নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঁধারে আলো (পর্ব -১)

২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪১




কথায় বলে একবার না পারলে দেখ শতবার। কিন্তু প্রবাদটি আমার ক্ষেত্রে একেবারেই অচল। কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একজন নারীকে নিজের মতো করে কাছে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি। কিন্তু যতবারই চেষ্টা করি না কেন, সব ক্ষেত্রেই পরাজয়ের গ্লানি আমাকে সহ্য করতে হয়েছে। রীতিমতো ধন্দ্বে পড়ে যাই, কোন গুণ থাকলে প্রেম হয় তা নিয়ে।পরের দিকে জীবনের এই হাহাকার আমাকে রীতিমতো মানসিক রোগীতে পরিণত করে। প্রেম না পাওয়ার যন্ত্রনা থেকে আমি আত্মগ্লানিতে ভুগতে থাকি। অথচ অন্তত একজনের হৃদয়েও দাগ কাটতে পারলে জীবনের এই মরুভূমির দশা যে কেটে যেতো সে কথা আমি হলফ করে বলতে পারি। তাই বলে যে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম তা নয়। মনে তেমন কাউকে ভালো লাগলে, নতুন নতুন উদ্যোমে তাদের কাউকে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছি। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই সে প্রেম আমার কাছে ধরা দেয় নি। এদিকে আমার প্রেমপ্রবণ মানসিকতার কথা বন্ধুমহলে জানাজানি হয়ে যায়। তারা আমায় নিয়ে হাসাহাসি করে। আমি যে বুঝিনে তা নয় কিন্তু ওদের এমন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা ও আচরণে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হবার পাত্র নই। উল্টে এতোবড় পৃথিবীতে একজন নারী হৃদয়ে ঝড় তুলতে পারিনি-এই ব্যর্থতাই আমাকে ভাবিয়ে তোলে। চাকরি পাওয়ার পর অবশেষে নিরাশ হয়ে পাত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব বাবা মায়ের উপর ছেড়ে দেই। আমার মনের তখন এমন একটা পরিবর্তন এসেছিল যে, যে কোন পাত্রী বাবা-মায়ের পছন্দ হলেই চলবে। আলাদা করে তাকে দেখতে যাবার আগ্রহ আমি তখন হারিয়ে ফেলি। বাবা মায়ের পছন্দ মানেই বাড়িতে ঘটক মশায়ের আসা যাওয়ার পর্ব শুরু হয়। কিছুদিন খোঁজাখুঁজি করতেই পছন্দসই পাত্রীর সন্ধান মেলে। বাধ্য সন্তানের মত যে পাত্রীকে বিয়ে করে আমি ঘরে তুলি। বিয়ে আমি করি ঠিকই কিন্তু বাবা-মায়ের শরণাপন্ন হতে হওয়া, মনে মনে একটা পরাজয়ের গ্লানি আমার প্রেমপ্রবণ হৃদয়কে তাড়া করতে থাকে।


সম্বন্ধ করে বিয়ে মানে সম্পূর্ণ অচেনা অজানা একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে। বাসরঘরে বসে অপরিচিত এই বউয়ের সঙ্গে কিভাবে আলোচনা শুরু করব তা নিয়ে আগে থেকেই চিন্তায় ছিলাম। তাই বার দুয়েক চোখাচোখি হলেও তা ঠিক কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না। ভাবতে থাকি কি নিয়ে কথা শুরু করব তা নিয়ে। বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর অবশেষে আমিই প্রথম মুখ খুলি। হানিমুন নিয়ে গল্প করতে বসি। দুজনের কার কেমন জায়গা পছন্দ তা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। ওর পছন্দ পাহাড় আর আমার পছন্দ সমুদ্র। আমি ওকে পাহাড়ের বৈচিত্র নেই বলে বোঝাতে গেলে আমাকে অনেকটা ধমকের সুরে থামিয়ে দিয়ে জানায়, সমুদ্রের মধ্যে বরং কোনো বৈচিত্র নেই। লক্ষ ভোল্টেজের গম ভাঙ্গানো মেশিনের অহরহ শব্দ আর ফেনিল জলরাশির উত্তুঙ্গ রূপ ছাড়া আর কিই বা দেখার আছে সমুদ্রের। যা একদিনের জন্য যথেষ্ট হলেও কোনমতেই তা হানিমুনের পক্ষে উপযোগী নয়। সঙ্গে আরো জানায়, সে দিক থেকে পাহাড়ে যাওয়া অধিকতর শ্রেয় সেখানে নাকি হাজারো বৈচিত্র আছে।
মনে মনে বলি,যা বাবা! বিয়ের রাতেই এত মনোমালিন্য!
অবশ্য আমিও দমে যাওয়ার পাত্র নই। বন্ধু পিন্টুর কাছ থেকে ইতিমধ্যে ট্রেনিং নিয়েছি। বন্ধু আমাকে শিখিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে ভালো করেই যে বিড়াল মারতে হবে প্রথম রাতেই। এখন বিড়াল মারা তো দূরের কথা, উল্টে নিজেই বেড়াল হওয়ার আশঙ্কায় মাথার মধ্যে আসন্ন পরাজয়ের গ্লানি ভো ভো করে ঘুরপাক খেতে থাকে। উল্লেখ্য বিয়ের একদিন আগেও পর্যন্ত বন্ধু পিন্টুর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি কি করে বউকে বাগে রাখা যাবে তা নিয়ে। কাজেই শুরুতেই আশাহত হতেই বুঝে যাই, কাজটা মোটেই সহজ হবে না। কিন্তু তাই বলে আমিও দমে যাওয়ার পাত্র নই। একটা হেশতোনাস্ত করতেই হবে তাই যদি বাসররাত মাথায় ওঠে উঠুক। কোন অবস্থাতেই সামান্যতম জায়গা ছেড়ে দেওয়া যাবে না।


দুজনের পছন্দ যেহেতু দুদিকের। কাজেই দুজনের পক্ষে তো আর দুই মেরুতে হানিমুন করতে যাওয়া সম্ভব নয়। যেকোনো একদিকেই যেতে হবে। এক্ষেত্রে কার মত প্রাধান্য পাবে তা নিয়ে অহেতুক তর্কাতর্কি না করে বরং টস করে তা নির্ধারণ করা উচিত। আমার কথা শুনে বৌ আকাশ থেকে পড়ে। হানিমুন করতে যেতে হবে টস করে, এ কথা শুনে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠে।ওসব টসফস বুঝিনা। সমুদ্রে যেতে হলে একাকি যেতে হবে। সঙ্গে আরও জানায়,এই বিয়েতে নাকি তার মত ছিল না। পরিবারের চাপে সে এই বিয়েতে মত দিয়েছে। কাজেই এখন যদি মতের মিল না হয় তাহলে শুরুতেই আমাদের আলাদা থাকা বা বিকল্প ভাবনা বোধহয় ঠিক হবে। বৌয়ের কথা শুনে আমি চিন্তায় পড়ি।নিজে তো একটা প্রেম করতে পারলাম না। বাবা-মা ঠিক করে দিয়েছেন। এখন সেই প্রেমও হাতছাড়া হতে পারে ভেবে গলা শুকিয়ে যায়।মুখ নিচু করে চুপচাপ বসে থাকি। খানিক বাদে হঠাৎ বৌয়ের গলার স্বর বদলে যায়।গলা নামিয়ে বলে,
- ঠিক আছে টস হয় হোক। তবে আমার একটা শর্ত আছে।
আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করি,
- কি? কি শর্ত?
-আমি যদি টসে হেরে যাই তাহলে সমুদ্র হলেও কোথাকার সমুদ্র সেটা ঠিক করার দায়িত্ব আমাকে দিতে হবে।
হারতে হারতে জেতার সুযোগ সামনে আসায় আমি অনেকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। পরম আনন্দে বলি,
-ঠিক আছে তাই হবে। তুমি হারলে কোথাকার সী বিচে যাব সেটা না হয় তুমিই স্থির করবে।
যাইহোক টসে রাজি করাতে পেরে মনে মনে যুদ্ধ জয়ের স্বাদ পাই। এক্ষেত্রে না হয় বৌকে একটু সহানুভূতি দেখালাম।
আমার সম্মতি পেয়ে বউ খুশি হয়। মুহূর্তে ১৮০° পাল্টি খেয়ে মুখে হাসি নিয়ে আসে। আমি ড্রেসারে রাখা গুটিকয়েক খুচরা পয়সার মধ্যে থেকে একটা এক টাকার কয়েন তুলে নিয়ে তালুতে লুকিয়ে রেখে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে টোকা মারতেই কয়েনটি ঘরের সিলিং পর্যন্ত উপরে উঠে যায়। জোরে জোরে কল করে,
-টেল।
ফ্রাকশন অফ সেকেন্ডের মধ্যে কয়েনটা ঘরের মেঝেতে ঝনঝনিয়ে শব্দ করে কয়েকবার পাল্টি খেয়ে উল্টে পড়ে।মুখ নিচু করতেই চোখে পড়ে 'টেল'।
এতোক্ষণে মুদ্রার পিঠ দেখতে বউ খাট থেকে নিচে নেমে আসে। নিজের চোখে টেল দেখে লাফিয়ে ওঠে।
টসে জিতে যুদ্ধ জয়ের হাসি নিয়ে বৌ জানালো,
-হানিমুন করতে যাওয়ার জন্য পাহাড় ওর পছন্দের হলেও সব পাহাড় জাতের নয়। একটা বিশেষ শৈল শহর কয়েকটি বিশেষ কারণে ওর পছন্দের।আজ সেই স্বপ্ন সার্থক হতে চলেছে। হাসতে হাসতে আমাকে পাঁচটা শহরের নাম করতেও বললো, যার মধ্যে ওর স্বপ্নের শহরের সঙ্গে মেলে কিনা যাচাই করার জন্য।

চলবে....

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
১-পাঠকদের উদ্দেশ্যেও পাঁচটি শহরের নাম উল্লেখ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। আসন্ন হানিমুনের শহরটি কতজনের সঙ্গে মেলে তা পরীক্ষা করার জন্য।
২-এই ছোট গল্পটি শেষ হলে আবার তমোময়ী সিরিজের পরবর্তী অংশ শুরু হবে।


মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৭

কামাল৮০ বলেছেন: কেমন একটা সেকেলে গন্ধ।

২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একদম ঠিক ধরেছেন। সেকেলেই বটে।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গল্পের নায়কের উচিত ছিল 'শোলে' সিনেমার মত এমন একটা কয়েন ব্যবহার করা যেটার দুই পাশেই হেড। নইলে বউদের সাথে যেটার আর কোন রাস্তা নাই। :)

গল্পের নায়ক বিয়ের প্রথম রাতেই একজন গৃহপালিত স্বামী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেড়েছে। এই জন্য গল্পের নায়ককে অভিনন্দন। :)

ভানুর কৌতুকের মত গল্পের নায়কের ডায়ালগ হওয়া উচিত ছিল 'ভাবসো তোমার ভয়ে আমি কাশ্মীর যামু। মোটেই না, আমি নিজের ইচ্ছাতেই কাশ্মীর যামু।'

২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমে ধন্যবাদ দেই সাচু ভাই আপনাকে এমন সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
শোলে সিনেমার দৃশ্যটি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। বহুদিন আগে দেখেছিলাম। তবে আপনার মতো এমন সুক্ষ্ম ভাবে অবজার্ভ করিনি। আপনি একজন মনযোগী দর্শক। আগামীতেও এমন মধুর কমেন্ট পাব আশা করি।

গল্পের নায়ককে আপনি কমেন্টে যেভাবে উল্লেখ করেছেন, বাস্তবে এমন একজন গৃহপালিত নায়ককে এখানে পরিবেশন করাই উদ্দেশ্য। যার প্রেম ভালোবাসার সখ ষোলআনা। আর বউকে কব্জা করার জন্য বন্ধুর কাছ থেকে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। যাইহোক এখন দেখার ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়।
প্রসঙ্গক্রমে ভানুর কৌতুকের সঙ্গে তুলনা করে কাশ্মীরের বিষয়টি কমেন্টে উল্লেখ করাতে উচ্ছসিত হলাম। আপনার কমেন্ট পড়ে দারুণ উপভোগ করলাম। ++
পোস্টটিতে like'করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।



৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৯

আরোগ্য বলেছেন: ইন্না-লিল্লাহ পাঁচটা শহরের নাম বলতে হবে, আমি তো কেবল ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম আর কক্সবাজার গিয়েছি। সমুদ্র আর পাহাড় দুটোই দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কক্সবাজারে হিমছড়ির পাহাড় থেকে সমুদ্র বেশ সুন্দর দেখায়। এছাড়া আমার চর্মচক্ষুর কোন অভিজ্ঞতা নেই।
গল্পের বিবিতো বেশ বাজখাঁই। প্রথম দিনই জামাইকে গোবেচারা।বানিয়ে দিয়েছে। বাকি জীবনটাতো বউয়ের চাপলুসি করতে হবে। দেখা যাক কি হয় সামনের পর্বে।

২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বহুদিন বহুদিন পর তোমার কমেন্ট পেয়ে আনন্দিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে। আশাকরি উপরওয়ালা ইচ্ছায় তোমরা কুশলে আছ। তোমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার ঝাপি যথেষ্ট সমৃদ্ধ। চট্টগ্রাম বা কক্সবাজারের কথা আমরা আগেও জেনেছি। এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সী বিচ কক্সবাজারকে বলা যায়, বৃহত্তম বটে। আগামীতে তোমার চর্মচক্ষুর অভিজ্ঞতা আরও প্রসারিত হোক, ঝাঁপি পরিপূর্ণতায় ভরে উঠুক এই কামনাই করি।
গল্পের বিবিকে এখন বাজখাই লাগলেও পরের দিকে কি হয় তা জানতে অপেক্ষায় থাকতে অনুরোধ করছি। আর জামাই বেচারা মানে তো বাবাজীবন! গো বেচারাই হবাটাই স্বাভাবিক। তাদেরকে তো স্মার্ট হলে সমস্যা আছে। পরবর্তী পর্বগুলোতে ঘটনা কোন দিকে যায় যা দেখতে অনুরোধ করছি।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় আরোগ্যকে।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: নয়। তবে 'Morning shows the day' - গল্পের প্রথম পর্বেই মনে হচ্ছে আরও একটা ভালো গল্প পেতে যাচ্ছি। তবে মনে রাখতে হবে, ধারাবাহিক গল্প উপন্যাসের পাঠকপ্রিয়তা নির্ভর করে সঠিক সময়ে পর্বগুলো পাঠকদের কাছে তুলে ধরায়। পাঠক ধরে রাখতে দীর্ঘ বিরতি দেওয়া চলবেনা- যেভাবে আপনার তমোময়ী তে করেছেন।
শুভ কামনা। ❤️

২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটি সুন্দর মন্তব্যের জন্য প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইজান। আপনার জহুরীর চোখ ঠিকই ধরতে পেরেছেন এবারও আমার উদ্দেশ্যে গল্পের মধ্যে গল্প বলা। পরবর্তী পর্বগুলোতে এভাবে পাশে থাকবেন আশা করি।
আর ধারাবাহিক গল্প উপন্যাসের পাঠক ধরে রাখতে না পারার জন্য আমি লজ্জিত ক্ষমা প্রার্থী। পাঠক হিসেবে একটা জায়গায় এসে পরবর্তী পর্ব যথাসময়ে না পাওয়ার যে হতাশা তার থেকে লেখকের উপর বিরক্ত আসাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যক্তিগত অসুবিধাটা এ সময় এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে যে কিছুতেই আগের মত ব্লগে বা লেখালেখিতে সময় দিয়ে উঠতে পারছি না। আপনি যে শাস্তিই দিন মাথা পেতে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করব পরবর্তী পর্বগুলোতে যাতে এত দীর্ঘ বিরতি না হয়।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: এ যাত্রায় তাহলে প্রেমটা হয়েই যাবে দেখছি! B-)

২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহে হে... তা যা বলেছেন। অভাগা যেটুকু পেয়েছে তা যেন কোনভাবেই হাতছাড়া না হয় সেটাই এখন দেখার।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পাশাপাশি লজ্জিত আমি যে আপনার পোস্টে অনেকদিন যাওয়া হচ্ছে না। বেশ কিছু পোস্ট জমে গেছে। সময় নিয়ে যাব।
ভালো থাকবেন সবসময়।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গল্পটি সুন্দর হয়েছে। কয়েকটি শহরের নাম লিখে টস করেন তাহলে ৫টি শহর চলে আসবে। :D

২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য সুস্বাগতম আপনাকে। আপনার ছোট্ট কম্প্লিমেন্টটি আমার কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বগুলোতেও এভাবে পাশে পাব আশা করি। আপনার পরামর্শ মেনে পরবর্তী পর্বগুলোতে দেখি স্পট সিলেকশন কোন দিকে এগোয়। ভালো একটা পরামর্শ দিয়েছেন। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০০

নজসু বলেছেন:


প্রেম একবারই এসেছিলো নীরবে
আমারই এ দুয়ার প্রান্তে

বিয়ের আগে নায়ক মহাশয় এই গানটি গাইতে পারেননি বলে উনি খুবই মর্মাহত এটা বুঝলাম।
প্রেম কি শুধু বিয়ের আগে হয়? বিয়ের পরও প্রেম হয় বউয়ের সাথে। তাই যারা প্রেম হচ্ছে হচ্ছে না চোখের জলে ভেসে যাচ্ছেন তাদের বলবো বিয়ে করেন। বিয়ের পরে বউয়ের সাথে প্রেম করেন। :)

গল্পে ফিরে আসি। বিয়ের পরে নায়কের জীবনে বউ নামক প্রেমিকা এলো। নায়কের প্রেমের শখ এবার মিটবে নিশ্চয়ই। কিন্তু আমি চিন্তা করছি নতুন বউয়ের বিষয়ে। বাসর রাতেই স্বামী গোবেচারাকে ধমকে দিলো। সমুদ্র আর পাহাড় নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতনৈক্য তৈরি করলো। দেখা যাক তাদের প্রেমের রসায়ন টা কেমন হয়।

প্রিয় ভাই, আপনার গল্প মানেই আলাদা কিছু। এইতো দুই মেরুর দুজনকে পাহাড় আর সমুদ্রকে পাশাপাশি এনেছেন। একজন এতিম প্রেমিক ( B-) ) আরেকজন নিজের সম্মতি ছড়া বিয়ে কর প্রেমিকা (বউ)। পাঠক আটকে থাকবে পরের ঘটনা জানার জন্য। আমিও সেই পাঠকদের দলে। আপনার লেখার একনিষ্ট ভক্ত আমি।

আপনার সৃষ্ঠ নায়িকা শেফালিকে আজও মনে রেখেছি। মনে থাকবে আজীবন।

শুভকামনা।

২৫ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই,

বহুদিন পর আপনাকে পেলাম। জানিনা কোনো অভিমান করে ছিলেন কিনা।
যাইহোক "প্রেম একবারই এসেছিলো নীরবে
আমারই এ দুয়ার প্রান্তে"-সুন্দর একটি কথা দিয়ে মন্তব্য শুরু করেছেন। জীবনের প্রথম প্রেমের মাধুর্য সব কিছুর উর্ধ্বে। কারো কারো ক্ষেত্রে সেই ইমম্যাচিউর প্রেম টিকে যায় কারো ক্ষেত্রে তা এগোতে পারে না।

"তাই যারা প্রেম হচ্ছে হচ্ছে না চোখের জলে ভেসে যাচ্ছেন তাদের বলবো বিয়ে করেন। বিয়ের পরে বউয়ের সাথে প্রেম করেন।"চমৎকার কথা বলেছেন। সহমত আপনার সঙ্গে।

"গল্পে ফিরে আসি। বিয়ের পরে নায়কের জীবনে বউ নামক প্রেমিকা এলো। নায়কের প্রেমের শখ এবার মিটবে নিশ্চয়ই। কিন্তু আমি চিন্তা করছি নতুন বউয়ের বিষয়ে। বাসর রাতেই স্বামী গোবেচারাকে ধমকে দিলো। সমুদ্র আর পাহাড় নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতনৈক্য তৈরি করলো। দেখা যাক তাদের প্রেমের রসায়ন টা কেমন হয়।"-
হে হে হে এখনই এতো দুশ্চিন্তা করছেন কেন? পরবর্তী পর্বে দেখুন গল্পের মোড় কোন দিকে গড়ায়। তবে এটুকু বলতে পারি, আশা করি খুব খারাপ লাগবে না।


"প্রিয় ভাই, আপনার গল্প মানেই আলাদা কিছু। এইতো দুই মেরুর দুজনকে পাহাড় আর সমুদ্রকে পাশাপাশি এনেছেন। একজন এতিম প্রেমিক ( B-) ) আরেকজন নিজের সম্মতি ছড়া বিয়ে কর প্রেমিকা (বউ)। পাঠক আটকে থাকবে পরের ঘটনা জানার জন্য। আমিও সেই পাঠকদের দলে। আপনার লেখার একনিষ্ট ভক্ত আমি।"- কমেন্টের এই অংশে আপনার আন্তরিকতার মুগ্ধ হলাম। 'এতিম প্রেমিক' শব্দটি আমার খুবই ভালো লেগেছে++ তবে এটুকু আশ্বস্ত করছি, আপনার প্রেমিক শেষ পর্যন্ত এতিম থাকবে না।

শেফালী ম্যাডামকে মনে রেখেছেন দেখে আনন্দিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা আপনাকে।



৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০০

শায়মা বলেছেন: হা হা চুয়াত্তরভাইয়া ঠিকই বলেছে। তুমি এত ভীতুমীর ভাইয়া!!!!!!!

এক্কেবারে স্ত্রৈন বলবে তো লোকে!!!!!!!! :P

২৫ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এতো দিন পরেও আমার ভীতুত্ব নিয়ে খোটা দেওয়া কেন আপু? আমি তেব্র পরোতিবাদ করছি।এই বোলোগে ভীতুর পেটেন্ট নিয়েছি একমাত্র আমিই। কাজেই আমাকে সাহসী হিসেবে মূল্যায়ন না করে দ্বিপদ স্ত্রী ভক্ত স্বামী হিসেবে দেখলেই খুশি হবো হেহে হে.... আপনি আগের পোস্টে মাহাসান ভাইয়ের খোঁজ নিয়েছিলেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উনি হায়দারাবাদ থেকে কলম্বো হয়ে ঢাকা,ঢাকা থেকে হয়ে এই মুহূর্তে সিলেটে আছেন। আপাতত উনি বিশ্ব ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ইন্ডিয়াতে এলে আমার সঙ্গে ওনার দেখা হচ্ছে। এই সপ্তাহে আবার কলকাতা আসার সম্ভাবনা আছে।
শুভকামনা আপনাকে।

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
বাংলাদশে হলে -
বান্দরবান, সিলেট, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি
ভারত হলে -
সিমলা-মানালী, দার্জেলিং, সিকিম, শিলং, কাশ্মীর

২৫ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি প্রথম পাঠকের কাছে রাখা অনুরোধটি রক্ষা করেছেন। যেহেতু এই হানিমুন পর্ব ভারতে হবে কাজেই আপনার উল্লেখিত ভারতের পাঁচটি শহরের মধ্যে একটি থাকছেই। সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
নায়কের প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সরাসরি বিয়ের পিঁড়িতে এবং আবার নতুন বউয়ের সাথে টসে হেরে যাওয়া শুধুই তো দেখি ব্যর্থতা ।
অনেকদিন পরে দাদার একটি গল্প পড়ে ভালো লাগলো । তবে কেন জানি মনে হচ্ছে গল্পের নায়ক ঘাড় - ত্যাড়া প্রকৃতির । যাইহোক দুজনের এই মিথস্ক্রিয়ায় মজাই পেয়েছি । আপনার সিরিজ গল্প আমি সাধারণত মিস করি না । পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ।
অনেক শুভকামনা ও ভালো থাকুন ।

২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "দাদা ,
নায়কের প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সরাসরি বিয়ের পিঁড়িতে এবং আবার নতুন বউয়ের সাথে টসে হেরে যাওয়া শুধুই তো দেখি ব্যর্থতা ।"-হেহেহে কিছু কিছু মানুষের জীবন যে একেবারে ব্যর্থতার পরিপূর্ণ। গল্পে তেমনি একটি একজন নায়কের জীবন তুলে ধরতে চেয়েছি। যিনি আবার যথেষ্ট বোকাও বটে। তবে গল্পটা এভাবে শুরু হলেও গল্পের মধ্যে আরো একটা গল্প আছে। সেজন্য প্রিয় ছোট বোনকে পরবর্তী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে অনুরোধ করবো
আমি জানি বোন আমার কোনো পর্ব মিস করবেনা। কিন্তু না আসা পর্যন্ত যে চিন্তায় থাকি।
যাইহোক পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে ভ্যাজাইল্যা মানুষ। একেকটা গল্প শুরু করেন, তারপরে শেষ করার নাম নেন না। তাই গল্পটা আগে সম্পূর্ণ হোক, তারপরে পড়বো। আপাততঃ লাইক!!! :)

২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আপনে ভ্যাজাইল্যা মানুষ। 'হেহেহে... এতদিন পর একটা কাজের কথা কইছেন। তবে দুক্কু পেলাম এতো দেরিতে আমাকে চেনার জন্য।আপনি যদি ভূয়া হতে পারেন তাহলে আমার ভ্যাজাইল্যা হতে দোষ কোথায়? আর পড়াশোনা পরে হবে।আগে বলেন আপনাদের ওখানে গরম কেমন পড়ছে?এখান থেকে যে সব খবর পাচ্ছি তা তো অত্যন্ত ভয়াবহ।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,



অনেকদিন পরে এলুম আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে। কারনটা ভুয়া মফিজ এর মন্তব্যে বলা আছে। :||

টসে হেরে সবাই মুখ ব্যাজার করে, একমাত্র আপনাকেই দেখা গেলো প্রেমে গদগদ হতে। :P পাহাড় দেখতে যখন যাবেনই তখন আর ছোটখাটোটা দেখবেন কেন ? একেবার বড়টা, হিমালয় পর্বতটাকেই দেখে আসুন। B-) দরকার হলে চূড়ায় উঠে প্রেমের পতাকা টাঙিয়েও আসতে পারবেন। :-P
আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন কেন ? :(

২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। তবে আপনিও যে ভূয়া ভাই বা জুনাপুর মত একই দলের সেটা অবশ্য আমার জানা ছিল না। ওনারা পর্বাকারের গল্প পড়তে পছন্দ করেন না। জুনাপু এজন্য আমার পোস্টে আসা এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছেন। আজকে জানতে পারলাম আপনিও ভূয়া ভাইদের দলে। যদিও আমার দিক থেকে অসুবিধা নেই। গল্প শেষ হলে আসবেন ততদিন না হয় অপেক্ষায় থাকবো।
"টসে হেরে সবাই মুখ ব্যাজার করে, একমাত্র আপনাকেই দেখা গেলো প্রেমে গদগদ হতে।"-আপনি জানেন এ কথা তবুও বলছি, চরিত্র কখনো লেখককে ছাপিয়ে যায় না। কাজেই এখানে আমাকে যে ভাবে প্রেমে গদগদ হবার প্রসঙ্গ টেনেছেন তার প্রাপ্য সম্মান পাওয়ার দাবিদার গল্পের নায়কের.. হেহে হে..

পাহাড় দেখতে যাওয়ার প্রসঙ্গেও কিছু যুক্তি আছে। হ্যাঁ অবশ্যই ছোট পাহাড় নয়। এক্ষেত্রে আপনার অনুমানের সাথে একটা মিল আছে। বড় পাহাড় ই গল্পে আসবে, ততদিন আপনাকে অপেক্ষা করতে অনুরোধ করবো।
গল্পের নায়কের হৃদয়ে যেহেতু প্রেমের ফল্গুধারা বইছে তাই তাকে আর নতুন করে হিমালয় পর্বতে প্রেমের পতাকা টাঙাতে হবে না মনেই তো একটা আস্ত হিমালয় তৈরি হয়েছে।হেহেহে...
আপনার কথার সূত্র ধরে বলি,উড়িষ্যার দারিংবাড়িতে গিয়ে এরকমই আমরা আমাদের নিজেদের নাম ও ঠিকানা একটা গাছের গায়ে লিখে এসেছিলাম। অবশ্য নাম দুটি ছিল ডাকনাম।

যাইহোক সুন্দর মজার কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভয়াবহের কিছু নাই। এরা অল্পতেই ফালাফালি করে। রাস্তায় গোড়ালী ডোবা পানি জমলেই ফ্লাড সাইন বসিয়ে দেয়। বুঝতেই পারছেন অবস্থা!!

গত সোমবার তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৭ ডিগ্রি। মঙ্গলবার ৪০। কিন্তু এখানে এই গরমেও তেমন একটা ঘাম হয় না। তাছাড়া, সামারে এরা এমনিতেই গায়ে কাপড় রাখতে চায় না, সুতরাং সমস্যা নাই। আমাদের দেশে তো ৩২/৩৩ হলেই ঘেমে গোসল হতে হতো, তাই না!! সেই অবস্থায় পড়লে এরা চিল্লায়ে গলা ফাটায়ে ফেলতো। কতো ধানে কতো চাল........এরাও খানিকটা টের পাক, অসুবিধা কি? আমার তো তেমন কোন সমস্যা নাই!!! :-B

২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশ্চর্য অথচ আমরা এখান থেকে যে ভিডিওগুলোতে দেখছি ট্রেনের সিগন্যাল গরমে পুড়ে যাচ্ছে। রাস্তার গাছ দাউদাউ করে জ্বলছে কিম্বা পাথরের উপর ডিম ভেঙে দিলে ওমলেট ভাজা হয়ে যাচ্ছে অথচ বাস্তবটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ঠিক এমনই কথা শুনলাম সেদিন মা.হাসান ভাইয়ের কলম্বো যাওয়ার পর ছবিগুলো দেখে বা ওনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শুনে। ওখানকার অবস্থা বাইরে থেকে আমরা যতোটা খারাপ ভাবছি ততোটা নয় নাকি।
যাইহোক সাবধানে থাকবেন।
শুভকামনা আপনাকে।

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: গল্পের নায়কের তো দেখি দাওয়া না দোয়ার প্রয়োজন
শুভ কামনা রেখে গেলাম।

২৫ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু,"দাওয়া না দোয়ার"-বিষয়টি ঠিক বুঝলাম না। তবে মজার কোনো বিষয় উল্লেখ করেছেন বলে অনুমিত হলো।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।



শুভকামনা আপনাকে।

১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৩৩

জটিল ভাই বলেছেন:
আমার পোস্টে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে এতো দেরি হবার পাশাপাশি ডুব দেবো বলে এই সিরিজটাও পড়া হয়নি বলে দুঃখসহ ক্ষমাপ্রার্থী। তবে ভাল আছেন দেখে ভাল লাগলো। জটিলবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমাদের নিয়ে এমন তুলে আছাড় কেন মারেন? এই যেমন টুপ করে চলে এলেন আবার ভুশ করে ডুব দিবেন।ভারী অন্যায় এমন ধুমকেতুর মতো আবির্ভাব ও প্রত্যাগমনে। হ্যাঁ শারীরিক ভাবে এখন অনেকটাই ভালো আছি। কিন্তু আপনি এমন করে দেখা দিয়েও হাতছানি দিয়ে চলে যাচ্ছেন দেখে বিষন্ন হলাম।
জটিলাবাদ আপনাকেও।

১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন: এতো সহজ প্রশ্ন কেউ করে? গুগল আছে না.... রোমান্সের গন্ধ আমার বরাবরই ভালো লাগে। চলুক তবে। চলতে চলতে থেকে না গেলেই হয়। :D

২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "এতো সহজ প্রশ্ন কেউ করে?"-ওই মিয়া বইতে অনেক কিছু লেখা থাকবে বলে তাহলে কোন কোশ্চেন করা যাবে না? তবে আপনার জন্য পরামর্শ দিলাম, আপনি গুগল থেকে পড়াশোনা করে উত্তর দিয়েন। নতুবা পরীক্ষায় পাশ করার সুযোগ হারাবেন বলে রাখলুম।আর রোমান্স কোথায় পেলেন? খরতপ্ত রৌদ্র চাতকের মতো প্রেমপ্রার্থীর কপালে টসে হেরে হৃদয়বিদারক কথা শোনা,আর সেখানে কিনা রোমান্টিকতা রীতিমতো মাইন্ড করলুম হেহে হে...

১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৪

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার শেফালি ম্যাডামকে নিয়ে আর কোন গল্প লেখার পরিকল্পনা আছে কি?

২৬ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওই গল্পটার ফিনিশিংটা ভবিষ্যতে মলাটিবদ্ধ করলে একটু নতুন করে লেখার ইচ্ছা আছে। তবে যেহেতু একদম শেষ পর্যায়ের তাই ওই অংশটা ব্লগে বা ভার্চুয়ালে পোস্ট দেব না।
আর জীবন নদের শেফালীকে নিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন নামে পোস্ট দিচ্ছি।

পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: টোকা দেয়া কয়েনটি ঘরের সীলিং পর্যন্ত উঠেছিল, এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে আপনি কত জোরে টোকা দিয়েছিলেন এবং এর পেছনে কতটা টেনশন কাজ করছিল! :)
ভারতের কোথায় কোথায় 'শৈল শহর' রয়েছে, কিংবা দার্জিলিং, শ্রীনগর, অমৃতসর, সিমলা-মানালী এগুলোকে ঠিক 'শৈল শহর' বলে কিনা, সে ব্যাপারে ভালো জ্ঞান নেই। তাই পরীক্ষায় অনুমান-নির্ভর অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছিনা। তার চেয়ে বরং খানিক পরে দ্বিতীয় পর্বটা পড়ে আসবো।
'শোলে' সিনেমাটা আমিও দেখেছি, কিন্তু কয়েন টসিং এর দৃশ্যের কথাটা মনে নেই। সাড়ে চুয়াত্তর এর স্মরণ শক্তি আসলেই খুব তীক্ষ্ণ।
আপনার সৃষ্ট শেফালি ম্যাডাম এর কথা আমারও মনে আছে (৭ নং মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য)। দু'টি প্রতিমন্তব্যে সহব্লগার মা.হাসান সম্পর্কে জানতে পেরে প্রীত হ'লাম।
মুক্তা নীল এর "তবে কেন জানি মনে হচ্ছে গল্পের নায়ক ঘাড় - ত্যাড়া প্রকৃতির" - এ সন্দেহের কথাটা পড়ে কেন যেন খানিক হাসি পেল! সন্দেহের কারণটা উনি পরিষ্কার করে বললে ভালো হতো।
"মনেই তো একটা আস্ত হিমালয় তৈরি হয়েছে" - চমৎকার!
"উড়িষ্যার দারিংবাড়িতে গিয়ে এরকমই আমরা আমাদের নিজেদের নাম ও ঠিকানা একটা গাছের গায়ে লিখে এসেছিলাম। অবশ্য নাম দুটি ছিল ডাকনাম" - নাম দু'টির মাঝখানে কি একটা প্লাস চিহ্ন (+) বসিয়েছিলেন? :)


০৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "টোকা দেয়া কয়েনটি ঘরের সীলিং পর্যন্ত উঠেছিল, এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে আপনি কত জোরে টোকা দিয়েছিলেন এবং এর পেছনে কতটা টেনশন কাজ করছিল! :)-" জ্বী স্যার টেনশন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এখানে লেখক মহোদয় কোনভাবেই জড়িত নন উনি ঘটনার বর্ণনাকারী মাত্র। হেহে হে...

"ভারতের 'শৈল শহরের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। কিংবা দার্জিলিং, শ্রীনগর, অমৃতসর, সিমলা-মানালী এগুলোকে ঠিক 'শৈল শহর' বলে কিনা, সে ব্যাপারে ভালো জ্ঞান নেই। তাই পরীক্ষায় অনুমান-নির্ভর অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছিনা।"- পাহাড় দিয়ে ঘেরা যে কোন শহরকেই ছিল শহর বলা হয় সে দিক থেকে শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে গোটা পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে হিমালয় পাদদেশের কালিম্পং কার্শিয়াং মিরিক এই দার্জিলিং এগুলো যেমন শৈল শহর আবার হিমাচল প্রদেশের সিমলা কুলু মানালি সহ ভারতের শৈল শহরের তালিকা যথেষ্ট বড়। আমার আবার মুসৌরি আলমোড়া বা নৈনিতাল যাওয়ার ইচ্ছা আছে জানিনা কবে সেখানে যেতে পারব বা উদ্দেশ্যে কখনো পূরণ হবে কিনা।

শোলে সিনেমার ওই বিশেষ দৃশ্যটা আমিও মনে করতে পারলাম না তবে দেখেছি বহুদিন আগে কিনা। জ্বী স্যার মানতেই হবে সাচু ভাইয়ের স্মরণশক্তি অসাধারণ।++

"আপনার সৃষ্ট শেফালি ম্যাডাম এর কথা আমারও মনে আছে (৭ নং মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য)। দু'টি প্রতিমন্তব্যে সহব্লগার মা.হাসান সম্পর্কে জানতে পেরে প্রীত হ'লাম।"-শেফালী ম্যাডামের কথা এখনো মনে রেখেছেন জেনে প্রীত হলাম অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ মা.হাসান ভাই এখন ভালো আছেন উনি সামনের সপ্তাহে কলকাতায় আসতে পারেন আমার সঙ্গে এমনই কথা হয়েছে।

"মুক্তা নীল এর "তবে কেন জানি মনে হচ্ছে গল্পের নায়ক ঘাড় - ত্যাড়া প্রকৃতির" - এ সন্দেহের কথাটা পড়ে কেন যেন খানিক হাসি পেল! সন্দেহের কারণটা উনি পরিষ্কার করে বললে ভালো হতো।"-
এ প্রসঙ্গে একটা অভিজ্ঞতা কথা মনে পড়ছে স্যার। পরীক্ষায় খাতা দেখতে বসে কোন একটা কোশ্চেন এর সঠিক উত্তরটি না পেলে কেটে দেই। কিন্তু একবার হলো কি ৮-১০ জন ছেলে একটা ভুল উত্তর করাতে তখন নিজেরই সন্দেহ হল, কি জানি আমার মনে গাঁথা উত্তরটি ভুল নয় তো। আবার নতুন করে যাচাই করে দেখি আমার উত্তরটা ঠিক আছে। এখানেও ঠিক তেমনি আমি গল্পটা একভাবে লিখব বলে ভেবেছিলাম কিন্তু কয়েকজনের কমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হল গল্পটাকে একটু রদবদল করলে নেহাতই মন্দ হবে না। পরবর্তী পর্বগুলোতে এমনই একটি রদবদলের সম্ভাবনা চিন্তা ভাবনায় রেখেছি।
দাড়িংবাড়িতে গাছের গায়ে আগে থেকেই অনেকগুলো নাম দেখে লোভ সামলাতে পারিনি। হ্যাঁ স্যার ওদের মতো করেই নিজেদের নাম লিখে এসেছিলাম। তবে ডাক নাম লিখেছিলাম।
পোস্ট এ কমেন্টের সুক্ষ বিষয়গুলো এভাবে তুলে ধরায় ও পোস্টে লাইক করাতে কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। ভালো থাকবেন সবসময়। শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পড়া শুরু করিলাম প্রিয় ভাতা

বেড়াল মারামারি ভালোই চললো। যাই হোক দেখা যাক বদ বউ কোন শহরে আপনারে নিয়ে যায়

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে। একটু আগে তৃতীয় পর্ব পোস্ট দিয়েছি। সময় করে আসবেন এই প্রত্যাশায় রইলাম।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভেচ্ছা আপনাকে।

২০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৪৯

সোহানী বলেছেন: ওওওওও পাঁচটা শহর! দেশে নাকি পৃথিবীর অন্য প্রান্তে? তাহলে প্রথমেই সাক্সনে সুইজারল্যান্ড বেঁছে নিবো। এটা জার্মানের এরিয়া কিন্তু নামটা এমন। কারন অদ্ভুত সুন্দর ফরেস্ট।

তবে চুপি চুপি বলি আমি সমুদ্র দর্শক। পানির আশে পাশে আমার বরাবরেই ভালো লাগে।

যাই কোথায় শেষ পর্যন্ত গেলেন তা পরের পর্বে জেনে নেই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু ইন্ডিয়া দেশটা এতোই বৈচিত্র্যময় যে প্রকৃতির নির্মল প্রেমানুভূতি দেশের অভ্যন্তরেই পাওয়া সম্ভব। আপনার সরবরাহকৃত শহরটি নিঃসন্দেহে খুব মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। কিন্তু ওখানে যাওয়ার সুযোগ ইহজীবনে মিলবে না বলেই আমি একপ্রকার নিশ্চিত।
আপনি সমুদ্র প্রেমি। অনেক বেশি বেশি সিবিচে জান, অনেক উপভোগ করুন। আমার অবশ্য সমুদ্র ঢেউ দ্বিতীয় দিনে ভালো লাগে না। একদিনের পক্ষে মন্দ লাগেনা।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন

শুভেচ্ছা জানবেন আপু।

২১| ১৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

অপু তানভীর বলেছেন: হানিমুনের জন্য যোতলং পাহাড়ে উঠেন । বউয়ের পাহাড়ে ওঠার শখ মিটে যাবে আশা করি । :D

১৬ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পুরনো পোস্ট খুঁজে পড়ার জন্য খুশি হয়েছি অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী যোতলং যাওয়ার আগে ঢাকাতে যাই তারপর আপনাদের কাছ থেকে ভালো করে পথ ডিরেকশন নিয়ে না হয় ও পথে যাবো।

ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.