে থাকায় আমি মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি। কথা বলার শক্তি পর্যন্ত এ সময় হারিয়ে ফেলি। যদিও কথা বলার প্রয়োজন হতো না। ওরা আসতো আমাকে ভোগ করতে, এক বা দুদিন থেকে চলে যেতে। এ সময় শরীরের দুর্বলতা মনের দুর্বলতাকে কয়েক কদম পিছিয়ে ফেলে আমার হাটা চলার শক্তিকে একেবারে শেষ করে দেয়। দুর্বল শরীরের দুর্বলতার সঙ্গে সমানে বেড়ে ওঠে চাকা চাকা একরকমের চর্মরোগ।যার সঙ্গে ছিল অসম্ভব চুলকানো। বেশ কয়েকটি জায়গায় চুলকানো রীতিমতো ঘা আকার ধারণ করে।যদিও আমার এই শারীরিক দূরাবস্থা ওদের ভোগের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। কয়েকদিন যেতেই এবার নুতন করে যোগ হয় অসম্ভব বমি। গ্রামে নুতন বিয়ের পর এমন বমি করতে দেখলে দাদির মুখে শুনতাম সে নাকি পোয়াতি হতো। পরিবারে নুতন সদস্য আসতে চলেছে।আমার এমন অবস্থায় নুতন দুশ্চিন্তা আমাকে খেয়ে ফেলে। মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবে দেখা দেয়।এ আল্লাহ আমার পেটে এ কার বাচ্চা? নুতন ভাবনা আমার দু চোখে অন্ধকার নেমে আসে।


মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:০৫

ইসিয়াক বলেছেন: আজকের পর্বটা অসাধারণ লাগলো্ একটানে পড়ে ফেলেছি, কোন জড়তা নেই।দারুণ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

শুভকামনা রইলো প্রিয় দাদা।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম মন্তব্য মানে আলাদা ভালোলাগা। গতকালও মন্তব্য করেছিলেন কিন্তু সমস্যার জন্য পোস্টটি তুলে নিতে বাধ্য হই। আজ একই পোস্টে আবার মন্তব্য করাতে ও পোস্টটি ভাল লাগাতে আনন্দ পেলাম আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
"আজকের পর্বটা অসাধারণ লাগলো্ একটানে পড়ে ফেলেছি, কোন জড়তা নেই।দারুণ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।"- এমন কমপ্লিমেন্ট মানে নিঃসন্দেহে বাড়তি পাওনা। সঙ্গে পোস্টে লাইক করতা প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২২

ইসিয়াক বলেছেন: তবে আপনার গল্পের সেই লাস্যময়ী নায়িকাকে মিস করছি। আশা করি পরের পর্বে নায়িকার সাথে শেষ পর্ষন্ত আপনার থুড়ি নায়কের পরিণতি কি হলো জানতে পারবো :-B

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহেহে..…বললেই যে সব দাবি রাখা যাবে না। গল্পে আমরা এই মুহূর্তে মানবেতর জীবনের মধ্যে আছি। কাজেই মিয়া সাহেবকে যে একটু প্রেম রসের জন্যে অপেক্ষা করতেই হবে।
আবারো মন্তব্যে আসায় খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুবুর জীবনের বিভীষিকাময় অধ্যায়ের বর্ণনা হৃদয়বিদারক। আফগানিস্তানের ঘটনা কি কল্পনা করে নিয়েছেন না কারো কাছ থেকে শুনেছেন?

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাচু ভাই,

ভৌগোলিকভাবে আমার জন্ম বেড়ে ওঠা এমন একটা জায়গায় যেখান থেকে আমি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা শোনার সুযোগ পেয়েছি। ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া সিরিজটি এই আলোকে রচিত হচ্ছে। ঠিক ইসলামের নামে অন্ধ আবেগকে আমি প্রত্যক্ষ করেছি। ঠিক তেমনি ১৯৭৯-৮৯/৮০ সালে মুজাহিদের নামে এমন উন্মাদনাকে চাক্ষুষ করার সুযোগ হয়েছে।এই সিরিজটি সেই আলোকে রচিত হচ্ছে। গতপর্বে বিষয়টি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মনে হচ্ছে আফগানীস্থানের একটা সময়কে তুলে ধরেছেন। বাস্তবসম্মত হয়েছে লেখাটা। +++++

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ ঠিকই অনুমান করেছেন। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটি বাস্তবসম্মত মনে হওয়াতে ও লাইক করাতে এবং এতগুলো প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা আপনাকে।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫০

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী,





তমমোয়ীর নতুন পর্বের অপেক্ষায় কয়েকবার আপনার ব্লগে এসে ঘুরে গিয়েছিলাম তাই দ্রুত নতুন পর্বটি পেয়ে আনন্দিত হলাম। সকালে আপনার পোস্টটি সবার আগে পড়ে ফেলেছিলাম কিন্তু ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাওয়ায় মন্তব্য হলো দেরীতে :(

কি ভয়ঙ্কর! পড়তে পড়তে যেন গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো! বরাবরের মতই অসাধারন লিখেছেন তা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। পরবর্তী পর্বের আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম। পোস্টে প্রথম লাইক।+++
শুভকামনা জানবেন।

- দেয়ালিকা বিপাশা

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,


"তমমোয়ীর নতুন পর্বের অপেক্ষায় কয়েকবার আপনার ব্লগে এসে ঘুরে গিয়েছিলাম তাই দ্রুত নতুন পর্বটি পেয়ে আনন্দিত হলাম। সকালে আপনার পোস্টটি সবার আগে পড়ে ফেলেছিলাম কিন্তু ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাওয়ায় মন্তব্য হলো দেরীতে :("
আপনার এমন আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমিও ঠিক আপনার লাইক পেয়েও কমেন্ট না পাওয়াতে চিন্তায় ছিলাম। যে কারণে বাস্তবে কমেন্টটি পেয়ে খুশি হয়েছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

"কি ভয়ঙ্কর! পড়তে পড়তে যেন গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো! বরাবরের মতই অসাধারন লিখেছেন তা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। পরবর্তী পর্বের আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম। পোস্টে প্রথম লাইক।+++
শুভকামনা জানবেন।"-হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন একেবারে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। আশা করি পরবর্তী পর্বেও এভাবে আপনাকে পাশে পাব।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানাই।
সাথে আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম।
আপনার জন্যও রইলো অফুরান শুভেচ্ছা।



৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: যদি আমার ভুল না হয় গল্প পাঠে যে টুকু বুঝলাম এই মুজাহিদ নামের নরপিশাচদের কাজ ছিল অল্প বয়সী মেয়েদের বিবাহের নামে ধোঁকা দিয়ে পাচার করে দেওয়া।আফগানিস্তানের বিশেষ একটি জনগোষ্ঠীর কাছে। কি বিভৎস! আর অমানবিক। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল।

আর এমন একটি বিষয়কে গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইল প্রিয় দাদা।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

আপনাকে আবার কমেন্টে দেখে খুশি হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

"যদি আমার ভুল না হয় গল্প পাঠে যে টুকু বুঝলাম এই মুজাহিদ নামের নরপিশাচদের কাজ ছিল অল্প বয়সী মেয়েদের বিবাহের নামে ধোঁকা দিয়ে পাচার করে দেওয়া।"- গল্পে তো সবকথা মুখে বলতে হয় না।কিছুটা পাঠকদের অনুমান শক্তির উপর ছেড়ে দিতে হয়। আজকের আফগানিস্তানে ১৯৭৯-৮৯/৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে জনগণ বিদ্রোহ করে।সেই বিদ্রোহ স্থানীয় আফগানদের সঙ্গে শুধুমাত্র ধর্মীয় ভাবাবেগে চালিত হয়ে উপমহাদেশ থেকে একদল ধর্মান্ধ বিদ্রোহে সামিল হয়। এই ধর্মীয় ভাবাবেগে উদ্বুদ্ধ যোদ্ধারা মুজাহিদ নামে পরিচিত ছিল। সেদিন ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের বন্ধুরাষ্ট্র হলেও প্রতিরক্ষা বলয় শক্তিশালী না হবার কারণে ভারতের বিভিন্ন স্থানের মাদ্রাসা ছাত্ররা মুজাহিদ হিসেবে ওদেশে পাড়ি দেয়। উল্লেখ্য ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষিত না থাকায় বাংলাদেশ থেকেও এমন যোগদান চলেছিল। আসা-যাওয়া করতো ভারত পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের বর্ডার দিয়ে। কিন্তু আজকের দিনে সীমান্ত অনেক সুরক্ষিত।ভারত থেকে পাকিস্তানেরর উপর দিয়ে আফগানিস্তানের যাওয়া কার্যত অসম্ভব।আর তাছাড়া কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে মুসলিমদের আজকের তালেবানদের সাহায্যে অগ্রসর হওয়া মানে দেশোদ্রোহী বা উগ্রবাদী হিসেবে আইনের সাহায্যে সারাজীবন জেলের ঘানি টানা একপ্রকার নিশ্চিত।তাই ভারত থেকে একজন গাছবলদের তালেবানদের হয়ে ওদেশে যাওয়া সম্ভব নয়। যদিও কাভা ভাই কিম্বা পোর্টালে দেখলাম বাংলাদেশ থেকে এমন যোদ্ধা ইতিমধ্যে ওদেশে পৌঁছে গেছে।। ভাবলে অবাক লাগে শিক্ষার আলোকবর্তিকা নিয়ে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করতে গেছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী।আর আজ বাঙালি কিসের তরে ওদেশে পাড়ি দিচ্ছে....


৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: ভয়ঙ্কর!!!!!!
আমিও ভেবেছিলাম শুরুতে -একটা দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্প শুনব...


যা হোক পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আপনাকে। হ্যাঁ ভাই অন্ধ আবেগের মধ্যেও আরেক ভয়ঙ্কর মানবেতর জীবন লুকিয়ে আছে।আর এমন নারকীয়তায় প্রেম যে হাজার মাইল দূরে পলায়ন করতে বাধ্য। আগামী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।‌

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তবতার চেয়ে মনের কল্পনা শক্তি বেশি প্রখর হয়।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ রইল।

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে কি তৃণমূলে যোগদান করছেন নাকি? কথার তো কোন ঠিক নাই। তিনপর্বের গল্প কয় পর্বে শেষ? সকাল সকাল চেতায়া দিলেন!!! B-)

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে দুটি পার্টি। তৃণমূল ও বিজেপি। একজন আমাদের কাছে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় বসে আমাদেরকে চ্যালেজ্ঞে ফেলেছে,আগে দেশের নাগরিকত্বের প্রমাণ দাও। অর্থাৎ সাক্ষাৎ সলিল সমাধি...
আরেকজন রাজ্যের ডানহাতের কাজ বাম হাতে পাঠানোর জন্যও উৎকোচ দাবি করছে। এবার তাহলে আমার অবস্থান কোথায় অনুমান করতে পারবেন।

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: মর্মান্তিক!
গল্প কি এখানেই শেষ?

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই আপনাকে। হ্যাঁ এক হিসেবে মর্মান্তিকই বটে।না ভাই গল্প শেষ হতে এখনও বাকি আছে।ব্যস্ততার কারণে একটু দেরি হচ্ছে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।‌

নিরতর
শুভেচ্ছা আপনাকে।

১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাললাগা জানিয়ে গেলাম ।
পরে সময় করে আসবে ফিরে।
শুভেচ্ছা রইল

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাই,

পরপর চারটি পর্ব ধৈর্য ধরে পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপ্লুত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। যদিও আপনার আগের তিনটি পর্বের কমেন্ট দেখেছি। আমি অবশ্য চতুর্থ পর্ব দিয়েই শুরু করলাম। আপনি অবশ্য এই পর্বের কমেন্ট করতে আবার আসবেন বলেছেন। আপনার এমন আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে। আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৩

হাবিব বলেছেন: ১১ টা মন্তব্যের মাঝে আমার একটাও মন্তব্য নাই! দু:খজনক..... :(

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি আর করার থাকে হাবিব ভাই। দুঃখকে দুঃখ নয় সুখ ভেবেই যে বাকি পথ এগিয়ে যেতে হবে।
সপরিবারে ভালো থাকবেন সবসময় এই দোয়াই করি।

১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,





এই পর্ব, বুবুর নির্মম দিনগুলোতে সীমাবদ্ধ রেখেছেন দেখে স্বস্তি পেলুম।
একটা গোঁড়া সম্প্রদায়ের পৈশাচিক চরিত্র বাস্তবসম্মত ভাবে তুলে এনেছেন। এটাই হলো তাদের আদর্শের তমশাচ্ছন্ন দিক ।

সাথে আছি ............

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,

"এই পর্ব, বুবুর নির্মম দিনগুলোতে সীমাবদ্ধ রেখেছেন দেখে স্বস্তি পেলুম।
একটা গোঁড়া সম্প্রদায়ের পৈশাচিক চরিত্র বাস্তবসম্মত ভাবে তুলে এনেছেন। এটাই হলো তাদের আদর্শের তমশাচ্ছন্ন দিক ।"-কমেন্টে তিনটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো এমন পর্যবেক্ষণে।
প্রথমত-জ্বী বুবুর নির্মম নির্যাতনের কাহিনী অনেক প্রলম্বিত।সবটা একসঙ্গে বলে শেষ করা যাবে না।সেদিক দিয়ে এই অধ্যায়ে একটা ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত- শুধুমাত্র আবেগকে সম্বল করে নিজের নিকট আত্মীয়কে অচেনা অজানা মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার ভয়ঙ্কর পরিনাম কি হতে পারে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অবশ্যই সত্তরের দশকের আন্তর্জাতিক বাউন্ডারি লাইনের যথাযথ নজরদারি না থাকায়। উল্লেখ্য যা আজ অনেকটাই আঁটোসাঁটো। ধর্মীয় আবেগে এমন দেশান্তরী আজকের দিনে একেবারেই অসম্ভব।
আর সবশেষে তাদের নিয়ে দুই বাংলার মুসলিম সমাজের একটা বৃহৎ গোষ্ঠীর অবস্থান রীতিমতো উদ্বেগের; অশনি সংকেত বৈকি।
সুন্দর কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

সাথে থাকবেন জেনে আনন্দিত হলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।


১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৫

জুন বলেছেন: এইসব কষ্টের গল্প পড়তে খুব কষ্ট হয় পদাতিক । মনের ভেতর অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হয় , মেয়েই বলে হয়তো একটু বেশিই হয় ।
+

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি আবেগপ্রবণ।সময় বিশেষ নিজেদেরকে ধরে রাখতে পারিনা। কিন্তু সমাজের রূঢ় বাস্তবকে অস্বীকার করি কেমনে। হায়েনা যেহেতু মানুষের সমাজেই বেশি সুতরাং যতোটা সাবধানে থাকা যায়।
প্রথা বহির্ভূত ভাবে ধারাবাহিকে আসার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটি পাঠের সঙ্গে সঙ্গে যাতনাময় হৃদয়ে অনুরণিত হাহাকার হয়তো আপনাকে পীড়িত করেছে। দুঃখিত আপু তার জন্য।
সবশেষে পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখাটি আগেই পড়েছি, মন্তব্য করার আগেই জতিবাবু ডুব দেয়ায় মন্তব্য করা হয়ে উঠেন।
গল্পের আবহ ভিন্ন মাত্রা নিয়েছে। সাথে আছি।

২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আগমনে আনন্দ পেলাম।

" লেখাটি আগেই পড়েছি, মন্তব্য করার আগেই জতিবাবু ডুব দেয়ায় মন্তব্য করা হয়ে উঠেন।"- ঠিক আছে।ব্যস্ততা বা যে কোন কারণে এমন হতেই পারে। তবুও যে মনে করে এসে সে কথা জানিয়েছেন এটাই আমার কাছে আনন্দের। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট্ট কথা,"গল্পের আবহ ভিন্ন মাত্রা নিয়েছে।"- একেবারে যথার্থই বলেছেন। সাথে থাকবেন জেনে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা আপনাকে।

১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী,




প্রিয় ছাত্রের নতুন পোস্ট না পাওয়াতে আমি কিছুটা হতাশ। আশাকরি ছাত্রের নিকট আমার বার্তা অতিশীঘ্রই পৌঁছে যাবে এবং অপেক্ষার অবসান ঘটবে :) হিহিহি...

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকাল রাতেই কালো চশমা পরিহিত দিদিমনির চোখ গোল করে পড়া ধরতেই ভয়ে পালিয়ে গেছিলাম।কি করে আর মুখের উপর বলি যে আমি একটু অলস প্রকৃতির। এক সপ্তাহের মধ্যেও পড়া করে উঠতে পারি না। বরাবরই একটু সময় নিয়ে উত্তর করি। আর এই অপরাধে আজ সকালে ঘুমানোর সময় উত্তর দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছি। নুতন পোস্ট ধরে বেঁধে তবেই আবার ব্লগে ফিরবো।হেহেহে

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: অবশ্যই, আমি উদার প্রকৃতির হলেও পড়া না নিয়ে ছারছিনা। :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে.... আজ সারাদিন ধরে ধরে পড়া করেছি। আগামী কাল সকালেই পড়া দেবো। একদম শুরুতে আপনার আসা চাই চাই।
শুভ রাত্রি।

১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪১

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: অতি উত্তম B-) তাই হবে :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওকে ম্যাডাম। আপনার জন্য আজকে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। যথাসময়ে মধ্যে পোস্ট দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করব। তবুও সামান্য যদি হেরফের হয় প্লিজ একটু ছাড় দিয়েন।

১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ইশ কী দুঃসহ কষ্ট । গল্প ভালো লাগছে ভাইয়া
থ্যাংকিউ

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪২

অপু তানভীর বলেছেন: মুজাহিদের সাথে যখন বিয়ে হল তখনই আমার কেন জানি মনে হচ্ছিলো যে এমন কিছু হলেও হতে পারে ।

কী ভয়ংকর একটা ব্যাপার । আসলেই বাস্তবে অনেক মেয়ের সাথে ঠিক এমনটাই হয়েছে ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এটা একটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত। চেষ্টা করছি যতোটা সম্ভব সমকালীন পরিস্থিতিকে তুলে ধরার।

"মুজাহিদের সাথে যখন বিয়ে হল তখনই আমার কেন জানি মনে হচ্ছিলো যে এমন কিছু হলেও হতে পারে ।"-ঠিক তাই। সহায় সম্বলহীন অভাগী কন্যাদায়গ্রস্ত বাবারা বহু ক্ষেত্রে এমন প্রতারণার শিকার হয়।

আর হ্যাঁ ঘটনাটা সত্যিই ভয়ঙ্কর।
একটানা এতোগুলো পর্ব পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।‌
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।


২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধর্মযুদ্ধের নামে ধর্মের কি উৎকট অবমাননা! বাস্তবতার চমৎকার প্রতিফলন ঘটেছে গল্পে।

পোস্টে ভাললাগা। + +

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল স্যার।
আশাকরি ভাল আছেন। ছোট্ট কমেন্টে চমৎকার ভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। পরবর্তীতে এসম্পর্কিত আরো কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
পোস্টে ভালোলাগা ও ডাবল প্লাসে এবং লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

২২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৭

সোহানী বলেছেন: কি ভয়ংকরভাবে এ পর্বটা শেষ করলেন!!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১২

শায়মা বলেছেন: কি ভয়ংকর! :(

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু ঠিক তাই। খুবই ভয়ঙ্কর ব্যাপার..

ভালো থাকবেন সবসময়।

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:২৭

মুক্তা নীল বলেছেন:

দাদা ,
কি ভয়ঙ্কর দুর্বিষহ রমিসা বুবুর জীবনের কাহিনী ।
কত আশা স্বপ্ন নিয়ে ঘর বেঁধেছিল মুজাহিদের সাথে অথচ
এই পরিণতি হবে কে জানতো ? আজকের পর্বটি পড়ে
সত্যিই খুব কষ্ট লাগলো রমিসা বুবুর জন্য।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: দাদা ,
কি ভয়ঙ্কর দুর্বিষহ রমিসা বুবুর জীবনের কাহিনী ।
কত আশা স্বপ্ন নিয়ে ঘর বেঁধেছিল মুজাহিদের সাথে অথচ
এই পরিণতি হবে কে জানতো ?"-ঠিক তাই। খুবই দুঃখজনক.... কিন্তু সেসব কিছুকে মেনে নিয়ে রমিসা বুবু দিব্যি বেঁচে আছে। নাই বা পেল সুস্থ ভাবে বাঁচবার ঠিকানা। কিন্তু মানবেতর জীবনকে হাসিমুখে মেনে নেওয়ার মধ্যেও যে এক নুতন জীবন বয়ে যায়।রমিসা বুবুর মতো মানুষের কাছে সাক্ষাৎ মৃত্যুর চেয়ে এভাবেই বাঁচা যে ঢেড় ভালো সেটাই যে অনেক...
শুধু এই পর্বটি নয় আগামী পর্বগুলোতেও এমন বিষন্নতার ব্যতিক্রম ঘটবেনা। কাজেই বোনের কাছ থেকে আগাম দুঃখপ্রকাশ করছি।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.