নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

তমোময়ী(পর্ব-৮)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩১



ধরা আমাকে দিতেই হয়েছিল।আসলে আমার আসার খবর পেয়ে রফিক ভাই আগে থেকেই ওখানে অপেক্ষা করছিল। শুধু তাই নয়,মাঝের দিনগুলোতেও নাকি ও বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর করেছে। আমাকে খুঁজে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। যথারীতি সব জায়গায় ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েনি।আর তারই ফলস্বরূপ খবর পেয়ে আজ এখানে আসে। যাইহোক ঘরে ঢুকতেই ওর সঙ্গে চোখাচোখি হতেই কিছুটা ছুটে এসে আমাকে দুই বাহুর মধ্যে আঁকড়ে ধরে।ওর এমন অস্বাভাবিক আচরণে আমি অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। মুহূর্তেই কি করনীয় তা ভেবে ধন্দে পড়ে যাই। নাহা বিরোধীতা না করে ওর বাহুর মধ্যে ধরা দেই।ও কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলতে থাকে,
-কত খোঁজ খবর নিয়ে আজ অবশেষে তোমার সন্ধান পেলাম রমিসা। এ জীবনে তোমাকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম তবুও আমি খোঁজা বন্ধ করিনি। কাঁদো কাঁদো হয়ে আরও জানায়,
-এরা কেউ তোমার আমার ভাষা বোঝেনা।আর এটাই এই মুহূর্তে আমাদের বাঁচার শেষ আশ্রয়। তুমি অবাক হবে জানি তবুও এটাই সত্য যে তোমাকে ওদের কাছে আমার স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রেখেছি। তোমাকে একাকি রেখে আমি মসজিদে ইমামতি করি বলে এতোক্ষণে গল্প শুনিয়েছি।সে কারণে তোমাকে দেখা হতেই এমন স্বামী-স্ত্রীর মত আচরণ করলাম। মনে রাখবে, তোমার এই জীবন থেকে বাঁচানোর এটাই আমার শেষ কৌশল। সাথে সাথে তোমাকে আরও সাবধান করে দেই, আমাদের আচরণে যেন ওরা সামান্যতম সন্দেহ না করে যে আমরা প্রকৃতই স্বামী-স্ত্রী নই।
রফিক ভাইয়ের প্রস্তাবটা মাথায় গেঁথে গেল। মূহুর্তে মনের মধ্যে ভেসে উঠলো এদেশ থেকে ছাড়া পাওয়ার স্বপ্ন। তাই ওর কথাকে বাধ্য মেয়ের মত মাথা নেড়ে সম্মতি দেই।কথা বলার সময় ঘোমটার মধ্য থেকে লক্ষ্য করি সকলে উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। এতদিন হেনস্তার পর অবশেষে রফিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার মিলন হওয়াতে হোক অথবা অহেতুক হেনস্থা করার জন্যে আত্মগ্লানির কারণেই হোক উপস্থিত অফিসারদের চোখে মুখে একটা দুঃখ দুঃখ স্বস্তির ভাব লক্ষ্য করি। বেশ ভালো লাগছিলো ওদের এমন সলজ্জ চাহনিকে দেখতে। রফিক ভাই ঘাড় ঘুরিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গেই কিছু না কিছু বলছিল। ওর কথার সবটা আমি না বুঝলেও বলার উদ্দেশ্য যে আমি তা বুঝতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। এরিমধ্যে একবার মুখের কাপড়টা সামান্য সরিয়ে রফিক ভাইয়ের সঙ্গে ফিসফিসিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করতেই দেখি সামনে বসা দুজন অফিসার একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। আমি লজ্জায় চোখ সরিয়ে চুপ হয়ে যাই এবং পরবর্তী ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।

সেদিন পুলিশের লোকেরা যতোই হাসিহাসি মুখে থাকুক না কেন বা রফিক ভাই স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে যতোই আমাকে স্বপ্ন দেখাক না কেন মনে মনে ভেবেছিলাম ওরা আমাদের কথায় না ভুলে উল্টে বড় ধরনের কোনো শাস্তি হয়তো আমাদের জন্য মজুত রেখেছেন। আমার দিক থেকে তো তার যথেষ্ট কারণ ছিল।দেশ ছেড়ে একাকী এমন বিদেশে পড়ে থাকাটা সন্দেহের বটে। বিশেষ করে যেখানে প্রতিনিয়ত মুজাহিদদের সঙ্গে লড়াই চলছে সেখানে আমরা যে মুজাহিদদের পক্ষের নই- তার বিপক্ষে জুতসই কারণ ছিল না। তবে একটা কথা ভেবে মনকে সান্ত্বনা দেই, আমি তো এখানে একাকী আসেনি।আর আমার আনার মূলে যে দুজন তাদের অন্যতম একজন রফিক ভাই। শাস্তি যদি পেতেই হয় তাহলে আমার সঙ্গে অন্তত একজনেরও সমশাস্তি হবে-একথা ভেবে মনে মনে বেশ খুশি হই।

কিন্তু নাহা! রফিক ভাইয়ের কথাই সত্য হয়েছিল। ওরা আমাদের ছেড়ে দিয়েছিল।বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে অবশেষে আমাদের মুক্তি দেয়। সাথে সাথে আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। প্রায় দীর্ঘ আড়াই মাসের বন্দিদশা থেকে আমি মুক্তি পাই। তবে আমার এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। অতীতের অভিজ্ঞতায় আবার সন্দেহ হয়, অচেনা অজানা দেশে রফিক ভাই আমার জন্য আবার কোনো ফাঁদ পেতে বসে নেই তো? মুক্তি বললেও আমার ক্ষেত্রে কীভাবে মুক্তি সম্ভব বা আদৌও তা সম্ভব কিনা তা রীতিমতো দুর্ভাবনায় আচ্ছন্ন করে ফেলে। মনের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়,এ আল্লাহ! আবার কোনো বিপদে পড়তে হবে না তো। যদিও রফিক ভাইকে কোনোরকম ধরা না দিয়ে স্বাভাবিক হবার চেষ্টা করে জিজ্ঞেস করি,
-এখন আমরা কোথায় যাব?
উত্তরে রফিক ভাই জানায়,
-দুটি রাস্তা খোলা আছে।এক- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। যদিও সেটা খুব সহজের নয়,পদে পদে বিপদ।আর দ্বিতীয় পথ,জালালাবাদে আমি যে মসজিদে নামাজ পড়াই সেখানে আমার স্ত্রীর পরিচয়ে থাকা। তারপর সুযোগ বুঝে এদেশ থেকে চম্পট দেওয়া। তবে সেখানেও বিপদ কম নয় বরং অনেকটাই বেশি। হঠাৎ করে বিবির কথা শুনলে অনেকেরই আগ্রহ বাড়তে পারে। কারণ ওরা ধরে নেবে আমি কোনো আফগান নারীকে বিয়ে করেছি। কোথায় বিয়ে করেছি, কাকে বিয়ে করেছি সেসব নিয়ে নিরন্তর প্রশ্নে আমাকে জেরবার করে তুলবে। সেক্ষেত্রে পরিচয় গোপন রাখতে না পারলে ধরা পড়া নিশ্চিত।
রফিক ভাইয়ের মুখে বারবার বিপদ বা বিপদের কথা শুনে শুনে আমার কান ঝালাপালা হয়ে ওঠে। আমি ঝাঁজিয়ে বলে ওঠি,
-আরে! বারবার বিপদ বিপদ বলে মাথা খাচ্ছ কেন?কেন আমি এখানে কি খুব আরামে আছি? এখানে বেশি বিপদ বলতে গুলি করে মেরে ফেলা তাই তো? যদি কপালে তেমন কিছু থেকে থাকে তবুও তাকে আমি ভয় পাইনা। যে অবস্থা থেকে রেহাই পেয়েছি আপাতত তার চেয়ে বেশি বিপদ সামনে আছে বলে আমার মনে হয় না, এক নাগাড়ে কথাগুলো শেষ করতেই রফিক ভাই বলে ওঠে,
-রমিসা আমি তোমাকে মিছে মিছে ভয় দেখাচ্ছিনা। প্রথম বিপদের কথা বলেছিলাম, এদেশ থেকে তোমাকে পালাতে সাহায্য করলে যদি কোনোভাবেই মুজাহিদরা ধরে ফেলে তাহলে আমাদের উপর কঠিন শাস্তি নেমে আসবে। ওদের শাস্তির ধরন তো আমি জানি, দুজনকেই ওরা গুলি করে মারবে। তবুও আমার মতে এটা করাই ভালো হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াই মঙ্গল। মনে ভরসা রাখতে হবে। ধরা পড়ার কথা মাথায় আনলে চলবে না।

কপালে যা আছে তাই হবে ভেবে আমরা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পরিকল্পনা মতো বেরিয়ে পড়ি। এক্ষেত্রে প্রথম পরিকল্পনাটিকেই বেছে নেই। উদ্দেশ্য ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া।তাই কোনরকম বাছবিচার না করে সামনে যা পাই তাতেই চেপে বসি। যদিও এই সিদ্ধান্ত সেদিন আমাদের অনুকূলে যায়নি।পথে বারংবার গাড়ি বদল করতে হওয়ায় অনেক সময় চলে যায়। বহু সময় এভাবে আমাদের পথেই নষ্ট হয়। সঙ্গে ছিল আরেক সমস্যা। আমাদের গতিবিধির ওপর কেউ নজর রাখছে কিনা বা আমাদেরকে কেউ অনুসরণ করছে কিনা সেই দুর্ভাবনা রফিক ভাইকে পেয়ে বসে। যে কারণে গাড়িতে উঠে আমরা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় না দিয়ে যে যার মত নীরবে বসে কাটিয়েছি। গাড়িতে পৃথকভাবে বসলেও ও স্বস্তিতে ছিল না।বারেবারে আশপাশে তাকাতে থাকে। বুঝতেই পারি দুর্ভাবনা ওকে কুরে কুরে খাচ্ছে।এরই মধ্যে প্রয়োজনমতো আমার কাজ ছিল ওকে নীরবে অনুসরণ করা। উল্লেখ্য আমার দিক থেকে রফিক ভাইয়ের এই ভয়কে খুবই অহেতুক মনে হচ্ছিল।যে দেশে গোলাবারুদ সহ হাঁটাচলা করতে হয়; যেখানে সামান্য মুখের কথাতেই একজনের জীবন হারা-বাঁচা নির্ভর করে;প্রতিটি মুহূর্তে সন্দেহ সংশয়ের মধ্যেই প্রতিটি মানুষের বসবাস সেখানে মানুষ ছোটখাটো আশঙ্কায় এমন সিঁটিয়ে থাকে কেমনে তা ভেবে আমি কিছুটা আমি বিরক্ত হয়ে পড়ি।

এসবের মধ্যে একসময় সন্ধ্যা নেমে আসে। গাড়ি বদলের সময় ও বারেবারে বলছিল দিনের আলোর মধ্যে আফগান সীমান্ত পার হতে না পারলে সমস্যা হবে। যদিও সবকিছু তো আর নিয়ম মেনে হয়না। আগেও বলেছি বারংবার গাড়ি বদলের কারণে পথে অনেক সময় চলে যায়।যে কারণে আমরা প্রত্যাশামতো সন্ধ্যার আগে আফগান সীমান্ত অতিক্রম করতে পারিনি। খুব অসহায় লাগছিল ওকে। চোখে-মুখে ফুঁটে ওঠে হতাশার ছাপ। পথে মধ্যে একটা মসজিদ দেখে আমাকে দাঁড় করিয়ে ও নামাজ আদায় করতে যায়। অনেকক্ষণ ধরে নামাজ পড়ে একসময় যখন বের হয়, দেখি সঙ্গে একজন লোককে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। কাছে এসে ওদের ভাষায় কি একটা বললো।দেখলাম লোকটা খুশি হয়ে মাথা নাড়ছেন। এবার আমাদের দুজনকে ওনার সঙ্গে যেতে ইশারা করলেন।সে রাতে ঐ ভদ্রলোক নিজের বাড়িতে আমাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। লোকটার কি অমায়িক ব্যবহার মনা, কখনও ভোলার নয়।
বুবুর কথা শুনে মনে একটা প্রশ্নের উদয় হয়। জিজ্ঞেস করি,
-আচ্ছা বুবু রফিক ভাই কি বলে ওনার কাছে আশ্রয়প্রার্থী হয়েছিলেন মনে পড়ে?আর তাছাড়া দুম করে একজন অচেনা অজানা লোককে তো আর যাইহোক কেউ ঘরে তুলবে না....
-মনে পড়ে মানে মনা খুবই মনে পড়ে। আফগানিস্তানে এসময় ভালো ডাক্তারের অভাব ছিল।
-বুবু একটুখানি থামাতে বাধ্য হচ্ছি। এখনও সেদেশে ডাক্তার বা চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি তো হয়নি বরং যেটুকু ছিল সেটুকু আর অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না।
বুবু একরাশ বিরক্তি নিয়ে,
- আরে ধুর! ওসব ভেবে আমার কোনো কাজ নেই মনা। হ্যাঁ যে কথা বলছিলাম, মুজাহিদরা তো বটেই অনেক সাধারণ লোককেও নাকি চিকিৎসার জন্য প্রায়ই পাকিস্তানে যেতে হতো। সেদিন রফিক ভাই আফগান পরোপকারী ব্যক্তিকে বলেছিল,
- আমার স্ত্রী ভয়ানক অসুস্থ।ওর চিকিৎসার জন্য আমরা ইসলামাবাদে যাবো। কিন্তু ভাই গাড়িঘোড়া ঠিকমতো না পাওয়ায় পথিমধ্যে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এমতাবস্তায় যদি রাতটুকু থাকতে দেন তাহলে বড় উপকার হয়।
ভদ্রলোক ছিলেন খুবই দিলদার মানুষ। আমার অসুস্থতার কথা শুনে এককথায় রাজি হয়ে যান। শুধু থাকতে দেওয়া নয়,সঙ্গে সে রাতে উনি আমাদের খাওয়ারও ব্যবস্থা করেন। মেহমানদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে বারেবারে খোঁজখবর নেন। তবে রফিক ভাইয়ের মুখে স্ত্রীর অসুস্থতার কথা শুনে ঘাবড়ে যাই। হঠাৎ কি এমন অসুস্থতার কথা বলবো, তা ভেবে চিন্তায় পাড়ি। যদিও উনি এ সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু জিজ্ঞেস না করায় সে যাত্রায় রক্ষা পাই। যাইহোক পরেরদিন সকালেই আমরা ওনার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। বিদায় বেলায় রফিক ভাইয়ের মুখে শুনি, আমার জন্য নাকি ভদ্রলোক আলাদাভাবে দোয়া করেছিলেন। সেদিন ফেরার পথে বারেবারে ভদ্রলোকের নিষ্পাপ মুখটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। লোকটার চোখেমুখে একটা শান্তভাব আমাকে খুব মুগ্ধ করেছিল। যাইহোক সকালে নতুন উদ্দ্যমে যাত্রা শুরু করে একসময় আমরা আফগান সীমান্ত অতিক্রম করি।
-আচ্ছা বুবু এই যে তুই আফগানিস্তান ছেড়ে পাকিস্তানে ঢুকলি এতে দুই দেশের বর্ডারে কোনো চেকিং হয়নি?
- হ্যাঁ হয়েছিল তবে সেসময় বর্ডারে তেমন কোনো কড়াকড়ি ছিল না। যখন ভারত থেকে পাকিস্তানের উপর দিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম সেসময় আমার স্বামী মুজাহিদ সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। আবার ফেরার সময় রফিক ভাই-ই সবকিছু সামলেছিল। ফলে বর্ডারের কড়াকড়ির মধ্যে আমাকে কখনো পড়তে হয়নি।
- বুবু আরও একটা প্রশ্ন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বর্ডার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের রাস্তাঘাট বা মানুষের জীবনযাত্রার মধ্যে আলাদাভাবে কোনো পার্থক্য কি চোখে পড়েছিল?
- না মনা দুই দেশের বর্ডার এলাকার মধ্যে চোখে পড়ার মতো তেমন কোনো পার্থক্য নেই। লোকজনের সাজপোশাক একই রকম। রাস্তাঘাট উভয় দেশেরই ধুলোময় শুষ্করুক্ষ। তবে পাকিস্তানের যত ভিতরে ঢুকেছি পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো।যাইহোক পাকিস্তানে ঢুকে ট্রেনে করে আমরা ইসলামাবাদে পৌঁছে যাই। ওখানে অনেকক্ষণ ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অবশেষে একসময় আমরা দিল্লির ট্রেনে চেপে বসি। চলবে....



মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৫

ইসিয়াক বলেছেন: অবশেষে পোস্ট দিলেন তাহলে। !:#P

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ তা বলতে পারেন..
তবে লড়াইটা ছিল আমার নিজের বিরুদ্ধেই। পোস্ট দেওয়ার জন্য নিজের বিরুদ্ধে নিজেই লড়াই করে গেছি।

প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আশাকরি পাঠ শেষে আবারো আপনাকে পাব।
শুভকামনা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৪

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: পদাতিক ভাই,
সময় অল্প অথচ এই অল্প সময় থেকে অনেক সময় ব্যায় করে ফেলেছি ব্লগ ছাড়া। আর তাই আপনার তমোময়ী (সম্ভবত উপন্যাস)'র পূর্বের পোস্টগুলো পড়া হয়নি। খোঁজছি কিছু সময়। পেয়ে গেলে সেই সময় আমি আপনার তমোময়ীর সকল পর্বগুলো পড়ে নেব। যোগ্যতা নেই তবু চেষ্টা করবো তা নিয়ে মন্তব্য করার। আপাত এপর্যন্ত প্রকাশিত পর্বগুলো না পড়ার কারণে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে।

তারপর আপনি ভালো আছেন তো?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তাজুল ভাই,

প্রতিমন্তব্যে আপনার কমেন্টের শেষাংশ থেকেই শুরু করছি। হ্যাঁ ভাই উপরওয়ালার ইচ্ছায় ভালো আছি। আশা করি আপনিও সপরিবারে ভালো আছেন।
"সময় অল্প অথচ এই অল্প সময় থেকে অনেক সময় ব্যায় করে ফেলেছি ব্লগ ছাড়া। আর তাই আপনার তমোময়ী (সম্ভবত উপন্যাস)'র পূর্বের পোস্টগুলো পড়া হয়নি। খোঁজছি কিছু সময়। পেয়ে গেলে সেই সময় আমি আপনার তমোময়ীর সকল পর্বগুলো পড়ে নেব। যোগ্যতা নেই তবু চেষ্টা করবো তা নিয়ে মন্তব্য করার। আপাত এপর্যন্ত প্রকাশিত পর্বগুলো না পড়ার কারণে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে।"-
ব্যবহারিক জীবনে আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি ব্যস্ত থাকি সুতরাং ইচ্ছে থাকলেও ব্লগে সব সময় সময় দেওয়া সম্ভব হয়না। সে দিক থেকে আপনার ব্যস্ততার জন্য ব্লগে যথাযথ সময় করে উঠতে না পারাটা স্বাভাবিক। বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও যে একটু সময় করে ব্লগে আমাদের সময় দিতে পেরেছেন- এটা আমাদের পরম প্রাপ্তি। সাথে সাথে অনুরোধ অপঠিত পর্বগুলো যদি পড়েন তাহলে আনন্দ পাব।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন ভালো মানুষ অন্তত পাওয়া গেল আফগানিস্তানে।

পরের পর্বে দিল্লিকা লাড্ডু থাকবে নিশ্চয়ই। :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছাচু ভাই,

আশা করি ভাল আছেন। ছোট্ট কমেন্ট, অথচ দারুন একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। দরিদ্র যুদ্ধপিড়িত একটি জাতি স্বাধীনতার পরপরই কখনো বৈদেশিক শক্তি কখনোবা অভ্যন্তরীণ অশুভশক্তির নিরন্তর লড়াইয়ে কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। নানান প্রতিবন্ধকতায় অবক্ষয়তা হয়তো জাতিতাকে গ্রাস করেছে কিন্তু তার মধ্যে এখনও বিবেক সহানুভূতির মৃত্যু হয়নি। গল্পে তেমনই একটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সাথে আছি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বড় ভাই আপনাকে।
আপনার কথা মত জায়গা দুটো ঠিক করে দিচ্ছি।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে এ এ কী রুদ্ধশ্বাস অবস্থা !!!
দারুণ ভাবে তুলে এনেছেন সব, যাইহোক পোষ্ট দিয়েছেন ভালো লাগছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "ওরে এ এ কী রুদ্ধশ্বাস অবস্থা !!!
দারুণ ভাবে তুলে এনেছেন সব, যাইহোক পোষ্ট দিয়েছেন ভালো লাগছে"-আপনার এমন উচ্ছ্বাসধর্মী মন্তব্য প্রেরণা পেলাম।জ্বী আপু অনেকদিন পোস্ট না দিতে পারায় খুব চাপে পড়ে গেছিলাম। পরের পর্ব পরের সপ্তাহে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাকে দেখেও ভালো লাগছে ।

ভালো থাকবেন সবসময়।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনেক দিন পরে দেখা পেলাম তাই অনেক সময় দিলাম আপনাকে

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশাকরি ভালো আছেন প্রিয় নেওয়াজ ভাই। জ্বী ভাই ব্যস্ততার জন্য অনেকদিন ব্লগে পোষ্ট দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। একপ্রকার অনিয়মিত হয়ে গেছিলাম। কিন্তু আপনারা এসব বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে পাশে এসেছেন দেখে আনন্দিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৬

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,




ব্লগে আপনাকে দীর্ঘ সময় একটিভ পেয়েও মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য না পাওয়ায় তখনই বুঝতে পেরেছি আপনি নতুন পর্ব টাইপ করছেন।

যেমনটা ভেবেছিলাম এবার গল্পের সম্ভাবনাময় দিক দেখা যাচ্ছে। রাতের আঁধার যত কালো হয় দিনের সূর্যটাও ঠিক ততটাই নির্মল ও কোমল হয়ে ওঠে। গল্পের শেষটাও ঠিক তেমনি হবে, এই আগ্রহে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইল।

অবশেষে বলব লেখা ভালো হয়েছে, চালিয়ে যান। লেখালেখিটা সহজ ব্যাপার নয় এক সমুদ্র গভীরতা থাকলেই সেটা সম্ভব। জীবনটাকে উপলব্ধি করে কাগজে-কলমে ফুটিয়ে তোলা সাধনার কাজ। তাই আপনার মতো দুর্দান্ত লেখকের লেখা পড়তে পেরে আমি আনন্দিত।

অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।

- দেয়ালিকা বিপাশা

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "ব্লগে আপনাকে দীর্ঘ সময় একটিভ পেয়েও মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য না পাওয়ায় তখনই বুঝতে পেরেছি আপনি নতুন পর্ব টাইপ করছেন।"-একদম ঠিক বলেছেন আপু। গতকাল প্রায় সারাদিন লেগে গেছে আমার টাইপিং করতে। যে কারণে এই মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে কোন পোস্ট পড়া বা আমার পোস্টের কমেন্টের উত্তর দেওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। পোস্ট দেওয়ার পরপরই আপনার আগের পোস্টে কমেন্টের উত্তর দিয়েছি। আশাকরি ইতিমধ্যে সেটা দেখে নিয়েছেন।

"যেমনটা ভেবেছিলাম এবার গল্পের সম্ভাবনাময় দিক দেখা যাচ্ছে। রাতের আঁধার যত কালো হয় দিনের সূর্যটাও ঠিক ততটাই নির্মল ও কোমল হয়ে ওঠে। গল্পের শেষটাও ঠিক তেমনি হবে, এই আগ্রহে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইল।"+চমৎকার একটি কথা বলেছেন আপু। ভীষণ প্রাসঙ্গিক এবং প্রাণবন্ত একটি কথা বলেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দিত সাথে সাথে আমার অগ্রিম ধন্যবাদ আপনাকে।


"অবশেষে বলব লেখা ভালো হয়েছে, চালিয়ে যান। লেখালেখিটা সহজ ব্যাপার নয় এক সমুদ্র গভীরতা থাকলেই সেটা সম্ভব। জীবনটাকে উপলব্ধি করে কাগজে-কলমে ফুটিয়ে তোলা সাধনার কাজ। তাই আপনার মতো দুর্দান্ত লেখকের লেখা পড়তে পেরে আমি আনন্দিত।"আপনার মন্তব্যের এই অংশটি আমার কাছে বাড়তি অনুপ্রেরণার; আমার ব্লগিং জীবনের পুরস্কার স্বরূপ। এমন আশীষ যেন আগামীতেও পাই- সেই আশাই করি।

আপনার দোয়া যেন উপরওয়ালা কবুল করেন- এই প্রার্থনাই করি।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: এই সিরিজের কথা পাঠক ভুলেই গিয়েছিল। ভুলে গিয়েছিলাম তমোময়ীর কথাও। তবুও দীর্ঘদিন পর আবার চমৎকার একটা পর্ব পেলাম, যা আফগানিস্তানের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অঅত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন! তবে এই পর্বে গল্প যে পথে এগোচ্ছে সেখানে প্রথমদিকের সঙ্গে পরের দিকের সাদৃশ্য নেই। এই পর্ব অনেক বেশী জমজমাট হলেও চুড়ান্ত মন্তব্যের সুযোগ নাই- পরের পর্বের অপেক্ষায়। +

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাইজান,

"এই সিরিজের কথা পাঠক ভুলেই গিয়েছিল। ভুলে গিয়েছিলাম তমোময়ীর কথাও। তবুও দীর্ঘদিন পর আবার চমৎকার একটা পর্ব পেলাম, যা আফগানিস্তানের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অঅত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন! তবে এই পর্বে গল্প যে পথে এগোচ্ছে সেখানে প্রথমদিকের সঙ্গে পরের দিকের সাদৃশ্য নেই। এই পর্ব অনেক বেশী জমজমাট হলেও চুড়ান্ত মন্তব্যের সুযোগ নাই- পরের পর্বের অপেক্ষায়। +" - আর লজ্জা দিয়েন না। নিজের কাছে নিজেই খুব অপরাধী হয়ে গেছি। এখন আর এত সময় নেবো না প্রত্যেক সপ্তাহে একটা পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে আনন্দিত; অগ্রিম ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকিউ সো মাচ । শেষে পেলাম আর এক পর্ব

বাকী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

অনেক ভালো লাগা রইলো ভাইয়া।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এমন আন্তরিক কমেন্ট করার জন্য। এখন থেকে সপ্তাহে পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো। আশাকরি আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনি 'তমোময়ী'র অষ্টম পর্ব নিয়ে এলেন। এর মাঝে সময়ের ব্যবধানে ঘটনার পূর্বাপর বিস্মৃত হয়েছি বলে শঙ্কা হচ্ছিল। কিন্তু পড়া শুরু করার পর মনে হলো, না, সবই মনে আছে, মনে পড়ছে।

গল্পের বাঁধুনি চমৎকার। সে কারণে একনিষ্ঠ মনযোগ নিয়েই পড়তে পারলাম। পরের পর্বে দারুণ কোন চমক থাকতে পারে, এমন একটা আশা নিয়েই গল্পপাঠ শেষ করলাম।

দেয়ালিকা বিপাশা এর প্রেরণাদায়ক মন্তব্যটা ভালো লেগেছে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "অনেকদিন পরে আপনি 'তমোময়ী'র অষ্টম পর্ব নিয়ে এলেন। এর মাঝে সময়ের ব্যবধানে ঘটনার পূর্বাপর বিস্মৃত হয়েছি বলে শঙ্কা হচ্ছিল। কিন্তু পড়া শুরু করার পর মনে হলো, না, সবই মনে আছে, মনে পড়ছে।" জ্বী স্যার ব্যস্ততার কারণে অনেকদিন পোস্ট দিতে পারিনি। তবে নিয়ম করে ব্লগে এসে পছন্দের পোস্টে কমেন্ট করে গেছি। প্রসঙ্গত ক্ষমাপ্রার্থী যে দেরিতে পোস্ট দেওয়ার কারণে আপনার সাময়িক বিস্মৃতির জন্য। তবে দ্রুতোই যে গল্প রিকলিং করতে পেরেছেন এটা জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।

"গল্পের বাঁধুনি চমৎকার। সে কারণে একনিষ্ঠ মনযোগ নিয়েই পড়তে পারলাম। পরের পর্বে দারুণ কোন চমক থাকতে পারে, এমন একটা আশা নিয়েই গল্পপাঠ শেষ করলাম।"-স্যার আপনার এমন প্রশংসা নিঃসন্দেহে বাড়তি পাওনা; প্রেরণাদায়ক বটে। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

@দেয়ালিকা বিপাশা পোস্ট খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন। একজন বিজ্ঞ ব্লগার। সুন্দর কমেন্ট করেন। উনি না এলে খুব মিস করি ওনাকে। ওনার কমেন্টটি ভালো লাগায় ওনার হয়ে ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
সবশেষে পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।


১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

ইসিয়াক বলেছেন:



তমোময়ী ফিরে আসুক স্বাভাবিক জীবনে। এক জীবনে মানুষকে কত না বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়! কখনও কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণার আবার কখনও আনন্দের।
জীবন এগিয়ে চলে জীবনের নিয়মে। তবে রামিসাদের লড়াই শেষ হয় না। তবুও আশাবাদী হয় মানুষ।

সাবলীল লেখা।

ভালো থাকুন সবসময়।
শুভ কামনা প্রিয় দাদা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"তমোময়ী ফিরে আসুক স্বাভাবিক জীবনে। এক জীবনে মানুষকে কত না বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়! কখনও কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণার আবার কখনও আনন্দের।
জীবন এগিয়ে চলে জীবনের নিয়মে। তবে রামিসাদের লড়াই শেষ হয় না। তবুও আশাবাদী হয় মানুষ।"-চমৎকার কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। কমেন্টের প্রতিটি অংশের সাথে সহমত যে এক জীবনে কত না বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়।
লেখা সাবলীল মনে হওয়ায় খুশি হয়েছি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম। নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকেও।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: যদিও আমি নিয়ম করে এখন ব্লগে থাকি না তারপরও মাঝে মধ্যে অনেক সময় থাকি। পরিচিতজনদের লিখা সামনে পড়লে পড়ে নেই। আপনার গল্প পড়ার ভাগ্য জুটেনি কেননা তা আমার চোখে পড়েনি। অনেক দিন পরে নাকি আপনিও পোস্টাইলেন আর আমার চোখ এড়েয়ে যায়নি বলে পড়ার সুযোগ হলো। আমি আগের পর্বগুলো সময় করে পড়ে নিব। এই পর্ব পড়ে যা দেখলাম নুতন ধাচের কোন একটি গল্প নিয়ে এসেছেন।

ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,

প্রথমেই ক্ষমা চাইছি বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য।গত ২৬ তারিখে ও আজকে একটা অনুষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকায় প্রচুর সময় দিতে হয়েছে।ব্লগে সময় দিতে না পারায় ক্ষমা প্রার্থী।

"অনেক দিন পরে নাকি আপনিও পোস্টাইলেন আর আমার চোখ এড়েয়ে যায়নি বলে পড়ার সুযোগ হলো। আমি আগের পর্বগুলো সময় করে পড়ে নিব। এই পর্ব পড়ে যা দেখলাম নুতন ধাচের কোন একটি গল্প নিয়ে এসেছেন।"-হ্যাঁ ভাই পোস্টটি অনেকদিন পর এই দিয়েছি। আপনিও ব্যস্ততার কারণে ব্লগে আসতে পারেননি বা এই সিরিজের বাকি পর্বগুলো দেখে উঠতে পারেননি। অনুরোধ রইলো যদি সম্ভব হয় তাহলে একবার করে পুরানো পোস্ট গুলোতে চোখ বুলিয়ে যাবেন।
সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও ভালো থাকবেন সবসময়


১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৭

ইসিয়াক বলেছেন: ভীষণ ফাঁকিবাজ হয়েছেন আপনি! B:-/ আমার মন্তব্যই আমায় ফিরিয়ে দেয়া। হুহ!!!!!!! X((

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

13 নম্বর প্রতিমন্তব্যে কারণের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছি। পরপর দুটি অনুষ্ঠান নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম। আজকে অনেকটাই চাপ মুক্ত। প্লিজ ক্ষমা করে দিবেন। আর ফাঁকিবাজ কমেন্ট করেছি বলে মনে হচ্ছে না। আমি আপনার কমেন্ট থেকে কোটেড করেছি মাত্র। যাইহোক এমনতর ভাববেন না।

ভালো থাকবেন ভাই সবসময়।

১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সম্মানিত ব্লগার,


@ খায়রুল আহসান এবং @ পদাতিক চৌধুরী, আমি একজন সাধারন মানুষ। যা বলি মন থেকে বলি। আমার সাধারন অভিব্যক্তির প্রশংসা আপনাদের মতো গুণী এবং সম্মানিত ব্লগারদের নিকট থেকে পাওয়া, সেটা আমার জন্য নিঃসন্দেহে অনেক বড় প্রাপ্তি।

শ্রদ্ধা জানাই আপনাদের এভাবে অনুপ্রেরণা দিয়ে পাশে থাকবার জন্য। এতটা প্রশংসা পাবার যোগ্য কিনা জানিনা তবে আপনাদের সুন্দর মন্তব্য নিঃসন্দেহে আমার জন্য অনুপ্রেরণা।

শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা,
- দেয়ালিকা বিপাশা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য। 13 নম্বর কমেন্টের প্রতিমন্তব্যে আমি আমার ব্যস্ততার কারণটি উল্লেখ করেছি। এতদিনের পুরানো কমেন্টে প্রতিমন্তব্য করতেন না পারাটা সত্যিই খুব লজ্জার। সে কথা মাথায় রেখে ওগো বলবো, তবুও আমি ক্ষমাপ্রার্থী।‌

'@ খায়রুল আহসান এবং @ পদাতিক চৌধুরী, আমি একজন সাধারন মানুষ। যা বলি মন থেকে বলি। আমার সাধারন অভিব্যক্তির প্রশংসা আপনাদের মতো গুণী এবং সম্মানিত ব্লগারদের নিকট থেকে পাওয়া, সেটা আমার জন্য নিঃসন্দেহে অনেক বড় প্রাপ্তি।"-দ্বিতীয়বার আবার কমেন্টে এসে নিজের মনোভাব পরিষ্কারভাবে জানানোয় প্রীত হলাম। পাশাপাশি আপনার বিনয়কে শ্রদ্ধা জানাই। আমার মনে হয় প্রশংসা যদি করতেই হয় তাহলে সামুব্লগকেই করতে হবে।
বেঁচে থাক সামু ব্লগ। দীর্ঘজীবী হউক আমাদের এই ব্লগিং মিথস্ক্রিয়া।


আগামী দু-একদিনের মধ্যে পরবর্তী পর্ব পোস্ট দেবো। আপনাকে আমন্ত্রণ রইলো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।



১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫২

ইসিয়াক বলেছেন: কি ব্যপার কোথায় আপনি? আবার ব্যস্ততা?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে এইতো চলে এসেছি। আপনার অনেকগুলো পোস্ট জমে গেছে। সময় নিয়ে গিয়ে সবকটি‌তে‌ কমেন্ট করে আসব।
ভালো থাকবেন সবসময়।

১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৫৪

জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই, বহুদিন অপেক্ষায় আপনার কোনো লিখা পেলাম কিন্তু পর্বের যার আগেরগুলো পড়া হয়নি বা পড়লেও মনে নেই। তাই সেভাবে ধরতে পারিনি। তবে বর্ণনা আর গাঁথুনি বেশ লেগেছে। একটা লক পর্বের লিখার অপেক্ষায় রইলাম। শুভ কামনা :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বলেছেন:
প্রিয় ভাই, বহুদিন অপেক্ষায় আপনার কোনো লিখা পেলাম কিন্তু পর্বের যার আগেরগুলো পড়া হয়নি বা পড়লেও মনে নেই। তাই সেভাবে ধরতে পারিনি।"- অনেকদিন পর আমার ব্লগে আসার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আগের পর্বগুলো যদি না পড়ে থাকেন তাহলে সম্ভব হলে পরে অনুরোধ রইলো অপঠিত পর্বগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে দেওয়া।
গল্পের লিংক ধরতে না পারলে ও বর্ণনা আর গাঁথুনি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম অপরাধ অন্যবাদ আপনাকে।
লক পর্ব আগামী দু-একদিনের মধ্যে পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমন্ত্রণ রইলো আপনাকে।
আপনিও ভালো থাকবেন ভাই সবসময়।

১৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০১

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
শীঘ্রই হয়তো রমিসা বুবুর এই রুদ্ধশ্বাস জার্নিটা শেষ হবে । ওখানকার মানুষদের অনিরাপদ জীবনের এক প্রতিচ্ছবি দেখতে
পেলাম ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বোনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য। ভাষা আন্দোলনের অনুষ্ঠান নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকার জন্য বিগত কয়েক দিন যাবত ব্লগে ঢুঁ মারার সময় করে উঠতে পারেনি।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পরবর্তী পর্ব পোস্ট করব। আমন্ত্রণ রইলো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.